• ৭ পৌষ ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

MI

রাজনীতি

মুখ্যমন্ত্রীও বলছেন খেলা হবে, কী ভূমিকা নেবেন মমতা?

খেলা হবে স্লোগানে মাতোয়ারা বাংলার রাজনীতি। ডান-বাম সব পক্ষই বলছে খেলা হবে। কী খেলা হবে তা কেউ ব্যাখ্যা করছে না। তবে খেলায় জিতব বলে সকলেই দাবি করছে। এরই মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি খেলবেন গোলরক্ষকের ভূমিকায়। তিনি যে কারও চমকানি ধমকানিতে ভয় পান না, ফের হুঁশিয়ার করেছেন মমতা। তাছাড়া জয় বাংলা স্লোগান যে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান দিয়েছেন সেকথাও স্মরণ করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।খেলা হবে-তে তিনি থাকছেন বলেই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা বলেছেন, একুশেই চ্যালেঞ্জ হবে। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম দেখি কার জোর কত বেশি। একুশে একটাই খেলা হবে, আমি থাকব গোলরক্ষক। কারা হারে কারা জেতে সেটা আমি দেখতে চাই। জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে কটাক্ষ করে আসছে পদ্মশিবির। এটা বাংলাদেশের স্লোগান বলেই বিজেপির দাবি। সেই দাবিকেই সিলমোহর দিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, যদি জেলে পাঠিয়ে দেয় তাহলেও আমি জেল থেকে ডাক দেব বঙ্গবন্ধুর মতো জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় হিন্দ, জয় হিন্দ, জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম। হারতে আমরা শিখিনি আমরা হারব না। হারাতে আমাদের পারবে না। এটাই আমাদের ভাষা দিবসে আমাদের শপথ। ভাষা দিবসের অঙ্গীকার।ভাষা দিবসে মমতার আক্ষেপ কেন এই রাজ্যের নাম বাংলা হবে না। এটা তো রাজ্য বা প্রদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে মিলবে কেন? বলেন মমতা। তিনি বলেন, ওড়িষা হবে, বাংলা হবে না। বরাবরই বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ। এটাতো বাংলা রাজ্য। বাংলাদেশ তো নয়। পাকিস্তানেও তো পাঞ্জাব আছে। তাতে কী হয়েছে। নেতাজি সুভাষ বোস, রবীন্দ্রনাথকে অবহেলিত হতে হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, বাংলা মানেই বাঙ্গাল ওতো সবসে জাদা খারাপ হ্যায়। বাঙাল বলেছে কাঙাল বলেছে কত কিছু বলেছে।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
কলকাতা

শহরে জাল ছড়াচ্ছে ডার্কওয়েব

অপরাধেরর ধরণ পাল্টাচ্ছে কলকাতায়। ডার্কওয়েব ও সাইবার জালিয়াতি সংযুক্ত হচ্ছে অপরাধ জগতে। এবার এই আধুনিক অপরাধের মোকাবিলা করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। শনিবার প্রত্যেক থানার ওসি ও পুলিশ কর্তার সঙ্গে অপরাধ দমনে বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার। এই পদে দ্বিতীয়বারের জন্য আসার পর থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের নিয়ে এটিই তাঁর প্রথম বৈঠক। অপরাধ দমনের সঙ্গে সঙ্গে যাতে পুলিশের সুনাম বজায় থাকে, সেই ব্যাপারে আধিকারিকদের গুরুত্ব দিতে বলেন। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনীদের থাকার জায়গা ও বাহিনী কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়।পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ডাকাতির সংখ্যা বেশি ছিল কলকাতায়। চুরি-ডাকাতির মতো অপরাধের পরিমাণ ক্রমশ কমে আসছে। কিন্তু বাড়ছে অন্য ধরণের অপরাধ।যার মধ্যে ডার্কওয়েব বা সাইবার অপরাধ রয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার কলকাতা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭৬ গ্রাম কোকেন। এই ধরনের মাদক ডার্কওয়েবের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আনা হয়। এ ছাড়াও ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে যে ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে, সেই ব্যাপারে প্রত্যেক থানার ওসি ও পুলিশকর্তাদের জানানো হয়। এ ছাড়াও প্রত্যেকদিন কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাইবার অপরাধের অভিযোগ আসছে। সেই কারণে লালবাজার সাইবার থানা ছাড়াও প্রত্যেকটি ডিভিশনে তৈরি হয়েছে সাইবার সেল। সাইবার অপরাধের মোকাবিলা ব্যাপারে বিভিন্ন নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। সামনেই তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কলকাতায় আসছে। এর পর আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী শহরে আসবে। তাদের থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে করার নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনী কলকাতার কোন কোন জায়গায় রুট মার্চ করবে, তা নিয়েও আলোচনা করেন লালবাজারের কর্তারা।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
কলকাতা

ভোটের মুখে তৃণমূলের নতুন স্লোগান

ভোটের মুখে তৃণমূলের নতুন স্লোগান। দিদিকে বলো, বাংলার গর্ব মমতার পর এবার বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়। বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে নতুন স্লোগান প্রকাশ্যে আনতে চলেছে তৃণমূল। শনিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনে এই নতুন স্লোগানের উদ্বোধন করবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। উপস্থিত থাকতে পারেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ দলের শীর্ষ নেতারা।বাংলার নির্বাচনের আগে স্পষ্টতই বাঙালি আবেগকে হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল। তাঁদের প্রচারের একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে বাংলা বনাম বহিরাগতর তত্ত্ব। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বহিরাগত বলে দেগে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘরের মেয়ে হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসকদল। সেই লক্ষ্যেই বাংলার গর্ব মমতা নামের প্রচারাভিযান ইতিমধ্যেই শুরু করেছে শাসকদল। এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের মেয়ে ভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতে চাইছে শাসকদল। সূত্রের খবর, তৃণমূলের এই নতুন স্লোগানের পিছনেও রয়েছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের মস্তিস্ক। ইতিমধ্যেই বাংলা নিজের মেয়েকেই চায় শীর্ষক বেশ কিছু ব্যানার পড়েছে শহর কলকাতায়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আই-প্যাক এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচার শুরু করেছে।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে আসছে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

বঙ্গ বিধানসভা ভোটের সুর চড়ল আরও। চলতি মাসেই ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে চলেছে রাজ্যে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই ধাপে ধাপে বাহিনীর জওয়ানরা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঢুকতে শুরু করবে। ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের চলে আসার কথা। রাজ্যে ইতিমধ্যেই মোতায়েন থাকা বাহিনীর সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবেন তাঁরা। ভোট ঘোষণার আগেও বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় টহলদারি চালাবেন বাহিনীর জওয়ানরা। চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা। তা মানছেন দিল্লির নির্বাচন কমিশনের কর্তারাও। কমিশনের ফুল বেঞ্চ ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিস্থিতি পরিদর্শন করে গিয়েছে তিনদিনের সফরে এসে। সেসময় তাঁরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে, প্রশ্ন করা হয়েছিল, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কি ভোটের মাসখানেক আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে বাংলায়? জবাবে তাঁরা জানিয়েছিলেন, নিয়ম মেনেই বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা বাড়ানো হবে। তাছাড়া ভোটের সময় কত বাহিনী হাতে থাকবে, তার উপর নির্ভর করবে কোথায় তাঁদের কীভাবে বিন্যস্ত করা যাবে। স্পর্শকাতর ও অশান্ত জায়গার বাসিন্দাদের মনে ভরসা জোগাতে এমনিতেও ভোটের দিন কয়েক আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় হয়ে ওঠে। এবারও তেমনটাই হতে চলেছে। তবে ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই রাজ্যে আধাসামরিক বাহিনী ঢুকতে শুরু করবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায় সবচেয়ে বেশি কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
রাজ্য

গুচ্ছ প্রতিশ্রুতির মাঝে সোনার বাংলা গড়ার শাহি ডাক

কখনও বলেছেন রাজ্যে কার্যকর হবে কৃষক সম্মান নিধি, কখনও আবার আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এমনকী, রাজ্যে বিজেপি সরকার গড়লে লক্ষাধিক কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। বৃহস্পতিবার নামখানা থেকে পরিবর্তন যাত্রা সূচনার আগে আরও এক বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।মঞ্চে উপস্থিত সমস্ত নেতৃত্বকে এবং উপস্থিত জনতাকে সম্ভাষণ করে তিনি নিজের বক্তব্য শুরু করেন। ● আজ আমার জন্য খুব সৌভাগ্যের দিন। আজ আমি গঙ্গাসাগর দর্শন করে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। ● বাংলায় পরিবর্তন করার জন্য আমরা আজ সবাই উপস্থিত হয়েছি। আজ পরমহংস শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের এবং শ্রী চৈতন্যদেবের জন্মদিন। খুবই শুভময় দিন আজ। ● আজ পরিবর্তন যাত্রার পঞ্চম দফায় শুরু হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গের সব বিধানসভায় যাবে এই যাত্রা। সব বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই আমরা তৃনমূলকে উৎখাত করব। ● এই যাত্রা প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা নিয়ে আসছে। বড় বড় মিছিল, ১৫০০ অধিক সভা এবং সব বুথের কর্মী অংশগ্রহণ করবেন। ● এই লড়াই পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা করার, তৃনমূলের সিন্ডিকেট শেষ করার লড়াই।● সিন্ডিকেট করেন যারা তাঁরা সাহায্য মানুষ পর্যন্ত পৌঁছতে দেয় না। এই সিন্ডিকেট রাজ আপনারা বদলাবেন তো? পরিবর্তন করবেন তো?● আমাদের লক্ষ্য হল বাংলায় পরিবর্তন। গরিব জনতার পরিবর্তন, মা বোনদের পরিবর্তন। এই জন্য এই যাত্রা। জেলেদের, আদিবাসীদের কাটমানি না দিতে হয় তার জন্য এই যাত্রা। ● প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আম্ফানের সময় যাতে আপনার বরাদ্দ কেউ না নিতে পারে তাই এই যাত্রা। তুষ্টিকরণ বন্ধ করে, দুর্গা পূজা, সরস্বতী পূজা, রাম নবমী যাতে ভালোভাবে পালন করা যায় তাকেই পরিবর্তন বলে।● এই পরিবর্তন শুধু ক্ষমতা বদলের পরিবর্তন নয়। গঙ্গাসাগরের পরিবর্তন, এখানে মৎস্যজীবী, আদিবাসীদের অবস্থা বদলানোর জন্য পরিবর্তন। ● যতদিন মমতা ব্যানার্জি ক্ষমতায় আছেন বাংলায় আইন শৃঙ্খলা উন্নতি হতে পারে না। ● কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বতে বড় ইঞ্জিন সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু এখানে তাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আপনারা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গঠিত করুন যারা কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। ● বন্ধুগণ, এখানে আর্থিক ব্যবস্থা এত করুন এখানে সপ্তম পে কমিশন পাননা সরকারি কর্মীরা। বিজেপি সরকার গঠিত হলে সপ্তম পে কমিশন চালু হবে।● শিক্ষকরা কোমর পর্যন্ত জলে দাঁড়িয়ে নিজেদের দাবি ন্যায় জানাচ্ছেন। আমি শিক্ষক ভাইবোনদের জানাতে চাই ক্ষমতায় এসে যাতে আপনারা ন্যায় পান তার জন্য আমরা কমিটি গঠন করব। ● মৎস্যজীবীদের জন্য ৬০০০ টাকা করে দেওয়া হবে মৎস্যজীবী সম্মান নিধি। মৎস্যজীবীদের জন্য একটি অর্গানাইজেশন গঠন করা হবে যাতে মৎস্যজীবীরা সঠিক দাম পান। তার জন্য একটি মন্ত্রণালয় বানানো হবে। ● ২৪ পরগনায় তৈরি হবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ হাব। ● গঙ্গাসাগরকে পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক পিঠস্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ● গঙ্গাসাগরের মেলাকে আন্তরাষ্ট্রীয় রূপে গড়ে তোলা হবে যাতে দেশে বিদেশে মানুষ আসেন। ● তৃনমূল অল্প দিনে কিছু যোজনা ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু কিছুই হয়নি। ইন্টিগ্রেটেড ফিসারি জোন তৈরি হয়নি। সুন্দরবনকে আলাদা জেলার কথা বললেও তা হয়নি। ঝড়খালীতে পর্যটন গড়ে ওঠেনি। আমফানের পর মোদিজির পাঠানো টাকা তৃণমূলের গুন্ডা খেয়ে নিয়েছে। ● আমি সবাইকে বলছি, বিজেপি সরকার গঠিত হলেই একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করে যারা আম্ফানে দুর্নীতি করেছে তাদের জেলে পাঠানো হবে। ● মোদিজি ৩৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু কিছু হয়নি। তৃণমূলের একটাই কল্যাণ। ভাইপোর কল্যাণ। ● এটি দুর্যোগপ্রবণ এলাকা। বিজেপি ক্ষমতায় এসেই জিরো ক্যাজুয়ালটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করবে। যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কারও প্রাণ না যায়। ● বাংলায় রাজনৈতিক হিংসায় আমাদের ১৩০ অধিক বিজেপি কার্যকর্তার মৃত্যু হয়েছে। মমতা দিদি আপনার গুন্ডা কর্তৃক মৃত ১৩০ অধিক কর্মীর বলিদান ব্যর্থ যাবে না। রাজ্যজুড়ে প্রবল পরাক্রমে পদ্ম ফুটবে।● যে গুন্ডারা আজ লুকিয়ে আছে তাদের বলছি বিজেপি পাতাল থেকে খুঁজে বের করে আপনাদের জেলে পাঠাবে।● নিবার্চনে তৃণমূলের গুন্ডা থাকবে না।● বাংলার উন্নয়নের জন্য মোদি প্রভূত টাকা পাঠান। কিন্তু সিন্ডিকেট খেয়ে নেয় টাকা। ● কংগ্রেস আমলে ৫ বছরে বাংলার জন্য ১ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল। ● মোদি সরকার ৩ লক্ষ ৫৯ কোটি টাকা দিয়েছে।● কিন্তু গ্রামে গ্রামে কিছুই পৌঁছয় না। ভাইপো আর তার গুন্ডা খেয়ে নিয়েছে সব। সব তদন্ত হবে। ● মমতা ব্যানার্জি অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারেনি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করবে। ● দুর্গাপূজার জন্য আদালত থেকে অনুমতি নিতে হয়। সরস্বতী পূজা বন্ধ করিয়ে দেওয়া হয়। জয় শ্রীরাম শুনলে দিদির অপমান লাগে। জয় শ্রীরাম আমাদের পরিবর্তনের প্রতীক ।● এই পরিবর্তন যাত্রাকে আপন করে নিন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটা সুযোগ দিন সোনার বাংলা গড়ে তোলার। পাঁচ বছরে সোনার বাংলা গড়ে দেব।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
রাজ্য

এসএসকেএম-এ জাকির, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা মমতার

বোমাবাজিতে আহত খোদ রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন।তাঁকে দেখতে এসএসকেএমে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বললেন চিকিৎসকদের সঙ্গে। খোঁজ নিলেন মন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার। ঘটনার জন্য কেন্দ্রকে তোপও দাগেন মমতা। বলেন, জাকিরের ভাগ্নে বলেছে রিমোটে বোমা ফাটানো হয়েছে। পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক। জাকির কমিটেড ছেলে। ওকে কদিন ধরেই দল ছাড়তে বলছিল কেউ কেউ। একসঙ্গে ৩০-৪০ জন থাকে সবসময়। তাই গুলি করে লাভ হবে না বুঝেই বোমা ছুঁড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গুরুতর জখমদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সামান্য আহতরা পাবেন ১ লক্ষ টাকা।বিস্ফোরণের ঘটনায় মন্ত্রীর হাতের একটি আঙুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি পায়ের একাধিক জায়গায় স্প্লিন্টারের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।উল্লেখ্য, বুধবার রাতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার তদন্তের দাবিতে সবর হয়েছিল সবমহল। বৃহস্পতিবার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। বিস্ফোরণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে নিমতিতা স্টেশনে গিয়েছে বম্ব স্কোয়াডের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে যাবে সিআইডি। সেই কারণে ফরাক্কা-জঙ্গিপুর আজিমগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে নিমতিতা স্টেশন চত্বর। মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটা থেকে জঙ্গিপুরের ওমরপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনার রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। প্রশ্ন করা হচ্ছে, মন্ত্রীর যাত্রার কথা থাকা সত্ত্বেও কেন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হল না। সব মিলিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জারি চাপানউতোর।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
রাজ্য

'রিগিং আমরা করব, ওরা দেখবে'

রিগিং আমরা করব ওরা দেখবে, আমরা জিতব। মন্তব্য বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এর।বুধবার বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার দ্বিতীয় সভায় বক্তব্য রাখতে এসে এই মন্তব্য করেন সৌমিত্র বাবু। তিনি বলেন, খন্ডঘোষ রায়নার তৃণমূল নেতা নবীন ও ফাগুনকে ভয় পাবেন না। ওরা হাটুর নীচে থাকবে। রিগিং যদি করতে হয় আমরা করব, ওরা দেখবে।বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি মাফুজা খাতুন বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলের নেতাদের ব্লাড টেস্ট করাচ্ছেন না। ব্লাড টেস্ট করালেই সব তৃণমূল নেতারা বিজেপি পজিটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর মা ক্যান্টিন প্রকল্পকে কটাক্ষ করে বলেন দ্বিতীয় দিনে ফুল ডিম হাফ হয়ে গিয়েছে।এই সভায় সৌমিত্র খাঁ, মাফুজা খাতুন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, সাংসদ এস এস আহলুওয়ালিয়া-সহ জেলার বিজেপি নেতৃত্ত্ব।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
রাজ্য

বোমার আক্রমণে জখম খোদ রাজ্যের মন্ত্রী হাসপাতালে, উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ

বোমাবাজিতে জখম হলেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী। শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন। জানা গিয়েছে, তাঁর হাতের আঙুল উড়ে গিয়েছে। তাঁকে প্রথমে জঙ্গীপুর সুপার স্পেশালিটি হাসাপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। তারপর তাঁকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তাঁর সঙ্গী বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। মন্ত্রীর ওপর বোমাবাজির ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আবেদন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবু তাহের।জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে জাকির হোসেন নিমতিতা রেল স্টেশনে যান কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেন ধরতে। নিজের গাড়ি থেকে নেমে তিনি সমর্থকদের সঙ্গে হাঁটছিলেন। জাকিরবাবু জিন্দাবাদ বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁর অনুগামীরা। তখন হঠাতই বোমার আওয়াজে নিমতাতা স্টেশনের দুনম্বর প্লাটফর্ম কেঁপে ওঠে। মুহূর্তের মধ্যে চিতকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে যায়। বোমার আঘাতে জখম রাজ্যের মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গীপুর হাসপাতালে। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে মন্ত্রীকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবু তাহের বলেন, কে কারা এই বোমাবাজির ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। আমার সঙ্গে তিনি বিকেল পর্যন্ত ছিলেন। তিনি ব্যবসায়ী, সমাজসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে।এদিকে রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃত্ব এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছে। সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, এখানে তৃণমূলের মন্ত্রীরাও বাদ যাচ্ছেন না। দুদিন আগেই আমাদের উত্তর ২৪ পরগনার নেতা বাবু মাস্টারের ওপর বোমাবাজি হয়েছে। এদিন খোদ মন্ত্রীর ওপর হামলা হল। কীভাবে এরাজ্যে শান্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন হবে সেটাই চিন্তার বিষয়।এদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীর বক্তব্য, জাকির হোসেনের মত ভাল মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসে কখনও থাকতে পারেন না। এই দলে মন্ত্রীর ওপর হামলা হয়।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
রাজ্য

একই জেলায় সভা শাহ ও মমতার

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুদিনের সফরে আজ রাজ্যে আসছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে দিল্লি থেকে কলকাতা বিমান বন্দরে পৌঁছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিউটাউনে পাঁচতারা হোটেলে যাবেন এবং সেখানে রাত্রিবাস করবেন। আগামীকাল সকালে পাঁচতারা হোটেল থেকে রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। রাসবিহারী অ্যাভিনিউ পৌঁছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ পরিদর্শনে যাবেন। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে রেসকোর্স হেলিপ্যাড ময়দানে পৌঁছে হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। গঙ্গাসাগরে পৌঁছে কপিল মুনির আশ্রমে গিয়ে আশ্রম দর্শন করবেন। এরপর এক দরিদ্র পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন করবেন। মধ্যাহ্নভোজনের পর গঙ্গাসাগর হেলিপ্যাড ময়দানে এসে হেলিকপ্টারে নামখানায় পৌঁছবেন। সেখানে নামখানা ময়দানে পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করে কাকদ্বীপ রেল স্টেশন পর্যন্ত পরিবর্তন যাত্রায় অংশ নেবেন।এরপর কাকদ্বীপ থেকে হেলিকপ্টারে কলকাতায় আসবেন। বিকেলে কলকাতায় এসে বিবাদীবাগ পৌঁছে সেখানে ফ্রিডম ফাইটার বাইক যাত্রার সূচনা করবেন। বিবাদীবাগ থেকে শেক্সপিয়ার সরণি পৌঁছে শ্রী শাহ অরবিন্দ ভবন পরিদর্শনে যাবেন। এরপর শহরের দুটি পাঁচতারা হোটেলে দুটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তারপর কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।এদিকে বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানে জনসভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে থাকবেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই জেলায় দুই প্রান্তে দুই প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক কর্মসূচি। একই দিনে জবাব দেওয়ার সুযোগ। পাল্টা আক্রমণের ক্ষেত্র তৈরি করা। আবার ২২ ফেব্রুয়ারি হুগলির ডানলপে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই ২৪ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করবেন।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
দেশ

বঙ্গ জয়ে এবার গেরুয়া শিবিরের প্রচারক মিঠুন?

বাংলার ভোটের মুখে হঠাতই সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তীর মুম্বইয়ের বাংলোয় হাজির আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। মঙ্গলবার সাতসকালে মহাতারকার বাংলোয় যান ভাগবত। ভোটের মুখে এই সাক্ষাৎ ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি বাংলার নির্বাচনে মিঠুনদার সমর্থন চাইছে সংঘ পরিবার? শুরু হয়েছে কানাঘুষো।মোহন ভাগবতের সঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তীর এই সাক্ষাৎ অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে নাগপুরে ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন মহাগুরু। দুজনের মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময় হয়। সূত্রের খবর, তখনই ভাগবতকে নিজের বাড়িতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান মিঠুন। মঙ্গলবার বসন্ত পঞ্চমীর সকালে মুম্বইয়ের মাঢ় অঞ্চলে মহাতারকার বাংলোয় হাজির হন আরএসএস প্রধান। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের। অভিনেতা অবশ্য দাবি করেছেন, এই বৈঠক অরাজনৈতিক। তাঁর দাবি, ওঁর সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়েছে। বৈঠক নিয়ে মুখই খুলতে চাননি আরএসএস প্রধান।প্রসঙ্গত, মিঠুন চক্রবর্তী দীর্ঘদিন এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সদস্যও করা হয় তাঁকে। একটা সময় এরাজ্যের শাসকদলের হয়ে ভোটের প্রচারেও দেখা গিয়েছে মিঠুনকে। বছর পাঁচেক আগে একটি চিটফান্ড মামলায় নাম জড়ায় মিঠুনের। একটি অর্থলগ্নি সংস্থার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ ওঠার কিছুদিন পরই রাজনীতির ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান মিঠুন। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরএসএস প্রধানের সঙ্গে মিঠুনের এই সাক্ষাৎ সেজন্যই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটের মুখে মিঠুনের সমর্থন জোগাড় করতে পারলে বিজেপি যে বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে যাবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সম্ভবত সেকারণেই মিঠুনের সঙ্গে আরএসএসের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করল বিজেপি।

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
বিনোদুনিয়া

ধুম ৪'-এ খলনায়ক নয়, দেখা যাবে খলনায়িকাকে

দীর্ঘ ৮ বছর পরে ফের শুটিং ফ্লোরে ধুম। ২০১৩-এর পর আবারও দর্শকদের মনোরঞ্জনের রসদ নিয়ে আসতে চলেছে চোর-পুলিশের খেলা। জন আব্রাহাম, হৃত্বিক রোশন ও আমির খানের পর এবার খলনায়ক কে হবেন তা নিয়ে উৎসুক সিনেমাপ্রেমীরা। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। ধুম ৪-এ খলনায়ক নয়, দেখা যাবে খলনায়িকাকে। যে চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন দীপিকা পাড়ুকোন। ইতিমধ্যেই এই ছবি নিয়ে কথা হয়েছে দীপিকার সঙ্গে। তিনিও কাজটি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। হাতে থাকা অন্যান্য ছবির শুটিং শেষ হলেই ধুম ৪-এর কাজে হাত দিতে পারেন দীপিকা পাড়ুকোন। চোর পুলিশের লুকোচুরি নিয়ে অ্যাকশন থ্রিলারে ভরপুর ধুম মুক্তি পায় ২০০৪-এ। সঞ্জয় গান্ধবী পরিচালিত, অভিষেক বচ্চন, উদয় চোপড়া, জন আব্রাহাম ও এষা দেওল অভিনীত ধুম বক্স অফিসে ব্যাপক সাড়া ফেলে। ছবির সাফল্য দেখে ২০০৬-এ বড় পর্দায় আসে ধুম-২। তার সাত বছর পর মুক্তি পায় ধুম ৩। এবার পালা নতুন সিক্যুয়েলের। আর নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি দীপিকাও।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
কলকাতা

চলতি মাসেই ফের রাজ্যে মোদি-শাহ-নাড্ডা!

একুশের নির্বাচনের প্রচারে অনেকবার বাংলায় আসবেন। আগেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসে একাধিক কর্মসূচিতে অংশও নিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, চলতি মাসে ফের তিনি বঙ্গে আসছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপ থেকে পরিবর্তন রথযাত্রার উদ্বোধন হবে তাঁর হাত দিয়েই। তবে একা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, বঙ্গ দখলের ভিত শক্ত করতে ফেব্রুয়ারিতেই আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মোদির বাংলায় পা রাখার কথা শোনা যাচ্ছে। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবারও সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতেই এরাজ্যে আসবেন তিনি। মোদি-শাহর পাশাপাশি ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলায় আসার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডারও।এখনও পর্যন্ত মোদির সফরের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও জানা গিয়েছে, নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রেলের উদ্বোধন করবেন মোদি। হুগলিতে জনসভাও করতে পারেন তিনি। তবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েই বঙ্গ সফরে আসার কথা অমিত শাহর। এর আগে কোচবিহার থেকে পরিবর্তন রথযাত্রার শুভ সূচনা করেছিলেন শাহ। এবার কাকদ্বীপের যাত্রার উদ্বোধনে হাজির থাকতে পারেন তিনি। পাশাপাশি কলকাতা জোনেও জনসভা করতে পারেন তিনি। আবার হুগলির সিঙ্গুরেও অমিত শাহর সমাবেশ চাইছে রাজ্য বিজেপি। ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে ইতিমধ্যেই চারটি পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা হয়েছে বঙ্গে। নবদ্বীপ, তারাপীঠ ও ঝাড়গ্রাম থেকে যাত্রার উদ্বোধনে ছিলেন জেপি নাড্ডা। কাকদ্বীপ থেকে পঞ্চম রথযাত্রা শুরু হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে তারই উদ্বোধন হবে শাহর হাতে।

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
দেশ

'দম বন্ধ হয়ে আসছে', রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর, পদ্মশিবিরে যোগ?

রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিলেন অধিবেশনেই। শুক্রবার দীনেশ রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাংলায় মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। এভাবে আর চুপ করে থাকা যায় না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমার অন্তরাত্মা ডাক দিয়েছে। আমি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। হঠাৎই তাঁর এই ঘোষণায় হইচই শুরু হয়ে যায়। শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে তিনি কি পদ্মশিবিরে যোগ দিতেচলেছে? এ দিন দীনেশ ত্রিবেদী বিবেকানন্দের উক্তি ও পড়ে শোনান। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আমরা রাজ্যসভায় বসে আছি। অথচ মানুষের উপর যে অত্যাচার, অন্যায় হচ্ছে তার জন্য কিছু করতে পারছি না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে তিনি একেবারেই অসন্তোষের কথা বলেননি তাও নয়। তবে নির্বাচনের মুখে এভাবে দল ছেড়ে চলে গেলে অসুবিধা হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফাকে স্বাগত জানিয়েছেন। রাজ্যসভার এই তৃণমূল সাংসদ পদত্যাগ করায় বেজায় খুশি ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনিও স্বাগত জানিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদীকে। উল্লেখ্, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিংয়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
কলকাতা

কয়লাকাণ্ডে হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্যের

কয়লা পাচার কাণ্ডে তল্লাশি চালাতে গেলে লাগবে না রাজ্যের অনুমতি। সিবিআইকে বড়সড় স্বস্তি দিয়ে সাফ জানাল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা-সহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে সিবিআই। ২৩ মার্চের মধ্যে সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ২৭ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি।গত সোমবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। কয়েকদিন আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যের সহযোগিতা নিয়ে তল্লাশি চালাতে হবে বলে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। আর এতেই আপত্তি ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
কলকাতা

ভোট ঘোষণার আগে চূড়ান্ত প্রস্তুতি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের

পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নের জবাব যাতে পত্রপাঠ দিয়ে দেওয়া যায় সেই লক্ষ্যে সব আয়োজন সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর। এবং সেই তাগিদেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব।ইতিমধ্যেই অসম ও পশ্চিমবঙ্গের ভোট প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখে গিয়েছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তারপর দিল্লিতে কয়েক দফায় পর্যালোচনা বৈঠকও হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে তামিলনাড়ুতে পা রেখেছে ফুল বেঞ্চ। সেখানে দুদিনের সফর সেরে ১৩ তারিখ তামিলনাড়ু, কেরলে উড়ে যাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার নেতৃত্বাধীন ফুল বেঞ্চ। ১৩ এবং ১৪ তারিখ কেরলের ভোট প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখার পর ১৫ তারিখ দিল্লি ফিরবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, তার পরই চার রাজ্যের সিইওর সঙ্গে ভোটপ্রস্তুতি সংক্রান্ত চূড়ান্ত বৈঠক করতে চলেছে কমিশন। ওই বৈঠকের পরই নির্বাচনী সূচি ঘোষণা হয়ে যাবে। মনে করা হচ্ছে ১৮ ফেব্রুয়ারির পর যে কোনও দিন ভোট ঘোষণা হতে পারে। ওই বৈঠকে কমিশনের যাবতীয় প্রশ্নের জবাব পত্রপাঠ দিয়ে দিতে হোমওয়ার্কে এক তিল খামতি রাখতে চান না সিইও।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
রাজ্য

করোনার টিকাকরণ হলেই লাগু হবে সিএএ : অমিত শাহ

রাজ্যের মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ বহুদিন একটি প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরের জনসভা থেকে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু জবাব দিলেন না, একেবারে সদর্পে ঘোষণা করে দিলেন, দেশজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়া মিটলে এবং করোনা থেকে মুক্তি পেলেই দেশজুড়ে বিতর্কিত ওই আইনটি কার্যকর করবে কেন্দ্র।বাংলার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সিএএ। বাংলার প্রায় ৩০ টি আসনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েই মতুয়াদের সমর্থন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু গত ১৩ মাসে এই আইন কার্যকর না হওয়ায় মতুয়াদের মধ্যেও চাপা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল। যা আঁচ করতে পেরেই বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগর থেকে এই আইন কার্যকর করার সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিলেন শাহ। সেই সঙ্গে, আইন কার্যকরে এত দেরি হওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।ঠাকুরনগরের সভায় অমিত শাহ বলেন, বিভাজনের সময় কংগ্রেস নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যে সব হিন্দু শরণার্থী আসবেন, তাঁদের আমরা ভারতের নাগরিকত্ব দেব, সম্মান দেব। কিন্তু ৭০ বছরে সেই প্রতিশ্রুতি পুরণ করেনি। ২০১৮ সালে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, মোদি সরকার ক্ষমতায় এলেই সিএএ চালু করব। ২০২০ সালেই আমরা সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেছি। নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছি। কিন্তু এরপর করোনা এসে গেল। আইন চালু করতে দেরি হয়ে গেল। মমতা দিদি প্রচার করা শুরু করলেন, এঁরা নাগরিকত্ব দেবে না। এমনিই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর করতে চাইলেও আমি করতে দেব না। কিন্তু মমতা দিদি এটা বিজেপির সরকার। যা বলে সেটা করে দেখায়। আমি আজ এই সভা থেকে ঘোষণা করে দিচ্ছি, যখনই করোনার টিকাকরণ শেষ হবে। যখনই আমরা করোনা থেকে মুক্তি পাব, তখনই আপনাদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হবে। শাহ অভিযোগ করেন, রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সিএএ নিয়ে বিভ্রান্ত করছে বিরোধীরা। আরও পড়ুন: রাসমেলা ময়দান থেকে মমতাকে খোঁচা অমিত শাহর

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
রাজ্য

রাসমেলা ময়দান থেকে মমতাকে খোঁচা অমিত শাহর

কোচবি্হারের মাটিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রীতিমতো কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন। খোঁচা দিয়ে বললেন, দিদি লোকসভা নির্বাচনের আগে আমাদের শূন্য দিচ্ছিলেন, এখন নিজেই নিজের জন্য আসন খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এখানে লড়বেন না ওখানে লড়বেন, নাকি দুটি আসনে লড়বেন। বুঝে উঠতে পারছেন না। কোচবিহারের রাসমেলার ময়দান থেকে তিনি গগনভেদী জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলেন। বলেন, এত জোরে ধ্বনি তুলুন সবাই। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে তাঁর খোঁচা, রামনাম উচ্চারণ করে গর্ববোধ করেন। কিন্তু মমতাজির তাতে আপত্তি। কারণ, উনি তোষণের রাজনীতি করেন। তবে ভোট শেষ হতে হতে আপনিও জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলবেন।রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর দুই মেদিনীপুর তথা জঙ্গলমহল এলাকায় দলের যাতে ক্ষতি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন মমতা। কিন্তু অমিত শাহ তার ব্যাখ্যা দিলেন নিজের মতো করে। বলে দিলেন, নিজের জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত নন বলেই নিজের জন্য নিরাপদ আসন খুঁজে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহারের সভা থেকে তাঁর খোঁচা,লোকসভা ভোটের আগে আমরা বলেছিলাম রাজ্যে আমরা কুড়িটির বেশি আসন জিতব। দিদি আমাদের বলেছিলেন আমরা নাকি শূন্য পাব। আজ উত্তরবঙ্গ থেকে রাজু সিং বিস্তা, নিশীথ প্রামাণিকরা সাংসদ হয়ে গিয়েছেন। আর আপনি নিজের জন্য আসন খুঁজে বেড়াচ্ছেন। এখানে দাঁড়াবেন না ওখানে দাঁড়াবেন, এক জায়গায় লড়বেন না দুই জায়গায় লড়বেন, বুঝতেই পারছেন না।#WATCH | Mamata didi keeps on quarrelling with Modi ji, she even quarrelled during Subhash babus program. It was Subhash babus event, you could have refrained from politics there: Union Home Minister Amit Shah in Coochbehar pic.twitter.com/iCFWzW65ou ANI (@ANI) February 11, 2021

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
রাজনীতি

বাতিল হওয়া দুই জেলায় আজ শাহর সফর

এর আগে বাংলা সফর বাতিল করতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। আজ, বৃহস্পতিবার কোচবিহারে পরিবর্তন যাত্রার সঙ্গে ঠাকুনগরের কর্মসূচিতেও যোগ দেবেন দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। কলকাতায় তিনি মিলিত হবেন সামাজিক মাধ্যমের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গেও।কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১১ টা ১০ মিনিট নাগাদ কোচবিহারে মদন মোহন মন্দিরে যাবেন অমিত শাহ। ১১ টা ৩০ মিনিটে তিনি রাসমেলার ময়দানে দলের পরিবর্তন যাত্রায় হাজির থাকবেন। ২০১৮-তে এই কোচবিহারে রথযাত্রার কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছিল। আসতে পারেননি অমিত শাহ।এরপর কোচবিহার থেকে কপ্টারে চড়ে অমিত শাহ উড়ে যাবেন উত্তর ২৪পরগনার ঠাকুরনগরে। সেখানে ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দির দর্শন করবেন। তারপর ৩টে ৪৫ মিনিটে পাশের মাঠে তিনি সভা করবেন। বুধবার সন্ধা ৬টা নাগাদ কলকাতায় সায়েন্স সিটিতে সামাজিক মাধ্যমের স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে মিলিত হবেন।এর আগে ঠাকুরনগরে মতুয়াদের সভায় হাজির থাকার কথা ছিল। দিল্লিতে ইজরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণ ঘটে। তখন দুদিনের বাংলা সফর বাতিল করা হয়। মতুয়াদের একাংশ ক্ষোভপ্রকাশও করেছিল। সেই সময় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঠাকুরনগরে আসবেনই অমিত শাহ।অমিত শাহ আসার আগের দিন টুইট বার্তায় লিখেছেন,আমি উৎসুক,আগামীকাল বাংলায় উপস্থিত হওয়ার জন্য।কোচবিহার থেকে BJP Bengal #PoribortonYatra র চতুর্থ পর্যায় সূচিত হবে এবং ঠাকুরনগরে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় আমি আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার স্বেচ্ছাসেবীদের সাথেও আলাপচারিতায় অংশগ্রহণ করব।

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
রাজ্য

সাধারণের জন্য খুলে গেল বেলুড়মঠের দরজা

দ্বিতীয় দফায় ১৯১দিন বন্ধ থাকার পরে বুধবার থেকে আপামর ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খুলে গেল বেলুড়মঠ। এদিন থেকেই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর মেনে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্যে খুলে দেওয়া হল বেলুড়মঠের দ্বার। গত ২৫শে জানুয়ারী এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন বেলুড়মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবিরানন্দ মহারাজ। লকডাউনের জেরে ২০২০সালে ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল বেলুড় মঠ। ৮২ দিন বন্ধ থাকার পর। ১৫ জুন তা আবার জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় একাধিক করোনা বিধি মেনে গেটে প্রবেশ করান হতো।বেলুড়মঠে ঢোকার সময় সামাজিক দুরত্ব মানা থেকে স্যানেটাইজ করে মঠে ঢোকা, সব করোনাবিধিই মানতে হত ভক্ত থেকে দর্শনার্থী সকলকেই। এর প্রায় দেড় মাস পর ২রা আগস্ট থেকে ফের বন্ধ করে দেওয়া হয় বেলুড় মঠ। সেই সময়ে মঠের আবাসিক প্রায় ৮০জন সন্যাসী করোনায় আক্রান্ত হন। যার জেরেই মূলত দ্বিতীয়বার বেলুড়মঠে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার থেকে প্রত্যহ সকাল ৮.৩০মিনিট থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত ও বিকাল ৩.৩০মিনিট থেকে বিকাল ৫.১৫মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে মঠের দরজা | মঠের মূল মন্দিরসহ মোট চারটি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারলেও, মন্দিরে বসা ও মঠ চত্বরে সময় কাটাতে পারবেন না কেউ | দেখা যাবে না সন্ধ্যা আরতি।কোভিড বিধিকে মান্যতা দিয়ে এই বছরে বেলুড়মঠে বন্ধ রাখা হচ্ছে সাধারণ উৎসব। আগামী ২১মার্চ সাধারণ উৎসব বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানান মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ জী মহারাজ। এদিন তিনি আরো জানান, আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারী সরস্বতী পূজা ও আগামী ১৫ই মার্চ ঠাকুর রামকৃষ্ণ দেবের জন্মতিথি পুজার দিনেও ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হবে। এই দিনগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়ের ফলে করোনা বিধি ভাঙ্গার আশঙ্কাই করছেন মঠ কর্তৃপক্ষ। এদিন মঠ কর্তৃপক্ষ যে পরিমান দর্শনার্থীর আশা করে ছিলেন সেই তুলনায় কয়েক গুন বেশী ভক্ত ও দর্শনার্থীদের এলেও কোন সমস্যা হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা স্নাতকোত্তরের ছাত্রী পারমিতা এদিন সকালেই মায়ের সাথে ছুটে আসেন বেলুড়মঠে। তিনি জানান, মঠে ঢোকার সময়ে থার্মাল গান দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে, হাতে দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজার। পারমিতার ভাষায় আজকের ভোর নতুন বার্তা নিয়ে এসেছে। তিনি আরও জানান, করোনা আমাদের অনেক কিছু কেড়ে নিলেও অনেক শিক্ষাও দিয়েছে। করোনার প্রকোপ কমে গেলেও মাস্ক পরা সহ কিছু বিধিনিষেধ লাগু থাকাই আমাদের পক্ষে মঙ্গলের বলে মনে করেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
দেশ

দেশবিরোধী পোস্ট খুঁজতে ভলান্টিয়ার নিয়োগ কেন্দ্রের!

সাইবার দুনিয়াতেও চলবে নজরদারি। তা-ও আবার স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে। কে বা কারা জাতীয়তাবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত, নেট দুনিয়ার নানা মাধ্যমে তার বার্তা ছড়াচ্ছেন, তাঁর উপর নজর রাখতে এবার নিযোগ করা হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক। প্রাথমিকভাবে জম্মু-কাশ্মীর ও ত্রিপুরা থেকে শুরু করে ক্রমেই তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার অপরাধদমন শাখা থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশবিরোধী কার্যকলাপ ছড়িয়ে দিতে কারা কীভাবে সক্রিয় তার উপর নজর রাখাই হবে এই স্বেচ্ছাসেবকদের কাজ। স্বেচ্ছাসেবকরা নজর রাখবেন, কে কোথায় কী ধরনের তথ্য আদানপ্রদান করছে, তার উপরও। সরকারের কোনও গোপন নথি, বেআইনি কোনও নথি বাইরে চলে যাওয়া, শিশুদের নিয়ে তৈরি নীল ছবি, ধর্ষণ এবং সন্ত্রাসের ছবি সম্প্রচার, মৌলবাদী প্রচার এবং জাতীয়তাবাদ বিরোধী প্রচার, সবকিছুর উপরই নজর রাখবেন এই স্বেচ্ছাসেবকরা। কারা এই ধরনের তথ্য তৈরি করছে এবং কারা তা ছড়িয়ে দিচ্ছে তা কিন্তু আর নজরের আড়ালে থাকবে না। প্রতিমুহূর্তেই তাতে নজর রাখবেন এই ধরনের স্বেচ্ছাসেবকরা।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 79
  • 80
  • 81
  • 82
  • 83
  • 84
  • 85
  • ...
  • 99
  • 100
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal