বিধ্বস্ত ইউক্রেন, ঘরের ছেলের ঘরে ফিরে আসার প্রহর গুনছেন বর্ধমানের পরিবার
গোলা-গুলির লড়াইয়ে তপ্ত ইউক্রেন। রাশিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ইউক্রেনও পাল্টা জবাব দিচ্ছে। দিন যত গড়াচ্ছে ততই ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেরও উদ্বেগ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই এই রাজ্যের অনেক ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে কর্মসূত্রে যাওয়া মানুষ ইউক্রেনৈ আটকে পড়েছেন। যেমনটা ইউক্রেনের পলতভা শহরে আটকে রয়েছে বর্ধমানের রায়ান ১ নম্বর পঞ্চায়েতের নারায়ণদীঘি এলাকার বাসিন্দা তারাচরণ ভকতের ছেলে রোহিত ভকত। ছেলের কথা ভেবে এখন চরম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছন ভকত পরিবারের সদস্যরা। রোহিতের মা গীতা ভকত শনিবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনে তাঁর ছেলে সারে তিন বছর আগে কম্পিউটার সায়েন্স ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার জন্য যায়। আচমকা রাশিয়ান হামলা শুরু হয়ে যাওয়ায় গোটা ইউক্রেন জুড়ে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের লোকেরা সবাই নিজের নিজের দেশে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে তার ছেলে ও ছেলের সঙ্গীরা। সড়ক পথে প্রায় ৩০০কিলোমিটার দূরে হাঙ্গেরির সীমান্তে নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে বেরিয়েও রাস্তা বন্ধ থাকায় সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। সেখান থেকেই প্লেনে ভারতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল ভারতীয় দূতাবাস।রোহিতের পরিবার জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তাঁরা রীতিমত উদ্বেগে রয়েছেন। ছেলের সঙ্গে ঘন ঘন যোগাযোগ রাখছেন ফোনের মাধ্যমে। রোহিত তাদের বড় ছেলে। তাঁদের সাড়ে তিন বছরের আরেকটি পুত্র সন্তান আছে। বর্ধমান শহরের সিএমএস ( বি সি রোড) স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার জন্য রোহিতকে ইউক্রেনে পাঠানো হয় উচ্চ শিক্ষার জন্য। কিন্তু পড়াশোনার একদম শেষ পর্যায়ে এসে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ক্যারিয়ারের কি হবে তা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে সব আশঙ্কাকে ছাপিয়ে এখন ঘরের ছেলের ঘরে ফিরে আসার প্রহর গুনছেন মা, বাবা থেকে গোটা পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীরা।