• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Kalna

রাজ্য

কালনায় আস্ত নন্দন! মহানায়ক উত্তমকুমারকে ঘিরে দুর্গাপুজোয় অভিনব উদ্যোগ

জন্মশতবর্ষের সূচনায় মহানায়ককে শ্রদ্ধা জানাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি ক্লাবের অভিনব থিম বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমার পীঠস্থান এক সিনেমা হলের আবহে মণ্ডপ, বাজবে মহানায়ক উত্তম কুমারের জনপ্রিয় গানের সুর।পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবার দুর্গাপুজোয় দেখবে অন্য রকম চমক। আস্ত নন্দন-এর আবহ টেনে আনা হচ্ছে প্যান্ডেলে, আর সেই আবহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছেন বাংলা চলচ্চিত্রের অমর নায়ক উত্তমকুমার। জন্মশতবর্ষের সূচনায় মহানায়ককে ঘিরে বছরভর নানা আয়োজন চলছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, আর সেই আবহকেই এ বার থিমে প্রতিষ্ঠা করেছে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি ক্লাব।মণ্ডপজুড়ে থাকবে উত্তমকুমারের সিনেমার অমর মুহূর্ত, পর্দায় চলবে তাঁর অভিনীত ছবির ক্লিপিংস, আর চারপাশে বাজবে কালজয়ী গান। এক কথায়, তৈরি হচ্ছে সিনেমা হলের মতো পরিবেশ। প্রতিমা আসছে কোলড়ার শিল্পী অভিজিৎ রায়ের হাত ধরে। স্থানীয় শিল্পীরা তৈরি করছেন সাজসজ্জা ও আলোকব্যবস্থা।ক্লাব সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক সুরজিৎ বক্সী বলেন, নন্দনের আদলে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। মাল্টিপ্লেক্সের দাপটে সিঙ্গল স্ক্রিন হারিয়ে গেলেও নন্দন এখনও গর্বের জায়গা। সেই নন্দনের আবহেই মহানায়ককে শ্রদ্ধা জানাতে চাই।থিমের রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন এলাকার বিশু সাহা। যদিও মাঠ ছোট, ফলে নন্দনের হুবহু অনুকরণ সম্ভব নয়, তবে পরিবেশ তৈরির দিকেই জোর দিচ্ছেন তিনি। ক্লাবের সচিব সুকল্যাণ কুণ্ডুর কথায়, বর্তমান প্রজন্মের কাছেও মহানায়কের কীর্তি পৌঁছে দিতে চাই, যাতে তারাও বুঝতে পারে, মহানায়ক কাকে বলে।ক্লাবের এক সদস্য জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও সংহতি ক্লাব দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত করবে সামাজিক উদ্যোগ। দুই শতাধিক মানুষের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হবে।সব মিলিয়ে, কালনার এই অভিনব থিম শুধু পুজোর আনন্দই বাড়াবে না, বরং মহানায়ক উত্তমকুমারের প্রতি বাঙালির চিরন্তন শ্রদ্ধাকেই আরও গভীর করবে।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কালনা থানার মৈত্রী কাপ কলঙ্কিত করল কেএসএসএ

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালনা থানার পরিচালনায় শনিবার থেকে শুরু হলো মৈত্রী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলকে নিয়ে দু-দিনের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো ও ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও প্রথম দিনেই এই টুর্নামেন্টে কালির দাগ লাগাল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা মানিক দাসের ভূমিকা।প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিজাড়া সুহানা একাদশ যথাসময়ে দল নামাতে না পারায় ওয়াকওভার পায় পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি। সময়ানুবর্তিতার উপর জোর দিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য। এরপরেই শুরু হয় চালাকি। পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতিকে দ্বিতীয় ম্যাচের পরিবর্তে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে বিজাড়ার এক কর্তা অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি। বিজাড়ার টিম লিস্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কেএসএসএ-র এক প্রভাবশালী আটকে দেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনিই গিয়ে ওই দলের কয়েকজনকে কেএসএসএ-র হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নেন। যদিও ওই ফুটবলাররা মাঠে নামতেই বেঁকে বসে তৃতীয় ম্যাচে কেএসএসএ কোচিং ক্যাম্পের প্রতিপক্ষ দল মধুপুর মারাং বুরু ক্লাব। শেষ অবধি কালনা থানার আইসির নির্দেশে তিন ফুটবলারকে বসাতে বাধ্য হয় কেএসএসএ। কাহানি মে ট্যুইস্ট এখানেই। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত দলের কাউকে খেলানো যাবে না। এমনকী রবিবারের খেলার যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা আছে, যদি কেউ এমন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে সেই দলকে বহিষ্কার করা হবে। সেটাই যদি হবে, তাহলে যে দল এমন অপরাধ করল সেই দলের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিপক্ষ মধুপুরকে জয়ী ঘোষণা করা হলো না সেই প্রশ্ন উঠছে। দর্শক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলতে থাকে।এরপর সেমিফাইনালের আগে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি জানায় যে তিনজনকে আগেই জালিয়াতির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের যেন না নামানো হয়। এই সময় সেই মানিক লোকজন জোগাড় করে আপত্তিকর আচরণ করেন। এমনকী মঞ্চে বসেই। প্রশ্ন হলো, টুর্নামেন্টে একটি দলের কর্তা এহেন আচরণ করেন কীভাবে, তাও পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসে? প্রথমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পার পাওয়া, তারপর মানিকের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় রেফারি ম্যানেজ।সেমিফাইনালে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল কেএসএসএ-র। খেলা যখন ১-১, টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচ গড়াচ্ছে তখন রেফারি চরম ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল গুনতে হয় সংহতিকে।বল কেএসএসএ-র ফুটবলারের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও কর্নার দেন রেফারি! সংহতি প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। সেই মুভ থেকে জয়সূচক গোল পায় টেইন্টেড কেএসএসএ। যা দেখে মাঠে উপস্থিত অন্য রেফারিরাও বলেন ওটি কর্নার ছিল না। কর্নার না হলে গোলটিও হতো না। যে রেফারিরা ম্যাচটি খেলালেন তাঁরা স্থানীয় রেফারি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানিক দাসকে মানিকদা বলে অভিহিত করছিলেন। অভিযোগ, ওই মানিক কেএসএসএ-তে নিজের থাকার প্রভাব খাটিয়ে রেফারি ম্যানেজ করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল জাজ রাখা হলো না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই টুর্নামেন্ট খেলাতে এআইএফএফের রেফারি জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল থানা। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরপর সব ঠিক করা হয় মানিকের উপস্থিতিতেই। তিনি লটারির সময়েও হাজির ছিলেন। মানিকের এমন জালিয়াতির প্রচেষ্টা ও উদ্ধত আচরণে রুষ্ট অনেকেই।এক ক্লাবের কর্তা থেকে দর্শকদের কয়েকজন বলছিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে থানা নয়, মানিক সর্বেসর্বা! তিনি থানার কে? যদিও কালনা থানার উপর কোনও ক্ষোভ নেই কারও। পুলিশের টুর্নামেন্ট, রেফারির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য বলে সবাই সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিলেন। কিন্তু আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্টতা কলঙ্কিত করল কালনা থানার সাধু উদ্যোগকে। সকলেই বলছিলেন, টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী যে দলের প্রথম ম্যাচেই বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই দল গায়ের জোরে ফাইনালে, এই বিষয়টি হাস্যকর। ফুটবলের স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। পুলিশের টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে রুষ্ট অনেকেই। যে মানিকের জন্য কলঙ্কিত হলো এমন দারুণ এক টুর্নামেন্ট, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয় থানা ও কেএসএসএ-র তরফে সেটাই দেখার। আর কিছু না হলে ফুটবল মহলের কাছে কি সদর্থক বার্তা যাবে? প্রশ্ন থেকেই গেল।

জুলাই ১২, ২০২৫
রাজ্য

কালনায় হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কম্প্রেসার মেশিন ফেটে বিপর্যয়, মৃত্যু ২ শ্রমিকের

হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কম্প্রেসার মেশিন ফেটে মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার ভবানন্দপুরের একটি হিমঘরে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতরা হলেন সজল কুমার ঘোষ (৫৯) এবং শ্রাবণ প্রসাদ (৪৫)। সজলবাবুর বাড়ি কালনায় হলেও দ্বিতীয় জন বিহারের বাসিন্দা। এদিনই মৃত দুজনের দেহের ময়নাতদন্ত হয় কালনা মহকুমা হাসপাতালে। পুলিশ ও দমকল বিভাগ হিমঘরে হওয়া দুর্ঘটনা কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,হিমঘরে হওয়া দুর্ঘটনায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু পাশাপাশি অ্যামোনিয়া গ্যাসের দাপটে হিমঘরের ১ শ্রমিক সহ ২ গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে শুরু করেন। সেই খবর পেয়ে দমকলবাহিনী ছাড়াও পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। গ্যাসের প্রভাব যাতে স্কুল ও কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে না পড়ে তাই তা এদিন ঘটনাস্থল এলাকার স্কুল ও কলেজে বন্ধ রাখা হয়। পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী, এদিন সকালে ভবানন্দপুর গ্রামে থাকা হিমঘরের ভিতর বিকট শব্দে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কম্প্রেসার মেশিন ফেটে যায়। তার পরেই সেখান থেকে সাদা ধোঁয়ার আকারে প্রচুর গ্যাস নির্গত হতে শুরু করে। চারপাশ সাদা ধোঁয়ায় ভরে যেতে শুরু করে। ওই অবস্থার মধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিকের দেহ পড়ে থাকে। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চারটি ইঞ্জিন সহ দমকলবাহিনীর কর্মীরা ঘটনাস্তলে পৌছায়। তাঁরা মুখে মাস্ক পড়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। হিমঘরের আহত এক কর্মী বুদ্ধদেব প্রামাণিককে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাণে বাঁচতে উঁচু জায়গা থেকে ঝাঁপ দিতে গিয়ে তিনি পায়ে গুরুতর চোট পান। বুদ্ধদেব প্রামাণিক বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার সময় হিমঘরের মেশিনঘর ও বাইরে সাতজন শ্রমিক ছিল। এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত ঘোষ জানান, অ্যামোনিয়া গ্যাস হিমঘরের কাছে পিঠে থাকা ঘোষপাড়ায়, ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের চোখমুখ জ্বালা করতে থাকে। ভয় পেয়ে অনেকেই চোখ মুখ কাপড়ে ও মাস্ক ঢেকে ফেলেন। সকালে জমিতে কাজ করতে থাকা কৃষক সহ স্থানীয়দের অনেকেই বিকট আওয়াজের আতঙ্কে জমির আল ধরে ছুটতে শুরু করেন। গ্যাসের ঝাঁঝে প্রিয়াংকা মণ্ডল নামের এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও মিঠু বাগ নামের এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর গ্রামে আসা মেডিকেল টিম তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। প্রিয়াংকাকে পাঠানো হয় কালনা হাসপাতালে। স্বাস্থ্য কর্মীরা এলাকায় ঘুরে স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেন।কালনার মহকুমাশাসক শুভম আগরওয়াল জানিয়েছেন, হিমঘরে হওয়া দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তার ফরেন্সিক তদন্ত হবে। ফরেন্সিক টিম চাওয়া হয়েছে। এদিন ব্যারাকপুর ও দুর্গাপুর থেকে ডিজাস্টারের দুটি এক্সপার্ট টিম ঘটনাস্থলে পৌছায়। পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গা পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যানের ঢেউ আছড়ে পড়ল পূর্ব বর্ধমানে, এবার কালনার সংহতি ক্লাবের!

দুর্গা পুজোর সরকারি অনুদান ফেরানোর তালিকা বেড়ে হলো ৮ । তালিকায় যুক্ত হল পূর্ব-বর্ধমান জেলার নাম। রাজ্য সরকারের দেওয়া দুর্গা পুজোর অনুদান নিতে অস্বীকার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা সংলগ্ন পূর্ব সাতগেছিয়ার সংহতি ক্লাব। যদিও সংগঠকদের তরফে দুর্গা পুজোর সরকারি অনুদান নিতে অস্বীকার করার কোনও যথাযথ কারণ ক্লাবের তরফে জানানো হয়নি। স্থানীয় থানাকে দেওয়া চিঠিতে উল্লিখিত আছে, অনিবার্য কারণের জন্য চলতি বছরে অনুদান তারা নেবে না।ইতিমধ্যে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ৭টি দুর্গা পুজো কমিটি সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করে স্থানীয় সরকারি দপ্তরে জানিয়ে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই ক্লাবগুলি ঘোষণা করে দিয়েছিলো যে তাঁরা আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েই তার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল পূর্ব সাতগেছিয়ার সংহতি ক্লাব।সংহতি ক্লাবের লেটারহেডে কালনা থানার আই সি-কে চিঠি পাঠিয়ে ক্লাবের সম্পাদক সঞ্জীব গুপ্ত তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। সেই চিঠিতে সঞ্জীব গুপ্ত লিখেছেন, অনিবার্য কারণ বশত এইবছর সংহতি ক্লাব সরকারি অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না। তাঁরা প্রস্তাব দিয়েছে যে, তাঁদের জন্য ধার্য করা অনুদানের টাকা গরিব কল্যাণ উন্নয়নমূলক কাজে ব্যায় করলে তাঁরা কৃতজ্ঞ থাকবেন।পূর্ব সাতগেছিয়ার সংহতি ক্লাব-এর পক্ষ থেকে প্রশাসন কে জানানো হয়েছে যে, দূর্গা পুজোয় পুলিশের যাবতীয় বিধি, নিয়ম এবং নির্দেশিকা মেনেই তাঁরা পুজো আয়োজন করবে। এবং সরকারের যাবতীয় অনুমতি নিয়েই আগের বছরগুলির ন্যায় তাঁরা পুজো আয়োজন করবে।এর আগে হুগলির চারটি ক্লাব উত্তরপাড়ার বৌঠান সঙ্ঘ, উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ, আপনাদের দুর্গাপুজো এবং কোন্নগরের মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি সরকারি অনুদান গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই আরজি কর-এ কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। একই সুরে পুজোর অনুদান বয়কট করেছে জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর সন্ন্যাসীতলা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি এবং কলকাতার মুদিয়ালি আমরা কজন ক্লাব। প্রত্যাখ্যানের তালিকা বেড়ে আট হলেও পূর্ব সাতগেছিয়ার সংহতি ক্লাব তাঁদের দুর্গা পুজোর অনুদান ফেরানোর কারণ তাঁরা ব্যক্ত করেননি।পুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যানকারী ক্লাব গুলির মূল বক্তব্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার চায় তারা। তাঁরা জানান ইতিমধ্যে এই মর্মে ক্লাবের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, পুজোয় রাজ্য সরকারের আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থার খরচাও মকুব করা হয়েছে। অন্যদিকে বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আগেরবছর ৬৬ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এই বছর থেকে ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪
উৎসব

বাংলায় ব্যতিক্রম: রাজ ঐতিহ্যের রীতি মেনে আজ, মঙ্গলবার রঙের উৎসবে মেতেছে বর্ধমান

দোল পূর্ণিমার দিন অর্থাৎ গতকাল, সোমবার সারা বাংলা রঙের উৎসবে মেতেছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা এই উৎসবের আবহে ভোট প্রচারও করেছেন। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল একদা রাজাদের শহর বর্ধমান। ঐতিহ্যের পরম্পরা বজায় রেখে আজ, মঙ্গলবার রঙের উৎসবে মেতেছে বর্ধমান। অবশ্য হাল আমলের দুএকটি হাউসিং কমপ্লেক্সে ও কিছু কলা ও সংস্কৃতি শিক্ষাকেন্দ্র গতকাল সোমবার হোলি বা দোল পূর্ণিমা পালন করেছে। যা বর্ধমানের ঐতিহ্যের সঙ্গে একেবারেই বেমানান।রাঢ়বঙ্গের অন্যতম প্রাচীন নগর বর্ধমানের বাসিন্দারা দোল উৎসব পালন করেন দোল পূর্ণিমার পরের দিন। রাজাদের আমল চলে গেলেও সেই রীতিনীতি মেনেই রঙের উৎসব পালন করে চলেছেন বর্ধমানবাসী। শুধু শহর বর্ধমান নয় সাবেকি রীতি মেনে অম্বিকা কালনা সহ আরও বেশ কয়েক জায়গায় আজ চলছে রঙের উৎসব।কথিত আছে বর্ধমানের মহারাজা বিজয় চাঁদ মহতাব এই প্রথা চালু করেন। প্রথম দিন অর্থাৎ দোল পূর্ণিমার দিনটি বর্ধমানের অধিষ্টাত্রী দেবী মা সর্বমঙ্গলা দেবীর দোল। এও কথিত আছে বর্ধমানে দোল পূর্ণিমা তিথিটি হল কূল দেবতার দোল উৎসবের দিন। লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দিরে দোল পালন হয়েছে গতকাল। সেদিন শুধুমাত্র দেব-দেবীর রাঙা চরণ আবির ও কুমকুমে চর্চিত হবে। সেই উপলক্ষে রাজবাড়ির অন্দর মহলে দোল খেলা হয়ে থাকে। পরের দিন অনুষ্ঠিত হবে সাধারণের রঙের উৎসব। সেই রীতির আজও চালু রয়েছে।

মার্চ ২৬, ২০২৪
উৎসব

কালনায় থিমের পুজো ছেড়ে টাইপ স্কুলের সরস্বতী পুজোয় মাতলেন প্রাক্তন ছাত্ররা

এ যেন রকেট কে উপেক্ষা করে ঢেঁকিতে চড়ে বসা। হ্যাঁ, সে রকমই এক অসাধারণ দৃশ্য দেখা গেল পুর্ব বর্ধমান জেলার কালনা বা অম্বিকা কালনা শহরে। মন্দির শহর কালনার জনপ্রিয়তম পুজোর মধ্যে অন্যতম মহিষমর্দিনী পুজো। এই পূজোয় প্রচুর জনাসমাগম হয়। এর সাথে সাথে শহরের সব চেয়ে জনপ্রিয় সরস্বতী পুজো। শহরের আনাচে কানাচে থিম পুজোর রমরমা। কোনও ক্লাবের ১০ লাখ বাজেট তো কারুর ২৫।সেই সব চাকচিক্য জাঁকজমকপূর্ণ থিম পুজো এড়িয়ে একদল মানুষ ভিড় জমিয়েছেন পলেস্তারা খসে পরা, রঙচটা, নিরিবিলি এক কর্মমন্দিরে। তাঁরা তাঁদের জীবনের আনন্দ খুঁজে নিলেন তাঁদের জীবন ও জীবিকার সাথে একান্ত ভাবে জড়িয়ে থাকা সেই পুরানো টাইপস্কুলে। তাঁদের সকলেই আজ প্রতিষ্ঠিত স্ব স্ব ক্ষেত্রে। কেউ রাজ্য সরকারি আধিকারিক তো কেউ কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক। তাঁদের অনেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি দপ্তরে কর্মরত। কেউ কেউ অবসরপ্রাপ্ত। কিন্তু তাঁরা সকলেই এক সুত্রে গাঁথা মালার মত হাজির হয়েছিলেন অমল স্যারের (অমল কুমার শীল) মর্ডান কমার্সিয়াল ইনস্টিটিউট। এবছর তাঁরা তাঁদের টাইপ স্কুলের সরস্বতী পুজোর সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করলেন। সংস্থার কর্নধার অমল শীল জনতার কথা কে জানান এবার পুজোটা নমো নমো করে সারার পরিকল্পনা ছিল। প্রতি বছরের ন্যায় ছাত্র ছাত্রীদের খাওনোর কোনও ভাবনা ছিলনা।অমল শীল বলেন, কম্পিউটারের আগমনের পর থেকে টাইপ রাইটারের জৌলস ক্রমশই হারাতে থাকে। নিত্যদিন নানাবিধ প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে ক্রমশ পিছু হাটতে থাকে টাইপ। এক সময় আমাদের এই স্কুলে ২৫০ ওপর ছাত্র-ছাত্রী ছিল। গমগম করত এই পুজো। এখন মেরেকেটে ২০ জনের মত! তাঁরা সকলেই স্টেনো শর্টহ্যান্ড শেখে। তিনি আরও জানান তাঁর এই স্কুল থেকে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্র সরকারি চাকরি পেয়েছে। তাঁরা সকলেই সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁদের উদ্যোগেই এবছর পুজো হচ্ছে। তারাই খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেছে বলে জানান অমল বাবু।অমল শীল জানান, তার ছাত্ররা কর্ম সুত্রে অনেক দূরে দূরে থাকেন। তা স্বত্তেও এই পুজোতে হাজির হয়েছেন। তিনি জানান কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিক পদে কর্মরত শুভাশিস ব্যানার্জী এসেছিলেন কালনা থেকে ১২০ কিমি দূর দূর্গাপুর শহর থেকে। অমল শীল জানান, কিছুদিন আগেও কোলকাতা হাইকোর্টে এক স্টেনো পরীক্ষায় এই স্কুলেরই ছাত্র কালনা শহরের দেবজ্যোতি ব্যানার্জী প্রথম স্থান লাভ করেন।ওই ইনস্টিটিউট-এর এক প্রাক্তন ছাত্র, অবসরপ্রাপ্ত রাজ্য সরকারি আধিকারিক দেবাশিষ গোস্বামী জনতার কথাকে জানান, অমল স্যার র প্রাণ এই ইনস্টিটিউট। তিনি অর্থলাভের জন্য ওই ইনস্টিটিউট-এ আসেন না। ওটা ওনার প্যাশন। দেবাশিষ গোস্বামী জানান শত ব্যস্ততার মধ্যেও সরস্বতী পুজোতে একবার এখানে আসার চেষ্টা করি। তিনি জানান, আজ আমি যে যায়গায় তার জন্য এই ইনস্টিটিউট-এর অবদান অনেকেংশেই।বিদ্যা ও জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন সরস্বতী। হিন্দু ধর্মমতে সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মাই প্রথম তাঁর স্ত্রী সরস্বতীর আরাধনা করেন। মর্ডান কমার্সিয়াল ইনস্টিটিউট-র অমল শীল তার ছাত্রদের কাছে ব্রহ্মা। তাঁরা মনে করেন তাঁদের কর্মজগতের সৃষ্টিকর্তা তো অমল শীল-ই। তাঁর ছাত্রকুলের কাছে ৭৫টি বসন্ত অতিক্রান্ত অমল বাবুর নাম চিরকাল অমলীন হয়েই থাকবে এটাই তাঁদের আশা।

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
রাজ্য

একেবারে বাড়ির দুয়ারে কুমির, কালনায় ছড়াল আতঙ্ক, দেখুন ভিডিও

কাটোয়ার পর কালনা। কাটোয়ায় ভাগীরথী থেকে কুমির ধরা হয়েছিল। এবার কুমির পূর্ব বর্ধমানের কালনায় রাস্তা দিয়ে একেবারে বাড়ির দুয়ারে ঘোরাফেরা করল। আতঙ্ক ছড়াল স্থানীয়দের মধ্যে। খবর পেয়ে রাতেই হাজির হয় কালনা থানার পুলিশ। তারপর ফায়ার ব্রিগেড আসে, কুমির উদ্ধার করতে চলে আসে বন দফতর।কুকুরের দল চিৎকার না করলে সহজে টের পাওয়া যেত না কুমির নদী থেকে রাস্তায় ঘোরাফেরা করছে। সোমবার রাত ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ কুকুরের টানা চিৎকার শুনে স্থানীয় মানুষজন বাইরে বেরিয়ে দেখে রাস্তায় ঘাপটি মেরে পড়ে আছে প্রায় ১০ ফুটের কুমির। তারপর এপাড়া ও পাড়া ঘোরাঘুরি করেছে। বাড়ির উঠোনে চলাফেরা করতে শুরু করতে।কালনা ১০ নম্বর ওয়ার্ড এর পালপাড়া এলাকায় রাত ১.৩০ নাগাদ ১০ ফুটের একটি কুমির দেখা মাত্র প্রত্যক্ষদর্শীরা কালনা থানায় খবর দেয়। কালনা থানা খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ফোর্স ওই এলাকায় হাজির হয়। কোন মানুষের ক্ষতি যাতে না হয় এবং কোন মানুষ কুমিরটাকে ক্ষতি করতে না পারে সেই কারণে পুলিশ নজর রাখছিল কুমিরটির দিকে। এলাকাবাসীরা জানান, তাঁদের জীবনে এই প্রথম কুমির বাড়ির সামনে চলে এসেছে। এই নিয়ে এলাকায় প্রবল আতঙ্ক ছড়ায়, এলাকাবাসীরা না ঘুমিয়ে সারারাত ধরে বাড়ির আশেপাশে এবং এলাকাতে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। পরিস্থিতি সামলাতে ফায়ার ব্রিগেড এসে হাজির হয়, বনদপ্তর আসে কুমিরটিকে উদ্ধার করতে। আজ, মঙ্গলবার কালনা শহরের ভাগীরথী তীরবর্তী জাপটপাড়ায় কুমিরটি ঘুরছিল

অক্টোবর ১০, ২০২৩
রাজ্য

রাস্তা তৈরি প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির গন্ধ! জেলাশাসকের উপরই আস্থা গ্রামবাসীদের

পথশ্রী প্রকল্পের কাজ ঘিরে দুর্নীতির গন্ধ! গ্রামবাসীরা নিম্নমানের কাজ রুখে দিতেই সদলবদলে পালালেন সুপারভাইজার। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ নং ব্লকের পূর্ব সাতগেছিয়া গ্রামে। আজ সকালে বৃষ্টির মধ্যে পিচের রাস্তার কাজ চলছিল। তখনই বাধা দেন গ্রামবাসীরা।সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমার বাড়ির কাছেই কাজ হচ্ছিল। দেখি পিচের উপর পাথর ফেলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এটি পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তা। এভাবে সংস্কারের কাজ হওয়ার কথা নয়। ঠিকাদার বা ইঞ্জিনিয়ার কেউই ছিলেন না। রাস্তা তৈরির বৈধ নথিপত্র বা শেডিউল তিন-চার দিন ধরেই দেখতে চাইছিলাম আমরা। কিন্তু আজও সুপারভাইজার দেখাতে পারেননি।এরপরই ঘটনাস্থলে এসে জড়ো হন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী ও পঞ্চায়েতের সদস্যরা। তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় কয়েকজন নেতা-কর্মীও ছিলেন। এক গ্রামবাসীর কথায়, বৃষ্টিতে পিচ রাস্তার কাজ হওয়া উচিতই নয়। কয়েকদিন ধরেই আবহাওয়া খারাপ। তারই মধ্যে জোড়াতালি দিয়ে কাজ হচ্ছিল। যে সব জায়গায় কাজ হয়েছে, বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই তার বেশ কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হচ্ছে আঁচ করেই প্রধান হরেকৃষ্ণ মণ্ডলকে আমরা জানিয়েছি। আজ সকালেও কাজে বাধা দেওয়ার সময় প্রধানকে ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি। প্রধান ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের সংশয় দূর করতে পারতেন বলেও মন্তব্য গ্রামবাসীদের।জনতার কথা কে প্রধান হরেকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের কাজে শেডিউল চাই। কেন না, নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আমি কনট্রাক্টরের কাছে নথি দেখতে চাই। তিনি আজ অবধি তা অজ্ঞাত কারণে দেখাতে চাননি। আমরা সকলেই চাই রাস্তার কাজ ভালোভাবে হোক।প্রধানের কথায়, গ্রামবাসীরাও ন্যায্য কথাই বলছেন। রাস্তা খুঁড়ে নতুন রাস্তা হবে, নাকি রাস্তা রিপেয়ার হবে, সেটা তো নথি দেখলেই স্পষ্ট হবে। সেই নথি আমাকেও দেখাতে পারেননি কনট্রাক্টর। ফলে গ্রামবাসীরা কাজে বাধা দিলে আমার পক্ষে তাঁদের সংশয় দূর করা সম্ভব নয়। কাজ বন্ধের কথা কালনা ২ নম্বর ব্লকের বিডিওকেও জানিয়েছি। উপ প্রধান অনিমেষ ভাঙ্গি বলেন, রাজ্য সরকার রাস্তা তৈরির কাজ করছে। সেখানে নিম্নমানের কাজ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। তবে পিচের রাস্তার কাজ বৃষ্টির সময় করা উচিত নয়। গ্রামবাসীদের পঞ্চায়েতের তরফে বলাই আছে, যেখানে রাস্তার কাজ হবে নিয়ম মেনে তা হচ্ছে কিনা নথি দেখে যাচাই করে নিতে। ফলে গ্রামবাসীরা সঠিক কাজই করেছেন।সূত্রের খবর, পথশ্রী প্রকল্পে এসটিকেকে রোডে মাঠের পাড়া বাস স্টপ থেকে সাতগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত অবধি আড়াই কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের কাজের সূচনা হয়। কিছুটা অংশের কাজ হয়েছে আগেই। বাকি রাস্তার কিছুটা অংশ আগে থেকে পিচের, সেখানে বেহাল দশা।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও বারবার বলেছেন, এমন কাজ করতে হবে যাতে টাকা জলে না যায়। এমনকী রাস্তা মেয়াদ ফুরানোর আগে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকেই ওই রাস্তা পূর্বাবস্থায় ফেরানোর দায়িত্ব নিতে হবে বলে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। গ্রামবাসীরা সে কথা তুলে ধরেই বলেন, যা কাজ হচ্ছিল তাতে ৩০ লক্ষ টাকার কাজ বলেই মনে হচ্ছে।যেখানে ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ সেখানে নিম্নমানের কাজ কেন হবে? এই প্রশ্ন তুলেই রুখে দাঁড়ান গ্রামবাসীরা। তার উপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই কেন হঠাৎ করে কাজ শুরু হলো এবং গ্রামবাসীদের বাধা পেয়ে বৈধ নথি দেখাতে না পেরে সুপারভাইজারের পলায়ন সন্দেহ জোরালো করছে। কাটমানির কারণেই এই অবস্থা কিনা তার তদন্ত দাবি করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিষয়টি প্রশাসনিক মহলের নজরে আনতে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হন গ্রামবাসীরা। কিছুদিন আগে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি রায়নায় গিয়ে নিম্নমানের রাস্তার কাজ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। নতুন করে রাস্তা তৈরির নির্দেশ দেন। সেই ঘটনার কয়েক দিনের মধ্যেই এই ঘটনা। গ্রামবাসীরা জেলাশাসকের উপরই আস্থা রাখছেন।

অক্টোবর ০৪, ২০২৩
রাজনীতি

জয়ের সার্টিফিকেট হাতে নিয়েই তৃণমূলে যোগ, ফের 'বায়রন বিশ্বাস'

ভোটে জিতেই আর এক মুহূর্ত দেরি নয়। পঞ্চায়েতে সিপিএমের প্রার্থী হিসেবে গ্রাম সভার আসনে ২৩ ভোটে জিতেই সটান তৃণমূলে যোগদিয়ে দিলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনার সহজপুরের ১৬৯ সংসদ প্রার্থী গীতা হাসদা। এরপরইএই পঞ্চায়েতে মোট ১৮ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৭ টি আসনেই জয়লাভ করেছিল, একটি আসনে কেবলমাত্র সিপিএম জয় লাভ করে। আর গননা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পরই তিনি তৃণমূলের যোগদান করেছেন বলে জানান সংবাদ মাধ্যমকে। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন আগে আমি তৃণমূলটাই করতাম কিছু রাগের কারণে সিপিএম এ যোগদান করেছিলাম। ফের তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলাম। চাপের কারণে সিপিএম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান এমন বামেদের দাবি হলেও, দাবি মানতে চাইনি শাসক দল।

জুলাই ১১, ২০২৩
রাজ্য

দলেরই এক কাউন্সিলরের ছোঁড়া কাপের আঘাতে জখম অপর কাউন্সিলর, দলীয় কোন্দলে জেরবার কালনা শহর তৃণমূল কংগ্রেস

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার বাইরে নয় একেবারে কালনা পুরসভার অন্দরমহলে। তৃণমূলেরই এক কাউন্সিলর এর ছোঁড়া কাপের আঘাতে জখম অপর কাউন্সিলর, ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা। বুধবার দুপুরে কালনা পৌরসভায় পৌরসভার বোর্ড মিটিং চলার সময়, কালনা শহরের তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জির উপর হামলার অভিযোগ, কালনা শহরেরই ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ বসু এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমন বসুর বিরুদ্ধে।ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য এরপরই এদিন বুধবার সন্ধ্যায় কালনা কাটোয়া এসটিকে রোডের উপর আগুন জ্বালিয়ে, রাস্তা অবরোধ করে সন্দীপ বসু এবং অনিল বসুর বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসেরই একাংশ। কালনা পৌরসভারই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাপস দাসের ওয়ার্ডে ঠিক মতন নিকাশী নালা পরিষ্কার হয় না, আর সেই বিষয় নিয়ে আজকের বোর্ড মিটিংয়ে প্রশ্ন উঠতেই সুমন বসু ওরফে অনিল বসু ওই ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, তাপস দাস কে চেয়ার ছুড়ে মারতে যায়, এরপর তাকে লক্ষ্য করে একের পর এক কাপ ছুঁড়তে থাকে,সেই কাপ দিয়ে লাগে রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জীর দাঁতে এবং কপালে।গুরুতর জখম অবস্থায় থাকে কানলা মহকুমা হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের অন্তরে এই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত কাউন্সিলর অনিল বসু দিন জানান, আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে, উনি বয়স্ক মানুষ আমি ওনাকে যথেষ্ট সম্মান করি। কালনা এসটিকেকে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করার পর বিক্ষোভকারীরা কালনা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়, অন্যদিকে এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন সুমন বসু।

ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
রাজ্য

মোবাইল ঘাঁটা মানা, অভিমানে কীটনাশক খেয়ে অত্মঘাতী মেয়ে

পড়াশোনা ছেড়ে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত, মা বাবার বকুনিতে অভিমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হল ছাত্রী। মৃতার নাম সুমি খাতুন (১৮)।বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনার শাসপুরে। ইংরাজী অনার্স নিয়ে মুড়াগাছা কলেজে ভর্তি হয় সুমি খাতুন।কিন্তু পড়াশোনা ঠিক মতো করছিলো না। অধিকাংশ সময়ই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতো এই নিয়ে মঙ্গলবার বাবা ও মা তাকে বকাঝকা করে।এরপরই সে ঘরে রাখা কীটনাশক খায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাতেই তার মৃত্যু হয়।পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

নভেম্বর ০৯, ২০২২
রাজ্য

রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কালনায়

এদিন শনিবার বিকেলে কালনার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় ঘরের মধ্যেই হঠাতই গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত ওই ব্যক্তির নাম উৎপল গুপ্ত (8৯) বাড়ি কালনার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। মৃতের পরিবার পরিজনদের দাবি তিনি প্রতিদিনই প্রচণ্ড নেশা করতেন। এদিনও বিকেলে বাড়ি থেকে নেশা করবে বলে মোটরবাইকের চাবি নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় হঠাৎই তাঁর ছেলে মোটরবাইকের চাবিটি কেড়ে নেয়, তারপরই ঘর থেকে একটি বিকট শব্দ এলে পরিবারের লোকেরা দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন উৎপলবাবু। এরপরই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। স্থানীয় মানুশে খবর দেওয়ায় ঘটনাস্থলে হাজির হয় কালনা থানা পুলিশ। মৃতের ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কালনা থানায় নিয়ে যায় কালনা থানা পুলিশ।

অক্টোবর ০৯, ২০২২
রাজ্য

২৬৩ বছরের পুরানো কালনার ভবানন্দপুরে বিচারক হরিনারায়ণ মুখোপাধ্যায়'র "মুখার্জী বাড়ি"র পুজো

কালনা শহর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি গ্রাম ভবনন্দাপুর। সেই সময়ে শহর থেকে দূরে এই প্রত্যন্ত গ্রামে দুর্গা পুজো করা দূর অস্ত, ভাবনাটাই ছিলো কঠিন। বর্তমানে মুখোপাধ্যায় পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য অশোক মুখোপাধ্যায় জানালেন, সতেরশো খীষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কালনা মহুকুমার অন্তর্গত ভবানন্দপুর গ্রামে জমিদারী লাভ করেন। এই অঞ্চলে দুর্গা পুজোর অধিক্য সেভাবে না থাকায় তিনি দুর্গা পুজোর উদ্যোগ নেন। বহুকাল অবধি এই মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজো-ই গ্রামের একমাত্র পুজো ছিলো। গ্রামবাসীরা চারদিন ধরে এই মন্ডপেই আনন্দ করতেন।শারদ সন্মান নিয়ে ক্ষুদে সদস্যদের উল্লাসভবানন্দপুরে গ্রামে এই দুর্গা পুজোর প্রবর্তক ছিলেন হরিনারায়ন মুখোপাধ্যায়। তারই উদ্যোগে এই পুজোর সূত্রপাত। পরিবারের সুত্রে জানা যায়, হরিনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ১৭৫৯ এ (ইংরাজী) এই পুজো শুরু করেন। সাবেকি ঘরানার প্রতিমা, প্রথা মেনে মহালয়ার ভোরে দেবীর চক্ষূদান করা হয়। দেবীর গায়ে মাটি দেওয়া হয় জন্মাষ্টমীর পরেরদিন। মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য অশোক মুখোপাধ্যায় জনতার কথা কে জানান, অতীতে এই পুজোতে ছাগল বলিদান দেওয়া হত। উত্তরসুরীদের কাছে শোনা কথা, কোনও এক সাধক একবার এই পুজোতে আসেন, তাঁর আদেশেই ছাগল বলি দেওয়া বন্ধ হয়। বর্তমানে এই পুজোতে ছাঁচি কুমড়ো, কলা ও আখ বলি দেওয়া হয়। নবমীর দিন কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়।মুখার্জী বাড়ির কুমারী পুজোঅশোক মুখোপাধ্যায় আরও জানান, গ্রামের সকলে এসে মায়ের ভোগ প্রসাদ গ্রহণ করেন। আনুমানিক ১৫০০ থেকে ১৬০০ মানুষ মায়ের ভোগ প্রসাদ এখানে বসে খেয়ে যান। গ্রামের মানুষজনই সোৎসাহে এই ভোগ প্রসাদ বিতরণ করেন। জনতার কথার প্রতিনিধীর, দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধিতে পুজোর আচার বা মানুষজন কে নিমন্ত্রনে কোনও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে কিনা প্রশ্নের উত্তরে অশোক মুখোপাধ্যায় জানান, দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সেভাবে আমারা কোনও কিছু ত্রুটি রাখিনি, কিভাবে মায়ের পুজোর যোগার হয়ে যাচ্ছে সেটা আমরাও বুঝতে পারিনা, পরিবারের প্রত্যকেই তাঁর অর্থনৈতিক ক্ষমতা মত এগিয়ে আসেন তাই এই পুজো করতে আমাদের সেভাবে এখনও কোনও অসুবিধার মধ্যে প্ররতে হয়নি।পরিবারের আরও এক সদস্য তাপস মুখোপাধ্যায় জানান ১৭৭৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট কোলকাতা ফোর্ট উইলিয়ামে চালু হয়। হরিনারায়ণ মুখোপাধ্যায় সেই সময়ে সেই কোর্টে কলকাতায় বিচারক ছিলেন তাঁরই উদ্যোগে এই পুজোর শুরু। তাঁর কথায় এই পুজোর খরচ মায়-ই যোগার করে নেন। তিনি আরও বলেন পরিবারের সকলে এবং গ্রামবাসীদের নিয়ে এই পাঁচদিন আমরা মাতোয়ারা থাকি। তাঁর বিশ্বাস খুবই জাগ্রত এই পুজো।পরিবারের কনিষ্ট সদস্য কুনাল মুখোপাধ্যায় জানান, বংশ পরম্পরায় একটা লিগাসি আমরা ক্যারী করে চলেছি খুব আনন্দ সহকারে, আমরা কোনও সময়েই মনে করিনা আমরা খাওয়াচ্ছি। এই যে গ্রামবাসীদের ভোগ বিতরণ, এটা মা দুর্গা নিজেই করিয়ে নেন, এতে আমাদের কোনও ভুমিকা নেই। তিনি ও পরিবারের বাকি সদস্যরা প্যানোরামা ও জনতার কথার শারদ সন্মান সেরা বনেদী বাড়ির পুজো পুরস্কার পেয়ে খুবই আনন্দিত বলে জানান। পুরস্কার পাওয়ার মোমেন্টো নিয়ে পরিবারের সদস্যদের ঢাক বাজিয়ে নৃত্য করতেও দেখা যায়।

অক্টোবর ০৪, ২০২২
রাজ্য

নাবালিকা কন্যাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল সৎ বাবার বিরুদ্ধে

কালনা থানার বাঘনাপাড়া এলাকায় নাবালিকা কন্যাকে দীর্ঘদিন ধরে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল সৎ বাবার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় চালছল্য ছড়িয়ে পড়ে। যানা যায় নির্যাতিতা ওই নাবালিকাকে প্রানে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই এমন অপকর্ম করে আসছিলেন তার বাবা।তিন দিন আগে মেয়েটি তার মাকে পুরো ঘটনা খুলে বলে। এর পরই নির্যাতিতা ওই নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে কালনা থানায় দায়ের হয় অভিযোগ, সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে রবিবার কালনা আদালতে পাঠায় কালনা থানার পুলিশ।

আগস্ট ২৮, ২০২২
রাজ্য

সরকারি আবাস যোজনা প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে

সরকারি আবাস যোজনা প্রকল্পে কাটমানি ও একশো দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ রমজান আলী শেখ, কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতে এক পঞ্চায়েত সদস্যা রেহেনা বিবি ও তাঁর স্বামী মেহের আলীর বিরুদ্ধে। এই মর্মে কালনা মহকুমাশাসক, বিডিও অফিস ও কালনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বাভাবিক কারণেই এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় কালনায়। যদিও ঘটনার কথা সত্য নয় বলে জানান তৃণমূল নেতা মেহের আলি শেখ ও তাঁর স্ত্রী তথা পঞ্চায়েত সদস্যা রেহেনা বিবি। যদিও যার বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ রমজান আলী শেখ তাঁর বাড়িতে যাওয়া হলে এদিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর পরিবারের লোকেরাও এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি।সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তাদের কাছ থেকে কাটমানির টাকা ও একশো দিনের কাজে অন্যজনের জব কার্ডের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল কালনার বিজয়নগর এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল নেতা রমজান আলি শেখ ও কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতের সদস্যা রেহেনা বিবি ও তাঁর স্বামী মেহের আলি সেখের বিরুদ্ধে। কালনা মহকুমাশাসক, কালনা-১ বিডিও অফিস ও কালনা থানায় দায়ের করা অভিযোগে অভিযোগকারীরা উল্লেখ করেন, আমরা বিজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা। এই গ্রামের সদস্যা রেহেনা বিবি, স্বামী মেহের আলি শেখ, মেহের আলি শেখের দাদা রমজান আলি শেখ দিনের পর দিন প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে গরীব মানুষের পাওয়া টাকা থেকে প্রতিটি বাড়ি পিছু কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা কাটমানি নিয়েছে।তাঁরা জানিয়েছেন, একশো দিনের কাজে তাদের পরিবারের কেউ সামিল না হয়েও বহু ব্যক্তির জব কার্ডের লক্ষাধিক টাকা দুর্নীতি করে আত্মসাৎ করেছে। আর এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে নানারকমভাবে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগকারীরা উল্লেখ করেন। কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতের সদস্যা রেহেনা বিবির স্বামী মেহের আলী তিনি এদিন শনিবার বলেন,আমার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে,সামনে পঞ্চায়েত ভোট আসার কারণে বিরোধীরা এই চক্রান্ত করছে। আর এক অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রমজান আলী শেখ তিনি এদিন বাড়িতে ছিলেন না।

আগস্ট ২৭, ২০২২
রাজ্য

প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে কুড়ি বছরের জেল ও নগদ জরিমানার আদেশ কালনা কোর্টের

প্রতিবেশী দশ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবকের বিরুদ্ধে কুড়ি বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায় আরও ছয় মাস জেলের সাজা ঘোষণা করল আদালত। শুক্রবার কালনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুধীর কুমার এই সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত সুব্রত হালদারের বাড়ি কালনা থানার সাতগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষপল্লী গ্রামে।গত ২০২০-র ১৪ ই অক্টোবর সন্ধ্যাবেলায় প্রতিবেশী ওই নাবালিকা মুদিখানা দোকানে গিয়েছিল। ফেরার পথে আসামি সুব্রত হালদারের সঙ্গে ওই নাবালিকার দেখা হয়। সুব্রত একটা মোবাইল দেখিয়ে নাবালিকাকে বলে চার্জ ফুরিয়ে গেছে, তুই এটা বাড়িতে দিয়ে আয়। সরল বিশ্বাসে মেয়েটি তার বাড়িতে মোবাইল পৌঁছে দিতে গেলে সুব্রতও চুপিসারে পিছন পিছন বাড়ি ফিরে আসে। নিজের বাড়ির ভিতরে পেঁপে গাছ তলায় তাকে ধর্ষণ করে।বাড়ি ফিরে নাবালিকা বাড়িতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার মাকে সব খুলে বললে পরিবার তরফে কালনা থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়। কালনা থানার পুলিশ সুব্রত হালদারকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এ বি এবং পস্ক আইনের ৪ উপ-ধারায় মামলা রজু করে। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন পুলিশ অফিসার সোমনাথ নস্কর। এই মামলায় তদন্তকারী অফিসার সহ ১৬ জনের সাক্ষ্যদানের পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।কালনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুধীর কুমার শুক্রবার তাকে কুড়ি বছর জেল এবং দশ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। অনাদায় আরও অতিরিক্ত ছয় মাসের জেলের সাজা দেন। সরকারি আইনজীবী মলয় পাঁজা বলেন, এই মামলার রায়ে সমাজে একটা বার্তা পৌঁছালো যে, নাবালিকার উপর অত্যাচার করলে তার পরিণতি এটাই হবে। তবে নির্যাতিতা ওই মহিলা কেস চলাকালীন আত্মহত্যা করেন এই ঘটনার চাপ সহ্য করতে না পেরে। যদিও তার আগেই এই কেসের তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল। নির্যাতিতা নাবালিকার মা এদিন শুক্রবার কালনা আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন আমার মেয়ে বেঁচে থাকলে আমি আজ আরও খুশি হতাম।

আগস্ট ২৬, ২০২২
রাজ্য

স্ত্রীকে নোড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করার অভিযোগে স্বামীকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল কালনা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক

সিঙেরকোনের আনোকা গ্রামে নিজের স্ত্রীকে নোড়া দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করায় তাঁর স্বামীকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল কালনা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুধীর কুমার। মঙ্গলবার ২০১৭র আগস্ট মাসের ১৭ তারিখ নিজের স্ত্রীকে নিজের বাড়িতেই নোড়া দিয়ে থেঁতলে খুন করার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী নীলু বাগের বিরুদ্ধে।জানা যায় বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীর উপর পণের জন্য নানান রকম ভাবে অত্যাচার চালাতো তার স্বামী নিলু বাগ। তার স্ত্রী যেদিন খুন হন, তার আগের দিন নিলু তাঁর স্ত্রীকে বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিল পয়সা নিয়ে আসার জন্য। সেখান থেকে সে পয়সা না নিয়ে আসায় রাতের বেলায় তাঁকে খুন করে। এর পরই কালনা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সংশোধনাগারে রেখেই তার এতদিন ধরেই বিচার চলছিল। কালনা থানার তৎকালীন তদন্তকারী অফিসার শরিফুল ইসলাম সহ মোট পনেরো জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর এদিন মঙ্গলবার তাকে সাজা শোনায় কালনা আদালতের বিচারক।

আগস্ট ২৩, ২০২২
রাজ্য

রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন নিয়ে কালনা কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সংঘর্ষ- জখম চার পড়ুয়া

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে হয়তো তিনি নিজেই লজ্জায় মুখ লুকোতেন।কারণ রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন নিয়ে দুদল ছাত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কলেজ চত্ত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেবে এমনটা তাঁর কাছে ছিল কল্পনারও অতীত। কিন্তু বাস্তবেই শুক্রবার এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা কলেজে। রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন নিয়ে তৃণমূলের দুদল ছাত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কালনা কলেজ চত্ত্বর। সংঘর্ষে আহত হন চার জন।তাঁদের মধ্যে এক ছাত্র আবার রক্তাত হন মাথা ফেটে যাওয়ায় ।এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন কালনা নিবাসী আপামোর রবীন্দ্র অনুরাগী।কালনা কলেজ জেলার একটি ঐতিহ্যশালী কলেজ হিসাবেই পরিচিতি পেয়ে আসছে। সেই কলেজ কবিগুরুর একটি নতুন আবক্ষমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই উপলক্ষে কর্তৃপক্ষ এদিন কলেজে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলেজে পৌছান কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ ও কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। অনুষ্ঠান শুরুর খানিক আগেই বেঁধে যায় অশান্তি। কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাউকে কেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সেই প্রশ্ন তুলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ছাত্র ছাত্রীরা কলেজে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেদেয়। বিক্ষোভের জেরে চেয়ারম্যান ও বিধায়ক কেউই আর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। তারই মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থক ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে দলের অপর গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি। পরে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। লাঠিসোটা নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে পেটাতে শুরু করে। তা নিয়ে কলেজ চত্ত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে নেয়। মারধোরে মাথা ফেটে রক্তাত্ত হয় এক ছাত্র। বেশ কিছু সময় বাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান কার্যত ভেস্তে যায়।এদিনের সংঘর্ষের ঘটনা বিষয়ে কালনা নিবাসী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি শেখ নইম আলী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই অনিয়ম করে কলেজে নানা কাজ কর্ম হচ্ছে। তা নিয়ে এর আগে সংগঠনের তরফে আমরা কালনা কলেছের প্রিন্সিপালকে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। তবুও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রিন্সিপাল কোন কাজ করেন নি। এদিন কলেজে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেটাতেও কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাউকে জানানো হয় না। অনুষ্ঠানের বিষয়ে শুধু জানতেন বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ ও পৌরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। এঁরাই কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষের মধ্যে আলাদা আলাদা গ্রুপ তৈরি করতে চাইছে। এইসব বিষয় নিয়েই এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা কলেজে আন্দোলন করছিল। তখন বিধায়কের অনুগতরা লাঠি-সোটা দিয়ে তাদের মারধোর শুরু করে। মারধোরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্য এক ছাত্র রক্তাত হয়। আরও দুজন ছাত্র আহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত বিধায়ক পুত্র সহ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে শেখ নইম আলী জানিয়েছেন।বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সহসভাপতির এইসব দাবী মানতে চান নি। পাল্টা তিনি দাবী করেন, এদিন কলেজে অশান্তির ঘটনা ঘটিয়েছে বহিরাগতরা। তাঁরা কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছে। বিধায়ক আরো দাবী করেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ কাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানাবেন, আর কাদের জানাবেন না সেট কলেজ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যাপার। নিমন্ত্রন তো আর জোর করে নেওয়া যায় না। এদিন যাঁরা কলেজে অশান্তির ঘটনা ঘটালো তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য হলেও আমি তাঁদের সমর্থন করার মতো কিছু দেখছি না। বিধায়ক এও জানান, যাঁরা এদিন কলেজে অশান্তির ঘটনা ঘটালো তাঁদের সবার শাস্তি হোক সেটাই তিনি চান।প্রিন্সিপাল তাপস সামন্ত জানান, মূলত দুটি ডিপার্টমেন্ট এদিন ছোট খাটো করে কলেজে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। কলেজ পরিচালন সমিতি, দুটি বিভাগের পড়ুয়া, শিক্ষক এবং এলাকার বিধায়ক, চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তা নিয়ে তারা গত দুদিন ধরে জানতে চাইছিল। প্রিন্সিপাল আরো বলেন, ওদেরকে বাদ দিয়ে অনুষ্ঠান করার উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। ভিড় বাড়লে ক্যাওস হবে। তাই এদিন কলেজে যাতে ভিড় কম থাকে তারজন্য বেশী কাউকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার কথা বলা হয় নি। এইসব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এদিন কলেজে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এমনটা না হলেই ভালো হত ।

মে ২১, ২০২২
রাজ্য

মৃত ব্যক্তির নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন করিয়ে টাকা লুট - ফের কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত

কেউ মারা গিয়েছেন প্রায় আট বছর আগে। আবার কেউ পাঁচ বছর আগে মারা গিয়েছেন। কিন্তু তাতে আর কি যায় আসে বাংলা আবাস যোজনার অর্থ লুটেরাদের।কাগজে কলমে এই সকল মৃত ব্যক্তিদের নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন করিয়ে লুট কে নেওয়া হল সেই ঘরের টাকা। এমন ঘটনা জানাতে পরেই সোমবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ ব্লকের বিডিও-র দ্বারস্থ হলেন মৃতর পরিজনরা। তাঁরা এই দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত স্থানীয় নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। ব্লক প্রসাসন অভিযোগের তদন্ত করে কি ব্যবস্থা নেয় সে দিকেই এখন তাকিয়ে মৃতর পরিজনরা।বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে এই প্রথম দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো এমটা নয়।চার দিন আগেই কিছু প্রতিবন্ধী ও ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালানো ব্যক্তি বাংলা আবাস যোজনার ঘরের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিডিও কে অভিযোগ জানান। নান্দাই পঞ্চায়েতের দুপসা গ্রাম নিবাসী প্রতিবন্ধী মহসীন মণ্ডল ওই দিন প্রশাসনকে জানান ,কাগজে কলমে তিনি বাংলা আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন ঠিকই।কিন্তু ঘরের টাকা তিনি পান নি। দুর্নীতি করে তাঁর আই ডি নম্বর ব্যবহার করে ঘরের টাকা অন্য ব্যক্তি হাতিয়ে নিয়েছে। এই দুর্নীতিতে নান্দাই পঞ্চায়েতের প্রধান ও গ্রাম সদস্য যুক্ত বলেও ওই দিন প্রশাসনকে জানান মহসীন মণ্ডল। একই দিনে নান্দাই পঞ্চায়েতের আশ্রম পাড়া নিবাসী বুলু দেবনাথও একইরকম অভিযোগ এনে ওই বিডিওর দ্বারস্থ হন। তিনিও বাংলা আবাস যোজনায় এই আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান ও ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার কে কাঠগড়ায় তোলেন।এই ঘটনার পর চার দিন কাটতে না কাটতে এদিন ফের বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে নান্দাই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আরো চঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন একাধীক বাসিন্দা। স্থানীয় দুপসা গ্রাম নিবাসী ভ্যাবল মোল্লা এদিন বিডিওকে জানান, তাঁর মা নুরনাহার বিবি ১০১৪ সালের ৩০ জুলাই মারা গিয়েছেন। তার পর কাগজে কলমে তাঁরা মায়ের নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন হয়। কিন্তু ঘরের টাকা তাঁরা কেউ পান নি। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, তাঁর মায়ের নামে অনুমোদিত হওয়া ঘরের টাকা অন্য জন হাতিয়ে নিয়েছেন। ভ্যাবল মোল্লা ছাড়াও স্থানীয় কুতিরডাঙা মিবাসী শিখা মধু এদিন বিডিওকে অভিযোগে জানান, তাঁর বাবা মহাদেব মধু ২০১৭ সালে মারা যান। তার পরে তাঁর বাবার নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘর অনুমোদন হলেও ঘরের টাকা তাঁরা পান নি। জালিয়াতি করে অন্যজন তাঁর বাবার নামে অনুমোদিত হওয়া ঘরের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই দুই জন ছাড়াও কুতিরডাঙা নিবাসী সুশীলা বিশ্বাসও একই ধরণের অভিযোগ করেছেন। এমন কি প্রকৃত গৃহহীন কে বঞ্চিত রেখে দোতলা বাড়িতে বসবাস করা অঞ্চলের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি নিজের স্ত্রীর নামে বাংলা আবাস যোজনার ঘরের টাকা তুলে নিয়েছেন বলে এদিন অনেকে অভিযোগ করেছেন।এদিকে বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে একের পর এক এমন বিস্ফোরক অভিযোগ উঠে আসতেই মুখ লুকিয়েছেন নান্দাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ঝুমুর ঘোষ ও উপ-প্রধান লিয়াকত শেখ। বিষয়টি নিয়ে এদিও তাঁরা কেউই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতে চান না । বিডিও (কালনা- ১) সেবন্তী বিশ্বাস এদিন জানান, অভিযোগের তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশাকরা যাচ্ছে তদন্তে খুব তাড়া তাড়ি সত্য সামনে আসবে। তদন্তে অনিয়ম কিছু ধরা পড়লে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এপ্রিল ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বিতর্কের রেশ রেখেই কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হল

মঙ্গলবার কালনার মহকুমাশাসকের দফতরে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান পদে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল। ১৬ই মার্চ কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটে। কালনার সমস্ত কাউন্সিলররা সেদিন শপথগ্রহণ করলেও চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়নি সেদিন।পরবর্তী সময় তৃণমূলেরই দুই বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীকে কলকাতায় তলব করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর সেই পুরনো সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পড়ে তৃণমূল দলের তরফে। চেয়ারম্যান হিসেবে আনন্দ দত্ত এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে তপন পোড়োলের নাম ঘোষিত হয়।মঙ্গলবার কালনা মহকুমাশাসকের দফতরে চেয়ারম্যান পদে আনন্দ দত্ত এবং ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তপন পোড়েল শপথগ্রহণ করেন। যদিও চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান শপথগ্রহণের আগে দলেরই বিক্ষুব্ধ এগারো জন কাউন্সিলর এদিন একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করেন। সেখানে তাঁরা জানান মুখ্যমন্ত্রীর কথা চিন্তা করেই তারা এ সিদ্ধান্ত মানছেন। এরপর শপথগ্রহণ শেষে বেশ কিছু কাউন্সিলার এদিন পৌরসভায় হাজির হবেন না বলে চেয়ারম্যানকে সরাসরি জানিয়ে দেন। যদিও উভয় পক্ষই এ বিষয়ে সেইভাবে কোনো বিতর্ক বাড়াইনি।

মার্চ ২৯, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal