• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

God

দেশ

ন্যায় দেবীর চোখ এখন খোলা, দাঁড়িপাল্লা রয়েছে তবে বাঁ হাতে তরবারি নয়

চোখ থেকে খুলে গেল কাপড়ের পট্টি। ন্যায় দেবীর চোখ এখন খোলা, সজাগ। ডান হাতে দাঁড়িপাল্লা রয়েছে তবে বাঁ হাতে তরবারি নয়, রয়েছে সংবিধান। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের গ্ৰন্থাগারে বসানো হয়েছে এই নতুন মুর্তি। এর পরেই ন্যায়ের বন্ধ চোখ খুলে যাওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা। এর ই পাশাপাশি উঠছে প্রশ্ন ন্যায়ের বন্ধ চোখ তো খুলল, এবার কি শাসকের চোখ খুলবে?বিভিন্ন সুত্র বলছে, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় মনে করেন, আইনের চোখে সবাই সমান। কিন্তু আইনের চোখে কখনও বন্ধ থাকে না।পাশাপাশি তার মত, আইন মানে শুধু ই শাস্তি নয়। তাই প্রধান বিচারপতির ভাবনা সুত্র ধরে মুর্তির হাতে তরবারির বদলে এসেছে সংবিধান। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলায় যেমন এই বইটির প্রসঙ্গ এসেছে ঠিক, তেমন ই সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে ও শাসক বিরোধীর ন্যারেটিভের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল দেশের সংবিধান। উপনিবেশ আমলের প্রাচীন মূর্তির উৎস ইতিহাসের ধুসর পথে। প্রধান বিচারপতি মনে করছেন, সেই পথেই থেমে না থেকে এখন সামনে এগিয়ে চলার সময়। কিন্তু আমাদের মত সাধারনের অভিজ্ঞতা হলো দেশদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহের শঙ্কা জাগিয়ে সেই ঔপনিবেশিক আমলের বাতাবরণ বজায় রাখাই পছন্দ সব রঙের শাসকের।বর্তমান সময় বলছে, শাসকের সমালোচনা করা, তুলি, কলম বা তর্জনীর দাসত্ব মানতে না চাওয়া এ সবই ভয়ঙ্কর অপরাধ। মেরুদণ্ড সমান রাখা এই শ্রেণী শাসকের চোখে লঙ্কা গুঁড়োর মতো অসহ্য। অতএব , আইনের মারপ্যাঁচ আর নিগড় কঠিন করে কারাগারে ভরো। খুব দূরে যেতে হবে না, আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে মহারাষ্ট্রের ভীমা কোরেগাঁওয়ের ঘটনা, দলিত মাহার সম্প্রদায়ের এই প্রাচীন অনুষ্ঠানে ও প্রতি স্পর্ধার ভূত দেখেছিল শাসক। তাই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া কয়েকজন অধ্যাপক , সাংবাদিক ও সমাজসেবী কে গ্ৰেফতার করা হয়। অভিযোগ, তারা নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জানিনা এই অভিযোগ তুলে আইনের রক্ষকদেরও বন্ধ দরজার ওপারে হাসি পেয়েছিল কিনা। তবে তাদের আসল অপরাধ হলো খাদ্য,বস্ত্র, ও বাসস্থানের অভাবে যে বিপুল ভারতবাসীর পেট আর পিঠ এক হয়ে গিয়েছে তাদের দিন বদলের স্বপ্ন দেখা। বিদেশি সংবাদপত্র উদ্ধৃত করে দেশের সব প্রথম সারির সংবাদ পত্রে লেখা হয়েছিল ইজরায়েলি সংস্থার তৈরি পেগাসাস প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে আইনের চোখে অপরাধ যোগ্য তথ্যের অনুপ্রবেশ ঘটানো হয়েছিল। এই প্রযুক্তি রাষ্ট্র ছাড়া আর কোনো পক্ষকে বিক্রি করা হয় না। দীর্ঘ সময় কারাবন্দী থাকার পরে শাসক পক্ষের অভিযোগ দূর্বল ঠেকায় শীর্ষ আদালতের রায়ে একে একে শর্ত সাপেক্ষ জামিন পান অভিযুক্তরা। তবে, এই সৌভাগ্য হয়নি ঝাড়খণ্ডের অবহেলিত আদিবাসীদের পাশে দাঁড়ানো সমাজসেবী ফাদার স্ট্যান স্বামীর। দুরূহ রোগে আক্রান্ত এই বৃদ্ধ সীমাহীন লাঞ্ছনায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিহার জেলে। সামাজিক ন্যায় ও মুক্তচিন্তার এই পুজারীর দেখা হল না খোলা আকাশ আর ন্যায়ের মূর্তির খোলা চোখ। তবে দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকার পরে খোলা আকাশের নিচে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জি এন সাইবাবার। যদিও ন্যায়ের মূর্তির খোলা চোখ দেখে যাওয়া হলো না তাঁর। ভীমা কোরেগাঁও কান্ড থেকে যে শব্দ বন্ধের জন্য সেই আরবান নকশাল তকমা নিয়ে জেল বন্দি হন এই অতি বিদ্বান মানুষ টি। Wheel chair ছাড়া চলাফেরা করা সম্ভব ছিল না সাইবাবার। তাঁকে কাছ থেকে যারা দেখেছেন তাঁদের মতে অগাধ পান্ডিত্য আর তীক্ষ্ণ মননের অধিকারী মানুষ টির মন ছেয়ে ছিল দেশের প্রান্তিক ও আদিবাসী মানুষের কল্যাণ চিন্তা। আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক বন্দি মুক্তির পক্ষে আর আদিবাসী দের জমিতে বহুজাতিক সংস্থার মৃগয়ার বিপক্ষে অবস্থান ছিল তাঁর। এই সবই রাষ্ট্রের চোখে দেশদ্রোহিতা। অতএব জেলেই ঠাঁই হয়েছিল সাইবাবার। আদালতের চৌকাঠ থেকে বারবার ফিরে এসেছে তাঁর জামিনের আবেদন। দীর্ঘ দিন জেলের মধ্যে সঠিক চিকিৎসার অভাব ও মানসিক নিপীড়নের কারণে অশক্ত শরীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই সম্প্রতি শীর্ষ আদালতের রায়ে সব অভিযোগ থেকে মুক্ত হলেও নিরুপদ্রব যাপনের দিন ফুরিয়ে এসেছিল সাইবাবার। কয়েকদিন আগে মৃত্যু হয় তাঁর। সাইবাবার মৃত্যু যে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে তা হল , এবার কি সময় হয় নি সাংবিধানিক অধিকার কোথায় কীভাবে কঠোর আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার ক্ষুন্ন হচ্ছে তা খুঁজে দেখার? এই কাজ তো বিচার ব্যবস্থা কেই করতে হবে। বিচারের দীর্ঘসুত্রতায় বিচার না পাওয়ার তো প্রখর হয়। মুক্তি পাওয়ার কিছু দিন পর এক সাক্ষাৎকারে সাইবাবা বলেছিলেন, দান্তে থেকে সলোমন রুশদি, ইউরোপ থেকে মিশরের সভ্যতা সবখানেই নরকের বর্ননা এবং ধারণা রয়েছে, আন্ডা সেল ঠিক সেই রকম ই নরক। সাইবাবাকে সব অভিযোগ থেকে মুক্ত করে বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল, এক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থার ব্যর্থতাই ধরা পড়েছে। এমনকি ৫৭ বছরের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ইউ এ পি এ লাগুর ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি মানা হয় নি বলেও মন্তব্য করেছে উচ্চ আদালত। এই রায়ে পৌঁছতে ১০ বছর সময় লেগেছে। ততদিন কুখ্যাত আন্ডাসেল যেখানে কুখ্যাত অপরাধী ও জঙ্গিদের রাখা হয় সেখানে থাকতে হয়েছিল শীর্ষ মস্তিষ্কের মানুষ টিকে।বর্তমানে দেশের কিছু নির্দিষ্ট গোষ্টীর খাওয়া পরা কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে নাগরিক হিসেবে অর্থনৈতিক কাজ বা সাধারণ জীবনযাপনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার। বি জে পি শাসিত কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের সরকারের নানা নিয়ম ও আইন লাগু করার মধ্যে ই এই অশনি সংকেত রয়েছে। তবে, অ বিজেপি শাসিত পশ্চিম বঙ্গের অবস্থাও কি স্বস্তিকর? বোধহয় নয়। বছর খানেক আগের দিল্লি দাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে গ্ৰেফতার করা হয় ছাত্রনেতা উমর খালিদ কে। প্রায় তিন বছর ধরে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে চলেছে। জামিনের আবেদনের যথার্থতা বিচার করার কথা অসংখ্য বার বিচারপতিদের মুখে শোনা গিয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টো ছবি। সাইবাবার অসময় মৃত্যু এবং ন্যায়ের মূর্তির আবরণ হীন চোখ কি বিচার ব্যবস্থার এই দীর্ঘসুত্রতা দূর করে উমর খালিদদের উপযুক্ত বিচার পাওয়ার সুযোগ করে দেবে? এর উত্তর সময় বলবে। আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে কলকাতা। প্রতিবাদ ছড়িয়েছে কলকাতা ছাড়িয়ে বিদেশের নানা প্রান্তে। এই ধর্ষণ ও খুন কলকাতাকে উন্নাও, কাঠুয়া, হাথরসের সঙ্গে এক আসনে বসিয়ে দিয়েছে। কলকাতাতেও প্রশাসনিক গাফিলতির সঙ্গে চোখে পড়ছে পুলিশ প্রশাসনের অতি সক্রিয়তা। জামায় প্রতিবাদী উচ্চারণ থাকায় কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে গ্ৰেফতার করা হয়। প্রতিবাদী জমায়েতের ডাক দেওয়ায় পুলিশি হেনস্থার মুখে পড়তে হয় কয়েক জন তরুণীকে। শাসক বিরোধী ও আর জি করের বিচার চেয়ে শ্লোগান দেওয়ায় গ্ৰেফতার করা হয় কয়েকজন তরুণ কে। নানা ছুতো এবং নানা অছিলায় প্রতিবাদী জমায়েত আটকাতে তৎপর পুলিশ। তালিকা দীর্ঘ কিন্তু শাসকদের ছায়া এক। সংবিধান হাতে নতুন ন্যায়ের দেবী চোখ খুলেছেন এই অসময়ে! তবে কি সুসময় ফিরবে?

অক্টোবর ২১, ২০২৪
রাজ্য

খোল, করতাল, হারমোনিয়াম নিয়ে কীর্তন, আরজি করে কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ

ভোরের আলো ফুটতেই হরিনাম সংকীর্তনের শুরু হয়েছিল। কীর্তন শুনতেই ভিড় জমিয়েছিলেন অসংখ্য প্রাত:ভ্রমণকারী। কিন্তু আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন হবে, তা দেখে রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে মালদা শহরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুটতেই আরজি কর ঘটনার অভিনব প্রতিবাদে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে, খোল, করতাল, হারমোনিয়াম বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তনে এভাবেই সোচ্চার হলেন মালদার গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার কর্মকর্তারা। এদিন সাতসকালে মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজ হোটেল মোড় এলাকায় ছোটখাটো মঞ্চ করেই শুরু হয় আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ কীর্তন। হরিনাম সংকীর্তনের পাশাপাশি আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়ে সোচ্চার গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার উদ্যোক্তারা। সাতসকালে প্রাতঃভ্রমণে বেড়ানো অসংখ্য মানুষেরা এই অভিনব প্রতিবাদ দেখতেই দাঁড়িয়ে পড়েন। রাজমহল রোডের রাজপথে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে আরজিকর কান্ডের এই অভিনব প্রতিবাদ। এই সংস্থার এমন প্রতিবাদকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসী। গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার চেয়ারপার্সন চিত্রা সরকার বলেন, কলকাতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ছাত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে দোষীদের ফাঁসি চাই। পাশাপাশি মৃত নির্যাতিতার আত্মার শান্তি কামনা এদিন করা হয়েছে। প্রত্যেকে যেন সঠিক বিচার পায়, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা চাই এবং চারিদিকে বিষাক্ত বাতাবরণ শুদ্ধিকরণ জন্য নাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে এদিন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা হয়।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
উৎসব

দোলায় চড়ে নজরকাড়া শোভাযাত্রা কালীপ্রতিমার, মন কাড়ল বর্ধমানের

শ্যামাপুজোর বিসর্জন শোভাযাত্রা মাতিয়ে দিল বর্ধমান শহর। দোলায় চড়ে কালীপ্রতিমার শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার পাশে ভির জমালেন অগুনিত মানুষ। বর্ধমানের ঠাকুরপল্লী স্বামীজি সংঘের এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ক্লাবের সদস্য ও সদস্যারা হাজির ছিলেন মায়ের বিদায়বেলায়। নজর কাড়ল বর্ধমানের।বিগত কয়েকবছর ধরেই চলছে কালীপ্রতিমার দোলায় চড়ে শোভাযাত্রা। সঙ্গে নানা বাদ্য। ক্লাবের পুরুষ-মহিলা উভয়ের কাঁধে ভর করে দোলায় যাত্রা করেন মা। মাঝে মাঝে চলে মাকে দোলায় চড়িয়ে নৃত্য। সেই দৃশ্য দেখতে বাড়ির ছাদ, বারান্দা থেকে মানুষজন হাজির ছিলেন। পাশাপাশি রাস্তার পাশে মায়ের দোলায় যাত্রা একবার দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন বহুজন। কালীপুজে কমিটির পক্ষে আশুতোষ দে ও সুজন দাস বলেন, বিগত কয়েকবছর ধরেই মাকে নিয়ে দোলায় শোভাযাত্রা বের হয়। এটাই আমাদের বিশেষত্ব। প্রচুর মানুষ আমাদের সহযোগিতা করেন। আগমী দিনে এই অনুষ্ঠান আরও আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। নেওয়া হবে নতুন পরিকল্পনা। আমাদের কালীপুজো ৬৪ বছর পার করেছে। স্বামীজি সংঘের সদস্যরা জানান, সারা বছর এই দিনটার অপেক্ষায় থাকেন তাঁরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৩
রাজ্য

অসুস্থ মেয়ে দৈব বলে সুস্থ হবে, আশায় মন্দিরে হত্যে দিয়ে পড়ে মা ও কন্যা

চিকিৎসায় মেয়ে সুস্থ না হলেও বিশালাক্ষী রঙ্কিনীদেবী মাতার কৃপাতেই সুস্থ হয়ে উঠবে বিকলাঙ্গ মেয়ে। এমন বিশ্বাসে ভর করে সেই কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন থেকে অসুস্থ মেয়ে ঋতু মুদিকে সঙ্গে নিয়ে দেবীর মন্দিরে হত্যে দিয়ে পড়ে আছেন মা তাপসী মুদি। তাঁদের এখন ঠিকানাই হয়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার গোপিকান্তপুর গ্রামে থাকা রঙ্কিনীদেবীর মন্দির। ঘর বাড়ি সব ছেড়ে এসে দিন রাত সেখানে থেকেই মেয়ের সুস্থতার জন্য দেবীর কাছে প্রার্থনা করছেন অসহায় মা। এইসব কিছুকে এলাকার বিজ্ঞান মনস্ক ব্যক্তি ও চিকিৎসকরা টেরা চোখে দেখলেও তাপসীদেবী দাবি করেছেন, তাঁর মেয়ে রঙ্কিনী দেবীর কৃপায় সুস্থ হচ্ছে।জামালপুরের চকদিঘী পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রাম গোপিকান্তপুর। এই গ্রামের এক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ডাকাতিয়া খাল। সেই খালের পাশেই রয়েছে বিশালাক্ষী রঙ্কিনীদেবী মাতার প্রাচীন মন্দির। বিকলাঙ্গ হয়ে পড়া মেয়ে ঋতুকে সুস্থ করে তুলতে মা তাপসী দেবীও ভরসা রেখেছেন রঙ্কিনীদেবী মাতার উপরেই।গোপিকান্তপুর গ্রামের মুদি পাড়ায় বাড়ি তাপসী দেবীর। তাঁর স্বামী যাদব মুদি পেশায় খেত মজুর। দারিদ্রতাই তাঁদের নিত্যসঙ্গী। তাপসীদেবী জানান, তাঁর মেয়ে ঋতু ছোট থেকে সুস্থই ছিল। পড়াশুনাও করছিল গ্রামের বাণী নিকেতন রঙ্কিনী মহুলা বিদ্যালয়ে। ক্লাস সিক্সে পড়ার সময়েই ঋতুর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে শুরু করে। ওই সময়ে ঋতুর মুখ দিয়ে লালা ঝরা শুরু হয়, কথাও জড়িয়ে যেতে থাকে। এমনকি কমতে শুরু করে দুই হাতের শক্তি ও দুপায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতা। তাপসীদেবী বলেন, তখন থেকেই চিকিৎসার জন্য ঋতুকে কোলে করে নিয়ে আমি ও আমার স্বামী বিভিন্ন জায়গার ডাক্তার বাবুর কাছে যাই। অনেক কষ্ট করে পয়সা জোগাড় করে ডাক্তার বাবুদের লিখে দেওয়া ওষুধ কিনে মেয়েকে খাইয়েছি। মেয়ের অনেক শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করান। এই ভাবে বছরের পর বছর ধৈর্য্য ধরে বর্ধমান হাসপাতাল সহ বিভিন্ন ডাক্তার বাবুর পরামর্শ মেনে সব কিছু করেন। তা করাতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা করানোর সব টাকাও শেষ হয়ে যায়। ছোট বয়স থেকে চিকিৎসা শুরু হওয়া মেয়ের বয়স এখন ১৯ শে পৌঁছেছে। কিন্তু মেয়ে সুস্থ হয় নাই। রোগটার নাম সেরিব্রাল পলসি (সিপি)।তাপসীদেবী বলেন,রঙ্কিনীদেবী মাতা আমায় স্বপ্নে দেখা দেন। দেবী মা আমাকে আদেশ করেন, আমার অসুস্থ মেয়েকে সুস্থ করার জন্য আমায় মেয়েকে নিয়েই মন্দিরে পড়ে থাকতে হবে। তাই রঙ্কিনীদেবীর আদেশ মতই এই বছরের কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার দিন ঘর বাড়ি সব ছেড়ে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে দেবীর মন্দিরে চলে আসেন। সেই থেকে মন্দির সন্মুখের আটচালায় ঠাঁই নিয়ে দেবীর কাছে শুধুই মেয়ের সুস্থতা কামনায় দিন রাত প্রার্থনা জানিয়ে যাচ্ছেন বলে তাপসীদেবী জানান।এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গৌরসুন্দর মণ্ডল বলেন,দেবীর মাহত্ম্যে অসুস্থ মেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠছে কিনা এইসব নিয়ে কোন যুক্তি তক্কে তিনি যেতে চান না। কারণ প্রবাদই আছে ,বিশ্বাসে মিলায় বস্তু- তর্কে বহু দূর। গৌরসুন্দর বাবুও স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনিও বিশ্বাস করেন দেবী বিশালাক্ষী রঙ্কিনী মাতার কৃপায় অনেক অসম্ভবই সম্ভব হতে পারে। বিজ্ঞানমঞ্চের সভাপতি চন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলে রকেট যাচ্ছে। আর এখনো মানুষ এসব বিশ্বাস করছে। আমরা গ্রামে যাবো।

নভেম্বর ২৩, ২০২২
রাজ্য

এজলাসের লড়াইয়ে মধূসূদনকে হারিয়ে মামলায় জিতলেন 'মা কালি'

মা কালী একেবারে আদালতের দরজায়। আজ বর্ধমানের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে একটি খুবই অন্যরকম মামলা হয়। মামলাটি হয় মধূসূদন বিশ্বাস বনাম দেবীপুর গ্রামবাসীর মধ্যে। মামলা হয় একটি জমিতে পুরনো পুজো চালানো নিয়ে। মামলায় জিতে পুজো চালিয়ে যাবার অধিকার পেলেন।এই পুজোটি প্রায় ৭৫ বছরের পুরনো। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার দেবীপুরে এই পুজোটি হয়ে আসছে ৭৫ বছর ধরে।গ্রামবাসীদের দাবি ওই পুজো অনেকদিনের। এখানে পুজো হয়। বড় মেলা বসে। মানুষের ভাবাবেগ জড়িয়ে আছে ওই পুজোর সাথে। তাদের বক্তব্য, মধুসূদন বিশ্বাস একজন পরিচিত জমির দালাল। সে ওই দেবোত্তর জায়গাটি কোনোভাবে হাতিয়ে নিয়ে বিক্রি করতে চায়। সেজন্য আদালতে সে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল যাতে পুজো না হয়। অন্যদিকে গ্রামবাসীদের দাবি; তারা ওখানে পুজো করতে চান। তাদের আর কোনো দাবি নেই। আদালতে বিচারক গ্রামবাসীদের বক্তব্য মেনে নেন। তিনি থানা ও ভূমি দপ্তরের কাছে এই নির্দেশ দেন যাতে এলাকাবাসী নির্বিঘ্নে পুজো করতে পারেন। একইসাথে থানাকে নির্দেশ দেন যাতে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয়।

অক্টোবর ২০, ২০২২
উৎসব

৪৮২ বছর ধরে পুজীত দেবী সিদ্ধেশ্বরী, আর কোনও কালী মুর্তীর পুজো হয় না এই গ্রামে!

সময়টা ছিল ১৫৪০ খৃষ্টাব্দ। ভূ-কৈলাসের রাজবংশের বংশধর দিগম্বর ঘোষাল মহাশয় গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড এবং রাজস্ব সংক্রান্ত ব্যাপারে শেরশাহের নির্দেশ মত কাজকর্ম দেখাশোনার জন্য কংসানদী পথে প্রায়ই আসতেন। তিনি এক দিন কংসানদীর তীরে কোলসড়া গ্রামে রাত্রি নিবাস করেন। এবং এক রাতে মা সিদ্ধেশ্বরী তাঁকে পুজো করার জন্য স্বপ্নাদেশ দেন ও মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে বলেন। তখন দিগম্বর ঘোষাল শেরশাহকে তাঁর স্বপ্নাদেশের কথা জানান। যানা যায় শেরশাহ ইসলাম সম্প্রদায় ভূক্ত হয়েও দিগম্বর বাবুর ইচ্ছা পুরন করার জন্য মা সিদ্ধেশ্বরী নামে একটি তাম্র ফলকের ওপর পাঁচশত বিঘা জমি একটি দলিল করে দান করেছিলেন।১৫৪০ থেকে আজ পর্যন্ত মা সিদ্ধেশ্বরী কালীর পুজো হয়ে আসছে জামালপুরের কোলসড়া গ্রামে। সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দিরটি নির্মান হয়েছে শ্মশানের ধারে।পঞ্চমুণ্ডের আসনের উপর দেবীর মূর্তি স্থাপন করা আছে এবং দেবীর মূর্তিটি একটি ত্রিশুলকে বেষ্টন করে তৈরী হয়েছে, তাই এই মূর্তিটি ঘরে ও বাইরে অক্ষত অবস্থায় বের করা যায় না। যখন সিদ্ধেশ্বরী কালীর অঙ্গহানী হয় তখন পাঁচজন পুরোহিত মূর্তিটি কে খণ্ডখণ্ড করে কেটে ঝুঁড়িতে ভরে পুকুরে নিরঞ্জন দেয়।ঘোষাল পরিবারের বর্তমান বংশধর সমীর ঘোষাল জানান ১৮২৯ পর্যন্ত সিদ্ধেশ্বরী কালী মায়ের পুজো ঘোষাল বাড়ির পুজো হিসাবেই গণ্য হত। তবে ১৮৩০ থেকে এই পুজো কোলসড়া গ্রামের সর্বজনীন পুজো হিসাবেই বিবেচিত হয়েছে। এই গ্রামে সিদ্বেশ্বরী কালীর একা পুজো হয়। এছাড়া দ্বিতীয় আর কোন কালীর মূর্তী পুজো হয় না। এখানে বলি দান প্রথা আছে। প্রতিবছর চৈত্রমাসের শুক্ল পক্ষে এবং কার্ত্তিক মাসে কালী পুজোর সময় মহা ধুমধাম সহকারে সিদ্ধেশ্বরী কালীর পুজো হয় কোলসড়া গ্রামে।

অক্টোবর ১৪, ২০২২
রাজ্য

২০ বছর ধরে বাংলার এই জেলায় ১৮ হাত বিশিষ্ট লক্ষ্মী পুজিত হয়ে আসছে

সবে দশভুজার পুজো শেষ হল। এবার লক্ষ্মী পুজো। মালদার বামনগোলায় কুড়ি বছর ধরে অষ্টভুজা লক্ষ্মীর পুজো নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই। কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে ১৮ হাত বিশিষ্ট দেবী লক্ষ্মী পূজিত হন। বামনগোলা ব্লকের গাঙ্গুরিয়া সারদা তীর্থ আশ্রমে এই পুজোকে কেন্দ্র করেই ভিড় জমান ভক্তরা। সকালে মহালক্ষ্মী রূপে এবং রাতে কোজাগরী লক্ষ্মী রূপে পূজিত হবেন দেবী।স্বামী গ্রীয়াকানন্দজি মহারাজ জানিয়েছেন, ১৯৯৮ সালে এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা হয়। ২০০০ সাল থেকে তিনি ১৮ হাত বিশিষ্ট মহালক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। তবে এখানে দেবী সকালে এক রূপে ও রাতে আরেকরূপে পুজিত হয়ে আসছেন। পুজো দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আশ্রমে আসেন।আশ্রম কর্তাদের মতে, দেবী এখানে লক্ষ্মী, মা দুর্গা, চণ্ডীসহ নানা রূপে পূজিত হয়ে থাকেন। সেই কাল্পনিক চিন্তাধারায় দেবীকে এখানে ১৮ হাত বিশিষ্ট হিসাবে পুজো করার প্রচলন হয়েছে।

অক্টোবর ০৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানে দেরিয়াপুরে 'মণ্ডল পরিবারের' লক্ষ্মী পুজো এবছরে শতবর্ষে পদার্পন করলো

আজ রবিবার ৯ অক্টোবর ২০২২ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। দেবী লক্ষ্মী হলেন শান্তি, শ্রী ও সম্পদের প্রতীক। বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়। আমবাঙালীর মনে করে যে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর বাস, সেখানে কখনও কোনোদিন অভাব আসবে না। সাধারনভাবে বৃহস্পতীবার কে লক্ষ্মীবার বলে মানা হয়। ওইদিন বাংলার ঘরে ঘরে নিরামিষ খাওয়ার চল। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের ধারণা ভক্তি ভরে রীতিনীতি মেনে লক্ষ্মীদেবীর পুজার্চনা করা হলে, দেবীর কৃপায় সংসার সর্বদা ধন-সম্পদের অভাব থাকবেনা।লক্ষ্মী মণ্ডপ ও প্রতিষ্ঠাতা কেদারনাথ মণ্ডলদক্ষিণবঙ্গে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর চল সবথেকে বেশী দক্ষিণ দামোদর এলাকায়। সেখানকার রায়না, আনগুনো, শ্যামসুন্দর, মেরাল, বোখরা, দেরিয়াপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি লক্ষ্মী পুজোর ধুমধাম লক্ষ্য করা যায়। এবছর পূর্ব বর্ধমানের দেরিয়াপুরে মণ্ডল বাড়ির লক্ষ্মী পুজো ১০০ বছরে পদার্পণ করলো। ১৯২৩ এ মণ্ডল বংশের কেদারনাথ মণ্ডল এই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর পর এই পুজো দ্বায়িত্ব সামলেছেন গীতাপদ মন্ডল, শান্তিময় মন্ডল ও হরিনারায়ণ মন্ডলেরা। কালের নিয়মে একান্নবর্তী পরিবার ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ছোট হয়ে এলেও দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা ধূমধামের সাথে দেরিয়াপুরের মণ্ডল পরিবার এখনও একসাথেই করে আসছেন।বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সুজিত মণ্ডলপরিবারের সদস্য সুমিত মণ্ডল জানান, বর্তমানে পরিবারের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৮০ জন, তাঁদের অধিকাংশই কর্মসুত্রে গ্রামে না থাকলেও পুজো উপলক্ষে সকলে এই দুদিন একত্রিত হন দেরিয়াপুরে। পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় কুটুম্ব সকলে মিলে প্রত্যেক বছর প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন মানুষ পুজোর পরের দিন দেবীর ভোগ গ্রহণ করেন। সুমিত জানান এই পুজোর নানা দ্বায়িত্ব বাড়ির বড়দের সাথে তিনি ছাড়াও পরিবারের সদস্য সন্দীপন, স্বস্তিক, অনিরুদ্ধরাও ভাগ করে নেন। তাঁরা জানান, এবছরে ১০০ বছর উদযাপনের জন্য আত্মীয়সজন, বন্ধুবান্ধব মিলে প্রায় ৮০০ জনের বেশী মানুষ এই পুজোতে আমন্ত্রিত। তিনি আরও জানান শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে পরিবারের তরফ থেকে ১৫০ জন মানুষকে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

অক্টোবর ০৯, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রীদেবী সর্ব্বমঙ্গলা মন্দিরে ঘট উত্তোলন মধ্যে দিয়ে রাঢ়বঙ্গে পুজো শুরু

বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রীদেবী সর্ব্বমঙ্গলা মন্দিরের ঘট উত্তোলন মাধ্যমেই মহালয়ার পরদিন থেকে শারদ উৎসবের সূচনা হয়ে গেল রাঢ়বঙ্গে। দুবছর কোভিড বিধির সরকারী নির্দেশিকা মেনেই পুজোর আয়োজন করতে হয়ছিল। এবছর সেরকম কোনও করোনা বিধি নেই। সোমবার কৃষ্ণসায়রের চাঁদনী থেকে ঘট উত্তোলন করে শোভাযাত্রা ও বাদ্যযন্ত্র সহকারে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ঘট প্রতিস্থাপন করা হয়। মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদে দেবী সর্ব্বমঙ্গলার ঘট আনার প্রাচীন প্রথা রয়েছে। কথিত আছে বর্ধমানের বাহিরসর্ব্বমঙ্গলা অঞ্চলে জেলেদের জালে একটি অদ্ভূত দর্শন পাথর উঠে আসে। কিছুটা শিলার মত দেখতে ওই পাথর দিয়েই তখনকার দিনে গুগলি, শামুক থেঁতো করতেন এলাকার বাসিন্দারা। সেই শিলা যে আদতে দেবী মূর্তি, তা পরে বুঝতে পারেন এলাকার এক পুরোহিত। কাহিনী অনুসারে আরও জানা যায় সেই সময় দামোদর নদ লাগোয়া চুন তৈরির কারখানার জন্য শামুকের খোল নেওয়ার সময় শিলামূর্তিটি চলে যায় চুন ভাটায়। তখন শামুকের খোলের সঙ্গে শিলামূর্তিটি পোড়ানো হলেও মূর্তির কোনো ক্ষতি হয়নি।সেই রাতে দেবীর স্বপ্নাদেশ পাওয়া মাত্রই বর্ধমানের মহারাজা শিলামূর্তিটিকে নিয়ে গিয়ে সর্বমঙ্গলার পুজো শুরু করেন।দেবী সর্ব্বমঙ্গলা মন্দিরে ঘট স্থাপনঐতিহাসিক মতে বর্ধমানের মহারাজা শ্রী কীর্তিচাঁদ, ১৭০২ খ্রিস্টাব্দে সর্বমঙ্গলা মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কিন্তু এই মন্দিরে থাকা মাতা সর্ব্বমঙ্গলার মূর্তিটি মন্দিরের থেকেও বেশি প্রাচীন। অনেকের মতে মূর্তিটি ১০০০ বছর পুরোনো, আবার কারো মতে ২০০০ বছরের পুরনো। এই মূর্তিটি হল কষ্টিপাথরের অষ্টাদশভূজা সিংহবাহিনী মহিষমর্দিনী। যা দৈর্ঘ্যে বারো ইঞ্চি, প্রস্থে আট ইঞ্চি। মন্দিরে রুপোর সিংহাসনে দেবী আসীন থাকেন। জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হবার পরে, বর্ধমানের তৎকালীন মহারাজা উদয় চাঁদ ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করেন। সেই বোর্ডের হাতে এই প্রাচীন মন্দিরটি পরিচালনার দায়িত্ব দেন। তার পর থেকে এখনো পর্যন্ত সেই ট্রাস্টি বোর্ডই এই মন্দিরের দেখাশোনা করে আসছে।মায়ের মন্দির থেকে ঢাক, ক্লাব ব্যান্ড ও ব্যান্ড সহযোগে ঘোড়ার গাড়ি করে বিসি রোড হয়ে রাজবাড়ি সামনে দিয়ে শোভাযাত্রা পৌঁছায় কৃষ্ণসায়রের চাঁদনী ঘাটে। সেখানে দেবী সর্ব্বমঙ্গলার ঘট উত্তোলনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক ও ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি প্রিয়াঙ্কা সিংলা, স্থানীয় বিধায়ক খোকন দাস, ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক আইনজীবী সঞ্জয় ঘোষ, প্রাক্তন সম্পাদক বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডঃ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায়, পৌরসভার চেয়ারম্যান সহ সকল কাউন্সিলার। অগনিত ভক্ত সমাগমে ঘট ভরা সম্পন্ন হয়।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২
রাজ্য

'বলরামদেব প্রচুর পরিশ্রম করতেন বলে সন্ধ্যাবেলা সুরা পান করতেন' বর্ধমানের বিজেপি নেতার ভিডিও ভাইরাল

বলরামদেব প্রাচীনকালে সেচের বন্দোবস্ত করেছিলেন। প্রচুর পরিশ্রম করতেন। সেই কারণে সন্ধ্যাবেলা সুরা পান করতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ক্লিপসের এমনই বলতে শোনা যাচ্ছে বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা কে (যদিও জনতার কথা ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওই তিনি বলছেন, প্রাচীনকালে বলরামদেব সেচের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি খুব খাটাখাটুনি করতেন। সেই কারণে সন্ধ্যাবেলা সুরা পান করতেন। সুরা পান করলেও নিজেকে ঠান্ডা রেখে ঘুমিয়ে যেতেন। আবার সকাল থেকে কাজ আর কাজ। শুধু কাজ নিয়েই থাকতেন। তার এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। প্রবীণ বিজেপি নেতা নরেশ কোনার বলেন, এমনটা বলা ঠিক হয়নি। উনি এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন জানিনা। দেবতাদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়। সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।ভাইরাল হওয়া ভিডিওই তিনি বলছেন, প্রাচীনকালে বলরামদেব সেচের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি খুব খাটাখাটুনি করতেন। সেই কারণে সন্ধ্যাবেলা সুরা পান করতেন। সুরা পান করলেও নিজেকে ঠান্ডা রেখে ঘুমিয়ে যেতেন। আবার সকাল থেকে কাজ আর কাজ। শুধু কাজ নিয়েই থাকতেন। তার এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।প্রবীণ বিজেপি নেতা নরেশ কোনার বলেন, এমনটা বলা ঠিক হয়নি। উনি এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন জানিনা। দেবতাদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।সভায় বক্তব্য রাখছিলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওই তিনি বলছেন, প্রাচীনকালে বলরামদেব সেচের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি খুব খাটাখাটুনি করতেন। সেই কারণে সন্ধ্যাবেলা সুরা পান করতেন। সুরা পান করলেও নিজেকে ঠান্ডা রেখে ঘুমিয়ে যেতেন। আবার সকাল থেকে কাজ আর কাজ। শুধু কাজ নিয়েই থাকতেন। তার এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। প্রবীণ বিজেপি নেতা নরেশ কোনার বলেন, এমনটা বলা ঠিক হয়নি। উনি এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন জানিনা। দেবতাদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২২
রাজ্য

'মা কালি' বিতর্কে কড়া সমালোচনা করলেন টলিউডি অভিনেত্রী

ভারতীয় চিত্র পরিচালক লীনা মানিমেকালাইয়ের তথ্যচিত্রের একটি পোস্টারে দেবী কালী রূপে এক মহিলাকে ধূমপান করতে দেখা যায়। সেই পোস্টার নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে সোমবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে বেফাঁস কথা বলে ফেলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মিত্র। যার জেরে আসমুদ্র হিমাচল রে রে শুরু করে দেন। তাঁর করা সেই মন্তব্য নিয়ে দানা বাঁধে নতুন এক বিতর্ক। মহুয়ার করা মন্তব্য নিয়ে কড়া বিবৃতি দেই ভারতীয় জনতা পার্টি। তাঁর মন্তব্য নিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানাতে শুরু করে বিজেপি। সাংসদের দল সর্বভারতীয় তৃণমূলের তরফেও টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, তৃণমূল দল মহুয়ার বক্তব্যকে সমর্থন করছে না।চিত্র জগতের পক্ষ থেকেও এই মন্তব্য নিয়ে বিবৃতি দেওয়া শুরু হয়ে গেছে। ইতি মধ্যে মৌবনি সরকার তাঁর সামাজিক মাধ্যমে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন এই বিতর্কিত মন্তব্যের, তিনি লিখেছেন আমি একবার মা কালীর উপর একটি সংক্ষিপ্ত সঙ্গীত চলচ্চিত্র তৈরি করেছিলাম, যা আমি শেয়ার করব, কিন্তু রাজনীতিবিদরা যারা নিজেদের অত্যন্ত স্মার্ট মনে করে বক্তব্য রাখেন, আমার কাছে মা কালী শুধুমাত্র একজন মহিলা যিনি মদ্যপান করেন..., ইত্যাদি ইত্যাদি, দয়া করে আগে নিজেদেরকে শিক্ষিত করুন তারপর মা কালী সম্পর্কে বলার সাহস দেখান। এটা লজ্জার যে আপনি বাংলার, যেখানে মা কালী দেবীরুপে পুজিত হন এবং আপনার নিজের সাংস্কৃতির প্রতি সত্যিই অকৃতজ্ঞ, সেকারনে আপনাকে আরও স্মার্ট বা শিক্ষিত করে তুলতে পারে না। আপনাদের মত এমন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ভোট দিতে এবং সমর্থন করতে আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত যার যারা নিজেদেরকে ঈশ্বরের ওপরে মনে করেন। তিনি আরও বলেন আমার মনে হয় আমরা ইতিমধ্যেই এর জন্য অনেক মূল্য পরিশোধ করছি।২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিন্দু দেবতা শিব কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে বিপাকে ফেলেছিলেন বর্তমান তৃনমূল কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সম্প্রতি বিজেপির অপসারিত যুবনেত্রী নুপুর শর্মা-র মন্তব্য ঘিরে সারা দেশ জুড়ে অস্থিরতার বাতাবরণ তৈরি হয়। তৃনমূল সংসদ মহুয়া মিত্র সেই একই পথে হেঁটে ধর্মীয় ভাবাবেগকে আবার আযাচিত ভাবে আঘাত হানলেন বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।এখানে উল্লেখ্য হিন্দু দেবতা মা কালী কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তৃণমূল সাংসদের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যেরা বৌবাজার থানায় বুধবার দুপুরে মোট ৫৬টি অভিযোগ দায়ের করেন। মহুয়ার গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

জুলাই ০৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অস্কার মঞ্চে গডফাদারের কলাকুশলীরা

হলিউডের ডলবি থিয়েটারে আয়োজিত ৯৪তম একাডেমি পুরস্কারের মঞ্চে শুধু ২০২১ সালের সেরা চলচ্চিত্রকে সম্মানিত করা হয়নি। এর পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে গডফাদার ট্রিলজিকেও। গডফাদার মুক্তির ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনে ছবির পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা, তারকা অভিনেতা আল পাচিনো ও গডফাদার২এর তারকা রবার্ট ডি নিরো হাজির হয়েছিলেন অস্কারের মঞ্চে।৯৪তম অস্কারের মঞ্চে এক এক করে পাওয়া যায় ৮২ বছর বয়সী কপোলা, ৮১ বছর বয়সী আল পাচিনো ও ৭৮ বছর বয়সী ডি নিরো। মঞ্চে কপোলা প্রথমে দর্শক এবং ভক্তদের ধন্যবাদ জানান। তারপর রবার্ট নিরো ও পাচিনোর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধুদের প্রতি কৃতজ্ঞ, তাঁরা এখানে এসেছেন এবং আমি তাঁদের সঙ্গে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করতে পারছি। কপোলা আরও বলেন, ৫০ বছর আগে এ প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছিলাম অসাধারণ সব মানুষের সঙ্গে, যাঁদের বেশির ভাগই কিংবদন্তি। সময়ের অভাবে অনেকের নাম আমি এখানে উল্লেখ করতে পারছি না। কিন্তু আপনারা তাঁদের বেশ ভালোভাবেই চেনেন। তবে দুজনের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। গডফাদার উপন্যাসের লেখক মারিও পুজো এবং প্রয়াত প্রযোজক রবার্ট ইভান্স। এই দুজনের সহযোগিতায় এই তিনটি আইকনিক চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। প্রকাশ্যে তাঁদের কখনোই ধন্যবাদ জানানো হয়নি। রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন দেখিয়ে এই চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর বক্তৃতা শেষ করেন।বিশ্ব চলচ্চিত্রের ইতিহাসে কালজয়ী সিনেমা দ্য গডফাদার। মারিও পুজোর উপন্যাস থেকে নির্মিত সিনেমাটি ১৯৭২ সালে অস্কার জেতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য মার্লন ব্র্যান্ডো সেরা অভিনেতার জন্য অস্কার পেলেও তিনি পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মারিও পুজো ও ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা সেরা চিত্রনাট্য পরিকল্পক বিভাগে অস্কার লাভ করে। ছবিটি আরও সাতটি বিভাগে অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিল।

মার্চ ২৯, ২০২২
নিবন্ধ

ঈশ্বরের দান- The Gift of God (ছোট গল্প)

আজ বাড়িতে সকাল থেকেই হৈচৈ, সাজ সাজ রব; সারা বাড়ি বেলুন দিয়ে সাজানো হচ্ছে। আজ পল্লব আর অঞ্জনার নয়নের মনি ওদের মেয়ে অপালার জন্মদিন।ওদের নিস্তরঙ্গ জীবন আনন্দময় করতে এইদিনেই অপালাকে কোলে পেয়েছিল অঞ্জনা। বিয়ের সাত বছর পরেও কোলে কেউ আসেনি। তাই জীবনটা ছন্দহীন হয়ে পড়েছিল। সাদামাটা জীবন ; সকালে উঠে রান্না সেরে শাশুড়িমা, শ্বশুর মশায় কে যথা সম্ভব দেখে সব সামলে অফিসে যাওয়া আবার অফিস থেকে ফিরে গতানুগতিক কাজ। এভাবেই চলছিল। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছে কিন্তু কোনো সমস্যা নাই বলেছে, বলেছে দেরি হবে। অঞ্জনা মাতৃ হৃদয় কেঁদে ওঠে বারবার । তাই সে রোজ অফিসে যাওয়ার পথে যে হনুমানজির মন্দির টা পরে রোজ সেখানে আসাযাওয়ার পথে প্রণাম করে। আর প্রতি মঙ্গলবার পুজো দেয়। বছর পাঁচ আগে সে রকম এক মঙ্গলবার অফিস থেকে সেদিন ফিরতে দেরি হয়েছিল অঞ্জনার। বাস থেকে নামলো যখন আশপাশের সব দোকান মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে। অঞ্জনা অভ্যাস মতো সেদিনও পুজো দেওয়ার সামগ্রী নিয়ে ছিল। কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়ায় মন্দির বন্ধ হয়ে গেছে দেখে মন্দিরের দরজায় জিনিস গুলো রেখে প্রণাম করে উঠে দাঁড়াতেই যেন বাচ্চার আওয়াজ পেল। মনের ভুল বলে বেরিয়ে আসার জন্য যেই পা বাড়িয়েছে আবার শুনতে পেল। না এবার স্পষ্ট শুনেছে। এদিক ওদিক দেখ্তেই মন্দিরের এক কোনে দেখল কি যেন নড়ছে। কাছে গিয়ে মুঠো ফোনের আলোয় যা দেখল তা বিশ্বাস করতে পাচ্ছিল না। প্রথম টায় হতভম্ব হয়ে গেছিল অঞ্জনা। তারপর যখন বুঝল যে সত্যি দেখ্ছে আশপাশে কেউ আছে কিনা সেজন্য চিত্কার করে জানতে চাইলে কারো আওয়াজ পেল না যখন তখন ছোট্ট প্রাণ টাকে কোলে তুলে নিল হনুমানজীর আশীর্বাদ মনে করে। মনে হলো যেন হনুমান জী এতো দিনে মুখ তুলে চেয়েছে।অঞ্জনা তাড়াতাড়ি পা চালিয়ে বাড়ির দিকে চলল। দরজা খুলে পল্লব দেরির কারণ জিজ্ঞাসা করবে কোলে বাচ্চা দেখে অবাক হয়ে গেল। ভিতরে ঢুকে সব খুলে বলল সবাই কে। শাশুড়ি মাও বাচ্চা টিকে হনুমান জীর আশীর্বাদই বললেন। আদরের সঙ্গে সবাই মেনে নিল বাচ্চাটিকে। বাড়িতে খুশির বন্যা বয়ে গেল। এইভাবেই বেশ কেটে গেলো ; তিন বছর পর অঞ্জনার কোলে এলো ওদের ছেলে অদ্রিজ। দুই ভাই বোন কে নিয়ে ওদের জীবন আনন্দে ভরে উঠলো। না ছেলে হওয়ার পর কিন্তু অপালার আদর একটুও কমেনি কারো কাছে , ও যে ওদের সবার কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আজ সবার নয়নের মনি অপালার জন্মদিন। তাই বাড়িতে হইহই রব। সে যে পাঁচ বছরের হলো।

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

বীরভূমের ৩০০ বছরের প্রচীন চক্রবর্তী বাড়ির একচালে পাঁচ প্রতিমার সরস্বতী পুজা

সারা রাজ্যে মহা ধুম ধামের সাথে পালিত হচ্ছে বাগদেবীর সরস্বতী পুজো। করোনা-র তৃতীয় ঢেউ-র ভ্রূকুটি এড়িয়ে কচি কাঁচারা মেতে উঠেছে মণ্ডপে মণ্ডপে। হটাৎ সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের চোখরাঙ্গানিতে ক্ষণিকের ভয় কেটে যাওয়ার পর রাস্তায় নেমে পড়েছে কচি কাঁচারা। পাড়ার ক্লাব থেকে শুরু করে বাড়িতে, স্কুলে স্কুলে ছুটে চলেছে বাঁধভাঙা কিশোরে-কিশোরী-র দল।বীরভুম জেলার তিনশত বছরের প্রচীন হেতমপুরের চক্রবর্তী বাড়ির সরস্বতী পুজার সুচনা হল আজ। প্রথম এই পুজা শুরু হয় হেতমপুরের রাজবাড়ীতে, পরে চক্রবর্তী পরিবার তাঁদের নিজেদের বসতভূমিতে সেই পুজো আয়জন করে। এখানে নীলবসনা দেবী সরস্বতী আরাধনা করা হয়। স্থানীয় সরস্বতী পুকুর থেকে তিনটি ঘট ভর্তি করে এনে এই পুজোার সুচনা হয়। পঞ্চমী থেকে শুরু হয়ে চারদিন ব্যাপী চলে এই পুজো। অষ্টমী-র দিন দেবীর নিরঞ্জন করা হয়।বংশ পরম্পরায় ৩০০ বছর ধরে চলছে এই নীলবসনা দেবী সরস্বতী আরাধনা। কর্মসুত্রে এই পরিবারের অনেক সদস্যই ছড়িয়ে পরেছেন দেশে-বিদেশে। এই পুজো উপলক্ষে সকলে মিলিত হন। চক্রবর্তী পরিবারের সদস্য মনোজ চক্রবর্তী জনতার কথাকে জানান এই পরিবারের আদি পুরুষ কুচিল চক্রবর্তী এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বলেন, আমরা সাধারণভাবে যে দেবী সরস্বতী মুর্তি দেখতে অভ্যস্ত তার থেকে এটা অনেকটাই আলাদা, একটি একচালার কাঠামো-তে তিনটি দেবী মুর্তি থাকে তার মাঝখানে অধিষ্ঠাত্রী নীলবসনা সরস্বতী তাঁর ডান দিকে ভগবতী অর্থাৎ মা দুর্গা এবং বাম দিকে মা লক্ষ্মী। তিন দেবীর দুই দিকে থাকেন জয়া ও বিজয়া।হেতমপুরের রাজপরিবারের সরস্বতী পুজোমনোজ বাবু আরও জানান, এখানে তিনটি মুর্তির বা ত্রিমুর্তি-র অর্থ দেবী সরস্বতী-জ্ঞানের প্রতীক, ভগবতী বা দুর্গা শক্তির প্রতীক আর মা লক্ষ্মী হলেন বিত্ত বা সম্পদের প্রতীক। জয়া ও বিজয়া হলেন সৌন্দর্যের প্রতীক। তিনি জানান তাঁদের এই পূজোয় তিনটি ঘট স্থাপন করা হয়, একটি দেবী সরস্বতীর, বাকি দুটি ভগবতী অর্থাৎ মা দুর্গা ও মা লক্ষ্মীর। তাঁদের প্রথামত বিসর্যনের সময় দেবী সরস্বতী ও ভগবতী-র ঘটদুটি বিসর্যন করে দিলেও দেবী লক্ষ্মীর ঘটটি তাঁরা বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। মনোজ বাবু জানান, তাঁদের পরম্পরা অনুযায়ী লক্ষ্মী র ঘট বিসর্জন দেওয়া যায় না।চক্রবর্তী বাড়ির সদস্য অধ্যাপক কুনাল চক্রবর্তী জনতার কথা কে জানান, আমরা সারাবছর কর্মসুত্রে গ্রামের বাইরে থাকি। মাঝে মাঝে প্রয়োজনে এলেও পরিবারের সকলের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হয় না। এই পুজোতে মোটামুটি সকলেই মিলিত হওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের এই সরস্বতী নীল সরস্বতী নামে পরিচিত। বহু প্রাচীন এই পুজো। তিনি বলেন বৈদিক মতে হোম যজ্ঞ সহকারে পরিবারের সকলে মিলে চারদিন ধরে মহা ধুমধামের সাথে এই পুজার্চনা চলে। যে পুকুর থেকে দেবী-র ঘট আনা হয় তারও এক বিশেষত্ব আছে, এই পুষ্করিণী-টি কোনও সময়ে জল শুকায় না সারা বছরই জলপূর্ণ থাকে, এছাড়াও এই পুকুরের দক্ষিণ প্রান্তে একটি সুড়ঙ্গ আছে যেটি শেষ হয়েছে রাজবাড়ীতে। কথিত আছে রাজবাড়ীতে যখন এই পুজো হত, তখন পুজো উপলক্ষে যাত্রা, কবিগান, কীর্তন-র মহা আয়োজন হত। এখন সে অর্থে অনেকটাই মলিন। তাও পরম্পরা বজায় রেখে পূজো অর্চনা চলছে। অষ্টমীর দিন ঘট বিসর্যনের পর আমরা প্রতিবেশী সকলকে মায়ের খিচুরী ভোগ বিতরণ করে থাকি।পরিবারের পুত্রবধূ অধ্যাপিকা ইন্দ্রানী চক্রবর্তী (মুখার্জী) আমাদের জানান, কর্মসুত্রে সারাবছর বাইরে থাকতে হয়। বিবাহ সুত্রে এই পরিবারের আসার পর থেকে প্রতিবার-ই আমরা সপরিবারে হেতমপুরে আসি। পরিবারের সকলে মিলে চারদিন ধরে খুব আনন্দ করি, সরস্বতী পুজা উপলক্ষে এখানে একটি মেলা বসে, বাচ্চারা ওই মেলায় গিয়ে খুব মজা করে। ইন্দ্রানী জনতার কথা কে জানান, দেবী সরস্বতীর কাছে একটাই পার্থনা, করোনা-র চোখরাঙানি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন কেটে যায়। বিদ্যলয়, কলেজগুলো যেন আবার আগের মতোই আলোড়িত হয়ে ওঠে কচি-কাঁচাদের কলতানে।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
নিবন্ধ

সত্যিই কি বিড়ালের রাস্তা কাটা অশুভ? এর পিছনে কি আদৌও কোনও বিজ্ঞানসম্মত কারণ আছে? পড়ুন বিস্তারিত

নানা বিষয়ে নানা সংস্কার ও কুসংস্কারে বশীভূত আমাদের সামাজ। কেউ হাঁচলে যাত্রা অশুভ ভেবে দাঁড়িয়ে পড়েন, আবার কারও অনর্গল মিথ্যা প্রবচনের মাঝে টিকটিকি ডাকলে সেই অনাবিল মিথ্যাকে সত্যি বলে ধরা হয়! এগুলিকে কেউ কুসংস্কার, আবার কেউ কেউ অন্ধবিশ্বাসও বলে মনে করেন। ঠিক সেরকমই একটা কুসংস্কার বিড়ালের রাস্তা কাটা। আপনি হয়ত কোথাও যাচ্ছেন, আপনার যাত্রাপথে আপনার সামনে রাস্তা দিয়ে পেরলো একটা বিড়াল। সেটাকে অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করে আপনি দাঁড়িয়ে পরলেন, যদি তখন আপনি গাড়ি চালান, তাহলে স্টার্ট বন্ধ করে দিলেন, তাতে নাকি আশুভ যা-কিছু কেটে যায়! হয়ত কোনও যাত্রীবাহী গাড়ি যাচ্ছে রাস্তা দিয়ে কেউ বাইক চালিয়ে যাচ্ছেন তখন বিড়ালে রাস্তা কাটলে সকলেই সেখানে দাঁড়িয়ে যায়, ঠিক যেন ট্রাফিক সিগন্যাল। এর অশুভ প্রভাব কাটাতে কিছু তুকতাক-ও আমাদের জানা, যেমন এই অশুভ প্রভাব কাটানোর জন্য কেউ কেউ রাস্তায় বাঁ দিকে থুতু ফেলে আবার যাত্রা শুরু করেন। দীর্ঘকাল ধরে এই কুসংস্কার / অন্ধ-বিশ্বাস মানুষের মনে গেঁথে আছে। আবার বিড়ালের রঙ যদি কালো হয়, আর্থাৎ কালো বিড়াল যদি রাস্তা কাটে সেটা আরও ভয়ংকর অশুভ বলে মনে করেন অনেকে।এই অন্ধ-বিশ্বাস বা কুসংস্কার গড়ে ওঠার পিছনে কি কি কারণ থাকতে পারে তার পর্যালোচনা করেছেন কখনও? এর পিছনে কি আদৌও কোনও বিজ্ঞানসম্মত কারণ আছে? সত্যিই কি বিড়ালের রাস্তা কাটা অশুভ? সে বিষয়টা-ই আজ আমরা জানার চেষ্টা করব।ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে তিথি নক্ষত্রর প্রভাব অনুযায়ী রাহুকে অশুভ গ্রহ বলে মনে করা হয়। রাহুর প্রভাবে জীবনে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। নানাবিধ দুর্ঘটনার যোগ আসতে পারে রাহুর প্রভাবে। বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে বিড়ালকে রাহুর বাহন বলা হয়। সাধরণ ভাবে রাহুকে আমরা একটু সমঝে চলি, ঠিক সেই কারণেই বিড়াল পথ কাটলে রাহুর ভয়ে তা অশুভ বলে মনে করা হয়। কারণ বিড়ালে পথ কাটছে মানে সেখানে রাহুর কু-প্রভাব রয়েছে। সেই প্রভাবে দুর্ঘটনা হতে পারে।অন্যদিকে সনাতন হিন্দু ধর্ম অনুসারে ধন-সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন লক্ষ্মী। আর অলক্ষ্মী হলেন দেবী লক্ষ্মীর বোন। দেবী অলক্ষ্মীকে সাধরণ ভাবে গরীবের দেবী বলা হয়ে থাকে। সাধারনত দীপাবলির সময় অমাবস্যাতে কালীপুজোর রাতে দেবী অলক্ষ্মীর পুজা হয়। বিড়ালকে আবার দেবী অলক্ষ্মীর বাহন বলেও মনে করা হয়। তাই বিড়ালকে মনে করা হয় অশুভ সংকটের প্রতীক। অদ্ভুত ভাবে দীপাবলির দিন ঘরে বিড়ালের প্রবেশকে আবার খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এই বিশেষ দিন ঘরে বিড়াল প্রবেশ করলে তার সঙ্গে সমৃদ্ধির আগমন ঘটে বলে মনে করেন কু-সংস্কারাচ্ছন্ন মানুষজন।দেবী মাঙ্গাম্মার মন্দিরভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকের মাণ্ড্য জেলার অবস্থিত বেক্কালালে গ্রামের মানুষজন বিড়ালকে খুব শুভ বলে মনে করে। সেখানে এক মন্দিরে বিড়ালকে দেবী মাঙ্গামার রূপ হিসাবে পূজা করা হয় এবং বিড়ালদের জন্য নিবেদিত তিনটি মন্দির স্থাপন করা আছে। স্থানীয় স্যত্রে জানা যায়, প্রায় ১,০০০ বছর আগে এর প্রচলন শুরু হয়েছিল। স্থানীয় মানুষজনের বিশ্বাস, তাদের প্রধান দেবতা দেবী মাঙ্গামা একটি বিড়ালের রূপ ধারণ করে বেক্কালালে গ্রামে প্রবেশ করেছিলেন এবং তাদের রক্ষাকর্তা হিসাবে অবস্থান করেছিলেন, গ্রামটিকে সমস্ত খারাপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করেছিলেন। স্থানীয় এক পুরোহিত বলেন, দেবী মাঙ্গামা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে বিড়ালরূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। দেবী তাদের ঐশ্বরিক ক্ষমতা দেখানোর পরে অদৃশ্য হয়ে গেলেন এবং অদৃশ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে একটি মাটির স্তূপ তৈরি হয়ে গেল। সেই ঘটনার পরেই, আমাদের পূর্বপুরুষরা গ্রামের মধ্যে এবং আশেপাশে দেবতার অস্ত্বিত্ব অনুভব করেছিলেন এবং একটি বিড়ালের আকারে দেবী মাঙ্গামাকে পূজা করতে শুরু করেছিলেন। আমাদের জন্য, বিড়ালরা জীবন্ত দেবী এবং আমরা তাদের শ্রদ্ধা করি, এখানে বেড়াল সাক্ষাৎ দেবতা।প্রাচীন মিশরেও বিড়ালকে দেবী জ্ঞানে আরাধনা করা হত। বাস্টেট, যাকে বাস্টও বলা হয়, প্রাচীন মিশরীয় দেবীরূপে প্রথমে একটি সিংহি এবং পরবর্তীকালে একটি বিড়ালের আকারে পূজা করা হত। রে এর কন্যা, সূর্য দেবতা ও বাস্টেট ছিলেন প্রাচীন মিশরীয় দেবতা। ভারত-সহ বিশ্বের আরও অনেক দেশেই বিড়ালকে ঘিরে বেশ কিছু শুভ ও অশুভ ধারনা প্রচলিত আছে। বিড়ালের কান্নাকেও অনেকে অশুভ বলে মনে করেন। আশপাশে কখনও বিড়াল কান্না করলে বাড়িতে কোনও বিপদ আসন্ন বলে প্রচলিত বিশ্বাস।রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ডঃ সুভাষচন্দ্র দত্তজনতার কথার পক্ষ থেকে কিছু বিজ্ঞান মনস্ক মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, তাঁদের সকলেরই মোটামুটি একই মত। বর্ধমান শহরের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ডঃ সুভাষ চন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে বলেন, বিড়াল রাস্তা কাটলেই দূর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী এরকমটা ভাবার ভিতরে কোনও বিজ্ঞানসম্মত কারণ নেই। তবে আমাদের বিশেষ করে যারা দু-চাকার যান ব্যবহার করি তাঁদের প্রত্যেককেই আকারে বড় যেকোনো জীব-জন্তুর থেকেই সাবধানে থাকা উচিত। সেটা বিড়াল, কুকুর, শিয়াল, গরু যেকোনো ধরনের জীবজন্তু হতে পারে। এছাড়া অনেক সময় দেখা যায় বিড়ালকে তারা করে পিছনে দ্রুত গতিতে কুকুর আসতে পারে, ফলে দুচাকার যানের দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী। তিনি আরও জানান, সাধারনভাবে কালো রঙকে আমরা অশুভ বলেই গন্য করি। কোনও শুভ অনুষ্ঠানে কালোকে আমরা বর্জন করে থাকি। তাই কালো বিড়ালকে বেশি অশুভ বলে মনে করা হয়। আমার ব্যাক্তিগত মত, কালো অনেক রঙয়ের থেকে বেশী আকর্ষনীয় ও ব্যক্তিত্বপূর্ণ। যেকনো রঙ্গের বিড়ালের থেকে কালো বিড়ালকে আনেক বেশি ভয়ংকর লাগে। তাই হয়ত সেই ভয় থেকেই এই কুসংস্কারের জন্ম।

ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
রাজ্য

Kojagori: নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ জাগরত্তীতিভাষিণী

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। শরৎ পূর্ণিমার দিনে বাংলার ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজো করা হয়। দুর্গাপুজার কয়েকদিন বাদেই আশ্বিন মাসের শেষের পূর্ণিমাতে যে লক্ষ্মী পুজো পালিত হয়, তাকে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বলা হয়। এই পুজা কোজাগরী নামে প্রচলিত হলেও অনেকেই এই কোজাগরী / কোজাগর কথার অর্থ জানেন না।কোজাগরী মানে কি?শরৎ-কালের পূর্ণিমার রাত্রিই সাধারণ ভাবে বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল রাত্রি বলে ধরা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী এই রাত্রে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী মা-লক্ষ্মী স্বর্গের বিষ্ণুলোক হতে ধরাধামে আসেন এবং মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে কে জেগে আছ? এই প্রশ্ন করেন। নিশীথে বরদা লক্ষ্মীঃ জাগরত্তীতিভাষিণী।তস্মৈ বিত্তং প্রযচ্ছামি অক্ষৈঃ ক্রীড়াং করোতি যঃ।।নিশীথে বরদাত্রী লক্ষ্মীদেবী কে জেগে আছ বলে সম্ভাষণ করেন। যে সেই রাতে লক্ষ্মীব্রত করে জেগে থাকে দেবী তার কাছ থেকে সাড়া পান এবং তার গৃহে প্রবেশ করে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করেন। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথি এবং ঐ তিথিতে অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপূজাকে যথাক্রমে কোজাগরী পূর্ণিমা এবং কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা বলে অভিহিত করা হয়। কথিত আছে লক্ষ্মী দেবী ধরায় এলে, প্যাঁচা আনন্দিত মনে সারারাত কোলাহল করে বেড়ায় দেবীর সাথে। ভোরের আলো দেখে প্যাঁচা গাছের কোটরে ঢুকে পড়লে কাঠঠোকরা ওই কোঠর থেকে বেরিয়ে যায়। কাঠঠোকরাকে দেখে দেবী ভাবলেন ইনিই তাঁর বাহন। খুশি মনে মুকুট দিলেন কাঠঠোকরার মাথায়। জন্ম হলো এক চাকমা প্রবাদের- প্যাঁচায় কুড়কুড়ায়,খোড়ইল্যা সোনার তুক পায়।বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি কো জাগতী থেকে। এর আক্ষরিক অর্থ কে জেগে আছো? আরও কথিত আছে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে আশীর্বাদ দেন। কিন্তু যার বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। তাই লক্ষ্মী পুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারারাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষত্ব। আবার প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, শরৎ পূর্ণিমার রাতে যে জেগে অক্ষক্রীড়া অর্থাৎ পাশা খেলেন, লক্ষ্মী তাঁকে ধনসম্পদ দান করেন। আবার দক্ষিণবঙ্গের অনেক জায়গায় কিছু মানুষ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন অন্যের বাগান থেকে ফল বা শস্য চুরি করে থাকে। তাঁদের ধারণা, এর ফলে লক্ষ্মী তাঁদের আশীর্বাদ দেবেন।নানান রূপে লক্ষ্মী:লক্ষ্মীর মূর্তি পুজো ছাড়াও আরও নানান ভাবে লক্ষ্মীকে কল্পনা করে এদিন তাঁকে পুজো করা হয়। যেমন- আড়ি লক্ষ্মী। এ ক্ষেত্রে ধান ভর্তি ঝুড়ির ওপর কাঠের লম্বা দুটি সিঁদূর কৌটো লালচেলিতে মুড়ে মা লক্ষ্মীর রূপ দেওয়া হয়। আবার কলার পেটোর তৈরি নৌকা বানিয়ে লক্ষ্মী আরাধনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রথাকে কে সপ্ততরী বলা হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক নৌকার প্রতীক হল এই সপ্ততরী। অনেকেই পুজোর সময় এই সপ্ততরীতে টাকা, শস্য, হরিতকি, কড়ি, হলুদ রেখে মা লক্ষ্মীর উদ্দশ্যে নিবেদন করা হয়।আবার প্রকারভেদে সরায় (মাটির পাত্র) পটচিত্রের সাহায্যেও লক্ষ্মীপুজো করা হয়ে থাকে। যেমন-ঢাকাই সরা, ফরিদপুরি সরা, সুরেশ্বরী সরা ও শান্তিপুরি সরা। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ্মীসরা আঁকা হয়। অঞ্চল ভেদে এই সরায় তিন, পাঁচ, সাতটি পুতুল আঁকা হয়। এতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া ও বিজয়া-সহ লক্ষ্মী, রাধাকৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি। সুরেশ্বরী সরায় মহিষাসুরমর্দিনী আঁকা থাকেন আর এই সরার নীচের দিকে থাকেন সবাহন লক্ষ্মী। আবার কলার বের ও লক্ষ্মীর মুখ সমন্বিত পোড়া মাটির ঘটকেও অনেকে দেবী লক্ষ্মী রূপে কল্পনা করে পুজো করে থাকেন। এই ঘটে চাল বা জল ভরে সেটিকে লক্ষ্মী মনে করে পুজো করা হয়ে থাকে।

অক্টোবর ২০, ২০২১
দেশ

Ram Rahim: শিষ্য খুনে যাবজ্জীবন সাজা রাম রহিমকে

২০০২ সালে রঞ্জিত সিং হত্যার ঘটনায় ডেরা সাচ্চা সৌদার প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং-কে আজীবন কারাবাসের সাজা শোনালো পঞ্চকুলার বিশেষ সিবিআই আদালত।৮ অক্টোবর, ডেরা সাচ্চা সৌদা প্রধান এবং আরও চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০০২ সালে সাংবাদিক এবং রাম রহিমের তৎকালীন আপ্ত সহায়ক রঞ্জিত সিংকে হত্যার দায়ে তাকে এই সাজা শোনানো হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাবাসের সাথেই তাকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই রণজিৎ সিংকে হত্যা করেন রাম রহিম। রোহতক জেল থেকে রাম রহিম ক্ষমা প্রার্থনা করলেও তাকে তার আবেদন গৃহীত হয়নি। সাধারণ একজন মানুষকে প্রতিকল্পিত হত্যার দায়ে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আরও পড়ুনঃ মঙ্গলেই ইস্তফা বাবুলেরগুরমিত রাম রহিম সিং, জাসবীর সিং, সাবদিল সিং, কৃষ্ণ লাল এবং ইন্দ্র সাইকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যা) এবং ১২০ বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) ধারায় রঞ্জিত সিং হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। জসবীর সিং, কৃষ্ণ লাল এবং ইন্দর সাইকে অস্ত্র আইনেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যাবজ্জীবন জেলের পাশাপাশি সিবিআই আদালত গুরমিতের ৩১ লক্ষ এবং তাঁর সহ-অপরাধীদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে। প্রায় দু দশকের পুরনো ওই মামলার ষষ্ঠ অভিযুক্ত কিছু দিন আগে মারা গিয়েছেন।রোহতকের সুনারিয়া জেলে বন্দি ধর্মগুরুকে ভিডিও কনফারেন্স শুনানিতেও হাজির করানো হয়েছিল। অশান্তির আশঙ্কায় রোহতক, সিরসা-সহ বিভিন্ন এলাকায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে আশ্রমের মধ্যে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণ এবং এক সাংবাদিককে খুনের মামলায় অপরাধী গুরমিত এখন ২০ বছরের জেলের সাজা ভোগ করছেন।

অক্টোবর ১৮, ২০২১
রাজ্য

Mother: দেবী পক্ষে অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে দুর্দশায় ফেলে পালালো গুণধর ছেলে

দেবী পক্ষে বৃদ্ধা মাকে অসহায় অবস্থার মধ্যে বিসর্জন দিয়ে পালালো গুনধর পুত্র। অসুস্থ বৃদ্ধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন ভরসা পূর্ব বর্ধমানের গলসির নবখণ্ড গ্রামের বাসিন্দারা।নিজের ছেলে সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে কান্তি তাঁর বৃদ্ধা মাকে অসহায় অবস্থার মধ্যে বিসর্জন দিয়ে পালালেও বৃদ্ধাকে মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছেন নবখন্ডের বাসিন্দারই। তাঁরা পুলিশের কাছে বৃদ্ধার নিষ্ঠুর ছেলে সুপ্রিয়র কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।নবখন্ড গ্রামের বাসিন্দারা পাশে থাকলেও নিজের গর্ভের সন্তানের এমন দুর্ব্যাবহার মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না বৃদ্ধা। তাই প্রতিনিয়ত চোখের জল মুছতে মুছতে বৃদ্ধা মমতাদেবী ঈশ্বরের কাছে মুক্তি প্রার্থনা করে চলেছেন। নবখন্ড গ্রামের বাসিন্দাদের কথায় জানা গিয়েছে, নবখন্ড গ্রামের বাড়িটি বৃদ্ধার দেশ বাড়ি। হাওড়ার বকুলতলা থানার দক্ষিণ বাকসারার কেঠোপুল এলাকায় বৃদ্ধার একটি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে বৃদ্ধার ছেলে ও বৌমা এখন থাকে। বৃদ্ধার ছেলে সুপ্রিয় বার্জার পেন্টস কোম্পানীতে মোটা টাকা মাস মাইনের চাকরি করেন। বৃদ্ধার স্বামী অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যাওয়ার পর সুপ্রিয় সেই চাকরিতে যোগ দেয়। কয়েকবছর আগে দুর্ব্যবহার করে সুপ্রিয় নিজের বৃদ্ধা মাকে হাওড়ার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। তারপর থেকে অসুস্থ শরীর নিয়ে এক প্রকার অনাহারেই নবখন্ড গ্রামের বাড়িতে থাকছিলেন বৃদ্ধা মমতাদেবী। বৃদ্ধার অসুস্থতা বাড়লে প্রতিবেশীরা বৃদ্ধার ছেলেকে ফোন করে বৃদ্ধার চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা কার কথা বলেন।চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গত ৫ অক্টোবর সুপ্রিয় তাঁর বৃদ্ধা মাকে হওড়ায় নিয়ে যায়।চিকিৎসা করিয়ে সুপ্রিয় তাঁর বৃদ্ধা মায়ের শেষ সম্বল টুকুও হাতিয়ে নেয়। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে মাকে চাপিয়ে নিয়ে এসে সুপ্রিয় নবখন্ড এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে একটু আসছি বলে নেমে পড়ে গুনধর ছেলে সুপ্রিয় পালিয়ে যায়। রাত্রি দেড়টা পর্যন্ত ছেলে সুপ্রিয় আর ফিরে না আসায় অ্যাম্বুলেন্স চালক বৃদ্ধাকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে পৌছে দেয়। পরদিন সকালে ওই বাড়ির বাইরে বৃদ্ধাকে কাতরাতে দেখে প্রতিবেশীরা তাঁকে পুুরসা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান।অ্যাম্বুলেন্স চালক অচিন্ত্যকুমার মন্ডল বলেন, হাওড়ায় চিকিৎসা করতে নিয়ে গিয়ে মমতা দেবীর পরনের কাপড়, নগদ টাকাকড়ি ও সোনা হাতিয়ে নিয়ে কেটে পরেছে তাঁর ছেলে সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়। অমানবিক এই ঘটনার জানার পর প্রতিবেশীরা সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে গলসি থানায় লিখিত অভিযোগে দায়ের করেছেন। বৃদ্ধা মায়ের প্রতি এমন নির্মম ব্যবহারের কারণ জানতে সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

অক্টোবর ০৯, ২০২১
রাজ্য

LPG : গোডাউনে বেআইনি গ্যাস সিলিন্ডার মজুতের দায়ে মেমারিতে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী

গোডাউনে বেআইনি ভাবে গ্যাস সিলিন্ডার মজুতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম স্বরুপ অধিকারী। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির আমাদপুরের ধৃতের গ্যাসের গোডাউনে শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালায় মেমারি থানার পুলিশ ও জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সেই অভিযানেই গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় বেআইনি ভাবে মজুত রাখা ৯৫ টি গ্যাস সিলিন্ডার। সেগুলি মূলত ভারত পেট্রোলিয়াম ও ইন্ডিয়ান অয়েল কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার বলে পুলিশ জানিয়েছে। ওই সিলিন্ডারগুলি মজুত সংক্রান্ত কোন নথিপত্র গোডাউন মালিক স্বরুপ অধিকারী দেখাতে না পারায় তঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি পুলিশ সিলিন্ডার গুলিও বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশের অনুমান শারদোৎসবের সময়ে কালোবাজারির উদ্দেশেই গোডাউনে বেআইনি ভাবে এত গ্যাস সিলিন্ডার মজুত করা হয়েছিল ।রবিবার ধৃতকে পেশ করা হবে বর্ধমান আদালতে। কীভাবে কাদের থেকে স্বরুপ অধিকারী এতগুলি গ্যাস সিলিন্ডার পেলেন সেই বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।সেইমতো সন্ধ্যাবেলায় গোপন সূত্রে খবর আসতেই মেমারি পুলিশ ও জেলা ইনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ যৌথ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।আর তাতেই আসে সাফল্য।আগামীকাল ধৃত স্বরুপ অধিকারীকে বর্ধমান আদালতে তোলা হবে।কিভাবে চলত কারবার? আরও কারা জড়িত এই চক্রের সন্ধানে তাদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
কলকাতা

Fire: কুণ্ডলী পাকিয়ে বেরোচ্ছে কালো ধোঁয়া, ফের বিধ্বংসী আগুন শহরে!

ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তারাতলায়। একটি গুদামে এই আগুন লাগে শনিবার সকালে। প্রাথমিকভাবে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। গোটা এলাকা ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। দাহ্য বস্তুর মজুতের কারণে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে আগুনের লেলিহান শিখা। ইতিমধ্যেই সাত থেকে আটটি গোডাউনে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আরও পড়ুনঃ ৯/১১-র ভয়াবহ স্মৃতির ২০ বছরতারাতলায় এফসিআই -এর যে গোডাউনে আগুন লেগেছে, সেখানে বন্দরের বিভিন্ন সামগ্রী মজুত রয়েছে। কী ভাবে এই আগুন লাগল তা এখনই স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। এলাকায় ঢোকার বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই গোডাউনে প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত, তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। যে এলাকায় এই আগুন লেগেছে, তার আশেপাশে কোনও বাড়ি নেই ঠিকই। তবে যেহেতু শতাধিক গোডাউন রয়েছে এই চত্বরে, স্বভাবতই বাড়ছে উদ্বেগ। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, আমাদের সিনিয়র অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। খবর সবই আসছে। আমরা আশা করছি সবরকম ব্যবস্থা নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনব। আমি যা জানতে পেরেছে ওখানে প্রায় ১০০টা গোডাউন রয়েছে, পাঁচটি গোডাউনে ছড়িয়েও গিয়েছে।তারাতলার ময়লা ডিপোতে পর পর ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া-এর বেশ কিছু গোডাউন রয়েছে। শনিবার সেখানেই আগুন লাগে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সাত থেকে আটটি গোডাউনে আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে সেটি। এই গোডাউনগুলির মধ্যে কোথাও কোথাও বৈদ্যুতিন সামগ্রীও মজুত রয়েছে। ফলে এই আগুন লাগার ফলে দাহ্য বস্তুগুলি জ্বলতে শুরু করে। ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নেয় এই আগুন।অগ্নিকাণ্ডের জেরে পাশ্ববর্তী তারাতলা রোডে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোটা এলাকা ঠেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। দমকল সূত্রে খবর, গুদামে দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। ফলে আগুন দ্রুত ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পাশাপাশি গুদামে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা আদৌ কাজ করেছিল কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal