ভোটের আগের দিন উত্তপ্ত কসবা
ভোটের আগের দিনই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কসবা বিধানসভা কেন্দ্র। দিনেদুপুরে ঘরবাড়ি ভাঙচুর, বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁর উপর হামলার ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোটের কয়েকদিন আগে থেকেই কসবার ৬৭নং ওয়ার্ড এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার হুমকি দিয়ে বারবার তাঁদের উপর চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্থানীয়দের তরফে। তবে শুক্রবার এলাকার অশান্তির মাঝে এলাকায় কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা যায়নি। ফলে নির্বাচনী আবহে কসবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।কসবা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে একুশের ভোটে লড়ছেন তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খান, বিজেপির ইন্দ্রনীল খাঁ এবং সিপিএমের শতরূপ ঘোষ। ৬৭ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বারবারই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়ি বাড়ি ঢুকে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। শুক্রবার সকালের দিকেও ছবিটা একই ছিল। রামঠিকারী মাঠ এলাকায় জনা ২০ যুবক বাইক নিয়ে একই কথা বলে তাঁদের। আর সেই হুমকি দিতে দিতেই তারা বাড়িতে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে। সেখানে উপস্থিত এক যুবককে রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।ঘটনার খবর পেয়ে বিকেলের দিকে সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁ, সিপিএমের শতরূপ ঘোষ। শতরূপের অভিযোগ, এলাকায় কয়েকদিন ধরে অশান্তির খবর পেয়েও উদাসীন থানা। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে কসবা থানার ওসিকে অপসারণের দাবি তোলেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁর অভিযোগ, তিনি নিজে থানায় গিয়ে অভিযোগ করেছেন, বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা এর প্রতিকার চেয়ে বিক্ষোভেও শামিল হয়েছেন। তা সত্ত্বেও পুলিশ পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ। এ নিয়ে পালটা ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, তৃণমূল নয়, বিজেপির তরফেই এলাকার শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা হয়েছে। ভোটের আগে বিজেপিই সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে কসবায়।