• ২ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ED

রাজ্য

একুশের আগে আদালতে আপাত স্বস্তি অভিষেকের, তৎপর ইডি

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত স্বস্তিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতার করার দরকার আছে কি না, এদিন তা ইডি-র কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে নথি পেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে ইডি-কে।কুন্তল ঘোষের বিতর্কিত মন্তব্যের পরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জড়িয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের করা এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারারে সাংসদ। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ, নিয়োগ মামলায় আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৪ জুলাই, ২০২৩ পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চে আগামী সোমবার ফের এই মামলার শুনানি।আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নিজাম প্যালেসে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক। পরে তাঁকে তলব করেছিল ইডি-ও। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যস্ততায় তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি। এদিন বিচারপতি বলেন, আমরা ইডি-র কাছে জানতে চাই অভিষেককে হেফাজতে নিয়ে গ্রেফতার করার দরকার আছে কি না?ইডি-র তরফে আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, শিক্ষক নিয়োগের মামলায় ইডি অভিষেককে ফের করে তলব করার পরিকল্পনা করেছে, সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। ইডি আরও জানিয়েছে, গত ১৪ জুন ডাকা হয়েছিল অভিষেককে। কিন্তু তিনি ভোটে ব্যস্ততার কথা বলে হাজিরা দেননি। অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডি-র কাছে পর্যাপ্ত নথি আছে বলেও জানানো হয়।নিয়োগ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পাননি অভিষেক। এরপর ইডি-র করা এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানান তিনি। শীর্ষ আদালত কোনও রক্ষাকবচ দেয়নি তাঁকে। তবে নির্দেশ ছিল, প্রয়োজনে মামলা দায়ের করতে পারেন অভিষেক। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ইডি-কে আগেই এফআইআর করে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর এফআইআর করে ইডি।নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ দাবি করেছিলেন, অভিষেকের নাম বলতে তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে। ওই বক্তব্যের ঠিক একদিন আগে দলীয় সভা থেকে অভিষেক বলেছিলেন, সারদায় অভিযুক্তদেরকে তাঁর নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন ওঠে, অভিষেকের মন্তব্যের ছায়া কেন কুন্তলের বক্তব্যে? সেই সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, অভিষেককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি ও সিবিআই। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বেঞ্চ বদল হয়। কিন্তু আদেশের বদল হয়নি। যা এখনও বিচারাধীন।

জুলাই ২০, ২০২৩
রাজনীতি

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সহ ৩ নেতার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা, পুলিশের ভূমিকাতে ক্ষুব্ধ শাসক শিবিরের একাংশ

জনতার কথাঃ গলসি ১ ব্লকে গণনার দিন গণ্ডগোল। মারপিঠ হয়। বিরোধীদের অভিযোগ পেয়ে শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করল পুলিশ। যা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযুক্তরা পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেসের আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, অভিযোগের বিষয়ে কোন তদন্ত না করেই পুলিশ প্রভাবিত হয়ে মামলা রুজু করেছে। সূত্রের খবর, পুলিশের এই ভূমিকা ইতিমধ্যে তাঁরা দলকে জানিয়েছেন। ঘনিষ্ট মহলে পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামাল করার কথাও জানিয়েছেন অভিযুক্তরা। গলসি ১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়, গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহসভাপতি তথা এবারের বিজয়ী প্রার্থী অনুপ চট্টোপাধ্যায় ও মানকর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তন্ময় ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছ বুদবুদ থানার পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন কংগ্রেস কর্মী তথা মানকর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী অসিত কুমার মুখ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের প্রার্থী জয়গোপাল দে কে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারধর করার। এমনকি অভিযোগকারীকে তাঁরা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ঘটনাটি ঘটে বুদবুদ বাজারে দুর্গাপুর যাবার বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায়। এবারে মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী অসিত কুমার মুখার্জী পুলিশকে লিখিত এই অভিযোগ করেছেন। তাঁরও এই অভিযোগ ভিত্তিতে পুলিশ খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছেন।আর এখানেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে শাসকদলের একটা বড়ো অংশ। তাঁরা বলছেন, এ দিন পর্যন্ত জনার্দনবাবু, অনুপবাবুদের বিরুদ্ধে একটি পিঁপড়ে মারার অভিযোগ নেই। ঘটনার সময় ওই এলাকাতেই তিনজনই ছিলেন না। তা হলে তাঁরা কী করে কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধর করলেন?তাছাড়া এবার অনুপবাবু ১৭০০ বেশি ভোটে পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্বাচিত হয়েছেন। তা হলে তিনি কেন কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধর বা হুমকি দিতে যাবেন? তাদের আরও দাবি, অনুপবাবু বিরোধী বিজেপির মণ্ডল সভাপতি রতন সাউয়ের বাড়িতে গিয়ে এজেন্টদের ডেকে নিয়ে এসে গণনা কেন্দ্রে বসিয়েছিলেন। তারপরেও অনুপবাবুর বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত। সূত্রের খবর, গলসি ১ পঞ্চায়েতে সভাপতি পদটি সংরক্ষতি। তাই এবারও দলের একটা বড় অংশ অনুপবাবুকে পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি পদে দায়িত্ব দিতে চাইছেন। সেখানেই দলের নেতাদের একাংশে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনুপবাবু ঘনিষ্টদের আশঙ্কা, এর সঙ্গে দলের একাংশ যোগ রয়েছে। ক্ষুদ্ধ সেই নেতারা পুলিশ ও কংগ্রেসকে প্রভাবিত করে মিথ্যা মামলাতে ফাঁসিয়ে অনুপবাবুকে আটকাতে চাইছেন। এবং তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি পদে বসার চক্রান্ত করছেন। এ ক্ষেত্রে আঙুল উঠেছে, গলসির দলের বিধায়ক নেপাল ঘরুইয়ের এক ঘনিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে। অনুপবাবুর ঘনিষ্ট তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, ভোট গণনার দিন গণনা কেন্দ্রের বাইরে বহু লোকের জমায়েত করেছিলেন ওই নেতাই। কারণ, তাঁর হারের আশঙ্কা ছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে পুলিশের আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন জনার্দনবাবুও। তিনি তাঁর কর্মীদের বলেছেন, পুলিশ তদন্ত করল না, অথচ খুনের চেষ্টা মামলা রুজু করে দিল। পুলিশ তদন্ত করলে সিসিটিভি ফুটেছে, মোবাইল লোকেশন সহ একাধিক তথ্য হাতে পেত। কিন্তু, পুলিশ অভিযোগ পেয়েই সরাসরি খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে দিল। ঘনিষ্ট মহলে অভিযুক্তদের দাবি, বুদবুদ থানার ওসি মনজিৎ ধারা তৃণমূলকে হারাতে প্রথম থেকেই বিরোধীদের সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন। হেরে যেতেই তৃণমূলকে রুখতে কংগ্রেসকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করে তাঁদের ফাঁসানো চেষ্টা চালাছেন। বিষয়টি দলকে তাঁরা জানিয়েছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে হাইকোটে যাবার চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা। তবে তৃণমূলের অভিযোগ মানতে নারাজ পুলিশ। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, আইন মেনে পদক্ষেপ করা হয়েছে।

জুলাই ১৩, ২০২৩
রাজ্য

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বদলি ইডির মূল তদন্তকারী আধিকারিক সহ চার

শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত মামলায় আপাতত সরতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিক সহ চারজনকে। সূত্রের খবর, শিক্ষা সংক্রান্ত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দিল্লি বদলি হচ্ছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিক রামধরম দাগর। তিনি এত দিন এই তদন্তে ইডির দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। একইসঙ্গে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আর জনা তিন জন আধিকারিকের বদলির অর্ডার চলে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই মামলায় নতুন করে তদন্তকারী দল সাজাবে ইডি।ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের একাধিক আমলা, তৃণমূল নেতা, তাঁদের ঘনিষ্ট ব্যক্তিরা গ্রেফতার জেলবন্দি রয়েছে। সূত্রের খবর, এই মামলার প্রধান তদন্তকারী আধিকারিকের বদলির অর্ডার এসেছে। তাঁর সঙ্গে আর ৩ জনের বদলি হতে চলেছে বলে খবর।ইতিমধ্যে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সের সাত তলায় ইডি নতুন লকআপ তৈরির কাজ শুরু করেছে। ৩০০ স্কোয়ার ফুটের লক-আপ তৈরি হচ্ছে। সিসি ক্যামেটা তো থাকছেই তারসঙ্গে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা থাকবে। জানা গিয়েছে পুজোর আগেই এই লক-আপের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই ভবনের ৬ তলায় আরেকটা লকআপ আগে থেকে তৈরি আছে। আর্থাৎ তদন্ত আরও জোরদার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।জানা গিয়েছে, মূল তদন্তকারী আধিকারিক সহ চারজনের বদলি হলে নতুন করে দল সাজানো হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটে গিয়েছে। আবার তলব করা শুরু করতে চলেছে ইডি। ইতিমধ্যে তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে তলব করলেও নির্বাচনের কাজে ব্যস্ত থাকায় ইডি দফতরে যেতে পারেননি তিনি।

জুলাই ১৩, ২০২৩
রাজনীতি

১০ ঘন্টার ওপর টানা ED-র জিজ্ঞাসাবাদ TMC নেত্রী সায়নীকে, জেরায় কি উঠে আসছে?

ইডির তলবের পর থেকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে লুকোচুরি চলছিল। তবে নির্ধারিত শুক্রবারেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরা হন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। ১০ ঘন্টার ওপর টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সায়নীকে। ইডি দফতরে ঢোকার মুখে সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেছিলেন সায়নীকে। একের পর এক প্রশ্ন ধেয়ে আসে তাঁর দিকে। নিয়োগ দুর্নীতির এই তদন্তে ইডিকে সব ধরনের সহযোগিতার বার্তা দিয়েছেন সায়নী। কুন্তল ঘোষকে কিভাবে চেনেন সেই প্রশ্ন তখন এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের মোবাইল চ্যাট ঘেঁটে সায়নী ঘোষের নাম পায় ইডি। যুব তৃণমূলের এই নেত্রীর ব্যাপারে তাই বিশদে জানতে চেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই কারণেই তাঁর ব্যাঙ্ক ডিটেলস, সম্পত্তির খতিয়ান-সহ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন, নির্ধারিত সময়ের আগেই ইডির দফতরে হাজির হন সায়নী।এদিন সায়নী বলেন, দলের প্রচারে ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে তলব করা হয়েছে। সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এই তলব। তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা কি জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইডি? সূত্রের খবর, প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদে সায়নী ঘোষের কাছে জানতে চায় কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আপনার কিভাবে পরিচয়?সায়নূর জবাব শুধুমাত্র পার্টির কর্মী হিসেবেই যোগাযোগ ছিল। সেখান থেকেই পরিচয়। তারপরেই তার একাধিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম।কিভাবে আপনার সঙ্গে লেনদেন হয়েছিল?এই প্রশ্নে সায়নী নিশ্চুপ থাকেন।ইডি যাবতীয় যা নথি আনতে বলেছিল সমস্ত নথি জমা দিয়েছে সায়নী। এক ইডি আধিকারিক বলেন সে সমস্ত নথি আমরা পরে খতিয়ে দেখব।ইডি জিজ্ঞাসা করে, এত বড় পদে থাকার কারণেই কি এত বিপুল পরিমাণ টাকা আপনার ক্ষেত্রে ফ্লাট থেকে শুরু করে একাধিক জায়গায় এবং আপনার সাথে লেনদেন করেছে?উত্তরে সায়নী জানায় একেবারেই না। এদিন সমস্ত বয়ান তিনি নিজে লিখে দিয়েছেন সায়নী।

জুন ৩০, ২০২৩
রাজ্য

এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির তলব তৃণমূল নেত্রী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার ইডির নজরে যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। টলিউডের এই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, শুক্রবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিসে।সূত্রের খবর, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্তে নাম উঠে এসেছে সায়নীর নাম। সম্পত্তি কেনাবেচাতেও নাম জড়িয়েছে সায়নীর, এমনটাই দাবি ইডির। সেই প্রসঙ্গে যুব সভানেত্রীকে জেরা করতে চায় ইডি। জানা গিয়েছে, আরেক গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ও সায়নীর সঙ্গে কুন্তলের যোগের কথা তদন্তকারীূের জানিয়েছেন।চলতি বছরের মার্চ মাসে কুন্তলের সঙ্গে পরিচিতি থাকায় ইডির নজরে এসেছিলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। অভিযোগ ছিল, কুন্তলের টাকায় গাড়ি কিনেছিলেন তিনি। তা নিয়ে গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ইডির হাতে কুন্তলের গ্রেফতারির পর তাঁর এক ঘনিষ্ঠের সঙ্গে যোগসূত্র মেলে বনির প্রেমিকা অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের।কুন্তল ঘনিষ্ঠ সোমা চক্রবর্তীর নেল পার্লারে মডেলিংয়ের কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী। এর পর নাম আসে বনিরও। কুন্তল জেরার মুখে ইডি আধিকারিকদের কাছে দাবি করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজার থেকে তোলা টাকার মধ্যে তিনি বনিকে ৪০ লক্ষ দিয়েছিলেন গাড়ি কিনতে। বনি পরে সেই টাকা ইডিকে ফেরতও দিয়েছে। ভোট বাজারে সায়নী ইডি দফতরে যায় কিনা তাই এখন দেখার।

জুন ২৮, ২০২৩
রাজনীতি

খুনের আশঙ্কা করেছিলেন, এবার বিশেষ নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ

নিজেই খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বিশেষ করে ভাঙড়ে পঞ্চায়েতে মনোনয়নে অশান্তি হওয়ার পর সেই শঙ্কা বেড়ে যায় নওশাদের। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়েও কোনরকম নিরাপত্তা না পাওয়ার কারণে মাননীয় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।নওশাদ বলেন, কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন আমার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে। সেই অনুযায়ী রবিবার বেলা চারটের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (CISF) সাতজনের একটা টিম আমার বাড়িতে এসে পৌঁছায় এবং আমার নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করে।তবে কোন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা তিনি পেয়েছেন তা জানা যায়নি। নওশাদ বলেন, কোন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে সে বিষয় এখনো স্পষ্ট হয়নি, আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টে আমার নিরাপত্তা বিষয়ক মামলার শুনানি আছে হয়তো সেখানে বিস্তারিত জানতে পারবো।

জুন ২৫, ২০২৩
রাজ্য

হাজিরায় ইডিকে অভিষেকের না, আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা

শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআইয়ের পরে ইডি তলব করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ১৩ জুন, মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে যাওয়ার সমন পাঠিয়েছিল অভিষেককে। নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক জানিয়ে দিয়েছিল তিনি রাজনৈতিক কাজে ব্যস্ত থাকবেন এখন আর যেতে পারবেন না। জানা গিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ১৩ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনি ইডি দফতরে হাজির হবেন না বলে মেইল করে জানিয়ে দিয়েছেন।সূত্রের খবর, অভিষেকের মেইল পাওয়ার পর নতুন করে ভাবছেন ইডি আধিকারিকরা। আগামী সোমবার তাঁরা এবিষয়ে বৈঠক করবেন। আইনি পদক্ষেপ করতে পারে ইডি। জানা গিয়েছে, আবার তলব করতে পারে বা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে ইডি। এদিকে ইতিমধ্যেই ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক জায়া রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়।অভিষেকের অভিযোগ, অহেতুক তলব করছে ইডি। সময় নষ্ট করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, নবজোয়ার যাত্রার সাফল্য দেখে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বকে হয়রান করছে।

জুন ০৯, ২০২৩
রাজ্য

রুজিরাকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ, আগামী সপ্তাহে তলব অভিষেককে

সাড়ে চার ঘন্টা পর সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলাকে। কয়লা পাচার মামলায় ইডি তলব করেছিল অভিষেক-জায়াকে। বৃহস্পতিবার সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনি প্রবেশ করেন সিজিওতে। দিল্লি থেকে আসা ইডি অফিসাররা রুজিরাকে প্রশ্ন করেছেন। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রুজিরাকে দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তবে সেক্ষেত্রে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশেই রুজিরাকে কলকাতার দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছিল ইডিকে।বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলব না। ও (রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়) ভালো মেয়ে, নিরাপরাধ মেয়ে, সৎ মেয়ে, প্রাপ্ত বয়স্কা। শুধু বলব ইডি বাঘ নাকি? ইডি দেশের জনগণের সেবার জন্য, বিজেপির সেবা করার জন্য নয়।এরপরই এদিন বিকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি)। আগামী মঙ্গলবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তলব করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। প্রসঙ্গত, ওইদিনই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের।আজ, বৃহস্পতিবারই ইডির নোটিস, মঙ্গলবার অভিষেককে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি । কুন্তলের চিঠি ছাড়াও একাধিক তথ্যকে সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চায় ইডি। গত ২০ মে কুন্তলের চিঠির প্রেক্ষিতে অভিষেককে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।সমন পাওয়ার পর অভিষেক জানিয়ে দিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পর ইডি তলব করলে তিনি যাবেন। এখন ১০-১২ ঘন্টা সময় নষ্ট করতে পারবেন না।

জুন ০৯, ২০২৩
কলকাতা

ডাক্তারিতে ডিপ্লোমা কোর্সের ভাবনা মমতার, শর্টকাটের বিরোধিতা চিকিৎসকদের

অল্প সময়ের মধ্যেই চিকিৎসক চাই। তাই এবার ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠ্যক্রমের কায়দায় ডাক্তারিতেও ডিপ্লোমা কোর্স চালুর প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে এই নয়া চিন্তাভাবনার কথা তুলে ধরেন। তাঁর বক্তব্য, এর ফলে রোগী ও চিকিৎসকের অনুপাতের ঘাটতি কমবে। একইভাবে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও কাজে লাগানো যাবে।মুখ্যমন্ত্রীর নয়া প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে বিরোধী দলসহ চিকিৎসকদের বড় অংশ। বিজেপির রাজ্য সভপাতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারের পর সিভিক শিক্ষক এবার সিভিক ডাক্তার বানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে আর একজন মুখ্যমন্ত্রী কেন আরও কয়েকজন সিভিক মুখ্যমন্ত্রী করলেই তো হয়। অন্যদিকে চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের বক্তব্য, এভাবে শর্টকাট পদ্ধতিতে চিকিৎসক তৈরি করা যায় না। এমন হলে ভেঙে পড়বে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?রাজ্যে ডাক্তারের ঘাটতি রয়েছে। এ জন্য জেলা হাসপাতালগুলিকেই ভুগতে হয় বেশি। ঘাটতি পূরণে বাড়ানা হয়েছে ডাক্তারি পাঠ্যক্রমে আসন সংখ্যা। কিন্তু, অনেকেই পাস করার পর এ রাজ্যে থাকছেন না। ফলে লাভের লাভ হচ্ছে না। বৈঠকে উপস্থিত আমলাদের উদ্দেশে মমতা বলেন, অনেক হাসপাতাল হচ্ছে, যেখানে ডাক্তার নেই, নার্স নেই। ইঞ্জিনিয়ারদের মতো ডাক্তারদের একটা ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যায় কি না দেখো। তাহলে অনেক ছেলে-মেয়ে ডাক্তারি ডিপ্লোমা কোর্সের সুযোগ পাবে। পাঁচ বছর ধরে প্রশিক্ষণে আমরা যে অরিজিনাল ডাক্তার পাচ্ছি, তাদের অনেকটা সময় যাচ্ছে, পড়াশোনা করতে হচ্ছে, পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। কিন্তু যেহেতু হাসপাতাল বাড়ছে, লোকসংখ্যা বাড়ছে, বেড বাড়ছে যদি সমান্তরালভাবে একটি ডিপ্লোমা কোর্স করে অন্তত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কাজে লাগানো যায়, তাহলে মনে হয় ভাল রেজাল্ট দেবে।

মে ১১, ২০২৩
রাজ্য

মালগাড়ি-লোকালের ধাক্কা, ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত বর্ধমান-হাওড়া ডাউন মেইন লাইনে

মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় লোকাল ট্রেনের লাইনচ্যুত হয় বর্ধমানের শক্তিগড়ের কাছে। বর্ধমান-হাওড়া মেন ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বুধবার রাত থেকে বন্ধ রয়েছে। এর ফলে নিত্য যাত্রী দুর্ভোগ পোয়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালেও এই ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ৯. ১৬ মিনিট নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় স্টেশনের কাছে ট্র্যাক চেঞ্জ করার সময় একই লাইনে চলে আসা মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয় যাত্রীবাহী ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল। তবে দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। কিন্তু ট্রেনের যাত্রীরা যথেষ্টই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান রেলের আধিকারিকরা। দুর্ঘটনার ফলে এখনও ট্রেন চলাচল ব্যহত রয়েছে।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ৩৭৭৮৪ ডাউন বর্ধমানব্যান্ডেল লোকাল ট্রেনটি রাত ৯. ১৬ মিনিট নাগাদ শক্তিগড় স্টেশনে ঢুকছিল। তখন দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটির গতিবেগ কম থাকায় বড়সড় কোনও বিপদ ঘটেনি। ট্রেনের যাত্রী রাজু রায় বলেন, ওই সময়ে আমরা ট্রেনে বসেই প্রবল ঝাঁকুনি অনুভব করি। আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তারপর দেখতে পাই আমাদের ট্রেনের একটা বগি লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। ট্রেনে ধীর গতি থাকায় বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। কেন এমন দুর্ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পূর্বরেলের পদস্থ কর্তারা। দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।

মে ১১, ২০২৩
রাজ্য

কেন বাংলায় নিষিদ্ধ ‘দ্য কেরালা স্টোরি’? কি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী ও সংঘ পরিবার?

বাংলায় দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার। নিষিদ্ধ ঘোষণার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দ্য কেরালা স্টোরি তৈরি করে বিজেপি উদ্দেশ্য প্রণোদিত উসকানি দিচ্ছে। দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করতে মুখ্যসচিবকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের শান্তি সৌহার্দ্য বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে খবর। যদিও বিজেপি ও হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, সংখ্যালঘু তোষণ করতেই দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।সোমবার নবান্নে দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই অস্বস্তি ব্যক্ত করেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এই সিনেমা নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন। মমতার দাবি, ওরা বিভাজনের রাজনীতি করছে। কেন দ্য কাশ্মীর ফাইলস বানালো ওরা? এক শ্রেণীর মানুষকে কটাক্ষ করার জন্য। এখন কেরালা স্টোরি বানিয়েছে। ওটা সিপিএম-এর রাজ্য। আমি ওদের একেবারেই সমর্থন করি না। ওরা বিজেপি-র সঙ্গে চলছে।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বিজেপি মনোনীত কিছু তারকা তো বাংলাতেও এসেছিলেন। তাদের টাকা দেয় বিজেপি। তথ্য বিকৃত করে তারা নাকি বেঙ্গল ফাইলস নামে একটি ছবি বানাচ্ছে। আগে কাশ্মীর ফাইলস, তারপর দ্য় কেরল স্টোরি, এবার বাংলার মানুষদের তাতাতে বেঙ্গল ফাইলস তৈরি করা হচ্ছে। এভাবে বাংলাকেও অপমান করার চেষ্টা করছে। ওরা বলছে, সেভ বেঙ্গল। কেন? শান্তিপ্রিয় একটা রাজ্য বাংলা। বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে কেন?তবে মুখ্য়মন্ত্রীর সিনেমা নিষিদ্ধ ঘোষণার পর বিজেপি ও সংঘ পরিবার একযোগে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। দ্য কেরালা স্টোরির বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আইসিসকে সমর্থন করছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষে সমর্থন করছেন। আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, সত্যি ঘটনাকে আড়াল করতে চাইছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক টিকিয়ে রাখতেই এই পদক্ষেপ। বাঙালি হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপন্ন নিয়ে সিনেমা হওয়া উচিত বলেও মনে করে সংঘ পরিবার। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সাংগঠনিক পর্যায়ে বৈঠক করছে আরএসস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।

মে ০৯, ২০২৩
রাজ্য

বুথ সভাপতি খুনে ময়নায় ১২ ঘন্টার ডাকা বিজেপির বনধে উত্তেজনা

এদিন সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপির ডাকা বনধ শুরু হয়ে হয়েছে। চলে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ, অধিকাংশ দোকানপাট এদিন বনধ আছে। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের বচসা বাধে। দোকান খোলা নিয়ে বেশ কিছু বাজারে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃ্তীরা খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। সোমবার রাতে ঘটনার পর থেকে থেকে দফায়-দফায় উত্তেজনা ছড়ায় ময়নায়। রাতভর থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তারপর মঙ্গলবারও সারা দিন টায়ার জ্বালিয়ে চলে পথ অবরোধ-বিক্ষোভ পূর্ব মেদিনীপুরের নানা স্থানে। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ময়না এলাকায় বনধের ডাক দেয় বিজেপি।এদিকে সোমবার শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দেন, বুধবার ১২ ঘণ্টার বনধ। পাঁশকুড়া থেকে দিঘা পর্যন্ত ১০০ জায়গায় অবরোধ হবে। ৪ মে ময়নায় প্রতিবাদ মিছিল হবে। নিহতের পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছি। সিবিআই তদন্তের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাব।এদিন ময়না থানা এলাকার বিভিন্ন বাজার এলাকায় বনধের চিত্র দেখা যায়। অন্নপূর্ণা বাজারে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এদিনও দফায় দফায় টায়ার জ্বালিয়ে, রাস্তায় বেঞ্চ পেতে, পাতাকা টাঙিয়ে অবরোধ-বিক্ষোভ করে বিজেপি। বিজেপির দাবি, সোমবার রাতে দলের বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।

মে ০৩, ২০২৩
রাজ্য

এবার গরুপাচার কাণ্ডে দিল্লিতে ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত কন্যা সুকন্যা

গরুপাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলেক ১১ অগাস্ট সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। এখন তিনি তিহার জেলে রয়েছেন। এবার গরুপাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি তলব করেছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মন্ডলকে। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। এদিন জবাবে অসঙ্গতি মেলায় সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এর আগে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, তাঁর ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষককে। ইডি সূত্রে খবর, বারে বারে ইডিকে বিভ্রান্তি করে চলেছিল সুকন্যা। তিনি নিজে নাকি টাকা পয়সার হিসেব রাখতেন। একধাক্কায় কি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন তিনি? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব তিনি দিতে পারেননি। শেষমেষ এদিন গ্রেফতার করা হয় সুকন্যাকে। আগামিকাল তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। জানা গিয়েছে, ৫ দিনের হেফাজত চাইবে ইডি। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া, আইনি প্রক্রিয়ায় দল নাক গলাবে না{ তবে মাতৃহারা সুকন্যাকে বাইরে রেখে কি তদন্ত করা যেত না? বিজেপির প্রতিক্রিয়া, গরুপাচার কাণ্ডে জড়িত বলেই গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত কন্যাকে। আগেই বলা হয়েছিল অভিযুক্ত কেউ ছাড়া পাবে না।

এপ্রিল ২৬, ২০২৩
রাজ্য

অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের ‘দখলীকৃত’ জমি খালি করার চূড়ান্ত নোটিস বিশ্বভারতীর

বিশ্বভারতী ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব যেন কিছুতেই মেটার নয়। এই গন্ডগোলের মাঝে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সবরকম আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন অর্থনীতিবিদকে। এদিকে ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। একেবারে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর গেটে সেই নোটিস সাঁটিয়ে দিয়ে এসেছে। নোটিসে বলা হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচীর দখল করা ১৩ ডেসিমেল জায়গা খালি করতে হব। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১১ টা নাগাদ সেই নোটিস জারি করা হয়েছে। নোটিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, জমি খালি না করলে উচ্ছেদ করা হবে।এর আগেও অমর্ত্য সেনকে নোটিস দিয়েছিল বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ। এবার আর শুধু নোটিস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষান্ত থাকেনি। অমর্ত্য সেনের দখল করা জমি উদ্ধারে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই পদক্ষেপের পাল্টা আইনি যুক্তি দিয়ে বিশ্বভারতীকে চিঠি দিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। অমর্ত্য সেন চিঠিতে জানতে চেয়েছেন যে, কোন আইনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁকে উচ্ছেদ করার কথা বলেছে। গত ১৭ এপ্রিল অর্থনীতিবিদ বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিবকে এই চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠিতেই অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন তিনি জুন মাসে শান্তিনিকেতনে ফিরবেন।

এপ্রিল ২০, ২০২৩
রাজ্য

১০০ নয় কুন্তল একাই ৫০০ কোটি তুলেছে, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে বিষ্ফোরক তাপস

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির টাকা নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন ধৃত তাপস মন্ডল। বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার মুখে তাপস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আদালত থেকে বেরিয়ে কথা বলব। আদালত থেকে বেরিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেছেন তাপস মন্ডল।তাপস বলেন, ১০০টাকা নয় কুন্তল তুলেছে ৫০০ কোটি টাকা। এই টাকা হাওলার মাধ্যমে বাইরে টাকা পাঠিয়েছে কুন্তল। অভিষেকের নাম ভাঙিয়ে টাকা তুলেছে কুন্তল। কুন্তল একাই ৫০০ কোটি টাকা তুলেছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিওএ সেভাবে কোনও চাপ দেয়নি।কুন্তলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের প্রক্ষিতে বিজেপির বক্তব্য়, শীর্ষ মহল না এত বড় দুর্নীতি সম্ভব নয়। যদিও কুন্তল এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

এপ্রিল ২০, ২০২৩
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার থেকে ছুটির ঘোষণা সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। আগামী কাল সোমবার থেকে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় এক সপ্তাহ ছুটি থাকবে অতিরিক্ত গরমের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিও ছুটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সরকারি নির্দেশ মেনে বর্ধমান মডেল স্কুলও ছুটি ঘোষণার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।গত কয়েক দিন ধরেই টানা রোদে-গরমে পুড়ে ছারখার বাংলা। তীব্র দাবদাহের পরিস্থিতি বিবেচনা করে রবিবার সকালেই রাজ্যের সব সরকারি স্কুলে কাল থেকেই ছুটি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী সপ্তাহেই রাজ্যের সরকারি-বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়কে ছুটি দিতে বলেছেন। সপ্তাহের শুরু সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত সরকারি স্কুল-কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটির ঘোষণার কথা জানিয়ে দেন তিনি। বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলিকেও ছুটি দিতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ী এলাকা এই ছুটির আওতা থেকে বাদ যাবে। রাজ্যে একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। যা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাকার সম্ভাবনা আছে। তীব্র গরমে ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্য। তাই আগাম গরমের ছুটির ঘোষণা।

এপ্রিল ১৬, ২০২৩
রাজ্য

পুলিশকে কী ভয়ঙ্কর হুমকি দিলেন বিজেপি সাংসদ! দলের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন বিরোধীদের

মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় বিডিও দফতরে তৃণমূলের বৈঠকে ভার্চুয়াল অংশগ্রহনে হইচই, অন্যদিকে সোনামুখীতে পুলিশকে বেনজির হুমকি দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার আইসি-কে তুই-তোকারি, বলে তাঁর পরিবার তুলে বেনজির হুমকি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, পুলিশের এই পদস্থ কর্তাকে হাইকোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যাবেন। সৌমিত্রর বক্তব্য, আমি জানি সোনামুখীর আইসি অনেক দিন ধরে দাদাগিরি করছে। এখানের মা বোনেদের টাকা চুরি করবি? এই আইসি তোর ঘরে মা, বোন নেই? আইসি শুনে রাখ তোর বাপেরও ক্ষমতা নেই এখানে কিছু করার। আর যদি কিছু করিস তাহলে তোরও পরিবার আছে আমরা দেখে নেব।সৌমিত্র খাঁয়ের বক্তব্যের সমালোচনায় সরব হয় তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেরা। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ওই দলটাই সামগ্রিকভাবে অসামাজিক ও সন্ত্রাসবাদীদের দল। সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, তৃণমূল, বিজেপি রাজনীতির এমন সংস্কৃতি তৈরি করছে যাতে মানুষের স্বার্থবাহী রাজনীতি বাদ যাচ্ছে। এতে গগনে খেলা হচ্ছে। কংগ্রেসের কৌস্তভ বাগচী বলেন, অশালীন মন্তব্য হলে নিন্দনীয়। জানি না তৃণমূলে যাওয়ার জন্য এসব বলছেন কিনা। কিন্তু পুলিশকে আক্রমণ করলে তাতে বলার কিছু নেই। ওদের এটাই প্রাপ্য।

এপ্রিল ১১, ২০২৩
রাজ্য

সরানো হল অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মহম্মদবাজারের আইসিকে, তলব করা হয়েছিল গরুপাচার কাণ্ডে

বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার আইসি মহম্মদ আলিকে সরিয়ে দেওয়া হল। তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঠানো হয়েছে ডিইবি-তে। অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে সরানো হয়েছে আলিকে।সম্প্রতি, গরুপাচার কাণ্ডে মহম্মদ আলির নাম জড়়িয়েছিল। এই আইসিকে তলবও করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ এই পুলিশ অফিসার। তিনি অনুব্রতর মামলার টাকার যোগানও দিয়েছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। তাঁকে তলব করায় পুলিশ মহলে কানাঘুষো চলছিল। এবার তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।

এপ্রিল ১১, ২০২৩
রাজ্য

জিতেন্দ্র তেওয়ারির ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত, ব্যাপক বিক্ষোভ আসানসোল আদালত চত্বরে

রবিবার আসানসোল আদালতে তোলা হয় আসানসোলের বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে। গত বছর ১৪ই ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণকাণ্ড পদপৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার গ্রেফতার করা হয় জিতেন্দ্রকেl এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারি নিজে একজন আইনজীবী হিসেবে নিজেই নিজের মামলা মুভ করেন বলে জানা গিয়েছে। জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে আদালত থেকে বার করার আগে বিজেপি কর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থেকে আদালত চত্বরে। তাঁদের দাবি, যে গাড়িতে করে নিয়ে আসা হয়েছে। সেই গাড়ি পরিবর্তন করতে হবে। তারা অভিযোগ জানাতে থাকে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রে পুলিশ অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসি গাড়ি ব্যবহার করে বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি জিতেন্দ্রকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও এসি গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। এই অভিযোগে তারা তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গাড়ির সামনে বসে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। যদিও পুলিশি তৎপরতায় আদালত চত্বর থেকে বিজেপি কর্মীদের সরিয়ে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে বার করে নিয়ে যায় পুলিশ। এদিন সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানিয়েছেন ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল আদালতে আদালত ৮ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে। আগামী ২৭ তারিখ পুনরায় জিতেন্দ্র তেওয়ারি পেশ করা হবে।

মার্চ ১৯, ২০২৩
রাজ্য

এসএসসি দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের সল্টলেকের বাড়িতে ইডির হানা

যত খুঁড়ছে ততই সোনা। সম্পত্তির যেন কোনও শেষ নেই। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার সাসপেন্ড তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলিতে একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের সল্টলেকের বাড়িতে হানা দেয় ইডি।গ্রাউন্ড ফ্লোরে ভাড়া থাকেন অয়ন শীল। দীর্ঘ তিন বছর ধরে এই অয়ন শীল সল্টলেকের এই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সূত্রের খবর, শনিবার সকালেই তিনি বাড়ি ছেড়ে হুগলির চুঁচুড়া বা অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তার খোঁজে এই প্রোমোটারের বাড়িতে হানা ইডির। কেন এই প্রোমোটারের বাড়িতে ইডির হানা? ইডি সূত্রের খবর, শান্তনুর একাধিক হোটেল, রিসর্ট, প্রমোটিং এর মূল দায়িত্বে ছিলেন অয়ন শীল।অয়ন বাড়িতে না থাকায় ইডির আধিকারিকরা পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বাড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। অয়নের স্ত্রী এবং ছেলে দিল্লিতে থাকে। এই ফ্ল্যাটে অয়ন শীলের অফিসের কিছু কর্মী এখানে থাকেন। বাড়ির পাশাপাশি অফিস হিসাবেও এই ফ্ল্যাট ব্যবহার হয়।জানা গিয়েছে, প্রমোটিং ছাড়াও অয়ন শীলের একটি প্রোডাকশন হাউজ রয়েছে। রয়েছে পেট্রোল পাম্প।২০১৭ সালে হুগলির চুঁচুড়ার পিপুলপাতিতে একটা আবাসন প্রোজেক্ট করেন অয়ন। সেখানে ৪০ টি ফ্ল্যাট ছিল। সেখানে একটি ফ্ল্যাট কেনে শান্তনু। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় এর সঙ্গে একটি সিনেমাও অয়ন শীল করেছেন বলে খবর।

মার্চ ১৮, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • ...
  • 78
  • 79
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
বিদেশ

কে এই ওসমান হাদি? যাঁর মৃত্যুতে গোটা বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে

কয়েক মাস আগেও যাঁকে প্রায় কেউ চিনতেন না, অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন। রাজনীতিতে আচমকা উত্থান, আবার সেই কাহিনি পূর্ণতা পাওয়ার আগেই থেমে গেল। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। দেশজুড়ে ছড়িয়েছে উত্তেজনা, বহু জায়গায় আগুন ও বিক্ষোভ। যাঁকে ঘিরে এত আলোচনা, আন্দোলন ও বিতর্ক, সেই ওসমান হাদি আসলে কে ছিলেন?অত্যন্ত সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন ওসমান হাদি। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই জাতীয় রাজনীতিতে পরিচিতি পান হাদি। বিতর্কিত গ্রেটার বাংলাদেশ-এর মানচিত্র তৈরির সঙ্গেও তাঁর নাম জড়ায়, যেখানে ভারতের সেভেন সিস্টার্স-সহ একাধিক অঞ্চলকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছিল।১৯৯৩ সালের ৩০ জুন বরিশালে জন্ম ওসমান হাদির। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকতেন। পেশায় শিক্ষক ছিলেন হাদি। জুলাই আন্দোলনের সময় তিনি সক্রিয়ভাবে স্থানীয় সাংগঠনিক কাজে যুক্ত হন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রামপুরা এলাকার সমন্বয়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পান এবং পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লিগ নিষিদ্ধ করার দাবিতে যারা সরব হন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন হাদি। সেই সময়েই গড়ে ওঠে ইনকিলাব মঞ্চ। এই মঞ্চের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ন্যায়বিচারের দাবি। ইনকিলাব মঞ্চের তরফে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ, অভিযুক্তদের বিচার, আহত ও নিহতদের স্বীকৃতি এবং জুলাই চার্টার ঘোষণার দাবি তোলেন হাদি। এর ফলে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি।ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও হাদির নাম জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে হাদি বারবার আওয়ামী লিগের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন ও হত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদি জানিয়েছিলেন, তাঁকে ফোন ও মেসেজ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবুও তিনি পিছিয়ে যাননি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন। চা-সিঙ্গারা আড্ডার মাধ্যমে প্রচারও শুরু করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।গত ১২ ডিসেম্বর জুম্মার নামাজের পর ঢাকার বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি মাথা ভেদ করে বেরিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এবং সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর রাতে সিঙ্গাপুরে মৃত্যু হয় ওসমান হাদির। আজ তাঁর দেহ বাংলাদেশে আনা হবে।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

নিষিদ্ধপল্লীতে ভোটার উধাও! খসড়া তালিকায় বাদ ২০ শতাংশ নাম

নিজস্ব সংবাদদাতা: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ হতেই চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এল আসানসোলে। উদ্বেগ ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। এসআইআর বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের প্রাথমিক পর্ব শেষে দেখা যাচ্ছে, কুলটি বিধানসভার নিয়ামতপুর সংলগ্ন নিষিদ্ধপল্লী এলাকার চারটি বুথে মোট ভোটারের প্রায় ২০ শতাংশ নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। পাশাপাশি আরও প্রায় ২০ শতাংশ ভোটারের সঙ্গে পুরনো তালিকার কোনও ম্যাপিং করা যায়নি বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর।এসআইআর শুরু হওয়ার সময় এই চারটি বুথে মোট ভোটার ছিলেন ৩ হাজার ৬২৭ জন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর দেখা যাচ্ছে, ৭৪২ জনের নাম বাদ গিয়েছে। বাদ পড়া ভোটারদের মধ্যে ১৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, ৬৯ জন অন্যত্র চলে গিয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক, অর্থাৎ ৫৩৪ জন ভোটারের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। জানা গিয়েছে, তাঁরা এনুমারেশন ফর্ম তুললেও তা আর জমা দেননি। পাশাপাশি ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৬৮৪ জন।এই তথ্য সামনে আসতেই বিরোধীরা সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই ভূতুড়ে ভোটারদের ব্যবহার করে এসেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। নিষিদ্ধপল্লী এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের দাবি, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলও-রা। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি বাচ্চু রায় বলেন, নিষিদ্ধপল্লীর অনেক যৌনকর্মী নিজের পরিচয় ও ঠিকানা গোপন রেখে সেখানে কাজ করতে আসেন। এসআইআর চলাকালীন তাঁরা ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বা ফর্ম তুললেও জমা দেননি। তাঁর দাবি, এখানে কোনও বাংলাদেশি যোগ নেই।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজ্য

চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচা–পাঁচামিতে পাথর উত্তোলনের বরাত বাতিল, নতুন দরপত্রে বিতর্ক

চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় পাথর উত্তোলনের কাজের বরাত বাতিল করল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে থাকা মেসার্স পাচামি ব্যাসল্ট মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের দাবি, সংস্থাটি চুক্তির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শর্ত মানেনি বলেই এই পদক্ষেপ।রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে ৩১৪ একর জমিতে পাথর উত্তোলনের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, দেওচাপাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকার আসলে ধোঁয়াশা তৈরি করছে। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ১৫ বছরে রাজ্য সরকার একটি বড় শিল্প প্রকল্পও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি। অথচ দেওচাপাঁচামিকে দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বলে প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, আসন্ন শিল্প সম্মেলনের আগে বরাত বাতিল ও নতুন দরপত্র ডেকে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, নতুন দরপত্রে কোথাও কয়লাখনি স্থাপনের উল্লেখ নেই। বরং আগামী ১৫ বছরের জন্য শুধুমাত্র পাথর উত্তোলনের কথাই বলা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এর থেকেই স্পষ্ট যে আপাতত কয়লা উত্তোলনের কোনও পরিকল্পনাই রাজ্যের নেই। যদিও গত অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক স্তরে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থা আগ্রহ দেখায়নি বলেও দাবি করেন তিনি।জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। অথচ এখনও পর্যন্ত কোনও পূর্ণাঙ্গ নকশা বা প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে জমা পড়েনি। পাশাপাশি আদিবাসীদের জমি নেওয়া হলেও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বা স্থায়ী কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির ব্যর্থতার প্রতিফলন বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

মেসি-কাণ্ডে মানহানির অভিযোগ, লালবাজারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এফআইআর

লিওনেল মেসিকে ঘিরে কলকাতার সাম্প্রতিক বিতর্কে এবার আইনি মোড়। প্রকাশ্যে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগ তুলে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে এফআইআর দায়ের করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল উঠেছে কলকাতার আর্জেন্টিনা ফ্যান ক্লাবের প্রধান তথা মেসি-ভক্ত উত্তম সাহার দিকে।সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবীর তরফে জানানো হয়েছে, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে ঘিরে যে বিতর্কিত ঘটনার সূত্রপাত, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সৌরভের ভূমিকা সম্পর্কে একাধিক ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এই মন্তব্যগুলিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর বলেই দাবি করা হয়েছে অভিযোগে।সৌরভের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে তিনি শুধুমাত্র একজন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবেই উপস্থিত ছিলেন। ইভেন্টের আয়োজন বা পরিচালনার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম সাংগঠনিক যোগ ছিল না। অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক ছিলেন শতদ্রু দত্ত। একই অনুষ্ঠানে অভিনেতা শাহরুখ খান-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, উত্তম সাহা প্রকাশ্যে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে চিটিংবাজ বলে কটাক্ষ করেন, যা প্রাক্তন অধিনায়কের সামাজিক সম্মান ও দীর্ঘদিনের ভাবমূর্তিকে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই কারণেই মানহানির নোটিস পাঠানোর পাশাপাশি লালবাজারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেসিকে দেখার আশায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হাজার হাজার দর্শক মোটা অঙ্কের টিকিট কেটেও শেষ পর্যন্ত হতাশ হন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেন। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একজন ডিসিপি সাসপেন্ড হয়েছে। এই আবহেই দেওয়া উত্তম সাহার মন্তব্যকে ঘিরে এবার আইনি পথে হাঁটলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
রাজনীতি

একেই হুমায়ুন কবীরে অস্থির! এবার দুর্নীতির অভিযোগ জেলা পরিষদের সদস্যপদে ইস্তফা দাপুটে তৃণমূলনেত্রীর

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বড়সড় রাজনৈতিক বিস্ফোরণ। দলের হেভিওয়েট নেত্রী ও জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি শাহনাজ বেগম জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। শুধু পদত্যাগই নয়, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে নিজের দলের পরিচালিত জেলা পরিষদ বোর্ডকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।১৭ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠান শাহনাজ বেগম। তার প্রতিলিপি জমা পড়েছে জেলা শাসকের কাছেও। তবে প্রশাসনিক চিঠির থেকেও বেশি আলোড়ন তৈরি করেছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট। সেখানে তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, চোর জেলা পরিষদের একজন অংশীদার হয়ে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই এক লাইনের মন্তব্যেই জেলা তৃণমূল রাজনীতিতে তীব্র অস্বস্তি ছড়িয়েছে।শাহনাজ বেগম দাবি করেছেন, তিনি কখনও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি এবং ভবিষ্যতেও করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা ক্ষোভই যে এবার প্রকাশ্যে এসেছে, তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে দলের অন্দরে এমন প্রকাশ্য বিদ্রোহ তৃণমূলের জন্য বড় ধাক্কা।মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতিতে শাহনাজ বেগম অত্যন্ত প্রভাবশালী নাম। একসময় কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি ভেঙে জেলা পরিষদে তৃণমূলের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০১৩ সাল থেকে সোমপাড়া, রামপাড়া ও রামনগর বাছড়া এলাকা থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত হন তিনি। কর্মাধ্যক্ষ থেকে সহকারী সভাধিপতি, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন শাহনাজ।যদিও আপাতত অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে পদ ছাড়লেও এলাকার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এই বিস্ফোরক ইস্তফা মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, এখন সেটাই দেখার।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal