• ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Football

খেলার দুনিয়া

‌ডার্বিতে ৫–৬ গোলের লজ্জায় পড়তে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে? কী বললেন সমরেশ চৌধুরি‌

আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। শনিবার আবার দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হয়নি দুই দলের কাছে। এটিকে মোহনবাগান আগের ম্যাচে আটকে গিয়েছিল ওডিশা এফসির কাছে। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। চলতি আইএসএলে ১৩ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটা ম্যাচে জয় পেয়েছে লালহলুদ। ৬টি হার, ৬টি ড্র। তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল জায়গায় এটিকে মোহনবাগান। ১০ ম্যাচে চারটিতে জয়, চারটি ড্র। হার দুটি ম্যাচে। ডার্বিতে লালহলুদের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না লালহলুদ জার্সি গায়ে একসময় দাপিয়ে খেলা সমরেশ চৌধুরি।এসসি ইস্টবেঙ্গলের নাম শুনলেই রীতিমতো রেগে আগুন লালহলুদের এই ঘরের ছেলে। সমরেশ চৌধুরি বলছিলেন, এই এসসি ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে আলোচনা করতেই আমার ঘেন্না লাগছে। এটা কোনও দল হল? গোলকিপার থেকে শুরু করে স্ট্রাইকার, একটাও ভাল ফুটবলার আছে। আমার তো মনে হয় লালহলুদ জার্সি গায়ে দেওয়ার কোনও যোগ্যতাই এদেন নেই। কোন ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা করব? কাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখবে সমর্থকরা?ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না সমরেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলের অনেক দল দেখেছি। এইরকম দুর্বল দল কখনও দেখিনি। দুর্বল দল নিয়েও অতীতে লালহলুদ ডার্বি জিতেছে। এবার জেতার কোনও সম্ভাবনাই দেখছি না। এমনকি ড্র করতে পারে, এমন আশাও নেই। আমার তো মনে হয় ৫৬ গোলের লজ্জায় না পড়তে হয়। আক্রমমভাগ থেকে শুরু করে রক্ষণ, সব পজিশনেই হতশ্রী অবস্থা। তাছাড়া এই দলে কজন ফুটবলার ডার্বির আবেগ বোঝে? ডার্বিতে এই এসসি ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আতঙ্কে আছি।এটিকে মোহনবাগানকে ডার্বিতে যে আটকানো কঠিন, মেনে নিয়েছেন সমরেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, ওডিশা এফসির কাছে এটিকে মোহনবাগান আটকে গেলেও ওরা ভাল ছন্দে রয়েছে। আক্রমণভাগে রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো ফুটবলাররা রয়েছে। এদের আটকানোর মতো ডিফেন্ডার লালহলুদে নেই। তাছাড়া প্রথম পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে উড়ে গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে সবুজমেরুণ শিবির।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আক্রমণভাগে দুই বিদেশি?‌ আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল

একটা জয়ই বদলে দিয়েছে লালহলুদ শিবিরকে। একটা সময় মাঠে নামার আগে কেমন যেন কুঁকড়ে থাকত। মারিও রিভেরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বদলে গেছে ছবিটা। এফসি গোয়াকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেছে। সেই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই সোমবার হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।লালহলুদ সমর্থকদের কাছে সুখবর, দীর্ঘদিন পর আক্রমণভাগে দেখতে পাবেন দুই বিদেশিকে। নির্বাসন কাটিয়ে হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে ফিরছেন আন্তোনীও পেরোসেভিচ। নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার মার্সেলো রিবেইরাও কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে কয়েকদিন আগে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। তিনিও খেলার মতো জায়গায় রয়েছেন। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দুই বিদেশি স্ট্রাইকারকেই খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে লালহলুদ কোচের। তবে দুই বিদেশি স্ট্রাইকারকে একসঙ্গে মাঠে নামাবেন কিনা তা এখনও চূড়ান্ত করেননি মারিও রিভেরা। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, নির্বাসন কাটিয়ে পেরোসেভিচ মাঠে ফিরছে। মার্সেলোও মাঠে নামার জন্য তৈরি। তবে ওকে শুরু থেকে মাঠে নামাব না পরের দিকে খেলাব, তা এখনও ঠিক করিনি। তবে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মার্সেলো খেলবে। ও ভাল ফিনিশার। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে ভাল উঠতে পারে। গোলটা ভাল চেনে।আগের ম্যাচে জয় ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বলে মনে দাবি করেন লালহলুদ কোচ। রিভেরার কথায়, জয় এলে যে কোনও দলের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। ভাল খেলার জন্য ফুটবলারদের তাগিদ বাড়ে। আগের ম্যাচে ছেলেরা দারুণ ডিফেন্স সামলেছে। এর থেকেই প্রমাণিত ফুটবলাররা মানসিকভাবে কতটা ভাল জায়গায় রয়েছে। এফসি গোয়া ম্যাচে লং পাসে না খেলে ছোট ছোট পাসে দ্রুত গতিতে আক্রমণ শানিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচেও একই স্ট্র্যাটেজিতে দলকে খেলাতে চান মারিও রিভেরা।হায়দরাবাদ এফসিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন লালহলুদ কোচ। বিপক্ষ দল সম্পর্কে রিভেরা বলেন, এবারের আইএসএলে অন্যতম সেরা দল হায়দরাবাদ এফসি। দলের মধ্যে দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। যেমন দ্রুতগতিতে আক্রমণে উঠে আসে, তেমনই আবার রক্ষণও সামলায়। এই রকম দলের বিরুদ্ধে লড়াই করা বেশ কঠিন। তবে আমার দলের ফুটবলাররাও তৈরি। আগে ম্যাচে জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন নওরেম মহেশ সিং। আক্রমণভাগে পেরোসেভিচ, মার্সেলো রিবেইরার সঙ্গে মহেশ সিংকে জুড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানুয়ারি ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌শোকস্তব্ধ ময়দান, ‘‌অপূরণীয় ক্ষতি ভারতীয় ফুটবলের’‌

মারা গেলেন ময়দানের প্রিয় ভোম্বলদা। শোকস্তব্ধ ময়দান। তাঁর সতীর্থ, ছাত্রদের স্মৃতিচারণে উঠে এল নানা কথা। সকলের মুখে একটাই কথা, ভারতীয় ফুটবলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।সুব্রত ভট্টাচার্যঃ সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে আমার প্রায়ই ফোনে কথা হত। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেও কথা হয়েছে। ভোম্বলদা যে আর নেই ভাবতেই পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে। অনেক বড় মাপের ফুটবলার ছিল। ১৯৭৫ সালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৫ গোল খাওয়ার পর ধীরেন দাকে বলে সুভাষ ভৌমিকদের ইস্টবেঙ্গল থেকে মোহনবাগানে নিয়ে এসেছিলাম। ১৯৭৬ বড় ম্যাচে আকবরের ১৭ সেকেন্ডের গোলে আমরা ডার্বি জিতেছিলাম। ওই ম্যাচের আগে ভোম্বলদা যেভাবে আমাদের উৎসাহিত করেছিল, জীবনে ভুলব না। একজন আসাধারণ ফুটবল ব্যক্তিত্ব চলে গেল। সত্যিই ভারতীয় ফুটবলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। শ্যাম থাপাঃ ভোম্বল যে এভাবে চলে যাবে, ভাবতেই পারছি না। কয়েকবছরের ব্যবধানে চুনী গোস্বামী, পিকে ব্যানার্জি মারা গেলেন। এবার সুভাষ ভৌমিক। ভারতীয় ফুটবলের একের পর এক দিকপাল চলে যাচ্ছেন। এটা সত্যিই ফুটবল জগতের কাছে বড় ক্ষতি। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ হবে জানি না। একসঙ্গে দীর্ঘদিন খেলেছি। কত মধুর স্মৃতি রয়েছে। আজ সব চোখের সামনে ভেসে উঠছে।সমরেশ চৌধুরিঃ ২৫ দিন আগেও কথা হয়েছিল। আমাদের সবাইকে ছেড়ে ভোম্বল যে এভাবে চলে যাবে, মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ৫৭ বছরের সম্পর্ক। ১৯৬৫ সালে বাংলা স্কুল দলে খেলার সময় থেকে পরিচয়। তারপর ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, বাংলা, ভারতীয় দলে একসঙ্গে কত ম্যাচ খেলেছি। কত ভাল স্মৃতি রয়েছে। সেইসব স্মৃতি কখনও ভোলার নয়। ভোম্বলের মতো বন্ধু পাওয়া সত্যিই কঠিন। গৌতম সরকারঃ শারিরীক ভাবে হয়তো সুভাষ ভৌমিক হয়তো আমাদের মধ্যে থাকবে না। কিন্তু ফুটবলপ্রমীদের হৃদয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে। ওর মতো ফুটবলার, কোচ ভারতীয় ফুটবলে খুব কমই এসেছে। আলভিটো ডিকুনহাঃ ইস্টবেঙ্গলে খেলার সময় থেকেই সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে আমার পরিচয়। উনি শুধু আমার কেচ ছিলেন না, আমার অভিভাবকও ছিলেন। বাবার মতো আমাকে আগলে রাখতেন। যখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম, আমাকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। আমি আজকে আবার পিতৃহারা হলাম। আমার ফুটবল জীবনে ওনার যা অবদান, কখনও ভোলার নয়। মেহতাব হোসেনঃ ২ দিন আগেও ভৌমিক স্যারের ছেলে রনিকে ফোন করেছিলাম। বলেছিল, বাবা মোটামুটি ঠিক আছে। শনিবার সকালে উঠে মৃত্যুর খবর পেলাম। সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। এভাবে চলে যাবেন, ভাবতে পারছি না। ভারতীয় ফুটবলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। রহিম নবিঃ আজ আমি যে রহিম নবি হয়ে উঠেছি, সুভাষ ভৌমিকের জন্যই। ওনার জন্যই আজ আমার ওএত নাম ডাক। আমার অলরাউন্ডার ফুটবলার হয়ে ওঠার পেছনে ভৌমিক স্যারের অবদান কখনও ভুলব না। বাঙালীর ফুটবলের একটা আবেগের নাম। সেই আবেগটাই শেষ হয়ে গেল।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ভারতীয় ফুটবলে ইন্দ্রপতন, চলে গেলেন সুভাষ ভৌমিক

ভারতীয় ফুটবলে ইন্দ্রপতন। মারা গেলেন প্রাক্তন ফুটবলার ও ময়দানের কিংবদন্তী কোচ সুভাষ ভৌমিক। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। শনিবার ভোরে কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আশিয়ানজয়ী ইস্টবেঙ্গলের এই কোচ। সুভাষ ভৌমিকের মৃত্যুতে ভারতীয় ক্রীড়াজগতে নেমে এসেছে শোকের ছাড়া। দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। সুগার ও কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হত। প্রতিদিন বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডায়ালিসিস করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তার ওপর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় সমস্যা আরও বেড়ে যায়। শারিরীক অবস্থা এমন অবনতি হয়েছিল যে কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আরও ভাল চিকিৎসার জন্য শুক্রবার নব মহাকরণে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দপ্তরে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে ঠিক হয়েছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে সুভাষ ভৌমিককে। কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও খতিতে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শনিবার ভোরে মারা যান তিনি।ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের জার্সি গায়ে কলকাতা ময়দানে একসময় দাপিয়ে খেলেছেন সকলের প্রিয় ভোম্বলদা। সবুজমেরুণের তুলনায় লালহলুদ জার্সিতেই বেশি সময় কাটিয়েছিলেন। রাজস্থান থেকে ১৯৬৯ সালে প্রথম লালহলুদ জার্সি গায়ে তুলে নিয়েছিলেন। পরের বছরই লালহলুদ জার্সি ছেড়ে যোগ দেন মোহনবাগানে। ৩ বছর মোহনবাগানে কাটিয়ে ১৯৭৩ সালে আবার ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসেন। ১৯৭৬ সালে আবার মোহনবাগানে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে লালহলুদে ফিরে আসেন। ইস্টবেঙ্গল থেকেই ফুটবলকে বিদায় জানান। ভারতীয় দলের হয়েও দীর্ঘদিন দাপিয়ে খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন, মারডেকা, পেস্তা সুকানের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। দেশের জার্সি গায়ে দুদুটি হ্যাটট্রিকও করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তার মধ্যে মারডেকা কাপে ফিলিপাইন্সের বিরুদ্ধে একটা। ওই ম্যাচে ৫১ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। ১৯৬৯ সালে বাংলার সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। দীর্ঘ ৬ বছর পর সেবার সন্তোষ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। বাংলার জার্সি গায়ে মোট ৪ বার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। ২ বার বাংলাকে নেতৃত্ব দিলেও রেলওয়েজের কাছে সেমিফাইনালে হারতে হয়েছিল। কোচ হিসেবেও দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তবে লালহলুদকেই বেশি সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০০ এবং ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের কোচ ছিলেন। ২০০২০৩ এবং ২০০৩০৪ মরশুমে তাঁর কোচিংয়েই জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ২০০৩ সালে লালহলুদকে আশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। ২০০৬ সালে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরের বছর সালগাঁওকারে যোগ দেন। ২০০৮০৯ মরশুমে আবার ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসেন। ২ মরশুম লালহলুদে কাটিয়ে মোহনবাগানের দায়িত্ব নেন। চার্চিল ব্রাদার্সের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তাঁর কোচিংয়েই ২০১২১৩ মরশুমে আই লিগ জেতে চার্চিল।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কাঙ্খিত জয় এসসি ইস্টবেঙ্গলের, জোড়া গোল করে নায়ক মহেশ সিং

মানেলো দিয়াজ পারেননি। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিংও ব্যর্থ। অবশেষে মারিও রিভেরার হাত ধরেই এবারের আইএসএলে কাঙ্খিত প্রথম জয় পেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ২১ গোলে হারাল এফসি গোয়াকে। ১১ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল লালহলুদ শিবির। জয়ের নায়ক নওরেম মহেশ সিং। জোড়া গোল করে তিনিই কাঙ্খিত জয় এনে দিলেন।মারিও রিভেরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন, ভারসাম্য বজায় রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চান। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দল সাজিয়েছিলেন। ৪৩৩ ছকে শুরু করেছিলেন রিভেরা। শুরু থেকেই এফসি গোয়ার ওপর চাপ তৈরি করছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। তার ফলও পায় হাতেনাতে।ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার দুই ফুটবলার নগুয়েরা ও এডু বেদিয়ার ভুল বোঝাবুঝিতে বল পেয়ে যান নওরেম মহেশ সিং। বল ধরে এগিয়ে গিয়ে ডান পায়ের হালকা পুশে তিনি জালে বল পাঠান। ২৪ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারত এফসি গোয়া। এডু বেদিয়ার কাছ থেকে বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে বাইরে মারেন রোমারিও।৩৭ মিনিটে সমতা ফেরায় এফসি গোয়া। মাঝমাঠ থেকে বল এগিয়ে গিয়ে বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত পাস বাড়ান জর্জ ওর্টিজ। সেই বল ধরে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে বল জালে পাঠান আলবার্তো নগুয়েরা। ৪২ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার আনোয়ার বল পাস করতে গিয়ে নওরেম মহেশ সিংয়ের পায়ে জমা দেন। তাঁর দুরন্ত শট বারে লেগে গোললাইনের ভেতরে পড়ে বেরিয়ে আসে।এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে রক্ষণকে দারুণ নেতৃত্ব দিলেন আদিল খান। লুজ বল ধরে উড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা ছিল না। আক্রমণ গড়ার দিকে নজর দিয়েছিলেন। তবে হীরা মণ্ডলের অভাব বারবার চোখে পড়ছিল। হীরা না থাকায় তাঁর জায়গায় অঙ্কিত মুখার্জিকে মাঠে নামিয়েছিলেন মারিও রিভেরা। অনভ্যস্ত জায়গায় প্রথমার্ধে নিজেকে সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি অঙ্কিত। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ছন্দে ফেরেন।সমতা ফেরানোর জন্য দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে এফসি গোয়া। কিন্তু লালহলুদ রক্ষণে আদিল খান ও ফ্রাঞ্জো পর্চে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠায় ওর্টিজ, নেগুয়েরোরা গোলের তিনকাঠি খুঁজে পাননি। তিনকাঠির নিচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন অরিন্দম ভট্টাচার্যও। দক্ষতার শীর্ষে উঠে বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল বাঁচান। না হলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া কঠিন হয়ে পড়ত এসসি ইস্টবেঙ্গলের

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আইএসএলে ইতিহাস গড়তে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কীভাবে দেখে নিন

১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে জয়ের মুখ দেখেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। অতিবড় লালহলুদ সমর্থকও নিশ্চিতভাবে প্লে অফের আশা করছেন না। এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররাও হয়তো আশা ছেড়ে দিয়েছেন। এখন মোটিভেশন বলতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। সেই লক্ষ্যেই আপাতত এগিয়ে চলা। মঙ্গলবার সামনে শক্তিশালী জামশেদপুর এফসি। বিদেশি ছাড়াই জামশেদপুরের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। বিদেশি ছাড়াই খেললে আইএসএলে ইতিহাস তৈরি হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও দল এই সাহস দেখাতে পারেনি।আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনন্য কৃতিত্ব ট্রেন্ট বোল্টেরজামশেদপুরের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে লালহলুদ শিবিরকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে আগের ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরমেন্স। রেনেডি সিং অন্তর্বর্তীকালীন কোচের পদে বসার পর আমূল বদলে গেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। আগের তুলনায় অনেকবেশি সঙ্ঘবদ্ধ। মাত্র একজন বিদেশি নিয়ে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে লালহলুদ ব্রিগেডের দুর্দান্ত লড়াই মন জয় করে নিয়েছে বিশেষজ্ঞদের। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এটাই ভরসা জোগাচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রেনেডি সিংকে। স্বদেশি ব্রিগেডের পারফরমেন্সে তিনি মুগ্ধ।আরও পড়ুনঃ সুপারস্প্রেডারের ভয়ে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতে আদালতে আর্জি ডক্টর্স ফোরামেরজামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধেও রেনেডি সিংয়ের ভরসা সেই স্বদেশি ব্রিগেড। মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচের পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ড্যানিয়েল চিমাকে। আন্তোনীয় পেরোসেভিচ নির্বাসনের কবলে। টমিস্লাভ মার্সেলো ও ফ্রাঞ্জো পিরেজের চোট এখনও সারেননি। আগের ম্যাচে নতুন করে চোটের কবলে পড়ছেন জয়নার লরেন্সো। ফলে হাতে একমাত্র বিদেশি আমির ডার্বিসেভিচ। যার থেকে স্বদেশি ফুটবলারদের ওপরই ভরসা বেশি রেনেডি সিংয়ের।আরও পড়ুনঃ লোড হচ্ছে.... কি বোঝাতে চাইলেন পরীমনি? মা হচ্ছেন?এই অবস্থায় নিজেদের মেলে ধরার জন্য আরও একটা সুযোগ পাচ্ছেন সৌরভ দাস, অঙ্কিত মুখার্জি, হীরা মণ্ডলরা। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচও ভরসা করছেন স্বদেশি ব্রিগেডের ওপর। রেনেডি বলেন, যারা এতদিন সুযোগ পায়নি তাদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার ভাল সুযোগ। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে বিদেশি ছাড়াই শুরু থেকে দল মাঠে নামবে। ফুটবলাররা যে দারুণ লড়াই করবে, সে বিষয়ে আমি আশাবাদী। তবে জিততে গেলে সব বিভাগকে একসঙ্গে জ্বলে উঠতে হবে। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও রক্ষণের ব্যর্থতায় জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। রেনেডি সিংয়ের কোচিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লালহলুদ শিবির। সেটাই আশাবাদী করে তুলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল সদস্যসমর্থকদের।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : সীমাবদ্ধতা নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই এসসি ইস্টবেঙ্গলের

যদি একজন ভাল মানের স্ট্রাইকার থাকতেন। কিংবা আন্তোনীয় পেরোসেভিচকে নির্বাসনের যদি নির্বাসনের কবলে পড়তে না হত। নিশ্চিতভাবেই মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ত এসসি ইস্টবেঙ্গল। সীমাবদ্ধতা নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই রেনেডি সিংয়ের দলের। গতবারের চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসিকে আটকে দিল লালহলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের ফল গোলশূন্য।আরও পড়ুনঃ ম্যাকহিউ, বোমাস কেন চিন্তা বাড়িয়েছে জুয়ান ফেরান্দোর?মানোলো দিয়াজ চলে যাওয়ার পর ফুটবলারদের শরীরী ভাষাই বদলে গেছে। নিজেদের দক্ষতার শীর্ষে উঠে লড়াই আদিল, হাওকিপ, অঙ্কিত মুখার্জিদের। গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে এদিন এক বিদেশিকে প্রথম একাদশে রেখে দল সাজিয়েছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রেনেডি সিং। ইগর অ্যাঙ্গুলো, মোর্তাদা ফল, আহমেদ জাহুদের বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই করলেন হাওকিপ, আদিল খান, হীরা মণ্ডলরা।আরও পড়ুনঃ অড-ইভেন পদ্ধতিতে বর্ধমান শহরের বাজার বন্ধ থাকবে, ঘোষনা মাইক্রো কনটেইনমেন্টজোন জোনেরএদিন ম্যাচের শুরু থেকেই এসসি ইস্টবেঙ্গল প্রেসিং ফুটবলের ওপর জোর দিয়েছিল। প্রতিটা বলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছিলেন হাওকিপ, আদিল খান, সৌরভ দাসরা। শুরুর দিকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের আধিপত্য বেশি ছিল। তার মাঝেই ৯ মিনিটে ডানদিক থেকে ভেসে আসা বল ইগর অ্যাঙ্গুলোর হেড সরাসরি অরিন্দম ভট্টাচার্যর হাতে চলে যায়। পরের মিনিটেই হীরা মণ্ডলের থ্রো চিমার ব্যাকহেড গোলে ঢোকার মুখে বাঁচান মুম্বই সিটি এফসি গোলকিপার। ১৩ মিনিটে আবার সেই হীরা মণ্ডলের থ্রো ইন বক্সে জটলার মধ্যে সুবিধা জায়গায় পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন চিমা। ১৯ মিনিটে চোটের জন্য বেরিয়ে যেতে হয় জয়নার লরেন্সোকে। তাঁর পরিবর্তে নামেন অঙ্কিত মুখার্জি। রক্ষণকে দারুণ নির্ভরতা দিলেন অঙ্কিত। প্রথমার্ধে ইগর অ্যাঙ্গুলোদের বিন্দুমাত্র জ্বলে উঠতে দেননি।আরও পড়ুনঃ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আজই ভার্চুয়াল বৈঠকে করতে পারেন মোদিদ্বিতীয়ার্ধেও ছবিটা বদলায়নি। শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে সমানে সমানে লড়ে গেলেন হাওকিপরা। ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠকে দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিলেন সৌরভ দাস। ম্যাচের সেরাও তিনি। বিদেশিদের ভিড়ে একজন বাঙালী ফুটবলার ম্যাচের সেরা হচ্ছেন, এটাই এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে বড় প্রাপ্তি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ড্যানিয়েল চিমা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে এবারের আইএসএলে প্রথম জয় তুলে ননিতে পারত লালহলুদ শিবির।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : ‌মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কেন রেনেডির ভরসা স্বদেশি ব্রিগেড?‌

ভাল খেলেও জয় অধরা। এসসি ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে এই কথাটা বলা যেতেই পারে। হায়দরাবাদ এফসি ও বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে আগের দুটি ম্যাচে তুলনামূলকভাবে ভাল ফুটবল উপহার দিয়েছিল। তবুও জয় আসেনি। শুক্রবার সামনে আইএসএলের অন্যতম সেরা দল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি। তাদের বিরুদ্ধে মরশুমের প্রথম জয় কি তুলে নিতে পারবে এসসি ইস্টবেঙ্গল? লালহলুদের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিংকে আত্মবিশ্বাসী মনে হলেও কাজটা যথেষ্ট কঠিন।আরও পড়ুনঃ রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ কমিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রাচোটআঘাত, নির্বাসন সমস্যায় এই মুহূর্তে জর্জরিত লালহলুদ শিবির। নির্বাসিত থাকায় মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধেও আন্তোনীয় পেরোসেভিচকে পাবেন না রেনেডি। আগের ম্যাচে দুই বিদেশিকে নিয়ে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন। চোটের জন্য টমিস্লাভ মার্সেলোকে পরের দিকে বেরিয়ে যেতে হয়। মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে তাঁকেও পাবেন না। হাতে রইল এক বিদেশি ড্যানিয়েল চিমা। অর্থাৎ শক্তিশালী মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এক বিদেশি নিয়ে মাঠে নামতে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। স্বদেশি ব্রিগেডের ওপরই ভরসা করতে হবে রেনেডি সিংকে।আরও পড়ুনঃ সুরাতে গ্যাস লিক করে মর্মান্তিক মৃত্যু ৬ কারখানা শ্রমিকেরআগের দুটি ম্যাচের পারফরমেন্স আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে লালহলুদ কোচকে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে রেনেডি সিং বলেন, আগের ম্যাচে গোটা দল যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। তবে আমাদের আরও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। মুম্বই সিটি এফসিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিলেও লড়াই করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রেনেডি। তিনি বলেন, মুম্বইয়ের আক্রমণভাগ এই আইএসএলে অন্যতম সেরা। গত কয়েকটা মরশুম ধরে দুর্দান্ত খেলছে। এই ম্যাচে ওদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে হবে। আমরা যদি দল হিসেবে খেলতে পারি, তাহলে মুম্বই সমস্যায় পড়বে। আশা করছি ভাল ম্যাচ হবে। দুএকজন ছাড়া বিদেশি ফুটবলারকে এই ম্যাচে পাব না। স্বদেশি ফুটবলারদের ওপরই ভরসা করছি। তবে একটা কথা মানতেই হবে, দুএকজন বিদেশি নিয়ে বিপক্ষ দলের চার সেরা বিদেশি খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন।আরও পড়ুনঃ রক্ষণ সামলাতে পুরনো ডিফেন্ডারকে ফেরাল এটিকে মোহনবাগানমুম্বই সিটি এফসিতে রয়েছেন ইগর অ্যাঙ্গুলো, মোর্তাদা ফল, জাহুর মতো বিদেশি। স্বদেশি ফুটবলাররাও যথেষ্ট ভাল। বিপক্ষ ফুটবলারদের নিয়ে বেশি না ভেবে নিজেদের খেলার ওপর বেশি ফোকাস করছে লালহলুদ শিবির। কোচ রেনেডি সিংয়ের বিশ্বাস, তাঁর দলের ফুটবলাররা নিজেদের খেলা খেলতে পারলে মুম্বইয়ের কাজ কঠিন হয়ে যাবে।

জানুয়ারি ০৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : বেঙ্গালুরু–র বিরুদ্ধে প্রথম জয় পাবে এসসি ইস্টবেঙ্গল?‌ কী বললেন অন্তর্বতীকালীন কোচ রেনেডি সিং

৮ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে। আইএসএলে এখনও জয় অধরা এসসি ইস্টবেঙ্গলের। ৪টি জয়, ৪টি ড্র। ৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে সবার শেষে অবস্থান লালহলুদ শিবিরের। এর মধ্যে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। একম্যাচ আগে রেফারিকে ধাক্কা মেরে নির্বাসনের কবলে দলের সেরা ফুটবলার আন্তোনীও পেরোসেভিচ। কর্তাদের চাপে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন হেড কোচ মানোলো দিয়াজ। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে আপাতত দায়িত্বে রেনেডি সিং। নতুন কোচের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরে আলোর দিশা খুঁজতে চাইছে লালহলুদ শিবির। মঙ্গলবার এসসি ইস্টবেঙ্গলের সামনে বেঙ্গালুরু এফসি।মানোলো দিয়াজের পরিবর্তে নতুন কোচ ইতিমধ্যেই নিয়োগ করেছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। নতুন কোচ মারিও রিভেরার কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে দলের দায়িত্ব নিতে আরও কয়েকটা ম্যাচ কেটে যাবে। অন্তরবর্তীকালীন কোচ হিসেবে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে অগ্নিপরীক্ষায় নামছেন রেনেডি সিং। দলকে প্রথম জয় এনে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ। লালহলুদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচকে আশায় রাখছে আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দলের ছন্দে ফেরা। জয় না এলেও আগের ম্যাচে যথেষ্ট ভাল ফুটবল উপহার দিয়েছিল লালহলুদ ব্রিগেড। বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে সেই ছন্দটাই ধরে রাখতে চান রেনেডি সিং।আরও পড়ুনঃ কোহলির না থাকার ধাক্কা সামলাতে ব্যর্থ ভারত, দ্বিতীয় টেস্টে কেন ব্যাটিং বিপর্যয়?তবে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে কাজটা যে বেশ কঠিন সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ। ম্যাচটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেও দেখছেন। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, সামনে কঠিন কাজ। এসসি ইস্টবেঙ্গল এই মুহূর্তে যে জায়গায় রয়েছে, সেখানে কেউই থাকতে চায় না। আমাদেরও ভাল কিছু করার ক্ষমতা আছে। আমি এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছি। যদি ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারি, তাহলে ভাল কিছু করা সম্ভব।খেলোয়াড় জীবনেও অনেকবার খারাপ সময়ের মধ্যে পড়েছেন। ঘুরেও দাঁড়িয়েছেন। সেই কথাই উঠে এসেছে রেনেডি সিংয়ের কথায়। তিনি বলেন, ১৯ বছরের ফুটবল জীবনে অনেক ওঠা পড়া দেখেছি। একজন খেলোয়াড়ের পক্ষে এইরকম হওয়াটা স্বাভাবিক। দলের সাপোর্ট স্টাফ, সদস্যরা খারাপ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে গেলে চলবে না। ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। দল হিসেবে পরিশ্রম করলে আশা করছি আমরা ভাল ফল করব। গত মরশুমেও আমাদের এ রকম হয়েছিল। এখন কোচদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমি তো বললামই এটা কঠিন চ্যালেঞ্জ এবং এই চ্যালেঞ্জটা আমি পছন্দ করি। শেষ পর্যন্ত লড়ব। তবে চ্যালেঞ্জ জিততে গেলে পুরো দলকেই একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আশা করি ছেলেরা তৈরি আছে।আরও পড়ুনঃ রনজি ট্রফি স্থগিত করবে বোর্ড? বাংলা শিবিরে করোনা হানায় আশঙ্কার মেঘনির্বাসনের কারনে আন্তোনীও পেরোসেভিচকে এই ম্যাচেও পাবে না এসসি ইস্টবেঙ্গল। জ্যাকিচাঁদ সিং, ফ্রাঞ্জো পিরেস, ড্যারেন এখনও পুরোপুরি চোটমুক্ত নন। অর্থাৎ তিন বিদেশিকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। রাজু গায়কোয়াড়ের জায়গায় প্রথম একাদশে খেলানো হতে পারে আদিল খানকে। এছাড়া আরও কয়েকটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

জানুয়ারি ০৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

Bright Enobakhare: কলকাতায় ফিরছেন ব্রাইট এনবাখারে? কোন ক্লাবে জানতে পড়ুন

আবার আইএসএলে খেলতে দেখা যাবে ব্রাইট এনবাখারেকে? তেমন সম্ভাবনা প্রবল হয়ে দেখা দিয়েছে। তবে পুরনো ক্লাব এসসি ইস্টবেঙ্গলে নয়, লালহলুদের চিরশত্রু এটিকে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে খেলতে দেখা যেতে পারে ব্রাইট এনবাখারেকে। একই সঙ্গে সন্দেশ ঝিংঘানেরও এটিকে মোহনবাগানে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে।অনেক প্রত্যাশা নিয়ে ফিনল্যান্ডের জনি কাউকোকে দলে নিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু তাঁর সম্পর্কে মোহভঙ্গ হয়েছে সবুজমেরুন কর্তাদের। দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডোতে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে ব্রাইট এনবাখারেকে দলে নিতে চায় এটিকে মোহনবাগান। এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের ক্লাব কোভেন্ট্রি সিটিতে খেলছেন ব্রাইট। উলভারহ্যাম্পটনের প্রাক্তন ফরওয়ার্ডকে পাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল, চেন্নাইয়ান এফসি এবং এফসি গোয়াও। এই তিন দলকে পেছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান।ব্রাইটের প্রতি আগেও নজর ছিল এটিকে মোহনবাগানের। গত মরসুমেও পাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে ছিল এটিকে মোহনবাগান। পরফরম্যান্স ভাল হলে চুক্তি বাড়িয়ে ২০২৪ পর্যন্ত করা হবে বলে নাইজেরীয় ফরওয়ার্ডের এজেন্টকে জানিয়েছেন সবুজমেরুন কর্তারা।এসসি ইস্টবেঙ্গলের হাত ধরে ভারতীয় ফুটবলে পা রেখেছিলেন ব্রাইট। তাঁর সঙ্গে ২ বছরের চুক্তি ছিল লালহলুদের। সঙ্গে দুবছরের চুক্তি ছিল তাঁর। এই মরসুমে ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলবে কিনা, ঠিক ছিল না। তাই লালহলুদের কাছ থেকে রিলিজ নিয়ে কোভেন্ট্রি সিটিতে যোগ দেন ব্রাইট। কিন্তু সেখানে খেলার সুযোগ না পেয়ে রিলিজ নিয়ে নেন।এদিকে চলতি বছরের আগস্টে এটিকে মোহনবাগান ছেড়ে ক্রোয়েশিয়ার এইচএনকে সিবেনিকে যোগ দিয়েছিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। চোটের জন্য মাঠে নামার সুযোগ পাননি। চোট সারাতে তিনি দেশে ফিরে এসেছেন। তাঁকে ফেরানোর জন্য বাগান কর্তারা প্রস্তাব দিয়েছেন। সবুজমেরুন কর্তাদের প্রস্তাব ভাবাচ্ছে সন্দেশকে।

জানুয়ারি ০২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

I‌ League : জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে করোনায় আক্রান্ত ফুটবলাররা, আপাতত স্থগিত হয়ে গেল আই লিগ

করোনার জন্য মাঝপথে প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। চলতি বছরেই মে মাসে কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল আইপিএল। এবার করোনার হানা আই লিগে। বেশ কয়েকজন ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হতেই স্থগিত করে দেওয়া হল আই লিগ। ২৬ ডিসেম্বর থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে আই লিগ। নিয়মিত ফুটবলারদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবারও ফুটবলার এবং সাপোর্ট স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে ১৫ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছে রিয়াল কাশ্মীর দলে। তাদের ৫ জন ফুটবলার ও ৩জন সাপোর্ট স্টাফের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মহমেডান ও শ্রীনিধি ডেকান এফসির একজন করে ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত। ফুটবলারদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই নড়েচড়ে বসেন ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা। বুধবার সকালে আইলিগে অংশগ্রহনকারী ক্লাবের ম্যানেজারদের নিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ভিডিও কলে বৈঠক করেন ফেডারেশন কর্তারা। তখনই আভাস দেওয়া হয় স্থগিত হতে পারে আই লিগ। এদিন বিকেলে আই লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত দত্তের নেতৃত্বে নিজেদের মধ্যে জরুরি বৈঠক করেন ফেডারেশন কর্তারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৩০ ও ৩১ জানুয়ারির সব ম্যাচ স্থগিত রাখা হবে। ১ এবং ৩ জানুয়ারি সব ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফদের করোনা পরীক্ষা করা হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ৪ জানুয়ারি নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন ফেডারেশন কর্তারা। তারপর সিদ্ধান্ত হবে আবার কবে আই লিগ। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থেকেও কীভাবে রিয়েল কাশ্মীরের ফুটবলাররা করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ২৫ ডিসেম্বর জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে হোটেলে শ্রীনিধি ডেকান, রিয়েল কাশ্মীর ও রাজস্থান এফসির ফুটবলাররা উৎসবে মেতে উঠেছিলেন। এর ফলে ৭টা দলের ফুটবলার ও সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL Fixture : ‌আইএলএলের দ্বিতীয় পর্বে ডার্বি কবে?‌ দেখে নিন এটিকে মোহনবাগান, এসসি ইস্টবেঙ্গলের সূচি

৩০ ডিসেম্বর আইএসএলের প্রথম পর্ব শেষ হবে। তারপর মাঝে দিন দশেকের বিশ্রাম। বিশ্রামের পর আবার ২০২২এর ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে আইএসএলের দ্বিতীয় পর্ব। ফিরতি লেগে এটিকে মোহনবাগান ও এসসি ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হবে ২৯ জানুয়ারি। মঙ্গলবার আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ১০ জানুয়ারি থেকে হবে বাকি ১১ রাউন্ডের খেলা। চলবে ৫৫ দিন ধরে। আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে একদিনে দুটি ম্যাচ নেই। প্রতিদিনই একটা করে খেলা। সব ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যে ৭.৩০ মিনিট থেকে।আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বে এটিকে মোহনবাগান প্রথম মাঠে নামবে ১৫ জানুয়ারি বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে। পরের ম্যাচ ২০ জানুয়ারি কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। আর ২৯ জানুয়ারি এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচ। এটিকে মোহনবাগানের বাকি ম্যাচ: ৩ ফেব্রুয়ারি মুম্বই সিটি এফসি, ৮ ফেব্রুয়ারি হায়দরাবাদ এফসি, ১৩ ফেব্রুয়ারি ওডিশা এফসি, ১৬ ফেব্রুয়ারি জামশেদপুর এফসি, ২১ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইন এফসি, ২৫ ফেব্রুয়ারি এফসি গোয়া এবং ৪ মার্চ নর্থইস্ট ইউনাইটেড। অন্যদিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয় পর্বে প্রথম মাঠে নামবে ১১ জানুয়ারি, জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে। পরের ম্যাচ ১৯ জানুয়ারি এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। ২৪ জানুয়ারি মাঠে নামবে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে। ২৯ জানুয়ারি ডার্বি। বাকি ম্যাচ ২ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে, ৭ ফেব্রুয়ারি সামনে ওডিশা এফসি, ১২ ফেব্রুয়ারি মুম্বই সিটি এফসি, ১৮ ফেব্রুয়ারি নর্থইস্ট ইউননাইটেড, ২৩ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরু এফসি এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় পর্বের গ্রুপ লিগের সব ম্যাচের সূচি ঘোষিত হলেও প্লে অফ এবং ফাইনালে দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

ডিসেম্বর ২১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : প্রথম জয়ের খোঁজে কেন বিদেশিদের দিকে তাকিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মানেলো দিয়াজ?‌

এসসি ইস্টবেঙ্গল মাঠে নামার আগে সমর্থকরা কি আশা করেন দল জয় পাবে? নিশ্চিতভাবেই না। দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখাই ছেড়ে দিয়েছেন লালহলুদ সমর্থকরা। কেনই বা দেখবেন? এইরকম জঘন্য ফুটবল গতবছর আইএসএলেও খেলেননি এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। রক্ষণের এইরকম করুণ অবস্থাও দেখা যায়নি। এবছর তো গোল করেও ধরে রাখতে না পারাটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে। শুক্রবার এসসি ইস্টবেঙ্গল এমন একটা দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে, সেই নর্থইস্ট ইউনাইটেডের অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়। ৪ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলে ঠিক ওপরে রয়েছে লালহলুদের। এইরকম দলের বিরুদ্ধে এবারের আইএসএলে প্রথম জয়ের সুযোগ মানেলো দিয়াজের দলের সামনে। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দলকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেই পারেন সমর্থকরা। তার অন্যতম কারণ মানেলো দিয়াজের দলের ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরা। দুএকটা ভুল ছাড়া আগের ম্যাচে তুলনামূলকভাবে ভাল খেলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তাছাড়া চোটআঘাত থেকেও ফুটবলাররা বেরিয়ে আসছেন। জ্যাকিচাঁদ সিং খেলার মতো জায়গায় চলে এসেছেন। মহম্মদ রফিকও অনেকটাই ফিট। গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যও মাঠে নামার জায়গায় চলে এসেছেন। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে তাঁকে খেলাতে পারেন কোচ মানেলো দিয়াজ। ড্যারেন সিডোয়েল অবশ্য এখনও পুরো ফিট নন। তিনি এখনও খেলার মতো জায়গায় আসেননি। দল যে এখনও পুরোপুরি তৈরি নয়, স্বীকার করে নিয়েছেন লালহলুদ কোচ মানেলো দিয়াজ। নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, শেষ মুহূর্তে দল গঠন করা হয়েছিল। অনেক দেরিতে আমরা প্রাকমরশুম প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। দলকে পুরোপুরি তৈরি করতে পারিনি। তাই সমস্যা হচ্ছে। আমাদের যথেষ্ট কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে খেলতে হচ্ছে। প্রতিটা ম্যাচই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জিং। দলের বিদেশি ফুটবলারদের পারফরমেন্সে একেবারেই সন্তুষ্ট নন মানেলো দিয়াজ। তিনি বলেন, আমার দল এখনও পর্যন্ত ৯টা গোল করেছে। তারমধ্যে বিদেশিরাই করেছে ৮টি। তবুও ওদের খেলায় আমি খুশি নই। ওদের কাছ থেকে আরও ভাল পারফরমেন্স আশা করছি। আশা করছি নর্থইস্টের বিরুদ্ধে দায়িত্ব নিয়ে দলকে জেতাবে।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL : ‌কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ভাল খেলেও জয় অধরা থেকে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গলের

৬ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। এবারের আইএসএলে এখনও জয় পেল না এসসি ইস্টবেঙ্গল। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে এগিয়ে গিয়েও আটকে গেল লালহলুদ শিবির। ম্যাচের ফল ১১। অন্যদিনের তুলনায় এদিন ভাল খেলেও আটকে যেতে হল মানোলো দিয়াজের দলকে।লিগ টেবিলে কেরালা ব্লাস্টার্সও খুব একটা ভাল জায়গায় নেই। জয়ের জন্য তারাও যথেষ্ট মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছিল। শুরু থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কেরালা ব্লাস্টার্সের ফুটবলাররা। আলভারো ভাজকোয়েজ, আদ্রিয়ান লুনারা একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিল। কিন্তু টমিস্লাভ মার্সেলা, রাজু গায়কোয়াড়রা সজাগ থাকায় সুবিধা করতে পারেননি কেরালা ব্লাস্টার্সের ফুটবলাররা। এসসি ইস্টবেঙ্গলও মাঝেমাঝে প্রতি আক্রমণে উঠে আসছিল। এর মাঝেই ১৫ মিনিটে লালহলুদের জালে বল পাঠান কেরালা ব্লাস্টার্সের আলভারো ভাজকোয়েজ। কিন্তু ভাজকোয়েজের কাছে বল যাওয়ার আগে হ্যান্ডবল হয় অমরজিৎ কিয়ামের। রেফারি গোল বাতিল করে ফ্রিকিকের নির্দেশ দেন।এরপরই আস্তে আস্তে খেলাটা ধরে নেয় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ২০ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত লালহলুদ। পেরোসেভিচের বাঁপায়ের দুরন্ত শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৩৭ মিনিটে এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ডান দিক থেকে রাজু গায়কোয়াড়ের লম্বা থ্রো হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন টমিস্লাভ মার্সেলা। ৪৪ মিনিটে সমতা ফেরায় কেরালা ব্লাস্টার্স। রাজু গায়কোয়াড়ের মিস পাস থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি বক্সের বাইরে ডানদিকে বল পেয়ে ডানপায়ে শট নেন আদ্রিয়ান লুনা। তাঁর শট টমিস্লাভ মার্সেলার মাথায় লেগে বল জালে জড়িয়ে যায়।অন্যান্য দিনের তুলনায় কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ অনেকটাই সংগঠিত ছিল। আলভারো ভাজকোয়েজ, আদ্রিয়ান লুনাদের সেভাবে সুযোগ দেননি রাজু গায়কোয়াড়, টমিস্লাভ মার্সেলারা। একবার ছাড়া বাকি ম্যাচে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন রাজু। দ্বিতীয়ার্ধে লালহলুদ ডিফেন্ডারদের জন্য গোলের সুযোগ পায়নি কেরালা। অধিকাংশ সময়ই মাঝমাঠে খেলা ঘোরাফেরা করছিল। ড্যানিয়েল চিমা এদিন একেবারে নিঃস্প্রভ ছিলেন। ৬৮ মিনিটে তাঁকে তুলে নিয়ে আমির ডার্বিসেভিচকে মাঠে নামান এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মানোলো দিয়াজ। একই সঙ্গে মাঠে নিয়ে আসেন বিকাশ জাইরু ও লুয়াংকে। ৮১ মিনিটে প্রতি আক্রমণে উঠে এসে দারুণ শট নিয়ে ছিলেন পেরিসেভিচ। কেরালা ব্লাস্টার্স গোলকিপার দুর্দান্ত সেভ করে দলের নিশ্চিত পতন রোধ করেন। ৮৯ মিনিটে আবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন পেরিসেভিচ। তাঁর পা থেকে আবার নিশ্চিত গোল বাঁচান কোরালা ব্লাস্টার্স গোলকিপার। শেষদিকে চাপ রাখলেও জয়ের গোল তুলতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল

ডিসেম্বর ১২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Vietnam : ‌ম্যাচের আগে স্তব্ধ জাতীয় সঙ্গীত!‌ আতঙ্ক কপিরাইট লঙ্ঘনের

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মুখ নড়ছে ফুটবলারদের। অথচ কোনও শব্দ নেই। এমন অভিনব কান্ড ঘটেছে একটা ইউ টিউব চ্যানেলে। কপিরাইট লঙ্ঘনের ভয়ে এমন কান্ডটাই ঘটিয়েছে ওই ইউ টিউব চ্যানেল। ২০২০ সালের এএফএফ সুজুকি কাপে ভিয়েতনাম ও লাওয়ের ম্যাচ সোমবার সন্ধেয় সম্প্রচার করছিল ইউ টিউব চ্যানেল নেক্সট স্পোর্টস। ভিয়েতনামের পতাকা অভিবাদনের সময় যখন জাতীয় সঙ্গীতের রেকর্ড বাজানো হচ্ছিল, তখন ওই ইউ টিউব চ্যাননেল কপিরাইট লঙ্ঘনের ভয়ে ভিয়েতনামের অনুষ্ঠানের শব্দ সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। শব্দ বন্ধ করার সময় ভিয়েতনামি ভাষায় একটি ব্যাখ্যামূলক বার্তা নেক্সট স্পোর্টস চ্যানেলের স্ক্রিনে দেখানো হয়েছিল। সেই বার্তায় লেখা ছিল, জাতীয় সঙ্গীতের কপিরাইটের কারণে আমরা পতাকা অভিবাদন অনুষ্ঠানে শব্দ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছি। অনুষ্ঠান শেষ হলে আবার আওয়াজ শোনা যাবে। আশা করছি দর্শকদের বিষয়টা বুঝতে অসুবিধা হবে না। ম্যাচের পরে ভিয়েতনামের ফুটবল দলের সদস্যদের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার অসংখ্য স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল। সঙ্গে নানারকম বার্তও পোস্ট করা হয়েছিল। যাতে শব্দহীন অনুষ্ঠানের জন্য বিষ্ময় প্রকাশ করা হয়েছিল। অসংখ্য মানুষ এই ঘটনার জন্য হ্যানয়ের বিহাকো কমিউনিকেশন ট্রেডিং অ্যান্ড সার্ভিস কর্পোরেশন (বিএইচ মিডিয়া কর্পোরেশন)কে ঘটনার জন্য দায়ী করেছে। কারণ এই কোম্পানিটি একসময় ভিয়েতনামের জাতীয় সঙ্গীতের সুরকার প্রয়াত ভ্যান কাওয়ের তিয়েন কোয়ান কার রেকর্ডের কপিরাইট দাবি করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল। তবে বিএইচ মিডিয়া কর্পোরেশন, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, জাতীয় সঙ্গীত বাজার সময় তা নিঃশব্দ করার প্রয়োজন নেই। বিএইচ মিডিয়া কর্পোরেশনের অনুমান, নেক্সট স্পোর্টস হয়তো আশঙ্কা করেছিল যে, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন সম্প্রচারের ফলে কপিরাইট লঙ্ঘন হতে পারে। যা তাদের ইউ টিউব সম্প্রচার থেকে রাজস্ব ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই রকম একটি ঘটনা আগে স্থানীয় ডিজিটাল টিভি এফপিটি প্লের ক্ষেত্রে হয়েছিল। ১৬ নভেম্বর ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত ভিয়েতনামসৌদি আরব ম্যাচ চলাকালীন এফপিটি প্লে তাদের ইউ টিউব চ্যানেলে তিয়েন কোয়ান কা সম্প্রচার করে রাজস্ব হারিয়েছিল। কারণ যে জাতীয় সঙ্গীত ব্যবহার করা হয়েছিল, তার কপিরাইট বিদেশী সংস্থা মার্কো পোলো রেকর্ডসের। মার্কো পোলোর অনুমতি ছাড়া কেউ ওই সংস্করণ ব্যবহার করতে পারবে না। ১৯৪৪ সালে তিয়েন কোয়ান কা প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী ভ্যান কাও দ্বারা রচিত হয়েছিল। ১৯৭৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ভিয়েতনামের সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

ডিসেম্বর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ATK Mohun Bagan : আবার ড্র!‌ হারের হ্যাটট্রিক বাঁচাল হাবাসের এটিকে মোহনবাগান

এবারের আইএসএলে ভাল শুরু করেও ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। পরপর দুটি ম্যাচে জয়ের পর দুম্যাচে হার। পঞ্চম ম্যাচেও জয়ে ফিরল না সবুজমেরুণ শিবির। চেন্নাইন এফসির কাছেও আটকে গেল। বলা যেতে পারে হারের হ্যাটট্রিক বাঁচাল আন্তেনীয় লোপেজ হাবাসের দল। যদিও চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই এটিকে মোহনবাগান ফুটবলারদের শরীরীভাষা যথেষ্ট ইতিবাচক মনে হচ্ছিল। রক্ষণ শক্তিশালী করতে চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে তিরিকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ আন্তেনীয় লোপেজ হাবাস। তিরি আসায় রক্ষণ অনেক সংগঠিত হয়। তাঁর পাশে প্রীতম কোটালও ছিল স্বপ্রতিভ।১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। মাঝমাঠ থেকে দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত ডিফেন্স চেরা থ্রু বাড়ান রয় কৃষ্ণা। বাঁদিক দিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে চলতি বলেই ডান পায়ের দুরন্ত শটে দলকে এগিয়ে দেন লিস্টন কোলাসো। পিছিয়ে পড়ে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়ে হয়ে ওঠে চেন্নাইন এফসি। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসে। ২১ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল চেন্নাইন এফসি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। অনিরুদ্ধ থাপার শট এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অমরিন্দার সিং আংশিক প্রতিহত করেন। বল গোলে ঢোকার মুখে বাঁচান প্রীতম কোটাল। পরপর বেশ কয়েকটি কর্ণার আদায় করেও কাজে লাগাতে পারেননি চেন্নাইন এফসি ফুটবলাররা।৪৫ মিনিটে সমতা ফেরায় চেন্নাইন এফসি। ডান দিক থেকে থ্রো করেন লুকাস। এটিকে মোহনবাগানের জনি কাউকোর মাথায় লেগে বল যায় ভ্লদিমির কোম্যানের কাছে। ডান পায়ের দুরন্ত কোণাকুনি শটে গোল করেন কোম্যান। চেন্নাইন কোচ এদিন রয় কৃষ্ণাকে আটকানোর জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করেছিলেন। হুগো বোমাস, লিস্টন কোলাসোদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য রয় কৃষ্ণা বারবার মাঝমাঠে নেমে আসছিলেন। এতে তাঁকে আটকাতে সমস্যা হচ্ছিল চেন্নাইন ডিফেন্ডারদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই রয় কৃষ্ণার পাস থেকে গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন হুগো বোমাস। তাঁর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এটিকে মোহনবাগানের দুই বিদেশি জনি কাউকো ও হুগো বোমাস প্রথমার্ধে একেবারেই ছাপ ফেলতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধেও বোমাস, কৃষ্ণাদের জ্বলে উঠতে দেননি চেন্নাইন এফসি ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে দুই দল কয়েকটা সুযোগ তৈরি করলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার মতো তেমন সহজ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ৮৯ মিনিটে হুগো বোমাসকে তুলে নিয়ে ডেভিড উইলিয়ামসকে মাঠে নামান। ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ পাননি উইলিয়ামস।

ডিসেম্বর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় আসবে?‌ আশা দেখাতে পারছেন না দিয়াজ

পাঁচ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে। এবারের আইএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। কোচ মানোলো দিয়াজকে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠে গেছে। দলের অভ্যন্তরেই কোচের সিদ্ধান্ত নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলগত সংহতিও তলানিতে। ৫ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল অথচ এখনও প্রথম একাদশ ঠিক করে উঠতে পারেননি। ফুটবলারদের মধ্যে কোনও বোঝাপড়া নেই। এই অবস্থায় রবিবার কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।কঠিন পরিস্থিতিতেও সমর্থকদের কোনও আশার আলো দেখাতে পারছেন না লালহলুদ কোচ মানোলো দিয়াজ। আগের ৫ ম্যাচে এসসি ফুটবলারদের দেখে মনে হয়নি তাঁরা ফিট। মানোলো দিয়াজ অবশ্য একথা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, দক্ষতার দিক দিয়েই দলকে পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে দল প্রথম জয় তুলতে পারবে কিনা, সে ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী নন। কেরালার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে দিয়াজ বলেন, দল খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সমর্থকদের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। সমর্থকরা যেমন জয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে, আমিও জয়ের খোঁজে রয়েছি। চেষ্টা করব কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর।গোল করেও তা ধরে রাখতে পারছেন না লালহলুদ ডিফেন্ডাররা। এসসি ইস্টবেঙ্গলের খেলায় কোনও ছন্দ দেখা যায়নি। তিনটি ম্যাচে হার, দুটি ম্যাচে ড্র। যে দুটি ম্যাচে মানোলো দিয়াজের দল ড্র করেছে, তাতে নিজেদের থেকে বিপক্ষ দলের ফুটবলারদের কৃতিত্ব বেশি। ফুটবলারদের ভুল শুধরে দিলেও বারবার একই ভুল হচ্ছে। সংশোধনের কোনও ইচ্ছে লালহলুদ ফুটবলারদের নেই। এইরকম চলতে থাকলে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেও জয় আসা কঠিন।একেই দল খারাপ অবস্থায়, তার ওপর একাধিক ফুটবলারের চোট। সমস্যা আরও বেড়েছে মানোলো দিয়াজের। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধেও মাঠে নামার মতো জায়গায় আসেননি গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। জ্যাকিচাঁদ সিং, সিডোয়েলরাও এখনও পুরো ফিট নন। এই দুই ফুটবলারকেও কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে পাবেন না মানোলো দিয়াজ। আগের ম্যাচে জয়ে ফিরেছে কেরালা ব্লাস্টার্স। বিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন লালহলুদ কোচ।

ডিসেম্বর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

ISL-ATK Mohun Bagan : ‌‌চেন্নাইনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়ে এটিকে মোহনবাগান। কে হবেন হাবাসের অস্ত্র?‌

এবছর আইএসএলেও সেই মুম্বই সিটি এফসির আধিপত্য। ৫ ম্যাচ খেলে চারটিতে জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এখনও লিগ টেবিলের শীর্ষে রয়েচে মুম্বইয়ের দলটি। কলকাতার দুই প্রধানের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। এটিকে মোহনবাগান ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে থাকলেও করুণ অবস্থা এসসি ইস্টবেঙ্গলের। ৪ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের একেবারে শেষে। পরপর দুটি ম্যাচ হেরে যথেষ্ট চাপে এটিকে মোহনবাগান। এই অবস্থায় শনিবার চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামছে সবুজমেরুণ শিবির। চেন্নাইনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হাবাস ব্রিগেড।এই মরশুমে আক্রমণভগের শক্তি বেড়েছে এটিকে মোহনবাগানের। রয় কৃষ্ণার সঙ্গে হুগো বোমাস ষুক্ত হয়েছেন। লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংরাও রয়েছেন। তা সত্ত্বেও আক্রমণভাগের গোলখরা চলছে। রয় কৃষ্ণা ও হুগো বোমাসরা এখনও পর্যন্ত সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। শক্তিশালী রক্ষণের কাছে আটকে যাচ্ছেন। এসব ঘটনাকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। পরপর দুম্যাচে হার তাঁর কাছে অতীত। একেবারেই মাথায় রাখছেন না। চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আন্তেনীয় লোপেজ হাবাস বলেন, লম্বা প্রতিযোগিতা। উত্থানপতন থাকবে। পরপর দুটো ম্যাচ হেরেছি বলে আমরা বিশ্বের সবথেকে খারাপ দল হয়ে গেছি, এইরকম ভাবলে চলবে না। কঠিন পরিস্থিতিতে খেলতে হচ্ছে। কয়েকটা জিনিস ঠিক করতে হবে। তাহলেই দল আবার ছন্দে ফিরে আসবে।প্রথম দুই ম্যাচে ৭ গোল করেছিল এটিকে মোহনবাগান। আগের দুটি ম্যাচে রক্ষণের ভুলে হারতে হয়েছে। তিরি সুস্থ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে প্রথম একাদশে খেলাননি হাবাস। তাঁর স্ট্র্যাটেজি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুধু রক্ষণ নয়, গোটা দলের খেলায় উন্নতি করতে হবে বলে মনে করছেন হাবাস। তিনি বলেন, শুধু ডিফেন্স নয়, গোটা দলের খেলা নিয়ে ভাবছি। সব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। গোটা ম্যাচে একই ছন্দ ধরে রাখতে হবে। রক্ষণ শক্তিশালী করতে চেন্নাইন এফসির বিরুদ্ধে ম্যাকহিউয়ের পরিবর্তে তিরিকে খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে হাবাসের। চেন্নাইন এফসিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন সবুজমেরুণ কোচ। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে তিনি বলেন, চেন্নাইন এফসি যথেষ্ট লড়াকু দল। ওদের দলে দেশি ও বিদেশি, সব ফুটবলারই বেশ ভাল। রক্ষণ দারুণ শক্তিশালী। লড়াইটা কঠিন হবে।

ডিসেম্বর ১০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IFA Shield : শিল্ডের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল মহমেডান স্পোর্টিং

ডুরান্ত কাপে ফাইনালে উঠে শেষরক্ষা হয়নি। ফাইনালে এফসি গোয়ার কাছে হেরে খেতাব অধরা থেকে গিয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। কলকাতা লিগ জিতে ডুরান্ড কাপের ব্যর্থতায় কিছুটা প্রলেপ দিতে পেরেছিল। শিল্ডেও ব্যর্থ সাদাকালো শিবির। কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়েল কাশ্মীরের কাছে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হল আন্দ্রে চেরনিশভের দলকে। ম্যাচের ফল ১০।আইএফএ শিল্ডের গ্রুপ পর্বে খেলতে হয়নি মহমেডানকে। সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সুযোগ পেয়েছিল সাদাকালো ব্রিগেড। বুধবার ফেবারিট হিসেবেই রিয়েল কাশ্মীরের মাঠে নেমেছিল মহমেডান। দারুণভাবে শুরুও করেছিল। ম্যাচের ১৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল মহমেডানের সামনে। সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ব্রেন্ডন। ৩৩ মিনিটে আরও একবার গোল করার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছে গিয়েছিল সাদাকালো ব্রিগেড। তিনকাঠি ভেদ করতে পারেননি আজহারউদ্দিন মল্লিক। প্রথমার্ধের অন্তিম লগ্নে তাঁর একটা শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। আজহারউদ্দিন, ফৈয়াজ, ব্রেন্ডন, নিকোলারা একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসেন রিয়েল কাশ্মীর রক্ষণভাগে। তিনকাঠির নিচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন রিয়েল কাশ্মীরের গোলকিপার। তাঁর বিশ্বস্ত হাতে আটকে যায় মহমেডানের যাবতীয় আক্রমণ। প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলা রিয়েল কাশ্মীর প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করেছিল। দুই দলের কয়েকটি আক্রমণছাড়া দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা খেলাটাই সীমিত ছিল মাঝমাঠে। ৯০ মিনিট শেষেও খেলার ফল থাকে গোলশূন্য। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে ভুল করে বসেন আসির আক্তার-ওনানরা। ম্যাচের ৯৮ মিনিটে কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে দুরন্ত শটে গোল করে রিয়েল কাশ্মীরকে এগিয়ে দেন লালচওয়ানকিমা। বাকি সময় সমতা ফেরানোর আপ্রান চেষ্টা করলেও সফল হয়নি মহমেডান।বুধবারই ঘোষণা হয়েছে আই লিগের সুচি। আই লিগের আগে এটাই ছিল মহমেডানের শেষ ম্যাচ। ২৬ ডিসেম্বর আই লিগ শুরু। ২৭ ডিসেম্বর মহমেডানের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ সুদেভা। মহমেডানের বাকি ম্যাচ আইজল (৩০ ডিসেম্বর, কল্যাণী), শ্রীনিধি ডেকান (৪ জানুয়ারি, মোহনবাগান), ইন্ডিয়ান অ্যারোজ (১০ জানুয়ারি, নৈহাটি), চার্চিল (১৫ জানুয়ারি, কল্যাণী), কেঁকড়ে এফসি (২০ জানুয়ারি, নৈহাটি), গোকুলাম (২৫ জানুয়ারি, নৈহাটি), ট্রাউ (৩০ জানুয়ারি, নৈহাটি), রাজস্থান এফসি (৯ ফেব্রুয়ারি, কল্যাণী), পাঞ্জাব এফসি (১৩ ফেব্রুয়ারি, কল্যাণী), রিয়েল কাশ্মীর (১৮ ফেব্রুয়ারি, কল্যাণী), নেরোকা এফসি (২৩ ফেব্রুয়ারি, কল্যাণী)।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : তিন–তিনবার সমতা ফিরিয়েও শেষরক্ষা হল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের

৫ ম্যাচ হয়ে গেল। এবারের আইএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখতে পেল না এসসি ইস্টবেঙ্গল। আবার হার মানোলো দিয়াজের দলের। এবার হার এফসি গোয়ার কাছে। ম্যাচের ফল ৪৩। তিনতিনবার ম্যাচে সমতা ফিরিয়েও হার বাঁচাতে পারল না এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৫ ম্যাচে ২ পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবিলের সবার শেষে লালহলুদ। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই প্রাধান্য ছিল এফসি গোয়ার। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে এসসি ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত রাখছিলেন জর্জ ওর্টিজ, আলবার্তো নগুয়েরারা। ১৪ মিনিটে এগিয়েও যায় এফসি গোয়া। ওর্টিজের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পায়ের দুরন্ত শটে বল জালে জড়িয়ে দেন নগুয়েরা। লালহলুদ গোলকিপার শুভম সেনের কিছু করার ছিল না। ২৬ মিনিটে সমতা ফেরায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। বক্সের অনেকটা বাইরে ফ্রিকিক পায়। পেরোসিভিচের ফ্রিক এফসি গোয়ার ফুটবলারদের গড়া প্রাচীরে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে সমতা ফেরান পেরোসিভচ। নিঃসন্দেহে বিশ্বমানের গোল। যদিও এই সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৩২ মিনিটে সৌরভ বসু বক্সের মধ্যে শেরিটনকে ফাউল করেন। সহকারী রেফারির সঙ্গে কথা বলে রেফারি কৃষ্ণা পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে এফসি গোয়াকে আবার এগিয়ে দেন ওর্টিজ। ৩৭ মিনিটে আবার সমতা ফেরায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। ডার্বিসেভিচের বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রিকিক এফসি গোয়া গোলকিপার ধীরাজের সামনে ড্রপ খেয়ে গোলে ঢুকে যায়। ৪৩ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় এফসি গোয়া। আলবার্তো নগুয়েরার কর্ণারে দেবেন্দ্র মুরগাঁওকার হেড করেন। দেবেন্দ্রর হেড পেরোসিভিচের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে জালে জড়িয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে এসসি ইস্টবেঙ্গল। শুরুতেই দুদুটি পরিবর্তন করেন লালহলুদ কোচ মানোলো দিয়াজ। টমিস্লাভ মার্সেলা ও অমরজিৎ কিয়ামের পরিবর্তে নামান ড্যানিয়েল চিমা ও আদিল খানকে। কিছুটা খেলায় ফেরে লালহলুদ। প্রথমার্ধের তুলনায় অনেক বেশি ঝকঝকে লাগছিল মানোলো দিয়াজের ফুটবলারদের। ৫৯ মিনিটে সমতা ফেরান পেরোসিভিচ। এফসি গোয়ার গ্লেন মার্টিনের ভুল পাস ধরে মাঝমাঠ থেকে একক প্রয়াসে এগিয়ে দারুণ ফিনিশ করেন পেরোসিভিচ। ৬৭ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ড্যানিয়েল চিমা। নাওরেম মহেশের দুরন্ত পাস ফাঁকা গোলে ঠেলতে পারেননি চিমা। ৭৮ মিনিটে তাঁর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। চিমার সুযোগ নষ্টের এক মিনিট পরেই জয়সূচক গোল তুলে নেয় এফসি গোয়া। ওর্টিজের পাস থেকে নগুয়েরা ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৫ ম্যাচ খেলা হয়ে গেলেও জয় অধরাই থেকে গেল। অন্যদিকে, এই মরশুমে আইএসএলে প্রথম পয়েন্ট তুলে নিল এফসি গোয়া।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

কোমা থেকে উঠে গ্রেফতার! বন্ডাই বিচ হামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই বিচে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। কোমা থেকে জেগে উঠে ২৪ বছরের অভিযুক্ত নবীদ আক্রমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৫টি খুনের মামলা।গত ১৪ ডিসেম্বর ইহুদিদের হনুক্কা উৎসব চলাকালীন বন্ডাই বিচে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই হামলায় নবীদ আক্রম এবং তাঁর বাবা সাজিদ আক্রম জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। পুলিশের পাল্টা অভিযানে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাজিদ আক্রম। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবীদকে। দীর্ঘদিন কোমায় থাকার পর সম্প্রতি তাঁর জ্ঞান ফেরে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্ঞান ফিরতেই হাসপাতালের শয্যাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। চিকিৎসকেরা জানান, নবীদ মানসিক ভাবে স্থিতিশীল এবং আইনি প্রক্রিয়া বোঝার মতো অবস্থায় ছিলেন। নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার জানান, চিকিৎসকের অনুমতির পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সতর্ক করা হয়েছে আইনি অধিকার সম্পর্কে।খুনের অভিযোগ ছাড়াও নবীদের বিরুদ্ধে খুনের উদ্দেশ্যে আঘাত করা, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী প্রতীক প্রকাশ, এবং কোনও ভবনের কাছে বিস্ফোরক রাখার অভিযোগও আনা হয়েছে। বুধবার হাসপাতালেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতের শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।এই হামলায় প্রাণ হারান মোট ১৫ জন। ১৯৯৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ গণগুলি চালনার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। নিহতদের স্মরণে বন্ডাই প্যাভিলিয়নে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হন। ইতিমধ্যেই নিহতদের শেষকৃত্যের কাজ শুরু হয়েছে।এই ঘটনার জেরে বন্ডাই বিচে নববর্ষের সমস্ত অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের জন্য নির্ধারিত সিডনির সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক ডান্স পার্টিও বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।এই হামলার প্রথম চিহ্নিত নিহত ব্যক্তি ছিলেন রাব্বি এলি শ্ল্যাঙ্গার। তাঁর শেষকৃত্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। বন্ডাইয়ের চাবাদ কেন্দ্রের রাব্বি লেভি উলফ বলেন, এই মৃত্যু ইহুদি সমাজের কাছে অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি জানান, এই নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় শুধু ইহুদি সমাজ নয়, গোটা অস্ট্রেলিয়া এবং বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ গভীরভাবে মর্মাহত।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে বিজেপির দাবি ভুয়ো? কমিশনের নাম করে পাল্টা অভিষেক

অনুপ্রবেশকারী ভোটার ইস্যুতে ফের বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, বিজেপির তোলা অভিযোগ নির্বাচন কমিশন নিজেই খারিজ করে দিয়েছে। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ভোটার তালিকার সামারি রিভিশন বা এসএসআর প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেড় থেকে দুই শতাংশ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, এটা নতুন কিছু নয়।অভিষেকের বক্তব্য, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ক্লেম অ্যান্ড অবজেকশন পর্ব শেষ হওয়ার পরে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। তখনই স্পষ্ট হবে কার নাম থাকছে আর কার নাম বাদ যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি যে এক কোটি বা দেড় কোটি রোহিঙ্গা ভোটারের গল্প ছড়াচ্ছে, তা নির্বাচন কমিশনই নাকচ করে দিয়েছে।তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই কোথাও অনুপ্রবেশকারী বা রোহিঙ্গা ভোটার থাকে, বিজেপি সেই তালিকা প্রকাশ করুক। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, দেশের সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাঁর হাতে, সেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তাঁর অধীনে থাকা বিএসএফ ও সিআরপিএফ তখন কী করছিল? সীমান্তে নজরদারি যদি ঠিকমতো হয়, তা হলে এত অনুপ্রবেশ ঘটছে কীভাবে, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।অনুপ্রবেশ ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই সরব। বিজেপির দাবি, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে দেশছাড়া করা হবে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় এমন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে একাধিক বাংলাদেশি নাগরিককে বাক্স-প্যাটরা নিয়ে সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। তাঁরা বিএসএফ-এর অনুমতির অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।এই আবহেই এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেই তালিকা থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ নাম বাদ পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশি জাহাজের ধাক্কা! ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে মিলল দুই মৎস্যজীবীর দেহ

বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষের পর গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলার থেকে মিলল আরও দুজনের দেহ। নামখানার উপকূলে টেনে আনা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার থেকে ভোররাতে উদ্ধার হয় নিখোঁজ দুই মৎস্যজীবীর দেহ। তাঁদের নাম রঞ্জন দাস ও সঞ্জীব দাস। এখনও তিন জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ মেলেনি। তাঁদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।উদ্ধার হওয়া দেহ দুটি পাওয়া গিয়েছে ট্রলার এফবি পারমিতা-১১-এর কেবিনের ভিতর থেকে। মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃত রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানে। সঞ্জীব দাস কাকদ্বীপের বাসিন্দা। ট্রলারের কেবিনে আর কোনও নিখোঁজ মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হলেও আর কোনও দেহ পাওয়া যায়নি।গত রবিবার ১৬ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে আচমকাই ট্রলারটি ডুবে যায়। সেই সময় ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং আশপাশের অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীদের তৎপরতায় ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়।উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, একটি বাংলাদেশি নৌসেনার জাহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ট্রলারে ধাক্কা মারে এবং তারপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। যদিও এই অভিযোগ বাংলাদেশ নৌসেনার পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে।দুর্ঘটনার পর পাঁচ জন মৎস্যজীবী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের খোঁজে গতকাল গভীর রাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে নামখানার উপকূলে টেনে আনা হয়। সেখান থেকেই এদিন উদ্ধার হয় দুজনের দেহ। প্রিয়জনের দেহ ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতদের পরিবার। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীর খোঁজে দ্রুত তল্লাশির দাবি জানিয়েছেন তাঁদের পরিজনরা।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

খসড়া ভোটার তালিকায় গরম রাজ্য রাজনীতি, নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের জরুরি বৈঠক

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের একদিনের মধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন। এই খসড়া তালিকা থেকে ৫৮ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই দিনই ভবানীপুরে তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কলকাতায় দলের বিএলএ-দের নিয়ে বড় বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।আগামী ২২ ডিসেম্বর কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এই বৈঠক হবে। সেখানে কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া ও হুগলির একাংশের বিএলএ-দের ডাকা হয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি ও অভিযোগের মধ্যেই এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটার তালিকা সংশোধনের এই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলির বিএলএ-দের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিএলও-দের সঙ্গে তাঁরাই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই করেন। কোনও যোগ্য ভোটারের নাম বাদ পড়ছে কি না, সেদিকেই নজর রাখেন তাঁরা।খসড়া তালিকা প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। অনেক ক্ষেত্রে জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হুগলির ডানকুনি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেও খসড়া ভোটার তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে বলে দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল।আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংক্রান্ত শুনানি শুরু করবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে খসড়া তালিকায় নাম থাকা ভোটারদেরও শুনানিতে ডাকা হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায়, সে জন্য আগেভাগেই তৎপর হয়েছে তৃণমূল।কমিশনের শুনানি শুরুর ঠিক আগের দিন কলকাতার বিএলএ-দের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে হাওড়া ও হুগলির কিছু অংশের বিএলএ-রাও থাকবেন। নেতাজি ইন্ডোরের এই বৈঠক থেকে বিএলএ-দের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর মামলায় বড় মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শুনানি ফিরল কলকাতা হাইকোর্টে

আরজি কর মামলার শুনানি এবার থেকে হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সর্বোচ্চ আদালত মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আগে দেওয়া সমস্ত নির্দেশ ঠিকমতো মানা হচ্ছে কি না, তা এখন থেকে নজরে রাখবে কলকাতা হাইকোর্ট।সুপ্রিম কোর্ট এদিন সিবিআই-কে নতুন করে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেই তথ্য নির্যাতিতার পরিবারকে জানাতেও বলা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আরজি কর সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টের কোনও একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠাতে হবে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সঞ্জয় রাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় নয়, আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে।মঙ্গলবারও সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, শিয়ালদহ আদালতে যেসব সওয়াল-জবাব হয়, তার পরের দিনই সেই অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়া যায়। কিন্তু সিবিআই সেই নথিগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর অভিযোগ, সাত মাস ধরে হাইকোর্টে মামলা চললেও এখনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়নি। শুনানি শুরু হলে সিবিআইকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।নির্যাতিতার পরিবার আরও দাবি করেছে, এই ঘটনায় বহু মানুষ জড়িত। তাঁদের বক্তব্য, ডিএনএ রিপোর্টেই সেই বিষয়টি স্পষ্ট। একজন মহিলার ডিএনএর সঙ্গে আরও ছজন পুরুষের ডিএনএ পাওয়া গিয়েছে। পরিবার জানে, তাঁরা কারা। এখন তাঁদের একটাই দাবি, সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত করুক এবং সব দোষীদের সামনে আনুক।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল না শুভেন্দুকে, ফের উত্তপ্ত রাজনীতি

যুবভারতী স্টেডিয়াম কাণ্ডের পর ফের উত্তেজনা। বুধবার সকালে স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঢুকতে না পেরে তিনি ফিরে যান। তাঁর অভিযোগ, যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।এদিন বেলা বারোটা নাগাদ শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বিজেপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে যুবভারতী স্টেডিয়ামে পৌঁছন। কিন্তু গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই থাকতে হয় তাঁদের। ঢোকার অনুমতি মেলেনি। এর আগেই রাজ্য সরকারের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের শীর্ষ পুলিশ কর্তারা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে চলে যান বলে সূত্রের খবর।ঘটনাস্থলেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্য সরকার যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, তা তাঁরা মানেন না। সেই কারণেই বিষয়টি আদালতে গিয়েছে। তাঁর দাবি, তদন্ত কমিটি রাজ্য সরকারের প্রভাবমুক্ত হওয়া উচিত। কারণ এই ঘটনায় মূল অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেই। তাঁর অভিযোগ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পুলিশের ছিল, অথচ সেই পুলিশের বিরুদ্ধেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি ক্রীড়া দফতরের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ তোলেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শীর্ষ পুলিশ কর্তা পীযূষ পান্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল যুবভারতী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে। সেই দলে ছিলেন জাভেদ শামিম, সুপ্রতীম সরকার ও মুরলীধর শর্মা। তাঁরা প্রথমে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে যান, পরে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। তাঁদের পরিদর্শনের পরই যুবভারতীর সমস্ত গেট বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে।স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যপালকেও আগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে যদি এমন আচরণ করা যায়, তাহলে বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও তা করা হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দরজা বন্ধ করে সবাই ভিতর থেকে পালিয়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যাতেও রাজ্যপাল যুবভারতী স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। সেবারও গেট বন্ধ থাকায় তাঁকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়। পরদিন ফের স্টেডিয়ামে যান রাজ্যপাল। যুবভারতী কাণ্ডকে কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

ফের চাকরি বাতিল! পাহাড়ে ৩১৩ শিক্ষক ছাঁটাইয়ের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাহাড় এলাকায় বেআইনি ভাবে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত।এই মামলাটি জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এই মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়ায়। পাশাপাশি বিনয় তামাং এবং তৃণমূল যুব নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। আদালতে জানানো হয়, যোগ্যতার তোয়াক্কা না করেই নিয়োগ করা হয়েছে।মামলার শুনানিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হাইকোর্ট। আগেই যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের আলাদা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে এই মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তবে ডিভিশন বেঞ্চও বিচারপতি বসুর রায় বহাল রাখে। এরপর মামলা পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফের মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টে ফিরে আসে।বুধবার শুনানিতে বিচারপতি বসু নির্দেশ দেন, অবিলম্বে এই ৩১৩ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ করতে হবে। আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য সরকার কেন এদের দায়িত্ব বহন করবে এবং এদের শিক্ষাগত যোগ্যতাই বা কী। প্রাথমিক ভাবে এই মামলার কাজে সিআইডি-কে দিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
বিদেশ

‘ইথিওপিয়া সিংহের দেশ, গুজরাটও তাই’—বিদেশের মাটিতে মোদীর আবেগঘন বার্তা

ইথিওপিয়ার সংসদের যৌথ অধিবেশনে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভাষণে তিনি ভারত ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। ইথিওপিয়াকে সিংহের দেশ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সেখানে নিজেকে ঘরের মানুষের মতো অনুভব করছেন। কারণ তাঁর নিজের রাজ্য গুজরাটও সিংহের জন্যই পরিচিত।এই সফরে ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আবি আহমেদের হাত থেকে গ্র্যান্ড অনার নিশান অব ইথিওপিয়া সম্মানে ভূষিত হন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, ভারত ও ইথিওপিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এবার কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্তরে উন্নীত করা হল।প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে পহেলগাঁওয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার পর ইথিওপিয়ার পাশে থাকার জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দুই দেশের অবস্থান এক এবং এই সহযোগিতা ভারতের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান।নরেন্দ্র মোদী আরও জানান, গণতন্ত্র, উন্নয়ন এবং গ্লোবাল সাউথের শক্তি হিসেবে উঠে আসার ক্ষেত্রে ভারত ও ইথিওপিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি এক। ডিজিটাল পরিকাঠামো, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আফ্রিকা স্টিল মাল্টিপ্লায়ার ইনিশিয়েটিভ-এর মতো উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।এই ভাষণের মাধ্যমে ভারত-ইথিওপিয়া সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় পৌঁছল, তা কূটনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal