• ২৯ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mamata

রাজনীতি

Sabyasachi Dutta: বিধনসভায় পরিষদীয়মন্ত্রীর ঘরে সব্যসাচীর তৃণমূলে যোগ, রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে

বিধানসভায় দলবদল। বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরলেন প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। দলবদল হল একেবারে বিধানসভা চত্বরে। বৃহস্পতিবার পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে মুকুলপন্থী বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। এই দলবদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, এটা একটি বিরল এবং ব্যতিক্রমী ঘটনা। দেশের অন্য কোনও বিধানসভা কখনও এমন দৃশ্য দেখেনি বা প্রত্যক্ষ করেনি। বিধানসভাকে নিজের দলীয় অফিস হিসেবে ব্যবহার করছে।বিজেপি থেকে তৃণমূলে ফিরে আসার যেন মিছিল পড়ে গিয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য় ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলে ফেরার হিরিক লেগেছে। একাধিক বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে এসেছেন। হেরে যাওয়া বিজেপি প্রার্থীদেরও দলে নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপি গিয়েছিলেন সব্যসাচী দত্ত। বিধানসভার ফল বেরনোর পর সর্বপ্রথম কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরেন। তখনও অনেকটাই পরিস্কার হয়ে গিয়েছিল মুকুলপন্থীরা ঘাসফুল শিবিরে ফিরবেন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই আভাস দিয়েছিলেন। এদিন তা একেবারে স্পষ্ট হল।তবে সব্যসাচীর দলে ফেরা নিয়ে তৃণমূলের অভ্যন্তরেই ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সাংবাদমাধ্যমে বলেছেন, নির্বাচনে যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গলমন্দ করলেন, তাঁরাই এখন দলে ফিরছেন। এতে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যায়।এর আগে কখনও রাজ্য বিধানসভা সত্বরে দলবদল হয়েছে, এমন নজির নেই। বিরোধী নেতৃত্ব নবান্নে গিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সেখানে ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু বিধানসভা চত্বরে এই প্রথম দলবদলের ঘটনা ঘটেছে। এবার ঘটেছে একেবারে পরিষদীয়মন্ত্রীর ঘরে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেরও বক্তব্য, বিধানসভা চত্বরে এই দলবদলের ঘটনা ঐতিহাসিক নজির হয়ে থাকবে। আবার এমন দিনে তৃণমূলে যোগ দিলেন সব্যসাচী দত্ত যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় রাজ্যপালের কাছে বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন।

অক্টোবর ০৭, ২০২১
রাজনীতি

Dhankhar: মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল

৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, বিধায়ক হিসেবে শপথ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় গিয়ে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার বিকেলে টুইট করে ধনখড় এ কথা জানান। একই সঙ্গে বিধায়ক পদে শপথ নেবেন আমিরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন।উল্লেখ্য, বিধায়কদের শপথ পড়ানো নিয়ে প্রবল টানাপোড়েন চলছিল। উপনির্বাচনে জয়ী তিন বিধায়ককে কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন, তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। একই সঙ্গে সূত্রের খবর ছিল, এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে কোনওরকম জটিলতা চাইছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বিবাদে, বিনা বিতর্কে এই পর্ব হোক বলেই ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন তিনি।Earlier @itspcofficial had indicated pl administer oath of 3 elected members on 7th October 2021 at 11.45 a.m. and after issuance of order has sought Kindly allow to administer oath at 2 p.m. instead of 11.45 a.m.Now oath will be administered at 2 PM at WBLA by Governor WB. https://t.co/v0qjB0Aq5B pic.twitter.com/RBVA4mdFdG Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) October 5, 2021মমতার শপথ কোথায় হবে, রাজভবন না বিধানসভা, শপথ বাক্যই বা কে পাঠ করাবেন, রাজ্যপাল না অধ্যক্ষ, তা নিয়েও জল্পনা চলছিল। গুঞ্জন ছিল, রাজভবনে মমতার শপথের অনুষ্ঠান হলে সেখানে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত ধনখড়ের টুইটে সেই জল্পনার অবসান। তবে একই সঙ্গে এটাও স্পষ্ট হল, মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপালই, স্পিকার নন।

অক্টোবর ০৫, ২০২১
রাজনীতি

By Election: রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী কারা? ঘোষণা মমতার

ভবানীপুরের ফলপ্রকাশের পরপরই বাকি চার কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ভবানীপুরে হ্যাটট্রিক করেছেন মমতা। এদিন কালিঘাটে বাড়িরে বাইরে বেরিয়ে এসে সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানান মুখ্যমন্ত্রী। বাকি চারটি উপনির্বাচেনর মধ্যে তিন কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শান্তিপুরে প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী। দিনহাটায় উদয়ন গুহ, খড়দহে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, গোসাবার প্রার্থীর নাম একটু পড়ে ঘোষণা করব। সেখানে দুটো নাম আছে, বাপ্পাদিত্য নস্কর ও সুব্রত মন্ডল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানিয়ে দেন।ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মে-এর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে কৃষিমন্ত্রী করা হয়। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছিলেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ্যমন্ত্রী হন। ৬ মাসের মধ্যে মমতাকে বিধায়ক হতে হবে সেই কারণে ভবানীপুর আসন থেকে পদত্যাগ করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারপর সেখানে উপনির্বাচন হয়। আর দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিকের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। নিশীথ প্রামানিক পদত্যাগ করায় দিনহাটা আসনটি খালি হয়। শান্তিপুর থেকে পদত্যাগ করেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুতে আসনি খালি হয়।এদিকে এদিন ভবানীপুর, জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জের নির্বাচনে জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বভাবতই মনোবল আরও বেড়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩টি আসন পেয়ে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতা পায় তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি চার বিধানসভা কেন্দ্রেও যে এখনও তৃণমূল বাকিদের থেকে অনেকটা এগিয়ে গেল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

অক্টোবর ০৩, ২০২১
রাজনীতি

Mamata banerjee: ভবানীপুরে বিপুল ভোটে জয় মমতার, লক্ষ্য এবার দিল্লি

প্রত্যাশামতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮,৮৩২ ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত করেছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওযালকে। এই জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। তিনি বলেন, কোনও ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে হারায়নি। এর আগে একটা দুটি ওয়ার্ডে হেরেছি। এই কেন্দ্রে ৪৬ শতাংশ অবাঙালি ভোটার। সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিয়েছেন। আজ আমার মন ভরে গিযেছে। ভবানীপুরের মানুষ দেখিয়ে দিল। সারা বাংলা আজ ভবানীপুরে দিকে তাকিয়ে ছিল। এর আগে বাংলা আঘাত পেয়েছিল। নন্দীগ্রামে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আদালতে মামলা চলছে। আদালতে বিচারাধীন বলে হারের কারণ বলছি না। আমার মনে পড়ে আছে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে। ওই দুটিতেও আমরা জিতছি। মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ দেন তিনি।তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম আগেই বলেছিলেন ৫০ হাজারের ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। জয় পেলেন তার থেকেও বেশি ভোটে। তৃণমূল নেতা মদন মিত্রর বক্তব্য, এবার আমরা অবাঙালি এলাকায় বিপুল ভোট পেয়েছি। রাজনৈতিক মহলের মতে, অবাঙালি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের লীড এই নির্বাচনে বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। এবার নিজের জয়ের রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন মমতা।

অক্টোবর ০৩, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Banerjee: প্রায় ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয় পেতে চলেছেন মমতা

ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর তিন কেন্দ্রেই জয়ের পথে তৃণমূল কংগ্রেস। তার মধ্যে ভবানীপুর ও জঙ্গিপুরে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছে ঘাসফুল শিবির। ভবানীপুরে ইতিমধ্যে ১২ রাউন্ড গণনার পর প্রায় ৩৫ হাজারের বেশি ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে গিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের থেকে। এই কেন্দ্রে নামমাত্র ভোট পেয়ে জামানত খোয়াতে চলেছেন সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস। সাতসকালেই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেছিলেন ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটগণনার গতি দেখে মনে করা হচ্ছে মমতার জয়ের ব্যবধান ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যে কালিঘাটে ভিড় জমিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। আবির খেলাও শুরু হয়ে গিয়েছে। উচ্ছ্বাসে আত্মহারা তৃণমূলের সমর্থকরা। অন্যদিকে জঙ্গিপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর থেকে প্রায় ২৬ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন। সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী জইদুল ইসলামের থেকে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম ৫ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।এই কেন্দ্রে বিজেপি ও বামপ্রার্থী কংগ্রেস প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট থেকেও পিছিয়ে আছেন। এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজয় উৎসব করতে নিষেধ করেছে নির্বাচন কমিশন। এবিষয়ে কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়েছে।

অক্টোবর ০৩, ২০২১
রাজনীতি

By Election: ভবানীপুরে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সামশেরগজ্ঞ ও জঙ্গিপুরেও এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস

হাইভোল্টেজ ভবানীপুরে টানটান উত্তেজনায় সকাল থেকেই ভোট গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভবানীপুরের উপনির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের গণনায় এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভবানীপুরে ২১ রাউন্ড গণনা হবে। প্রথমে শুরু হওয়া পোস্টাল ব্যালটে এগিয়ে মমতা। অন্য়দিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জলঙ্গি কেন্দ্রেও গণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে গণনা কেন্দ্রগুলিতে। এর আগে নন্দীগ্রামের ভোট গণনা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। শেষমেশ বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টে মামলা করেছেন নন্দীগ্রামের ভোটের ফল নিয়ে। সেই মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে, ভবানীপুর কেন্দ্রে ৫০ থেকে ৮০ হাজার ভোটের ব্যবধান জয়ী হবেন মমতা{ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে সামশেরগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম ও জঙ্গিপুরে জাকির হোসেন ১৩০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।

অক্টোবর ০৩, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu Adhikari: এই বন্যার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী নিজে, বিস্ফোরক শুভেন্দু

এই বন্যার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দায়ী। বিগত বছরগুলোতে প্রাক বর্ষার যেসব কাজ হয়ে থাকে, এবার তা কিছুই করা হয়নি। আর তার কারণ, ভবানীপুরের উপনির্বাচন। আর এই নির্বাচনের কারণেই বাংলার মানুষকে বানভাসি অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে। এমনই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর ম্যান মেড তত্ত্ব খারিজ করে দিয়ে শুভেন্দু জানান, শুধুমাত্র ডিভিসির জল ছাড়ার জন্য বন্যা হয়নি। বানভাসি এলাকার দুর্বল বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে হয়েছে। শুভেন্দু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ফান্ডের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে বাঁধ মেরামতি আর করেননি। অতিবর্ষণের ফলে সেই দুর্বল বাঁধগুলো অনায়াসে ভেঙে গিয়েছে। আজ নিজের চেয়ার বাঁচাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ লক্ষ মানুষকে ডুবিয়েছেন।১৫ দিন ধরে পটাশপুর, সবংয়ের লোক জলের তলায়। এই সরকারের আর কিছু নেই। এই সরকার শুধু ভোটব্যাংকের রাজনীতি করে, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেন না। এই অপরাধের জন্য ঈশ্বর তাঁকে কখনও ক্ষমা করবেন না।

অক্টোবর ০২, ২০২১
রাজনীতি

Mamata-DVC: সব টাকা জলে, ডিভিসি-র কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হতে পারে: মমতা

বাংলার বানভাসি অবস্থার জন্য ম্যান মেড তত্ত্ব আগেই খাড়া করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার, ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টিকেও দায়ী করেছেন বাংলার বন্যা পরিস্থিতির জন্য। আর এবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ফের ডিভিসির বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগলেন তিনি। পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝালেন ঠিক কত কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-র কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে হতে পারে বলেও উল্লেখ করলেন মমতা। এ দিন আরামবাগে গিয়ে তিনি বলেন, ডিভিসির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, সব টাকা তো জলেই চলে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন হেলিকপ্টারে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মমতা। আরামবাগে নেমে এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি।এদিন মমতা আরামবাগে দাঁড়িয়ে বলেন, ডিভিসি আর ঝাড়খণ্ডের জন্যই বাংলায় এই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ডিভিসি যদি বছরে চারবার এভাবে জল ছাড়ে, তাহলে বহু মানুষের ক্ষতি হয়। সব টাকা তো জলেই চলে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেন, যে এলাকায় ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেখানে মানুষ সারাতে না সারাতেই আবার ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এবারের বন্যা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লক্ষ বাড়ি। ৪ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এ দিন পরিদর্শন সেরে নবান্নে ফিরে তিনি বৈঠক করবেন আধিকারিকদের সঙ্গে। নবান্ন থেকে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলছে বলেও জানান তিনি।তবে, মমতার এই ক্ষতিপূরণের মানুষের জন্য চাইছেন নাকি দলের জন্য? সেই প্রশ্নই তুলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, যে মানুষগুলোর ক্ষতি হয়েছে তাঁদের জন্য ক্ষতিপূরণের কথা ভাবছেন নাকি ওই টাকা আম্ফানের মতো কাটমানি হিসেবে নেবে তৃণমূল নেতারা? তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি বেশি হলে জল ছাড়তে হবে এটাই স্বাভাবিক। আর ভৌগলিক নিয়মেই ঝাড়খণ্ডের জল বাংলায় চলে আসে। কিন্তু, গত কয়েক বছরে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য উনি কী করেছেন?

অক্টোবর ০২, ২০২১
কলকাতা

Dhankhar attacks Mamata: মহাত্মার জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রীকে ফের 'গণতন্ত্র'-খোঁচা ধনখড়ের

গান্ধি জয়ন্তীতে ফের এক বার বাংলার গণতন্ত্র নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ভয় ও হিংসা মেটাতে মমতা সরকারের পদক্ষেপ করা উচিত বলেই দাবি করেছেন তিনি। ধনখড়ের এই সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে তাঁর মন্তব্য করা উচিত বলেই দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।অহিংসার বার্তাপ্রেরকের জন্মদিনেও বাদ গেল না রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী টুইট-যুদ্ধ। শনিবার গান্ধিজয়ন্তীর সকালে মহাত্মা গান্ধির বার্তা স্মরণ করার পাশাপাশি রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ফের মুখ্যমন্ত্রীকেই নিশানা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ এদিন টুইট করে ধনখড় লেখেন, বাপুকে তাঁর যোগ্য সম্মান জানিয়ে তাঁর আদর্শায়িত শান্তি ও অহিংসার বাণীগ্রহণ, পালন ও অনুশীলন বিশ্বজুড়ে পাথেয়। গণতন্ত্রের ফুল ফোটাতে ও মানবিক সম্মান রক্ষার্থে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত রাজ্যে ঘটে চলা হিংসার ঘটনায় রাশ টানা। টুইটে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ট্যাগ করেছেন রাজ্যপাল।তবে, এই প্রথম নয়, রাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলা ও সংবিধানের মান্যতা প্রসঙ্গে একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, এমন অভিযোগ বারবারই করেছেন রাজ্যপাল। কখনও টুইটারে কখনও বা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে। সম্প্রতি, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তরজায় জড়ান রাজ্যপাল। ধনখড় এক বিশেষ দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন এমন অভিযোগ বারবারই করে এসেছে তৃণমূল। নির্বাচনের ঠিক পরেই দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন জগদীপ। কেন তাঁর সেই সফর, তা নিয়ে যথেষ্ট জল্পনাও তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। পরে জানা গিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করতে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি, অগস্ট মাসেও দুই দিনের জন্য দিল্লি যান ধনখড়। তার আগে রাজভবনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাত্সারেন।

অক্টোবর ০২, ২০২১
কলকাতা

Mamata-Casting Vote: মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন মমতা

নির্ধারিত সময়েই মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টে ১৫ মিনিট নাগাদ মিত্র ইনস্টিটিউশনে যান মমতা। সেখানে ভোট দিয়ে মিনিট তিনেকের মধ্যে বেরিয়ে যান তিনি। দুপুর ২ টো নাগাদ সপরিবারে ভোট দেন ফিরহাদ হাকিম।পরিবারের সকলকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর পর ভোট দিতে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। চেতলা গার্লস স্কুলে ভোট দিয়েছেন তিনি। মিত্র ইনস্টিটিউশনে গিয়ে ভোট দিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্ত্রী এবং পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট দিলেন তিনি।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
রাজনীতি

Mamata-Rome: 'প্রতিহিংসাবশত আমায় রোম যেতে দেওয়া হল না', বিদেশ মন্ত্রকের অনুমতি না মেলায় ক্ষুব্ধ মমতা

প্রধানমন্ত্রী বিদেশ গেলেন, অথচ আমাকে কেন যেতে যেওয়া হল না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোম সফর বিদেশ মন্ত্রক বাতিল করে দেওয়ার পর এই প্রশ্নই করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁ বক্তব্য, প্রতিহিংসাবশতই আমাকে আটকানো হল। উল্লেখ্য, কী কারণে এই অনুমতি দেওয়া হয়নি তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী এই সফরে যেতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এই সফর সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এমনটাই বক্তব্য বিদেশ মন্ত্রকের। প্রসঙ্গত, আগামী ৬ ও ৭ অক্টোবর রোমে বিশ্ব শান্তির উপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেসরকারি এক সংগঠনের উদ্যোগে এই আয়োজন। সেখানেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানানো হয়।আরও পড়ুনঃ ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্ব তোলা থাকল ইতিহাসের পাতায়, স্বাক্ষর করলেন মোদিসূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নে। সেখানে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই রোম সফরের দরকার নেই। এর বেশি কোনও ব্যাখ্যা সেখানে নেই। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এ ক্ষেত্রে ব্যাখ্যারও বিশেষ জায়গা থাকে না। মন্ত্রকের হ্যাঁ বা না যথেষ্ট। শনিবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচারসভায় এসে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। তাঁর রোম সফরে অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। মমতা বলেন, কোভ্যাক্সিন নিয়ে কেউ আমেরিকা, ব্রিটেনে যেতে পারবেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভ্যাক্সিনকে মান্যতা দেয়নি। কিন্তু বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন। অথচ অনেকেই নিজের কাজে যেতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন, যেতে দাও। কিন্তু আমাকে কেন প্রতিনিধিত্ব করতে দেওয়া হল না? তিনি আরও বলেন, ওখানে আমি গিয়ে হিন্দুত্বের প্রতিনিধিত্ব করতাম। মুখে তো এত বড় বড় হিন্দুত্বের কথা বলেন। আর কিন্তু প্রতিহিংসাবশত আমাকে আটকানো হল।ক্ষোভের সুরে মমতা আরও বলেন, বিশ্ব শান্তির জন্য রোমে একটা সম্মেলন হচ্ছে। দুমাস আগে তাঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। জার্মান চ্যান্সেলর যাবেন, পোপ থাকবেন, মিশরের ইমাম থাকবেন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আমার কাছেও আমন্ত্রণ এসেছিল। ইতালি সরকার আমাদের বিশেষ অনুমতি দিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ভারত-বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এত বড় বিশ্ব শান্তি সম্মেলন এর আগে হয়নি। কিন্তু আজ চিঠি দিয়ে অনুমতি দিতে অস্বীকার করল। বলা হল, মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে যাওয়া ঠিক হবে না।এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এমন প্রতিক্রিয়ার পর বিজেপির জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, বিদেশ মন্ত্রকের নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম থাকে। পররাষ্ট্রনীতি বলে একটা বিষয় আছে। অকারণে এখানে রাজনীতি খোঁজা মুর্খামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
কলকাতা

Mamata Bannerjee: 'বাড়ির সামনে পচা কুকুর ফেলে দিয়ে আসলে বুঝবে!' বিজেপির বিক্ষোভ নিয়ে আক্রমণাত্মক মমতা

বৃহস্পতিবার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার মৃতদেহ নিয়ে কালীঘাটে মমতার বাড়ির অদূরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। সেই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার ভবানীপুরে নির্বাচনী প্রচারে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয়নি। তিনি বলেন,একটি ছেলে মারা গিয়েছে। নির্বাচনের সময় একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভালো হয়ে গিয়েছিল। পরে সার্জারি হয়েছিল। সেই সার্জারিতে মারা গিয়েছে। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক।আরও পড়ুনঃ দিল্লির আদালত কক্ষেই গ্যাংওয়ার, এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত কমপক্ষে ৪বিজেপির বিক্ষোভ নিয়েও বেজায় চটেছেন মমতা। তিনি বলেন, আমার বাড়ির কাছে ডেডবডি নিয়ে ঢুকছে। কত বড় ক্ষমতা বুঝুন! একটা করে কান মুলে দিলে পালিয়ে যাবে। কোনও ক্ষমতা নেই। খালি বড় বড় কথা আর ভাষণ! তাঁর হুঙ্কার, তোমার বাড়ির সামনে যদি পাঠিয়ে দিই একটা কুকুরের ডেডবডি। মেশিনারি আমার নেই? পচা কুকুর তোমার বাড়ির সামনে ফেলে আসব। গন্ধে দশদিন খেতে পাবে না তুমি। বদমাইশি করতে চাইলে কী না করা যায়! এত পাশবিক! এত দানবিক!অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নেত্রী। বলেন, কাল অসমে কী করেছে! কত লোককে এনআরসি-র নামে খুন করেছে। ফায়ারিং করে খুন করে ডেডবডির উপরে নাচছো! লজ্জা করে না। আর বাংলার মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন করছো। আজও দিল্লিতে কোর্টে তিন জন মারা গিয়েছে গুলিতে। ইউপি-তে কোনও আইন আছে! না বিহারে কোনও আইন আছে! বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোনও আইন নেই।ভোটের পরবর্তী হিংসার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর বক্তব্য, হিংসায় উন্মত্ত বিজেপি। প্রতিদিন গুন্ডামি করছে। নিজের বাড়িতে নিজে বোম মারছে। আর টিভিতে বলছে আমায় বোমা মেরেছে। কে মারবে রে তোকে? তোর গায়ে ছুঁতেই লজ্জা লাগে। তৃণমূল গুন্ডাদের দল নয়। আগে সিপিএমের আমলে ভোট দিতে গেলে বোমা নিয়ে তাড়া করত। বড় বড় বাড়িগুলি তালা দিয়ে দিত। দেখেননি আপনারা? কলকাতার মানুষ সাক্ষী। ৩০ বছর সিপিএমের সঙ্গে লড়তে পারলে তোমাদের বিরুদ্ধেও লড়তে পারি। ভ-এ ভবানীপুর, ভ-এ ভারতবর্ষ। ভয় দেখিয়ে চমকে লাভ নেই। আমরা লড়াই করি। এজেন্সির ভয় পাই না। জেলে যাব তবু আত্মসমর্পণ করব না।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Bannerjee: অত্যাচার, নির্যাতন না হলে বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না, দাবি মমতার

দেশ ব্যাপী বিজেপির বিরুদ্ধে খেলা হবে স্লোগান আগেই তুলেছিলেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী পদ্মপুকুরের জনসভায় বললেন, ভবানীপুর থেকে দেশশাসন করবেন। পাশাপাশি এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ করেছেন, সঠিকভাবে নির্বাচন হলে এরাজ্যে বিজেপি ৩০টার বেশি আসনে জয় পেত না। গায়ের জোরে ৫০টি আসনে জিতেছে।৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন। ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার একবালপুরে সভা করেছেন। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোট দিতে আবেদন রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ মাসের মধ্যে যে কোনও বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হতে হবে। এদিন পদ্মপুকুরে মমতা বলেন, আমি যতক্ষণ বিধায়ক না হব ততদিন মুখ্যমন্ত্রীর পদটা শোভনীয় হবে না। নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন আমাকে আঘাত করা হয়েছিল। হুইল চেয়ারে করে দেড় মাস নির্বাচনে প্রচার করতে হয়েছিল।আরও পড়ুনঃ তিন বছরে বিজেপিকে দিল্লি ছাড়া করার হুংকার অভিষেকের২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এরাজ্যে ৩টি আসনে জয় পেয়েছিল। এবার ৩ থেকে থেকে ৭৭ হয়েছে। রাজ্য জয় করতে না পেরে বিজেপি নেতৃত্ব এই তত্ব আউরে চলেছে। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির ৭৭ আসনে জয়কেও চ্যালেঞ্জ করেছেন। নির্বাচনী সভায় তৃণমূলনেত্রী বলেন, আগেরবার নির্বাচনে অনেক অত্যাচার হয়েছে, অনেক নির্যাতন হয়েছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি সেই সময় যে ভাবে নির্বাচন করা হয়েছে যদি নির্বাচন সেভাবে না করা হতো তাহলে বিজেপি ৩০টা আসনও পেত না। ৫০ টা আসন বিজেপি গায়ের জোরে জিতেছে। তার কারণ সেদিন বাংলার প্রশাসন ছিল না। দিল্লির প্রশাসন বাংলায় এসে হাজির হয়েছিল। ডেলি প্যাসেঞ্জারি করত। সাধারণ মানুষের কোনও কথা শুনত না।এবার রাজ্যে তৃণমূল ২১৩টি আসনে জয় পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আশা সংখ্যাটা ২২১ অবধি গড়িয়ে যাবে। মমতা বলেন, কেউ ভাবতেও পারেনি এত আসনে তৃণমূল জিতবে। আমি কিন্তু ২২১ বলেছিলাম। ইতিমধ্যে পাঁচ-ছজন চলে এসেছে। একটা অ্যাস্ট্রোলজিক্যাল বিষয় থাকে। ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রীকে নির্বাচন করবে আর এই ভবানীপুর থেকেই দেশ পরিচালনা করা হবে সেকথাও এদিন জানিয়ে দেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, ভবানীপুর থেকে মুখ্যন্ত্রী হবে। ভাবনীপুর থেকে দেশ দেখবে। ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ শুরু হয়। মনে রাখবেন বি-তে ভবানীপুর, বি থেকেই ভারতবর্ষ।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Bannerjee: আপনার একটা ভোট না পেলেও ক্ষতি হয়ে যাবে...কেন এমন বললেন মমতা?

ভবানীপুরের ভোটের দিন এগিয়ে আসছে। মমতার পাড়ায় এসে প্রচার করে যাচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। মানুষ তাঁর কথা শুনছেনও। আর এতেই কিছুটা হলেও স্নায়ুর চাপে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? ভবানীপুরের মাটি মমতার কাছে হাতের তালুর মতো চেনা। তাই এই লড়াই জেতা তাঁর কাছে খুব একটা কঠিন হবে না। কিন্তু তারপরেও একেবারে চিন্তামুক্ত থাকতে পারছেন না মমতা। তাই আজ নিজের পাড়ায় ভোটে প্রচারে নেমে বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনার একটি ভোট না পেলে্ও ক্ষতি হয়ে যাবে আমার। আমাকে আর পাবেন না। কিন্তু চেনা মাঠে কেন এমন কথা বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো? তাহলে কী তিনি স্নায়ুর চাপে ভুগছেন?আরও পড়ুনঃ আচমকাই চোখের সামনে নিজেদের বাড়ি দুলতে দেখলেন বাসিন্দারাএদিন ভবানীপুরের জনসভায় মমতা বলেন, ২০২১-এর নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনে জায়গা নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। তাই দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে যে কী ভাবে হারানো হয়েছে তা প্রকাশ্যে আসবে। আদালতে মামলা চলছে। জানা যাবে, আমার বিরুদ্ধে সেখানে কী করা হয়নি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হবে। এটা ভাগ্যের খেলা। আপনাদের ছেড়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সেই সূত্রেই তিনি বলেন, অনেকে ভাবছেন দিদি এমনিই জিতে যাবে। কিন্তু প্রতিটা ভোট দামি। একটা ভোট না দিলে আমার ক্ষতি হবে। ভোট না দিলে আমাকে পাবেন না। নিজেকে জনগণের পাহারাদার বলেও আখ্যাও দিয়েছেন মমতা। এদিনের জনসভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ শানাতেও ভোলেননি তিনি। বলেন, আমি মোদি-শাহকে দাদা-ভাই বলতে পারি। এটা সৌজন্য। কিন্তু তাই বলে দেশে তালিবানি শাসন মেনে নেব না। দেশে সকলে থাকবে। দেশকে টুকরো করতে দেব না। রাজ্যকেও টুকরো করতে দেব না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভাজন আসতে দেব না।ত্রিপুরা, অসম, গোয়া এবং উত্তরপ্রদেশে খেলা হবে।মমতার বার্তা, আপনাদের এক একটা ভোট আগামিদিনে দিল্লির পথে পা বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনাদের ভোট দাঙ্গাবাজদের রুখে দিতে সাহায্য করবে। এখানে গাছ পুঁতলে দিল্লিতে গিয়ে গাছ বড় হবে। এখানে গাছের চারাটা পুঁতে দিন।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
কলকাতা

Mamata-Babul: বাবুলকে কোন মুড়ি খেতে পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝালমুড়ি খেয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল গেরুয়া শিবির থেকেও। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল বলেছেন, উন্নয়নের প্রয়োজনে বিজেপি মন্ত্রীদের সঙ্গে ধোকলা খেতেও তিনি রাজি। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মুড়ি খাওয়া নিয়ে সতর্ক করলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুলকে। কোন মুড়ি খাওয়া উচিত, কোন মুড়ি খাওয়া উচিত নয়, সেই পরামর্শও দিয়েছেন গায়ক-সাংসদকে।আরও পড়ুনঃ রাতভর তুমুল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, জারি দুর্যোগের সতর্কবার্তাশনিবার হঠাৎই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। রবিবার আনুষ্ঠানিক সাংবাদিক বৈঠক করেছেন তিনি। সোমবার নবান্নে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে বাবুল বলেন, উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি। বাবার জন্য দিদি বই দিয়েছেন। আগামিদিনে আমার কী ভূমিকা হবে সেটা দিদি ঠিক করে দেবেন। মন খুলে কাজ করতে পারব, মন খুলে গান করতে পারব। দিদি যদি একটা গান গাইতে বলেন। খুশি মনে গান করব। বাবুল আরও জানিয়েছেন, আগামি কর্মসূচি নিয়ে তাঁর সঙ্গে নেত্রীর বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। চারবছর আগে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরের সময় ভিক্টোরিয়ার সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে ঝালমুড়ি খেয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। সেদিন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে চড়ে রাজভবনেও গিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গ এখনও বাবুলকে তাড়া করে বেড়ায়। এখনও সেই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় বাবুলকে। যদিও তিনি বারে বারেই বলেছেন, ওটা সৌজন্য ছিল। তাছাড়া গাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। এদিন নবান্নে মুড়ি খাওয়া নিয়ে বাবুলকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাবুল বলেন, উনি বলেছেন মুড়ি খেলে ওজন বাড়ে। গ্রামের মুড়ি খাওয়া উপকারী। সাদা মুচমুচে মুড়ি খেতে বারণ করেছেন। তাতে ইউরিয়া মেশানো থাকে। উনিও খান না। আমাকে ভাত খেতেও বারণ করেছেন।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১
রাজ্য

Mamata Bannerjee: অজানা জ্বরের কারণ জানতে কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় শিশুদের মধ্যে জ্বর ব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার কারণ চিহ্নিত হয়েছে। এই নিয়ে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করল স্বাস্থ্য দপ্তর। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে বৈঠকে এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। এমনটাই জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্য ভবনসূত্রে।এদিন একঘণ্টার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৫ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে অজানা জ্বরের আতঙ্ক ছাড়াও স্বাস্থ্যপরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেখানে হাসপাতালগুলির বেড বাড়ানো, মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা বাড়ানো মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।আরও পড়ুনঃ সকালের আলো ফুটতেই কেঁপে উঠল সিচুয়ান প্রদেশভোট প্রচারে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠক ছেড়ে বেরোনোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রকোপ ছড়ানো শিশুদের অজানা জ্বর নিয়ে তিনি বৈঠকে স্বাস্থ্যকর তাদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে এদিন সকালেই মুখ্যমন্ত্রী খোঁজখবর নিয়েছেন। জানতে পেরেছেন, কোনও অজানা জ্বর নয়, এমনি সাধারণ জ্বরেই আক্রান্ত হয়েছে শিশুরা। যাদের মৃত্যু হয়েছে, তারা সকলেরই অন্য জটিল অসুখ ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও চিকিৎসার কোনও সুযোগ হয়নি।জ্বরের প্রকোপ ছড়াতেই স্বাস্থ্যদপ্তর তড়িঘড়ি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিল। তাতে জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে শিশুদের মধ্যে অজানা জ্বরের নেপথ্যে রয়েছে আরএস ভাইরাস। তবে এই ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি কারণ কী, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে এই সংক্রান্ত আলোচনা ছাড়াও কলকাতার ৫ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামোর আরও উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই হাসপাতালগুলি দেশের অন্যতম সেরা হাসপাতাল হিসেবে ইতিমধ্যেই খ্যাত। শুধু কলকাতাই নয়, সংলগ্ন জেলাগুলি থেকেও প্রচুর মানুষজন এসব হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। অন্তত ৭৬ শতাংশ মানুষ এর উপর নির্ভরশীল। আরও কীভাবে এসব হাসপাতালের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো যায়, শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করা যায় এবং মেডিক্যাল কলেজের আসন সংখ্যাও বাড়ানো যায়, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Ekbalpur: আচমকাই ভোট-প্রচারে ভবানীপুরে মমতা

শুক্রবারই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। আর সোমবার নবান্ন থেকে ফেরার পথে ঢুকলেন নিজের বিধানসভা এলাকায়। দক্ষিণ কলকাতার প্রাক্তন সাংসদ মমতা এই আসনে ২০১১-র উপনির্বাচন, ২০১৬-র নির্বাচনে লড়েছেন। দুবারই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনও লড়াইকেই যে তিনি ছোট করে দেখতে চান না তা জানিয়ে আগেই কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। সোমবার নবান্ন থেকে ফেরার পথে আচমকাই মমতা যান কলকাতা পুরসভার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে। জন সংযোগের পাশাপাশি কর্মীদের সঙ্গে আড্ডাও দেন। খিদিরপুরের ২৫-এর পল্লি দুর্গাপুজো যে পাড়ায় হয় সেখানেও যেমন তিনি গিয়েছিলেন, তেমনই যান ১৬ আনা মসজিদ এলাকাতেও।আরও পড়ুনঃ ঘোষিত হল সূচি, আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানএসসি ইস্টবেঙ্গল প্রথম ডার্বি ২৭ নভেম্বরখিদিরপুর এলাকার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড দিয়েই মমতার প্রচার শুরুকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মমতা ওই এলাকা ছাড়ার প্রায় পর পরই টুইট করেন বাংলায় বিজেপি-র সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। তাঁর দাবি, ভবানীপুরের জয় নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন বলেই ১৬ আনা মসজিদে গিয়েছিলেন মমতা। এই সফর আচমকা নয় বরং পরিকল্পিত বলেই দাবি করেছেন মালব্য।যদিও এ দিনের বৈঠকে মমতার সঙ্গে ইমামদের ঠিক কী কথা হয়েছে, তা বিশদে জানা যায়নি। তবে এই সাক্ষাতের নেপথ্যে যে ভোট অঙ্ক কাজ করছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশেষত, যেভাবে সংখ্যালঘুরা লাগাতার রাজ্যের শাসকদল ও নেত্রীর প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন, সেই ভোটে ভর করেই তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। তাঁদের সেই অভিযোগের আবহেই মমতার ইমাম সাক্ষাৎ ভোটের আগে রাজ্য রাজনীতিতে কোনও জল্পনার জন্ম দেয় কি না, সেই বিষয়টিও বিচার্য হবে।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu Adhikari: উপনির্বাচনের আগেই মমতাকে নন্দীগ্রামের হার মনে করালেন শুভেন্দু

ভবানীপুর উপনির্বাচনে এবার সরাসরি মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়ার মনোনয়ন জমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের তাঁকে নিশানা করলেন বিরোধী নেতা। তাঁর কটাক্ষ, সারাজীবন মমতাকে নন্দীগ্রামের হারের যন্ত্রণা বইতে হবে।আরও পড়ুনঃ এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম বিদেশি স্লোভেনিয়ার আমির দারভগসেভিচশনিবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে দলীয় রক্তদান শিবিরে যোগ দিতে এসে শুভেন্দুর বক্তব্য, নন্দীগ্রামে ছুটে চলে এসেছিলেন ভোটে দাঁড়াতে, কয়েকজনের কথা শুনে হেরেছেন। আমাকে সহ্য করতে পারে না। প্রচণ্ড যন্ত্রণাযতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচবেন কানের কাছে সব সময় এই যন্ত্রণাই থাকবে যে শুভেন্দুর কাছে হেরেছি। এ যন্ত্রণা আপনাকে পিছু ছাড়বে না। শুভেন্দু এরপর বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে যোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গকে তালিবানের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। একজন তৃণমূল প্রার্থী খেলা হবে নাম করে এক লক্ষ বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করিয়েছেন। অপরদিকে আরেকজন বিজেপি প্রার্থী বাংলার অত্যাচারিত জনগণকে মাঠে ঘাটে ঘুরে ঘরে ঢুকিয়েছেন। অত্যাচারিত মানুষদের পাশে থেকেছেন। ভবানীপুরের লড়াই কার্যত ভোট পরবর্তী অশান্তির বিরুদ্ধে লড়াই। এই লড়াই অভিজিৎ সরকারের মায়ের চোখের জলের লড়াই। মানুষকে ঠিক করতে হবে, ভবানীপুরের মানুষ লক্ষাধিক মানুষকে ঘরছাড়া করা, নারীদের সম্ভ্রম লুঠ করা তৃণমূলের পাশে থাকবে নাকি অভিজিত্ সরকারের মতো মানুষদের পাশে থাকবে।উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯৬৫ ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমোকে শুভেন্দু ফের ভবানীপুরে তাঁর মুখোমুখি হবেন কি না এ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও তা নস্যাৎ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ ছিল শুভেন্দু তো একবার হারিয়েছেন, আর কতবার লড়বেন? এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণে গেলেন শুভেন্দু। তাছাড়া অভিষেক ব্যানার্জিকে ইডির তলব প্রসঙ্গ এলে সাংবাদিকদের কিছুটা এড়িয়ে যান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ২০১১ সালের পরে রাজনীতিতে আসা কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কোনও উত্তর দেব না। নিজের লেভেল বজায় রেখে চলি। ১৯৯৭ সাল থেকে রাজনীতি করছি।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
রাজ্য

Godess Mamata: পার্বতীরূপী মুখ্যমন্ত্রীর কোলে গণেশ! শুরু তুমুল রাজনৈতিক চাপানউতোর

আগেকার দিনের মা-ঠাকুমারা বলতেন, দেবতাদের নিয়ে ছেলেখেলা করতে নেই। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এক পুজো মণ্ডপে ঠিক তেমনই ছেলেখেলায় মাতলেন স্থানীয় ক্লাব কর্তারা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা মমতাময়ী মা-এর জয়জয়কার তো রয়েইছে। মনীষীদের আসনে আগেই বসে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এবার দেবতার আসনেও বসানো হল তাঁকে। মালদার এক ক্লাবের গণেশ পুজোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গেল মা পার্বতীর রূপে। আর গণেশকে দেখা গেল মমতারূপী মা পার্বতীর কোলে। স্থানীয় ক্লাবের প্রতিমা নির্মাণে অভিনবত্ব থাকলেও, দেবতাদের নিয়ে এমন ছেলেখেলায় ক্ষেপে গিয়েছেন স্থানীয় কিছু ধর্মপ্রাণ মানুষ। তৈরি হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক চাপানউতোরও। আরও পড়ুনঃ ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কাহরিশচন্দ্রপুর এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উদ্যোগেই জাগরণ সঙ্ঘ ক্লাবে মুখ্যমন্ত্রীকে দেবী দুর্গার আসনে বসানো হয়েছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এমন সিদ্ধান্তে কোনও ভুল রয়েছে বলে তারা মনে করেন না। গত ১০ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী দশভূজা দেবী দুর্গার মত বাসিন্দাদের আগলে রেখেছেন। একের পর এক জনকল্যাণমূলক কাজ করেছেন। তাই তাঁরা দেবী দুর্গার স্থানে মুখ্যমন্ত্রীকে বসিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের এমন যুক্তিকে আমল দিতে নারাজ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুর চড়িয়ে বিজেপি জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া জানান, দেবী দুর্গার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তুলনা করাটা ঠিক হয়নি। এটা হয়তো মুখ্যমন্ত্রীও সমর্থন করবেন না। সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখবেন না এই ব্যাপারটাকে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে এর জবাব এলাকার সাধারণ মানুষই। আবার অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর মুর্তি গড়ে সিদ্ধিদাতা গণেশকে তাঁর কোলে বসিয়ে দেওয়ায় অপমান করা হয়েছে দেবতাকেও। আঘাত লেগেছে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ভাবাবেগেও। সব মিলিয়ে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এই পুজো মণ্ডপের অভিনবত্বে মুগ্ধ হওয়া তো দূর, বরং রাজনৈতিক ডামাডোলের সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাব আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
রাজনীতি

Mamata Nomination: মমতার মনোনয়ন পেশ, লড়াই শুরু 'ঘর'-এর মাঠেই

তিথি-নক্ষত্র দেখে শুক্রবার গণেশ চতুর্থীর দিনই উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। একুশের নির্বাচনে পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। দুই হেভিওয়েটের কট্টর লড়াই হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারী। ফল ঘোষণার দিন একটু অন্যরকম খেলা হয়। সেই খেলার ফল হিসেবে ৬ মাসের মধ্যে কোন একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। না হলে একটি সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে নিজের ঘর থেকেই লড়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা। সেদিক থেকে বিচার করলে, এবারের উপনির্বাচনের প্রধান কেন্দ্রই হল ভবানীপুর। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আরও পড়ুনঃ ত্রিপুরায় শক্তি দেখাতে তৃণমূলের পদযাত্রাবুধবার কর্মিসভার মধ্যে দিয়ে প্রচারে নামেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। কর্মিসভায় তিনি বলেন, ২০২৪-এর দিকে তাকিয়ে একটা বড় খেলা হবে। এই খেলা হয়ে গেলে সব খেলায় জিততে হবে। তিনি মনে করিয়ে দেন ভবানীপুরের উপনির্বাচনের পরই রয়েছে পুরসভা নির্বাচন। সেখানেও জয় কনফার্ম করতে হবে। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার সময় মমতা বলেছিলেন, ভবানীপুর আমার বড় বোন আর নন্দীগ্রাম আমার মেজো বোন। তিনি জানিয়েছিলেন পারলে ভবানীপুর আর নন্দীগ্রাম দুই কেন্দ্র থেকেই লড়তে চান তিনি।ফল প্রকাশের পর নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম না জিতে ভালোই হয়েছে। বারবার ওখানে যেতে হত। আর এদিনের কর্মসমিতির বৈঠক শেষে বলেন, ভবানীপুরের মানুষ নিশ্চয় চেয়েছিলেন, তাই আমি আমার এখানে লড়তে পারছি। এদিকে, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপিও। উপনির্বাচনে ভবানীপুরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। ভবানীপুরকে ৮টি ওয়ার্ডে ভাগ করে সুব্রত বক্সী, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূলের প্রবীণ নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ দিকে ভবানীপুর কেন্দ্রে বামেদের হয়ে লড়বেন আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাস।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • ...
  • 33
  • 34
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

মদিনায় আগুনে পুড়ল ৪২ উমরাহ যাত্রীর দেহ! অধিকাংশই ভারতীয়—বাসে বেঁচে ফিরলেন মাত্র ১ জন

সৌদি আরবের মদিনার কাছে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিভে গেল কমপক্ষে ৪২টি প্রাণ। উমরাহ হজে যাওয়া ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের নিয়ে মক্কার পথে যাচ্ছিল বাসটি। ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার রাত প্রায় একটা বেজে তিরিশ মিনিট নাগাদ মুফরিহাট এলাকায় একটি ডিজেল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসটির। প্রচণ্ড ধাক্কার পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ধরে যায় পুরো গাড়িতে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বাসটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়, আর তাতেই মৃত্যু হয় অধিকাংশ যাত্রীর।সৌদি পুলিশের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার সময় প্রায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন লাগার পর কেউ বেরোনোর সুযোগই পাননি। বাসটিতে ১১ জন মহিলা ও ১০ জন শিশু ছিলএমনটাই জানা গিয়েছে। মৃতদের অধিকাংশই ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা। এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেহগুলি এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে কারও পরিচয় নির্ণয় করতেও বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন তদন্তকারীরা। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বেঁচে গিয়েছেন মাত্র একজনমহম্মদ আব্দুল শোয়েবযিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।ঘটনার পর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন, রিয়াধের ভারতীয় দূতাবাস এবং জেদ্দার কনস্যুলেট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দ্রুত মৃতদেহগুলো ভারত ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।অন্যদিকে, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি বলেন, রাজ্য সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। দিল্লি ও জেদ্দার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পরিবারগুলিকে সাহায্যের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শুরু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন নম্বরও।তেলঙ্গনা সরকারের হেল্পলাইন নম্বর: +91 7997959754, +91 9912919545জেদ্দা কনস্যুলেটের নম্বর: 8002440003সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল দেহ শনাক্তিকরণ। দেহগুলি এতটাই অগ্নিদগ্ধ যে DNA পরীক্ষার মতো জটিল প্রক্রিয়া ছাড়া পরিচয় জানা প্রায় অসম্ভব। ফলে দেহ দেশে ফেরানোও দীর্ঘ সময় নিতে পারে। ইতিমধ্যেই কূটনৈতিক স্তরে তৎপরতা বেড়েছে, কারণ পরিবারগুলির একমাত্র দাবিযেন দ্রুত প্রিয়জনদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

কোথায় সেই শীত? ডিসেম্বরেও রাতের তাপমাত্রা বাড়বে বাংলায়

রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ ধীরে ধীরে মিলছে ঠিকই, কিন্তু প্রত্যাশিত সেই ঠান্ডা এখনও অধরাই। ভোরের দিকে পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নামছে। সকালের হিমেল হাওয়া আর সন্ধ্যার শিরশিরে ঠান্ডায় মানুষ গরম জামা গায়ে দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু দিনের মাঝামাঝি রোদের তেজ এখনও বেশ ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে। যার ফলে চেনা ডিসেম্বরের সেই কনকনে ঠান্ডা এখনও ফিরছে না বাংলায়।আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এখনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা নামবে না। বরং সংক্রান্তি পেরোলেই তাপমাত্রা আরও বাড়বে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল, যা এখন শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছে অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। এই অবস্থানের কারণেই বাংলার উপর দিয়ে বইতে থাকা উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমে যাবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে আসা উষ্ণ বাতাস।বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গকোথাও বড় ধরনের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর। তবে ভোরবেলা কুয়াশায় ঢেকে থাকবে আকাশ। দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে বিভিন্ন জায়গায়।আলিপুর দফতরের পূর্বাভাস বলছে, সোমবার থেকেই তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। উত্তরবঙ্গেও রাতের দিকে শীত একধাক্কায় কমে যাবে। ফলে শীতের হিমেল স্পর্শ আরও কিছুটা পিছিয়ে যেতে পারে।এরই মধ্যে আরেকটি নতুন সিস্টেম তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলছে। মধ্য দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সেটি শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতি শীতকে আরও কয়েকদিন পিছিয়ে দিতে পারে।সব মিলিয়ে, শীতের অপেক্ষায় থাকা বাঙালিরা হয়তো ডিসেম্বরের শেষ দিকেই পেতে পারেন সেই পরিচিত ঠান্ডার ছোঁয়া। আপাতত আবহাওয়া বলছেশীত আসবে, তবে একটু দেরিতে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

ফাঁসি! মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী শেখ হাসিনা—বাংলাদেশে নজিরবিহীন রায়

বাংলাদেশের রাজনীতি যেন মুহূর্তে ঝড়ের চোখে ঢুকে গেল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার ঘোষণা করল সেই রায়, যার জন্য দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে ছিলমানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আদালত তিনটি ধারায় তাঁকে দোষী ঘোষণা করে সরাসরি ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে। সেই সঙ্গে একই অপরাধে ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও। বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী প্রমাণিত হয়েছেন গণহত্যার মামলায়।রায় ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদালত চত্বরের বাইরে এক অদ্ভুত নীরবতা নেমে আসে। তারপরই শুরু হয় দেশজোড়া তাণ্ডব। ঢাকার রাস্তায় বিক্ষোভ, ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন লাগানোসব মিলিয়ে যেন বিস্ফোরণের মতো ছড়িয়ে পড়ে খবরটি। আদালতে ৪৫৩ পাতার রায় পড়তে সময় লাগলেও, রায়ের অভিঘাত সরাসরি গিয়ে লাগে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে।আদালত জানায়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার সময় একাধিক গণহত্যা, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। বহু সাক্ষ্য-প্রমাণ, ভিডিও ফুটেজ, গোপন নথি আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক স্পষ্ট করে বলেন, এটি ইতিহাসে নথিবদ্ধ হওয়ার মতো অপরাধ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে।প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও একই ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল-মামুনও দোষী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। আদালতের মন্তব্যতিনজনের সমন্বিত ভূমিকার কারণেই এই ভয়াবহ ঘটনাগুলো দেশের নাগরিকদের জীবনে গভীর ক্ষত তৈরি করেছে।রায়ের পরই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ, সেনা ও র্যাব নামানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রায় ঘিরে প্রচুর বিভ্রান্তি ও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আওয়ামী লিগ সমর্থকেরা রায়কে রাজনৈতিক প্রতিশোধ বলে দাবি করেছেন, অন্যদিকে সরকার সমর্থকেরা বলছেনএটা ইতিহাসের বিচার।বাংলাদেশের রাজনৈতিক আকাশে যে ঝড় চেপে বসেছে, তার রেশ এখন শুধুই রাস্তায় নয়সরাসরি দেশের ভবিষ্যতের ওপরও পড়ে যাচ্ছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেন কীভাবে? এসএসসি-র ব্যাখ্যায় বাড়ল রহস্য

একাদশদ্বাদশের এসএসসি ফলপ্রকাশ হতেই যে নামটি সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে, তা হল নীতীশরঞ্জন বর্মন। কয়েক মাস আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে দাগী প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানে স্পষ্টভাবে ছিল নীতীশরঞ্জনের নাম। আর সেই নীতীশই এবার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষায় বসে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকও পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছেএকজন দাগী প্রার্থী কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন? কীভাবে ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম উঠল? বিতর্ক মুহূর্তে চড়ে গিয়েছে মাথা তুলেই।এই অভিযোগ আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা গৃহীত হয়েছে। আদালতে শামিম জানান, নীতীশরঞ্জন বর্মন নামে ওই প্রার্থী অযোগ্য হয়েও পরীক্ষায় বসেছেন, এমনকি ভেরিফিকেশনের জন্যও ডাক পেয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন নীতীশরঞ্জনের স্ত্রীও, যাঁর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তিনিই প্রথম আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সামনে আনেন। তাঁর দাবি, নীতীশ দাগী হয়েও ভুলভাবে পরীক্ষায় বসেছেন এবং এখন ভেরিফিকেশন রাউন্ডেও জায়গা পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।বিতর্কের ঢেউ যখন তুঙ্গে, তখন স্কুল সার্ভিস কমিশন মুখ খুলল। কমিশনের বক্তব্য, ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের কথা বলেছিল। সেই নির্দেশ মানতেই নাকি কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এসএসসি একই সঙ্গে জানিয়েছে, সব তথ্যই যাচাই করা হচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে যদি গরমিল ধরা পড়ে, দাগী হয়েও কেউ যদি সতর্কতা সত্ত্বেও তালিকায় ঢুকে পড়েন, তাহলে ভেরিফিকেশনের সময় সেই প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার পূর্ণ অধিকার কমিশনের রয়েছে।এদিকে আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় বলেছেএকজনও দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য যে ছাড়ের কথা বলা হয়েছিল, তা বয়স বা শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, দাগী তালিকার ক্ষেত্রে নয়। ফলে নীতীশরঞ্জন বর্মন কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আদালতকক্ষে এই ব্যাখ্যার ওপরেই নজর এখন সবার।রবিবার দিনভর এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা চলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তীব্র আলোচনার ঢেউ। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেনআইনের ফাঁক কি কাজে লাগাল নীতীশ? নাকি নিয়োগ ব্যবস্থার ত্রুটি এতটাই গভীর যে দাগী তালিকা থাকা সত্ত্বেও এমন ভুল সম্ভব? এখন অপেক্ষা আদালতের সিদ্ধান্তের, আর সেই সিদ্ধান্তই ঠিক করবে নীতীশরঞ্জনের মতো বিতর্কিত প্রার্থীর ভবিষ্যৎ।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর নিয়ে তোলপাড়! এসএসসি তালিকায় ১৯৯৭ পর জন্মেও ‘এক্সপেরিয়েন্স’?

এসএসসি-র এগারো-বারোর শিক্ষক নিয়োগে ফের নতুন করে বিতর্কে আগুন লেগেছে। উচ্চ কাট-অফের চাপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নতুনরা। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে ৬০ নম্বরের মধ্যে পূর্ণ ৬০ পেলেও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে, আর সেই তালিকার বড় অংশেই ইন-সার্ভিস শিক্ষকেরা সুবিধা পেয়েছেন অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত দশ নম্বরের জোরে। এই বাড়তি নম্বরেরই বিরোধিতায় এবার পথে নেমে সরব হয়েছেন নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ আরও বিস্ফোরক। তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের জন্ম ১৯৯৭ সালের পর, এমন বহু প্রার্থীও নাকি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পেয়েছেন বলে তালিকায় দেখা যাচ্ছে। বয়সের হিসাবে যা একেবারেই অসম্ভব। এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বাড়তেই স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কমিশনের বক্তব্য, যে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণই প্রার্থীদের অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। আপাতত ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করে প্রাথমিক তালিকা বানানো হয়েছে। এর পরেই তথ্য যাচাইকরণ চলবে। সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনে কোনও গরমিল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবেন। পরে অঞ্চলভিত্তিক ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করা হবে।এদিকে অভিযোগ উঠছে কাট-অফ এতই বেশি যে, ভালো নম্বর পেয়েও বহু প্রার্থী তালিকার বাইরে। ইংরেজিতে কাট-অফ ৭৭, বাংলায় ৭৩, অঙ্কে ৭১ এবং ইতিহাসে ৭৫এই অত্যাধিক কাট-অফের কারণেই নাকি পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তদের মধ্যেও বাদ পড়ার ঘটনা ঘটছে। যদিও কমিশন সূত্রের দাবি, যাঁদের ডাকা হয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ফ্রেশার। কিন্তু কমিশনের এই ব্যাখ্যায় পরিস্থিতি শান্ত তো হয়নি, বরং ক্ষোভ আরও বেড়েছে।করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত এ দিন রীতিমতো মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত ১০ নম্বর প্রক্রিয়াটাই অবিচার। ফুল মার্কস পেয়েও যদি ইন্টারভিউর ডাক না আসে, তাহলে নিয়োগ পদ্ধতি প্রশ্নের মুখে পড়ে। ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি, আর এই নিয়েই সরগরম রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের অঙ্গন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

শেখ হাসিনার পরিবারের ইতিহাস এবার মুছে ফেলবে কে? ধানমন্ডি ৩২-এ রহস্যময় তৎপরতা

বাংলাদেশে যেন ইতিহাসের এক ভয়াবহ পুনরাবৃত্তি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী মামলার ৪৫৩ পাতার রায় পড়া চলছে আদালতে, আর ঠিক সেই সময়েই ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ির সামনে দেখা গেল দুটি পে-লোডার। দৃশ্যটি ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে তোলপাড় বাংলাদেশ। প্রশ্ন উঠলঅন্তর্বর্তী ইউনূস সরকার কি তবে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সমস্ত চিহ্ন মুছে ফেলতে চাইছে?পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্য আরও উদ্বেগ বাড়ায়। জানা গেছে, ধানমন্ডির বাড়ির যে অংশ এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতেই এই পে-লোডার আনা হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির দিকের পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে যায় তারা। এরপরই তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এলাকায় তখন উত্তেজনা টগবগ করছে।এদিকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনা ও পুলিশের কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। ব্যারিকেড তুলে বিক্ষোভ থামাতে চাইলে ক্ষুব্ধ জনতা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। দুটি পক্ষের সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।পটভূমিটা আরও জটিল। ২০২৪ সালের ৫ অগস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের পর, এবং শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতের অন্ধকারে পে-লোডার এনে ভেঙে ফেলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি-বিজড়িত এই ৩২ নম্বর বাড়ি। পরে তাতে আগুন লাগানো হয়। দেশজুড়ে সেই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। আর এবার আবারও, ঠিক রায়ের দিন, পে-লোডার নিয়ে বাড়ির সামনে হাজির হওয়ায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ঢাকার রাস্তায় ককটেল বোমা ফাটছে, সিলেট-ময়মনসিংহ-কুষ্টিয়া মিলিয়ে সাতটি বাস, ভ্যান, এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সেও আগুন ধরানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এক উপদেষ্টার বাড়িতেও হামলা হয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লিগ রবিবার থেকেই সারাদেশে শাটডাউন ডেকেছে।অবস্থা এতটাই ভয়ংকর যে ৫৫ হাজার পুলিশকে মোতায়েন করতে হয়েছে। সেনা ও বিজিবি নেমেছে রাস্তায়। প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছেকোথাও আগুন লাগানো বা ককটেল ছোড়া দেখা গেলে সরাসরি গুলি চালানো হবে।এমতাবস্থায় ধানমন্ডি ৩২-এ পে-লোডারের উপস্থিতি শুধু উত্তেজনা নয়এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকেতও বয়ে আনছে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির অবশিষ্টাংশ ভাঙার চেষ্টা আসলে প্রতীকীদেশের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারটিকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার আরেক প্রচেষ্টা কি? রায় ঘোষণার মাঝেই এমন দৃশ্য পুরো বাংলাদেশকে নতুন করে টালমাটাল করেছে।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

‘কাগজ নেই, তাই ফিরছি’—এসআইআর শুরু হতেই সীমান্তে তিনশো বাংলাদেশির ভিড়

ভারতবাংলাদেশ সীমান্তের হাকিমপুর চেকপোস্টে সোমবার সকাল থেকেই ভিড় জমেছে শয়ে-শয়ে মানুষের। কারও হাতে ট্রলি ব্যাগ, কারও মাথায় বোঁচকা, আবার কেউ লোটা-কম্বল বেঁধে দাঁড়িয়ে কাতর চোখে তাকিয়ে রয়েছেন সীমান্তের দিকে। প্রত্যেকের একটাই লক্ষ্যযত তাড়াতাড়ি সম্ভব সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া। কারণ হিসেবে অনেকেই সরাসরি জানাচ্ছেন, এসআইআর-এর ভয়ে আর থাকতে সাহস পাচ্ছেন না ভারতে।বছরের পর বছর কোনও নথিপত্র ছাড়াই রুটি-রুজির খোঁজে ভারতেই বসতি গেড়ে ছিলেন অনেক বাংলাদেশি। কেউ কলকাতার বিরাটিতে, কেউ চিনারপার্কে, কেউ আবার উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় গৃহকর্মী, দিনমজুর বা ছোটখাটো কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। কিন্তু বারোটি রাজ্যজুড়ে এবং পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও এসআইআর প্রক্রিয়া এগিয়ে চলায় আচমকাই তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তাঁদের মধ্যে। আর সেই আতঙ্কই যেন এখন তাঁদের ঠেলে দিচ্ছে সীমান্ত অভিমুখে।সোমবার সকাল থেকে দেখা যায়, স্বরূপনগর থানার অন্তর্গত হাকিমপুর সীমান্তে ভিড় জমছে শতাধিক বাংলাদেশির। দুপুরে সেই সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়ে যায়। পুরুষ, মহিলা, কোলের শিশুসবাই মিলে বাড়ির আসবাবপত্র, কাপড়চোপড়, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের সামনে কাঁটাতারের বেড়া, আর পেছনে অনিশ্চয়তায় ভরা অস্থায়ী জীবনের স্মৃতি।এরই মধ্যে সীমান্তে মোতায়েন ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা তাঁদের আটকে নথিপত্র খতিয়ে দেখছেন। যাঁরা বৈধ কাগজ দেখাতে পারছেন না, তাঁদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেই এগোচ্ছেন জওয়ানরা। স্থানীয় মানুষ এই দৃশ্য দেখে বিস্মিত, অনেকেই বলছেনএ রকম দৃশ্য বহু বছর পর দেখা গেল। যে বাংলাদেশিরা এতদিন গোপনে ভারতেই বসবাস করছিলেন, তাঁরা এবার নিজেরাই দেশে ফিরে যেতে চাইছেন।সাবিনা পারভিন নামে এক মহিলার কথায় উঠে এসেছে সেই আতঙ্কের ছবিটা। তিনি বললেন, বাংলাদেশেই আমার বাড়ি। কিন্তু বিরাটিতে থাকতাম। কোনও কাগজপত্র নেই। বেআইনিভাবেই ছিলাম। আরও এক ব্যক্তি স্বীকার করলেন, তিনি চিনারপার্কে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। বললেন, আধারকার্ড নেই। বাংলায় এসেছিলাম পেটের দায়ে। এখন ভয় লাগছে, তাই ফিরে যাচ্ছি।সীমান্ত এলাকা জুড়ে এখন এক ধরনের চাপা উত্তেজনা। কেন এত মানুষ হঠাৎ দেশছাড়া হয়ে ফিরতে চাইছেন, তা নিয়ে নানা মহলে জোর আলোচনা। স্থানীয়দের চোখের সামনে একটি বড় পরিবর্তনের ছবিযে সীমান্ত দিয়ে একসময় বেআইনিভাবে ঢুকতেন বাংলাদেশিরা, আজ সেখানে দেখা যাচ্ছে উল্টো স্রোত। এসআইআর প্রক্রিয়ার আতঙ্কে এবার তাঁরা নিজের দেশেই ফেরার চেষ্টা করছেন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

নির্বাচনের আগে নিউটাউনের গাড়ি থেকে মিলল টাকার পাহাড়? জিজ্ঞাসাবাদে মিলছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নির্বাচনের আগে বাংলায় ফের টাকার পাহাড় উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। সোমবার সকালেই নারায়ণপুরের আকাঙ্ক্ষা মোড়ে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আচমকা তল্লাশি চালায় বেঙ্গল এসটিএফ। আর সেখানেই একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় পাঁচ কোটি টাকার নগদ। মুহূর্তে এলাকা জুড়ে তৈরি হয় উত্তেজনা। বিপুল পরিমাণ টাকা-সহ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটি। আটক করা হয়েছে গাড়ির মালিক-সহ দুই জনকে। তদন্তকারীদের অনুমান, নিউটাউনের দিক থেকেই আনা হচ্ছিল এই টাকা। তবে টাকা কার, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল এবং কেনতা এখনো ধোঁয়াশা।ইতিমধ্যেই বাংলায় জোরকদমে চলছে এসআইআর অভিযান, অন্যদিকে দুয়ারে দাঁড়িয়ে ছাব্বিশের ভোট। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দলও সদ্য বাংলায় পরিদর্শন সেরে গিয়েছে। এর মধ্যেই গাড়ি ভর্তি এত টাকা উদ্ধারে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছেএই নগদের নেপথ্যে কি নির্বাচনী কারবার? নাকি সক্রিয় কোনও অন্য অর্থচক্র? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।টাকার উৎস জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আটক দুই ব্যক্তিকে। কোথা থেকে টাকা তোলা হয়েছিল, কার নির্দেশে নেওয়া হচ্ছিল এবং এর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বা অন্য কোনও চক্র জড়িত কি না, তা জানতেই জোরদার তদন্ত।উল্লেখ্য, মাত্র গত সপ্তাহেই ইডি-র অভিযানে কলকাতার তারাতলায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল অঙ্কের নগদ। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সেই তল্লাশি চালানো হয়েছিল। একই দিন বেলেঘাটা-সহ শহরের আরও কয়েকটি জায়গা জুড়ে চলে তল্লাশি। চলতি মাসের শুরুতেও কলকাতার একাধিক এলাকায় হানা দিয়েছিল ইডি। সল্টলেক সেক্টর ওয়ানেও হয়েছিল তল্লাশি।তবে আজকের উদ্ধার হওয়া পাঁচ কোটি টাকা দুর্নীতির কোনও চক্রের ফল, নাকি সম্পূর্ণ অন্য কারণে নগদ পরিবহণতা নিয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলতে চাইছে না তদন্তকারী সংস্থা। এসটিএফ সূত্রে খবর, সবদিক খতিয়ে দেখে শিগগিরই সামনে আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আপাতত আটক দুই ব্যক্তির জেরা চলছে, আর সেই জেরার দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal