• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ED

দেশ

বাংলাদেশি অনুপ্রেবেশকারি সন্দেহে ব্যাঙ্গালোরে গ্রেপ্তার বর্ধমানের দম্পতি ও শিশুর মুক্তি দাবিতে ভাইফোঁটার দিন অভিনব কর্মসূচী বাংলাপক্ষর

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের দম্পতি পলাশ অধিকারী, তার স্ত্রী শুক্লা অধিকারী ও তাদের দেড় বছরের পুত্র আদিকে গত ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সালে বাংলাদেশী তকমা লাগিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ব্যাঙ্গালোর পুলিস। FOREIGNERS ORDER ACT, 1948 (U/s-7(2)); FOREIGNERS ACT, 1946 (U/s-14 (B)) ধারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সুত্রে জানা গেছে। পলাশ ও শুক্লা পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর বিধানসভা অন্তর্গত জৌগ্রামের বাসিন্দা। বাংলা পক্ষের শীর্ষ পারিষদ কৌশিক মাইতি জানান, বিজেপি শাসনাধীন কর্ণাটক সরকার বাঙালির উপর আক্রমণ করেই চলেছে ক্রমাগত। এর আগে বাঙালির বস্তি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। নানা সময় নানা বাঙালিকে বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাংলা পক্ষ পলাশ, শুক্লা অধিকারী ও তাঁদের শিশু পুত্রের মুক্তির দাবিতে ভাইফোঁটার দিন কলকাতার রানুছায়া মঞ্চে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচী করল। এইদিন তাঁরা প্রতীকি ভাইফোঁটার আয়োজন করে। ভাইফোঁটার বিশেষ আয়োজনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বসত এক প্লেট মিষ্টি। কিন্তু আজকের এই আয়োজনে প্লেটে কোনও মিষ্টি ছিলো না, কপালে ভাইফোঁটা ছিলো না, কারণ হিসেবে তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ধমানের বাঙালি বোন বাঙালি হওয়ার জন্য ব্যাঙ্গালোরের জেলে বন্দী, সেই বোন শুক্লা অধিকারী আজকের দিন জেলে থাকায় তাঁর ভাইয়েদের ফোঁটা দিতে পারেননি। এই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা জেলার সম্পাদক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমরা বাঙালি ভাইবোনদের ব্যাঙ্গালোরের জেল থেকে মুক্ত করে আনবোই। বাঙালি হওয়া কি অপরাধ? বাঙালিকে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করা হচ্ছে নানা বিজেপি শাসিত রাজ্যে। আজকের এই পুণ্য ভাইফোঁটার দিনে আমাদের বোন শুক্লা ব্যাঙ্গালোরের জেলে বন্দি৷ আমরা ওদের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়বো। বাংলার সমস্ত চাকরি-কাজ- ব্যবসা দখল করছে বহিরাগতরা, বঞ্চিত হচ্ছে বাঙালিরা। বাধ্য হয়ে তারা অন্য রাজ্যে কাজে যাচ্ছে। তাই যাতে আর বাঙালিকে বাইরে কাজে যেতে না, বেসরকারি চাকরি- ঠিকা কাজ- টেন্ডারে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ সময়ের দাবি। আমরা সেই জন্যও লড়ছি।তিনি আরও জানান, বাংলা পক্ষ ঐ পরিবারের পাশে আছে, আমরা তাদের বাড়িও গেছিলাম, তাদের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। স্থানীয় বিধায়ক অলোক মাঝি ও বাংলার প্রশাসনের সাথেও কথা বলেছে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষ ব্যাঙ্গালোরের পুলিস কমিশনারকে ইমেল করেছে, তাদের যাতে জেল থেকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়।গর্গ চট্টোপাধ্যায় জানান, পরিবারের থেকে আমরা একটা ভয়ংকর কথা জানতে পারি, ওনাদের আইনজীবী আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড জমা দিলেও জমির দলিলের ইংরেজি ভার্সান জমা দিতে বলা হয়েছে। বাংলা পক্ষ এই তিন বাঙালির মুক্তির জন্য ব্যাঙ্গালোরে নানা বাঙালি সংগঠন ও আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছে। বাংলার বাইরে মূলত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোয় হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বাঙালিকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী তকমা লাগিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাংলা পক্ষ এই সভা থেকে দাবী তোলে, ভারতে বাঙালি হিসাবে জন্মানো কি অপরাধ? তিনি আরও জানান, এর একটা বড় সমাধান, বাংলায় সমস্ত বেসরকারি চাকরি, ঠিকা কাজে ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চাই। তাহলে বাংলার বাঙালিকে কাজের জন্য আর বাইরে যেতে হবে না।

অক্টোবর ২৭, ২০২২
রাজ্য

অনাথ কচি কাঁচাদের সাথে ভাইফোঁটা সারলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র

বাঙালির এই বিশেষ দিনে যখন সবাই পরিবারের নিজেদের নিয়ে আনন্দে মাতোয়ারা, ঠিক সেই সময় বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দিনটা কাটালেন অনাথ কচি কাঁচাদের সাথে। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের এক অনাথ আশ্রমের শিশুদের পাশে নিয়ে ভাইফোঁটায় অংশ নিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের নীলপুরের ব্লাইণ্ড একাডেমিতে প্রতিবছরের মত এবারও ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়। সেখানে নিজের শিশুকন্যাকে নিয়ে উপস্থিত হন দেবু টুডু। তিনি বলেন, আনন্দের দিনে অনাথ শিশুদের সঙ্গে নিয়ে সব কিছু ভাগ করে নিতেই তো প্রতিবছর হাজির হই ব্লাইণ্ড একাডেমিতে। তিনি আরও জানান, এবার নিজের সন্তানকেও তিনি এই আন্নন্দে সামিল করতে নিয়ে এসেছেন।ব্লাইণ্ড একাডেমির দায়িত্বে থাকা রায় চাঁদ সুরানা বলেন,আমাদের কোন নেশা নেই। এই বাচ্চাগুলোই আমার কাছে নেশা ও ভালোবাসা। ভাইফোঁটার আয়োজনে কোন খামতি ছিল না। নানার মিষ্টি, লুচি সবই ছিল থালায় সাজানো। বাচ্চারাও খুব খুশি আজকের বিশেষ দিনে।

অক্টোবর ২৭, ২০২২
দেশ

শ্রমিকের কাজে ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে ভিনদেশি অভিযোগে শিশু সন্তান সহ আটক বাঙালি দম্পতি, মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন পরিবার

শ্রমিকের কাজ করতে ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে ভয়ানক পরিণতির শিকার হয়েছেন পশ্চিম বঙ্গের বাসিন্দা এক দম্পতি। রেহাই পায়নি তাঁদের দেড়বছর বয়সী শিশুপুত্রও। বাংলাভাষী এই দম্পতিকে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর পুলিশ জেলে পাঠিয়েছে। প্রায় তিন মাস ধরে শিশু পুত্র আদিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের জেলে দিন কাটাচ্ছেন দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী। তাঁদের বাবা-মা ব্যাঙ্গালোরে গিয়ে সেখানকার পুলিশকে ছেলে ও বৌমার ভারতীয় নাগরিকত্বের সমস্ত প্রমাণ পত্র দেখান। কিন্তু তাতেও লাভ কিছু হয় নি। এই পরিস্থিতিতে ছেলে, বৌমা ও নাতির ব্যাঙ্গালোরের জেল থেকে মুক্তির জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন অসহায় বাবা মা।দম্পতি পলাশ অধিকারী ও শুক্লা অধিকারী পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জৌগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। সেখানে রয়েছে তাঁদের টিনের চালার দুকুঠুরি ভাঙাচোরা বাড়ি। ওই বাড়ি দেখলে যে কেউ বুঝে যাবেন দারিদ্রতাই অধিকারী পরিবারের নিত্যদিনের সঙ্গী। পলাশদের মতোই তাদের প্রতিবেশীরাও অত্যন্ত দরিদ্র। মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুই শুধুমাত্র তাদের সম্বল। তাদের বেশিরভাগ দিন মজুরির কাজ করে অন্নের সংস্থান করেন। বাকিদের কেউ বালাপোশ তৈরি, আবার কেউ বিড়ি বাঁধার কাজ করে উপার্জন করেন।এমনই এক গ্রামের ছেলে পলাশ রোজগারের আশায় স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে যায়। কিন্তু রোজগার তো দূরের কথা ,উল্টে সেখানে তাঁদের পরিণতি হয়েছে ভয়ংকর। যা জেনে স্তম্ভিত তেলে গ্রামের বাসিন্দারা ও জনপ্রতিনিধিরা।তেলে গ্রামেই বসবাস করেন পলাশ অধিকারীর আত্মীয় পিন্টু হাওলাদার । তিনি জানান,শ্রমিকের কাজ করার জন্য চলতি বছরের জুন মাসে শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পলাশ তাঁর স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরে যায়। একই উদ্দেশ্যে পলাশের বাবা পঙ্কজ অধিকারী, মা সবিতাদেবী ও প্রতিবেশী সুনীল অধিকারীও ব্যাঙ্গালোরে যান। সেখানকার মারাথাহাল্লি (Marathahalli) মহকুমার ভারথুর (Varthur) থানার সুলিবেলে (Sulibela) গ্রামের কায়েন খাঁনের ডেরায় তারা ওঠে। সেখানে দৈনিক ৩০০-৪০০ টাকা মজুরির শর্তে তারা কায়েন খাঁনের অধীনে কাজ করা শুরু করেন। তাদের কাজ ছিল হোটেল, রেঁস্তোরা, সিনেমা হল সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগৃহীত বর্জ্যবস্তু, বোতল, প্লাস্টিক সরঞ্জাম ইত্যাদি বাছাই করা। পিন্টু হাওলাদার বলেন,সেখানে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। হঠাৎ করেই গত ২৭ জুলাই ভারথুর (Varthur) থানার পুলিশ কায়েন খাঁনের ডেরায় হানা দেয়। সেখানে যাঁরা যাঁরা বাংলাভাষী ছিল তারা সবাই নাকি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী, এমন সন্দেহে ভারথুর থানার পুলিশ তাদের ও আরো পাঁচ জনকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যায়। ওইসময়ে পলাশ, তাঁর স্ত্রী,বাবা-মা ও প্রতিবেশী সুনীল অধিকারী সহ সবাই ভারথুর থানার পুলিশ কে জানান তাঁরা কেউই বাংলাদেশী নন। তাঁরা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে জানিয়ে নিজের নিজের আধার কার্ড,প্যান কার্ড,ভোটার কার্ড দেখান। সেইসব দেখে সেখানকার পুলিশ পলাশের বৃদ্ধ বাবা,মা ও প্রতিবেশীকে ছেড়ে দিলেও পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশুপুত্র সহ সাতজনকে আটকে রাখে। ভারথুর থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে প্রায় তিন মাস হয়ে গেল শিশু পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে পলাশ ও তাঁর স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরের জেলেই দিন কাটাচ্ছে বলে পিন্টু হাওলাদার জানিয়েছেন।সুনীল অধিকারী বলেন, আমিও রোজগারের আশায় পলাশদের সঙ্গেই ব্যাঙ্গালোরে যাই। সেখানেভারথুর থানার পুলিশ আমাকেও সন্দেহে ধরে। ওখানকার পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা বলার ক্ষেত্রে ভাষাগত সমস্যা হচ্ছিল। ওরা আমাদের কথা যেমন বুঝতে পারছিল না, তেমনই আমরাও ওদের কথা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। তবুও আমি, পলাশের বাবা- মা ও পলাশ বাংলা ভাষাতেই ভারথুর থানার পুলিশকে বারেবারে বলে যাই আমরা ভারতীয়,পশ্চিমবাংলার বর্ধমানের বাসিন্দ। তেলে গ্রামে থাকা আমার স্ত্রীর ফোন নম্বর ওরা চাইলে সেটাও আমি দিয়ে দিই। এর পর ওরা কি বুঝলো জানিনা। আমাকে এবং পালাশের বাবা ও মাকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে পলাশ এবং তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে ছাড়ে নি। মিথ্যা অভিযোগে তদের জেলে পাঠিয়ে দেয়।সুনীলবাবু আরও জানান, এইসব দেখে তাঁর মনে হয় বাঙালিদের ব্যাঙ্গালোর কাজ করতে যাওয়া খুব একটা নিরাপদের নয়। তাই ওই ঘটনার আট দিন বাদে ট্রেনের টিকিট কেটে তিনি তেলে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন। হুগলীর বৈঁচিগ্রামের বাসিন্দা পলাশের আত্মীয় সুজন হালদার বলেন, পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের এমন করুণ পরিণতির কথা জেনে তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যাঙ্গালোরে যান। কিন্তু কোন ভাবেই কিছু সুরাহা করতে পারছেন না। যে আইনজীবীকে নিযুক্ত করেছেন তার কাছ থেকেও আশানুরূপ সহযোগীতা পাচ্ছেন না। সুজন হালদার দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর জন্য কেন্দ্র পশ্চিম বাংলায় সিএএ (CAA), এনআরসি (NRC) লাগু করতে পারেনি। তবে তাঁর মনে হচ্ছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটক সরকার অলিখিত ভাবে সিএএ, এনআরসি কার্যকর করে যাকে পাচ্ছে তাকে বিদেশী বলে জেলে ভরে দিচ্ছে। একই অভিযোগ করেছেন তেলে গ্রামের বাসিন্দা জৌগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কৃষ্ণা সরকার। পলাশের বাবা ও মা বলেন, ছেলে, বৌমা ও নাতিকে ব্যাঙ্গালোরের জেল থেকে ছাড়াতে এখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তাঁদের একমাত্র ভরসা। তাঁরা মমতা ব্যানার্জীর হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন।বিডিও ( জামালপুর ) শুভঙ্কর মজুমদার টেলিফোনে বলেন, এমন একটা ঘটনার কথা আমি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনকে ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। এসডিও (বর্ধমান দক্ষিণ) বিষয়টি দেখছেন। জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলোক মাঝি টেলিফোনে বলেন,পলাশ অধিকারী ও তাঁর পরিবার আমার বিধানসভা এলাকার তেলে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার। ভারতীয় নাগরিকত্বের সমস্ত প্রামাণপত্রও তাদের রয়েছে। তা সত্ত্বেও কোন যুক্তিতে ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ পলাশ এবং তাঁর স্ত্রী ও শিশু পুত্রকে কি অভিযোগে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরে রেখেছে সেটাই আশ্চর্য্যের। আলোক মাঝি জানান,কালি পুজো মিটলেই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে জেলা জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন

অক্টোবর ২৫, ২০২২
রাজনীতি

বিজেপি সাংসদ স্বামীকে মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে বলে কটাক্ষ তৃণমূল নেত্রী স্ত্রীর

সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে নিয়ে সরব হলেন তার প্রাক্তন স্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় বর্ধমানের মেহেদী বাগানে একটি কালী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল। তিনি বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ তথা তথা তার প্রাক্তন স্বামীকে মস্তিষ্ক বিকৃত হয়েছে বলে কটাক্ষ করেন।তিনি বলেন, উনি তো কোথাও গুরুত্ব পান না। উনি যখন যে দলে থাকেন সেই দলকেই পাগল করে মারেন। তিনি যখন তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন তখন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উল্টো পাল্টা কথা বলেছেন। এখন তিনি যে দলে আছেন সেই দলের বিরুদ্ধে বলছেন। নিশ্চয় গুরুত্ব না পাবার মত কিছু করেছেন। তবে ওই দলে কদিন থাকবে তা নিয়েও তিনি সন্দিহান প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাজনীতি করতে আসা মানে পাবার জায়গা নয়। পদ চাই তা নয়।মানুষের জন্য কাজ করা।

অক্টোবর ২৪, ২০২২
রাজ্য

দেহরক্ষী হীন কেষ্ট, সুপ্রিম-রায়ে ইডি-র ডাকে দিল্লি চলল সহগল

একদিকে মানিক ভট্টাচার্য্য ও ২৬৯ জন বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের সাময়িক স্বস্থিদানের রায় দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট ঠিক সেই সমইয়েই, গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত, জেলবন্দি বীরভূমের বেতাজ বাদশা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী রাজ্য সরকারের কনস্টবল পদে কর্মরত সহগল হোসেনের আবেদন খারিজ করে এক অন্য বার্তা দিল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট।পরিণাম স্বরুপ সহগলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র আর কোনও বাধাই রইল না। উল্লেখ্য এর আগে সহগলকে দিল্লিতে ইডি-র অফিসে নিয়ে গিয়ে জেরার জন্য আসানসোলে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন করেছিল ইডি। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তারপর ইডি কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে এবং কলকাতা হাইকোর্টে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের অভাবে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে তদন্তকারী সংস্থার সেই আবেদনও বাতিল হয়ে যায়।কলকাতা হাইকোর্টে রায় জানার পর পরেই ইডি দিল্লির রউস অ্যাভিনিউ কোর্টের আবেদন করে। সেখানে সোমবার ইডির আবেদনে সম্মতি দিয়ে সহগলকে সহগলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দেয়। সেই রায়ের বিরোধিতা করে সহগলের আইনজীবী দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে, তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট রউস আদালতের এই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। এবং জানায়, শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সহগলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি। কিন্তু বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টই আবার জানায়, গরু পাচার কান্ডে ধৃত সহগলকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবার দিল্লিতে জেরা এড়াতে মড়িয়া সহগল দিল্লি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। শুক্রবার সহগলের আর্জি খারিজ করে দিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরার আবেদনে শিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট।

অক্টোবর ২১, ২০২২
রাজ্য

রাজধানী অটকে পড়লো! দীর্ঘক্ষন লোকাল ট্রেনগুলিকে খানা তে আটকে রাখার প্রতিবাদে

যাত্রী বিক্ষোভের জেরে আটকে যায় রাজধানী এক্সপ্রেস। ডাউন রামপুরহাট বর্ধমান লোকালকে খানা জংশন স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখায় ক্ষুদ্ধ যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। ফলে ডাউন নয়াদিল্লি হাওড়া রাজধানী এক্সপ্রেস থেমে যায়।প্রতিদিন লোকাল ট্রেন খানা জংশন স্টেশনে আটকে রেখে মেল এক্সপ্রেস ট্রেন পার করা হচ্ছে। তারই প্রতিবাদে রেল অবরোধ। ঘন্টা খানেক অবরোধ চলার পর রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পর অবরোধ ওঠে।তারপর রাজধানী সহ সব ট্রেনের চলাচল শুরু হয়। অবরোধের জেরে ডাউন কাজিরাঙ্গা এক্সপ্রেস আটক পড়ে বনপাস স্টেশনে। খানা জংশন স্টেশনে আটকে ছিল একটি সেলুনকার।বর্ধমান স্টেশন থেকে ছাড়তে দেরী হয় আপ বর্ধমান রামপুরহাট লোকাল।

অক্টোবর ১৯, ২০২২
রাজ্য

কুড়মি সম্প্রদায়কে এসটি তালিকাভুক্ত করা হলে রাজ্যে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি

কুড়মি সম্প্রদায়কে এসটি করার চেষ্টার প্রতিবাদর জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বর্ধমান শহরের কার্জনগেট চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখাল আদিবাসী কল্যাণ সমিতি । সমিতির অভিযোগ, এসটি হওয়ার নির্ধারিত বৈশিষ্ট্য না থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে, অনৈতিকভাবে কুড়মী সম্প্রদায়কে এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেই এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। কুড়মি সম্প্রদায়কে এসটি করা হলে রাজ্যে আগুন জ্বলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। প্রয়োজনে রেল রোখা থেকে শুরু করে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে বলে জানালেন তারা, এবং আগামী লোকসভা ভোটে ভোটবাক্সের মধ্যে দিয়েও এর প্রতিবাদ হবে বলে জানান তারা। এদিন বিক্ষোভ শেষে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন দেয় আন্দোলনকারীরা।

অক্টোবর ১৮, ২০২২
রাজ্য

বিপুল পরিমাণের চোলাই মদ আটক, ধরা পড়ল দুই চোলাই কারবারি

জাতীয় সড়ক ধরে চারচাকা গাড়ি করে বিপুল পরিমাণের চোলাই মদ পাচার করার সময় পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার পুলিশের হতে ধরা পড়ল দুই চোলাই কারবারি। ধৃতদের নাম সঞ্জয় সাউ ও সন্তোষ সাউ। বাড়ি বীরভূমের বোলপুরের হাটতলা এলাকায়।মঙ্গলবার ধৃতদের বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। মাস কয়েক আগে ভাতার থানার পুলিশের জালে মদ ভর্তি গাড়িসহ ধরা পড়েছিল ধৃতরা। বর্ধমান বোলপুর জাতীয় সড়কের ভাতারের ওড়গ্রামে রুটিনমাফিক নাকাচেকিং চালাচ্ছিল ভাতার থানার পুলিশ। সেই সময় সন্দেহজনক একটি চার চাকা গাড়িকে আটক করে। তল্লাশি শুরু করতেই পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। গাড়ির মধ্যে পলিথিনের প্যাকেট ভর্তি বিপুল পরিমাণের মদ। এরপরই মদ ভর্তি গাড়ি সহ দুজনকে অটক করে পুলিশ।ভাতার থানার ওসি অরুন কুমার সোম জানিয়েছেন, বর্ধমান বোলপুর টু বি জাতীয় সড়কের রুটিন মাফিক নাকাচেকিংয়ের সময় একটি চারচাকা গাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার হয়েছে। গাড়িসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা জানান, বেশি গাড়ি ভাড়া ভাড়া পাওয়ার জন্য সিঙ্গুর থেকে বোলপুর অন্যজনের কাছে এই মদ বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা।

অক্টোবর ১৮, ২০২২
রাজ্য

জাল নোট সহ তিন ব্যক্তি গ্রেফতার বর্ধমান স্টেশনে

যৌথ ভাবে অভিযানে জালনোট সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করলো বর্ধমান থানা ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।পুলিশ গোপনসূত্রে খবর শনিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান স্টেশন চত্বরে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে। বর্ধমান থানা ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। তল্লাশিতে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২৪ টি ২ হাজার টাকার জালনোট। ধৃত মহম্মদ রাজ ওরফে রাজুয়া ওরফে বসিরুদ্দিন, মহম্মদ আমিন হোসেন ওরফে আমান ও মহম্মদ মঈনুদ্দিন ওরফে গোবরা প্রত্যেকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়।১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে ৩ জনকেই রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। কি উদ্দেশ্যে এই জালনোট নিয়ে স্টেশন চত্বরে ধৃতরা অপেক্ষা করছিলো তার তদন্ত শুরু করছে বর্ধমান থানার পুলিশ।

অক্টোবর ১৬, ২০২২
রাজ্য

গোপন সুত্রে খবর পেয়ে দুই ব্যক্তিকে আগ্নেয় অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার বর্ধমান পুলিসের

আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতদের শনিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ গোদা হাইওয়ের কাছ থেকে রবিদাস নামে একজনকে আটক করে। তার কাছ থেকে একটি পাইকগান ও এক রাউণ্ড গুলি উদ্ধার হয়। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রদীপ কুমার অধিকারী নামে আর এক ব্যক্তির খোঁজ পায় পুলিশ। তার বাড়ি শ্যামসুন্দর। রাতেই বর্ধমান থানা পুলিশ তার বাড়িতে যায় এবং তার কাছ থেকেও একটি পাইপ গান ও এক রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করে। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। শনিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয় দুজনকে। রবিদাসকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃত রবিদাসের বাড়ি বর্ধমানের বিসি রোড এলাকায় ও প্রদীপ কুমার অধিকারীর বাড়ি রায়না থানার শ্যামসুন্দর এলাকায়।

অক্টোবর ১৫, ২০২২
রাজ্য

বিরল আকৃতির গরুর জন্মানোই চাঞ্চল্য পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে

বিরল আকৃতির বাছুরের জন্ম ঘিরে চাঞ্চল্য ছাড়লো পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের খুরুল গ্রামে। ভাতারের খুড়ুল গ্রামের বাসিন্দা খোকন ঘোষ পেশায় গো-পালক। তাঁর গৃহপালিত গাভী একটি বিরল আকৃতির বাছুরের জন্ম নেয়। দুটি মাথা ও ছটি পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর ছড়াতেই খোকন বাবুর বাড়িতে এলাকার মানুষের ঢল নামে। যদিও বাছুরটি জন্মের কিছুক্ষণ পরই মারা যায়।গাভীর মালিক খোকন ঘোষ বলেন, সকাল থেকেই গাভিটি যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। স্থানীয় পশু চিকিৎসক এবং আমরা দুভাই মিলে বাছুরটিকে ভূমিষ্ঠ করার চেষ্টা করি। ঘন্টাখানেক চেষ্টার পর বাছুরটি ভূমিষ্ঠ হয়। যার দুটি মাথা ও ছটি পা। জন্মের ঘন্টাখানেকের মধ্যে বাছুরটি মারা যায়। স্বভাবতই মন খারাপ গোপালক খোকন ঘোষের।গ্রামবাসীরা জানান, বছর ত্রিশ পঁয়ত্রিশ আগে এই গ্রামে বিরল আকৃতির বাছুরের জন্ম হয়েছিল। এটা নিয়ে দ্বিতীয়বার বিরল আকৃতির বাছুরের জন্ম হল ভাতারের খুড়ুলগ্রামে।

অক্টোবর ১৩, ২০২২
রাজ্য

হনুমানের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী, অবশেষে বনদপ্তরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল হনুমান

অবশেষে বনদপ্তরের পাতা ফাঁদে ধরা পড়ল হনুমান। গত এক সপ্তাহ ধরে হনুমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের বাসিন্দারা। বনকর্মীরাও লাগাতার চেষ্টা করছিলেন হনুমানটিকে বাগে আনার।কিন্তু তারা সক্ষম হন নি।হনুমানের আক্রমণে ১০-১২ জন বাসিন্দা জখম হন। হনুমানের কামড়ে জখমদের জনের মধ্যে দুজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে হনুমানের বিষয়ে মাইকে প্রচার করে এলাকার বাসিন্দাদের সাবধান করা হয়।বুধবার দুপুরে বড়শুলের বাজেসালেপুর এলাকায় ফাঁদ পেতে হনুমানটিকে খাঁচা বন্দি করে বনদফতরের কর্মীরা। বনদফতরের কর্মী দীপক মণ্ডল জানান, ব্লক প্রশাসনের কাছে খবর পেয়ে কয়েক দিন আগে হনুমানটিকে ধরার জন্য চেষ্টা করা হয়। কিন্তু হনুমানটিকে চিহ্নিত করা যায়নি। বুধবার দুপুরে হনুমানটি গ্রামের মানুষের সাহায্যে বন্দি করতে সক্ষম হন তারা।বিডিও সুবর্ণা মজুমদার জানান, হনুমানটির বিষয় বন দপ্তরকে খবর দেওয়ার পর বুধবার দুপুরে ধরা পড়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত ছিলেন হনুমানের আক্রমণে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জখমও হন।স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মণ পাল বলেন, হনুমানটি আক্রমনে তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। বেশ কয়েকজন হনুমানের কামড়ে জখম হয়েছে। তারা খুব আতঙ্কে ছিলেন বাড়ির ছোটদের নিয়ে। হনুমানটি ধরা পড়ায় স্বস্তি ফিরিছে এলাকায়।

অক্টোবর ১২, ২০২২
রাজ্য

১৪ দিনের ইডি হেফাজত মানিকের, আদালত চত্বরে চোর চোর স্লাগান

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে ১৪ দিনের ইডি হেফাজত দিল আদালত। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলের সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে হদিশ মিলেছে আড়াই কোটি টাকার বেশি। এমনকী ২০১৮-তে বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মানিক পুত্রের সংস্থার চুক্তিও সামনে উঠে আসছে। ওই চুক্তির মাধ্যমে অর্থ উপায়ের মূল কারণ কি ছিল? তা-ও ইডির নজরে রয়েছে। পাশাপাশি মানিকের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি। ওই অ্যাকাউন্টে কাদের কাছ থেকে টাকা আসত। কাদের সঙ্গেই বা যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।এদিন ব্যাংকশাল আদালতে মানিক ভট্টাচার্যকে লক্ষ্য করে জুতো দেখানো হয়। তাঁর উদ্দেশে চলে চোর চোর স্লোগান। এর আগে জোকা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জুতো ছুড়ে মেরেছিলেন এক মহিলা। তাছাড়া গরুপাচার মামলায় বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে গরু চোর গরু চোর বলেও স্লোগান দেওয়া হয়েছিল আসানসোলে। এবার প্রকাশ্যে পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগান চলল।

অক্টোবর ১১, ২০২২
রাজ্য

শেষমেশ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য

টানা ১০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। সোমবার রাতে দফায় দফায় ইডির সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককে। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ইএসআই হাসপাতালে। তারপর তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে অসহযোগিতা করছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পাশাপাশি তাঁর বয়ানে অসঙ্গতিও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তাই মানিক ভট্টাচার্যকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জেরা করতে চায় ইডির আধিকারিকরা।সুপ্রিমো কোর্টে গিয়ে একাধিকবার নিজের গ্রেফতারি এড়াতে আবেদন করেছেন। কয়েকবার আদালত তাঁকে রক্ষাকবচও দিয়েছে। তাঁর পরিবারের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের কক্ষাকবচ থাকা সত্বেও তাঁকে গ্রেফতার করা হল। ইডি আধিকারিকদের বক্তব্য, রক্ষাকবচ দিয়েছে সিবিআইয়ের মামলায়{ সেক্ষেত্রে ইডির গ্রেফতার করতে কোনও অসুবিধা নেই। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তাঁর গতিবিধির ওপরে নজর রেখেছেন। নিয়োগের বেআইনি তালিকা তৈরির বিষয়ে মানিক ভট্টাচার্যের বিশেষ ভূমিকা আছে কী না, তা নিয়েই জোরদার তদন্ত করছে ইডি।

অক্টোবর ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

'বাজা তোরা , রাজা যায়...' সাফল্য-খ্যাতি-প্রতিষ্ঠার তুঙ্গে থেকেও বরাবরই মাটির মানুষ রজার ফেডেরার

২০১৬ সাল। তিন বন্ধু সপরিবারে বেড়াতে গিয়েছিলাম সুইজারল্যান্ড, চোদ্দ দিন ধরে, কোনো ট্র্যাভেল এজেন্ট-এর সাহায্য ছাড়াই। তুষারমৌলি আল্পস... কাকচক্ষু জলের অসংখ্য দিগন্তপ্রসারী হ্রদ... নকশিকাঁথার মতো বন-প্রান্তর-জনপদ--- স্মৃতিপটে গাঁথা হয়ে গেছে চিরদিনের মতো।তবু সেই অপরূপ পর্যটন অসম্পূর্ণ রয়ে গেছিল আমার চোখে, কারণ প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও ভ্রমণসূচীতে রাখা যায় নি একটি সুন্দর শহরকে --- বাসেল, যেখানে বাস খেলার জগতে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটির।স্কুলজীবনে রচনা লিখতে হতো-- তোমার প্রিয় ক্রীড়াবিদ। ছোটবেলা থেকে আমার খাতায় বারবার বদলে গেছে সে চরিত্র -- প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়... সুনীল গাভাসকর... সের্গেই বুবকা... বিশ্বনাথন আনন্দ... হোসে রামিরেজ ব্যারেটো...। কিন্তু গত দুই দশক জুড়ে সবচেয়ে প্রিয় নাম একটিই-- রজার ফেডেরার। আগামী সপ্তাহেই লন্ডনে অনুষ্ঠেয় লেভার কাপ-এ চব্বিশ বছরের বর্ণময় আন্তর্জাতিক টেনিস জীবনে দাঁড়ি পরতে চলেছে যাঁর।নাদাল-এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রায় দুকোটি টাকা দান করেছিলেনকিং রজার কি লন টেনিস-এর ওপেন যুগে সর্বকালীন সেরা ? দ্বিমত পোষণ করতে পারেন অনেকে, কিন্তু স্কিল- স্ট্যামিনা- এনডিওরেন্স-এর যে চূড়ান্ত পর্যায়ে দুই দশক বিরাজ করেছেন তিনি, যে অনায়াস দক্ষতায় তুলির টান দিয়েছেন সারা পৃথিবীর টেনিস কোর্টে, গগনচুম্বী সাফল্য সত্ত্বেও যেভাবে মাটির কাছাকাছি রয়ে গেছেন বিনয়-ভদ্রতা-মানবিক মূল্যবোধের প্রতিমূর্তি হয়ে-- তাতে আমার মতো বিশ্বজোড়া কোটি কোটি সমর্থকের বুকে চিরস্থায়ী আসন পাতা হয়ে গেছে তাঁর।কুড়িটি গ্র্যান্ড স্লাম সিঙ্গলস খেতাব (আটবার উইম্বলডন, ছয়বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, পাঁচবার ইউএস ওপেন, একবার ফ্রেঞ্চ ওপেন ), চল্লিশটি এটিপি ট্যুর সিঙ্গলস খেতাব, সব মিলিয়ে রেকর্ডসংখ্যক ১০৩টি সিঙ্গলস খেতাব, গ্র্যান্ড স্লাম প্রতিযোগিতায় রেকর্ডসংখ্যক ৩৬৯টি সিঙ্গলস ম্যাচ জেতা, ৩১০ সপ্তাহ একনম্বর স্থান ধরে রাখা, সবচেয়ে বেশী বয়সে (ছত্রিশ বছর দশ মাস) একনম্বর স্থান পুনরুদ্ধার করা, অন্ততঃ তিন মরশুমে (২০০৬, ২০০৭,২০০৯) সবকটি গ্র্যান্ড স্লাম-এর ফাইনাল খেলা--- এগুলো নেহাত পরিসংখ্যান নয়; সদ্য-অবসৃত সেরেনা উইলিয়ামস যেমন মেয়েদের টেনিস-এ , তেমনই নাদাল-জকোভিচকে নিয়ে পুরুষদের টেনিস-এ চিরকালীন মানদণ্ড গড়ে দিয়ে গেলেন রজার ফেডেরার।বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত-শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বের তালিকা দুনম্বরে ছিলেন৮১ সালের আটই আগস্ট বাসেল অঞ্চলে পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন রজার-- বাবা রবার্ট সুইস, মা লিনেট দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ। আট বছর বয়সে টেনিস Racket হাতে তুলে নিয়েছিল ছোট্ট ছেলেটি। তেরো চোদ্দ বছর বয়সেই ছোটবোন ডায়ানা-কে ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল লুসান-এর সুইস টেনিস অ্যাকাডেমিতে। সুইজারল্যান্ড-এর এই অংশে ফরাসী ভাষাটাই চলে বেশী, কিন্তু রজার যে জার্মান ভাষাতেই বেশী স্বচ্ছন্দ! বার বার মন চাইতো বাসেল-এ ফিরে যেতে, কিন্তু ততদিনে আশেপাশের অনেকেই তার মধ্যে দেখতে পেয়েছেন অমিত সম্ভাবনা। কাজেই লড়াই জারী রইলো তার; লুসান আর ছাড়া হলো না। ৯৩ থেকে ৯৫ , বাসেল-এর এটিপি টুর্নামেন্টে বলবয় ছিল রজার-- বড় হয়ে যে খেতাব দশ বার জিতে নিয়েছিল সে।৯৮-এ মাত্র সতেরো বছর বয়সে পেশাদার হয়ে গেল রজার, আর তিনবছর বাদেই জিতে নিল প্রথম এটিপি সিঙ্গলস খেতাব, মিলান-এ। স্টিফেন এডবার্গ, বরিস বেকার, আর পিট স্যাম্প্রাস আদর্শ ছিলেন তার। মাত্র উনিশ বছর বয়সে সেই স্যাম্প্রাসকেই হারিয়ে দিল রজার।এসেছিলেন ভারতেও, ২০০৪-এ সুনামি-ত্রাণেঅনেক বন্ধু বলতো, মনে হয় এবছর তুই ওঁকে হারাতে পারবি ,ফেডেরার বলেছিলেন, জানতাম সম্ভাবনা আছে একটা, তবে পুরোপুরি নয়; মানে ঘাসের কোর্টে উনিই তো আসল লোক!পরের রাউন্ডেই হেরে গেলেন টিম হেনম্যান-এর কাছে।পরের বছর কিন্তু প্রথম রাউন্ডেই বিদায়। তার ধাতটাই তখন অশান্ত--- Racket আছড়ানো... পনিটেল... রুক্ষ মানসিকতা...। হঠাৎই ব্যক্তিজীবনের এক আঘাত তাকে বদলে দিল চিরদিনের মতো। একুশ বছরের জন্মদিনের পরেই, দক্ষিণ আফ্রিকায় এক পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পিটার কার্টার, রজার-এর কোচ ও বহুদিনের বন্ধু। প্রিয় সঙ্গীর আকস্মিক চলে যাওয়া জন্ম দিল এক নতুন রজার ফেডেরার-এর -- শান্ত, সৌম্য,ভদ্রতার প্রতিমূর্তি; এক সর্বজনপ্রিয় ক্রীড়াব্যক্তিত্ব।২০০৩-এ মার্ক ফিলিপৌসিস-কে হারিয়ে প্রথমবার উইম্বলডন জিতেছিলেন। সেই প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের উনিশ বছর পর, গত বৃহস্পতিবার, অবসরগ্রহণের ঘোষণা এল তাঁর কাছ থেকে।ফেব্রুয়ারি০৪ থেকে আগস্ট ০৮--- টানা ২৩৭ সপ্তাহ শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন ফেডেরার। এক বিরল সৌন্দর্য ছিল তাঁর খেলায় -- টেনিস যেন বড় অনায়াস, সাবলীল, সহজ ছন্দে বইতো তাঁর হাতে। কব্জির সুক্ষ মোচড়ে অসাধারণ ফোরহ্যাণ্ড... একহাতে মারা চোখজুড়ানো ব্যাকহ্যাণ্ড... অনায়াস সার্ভিস... অবলীলায় কোর্টের যে কোনো প্রান্ত থেকে দুরূহ প্লেসমেণ্ট--- টেনিস-এর শেষ কথা মনে হতো তাঁকেই। তারপর দেখা দিলেন রাফেল নাদাল....মিক্সড ডাবলসে সানিয়ার সাথেসবদিক দিয়ে ফেডেরার-এর ঠিক বিপরীতে ছিলেন নাদাল। সার্ভ অ্যান্ড ভলি গেমকে যে শৈল্পিক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন ফেডেরার, রাফা-র অ্যাথলেটিসিজম-শক্তি-গতিময়তা তাকে চূড়ান্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললো। রোল্যাঁ গ্যারো-র লাল সুড়কির কোর্টে তো নাদাল-এর মৌরসিপাট্টা ছিলই, ফেডেরার-কে তিনি পিছনে ফেলতে লাগলেন অন্যত্রও। ততদিনে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দেখা দিয়েছেন নোভাক জকোভিচ-ও।আমি কখনোই এইরকম খেলোয়াড় হয়ে উঠতাম না,যদি না নাদাল থাকতো, ফেডেরার বলেছিলেন তাঁর কঠিনতম প্রতিদ্বন্দ্বী তথা কোর্টের বাইরে প্রিয় বন্ধুর সম্বন্ধে। পরপর তিনবার ফ্রেঞ্চ ওপেন-এর ফাইনাল-এ, আর ২০০৮-এ উইম্বলডন-এও নাদাল-এর কাছে হার রজার-কে বাধ্য করলো নতুন করে নিজেকে বদলাতে।হয়তো এর পরিণতিতেই পরের বছর এলো ফেডেরার-এর খেলোয়াড় জীবনের সম্ভবতঃ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয়, ২০০৯-এর ফ্রেঞ্চ ওপেন-এ। নাদাল হেরে গেলেন রবিন সডারলিং-এর কাছে, আর ফেডেরার তখন চতুর্থ রাউন্ডে টমি হাস-এর বিরুদ্ধে দু সেট খুইয়ে বসে আছেন। এক বছর আগে হলে হয়ত চাপের মুখে আবার হেরে বসতেন, কিন্তু অবিশ্বাস্য এক ফোরহ্যাণ্ড তৃতীয় সেট-এর অষ্টম গেম-এ ব্রেকপয়েণ্ট বাঁচিয়ে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলো তাঁকে; শেষমেশ জিতেই নিলেন ম্যাচটা। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে মঁফিলস, সেমিফাইনাল-এ দেল পোট্রো, আর ফাইনালে নাদাল-জয়ী সডারলিং--- একের পর এক কঠিন ম্যাচ জিতে রজার দেখিয়ে দিলেন, ক্লে কোর্টেও কিছু কম যান না তিনি।এর পরেই যদি অবসর নিয়ে নিতেন, কারো কিছু বলার থাকতো না। ত্রিশ পেরিয়ে গেছে... সামপ্রাস-এর সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লাম সিঙ্গলস খেতাব জয়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন... জিতেছেন সবরকম সারফেস-এ... নতুন করে প্রমাণ করার আর ছিল কী?টেনিসের রাজা ভারতেপ্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ততদিনে জকোভিচ-ও; অস্তগামী সূর্য ফেডেরার পড়ন্ত বেলায় তাঁর বিরুদ্ধে ততটা সফল হতে পারেন নি। চোটআঘাতও ভোগাতে শুরু করলো বারবার। একচল্লিশ বছর বয়সে, গত দেড় বছরে উপর্যুপরি তিনবার হাঁটুর অপারেশন করাবার পরে, সময় ও শরীরের দাবী মেনে নিলেন তিনি। এ সিদ্ধান্ত হয়তো নিতে পারতেন চার বছর আগেই, তাঁর তো আর কারো কাছে কিছু প্রমাণ করার ছিল না !২০১৭-এ কঠিন চোট থেকে সেরে উঠে, ১৮-র জানুয়ারির মধ্যেই আবার তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নিয়ে, ২০১৯-এর উইম্বলডন ফাইনালে একচুলের জন্য খেতাব হাতছাড়া করার পরেই রাজসিক মর্যাদায় অবসর নিতে পারতেন রাজা রজার। কিন্তু তিনি নিজে তো নিজেকে আম আদমি-ই ভেবে এসেছেন বরাবর। টেনিস-এর প্রতি নিটোল প্রেম আর অগণিত ভক্তদের প্রতি অটুট দায়বদ্ধতাই তাঁকে সরে যেতে দেয় নি ।চেষ্টা করে গেছেন অন্তরালে থেকেও পাদপ্রদীপের আলোয় ফিরে আসার।সাফল্য-খ্যাতি-প্রতিষ্ঠার তুঙ্গে থেকেও বরাবরই মাটির মানুষ রজার ফেডেরার; গার্হস্থ্য মূল্যবোধের প্রতিভূ হয়ে রয়ে গেছেন, কোনো কেচ্ছা-কেলেঙ্কারী কখনো ছুঁতে পারেনি তাঁকে। স্ত্রী মির্কা নিজেও ছিলেন নামী টেনিস খেলোয়াড়--- ডব্লিউটিএ Ranking-এ ছিয়াত্তর পর্যন্ত এগিয়ে এসেছিলেন এক সময়, উঠেছিলেন ইউএসওপেন-এর তৃতীয় রাউন্ডে। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে প্রথম দেখা হয়েছিল দুজনের। পরে একসময় জুটি বেঁধে হপম্যান কাপে মিক্সড ডাবলসেও নেমেছিলেন। দুইজোড়া যমজ সন্তান তাঁদের-- দুই মেয়ে মাইলা ও শার্লিন, আর দুই ছেলে লিও ও লেনি। গ্যালারী থেকে পুরো পরিবার তাঁকে সোচ্চার সমর্থন করছে ম্যাচের সময়-- এর থেকে মধুর দৃশ্য তাঁর কাছে কিছু নেই, জানিয়েছিলেন ফেডেরার।পৃথিবী জুড়ে এত ভালবাসা কীভাবে পেলেন ফেডেরার?কখনো মনুষ্যত্ব হারান নি তিনি। একবার লন্ডন-এ উইম্বলডন খেলতে এসে দেখলেন, হোটেলে তাঁর কোচ ও সাপোর্ট টিমের অন্যান্যদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাধারণ ডিলাক্স রুম, আর তাঁর জন্য বিলাসবহুল সুইট। রজার নির্দেশ দিলেন সবার জন্যই তাঁর মতো ঘরের ব্যবস্থা করতে। কিন্তু জানা গেল যে আর কোনো সুইট খালি নেই। ফেডেরার পত্রপাঠ সুইট ছেড়ে চলে এলেন সাধারণ ডিলাক্স রুমে!The great moments I spent here will forever be in my memory. Thank you New Delhi! Tremendous crowd support! Forever grateful 🙏 Roger Federer (@rogerfederer) December 8, 2014কখনো ম্যাচ হারের পর অজুহাত দেন নি, বা প্রতিপক্ষকে ছোটো করেন নি তিনি। একবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেন-এ --- ইনফেকশাস মনোনিউক্লিওসিস জ্বরে ভুগতে ভুগতেই ফাইনাল-এ গেলেন রজার, প্রচুর লড়েও হারলেন জকোভিচ-এর কাছে। ম্যাচ-পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের শারীরিক কষ্টের অজুহাত দিলেন না, বরং বললেন, বিগত কয়েক দিন আমার শরীরস্বাস্থ্য নিয়ে অনেক জল্পনা হয়েছে। কিন্তু আজ যেন নোভাক-এর কৃতিত্ব কিছু কম বলে মনে করা না হয়; কারণ ম্যাচটা জিততে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম।অবসর-এর পর কী করবেন? পরিবারের সাথে সময় কাটাবেন... স্কিইং... সমুদ্রসৈকত... তাস... টেবলটেনিস। পছন্দের তালিকায় আছে আরো অনেক কিছু--- হাইকিং, সাইক্লিং, সংগ্রহশালায় ঘুরে বেড়ানো ,প্রিয় সুইস খাবার খাওয়া (চকোলেট-ফন্ডু-রাকলেট-রোস্টি উইথ কর্ডন ব্লু ইত্যাদি)। চারটি ভাষায় স্বচ্ছন্দ তিনি-- ফরাসী, ইংরেজী, সুইস ও জার্মান।২০০৩ সালে শুরু করেছিলেন রজার ফেডেরার ফাউন্ডেশন, বিশ্ব জুড়ে এক কোটির বেশী ছেলেমেয়ের জীবনকে ইতিমধ্যেই ছুঁয়েছে যে সংস্থা। রাফেল নাদাল-এর সঙ্গে যৌথভাবে প্রায় দুকোটি টাকা দান করেছিলেন ২০-র জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান বুশফায়ার রিলিফ-এ। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড- সাহায্যার্থে দান করেছেন প্রায় আট কোটি টাকা। টেনিস ইতিহাসে সর্বোচ্চ উপস্থিতির দুটি চ্যারিটি ম্যাচ খেলেছেন নাদাল (কেপটাউন: ফেব্রুয়ারি২০) ও আলেকজান্ডার জেরেভ (মেক্সিকো সিটি: নভেম্বর ১৯)-এর সঙ্গে। এসেছিলেন ভারতেও, ২০০৪-এ সুনামি-ত্রাণে। এদেশের টেনিস কোর্ট তাঁকে পেয়েছে পরে ১৪ সালে , প্রদর্শনী ম্যাচের সূত্রে।রিপুটেশন ইনস্টিটিউট ২০১১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত-শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বের তালিকা করতে গিয়ে দুনম্বরে রেখেছিল তাঁকে, একমেবাদ্বিতীয়ম নেলসন ম্যান্ডেলা-র পরেই। ঠিক পিছনেই ছিলেন বিল গেটস, স্টিভ জোবস ,ওপ্রা উইনফ্রে, বোনো।রাজা রজার-এর প্রস্থানে রিক্ত হবে ক্রীড়া জগৎ। তবু অনুপ্রাণিত করতে থাকবেন তিনি, খেলোয়াড় হিসেবে, মানুষ হিসেবে, এক আদর্শ ফ্যামিলিম্যান হিসেবে....Good bye, sweet Prince ! It was a pleasure and privilege walking on the same earth with you !!কৃতজ্ঞতা স্বীকার : টাইমস অফ ইন্ডিয়া।ডঃ সুজন সরকার,বর্ধমান।

অক্টোবর ০২, ২০২২
কলকাতা

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে ঝলমলে বাংলা, কলকাতার রাস্তায় অবস্থানে অনড় এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা

একদিকে মহাসপ্তমীর দিন ঝলমলে মহানগরসহ সারা বাংলা তখনও কলকাতার রাস্তায় অবস্থানে বসে রয়েছেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। নিয়োগপত্র হাতে না নিয়ে তাঁরা অবস্থান থেকে কোনওমতেই উঠবে না বলেই পন করেছে। কোনও প্রতিশ্রুতিতে যে তাঁরা ভুলবেন না, সেকথা স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন অবস্থানকারীরা। এদিন অবস্থানের ৫৬৭ দিন পার করল আন্দোলনকারীরা। বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসবের মহাসপ্তমীতে পথে বসে চোখের জলে ভাসাচ্ছেন শিক্ষক চাকরি প্রার্থীরা।২০১৯-এ কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থানে বসেছিলেন এসএসসি চাকরি প্রার্থীরা। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অভিযোগ, তখন নেতৃত্বস্থানীয়রা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এবং তাঁদের কয়েকজন চাকরিতে যোগ দেন। এভাবে আন্দোলন ভেস্তে দেওয়ার চক্রান্ত করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারীরা। পরবর্তীতে একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিলেও মেলেনি নিয়োগপত্র। তাই কোনও আনন্দ-উৎসবে অংশ না নিয়ে তাঁরা অবস্থানে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও কাজে যোগ না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা ভরসা করছেন না কোনও প্রতিশ্রুতি বা বিজ্ঞপ্তিকে। তাই পুজোর কয়েকটা দিন মেয়োরোডে রাস্তার ধারে বসেই তাঁরা দাবি-দাওয়া জানাবেন।

অক্টোবর ০২, ২০২২
রাজ্য

রসুলপুরে নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার এক

পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর নতুন গেট এলাকায় নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ। ধৃতের নাম রবীন্দ্রনাথ সরকার ওরফে পলাশ সরকার। বাড়ি রসুলপুর এলাকাতেই। মৃতার বাড়ির কাছেই তার বাড়ি। জেলা পুলিশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশসুপার কল্যাণ সিংহ রায় জানিয়েছেন, পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি বলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে মৃতার আত্মীয় সুরজিৎ মণ্ডল জানিয়েছেন, মেয়েটি খুবই নম্র ভদ্র ছিল। একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের কথা বাড়িতে জানত। কয়েকমাস পরে সাবালিকা হবার পর তার বিয়ের জন্য সব যোগাড় চলছিল। এরমধ্যে এইরকম একটি সাধারণ মেয়ের এইভাবে হত্যা কেউ মেনে নিতে পারছে না। তাঁদের ধারণা কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে ভোরবেলা ঘরে ঢুকেছিল। তারপর তাকে চিনে ফেলায় এই কান্ড ঘটিয়েছে। যে বা যারা এই কাজে যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি হোক। ধৃত ছেলেটিও সন্দেহের আওতায়। তার নাকি জিভ কেটে গেছে। সে বাইরে থেকে চিকিৎসা করিয়ে এনেছে বলে তাদের দাবি। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে আজও এলাকায় শোকের ছায়া রয়েছে।গতকাল সকালে এক নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যেকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর নতুন রাস্তা এলাকায়। মেয়েটির বয়স মাত্র সতেরো। তার মা ও এলাকাবাসীর ধারণা, তাকে কেউ খুন করেছে। পুলিশ খুনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছিলেন, এ ব্যাপারে ফরেন্সিক টিমের সাহায্য নেওয়া হবে। পূর্ব বর্ধমানের রসুলপুর রেলগেটের কাছে নতুন রাস্তা এলাকায় মৃতার বাড়ি। তার মা দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে থাকেন। প্রতিদিন ভোরে তিনি সব্জি আনতে মেমারি যান। সেদিনও মেয়েকে বলেই বেরোন। মেয়েকে জানিয়ে বাইরে দিয়ে দরজা লাগিয়ে যান। আলোও জ্বালা ছিল। সকাল ৭ টা নাগাদ তিনি ফিরে আসেন। তিনি ও তার ভাইপো গিয়ে দেখেন মেয়ের কোনও সাড় নেই। বালিশটা একপাশে পড়ে আছে। মুখটা কিছুটা ফোলা। তাদের চিৎকারে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন। এসে দেখা যায় মেয়েটি মৃত। এরপর পুলিশ আসে। উত্তেজিত এলাকাবাসী মৃতদেহ নিয়ে যেতে বাঁধা দেন। তাদের বুঝিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠায় পুলিশ। এলাকায় তদন্তে যান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
রাজ্য

লাগাতার যাত্রীদের দুর্ভোগের পর আপাতত SBSTC -তে ধর্মঘট উঠলো

দক্ষিণবঙ্গ সরকারি পরিবহণ সংস্থায় অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ধর্মঘট আপাতত উঠে গেল। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী এই কর্মীদের মাসে ২৬ দিন কাজের আশ্বাস দিয়েছিলেন। পাশাপাশি বলেছিলেন কালীপুজোর পর আলোচনায় বসবেন ধর্মঘটী কর্মীদের সঙ্গে। তবে পুজোর মুখে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে আন্দোলন তুলে নেওয়া উচিত। শেষমেশ কর্মবিরতি তুললো ধর্মঘটীরা।আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পরিবহণমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন কালীপুজোর পর তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। তাছাড়া পুজোর মুখে সাধারণ মানুষের ভোগান্তিও বাড়ছিল। এসব কথা ভেবেই কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হল। সাতদিনের বাস ধর্মঘটের ফলে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ নিদারুণ দুর্ভোগদের মধ্য়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছিল, লিখিত না দিলে তাঁরা ধর্মঘট তুলবে না। পুজোর মুখে এই ধর্মঘটের ফলে যাতায়াত ব্য়বস্থা বড় ধরনের সঙ্কটের মধ্য়ে পড়েছিল।প্রসঙ্গত, আন্দোলনকারীরা সকলেই তৃণমূল সরকারের আমলেই কাজে যোগ দিয়েছেন। সংগঠনের পতাকা নিয়ে আন্দোলন করলেও আইএনটিটিইউ রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিল ধর্মঘটীদের সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই। তবে ধর্মঘটীরা কোথাও আইএনটিটিইউসির বা কোথাও তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়েই কর্মবিরতি পালন করেছে।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
রাজ্য

রেল-সড়ক অবরোধের ১০০ ঘন্টা পার, দাবিতে অনড় কুড়মি সমাজ

কুড়মি সমাজের স্পষ্ট দাবি, তপসিলি জনজাতিভুক্ত করতে হবে। রেল ও সড়ক অবরোধের ১০০ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে। তবু মেলেনি রফাসূত্র। রাজ্য সরকার ফের চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এই চিঠি আদৌ কার্যকর হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান আন্দোলনকারীরা। রেল ও সড়ক পথ বন্ধ থাকায় স্বভাবতই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়ায় অব্যাহত কুড়মি সমাজের লাগাতার বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি। গত মঙ্গলবার থেকে বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মিরা। শনিবার তাঁদের লাগাতার এই আন্দোলন পাঁচ দিনে পড়ল। ১০০ ঘন্টা পার করেছে।পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি ও পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনে গত পাঁচ দিন ধরে রেললাইনের উপর বসে-শুয়ে, মঞ্চ বেধে গান গেয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন কুড়মিরা। একটানা রেল রোকো কর্মসূচিতে প্রতি দিন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে বহু ট্রেন বাতিল করছে। বহু ট্রেনের গতিপথ বদল করতে বাধ্য হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেললাইনের পাশাপাশি একটানা অবরোধ চলছে জাতীয় সড়কেও। পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন কুড়মিরা।জাতীয় সড়কে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে গত মঙ্গলবার থেকে গাড়ির লাইন পড়ে গিয়েছে। চরম হয়রনির শিকার হচ্ছেন গাড়িচালক-খালাসি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। খাবারের ভান্ডারে টান পড়েছে গাড়িচালক-খালাসিদের। রেল অবরোধের জেরে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে আড়াইশোর বেশি ট্রেন ইতিমধ্যেই বাতিল করেছে। বহু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন তুলবে না কুড়মিরা। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছে, প্রশাসন বলপ্রয়োগ করুক বা গুলি করুক এক পা-ও পিছবে না।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২২
রাজ্য

ফ্ল্যাট দখলের বিবাদে তালা বন্ধ করে রাখা হল প্রতিবন্ধী শিশুকে

ফ্ল্যাটের দখল নিয়ে বিবাদের জেরে দীর্ঘক্ষন আটকে রাখা হলো এক প্রতিবন্ধী শিশুকে। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড় থানার অন্তর্গত কাছারি বাড়ি এলাকায় । প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পরে ডোমজুড় থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে । দরজা ভেঙ্গে উদ্ধার করে ওই শিশুকে। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে ডোমজুড়ের কাছারিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ধনঞ্জয় প্রামানিক এবং অন্য একজন শরিক তাদের জমিতে স্থানীয় এক প্রোমোটারকে আবাসন তৈরির অনুমতি দেন। চুক্তি অনুযায়ী উভয়ের মধ্যে ফ্ল্যাট বন্টনও হয়ে যায়। তবে পরবর্তী সময়ে ওই প্রোমোটার নিয়ম বহির্ভূতভাবে আরো একটি তল নির্মাণ করায় বিবাদ বাধে জমির মালিক ধনঞ্জয় প্রামাণিকের সঙ্গে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ধনঞ্জয় প্রামাণিকের স্ত্রী যখন স্কুল ফেরত মেয়েকে নিতে আবাসনের নিচে আসেন তখন তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে প্রোমোটারের ঘনিষ্ঠ সিন্টু মন্ডল ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। ধনঞ্জয় প্রামানিকের স্ত্রী মামনি প্রামাণিক ঘরে ফিরে দেখেন তাদের ঘর তালা বন্ধ। তার নজরে আসে তিন তলার বারান্দায় বিপজ্জনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে নবছরের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে। খবর দেওয়া হয় ডোমজুড় থানায়। ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ। প্রায় ঘন্টা ৩ বাদে মিস্ত্রি ডেকে দরজা ভেঙে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ডোমজুড় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ধনঞ্জয়বাবু। পুলিশ সিন্টু মন্ডল নামে এক ফ্ল্যাটের মালিককে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত ধনঞ্জয়বাবু এবং তার পরিবার। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • ...
  • 78
  • 79
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal