• ২৪ আশ্বিন ১৪৩২, সোমবার ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Election

রাজনীতি

Srabanti Tathagata: বেহালা পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তীর ইলেকশন এজেন্টকে নিয়ে প্রশ্ন তথাগতর

এবার বেহালা পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের চিফ ইলেকশন এজেন্ট সোহেল দত্তকে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়। বর্ষীয়াণ এই বিজেপি নেতা এর আগেও একাধিক টুইট করে দলকে সতর্ক করেছেন। দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।রাজ্য কার্যকরি কমিটির সাম্প্রতিক বৈঠকে হাজির ছিলেন তথাগত রায়। রাজ্যে বিজেপির পরাজয়ের কারণ নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছেন। চিঠি পাঠিয়ে শলা-পরামর্শও দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে। এবার শ্রাবন্তীর চিফ ইলেক এজেন্টের রাজনৈতিক সত্ত্বা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা।টুইটে কি ছবি পোস্ট করেছে তথাগত রায়?Is this true? pic.twitter.com/AhuS5LNhQw Tathagata Roy (@tathagata2) July 4, 2021রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুব্রত বক্সীকে নিজের হাতে মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছেন সোহেল।কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছবি রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে।রাজ্যের আরেক মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন, পাশে দাঁড়িয়ে এই অভিনেতা।তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ সুভাশিস চক্রবর্তীকে জড়িয়ে ধরে রয়েছে প্রকাশ্য মঞ্চে। অবশ্যই মুখে হাসি লেগে রয়েছে।এনআরসি ও সিএএ বিরোধী মিছিলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সোহেল।এই পাঁচটি ছবি পোস্ট করে তথাগত রায় প্রশ্ন তুলেছেন, এটা কি সত্য?টুইটে তথাগত লিখেছেন, এটি হচ্ছে সোহেল দত্ত বেহালা পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের চিফ ইলেকশন এজেন্ট। বাকিটা আপনারা বিচার করুন। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার এই পোস্ট ঘিরেই বিতর্ক দানা বেধেছে। উল্লখযোগ্য বিষয় বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।আরও পড়ুনঃ চূড়ান্ত ট্রায়ালে সাফল্য, ডেল্টা প্রজাতি রুখতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন!নির্বাচনপর্ব মিটবার কিছু দিন পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় দল ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছেন। বিজেপির একাংশ দল ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিতে চাইছেন বলেও তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছেন। এদিকে তৃণমূলের কালচারাট ইউনিটের রাজ্য সভাপতি রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, দলে যে কেউ ফিরতে পারেন, স্বাগত। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, বিজেপি খতিয়ে না দেখেই বিভিন্ন লোককে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছিল নির্বাচনে। সেই প্রশ্ন উঠছে দলের মধ্য থেকেও।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজ্য

রাজ্যে কবে পুরভোট? কী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে ১১২টি পুরসভার নির্বাচন বাকি রয়েছে। এরমধ্যে ৬টি কর্পোরেশনও আছে। পুরপ্রশাসক নিয়োগ করে পুরসভাগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। কবে পুরভোট হতে পারে বৃহস্পতিবার নবান্নে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।২০১৮-তেই বেশ কয়েকটি পুরসভার নির্বাচিত বোর্ডের পরিচালনের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। তারপর ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১২টিতে। তার মধ্যা কলকাতা, হাওড়া, বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের নির্বাচন বাকি রয়েছে। এবার রাজ্য অপেক্ষা করছে বিধানসভার ৭টি আসনে কবে উপনির্বাচন হবে। এর মধ্যে যে কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জয়ী হতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আরও পড়ুনঃ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডরাজ্যে পুরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইলেকশন কমিশন আগে উপনির্বাচনের কথা বলুক, আমাদের সময়মতো পুর নির্বাচন করব। আমরা অপক্ষো করছি। আমরা তৈরি। আমাদের নির্বাচন করতে কোনও ভয় নেই। আমাদের দেখতে হবে ৭ টি আসনে কবে উপনির্বাচন হয়। বাদ বাকিগুলো করে নেব।আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিতলোকসভা ভোটের পর থেকেই রাজ্যে পুরসভাগুলোর মেয়াদ শেষ হতে থাকে। নানা কারণে নির্বাচন পিছোতে থাকে। শেষমেশ কোভিড পরিস্থিতি এসে পড়ে এরাজ্যেও। এরইমধ্যে ৮ দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার দেখার বিষয় কবে উপনির্বাচন ঘোষণা করে। রাজ্য চাইছে যত দ্রুত সম্ভব উপনির্বাচন যেন হয়। সেক্ষেত্রে তারপরই পুরনির্বাচনও সম্পন্ন করে ফেলতে চায় রাজ্য।

জুন ২৪, ২০২১
কলকাতা

State By-Election: রাজ্যে দ্রুত উপনির্বাচনের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। নির্বাচন কমিশন চাইলেই উপনির্বাচন করতে পারে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে কমিশনের (Election Commission) উদ্দেশে দ্রুত রাজ্যের ৭ আসনের উপনির্বাচন সেরে ফেলার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কমিশন এবং প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে কটাক্ষও শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমান, চলল ব্যাপক মারধর-ভাঙচুরবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) বিপুল আসনে জিতে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হ্যাটট্রিক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। তবে নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই ফলাফলে নানান কারচুপির অভিযোগ ওঠায়, বিষয়টি বর্তমানে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে নিয়মমাফিক ছমাসের মধ্যে ভোটে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার মধ্যে প্রায় মাস দেড়েক ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে। বস্তুত রাজ্যে আগামী সাড়ে চার মাসের মধ্যে ৭ আসনে উপনির্বাচনও হওয়ার কথা। যার মধ্যে যে কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerejee)। আরও দুই মন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra) এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও জিতিয়ে আনতে হবে।তৃণমূল নেতাদের আশঙ্কা, রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরির উদ্দেশে এই উপনির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে নির্বাচন কমিশন। করোনার অজুহাতে ছমাসের মধ্যে উপনির্বাচন নাও করানো হতে পারে। এদিন নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতার কথায় সেই আশঙ্কার আভাস মিলল। তিনি বললেন, আমি তো শুনেছি প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত না পেলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের অনুমতি দেবে না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আমাদের উপনির্বাচনটা ক্লিয়ার করে দিন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, রাজ্যে মোট ৭ আসনে উপনির্বাচন বাকি। এখন কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তাই যে কোনও সময় উপনির্বাচন হতে পারে। তাঁর আর্জি, সাতদিন সময় দিয়ে উপনির্বাচন করুন। উপনির্বাচনে প্রার্থীদের বেশি সময় দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

জুন ২৩, ২০২১
কলকাতা

জোড়া রদবদল রাজ্য প্রশাসনে, সরলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দুই কর্তা

ফের রাজ্য প্রশাসনে বড়সড় রদবদল। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তিু জারি করে আমলাস্তরে জোড়া রদবদল করা হল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর একাধিক পদের রদবদল করেছেন। দুটি পরিবর্তন সেই তালিকায় নবতম সংযোজন।নির্বাচনের আগে নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তরের সচিব ছিলেন সংঘমিত্রা ঘোষ। নির্বাচনের মুখে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে একাধিক আধিকারিককে সরানো হয়। সেই সময় কমিশনের অ্যাডিশনাল চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার পদে আনা হয় ১৯৯৭ সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার সংঘমিত্রা ঘোষকে। ভোট মিটে যাওয়ার পর সরকার গঠন হতেই তাঁকে পুরনো পদেই ফেরানো হল। আরেক অ্যাডিশনাল চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার স্মারকি মহাপাত্রকে সরিয়ে দেওয়া হল। বদলে তাঁকে রাজ্যে অর্থদপ্তরের সচিব পদে নিয়োগ করা হল। তিনি ২০০২ সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার।রাজ্যে মিটে গিয়েছে ভোটপর্ব। ২০০-রও বেশি আসন নিয়ে তৃতীয়বার সরকার গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ভোট মিটতেই রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনিক পদে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হয়েছে। ভোটের পরই বদলানো হয়েছে বীরভূমের জেলাশাসক এবং এসডিপিও-কে। তেমনই রাজ্য পুলিশের আরও একাধিক পদে বদল আনা হয়েছে।বীরভূমের জেলাশাসকের পদে ডিপি কারনামের জায়গায় আসতে চলেছেন বিধানচন্দ্র রায়। তিনি এর আগে খাদ্যদপ্তরের যুগ্ম সচিব পদে ছিলেন। ডিপি কারনামকে করা হয়েছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের ডিরেক্টর। এছাড়া তিনি বিশ্ববাংলা কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্বও সামলাবেন। শ্রী নিখিল নির্মলকে করা হয়েছে বস্ত্রমন্ত্রকের ডিরেক্টর। এদিকে, হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার অভিষেক তিওয়ারিকে করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব। অন্যদিকে, ধবল জৈনকে করা হয়েছে হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনার। এছাড়া সরানো হয়েছে নদিয়ার জেলাশাসক পার্থ ঘোষকেও। তাঁকে নিয়ে আসা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ অ্যাগ্রি মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে। যে পদে এতদিন ছিলেন ধবল জৈন। সেই রদবদলের তালিকা এদিন আরও দীর্ঘ হল।

মে ২০, ২০২১
রাজনীতি

অনেক টানাপড়েনের পর নন্দীগ্রামে জয়ী শুভেন্দু অধিকারী

ভোটের ফল প্রকাশ পাওয়ার পর একেবারে শেষ লগ্নে এসেও ধোঁয়াশা কাটল না নন্দীগ্রাম নিয়ে। জেলার রিটার্নিং অফিসার অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীকেই জয়ী ঘোষণা করেছেন। যার কিছুক্ষণ পরই রীতিমতো গণনার কাগজ প্রকাশ করে নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জয়ী ঘোষণা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।সাম্প্রতিক সময়ে যে যে নেতা তৃণমূল নেতা দলবদল করে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই এ দিন সামান্য কিছু ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন নন্দীগ্রামে। যদিও তাঁর জয়ের রাস্তাটা সহজ ছিল না। ভোটগণনা শুরু হওয়ার পর থেকে এগিয়েই ছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু, কয়েক রাউন্ড ভোট গণনার পরই এগিয়ে যান মমতা। চলতে থাকে সাপ লুডোর খেলা। কখনও এগিয়ে যান শুভেন্দু, কখনও এগোতে থাকেন মমতা।এই প্রবণতা অব্যাহত ছিল শেষ রাউন্ড গণনা পর্যন্ত। বিকেলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২০০ ভোটের ব্যবধানে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই আবার বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শুভেন্দু জিতেছেন নন্দীগ্রামে। কমিশনের পক্ষ থেকেও এমনটাই জানানো হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে তৃণমূল। মমতা জানান যে তিনি আদালতে যাবেন। যা নিয়ে এখনও জলঘোলা অব্যাহত। পুর্নগণনার আবেদন জানিয়েছে শাসকদল।অন্যদিকে, কমিশনের তরফে জয়ী তকমা পাওয়ার পর শুভেন্দু টুইটে লেখেন, আমার ওপর বিশ্বাস এবং ভরসা রাখার জন্য নন্দীগ্রামের প্রতিটি মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই জয় নন্দীগ্রামে প্রতিটি মানুষের জয়। আগামী দিনে নন্দীগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করাই আমার সংকল্প।

মে ০২, ২০২১
রাজ্য

বাংলা থাকল নিজের মেয়ের হাতেই

সেই এক পায়েই বাংলা দখল করে দেখালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট প্রচারের জনসভা থেকে এভাবেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙা পায়েই ময়দানে নেমেছিলেন জননেত্রী। কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের প্রচারের বিরুদ্ধে কার্যত একাই ২৯৪টি আসনে লড়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ওঠা গেরুয়া ঝড়কে বিধানসভা ভোটে একার নেতৃত্বে রুখে দিয়েছেন তিনি। সেই দীর্ঘ লড়াই আর আত্মত্যাগের আজ মধুর ফল পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপিকে অনেকখানি পিছনে ফেলে ম্যাজিক ফিগারের অনেক বেশি আসন নিয়ে আরও একবার বঙ্গে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করল মমতার তৃণমূল সরকার। দিদির কাছেই রইল বাংলা। একুশের নির্বাচনের আগে অদ্ভুত এক দলবদলের আবহ তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের ঘরভাঙা নিয়ে একটা সময় দলের অন্দরেও চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটাই যে বাংলার মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য যথেষ্ট ছিল, তা তৃতীয়বারের জন্য প্রমাণ করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। দলত্যাগীদের নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত হতে দেখা যায়নি তাঁকে। বরং বলে দিয়েছিলেন, যাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে না ভেবে, যাঁরা দীর্ঘ দশ বছর জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়েই লড়াই জিতবেন। এমনকী নিজের গড় ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার চ্যালেঞ্জও স্বেচ্ছায় নিয়েছিলেন। যে ভূমি আন্দোলন থেকে তৃণমূলের উত্থান হয়েছিল, সেই মাটিতেই জয়ের নয়া ইতিহাস গড়ার শপথ নিয়েছিলেন। বিজেপি প্রার্থী তথা পূর্ব মেদিনীপুরের ঘরের ছেলে শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, তাঁর পক্ষে অসম্ভব কিছুই নয়। দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে ইতিহাস গড়েছিলেন মমতা। ২০১৬ সালে সবুজ ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। সেই মমতা সাম্রাজ্যের পতন ঘটাতে এবার একের পর এক বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এসে বঙ্গে প্রচার করেছেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ১৮টি সভা করে গিয়েছেন। কিন্তু মমতার জনপ্রিয়তা, তাঁর প্রতি রাজ্যবাসীর বিশ্বাস, আস্থা-ভরসাকে টলাতে পারেননি শাহ-নাড্ডা-স্মৃতি ইরানিরা। কেন্দ্রীয় শক্তির চোখ রাঙানিকে কখনওই ভয় করেননি তিনি। বরং ভাঙা পা নিয়েই মিটিং-মিছিল, জনসভা চালিয়ে গিয়েছেন। দশ বছর পরও বিধানসভা ভোটে তিনিই ফ্যাক্টর, তা আজ স্পষ্ট হয়ে গেল। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যে ভারতীয় রাজনীতির সেরা নক্ষত্রদের মধ্যে অন্যতম, তা নিয়ে আর কোনও দ্বিধা রইল না।

মে ০২, ২০২১
কলকাতা

ভোটগণনার আগে ব্যাপক বোমাবাজি, উত্তপ্ত বেলেঘাটা

আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। কিছুক্ষণের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যাবে বাংলার দায়িত্ব যাচ্ছে কার হাতে, তৃণমূল না বিজেপি। তার আগে উত্তেজনা ছড়াল বেলেঘাটায়। বিজেপির বুথ এজেন্টের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কোচবিহার থেকে উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বেলেঘাটা ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক বুথ এজেন্টের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এরপর বাইকে ১০ থেকে ১২ জন যুবক বেলেঘাটা মেন রোড এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়। বোমাবাজি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেইসময় অভিযুক্তরা পুলিশের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। মারধরও করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দীর্ঘক্ষণ পর শান্ত হয় এলাকা। পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই বোমার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত। অন্যদিকে, ভোটগণনা শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে কোচবিহার মাথাভাঙ্গার পঞ্চানন মোড় এবং বাইশগুড়ি হাই স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর যায় পুলিশে। ইতিমধ্যেই বোমাটি উদ্ধার করা হয়েছে। বোমাবাজি হয়েছে বীরভূমের দুবরাজপুরে। এছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকে প্রকাশ্যে এসেছে অশান্তির খবর। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিশ।

মে ০২, ২০২১
রাজ্য

কড়া নিরাপত্তায় রাজ্যে শুরু হল গণনা

বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আট দফা ভোট শেষে এবার ফলপ্রকাশের পালা। ২৯২ টি আসনে শুরু ভোটগণনা। বাকি ২টি আসনের প্রার্থীর মৃত্য়ুতে সেখানে ভোট হয়নি। কোভিডবিধি মেনে, প্রত্যেক গণনাকর্মী, রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা কর তবেই কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় জেলার প্রশাসনিক ভবনগুলিতে শুরু হয়েছে ভোটের গণনা। মোতায়েন ২৪২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সকাল ৮.৪০: পোস্টাল ব্যালট গণনায় নন্দীগ্রামে এগিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। পুরুলিয়া, রঘুনাথপুরে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা। বাঘমুন্ডি আসনে এগিয়ে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী নেপাল মাহাতো। সকাল ৮.৩৬: দমদমে পিছিয়ে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী ব্রাত্য বসু। মানিকতলায় এগিয়ে সাধন পাণ্ডে। সকাল ৮.৩২: জামুড়িয়ায় এগিয়ে সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থী ঐশী ঘোষ। বারাকপুর, ভাটপাড়া, হাবড়া, বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণে এগিয়ে বিজেপি। সকাল ৮.২৮: পোস্টাল ব্যালট গণনায় হাসন, সুজাপুরে এগিয়ে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীরা।সকাল ৮.২০: দাঁতন, মুরারই, মঙ্গলকোট, খড়গপুর সদর, রানাঘাট দক্ষিণে এগিয়ে তৃণমূল। রানিগঞ্জ, কেশিয়াড়ি, চন্দ্রকোণা, আলিপুরদুয়ার, দিনহাটা, মাদারিহাটে এগিয়ে বিজেপি। সকাল ৮.১২: পোস্টাল ব্যালট গণনার শুরুতে ৬ আসনে এগিয়ে বিজেপি, ৩ আসনে এগিয়ে তৃণমূল। কেতুগ্রাম, আসানসোল উত্তর, সবং, নলহাটিতে এগিয়ে তৃণমূল, মেমারি, সিউড়ি, দুবরাজপুরে বিজেপি এগিয়ে। সকাল ৮.০৪: গণনার শুরুতেই পানিহাটিতে অসুস্থ কংগ্রেসের এজেন্ট। গরমে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। হাসপাতালে ভরতি করাতে হল। এই গণনাকেন্দ্রে কোভিড বিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। গণনা ঘিরে শুরুতেই গন্ডগোল। সকাল ৮: ভোটগণননা শুরু রাজ্যের ২৯২টি বিধানসভা কেন্দ্রে। ২ টি কেন্দ্রে ভোট হয়নি। প্রথম আধঘণ্টা পোস্টাল ব্যালটের গণনা। তারপর হবে ইভিএমের ভোটগণনা।

মে ০২, ২০২১
রাজ্য

অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষায় 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়'

আসল পরিবর্তন নাকি বাংলার নিজের মেয়ে। বাংলার নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল জানা যাবে আগামী ২ মে। কিন্তু তার আগে বুথ ফেরত সমীক্ষায় যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে তাতে তৃণমূল সমর্থকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতেই পারেন। অধিকাংশ সংস্থার বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখা যাচ্ছে, বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। আগের থেকে আসন সংখ্যা অনেকটা বাড়ালেও তৃণমূলকে গদিচ্যুত করতে পারছে না গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে বাম, কংগ্রেস, এবং আইএসএফের জোট কার্যত ধুলিস্যাত হয়ে যাচ্ছে। যদিও, সিএনএক্সের বুথ ফেরত সমীক্ষায় অন্য ফল দেখাচ্ছে। যদিও সবশেষে বলে রাখা দরকার, এগজিট পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষা কোনওভাবেই ভোটের ফলাফলকে প্রভাবিত করে না। এটা সম্ভাব্য ফলাফলের আভাসমাত্র। অতীতে বহুবার দেখা গিয়েছে এগজিট পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষার সঙ্গে আসল ফলাফল একেবারেই মেলেনি। সমস্ত সমীক্ষক সংস্থা এগজিট পোলের যে ফলাফল প্রকাশ করেছে, আসল ফলাফল তার উলটো হয়েছে। আবার এগজিট পোলের সঙ্গে আসল ফলাফল হুবহু মিলে গিয়েছে, এমন নজিরও কমবেশি আছে। টিভি নাইন-সি ভোটার- ১৪২-১৫২ (তৃণমূল), ১২৫-১৩৫ (বিজেপি), সংযুক্ত মোর্চা (১৬-২৬), অন্যান্য-০টাইমস নাও-সি ভোটার- ১৫৮ (তৃণমূল), ১১৫ (বিজেপি), ২২ (সংযুক্ত মোর্চা), অন্যান্য-০রিপাবলিক টিভি-সিএনএক্স- ১২৮-১৩৮ (তৃণমূল), ১৩৮-১৪৮ (বিজেপি), ১১-২১ (সংযুক্ত মোর্চা), অন্যান্য-০এবিপি নিউজ-সি ভোটার- ১৫২- ১৬৮ (তৃণমূল), ১০৯- ১২১ (বিজেপি), ১৪-২৫ (সংযুক্ত মোর্চা), অন্যান্য-০বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুজিত ঘোষের বক্তব্য, এরাজ্যে লোকসভা-২০১৯ নির্বাচনে অনেক সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্ট মুখ থুবড়ে পড়েছিল। গতবছর বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরও একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। অতএব ২ মে প্রকৃত ফল জানা যাবে। বিজেপি ভাল ফল করবে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব অনেকেই সমীক্ষার ওপর আশা রাখছেন।

এপ্রিল ২৯, ২০২১
রাজ্য

শহরে বোমাবাজি ও অশান্তির আবহে রাজ্যে শুরু ভোটগ্রহণ

বঙ্গে আজ শুরু হয়েছে অষ্টম তথা শেষ দফার ভোট। উত্তর কলকাতা-সহ মোট ৪ জেলার ৩৫ টি কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ পর্ব। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েটের ভাগ্য পরীক্ষা চলছে। এছাড়া পুনর্নির্বাচন কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নং বুথেও। নিরাপত্তায় মোতায়েন মোট ৭৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোভিডবিধি কড়াভাবে মেনেই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রদান করছেন ভোটাররা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই নানাবিধ অশান্তির আবহেই চলছে ভোটগ্রহণ।সকাল ৯.৩১: বোমাবাজি রবীন্দ্র সরণিতে। বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতের গাড়ি লক্ষ্য করে সরাসরি বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ। তাঁকে হত্যার চক্রান্ত চলছে, অভিযোগ প্রার্থীর। এর আগে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। সকাল ৯.২০: চৌরঙ্গির তৃণমূল প্রার্থী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুথে ঢুকতে বাধা কেন্দ্রীয় বাহিনীর। মেট্রোপলিটান স্কুলের বুথে ঢুকতে পারলেন না তিনি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসায় জড়ান তিনি।সকাল ৯: শীতলকুচিতে পুনর্নির্বাচনের দিনও উত্তেজনা। তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে পুলিশের বচসা। তিনি পুলিশকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে পার্থপ্রতিমের বক্তব্য, বিজেপি এখানে অশান্তির চেষ্টা করছে।সকাল ৮.৪৯: বীরভূমের নানুর বিধানসভার সিংগী গ্রামে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ, ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।সকাল ৮.৪৪: নানুরের সন্ত্রস্ত এলাকা বন্দর গ্রামে দীর্ঘক্ষণ পর ভোটগ্রহণ শুরু। ভোটারদের বাধাদানের অভিযোগ ঘিরে তৃণমূল-বিজেপির হাতাহাতি চরম আকার নেয়। শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শুরু হয় ভোট।সকাল ৮.১৪: ভোটের সকালে খাস কলকাতায় বোমাবাজি, মহাজাতি সদনের সামনে ২ টি বোমা ফেটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা, এলাকায় আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ।সকাল ৮.১১: কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অতীন ঘোষকে বুথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাকবিতন্ডায় না জড়িয়ে তিনি শান্তভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এজেন্টকে ডেকে বুথের খবরাখবর নেন তিনি। সকাল ৮.০৫: মানিকতলার ৫৬ নং বুথে বিজেপি এজেন্টকে হেনস্তা, পরিচয়পত্র ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কমিশনে অভিযোগ দায়ের।সকাল ৮: ময়ূরেশ্বরে ভোট শুরু হতেই উত্তেজনা। বাড়তি জমায়েত হঠাতে লাঠি হাতে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে নামল কেন্দ্রীয় বাহিনী।সকাল ৭.৪৮: ভোটের শুরুতেই বীরভূমের নানা জায়গায় রাজনৈতিক অশান্তি। এসবের মাঝে এদিন আরও নজরদারি বাড়ল অনুব্রত মণ্ডলের উপর। সকাল ৭.৪৪: বীরভূমের লাভপুরে হাতিয়া গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের সর্মথকেরা লাভপুর থানার পুলিশ নিয়ে এসে ভাঙচুর করে।সকাল ৭.৪০: বোলপুরের ১১৪ নং ওয়ার্ডে উত্তেজনা। বিজেপি কর্মীরা ভিড় করে বুথ জ্যাম করছেন, তৃণমূল সর্মথকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সকাল ৭.৩৫: মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় রাজনৈতিক অশান্তি। কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ হোসেনপুর এলাকা। সকাল ৭.৩০: নির্বিঘ্নে পুনর্নির্বাচন শুরু কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নং বুথে। গত ১০ তারিখ এখানে ভোট চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর আজ সেখানে আবার ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল ৭.২১: সাতসকালেই ভোটের লাইনে মিঠুন চক্রবর্তী। কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রের ভোটার তিনি। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সকলের উদ্দেশে মহাগুরুর বার্তা, ভালভাবে ভোট দিন, ওটা আপনার অধিকার।সকাল ৭.১১: ভোট শুরু হতেই বেলেঘাটায় জমায়েত ঘিরে বিশৃঙ্খলা। বুথের সামনে বাজার বসলে তা তুলে দেয় পুলিশ। তা নিয়েই বিক্রেতাদের সঙ্গে পুলিশের বচসা, উত্তেজনা। চলে লাঠিচার্জ, অশান্তি এড়াতে কয়েকজনকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ।সকাল ৭.০৮: বীরভূমের সিউড়ির সদাইপুর গ্রামে ২৮১ নং বুথে অশান্তি। অভিযোগ, বুথে পৌঁছনোর আগেই সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোটে বাধাদানের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুথের বাইরে বোমাবাজি চলে বলেও অভিযোগ। আতঙ্কিত ভোটাররা। সকাল ৭.০২: বীরভূমের মুরারইয়ে সাফুয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।সকাল ৬.৫৩: ভোট শুরুর আগে এন্টালি কেন্দ্রে উত্তেজনা। বিজেপি পোলিং এজেন্টকে বাধা, কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ। কাঠগড়ায় শাসকদল। এ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ দায়ের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের। পরে বাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। মধ্য কলকাতার এই কেন্দ্রে রয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। সকাল ৬.৫০: মালদহের ইংরেজবাজারে বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।সকাল ৬.৪৭: ভোটের সকাল থেকেই উত্তপ্ত অনুব্রতর গড়। বীরভূমের নানুরে ১৩১ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ।সকাল ৬.৩৮: মালদহের সুজাপুরে ভোট শুরুর আগেই উত্তেজনা। তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে।সকাল ৬.৩০: বীরভূমের একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বেলডি গ্রামের ঘটনায় অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।সকাল ৬.২০: ভোটের আগের রাতে ব্যাপক বোমাবাজি নানুরে।

এপ্রিল ২৯, ২০২১
কলকাতা

ভোটের সকালে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে বোমাবাজি

নির্বাচন অশান্তির আশঙ্কায় শহর কলকাতার নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। মোতায়েন করা হয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও। কিন্তু তা সত্ত্বেও অশান্তি এড়ানো গেল না। সাতসকালে ভোট শুরু হতে না হতেই বোমাবাজির ঘটনা ঘটল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মহাজাতি সদনের সামনে। আর তার জেরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের অন্তর্গত এই এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আতঙ্কিত ভোটারদের সাহস জোগান তাঁরা। ওয়াকিবহাল মহলের মত, কলকাতায় ভোটের দিন এমন ঘটনা নজিরবিহীন।জানা গিয়েছে, সকাল ৭.৫০ নাগাদ আচমকাই প্রবল শব্দে কেঁপে ওঠে মহাজাতি সদনের সামনের ফুটপাথ। সেখানে কয়েকজন তখনও ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। তাঁরা জানিয়েছেন, ২ টি বোমা ফেটেছে। চারিদিকে পড়ে রয়েছে তার খণ্ডাংশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। পৌঁছে যান জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্তা। তিনি চারদিক খতিয়ে দেখেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, চলন্ত গাড়ি থেকে বোমা ছোঁড়া হয়েছে। স্প্লিন্টার জাতীয় কিছু ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। তা সত্ত্বেও ভোটের সকালেই সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মতো এলাকায় এ ধরনের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে।জোড়াসাঁকোর বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতের অভিযোগ, এই সময় তাঁর ওই এলাকায় যাওয়ার কথা ছিল। তাঁকে বাধা দিতেই এই বোমাবাজি করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূলকেই। পাশাপাশি জানিয়েছেন, এসব বাধা উপেক্ষা করেই তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন। এ নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। আতঙ্কিত সাধারণ ভোটাররা। তবে তাঁদের সাহস জোগাতে এলাকায় মোতায়েন বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনার খবর পেয়েই রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তার সন্ধানে নেমেছে পুলিশ।

এপ্রিল ২৯, ২০২১
রাজ্য

আজ শেষ দফার নির্বাচন, বিশেষ নজর উত্তর কলকাতায়

শেষ দফার ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। শেষ দফায় ভোট রয়েছে উত্তর কলকাতায়। কলকাতা উত্তরে যে কোনও ধরণের অশান্তি রুখতে কড়া প্রশাসন। ভোটের অশান্তি রুখতে সেখানে মোতায়েন থাকছে ১০৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী । রাখা হয়েছে ৪০ নাকা চেকিং পয়েন্ট। বহিরাগতরা এসে যাতে কোনও অশান্তি পাকাতে না পারে তার জন্যে থাকছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ নজর।উত্তর কলকাতার ২৯ টি থানা এলাকায় ভোটকেন্দ্র থাকছে ৫৪৭টি। বুথ থাকছে ২০৮৩টি। উত্তর কলকাতার ৭ বিধানসভাকে ভাগ করা হয়েছে ৯৮ সেক্টরে। আর গোটা এলাকা জুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকার পাশাপাশি থাকছে ৬ হাজার কলকাতা পুলিশ। যে সব জায়গা সংবেদনশীল, উত্তেজনাপ্রবণ সেই সব জায়গায় বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। মোট ২১ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক থাকবেন দায়িত্বে।রাস্তায় থাকবেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররাও। উত্তর কলকাতার জন্যে থাকছে ৮৭ আর টি ভ্যান। ২৯ হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড, ৯০ কুইক রেসপন্স টিম, থাকছে প্রায় ১০০০ বাইক। বিশেষ বাহিনীর প্রায় ১০০ টহলদারি গাড়িও থাকছে। এছাড়া গঙ্গার প্রতিটি ঘাটে নজর রাখবে জল পুলিশ। হাওড়া ব্রিজেও থাকছে নাকা চেকিং পয়েন্ট।যে ভোটকেন্দ্রে থাকবে ১টি বুথ, সেখানে হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। যেখানে দুটি ও চারটি বুথে থাকবে সেখানে দুই সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী, যেখানে নটি বুথে থাকবে, সেখানে থাকবে ৩ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী। উত্তর কলকাতার যে সব জায়গা নজরে রাখা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম কাশীপুর-বেলগাছিয়া। কারণ, এখানে লাগাতার রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়েই চলেছে বেশ কয়েকদিন ধরে। নজর রয়েছে বেলেঘাটার দিকেও। নজরে রয়েছে ট্যাংরা, তপসিয়া, মাঠপুকুর, এন্টালি-সহ বেশ কিছু জায়গা। এছাড়া শিয়ালদা ও বউবাজারের বেশ কিছু হোটেলে চলছে নজরদারি। বড়বাজার, এসপ্ল্যানেড এলাকার গেস্ট হাউজ, হোটেলেও নজরদারি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

এপ্রিল ২৯, ২০২১
রাজ্য

দিনভর লুকোচুরি, কমিশনকেই দুষলেন অনুব্রত

রাত পোহালেই রাজ্যে অষ্টম তথা শেষ দফার নির্বাচন। বীরভূম-সহ মোট চার জেলার ৩৫টি আসনে ভোট। তবে ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে খবরের শিরোনামে রইলেন সেই বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। নির্বাচন কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে বেলা ১২টা থেকে ঘুরে বেড়ালেন নানুর এবং সেই সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা। শেষপর্যন্ত অবশ্য তারাপীঠের মন্দিরে তাঁর হদিশ মেলে। কিন্তু এজন্য যে তিনি দায়ী নন, পুরো দোষটাই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের, বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেকথাই বললেন বীরভূমের কেষ্ট।সন্ধ্যেবেলা সাংবাদিক সম্মেলনে এভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে অনুব্রতকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমার দোষ কোথায়? এটা তো যাঁরা আমি আমাকে খুঁজে পায়নি, তাঁদের দোষ। আমি কি করব? আমি তারাপীঠে পুজো দিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। শেষপর্যন্ত জেলাশাসক ফোন করলেন। আমি বললাম কোথায় আপনার লোক? উনি বললেন, যাচ্ছে যাচ্ছে। একটু দাঁড়ান। আমি যদি চলে যেতাম তাহলে আমাকে ধরতেই পারত না। আমিই অপেক্ষা করলাম।এরপরই নির্বাচন কমিশনের কাঠগড়ায় তুলে তাঁর মন্তব্য, বীরভূমে নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে পুলিশ প্রকৃত অপরাধীদের ছেড়ে সাধারণ লোককে, আমাদের সমর্থকদের থানায় ডেকে পাঠাচ্ছে। আমি চাই শান্তিপূর্ণ ভোট হোক। এখানে একজন আসামী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরছে অথচ তাকে ধরছে না। আমাকে প্রতিবারই নজরবন্দি করে। তাতে আমি কিছু মনে করি না। কিন্তু এইভাবে সাধারণ লোককে হেনস্তা করছে সেটা খারাপ লাগছে। আর কদিনই বা করবে। ২ তারিখের পর তো আর পারবে না। আগামীকাল খেলা হবে। তবে কীভাবে খেলব সেটা বলব না। খেলা মানে তো ঝগড়া মারামারি নয়। ভালোভাবেও তো খেলা যায়।

এপ্রিল ২৮, ২০২১
দেশ

ভ্যাকসিনের ২ টি ডোজ না-নিলে গণনাকেন্দ্রে প্রার্থীকে প্রবেশাধিকার নয়: কমিশন

করোনা সংক্রমণের আবহে নতুন নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। বুধবার তারা জানিয়েছে, প্রার্থীদের যদি টিকার ২টি ডোজ না নেওয়া থাকে, তবে গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না তাঁরা। দেখাতে হবে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও। গণনার ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে প্রার্থীদের। কমিশন জানিয়েছে, দেশে বাড়তে থাকা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এই কোভিড-নির্দেশিকা।রবিবার, ২ মে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ৪ রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট গণনা। এদিকে দেশে আঠারোর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হবে ১ মে থেকে। পশ্চিমবঙ্গে আবার তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হবে ৫ মে। কমিশনের এই নির্দেশে তাই প্রশ্ন উঠেছে ৪৫ বছরের কমবয়সি প্রার্থীদের গণনা কেন্দ্রে প্রবেশাধিকারের ব্যাপারেও। যে সব প্রার্থী এখনও টিকা নিতে পারেননি, তাঁরা কী করবেন।এর আগে মঙ্গলবারই দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে বাংলা, তামিলনাড়ু, কেরল, অসম এবং পুদুচেরিতে জয়ের উদযাপনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। বুধবার নতুন নির্দেশিকায় তারা জানিয়েছে, প্রার্থী এবং তাঁদের এজেন্টরা আরটি-পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখালে তবেই গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।এই রিপোর্ট কোনওভাবেই ৪৮ ঘণ্টার বেশি পুরনো হলে চলবে না। তবে আরটি-পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্টের রিপোর্টও গ্রাহ্য হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এ ছাড়া প্রার্থীদের বলা হয়েছে, তাঁদের গণনা এজেন্টের তালিকাও গণনার তিন দিন আগে পেশ করতে হবে।বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে অষ্টম ও শেষ দফার ভোট। ৪ জেলা মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং কলকাতায় ৩৫ টি কেন্দ্রে ভোট হবে। ৪ রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমেই ভোট হয়েছে একাধিক দফায়। অসমে ৩ দফায় ভোট শেষ হলেও বাংলায় ৮ দফায় ভোটের ঘোষণা করে কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ইতিমধ্যেই সমালোচনা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, মাদ্রাজ হাইকোর্টও জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর দায় এড়িয়ে যেতে পারে না কমিশন। এ ব্যাপারে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট।

এপ্রিল ২৮, ২০২১
রাজ্য

শেষ দফাতেও মোতায়েন ৭৫৩ কোম্পানি বাহিনী

কোভিড আতঙ্ক ক্রমেই গ্রাস করছে। এর মধ্যেই আগামী বৃহস্পতিবার শেষ দফার ভোট। গত দুই দফার মত এবারও ঝামেলা, অশান্তি এড়াতে নির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের অতি সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। এই দফাতেও বাহিনী মোতায়েনে কোন ফাঁক রাখা হচ্ছে না।কমিশন সূত্রে খবর, এই দফায় মোট ৭৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট রয়েছে বীরভূম, কলকাতা উত্তর, মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলায়। এরমধ্যে ২২৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বীরভূম জেলায়, কলকাতা উত্তরে ৯৫ কোম্পানি, মালদায় মোতায়েন থাকবে ১১০ কোম্পানি আধাসেনা, মুর্শিদাবাদের জন্য রাখা হচ্ছে ২১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট পরিচালনার জন্য বুথের দায়িত্বে থাকবে মোট ৬৪১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাকি ১১২ কোম্পানি ভোটের অন্যান্য কাজের মোতায়েন থাকবে। এবারের ভোট পর্বে মোট ১০৭১ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে এসেছিল। যার মধ্যে ৭৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়ে গিয়েছে। বাকি ৩১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ইতিমধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।শেষ দফায় ২৮৩ জন প্রার্থী ৩৫টি বিধানসভা আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মোট বুথের সংখ্যা ১১ হাজার ৮৬০। সব কটি বুথ স্যানিটাইজার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভোটের দিন কোভিড বিধি মানতে জেলা গুলিকে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রথম সাত দফার নির্বাচনেও মূলত কমিশনের উপরই ভরসা রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। আর তাতে কমবেশি সাফল্যও এসেছে। বিশেষ করে সপ্তম দফায় মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাতেও লেটার মার্কস পেয়ে উতরে গিয়েছে কমিশন। শেষ দফাতেও মালদহ, মুর্শিদাবাদে ভোট। সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে বীরভূম। সাম্প্রতিক অতীতে এই জেলায় ভোটে অশান্তির নজির আছে। শেষ দফাতেও সেই ভাবেই ভোট করানোর টার্গেট নিয়েছে কমিশন।

এপ্রিল ২৮, ২০২১
রাজ্য

বীরভূমের ভোটের আগে ফের নজরবন্দি অনুব্রত

ভোটের আগে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ফের নজরবন্দি করল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টা পর্যন্ত কমিশনের নজরবন্দি তিনি। কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আইনি পথে হাঁটতে পারেন দাপুটে তৃণমূল নেতা ।অষ্টম দফায় অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল বীরভূমে ভোটগ্রহণ। তার আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সেই জেলার দাপুটে তৃণমূল নেতার উপর কড়া নজর রাখবে কমিশন। ভোটের মরশুমে এত দীর্ঘ সময় কোনও রাজনৈতিক নেতাকে নজরবন্দি করে রাখা নিঃসন্দেহে বেনজির সিদ্ধান্ত বলে দাবি করছে ওয়াকিবহাল মহল। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। তবে সেটা ছিল শুধুমাত্র ভোটের দিন। যদিও তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সেবারের ভোটের সময়ে খোশমেজাজেই ছিলেন তিনি। কোথায় কেমন ভোট হচ্ছে, দিনভর সেই তথ্য নিজের নখদর্পণে রেখেছিলেন তিনি। এবারও ভোটের আগে থেকেই অনুব্রতকে নজরবন্দি করল কমিশন। যদিও কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচলিত নন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর কথায়, এটা তো কমিশনের রুটিন কাজ। প্রতিবারই করে। তবু খেলা হবে। ভয়ঙ্কর খেলা হবে। প্রয়োজনে সিআরপিএফের পায়ে বল দিয়ে দেব, ওঁরা খেলবে। কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, এবার অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ হলে ও আদালতে যাবে। এদিন নেত্রীর কথা মনে করিয়ে অনুব্রত বলেন, আমি এবার কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে যাব।প্রসঙ্গত, এবার কমিশনের কড়া নজরে রয়েছে বীরভূম। ভোটের সময় জেলার পুলিশ সুপার করে পাঠানো হয়েছে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ভোটের দিন কয়েক আগেই তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে নোটিস পাঠিয়েছিল আয়কর দপ্তর। এমনকী, গোরুপাচার মামলায় তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআইও। যদিও কোভিড পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। এর পরই প্রকাশ্যে এল নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশিকা।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
রাজ্য

২ মে-র বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের

দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মহামারি আবহে দেশের পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এহেন পরিস্থিতিতে ২ মে ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।২ মে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পুদুচেরি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে করোনা আবহেও বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলি যে জয়ের উল্লাসে হাজার হাজার সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়বে সেই আশঙ্কা ছিল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২ মে ভোটগণনার সময় ও পরে কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় বিধানসভা ভোট করানো নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কমিশন। আগামী ২৯ এপ্রিল বাংলায় অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফার ভোট। কিন্তু সংক্রমণের গ্রাফ বিপজ্জনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রার্থীদের প্রচারে কাটছাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন।উল্লেখ্য, করোনাকালে দেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সোমবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। ফলে রীতিমতো চাপ বেড়েছে কমিশনের উপর। আর তার ফলেই এবার বিজয় মিছিলে রাশ টানা হয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
রাজ্য

২ মে-র বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা কমিশনের

দেশজুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। মহামারি আবহে দেশের পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এহেন পরিস্থিতিতে ২ মে ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন।২ মে কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও পুদুচেরি বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে করোনা আবহেও বিজয়ী রাজনৈতিক দলগুলি যে জয়ের উল্লাসে হাজার হাজার সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়বে সেই আশঙ্কা ছিল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল কমিশন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ২ মে ভোটগণনার সময় ও পরে কোনও বিজয় মিছিল করা যাবে না। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় বিধানসভা ভোট করানো নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কমিশন। আগামী ২৯ এপ্রিল বাংলায় অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফার ভোট। কিন্তু সংক্রমণের গ্রাফ বিপজ্জনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রার্থীদের প্রচারে কাটছাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন।উল্লেখ্য, করোনাকালে দেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সোমবার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। ফলে রীতিমতো চাপ বেড়েছে কমিশনের উপর। আর তার ফলেই এবার বিজয় মিছিলে রাশ টানা হয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।

এপ্রিল ২৭, ২০২১
রাজ্য

কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় শান্তির সপ্তম দফা

বড় কোনও অপ্রিতীকর ঘটনা ছাড়াই প্রায় শান্তিপূর্ণভাবে রাজ্যে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে।তবে বিভিন্ন জেলা থেকে ভোট ঘিরে দিনভর বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির ছবি সামনে এসেছে।সপ্তম দফার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।ভোট শেষের পর রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানিয়েছেন, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোটের হার পাঁচ জেলায় গড়ে ৭৫.০৫ শতাংশ। এই দফায় বিশেষ কোনও হিংসার ঘটনা নেই বলে জানিয়েছে কমিশন। হিংসা ছড়ানোর আশঙ্কায় আগে থেকেই ৭৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও ১৪৪ ধারা ভঙ্গের জন্য ১১ জন ও অন্যান্য নির্দিষ্ট কেসের ভিত্তিতে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।দিনভর ছোট ছোট কিছু হিংসার ঘটনা ঘটলেও এদিন ভোট পর্বের শেষলগ্নে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদার মালতিপুর।সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মীকে মারধর এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের বুথ এজেন্টকে মারধরের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয় প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের মহিলা কর্মী-সমর্থকদের।কলকাতা বন্দরের গার্ডেনরিচেও ভোটের শেষ লগ্নে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস সংঘর্ষ লাগাতার ইটবৃষ্টিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। বিরাট বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মাঝেরহাটে কলকাতা বন্দরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফিরহাদ হাকিমকে ঘিরে বিজেপি সমর্থকদের জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়।মালদার চাঁচলে ভোট দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূল সমর্থক হিসাবে পরিচিত দম্পতির উপর ব্লেড দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে কমগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে নির্বাচন কমিশন অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর জানিয়েছে এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।কলকাতার বেকবাগান, বেনিয়াপুকুর এলাকাতে দুপুরে বেআইনি জমায়েতে হঠাৎ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর অভিযানকে ঘিরে কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায়। হবিবপুরে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ বাহিনীর বিরুদ্ধে। বুথের মধ্যে শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাসবিহারীর বিজেপি প্রার্থী সুব্রত সাহার এজেন্টকে আটক করেছে নিউ আলিপুর থানার পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার বিজেপি এজেন্টের দাবি তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রে ভোট ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি বাধে। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে৷মুর্শিদাবাদের রানীনগরে দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বাড়ি ভাঙার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দলের জেলা সভাপতি আবু তাহের। পাণ্ডবেশ্বরে বিজেপি প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে।মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের ৮৩ নং বুথের কিছুটা দূরে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। মারধরে ওই নেতার হাত ও ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। ফরাক্কাতেওয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে বেধড়ক মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ও ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। দুর্গাপুর পূর্বের মলানদিঘিতে ভোটদাতাদের মধ্যে খাবার বিলির অভিযোগকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
দেশ

'এতদিন অন্য গ্রহে ছিলেন?', কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা মাদ্রাজ হাইকোর্টের

করোনাকালে ভোট। আর সেই সময়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মাদ্রাজ হাইকোর্ট। সোমবার কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, মহামারির দিকে নজর রেখে যথাযথ পদক্ষেপ না করলে গণনা বন্ধ করতে বাধ্য হবে আদালত। এছাড়া, কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।দেশজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ। দেশে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৯৫ হাজার। প্রতিদিনই নয়া নজির গড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লক্ষের গণ্ডি ছাপিয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের চারটি রাজ্যে ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় বিধানসভা নির্বাচন। অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরিতে গত ৬ এপ্রিল নির্বাচন শেষ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আটদফা ভোট চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মিছিলে তুমুল জনসমাগম থেকেই সংক্রমণের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য মূলত নির্বাচন কমিশন দায়ী। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত। যখন রাজনৈতিক মিছিল হচ্ছিল তখন কি অন্য গ্রহে ছিল কমিশন। করোনা বিধি মেনে ভোটগণনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে কমিশনে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি।তাঁর সাফ কথা, করোনা বিধি মেনে পদক্ষেপ করা না হলে গণনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে আদালত। এদিকে, আদালতের পর্যবেক্ষণকে সমর্থন জানিয়ে করোনা সংক্রমণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এর আগে করোনা বিধি লঙ্ঘন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনার মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণণ জানিয়েছিলেন, মহামারি পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সার্কুলার দিয়ে জনগণকে সতর্ক করে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না কমিশন। আদালতের মতে, নিজেদের ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করেনি কমিশন। এ প্রসঙ্গে আদালত আরও বলে, নির্বাচন কমিশন অসীম ক্ষমতার অধিকারী।কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়নি। কমিশনের আধিকারিক ও কুইক রেসপন্স টিমকে কাজে লাগানো হচ্ছে না।

এপ্রিল ২৬, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • ...
  • 23
  • 24
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal