• ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, সোমবার ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Leader

রাজনীতি

কাউন্সিলরকে 'বিয়ের প্রস্তাব' ঘিরে বিরাট বিবাদ গড়াল থানা পর্যন্ত, পাল্টা অভিযোগ তৃণমূল নেতার

দলেরই কাউন্সিলরকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ শেষমেশ এলাকারই দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, তা থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। তরুণী কাউন্সিলর তাঁর এই অভিযোগ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। এদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। উল্টে তাঁর দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। ঘটনাটি দক্ষিণ ২৪ পরগণার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের।এই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এলাকারই তৃণমূল নেতা প্রতীক দের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছেন তিনি। পাপিয়া বলেন, প্রতীক দে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিভিন্নভাবে আমাকে অপদস্থ করেছেন। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতীক দে ও তাঁর সঙ্গীরা আমাকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেয়। আমার বাড়ির সামনে গালিগালাজ করে ও আমাকে পদত্যাগ করতে বলে। আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। গভীর রাতে আমার বাড়িতে হামলার প্রমাণ আছে আমার কাছে। আমি সেই ভিডিও দলের উচ্চ নেতৃত্বকে পাঠিয়েছি। প্রতীক দে আমাকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ভাগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। আমি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। স্থানীয় প্রশাসনকে আমি বিষয়টি জানিয়েছি।যদিও কাউন্সিলরের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা প্রতীক দে। তাঁকে ফাঁসাতেই কাউন্সিলরের এই অভিযোগ বলে পাল্টা দাবি তাঁর। এব্যাপারে দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিংবা প্রশাসনের তদন্তেই আস্থা রয়েছে তাঁর।তৃণমূল নেতা প্রতীক দের কথায়, অভিযোগ যে কেউ করতেই পারেন। ওঁর অভিযোগের কি সত্যতা আছে সেটা ওঁকেই প্রমাণ করতে হবে। দলের উচ্চ নেতৃত্ব ওঁকে ডেকেছিল উনি যাননি। দল তদন্ত করুক। আমি যে কোনও তদন্তের জন্য তৈরি আছি। আমাকে অপদস্থ করার চেষ্টা হচ্ছে। ওয়ার্ড কমিটিকে মাসে ১ লক্ষ টাকা করে পৌরমাতা তুলে দিতে বলেছিলেন। টাকা না তুলে দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি পর্যন্ত উনি দিয়েছেন। গত তিন মাস ধরে পার্টি অফিসে দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। পার্টিকর্মীদের সঙ্গে ওঁর বিরোধিতা তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
রাজ্য

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে আবারও নড়াচড়া শুরু করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলপর প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর ও কলকাতা পুরসভার তৃণমূলের মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। এদিন সকালে কলকাতার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় সিবিআই। এদিন একইসঙ্গে তল্লাশি চলে রাজারহাটে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও। এছাড়াও এদিন মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি ও কোচবিহারেও একাধিক ঠিকানায় হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে সিবিআই অভিযান চলে। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার তা্র বাড়িতে পৌঁছনোর পর বেশ কিছুক্ষণ বাইরেই অপেক্ষা করতে হয় সিবিআই আধিকারিকদের। বাড়ির ভিতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় বাধ্য হয়ে প্রায় কুড়ি মিনিট বাড়ির বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে সিবিআই অফিসারদের। প্রায় কুড়ি মিনিট পর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত নিজে এসে দরজা খুলে দেন। তিনিই সিবিআই আধিকারিকদের বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়েছেন।এরই পাশাপাশি আজ সকালে রাজারহাটে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও সিবিআই হানা দেয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে যায় তদন্ত সংস্থা। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। দেবরাজ তৃণমূলের দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি। শহর কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকা ছাড়াও এদিন মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার-সহ একাধিক জেলায় ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা।

নভেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজনীতি

বিজেপি নেতা, মন্ত্রীদের সম্পত্তি নিয়ে তোপ তৃণমূলের, পাল্টা বিজেপি সাংসদ

একাধিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা। এর মধ্যেই এবার বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলল জোড়া ফুল শিবির। শুধু বিজেপির নেতা-মন্ত্রীই নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি নিয়েও সোমবার প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল।এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রামেশ্বর তেলি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সৌমিত্র খাঁ, জগদম্বিকা পাল, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ও অধিকারী পরিবারের নাম উল্লেখ করে তাঁদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা ও পার্থ ভৌমিক। এইসব নেতা, মন্ত্রী, সাসংসদের নামের ক্ষেত্রে কেন ইডি বা সিবিআই-এর নোস নেই, এদিন সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছে।শশী পাঁজার প্রস্নের জবাবে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, মন্ত্রীকে বলব এই নিয়ে আমার সুখোমুখি বসুন। ২০০২ সাল থেকে আমি ব্যবসা করি। ২০১১ সালে ১৮ লাখের সম্পত্তি ছিল। আর এতদিন আমি যে স্যালারি পেয়েছি তার দুই তৃতিয়াংশ আমার কাছে নেই। ফলে ওনাকে বলব নথি দিয়ে কথা বলুন। আমি প্রকাশ্যে আলোচনায় যোগ দেব। ওনার নেত্রী, নেতা চুরি করছেন বলেই আমাদের নামে যা তা বলবেন এটা হতে পারেন না।রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতি মামলার তদন্তের জন্য ইডি-সিবিআই-এর মতো সংস্থার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন শশী পাঁজা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যাতে অপব্যবহার না হয়, সেই দিকটি খেয়াল রাখার দাবি তুলেছেন শশী পাঁজা।দিন কয়েক আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিছু তথ্য তুলে ধরে কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, নির্বাচনী হলফনামায় দেখা যাচ্ছে, এক বছরে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি ১০ কোটি টাকা হয়েছে। ১৬ লক্ষ টাকা থেকে বেড়ে ১০ কোটি টাকা হয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল। কিন্তু কী ভাবে এক বছরের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেল? পাল্টা কুণাল ঘোষের প্রশ্নের জবাবে শিশির অধিকারীবলেছিলেন যে, সারদায় জেল খাটা আসামির প্রশ্নের জবাব দেব না, ১৯৬৮ সাল থেকে আয়কর দিচ্ছি, সমস্ত কিছু রেকর্ড আছে, যে কেউ চাইলে দেখে নিতে পারেন।প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর শাসকদলের প্রত্যেক নেতা-মন্ত্রী গ্রেফতারের পরেই তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তদন্তকারীরা।

নভেম্বর ০৬, ২০২৩
রাজ্য

বাঁকুড়ায় গাড়ি তাড়া করে এলোপাথাড়ি গুলি, মারাত্মক জখম বর্ধমানের তৃণমূল শ্রমিক নেতা

পাশের জেলার তৃণমূল নেতাকে গুলি। মঙ্গলবার দুপুরবেলা বাঁকুড়ায় রাস্তায় চলে গুলি। জানা গিয়েছে, এদিন বেলা দেড়টা নাগাদ একটি চার চাকা গাড়িতে চড়ে চালক সহ পাঁচ যুবক বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক ধরে বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এই পাঁচজনই বাঁকুড়া জেলা আদালতে আইনি কাজে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তাঁদের গাড়ি ধাওয়া করতে থাকে একটি বাইক। ওই বাইকে দুজন সওয়ারী ছিল বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। বাইক ধাওয়া করছে দেখা মাত্রই গতি বাড়ে চার চাকার। গাড়িটি বাঁকুড়া শহর লাগোয়া কেশিয়াকোল এলাকা ছেড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছাকাছি আসতেই বাইকের পিছনে বসে থাকা যুবক দুহাতে দুটি বন্দুক নিয়ে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে গাড়িতেই জখম হন জিয়াবুল হক শেখ, নূর মহম্মদ শা ওরফে টগর এবং গোবিন্দ মণ্ডল নামে তিন যুবক। মাথায় গুলি লাগে নূরের। জখমদর ভর্তি করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়াও তাদের সঙ্গে ছিল গলসির গোহগ্রামের সেখ রবিউল। গুরুতর জখম হন বাগাই।এর মধ্যে জিয়াবুলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের দয়ালপুর গ্রামে। নূরের বাড়ি গলসির তেঁতুলমুড়ি গ্রামে। নুর গলসি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসির নেতা। গোবিন্দর বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার পাবড়াডিহি গ্রামে। এদিকে গুলির আওয়াজে স্থানীয়রা চলে আসে। তাঁদের দেখেই দুস্কৃতীরা যে পথে এসেছিল সেই পথেই ফিরে যায়। পুলিশ বাঁকুড়া থেকে বেরোনোর সব রাস্তা ঘিরে ফেলে। তল্লাশি শুরু হয় বাঁকুড়া থেকে বেরোতে থাকা প্রতিটি বাস ও ছোট গাড়িতে। কেন তৃণমূল নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
রাজ্য

উনি (মমতা) মেদিনীপুরের নেতা করে রেখেছিলেন, বিজেপি রাজ্যনেতা করেছে, বললেন শুভেন্দু

একসময় দুজনই একদলে ছিলেন। জনগণ মনো অধিনায়কা বলে বক্তব্য শুরু করতেন। এখন ২ জন সম্মুখ সমরে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করতেই ওয়াকআউট করে পরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।শুভেন্দুর বক্তব্য, উনি আমাকে মেদিনীপুরের নেতা করে রেখেছিলেন। বিজেপি আমাকে রাজ্যে নেতা করে দিয়েছে। বিরোধী দলনেতাকে হজম করা মুশকিল তাই ভাববাচ্যে কথা বলছেন। ২০১৮ সালে আমার এলাকা কাঁথিতে ভোট লুঠ করতে দিইনি বলেই উনিশের নির্বাচনে কাঁথি-তমুলকে আপনাকে জিতিয়েছিলাম।২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলেই ছিলেন। বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন। তার আগে ২০১৮-তেও ঘাসফুল ভোট লুট করেছিল বলে ফের সরব বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেছেন, ২০১৮ সালে ভোট লুঠ করেছিলেন বলেই উনিশের লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর, মালদহ উত্তর, বালুরঘাট, রানাঘাট, ব্যারাকপুর, বর্ধমান, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রামে হেরেছিলেন। যাদের ভোট দিতে আটকেছেন তাঁরাই বদলা নেবে।শুভেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জেলার নেতা করে রেখেছিলেন। বিজেপি তাঁকে রাজ্যের নেতা করেছে।

জুলাই ২৭, ২০২৩
রাজ্য

বড় খবরঃ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতার ঘরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু, সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে দুজনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। নন্দীগ্রামে একজন তৃণমূল অন্যজন বিজেপির প্রার্থী। নির্বাচনে ছিল চরম উত্তেজনা। ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। ভোট গড়াল আদালত পর্যন্ত। দীর্ঘ দিন বাদে একই ঘরে মুখোমুখী আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও শুভেন্দুর সঙ্গী ছিলেন তিন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গা ও অশোক লাহিড়ী। বিধানসভায় মমতার ঘরে শুভেন্দু, এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। বিধানসভাও সাক্ষী থাকল বিরল ছবির।বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাাধ্যায়ের ঘরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা ছিলেন মেরে-কেটে ৩-৪ মিনিট। এটাকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁকে নাকি একাই ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সঙ্গে দলের আরও তিন বিধায়ককে নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে। সূত্রের খবর, এদিন মার্শালকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ডেকেছিলেন বিরোধী দলনেতাকে।শুক্রবার বিধানসভার এই সাক্ষাতের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে পড়ে রাজ্য-রাজনীতি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ডেকেছিলেন। সংবিধান দিবসে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্যই ডেকেছিলেন। সাক্ষাতের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, শুভেন্দুকে চা খেতে ডেকেছিলাম। সংবিধান দিবসে উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, ভাইয়ের মতো স্নেহ করতাম। রাজ্যে তৃণমূল বনাম বিজেপির চরম সংঘাতের মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বিরোধী দলনেতার সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে জল্পনা ছড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। রে রে করে উঠেছে বাম-কংগ্রেস।

নভেম্বর ২৫, ২০২২
রাজ্য

বর্ধিত হারে ডিএ না দেওয়ায় কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করা শিক্ষক ও কলেজের কর্মীদের হুমকি জামালপুরের ছাত্র নেতার

বর্ধিত হারে মহার্ঘভাতা সহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার ২ ঘন্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল বাম সমর্থিত কর্মি সংগঠন। সেই কর্মবিরতির ডাকে সামিল হওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের রুমে ঢুকে শাসালেন ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিট্টু মল্লিক। তাঁর আচরণে শিক্ষক মহলের অনেকেই আরাবুলের ছায়া দেখতে পেয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানিয়েছেন।টেবিল চাপড়ে শিক্ষকদের হুঁশিয়ারিও দিলেন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ এই ছাত্র নেতা। প্রসঙ্গত, তিনি জামালপুর কলেজের ছাত্র নন। কলেজ পড়ুয়া না হয়েও শুধুমাত্র শাসক দলের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে একজন যুবক কি ভাবে কলেজ শিক্ষকদের এইভাবে হুমকি ও হুঁশিয়ারি দিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকরাই। মঙ্গলবার ২ ঘন্টার কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ কলেজে আটকেও রাখা হয়।

আগস্ট ৩১, ২০২২
রাজ্য

ফের পূর্ব বর্ধমানের তৃণমূল নেতাকে সিবিআইয়ের তলব

ফের তৃণমূল নেতাকে সিবিআইয়ের তলব। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের ভাল্কি পঞ্চায়েত এলাকার শাসক দলের জিতেন বাগদীকে তলব করলো সিবিআই।তবে তাকে দুর্গাপুর বা কলকাতার নিজাম প্যালেসে যেতে হবে না। ২ সেপ্টেম্বর জিতেন বাগদীর বাড়িতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে এই মর্মে নোটিশ পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে। গতকাল অর্থাৎ ২৪ আগষ্ট জীতেন বাগদীর বাড়ি ঘুরে গেছে সিবিআইয়ের টিম। তার বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় সিবিআই জিজ্ঞসাবাদ করবে ২ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টের সময়।তাকে বাড়িতে থাকাতে বলা হয়েছে।এখানে উল্লেখ্য গত ৬ আগষ্ট অরূপ মিদ্যাকে সরিয়ে তার জায়গায় জীতেন বাগদীকে ভাক্লি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়। তবে তিনি নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করেননি। তিনি টেলিফোনে বলেন, কোনও নোটিস পায়নি।প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আউশগ্রামের শাসক দলের একাধিক নেতাকে তলবা করা হয় দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে। সেখানে জেরা করা হয়েছে। যদিও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন,এরকম খবর শুনলাম। এই কদিন আগে তাকে অঞ্চল সভাপতি করেছে দল।তবে সবই তো বোঝা যাচ্ছে কি হচ্ছে। রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা।বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, আমরা তো বারে বারে আবেদন করেছি দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদের সিবিআই গ্রেপ্তার করে তদন্ত করুক। আগামীদিনে বাংলার দুর্নীতিবাজ নেতারা কেউ রেয়াত পাবে না। জীতেন বাগদীর বাড়ি আউশগ্রাম থানার প্রেমগঞ্জ গ্রামে গেলে তার দেখা মেলে নি। তার স্ত্রী চিন্তা বাগদী বলেন, বাড়িতে নাই। বাইরে গেছে। তিনিও জানান,তাদের বাড়িতে কোন চিঠি আসে নাই।

আগস্ট ২৫, ২০২২
রাজ্য

প্রশাসনের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে রাতের অন্ধকারে মাটি পাচার

রাতের অন্ধকারে মাটি চুরি! অভিযোগ মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা চাঁচল-১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এটিএম রফিকুল হোসেনের বিরুদ্ধে মাটি চুরির অভিযোগে সরব কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ জনিয়েছেন চাঁচল -১ নং ব্লক কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি কাজী আতাউর রহমান। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সভাধিপতি।জমি থেকে বা নদী থেকে কোনভাবেই মাটি কাটা যাবে না। প্রশাসনের এই নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে রাতের অন্ধকারে ট্রাক্টারে করে সেই মাটি পাচার হচ্ছে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির বাড়ি নির্মাণের জন্য জমি ভরাটের কাজে। চাঁচলের আসরাইল এলাকার একটি চাষের জমি থেকে রাতের অন্ধকারের মাটি কেটে ট্রাক্টরের করে নিয়ে এসে সেই মাটি চাঁচলের আদর্শ পল্লী এলাকায় অবস্থিত মালদা জেলা পরিষদের সভাপতি তথা চাচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি এটিএম রফিকুল হোসেনের জমি ভরাটের জন্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। চাঁচলের আস রাইল এলাকার বাসিন্দা অনিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে মাটি কাটা বন্ধ। সেই মাটি রাতের অন্ধকারে কেটে ট্রাক্টারে করে পাচার হচ্ছে সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেনের বাড়ি নির্মাণের জমি ভরাটের জন্য। আমরা মাটির জন্য বাড়ির কাজ করতে পারছি না সেখানে সভাধিপতি কিভাবে করছেন।ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন তিনি। আমরা চাই এই মাটি কাটা বন্ধ হোক।মাটি চুরির বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে চাঁচল এক নং ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্ব। চাঁচল ১ নং ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা আইএনইউসির সভাপতি কাজী আতাউর রহমান বলেন, গরু চোর,কয়লা চোরের পর এবার মাটি চোর। নির্দেশ রয়েছে মাটি কাটা বন্ধ। নিয়ম সবার জন্যই সমান। স্বয়ং জেলা পরিষদের সভাধিপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। প্রশাসনের মদতে রাতের অন্ধকারে মাটি পাচার হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতা রফিকুল হোসেন। তিনি বলেন প্রশাসনের নির্দেশে মাটিকাটা বন্ধ রয়েছে। কোথাও মাটি কাটা হচ্ছে না। বিরোধীরা অভিযোগ করতেই পারেন তবে তা সত্যি নয়। এই ঘটনায় শাসক দলের নেতাদের চোর বলে আক্রমণ করেছেন মালদা উত্তরের বিজেপি সংসদ খগেন মুর্মু। এ বিষয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আগস্ট ১৬, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল নেতার 'খাইকে পান বেনারসি ওয়ালা' ভাইরাল, উত্তাল সোশাল মিডিয়া, দেখুন ভিডিও

উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতার উদ্দাম নৃত্য ভাইরাল হতেই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। নাচের সঙ্গে বিকৃত অঙ্গভঙ্গিতে দিলেন দলের স্লোগান। ওই নেতার নাচের দৃশ্য এখন মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। এই উদ্দাম নৃত্যকে তৃণমূলের অপসংস্কৃতি বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ভাইরাল ভিডিওর জেরে জলপাইগুড়ির বানারহাটের ব্লক তৃণমূল সভাপতি নয়ন দত্ত এখন খবরের শিরোনামে। এক ভিডিওতেই বাংলাজুড়ে পরিচিতি পেলেন তৃণমূলের নয়ন। যদিও ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা।খাইকে পান বানারসি ওয়ালা আবার দয়ালবাবা কলা খাবা এমন সব চটুল হিন্দী-বাংলা গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদ্দাম নৃত্য করে ভাইরাল হয়েছেন বানারহাট ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি নয়ন দত্ত। গানের সঙ্গে সমানে চলছে সিটি। এই এক ভিডিও জলপাইগুড়ি ছাড়িয়ে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে স্পষ্ট, একটি ঘরে বাবু ঘরানায় ফিরে গিয়েছেন তাঁর অনুগামিদের নিয়ে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক, অপ্রকৃতিস্থ বললেই চলে। বেসামাল হয়ে পড়ে যাচ্ছেন। ঘরের দেওয়াল ধরে বসে পড়ছেন। এর সঙ্গে চলছে জোরদার রাজনৈতিক স্লোগান।তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোমর দুলিয়েছে ব্লক তৃণমূলের যুবসভাপতি বিমল মাইতিও। সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারছেন না। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে মেতে উঠেছেন তাঁরা। হাততালি দিতে দেখা যাচ্ছে অনুগামীদের। নয়ন দত্তের দাবি, এই ভিডিও অনেক পুরনো। তাঁকে ফাঁসানোর জন্য কেউ সেই ভিডিও নতুন করে ছড়িয়ে দিয়েছে।

এপ্রিল ২৮, ২০২২
কলকাতা

বিধায়কের নির্দেশ অমান্য, বেহালাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সোমনাথসহ ৭ জন পুলিশের জালে

স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় অভিযুক্তের স্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আত্মসমর্পণ করতে। তাতেই কাজ হয়নি। অবশেষে বেহালাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সোমনাথকে হাওড়ার জয়পুর থেকে গ্রেফতার করেছে। সূত্রের খবর, একইসঙ্গে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এর আগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন ধৃতদের একাধিক মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই অভিযুক্তকে তৃণমূল কংগ্রেস বহিষ্কারও করে দেয়।পাঁচ দিন আগে চড়কমেলার আয়োজনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে যায় বেহালা। অভিযোগ, সেদিন বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে। ওই দিন বেশ কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক হামলা করা হয়। মহিলারাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। ওই দিন একাধিক গাড়ি, পুলকার, বেশ কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করা হয়। বসতবাড়ির জানালার কাঁচও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই হামলার ঘটনা ঘটে। গুলিও চলে। পুলিশ স্রেফ দর্শকের ভূমিকায় ছিল। দুদফায় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে। আড়াই ঘন্টা ধরে এলাকায় তান্ডব চলে। দুপক্ষের মধ্যে ইটবৃষ্টি চলে, চলে বোতল ছোড়াছুড়ি। ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হন। দুই পক্ষই বেহালা থানায় অভিযোগ করেছে। পুলিশ হাজিরায় ভরসা করে বিপদে পড়েছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। চড়কতলার বাসিন্দাদের মধ্যে সেদিনের ঘটনার আতঙ্ক তাড়িয়ে বেরাচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তোলা আদায়ের জন্যই সাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্বও বেহালার এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে। বিধায়ক জানান, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার দিকে নজর রেখেছেন। বাবন অর্থাৎ সোমনাথ যেন আত্মসমর্পণ করে। তারপরেও কিন্তু বাবন আত্মসমর্পণ করেনি।সূত্রের খবর, সোমনাথ ঘটনার পর থেকেই নানান জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছেন। এক জায়গায় বেশিক্ষণ ছিলেন না। বারে বারে বদল করেছেন সিম কার্ডও। পাশের রাজ্য ওড়িশার বালাসোরে গিয়েছিলেন। তারপর দীঘার হোটেলে লুকিয়ে ছিলেন। মাঝে খড়্গপুরে থেকে হাওড়ার জয়পুরে একটা অতিথিশালায় আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার আধিকারিকরা সোমনাথসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে।

এপ্রিল ১৭, ২০২২
রাজ্য

'ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব', তৃণমূল ব্লক সভাপতির হুমকি ভিডিও ভাইরাল

হাঁসখালি থেকে বোলপুর-শান্তিনিকেতনসহ রাজ্যের নানা প্রান্তে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তোলপাড়। ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় মিছিল করে সিপিএম। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের ভগবানগোলা এক নম্বর ব্লক প্রেসিডেন্ট আফরোজ সরকারের হুমকি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও-তে স্পষ্ট শোনা যায়, তিনি বলছেন, ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব। (যদিও এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা)।আফরোজ সরকারকে ওই ভিডিও-তে বলতে শোনা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সরানো যাবে না। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে। আমরা আছি। ধর্ষণ হলে বড়বাবু, এসপিকে বলব গ্রেফতার করার কথা। প্রমান দেখাক ধর্ষণ করেছে। সিপিএম একটা মিছিল বের করে দিয়েছে। যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে ঠান্ডা করে দেব। তার জন্য ডান্ডার দরকার। বেশি যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে উল্টোপাল্টা কথা বলে তবে ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দবে। আমি পদের ভয় করি না। যুব সভাপতিসহ নানা পদে ছিলাম, সিপিএম যদি উল্টোপাল্টা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছেলে আছি আফরোজ সরকার। এমন ঠান্ডা করে দেব বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না।তৃণমূল ব্লক সভাপতির এই হুমকির পর সুড় চড়িয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, হুমকি ছাড়া কথাই বলছেন না তৃণমূলীরা। এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে সিপিএম।

এপ্রিল ১৫, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল নেতাদের বিক্রী করা ওভারলোড মাটি বোঝাই ডাম্পারের চাকায় পিষ্ট নিরীহ গ্রামবাসী, বিক্ষোভ

প্রশাসন ও ভূমি দফতরকে অন্ধকারে রেখেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জৌগ্রামে চলছিল পুকুরের মাটি কেটে পাচার। তৃণমূলের নেতারাই পুকুরের মাটি কেটে পাচার করাচ্ছে বলে আগে থেকেই এলাকায় গুঞ্জনও ছড়িয়ে ছিল। সেই গুঞ্জনই শেষ পর্যন্ত সত্যি প্রমানিত হয় শনিবার সকালে ওভার লোড মাটি বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় এলাকার প্রৌঢ় বরুণ রক্ষিত(৫৮) এর মৃত্যুর ঘটনার পরেই।ঘটনা জানাজানি হতেই জৌগ্রামের শীতলাতলা এলাকায় বাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা বরুণ রক্ষিতের দেহ ও ঘাতক ডাম্পারটি আটকে রেখে দুর্ঘটনাস্থল এলাকায় বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) সুপ্রভাত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে জামালপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছায়।মৃতদেহ উদ্ধার করতে গিয়েও পুলিশ মৃতর পরিবার ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়ে। প্রায় ঘন্টা তিনেক ধরে মৃতদেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ।পুলিশ অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ সামাল দিয়ে বেলা পৌনে ১২ টা নাগাদ মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ময়নাতদন্তের জন্য এদিনই মৃত ব্যক্তির দেহ পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে।ঘাতক ডাম্পার আটক করে পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পাশাপাশি পুলিশ ডাম্পারের চালক ও খালাসির সন্ধানও চালাচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বরুণ রক্ষিতের বাড়ি জৌগ্রামের উত্তর পাড়ায়। এদিন সকালে তিনি সাইকেলে চেপে বাজার যাচ্ছিলেন। জৌগ্রাম শীতলাতলা এলাকায় তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মৃতর ভাগ্নে সুরজিত রক্ষিত ও এলাকাবাসী শিবু পোড়েল জানান, জৌগ্রামের জলেশ্বর তলা এলাকায় রয়েছে প্রাচীন শিব মন্দির। সেই মন্দিরের কাছেই রয়েছে বড় দেবত্তর পুকুর। বিগত তিন চারদিন যাবৎ জেসিবি মেসিন দিয়ে ওই পুকুরের মাটি তুলে ডাম্পারে লোড করে পাচার করা হচ্ছে।অজস্র মাটি বোঝাই ডাম্পার এখন সারাদিন ধরে জৌগ্রাম- রাণাপাড়া রোড দিয়ে যাতাযাত করছে। সুরজিত রক্ষিত অভিযোগে বলেন,এদিন সকালে আমার মামা বরুণ রক্ষিত সাইকেলে চেপে বাজারে যাচ্ছিলেন। তখন বেপরোয়া গতীতে চলা ওভারলোড মাটি বোঝাই একটি ডাম্পার আমার মামাকে ধাক্কা মারে। মামা মাটিতে পড়ে গেলে ডাম্পারের চাকা মামার মাথা উপর দিয়ে চলে যায়। মামা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।মৃতর আত্মীয় পরিজন ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযোগে জানিয়েছেন,এলাকার ঐতিহ্যশালী জলেশ্বর শিব মন্দিরের দেবত্তর সম্পতির মধ্যেই পড়ে ওই পুকুরটি। ওই দেবত্তর সম্পত্তির অন্যতম সেবাইত অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা। তিনি ইতিপূর্বে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পদেও দায়িত্ব সামলেছেন। এখনও অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। বাকি সেবাইত গণ অরবিন্দ বাবুদেরই আত্মীয়।এলাকাবাসীরঅভিযোগ প্রশাসন ও ভূমি দফতরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে সেবাইত অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য ও জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য মৃদুল কান্তি মণ্ডল এবং এলাকার তৃণমূল কর্মী আফজল মোল্লা নিজেদের মধ্যে রফা করে পুকুরের মাটি তুলে চড়া দামে বিক্রী করে দিচ্ছে। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজের জন্য যাঁরা মাটি কিনছে তাঁদেরকেই এই তৃণমূল নেতারা জলেশ্বরের পুকুরের মাটি কেটে বিক্রী করেছে বলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযোগে জানিয়েছেন।এই বিষয়ে জানতে তৃণমূল নেতা তথা জৌগ্রামের জলেশ্বর শিব মন্দিরের সেবাইত অরবিন্দ ভট্টাচার্য্যর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় । তিনি বলেন,আমি ছাড়াও আমার পরিবারে আরও তিন জন জলেশ্বর শিব মন্দিরের দেবত্তর সম্পত্তির সেবাইত।জৌগ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য মৃদুল কান্তি মণ্ডল ও আফজল মোল্লার সঙ্গে আমাদের সকল সেবাইতের একটা রফা চুক্তি হয়। সেই চুক্তিপত্রে আমিও সই করি।চুক্তি অনুযায়ী ঠিক হয়েছিল পুকুরের পাড় বাঁধিয়ে দিয়ে বাকি পুকুরের মাটি ওরা বিক্রী করবে।কত টাকার রফা চুক্তি হয় সেই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানাতে চান নি অরবিন্দবাবু। তবে তিনি এই কথা কবুল করেন,২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজের জন্য যাঁরা মাটি কিনছে তাঁদেরকেই মৃদুলরা মাটি বিক্রী করবে বলে শুনেছিলেন। পুকুরের মাটি তুলেনিয়ে বিক্রীর ব্যাপারে ভূমি দফতরের অনুমোদন নেওয়ার ব্যাপরাটা মৃদুল দেখে নেবে বলেছিল।শেষ অবধি ভূমি দফতরের অনুমোদন মৃদুল নিয়েছিল কিনা তা জানেন না বলে অরবিন্দ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।পঞ্চায়েত সদস্য মৃদুল কান্তি মণ্ডল যদিও কোন রাখঢাক না রেখে স্বীকার করে নেন, জলেশ্বর শিব মন্দিরের দেবত্তর পুকুরের মাটি জেসিবি দিয়ে কেটে ডাম্পারে লোড করে তাঁরা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসানের কাজের জায়গায় বিক্রীর জন্য তিন দিন হল পাঠাচ্ছেন। ভূমি সংস্কার দপ্তর এর অনুমোদন নেননি বলে মৃদুল কান্তি মন্ডল স্বীকার করে নেন। এই ঘটনা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে জামালপুর ব্লকের বিজেপি নেতা জীতেন্দ্র নাথ ডকাল বলেন, বালি ,মাটি সবকিছু থেকেই অবৈধ ভাবে মুনাফা লোটার জন্য এখন দৌড়াচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা।আর মুনাফালোভী নেতাদের ঠিক করা ওভারলোড মাটিবাহী ডাম্পারের চাকায় পিষে মরতে হল নিরীহ গ্রামবাসীকে। এটাই এখন বাংলার সাধারণ মানুষের ভবিতব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এপ্রিল ১০, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল নেতা খুনে অগ্নিগর্ভ রামপুরহাট, ঝলসে মৃত্যু ১২ জনের

বীরভূমের রামপুরহাটে তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। বগটুইতে পর পর বাড়িতে আগুন। অগ্নিদগ্ধ বাড়িগুলি থেকে ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে দমকল। বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, একটি বাড়িতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছে সিআইডি এবং ফরেন্সিক টিম। হেলিকপ্টারে রামপুরহাট যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম (বীরভূমের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা), আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিত সিনহা।রামপুরহাটের এই এলাকা কয়েকমাস ধরেই রাজনৈতিকভাবে উত্তপ্ত। আট মাসে আগে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয়েছিলেন ভাদু শেখের মেজো ভাই। জানা গিয়েছিল, রাস্তায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এর পর সেই একই কায়দায় খুন হলেন তৃণমূলের উপপ্রধান। আর তার ঠিক পরপরই গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এতজনের মৃত্যু। ইতিমধ্যে কলকাতা থেকে তদন্তকারী দল পাঠানো হচ্ছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে। সূত্রের খবর, সিআইডি টিম যাচ্ছে সেখানে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করে প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। তাঁর দাবি, ৭টি বাড়িতে আগুনের ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। ভাদু রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তাঁর বাড়ি রামপুরহাট থানা এলাকার বগটুই গ্রামে। সেখানে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে পালায় এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনার পর স্থানীয়েরা রক্তাক্ত অবস্থায় ভাদুকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ওই গ্রাম। পর পর বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন,সোমবার রাতে তিন জনের ঝলসানো মৃতদেহ উদ্ধার করার পর মঙ্গলবার সকালে আরও সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই সাত জনই একটি বাড়িতে ছিলেন। দমকলের হিসেব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বারো জনের মৃত্যু হয়েছে। বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, তিন চারটি বাড়িতে আগুন লেগেছিল। টিভি ফেটে আগুন লাগে। দমকল, পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক, তার পর বলব। তবে উপপ্রধান খুনের সঙ্গে এর যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনুব্রত।

মার্চ ২২, ২০২২
রাজ্য

জামালপুরে দোল খেলতে যাওয়ার সময় আক্রান্ত রাজ্য বিজেপি নেতা

শ্বশুর বাড়ির দোল উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাবার পথে দুস্কৃতি হামলার শিকার হলেন রাজ্য বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। শুক্রবার বিকাল পৌনে চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার মসাগ্রাম রেল গেট এলাকায়। ঘটনা বিষয়ে এদিন সন্ধ্যায় জামালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কল্যান চৌবে। তাঁর অভিযোগের তীর যদিও তৃণমূলের দিকেই। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপি নেতার আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে দাবি করেছেন।বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার উল্টোডাঙ্গা নিবাসী কল্যাণ চৌবে দলের উত্তর কলকাতার সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি রাজ্য বিজেপিরও সদস্য। জামালপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগে কল্যান চৌবে জানিয়েছেন, শ্বশুর বাড়ির দোল উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এদিন তিনি জামালপুরের রাজারামপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। সামনের গাড়িতে তিনি ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। পিছনের গাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যা। বিকাল পৌনে চারটে নাগাদ তাঁরা মেমারি তারকেশ্বর রোডে মসাগ্রাম লেবেল ক্রসিং এর কাছে পৌছান। কলাণবাবু দাবি করেছেন, তাঁর গাড়ির সামনে বিজেপির একটি পতাকা লাগানো ছিল। এছাড়াও ড্যাসবোর্ডে রাখা ছিল উত্তরীয় ও ব্যাচ। এইসব দেখেই মসাগ্রাম রেল গেট এলাকায় থাকা দুস্কৃতি দল তাঁকে প্রাণে মেরে দেবার উদ্দেশ্যে আচমকাই তাঁর গাড়ির উপর চড়াও হয়। কল্যাণবাবু দাবি করেছেন, তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা কোনক্রমে তাঁকে ও তাঁর পরিবার সদস্যদের রক্ষা করেন। হামলায় তাঁদের দুটি গাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন কল্যাণ চৌবে। থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর ফের স্বপরিবার রাজারামপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিজেপি নেতা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিজেপির নেতার আনা এই অভিযোগ কতটা সত্য তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন জেলা তৃণমূলের মুখপত্র প্রসেনজিৎ দাস। পাল্টা অভিযোগে তিনি বলেন, ওই বিজেপি নেতার বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজনই হয়তো এইসব ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। পুলিশের তদন্তেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।

মার্চ ১৯, ২০২২
রাজ্য

সিট অনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় নীচু তলার দুই পুলিশ কর্মীকে বলির পাঁঠা করলো, বললেন সজল ঘোষ

আনিস খানকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুই পুলিশ কর্মী। আর এই গ্রেফতারি নিয়ে বুধবার সিটের তদন্তকারী অফিসার ও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। পুর ভোটের প্রচারে এদিন সন্ধ্যায় বর্ধমানে সভা করতে এসে সজলবাবু দাবি করেন, আনিসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যা হওয়ার ছিল সেটাই হয়েছে। বলির পাঁঠা করা হল নীচু তলার দুই পুলিশ কর্মীকে। এই প্রসঙ্গে সজলবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমরা আনিসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চাইছি। আনিসের বাবাও তাঁর ছেলের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তই চাইছেন। বর্ধমান পুরসভার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে এদিন সন্ধ্যায় শহর বর্ধমানের কার্জনগেট এলাকায় একটি সভা হয়। সেই সভায় যোগ দেন বিজেপির মুখপত্র তথা কলকাতা পুরসভার বিরোধী দলনেতা সজল ঘোষ। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সজল ঘোষ আরও বলেন, সিটের মাথা করে দেওয়া হয়েছে জ্ঞানবন্ত সিংকে। তিনি রিজওআনুর কেসের আসামী। সজল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন তপসী মালিকের মৃত্যুর তদন্ত হয়েছে?২১ শে জুলাইয়ের ঘটনায় কেউ শাস্তি পেয়েছে? নন্দীগ্রাম ঘটনায় দোষীদের সাজা কি হয়েছে? কেউ শাস্তি পায়নি। বরং পুরস্কার পেয়েছে। মণিশ গুপ্তকে বিধায়ক করে দেওয়া হয়েছিল। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন রিজওয়ানুরের সময়ে বলেছিলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এখন তারাই যদি তদন্ত করে সেই তদন্তের কি ফল বেরুবে। আমি তো তার কথাই বলছি। সিবিআই গ্রেফতার না করলে উনিও তো করতে পারতেন। আজকে উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সিবিআই চান না । কারণ ওনার জায়গা পাওয়া হয়ে গিয়েছে। উনি ভাইপো ছাড়া আর কিছুই চেনেন না । আবার ভাইপো বেশী লাফালে ভাইপোকেও চেনেন না।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
দেশ

দাউদ যোগে ইডির হাতে গ্রেপ্তার এনসিপি নেতা নবাব মালিক

দাউদ যোগে গ্রেপ্তার করা হল এনসিপি নেতা নবাব মালিককে। ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করল ইডি। বুধবার সকালেই নবাব মালিকের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। তারপর ইডি আধিকারিকরা তাঁকে জেরার জন্য দপ্তরের দিকে নিয়ে যান। কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নবাবকে নিজেদের দপ্তরে নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। সকাল ৭ টা নাগাদ এনসিপি নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সকাল ৮ টা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অবশেষে টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মহারাষ্ট্রের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এনসিপি নেতা নবাব মালিককে।সূত্রের খবর, এনসিপি নেতা নবাব মালিক দাউদের সংযোগীদের সঙ্গে লেনদেন এবং জমি লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। ইডি জানিয়েছে তদন্তের ক্ষেত্রে তিনি কোনও সহযোগিতা করেননি এবং এড়িয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি এই মামলায় ইডি দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকারের বাড়িতে অভিযান চালান এবং তাঁকে হেপাজত নেওয়া হয়েছিল। তদন্ত চলাকালীন নবাব মালিকের কেনা কিছু সম্পত্তির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাধি সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের চলতে থাকা চাপা লড়াইয়ের মধ্যে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হলেন ৬২ বছরের মন্ত্রী নবাব মালিকের।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
দেশ

হিজাব বিতর্কের মধ্যেই কর্নাটকে খুন বজরং দলের নেতা

হিজাব নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মী খুনের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল কর্নাটকের শিবমোগায়। অশান্তির আশঙ্কায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। নামানো হয়েছে র্যাফ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ খুন হন বজরং দলের যুব কর্মী হর্ষ। কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই শিবমোগা শহরের সিগেহাট্টি এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, চলতি হিজাব বিতর্কের সঙ্গে বিষয়টি জড়িত নয়। তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের তদন্তে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় র্যা ফ নামানো হয়েছে। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে অন্তত চার থেকে পাঁচ জন জড়িত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই তদন্তের গতি-প্রকৃতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।কর্নাটকের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী কে এস এশ্বরাপ্পা ওই যুবকের মৃত্যুর জন্য অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কর্নাটকের কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন এশ্বরাপ্পা। তাঁর দাবি, হিজাব মামলার রেশ ধরে কংগ্রেসই এই হত্যায় ইন্ধন জুগিয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, হর্ষ একজন সমাজকর্মী ছিলেন। সৎ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।সম্প্রতি ডিকে শিবকুমার দাবি করেছেন জাতীয় পতাকা বদলে গেরুয়া পতাকা লাগানো হচ্ছে। হিজাব বিরোধী বিক্ষোভের জন্য সুরাতের একটি কারখানা থেকে ৫০ লক্ষ গেরুয়া শালের অর্ডার দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী কে এস এশ্বরাপ্পার দাবি, ডিকে শিবকুমারের এই সব মন্তব্যের পরই দুষ্কৃতী তাণ্ডব বেড়ে গিয়েছে কর্নাটকে। হর্ষ নামে মৃত যুবকের পরিবারকে সাহায্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন এশ্বরাপ্পা।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজনীতি

সাময়িক বরখাস্ত হয়ে রাজ্য নেতৃত্বরর উপরই ক্ষোভ উগরালেন জয়প্রকাশ-রীতেশ

বঙ্গ বিজেপির দীর্ঘদিনের সৈনিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতেই প্রথমে শোকজ নোটিস আর তারপর দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত। শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্ত থাকবেন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি। দলের এই কঠোর সিদ্ধান্তে যথেষ্টই অভিমানী দুই বিক্ষুব্ধ নেতা। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে জয়প্রকাশের গলায় সেই অভিমানের সুর স্পষ্ট।জয়প্রকাশ মজুমদার মঙ্গলবার বলেন, পশ্চিমবঙ্গের গত ৩৫ বছরের রাজনীতির সঙ্গে আমি সর্বতোভাবে সম্পৃক্ত হয়ে জড়িয়ে আছি। বিজেপিতে ২০১৪ সালে যোগ দেওয়ার পরের বছরই বিজেপি আমাকে রাজ্যের-সহ সভাপতি করে। তার পরের বছর আর একটি দায়িত্ব দেয়, যা অনেকেরই অজানা। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ বিভাগ রয়েছে রাজ্য বিজেপির। তার দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। তা কেন্দ্রকে নিয়মিত পাঠানোর দায়িত্ব ছিল আমার। সেই কাজ ২০২১ -এর নির্বাচনের আগে এবং পরেও আরও দুই-তিন মাস পর্যন্ত করেছি। কেন্দ্রীয় বিজেপিকে রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তার উপর বিশ্লেষণ পাঠানোর দায়িত্ব ছিল আমার।তিনি আরও বলেন, বিজেপি ২০১৬-র নির্বাচন তিনটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল। এরপর ২০১৯-এর নির্বাচনে আমরা ১৮ টি আসন জিতে আসি। বিজেপি এই রাজ্যে এক অভূতপূর্ব জায়গায় পৌঁছায়। প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠে আসে। আমার তার পর থেকেই মনে হচ্ছিল, যে কোনও কারণেই হোক না কেন, বিজেপির এই উত্থানকে কেন্দ্রীয় কিছু নেতা এবং রাজ্যের কয়েকজন নেতা, ভালভাবে মেনে নিতে পারছেন না। বাংলার বিজেপিকে দুর্বল করার চেষ্টা শুরু হয়। ২০১৯ -এর পর থেকে এই বাংলায় দেখতে পাই, বাংলার যে নেতা কর্মীরা ১৮ টি আসন জেতাল এবং দুটি আসন অল্পের জন্য হেরে গেল এই পর্যায়ে বিজেপিকে নিয়ে আসল, তাদের উপর আর ভরসা করা যাবে না এমন একটা উদ্যোগ শুরু হল। হয় অন্য দল থেকে লোক নিয়ে আসতে হবে, নাহলে বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে বাংলার বিজেপিকে তরী পার করাতে হবে। আমি তখন থেকেই কেন্দ্রের কাছে পাঠানো ফিডব্যাকে বলেছি, এটা ঠিক রাস্তা হচ্ছে না। কিন্তু সেই রিপোর্ট যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে খুব একটা প্রশংসিত হয়নি, সেই কথাও স্পষ্ট করে দেন জয়প্রকাশ।জয়প্রকাশের আরও অভিযোগ, কর্মীদের উপেক্ষা করছে নেতৃত্ব। বাংলায় বিজেপি কর্মীরা ভাল নেই। কোনও জেলা কমিটি আজও তৈরি হয়নি। বিক্ষোভ এড়াতে নেতাদের চুপ রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁর আক্রমণের নিশানায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বললেন, মাত্র আড়াই বছর রাজনীতিতে এসেছেন সভাপতি। প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতারা আজ রাজ্য বিজেপিতে ব্রাত্য।মঙ্গলবার আরও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন রীতেশ। তিনি বলেন, কদিন আগেই রাজ্য সভাপতি সব কমিটি এবং সেল ঘোষিত ভাবে ভেঙে দিয়েছেন। তবে যে কমিটি আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, তারই তো স্বস্তি নেই। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দলের তৎকাল নেতাদের অনেকে কোনও দিন রাজনৈতিক স্বার্থ ত্যাগ স্বীকার করেননি। তৃণমূলের সাহায্য নিয়ে ব্যক্তিগত উন্নতি ঘটিয়েছেন। পেশা থেকে অনেক রোজগার করেছেন। এঁরা গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে দলের ক্ষতি করতে এসেছেন।বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কোনও আন্দোলন হয়নি। আমরা আদালতে গিয়েছি অনেকবার। কিন্তু যে কর্মীরা মার খেয়েছে, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো, সেই জেলায় যাওয়া, সেই মণ্ডলে যাওয়া তার থেকে সবাই বলেছে হাইকোর্টে গিয়ে সেটা কাগজে বেরোলে বেশি সাহায্য হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করছিলেন, তখন তিনি হাইকোর্টের উপর নির্ভর করে লড়াই করেননি। তিনি মাঠে ময়দানে রাস্তায় নেমে লড়াই করেছিলেন। কারণ, সেটাই বাংলার রাজনীতি। কিন্তু অদ্ভুতভাবে ২০২১-এর নির্বাচনের পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্বাচনের ফলাফলের কোনও পর্যালোচনা হল না। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে কেউ কথা তুলতে গেলে তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাইক অফ করে দিতে বলা হয়েছে।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজনীতি

ব্রেকিংঃ বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষ নেতাকে সাময়িক বরখাস্ত, গুঞ্জন বাড়ল

শেষমেশ রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষ নেতাকে সাময়িক বরখাস্ত করল দল। এর আগে রীতেশ তেওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রশ্নে শোকজ করেছিল দল। এবার সাময়িক বরখাস্ত করল বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোমবার রাজ্য বিজেপির কার্যালয় সম্পাদক প্রণয় রায় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদ্বয়ের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে।রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটিতে শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই জায়গা পায়নি। এদিকে দলের মতুয়া নেতাদের অভিযোগ, তাঁদের প্রতিনিধিদেরও ব্রাত্য রেখেছে রাজ্য বিজেপি। মূলত দলের বিক্ষুব্ধ অংশ ও মতুয়া প্রতিনিধিরা এক হয়ে নানান জায়গায় বৈঠক করছেন। এমনকী পিকনিকও চলছে দুই তরফের উপস্থিতিতে। তাঁদের বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের প্রতি তোপ দেগেছেন। গতকালও রীতেশ তেওয়ারী ও জয়প্রকাশ মজুমদারের পাশেই দাঁড়িয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। তবে শুধু এই দুজন নয়, বঙ্গ বিজেপির বহু শীর্ষ নেতাই বৈঠকগুলিতে হাজির থেকেছেন। এবার সাময়িক বরখাস্ত করার পর আর কারও ওপর এই খাড়া পড়ে কিনা সেটাই এখন মূল চর্চা রাজনৈতিক মহলে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

অনলাইন অ্যাপের দুনিয়া থেকে মৃত্যু! আদর্শ হত্যায় কলকাতায় হইচই, পুলিশের হাতে বড় তথ্য

কলকাতার কসবা এলাকায় হোটেল ঘিরে রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্তে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বড় সাফল্য পেল কলকাতা পুলিশ। বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা ও পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আদর্শ লোসাল্কার খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর দুই সঙ্গী ধ্রুব মিত্র ও কমল সাহাকে। দুজনকেই শনিবার গভীর রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। পুলিশি তদন্তে তাঁদের ভূমিকাই সবচেয়ে সন্দেহজনক বলে উঠে এসেছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় আদর্শ কসবার ওই হোটেলে ওঠেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক তরুণী এবং এক যুবক। জানা গিয়েছে, ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে আলাপ হয় আদর্শের। নিজের ফোন থেকেই অ্যাপ ব্যবহার করে হোটেলের চতুর্থ তলার দুটি রুম বুক করেন তিনি। আদর্শ একা নিজের রুমে ঢোকেন, আর অপর রুমে চেক ইন করেন ওই তরুণী ও ধৃত যুবক।পরে তরুণী প্রথমে আদর্শের রুমে যান। কিছুক্ষণ পর সেখানে যোগ দেন অপর যুবকও। পুলিশ সূত্রে মিলেছে, টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করে আদর্শের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরিস্থিতি দ্রুত হাতাহাতিতে গড়ায়। পরে আদর্শকে অচেতন অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে হোটেল থেকেই সটকে পড়ে দুই সঙ্গী।শনিবার হোটেলের স্টাফরা দরজা না খুলতেই সন্দেহ করেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, মেঝেতে পড়ে আছে আদর্শের নিথর শরীর। তাঁর পা দড়ি দিয়ে বাঁধা। রুম থেকে উদ্ধার হয় অব্যবহৃত কন্ডোম। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যায়।ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে আদর্শকে। রিপোর্টে আরও পাওয়া গেছে, ঘটনার আগে তিনি মদ্যপান করেছিলেন। ধৃতদের জেরায় উঠে এসেছে তাঁরা নাকি ভয় পেয়ে পা বেঁধেছিলেন, যাতে আদর্শ উঠে তাঁদের আক্রমণ না করতে পারেন। তবে পুলিশের মতে, ধৃতদের এই দাবি সম্পূর্ণ সন্দেহজনক এবং প্রত্যেকটি বক্তব্য খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনলাইন ডেটিং প্ল্যাটফর্মকে কেন্দ্র করে প্রতারণা বা ব্ল্যাকমেলিংয়ের মতো কোনও ব্যান্ড সক্রিয় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের উদ্দেশ্যে নাকি অর্থ বা অন্য কোনও কারণে তাঁদের পরিকল্পনাসেটিও তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে।এই রহস্যময় খুনে পুরো শহরজুড়েই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রশ্ন উঠছেঅ্যাপে পরিচয়ের ফাঁদে আরও কেউ কি জড়িয়ে পড়েছেন? তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

‘গোপন চাপ’ ফাঁস করলেন বিএলওরা! ভোটার তালিকায় নাম তুলতে রাজনৈতিক দবাব? চাঞ্চল্য কমিশনে

পরতে-পরতে বাড়ছে বিস্ময়। পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক বিএলও-র মৃত্যু, আর তার মাঝেই সামনে এলো অন্য এক অভিযোগযে চাপের কথা এতদিন কেউ খোলাখুলি বলছিলেন না, সেই গোপন চাপ-এর অভিযোগ তুললেন বিএলও ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী নয়, সরাসরি নির্বাচন কমিশনের দোরগোড়ায় গিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়ে উঠে এল এই বিস্ফোরক অভিযোগ।স্বপন মণ্ডল জানান, কমিশনের প্রশাসনিক চাপ, ডেডলাইন, ডেটা এন্ট্রিএসবের বাইরে আরও এক অদৃশ্য চাপ চেপে বসেছে জেলার পর জেলা। মালদহ থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয়, কিছু ব্যক্তি বাবা বা ঠাকুমার পরিচয় দেখিয়ে একসঙ্গে চারপাঁচজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করানোর জন্য বিএলওদের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন। অথচ তাদের সঙ্গে ২০০২ সালের তালিকাভুক্ত ব্যক্তির কোনও প্রকৃত সম্পর্কই নেই। কারা সেই মানুষ? কেনই বা এমনভাবে তালিকা ভরানোর চেষ্টা? স্বপনবাবু সরাসরি কোনও দলের নাম উল্লেখ না করলেও তাঁর ইঙ্গিত, রাজনৈতিক চাপ যে রয়েছে, তা স্পষ্ট। আরও বড় অভিযোগএই কাজে নাকি কিছু ERO-ও পরোক্ষে জড়িত।কমিশন আগেই জানিয়ে দিয়েছে, ফর্মে কোনও ভুল হলে দায় যাবে সরাসরি বিএলওদের ঘাড়েই। ফলে একদিকে কমিশনের কড়াকড়ি, অন্যদিকে অদৃশ্য চাপমাঝখানে দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে সাধারণ স্কুলশিক্ষক থেকে শুরু করে গ্রাম-শহরের মাঠে নেমে থাকা হাজার হাজার বুথ লেভেল অফিসার। তাই বিএলওদের দাবি, ফর্ম আপলোডের আগে অ্যাপেই একটি রিমার্কস কলাম রাখতে হবে, যেখানে তারা সন্দেহ বা আপত্তি লিখে রাখতে পারবেন। সিইও দফতর নাকি এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যে সম্মতি দিয়েছে।রাজ্যে ইতিমধ্যেই এসআইআর আতঙ্কে তিন বিএলও-র অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র ক্ষোভ। এর মধ্যেই আবার উঠল রাজনৈতিক চাপ-এর অভিযোগ। রাজ্য সরকার মৃতদের পরিবারকে দুলক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করলেও স্বপন মণ্ডল তা সরাসরি ভিক্ষা বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর দাবিএ রকম চাপের মধ্যে কাজ করলে আরও মৃত্যু অনিবার্য। উপরন্তু ERO-রা অহেতুক ২৫ তারিখের ডেডলাইন চাপিয়ে দিয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে বলেও সরব তিনি।এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছেএসআইআর কি ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করছে, নাকি উল্টে প্রশাসনিক-রাজনৈতিক চাপে ক্লান্ত সাধারণ শিক্ষকদের জীবনই বিপন্ন করে তুলছে? বিএলওদের দাবি, এইভাবে চাপের মধ্যে কাজ চললে, তালিকার ভুল যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

“৪ রাত ঘুমোননি, ফোনে ফোনে হুমকি”—এসআইআরের অতিরিক্ত চাপে প্রাণ গেল দুই স্কুলশিক্ষকের

মধ্যপ্রদেশে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুই স্কুলশিক্ষকের মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুজনই বুথ লেভেল অফিসার (BLO) হিসাবে এসআইআর-এর দায়িত্বে ছিলেন। পরিবার ও সহকর্মীদের অভিযোগঅতিরিক্ত কাজের চাপ, অমানবিক ডেডলাইন এবং বারবার সাসপেন্ড করার ভয় দেখানোই মৃত্যুর মূল কারণ। বাংলায় যেভাবে এসআইআর-এর আতঙ্ক ছড়িয়েছে, ঠিক তেমনই পরিস্থিতি এবার মধ্যপ্রদেশেও তৈরি হয়েছে।রাইসেন জেলার বাসিন্দা রমাকান্ত পান্ডে মন্দিদীপ এলাকায় বিএলও হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী রেখা পান্ডে জানিয়েছেন, গত চার রাত রমাকান্ত একটুও ঘুমোননি। ফোনে ফোনে এসআইআরের কাজ নিয়ে তাগাদা, ডেডলাইন মেটানোর চাপ এবং সাসপেন্ড হওয়ার আতঙ্কে তিনি মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে একটি অনলাইন মিটিং চলাকালীন আচমকাই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। আর ওঠেননি।এর ঠিক এক দিন পর, দামোহ জেলার সীতারাম গোন্দ (৫০)-র মৃত্যু হয়। তিনি রঞ্জরা ও কুড়াকুড়ান গ্রামে এসআইআর-এর দায়িত্বে ছিলেন। সেদিন ভোটারের এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করতে গিয়েই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে জব্বলপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শুক্রবার রাতেই মৃত্যু হয়। তাঁর সহকর্মীরা জানান, প্রায় ১৩০০ জন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করে আপলোড করতে হত তাঁকে, কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন তিনি।এর আগেও মধ্যপ্রদেশের আরেক শিক্ষক ভুবন সিং চৌহানের মৃত্যু হয়েছিল। তিনিও BLO ছিলেন এবং কিছুদিন আগে দায়িত্বে ত্রুটির অভিযোগে সাসপেন্ড হয়েছিলেন। পরিবার অভিযোগ করে, এসআইআরের কাজের চাপই তাঁর মৃত্যু ডেকে এনেছে।এই ঘটনাগুলি সামনে আসতেই শিক্ষক মহলে ক্ষোভ বেড়েছে। বাংলায় ইতিমধ্যেই একাধিক BLO-র মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, BLO-দের উপর অতিরিক্ত চাপ বন্ধ করতে হবে। ঠিক একই অভিযোগ এবার মধ্যপ্রদেশেও দেখা যাচ্ছে।এসআইআর সংক্রান্ত কাজ দেশজুড়ে কী পরিস্থিতি তৈরি করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ডেডলাইন, স্ট্রেস, ভয় এবং অনবরত চাপসব মিলিয়ে BLO-দের উপর যে মানসিক ও শারীরিক প্রভাব পড়ছে, তারই করুণ পরিণতি তুলে ধরল মধ্যপ্রদেশের দুটি মৃত্যু।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
বিদেশ

বিমানবন্দরের মাথার ওপর ঘোরাফেরা ড্রোন, মুহূর্তে বন্ধ সব ফ্লাইট! তদন্তে সেনা-পুলিশ

নেদারল্যান্ডসের আইন্দহোভেন বিমানবন্দরে হঠাৎ করেই দেখা মিলল একাধিক ড্রোনের। আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে যেতেই মুহূর্তে থমকে গেল বিমানবন্দরের সম্পূর্ণ বিমান চলাচল। শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ নেদারল্যান্ডসের ব্যস্ত এই বিমানবন্দরে ড্রোন দেখা যাওয়ার পরেই চরম সতর্কতা জারি করা হয়। পরিস্থিতি যে কতটা গুরুতর ছিল, তা বোঝা যায় ডাচ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুবেন ব্রেকেলমান্সের বিবৃতি থেকে। তিনি এক্স-এ জানান, ডিফেন্স কাউন্টার-ড্রোন ইউনিট, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যেই এলাকায় মোতায়েন হয়েছে এবং যে কোনও মুহূর্তে হস্তক্ষেপের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।আইন্দহোভেন বিমানবন্দরটি সাধারণ যাত্রীবাহী বিমান ছাড়াও সামরিক উড়ানের কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। সেই কারণেই ড্রোনের উপস্থিতিকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, ঠিক কোথা থেকে এবং কী উদ্দেশ্যে ড্রোনগুলি উড়ছিল। তার আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমান ওঠানামা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়।এর আগের দিনও একই ধরনের ড্রোন দেখা গিয়েছিল ভলকেল এয়ারবেসের আকাশে। সেই সময় ডাচ সেনা সরাসরি গুলি চালিয়ে ড্রোন নামানোর চেষ্টা করে। ফলে টানা দুই দিন ধরে ড্রোন দেখা যাওয়ায় বিষয়টি আরও রহস্যজনক হয়ে উঠেছে। শুধু নেদারল্যান্ডস নয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহে ইউরোপের আরও বেশ কয়েকটি দেশে বিমান চলাচলে ড্রোনের কারণে বিঘ্ন ঘটে। ডেনমার্ক, নরওয়েসহ একাধিক দেশের বিমানবন্দরেও এমন ঘটনা ন্যাটোকে নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে।এটিই প্রথম নয়। এ বছরের সেপ্টেম্বরেই পোল্যান্ড ও রোমানিয়ার আকাশে রুশ ড্রোন আটক করা হয়েছিল। এমনকি তিনটি রুশ যুদ্ধবিমান এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করায় ন্যাটোর সতর্কবার্তা আরও জোরালো হয়। ফলে আইন্দহোভেনের এই ঘটনা সেই আশঙ্কাকে আরও ঘনীভূত করছে।যদিও ড্রোন দেখা গেলেই বিমানবন্দর বন্ধ করতে হয়, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, ড্রোন দেখা গেলে বিমান ওঠা-নামা সাময়িক বন্ধ রেখে পরিস্থিতি যাচাই করা হয়, যাতে কোনও সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়ানো যায়। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি হলেও, সুরক্ষার স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।এখন তদন্তের মূল লক্ষ্যএই ড্রোনগুলি কি শুধুই সাধারণ ব্যক্তি বা গ্রুপের অপকর্ম, নাকি এর পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক গুপ্তচরবৃত্তি বা নাশকতার বড় কোনও চক্র? ডাচ প্রশাসন ও সেনা এখন সেই সম্ভাবনাই সব দিক থেকে খতিয়ে দেখছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
বিদেশ

তুরস্ক-যোগ, কাতার-যোগ—হামাসের ‘আন্তর্জাতিক জাল’ ভাঙার দাবি মোসাদের

ইউরোপ জুড়ে হামাসের গোপন জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়ার দাবি করল ইসরায়েলের গোপনচর সংস্থা মোসাদ। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে জটিল ও সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে এই জঙ্গি কাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। জার্মানি, অস্ট্রিয়া-সহ একাধিক দেশে অভিযানের ফলে ধরা পড়েছে বহু জঙ্গি-সহযোগী এবং উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল অস্ত্রভাণ্ডার। মোসাদের দাবি, এই অস্ত্রগুলি ইসরায়েল এবং ইউরোপে অবস্থিত ইহুদি সংগঠনগুলির উপর হামলা চালানোর জন্যই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। নির্দেশ পেলেই হামলার প্রস্তুতি ছিল বলেই মনে করছে ইসরায়েল।অভিযোগ, হামাসের ইউরোপের নেটওয়ার্ক তৈরিতে তুরস্কের কিছু সদস্যও ভূমিকা নিয়েছিল। তাদের মাধ্যমে পরিকল্পিত হামলার সূত্র মিলেছে। শুধু তাই নয়, কাতারে থাকা হামাস নেতৃত্বও ইউরোপের জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে সরাসরি যুক্তএমন দাবি করেছে মোসাদ।অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গত সেপ্টেম্বর একটি বিশেষ অভিযানে বড় সাফল্য মেলে। সেখানে লুকিয়ে রাখা ছিল বিস্ফোরক, হ্যান্ডগান-সহ একাধিক অস্ত্র। তদন্তে উঠে আসে, এই অস্ত্রগুলি ছিল হামাস সদস্য মোহাম্মদ নাইমের। তিনি হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইমের ছেলে। অভিযোগ, বাবা ও ছেলের যৌথ নির্দেশেই ইউরোপে তৈরি হচ্ছিল গোপন জঙ্গি নেটওয়ার্ক। কাতারে তাদের বৈঠকের তথ্যও পেয়েছে তদন্তকারীরা।মোসাদের দাবি, ৭ অক্টোবর গাজায় হামলার পর থেকেই হামাস নতুন করে ইউরোপ-সহ বিভিন্ন দেশে জঙ্গি পরিকাঠামো গড়ে তুলতে উঠে পড়ে লাগে। ইরান ও ইরানপন্থী সংগঠনগুলির মতোই ইউরোপে সেল তৈরি, সদস্য সংগ্রহ এবং অস্ত্র মজুতের কাজ চলছিল বহুদিন ধরেই। বহুবার অস্বীকার করলেও, কাতার-নির্ভর হামাস নেতৃত্বের সন্ত্রাসে জড়িত থাকার প্রমাণ আগেও মিলেছে বলে দাবি ইস্রায়েলের।বর্তমানে বহু দেশের যৌথ তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছে, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং তুরস্ক-সহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে হামাসের আর কে কে এই নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
কলকাতা

হোটেল রুমে যুবকের দেহ, সঙ্গে কন্ডোম! খুনের পর টাকাও উধাও? তদন্তে দগ্ধ লালবাজার

কসবাকাণ্ডের তদন্ত আরও জটিল আকার নিচ্ছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখা সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের আগে অনলাইনে বুক করা হয়েছিল দুটি ঘর। মৃত যুবক আদর্শ লোসালকাকে যেভাবে পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে তদন্তকারীদের অনুমানতাকে নির্মমভাবে খুনের পর দেহ সরানো হয়েছে। ঘরের মেঝেতে খাটের ঠিক নিচে উল্টে পড়ে ছিল তার দেহ। পা বাঁধা ছিল তোয়ালে দিয়ে। মাথায় গভীর আঘাতের চিহ্ন।বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা ৩৩ বছরের আদর্শ শুক্রবার রাতেই কসবার হোটেলে ঢুকেছিলেন তিনজনের সঙ্গে। হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দলে ছিলেন এক মহিলা ও দুই পুরুষ। ভোরবেলা মহিলা এবং এক ব্যক্তি হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে কর্মীরা দেখেন মেঝেতে রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে কন্ডোম। যা দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, খুনের পিছনে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা আর্থিক বিরোধদুটোই সমান ভাবে সম্ভব।হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা আধার কার্ড জমা দিয়েছিল। কিন্তু কার্ডগুলি আসল কি না, তা এখন যাচাই করছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, খুনের পর আদর্শের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হোটেলের দুই পুরনো কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।অক্টোবরের শেষ দিকেই পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেল থেকে বক্স খাটের ভেতর থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘটনার সঙ্গেও অদ্ভুত মিল নিয়ে ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে। সেদিনও তিন যুবক রুম নিয়েছিলেন, পরে দুজন পালিয়ে যান। এবার আর এক হোটেল থেকে মিলল যুবকের দেহ। তদন্তকারীদের মতে, দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে। কসবার এই মৃত্যু এখন শহরজুড়ে নতুন রহস্যের জন্ম দিয়েছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

উত্তর প্রদেশে ‘অপারেশন ডিটেনশন’! যোগীর কড়া নির্দেশ—একটিও অনুপ্রবেশকারী রেহাই নয়

উত্তর প্রদেশে অনুপ্রবেশ রুখতে এবার অভূতপূর্ব কড়াকড়ি শুরু করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেনরাজ্যে বেআইনিভাবে থাকা কোনও ভিনদেশি নাগরিক বা অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লে তাকে আর খোলা সমাজে রাখা যাবে না। সঙ্গে-সঙ্গে পাঠাতে হবে ডিটেনশন সেন্টারে। প্রতিটি জেলাকেই অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টার তৈরির প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।যোগীর বক্তব্য, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা করা রাজ্য সরকারের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কোনও বেআইনি কাজ বা অনুপ্রবেশ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তাঁর স্পষ্ট বার্তাযে কোনও সন্দেহজনক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই হবে।রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, জেলার প্রশাসনকে দ্রুত এলাকার বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করতে হবে। ধরা পড়লে তাদের আগে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর পরিচয় যাচাইয়ের পর আইনানুগভাবে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই জেলাশাসকরা নড়েচড়ে বসেছেন। তাঁদের মন্তব্য, অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই সরাসরি ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হবে এবং ভেরিফিকেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন।এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ডিটেক্ট অ্যান্ড ডিপোর্ট-এর কথা বলেছিলেন। অনুপ্রবেশকারীদের দেশছাড়া করতে সারাদেশে কঠোর নীতি নেওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই পথেই হেঁটে উত্তর প্রদেশে প্রতিটি জেলায় ডিটেনশন সেন্টার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল। ফলে রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও শক্তি বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫
দেশ

স্কুলে পড়ুয়াদের কয়েক কদম দূরেই ২০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার! কী পরিকল্পনা ছিল

জম্মু-কাশ্মীর ও দিল্লির পর এবার পাহাড়ে নাশকতার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলার সুল্ত এলাকায় একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পাশের ঝোপে ১৬১টি জিলেটিন স্টিক ও বিস্ফোরকভর্তি প্যাকেট উদ্ধার হওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মোট ২০ কেজিরও বেশি বিস্ফোরক কোথা থেকে এল, কারা এনে লুকিয়ে রাখলতা নিয়ে তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ, বম্ব স্কোয়াড ও গোয়েন্দারা। জেলার প্রশাসন ইতিমধ্যেই অ্যালার্ট জারি করেছে।স্কুলের প্রিন্সিপাল সুভাষ সিং প্রথমে বিষয়টি খেয়াল করেন। ঝোপে সন্দেহজনক কয়েকটি প্যাকেট দেখে তিনি কোনও ঝুঁকি না নিয়ে সরাসরি পুলিশে ফোন করেন। মুহূর্তের মধ্যে দুটি পুলিশ টিম স্কুলঘেরা এলাকা কর্ডন করে। তৎক্ষণাৎ ডগ স্কোয়াড ও বম্ব স্কোয়াডকে ডাকা হয়। পুলিশ কুকুরই সবচেয়ে আগে ঝোপ থেকে জিলেটিন স্টিকের উপস্থিতি টের পায়। আরও ২০ মিটার দূর থেকে মিলেছে বিস্ফোরকভর্তি আরও কয়েকটি প্যাকেট। পরে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড সেগুলিকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায়।সাম্প্রতিক দিনে ধারাবাহিকভাবে বিস্ফোরকে ভরা প্যাকেট উদ্ধার হওয়ায় আরও উদ্বেগ বেড়েছে। এর আগে হরিয়ানার ধাউজ গ্রাম থেকে প্রায় ৩ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়েছিল, যা দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছিল। ফলে পাহাড়ে মিলল এই বিস্ফোরকএমন তথ্য গোয়েন্দাদের আরও সতর্ক করে তুলেছে।জিলেটিন স্টিক সাধারণত পাহাড়ে পাথর ভাঙতে বা খনিতে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু স্কুলের পাশে, সে-ও আবার ঘন ঝোপে লুকিয়ে থাকা এত বিপুল বিস্ফোরকের উপস্থিতি সন্দেহকে আরও গভীর করছে। চারটি বিশেষ তদন্তকারী টিম তৈরি করা হয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছেকোথা থেকে আসল এই বিস্ফোরক, কারা নিয়ে এল, এর লক্ষ্য ছিল কোন জায়গা, এবং বড়সড় নাশকতার ছক কি সত্যিই তৈরি হচ্ছিল।এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা আলমোড়া জেলায়। পাহাড়ে জঙ্গি-মদতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা।

নভেম্বর ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal