• ১ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mamata Banerjee,

রাজ্য

গদীতে আসীন হয়েই বাংলাকে টাকা পাঠাল মেদী, সারা দেশে বন্টন ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা

তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর পরই নানা খাতে টাকা বরাদ্দ করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমে কৃষকদের জন্য়, এবার রাজ্যগুলিতে করের অতিরিক্ত কিস্তির টাকার অনুমোদন দিল এনডিএ সরকার। সোমবারই নয়াদিল্লিতে প্রথম বৈঠকে বসে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা। আর সেদিনই দেশের সমস্ত রাজ্যগুলিকে করের টাকার অতিরিক্ত কিস্তি দিল মোদী সরকার। এদিকে জুন মাসের করের টাকার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। সারা দেশে রাজ্যগুলিকে ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।এই টাকার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও ভাগ পেয়েছে। প্রায় ১০,৫১৩ কোটি টাকা পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। দীর্ঘ বছর ধরেই রাজ্য় দাবি করে আসছে রাজ্যের খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। বকেয়া আদায়ের জন্য় দিল্লিতে গিয়ে ধর্নাও দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এবার লোকসভার ভোটের অন্যতম ইস্যু ছিল কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। সব থেকে বেশি টাকা পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। নিয়মানুযায়ী রাজ্যগুলিকে করের ভাগ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। যাক পোষাকী নাম ট্যাক্স ডেভোলিউশন। আয়কর-সহ অন্যান্য খাতে রাজ্যগুলি থেকে কেন্দ্র যা আয় করে, তার একটি অংশ রাজ্যকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে টাকা দেয় কেন্দ্র। উত্তরপ্রদেশ পেয়েছে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টকা। তার পরেই রয়েছে বিহার। তাদের দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা।কর কাঠামোর টাকার কত অংশ কোন রাজ্য পাবে সেটি ঠিক করার অন্যতম মানদণ্ড হল সে রাজ্যের জনসংখ্যা। সেই বিচারে উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি পেয়েছে। জনসংখ্যার বিচারে করের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলা পেয়েছে ১০,৫১৩ কোটি টাকা।অন্তর্বর্তী বাজেটে এই ডেভোলিউশন খাতে ১২ লক্ষ ১৯ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। জুন মাসে দেওয়া হল এক লক্ষ ৩৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।

জুন ১১, ২০২৪
রাজ্য

যাদবপুরের মাটিকে মর্যাদায় ভরালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূল কংগ্রেসে কেউ মানুষের ঊর্ধ্বে নয়। কারণ সকলেই মানুষের জন্য কাজ করতে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছেন। মানব সেবাই আমাদের ভিত্তি। যাদবপুরের মাটি আমার কাছে সর্বদা আলাদা। এই মাটি আমাকে মানুষের সেবা করার প্রথম সুযোগ দেয়। এই মাটির মানুষ আমাকে সর্বদা দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন। এই মাটি থেকে আমি যা পেয়েছি, তা আজন্ম আমার হৃদয়ের মণিকোঠায় থেকে যাবে। সোনারপুর স্পোর্টিং ইউনিয়নের খেলার মাঠ এবং যাদবপুরের বারো ভূতের মাঠে, ঝড়-বৃষ্টিকে মাথায় নিয়ে যে সংখ্যায় আমার গণদেবতা এসে আজকের জনসভা দুটিকে সাফল্যমণ্ডিত করলেন, তার জন্য আমি সকলকে নতমস্তকে প্রণাম জানাই। মনে রাখবেন বিজেপি এবং বিজেপির বি-টিম সিপিআইএম - এই দুটি দলকে একটাও ভোট নয়। কারণ, এরা কল্যাণ নয় হিংসায় বিশ্বাসী।

মে ২৬, ২০২৪
রাজ্য

মমতার নিশানায় ফের কার্তিক মহারাজ, আইনি চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজ। এদিন আবার বাঁকুড়ার ওন্দার জনসভা থেকে কার্তিক মহারাজের নাম নিয়ে তুলোধনা করলেন তৃণমূলনেত্রী। এলাকায় এলাকায় গিয়ে ধর্মের নামে আপনি বিজেপি করে বেড়ান। আমি বলছি আপনি করুন। কিন্তু বিজেপির চিহ্নটা বুকে লাগিয়ে রেখে করুন। ভরা মঞ্চ থেকে এভাবেই কার্তিক মাহারাজকে এদিনও আক্রমণ তৃণমূল সুপ্রিমোর।আমি একটি লোকের নাম করে বলেছিলাম, তাঁর নাম কার্তিক মহারাজ। তিনি আমাদের এজেন্ট বসতে দেননি। ভোটের দুদিন আগে মুর্শিদাবাদে যে দাঙ্গাটা করিয়েছিলেন তার হোতা ছিলেন উনি। আমি সেই জন্য বলেছিলাম এবং বলে যাব। আগে অধীর করতেন, এখন বিজেপি করেন।মুর্শিদাবাদের যে জায়গায়টায় রেজিনগরে ভোটের দুদিন আগে দাঙ্গা করেছিল। সেখানে ওনার আশ্রম। উনি আশ্রম চালান, আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমি যখন জিজ্ঞাসা করলাম ওখানে তৃণমূলের এজেন্ট নেই কেন? বলল কার্তিক মহারাজ বলেছেন এখানে তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেব না। কিছু লোককে খেপিয়েছে যারা ছানার ব্যবসায়ী। খবর আমিও রাখি। এলাকায় এলাকায় গিয়ে ধর্মের নামে আপনি বিজেপি করে বেড়ান। আমি বলছি আপনি করুন। কিন্তু বিজেপির চিহ্নটা বুকে লাগিয়ে রেখে করুন। লুকিয়ে লুকিয়ে কেন? আমি তাই বলেছি। আমি যেটা বলি সেটা প্রমাণ ছাড়া বলি না। বাংলায় তৃণমূলের এজেন্ট বসবে না, ভোটের দুদিন আগে দাঙ্গা করিয়ে দেবে। তাদের আমি ছেড়ে দেব?এদিকে, আইনজীবী মারফত এদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজ। ৪ দিনের মধ্যে তাঁর চিঠির জবাব না পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর আগে হুগলির গোঘাটের সভা থেকেও কার্তিক মহারাজকে বেনজির নিশানা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই আইনি চিঠি।তিনি আইনি পথে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের মোকাবিলা করবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। শেষমেশ আইনজীবী মারফত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠালেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজ। ৪ দিনের মধ্যে তাঁর চিঠির জবাব না পেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্দে আইনি পথে হাঁটবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে তৃণমূলের তরফেও জানানো হয়েছে আইনি পথেই এর মোকাবিলা করবেন তাঁরা।তৃণমূল সুপ্রিমোর মন্তব্য ভারত সেবাশ্রম সংঘের অগণিত ভক্তের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মে ২১, ২০২৪
রাজ্য

রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, রাজভবনে যাবেন না মমতা

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। যা ঘিরে আজ ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানা করলেন সিভি আনন্দ বোসকে। রাজ্যপালের পদত্যাগ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এবার থেকে কোনও কাজে আর রাজভবনে যাবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তবে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলে কোথায় তিনি যাবেন তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন তৃণমূলনেত্রী।মাননীয় রাজ্যপাল! আমার কী দোষ আপনি বলুন। আমি তো জানিই না ঘটনা পুরো। রাজ্যপালের তো পদত্যাগ করা উচিত। মহিলাদের উপর নির্যাতন করার আপনি কে? প্রেসকে ডেকে এডিট করে কিছু ভিডিও দেখিয়েছে। পুরোটা কি দেখিয়েছে? কপিটা আমার কাছে আছে। এখনও তো সব বেরোয়নি। আর একটা পেনড্রাইভ পেয়েছি। আরও কেলেঙ্কারি। বাবারে! আমাকে এখন রাজভবনে ডাকলে আমি আর যাব না। আমাকে রাস্তায় ডাকলে যাব। রাজ্যপালের কথা বলতে হলে আমাকে রাস্তায় ডাকবেন। রাস্তায় গিয়ে কথা বলে আসব। রাজভবনে আর যাব না। যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি শুনছি তাতে আপনার পাশে বসাটাও পাপ।উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আবহে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন অভিযোগ উঠেছে। রাজভবনেরই এক অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। দুবার রাজভবনের পিস রুমে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন সিভি আনন্দ বোস, এমনই অভিযোগে হেয়ার স্ট্রিট থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন ওই মহিলা। যদিও রাজ্যপাল নিজে অবশ্য। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে পাল্টা সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে সেই ভিডিও নিয়েও তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এডিট করে ওই ভিডিও প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

মে ১১, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালি কাণ্ডে একের পর ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তুলকালাম, তুঙ্গে বিতর্ক

সন্দেশখালি কাণ্ডে একের পর ভাইরাল ভিডিও ঘিরে অস্বস্তি বেড়েছে পদ্মশিবিরে। এবার আরও অস্বস্তি বাড়াল পুলিশ। সন্দেশখালিতে যৌন নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা সাজানো বলছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল। সেই ভাইরাল ভিডিওর রেশ কাটতে না কাটতেই নয়া ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে মহিলারা দাবি করছেন, ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল মহিলা মোর্চার নেত্রী। তাঁরা কোনও ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। এবার সেই ঘটনায় বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাসকে সমন পাঠাল সন্দেশখালি থানার পুলিশ। তাঁকে জেরা করতে চায় পুলিশ।সন্দেশখালিতে ধর্ষণ কিংবা যৌন নির্যাতনের ঘটনা কি সাজানো? এবার আরও একটি নতুন ভিডিও-য় চাঞ্চল্যকর কিছু দাবি করতে শোনা গিয়েছে কয়েকজন মহিলাকে। যদিও সেই ভিডিও-টির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।দিন কয়েক আগেই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) BJP নেতা গঙ্গাধর কয়ালের বক্তব্য নিয়ে এটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিও প্রকাশ করে সন্দেশখালির গোটা ঘটনা নিয়ে BJP-কেই তুলোধনা করতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। বৃহস্পতিবার ভাইরাল হওয়া আরও একটি ভিডিও-য় সন্দেশখালিরই আরেক বিজেপি নেতা অনুপ দাসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শোনা গিয়েছে বসিরহাটের BJP প্রার্থী তথা সন্দেশখালি আন্দোলনের মুখ রেখা পাত্র সহ কয়েকজন মহিলাকে।এবার নতুন আরও একটি ভিডিও-য় মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে কয়েকজন মহিলাকে। সেই ভিডিও-য় তিন মহিলার দাবি, ধর্ষণ-সহ যে বিভিন অভিযোগ করা হয়েছে তা সাজানো। এমনকী মহিলা কমিশন যেদিন সন্দেশখালিতে গিয়েছিল ওই দিন এক বিজেপি নেত্রী তাঁদের মিথ্যা অভিযোগ করতে বলেছিলেন বলেও দাবি তাঁদের। সাদা কাগজে তাঁদের দিয়ে সই করিয়ে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তাতে লেখা হয়েছে বলে দাবি কয়েকজন মহিলার।আদৌ তাঁদের সঙ্গে ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে ওই ভাইরাল ভিডিও-য় দাবি করেছেন মহিলারা। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। বর্তমানে মিথ্যা মামলা তাঁরা তুলে নিতে চাইলে বিজেপি নেত্রী মাম্পি দাস ও এলাকার কয়েকজন বিজেপি নেতারা তাঁদের হুমকি দিচ্ছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় মাম্পিকে জেরা করতে তাঁকে তলব করেছে পুলিশ।

মে ১০, ২০২৪
রাজ্য

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

বর্ধমানের গন্তারে তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকারকে সমর্থনে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, বিজেপির অপশাসনে সবকিছুর মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, কেবলমাত্র সাধারণ মানুষের জীবনের মূল্য হ্রাস পেয়েছে। বিজেপি এবং সিপিআইএম একজোট হয়ে আমাদের রাজ্যের ২৬,০০০ মানুষের থেকে চাকরি কেড়ে নিয়েছে। তাই সিপিআইএম-কংগ্রেস-বিজেপির এই জনবিরোধী জোটকে প্রতিহত করতে হবে। নির্বাচন কমিশন আমাদের ১,৫০০ পুলিশ কর্মীকে অন্য রাজ্যে নিয়ে গিয়েছে কিন্তু তাদের পোস্টাল ব্যালটে ভোটদান থেকে বিরত রেখেছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন। আমি কথা দিচ্ছি, যদি তাঁরা ভোটদান না করতে পারে তাহলে আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো।বৃহস্পতিবার রাজভবনে এক অস্থায়ী মহিলা কর্মীর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি নারীদের নিয়ে খুব বড় বড় ভাষণ দেন। কিন্তু রাজ্যপালের রাজভবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাখ্যা কী? সেই অসহায়, নিষ্পাপ মেয়েটির কী দোষ ছিল? লজ্জা লাগছে আমার! ছিঃ! বিজেপির কালো শাসনে আমরা কেউ ভালো নেই, আমাদের সকলকে ভালো থাকতে হবে।যদিও অভিযোগের পর পরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেছেন, সত্যের জয় হবেই। আমি কারও চক্রান্তকে ভয় করি না। কেউ যদি আমার নামে কুৎসা করে নির্বাচনী সুবিধা পেতে চায়, ঈশ্বর তাঁদের মঙ্গল করুন। কিন্তু তাঁরা বাংলায় দুর্নীতি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমার লড়াই থামাতে পারবে না।

মে ০৩, ২০২৪
রাজ্য

অধীরের দুর্গে তাঁকে হারাতে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী, কি কৌশল মমতার?

আগামী ৭ মে, তৃতীয় দফায় ভোট হবে মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর, মালদা উত্তর ও মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে। এরপর চতুর্থ দফাতেই রয়েছে প্রেসটিজ ফাইট। ওই পর্বে ভোট হবে অধীর চৌধুরীর বহরমপুরে কেন্দ্রে। নিজের দুর্গে অধীরকে হারাতে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী। ইতিমধ্যেই বহরমপুরে ঘাঁটি গেড়েছেন তিনি। আগামী দিন তিনেক বহরমপুরের একটি রিসর্টে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই জেলার বাকি দুই লোকসভা কেন্দ্রের ভোট পরিচালনা করে চলেছেন। বহরমপুরে পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে হারাতে কৌশল পাকা করে ফেলেছেন মমতা।মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভগবানগোলায় বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে লোকসভা ভোটের সঙ্গেই। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ চপারে করে বহরমপুরে পৌঁছন দিদি। শাসক দলের অন্দরের খবর, সেখান থেকে বহরমপুরের রিসর্টে যাওয়ার আগে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে রণকৌশল তৈরিতে আলাদা করে বৈঠক করেন মমতা।জানা গিয়েছে, বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে জেতাতেই রণকৌশলই হুমায়ুনের সঙ্গে প্রায় ১৫ মিনিটের বৈঠকে পাকা করেছেন মমতা। সেই বৈঠকেই ভরতপুরের দলীয় বিধায়ককে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করায় শুরুতে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন এই হুমায়ুনই। তাহলে হঠাৎ কেন দলের এই বিধায়ককেই আস্থা রাখলেন দিদি? তৃণমূল সূত্রে খবর, হুমায়ুন কবীর বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র হাতের তালুর মতো চেনেন। সব পরিসংখ্যান, ভোটারদের আচরণ তাঁর চেনা। একসময় অধীর চৌধুরীর শিষ্যও ছিলেন তিনি। ফলে হুমায়ুনে ভরসা রেখেই কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে মরিয়া চেষ্টায় তৃণমূল সুপ্রিমো।পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বহরমপুর বিধানসভা এলাকা থেকে বিপুল লিড পেয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। তাতেই তাঁর জয় নিশ্চিত হয়। এবার সেই পথ বন্ধ করতে বহরমপুর পুরসভা এলাকায় পরুসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপালকে দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নেত্রীর এই ভরসার পর ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, মমতা তাঁর উপর যে আস্থা রেখেছেন, তাঁর আশা তিনি তা রক্ষা করতে পারবেন। অন্যদিকে অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন, বহরমপুরে পরাজয়ের আতঙ্কেই মাননীয়া নাকি ব্যর্থ কৌশল রচনা করছেন

এপ্রিল ২৯, ২০২৪
রাজনীতি

"চাকরি খেকো মানুষ দেখেছেন?", মেদিনীপুরের জনসভায় প্রশ্ন মমতার

এদিন তৃণমূলের দুই প্রার্থী তমলুকের দেবাংশু ভট্টাচার্য ও মেদিনীপুরের জুন মালিয়ার সমর্থনে জনসভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনারা মানুষ খেকো বাঘ দেখেছেন। চাকরি খেকো মানুষ দেখেছেন?মমতা বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, একদিকে যেমন বিনা পয়সায় রেশন দেওয়ার মত মিথ্যাচার করছে বিজেপি, অন্যদিকে গদ্দাররা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে বাংলায় হিংসার বাতাবরণ সৃষ্টি করছে। তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের জোড়াফুলের প্রার্থী, যুব সমাজের প্রতিনিধি দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের জোড়াফুলের প্রার্থী, বিশিষ্ট অভিনেত্রী জুন মালিয়াকে আপনারা জয়ী করুন এবং এই মাটি থেকে সকল অপশক্তিদের বিদায় দিন। কারণ এরা কোনও দিন আপনাদের ভালো চায় না, চাইতে পারে না। এদের ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই থামবে না।মমতা বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মেদিনীপুরের এই ধাত্রীভূমি কোনও দিন কোনও সাম্প্রদায়িক-বিভেদকামী শক্তির কাছে বশ্যতা স্বীকার করেনি। এই পবিত্র মাটি শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর মাটি, মাতঙ্গিনী হাজরার মাটি, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, সতীশ সামন্ত, সুশীল ধাড়া, বীরেন্দ্রনাথ শাসমল-এর মাটি। আজকের কেশিয়াড়ী এবং দাঁতনের জনসভায় অসহ্য গরমেও বিপুল সংখ্যায় মানুষ এসে, এই সভা দুটিকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন। এর জন্য আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো।

এপ্রিল ২৬, ২০২৪
রাজ্য

বাংলায় বেকার ছেলেকে চাকরি পেতে গেলে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়ঃ অমিত শাহ

এরাজ্যে চাকরি পেতে গেলে ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে হয়। রাজ্যের কয়েকজন নেতা ও মন্ত্রীদের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। অনেকেই জেল খাটছেন। এই ভ্রষ্টাচার আটকাতে গেলেই মোদি সরকারকে দরকার । মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার এবং রোডশো করতে এসে এভাবেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন উত্তরবঙ্গে দ্বিতীয় দফায় মালদা এসে রোড শো করেন কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইংরেজবাজার শহরের ফোয়ারা মোড় থেকে রবীন্দ্র এভেনিউ এলাকার রবীন্দ্রমূর্তির কাছেই রোড-শো শেষ হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দক্ষিণ মালদার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে হুডখোলা গাড়িতে পাশে নিয়ে এই রোড-শো করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রোড-শোকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ও দলীয় ঝান্ডায় সামিল হন দলীয় নেতা, কর্মীরা।এদিন তীব্র দাবদহের মধ্যে মালদার ইংরেজবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র ফোয়ারা মোড় থেকে রথবাড়ি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর রোড-শোয়ের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সকাল গড়িয়ে দুপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের হেলিকপ্টার নামে মালদা বিমানবন্দরে। এরপরে সেখান থেকে কনভয় নিয়ে সরাসরি শহরের ফোয়ারা মোড় এলাকার সভা মঞ্চে চলে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখানে মাত্র পাঁচ মিনিট বক্তব্য রেখেই শুরু হয় এই রোড শো। এদিন নির্বাচনী প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এরাজ্যে একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির কাছে ধরা পড়েছে। এই বাংলায় বেকার ছেলেকে চাকরি পেতে গেলে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয় । এর থেকে আর নিন্দাজনক কি হতে পারে? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য স্বচ্ছ ভারত এবং উজ্জ্বল ভারত গড়ে তোলা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও বলেন, উজ্জ্বল ভারত গড়তে গেলে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হবে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে গেলে এনআরসি এবং সিএএ দরকার। ভ্রষ্টাচার বন্ধ করতে হবে। বেকারত্ব দূর করতে হবে। যেটা গত দুইবারের ক্ষমতায় থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকার করেছেন। এরাজ্যে তৃণমূল সরকার শুধু দুর্নীতি আর ভ্রষ্টাচার করে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর একটাই ভাষা সেটাই হচ্ছে আপনাদের ভোট । এই ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থীকে অন্তত এক লক্ষেরও বেশি ভোট দিয়ে জয়ী করতে হবে। এদিন মালদায় রোড-শো করার সময় মালদার তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪২ ডিগ্রির কাছাকাছি। আর এত দাবদাহের মধ্যে অসংখ্য মানুষের ভিড় দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । তিনি বলেন, আপনাদের জনজোয়ার এবং স্লোগান বলে দিচ্ছে এই বাংলায় বিজেপি প্রচুর আসন পাবে । একইভাবে মালদার দুটো আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হবে বিজেপির দুই প্রার্থী। এই রোড-শো করার পর এই দিন মালদা থেকে হেলিকপ্টার করেই পূর্ণিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এপ্রিল ২৩, ২০২৪
রাজ্য

অভিষেককে খুন করার চেষ্টা, অভিযোগ মমতার, এসএসসি নিয়োগ বাতিল নিয়েও চরমে সুর

নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুন করার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। এই অভিযোগে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। তবে এপ্রসঙ্গে নাম না করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেই নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপির এক গদ্দার বললেন বোমা ফাটাব। আরে বোমা ফাটিয়ে মমতা ব্যানার্জির ওপর রাগ হয় তো মেরে দে। অভিষেককেও তো খুন করতে গিয়েছিলি, ধরে ফেলেছিলাম আমরা। তার বাড়ি পর্যন্ত রেইকি করেছে। ফেসটাইমে ফোন করেছে। আপকা সাথ বাত করনা চাহতা হু। সময় দিলেই গুলি করে দিয়ে পালিয়ে যেত। এরা চায়, যাঁরা ওঁদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাঁদের মেরে দাও, জেলে ভরে দাও। তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দাও। মানুষের ভোটে জিতবেন যদি মনে করেন তাহলে এত ভয় দেখানোর কী দরকার ছিল।দিন কয়েক আগেই চলতি সপ্তাহে রাজ্যে বড় কিছু ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা ছড়িয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে তাই অভিষেকের বাড়ির রেইকি করায় অভিযুক্তের গ্রেফতারিতে শুভেন্দুকেই নিশানা করেছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।এরপর তিনি অভিষেকের বাড়ি ও অফিসের সামনের এলাকার রেইকি করেছিলেন বলেও খবর মেলে। এই ঘটনার খবর মিলতেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। মুম্বই থেকে তাকে গ্রেফতার করে আনে লালবাজার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ও অফিসের কেন রেইকি করেছিলেন রাজারাম? তা এখনও স্পষ্ট না হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এর পিছনে গভীর রহস্যের গন্ধ পেয়েছেন।মঙ্গলবার ভাতারে লোকসভা ভোটের প্রচারে এসএসসির চাকরি বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে ফের মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে এ দিন একতরফা বলে সোচ্চার হন মমতা।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২ কোটি লোককে চাকরি দেবেন বলেছিলেন। একটা লোককে চাকরি দেননি। আর আমরা বাংলায় যখন চাকরি চাকরি দি, তখন আপনারা কোর্টেকে দিয়ে সেগুলো খেয়ে নেন। ওরা তো আমাদের আন্ডারে নয়, আপনাদের আন্ডারে।এরপরই মমতা বলেন, আমি রায় নিয়ে বলছি, বিচারকের নাম নিয়ে বলছি না, আমার প্রয়োজন পড়ে না। যদি বলতেন এখানে অসুবিধা আছে, ভুল হয়েছে, সংশোধন করে নাও। করে নিতাম আমরা। ভুল হতেই পারে। যে কেউ করতে পারেন। সবটাতো আর আমি চালাই না। শিক্ষা দফতর স্বতন্ত্র। আজকে বলুন তো যাঁরা একতরফা রায় দিয়ে ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিলেন, আর বললেন এক মাসের মধ্যে আট বছরের মাইনে সুদ সহ টাকা ফেরৎ দিতে হবে, পারবেন?

এপ্রিল ২৩, ২০২৪
রাজ্য

হাইকোর্টে চাকরি বাতিল, উচ্চ আদালতে যাওয়ার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রায়গঞ্জের চাকুলিয়ায় সোমবার নির্বাচনী জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলোধোনা করেন বিজেপিকে।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যদি বিষাক্ত বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় আসে তাহলে না থাকবে নির্বাচন, না থাকবে গণতন্ত্র, না বেঁচে থাকবে সংবিধান। ধর্মের উস্কানি দিয়ে সকলের মধ্যে বিভেদের বীজ বুনে দিচ্ছে এই বিজেপি। আমি বেঁচে থাকতে এনআরসি, সিএএ এবং ইউনিফর্ম সিভিল কোড হতে দেবো না বাংলায়। এই বিজেপির সঙ্গী এখন সিপিআইএম এবং কংগ্রেস। এদেরকে ভোট দেওয়া মানেই, বিজেপিকে সুবিধে করে দেওয়া। কংগ্রেসের এই নীতির উপর বীতশ্রদ্ধ হয়েই আজ রায়গঞ্জের চাকুলিয়ার সভামঞ্চে কংগ্রেসের ৩ জন ব্লক সভাপতি যোগদান করলেন জোড়াফুলের পরিবারে। এই বৃহৎ লড়াইয়ে তাঁদের সকলকে স্বাগত।এদিন কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির সব নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছে। চাকরি গিয়েছে প্রাশ ২৬ হাজার জনের। এই জনসভায় মমতা বলেন, আজ হাইকোর্টের একটি নির্দেশ প্রকাশ পেয়েছে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায়। আমরা এই রায়কে কেন্দ্র করে উচ্চ-আদালতে যাবো। কেউ যদি চাকরি প্রার্থীদের পাশে না থাকে, আমি শেষ অব্দি থেকে যাবো। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের শক্তি। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়বো।আগামী ২৬ এপ্রিল রায়গঞ্জ কেন্দ্রের জোড়াফুলের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এপ্রিল ২২, ২০২৪
রাজ্য

মুর্শিদাবাদে প্রচারে রাজনাথ সিং, তুলোধোনা তৃণমূল নেত্রীকে, দার্জিলিংয়ের সভায় ফোন-বার্তা শাহর

নরেন্দ্র মোদী- অমিতনশাহের পর এবার রাজনাথ সিং। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে তৃণমূলনেত্রী মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়কে ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। রবিবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা। নির্বাচনী সভামঞ্চ থেকে বাংলার আইনশৃঙ্খলার পরিবেশ নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা করেছেন রাজনাথ।মমতাদিদি খাদি পড়েন, আর আড়ালে লুঠ চলছে। চৈতণ্যদেব, রাজা রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর, সুভাষচন্দ্রের বাংলায় মমতার আমলে কী হল? বাংলায় এখন আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। পুরো বাংলাজুড়ে অরাজক একটা পরিবেশ। এখন সাম্প্রাদয়িকতার জন্য বাংলার নাম উঠে আসছে। এখানে ইডি-সিবিআই তদন্তে এলে গুন্ডারা হামলা চালায়। এখানে আইনশৃঙ্খলা নেই।সন্দেশখালি ইস্যুতে রাজনাথ বলেন, সন্দেশখালির ঘটনা ভারতের নয়, গোটা দুনিয়ার যে দেখেছে সেই বলেছে এটা মানবতার লজ্জা। মমতাদিদি খাদি পড়েন, আর খাদির আড়ালে বাংলায় লুঠ চলছে। এখানে চাকরির পরীক্ষায় দুর্নীতি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি। আপনার নামেই শুধু মমতা, আচার-ব্যবহারে মমতা পুরো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আপনার মনের মমতা কোথায় গেল?অন্যদিকে, দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সমর্থনে সভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টরমন্ত্রী অমিত শাহের। তবে সেই সভা আজ বাতিল হয়ে গিয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে শিলিগুড়ি থেকে উড়তেই পারেনি শাহের কপ্টার। তবে সভায় না এলেও ফোনে বার্তা দিয়েছেন অমিত শাহ।রাজু বিস্তার ফোনে শাহ বলেন, গোর্খাদের পাশে আছি আমরা। খারাপ আবহাওয়ার কারণে যেতে পারিনি। দেশের ইতিহাসে গোর্খাদের বড় অবদান আছে। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে একমাত্র বিজেপিই। আপনারা মোদিজীর পাশে থাকুন। ২৬ তারিখ রাজু বিস্তাকেই পদ্ম চিহ্নে ভোট দিন।

এপ্রিল ২১, ২০২৪
রাজ্য

৪০০ পার করার স্বপ্ন দেখছে, ২০০ পার করে দেখাক, বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার

ইতিমধ্যে রাজ্যের তিন লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৫ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের আরও ৩ কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। চড়কিপাক খাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মালদায় জনসভা করেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দিল্লি দখলে ৪০০ পার করার স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। আমি বলছি আগে ২০০ আসন পার করে দেখান, তারপরে সাঁতার কাটবেন। হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্য ছাড়া কোথাও ভোট নেই আপনাদের । তাহলে এত লম্পঝম্প কিসের। এবারে দিল্লি দখলে মানুষ আমাদের পাশেই থাকবে।মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, বিজেপিকে কেন ভোট দেবেন? ওরা মানুষের জন্য কি করেছে? মালদার এক বিজেপি সাংসদ খগেনবাবু পাঁচ বছরের ২৫ কোটি টাকা পেয়েছে। একটা পয়সাও উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করেনি। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা কথা বলে ভোট পাওয়া যায় না। উন্নয়নই শেষ কথা। আপনারা করে দেখাতে পারেননি। কিন্তু আমরা করে দেখিয়েছি। এদিন দুপুরে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জির সমর্থনে গাজোল কলেজ সংলগ্ন মাঠেই নির্বাচনী জনসভা বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জনসভার শেষে ধামসা, মাদলের সঙ্গে আদিবাসীদের সাথে নৃত্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।এদিনের এই নির্বাচনী জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন ব্যানার্জিকে সামনে রেখেই সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চান। এই জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মৌসুম নূর, দলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী, তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস প্রমূখ।এদিন মালদায় আরেকটি জনসভা করেন মমতা। মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্রের এনেয়াতপুরে দক্ষিণ মালদার তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হানের সমর্থনে আরেকটি নির্বাচনী সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।এদিন গাজোলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, দক্ষিণ ভারত, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে বিজেপির ভোট নেই। তাহলে ওদের এত কিসের দাম্ভিকতা । লোকসভার ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে গতবার ওরা পেয়েছিল ৩০৩টি আসন । এবার স্বপ্ন দেখছে ৪০০ আসন পার করার। আমি বলছি ২০০ আসন পার করে দেখান। তারপরে সাঁতার কাটবেন। দিল্লি এবার আপনাদের দখলে যাবে না।এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন , মালদার যারা পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, তারা নির্বাচনের সময় অন্তত এসে ভোটটা দিয়ে যান। নইলে পরে দেখবেন হয়তো বিজেপির ওই সরকার আপনাদের সাথে দুষ্টুমি করে নামটাই হয়তো বাদ দিয়ে দিবে। আর তখন এনআরসি এবং সিএএ ছকে ফেলে আপনাদেরকে নিয়ে ছলনা করা হবে। তবে আমি বেঁচে থাকতে এই বাংলায় এনআরসি হতে দেব না। মনে রাখবেন আমি বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগার। তাই ওরা আজকে এত ভয় পাচ্ছে।এদিন নির্বাচনী সভায় মুখ্যমন্ত্রী গণিখান চৌধুরী প্রসঙ্গে বলেন, বরকতদা যখন বেঁচে ছিলেন, তখন ওনার সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। উনাকে আমি শ্রদ্ধা করি। এক সময় মানুষ ওনাকে ভোট দিয়েছেন তার কাজের জন্য। কিন্তু এখন আবার কি। অনেক তো হলো। আমরা তো বরকত সাহেবের ভাগ্নি মৌসুম নূরকে এর আগে টিকিট দিয়েছিলাম। এখন মৌসম রাজ্যসভার সাংসদ।

এপ্রিল ২০, ২০২৪
রাজ্য

সংখ্যালঘু দেখলেই এনআইএ সক্রিয়, ভয়ঙ্কর অভিযোগ মমতার

কেন অস্ত্র নিয়ে মিছিল করবেন? সংখ্যালঘু দেখলেই এনআইএ নিয়ে ঢুকে পড়ার অধিকার কে দিয়েছে? হরিহরপাড়ায় সভা থেকে তোপ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি কংগ্রেস ও সিপিএমকে বিজেপির দালাল বলেও তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। এখানে ইন্ডিয়া জোট নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।দক্ষিণবঙ্গে ভোটের প্রচারে তৃণমূল সুপ্রিমো। রামনবমীর দিনে অস্ত্র-মিছিল নিয়ে নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচনের দিনেই ফের একবার রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে হওয়া বিক্ষিপ্ত কিছু গন্ডগোলের ঘটনা তুলে ধরে নাম না করে গেরুয়া শিবিরকে নিশানা তৃণমূলনেত্রীর। বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের হয়ে এদিন নির্বাচনী প্রচার সারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রচার মঞ্চ থেকেই বিজেপিকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূলনেত্রী।শর্ত সাপেক্ষে রামনবমীর শোভাযাত্রার অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও কয়েকটি জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিয়ে বের হতে দেখা যায় রাম-ভক্তদের। সেই প্রসঙ্গ তুলেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পরশুদিন ছোট্ট একটা ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল আবারও ঘটিয়েছিল। তাতে ওসি ও আমার এক ভাই আহত হয়েছে। ১৯ জন আহত হয়েছেন। কেন অস্ত্র নিয়ে মিছিল করবেন আপনারা? কে অধিকার দিয়েছে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করার? কে অধিকার দিয়েছে সংখ্যালঘুদের বাড়ি এনআইএ নিয়ে ঢুকে পড়ার?এরই পাশাপাশি এদিন ফের একবার ইন্ডিয়া জোট নিয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই ইস্যুতে বাম-কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন তিনি। তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকেও। মমতার কথায়, বাংলায় ইন্ডিয়া জোট নেই। আমরা আছি। কেন্দ্রে সরকার হলে ইন্ডিয়া জোটকে আমরাই সাহায্য করব। আমরাই নেতৃত্ব দেব। বাংলা নেতৃত্ব দেবে। এখানে সিপিএম ও কংগ্রেস বিজেপির দালালি করে। তাই আমাদের সাথে ওদের কোনও সম্পর্ক নেই। কংগ্রেস-সিপিএম তো কেরালাতেই লড়াই করছে। এখানে কংগ্রেস ও সিপিএম আসন ভাগাভাগি করেছে। বিজেপির কাছ থেকে কিছু কিছু নিচ্ছে আর দিচ্ছে।গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনেছেন তৃণমূলনেত্রী। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, বিজেপির এত বড় সাহস যে বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মহিলাদের অধিকার। ৩ মাসের মধ্যে বিজেপিকে দেশ থেকে গুটিয়ে দেব। ইডি।সিবিআইকে যারা ভয় করে তারাই বিজেপি করে। বাংলায় NRC হবে না। CAA করতে দেব না।

এপ্রিল ১৯, ২০২৪
রাজ্য

বিক্ষোভের মুখে অধীর চৌধুরী, ‘গো-ব্যাক’ শুনে সপাটে কষালেন চড়?

ফের নিজের খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শনিবার খোশমেজাজেই প্রচারে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। বহরমপুর গান্ধী কলোনি থেকে বিটি কলেজ মোড় পর্যন্ত মিছিলের সময় বাধার মুখে পড়েন তিনি। পাঁচ বারের সাংসদকে শুনতে হল গো-ব্যাক স্লোগান। তখনই মেজাজ হারালেন অধীর। সপাটে একজনকে চড় কষানোর অভিযোগ উঠেছে অধীরের বিরুদ্ধে।যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পাল্টা স্বভাবসিদ্ধ রবিনহুড মেজাজে তিনি বলেছেন, তৃণমূলের চুল্লুখোররা আমাকে ডিস্টার্ব করছিল। প্রতিবাদ করেছি মাত্র। কিন্তু তৃণমূল ছাড়ার দল নয়। তারাও পাল্টা এলাকায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে। যার জেরে এলাকা উত্তপ্ত।এদিন ভোটারদের সঙ্গে জনসংযোগ চলাকালীন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে গিরে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভের জেরে আটকে প়ড়ে কংগ্রেস সাংসদের গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে পড়েন অধীর। তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। তখন এক তৃণমূল কর্মীকে হুমকি দিয়ে ধাক্কা মারেন অধীর। চড়ও মারেন। এই গন্ডগোলের খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী।বিক্ষোভের মধ্যে থেকে কংগ্রেস প্রার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ। বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে তারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, জনভিত্তি হারিয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন অধীর চৌধুরি। অধীরকে গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তৃণমূলের। কেন কারও গায়ে অধীর হাত তুলবেন সে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।পাল্টা অধীরের দাবি, ছক কষে তাঁর প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। বিক্ষোভকারীদের চুল্লুখোর বলে আক্রমণ করেছেন তিনি। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে পুলিশ সুপারকে ফোন করে অভিযোগ জানান অধীর। তিনি বলেন, তৃণমূল ওদের চুল্লুখোরদের দিয়ে আমার প্রচার আটকাবে, তা মানব কেন? নেশা করে গো ব্যাক বলবে, প্রতিবাদ তো করবই। আর সেটাই করেছি। চার দিকে সিসিটিভি আছে, দেখলেই প্রমাণ পাবেন, আদৌ গায়ে হাত দিয়েছি কি না।বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় অধীরকে আক্রমণ করে বলেন, নিজের গড়ে তাঁর জনভিত্তি মাটিতে মিশে গেছে। তাই তিনি বার বার বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন এবং মেজাজ হারাচ্ছেন। এবার চড় মেরে সীমা ছাড়িয়েছেন।

এপ্রিল ১৩, ২০২৪
রাজ্য

রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন

ইদের মঞ্চে ভোটের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকেই ভোট দেওয়ার বার্তা দলনেত্রীর। বৃহস্পতিার কলকাতার রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই এদিন তৃণমূলনেত্রী ফের একবার তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকে।বৃহস্পতিবার ইদের সকালে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে রেড রোডের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে ফের একবার সিএএ, এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই ইস্যুতে তৃণমূলনেত্রী বলেন, CAA, NRC চাই না। আমরা কোনও ভেদাভেদ চাই না। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকতে চাই। সবাইকে এককাট্টা হতে হবে। একাধিক এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের আগে ভয়ের আবহ তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনই অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায় ,ভোটের আবহে ভয় দেখাতে চাইছে কেউ কেউ। ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। সবাইকে জেলে ঢোকাতে চাইছে। ভোটের সময় বেছে বেছে মুসলিম লিডারদের ফোন করে বলছে কি চাই? আমাদের সঙ্গে বিজেপির লড়াই এখানে। তৃণমূল ছাড়া একটা ভোটও অন্য কোনও দলকে দেবেন না।এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৪০০-র বেশি আসন পার করে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। বিজেপির সেই লক্ষ্যকে কটাক্ষ করে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো একুশের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে এদিন বলেন, বলেছিল এবার দুশো পার। সত্তরেই শেষ। এখন বলছে চারশো পার। আগে দুশো পার করে দেখাও।

এপ্রিল ১১, ২০২৪
রাজনীতি

সুকান্ত, শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ মমতার, পাল্টা দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি

শনিবার লোকসভা ভোটের প্রচারে বালুরঘাটের তপনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রের অর্থ আটকে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী করেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে। মমতা বলেন, ওরা বাংলার গদ্দার, বাংলার কুলাঙ্গার। পাল্টা জবাব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি।এ দিন জলপাইগুড়িতে ঝড়বিধ্বস্ত এলাকা প্রদর্শনে তাঁর যাওয়া ও বিরোধী বিজেপি নেতাদের না যাওয়া নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলার টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের আটকে রাখার প্রসঙ্গটি আসে। মমতা বলেন, আপনাদের এখানে ওই কুসান্তবাবু আছেন, আর ও দিকে আছে গদ্দার। এরা মনে করে, যা বলবে তা-ই করতে হবে। গায়ের জোরে চালাবে।এরপরই সুকান্ত মজুমদারের নাম ধরে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন মমতা। বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি সুকান্তবাবুকে। ভোট দেওয়ার আগে বলেননি আপনি আর গদ্দার? বাংলাকে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া যাবে না? বাংলার বাড়ি দেওয়া যাবে না? রাস্তা দেওয়া যাবে না? কোনও দিন সারি-সারনা ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন দিল্লিতে গিয়ে? তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, আপনারা বাংলার টাকা বন্ধ করেছেন, আপনারা বাংলার গদ্দার। আপনারা বাংলার কুলাঙ্গার। আপনারা বাংলার ভাল চান না। আপনারা উত্তরবঙ্গের ভাল চান না। আপনারা দক্ষিণবঙ্গেরও ভাল চান না।পরে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের জবাব দেন সুকান্ত। বলেন, ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লগা। বালুরঘাট কেন, উত্তরবঙ্গেও গত বারে যেমন শূন্য হাতে তৃণমূল ফিরেছিল, এ বারও শূন্য হাতে ফিরবে। কংগ্রেসও তাই। উনি ১০০ দিনের টাকার কথা বলছেন, আমি এখনও বলছি, উনি হিসাব দিন, সব টাকা কেন্দ্র দেবে। হিসাব না দিলে একটি টাকাও পাবে না। কারণ, নরেন্দ্র মোদীর শপথ, উনি চুরি করবেন না। কাউকে করতেও দেবেন না। উনি আমাকে কুসান্ত বলুন বা যতই খারাপ কথা বলুন। আমি কোনও খারাপ কথা বলব না। তার জবাবও দেব না। আমার পারিবারিক শিক্ষা তেমন নয়।সাম্প্রতিক ঝড়ে বাড়ি ভেঙে পড়া নিয়ে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সুকান্ত। বলেন, উনি বরং বলুন, এত বাড়ি ভেঙে পড়ল কেন? কেন এই মানুষজনকে উনি বাড়ি বানানোর টাকা পেতে দেননি।

এপ্রিল ০৬, ২০২৪
রাজনীতি

প্রাক্তন বিচারপতিকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছেন মমতা

আরও একবার প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় প্রাক্তন বিচারপতি তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফের একবার অভিজিৎবাবুর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, জনগণের আদালতে বিচার হবে প্রাক্তন বিচারপতির।এর আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ সম্পর্কে তৃণমূল নেত্রী মমতা বলেছিলেন, মুখ থেকে মুখোশ খুলে গিয়েছে। যেখানে দাঁড়াবেন সেখানেই হারবেন।শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে প্রচার সারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানেই তিনি আক্রমণ করেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থীকে। বলেন, দেখলেন একজন বিচারপতি কী করলেন। আপনি অনেকের চাকরি খেয়েছেন। এ বার জনগণের আদালতে আপনার বিচার হবে। আমরা ওখানে (তমলুক) ছাত্রনেতা দেবাংশুকে পাঠিয়েছি। গোহারা হারবেন।তমলুক অধিকারীদের গড় বলেই পরিচিত। এখান থেকেই জোড়-ফুল প্রতীকে জিতে দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে নন্দীগ্রাম থেকে তাঁকে জিতিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর পর তমলুকের সাংসদ ছিলেন তাঁর ছোট ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেডে় তিনিও এখন বিজেপিতে। তবে, তমলুক থেকে প্রাক্তন বিচারপতিকে এবার প্রার্থী করেছে পদ্ম শিবির। যাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের ছাত্রনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।অভিজিৎবাবুর বিরুদ্ধে কেন এত রাগ মমতার? হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে শ্রীঘরে পাঠানোর নেপথ্যেও রয়েছে তাঁর নির্দেশ। শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁচাছোলা পর্যবেক্ষণ করেছেন অভিজিৎবাবু। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় শুরু থেকেই রাজনীতিক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মমতা দাবি কেরছিলেন যে, কথায় কথায় পিল গিলে বিজেপি যেমন নির্দেশ দিয়েছে, তেমনই উনি (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) রায় দিয়েছেন।

এপ্রিল ০৫, ২০২৪
রাজনীতি

মাথাভাঙার জনসভায় ডবল ইঞ্জিন মমতার মুখে! তীব্র আক্রমণ বিজেপির আইপিএস প্রার্থীকে

কোচবিহারে নির্বাচনী জনসভায় বিজেপিকে অলআউট আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর মধ্যেই তৃণমূলনেত্রীর মুখে শোনা গেল বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন প্রসঙ্গও। যদিও তড়িঘড়ি মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিতে শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।কোচবিহার বিমানবন্দরে আমরা ৩০০ কোটি টাকা খরচ করেছি। আর বাবু একটি বিমান নিয়ে নেমে গেলেন। বাহ-বাহ। আমরা বলেছিলাম, ডাবল ইঞ্জিন দাও। সিঙ্গল ইঞ্জিন দিও না। কারণ, ওতে মানুষের জীবন রক্ষা পায় না। এখন সিঙ্গল ইঞ্জিন চলে না। ডাবল ইঞ্জিন চলে।বিতর্ক বাড়তে পারে বুঝেই তড়িঘড়ি উপরোক্ত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এরপর তৃণমূলনেত্রী বলেন, ওটা বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন নয়। মিথ্যা কথার ডাবল ইঞ্জিন নয়। ওটা প্লেনের ডাবল ইঞ্জিনের কথা বলছি আমি।কোচবিহারের মাথাভাঙার গুমানি হাটে এদিন দলের প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়ার সমর্থনে সভা করেন তৃণমূলনেত্রী। কোচবিহারে এবারেও বিজেপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এদিন নিশীথ প্রামাণিককেও বেনজির আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু রয়েছে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।এরই পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নিশানা করেছেন কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার তথা এবারের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকে। শীতলকুচিতে এর আগেরবার নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন বর্তমানে বীরভূমের প্রার্থী।সেই দেবাশিস ধরকে আক্রমণ শানিয়ে এদিন তৃণমূলনেত্রী বলেন, শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো ৪ জনকে গুলি করে মেরেছিল। ভোট চলাকালীন এসেছিলাম, পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। কোচবিহারের তৎকলাীন এসপিকেই বিজেপি বীরভূমে প্রার্থী করেছে। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে হাতের রক্ত মোছেনি। এখন বীরভূমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

এপ্রিল ০৪, ২০২৪
রাজনীতি

নির্বাচনী সভায় কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবারকে তুলোধেনা, কি বললেন মমতা?

কৃষ্ণনগরে জনসভা দিয়েই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ২০২৩ এর প্রচার পুরোদমে শুরু করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ার মাঠে প্রকাশ্য জনসভায় দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে জেতানোর আবেদনের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ইতিহাস নিয়েও ফের ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এনেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও একহাত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।এবারের লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে রাজমাতা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে। সদ্য গেরুয়া দলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে, রবিবার কৃষ্ণনগরে প্রচারে এসে সেই রাজমাতা অমৃতা রায় ও তাঁর রাজ পরিবারের ইতিহাস নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতার বক্তব্য, কীসের রাজমাতা? এখন আমরা সবাই প্রজা। প্রজার ভূমিকাই পালন করুন। আর রাজা হলে তো রাজ প্রাসাদে থাকবেন। মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না। মহুয়ার বিরুদ্ধে যাকে দাঁড় করিয়েছে তাঁর পরিবারের ইতিহাস ভুলে গেছেন? ইংরেজদের সাহায্য করে ভারতের স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন ওরা। মোদীবাবু ইতিহাস জানেন না।এরই পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রকে ফের একবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে জেতানোর আবেদন জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, মহুয়াকে জেতাতে হবে। ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে আপনাদের সমর্থনের পরেও। মহুয়াকে জেতাতেই হবে। ও যাতে বিজেপির মুখোশটা টেনে খুলে দিতে পারে।

মার্চ ৩১, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫
কলকাতা

অনুব্রত কলকাতায় তৃণমূলের বৈঠকে, তাঁকে কি নির্দেশ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের?

এদিন কলকাতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে হাজির ছিলেন বীরভূমের দলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। এসেছিলেন জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ। এই দুই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। লড়াই মূলত অনুব্রত ও কাজলের মধ্যে। তাঁরা বিবৃতিও দেন প্রকাশ্য। সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসিকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে অনুব্রত মন্ডল। তাতে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। সমাজের সর্ব স্তর থেকে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।তৃণমূলের একাংশের রোষানলে পড়েন অনুব্রত। দলীয় নির্দেশ মেনে সেই ঘটনার পর তড়িঘড়ি ক্ষমাও চেয়ে নেন কেষ্ট। তারপর অবশ্য এআই তত্ব সামনে আসে। এবার শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেদলের ঐক্য রক্ষা করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, এবং নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বকে দূরে সরিয়ে দলীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনুব্রত মন্ডলকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্য়তে এমন কাজ করলে দল বরদাস্ত করবে না।

জুন ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নভেম্বরে ইডেনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি ভারত! নেপথ্যে সিএবি সভাপতি

ইডেনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ভারত খেলবে নভেম্বরে। ১৪ তারিখ থেকে প্রথম টেস্ট। জানেন কি এটা সম্ভব হলো কীভাবে? জানুন ভিতরের তথ্য। ইডেন প্রথমে পেয়েছিল ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট। যেটি হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরে। এর মধ্যেই জানা যায় পরিবেশগত কারণে দিল্লি থেকে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সরতে পারে। এরপরেই তৎপরতা দেখান সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ঘুরতে থাকে খেলা। ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যে অনেক বেশি শক্তিশালী, অনেক বেশি উপভোগ্য ম্যাচ হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়াদের সঙ্গে ক্রমাগত কথা চালিয়ে যেতে থাকেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। অবশেষে সূচির অদলবদল। ইডেন পেল ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট। তেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা প্রোটিয়ারা চলতি মাসেই টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে জিম্বাবোয়েতে। এরপর টানা সাদা বলের সিরিজ খেলে লাল বলের ম্যাচে নামবে ইডেনে। দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার সঙ্গে যেমন জড়িয়ে ইডেন, তেমনভাবেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম ভারত সফরে এসে প্রথম ম্যাচটাই খেলবে ক্রিকেটের নন্দনকাননে। যা নিশ্চিত হলো সিএবি সভাপতির দূরদর্শিতায়। উৎসবের আবহে ইডেনে হবে ক্রিকেটের মহোৎসব।মনোজিৎ মৌলিক

জুন ১৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

প্রতিভা আর পারফরম্যান্স শেষ কথা, হা-হুতাশ ছেড়ে চাই জোরালো ফোকাস

বেঙ্গল প্রো টি২০ চলছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হা-হুতাশ শুরু করেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। টার্গেট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম সিএবি, এমনকী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও অনেকে নিশানা করেন। এদের বলায় কিছু যায় আসে না। তবু সেই নিন্দুকেরা কি দেখছেন অভিষেক পোড়েল, শুভম দে, চন্দ্রহাসদের পারফরম্যান্স? ঈশান পোড়েল, সায়ন ঘোষদের পারফরম্যান্স। গরমের মধ্যেই আগুনে পারফরম্যান্স। নজর কেড়েছে লক্ষ্মী রতন শুক্লার পুত্র অগস্ত্য। এনসিসি যেমন জেলাভিত্তিক টুর্নামেন্ট করার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে তেমনভাবেই সিএবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে দ্বিধা ছেড়ে এগিয়ে আসুন। ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করুন। এই ধরনের টুর্নামেন্ট শুরু স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা ছাড়া কে-ই বা ভাবতে পারেন? মনে রাখতে হবে, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি সভাপতি হওয়ার পরেই এই লিগ শুরু হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি জোগাড় থেকে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা তিনিই করেছেন। সঙ্গে তাঁর টিম। এবং অবশ্যই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।শুরুতেই সব সুপারহিট হয় না, ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হয়। মুম্বইয়ে এবার হলো। আবার তামিলনাড়ুতে বেশ কয়েক বছর হচ্ছে। অনেক প্রতিভা পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলেও ঢুকে পড়ছেন, আইপিএল কাঁপাচ্ছেন। সৌরভ, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়রা বাংলাতেও একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিলেন। যেমন ভিশন ২০২০ থেকেও কয়েকজন জাতীয় দলে ঢুকেছেন।ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার নিয়েই অনেকে গলা চড়িয়ে সিএবিকে টার্গেট করেছেন। আজব! বিভিন্ন রাজ্যের ক্রিকেটাররা দেদার বিভিন্ন ক্লাবে এসে খেলছেন। সেই পারফরম্যান্স দেখে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আকৃষ্ট হচ্ছে। সে তো কেকেআর বাংলার প্লেয়ারদের দীর্ঘদিন নেয় না। যদি এমন কেউ থাকেন যিনি যোগ্য হয়েও বঞ্চিত, জেনুইন কেস হলে তিনি সবার আগে স্নেহাশিস, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের সহযোগিতা পাবেন। সব ক্ষেত্রেই যোগ্যতমকে দেখা হয়। তাই ভালোর শেষ নেই। যদি মনে হয় ভিনরাজ্যের প্লেয়ার কেন? নেতিবাচক ভাবনা ছেড়ে ভালো পারফরম্যান্স মাঠে উজাড় করে দিতে সেটিকেই মোটিভেশনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ক্রিকেটাররা। সচিন-পুত্র তো মুম্বই ছেড়ে গোয়ায় গিয়েছেন। অনেক তারকা তো বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসে বাংলায় বছরের পর বছর খেলেছেন। জাতীয় দলের দরজা খুলেছেন। সর্বোপরি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কেরিয়ারে চোখ রাখলেই অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়ার প্রচুর রসদ মিলবে। তাই বাইরের কচকচানিতে কান না দিয়ে ফোকাস ঠিক রাখুন ক্রিকেটাররা। তথাকথিত ভিনরাজ্যের প্লেয়ারদের চ্যালেঞ্জ মাঠেই ছোড়া হোক। বাকি কাজ নির্বাচকদের। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগে নজরকাড়াদের প্রেজেন্টেশন স্কাউটদের কাছেও পাঠায় সিএবি। সকলে নজর রাখেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলে এই লিগ স্টার স্পোর্টস অবধি যেত না। প্রচুর স্পনসর, যার অন্যতম কারণ এক টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় মুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাল্যবন্ধু সঞ্জয় দাস এই টুর্নামেন্টের অগ্রগতির অন্যতম কারিগর।আজকালকার দিনে এক ক্লিকেই মেলে যাবতীয় তথ্য। মহম্মদ শামি, মুকেশ কুমার বা আকাশ দীপদের আকৃষ্ট করে সিএবির পরিকাঠামো। তাঁরা এর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন ফোকাস ঠিক রেখে। এবারেও বাঙালিরা এই লিগেও ভালো খেলেছেন। বাঙালি, অবাঙালি বলে কিছু হয় না। প্রতিভা আর পারফরম্যান্স শেষ কথা। ফেসবুক গ্রুপের কচকচানি নাকি ক্রিকেটে ফোকাস রাখা, কোন বিকল্প বেছে নেবেন তাতেই সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের উন্নতি। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরের সেরা ক্রিকেটারদের কোচ হিসেবে রেখে সিএবি যে বয়সভিত্তিক দলের শিবির চালায় তার সুফল মিলবেই। আর যাঁরা এখনও এই লিগের প্রতি আন্তরিক নন, চাইব তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক বাংলার ক্রিকেটের স্বার্থেই। আগে ক্রিকেট, তার উপর কিছু নেই।মনোজিৎ মৌলিক

জুন ১৪, ২০২৫
রাজ্য

মালিকানা বদলে জমি হাতানোর চক্র সক্রিয়, তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর

জমির মালিকানা পরিবর্তন করে বৃদ্ধার জমি হাতানোর চেষ্টা। বিডিও এবং বি এল অর ও এর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের।উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঢাকুরিয়ায় বাসিন্দা সীমা চৌধুরী নামে এক বৃদ্ধার ৬ শতক জমির মালিকানা পরিবর্তন করে জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। সীমাদেবীর দাবি, তিনি কারও কাছে তাঁর জমি বিক্রি করেননি। হস্তান্তরও করেননি। কিন্তু দিন কয়েক আগে দেখতে পান তার জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তাঁর জমির ৬ শতক জমি তাঁর নাম পরিবর্তন করে শ্যামল রায়ের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে তার স্বামী অসুস্থ। জমিজমার দিকে খেয়াল করতে পারছেন না। দিন কয়েক আগে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। কিভাবে হয়েছে তা তিনি জানেন না। এই ঘটনার পিছনে গভীর চক্রান্ত দেখছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে গাইঘাটার বিডিও এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি চাইছেন তার জমি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এবং যারা এই ধরনের কাজ করেছে তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার। তবে এই ঘটনার পিছনে বিএলআরও এবং তৃণমূলের হাত দেখছে বিজেপি। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, এই ধরনের কাজ শাসকদলের মদত ছাড়া হতে পারে না, এর সঙ্গে বিএলআরও জড়িত আছে। বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাগচী। তিনি বলেন, এই ধরনের কাজের সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত থাকে না। তৃণমূল এটাকে প্রশ্রয় দেয় না। তবে যে ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এই ধরনের ঘুঘুর বাসা ভাঙতে হবে।

জুন ১৩, ২০২৫
রাজ্য

পোল্ট্রি ফার্মে তাজা বোমা উদ্ধার, রাণীনগরে চাঞ্চল্য

এবার রানীনগরে দুই ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। মুর্শিদাবাদে রানীনগরের ডেপুটিপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির পিছনে একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি মুরগির ফার্মে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে প্রায় বারোটা নাগাদ মুকুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পিছনে পুলিশ একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি ফার্মে দুই ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে খবর, রাত্রি প্রায় বারোটা নাগাদ রানীনগর থানার পুলিশ এসে মুকুল শেখের বাড়ির সদস্যদের বোমা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পরিবারের সদস্যরা বোমা রাখার বিষয়ে কোনও কিছুই জানে না বলে জানা যায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাত জেগে ওই জায়গাটিকে পাহারা দেয়। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই বোমা গুলি রেখেছিল? তা বলতে পারছে না কেউ। তবে এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান। ওই দুই ব্যাগে মোট আটটি বোমা রয়েছে বলে জানা যায়। তবে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

জুন ১৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ মর্মান্তিক প্লেন দুর্ঘটনা আহমেদাবাদে, ২৪২ জনের প্রান সংশয়ের আশঙ্কা

আহমেদাবাদে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর AI171) ওড়ার মাত্র ৯ মিনিট পরই ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থল ছিল আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছেই। মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের ওপর বিমানটি। ওই বিমানে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনাটিকে ভয়ানক বলে সম্বোধন করেছে বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও বিমান পরিবহনমন্ত্রীকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই ঘটনার পুরো পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আপাতত আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের সব ধরনের উড়ান স্থগিত রাখা হয়েছে এবং এয়ার ইন্ডিয়া ও তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই দুর্ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে।

জুন ১২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal