• ১ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Mamata Banerjee,

রাজ্য

রামমন্দিরের উদ্বোধনে তো যাবেন না, ওই দিন বাংলায় বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা মমতার

রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য অযোধ্যাজুড়ে চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতিপর্ব। ২২ জানুয়ারি হবে উদ্বোধন হবে বহু প্রতিক্ষিত রাম মন্দিরের। ওই অনুষ্ঠাণে যাবেন না বলেই আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রামমন্দির উদ্বোধনের দিনই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ কর্মসূচির ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, আগামী ২২ জানুয়ারী কলকাতায় তৃণমূল সম্প্রীতি মিছিল করবে। যার নেতৃত্বে থাকবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। শুধু কলকাতাতেই নয়, ব্লকে ব্লকে, জেলায় জেলায়ও কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।মঙ্গলবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুরুতেই রামমন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে বলেন, রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা আমাদের কাজ নয়, তাহলে আমি অযোধ্যায় গিয়ে কী করব? আমাদের কাজ পরিকাঠামো নির্মাণ করা, আমি সেই কাজই করে যাব।এরপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চড়া সুরে তোপ দাগলেন মমতা। সম্প্রসারণের জন্য রেল দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভেঙে দিতে বলেছে রাজ্যকে। যা নিয়ে এদিন মমতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ওই স্কাইওয়াক আমার মনের মণিমুক্ত। রক্ত থাকতে আমি ওটা ভাঙতে দেব না। পাশাপাশি মেট্রোর জন্য বডিগার্ড লাইনের জমি চাওয়ায় রেলকে এদিন তুলোধনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেলের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।মন্দির নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি যে বিরক্ত হন তা-ও বুঝিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, আপনারা মন্দির নিয়ে বার বার প্রশ্ন করছেন আমাকে। আমার এ নিয়ে কিছু বলার নেই। আমি বার বার বলি, ধর্ম যার যার নিজের, উৎসব সকলের। আমরা ২৩ জানুয়ারি, ২৬ জানুয়ারি পালন করি। ২২ জানুয়ারি একটি মিছিল করব আমি, দলের প্রোগ্রাম। নিজে একটা মিছিল করব আমি। প্রথমে নিজে কালীমন্দিরে যাব। সবাই যাবে না। আমি যাব। সেখানে মায়ের কাছে পুজো দিয়ে হাজরা থেকে সর্বধর্মের মানুষকে নিয়ে মিছিল করে পার্ক সার্কাস ময়দানে গিয়ে সভা করব। মা কালীকে ছুঁয়ে, মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার, ওখানে অনেক গির্জাও রয়েছে, সব ছুঁয়ে যাব, সকলকে নিয়ে এই সভা করব। তৃণমূলের সভা, তবে শুভান্যুধায়ী, সাধারণ মানুষও এই সংহতি মিছিলে আসতে পারেন। প্রত্যেক জেলার ব্লকে ব্লকে বেলা ৩টেয় সম্প্রীতি মিছিল হবে।রামমন্দিরের উদ্বোধনের এটা পাল্টা কর্মসূচি নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। তৃণমূল নেত্রী বলেন, কোনও পাল্টা মিছিল করছি না, কোনও প্রতিবাদ করছি না। আমি সাধু-সন্তদের মানি। তাঁদের কথা শুনছি। এ ব্যাপারে একটাই কথা বলতে পারি, ধর্ম যার যার নিজের, উৎসব সকলের। আমি সর্বধর্ম সমন্বয় করছি কারণ, তার পরদিনই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। সেটাও ব্লকে ব্লকে পালিত হবে। আমি বরাবরের মতো নেতাজি মূর্তির সামনে থাকব।

জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
রাজ্য

গঙ্গাসাগরে গিয়ে ফের প্রবীণদের হয়ে ব্যাট ধরলেন মমতা

তৃণমূলে আদি-নব্য, প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। এবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন একাধিক নেতা। এসবের মধ্যেই রবিবার নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে বয়সসীমা বিতর্কে ফের মন্তব্য করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তারুণ্যের উপরই জোর দেন তিনি। ২৪ ঘন্টা না পেরতেই সোমবার গঙ্গাসাগর থেকে তৃণমূল সেনাপতিকে পালটা বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আমি এখন যে কাজ করতে পারছি, তা কি ৭০ বছর হলে করতে পারব? ৩৬ বছর বয়সে যে কর্মক্ষমতা থাকে, ৫৬ বছর বয়সে তা থাকে না। ৭০ বছর বয়সে তা আরও কমে যায়। এই প্রথম নয়। এর আগেই বেশ কয়েকবার তৃণমূলে নবীনদের পক্ষে সোচ্চার হয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দলে এক ব্যক্তি-এক পদের ঘোষণা করে তিনি বলেছিলেন, সব পেশার মতো রাজনীতিততেও অবসরের বয়স থাকা উচিত।বয়সসীমা বিতর্কের মধ্যেই গত নভেম্বরে তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনে দলনেত্রী বলেছিলেন, মনের বয়স বাড়ল কিনা সেটাই আসল ব্যাপার। প্রবীণ সৌগত রায়দের নির্দ্বিধায় কাজ চালানোর কথা বলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার-এর মতো লড়াইয়ের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার সপ্তাহ পরে দাবি করেছিলেন, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে।সোমবার গঙ্গাসাগর গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মেলার এলাকা পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। তারপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আমরা কিন্তু যাঁরা যোগ্য লোক তাঁদের ৬০ বছরে বিদায় দিই না। আমরা তাঁদের কাজকর্ম, পুরো অভিজ্ঞতা নিয়ে পুরো কাজে লাগাই। এটা বিরল ব্যাপার। মূলত রাজ্য প্রশাসনে অবরপ্রাপ্ত তিন যোগ্য অফিসারের পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।অভিজ্ঞতার পক্ষে কথা বলে দলের সাম্প্রতিক বিতর্কও কী উস্কে দিলেন তৃণমূল নেত্রী? সেনাপতিকে বার্তা দিলেন? এখন এই প্রশ্নই বড় হয়ে উঠছে।

জানুয়ারি ০৮, ২০২৪
রাজনীতি

মমতাকে বড় চ্যালেঞ্জ অধীর চৌধুরীর, ইন্ডিয়া জোটে কি অশনি সংকেত?

বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বিবাদে কি অশনি সংকেত? তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। আগামী লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়া বা আসন রফার বিরোধিতা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলে নেত্রীর বিশ্বাসযোগ্যতার।২০১৯ লোকসভা ভোটে বাংলায় বহরমপুর ও মালদা দক্ষিণ আসনটি হাত শিবিরের দখলে গিয়েছিল। তৃণমূলের প্রস্তাব ওই দুই আসনই শুধু কংগ্রেসকে ছাড়া হবে। মমতা এবং কংগ্রেস হাই কমান্ডের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা জানিয়ে তৃণমূলের প্রস্তাব বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যেই বলেছেন অধীর। রাজ্যের শাসক শিবিরের এই প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নয় পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতৃত্ব। অধীর চৌধুরীর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, কংগ্রেসকে দুটো আসন (লোকসভা) দেব। কোন দুটো আসন (আসন) দেবেন? ওঁকে ও বিজেপিকে হারিয়েই তো ওই দুটো আসন নিয়েছি আমরা। ওরা আমাদের কি উপকার করছে? কে তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বিশ্বাস করবে? আমাদের নিজেদের ক্ষমতায় আরও অনেক আসনে আমরা লড়তে পারি।অধীর চৌধুরী বলেছেন, কংগ্রেসকে জেতাতে মমতার দরকার নেই। কংগ্রেস নিজের দমে লড়তে পারে এবং এর থেকে (দুটো) বেশি আসন জিততে সক্ষম। আমরা দেখাবো। আমাদের এই দুটো আসনে মমতার দয়ার দরকার নেই।বারাণসীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরারে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই প্রসঙ্গেই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অধীর চৌধুরী। বলেছেন, আসুন, আপনি নিজে আসুন। আপনি প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে বলছেন মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে। আমি আপনাকে বলছি, আপনি আসুন এখানে আমার বিরুদ্ধে লড়তে। যে কোনও মামুকে এখানে পাঠিয়ে দাও। যদি হারাতে পারে, রাজনীতি ছেড়ে দেব। কত তাগদ আছে দেখছি আপনার। মালদায় চলুন দেখছি। আপনার দয়ায় আমরা এ সব আসন জিতিনি। কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতার দাবি, মমতা জোটে থাকতে পারবেন না, কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অপছন্দ করেন এমন কিছু তিনি কখনই করবেন না।বহরমপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রাজ্যে জোটের সম্ভাবনা নষ্ট করছেন। তিনি যা বলেছেন তা শুনলে বোঝা যাবে তিনি জোট চাননি। তাঁর দল বলছে যে তারা জাতীয়ভাবে জোটে আগ্রহী, কিন্তু বাংলায় নয়। এটা স্পষ্ট যে মুখ্যমন্ত্রী এখানে জোট চান না।তৃণমূলের তরফে দেওয়া দুটি আসনের প্রস্তাব উড়িয়ে অধীর চৌধুরী। বহরমপুর, মালদা উত্তর ছাড়াও প্রদেশ কংগ্রেসের নজরে রয়েছে রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া, দার্জিলিং, বসিরহাট সহ আরও বেশ কয়েকটি বাংলার লোকসভা আসন।অধীরের চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, অধীর চৌধুরী কেন এত দিন দক্ষিণ কলকাতায় এসে দাঁড়াননি? সুতরাং এ সব কথা অর্থহীন। আর ২০২১ সালে তৃণমূল আলাদা লড়ে সরকার গড়েছে। সিপিএমের সঙ্গে জোট করে অধীর পেয়েছিলেন শূন্য।

জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
রাজ্য

এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কাঁধে ছোট্ট অস্ত্রোপচার

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান কাঁধে ছোট্ট অস্ত্রোপচার করা হয়েছে শুক্রবার। এই অস্ত্রোপচারের পর তিনি সুস্থই রয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই খবর জানান এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিট নাগাদ হাসপাতাল থেকে বের হন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার এসএসকেএমে এসেছিলেন কলকাতার মেয়র ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।রশুক্রবার দুপুরে রুটিন চেকআপের জন্য এসএসকেএমে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষার সময়ে চিকিৎসকেরা তাঁর ডান কাঁধে পুরনো চোটের জায়গায় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন বোধ করেন। তার পরেই উডবার্ন ব্লকের ওটিতে মুখ্যমন্ত্রীর ডান কাঁধে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মণিময়। তিনি বলেছেন, রুটিন চেক আপের জন্য এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। চেকআপের সময় তাঁর ডান কাঁধে ছোট্ট অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন বোধ করেন চিকিৎসকেরা। পুরনো চোটের জায়গাতেই ওই অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। উডবার্ন ওটিতে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এখন চিকিৎসকদের সঙ্গে চা-পান করছেন তিনি।এদিকে শুক্রবার এসএসকেএমে ঢোকার সময়ে মমতা জানান, রুটিন চেক আপের জন্যই এসেছেন। তাঁর শরীর একেবারেই ঠিক আছে। তিনি বলেন, শরীর ঠিক রয়েছে। পা চেকআপ করাতে এসেছি। আমি হাঁটছি। সবই ঠিক রয়েছে। রোজ বিশ হাজার স্টেপ করছি। এমনিতে সময় পাই না। শুধু এক্স-রে করাতে এসেছি। এর পর তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের নতুন বছরের শুভেচ্ছাও জানান। এও জানান, এগুলো বলে মানুষকে বিরক্ত করার কোনও মানে হয় না। এখন সকলে সময়টা উপভোগ করুন।এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে স্পেন এবং দুবাই সফর সেরে এসএসকেএমে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশে থাকাকালীন বাঁ পায়ের হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন। ব্যস্ত কর্মসূচি থাকায় বিদেশ সফরে পায়ের চিকিৎসা করাতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতায় ফেরার এক দিন পরেই নিজের পায়ের চিকিৎসা করাতে যান তিনি।গত ২৭ জুন জলপাইগুড়ি থেকে আকাশে ওড়ার পরই দুর্যোগের মধ্যে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রবল ঝড়-বৃষ্টির মুখে পড়ে ওই হেলিকপ্টারটি। দুর্ঘটনা এড়াতে বিমানের জরুরি অবতরণ করানো হয় সেবকে, বায়ুসেনার ঘাঁটিতে। সেখানেই কপ্টার থেকে তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে কোমরে এবং পায়ে চোট পান মমতা। সেই সময় থেকেই এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। যে কারণে কয়েক দিন হাসপাতালে ভর্তিও থাকতে হয়েছিল তাঁকে। জুন মাসে যে পায়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি, পরে বিদেশ সফরে সেই পায়েই চোট পেয়েছিলেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল। তাঁর পায়ের আঘাতের ভুল চিকিৎসা হয়েছিল এসএসকেএমে, একথা বলেছিলেন স্বয়ং মমতা। যদিও এসএসকেএমের তরফে সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
দেশ

মমতার পুলিশকে সেরার স্বীকৃতি মোদি সরকারের, দেশের তিন সেরা থানার এক বাংলায়

বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্ন যখন রাজ্যজুড়ে বিজেপি আন্দোলন করছে ঠিক তখনই মোদি সরকারের তরফে এল পুরস্কার। কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেল হুগলির চন্দননগর কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানা। দেশের তিন সেরা থানার অন্যতম শ্রীরামপুর। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য পুলিশকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোশাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, এই ঘোষণা করতে পেরে গর্বিত যে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়, আমাদের শ্রীরামপুর থানা-কে (চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট) ২০২৩ সালের জন্য গোটা দেশের সেরা তিনটি থানার মধ্যে একটি হিসাবে নির্বাচিত করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি নিজে আমাদের সংশ্লিষ্ট অফিসারের কাছে ট্রফি তুলে দেবেন। জাতীয়স্তরে আমাদের অনবদ্য নজিরের জন্য সকল পুলিশ ভাইদের ধন্যবাদ। জয় বাংলা।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি, অন্যান্য বিরোধী দলের নেতৃত্ব যখন পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে বারে বারেই প্রশ্ন তুলছেন, তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এমন স্বীকৃতি এল পুলিশমন্ত্রী মমতার ঝুলিতে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে মমতা সরকারকে নিশানা করা হলে পাল্টা এবার শ্রীরামপুর থানার উদাহরণকেই হাতিয়ার করবে তৃণমূল।কয়েক সপ্তাহ আগেই ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি)-র রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছিল। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে, ২০২১ সালে দেশের বড় শহরগুলির মধ্যে সব থেকে নিরাপদ কলকাতা। এর আগে ২০২০ সালেও এই তকমা পেয়েছিল এই তিলোত্তমা। ২০১৮ সালেও দেশের সব থেকে নিরাপদ শহর হওয়ার কৃতিত্ব ছিল কলকাতার-ই। এনসিআরবির রিপোর্ট অনুসারে, কলকাতার প্রতি লক্ষ জনসংখ্যার মধ্যে দেশের বাকি শহরের তুলনায় সব থেকে কম অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। এর ভিত্তিতেই সব থেকে নিরাপদ শহরের তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে কলকাতার নাম।কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১-এ কলকাতায় প্রতি লক্ষ মানুষে নথিভুক্ত অপরাধ ১০৩.৪। এই সংখ্যা ২০২০-র তুলনায় কম। সে বছর এই সংখ্যা ছিল ১২৯.৫। ভারতের যে বড় শহরগুলির জনসংখ্যা ২০ লক্ষেরও বেশি, একমাত্র সেই শহরগুলির তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট বানায় এনসিআরবি। তবে রাজ্যের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এনসিআরবি রিপোর্ট দেয় বলেই এমন মর্যাদা পেয়েছে কলকাতা। এমন দাবি রাজ্য বিজেপি নেতাদের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
রাজনীতি

ইন্ডিয়া জোটের শোক সভা হবে, বৈঠকের পর গোয়ায় পিন্ড দান হবে, কটাক্ষ শুভেন্দুর

ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে শোক সভা বলে কটাক্ষ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সন্ধ্যায় বীরভূমের সাঁইথিয়ায় কিষাণ মোর্চার ডাকে প্রকাশ্য সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিজেপি নেতা। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, মঙ্গলবার শোক সভা হবে। নীরবতা পালন হবে। সেমিফাইনালে হেরেছে। ছত্রিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে হেরেছে। মিটিংয়ের শেষে সবাই যাবে গয়ায় পিণ্ড দিতে।সোমবার বিকেলে সাঁইথিয়ায়র সভায় বক্তব রাখতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, চোর মমতার মন্ত্রী সভার সদস্যরা গোটা রাজ্য জুড়ে কয়েক বছরে লক্ষ লক্ষ কৃষকের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ধান চুরি করেছে। গতবছর ২৯ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। এবার ১১ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে। এক বছরে ১৮ লক্ষ কৃষক ভুত হয়ে গেল? তার মানে গত বছর ১৮ লক্ষ ভুয়ো আকাউন্ট খুলে ভারত সরকারের পাঠানো পাঁচ হাজার কোটি টাকার বড় অংশ লুঠ করেছে এই চোর মন্ত্রী সভা। গোঘাটে এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে পথ অবরোধ করায় এক পুলিশ অফিসার কৃষককে গালি দিয়েছিলেন। কথা দিচ্ছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে ওই পুলিশ অফিসারকে ঘাড় ধরে নিয়ে গিয়ে কৃষকের পা ধুইয়ে ঘটি জল খাওয়াব।শুভেন্দু বলেন, আমাকে হারাতে নন্দিগ্রামে গিয়ে হেরে এসেছেন উনি। আপনারা আমার উপর ভরসা রাখুন উনাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপোকে জেলে পাঠাবই।প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া নিয়ে শুভেন্দু কটাক্ষ করে বলেন, মোদি বাবার পা ধরতে দিল্লিতে গিয়েছে গাই-বাছুর। গিয়ে বলবেন মোদীবাবা টাকা দাও। তবে পিসি ভাইপো কোম্পানি দিল্লিতে গিয়ে কোন লাভ করতে পারবে না।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
দেশ

এবার অভিষেককে নিয়ে মোদীর দরবারে মমতা, নয়া কৌশল তৃণমূলের

বুধবার বাংলার বকেয়া পাওনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিবারই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই রাজধানী যাবেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলের যে প্রতিনিধি দল যাবে তাতে থাকছেন অভিষেক।বাংলার বকেয়া নিয়ে সরব তৃণমূল। দাবি আদায়ে পুজোর আগে দিল্লি ও কলকাতায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ধরনা কর্মসূচি হয়েছে। কিন্তু, পুজো মিটতেই সেই আন্দোলন গতি হারায়। বদলে শাসক দলের অন্দরের বিবাদ মাথাচাড়া দেয়। চর্চায় আসে জোড়া-ফুলের অন্দরের এক ব্যক্তি এক পদ ও বয়সসীমা বিতর্ক। স্পষ্টতই তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে মতপার্থক্য ধরা পড়ে। আর তাতেই তোলপাড় হয় বঙ্গ রাজনীতি। গুঞ্জন চলে ঘাস-ফুলের অন্দরেও।নভেম্বরের শেষে তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনে দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চোখে রক্তক্ষরণের কারণেই তাঁর গড়হাজিরা বলে দাবি করেছিলেন খোদ দলনেত্রী। এরপর কুণাল ঘোষের মন্তব্যে বিতর্কের শুরু। তিনি বলেছিলেন, কারা এটা করেছেন, আমি বলতে পারব না। তবে এটা ঠিক হয়নি। এখন অভিষেকের ছবি ছাড়া তৃণমূলের মঞ্চ অসম্পূর্ণ। এটা হতে পারে না। যা মমতা-অভিষেককে ঘিরে দলের অন্দরে নেতৃত্বের আড়াআড়ি টানাপোড়েনের ইঙ্গিত জোড়াল করেছিল। তারপর কুণাল বলেছিলেন, ব্যাপারটা কখনওই মমতাদি বনাম অভিষেক নয়। ব্যাপারটা মমতাদি এবং অভিষেক। একজনকে ঘিরে আবেগ রয়েছে। আর একজন সময়ের কথা বিবেচনা করে দলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা দেখছেন। কিন্তু এতে বিতর্কের ইতি ঘটেনি।এরপর মমতা-অভিষেককে একসঙ্গে নজরে পড়েনি। উল্টে খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়েতে দার্জিলিং যাওয়ার পথে অভিষেক রাজনীতিতে প্রবীণদের প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। রাজনীতিতে তারুণ্যের পক্ষে সওয়াল করেন। তার আগে নেতাজি ইন্ডোরের সভায় অবশ্য আশি ছুঁইছুইঁ সৌগত রায়ের নাম করেই তাঁকে আগামিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও দলে বয়সসীমা ও এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে নিজের অবস্থান অনড় থাকেন। যা পিসি-ভাইপোর প্রকট মতভেদের প্রকাশ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
রাজ্য

দুর্নীতি নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা

ভরা মঞ্চ থেকে এবার রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশকে কড়া ভাষায় হুঙ্কার ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের। তাঁর হুঁশিয়ারি কোনও অফিসার দুর্নীতিতে জড়ালে আমি ছেড়ে কথা বলব না। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এভাবেই রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের একাংশকে সতর্কতার পাঠ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।সাম্প্রতিক সময়ে গরু, কয়লা, নিয়োগ, রেশন-সহ একাধিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কদের। ইতিমধ্যেই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে জেল খাটছেন তাঁদের অনেকেই। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহারা দিনের পর দিন ধরে জেলে রয়েছেন।কয়লা কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই একাধিকবার ইডির সমন পেয়েছেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বারবার ডেকে পাঠিয়ে চোখা চোখা প্রশ্ন করেছে ইডি। শাসকদলের হেভিওয়েট একাধিক নেতা-মন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার স্ক্যানারে থাকায় ফি দিন তৃণমূলকে তুলোধনা করে সোচ্চার বিরোধীরা।তবে এবার খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন আশঙ্কা নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দলের নেতা-মন্ত্রী কিংবা বিধায়ক নন, এবার প্রশাসনের অন্দরেই বিরাট অনিময়ের আঁচ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ভরা সভায় সেই আশঙ্কার কথাই নিজে মুখে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু জানানোই নয়, অনিয়ম রুখতে কড়া বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।একটা রাজনৈতিক লোক ৫ টাকা চুরি করলেও ১০ বার টিভিতে দেখানো হয়। কিন্তু কোনও অফিসারও যদি দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন আমি কিন্তু ছেড়ে কথা বলব না। দুএকজন বিএলআরও দুষ্টু লোকেদের সাথে মিলে জমি কেনা-বেচায় জড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সোচ্চার হতেই ফের একবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে বৈঠকের সময় দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই রাজ্যের পাওনাগণ্ডা নিয়ে দরবার করবেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩
রাজ্য

দিদির বাড়ি দেখে হিংসে করেন সলমন খান, বললেন চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে

কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার হাজির মুম্বাইয়ের সুপারস্টার সলমন খান। ছিলেন না অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানরা। এর আগে তাঁরা প্রতিবারই হাজির থাকবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন। এর আগে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন সলমন। এবার বললেন সেই অভিজ্ঞতা।এবার চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছেন অনিল কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁরা বক্তব্য রেখে ফেলেছেন। এদিন সলমন বলেন, কালীঘাটে দেখতে গিয়েছিলাম দিদির বাড়ি।এর আগে সাল্লু ভাই তথা ভাইজান এসেছিলেন কলকাতায়। সেদিন আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে। পুরনো কথা তুলেই তিনি বললেন, আমি যখন এর আগে আমন্ত্রণ পেলাম তখন একটাই বিষয় মাথায় ঘুরছিল, যে গিয়ে এটাই দেখব দিদির বাড়ি আসলেই এত ছোট কিনা? আমার বাড়ির থেকে ছোট কিনা দেখতে গিয়েছিলাম। আমি আপনার সঙ্গে হিংসা করি দিদি। আমি সত্যিই ভাবিনি যে আপনার বাড়ি আমার থেকে ছোট হবে। এপ্রসঙ্গে অনিল কাপুরের বাংলোর কথাও বললেন।কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বাড়ি এত ছোট যেন ভাবতেই পারেননি তিনি। বেশ অবাক হয়েছিলেন। বললেন, আমি খুব খুশি, যে সত্যি দিদির বাড়ি এত ছোট। এত ক্ষমতায় থেকেও তাঁর বাড়ি যে এত ছোট হবে, অবিশ্বাস্য! আমার হিংসা হয় দিদি। আমার আর বড় বাড়ির ইচ্ছে নেই।উল্লেখ্য, সলমন এই প্রথমবার এই অনুষ্ঠানে এসেছেন। আর বাংলার মানুষের উন্মাদনা দেখে তিনি আপ্লুত। সলমন খান বললেন, আমরা বাংলার কাছে বাঙালির কাছে ঋণী। এখানের মানুষরা অনেক কিছু দিয়েছেন। আমরা হিন্দি ছবির মানুষ হলেও বাংলার ট্যালেন্টকে কদর করি।

ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
রাজনীতি

মমতার মুখে কেষ্ট, পার্থ, বালু, মানিকের নাম, নেত্রীর হুঙ্কার গ্রেফতারের বদলা দ্বিগুন হবে

নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে কেষ্ট, বালু, পার্থ, মানিকের নাম। একদা ঘনিষ্ঠ এই চারজনের জেলবন্দি দশায় এখনও বেজায় ক্ষিপ্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। একইসঙ্গে বেশ কিছুদিন পর এবার বদলার কথা তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় দলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের পাশাপাশি দলের সভাপতি, ব্লক সসভাপতি-সহ অন্য নেতা-কর্মীরাও হাজির ছিলেন।লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে ২০২৪-এর লক্ষ্য স্থির করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কোন কোন ইস্যু তুলে ধরে লোকসভার লড়াইয়ে ঝাঁপাতে হবে, দলনেত্রীর তরফে স্পষ্ট নির্দেশ এল মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদ ও অন্য নেতাদের কাছে। এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের দিকে ধেয়ে আসা তিরের পাল্টা হামলার রূপরেখাও ঠিক করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, অনুব্রত মণ্ডল ও সব শেষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারি যে এখনও তাঁকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে, এদিন তাঁর কথায় তা আবারও স্পষ্ট হয়েছে।আমাদের লোকেরা সবাই চোর? দুর্নীতি দেখাচ্ছে। টাকা দিয়ে বলা হচ্ছে চোর বলতে। তৃণমূলকে চোর না বললে ইডি-সিবিআই রেড করবে। খুব হাসছেন! পার্থ জেলে, কেষ্ট জেলে, মানিক জেলে, বালু জেলে। আরও অনেকেই জেলে আছেন। গদ্দার বলছে, অমুক দিন ওর বাড়িতে যাবে। লুঠ করে নিয়ে চলে এল। সিজার লিস্টও দিল না। দিল্লির সরকার সবাইকে আন্ডার গান রেখে দিয়েছে।গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মন্ডল এখনও বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখনও রাজ্যের বনমন্ত্রী। মানিক ভট্টাচার্য দলীয় বিধায়ক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় দল থেকে বহিষ্কৃত। তবুও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম মুখে এনেছেন মমতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, এঁদের নাম নিয়ে মমতা বোজাতে চেয়েছেন কেউ বিপদে পড়লে দল ভুলে যায় না।

নভেম্বর ২৩, ২০২৩
রাজ্য

'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক সব জানে,' কি জানার কথা বললেন ইতি হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয়

রীতিমতো বোমা ফাটালেন রেশন দুর্নীতিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাঁকে। বেরনোর সময় সাংবাদিকদের দেখেই বালুর সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। দলের সুপ্রিমো এবং সেকেন্ড ইন কম্যান্ড আসলে কোন কথা জানেন? কীসের ইঙ্গিত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের? তা নিয়েই চর্চা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসিয়েছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব জানেন। দলের সঙ্গে ছিলাম আছি ও থাকব। আমি নির্দোষ। মমতাদি সব জানেন। দুদিনের মধ্যে সত্য প্রকাশ হয়ে যাবে। বারে বারে এক কথা বলছিলেন মন্ত্রী।এদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের এই মন্তব্যের পাল্টা সমালোচনায় সোচ্চার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সংবাদমাধ্যমে এদিন তিনি বলেন, এত বড় খাদ্য দুর্নীতির হওয়ার পর ওদের পার্টির নাম হয়েছে চাল চোর। যাঁর এত বেআইনি সম্পত্তি উদ্ধার হচ্ছে, মেয়ের-স্ত্রীর নামে বেআইনি টাকা বেরোচ্ছে। এত কিছুর পরেও বড় বড় কথা বলছে। চোরের মায়ের বড় গলা। এটা ঠিক মমতা-অভিষেক সব জানেন। অর্থাৎ, ভাগ উনি ওখানে পাঠিয়েছেন। বিজেপির এতে কী করার আছে? আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে বিপুল পরিমাণ বেআইনি সম্পত্তি পাওয়া যাচ্ছে।অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সংবাদমাধ্যমে বলেন, উনি ঠিকই বলেছেন। সব মুখ্যমন্ত্রী জানেন। মুখ্যমন্ত্রীর জানার বাইরে তো কিছু ঘটেনি। ধান কেনা থেকে শুরু করে প্রতিটা ক্ষেত্রে লোপাট হয়েছে। সমস্ত লোপাটের অর্থের অংশ যদি কালীঘাট পায়, মুখ্যমন্ত্রী এতে খুশিই হন। দুর্নীতিগ্রস্ত অপরাধী যারা, তারা কেউ একা একা দুর্নীতি করেননি। মুখ্যমন্ত্রীর আনুকূল্যেই করেছেন। তাই একথা ঠিক, মুখ্যমন্ত্রী সবই জানেন।উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের হেফাজতেই রয়েছেন তিনি। আদালতের নির্দেশে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হচ্ছে আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে। শুক্রবার ইডির সিজিও কমপ্লেক্সের দফতর থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই মন্তব্য করেছেন বনমন্ত্রী।তৃণমূল সাসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষটা কী আছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিফ মিনিস্টার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষ কী আছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বাস করে একজন একটা দায়িত্ব দিয়েছে। তার যদি পদস্খলন হয়ে থাকে, সে যদি বেইমানি কোথাও করে থাকে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষটা কোথায়? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দোষটা কোথায়? অন্যায় করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। অভিষেকের নামটা আসছে কেন এসবের মধ্যে?

নভেম্বর ০৩, ২০২৩
দেশ

ধূপগুড়িতে জয় তৃণমূলের, উচ্ছ্বসিত মমতা গেলেন জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে

জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিতে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী ধূপগুড়ি উপ নির্বাচনে তৃণমূলের জয় প্রসঙ্গে বলেন, আমি ধুপগুড়ির মানুষকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। চা বাগান থেকে রাজবংশী সবাই যেভাবে তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন। বিজেপির একটা শক্ত ঘাঁটি। বিজেপির মন্ত্রীরা সবাই ওখানে পড়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের বড় জয়। সারা ভারতে নির্বাচন হয়েছে। সেখানে চারটিতে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট জয়লাভ করেছে। উত্তর প্রদেশের মত জায়গাতে বিজেপি হেরেছে। ত্রিপুরায় দুটো আসনে জিতেছে বিজেপি। সেখানে কাউকে লড়তেই দেয়নি। ৯০ শতাংশ ভোটে জয়লাভ করেছে। ইন্ডিয়া জোটের বড় জয় এটা।ধূপগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের প্রাপ্ত ভোট- ৯৬,৯৬১। বিজেপির তাপসী রায় পেয়েছেন ৯২,৬৪৮। বাং-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী পেয়েছেন১৩,৬৬৬ ভোট। তৃণমূল প্রার্থী ভোট জিতেছেন ৪,৩১৩টি ভোটে। শতাংশের বিচারে তৃণমূল পেয়েছে ৪৬ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
রাজ্য

ইমাম, মোয়াজ্জেমদের জন্য বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, ভাতা বাড়ল পুরোহিতদেরও

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সভায় ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের ভাতা ৫০০ টাকা করে বাড়ানো হচ্ছে। তার ফলে ইমামদের ভাতা বেড়ে হল ৩,০০০ টাকা। মোয়াজ্জেমদের ভাতা বেড়ে হল ১,৫০০ টাকা। তাঁরা কোনওকিছু করতে চাইলে ঋণও পেতে পারেন। ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের সঙ্গেই সভায় পুরোহিতদের ভাতাও ৫০০ টাকা করে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার ফলে পুরোহিতদের ভাতা বেড়ে হল ১,৫০০ টাকা। তিনি বলেন, রাজ্যে তিনটি অর্থনৈতিক করিডর হচ্ছে। তাই রাজ্য ছেড়ে বাইরে যাওয়ার কথা কাউকে ভাবতে হবে না। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাতা বাড়ানোর ঘোষণায় খুশি নন ইমাম-মোয়াজ্জেমরা। এই ব্যাপারে রাজ্য ইমামস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, আমরা চাই ইমামদের ভাতা ২,৫০০ টাকা আর মোয়াজ্জেমদের ১,০০০ টাকা বাড়ানো হোক। দরকার হলে আগামী মাসে ফের ইমাম-মোয়াজ্জেমদের নিয়ে সভা ডাকুন। এটাই আমাদের অনুরোধ।

আগস্ট ২১, ২০২৩
কলকাতা

যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি সিপিএমের ছাত্র ইউনিয়নকে নিশানা মমতার

যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যু ইস্যুতে সিপিএমকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সভায় যাদবপুরের সিপিএম অনুমোদিত ইউনিয়নকে আক্রমণ করেন। সমালোচনা করেন সিপিএম এবং তাদের ছাত্র সংগঠনের রাজনীতির। সম্প্রতি যাদবপুরে এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে রাজ্য তোলপাড়। যাদবপুর ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিবেশ। বিভিন্ন সংগঠন ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ঘটছে হাতাহাতি, সংঘর্ষের ঘটনা।সোমবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাদবপুর নিয়ে আগে আমরা গর্ববোধ করতাম। যাদবপুরে কীভাবে একটা ছাত্রকে সিপিএমের ইউনিয়ন মেরে ফেলল। এরা জীবনে বদলাবে না। এত রক্ত নিয়েও এরা বদলায়নি। বছরের পর বছর রক্ত নিয়ে খেলেও এদের শান্তি নেই।সভায় সিপিএমের পাশাপাশি বিজেপিকেও একহাত নেন। ডাক দেন, বিজেপি হঠাও ইন্ডিয়া বাঁচাও। কংগ্রেস বা সিপিএম তাঁকে যতই বিজেপিপন্থী বলুক না-কেন, গেরুয়া শিবিরকে তোপ দেগে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বাংলাকে ভাতে মারতে চায় মোদী সরকার। একদলের সরকারের নীতি চলবে না। আমরা সকলের উন্নতির পক্ষে। মোদী সরকার আর ৬ মাস থাকবে। আর একটু ৬ মাস কষ্ট করতে হবে আপনাদের, তারপর সব ম্যানেজ করে নেব।২৬টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে জোটে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেসও। কিন্তু, তারপরও জোটসঙ্গী বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসকে সোমবারের বক্তব্যে রেয়াত করেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপির সঙ্গে তিনি এই দুই সর্বভারতীয় জোটসঙ্গী দলকেও এক আসনে নিশানায় রেখে বুঝিয়ে দেন, জোট শুধু সর্বভারতীয় রাজনীতিতে। রাজ্যে তৃণমূল আছে তাদের একলা চলো নীতিতেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, একসঙ্গে বোর্ড গঠন করছে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি। হিংসা লাগানোর জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেসকে আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।

আগস্ট ২১, ২০২৩
কলকাতা

র‍্যাগিং কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, মমতা বড় দায়িত্ব দিলেন টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যাকে

দুদিন আগেই যাদবপুরে মিছিল করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেত্রী রাজন্যা হালদার। আহত রাজন্যকে ভর্তি করা হয়েছিল কেপিসি হাসপাতালে। এর আগে ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের মঞ্চে বক্তব্য রেখে সবার নজর কেড়েছেন তিনি। এবার রাজন্যা হালদারকে বড় দায়িত্ব দিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাঁকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সভানেত্রী করা হল। চেয়ারম্যান করা হয়েছে সঞ্জীব প্রামানিককে আপাতত দুজনের এই কমিটি যাদবপুরে দলের ছাত্র সংগঠন দেখবে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। দুই মন্ত্রী অরূপ ও বিশ্বাস ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে গতকালই বৈঠক করেন দলনেত্রী। সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বকে। দুজনের এই কমিটি যাদবপুর নিয়ে সরাসরি রিপোর্ট করবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে।

আগস্ট ১৮, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ‘দালাল’, সম্বোধন করে নিশানা মমতার

ফের নবান্ন রাজভবন সংঘাত চরমে। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে রাজযপালের একের পর এক সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের লাগাতার আক্রমণ। আজ, বুধবার ঝাড়গ্রাম থেকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বেনজির আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। দালাল বলতেও ছাড়লেন না সিভি আনন্দ বোসকে।বুধবার ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করতে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বকেয়া অর্থ না পাওয়া, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলাকে টাকা না দেওয়া, আবাস যোজনা নিয়ে এদিন আগাগোড়া মোদী সরকারকে তোপ দাগতে থাকেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালকে নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে কোনও উপাচার্য নেই। নেই রেজিস্ট্রারও। কৃতী পড়ুয়ারা সার্টিফিকেট পাচ্ছেন না। এ জন্য আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমি জানি ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় যেটা তরি হয়েছে আমাদের গভর্নর মহাশয়, তিনি এখন কালো চশমা পড়ে- সেটা অবশ্য তিনি পড়তেই পারেন একটার জায়গায় দশটা, জ্ঞান দিয়ে বেরাচ্ছেন। আমরা পাঠালেও করেনা। নিজের ইচ্ছামত কেরালা থেকে লোক এনে ঢুকি দিচ্ছে (উপাচার্য)। কেরালার অনেক বন্ধু আমার এখানে থাকে, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ভিসি হতে গেলে ১০ বছর তাঁর প্রফেসর হিসাবে অভিজ্ঞতা থাকা উচিত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজনকে ভিসি করেছেন যিনি কেরালায় আইপিএস ছিলেন, যাঁর এডুকেশনের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। এখানে ঝাড়গ্রাম ইউনিভার্সিটি করে দিয়েছি। কিন্ত না আছে কোনও উপাচার্য, না আছে কোনও রেজিস্ট্রার। তার কারণ পাঠালেই উনি উনি ওনার মত বিজেপির একটা লোককে বসিয়ে দেবেন। এরপরই মুখ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ যে, ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্বাচনের জন্য উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে যেন অবিলম্বে তিনটি সুপারিশ করে দেওয়া হয়।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমি সব করে দিচ্ছি, আর উনি (রাজ্যপাল) দালালি করে সব আটকে দিচ্ছেন। আমরা এটা মানবো না। স্ট্রেট মানবো না।এদিন রাজ্যপাল আনন্দ বোসকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে যেটা বিধানসভায় পাস হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী সব রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হবে তবে সেটা পাস করিয়ে দিন।

আগস্ট ০৯, ২০২৩
রাজ্য

আমাকে দেখে হাত নেড়েছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখে বেরিয়ে বললেন মমতা

কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন তিনি। তাঁর সিওপিডি আছে। সোমবার তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ভেন্টিলেশন থেকে মুক্ত হলে বাইপ্যাপ সাপোর্টে আছেন বুদ্ধদেববাবু। সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে উডল্যান্ডস হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিনিট দশেক ছিলেন তিনি। কেমন আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? উডল্যান্ডস থেকে বেরিয়ে তা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, হাসপাতালে ঢুকেই সোজা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কেবিনের কাছে চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে চিকিৎসকদের থেকে বুদ্ধদেবের স্বাস্থ্য নিয়ে খোঁজখবর নেন।পরে সংবাদ মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার যতটুকু মনে হল উনি আমাকে দেখে হাত নাড়লেন। এখন উনি ভালই আছেন, স্টেবল আছেন। বাইপ্যাপ চলছে। ওনার জ্ঞান আছে, বাদবাকিটা উনি কেমন আছেন, এটা যাঁরা এখানে মেডিক্যাল বোর্ডে আছেন, ট্রিটমেন্ট করছেন তাঁরাই বলতে পারেন। আমি তো আর ডাক্তার নই।মুখ্যমন্ত্রীর বলার পরই বুদ্ধদেববাবুর জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য এক চিকিৎসকের কথায়, ওনাকে একটু আগেই আমরা ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বার করতে পেরেছি সাফল্যেপ সঙ্গে। ওনার সব প্যারামিটার স্টেবল আছে। আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো আছেন উনি।বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে ইনভেনসিভ ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনা হয়েছে। আপাতত শুধু মাত্র বাইপ্যাপ সার্পোটের উপরেই রয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আপাতত ভেন্টিলেশনের বাইরে রয়েছেন তিনি। এর আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

জুলাই ৩১, ২০২৩
দেশ

মনিপুরে বিরোধী জোটের প্রতিনিধি দল, বৈঠক সারলেন রাজ্যপালের সঙ্গে

হিংসাদীর্ণ মণিপুরে পরিদর্শন করছেন বিরোধী দলের প্রতিনিধিরা। মূলত বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা মনিপুর গিয়েছেন। এদিন সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদল। মোদি সরকারকে মণিপুর পরিস্থিতির জন্য দায়ী করে আক্রমণ শানিয়েছেন ওই দলের সদস্য়রা। পাশাপাশি রাজ্যপালকে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনার জন্য দাবি জানান। রবিবার কংগ্রেসের লোকসভার নেতা তথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম প্রতিনিধি অধীর চৌধুরী বলেন, গতকাল থেকে সাধারণ মানুষের যন্ত্রনা-দুর্দশা দেখছি। যাবতীয় বিষয় নিয়ে আমি রাজ্যপালকে বলেছি। আমার সব কথাতেই মান্যতা দিয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় সরকারের যে খামতি আমার চোখে পড়েছে, সাধারণ মানুষের সরকারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, এই সমস্ত ইস্যু আমরা রাখব। দ্রুত মণিপুরের সমস্যার সমাধান বার করার জন্য আলোচনার দাবি জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।দীর্ঘ সময় ধরে মণিপুরে হিংসা চলছে। এই সপ্তাহেও এলোপাথারি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। একাধিক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ভিডিও সর্বত্র ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। হিংসার জেরে গ্রাম ছেড়েছেন বহু মানুষ। পাশাপাশি ওই রাজ্যে চলছে অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক লুটপাট। এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার নির্মম ঘটনা মনিপুরের সর্বত্র। মহিলাদের ওপর নির্যাতন বাড়ছে। মনিপুরের ঘটনা নিযে সংসদের বাদল অধিবেশন উত্তাল হয়ে উঠেছে।

জুলাই ৩০, ২০২৩
রাজ্য

উনি (মমতা) মেদিনীপুরের নেতা করে রেখেছিলেন, বিজেপি রাজ্যনেতা করেছে, বললেন শুভেন্দু

একসময় দুজনই একদলে ছিলেন। জনগণ মনো অধিনায়কা বলে বক্তব্য শুরু করতেন। এখন ২ জন সম্মুখ সমরে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করতেই ওয়াকআউট করে পরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।শুভেন্দুর বক্তব্য, উনি আমাকে মেদিনীপুরের নেতা করে রেখেছিলেন। বিজেপি আমাকে রাজ্যে নেতা করে দিয়েছে। বিরোধী দলনেতাকে হজম করা মুশকিল তাই ভাববাচ্যে কথা বলছেন। ২০১৮ সালে আমার এলাকা কাঁথিতে ভোট লুঠ করতে দিইনি বলেই উনিশের নির্বাচনে কাঁথি-তমুলকে আপনাকে জিতিয়েছিলাম।২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলেই ছিলেন। বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন। তার আগে ২০১৮-তেও ঘাসফুল ভোট লুট করেছিল বলে ফের সরব বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেছেন, ২০১৮ সালে ভোট লুঠ করেছিলেন বলেই উনিশের লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর, মালদহ উত্তর, বালুরঘাট, রানাঘাট, ব্যারাকপুর, বর্ধমান, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রামে হেরেছিলেন। যাদের ভোট দিতে আটকেছেন তাঁরাই বদলা নেবে।শুভেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জেলার নেতা করে রেখেছিলেন। বিজেপি তাঁকে রাজ্যের নেতা করেছে।

জুলাই ২৭, ২০২৩
রাজনীতি

সরগরম বিধানসভা! এবার মুখোমুখি বাকযুদ্ধে মমতা-শুভেন্দু

মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার ২ জনই হাজির ছিলেন বিধানসভায়। দুজনের উপস্থিতিতে বিধানসভায় উত্তেজনা ছড়াল। বিরোধীরা লকআউট করলেন। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী।এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা নিয়ে বিজেপির মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিধানসভায়। তাতে সায় দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার সময় বুধবার বিধানসভা কক্ষ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তুলে আনেনে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের জয় পরাজয় প্রসঙ্গ।একুশের ভোটে নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য নন্দীগ্রামের ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে মামলা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শুভেন্দুর উদ্দেশে মমতা বলেন, নন্দীগ্রামের ঘটনা ভুলে গেছেন? ২ ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে জিতেছেন, আমায় হারিয়ে দিয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহ বিজেপি বিধায়করা। ওয়াকআউট করেন পদ্মশিবিরের বিধায়করা। পরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, সংবিধান মানে না বলেই মুখ্যমন্ত্রী এ ধরণের কথা বলছেন। এরা শুধু সংবিধানই নয়, বিচার ব্যবস্থাকেও মানে না। আজ নন্দীগ্রামের মানুষকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েতের ঘটনা নিয়ে আমি অনেক প্রশ্ন করেছি। তাতেই দিকভ্রান্ত হয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্টোপাল্টা জবাব দিচ্ছেন। মমতা ব্যানার্জী বাংলার লজ্জা, গণতন্ত্রের কলঙ্ক। একুশ সালে নন্দীগ্রামের মানুষকে আমাকে ধন্যবাদ জানাতে দেননি স্পিকার। বলেছিলেন এটা বিচারাধীন বিষয়। যদিও কোর্টের কোনও স্তগিতাদেশ ছিল না। কিন্তু আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম নিয়ে বললেন, তাঁকে আটকালেন না স্পিকার। যে কেন্দ্রে গণনা হয়েছিল, সেখানে তিন কেন্দ্রের গণনা হয়েছিল। মহিষাদলে তৃণমূল জেতে, বাকি দুটিতে জিতেছিল বিজেপি। আপনি ১৯৫৬ ভোটে হেরেছেন। এটা মানতে না পেরে আপনি কোর্টে গিয়েছিলেন। পরে বিচারপতি পছন্দ না হওয়ায় পাল্টানোর আবেদন করেন। আপনার রিট পিটিশনের সবটাই চোখে দেখার ভিত্তিতে। প্রমাণ নেই। বিধানসভার স্পিকার এক চোখে দেখছেন বলেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু।বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা-র অভিযোগ নিয়ে আলোচনা চলছিল বিধানসভায়। বক্তৃতা শুরু করেন কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। পরে নিজের বক্তব্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার বলছে পঞ্চায়েত ভোটে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যম বলছে ৫৫ জন মারা গেছেন। ২০ হাজার বুথে ভোট লুঠ হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য প্রশাসন সহায়তা করে। নির্বাচন কমিশন প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। নতুন নির্বাচন কমিশনার ৮ জুন নিজের পদে বসেই ভোট ঘোষণা করেছেন। ৯ তারিখে ভোট প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি। ১৯৭৮ সাল থেকে ভোটে এ রকম হয়নি। সবার আগে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। প্রশাসনের বৈঠক হয়। ব্লক স্তরে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই ভোটে অংশ নেয় না। এর পর ডিজি, মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনার। সব কিছুর পর ভোট ঘোষণা হয়। কিন্তু এবার ভোট চুপি চুপি হয়েছে। ২৫ ব্লের নাম পড়ে শুভেন্দুর দাবি, ত্রিস্তরীয় লুঠ হয়েছে এবার।এরপরই বলতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখানে কেউ বলতে পারবেন না, সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। সকালে বলে দেওয়া হয়, বিজেপির পক্ষে খবর করতে হয়।বিজেপির বিরুদ্ধে বলা যাবে না। যারা তৃণমূলকে গালাগালি দিয়ে বাংলাকে অসম্মান করে, তখন খারাপ। যিনি এর আগে বললেন (শুভেন্দু অধিকারী) তিনি তৃণমূলে ছিলেন, তিনি আগের কথা বললেন না।সিপিএম জমানার কথা বলা হয় না। কেন্দ্র যেমন ভোট করায় না, তেমনই রাজ্য সরকার ভোট করায় না।লোকসভা ও বিধানসভা ভোট চিরকুটে পুলিশ বদল।নন্দীগ্রামে দু ঘণ্টা লাইট বন্ধ করে দিয়ে কী হয়েছিল ভুলে গেলেন।মমতা নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ তুলতেই বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বলতে থাকেন, আমারও কথা বলার অধিকার রয়েছে। মামলা হয়েছিল। সেটা পেন্ডিং রয়েছে। আপনারা বলেছেন, সারা ভারতে কোথাও সন্ত্রাস হয়নি। ত্রিপুরায় কী হয়েছে?এরপর বিজেপি বিধায়কেরা কালো কাপড় দেখিয়ে ওয়াক আউট করেন বিধানসভা থেকে। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলতে থাকেন সেম সেম।

জুলাই ২৭, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইতিহাস গড়লেন ডোনা! কেমব্রিজে প্রথম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের কর্মশালা সৌরভ জায়ার

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জেসাস কলেজের ঐতিহাসিক প্রাঙ্গণ আজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যের চিরকালীন ছন্দে মুখরিত হলো, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ জায়া ডোনা গাঙ্গুলি পরিচালনা করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শাস্ত্রীয় নৃত্য কর্মশালা।কেমব্রিজের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো এই কর্মশালার মাধ্যমে, যেখানে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক ও শিল্পপ্রেমীরা ওড়িশি নৃত্যভারতের আটটি স্বীকৃত শাস্ত্রীয় নৃত্যধারার অন্যতমসম্পর্কে একটি গভীর ও বাস্তবধর্মী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। অংশগ্রহণকারীরা শিখলেন এই শিল্পরূপের মূল ভঙ্গিমা, অভিব্যক্তি এবং এর দার্শনিক ভিত্তি, যা এর আধ্যাত্মিক মূল এবং দুই হাজার বছরের ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।এই কর্মশালায় বিভিন্ন পটভূমি থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা অংশ নেন, যাঁদের অনেকেই প্রথমবারের মতো ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রত্যক্ষ করেন। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়ে এই অনুষ্ঠানটি এমন সকলকে স্বাগত জানায়, যাঁদের নৃত্যে পূর্বে কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না।এই উপলক্ষে শ্রীমতি ডোনা গাঙ্গুলি বলেন, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওড়িশির উত্তরাধিকার ভাগ করে নিতে পারা আমার জন্য এক গৌরবের ও আবেগঘন অভিজ্ঞতা। এই নৃত্য কেবল ভঙ্গিমা নয়এটি এক ধ্যান, ভক্তি ও গল্প বলা। আমি খুবই আনন্দিত এমন উৎসাহী অংশগ্রহণ ও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ দেখে। এটি কেবল একটি পরিবেশনা নয়, এটি এক ধরনের সাংস্কৃতিক সংযোগ যা শিল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়।এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যের প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহকে তুলে ধরে এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এটি কেবল শুরুভবিষ্যতে আরও এরকম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় পারফর্মিং আর্টস নিয়ে আরও গভীর অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হবে।কর্মশালাটি বিপুল সাড়া পায়; অংশগ্রহণকারীরা ডোনা গাঙ্গুলির উষ্ণতাপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা এবং নৃত্যের সৌন্দর্যের প্রতি অকুণ্ঠ প্রশংসা জানান। ভবিষ্যতের জন্য আরও সহযোগিতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে সম্প্রসারিত কর্মসূচির পরিকল্পনাও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।ডোনা গাঙ্গুলি খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও দীক্ষা মঞ্জরি একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা, প্রখ্যাত গুরু পন্ডিত কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্যা এবং ভারত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক উৎসবে তাঁর নৃত্য পরিবেশনের জন্য প্রসিদ্ধ। ডোনা জানান তাঁর লক্ষ্য ওড়িশি নৃত্যের সৌন্দর্য ও দার্শনিক ভিত্তি আগামী প্রজন্মের কাছে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়া।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫
কলকাতা

অনুব্রত কলকাতায় তৃণমূলের বৈঠকে, তাঁকে কি নির্দেশ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের?

এদিন কলকাতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে হাজির ছিলেন বীরভূমের দলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। এসেছিলেন জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ। এই দুই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। লড়াই মূলত অনুব্রত ও কাজলের মধ্যে। তাঁরা বিবৃতিও দেন প্রকাশ্য। সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসিকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে অনুব্রত মন্ডল। তাতে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। সমাজের সর্ব স্তর থেকে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।তৃণমূলের একাংশের রোষানলে পড়েন অনুব্রত। দলীয় নির্দেশ মেনে সেই ঘটনার পর তড়িঘড়ি ক্ষমাও চেয়ে নেন কেষ্ট। তারপর অবশ্য এআই তত্ব সামনে আসে। এবার শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেদলের ঐক্য রক্ষা করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, এবং নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বকে দূরে সরিয়ে দলীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনুব্রত মন্ডলকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্য়তে এমন কাজ করলে দল বরদাস্ত করবে না।

জুন ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নভেম্বরে ইডেনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি ভারত! নেপথ্যে সিএবি সভাপতি

ইডেনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে ভারত খেলবে নভেম্বরে। ১৪ তারিখ থেকে প্রথম টেস্ট। জানেন কি এটা সম্ভব হলো কীভাবে? জানুন ভিতরের তথ্য। ইডেন প্রথমে পেয়েছিল ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট। যেটি হওয়ার কথা ছিল অক্টোবরে। এর মধ্যেই জানা যায় পরিবেশগত কারণে দিল্লি থেকে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সরতে পারে। এরপরেই তৎপরতা দেখান সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। ঘুরতে থাকে খেলা। ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যে অনেক বেশি শক্তিশালী, অনেক বেশি উপভোগ্য ম্যাচ হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ, বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়াদের সঙ্গে ক্রমাগত কথা চালিয়ে যেতে থাকেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। অবশেষে সূচির অদলবদল। ইডেন পেল ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট। তেম্বা বাভুমার নেতৃত্বে আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা প্রোটিয়ারা চলতি মাসেই টেস্ট সিরিজ খেলতে যাবে জিম্বাবোয়েতে। এরপর টানা সাদা বলের সিরিজ খেলে লাল বলের ম্যাচে নামবে ইডেনে। দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাসন কাটিয়ে ফেরার সঙ্গে যেমন জড়িয়ে ইডেন, তেমনভাবেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম ভারত সফরে এসে প্রথম ম্যাচটাই খেলবে ক্রিকেটের নন্দনকাননে। যা নিশ্চিত হলো সিএবি সভাপতির দূরদর্শিতায়। উৎসবের আবহে ইডেনে হবে ক্রিকেটের মহোৎসব।মনোজিৎ মৌলিক

জুন ১৪, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

প্রতিভা আর পারফরম্যান্স শেষ কথা, হা-হুতাশ ছেড়ে চাই জোরালো ফোকাস

বেঙ্গল প্রো টি২০ চলছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হা-হুতাশ শুরু করেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। টার্গেট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের টিম সিএবি, এমনকী সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও অনেকে নিশানা করেন। এদের বলায় কিছু যায় আসে না। তবু সেই নিন্দুকেরা কি দেখছেন অভিষেক পোড়েল, শুভম দে, চন্দ্রহাসদের পারফরম্যান্স? ঈশান পোড়েল, সায়ন ঘোষদের পারফরম্যান্স। গরমের মধ্যেই আগুনে পারফরম্যান্স। নজর কেড়েছে লক্ষ্মী রতন শুক্লার পুত্র অগস্ত্য। এনসিসি যেমন জেলাভিত্তিক টুর্নামেন্ট করার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে তেমনভাবেই সিএবির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে দ্বিধা ছেড়ে এগিয়ে আসুন। ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করুন। এই ধরনের টুর্নামেন্ট শুরু স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা ছাড়া কে-ই বা ভাবতে পারেন? মনে রাখতে হবে, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি সভাপতি হওয়ার পরেই এই লিগ শুরু হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি জোগাড় থেকে যাবতীয় ব্যবস্থাপনা তিনিই করেছেন। সঙ্গে তাঁর টিম। এবং অবশ্যই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।শুরুতেই সব সুপারহিট হয় না, ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হয়। মুম্বইয়ে এবার হলো। আবার তামিলনাড়ুতে বেশ কয়েক বছর হচ্ছে। অনেক প্রতিভা পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলেও ঢুকে পড়ছেন, আইপিএল কাঁপাচ্ছেন। সৌরভ, স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়রা বাংলাতেও একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিলেন। যেমন ভিশন ২০২০ থেকেও কয়েকজন জাতীয় দলে ঢুকেছেন।ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার নিয়েই অনেকে গলা চড়িয়ে সিএবিকে টার্গেট করেছেন। আজব! বিভিন্ন রাজ্যের ক্রিকেটাররা দেদার বিভিন্ন ক্লাবে এসে খেলছেন। সেই পারফরম্যান্স দেখে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আকৃষ্ট হচ্ছে। সে তো কেকেআর বাংলার প্লেয়ারদের দীর্ঘদিন নেয় না। যদি এমন কেউ থাকেন যিনি যোগ্য হয়েও বঞ্চিত, জেনুইন কেস হলে তিনি সবার আগে স্নেহাশিস, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের সহযোগিতা পাবেন। সব ক্ষেত্রেই যোগ্যতমকে দেখা হয়। তাই ভালোর শেষ নেই। যদি মনে হয় ভিনরাজ্যের প্লেয়ার কেন? নেতিবাচক ভাবনা ছেড়ে ভালো পারফরম্যান্স মাঠে উজাড় করে দিতে সেটিকেই মোটিভেশনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ক্রিকেটাররা। সচিন-পুত্র তো মুম্বই ছেড়ে গোয়ায় গিয়েছেন। অনেক তারকা তো বিভিন্ন রাজ্য থেকে এসে বাংলায় বছরের পর বছর খেলেছেন। জাতীয় দলের দরজা খুলেছেন। সর্বোপরি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কেরিয়ারে চোখ রাখলেই অনুপ্রেরণা খুঁজে পাওয়ার প্রচুর রসদ মিলবে। তাই বাইরের কচকচানিতে কান না দিয়ে ফোকাস ঠিক রাখুন ক্রিকেটাররা। তথাকথিত ভিনরাজ্যের প্লেয়ারদের চ্যালেঞ্জ মাঠেই ছোড়া হোক। বাকি কাজ নির্বাচকদের। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগে নজরকাড়াদের প্রেজেন্টেশন স্কাউটদের কাছেও পাঠায় সিএবি। সকলে নজর রাখেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় না থাকলে এই লিগ স্টার স্পোর্টস অবধি যেত না। প্রচুর স্পনসর, যার অন্যতম কারণ এক টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় মুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাল্যবন্ধু সঞ্জয় দাস এই টুর্নামেন্টের অগ্রগতির অন্যতম কারিগর।আজকালকার দিনে এক ক্লিকেই মেলে যাবতীয় তথ্য। মহম্মদ শামি, মুকেশ কুমার বা আকাশ দীপদের আকৃষ্ট করে সিএবির পরিকাঠামো। তাঁরা এর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন ফোকাস ঠিক রেখে। এবারেও বাঙালিরা এই লিগেও ভালো খেলেছেন। বাঙালি, অবাঙালি বলে কিছু হয় না। প্রতিভা আর পারফরম্যান্স শেষ কথা। ফেসবুক গ্রুপের কচকচানি নাকি ক্রিকেটে ফোকাস রাখা, কোন বিকল্প বেছে নেবেন তাতেই সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের উন্নতি। আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরের সেরা ক্রিকেটারদের কোচ হিসেবে রেখে সিএবি যে বয়সভিত্তিক দলের শিবির চালায় তার সুফল মিলবেই। আর যাঁরা এখনও এই লিগের প্রতি আন্তরিক নন, চাইব তাঁদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক বাংলার ক্রিকেটের স্বার্থেই। আগে ক্রিকেট, তার উপর কিছু নেই।মনোজিৎ মৌলিক

জুন ১৪, ২০২৫
রাজ্য

মালিকানা বদলে জমি হাতানোর চক্র সক্রিয়, তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর

জমির মালিকানা পরিবর্তন করে বৃদ্ধার জমি হাতানোর চেষ্টা। বিডিও এবং বি এল অর ও এর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের।উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঢাকুরিয়ায় বাসিন্দা সীমা চৌধুরী নামে এক বৃদ্ধার ৬ শতক জমির মালিকানা পরিবর্তন করে জমি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। সীমাদেবীর দাবি, তিনি কারও কাছে তাঁর জমি বিক্রি করেননি। হস্তান্তরও করেননি। কিন্তু দিন কয়েক আগে দেখতে পান তার জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তাঁর জমির ৬ শতক জমি তাঁর নাম পরিবর্তন করে শ্যামল রায়ের নামে রেকর্ড হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরে তার স্বামী অসুস্থ। জমিজমার দিকে খেয়াল করতে পারছেন না। দিন কয়েক আগে তাঁরা জানতে পারেন তাঁদের জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। কিভাবে হয়েছে তা তিনি জানেন না। এই ঘটনার পিছনে গভীর চক্রান্ত দেখছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে গাইঘাটার বিডিও এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি চাইছেন তার জমি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এবং যারা এই ধরনের কাজ করেছে তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার। তবে এই ঘটনার পিছনে বিএলআরও এবং তৃণমূলের হাত দেখছে বিজেপি। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, এই ধরনের কাজ শাসকদলের মদত ছাড়া হতে পারে না, এর সঙ্গে বিএলআরও জড়িত আছে। বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী তথা গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাগচী। তিনি বলেন, এই ধরনের কাজের সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত থাকে না। তৃণমূল এটাকে প্রশ্রয় দেয় না। তবে যে ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন এই ধরনের ঘুঘুর বাসা ভাঙতে হবে।

জুন ১৩, ২০২৫
রাজ্য

পোল্ট্রি ফার্মে তাজা বোমা উদ্ধার, রাণীনগরে চাঞ্চল্য

এবার রানীনগরে দুই ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। মুর্শিদাবাদে রানীনগরের ডেপুটিপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির পিছনে একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি মুরগির ফার্মে দুই ব্যাগ ভর্তি তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। সূত্রের খবর, গতকাল রাতে প্রায় বারোটা নাগাদ মুকুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়ির পিছনে পুলিশ একটি পরিত্যক্ত পোল্ট্রি ফার্মে দুই ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়। পরিবার সূত্রে খবর, রাত্রি প্রায় বারোটা নাগাদ রানীনগর থানার পুলিশ এসে মুকুল শেখের বাড়ির সদস্যদের বোমা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে পরিবারের সদস্যরা বোমা রাখার বিষয়ে কোনও কিছুই জানে না বলে জানা যায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাত জেগে ওই জায়গাটিকে পাহারা দেয়। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এই বোমা গুলি রেখেছিল? তা বলতে পারছে না কেউ। তবে এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান। ওই দুই ব্যাগে মোট আটটি বোমা রয়েছে বলে জানা যায়। তবে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বোমা ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

জুন ১৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ মর্মান্তিক প্লেন দুর্ঘটনা আহমেদাবাদে, ২৪২ জনের প্রান সংশয়ের আশঙ্কা

আহমেদাবাদে ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর AI171) ওড়ার মাত্র ৯ মিনিট পরই ভেঙে পড়ে। ঘটনাস্থল ছিল আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছেই। মেডিক্যাল কলেজ হস্টেলের ওপর বিমানটি। ওই বিমানে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনাটিকে ভয়ানক বলে সম্বোধন করেছে বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও বিমান পরিবহনমন্ত্রীকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই ঘটনার পুরো পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আপাতত আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের সব ধরনের উড়ান স্থগিত রাখা হয়েছে এবং এয়ার ইন্ডিয়া ও তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই দুর্ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে।

জুন ১২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal