• ৭ পৌষ ১৪৩২, শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Kalna

রাজ্য

Betting: বেটিং চক্র বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ কালনার বাসিন্দারা

বেটিং চক্রের খপ্পরে পড়ে ইতিমধ্যেই নিঃস্ব হয়েছে বহু পরিবার। এমনকী সর্বস্বান্ত হয়ে অনেকে আত্মহননের পথও বেছে নিয়েছেন। তার পরেও বেটিং চক্রের রমরমা বন্ধ না হওয়ায় মঙ্গলবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার বাসিন্দারা। বেটিং চক্রের ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এদিন কালনার মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়ে তাঁরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আর্জি জানিয়েছেন। বেটিং চক্রের বিরুদ্ধে কালনার বাসিন্দারা সরব হওয়ায় নড়ে চড়ে বসেছে প্রশাসন।আইপিএল টুর্নামেন্ট চলাকালীন রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানেও সক্রিয় হয়েছিল বেটিং চক্র। জেলার মেমারি থানার পুলিশ বর্ধমান ও মেমারির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ওই সময়ে চক্রের বেশ কয়েকজন পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপরেও বেটিং চক্র এই জেলায় যে সক্রিয় রয়েছে তা কালনার বাসিন্দাদের আনা অভিযোগ থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।গণস্বাক্ষর সম্বলিত লিখিত অভিযোগে কালনার বাসিন্দারা মহকুমা শাসককে জানিয়েছেন, আইপিএল টুর্নামেন্ট চলাকালীন বেটিং চক্রের খপ্পরে পড়ে কালনা মহকুমার বহু পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। সর্বস্বান্ত হয়ে অনেক মানুষের জীবন গিয়েছে। ওই সময়ে যারা আইপিএল বেটিং চক্র চালিয়েছিল তারাই এখন আবার নতুন ফন্দি এঁটে বেটিং চক্র চালাচ্ছে। এর ফলে আবার অনেক পরিবার নিঃস্ব হবে ,অনেকের প্রাণ যাবে। কালনা মহকুমা ও তার আশপাশ এলাকায় বেটিং চক্র চালাচ্ছে এমন ১৮ জনের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে বাসিন্দারা মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ অনুযায়ী বেটিং চক্র চালানোর ঘটনায় জড়িতরা মূলত কালনা ও কালনার যোগীপাড়া, বারুইপাড়া, জাপট ও কাঁশাড়িপাড়ার বাসিন্দা। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন ও কালনা মহকুমায় বেটিং চক্রের সক্রিয়তা বন্ধের আর্জিও মহকুমা শাসককে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বেটিং চক্রের সক্রিয়তা বন্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই এখন তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন।মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ পত্রকালনার মহকুমা শাসক সুরেশ কুমার জগৎ এবিষয়ে বলেন ,অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়টি পুলিশকে জানানো হবে।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Husband Killed Wife : স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

স্ত্রীকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলো স্বামী। এই ঘটনা জানাজানি হতেই মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বেগপুর পঞ্চায়েতের ধলেশ্বর গ্রামে। বধূ তারমিনা বিবি(৪৫)কে খুনের অভিযোগে পুলিশ স্বামী লালবাবু শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। কালনা থানার পুলিশ বধূকে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধলেশ্বর গ্রাম নিবাসী লালবাবু শেখের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী তারমিনা বিবির বনিবনা হত না। নিত্যদিন তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত। লালবাবু তাঁর স্ত্রীকে মারধোরও করতেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার অশান্তি চরমে উঠলে লালবাবু তাঁর স্ত্রীকে খুন করে বসেন। এরপরেই স্ত্রীর মৃতদেহ খাটের নিচে রেখে দিয়ে লালবাবু বাড়ি থেকে বেরিয়ে নবদ্বীপ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ লালবাবুর বাড়িতে গিয়ে বধূ তারমিনা বিবির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দম্পতির ছেলে টোটন শেখ জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তাঁর মা ভালো করে চলাফেরা করতে পারতো না। তা নিয়ে তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকতো। টোটন শেখ বলেন, এদিন বেলায় তিনি কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর বাবা ও মায়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। অশান্তি চালাকালীন তাঁর মাকে প্রাণে মেরে দেন বাবা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে এসে মাকে মৃত অবস্থায় দেখেন। টোটন জানান, বাবার শাস্তির দাবি করে তিনি পুলিশের কছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গ্রামীণ) ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুন করে এক ব্যক্তি নবদ্বীপ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রীকে খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

প্রেমিকার স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে

প্রেমের সম্পর্কে পথের কাঁটা হয়ে উঠেছিল প্রেমিকার স্বামী। তাই পরিকল্পনা করে প্রেমিকার স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলো প্রেমিকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি বুধবার রাাতে ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার উত্তর রামেশ্বরপুর এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম মুরসেদ শেখ (২৮)। তাঁর বাড়ি কালনার বেগপুর পঞ্চায়েতের পাথরডাঙা গ্রামে। মুরসেদের স্ত্রীর প্রেমিক মানিক মণ্ডল পরিকল্পনা করে মুরসেদকে কুপিয়ে খুন করার পর নিজে আক্রান্ত হওয়ার ভান করে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিজনরা। কালনা থানার পুলিশ মুরসেদের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নিহত মুরসেদ শেখের দাদা জাকির আলি শেখ জানিয়েছেন, তাঁর ভ্রাতৃবধূর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল স্থানীয় মানিক মণ্ডলের। ওদের ওই প্রেমের সম্পর্কে পথে কাঁটা হয়ে উঠেছিল মুরসেদ। সেই পথের কাঁটা সরাতে মানিক পরিকল্পনা আঁটে। পরিকল্পনা মাফিক বুধবার সন্ধ্যার পরেই মানিক সহজপুর বাজারে থাকা তাঁর দোকান বন্ধ করে দেয়। এরপর মানিক তাঁর বাইকে মুরসেদকে চাপিয়ে নিয়ে উত্তর রামেশ্বরপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানেই মানিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুরসেদকে কোপানোর পর তাঁর মুখ কাদায় গুঁজে দেয়। তারপর নিজেকে নির্দেষ সাজাতে মানিক একই জায়গায় আক্রান্ত হওয়ার ভান করে পড়ে থাকে। রামেশ্বরপুর এলাকার লোকজন তাঁদের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কাছে যান। মানিক তাঁদের মিথ্যা করে বলে, দুস্কৃতীরা তাঁদের দুজনের উপরে হামলা চালিয়ে পালিয়েছে। এমনটা শুনেই এলাকার লোকজন কালনা থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দুজনকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরসেদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মানিক মণ্ডল এখন আক্রান্ত হবার অভিনয় করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জাকির আলি দাবি করেছেন। যদিও মানিক মণ্ডল এদিনও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) ধ্রুব দাস বলেন, মাঠের মধ্যে পড়ে থাকা দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসক তাঁদের মধ্যে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। মৃতর পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। তার ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
রাজ্য

Vidyasagar: মৃত্যুর ১৩০ বছর বাদ জমি বিবাদের অভিযোগে নাম জড়ালো ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের

এক আধ দিনের কথা নয়। আজ থেকে ১৩০ বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন বর্ণ পরিচয়ের শ্রষ্টা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তবুও তাঁর রেহাই নেই। জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদ নিয়ে কয়েকদিন আগে প্রশাসনিক মহলে দায়ের করা এক আইনজীবীর অভিযোগে জড়িয়ে গিয়েছে বিদ্যাসাগরের নাম। এমনটা শুনে অবাক লাগাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবেই এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছেন প্রশাসনের কর্তারা। এই ঘটনা কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে কালনার বিদ্যাসাগর অনুরাগী মহলে।আরও পড়ুনঃ ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট রাজত্ব শেষের পথে, নেতৃত্ব থেকে সরাতে পারে রয়্যাল চ্যালেজার্সকালনা আদালতের আইনজীবী প্রবুদ্ধ সাহানা তাঁর মক্কেলের হয়ে কয়েকদিন আগে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক, পুলিশ সুপারসহ কালনা ২ ব্লক প্রশাসনের নানা মহলে লিখিত একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রে আইনজীবী দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেল তুফান দে কালনা থানার জাপট পাড়ার বাসিন্দা। কালনার হাসপুকুর মৌজায় তুফানের ১.৫১ একর শালি জমি রয়েছে। যার এল আর প্লট নম্বর ১১২। ভূমি দপ্তরে তুফান দের নামেই ওই জমি রেকর্ড ভুক্ত রয়েছে এবং তিনি ওই জমির সরকারী রেভিনিউ নিয়মিত জমা দেন বলে আইনজীবীর দাবি।আরও পড়ুনঃ কালনায় বিশ্বকর্মা পুজোর থিম ভাবনায় ফুটে উঠলো বিজেপি ও তৃণমূলের দৈরথওই আইনজীবীর অভিযোগ,কালনার হাসপুকুর এলাকার তাপস সরকার, বলাই উপাধ্যায়সহ কয়েকজন তাঁর মক্কেল তুফান দে-র ওই জমিতে দখলদারি কায়েম করতে চায়। সেই কারণে তাঁর মক্কেল কালনা আদালতে মামলা করেন। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ওই জমিতে স্ট্যাটাসকো ইনজাংসান জারি রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাপস সরকার ও বলাই উপাধ্যায় সহ অন্যরা ওই জায়গায় জোরপূর্বক বিদ্যাসাগরের একটি মূর্তি বসাতে চাইছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে কেউ যাতে তাঁর মক্কেল তুফান দে-র জায়গায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি না বসায় তা দেখার জন্য আইনজীবী প্রবুদ্ধ সাহানা প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে লিখিত ভাবে আর্জিও জানিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ লাল-হলুদের মাঝমাঠে কমলা ঝড় তুলতে আসছেন ড্যারেন সিডোয়েল কালনার সাতগাছি পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস সরকার এই বিষয়ে বলেন, যে জায়গাটি তুফান দে তাঁর নিজের জায়গা বলে দাবি করছে সেই জায়গাটিতে একদা হাসপাতাল ছিল। বিদ্যাসাগর মহাশয় নিজে এক কলেরা আক্রান্ত রোগীকে ওই হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করেছিলেন। কিশলয় বইয়ে আজও সেই ঘটনার কথা উল্লেখ রয়েছে। ওই জায়গায় এখনও তদানীন্তন কালের হাসপাতালের সব নির্দর্শনও আটুট রয়েছে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে ওই জায়গাটির সঙ্গে। প্রধান পল্টা অভিযোগে বলেন, তুফান দে আসলে একজন জমি মাফিয়া। বিএলআরওর সঙ্গে অঁতাত করে অসাধু উপায়ে তুফান দে ওই জায়গাটি তাঁর নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন । পঞ্চায়েত প্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্মৃতি বিজরিত ওই জায়গাটি সরকার হেরিটেজ স্থান হিসাবে ঘোষনা করুক এটা গোটা কালনাবাসী চান । তিনিও তাই চান। তার জন্য যতদূর লড়াই করতে হয় তা করবেন বলে তাপস সরকার এদিন জানিয়ে দেন। কালনা ২ ব্লকের বিডিও দেবল উপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে ।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
রাজ্য

Biswakarma: কালনায় বিশ্বকর্মা পুজোর থিম ভাবনায় ফুটে উঠলো বিজেপি ও তৃণমূলের দৈরথ

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বকর্মাকে শিল্পের দেবতা হিসাবেই মানা হয়ে থাকে। সেই দেবতা বিশ্বকর্মার পুজোতেও এবার লাগলো রাজনীতির ছোঁয়া। পূর্ব বর্ধমানের কালনার নতুন বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলে শ্রমিক ইউনিয়ন যে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করেছে তার থিম ভাবনার মূলে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি যোগী রাজ্যে গঙ্গায় লাশ ভাসানো ও একবুক হতাশা নিয়ে কাজ হারানো পরিযায়ী শ্রমিকদের পদব্রজে বাড়ি ফেরার দৃশ্যও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়গুলিও তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়ন আয়োজিত বিশ্বকর্মা পুজোর থিমে জায়গা করে নিয়েছে। রাজনীতির ছোঁয়ায় মোড়া কালনার তৃণমুল শ্রমিক সংগঠন আয়োজিত এই বিশ্বকর্মা পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় বৃহস্পতিবার। পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপত্র দেবু টুডু, কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ, জেলা পরিষদ সদস্য আরতি হালদার, কালনা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তপন পোড়েল প্রমুখরা এই পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। বিরোধীরা কটাক্ষ করলেও রাজনীতির থিম ভাবনাকে পাথেয় করে এই বিশ্বকর্মার পুজো মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতে এদিনই বহু মানুষ মণ্ডপে ভিড় জমান। এমন থিম ভাবনায় বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন প্রসঙ্গে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কালনা মহকুমা কার্যকরি সভাপতি অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় তাঁর মতো ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলেন, গোটা পশ্চিমবাংলার মানুষের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভূত উন্নয়ন কাজ করেছেন। এখনও করে চলেছেন। অন্য কোনও রাজ্যে ১০ বছরে এত উন্নয়ন হয়নি। তাই বাংলা জুড়ে হওয়া সেইসব উন্নয়ন কাজের খণ্ডচিত্র বিশ্বকর্মা পুজোর থিম ভাবনার মধ্য দিয়ে আমরা জনসমক্ষে তুলে ধরেছি। পাশাপাশি বিজেপি শাসিত গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশের মানুষের দুর্দশার চিত্র ও সেখানকার গঙ্গায় করোনায় আক্রান্ত মৃতদের লাশ ভেসে যাওয়ার ঘটনাও থিমের মাধ্যমে তাঁরা তাঁদের বিশ্বকর্মা পুজোয় রেখেছেন। কারণ, এইসব খণ্ডচিত্রের মধ্য থেকে বিজেপি শাসিত রাজ্যের সঙ্গে বাংলার ফারাকটা সহজেই বুঝে নিতে পারবেন কালনার মানুষজন। এমনই মনে করছেন উদ্যোক্তারা।বিজেপির পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, এই পশ্চিমবাংলায় সর্বক্ষেত্রে এখন রাজনীতিকরণ হচ্ছে। তৃণমূলের দৌলতে এবার দেবতা বিশ্বকর্মাও রাজনীতির পাকেচক্রে জড়িয়ে গেলেন। পশ্চিবঙ্গবাসীকে আগামিদিনে এমন আরও কিছু দেখার জন্য তৈরি থাকতে হবে।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
রাজ্য

Angry Bull: রাগী ষাঁড়ের গুঁতোয় প্রাণে বাঁচলেও মুখের একপাটি দাঁত খোয়ালেন এক শ্রমিক

বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গেলেও রাগী ষাঁড়ের গুঁতোয় মুখের অর্ধেক দাঁত খোয়ালেন এক শ্রমিক। ষাঁড়ের এমন ভয়ংকর হামলার ঘটনাটি শনিবার বিকালে ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার শাসপুর দাঁতনকাটিতলা এলাকায়।ষাঁড়ের গুঁতোয় একপাটি দাঁত খোয়ানো লক্ষণ রাজপুত ওরফে সমীর নামের ওই ব্যক্তি মুখে ৮ টি সেলাই নিয়ে এখন কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ষাঁড়ের আতঙ্কে দিশেহারা কালনার বাসিন্দারা ষাঁড়টিকে এলাকাছাড়া করার জন্য তাঁরা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।আরও পড়ুনঃ রাজবাড়ির রহস্য (ধারাবাহিক গল্প)- প্রথম পর্বকালো, সাদা রঙের হৃষ্টপুষ্ট ষাঁড়টি অত্যন্ত রাগী হয়ে ওঠার কি কারণ তা কারও জানা নেই। ষাঁড়টি কালনার দাঁতনকাঠি থেকে সাহাপুর এলাকার মধ্যে ঘোরাঘুরি করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ আট থেকে আশি কেউই ষাঁড়ের হামলার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এমনকি ষাঁড়টি যানবাহণেও হামলা চালিয়ে যানবাহণের ক্ষতি করে দিচ্ছে। ভিন রাজ্যের বাসিন্দা লক্ষণ রাজপুত কর্মসূত্রে কালনার দাঁতনকাঠিতলা এলাকায় এসে রয়েছেন। রাগী ষাঁড়টি এদিন বিকালে হঠাৎতই তার উপরে হামলা চালায়। ষাঁড়টি তাঁকে শিং দিয়ে গুঁতোতে থাকে।স্থানীয় গনেশ মণ্ডল বলেন, লক্ষণ রাজপুতকে ষাঁড়টি ভায়ানক ভাবে গুঁতোচ্ছে দেখে তাঁরা কয়েকজন ষাঁড়টিকে তাড়াতে গিয়েও ব্যর্থ হন। তারই মধ্যে ষাঁড়টি তাঁর মস্ত শিং দিয়ে লক্ষণ রাজপুতের মুখে সজোরে গুঁতিয়ে দেয়। সেই গুঁতোয় মারাত্মক জখম হওয়ার পাশাপাশি মুখের একপাটি দাঁতও খোয়ান লক্ষণ রাজপুত। এরপর বহু মানুষ সেখানে ছুটে গিয়ে কোনওরকমে ষাঁড়টির হামলার হাত থেকে লক্ষণ রাজপুতকে উদ্ধার করে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। স্থানীয় ধীরেন পাল ও মিঠু হালদার বলেন, বহু মানুষজন সাহস করে এগিয়ে গিয়ে ষাঁড়টিকে তাড়ানেয় লক্ষণকে প্রাণে বাঁচানো গিয়েছে। নয়তো শিংয়ে করে গুঁতিয়েই ষাঁড়টি লক্ষণকে প্রাণে মেরে দিত ।আরও পড়ুনঃ বাতিল টেস্ট ম্যাচ নিয়ে আইসিসিকে চিঠি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডেরএলাকার বাসিন্দারা বলেন, বিগত কয়েক মাসে ষাঁড়টি এলাকার ১৫-২০ জনকে গুঁতিয়ে জখম করেছে। ষাঁড়টির আতঙ্কে ছাত্র ছাত্রীরা প্রাইভেট পড়তে যেতে ভয় পাচ্ছে। ভয়ে বয়স্করাও বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না। বাসিন্দাদের বক্তব্য, প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়ে ষাঁড়টিকে এলাকা ছাড়া না করলে তাঁদের আতঙ্কেই দিন কাটাতে হবে।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
রাজ্য

Teacher Hanged: ঘরের দরজা ভেঙে শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

দরজা বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল শিক্ষিকার ঝুলন্ত মৃতদেহ। মৃতার নাম সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্য বয়স্ক শিক্ষিকার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের প্রফেসার কলোনিতে। বুধবার রাতে কালনা থানার পুলিশ শিক্ষিকার বাড়ির একটি ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য কালনা মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। কালনা থানার পুলিশ শিক্ষিকার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় কালনার একটি মাদ্রাসা স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর স্বামী কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া মৃতার ছেলে সম্ভ্রম বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানায়, সে পড়াশোনা গাফিলতি করায় গত মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর মা রেগে যায়। মায়ের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। তার পরেই তাঁর মা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। সম্ভ্রম বলেন ,এই ঘটনার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁর ঘরের দরজা খুলে আর বাইরে হয় না। তাঁর মা কোন সাড়া শব্দও দিচ্ছিল না। এই ভাবে মঙ্গলবার রাত পেরিয়ে যাবার পর বুধবার সাকালে ফের দরজা ধাক্কাধাক্কি করও সম্ভ্রম তাঁর মায়ের সাড়া পায়নি। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে সম্ভ্রম কলকাতায় তাঁর মামার বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা মামাদের খুলে বলে। বুধবার রাতে মামাদের সঙ্গে নিয়ে সম্ভ্রম কালনা থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনার কথা জানায়। কালনা থানার পুলিশ দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় সুনন্দাদেবীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়। প্রাথমিক ভাবে এটি একটি আত্মহত্যায় ঘটনা বলেই পুলিশের অনুমান। তবে পাড়া প্রতিবেশীকে কিছু না জানিয়ে সম্ভ্রম কেন কলকাতায় মামার বাড়িতে গেল তাঁদেরকে ঘটনার কথা জানালো সেই বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Adhar : আধার কার্ড তৈরিতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রতিষ্ঠান মালিক

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নতুন আধার কার্ড তৈরি ও সংশোধনের জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক ব্যক্তি। ধৃত ব্যক্তির নাম খোকন শেখ ওরফে ফরজ। পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের কাঁসারিপাড়ায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানেই খোকন আধার কার্ড তৈরির ব্যবসা ফেঁদেছিল। প্রতারিতদের অভিযোগের ভিত্তিতে কালনা থানার পুলিশ মঙ্গলবার সেখান থেকেই খোকন শেখকে গ্রেপ্তার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। বিচরক ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ অহীন্দ্র মঞ্চে কর্মিসভায় বিজেপিকে কয়েক হাত মমতারপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাস ধরে কালনা শহরের কাঁসারিপাড়ার ভাড়া বাড়িতে আধার কার্ড তৈরির কারবার চালাচ্ছিল খোকন শেখ। অভিযোগ, সেখানে বসেই আধার কার্ড তৈরির জন্য সাধারণ ও গরীব মানুষজনের কাছ থেকে তিনি ৬০০ ও তার বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এই বিষয়ে স্থানীয় দীপঙ্কর রায় সহ বেশ কিছু বাসিন্দা মঙ্গলবার প্রতিবাদে সরব হন। তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠলে কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি পুলিশ খোকন শেখের প্রতিষ্ঠান থেকে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে। তাতে অনিয়মের প্রমাণ মেলায় পুলিশ খোকন শেখকে গ্রেপ্তার করে ।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
রাজ্য

Students Credit Card: স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণের জন্য ব্যাঙ্ক বাড়ির দলিল বন্ধক রাখতে বলায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ছাত্র

আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা যাতে থমকে না যায় তার জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড।তার মাধ্যমে পড়ুয়ারা ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবে। পড়ুয়াদের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া এমন উদ্যোগ গোটা দেশের পড়ুয়া মহলে সাড়া ফেলে দেয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পড়ুয়ার কাছ থেকে সিকিউরিটি বাবদ বাড়ির দলিল ব্যাঙ্কে জমা রাখার কথা বলায় পণ্ড হতে বসেছে স্টুটেন্ড ক্রেডিট কার্ড চালু করার মূল উদ্দেশ্য। ব্যাঙ্কের জারি করা এমন ফরমানে চরম বিপাকে পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার বি-টেক পড়ুয়া আবির মিত্র। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যাতে এমন ফরমান প্রত্যাহার করে নেয় তার জন্য ছাত্র আবির চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক ও কালনার মহকুমা শাসকের কাছে আর্জি জানিয়েছে। পড়ুয়ার আর্জির কথা জানতে পেরে নড়ে চড়ে বসেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।কালনা শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটমিত্র পাড়ায় বাড়ি বি-টেক এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবির মিত্রর।তাঁর বাবা ওষুধের দোকানে কাজ করে সামান্য যেটুকে অর্থ রোজগার করেন তা দিয়েই কোনরকমে তাঁদের সংসার চলে। তবুও নিম্নবিত্ত পরিবারের মেধাবি ছাত্র আবিরের স্বপ্ন উচ্চ শিক্ষিত হওয়া। এখন তাঁর লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অর্থই বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ষ্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করায় লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আশার আলো দেখেছিল আবির।পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য আবির ষ্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের রেজিষ্ট্রেশন করে। এরপর সে পড়াশোনার জন্য দেড় লক্ষ টাকা লোন নিতে চেয়ে বর্ধমান সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কালনা শাখায় আবেদন করে। আবিরের অভিযোগ, ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে দেড় লক্ষ টাকা লোন পাওয়ার জন্য তাঁকে তাঁর বাড়ির দলিল ব্যাঙ্কে জমা (বন্ধক )রাখতে বালায় সে বিপাকে পড়ে যায়। আবির এদিন জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এমন ফরমান যাতে প্রত্যাহার করে তার আর্জি জানিয়ে সে মুখ্যমন্ত্রী, জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের কাছে চিঠি লিখেছে।যদিও ওই ব্যাঙ্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার প্রদীপ অধিকারী এদিন বলেন, লোন নিয়ে প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়। ওই লোন সেন্ট্রাল বর্ধমান থেকে দেওয়া হচ্ছে। জমি, বাড়ি বন্ধক রাখার কথা কাউকে বলা হয়নি বলে প্রদীপ বাবু জানান। কালনা মহকুমাশাসক সুরেশ কুমার জগৎ জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ওই ছাত্রের লোন পেতে কোনও অসুবিধা হবে না।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
রাজ্য

Fixed Deposit Missing : গ্রাহকের অজান্তেই গায়েব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা, পুলিশের দ্বারস্থ প্রৌঢ়

গ্রাহকের আজান্তেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হয়ে গেল তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। ঘটনার বিহিত চেয়ে কালনা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন কালনার মধূবন পাড়ার বিডিও অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ধীরেন্দ্রনাথ দাস। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশকে ধীরেন্দ্রনাথ দাস জানিয়েছেন, বিডিও অফিস থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি এককালীন ২ লক্ষ টাকা পান। ২০১৮ সালের ২৯ আগষ্ট ওই ২ লক্ষ টাকা তিনি কালনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে গচ্ছিত রাখেন। ২০২৩ সালের ১৯ আগষ্ট ছিল ফিক্সড ডিপোজিটের ম্যাচিউরিটি ডেট। ধীরেন্দ্রনাথ বাবু জানিয়েছেন, তাঁর ছোট মেয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মেয়ের চিকিৎসার জন্য তাঁর টাকার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে মেয়াদ উত্তির্ণ হওয়ার আগেই চলতি মাসের ১৬ তারিখ তিনি ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট ভাঙিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে যান। তখনই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়ে দেয়, ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা নাকি তুলে নেওয়া হয়েছে । ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ধীরেন্দ্রনাথ বাবুর ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেটেও ক্লোজ বলে লিখে দেয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এমনটা জানিয়ে দেওয়ায় মাথায় হাত পড়ে যায় ধীরেন্দ্রনাথ বাবুর। তিনি নিশ্চিত হন জালিয়াতি করে কেউ তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপরেই ধীরেন্দ্রনাথবাবু ঘটনা সবিস্তার উল্লেখ করে কালানা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।আক্ষেপ প্রকাশ করে ধীরেন্দ্রনাথ দাস এদিন বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে জীবনের সঞ্চয়টুকু জমা রেখে এইভাবে ঠকতে হবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। এখন অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা কীভাবে করবেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার ইন্দ্রজিৎ মজুমদার শুধু বলেন, লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে তাঁকে কেউ কিছু জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।

আগস্ট ৩১, ২০২১
রাজ্য

ভূয়ো ’ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস ব্যুরো ইন্ডিয়া’-র পর্দা ফাঁস, নয়া মোড়

রাজ্য পুলিশের জালে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে ভুয়ো সিবিআই অফিসার, আইপিএস ও পুলিশ অফিসার। এবার ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস ব্যুরো ইন্ডিয়া লেখা প্লেট গাড়িতে লাগিয়ে ঘোরার দায়ে গ্রেপ্তার হল ৩ ব্যক্তি। ধৃতদের নাম আজিজ আলী শেখ, জাকির হোসেন ও আমজাদ হোসেন। আজিজ ও জাকির মুর্শিদাবাদ জেলার চকবাজার এলাকার বাসিন্দা। অপর ধৃত আমজাদ হোসেন মুর্শিদাবাদ থানা এলাকার বাসিন্দা। সে আজিজ ও জাকিরের ব্যবহৃত গাড়ির চালক। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পুলিশ তাঁদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভুয়ো প্লেট লাগানো ধৃতদের ব্যবহৃত দামি চারচাকা গাড়িটি। সুনির্দিষ্ট ধারায় মালা রুজু করে পুলিশ শনিবার ৩ ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী অফিসার ধৃতদের ৭ দিন পুলিশি হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। বিচারক ধৃতদের ৩ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকালে কালনার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় একটি হোটেলের সামনে দাঁড়ায় সাদা রঙের দামি একটি চার চাকা গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে তিনজন সেখানকার হোটেলের ভিতর ঢুকে যায়। ওই সময়ে স্থানীয় লোকজন দেখেন ওই গাড়িটির সামনে নিল ও লালচে রঙের একটি প্লেট লাগানো রয়েছে। সেই প্লেটে লেখা রয়েছে ,ন্যাশানাল সেক্রেটারি- ইউথ সেল -ন্যাশানাল হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস ব্যুরো ইন্ডিয়া। গাড়িতে এমনসব কিছু লেখা প্লেট দেখে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়।গাড়ির আরোহীরা ভুয়ো ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটসের লোক হতে পারে বলে তাঁরা মনে করে।পুলিশকেও তাঁরা বিষয়টি জানান। পুলিশ ওই হোটেলের সামনে পৌছায়। গাড়িটিতে লাগানো থাকা প্লেটের লেখা পড়ে পুলিশেরও সন্দেহ জাগে।এরপরেই কালনা থানার পুলিশ ওই গাড়িটি ও তার তিন আরোহীকে তুলে নিয়ে থানায় চলে যায়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে আজিজ আলি ও জাকির হোসেন বিভিন্ন ধরনের পাথর(গ্রহরত্ন) বিক্রি করে। সেই কাজে বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা যাতায়াত করে।গাড়ি চালক আমজাদ হোসেন যাতে টোল ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ও নাকা চেকিং টপকে যাতে অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে তার কৌশল আঁটে পাথর ব্যবসায়ীরা। সেই কৌশল স্বরুপ তাঁরা গাড়িতে ন্যাশানাল হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস ব্যুরো ইন্ডিয়া লেখা প্লেট লাগায়। জেরায় এমন তথ্য উঠে আসার পরেই পুলিশ ওই গাড়ির চালক ও দুই পাথর ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের দাবি ধৃতদের কাছ থেকে অলংকারে ব্যবহারের বেশ কিছু পাথর পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি সহ ভুয়ো প্লেট লাগানো গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য জানিয়েছে, ধৃতদের প্রকৃত পরিচয় উদ্ধার এবং তাঁদের সঙ্গে অন্য কোনও চক্রের যোগ আছে কিনা তা জানতে ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

আগস্ট ০১, ২০২১
রাজ্য

এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ’ভুয়ো’ সদস্য সন্দেহে কালনায় গাড়িসহ আটক তিন

রাজ্য পুলিশের জালে ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে ভুয়ো সিবিআই অফিসার,আইপিএস ও পুলিশ অফিসার। এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভুয়ো সদস্য সন্দেহে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পুলিশ তিন জনকে আটক করলো। পাশাপশি তাদের ব্যবহৃত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্লেট লাগানো দামি চারচাকা গাড়িটিও পুলিশ অটক করেছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই কালনার বাসিন্দা মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কালনা থানার পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের প্রকৃত পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে কালনার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় একটি হোটেলের সামনে দাঁড়ায় সাদা রঙের দামি একটি চার চাকা গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে তিনজন সেখানকার হোটেলের ভিতর ঢুকে যায়। ওই সময়ে স্থানীয় লোকজন দেখেন ওই গাড়িটির সামনে নিল ও লালচে রঙের একটি প্লেট লাগানো রয়েছে। সেই প্লেটে লেখা রয়েছে, ন্যাশানাল সেক্রেটারি- ইউথ সেল -ন্যাশানাল হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস ব্যুরো ইন্ডিয়া। গাড়িটিতে এমন সবকিছু লেখা প্লেট লাগাণো দেখে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। গাড়ির আরোহীরা ভুয়ো জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের লোক হতে পারে বলেই স্থানীয়রা মনে করতে শুরু করেন। পুলিশকেও তারা বিষয়টি জানান। পুলিশ ওই হোটেলের সামনে পৌছায়। গাড়িতে লাগানো থাকা প্লেটের লেখা পড়ে পুলিশেরও সন্দেহ জাগে। এরপরেই কালনা থানার পুলিশ ওই গাড়িটি ও তার তিন আরোহীকে তুলে নিয়ে থানায় চলে যায়। কালনার এসডিপিও সপ্তর্ষি ভট্টাচার্য জানিয়েছে, একটি গাড়ি সহ তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

জুলাই ৩১, ২০২১
রাজ্য

Rape: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার প্রতিবেশী

বাড়িতে একা থাকা নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হল প্রতিবেশী পরিবারের যুবক। ধৃতের নাম বকুল হেমব্রম। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনার বেগপুর পঞ্চায়েত শিমুলগড়িয়ায়। ধর্ষণ ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ রবিবার ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে।আরও পড়ুনঃ পর্নোগ্রাফি ছবি তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার বলিউড অভিনেত্রীর স্বামীপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৩+বয়সী নাবালিকার বাড়ি কালনার বেগপুর পঞ্চায়েতের শিমুলগড়িয়া গ্রামে। ওই নাবালিকা শনিবার দুপুরে বাড়িতে একাই ছিল। সেই সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী যুবক বকুল তাদের বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।অবিভাবকরা বাড়িতে ফিরলে নির্যাতিতা নাবালিকা বকুলের কুকীর্তির কথা তাঁদের জানায়। ওই দিনই ঘটনার কথা জানিয়ে নাবালিকার পরিবার কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে।

জুলাই ২৬, ২০২১
রাজ্য

Job Cheat: প্রশিক্ষণ শেষে চাকরি! মহিলাদের বড়সড় প্রতারণার ঘটনায় ধৃত ৩

মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। কাজ পাওয়া তো দূরের কথা দেওয়া টাকাও ফেরত না মেলায় শনিবার প্রতারিত মহিলারা পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার দ্বারস্থ হন। মহিলাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সংস্থার এক ব্যক্তি ও দুই মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনকাটোয়া শহরের সুবোধ স্মৃতি রোড এলাকায় একটি মার্কেট কমপ্লেক্সে রয়েছে। সেখানেই রয়েছে কালনার বাসিন্দা এক ব্যক্তির অফিস ঘর। অফিসটি ২০১৯ সালে খোলা হয়। অফিসের সামনে ঝোলানো রয়েছে ভারত সরকারের বাণিজ্য এবং উদ্যোগ মন্ত্রালয়ের অধীনে ফুটওয়্যার ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট লেখা ব্যানার। ব্যানারে ব্যবহার করা হয়েছে অশোকস্তম্ভ লোগো। এছাড়া কৌশল বিকাশ কেন্দ্রলেখা আছে ওই ব্যানারে। ওই ব্যক্তি সেখানে নিজেকে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার লোক বলে পরিচয় দিতেন।আরও পড়ুনঃ মরণোত্তর অঙ্গদানের শপথ অভিনেতারতৃপ্তি লাহা, মিনা দেবনাথ, মাধবী দাস সরকার প্রমুখ মহিলারা বলেন, ওই ব্যক্তি নিজের কাজের সুবিধার জন্য স্থানীয় দুই গৃহবধূকে নিয়োগ করেছিলেন। সেই দুজন মহিলাই তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেলাইসহ বিভিন্ন হাতের কাজ শিখিয়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নামে ব্যানার থাকায় তাঁরা ওই দুই মহিলার কথা বিশ্বাস করেছিলাম। এজন্য তাঁডের কাছ থেকে ১২০০-২৩০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন কাজের ব্যাবস্থা তো করছেই না, উপরন্ত টাকা চাইতে গেলে ফের নতুন গল্প শোনাচ্ছে। এলাকার ১ হাজারের অধিক মহিলা প্রতারিত হয়েছেন। কোথাও কোন সুরাহা না পেয়ে তাই বাধ্য হয়ে এদিন তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানান। গৃহবধুদের প্রত্যাশা পুলিশ তাঁদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে পারবে।

জুলাই ২৪, ২০২১
রাজ্য

Road Blockade: কালনায় পথ অবরোধ, বিক্ষোভ উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য ছাত্রীদের

রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি এবার পূর্ব বর্ধমানেও ছড়াল উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে ক্ষোভের আঁচ। পরীক্ষা না নিয়ে কেন ফেল করানো হল কোন যুক্তিতে? এই দাবী তুলে শনিবার বিক্ষোভে ফেটে পড়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করা ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রী। তারা কালনা-কাটোয়া রোডে ধাত্রীগ্রাম পোস্ট অফিসের সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখায়।আরও পড়ুনঃ শাহের দরবারে শুভেন্দু-সৌমিত্র, জল্পনাছাত্রীদের সঙ্গে পথ অবরোধ বিক্ষোভে অংশ নেয় তাঁদের অবিভাবকরা। প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে চলে অবরোধ বিক্ষোভ। তার জেরে থমকে যায় কালনা-কাটোয়া এসটিকেকে রোডে যানবাহন চলাচল। প্রায় ঘন্টা খানেক অবরোধ চলার পর পুলিশি হস্তক্ষেপে অবরোধ বিক্ষোভ ওঠে।আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের মমতার উপহার উৎসশ্রী আসলে কী? জানুনউচ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের ৫০ জন ছাত্রী জানতে পারে তারা ফেল করেছে। রেজাল্ট হাতে পাওয়ার ওই ছাত্রীরা দেখে তাদের বেশির ভাগই বাংলা অথবা ইংরাজিতে ফেল করেছে। পথ অবরোধ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ছাত্রী রিতিশা ঘোষ বলেন, পরীক্ষা হলে আমরা কেউ ফেল করতাম না। কারণ আমরা পড়শুনাটা সিরিয়াসলি করেছি। ছাত্রীদের প্রশ্ন, পরীক্ষা না নিয়ে তাহলে তাঁদের ফেল করানো হল কোন যুক্তিতে? তাই তারা চাইছে অবিলম্বে উচ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা হোক। নয়তো তাঁদের সকলকে পাস করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিকে প্রথম পদক ভারতেরঅবিভাবক ঝুমা দেবনাথ বলেন, এই বছর অতিমারির কারণে পরীক্ষা না হওয়ায় মাধ্যমিকে পাশের হার ১০০ শতাংশ ।অথচ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভিন্ন মানসিকতা দেখানো হল। পরীক্ষা না নিয়েও উচ্চ মাধ্যমিকে অনেক পড়ুয়াকে উত্তীর্ণ করা হয়নি। ধাত্রীগ্রাম বালিকা বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্রীকে হয় বাংলা নয়তো ইংরাজিতে ফেল দেখানো হয়েছে। যাদের ফেল দেখানো হয়েছে তাদের সবাইকে পাশ করাতে হবে বলে ঝুমা দেবনাথ সহ অন্য অবিভাবকরা দাবি করেছেন।আরও পড়ুনঃ গোপনে ভারত ঘেষা তিব্বত ঘুরে গেলেন চিনা প্রেসিডেন্টবিক্ষোভরত ছাত্রীদের স্কুলের ভিতর নিয়ে গিয়ে পুলিশ শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনায় বসায়। শিক্ষিকাদের কাছেও একই দাবি জানায় পড়ুয়া ও অবিভাবকরা। ব্লক প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিলে ছাত্রী ও অবিভাবকরা এদিনের মতো আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়।

জুলাই ২৪, ২০২১
রাজ্য

Discipline : ছাত্রীর শ্লীলতাহানী, শ্রীঘরে ঠাই কীর্তিমান শিক্ষকের

প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়া দশম শ্রেণীর ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক স্কুল শিক্ষক। ধৃতের নাম অখিলেশ্বর সরকার। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের শ্যামগঞ্জপাড়ায়। স্কুল শিক্ষকের কুকীর্তির কথা জানাজানি হতেই এলাকায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করা হয় কালনা মহকুমা আদালতে। বিচারক ধৃতের জামিন নামাঞ্জুর করে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার।আরও পড়ুনঃ মুখে কাপড় বেঁধে শিশু কন্যাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ, উত্তেজনা ভাতারেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা শহরের আমলাপুকুর এলাকায় বাড়ি দশম শ্রেণীর ছাত্রীর। ছাত্রীটি সোমবার সকালে কালনা শহরের সরকারি স্কুলের শিক্ষক অখিলেশ সরকারের বাড়িতে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যায়। অভিযোগ, ওই সময়ে ছাত্রীকে একা পেয়ে ওই শিক্ষক ঘরের দরজা বন্ধ করে তার শ্লীলতাহানি করে। শিক্ষকের যৌন লালসার হাত থেকে বাঁচতে ছাত্রীটি চিৎকার শুরু করে। তখনই ছাত্রীকে ছেড়ে দিলেও কাউকে ঘটনার কথা জানালে পরিণতি ভয়ংকর হবে বলে শিক্ষক ছাত্রীকে হুমকি দেয়। এই ঘটনা বিষয়ে ওই দিনই ছাত্রীর পরিবার কালনা থানায় শিক্ষক অখিলেশ্বর সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে এর পরেই পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

জুলাই ২০, ২০২১
রাজ্য

Attempt Murder: বিজেপি করায় দম্পতিকে মারধর করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

বিজেপি করার অপরাধে এক দম্পতিকে মারধর করে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো শাসক দলের লোকজনের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পিন্ডিরা পঞ্চায়েতের কৈগড়িয়া গ্রামে। মারধরের বিষয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী স্বপন দাস কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কালনার তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে।আরও পড়ুনঃ ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা?পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গিয়েছে, স্বপন দাস কালনা ২ ব্লকের কৈগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।স্বপনবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি বিজেপি পার্টি করেন। সেই কারণে রবিবার সকালে তিনি যখন কাজে যাচ্ছিলেন তখন তৃণমূলের ৬ জন তাঁর উপরে হামলা চালায়। স্বপনবাবু দাবি করেছেন, তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্যেই লোহার রড, বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা। সেই সময়ে তাঁর স্ত্রী বাঁধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। স্বপনবাবুর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে অর্ধনগ্ন করা হয়।এরপর তাঁদের পুড়িয়ে মারার জন্য কেরোসিন তেল নিয়ে আসে তৃণমূলের দুস্কৃতিরা। বাঁচার জন্য তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।আরও পড়ুনঃ শ্রীময়ীর পোস্ট নিয়ে ধোঁয়াশাবিজেপির পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, রাজ্য জুড়েই তৃণমূল সন্ত্রাস জারি রেখেছে। ওদের মন্ত্রীও এখন সেই সন্ত্রাসের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, স্বপন দাস ও তাঁর স্ত্রীকে মারধরের বিষয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে জানানো হবে। বিজেপি কর্মীর এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কালনা ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রণব রায় বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এইসব অসত্য অভিযোগ আনা হচ্ছে।

জুলাই ১৯, ২০২১
ভ্রমণ

Rakhal Raja: রাখাল রাজের দেশে, বিস্তীর্ণ প্রান্তর যেথায় দিগন্তে গিয়ে মেশে

বহু দিন ধরে বহু ক্রোশ দূরেবহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরেদেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়াঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়াএকটি ধানের শিষের উপরেএকটি শিশিরবিন্দু।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকবির প্রকৃতি প্রেম খুব সুন্দর করে এই পংক্তি গুলির মধ্যে ফুটে উঠেছে। সত্যিই তো আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান, প্রকৃতি যেখানে জিঅকৃপণ ভাবে নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে, তার কতটুকুই বা আমরা জানি। লকডাউনের বিধিনিষেধ দূর ভ্রমণে বাধা হলেও, অদূর ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছে। মুক্তির স্বাদ খুব অল্প সময়ের হলেও তা প্রাপ্তির ভাণ্ডার কে পরিপূর্ণ করে তোলে। প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়ে অপার আনন্দ অনুভব করার এমনই এক ঠিকানা রাখাল রাজার মন্দির।প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দিরময় স্থান কালনা। কালনার ই বৈদ্যপুর রথতলা থেকে মিনিট ১৫ গেলেই গোপালদাসপুর গ্রামে অবস্থিত এই রাখাল রাজ মন্দির। নিরিবিলি পরিবেশ, চারদিকে বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর, পাখির কলকাকলিতে মুখরিত, তার মাঝখানে লাল ইটের তৈরি প্রাচীন মন্দিরে রাখাল রাজ বিরাজমান। প্রকৃতি এখানে রাখাল রাজের খেলার উপযুক্ত স্থান হিসাবেই নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে। মন্দির এর সামনে বিস্তৃত নাট মন্দির, তার দেয়ালে শ্রীকৃষ্ণের বাল্য লীলার নানান কাহিনী যেমন পুতনা বধ, ননী চুরি, কংস বধ ইত্যাদি ছবির মাধ্যমে বর্ণিত আছে।মন্দিরের গর্ভগৃহে তিনটি মূর্তি রয়েছে, সবচেয়ে বড় রাখাল রাজের মূর্তি, আকাশী নীল গায়ের রঙ, বড় বড় টানা চোখ, বাম হাতে নাড়ু আর ডান হাতে লাঠি নিয়ে গোপবালকদের দলপতির মত সমস্ত কিছু পরিচালনা করছেন। দুপাশে সাদা গাভী। তাঁর ডানদিকে ছোট রঘুনাথ মূর্তি, গায়ের রঙ সবুজ আর বামদিকে গোপীনাথজী আকাশী নীল গায়ের রঙ। মূর্তিগুলি অপরূপ মায়াময়, তাকিয়ে থাকলে প্রশান্তিতে মন ভরে যায়। পুরোহিতের সাথে কথা বলে যা ইতিহাস জানা গেল তা প্রায় ৫০০ বছর আগের, বেশিরভাগটাই জনশ্রুতির উপর ভিত্তি করে।কাহিনীটি অনেকটা এরকম, বর্ধমানের খাতুন্দীর বাসিন্দা গোপীনাথ ভক্ত রামকানাই গোস্বামী বর্গী আক্রমণের ভয়ে বা পারিবারিক কলহের কারণে আরাধ্য দেবতাকে সাথে নিয়ে বৃন্দাবনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।পথে ঘন জঙ্গল পড়ে, এদিকে গোপীনাথকেও ও ভোগ দেওয়ার সময় হয়ে আসায়, রামকানাই গোস্বামী জঙ্গলেই কাঠ কুটো জ্বালিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করেন। এই সময়েই রাজা গোপালদাস তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে মৃগয়া করতে এসেছিলেন, পথে ক্লান্ত হয়ে ফেরার সময় দেখলেন জঙ্গলে এক জায়গা থেকে ধোঁয়া উঠছে। রাজা সেখানে সপারিষদ উপস্থিত হতে, গোস্বামী মহাশয় তাদের সাদর অভ্যর্থনা জানান, ও খেয়ে যেতে বলেন। গোপীনাথজী র অসীম কৃপায় একটা ছোট হাঁড়ির ভোগেই সবাই পরিতৃপ্তির সাথে খাওয়া সম্পূর্ণ করেন। রাজা গোপীনাথ এর মাহাত্ম্য বুঝতে পারেন এবং উনি রামকানাই গোস্বামীকে কিছু জমি দান করেন। মন্দির নির্মাণ করেন। তার নামানুসারে এই গ্রামের নাম গোপালদাসপুর।সেই দিন রাত্রে রামকানাই গোস্বামী স্বপ্নাদিষ্ট হন যে রাখাল রাজ বালকের বেশে তাকে বলছেন তার আর বৃন্দাবন যাত্রার প্রয়োজন নেই। পরের দিন পাশের যমুনা পুষ্করিণী তে যে কাঠ ভেসে থাকবে তাই নিয়ে নদীয়ার বাঘনাপারার এক পাঁচ বছরের বালকের কাছে গেলে, সে রাখাল রাজার মূর্তি তৈরি করে দেবে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে রামকানাই পরের দিন পুষ্করিনী থেকে কাঠ সংগ্রহ করে, বাঘনাপাড়ায় গিয়ে সেই বালক, নাম মহাদেব, কে দিয়ে মূর্তি তৈরি করান, সেই মূর্তিই আজও পূজিত হয়ে আসছে। সেই বালকের বংশধরেরাই এখনো মাঘী পূর্ণিমার দিন মূর্তির অঙ্গরাগ করেন। পাশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন গোপীনাথ।রামনবমী ও জন্মাষ্টমী তে বড় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, প্রচুর ভক্ত সমাগম ঘটে। মূল মন্দিরের পাশে আছে দোল মন্দির এখানে দোল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। একটু দূরে আছে সাধক রামকানাই গোস্বামী র সমাধি মন্দির।সকাল থেকে মোট চারবার ভোগ নিবেদন করা হয়। দুপুরে থাকে অন্নভোগ। মন্দিরে এসে আগে থেকে কুপন কেটে রাখলে ভোগ খাবার ব্যবস্থা আছে।বিকেল বেলা শীতল ভোগ হয়ে গেলে, মন্দির ও তার চারপাশে কেউ যায়না, মানা হয় এই সময় রাখাল রাজা স্বয়ং তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে খেলা করেন। ভক্তজনের বিশ্বাস আর ভক্তিতেই তিনি সদা জাগ্রত। এই সব কাহিনী শুনতে শুনতেই রাখাল রাজের লাঞ্চ এর সময় হয়ে গেল। আরতির পর তিনি খেতে বসলেন, সাথীদের নিয়ে। আরতি দর্শন করে ও দুপুরের ভোগ খেয়ে পরিপূর্ণ হৃদয়ে বাড়ির পথে রওনা দিলাম আমরা।প্রকৃতি ও ঈশ্বরকে অনুভব করার অপূর্ব অনুভূতি মনের মণিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে অনেকদিন।ডঃ ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়সহকারী অধ্যাপকচন্দ্রপুর কলেজ (বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়)কিভাবে যাবেনবর্ধমান থেকে হাওড়া গামী মেন লাইন লোকাল ট্রেন ধরে নামতে হবে বৈঁচি স্টেশনে। সেখান অম্বিকা কালনা অভিমুখে যে বাস যাচ্ছে সেই বাসে উঠে নামতে হবে বৈদ্যপুর বাজার। সেখান থেকে গোপালদাসপুর যাওয়ার টোটো ধরতে হবে। গোপালদাসপুরে যে কেউ দেখিয়ে দেবে রাখালরাজার মন্দির। কেউ যদি থাকতে চান তাহলে বৈদ্যপুরে হোটেল বা লজে থাকতে পারেন। বৈদ্যপুর থেকে কুড়ি কিলোমিটার দূরে কালনা শহরে থাকার জন্য অনেক হোটেল আছে।

জুলাই ১৮, ২০২১
রাজ্য

ভোটের মরশুমে কালনায় ফের খুন বিজেপি কর্মী

নদিয়ার চাকদহের পর এবার পূর্ব বর্ধমানের কালনায় বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু। সোমবার সকালে বাড়ির পাশের বাগান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল গেরুয়া শিবিরের ওই কর্মীকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে গিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের পালটা দাবি, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে বিজেপি কর্মী হিসেবে মানতেও নারাজ তৃণমূল। এই ঘটনায় এলাকার উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছে কালনা থানার পুলিশ। তবে দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে রাজ্যের ভোটপঞ্চমী। কিন্ত তার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দফায় দফায় রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটছে। উল্লেখ্য, নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ রবিবার সকালে নদিয়ার চাকদহ বিধানসভার অন্তর্গত শিমুরলিয়া গ্রামে এক বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ করা হয়েছিল, পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার জন্য তৃণমূলকেই দায়ি করেছিল বিজেপি শিবির। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই কালনায় আরেক বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার হল।স্থানীয় সূত্রে খবর, কালনার কল্যাণপুরে নিজের বাড়ির পাশেই এক বাগান থেকে অখিল প্রামাণিকের (৪৫) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর ভাই দেবু প্রামাণিকের অভিযোগ, গত কয়েকমাস ধরেই আমাকে আর আমার ভাইকে হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল কর্মীরা। ওরাই আমার ভাইকে খুন করল। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন অখিল। এদিন সকাল হতেই তাঁর খোঁজে বের হন স্ত্রী ও ভাই। তখনই বাড়ি থেকে দুশো-তিনশো মিটার দূরে অখিলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতদেহটির পা মাটিতে ঠেকেছিল। মাটিতে কয়েক ফোঁটা রক্তও পড়েছিল। তা দেখেই পরিবার ও বিজেপি কর্মীদের দাবি অখিলকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।

এপ্রিল ১৯, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চক্রান্ত করে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রামে রেয়াপাড়ায় তিনি ঘরভাড়াও নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিযোগ করেছেন,গাড়ি দাঁড় করিয়ে মন্দিরে প্রণাম করছিলাম তখন চার-পাঁচ জন আমাকে ঠেলে দেয়। তখনই আমার মুখে ও পায়ে আগাত লাগে। আপাতত কলকাতায় যাচ্ছি।এদিন হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দেন। রাণীচকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। এদিন নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল। বিজেপি পুরো বিষয়টা নাটক হিসাবে দেখছেন। বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি তথা সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, এই ঘটায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাদের সাসপেন্ড করা উচিত। সূত্রের খবর,, ভিড়ের মধ্যে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় ধাক্কা-ধাক্কিতে মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। তাঁর পায়ে প্রচণ্ড চোট লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘড়ি কলকাতায় আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এসএসকেএম-এ তাঁর চিকিৎসা হবে। ঘটনার সময় পুলিশ সুপার বা কোনও রাজ্য পুলিশ ছিল না। বলেই অভিযোগ মমতার। জানা গগিয়েছে, খবর জানাজানি হতেই নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে।ভোটের বাংলায় এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। জেড প্লাস নিরাপত্তা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার মধ্যেই নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে কীভাবে এত মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিলেন? সব মহলেই এই প্রায় উঠেছে।

মার্চ ১০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বড়দিনের ভোরে কর্ণাটকে মর্মান্তিক পথদুর্ঘটনা, পুড়ে ছাই বাস, মৃত ১০-এর বেশি

বড়দিনের ভোররাতে কর্ণাটকে এক ভয়াবহ পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ১০ জনেরও বেশি যাত্রী। একটি বেসরকারি ট্রাভেল বাস ও একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের পর মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ধরে যায় বাসটিতে। দুর্ঘটনার তীব্রতায় সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাসটি, যার ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে শিবমোগা হয়ে গোকর্ণ যাচ্ছিল বাসটি। বুধবার ভোর প্রায় তিনটে নাগাদ হিরিয়ুর গোরলাট্টু ক্রস সংলগ্ন জাভানাগোন্ডানহাল্লি এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি লরির সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পরই বাসে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন গোটা বাসটিকে গ্রাস করে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল বাহিনী ও পুলিশ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে প্রায় ৩০ জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। আগুনে পুড়ে ও ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুমারস্বামী বি.টি জানান, এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই লরি চালকের মৃত্যু হয়। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের বেশি যাত্রীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত অন্তত ১২ জনকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জনকে তুমকুরু সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তে লরি চালকের অবহেলাকেই দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। তবে সঠিকভাবে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। মৃতদেহগুলি শনাক্ত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বড়দিনের আনন্দ মুহূর্তেই বিষাদে পরিণত হয়েছে। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫
বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal