• ১২ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Madhyamik

রাজ্য

সর্বভারতীয় জেইই-তে রাজ্যেও প্রথম পূর্ব বর্ধমানের দেবদত্তা, মাধ্যমিকেও ছিল শীর্ষে

সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন (জেইই) মেন পরীক্ষায় নজর কাড়া ফল করেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের বাসিন্দা দেবদত্তা মাঝি। এই দেবদত্তা মাঝি ২০২৩ সালের মাধ্যমিকেও প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। এবার সর্বভারতীয় স্তরে রেজাল্ট করে নিজের মান রাখলেন। দেবদত্তা মাঝি কাটোয়া শহরের দুর্গাদাসী চৌধুরী গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী। মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০০ নম্বরের মধ্যে দেবদত্তা পেয়েছিল ৬৯৭ নম্বর। ৯৯.৫৭ শতাংশ। আর এই সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজামিনেশন (জেইই) মেন পরীক্ষায় দেবদত্তার প্রাপ্ত নম্বর ৩০০ এর মধ্যে ২৭৫।দেবদত্তার মা দুর্গাদাসী চৌধুরী গার্লস হাই স্কুলেরই শিক্ষিকা এবং বাবা আসানসোলের একটি কলেজের অধ্যাপক। দেবদত্তার মা জানিয়েছেন, দেবদত্তা মাধ্যমিক দিয়েছে যে স্কুল থেকে, সেই স্কুল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। দেবদত্তা প্রতিদিন প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সে পড়াশোনা করে। দেবদত্তার ইচ্ছা আইআইটি বা ব্যাঙ্গালোরে আইআইএসসি তে পড়াশোনা করার।উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্বের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এগজ়ামিনেশন (জেইই) মেন- এর ফল প্রকাশ করল জাতীয় পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা বা এনটিএ। পরীক্ষা শেষের ১২ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল ফলাফল। এ বছর জেইই মেন-এর জানুয়ারি পর্ব বা প্রথম পর্বের পরীক্ষা হয়েছিল ২২ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ লক্ষ।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫
শিক্ষা

দেখে নিন এক ঝলকে ২০২৪ মাধ্যমিকের মেধা তালিকা

প্রকাশিত হল ২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এবারের রাজ্য মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম দশে রয়েছেন মোট ৫৭ জন কৃতী ছাত্র-ছাত্রী। মেধাতালিকায় ছেলেদের সংখ্যা ৪৫ জন এবং মেয়েদের সংখ্যা ১২ জন। যদিও পাশের হারে মেয়েরা এবার ছেলেদের থেকে বেশী পাশ করেছে। মাধ্যমিক ২০২৪-এ প্রথম দশের সম্পূর্ণ মেধাতালিকা জেনে নিন। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৮০ দিনের মাথায় ফলাফল বেরোলো। পাশের হারে শীর্ষে রয়েছে কালিম্পং জেলা। অন্য জেলাগুলির সফলতাও এবারে নজরকাড়া। কোন জেলার কোন পড়ুয়া সেরা দশে? রইল তার সবিস্তার তালিকা।প্রথম:চন্দ্রচূড় সেন। কোচবিহারের রামভোলা হাইস্কুলের এই কৃতী ছাত্রের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩ (৯৯%)।দ্বিতীয়:সাম্যপ্রিয় গুরু পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২ (৯৮.৯৬%)।তৃতীয়:এবারের মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ৩ জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্র উদয়ন প্রসাদ, বীরভূমের ইলামবাজারের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের পুষ্পিতা বাঁশুরি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র নৈঋতরঞ্জন পাল তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। এদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।চতুর্থ:এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় চতুর্থ হয়েছেন হুগলির কামারপুকুর রামকৃষ্ণ হাইস্কলের ছাত্র তপজ্যোতি মণ্ডল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০ (৯৮.৫৭%)।পঞ্চম:পূর্ব বর্ধমানের অর্ঘ্যদীপ বসাক ৬৮৯ নম্বর পেয়ে পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন। অর্ঘ্যদীপ পারুলডাঙা নসরতপুর হাইস্কুলের পড়ুয়া।ষষ্ঠ:মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থানে ৬৮৮ নম্বর পেয়ে রয়েছেন মোট ৪ জন। এদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের কৃষাণু সাহা, পশ্চিম মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র কৌস্তভ সাহু। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র অলিভ গায়েন এবং মালদহের মোহামপুর এইচএসএসবি হাইস্কুলের ছাত্র মহম্মদ সাহারুদ্দিন।সপ্তম:৬৮৭ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে সপ্তম স্থানে রয়েছেন মোট ৯ জন। তাঁরা হলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী আবৃত্তি ঘটক, কোচবিহারের মাথাভাঙা হাইস্কুলের আসিফ কামাল। বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের অর্পিতা ঘোষ, বালুরঘাট হাইস্কুলের সাত্যদা দে, পূর্ব মেদিনীপুরের জ্ঞানদীপ বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের সুপমকুমার রায়, বীরভূমের সরোজিনী দেবী শিশু মন্দিরের আরত্রিক শ, পূর্ব মেদিনীপুরের বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম শিক্ষায়তনের কৌস্তভ মল, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণমিশনের আলেখ্য মাইতি।অষ্টম:৬৮৬ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে অষ্টম স্থানে রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর মিশন গার্লস স্কুলের ছাত্রী তনুকা পাল, পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবনের ছাত্রী ইন্দ্রাণী চক্রবর্তী, নদিয়ার কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ঋদ্ধি মল্লিক ও বর্ধমান মিউনিসিপাল হাইস্কুলের ছাত্র দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য।নবম:মাধ্যমিকে ৬৮৫ নম্বর পেয়ে নবম স্থানে দক্ষিণ দিনাজপুরের বাউল পরমেশ্বর হাইস্কুলের অস্মিতা চক্রবর্তী, এই জেলারই রৌণক ঘোষ, মালদহের মোহামপুর এইচএসএসবি হাইস্কুলের বিশালচন্দ্র মণ্ডল, এই স্কুলেরই আমিনুল ইসলাম। বীরভূমের সাইঁথিয়া টাউন স্কুলের চন্দ্রদীপ দাস, বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাইস্কুলের অরুণিমা চট্টোপাধ্যায়, মেদিনীপুরের কলেজিয়েট স্কুলের ধৃতিমান পাল। ঝাড়গ্রামের রানি বিনোদমঞ্জরী গার্লস হাইস্কুলের অণ্বেষা ঘোষ, রামকৃষ্ণ শিক্ষা মন্দিরের সায়ক শাসমল ও সাগর জানা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ঋতব্রত নাথ, ঋত্বিক দত্ত। নদিয়ার চাকদহের রামলাল অ্যাকাডেমির ছাত্র জিষ্ণু দাস, বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম শিক্ষায়তনের সাগ্নিক ঘটক, শ্যামপুর হাইস্কুলের অরণ্যদেব বর্মন, সারজোনী বিদ্যাপীঠের সায়নদীপ মান্না।দশম:২০২৪ র মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় দশম স্থানে রয়েছেন মোট ১৫ জন। এদের প্রত্যেকেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। তারা হলেনঃ১। পূর্ব মেদিনীপুরের কন্টই মডেল ইন্সটিউশনের সম্পাদ পারিয়া, ঋতম দাস। ২। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান বিদ্যার্থী ভবন গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী সম্পূর্ণা নাথ, ৩। হুগলির ইএলআইটি কো-এডুকেশন স্কুলের ছাত্র নীলাঙ্কন মণ্ডল, ৪। বাঁকড়ার তালডাংরা ফুলমতী হাইস্কুলের সৌমিক খান। ৫। পূর্ব বর্ধমানের পারুলডাঙা নসরতপুকর হাইস্কুলের অর্ণব বিশ্বাস, ৬। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া কাশীরাম দাস ইন্সটিটিউশনের অনীশ কোনার।৭। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী ভূমি সরকার, ৮। মালদহের মোজামপুর হাইস্কুলের বিশাল মণ্ডল, ৯। বাঁকুড়া জেলা স্কুলের সৌভিক দত্ত, গড় রায়পুর হাইস্কুলের ছাত্র সৌম্যদীপ মণ্ডল। ১০। পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শ্রীরামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাবভনের ছাত্র অগ্নিভ পাত্র, ১১। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র শুভ্রকান্তি জানা, ১২। সারদী বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলের ইশান বিশ্বাস।

মে ০২, ২০২৪
শিক্ষা

মাধ্যমিকে প্রথম কাটোয়ার দেবদত্তা ও দ্বিতীয় বর্ধমানের শুভমের সাফল্যের পিছনে কারণ কি?

এবার মাধ্য়মিক পরীক্ষায় জয়জয়কার বর্ধমান জেলার। বিশেষত কাটোয়া ও বর্ধমান শহরের নাম জ্বল জ্বল করছে। সারা রাজ্যে মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে দেবদত্তা মাঝি। ৬৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী হাইস্কুলের ছাত্রী। মাধ্য়মিকে প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রীর উচ্ছ্বসে ভেসে গিয়েছেন। দেবদত্তা জানিয়েছে, এই ফল উৎসর্গ করেছে মাকে। এই সাফল্য এসেছে স্কুলের ও গৃহশিক্ষদের জন্য। ফলপ্রকাশের পর থেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছেন পাড়া প্রতিবেশি থেকে আত্মীয়স্বজনেরা। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চান তিনি।দেবদত্তা মাঝি প্রাইভেট টিউশন যেমন পড়ত, তেমনই বাড়িতেও নিজের পড়াশোনার দিকে খেয়াল রাখত। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা পড়ত এবারের মাধ্যমিকের একমাত্র প্রথম স্থানাধিকারী। সাদামাটা পরিবারে বড় হয়েছে দেবদত্তা। সেলফ-স্টাডি করতেই বেশি পছন্দ করে।এদিকে বর্ধমান শহরের শুভম পাল মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৫। এবারে তাঁর রেজাল্ট আকাশছোঁয়া, খবর পেতেই বাড়িতে উৎসবের আমেজ। যেন নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না শুভম। শহরের ঐতিহ্য়বাহী বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের ছাত্র শুভম। শুভমের কথায়, ভীষণ ভাল লাগছে। এই দিনটার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। তবে এতটা ভাল ফল হবে আশা করতে পারিনি।প্রত্যেকটা বিষয়ে একজন করে প্রাইভেট টিউটর ছিল শুভমের। মা বাংলার শিক্ষিকা। মায়ের কাছেই বাংলা পড়তাম। শুভম বলেন, মা সব থেকে সাহায্য করেছেন। স্কুলের শিক্ষকরাও পাশে ছিল। সে জানিয়েছে, সারাদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়াশোনা করতাম না। যখন ইচ্ছে হত তখনই পড়তাম। বাঁধাধরা ছিল না কিছুই। পাঠ্য বই ভাল করে পড়তে হবে। প্রতিটা লাইন খুঁটিয়ে পড়েই সাফল্য এসেছে। শুভমের পড়াশোনা ছাড়া গান, আবৃত্তিতে বেশ ঝোঁক রয়েছে।

মে ১৯, ২০২৩
রাজ্য

মালদার হাসপাতালে বসে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পরীক্ষা দিলেন দুই মা

পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে মুখ ভাল করে দেখার আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসলেন পরীক্ষার্থী। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেডে বসেই পরীক্ষা দেন প্রসূতি। তাঁকে দেখাভালের জন্য তাঁর পাশেই ছিলেন চিকিতসক ও নার্স। এমনকী একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারও ছিলেন। পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়ে মালদা মেডিকেল কলেজের বেডে বসেই পরীক্ষা দিলেন প্রসূতি ওই মহিলা। মালদা মেডিকেল কলেজে মাধ্যমিক ওই পরীক্ষার্থীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুস্থ অবস্থায় পরীক্ষা দিতে পারছেন কিনা তার তদারকি করেন মেডিকেল কলেজের কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতীম মুখোপাধ্যায়। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পাশেই পরীক্ষার সময়টুকু একটানা বসেছিলেন একজন চিকিৎসক, কর্তব্যরত নার্স। ছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়ারও।মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার বৈষ্ণবনগর থানার কুম্ভিরা গ্রামের বাসিন্দা সিরিন বিবি। বছর দেড়েক আগে গ্রামের সরিফ মিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। গত শনিবার মালদা মেডিক্যাল কলেজে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয় সিরিন। বুধবার মধ্যরাতে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় সে। এমন পরিস্থিতিতেও মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার মনোবল তুঙ্গে ছিল সিরিনের।এদিকে চিকিৎসকদের নজরদারি ও নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মালদা মেডিক্যালে পরীক্ষা দিয়েছে সিরিন বিবি। তবে শুধু সিরিন নয় মাদ্রাসা পরীক্ষা দিচ্ছে কোলের শিশুকে নিয়ে সাহারাবানু খাতুম। সে মানিকচকের বালুটোলার বাসিন্দা। যদিও সাহারাবানুর পুত্রসন্তান হয়েছে প্রায় চার মাস আগে। কিন্তু সম্প্রতি শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে যাওয়ায় তাঁকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই জায়গায় অন্য বেডে সিরিনের সাথেই মাদ্রাসার পরীক্ষা দিচ্ছে সাহারাবানু।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
রাজ্য

মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী রৌনককে সম্বর্ধনা পুর্ব-বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা-র

বর্ধমান শহরের সিএমএস স্কুলের ছাত্র রৌনক মণ্ডল। ২০২২র মাধ্যমিক পরীক্ষায় যুগ্ম প্রথম স্থানাধিকারী। রামহরিপুর রামকৃষ্ণ মিশন হাই স্কুল (বাঁকুড়া) অর্ণব ঘড়াই রৌনক -এর সাথে যুগ্ম ভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এ বছর ৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ অবধি মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়েছিল। করোনা অতিমারির কারণে ২০২১ এ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। ২০২২ এ মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩। ছাত্রের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯ জন। এবং ছাত্রী ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪। সারা রাজ্যে ৪ হাজার ১৫৪ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে সম্পুর্ণ আদর্শ করোনা বিধি মেনে।পুর্ব-বর্ধমান জেলার জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী রৌনক মণ্ডল-কে তাঁর জেলাশাসক কার্যালয়ে শুক্রবার সম্বর্ধনা দেন। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা রৌনক-কে একটি ল্যাপটপ উপহার দেন। ভবিষ্যতে কি হতে চাই সে কথা জানতে চাইলে, রৌনক প্রিয়াঙ্কা সিংলা কে জানান আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই। প্রিয়াঙ্কা সিংলা তার সাফল্য কামনা করে শুভকামনা জানান, যাতে সে তার লক্ষ্যে অবিচল থেকে লক্ষ্য পুরণ করতে পারে।রৌনক জানান, সে মাধ্যমিকে প্রথম হবে সেটা আশা করেননি। তার ধারনা ছিল সে এক থেকে দশের মধ্যে থাকবে। রৌনক কতক্ষণ পড়ত জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা এ কথা জানতে চাইলে, তাঁর মা জেলাশাসক-কে জানান, রৌনক দিনে গড়ে আট ঘণ্টা পড়ত। তিনি আরও জানান, রৌনক খুব বেশী রাত জেগে পড়েনি।শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর প্রথম স্থানাধিকারী পূর্ব বর্ধমানের রৌনক মণ্ডল জানতে পারেন তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। সে জানাই, তার প্রিয় বিষয় জীবনবিজ্ঞান এবং অঙ্ক। যেহেতু আমার লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া তাই, নিট পরীক্ষার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছি।রৌনকের প্রিয় চরিত্র ফেলুদা, সত্যজিত রায়ের অমর সৃষ্টি পড়েই অবসর সময় অতিবাহিত করে সে। অবসর সময়ে ভলিবল খেলত বলে জানাই রৌনক। রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুরাগী, সময় পেলেই রবীন্দ্রনাথের গান গুনগুনিয়ে ওঠে। জেলাশাসকের কাছ থেকে ল্যাপটপ উপহার পেয়ে খুবই খুশি মাধ্যমিকে প্রথম রৌনক। সে জানাই এই ল্যাপটপ আমার পড়াশোনার জন্য খুব-ই কাজে লাগবে।

জুন ০৩, ২০২২
রাজ্য

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, অভিযোগের আঙুল উঠলো বন্ধুর দিকে

বিয়ে বাড়িতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে। মৃত ছাত্রের নাম শেখ জিৎ (১৬)। বর্ধমানের সড়াইটিকর মন্সিপাড়ার এই ছাত্র এবছর বর্ধমান হাই মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।শনিবার সকালে এলাকার একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্তায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যদিও হাঁটু ভাঁজ করা অবস্তায় ছাত্রের পা মাটিতে ঠেঁকেছিল। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ছাত্র জিৎ আত্নহত্যা করেছে বলে মানতে চাননি তাঁর পরিবার। জিৎকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। ছাত্রেয় মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কি তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র শেখ জিৎ শুক্রবার তাঁদের পাড়ারই একটি বিয়ে বাড়িতে যায়।সেখানে সবার সঙ্গে সে নাচ-গান করে। বন্ধু শেখ শরিফের বাড়িতে রাতে ঘুমাতে যচ্ছে বলে বলে জিৎ তাঁর বাড়ির লোকজনকে জানায়। জিতের বাবা শেখ আল্লারাখা এদিন পুলিশকে অভিযোগে জানান, তাঁর ছেলে শুক্রবার পাড়ার একটি বিয়ে বাড়িতে যাবার সময় বলে যায় বাড়িতে আনন্দ করবো। রাতে বাড়িতে ফিরবো না। বন্ধু শেখ শরিফের বাড়িতে ঘুমাবো বলেও সে জানিয়ে যায়। এরপরই এদিন সকালে বাড়ির অদূরেএকটি গাছে ঝুলে থাকা অবস্থায় ছেলের দেহ উদ্ধার হয়৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন ছেলের দেহ গাছে ঝুললেও হাঁটু ভাঁজ করা অবস্তায় তাঁর পা মাটিতে ঠেকে আছে।শেখ আল্লারাখা বলেন, পুলিশ ঘটনা বিষয়ে শরিফকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় রাত বারোটার সময় সে জিৎকে ঘর থেকে বার করে দিয়েছে। ঘর থেকে বের করে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে শরিফ জানায়, তাঁর ঘুম পেলেই জিৎ উঠে পালিয়ে যাচ্ছিল। তাই সে জিৎকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার কথা জিতের বাড়িতে জানালে যদি বকাবকি করে তাই কাউকে কিছু জানায় নি বলে শরিফ বলে। ছেলের বন্ধুর এমন বক্তব্য রহস্যজনক ঠেকায় শেখ আল্লারাখা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার যথোপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।তদন্তে নেমে পুলিশ ছাত্রের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজ্য

রং খেলতে বেরিয়ে খুন ঝাড়গ্রামের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

বাড়ি থেকে দোল খেলতে বেরিয়ে মৃত্যু হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। মৃতের নাম দীপ সাহা (১৬)। কিশোরের বাড়ি ঝাড়গ্রাম শহরের সুভাষপল্লি এলাকায়। শহরের বাণীতীর্থ হাই স্কুলের ছাত্র ছিল সে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ আইটিআই সংলগ্ন শীতলাডিহি এলাকা থেকে ওই কিশোরের অচেতন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ঘোড়াধরায় বসন্ত উৎসবে বন্ধুদের সঙ্গে এসেছিল দীপ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালককে ঘোড়ধরা পার্কের বাইরে থাকা কিছু যুবক ধাওয়া করেছিল। ছুটতে ছুটতে সে পড়ে যায়। জানা গিয়েছে, পুরনো বিবাদের জেরে সুভাষপল্লি এলাকার ছেলেদের মারধর করার জন্য পিছু ধাওয়া করছিল শহরের স্টেশন পাড়ার কয়েক জন যুবক। এ দিন সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম থানায় কৌশিক দাস, অনুরাগ তিওয়ারি ও আয়ুষ যাদব, এই তিন জনের নামে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ওই কিশোরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।মৃতের বাবা দিলীপ সাহা বলেন, আমার ছেলে কোনও দিন ঝামেলা গন্ডগোলে থাকে না। পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।

মার্চ ১৯, ২০২২
রাজ্য

টুকলি নিয়ে মারপিট বচসা, পরীক্ষাকেন্দ্রে জখম মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী

পরীক্ষা কেন্দ্রে টুকলি করা নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিরোধ। তার জেরেই পরীক্ষাকেন্দ্র চত্বরে অন্য পরীক্ষার্থীদের মারধোরে জখম হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাঁর নাম শুভম ঘোষ। মঙ্গলবার ভৌতবিজ্ঞান পরীক্ষা শেষে এই ঘটনাটি ঘটে পূ্ব বর্ধমানের কাটোয়া-২ ব্লকের অগ্রদ্বীপ ইউনিয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মাথায় আঘাত লাগায় চিকিৎসার জন্য পরীক্ষার্থী শুভম ঘোষ কে উদ্ধার করে এদিন নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হন অভিভাবকরা।অভিভাবকরা জানিয়েছেন, কাটোয়া মহকুমার মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র মধ্যে একটি হল অগ্রদ্বীপ ইউনিয়ন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়। এই পরীক্ষা সেন্টারে অগ্রদ্বীপ সুবোধ চৌধুরী শিক্ষানিকেতন, মাখালতোড় উচ্চবিদ্যালয় সহ আসপাশের কয়েকটি স্কুল মিলে মোট ২৭৬ জন পড়ুয়া মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। মাখালতোড় উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র শুভম ঘোষ অগ্রদ্বীপের পলাশির বাসিন্দা। শুভম জানিয়েছে,পরীক্ষা শেষে হবার পর সে বাইরে বের হয়। তখনই সে দেখে সুবোধ চৌধুরী শিক্ষানিকেতন স্কুলের বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী তার এক বন্ধুকে ঘিরে ধরে ব্যাপক মারধর করছে। তা দেখে সে বন্ধুকে বাঁচাতে যাই। তখন মারধোরে জড়িতরা তাঁর বন্ধুকে ছেড়ে দিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে শুরু করে। তাকে মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি পেটাতে শুরু করে। পরীক্ষাকেন্দ্র চত্ত্বরে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।মারধোরের কারণ প্রসঙ্গে শুভম জানায়,পরীক্ষাকেন্দ্রে টুকলি করা নিয়ে কয়েকদিন ধরে সুবোধ চৌধুরী শিক্ষানিকেতনের পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁর ওই বন্ধুর ঝামেলা ঝামেলা চলছিল। আর টুকলি বিবাদ তৈরি হওয়ায় সুবোধ চৌধুরী শিক্ষানিকেতনের পরীক্ষার্থীরা এদিন পরীক্ষা শেষে হামলা মারধোর শুরু করে দেয়। আক্রান্ত শুভমের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা এদিনের ঘটনা বিষয়ে অগ্রদ্বীপ পুলিস ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছেন। কাটোয়া মহকুমা শিক্ষাদপ্তরের এ-আই শেখর মণ্ডল বলেন,ঘটনাটি নিয়ে ওই স্কুলের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মার্চ ১৫, ২০২২
রাজ্য

অ্যাডমিট কার্ড পেয়েও পূর্ব বর্ধমানে হাজারের বেশী পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পা রাখলো না

করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দুবছর বন্ধ ছিল স্কুল। অতিমারির প্রভাব শিথিল হবার পর স্কুল খুললে দেখা যায় অনেক পড়ুয়া আর স্কুলমুখী হচ্ছে না। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সেই একই চিত্র উঠে এল পূর্ব বর্ধমান জেলায়। অ্যাডমিট কার্ড পেয়েও এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পা-ই রাখলো না জেলার ১০৩১ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে রয়েছে মেমারির রসিকলাল স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের ১৪ পরীক্ষার্থী ,বর্ধমানের তেজগঞ্জ হাইস্কুলে ৮ জন পরীক্ষার্থী ও কাটোয়ার একটি স্কুলের ১১ জন পরীক্ষার্থী।মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের এই ভাবে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি হতবাক করেছে জেলার শিক্ষক মহলকেও। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় কেন এত সংখ্যক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলো তার তথ্য অনুসন্ধান ভীষণ জরুরী বলেই মনে করছেন শিক্ষকরা।জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দফতরের দেওয়া তথা অনুযায়ী এই বছর খাতায় কলমে জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ৪৪৯ জন। তার মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ২৪ হাজার ১৩৮ জন ও ছাত্রী সংখ্যা ৩১ হাজার ৩১৫ জন। এই পরিসংখ্যায়ন থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে যে এবছর ছাত্রের তুলনায় ৭ হাজার বেশী ছাত্রীর নাভ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী হিসাবে নথিভুক্ত হয়েছে।সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা।কিন্তু পরীকার প্রথ দিন থেকে ছাত্র ও ছাত্রী মিলিয়ে ১০৩১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে পা-ই রাখলো না। পরীক্ষায় না বসার ক্ষেত্রে অবশ্য ছাত্রীর তুলনায় ছাত্ররা এগিয়ে রয়েছে।শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছেন, করোনা অতিমারির কারণে অনেক পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের কাজ চলে গিয়েছে। অভিভাবকরা রেজগারহীন হয়ে পড়েছেন। সংসার টানতে ওইসব পরিবারের পড়ুয়াদেরও কাজে যেতে হয়েছে। আবার অনেক পড়ুয়া স্কুল বন্ধ থাকায় সংসারের আর্থিক দুরাবস্থা কাটাতে নানা জায়গায় কাজে চলে যায়। অনেক নাবালিকা ছাত্রীর আবার বিয়েও হয়ে গিয়েছে।এছাড়াও অনেকে ভেবে ছিল এই বছরও হয়তো পরীক্ষার পরিবর্তে আভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণে পাশ করার সুযোগ মিলবে। কিন্তু তা না হওয়ায় পরীক্ষারফর্ম পূরণের পরে অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্র মুখো হয়নি।এই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধীপতি দেবু টুডু বলেন,রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের নানাবিধ সহায়তা পবার ব্যবস্থা করেছে।তার পরেও একাংশ পরীক্ষার্থীর এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় না বসার কি কারণ থাকতে পারে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।

মার্চ ১০, ২০২২
রাজ্য

নাবালিকা ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করিয়ে তাঁকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে নিয়ে গেল পুলিশ

বিনাপণে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের রাতে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিয়েছিল বাবা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ঘটনার খবর পেয়েই পূর্ব পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশ দ্রুত বেরোয়া গ্রামে পৌছে নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বিয়ে রেখে দেয়। তার কারণে নিরুপায় হয়ে বউ ছাড়াই টোপর হাতে নিয়ে ওই রাতেই নিজের বাড়ি ফিরে যেতে হয় বর বাবাজীবনকে। আর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ি যেতে না হওয়ায় সোমবার মহানন্দেই মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিল ভাতারের মাহাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।ছাত্রীটি এদিন জানিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য সে রবিবার রাতে পড়াশুনা করছিল। পরীক্ষা না দিয়ে ছাদনাতলায় বিয়ের পিঁড়িতে বসার কোনও চিন্তাভাবনা তার মাথাতেই ছিল না। একপ্রকার জোর করেই ওই দিন তাঁকে বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য বাধ্য করা হচ্ছিল। তবে অবশ্য ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডলের জন্য তা আর কেউ করতে পারেনি। তাই এদিন ভালোভাবেই মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা দিতে পেরেছি বলে ছাত্রী জানিয়েছে। নাবালিকা ওই ছাত্রী আরও জানিয়েছে,পড়াশুনা ছেড়েদিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসার স্বপ্ন সে দেখেনা। লেখাপড়া শিখে নিজেকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করারই তাঁর এখন একমাত্র লক্ষ্য। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের বেরোয়া গ্রামেরওই ছাত্রীরা দুই বোন। সে ছোট। তাঁর দিদির বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের বাবা জনমজুরির কাজ করেন ৷ মা গৃহবধু। মাহাতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ছাত্রীটি । তাঁর সিট পড়েছে এরুয়ার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। যে যুবক রবিবার তাঁকে বিয়ে করতে টোপর মাথায় দিয়ে হাজির হয়েছিল তার বাড়ি বর্ধমানের দেওয়ানদিঘি থানার তালিত গ্রামে। ছাত্রীর মা এদিন বলেন, আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বড় মেয়ের বিয়েতে অনেক ধারদেনা হয়ে গেছে। ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তায় ছিলাম।তালিতের পাত্রটিও খারাপ ছিলনা । তার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর যখন আমাদের ছোট মেয়েকে বিনাপণে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় আমরা রাজি হয়ে যাই । তবুও আমরা অনুরোধ করেছিলাম মাধ্যমিক পরীক্ষার পর বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য। কিন্তু পাত্রপক্ষ শর্ত রেখেছিল রবিবার রাতেই বিয়ে দিতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন রাতে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম ।তবে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়ার পুলিশ রাতে আমার বাড়িতে পৌছে বিয়ে বন্ধ করিয়ে দেয় । ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দিতে পারবোনা বলে পুলিশের কাছে মুচলেখাও লিখে দিয়েছেন বলে ছাত্রীর অভিভাবকরা জানিয়েছেন। এই ঘটনার কথা জেনে ওই ছাত্রী সহপাঠীরা ভাতার থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।

মার্চ ০৭, ২০২২
রাজ্য

করোনা-কাল কাটিয়ে আজ শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা

আজ থেকে শুরু হচ্ছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। করোনা অতিমারির কাল সময়কে পেরিয়ে এবার পরীক্ষা হবে ফের অফলাইনে। মাধ্যমিকের পরীক্ষা পর্ব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সবরকমের ব্যবস্থা করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ রাজ্য সরকার। পরীক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি কোভিড বিধি নিষেধ মেনে যাতে পরীক্ষা হয় সেদিকেও কঠোর দৃষ্টি রাখছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের পড়ুয়ারা যাতে নির্বিঘ্নে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে আপামর রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক সংক্রান্ত কন্ট্রোলরুম চালু হয়েছে। ০৩৩ ২৩২১৩৮২৭-সহ বেশ কয়েকটি নম্বর পর্ষদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত হেল্পলাইন চালু থাকবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াত করতে পারেন সে জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে গণপরিবহণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি নজরদারি থাকবে। ইন্টারনেটেও নজরদারি চালানো হবে।পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এবছর মাধ্যমিকে বসছে ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন পরীক্ষার্থী। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্য়া এবছর বেশি। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪। আর ছাত্রদের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯।পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলনে বলেন, এবছর ৫০ হাজারের মতো পরীক্ষার্থী বেড়েছে। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। পরীক্ষার সেন্টার বা মূল পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা এবছর ১৪৩৫। এছাড়া সাব-ভেন্যু থাকছে ২ হাজার ৭৫৯টি। সব মিলিয়ে মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা চার হাজার ১৫৪টি।

মার্চ ০৭, ২০২২
রাজ্য

এ এক মন ভালো করা কাহিনী, ক্যানসারকে দূরে সরিয়ে কঠিন লড়াই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সামিনার

শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ব্যাধি ক্যানসার। তা বলে জীবনযুদ্ধে হার মানতে চায়না ছাত্রী সামিনা খাতুন। তাঁর একটাই লক্ষ্য, মারণ ব্যাধির সব জ্বালা যন্ত্রণা সব সহ্য করে নিয়েও সাফল্যের সাফল্যের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য মনের জেদকে সম্বল করেই কিশোরী সামিনা সোমবার বসতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষায়। লেখাপড়া শেখার জন্য ছাত্রী সামিনার এমন জীবন সংগ্রামের সাথী হয়েছেন তাঁর বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে সামিনার যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এই বছর পূর্ব বর্ধমান জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৫৫ হাজার ৪৪৯ জন। তার মধ্যে ছাত্র রয়েছে ২৪,১৩৮ জন । আর ছাত্রী রয়েছে ৩১,৩১৫ জন। এই পরিসংখ্যানই স্পষ্ট করে দিয়েছে এই বছর জেলায় ছাত্রদের থেকে ৭ হাজার বেশী ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। সেই ছাত্রীদের মধ্যেই একজন জেলার জামালপুর ব্লকের রামনাথপুর গ্রাম নিবাসী ছাত্রী সামিনা খাতুন। রামনাথপুরের শেখ পাড়ার এক দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সামিনা। ছোট্ট দুকুঠুরি ঘরে পরিবারের সকলে বসবাস করেন। সামিনার বাবা শেখ আলম খেতমজুরির কাজ করেন। মা নূরজাহান বেগম সাধারণ গৃহবধূ। সামিনার দিদি আসলিমা বিবাহিতা।ছোট বয়স থেকেই লেখাপড়া শেখার বিষয়ে সামিনার আগ্রহ তৈরি হয়। তাঁর বাবা তাঁকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ সম্পূর্ণ করে সামিনা ভর্তি হয় স্থানীয় বনবিবিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। একের পর এক ক্লাসের পরীক্ষায় পাশ করে সামিনা অষ্টম শ্রেণীতে উত্তির্ণ হয়।এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সামিনার জীবনে ছন্দপতন ঘটে যায় এরপরেই। অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরত কালেই ছাত্রী সামিনার শারীরিক অসুস্থতা শুরু হয়। তাঁর বাবা মা তাঁকে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান।পরিবারের সকলে তখন মনে করেছিলেন জামালপুর হাসপাতালের ডাক্তারবাবুদের চিকিৎসাতেই সামিনা সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু তা হয় না। বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে ধরা পড়ে সামিনার শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ব্যাধি। তারপর থেকে টানা দুবছর ধরে তাঁর ক্যানসার রোগের চিকিৎসা চলছে।এখন নিয়ম করে সামিনাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে কেমো থেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি নিতে যেতে হয়। এর জন্য মাথার চুল সব উঠে যাওয়ায় সামিনা প্রথমে একটু মুষড়ে পড়েছিল ঠিকই। তবে এখন তা নিয়ে সামিনা আর মাথা ঘামাতে চায় না। এখন তাঁর একটাই স্বপ্ন সফল ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া। সমিনা জানিয়েছে, তাঁর দুই কানের নিচে গলার অংশে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। চিকিৎসা চলছে ঠিকই তবে এখনও খাওয়া দাওয়া সে ভালভাবে করতে পারে না। গলায় খুব ব্যাথা থাকায় ভাত গিলে খেতে পারে না। শুধু পাতলা সুজি কোন রকমে খেয়ে দিনের পরদিন তাঁকে পেট ভরাতে হচ্ছে। তবে কষ্ট যাই থাক লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে সে বিছানায় শুয়ে থেকে দিন কাটাতে চায় না।সামিনা জানায়, তাঁকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল ভাবে উত্তীর্ণ হতে হবেই। তাই মারণ ব্যাধির সব জ্বালাযন্ত্রনা সহ্য করে নিয়ে সোমবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার জন্য মনোনিবেশ করেছে বলে আত্মবিশ্বাসী সামিনা এদিন জানিয়েছে।ছাত্রী সামিনার বাবা শেখ আলম বলেন, আমি খেতমজুরির কাজ করে যে টুকু রোজগার করি তা দিয়েই পরিবারের সকলের দিন গুজরান হয়। দুবছর ধরে আমার ছোট মেয়ে সামিনার ক্যানসার রোগের চিকিৎসা চলছে। মেয়ে এতবড় কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেও অর্থের অভাবে তাঁকে পুষ্টিকর খাবারদাবার কিছুই দিতে পারি না।মেয়ের স্কুলের শিক্ষক মহাশয়গণ ছাড়াও জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন, কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক, স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য শেখ জিয়ারুল রহমান সহ আরও কয়েকজন শুভানু্ধ্যায়ী আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই কেমো থেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপির জন্য মেয়েকে নিয়মিত বর্ধমান হাপাতালে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা ও ওষুধের খরচ জোগাড় করতে পারছি। আলম বাবু আরও বলেন, কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেও তাঁর মেয়ে দমে যায়নি। সফল ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার জন্য সে এতদিন পুরোদমে পড়াশুনা চালিয়ে গিয়েছে । সামিনার মা নূরজাহান বেগম বলেন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালেই তাঁর মেয়ের চিকিৎসা চলছে। কোন সহৃদয় মানুষ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তবে মেয়েকে ভিন রাজ্যের বড় কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারেন।বনবিবিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল রায় বলেন, সামিনা খাতুন আমাদের বিদ্যালয়ের এ- বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দুবছর আগে ওর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ওর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার জন্য বিদ্যালয়ের তরফে যতটা সম্ভব সামিনাকে সাহায্য করা হয়েছে। সামিনা মাধ্যমিক পরীক্ষায় স-সন্মানে যাতে উত্তীর্ণ হতে পারে তার জন্য বিদ্যালয়ের তরফে সমস্তরকম সহযোগিতা ওর জন্য থাকছে। শ্যামল বাবু এও বলেন, সামিনা আমাদের চোখে জীবন সংগ্রামের যোদ্ধা। জীবন যুদ্ধেও সামিনা যাতে জয়ী হতে পারে সেই লড়াইয়েও সামিনার পাশে রয়েছেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা। মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার কমিটির বৈঠকের সময়ে সামিনার অসুস্থতার বিষয়টি বিদ্যালয়ের তরফে লিখিত ভাবে জানিয়ে রাখা হয়েছে।পরিক্ষার দিনগুলিতেও সামিনাকে যাতে কোন অসুবিধায় পড়তে না হয় সেই বিষয়েও বিদ্যালয় নজর রাখবে বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন,ব্লক প্রশাসনও মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে অসুস্থ ছাত্রী সামিনার পাশে থাকবে। ওর যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হবে তা নেওয়া হবে।

মার্চ ০৬, ২০২২
রাজ্য

মাধ্যমিকের আগের দিন আত্মঘাতী কাটোয়ার পরীক্ষার্থী, ইতিহাস পরীক্ষার দুশ্চিন্তাই কী কাল হল?

ইতিহাস পরীক্ষা দিতে গিয়ে হয়তো সব ভুলে যাবে। এমন দুঃশ্চিন্তার জেরে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগের দিনেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল এক পরীক্ষার্থী। মৃতর নাম বিশাল চৌধুরী(১৬)। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার আউড়িয়া গ্রামে। আউড়িয়া গ্রামে মামার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো আউড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র বিশাল। এদিন বেলায় মামার বাড়ির একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতের মামা রাহুলদেব দাঁ বলেন, ছোট থেকেই বিশাল অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। মাধ্যমিকের টেষ্ট পরীক্ষাতেও ৬৮৫ নম্বর পায়। টেষ্টে ইতিহাস বিষয়ে ৮৫ নম্বর পেয়েছিল। কিন্তু ভুলে যাওয়া স্বভাবের কারনে বিশালের মনে আশঙ্কা তৈরি হয় ষে হয়তো ইতিহাস পরীক্ষা দিতে গিয়ে সব ভুলে যাবে। আর তার কারণেই পরীক্ষার ফল খারাপ হয়ে যাবে ধরে নিয়ে কিছুদিন যাবৎ বিশাল খুব টেনশন করতে শুরু করে। রাহুলবাবু বলেন, অহেতুক টেনশন না করার জন্য বিশালকে আমরা বোঝাতাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ও যে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে তা আমরা কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী তন্ময় চৌধুরীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় চন্দ্রিকাদেবী তাঁর একমাত্র সন্তান বিশালকে নিয়ে অউড়িয়া গ্রামে বাপের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। চন্দ্রিকাদেবী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। তন্ময় বাবু কাটোয়াতে থাকলেও স্ত্রী ও একমাত্র ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতেন না। সেই সব বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে বিশাল পড়াশুনাতেই বেশী মনোনিবেশ করে থাকতো। বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে বেশী মেলামেশায় না মেতে থেকে সে পড়াশোনা নিয়েই সারাটা দিন নিজেকে ব্যস্ত রাখতো। ইতিহাস পরীক্ষা দিতে গিয়ে সব ভুলে যাবে এমন আশঙ্কা সে কিছু দিন যাবৎ প্রকাশ করতে শুরু করে। মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসতে থাকে ততই বিশালের উদ্বেগ বাড়তে থাকে। এদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চা বিস্কুট খেয়ে সে দোতলায় নিজের ঘরে পড়তে চলে যায়। তখন একতলার গৃহস্থালীর কাজকর্ম করছিলেন চন্দ্রিকাদেবী। হঠাৎ দুতলা থেকে একটা আওয়াজ পেয়ে তিনি উপরে ছুটে যান। দেখেন ছেলের ঘরের দরজা বন্ধ। তারপর তিনি দোতলার ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে দেখেন ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ছেলের দেহ ঝুলছে। চন্দ্রিকাদেবী চিৎকার শুরু করলে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে যায়। তারা দরজা ভেঙে বিশালকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মার্চ ০৬, ২০২২
রাজ্য

সোমবার শুরু মাধ্যমিক, একগুচ্ছ ব্যবস্থা রাজ্যের

চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা আগামী সোমবার শুরু হচ্ছে। পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের মতো ঘটনা এড়াতে এবং নির্বিঘ্নে পরীক্ষার পর্ব সম্পন্ন করতে রাজ্য সরকার একগুচ্ছ ব্যবস্থা নিয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলোতে ইন্টারনেটে প্রশ্ন ফাঁস বা অন্য সমস্যা রুখতে যে সমস্ত এলাকায় নেট সার্ভারে অনিয়ম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে সেই এলাকাগুলোতেই বিশেষভাবে নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।পরীক্ষার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নবান্নে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন পুলিশ কর্তারা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল পরীক্ষার দিনগুলোতে প্রশ্ন ফাঁস আটকাতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ রাখা হবে। তবে পরে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।আগামী ৭,৯,১১,১২ ও ১৪ তারিখ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনগুলোতে সকাল ১১টা থেকে দুপুর সওয়া ৩টে অবধি ইন্টারনেটে সাইবার বিশেষজ্ঞ দলের বিশেষ নজরদারি থাকবে বলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে।এছাড়া প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরারও ব্যবস্থা থাকছে। পুলিশকেও বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় এবার অফলাইনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে।তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার হোম সেন্টারেই হবে পরীক্ষা।পরীক্ষা চলাকালীন কঠোরভাবে কোভিড বিধি নিষেধ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার্থীদের শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনে বসাতে বলা হয়েছে। মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্য কোনও পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে পেন, পেন্সিল, স্কেল ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলী শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সব মিলিয়ে চার হাজার ১৫৪টি কেন্দ্রে ১১ লাখ ২৬ হাজার ৮৬৩ জন পরীক্ষার্থী এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। যেটা একটা রেকর্ড। এর মধ্যে ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪ জন ছাত্রী রয়েছে। সকাল পৌনে বারোটায় পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র পড়ার জন্য পনেরো মিনিট সময় পাবেন। বেলা তিনটে পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। প্রশ্ন ফাঁস এড়াতে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পনেরো মিনিটের আগে ছাত্রছাত্রীরা কক্ষের বাইরে বের হতে পারবেন না।করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে অফলাইনে।৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ অবধি চলবে পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেয়ে গেছেন পড়ুয়ারা। এর আগে হোয়াটসঅ্যাপে মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার বিশেষভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে মাধ্যমিক পরীক্ষায়।

মার্চ ০৫, ২০২২
রাজ্য

Student's Struggle: শরীরে বাসা বেঁধেছে মারন রোগ, তবুও মাধ্যমিক পরীক্ষায় সফল হওয়ার জন্য এক ছাত্রীর সংগ্রামের কাহিনী

শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ব্যাধি ক্যানসার। তা বলে জীবনযুদ্ধে হার মানতে চায় না ছাত্রী সামিনা খাতুন।তাঁর এখন একটাই লক্ষ্য, মারণ ব্যাধির জ্বালা যন্ত্রণা সব সহ্য করে নিয়েও পড়াশুনা চালিয়ে গিয়ে সাফল্যের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া।মনের জেদকে সম্বল করেই কিশোরী সামিনা সেই লক্ষ্য পূরণের পথে এখন এগিয়ে চলেছে। শুধুমাত্র লেখাপড়া শেখার জন্য এক ক্যানসার আক্রান্ত ছাত্রীর এমন কঠিন লড়াইয়ে ব্রতি হওয়া কার্যতই নজিরবিহীন বলে মনে করছেন শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগীরা।পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম রামনাথপুর। এই গ্রামের শেখ পাড়ার এক দিন দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সামিনা খাতুন। ছোট্ট দুকুঠুরি ঘরে পরিবারের সকলে বসবাস করেন । সামিনার বাবা শেখ আলম খেতমজুরির কাজ করেন। মা নূরজাহান বেগম সাধারণ গৃহবধূ।সামিনার দিদি আসলিমা বিবাহিতা। ছোট বয়স থেকেই লেখাপড়া শেখার বিষয়ে সামিনার আগ্রহ তৈরি হয়। তাঁর বাবা তাঁকে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ সম্পূর্ণ করে সামিনা ভর্তি হয় স্থানীয় বনবিবিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে। একের পর এক ক্লাসের পরীক্ষায় পাশ করে সামিনা অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। এই পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও সামিনার জীবনে ছন্দপতন ঘটে যায় এরপরেই।আরও পড়ুনঃ ফের আংশিক লকডাউনের সম্ভাবনা রাজ্যে, আপাতত বাতিল দুয়ারে সরকার কর্মসূচিঅষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত কালেই ছাত্রী সামিনার শারীরিক অসুস্থতা শুরু হয়। তাঁর বাবা মা তাঁকে জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। পরিবারের সকলে তখন মনে করেছিলেন জামালপুর হাসপাতালের ডাক্তারবাবুদের চিকিৎসাতেই সামিনা সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু তা হয় না। বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টে ধরা পড়ে সামিনার শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ ব্যাধি। তার পর থেকে টানা দুবছর ধরে তাঁর ক্যানসার রোগের চিকিৎসা চলছে। এখন নিয়ম করে সামিনাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কেমো থেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপি-র জন্য নিয়ে যেতে হয়। এর জন্য মাথার চুল সব উঠে যাওয়ায় সামিনা প্রথমে একটু মুষড়ে পড়েছিল ঠিকই। তবে এখন তা নিয়ে সামিনা আর মাথা ঘামাতে চায় না। তাঁর মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন সে সফল ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তির্ণ হওয়ার জন্য শুধুই পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে।সমিনা জানিয়েছে, তাঁর দুই কানের নিচে গলার অংশে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। চিকিৎসা চলছে ঠিকই তবে এখনও খাওয়া দাওয়া সে ভালভাবে করতে পারছে না। গলায় খুব ব্যাথা থাকায় ভাত গিলে খেতে পারছে না। শুধু পাতলা সুজি কোনওরকমে খেয়ে দিনের পর দিন তাঁকে পেট ভরাতে হচ্ছে। তবে কষ্ট যাই থাক লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে সে বিছানায় শুয়ে থেকে দিন কাটাতে চায় না। সামনেই তাঁর মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় সফল ভাবে তাঁকে উত্তীর্ণ হতেই হবে। তাই মারণ ব্যাধির জ্বালা যন্ত্রণা সব সহ্য করে নিয়ে সে এখন শুধু পড়াশুনাতেই মনোনিবেশ করেছে বলে আত্মবিশ্বাসী সামিনা জানিয়েছে।আরও পড়ুনঃ বাহার কী স্বাদ ঘর মে- চিকেন রেশমি কাবাবছাত্রী সামিনার বাবা শেখ আলম বলেন , আমি খেতমজুরির কাজ করে যে টুকু রোজগার করি তা দিয়েই পরিবারের সকলের দিন গুজরান হয়। দুবছর ধরে আমার ছোট মেয়ে সামিনার ক্যানসার রোগের চিকিৎসা চলছে। মেয়ে এতবড় কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেও অর্থের অভাবে তাঁকে পুষ্টিকর খাবারদাবার কিছুই দিতে পারছি না। মেয়ের স্কুলের শিক্ষক মহাশয়গণ ছাড়াও জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মেহেমুদ খাঁন, কর্মাধ্যক্ষ ভূতনাথ মালিক, স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য শেখ জিয়ারুল রহমান সহ আরও কয়েকজন শুভানু্ধ্যায়ী আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই কেমো থেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপির জন্য মেয়েকে নিয়মিত বর্ধমান হাপাতালে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা ও ওষুধের খরচ জোগাড় করতে পারছি।আলম বাবু আরও বলেন, কঠিন রোগে আক্রান্ত হলেও তাঁর মেয়ে দমে যায়নি। সফল ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করার জন্য সে এখন পুরোদমে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে। সামিনার মা নূরজাহান বেগম বলেন, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাপাতালেই তাঁর মেয়ের চিকিৎসা চলছে। কোন সহৃদয় মানুষ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তবে মেয়েকে ভিন রাজ্যের বড় কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতে পারেন। অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার জন্য নূরজাহান বেগম সকলের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন।আরও পড়ুনঃ প্রায় ৩ লক্ষ কিশোর-কিশোরীকে করোনার টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু পূর্ব বর্ধমানেবনবিবিতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল রায় বলেন, সামিনা খাতুন আমাদের বিদ্যালয়ের এ- বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। দু,বছর আগে ওর শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ওর চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার জন্য বিদ্যালয়ের তরফে যতটা সম্ভব সামিনাকে সাহায্য করা হয়েছে। সামিনা মাধ্যমিক পরীক্ষায় স-সন্মানে যাতে উত্তীর্ণ হতে পারে তার জন্য বিদ্যালয়ের তরফে সমস্তরকম সহযোগিতা থাকছে। শ্যামলবাবু এও বলেন, সামিনা আমাদের চোখে জীবন সংগ্রামের যোদ্ধা । জীবন যুদ্ধেও সামিনা যাতে জয়ী হতে পারে সেই লড়াইয়েও সামিনার পাশে রয়েছেন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার কমিটির বৈঠকের সময়ে সামিনার অসুস্থতার বিষয়টি বিদ্যালয়ের তরফে লিখিত ভাবে জানিয়ে রাখা হবে। পরীক্ষার দিনগুলিতেও সামিনাকে যাতে কোন অসুবিধায় পড়তে না হয় সেই বিষয়েও বিদ্যালয় নজর রাখবে বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। জামালপুর ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন, ব্লক প্রশাসনও মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়ে অসুস্থ ছাত্রী সামিনার পাশে থাকবে। ওর যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তা নেওয়া হবে।

জানুয়ারি ০১, ২০২২
রাজ্য

Examination Schedule: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক নির্ঘণ্ট ঘোষণা, পরীক্ষার সূচি জানুন

আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ৭ মার্চ থেকে শুরু হবে ২০২২ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিক শুরু হবে ২ এপ্রিল থেকে। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত। উচ্চ মাধ্যমিক হবে হোম সেন্টারে। অর্থাৎ স্কুলেই হবে পরীক্ষাগ্রহণ।২০২২ সালের মাধ্যমিকের সূচি-৭ মার্চ বাংলা৮ মার্চ ইংরেজি৯ মার্চ ভূগোল১১ মার্চ ইতিহাস১২ মার্চ জীবনবিজ্ঞান১৪ মার্চ অঙ্ক১৫ মার্চ ভৌত বিজ্ঞান১৬ মার্চ ঐচ্ছিক বিষয়পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মাধ্যমিক শুরু হবে সকাল ১১টা ৪৫ থেকে। চলবে বেলা ৩টে পর্যন্ত। প্রথম ১৫ মিনিট প্রশ্নপত্র পড়ুয়ারা পড়বে। পরের তিন ঘণ্টা থাকবে লেখার জন্য। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন ৯ হাজার ৯৯১ টি স্কুলের পড়ুয়ারা। আমাদের হোম সেন্টার হবে না। কোভিড বিধি মেনে যতখানি পারব পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়াব। সেই হিসাবে পরীক্ষা হবে। এখনও অবধি সিদ্ধান্ত টেস্ট আমরা নেব। তবে সবটাই নির্ভর করবে কোভিড পরিস্থিতির উপরে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে স্কুলগুলিতে টেস্ট পরীক্ষার ব্যবস্থা করা যাবে বলে আশাবাদী পর্ষদ সভাপতি।অন্যদিকে ২ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মোট ৫৬ টা বিষয়ের উপর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে। একাদশে রয়েছে ৬০টি বিষয়ে পরীক্ষা। কারণ এ বছর একাদশে আরও চারটি ভোকেশনাল কোর্স বেড়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশের পরীক্ষা হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা ১৫ পর্যন্ত। একই দিনে একাদশের পরীক্ষা হবে বেলা ২টো থেকে বিকেল ৫টা ১৫ পর্যন্ত। উচ্চমাধ্যমিকের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা শুরু হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ। প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষাগুলো স্কুলগুলিই পরিচালনা করবে।

নভেম্বর ০১, ২০২১
শিক্ষা

Madhyamik Result 2021: মাধ্যমিকে নজিরবিহীন ফল, পাশ ১০০ শতাংশ, ৬৯৭ নম্বর পেল ৭৯ জন

Madhyamik Exam 2021: মাধ্যমিকে পাশের হার এবার অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেল। করোনা আবহে ১০০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীকেই পাশ ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে এবার কোনও মেধাতালিকা প্রকাশিত হচ্ছে না। মঙ্গলবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ২০২১ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করেন। পর্ষদের ৪৯টি ক্যাম্প থেকে মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ড এবং সার্টিফিকেট বিতরণ হবে। ৭৯ জন পরীক্ষার্থীর সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৭।এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭৫০ জন। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যাও ছিল বেশি। মাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তি ছিল নবম শ্রেণির ফল ও দশম শ্রেণির ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট। দুই পরীক্ষা থেকেই ৫০ শতাংশ নম্বর নেওয়া হয়েছে। এদিনই করোনাবিধি মেনে স্কুলগুলি থেকে মাধ্যমিকের মার্কশিটের সঙ্গে অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা।ফল জানা যাবে নীচের ওয়েবসাইটগুলি থেকেঃ-www.wbbse.wb.gov.inhttps://wbresults.nic.inwww.exametc.comMadhyamik Result 2021- এই অ্যাপ ডাউনলোড করেও জানা যাবে পরীক্ষার ফল।করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা না হওয়ায় বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে এবারের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হল। এবার পাশ করেছে সকলেই অর্থাৎ নজিরবিহীন ভাবেই এবার পাশের হার ১০০ শতাংশ। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। মাধ্যমিকে পাশের হার গতবছর ছিল ৮৬.৩৪ শতাংশ।

জুলাই ২০, ২০২১
রাজ্য

Madhyamik Result: মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ এ মাসেই

আগামি ২০ জুলাই ফলপ্রকাশ হতে চলেছে এবছরের মাধ্যমিকের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে শুক্রবার একথা ঘোষণা করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে ফল প্রকাশ করবে পর্ষদ। বেলা ১০ টা থেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ও বোর্ডের অ্যাপে এই ফল জানতে পারা যাবে। করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার দশম শ্রেণির পরীক্ষা হয়নি। ফলে পড়ুয়ারা অ্যাডমিট কার্ডও পায়নি। তাই এবার পড়ুয়াদের ফল জানতে হবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং জন্মতারিখ ব্যবহার করে। স্কুল থেকে মার্কশিট নিয়েও ব্যবহৃত হবে রেজিস্ট্রেশন নম্বর। যে যে ওয়েবসাইটে ফল জানা যাবে, তা নিম্নরূপ:www.wbbse.wb.gov.inhttps://wbresults.nic.inwww.exametic.com

জুলাই ১৬, ২০২১
রাজ্য

Madhyamik and Higher Secondery Examination: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন পদ্ধতির ঘোষণা করল বোর্ড

করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে স্থগিত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক। বিকল্প পদ্ধতিতে কীভাবে মূল্যায়ন হবে, যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করে ফর্মুলা জানালেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক সংসদের সভাপতি। কোনও পড়ুয়া চাইলে বসতে পারে দশমের পরীক্ষায়। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে ফলপ্রকাশের সম্ভাবনা। বিকল্প পরীক্ষা পদ্ধতি জানতে পেরে স্বস্তিতে পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকরা।মধ্যশিক্ষা (Madhyamik) পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, মাধ্যমিকের বিকল্প হিসাবে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফল এবং দশম শ্রেণির অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফলপ্রকাশ করা হবে। ওই নম্বরে কেউ সন্তুষ্ট না হলে আবেদন করতে পারে। সেক্ষেত্রে নেওয়া হবে পরীক্ষা। ওই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে দেওয়া হবে মার্কশিট। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ডঃ মহুয়া দাস জানান, উচ্চমাধ্যমিকের বিকল্প হিসাবে ২০১৯ সালের মাধ্যমিকের চারটি বিষয়ের সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তি করে ৪০ শতাংশ নম্বরের ওয়েটেজ, ২০২০ সালের একাদশের বার্ষিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ৬০ শতাংশ ওয়েটেজ এবং দ্বাদশের প্র্যাকটিকাল প্রজেক্টের ভিত্তিতে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ফলপ্রকাশ করা হবে। করোনা আবহে বারবার পিছিয়েছে মাধ্যমিক (Madhyamik Exam) এবং উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondery Exam)। বিধানসভা নির্বাচনের পর বোর্ডের দুই পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেই প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে স্কুলপড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রেখে কীভাবে তা নেওয়া সম্ভব, সে বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনা হয়। করোনা আবহে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে জনমতও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জনমত পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী চলতি বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে বিকল্প পদ্ধতিতে কীভাবে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হবে, তা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক সংসদ স্থির করবে বলেও জানান তিনি।

জুন ১৮, ২০২১
রাজ্য

করোনা আবহে জনমতের ভিত্তিতে বাতিল মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক

করোনা আবহে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের দেখানো পথে হেঁটে চলতি বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করল রাজ্য । বিশেষজ্ঞদের মতামত এবং রাজ্যের জনসাধারণের দেওয়া রায়ের উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার জানিয়েছেন। নবান্নে এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে একদিনের মধ্যে প্রায় ৩৪ হাজার মানুষ ইমেইল মারফত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পর্কে তাদের মতামত জানিয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই বর্তমান পরিস্থিতিতে চলতি পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার বিপক্ষে। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টেরও পর্যবেক্ষণ রয়েছে। সিবিএসই-সহ কেন্দ্রীয় বোর্ড ও অন্যান্য রাজ্যও বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিল করেছে। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। কিন্তু ছাত্র ছাত্রীদের যাতে এই সিদ্ধান্তের ফলে কোন অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে কীভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞানসম্মত এবং গ্রহণযোগ্য মূল্যায়ন করা যায় তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্থির করতে তিনি শিক্ষা দপ্তর ও বিশেষজ্ঞ কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক এবং সিবিএসই মূল্যায়ন যেন একসঙ্গে হয় তাও মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করতে বলেছেন।মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের সঙ্গে সিবিএসই ও আইসিএসই ও আইএসসি-এর সঙ্গে মিলিয়ে যেন পরীক্ষা নেওয়া হয়। পড়ুয়াদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই দুটি বিষয় আমরা রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষজ্ঞ কমিটিকে জানিয়েছি। জনমতকে গুরুত্ব দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী এটাও জানান যে, বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ, এ বছর পরীক্ষা না করার দিকেই। ৮৩ শতাংশ মানুষ পরীক্ষা না নেওয়ার পক্ষে। ই-মেলে সাধারণ মানুষ সেই মতামতই জানিয়েছেন।

জুন ০৭, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal