• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

CP

রাজনীতি

বামেদের আন্দোলন নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি জেলা সভাপতির, 'সিপেমূল'এর আন্দোলন বলে কটাক্ষ

গরুপাচার, কয়লা চুরির উপর থেকে নজর ঘোরাতেই তৃণমূল ও সিপিএম যৌথ ভাবে আইন অমান্য আন্দোলনের নামে ভাঙচুর করেছে। সিপিএমকে এগিয়ে দিয়ে পিছন থেকে মদত দিয়েছে তৃণমূল। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ তুললেন পূর্ব বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা। যেভাবে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও পুলিশকে আক্রমণ করা হয়েছে সে বিষয়েও কড়া ভাষায় নিন্দা করেন তিনি। এভাবে সিপিএমকে এগিয়ে দিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না বলে জানান তিনি।অভিজিৎ তা বলেন, একটা গরীবের দল কর্জনগেট এলাকার গরীব ফল বিক্রেতাদের দোকানে আন্দোলনের নামে ফল লুট করেছে। তিনি বলেন, এটা কোনও আইন অমান্য কর্মসূচি নয়। এটা লুটতরাজের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের আচরণ নিয়েও অভিজিৎ প্রশ্ন তুলেছেন। যেভাবে পুলিসকে তাড়া করে রাস্তায় ফেলে মারা হয়েছে, তাতে প্রশাসনকে অসহায় লেগেছে। তিনি বলেন, সেই বাম আমল থেকে এই সরকার অবধি পুলিস যে অসহায়, তা আরও একবার প্রমান হল বর্ধমানে।পূর্ব বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ তা পুলিসের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে বলেছেন, পুলিস আপনার আমার বাড়িরই কোনও সদস্য, তাঁদেরকে যেভাবে সিপিএম পিঠ ব্যগে করে ইঁট নিয়ে এসে ছুঁড়ে ছুঁড়ে মেরেছে, সেটা আন্দোলনের অংশ হতে পারে না।অভিজিৎ তা মিটিংয়ে আসার পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়েও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে বললেন, যেকোনও রাজনৈতিক দলকেই সভা সমাবেশে যেতে গেলে গণপরিবহণের সাহায্য নিতে হয়। কিন্তু বিজেপির মিটিংয়ে কোনও পাবলিক বাস মালিকই বাস ভাড়া দিতে চান না। কারণ তাঁরা বিজেপিকে বাস ভাড়া দিলে সেই বাসমালিক ও তাঁর কর্মচারীদের নানা ভাবে হেনস্তার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি বলেন, এইবারের মিটিংয়ে আসার জন্য বাস সংক্রান্ত কোনও সমস্যায়ই পড়তে হয়নি বামেদের। অভিজিৎ তা মনে করেন, তৃণমূলের একটা অংশ (বিক্ষুদ্ধও হতে পারে) পরোক্ষে এই মিটিংয়ে আসার জন্য বাসের ব্যাপারে তাঁদের সাহায্য করেছেন। তিনি এই আন্দোলনকে সিপেমূল-এর আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
রাজনীতি

বর্ধমানে সিপিএম পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের

আবারও সিপিএম পার্টি অফিসে হামলার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের নীলপুর এলাকায় ২ নম্বর এরিয়া সিপিএমের পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়। পার্টি অফিসের বাইরে শহীদ বেদীতেও ভাঙচুর করার পাশাপাশি অফিসার তালা ভেঙে অন্য তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় সিপিএম সমর্থকেরা। তাঁরা জানান, দুস্কৃতিরা জানালা, দরজা ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।প্রসঙ্গত, বুধবার বামেদের আইন অমান্য অভিযানের রাতে হাটুদেওয়ান এলাকাতেও একটি সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। জেলা সিপিএমের অভিযোগ ৩১শে আগষ্ট আইন অমান্য আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়েছিল, তার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পিতভাবে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালাচ্ছে।তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান, কোন পার্টি অফিসে হামলার ঘটনাই ঠিক নয়। তবে এর সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নেই। সিপিএম নিজেরাই এই কাজ করতে পারে। ৩১শে আগষ্ট সিপিএম তান্ডব চালিয়ে বিশ্ববাংলা লোগো থেকে শুরু করে বিধায়কের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। দলের নির্দেশে আমরা শান্ত আছি। এর সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নেই।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
রাজনীতি

বুধবার বামেদের 'আইন অমান্য' কাণ্ডে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা প্রশাসন ও তৃণমূলের, ৩৪ জনের জেল হেপাজত

বুধবারের বামেদের আইন অমান্য কি ঘিরে যে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে যায় তাতে ৫০ জনের উপর বাম কর্মীকে সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বর্ধমান শহর সংলগ্ন বিভিন্ন থানায় রাতে পুলিস কাস্টডি করে রাখা হয়। আজ বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষা করে তাদের আদালতে পেশ করা হয়।বাম কর্মী সমর্থকদের হয়ে আদালতে সাওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী কমল দত্ত। তিনি জানান বর্ধমান কোর্টে ২টি কেস ফাইল করা হয়। একটি কেস নং ১০০৪ অপরটি ১০০৫। ১০০৪ কেসটি প্রশাসনের তরফে করা হয়েছে, কেস নং ১০০৫ তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। সিপিএম রজ্য নেতৃত্ব সহ জেলার নেতাদের নামে এই কেস দুটি করা হয়েছে। তিনি জানান, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম, আভাস রায়চৌধুরি, অচিন্ত্য মল্লিক,অমল হালদার, তাপস সরকার সহ ছাত্র নেতৃত্ব শ আরও অনেকের নামে কেস ফাইল করা হয়েছে।কমল দত্ত জানান, কেস নং ১০০৪ এ ৫৭ জনের নাম আছে। আর ১০০৫ কেসে ১১ জনের নাম আছে। ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭,৩৭৯, ৩৫৩, ৩৩২, ৩৩৩ এছাড়াও ৩৪ বিপি অ্যাক্ট ও আরও কিছু উপধারাতে এই কেসদুটি করা হয়েছে। তিনি জানান, মোট ৫ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তিনজন আশিতিপর ও দুইজন বয়স ১৯ নিচে। জেল কাস্টডি দেওয়া হয়েছে মোট ৩৪ জনকে। ৭ জনকে পুলিস রিমান্ডে তিন দিনের জন্য অ্যালাও করেছে কোর্ট। তাঁরা হলেন, অর্নিবান রায় চৌধুরী (এসএফআই জেলা সম্পাদক),সৌমেন্দ্র নাথ মালিক, তারক নাথ চ্যাটার্জী, মহসীন সেখ, সাহাবুল ইসলাম, সঞ্জয় মৃধা, আনারুল সেখ

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
রাজ্য

'বর্ধমান শহরে ওরা যা তান্ডব করেছে, আমাদের ৫ মিনিট লাগবে ওই তান্ডব বন্ধ করে দিতে' -বিধায়ক খোকন দাস

বুধবার বর্ধমানে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। এই নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে জনতার কথাকে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস বলেন, তিনি ২-৩ দিন একটা বিশেষ কারণে বর্ধমানের বাইরে ছিলেন। তিনি এও জানান এক বেসরকারি এনজিও তাঁকে বিশিষ্ট সমাজসেবী হিসাবে সন্মাননা দেওয়ার জন্য তাঁকে দিল্লী ডেকে ছিল, সেই পুরস্কার নিতেই তিনি শহরের বাইরে ছিলেন।তিনি আরও জানান আমি কাল দিল্লীতে বিভিন্ন চ্যনেলের মাধ্যমে ও দলের কর্মিদের কাছে বুধবারের ঘটনার পুংখানুপুংখ রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি জানান, যেকোনোও পার্টিই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে পারে, কিন্তু বুধবারচোর ধরো জেল ভরো আন্দোলনের নামে যেভাবে তান্ডব চালিয়েছে সিপিএম তাঁর ভাবছে আবার এইভাবে সন্ত্রাস করে সিপিএম আবার বাংলায় ফিরে আসবে। ২০১১ থেকে বারবার নির্বাচনে প্রমানিত বাংলার মানুষ সিপিএম কে পছন্দ করেনা।তিনি আরও জানান কলকাতা থেকে দলনেত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমাদের দলীয় কর্মীরা যথেষ্ট সংযত ছিল। কারন আমরা বাংলায় শান্তি চায়। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, বর্ধমান শহরে ওরা যা তান্ডব করেছে, আমাদের ৫ মিনিট লাগবে ওই তান্ডব বন্ধ করে দিতে। তিনি আরও জানান,আমাদের কর্মীরা কাল্কেই অদের পার্টি অফিস ভেঙ্গে দিতে চায়ছিলো। আমাদের কলকাতা থেকে বারন করেছে বলে তাই আমাদের কর্মীদের কোনও জায়গায় কোনও কিছু করে নাই। তিনি বাম নেতাদের ও সংযত হওয়ার আবেদন করেন।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
রাজ্য

'আইন অমান্য' কান্ডে ধৃত বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলার পক্রিয়া বর্ধমানে

বুধবার বর্ধমানে বামেদের আইন অমান্য কর্মসূচির ঘটনায় পুলিশ মোট ৪৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলো। বর্ষিয়ান বাম নেতা কমঃ আভাস রায় চৌধুরী কেউও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। প্রথমে তাদের বর্ধমান থানা নিয়ে যাওয়া হয়, পড়ে স্থানাভাবে তাদের বিভিন্ন থানায় ভাগ করে রাখা হয়। বাম কর্মীদের দেওয়ানদিঘি, রায়না, মেমারি,গালসি থানায় রাতে রাখা হয়। তাদেরকে আজ সকাল থেকেই বর্ধমান থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্ধমান থানা থেকে নাম লিখে নিয়ে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক মেডিকেল চেকআপ করে বর্ধমান আদালতে তোলার পক্রিয়া শুরু হয়েছে।সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হচ্ছে। যাতে ৪৬ জন সি পি এম কর্মী সহজে জামিন না পায়।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২২
রাজনীতি

বামেদের 'আইন অমান্য' নিয়ে রণক্ষেত্র বর্ধমান, ভাঙল বিশ্ববাংলা লোগো, উত্তেজিত জনতা ছিঁড়ে ফেলল সরকারি প্রকল্পের তালিকা

সিপিআইএমের ডাকে আইন অমান্য কর্মসূচিতে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বর্ধমান শহর। পুলিস ও বাম সমর্থকদের উত্তেজনার টানাপোড়েনে মাঝে পড়ে কিংকর্তব্য-বিমূঢ় শহর বাসী ও শহরে কর্মসুত্রে আসা আসা জনসাধরণ। বিকাল ৩টার পর থেকেই ষ্টেশন থেকে বড় নীলপুর যেন রুপ নেয় রণক্ষেত্রের।এদিন দুটি বড় সমাবেশের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। বড়নীলপুর মোড় এবং বর্ধমান স্টেশনে দুটি সভায় দলের নেতারা অংশ নেন। বড়নীলপুরের সভায় বক্তব্য রাখেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য ও রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম। দুটি মিছিল শহরের দুই প্রান্ত থেকে কার্জনগেটে সমবেত হয়। সেই সভায় এদিন সেলিম বলেন, লুঠ হলে, ধর্ষণ হলে এ রাজ্যের পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ১৯৫৯ এ হাজার হাজার মানুষ খাদ্যের দাবিতে সমবেত হন। পুলিশ লাঠি পিটিয়ে ৮৪ জন মানুষকে খুন করে। প্রত্যেক বছর এই লড়াইয়ে শহিদদের স্মরণ করি আমরা। জীবন জীবিকার এই লড়াই। একসময় সব কিছু নিষিদ্ধ করে, গুন্ডা পুলিশ নামিয়েও আমাদের দমাতে পারেনি। শুভেন্দু অধিকারী কম দুর্নীতিগ্রস্ত নন। মুখ্যমন্ত্রী লিস্ট করে নাম বলে দিয়েছেন। লাল ঝান্ডা শেষ হয়েছে? এমন হিটলার ভেবেছিল। হিটলার মুসোলিনী মুছে গেছে।তিনি বলেন, হক কথা সোচ্চারে বলার দাবিতে, চোরদের ধরার দাবিতে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। সব জেলাতেই। যতই বিশ্ববাংলার ঢাক পেটান, ওই ঢাক ফেটে গেছে। কেন বেকাররা কাজ পাবেনা? কেন মজুরেরা সঠিক মজুরি পাবেন না? লাল হটেছে কিন্তু রাজ্য বাঁচেনি। আজ রাজ্যকে বাঁচাতে লাল ঝান্ডা আবার রাস্তায় নেমেছে।মহঃ সেলিম তাঁর বক্তব্যে বলেন, চোর ধরো জেলে ভরো এটা কি ছাত্র যুবদের কাজ? এটা কি পুলিশের কাজ নয়? পুলিশ এখানে চোরেদের মাল পাহারা দেয়। এ লড়াই পুলিশকে জাগিয়ে তোলার। আনিস খুন হলেও আমরা বিচার চাই পুলিশ খুন হলেও বিচার চাই। বিজেপির চোর আলাদা কিছু নয়। দুই চোরের বিচার চাই। সেলিম এদিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এরপর স্টেশন ও নীলপুর থেকে দুটি মিছিল শুরু হয়ে জেলাশাসকের দপ্তরের সামনে আসে। দুপুর থেকেই বিরাট পুলিশবাহিনী মোতায়েন ছিল গোটা এলাকায়।মিছিল পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যে বাম সমর্থকেরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন, প্রথম গার্ড ওয়াল ভেঙ্গে কিছুটা এগোতেই জল কামান চালানো হয়, ছত্র ভঙ্গ হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা আবার একজোট হয়ে আবার ফিরে আসতেই পুলিস কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়েন। এরপর উত্তেজিত জনতা ইট পাথর ছুড়তে থাকেন পুলিসকে লক্ষ করে। পুলিসও লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাস্তায় নামেন। শুরু হয়ে পুলিস-জনতা খন্ডযুদ্ধ।অবশেষে র্যাফ নেমে রুট মার্চ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় বিক্ষোভকারিদের। বেশ কিছু বাম সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। দুপক্ষের এই খণ্ডযুদ্ধে পুলিস ও বাম সমর্থকের অনেকেই আহত হয়েছে। কিছুদিন আগে কর্জনগেট এলাকা সৌন্দার্য্যায়নের জন্য একটি বিশ্ব বাংলার লোগো বসানো হয়। বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের তালিকা টাঙ্গানো হয় টেলিফোন অফিসের দেওয়ালের গায়ে। সেই সবই এখন ধংস্তুপে পরিণত। এমনকি কর্জনগেটের অনতিদুরে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের বিধায়ক পরিসেবা কেন্দ্রেও ভাংচুড় করার অভিযোগ করেন বিধায়ক ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর ঘোষ।

আগস্ট ৩১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধিত হারে ডিএ না দেওয়ায় কর্মবিরতিতে অংশগ্রহণ করা শিক্ষক ও কলেজের কর্মীদের হুমকি জামালপুরের ছাত্র নেতার

বর্ধিত হারে মহার্ঘভাতা সহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার ২ ঘন্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল বাম সমর্থিত কর্মি সংগঠন। সেই কর্মবিরতির ডাকে সামিল হওয়ার জন্য পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর কলেজের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের রুমে ঢুকে শাসালেন ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিট্টু মল্লিক। তাঁর আচরণে শিক্ষক মহলের অনেকেই আরাবুলের ছায়া দেখতে পেয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানিয়েছেন।টেবিল চাপড়ে শিক্ষকদের হুঁশিয়ারিও দিলেন উচ্চ মাধ্যমিক পাশ এই ছাত্র নেতা। প্রসঙ্গত, তিনি জামালপুর কলেজের ছাত্র নন। কলেজ পড়ুয়া না হয়েও শুধুমাত্র শাসক দলের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে একজন যুবক কি ভাবে কলেজ শিক্ষকদের এইভাবে হুমকি ও হুঁশিয়ারি দিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকরাই। মঙ্গলবার ২ ঘন্টার কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের দীর্ঘক্ষণ কলেজে আটকেও রাখা হয়।

আগস্ট ৩১, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের মেমারিতে বামেদের 'চোর ধরো জেল ভরো' দাবীতে মিছিল

মেমারী দুনম্বর ব্লক এরিয়া কমিটির অন্তর্গত কালেশ্বর শাখার মেলনা স্কুল থেকে শুরু করে রেঁঞা গ্রামহয়ে ভান্ডুল পর্যন্ত চোর ধরো জেল ভরো, জিনিসপত্রের দাম, GST কমানো সহ আগামী ৩১ আগষ্ট বর্ধমানে আইন অমান্য কর্মসূচি ও আগামী ৩ (3)রা সেপ্টেম্বর সাতগেছিয়া বাজারে কমরেড দেবলীনা হেমব্রম এর জনসভার সমর্থনে মিছিল ও পথসভা সংগঠিত হয় সি.পি.আই(এম) এর পক্ষ থেকে।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কমরেড শান্তি ব্যানার্জ্জী, শাখা সম্পাদক কমরেড সুব্রত মিত্র, পার্টি নেতা কমরেড বিপিন রায় চৌধুরী, ব্লকে ছাত্রনেতা দেব জিৎ ব্যানার্জি সহ আরো অনেকে।

আগস্ট ২৭, ২০২২
রাজনীতি

'অর্পিতা, মোনালিসা, সুকণ্যারাই রিয়েল কন্যাশ্রী'- মীনাক্ষী

পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাধা দিলে তীব্র প্রতিবাদ হবে। ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডা নিয়ে যাবে বলে শাষকদলকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখার্জি। সোমবার বর্ধমানে একটি মিছিল হয় ডিওয়াইএফআইয়ের। বর্ধমান স্টেশন থেকে মিছিল শুরু হয়ে কার্জনগেট চত্বরে শেষ হয়ে জমায়েত হয়। সেখানে সভায় উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখার্জি। তিনি বলেন, এখন আর কোনও পোস্টারে সততার প্রতিক লেখা নেই। কারণ তৃণমূল নেতারা একে একে জেলে যাচ্ছে দুর্নীতির দায়ে। ইডি ও সিবিআই আধিকারিকরা তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করছেন। তাদের একাউন্টেও বহু টাকার হদিস পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।তিনি বলেন, এখন রাজ্যে চাকরি পেতে মেধা লাগেনা, যোগ্যতা লাগেনা, অর্পিতা লাগে- পার্থ লাগে। অর্পিতা, মোনালিসা, সুকণ্যারাই রিয়েল কন্যাশ্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইদ্যুতে এইভাবেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তিনি।সোমবার বিকালে স্বাধীনতা বাঁচাও, কাজের অধিকার দাও এই দাবীতে বর্ধমান ষ্টেশন থেকে মিছিল করে ডিওয়াইএফআই পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটি। কার্জনগেট পর্যন্ত এই মিছিলের সামনে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনেক কষ্ট করে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। স্বপ্ন দেখলাম আর রাজারাণীর মুর্তি এনে কার্জনগেটে বসিয়ে দিলাম, এইভাবে স্বাধীনতা আসেনি। সেই স্বাধীনতা, দেশের গণতন্ত্র, সংবিধানের অধিকার আজ নষ্ট হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বিজেপির ভূমিকা নেই। হিন্দু মুসলমান, শিখ, খ্রিষ্টানরা লড়াই করে স্বাধীনতা এনেছে।মীনাক্ষী বলেন, আমরা অনুব্রত নিয়ে কিছু বলবো না। কারণ, গরু চোর নিয়ে আমরা কেন কিছু বলবো? শুধু এটা বলবো, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অনুব্রতরা তাঁর মেয়ের ভবিষ্যৎ, চিন্তা ভাবনাকে নষ্ট করেছে। তাঁকে বোঝানো হয়েছে চাকরি পেতে গেলে দিদি ও টাকা লাগে-পার্থ-ও লাগে আর তাঁর বান্ধবী অর্পিতা লাগে। এরাই রিয়েল কন্যাশ্রী। পাশাপাশি, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে যে স্কুলে চাকরি করত, সেই স্কুলের পরিচালনা সমিতি, প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষা, রেল, ডাক সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্য পদ রয়েছে। কিন্তু মেধা বঞ্চিত হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার মিথ্যে মামলা দিয়ে বামপন্থীদের গ্রেফতার করে রেখেছে। কিন্তু ২১৮ দিন হয়ে গেলেও আনিশ খানের খুনিরা সাজা পায়না। তাই আমরা ২১৮টা সভা করব। চোরদের জেলে ভরার সভা। চোরদের বিরুদ্ধে এক কোটি সই সংগ্রহ করা হবে। কর্মসূচীতে কোনও বাধা মানা হবে না। পাশাপাশি শাসকদলের হয়ে কাজ করা পুলিশদেরও সতর্ক করেন তিনি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়য়ের দূরশিক্ষা তুলে দেওয়া। কাজের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিচারের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার আহ্বান জানান মীনাক্ষী।

আগস্ট ২২, ২০২২
রাজ্য

নন্দীগ্রামে সমবায় সমিতির ভোটে বিজেপি ধরাশায়ী, বিপুল জয়লাভ তৃনমূলের

রবিবার ছিল নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম-পঞ্চায়েতের হানুভুঁইয়া কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচন। মোট ৫২ টি আসনের মধ্যে মনোনয়ন পর্বে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১টি আসনে জিতেছিলেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। বাকি ৫১টি আসনের ভোটে তৃণমূল সমর্থিত ৫১ জন প্রার্থী ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিজেপি সমর্থিত ৪০ জন এবং সিপিএম সমর্থিত ২৯ জন প্রার্থী।নির্বাচনে ২৫০০ সদস্য ভোটারের মধ্যে ৯০ শতাংশ ভোটাধিকার প্র্যোগ করেন। নির্বাচনকে ঘিরে সকাল থেকেই ছিল রীতিমত টানটান উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। ভোট শেষ হলে গণনায় দেখা যায় ৫০ টি আসনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। আর একটি আসনে জয়ী বাম সমর্থিত প্রার্থী।নন্দীগ্রাম ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহাদেব বাগ বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিরুলিয়া অঞ্চলে ১০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিজেপির হাত ধরার অভিজ্ঞতা হয়েছে মানুষের। তাই সমবায়ের উন্নয়নের জন্য তৃণমূলেই আস্থা রেখেছেন এলাকার মানুষজন। তাঁরা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ভোট দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে কেন এই ছবি, তার উত্তর খুঁজতে পর্যালোচনা শুরু হয়েছে বিজেপি-র অন্দরেই। যদিও ব্যর্থতা আড়ালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তপন ব্যানার্জির দাবি, চাপা সন্ত্রাসের মুখে ভোট দিয়েছেন মানুষ তাই এই ফল।

আগস্ট ২২, ২০২২
রাজ্য

শিল্পাঞ্চলে সিপিএমের কিষাণ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পান্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের

স্বাধীনতা দিবসে এ এক অনন্য নজির! সিপিএম পার্টি অফিসে পতাকা উত্তোলন করলেন তৃণমূল বিধায়ক।পান্ডবেশ্বর বিধানসভার নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএমের কিষাণ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎই সিপিএম কর্মী সমর্থকরা বিধায়কের গাড়ি দাঁড় করান। এবং বিধায়ককে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে বলেন, কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে। রাজ্য রাজনীতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সমীকরণে যথেষ্ট উত্তাপ রয়েছে। এমতাবস্থায় এহেন কার্যক্রম যথেষ্ট চর্চার বিষয় শিল্পাঞ্চলে। এ বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, আজকের এই শুভ স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কোনও ব্যাপারে রাজনৈতিক রং দেওয়া উচিত নয়। আমি যেহেতু এই অঞ্চলের বিধায়ক তাই তাঁরা অনুরোধ করেন এবং সেই মোতাবেক আমি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। কিন্তু মাননীয় বিধায়ক কিছুটা হলেও রাজনৈতিক রং চড়িয়ে বলেন, সিপিআইএম সরকার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৎকালীন জ্যোতি বসুর সরকার রাইটার্স বিল্ডিং থেকে চুলের মুঠি ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার করে দিয়েছিলেন।কিন্তু ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠন করলে সেই কারাগারের নম্বরে সিপিএম নেতৃত্ব তথা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কিন্তু সহ সিপিএম নেতৃত্বকে ফিসফ্রাই খাইয়েছিলেন। অন্যদিকে আজমপুর সিপিআইএমের নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাক্তন প্রধান কাঞ্চন মুখার্জি বলেন, মাননীয় বিধায়ক আমাদের ঘরের মানুষ। এ বিষয়ে কোনও রাজনৈতিক রং দেওয়া উচিত নয়।তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও এই স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমরা সকলে একত্রিত।

আগস্ট ১৫, ২০২২
রাজ্য

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ 'বঙ্গবিভূষণ' নিতে পারছেন না, কারণ নিয়ে তর্জা তুঙ্গে

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার গ্রহণ করতে পারছেন না নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তাঁর ঘনিষ্ট মহল সূত্রে খবর, তিনি সারা কর্মজীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন, এবার, নতুন কাউকে সেই সম্মান দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন অমর্ত্য সেন। বর্তমানে অমর্ত্য সেন বিদেশে আছেন। সোমবার রাজ্য সরকারের এই সম্মান জ্ঞাপণ অনুষ্ঠানে তিনি কলকাতায় উপস্থিত থাকবেন না। সূত্রের খবর, তাঁর মতামত জেনেই পুরস্কারপ্রাপকের চূড়ান্ত তালিকায় অমর্ত্য সেনের নাম রাখা হয়নি। নোবেলজয়ীর পরিবার সূত্রে খবর অমর্ত্য সেন কলকাতায় ফিরছেন না, তাই পুরস্কার নিতে পারছেন না।প্রসঙ্গত, অমর্ত্যের বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার নিতে না করার খবর প্রকাশ্যে আসার সময়েই রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে নিয়ে তৃণমূল কিছুটা অস্বস্তিতে। ফলে বিরোধী শিবিরের একাংশ (প্রধানত সিপিএম) বলতে শুরু করে যে পার্থর ঘটনার প্রতিবাদেই অমর্ত্য সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির নিয়ে কলকাতা শহরে ধর্মতলায় ধর্নায় বসা ছাত্র ছাত্রীদের কাছে উপস্থিত হন, এবং সেখানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের মন্ত্রীর পার্থ-র ইডি কর্তৃক গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দশ্য করে এই পুরস্কার না নেওয়ার আবেদন জানান। সুজনের দাবী, তাঁদের আবেদন মেনেই এই পুরস্কার না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অমর্ত্য। সিপিএম ও একাংশের দাবি, সেই ডাকে সাড়া দিয়েই সম্মান নিতে রাজি হননি অমর্ত্য। যদিও সূত্রের খবর, অমর্ত্য তার আগেই নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন।সোমবার, রাজ্য সরকারের দুই নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন এবং অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জীকে বঙ্গ বিভূষণ সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর কথা ছিল। একটি সূত্রের খবর, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে ফ্রান্সে রয়েছেন। তাই তিনিও এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না।সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নজরুল মঞ্চে বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বঙ্গভূষণ ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার প্রদান করবেন। ভারতীয় ফুটবলে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলার তিন প্রধান খ্যাত মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকেও বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হবে। এসএসকেএম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকেও একটি প্রতিষ্ঠান হিসাবে তাঁর সার্বিক সাফল্যের জন্য সম্মান দেওয়া হবে।

জুলাই ২৫, ২০২২
রাজ্য

রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন নিয়ে কালনা কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সংঘর্ষ- জখম চার পড়ুয়া

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে হয়তো তিনি নিজেই লজ্জায় মুখ লুকোতেন।কারণ রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন নিয়ে দুদল ছাত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে কলেজ চত্ত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নেবে এমনটা তাঁর কাছে ছিল কল্পনারও অতীত। কিন্তু বাস্তবেই শুক্রবার এমন নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা কলেজে। রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন নিয়ে তৃণমূলের দুদল ছাত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কালনা কলেজ চত্ত্বর। সংঘর্ষে আহত হন চার জন।তাঁদের মধ্যে এক ছাত্র আবার রক্তাত হন মাথা ফেটে যাওয়ায় ।এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন কালনা নিবাসী আপামোর রবীন্দ্র অনুরাগী।কালনা কলেজ জেলার একটি ঐতিহ্যশালী কলেজ হিসাবেই পরিচিতি পেয়ে আসছে। সেই কলেজ কবিগুরুর একটি নতুন আবক্ষমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই উপলক্ষে কর্তৃপক্ষ এদিন কলেজে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলেজে পৌছান কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ ও কালনা পৌরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। অনুষ্ঠান শুরুর খানিক আগেই বেঁধে যায় অশান্তি। কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাউকে কেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সেই প্রশ্ন তুলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ছাত্র ছাত্রীরা কলেজে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেদেয়। বিক্ষোভের জেরে চেয়ারম্যান ও বিধায়ক কেউই আর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। তারই মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থক ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে দলের অপর গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি। পরে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। লাঠিসোটা নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে পেটাতে শুরু করে। তা নিয়ে কলেজ চত্ত্বর রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়ে নেয়। মারধোরে মাথা ফেটে রক্তাত্ত হয় এক ছাত্র। বেশ কিছু সময় বাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান কার্যত ভেস্তে যায়।এদিনের সংঘর্ষের ঘটনা বিষয়ে কালনা নিবাসী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সহ-সভাপতি শেখ নইম আলী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই অনিয়ম করে কলেজে নানা কাজ কর্ম হচ্ছে। তা নিয়ে এর আগে সংগঠনের তরফে আমরা কালনা কলেছের প্রিন্সিপালকে ডেপুটেশন দিয়েছিলাম। তবুও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রিন্সিপাল কোন কাজ করেন নি। এদিন কলেজে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেটাতেও কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাউকে জানানো হয় না। অনুষ্ঠানের বিষয়ে শুধু জানতেন বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ ও পৌরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। এঁরাই কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষের মধ্যে আলাদা আলাদা গ্রুপ তৈরি করতে চাইছে। এইসব বিষয় নিয়েই এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা কলেজে আন্দোলন করছিল। তখন বিধায়কের অনুগতরা লাঠি-সোটা দিয়ে তাদের মারধোর শুরু করে। মারধোরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সদস্য এক ছাত্র রক্তাত হয়। আরও দুজন ছাত্র আহত হয়। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁদের চিকিৎসা করানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িত বিধায়ক পুত্র সহ কয়েকজনের নামে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে শেখ নইম আলী জানিয়েছেন।বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সহসভাপতির এইসব দাবী মানতে চান নি। পাল্টা তিনি দাবী করেন, এদিন কলেজে অশান্তির ঘটনা ঘটিয়েছে বহিরাগতরা। তাঁরা কলেজের প্রিন্সিপালের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছে। বিধায়ক আরো দাবী করেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ কাদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানাবেন, আর কাদের জানাবেন না সেট কলেজ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যাপার। নিমন্ত্রন তো আর জোর করে নেওয়া যায় না। এদিন যাঁরা কলেজে অশান্তির ঘটনা ঘটালো তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য হলেও আমি তাঁদের সমর্থন করার মতো কিছু দেখছি না। বিধায়ক এও জানান, যাঁরা এদিন কলেজে অশান্তির ঘটনা ঘটালো তাঁদের সবার শাস্তি হোক সেটাই তিনি চান।প্রিন্সিপাল তাপস সামন্ত জানান, মূলত দুটি ডিপার্টমেন্ট এদিন ছোট খাটো করে কলেজে রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। কলেজ পরিচালন সমিতি, দুটি বিভাগের পড়ুয়া, শিক্ষক এবং এলাকার বিধায়ক, চেয়ারম্যান ও মন্ত্রীকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূল ছাত্র পরিষদকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তা নিয়ে তারা গত দুদিন ধরে জানতে চাইছিল। প্রিন্সিপাল আরো বলেন, ওদেরকে বাদ দিয়ে অনুষ্ঠান করার উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। ভিড় বাড়লে ক্যাওস হবে। তাই এদিন কলেজে যাতে ভিড় কম থাকে তারজন্য বেশী কাউকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার কথা বলা হয় নি। এইসব নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এদিন কলেজে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এমনটা না হলেই ভালো হত ।

মে ২১, ২০২২
রাজ্য

সেলিমের পুলিশ না রেখে কুকুর পোষার মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে

গতকাল, শনিবার পুলিশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। প্রাক্তন সাংসদের মন্তব্যে তোলপাড় পুলিশ থেকে রাজনৈতিক মহল। তবে নিজের বক্তব্য থেকে একটুও সরে আসেননি সেলিম। বরং সিপিএম নেতার বক্তব্য, পুলিশের বদলে কুকুর পোষার কথা বলে অপমান করেছেন কুকুরকে। তৃণমূল কংগ্রেস কড়া সমালোচনা করেছে মহম্মদ সেলিমের। পুলিশ মহলের বক্তব্য, সমালোচনা করতেই পারেন তবে এভাবে কুকুরের সঙ্গে তুলনা না করলেই পারতেন।দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুরে জনসভায় মহম্মদ সেলিম বলেছেন, পুলিশকে কেন মাইনে দিয়ে রাখা হয়েছে। পুলিশকে না রেখে কয়েকটা কুকুর পুষলে ভাল হত। পুলিশের কুকুর থাকে না ট্রেনিং দেওয়া, তাঁরা শুঁকে শুঁকে বলে দিতে পারবে কোন দিকে অপরাধী গিয়েছে। কয়েকটা এসপির বদলে বিদেশি কুকুর রেখে দিলে খুনের কীনারা হয়ে যাবে। সেলিমের এই মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এমন মন্তব্য করে অত্যন্ত নিম্মরুচির পরিচয় দিয়েছেন সেলিম। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী-সহ অন্য নেতারাও এই বিষয়ে তাঁকে সমর্থন করবেন না। নেতাজিকে এরাই তোজোর কুকুর বলেছিল। সিপিএমের আমলে পুলিশ দলদাস ছিল। লালবাজারের নাকের ডগায় বড়বাজারে রশিদ খানের বাড়িতে বোমা বিষ্ফোরণে ১০০জন মারা গিয়েছিল। রশিদ গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু তার পিছনে যে সিপিএম নেতারা ছিল তাঁরা দলের শাস্তির কোপে পড়লেও তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। এখন পুলিশ নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করছে।এদিকে সেলিমের বক্তব্য নিয়ে প্রাক্তন পুলিশ কর্তারাও বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ দুর্নীতিযুক্ত নয় তা বলছি না তবে এমন তুলনা না করলেই পারতেন। কিছু সৎ পুলিশ কর্মী-আধিকারিক এখনও আছেন। সিপিএমের আমলেও পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছিল। লোকাল কমিটির সম্পাদকের সম্মতি ছাড়া পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করতে পারত না। তবে এখন সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে পুলিশ। সব রাজনৈতিক দলই এর জন্য দায়ী।

মে ০৮, ২০২২
রাজ্য

বিজেপি জন্মানোর আগে থেকে সিপিএম আছে, পরে তৃণমূল জন্মেছে', সেলিমের জবাব

রাজনীতিতে এ-টিম, বি-টিম-এর কটাক্ষ চিরকাল হয়ে এসেছে। বিরোধীরা তৃণমূলকে বিজেপির বি-টিম বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমকে বিজেপির বি-টিম বলে দাবি করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, বি-টিম ব্যাপারটা উনি ভাল বোঝেন। বিজেপি জন্মানোর আগে থেকে সিপিএম আছে। বিজেপি জন্মানোর পরে তৃণমূল জন্মেছে। ১৯৮০ সালে বিজেপি জন্মেছে। তার ২০ বছর পরে তৃণমূল জন্মেছে। এখন তিনি বলছেন কে কার বাবা, কে কার ব্যাটা।এদিন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুপ্রবেশ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দিকে নিশানা করেছেন অমিত শাহ। সিপিএমের রাজ্য় সম্পাদক বলেন, গরুপাচার কাণ্ডে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, পুলিশ ও বিএসএফের নেক্সাস রয়েছে। গুজরাতে বসে, দিল্লিতে বসে পাচার প্রক্রিয়া চলে। আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবারের নাম জড়িয়েছে। গরুপাচারের জন্য দরজা খোলা হয়। কোটা রয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের। অথচ সীমান্তের গ্রামের বাসিন্দারা উঁচু গাছ চাষ করতে পারে না। সীমান্তের বাসিন্দাদের জীবনযন্ত্রনা রয়েছে। নানা বিধিনিষেধ আছে।সম্প্রতি রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে একজন খুনের পর ৮জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। পরে হাসপাতালে আরও ২ জন মারা যায়। এরপর উত্তরপ্রদেশে একই পরিবারের ৫ জনকে গলার নালি কেটে খুন করা হয়। বগটুইতে বিজেপির প্রতিনিধি দল ও উত্তরপ্রদেশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল যায়। এরাজ্যে কিছু ঘটনা ঘটলেই উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে কেন তুলনা টানা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে কেন তুলনা হবে? আগে কোনও দিন হয়েছে কি? হাতরাস রয়েছে বলে হাঁসখালি হতে হবে? এসএসসির নিয়োগ ঘোষণা নিয়ে সেলিমের মত, তিনি চপ থেকে চাপে এসেছেন। দীর্ঘদিন লড়াই করেছে চাকরি পরীক্ষার্থীরা। রাস্তার ধারে পড়ে থেকে লাঠি খেয়েছে। শুধু এসএসসি নয় মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। আজ ঘোষণা করছেন। অথচ লক্ষ লক্ষ পদ খালি রয়েছে। কোনও স্কুলে একজন শিক্ষক। তিনিই রান্না করেন। তিনিই পড়ান। ২০১৬ সালে যে পদের ভিত্তিতে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেন তাঁরা গেলেন কোথায়। শিক্ষা দফতরের দুর্নীতিতে দুই মন্ত্রীই যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন সেলিম। সিবিআই তদন্ত নিয়ে সেলিম বলেন, দিল্লি সিবিআইয়ের নির্দেশ না পেলে এগোবে না।

মে ০৫, ২০২২
রাজ্য

সিপিএম বিজেপির বি-টিম,' বাংলা নয়, দিল্লি দেখুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি মমতার

এদিন দলের নয়া রাজ্য কমিটির প্রথম বৈঠক হয় তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন ভবনে। এদিকে দুদিনের বাংলা সফরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি জনসভায় নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহকে কড়া জবাব দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মনুষ পরিষেবা না পেলে কেন পাচ্ছে না দেখতে হবে। মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে। ভুল করলে খারাপ লাগলে ক্ষমাপ্রার্থী। ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। এদিন অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে টানা আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।কাটমানি, অত্যাচার নিয়ে অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী। মমতা বলেন, কাটমানির সংজ্ঞা কী? গ্যাস, ডিজেলের দাম বাড়ছে। সেই টাকাটা কোথায় যাচ্ছে? পাশাপাশি এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, সিপিএম বিজেপির বি টিম। ওরা বিজেপির লিংক।এরাজ্যে অশান্তি নিয়ে অমিত শাহর অভিযোগ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আগে নিজের দিকে তাকান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লি দেখুন, বাংলার দিকে তাকাতে হবে না। জাহাঙ্গিরপুরী, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের দিকে তাকান। রাজ্যে কী ভাবে অশান্তি লাগে তাতে উৎসাহ দিচ্ছেন। আমাকে গাইড করতে হবে না। দেশকে ভাঙতে চাইছে আর ঘরে বসে সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতর ছাড়া কোনও কাজ করেছেন না। সিএএ লাগু নিয়ে মমতার হুঙ্কার, বাংলায় সিএএ চালু হবে না। কাদের ভোটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েছেন? তাঁরা কী দেশের নাগরিক নয়? প্রশ্ন তোলেন মমতা

মে ০৫, ২০২২
রাজ্য

সিপিএম 'ছাড়ছেন' অনিল কন্যা অজন্তা, তৃণমূলে যোগ জল্পনা তুঙ্গে

সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস কী সিপিএম ছাড়লেন? তিনি দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদ নবীকরণ না করায় এই প্রশ্ন জোরালো হয়ে উঠেছে। এর আগে তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রবন্ধ লিখে শিরোনামে এসছিলেন অজন্তা।রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাস জাগো বাংলায় ওই প্রবন্ধ লেখার দরুন তাঁকে সিপিএম সাসপেন্ড করেছিল। তাঁর শাস্তির মেয়াদও উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে বলে সিপিএম সূত্রের খবর। কিন্তু তিনি তাঁর সদস্যপদ নবীকরণ করেননি। সেক্ষেত্রে এখন আর তিনি সিপিএমের সদস্য রইলেন না। কলকাতা জেলা কমিটি বা অজন্তা নিজে এখনও এবিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। সেক্ষেত্রে তাঁর দল ছাড়়ার জল্পনা আরও বেড়েছে।সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা অসম্ভব বলেই মানতেন ডান-বাম সব রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব। তাঁর জমানায় সিপিএস নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট রাজ্যে সর্বোচ্চ বিধানসভার আসন পেয়েছিল। একসময় দলীয় মুখপত্র গণশক্তি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন অনিল বিশ্বাস। তাঁর কন্যার দল ছাড়ার জল্পনায় সিপিএমে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে তাহলে কী অজন্তা ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেবেন?

এপ্রিল ২৬, ২০২২
রাজনীতি

অনুব্রতর আইনজীবীর ইমেইল সিবিআইকে, হাজির হলেই ভয় কেটে যাবে, কটাক্ষ সুকান্তর

বারংবার সিবিআই তলব করলেও এবারও হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল। জানা গিয়েছে, বিকেলের দিকে ইমেইল করে অনুব্রত মন্ডলের আইনজীবী সিবিআইকে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল হাঁটতে পারছেন না। তাঁকে চিকিৎসকরা ৪ সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। তাই আপাতত তিনি সিবিআই দফতরে হাজির হতে পারছেন না। এদিকে অনুব্রত সিবিআইতে হাজিরা না দেওয়ায় কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি ও সিপিএম। এদিন জোড়া নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। একদিকে গরুপাচার কাণ্ডে বিকেলের মধ্যে হাজিরা দিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর একটি নোটিশে সিবিআই বলেছে ভোটপরবর্তী হিংসার মামলায় আগামিকাল রবিবার সকাল ১১টার মধ্যে তাদের দফতরে হাজির হতে। নোটিশ দিতে চিনারপার্কে অনুব্রত মন্ডলের ফ্লাটে যান সিবিআই। এদিকে অনুব্রতর সিবিআই দফতরে হাজির না হওয়ায় কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন,ওনার সিবিআই দফতরে যাওয়া উচিত। কিন্তু উনি বিভিন্ন অজুহাতে উডবার্নে ভর্তি হচ্ছেন। তবে ওনার রোগ নিয়ে লোকে যা বলছে তাতে মনে হয় ওনারও সম্মানে লাগে। এত আছিলা না করে ওনার সিবিআই-এর সম্মুখীন হওয়া দরকার। উনি কত পেয়েছেন, অন্যরা কত পেয়েছে সব বলে দেওয়াই উচিত। একবার গেলেই তো হল। একবার গেলে ওনার ভয় কেটে যাবে, তখন বারাবার যেতে ইচ্ছে করবে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা পি চিদাম্বরমকে ধরতে পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল সিবিআই। এখন চিনারপার্কে যেতে পারছে না সিবিআই। এসবই নাটক।এনিয়ে গরুপাচার কাণ্ডে ৬ বার সিবিআইয়ের তলবে হাজির হলেন না অনুব্রত মন্ডল। সঙ্গে যোগ হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে সিবিআই তলব করছে। গতকালই হাসপাতাল থেকে ছেড়েছে অনুব্রত মন্ডলকে। তিনি কলকাতায় চিনারপার্কের ফ্লাটেই তো আছেন।

এপ্রিল ২৩, ২০২২
রাজ্য

বামেদের বনধের প্রথম দিন রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি

বামেদের ডাকা ধর্মঘটের প্রথম দিন আজ। সোমবার সকাল থেকেই পথে নেমে পড়েছেন সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা। কেন্দ্রের কৃষক-শ্রমিক ও জনবিরোধী একাধিক নীতির বিরোধীতায় পথে ডান-বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি। এদিকে, রাজ্যজুড়ে জেলায়-জেলায় মিশ্র অশান্তির খবর সামনে এসেছে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা বনধ সমর্থনকারীদের। পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়ায় তারা।পুলিশ ধর্মঘটীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে ধর্মঘটীদের একাংশ রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনের দক্ষিণ বারাসত ও হোগলা স্টেশনের মাঝখানে বানেশ্বরপুর এলাকায় আপ এবং ডাউন লাইনে রেল অবরোধে সামিল হলেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। সোমবার দেশ জোড়া ধর্মঘটের সমর্থনে বাম কর্মী সমর্থকরা দলীয় পতাকা নিয়ে ডাউন ট্রেন আটকে দেয়। রেললাইনে দলীয় পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি রেল অবরোধ করা হয়। এই অবরোধের দরুণ আটকে পড়ে অন্যান্য অনেক ট্রেন।ধর্মঘটের সমর্থনে নিউটাউন গৌরাঙ্গনগর এলাকায় সিপিএম-এর মিছিল। পাশাপাশি ঢালাই ব্রিজ মোড়ে রাস্তা অবরোধ। সিপিএম নেতা পরিমল মিস্ত্রির নেতৃত্বে নিউটাউনের ওই এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরে যদিও নিউটাউন থানার পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়।দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে বাম-কংগ্রেস সহ ট্রেড ইউনিয়নগুলি। ২৮ ও ২৯ মার্চ এই দুদিন ব্যাপী সর্বভারতীয় সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। কেন্দ্রের কৃষক-শ্রমিক ও জনবিরোধী একাধিক নীতির বিরোধীতায় পথে ডান-বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি। মোট বারো দফা দাবি জানিয়ে আজ ও আগামীকাল ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। এই বনধে সামিল হয়েছে অল ইন্ডিয়া এমপ্লইজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও। রবিবার ব্যাংক বনধের পর সোম ও মঙ্গলবার ধর্মঘটের কারণে ব্যাংকিং থেকে এটিএম পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই ধর্মঘটে সামিল রেল ও পরিবহণ কর্মীরা। ফলে প্রভাব পড়েতে পারে পরিবহণেও।

মার্চ ২৮, ২০২২
রাজ্য

বামেদের আইন অমান্য আন্দোলনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ধুন্ধুমার কান্ড বর্ধমান শহরে

পূর্ব বর্ধমান জেলা বামপন্থী গণসংগঠণের ডাকে আইন অমান্য ঘিরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান শহরে। মঙ্গলবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব সহ একাধিক দাবীতে আইন অমান্যর ডাক দেয় জেলার বামপন্থী গণসংগঠনসমূহ। বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে মিছিল করে এসে কার্জনগেটে আইন অমান্য করে তারা। কার্জনগেটে পুলিশের একটি ব্যারিকেড ভেঙে দেয় তারা। দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে। কর্মসূচিতে ছিলেন সিপিএম নেতা অমল হালদার, সৈয়দ হোসেন,তাপস সরকার সহ অন্যান্যরা বামপন্থী নেতৃত্বরা। অমল হালদার জানান, আমরা একটার পর এক ব্যারিকেড ভেঙে আমাদের আইন অমান্য আন্দোলন করলাম, কিন্তু আইন অমান্য যে করছি! আমাদের দেশে কি আদও আইন বলে কিছু আছে? আনিশ খান মারা গেলো, বর্ধমানে তুহিনা বলে এক ছাত্রী মারা গেলো। আরও অবাক ব্যাপার সেই ছাত্রীর আত্ম্যহত্যায় প্রোরচনা দেওয়া আসামী এসডিও-র কাছে শপথ বাক্য পড়ে এলেন। তিনি মনে করেন এই মুহূর্তে আমাদের দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই।তিনি আরও বলেন, সোমবার রাতে রামপুরহাটে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক গণহত্যায় প্রায় ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। একজন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান-র হত্যার বদলি ১০ টি তাজা প্রান চলে গেলো। তিনি জানান আজকের এই আইন অমান্য ২৮ ও ২৯ তারিখের ধর্মঘট কে সফল করার জন্য। ১২ দফা দাবী নিয়ে এই ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি বামজোট এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে দেশের এই ভয়াবহ দুর্দিনে এগিয়ে এসে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।অমল হালদার আক্ষেপের সুরে বলেন সারা দেশে একের পর এক রাষ্টায়ত্ত কল কারখানা বন্ধ হচ্ছে। হু হু করে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন রাষ্টায়ত্ত কল কারখানা বেসরকারিকরন ও বিলগ্নিকরন হচ্ছে। মানুষ তাঁর ফসলের ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না। ক্ষেত মজুরদের কাজ বন্ধ সহ একাধিক দাবী তোলেন এই আইন অমান্য আন্দোলন থেকে।রামপুরহাট কান্ড নিয়ে বীরভূমের অবিসংবাদিত তৃণমূল নেতা অনুব্রত-র মন্তব্য নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বাম নেতা আমল হালদার জানান, অনুব্রত যা বলেছেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না, কারন একটা বাড়িতে টিভি ফেটে আগুন লাগতে পারে, পর পর ১০-১২ টা বাড়িতে একসাথে টিভি ফেটে আগুন লেগে এত মানুষের মৃত্যু! তিনি আক্ষেপ করে বলেন এই পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে কোনও আইন নেই, গোটা পশ্চিমবঙ্গ তছনছ হয়ে গেছে।

মার্চ ২২, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal