• ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শনিবার ৩১ মে ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

CBI

রাজ্য

মালদা মেডিক্যাল কলেজের ফেসিলিটি ম্যানেজার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার, বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ

এবার সরকারি হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মালদা মেডিক্যাল কলেজের ফেসিলিটি ম্যানেজারকে গ্রেফতার করলো সিবিআই। মঙ্গলবার তিনজন সিবিআই আধিকারিক হানা দেয়। মালদা মেডিক্যাল কলেজের ফেসিলিটি ম্যানেজার অভিজিৎ দাসকে গ্রেফতারের পর ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে যায়। পরে সিবিআই কর্তারা সেখান থেকেই পুলিশি সহযোগিতা নিয়ে মালদা আদালতের ট্রানজিট রিমান্ডের মাধ্যমে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। এদিকে এদিন মালদা মেডিকেল কলেজের ফেসিলিটি ম্যানেজার অভিজিৎ দাস গ্রেপ্তার হওয়াতেই নতুন করে শোড়গোল পড়ে গিয়েছে ।মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত চার মাস আগে আলিপুরদুয়ার সরকারি হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত হয়ে মালদা মেডিকেল কলেজের ফেসিলিটি ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন অভিজিৎ দাস। আলিপুরদুয়ারের আগে তিনি কামারহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের বরানগর হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে মোটা টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে বিগত দিনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অভিজিৎ দাস। কলকাতার আলিপুরেই মূলত আর্থিক দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল অভিজিৎ দাস। পরবর্তীতে জামিন পেলেও মামলা চলতে থাকে। এরপর অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে একাধিকবার আদালতে হাজিরা না হওয়া সমন জারি হয়। এবার সিবিআই অভিজিৎ দাসকে গ্রেফতার করেছে। এদিন মালদা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডাঃ প্রসেনজিৎ কুমার বর জানিয়েছেন, একটি পুরনো মামলায় মেডিকেল কলেজের ফেসিলিটি ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই কর্তারা। তিনি চার মাস আগে মেডিক্যাল কলেজে যোগদান করেছিলেন। এর আগে তিনি আলিপুরদুয়ার এলাকায় ছিলেন।

মার্চ ১১, ২০২৫
রাজ্য

প্রাক্তন সিবিআই অফিসার উপেন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দেখালো বেশ কিছু আইনজীবী।

আইনজীবীদের দাবী.......আমাদের আন্দোলনের তিনটে ইস্যু এবং সোসাইটিকে একটি বার্তা দিতে চাই যে ওপেন বিশ্বাস আমাদের কাছে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের আইকন বলে আমরা মনে করতাম। কিন্তু দিনের শেষে যেটা উপলব্ধি করলাম দীর্ঘদিন উনি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মন্ত্রী থাকাকালীন, উনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য কোন কাজ করেননি। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের লোকেদের উনি ব্যবহার করে খির খেয়েছেন বাড়ি বসে। তিনি ফোন ধরেন না দেখা করতে এলে দেখা করেন না। কিন্তু মহান ভগবতকে বাড়িতে ডেকে ভুরিভোজ খাওয়াচ্ছেন। পরবর্তীকালে প্রত্যেকটা লোক যারা ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসের নাম করে ক্ষীর খাচ্ছেন তাদের প্রত্যেকের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মিছিল হবে।

মার্চ ০২, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর কাণ্ডে স্ট্যাটাস রিপোর্ট CBI-এর, কি আছে রিপোর্টে

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিল CBI। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জমা দেওয়া সেই স্ট্যাটাস রিপোর্টে আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত স্পষ্ট। আরজি করের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করছে সিবিআই। স্ট্যাটাস রিপোর্টেও এই আশঙ্কার উল্লেখ রয়েছে। এদিকে, আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচার চেয়ে দিল্লিতে সিবিআই অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত এখনও জারি রয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগে শিয়ালদহ আদালতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে আরজি করের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত স্পষ্ট। এক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত এখনও চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। এ ব্যাপারে দ্রুত চার্জশিট পেশ করা হবে বলেও তারা জানিয়েছে। তবে টালা থানার প্রাক্তন ওসি-র মোবাইল ফোনের সিম এখনই ফেরত দেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে সিবিআই। সেক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের সেই আশঙ্কাকে মান্যতা দিয়েছে আদালত।এদিকে আরজি করের নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মা ন্যায়বিচারের দাবিতে দিল্লিতে সিবিআই অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন। আরজি করের তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫
কলকাতা

মেট্রোপথে জুড়তে চলেছে কলকাতা বিমানবন্দর, নোয়াপাড়া থেকে ঘুরে গেল ট্রায়াল মেট্রো

মেট্রো যাত্রীদের জন্য আরও একটি সুখবর। মেট্রোতে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আরও জোরালো হল। কারণ, নোয়াপাড়া-জয় হিন্দ বিমানবন্দর লাইনের (৭.০৪ কিমি) ইউপি এবং ডিএন উভয় লাইনেই প্রথম পূর্ণাঙ্গ ট্রায়াল রান সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগে, আজ, শুক্রবার নোয়াপাড়া থেকে এই ট্রায়াল রান শুরু হয়েছিল। রেক নং এমআর ৪০৮ দিয়ে মেট্রো কর্মী, কর্মকর্তা এবং কৌতূহলী দর্শকরা তাদের সামনে ইতিহাস তৈরি হতে দেখেছেন।এই ট্রায়াল রানের সময় মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি, অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো ট্রায়াল রানের সময় মোটরম্যানের ক্যাবে শ্রী রেড্ডি উপস্থিত ছিলেন। জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনে যাওয়ার পথে, রেকটি দম দম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে থামে এবং জেনারেল ম্যানেজার এই স্টেশনটি পরিদর্শন করেন।ট্রায়াল রেকটি শেষ পর্যন্ত ১২:৩১ মিনিটে জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনে পৌঁছায়। মেট্রো কর্মকর্তা এবং সেখানে উপস্থিত কর্মীরা রেকটিকে স্বাগত জানালে। জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনটিও পরিদর্শন করেন এবং মেট্রোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এবং কনকোর্স স্তরে উপলব্ধ বিভিন্ন যাত্রী সুবিধা স্থাপনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এই প্রান্তে প্রথম ট্রায়াল রান সম্পন্ন হওয়ার জন্য জেনারেল ম্যানেজার সকলকে অভিনন্দন জানান।পরিদর্শন সম্পন্ন করার পর, জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনের উর্ধ্বতন মেট্রো কর্মকর্তাদের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমস্ত মুলতুবি কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। ফিরতি যাত্রার সময়, রেকটি জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন থেকে দুপুর ১:৫৭ মিনিটে যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং দুপুর ২:২১ মিনিটে নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে পৌঁছায়। জেনারেল ম্যানেজার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই স্টেশনটি চালু হলে কলকাতা এবং শহরতলির মানুষকে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ হবে।ইয়েলো লাইনের নোয়াপাড়া এবং জয় হিন্দ বিমান বন্দরের মধ্যে অবস্থিত এই স্টেশনের প্রধান বৈশিষ্ট্য:-১. মোট স্টেশনের সংখ্যা-৪টি (নোয়াপাড়া, দম দম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড, জয় হিন্দ বিমান বন্দর)।২. জয় হিন্দ বিমান বন্দর এশিয়ার বৃহত্তম ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে।৩. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনটি অরেঞ্জ লাইন এবং ইয়েলো লাইনের সংযোগকারী স্টেশন হবে।৪. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৫টি প্ল্যাটফর্ম থাকবে।৫. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনের কনকোর্স এলাকা ১৪৬৪৫ বর্গমিটার।৬. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম স্তর এবং কনকোর্স স্তরের মধ্যে ৬টি সিঁড়ি, ১২টি এসকেলেটর এবং ৬টি লিফট থাকবে।৭. একটি সাবওয়ে (দৈর্ঘ্য ৩৩০ মিটার এবং প্রস্থ ১০.৫ মিটার) যশোর রোডকে জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই সাবওয়েতে ২ নম্বর প্রবেশ-প্রস্থান পথ রয়েছে যা কনকোর্স অবৈতনিক এলাকাটিকে বারাসত পার্শ্বের দিকে, ২.৫ নম্বর বিমানবন্দর গেট (যশোর রোড হাইওয়ের কাছে) সংযুক্ত করবে।৮. এই সাবওয়েতে ৩টি এসকেলেটর, ২টি লিফট এবং ২টি সিঁড়ি থাকবে।৯. আরেকটি সাবওয়ে (দৈর্ঘ্য ২৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৩ মিটার) বিমানবন্দরকে জয় হিন্দ বিমান বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই সাবওয়েতে ৩ নম্বর রয়েছে। প্রবেশ-প্রস্থানের ব্যবস্থা থাকবে যা NSCBI বিমানবন্দর (বিমানবন্দরের আগমন গেট নং ১) দিয়ে আসা যাত্রীদের এবং পার্কিং এলাকা থেকে আসা যাত্রীদের জন্য সুবিধা প্রদান করবে।১০. এই সাবওয়েতে ৪টি লিফট, ৬টি এসকেলেটর এবং ৩টি সিঁড়ি থাকবে।১১, এই সাবওয়েতে যাত্রীদের সুবিধার্থে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ট্রাভেলেটর থাকবে।১২. যশোর রোড এবং দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনগুলিতে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে এবং লিফট, এসকেলেটর ইত্যাদির মতো আধুনিক যাত্রী সুবিধা থাকবে।১৩. নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনটি ব্লু লাইন এবং ইয়েলো লাইনের মধ্যে যাত্রী বিনিময় স্থান হবে।১৪. নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ বিমান বন্দর পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ কার্শেড পর্যন্ত এই অংশের মোট দৈর্ঘ্য ৭.০৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ভূগর্ভস্থ এবং ৫.২৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্টে থাকবে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২৫
দেশ

ইডি অফিস ও আধিকারিকের বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাশি, উদ্ধার কোটি টাকা

আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সে ইডির এক আধিকারিকের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই! উদ্ধার করা হয়েছে কোটি টাকারও বেশি। শুধু তাই নয়, ইডির অফিসেও হানা দিয়েছিল সিবিআই। এই ঘটনা ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের শিমলায়।ইডির সহকারি ডিরেক্টরের পদে রয়েছেন অভিযুক্ত অফিসার। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষের টাকা বাড়িতে এবং অফিসে গচ্ছিত রাখার অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই হানায় অফিসারের বাড়ি থেকে ১.১৪ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। যদিও অভিযুক্ত অফিসার এখন পলাতক। তবে তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তিনিও এই ঘটনায় জড়িত বলে মনে করছে তাঁরা। কয়েকদিন আগে চণ্ডীগড়ের সিবিআই দফতরে একটি দুর্নীতির মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় তদন্ত শুরু করেই এই ইডি অফিসারের খোঁজ পায় সিবিআই। তারপরই শিমলায় ইডি অফিস এবং তাঁর বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা। সিবিআই এও জানিয়েছে, এই ইডি কর্তা এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে তিন বছর আগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ইডি অফিসারের বাড়ি থেকে প্রথম দফায় প্রায় ৫০ লক্ষ এবং দ্বিতীয় দফার তল্লাশিতে আরও ৫৪ লক্ষ টাকার মতো উদ্ধার হয়েছে। শিমলায় ইডির অফিসে গিয়ে ওই অফিসারের কেবিন থেকেও বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। এখন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সিবিআই এবং চণ্ডীগড় পুলিশের যৌথ দল।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ড, ময়নাতদন্ত নিয়ে ভয়ঙ্কর হুমকি দিয়েছিল কে?

আরজি কর কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের প্রফেসর অপূর্ব বিশ্বাসের। তাঁর অভিযোগ, ময়নাতদন্ত করার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর চাপ দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার রাতের মধ্যেই যদি ময়নাতদন্ত না হয় তাহলে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়ারও হুমকি দেন নির্যাতিতার এলাকার কোনও এক প্রাক্তন কাউন্সিলর। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন আজ রাতের মধ্যেই ময়না তদন্ত করতে হবে। প্রায় সাড়ে ছঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই দফতর থেকে বেরোনোর সময় জানালেন অপূর্ব বিশ্বাস।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার টালা থানার ওসি

টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতার করলো সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরজি কর প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষকে এই মামলাতেও গ্রেফতার করল সিবিআই। এর আগে দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তিনি এখন জেল হেফাজতে আছেন। এর আগে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল টালা থানার ওসিকে। মাঝে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয়ের নার্কো টেষ্টের অনুমতি দিল না আদালত

আরজি কর কাণ্ডে নার্কো টেস্টে রাজি হল না ধৃত সঞ্জয় রায়। ধৃত সঞ্জয় রায়ের নার্কো টেস্ট করাতে চেয়ে শিয়ালদহ আদালতের দ্বারস্থ হয় CBI। তবে সঞ্জয় নার্কো পরীক্ষা করাতে রাজি না হওয়ায় সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করেনি শিয়ালদহ আদালত। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের নার্কো পরীক্ষার আবেদন করে সিবিআই। এর আগে সঞ্জয়ে পলিগ্রাফ পরীক্ষা করানো হয়েছিল। সেই সময় ওই হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষ সহ আরও কয়েকজনের পলিগ্রাফ টেষ্ট হয়। সমস্ত পলিগ্রাফ টেস্টের রিপোর্ট দিল্লি পাঠানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, এর আগে পলিগ্রাফ পরীক্ষায় সঞ্জয় যে প্রশ্নগুলির উত্তর দিয়েছে, সেগুলি সঠিক কিনা তা জানতেই এবার নার্কো পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে।শুক্রবার সঞ্জয় রাজি না থাকায় নার্কো পরীক্ষায় সায় দেয়নি শিয়ালদহ আদালত। আরজি কর মেডিক্যালে চিকিৎসক খুনে সঞ্জয় ছাড়া এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রায়ের লালারস ও কামড়ের নমুনা কিংবা টিথ ইম্প্রেশন সংগ্রহ করেছে সিবিআই।তরুণী চিকিৎসকের শরীরে যে কামড়ের দাগ মিলেছে, সেগুলির সঙ্গে ওই কামড়ের নমুনা এবং লালারস মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। আপাতত সঞ্জয় রায়ের কামড়ের নমুনা সংগ্রহ করে তা কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪
রাজ্য

ভেস্তে গেল নবান্নের বৈঠক, "বিচার নয়, চেয়ার চায়", মন্তব্য মমতার, পাল্টা চিকিৎসকরা

টানা তৃতীয় দিনেও বৈঠকের আয়োজনই ব্যর্থ। বৃহস্পতিবারও রাজ্য সরকারের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠকই হল না। নবান্নে পৌঁছেও জুনিয়র চিকিৎসকরা সভা ঘরে ঢুকলেন না। বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি জানিয়েছিল জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই দাবি মানেনি রাজ্য সরকার। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ৪টে ৪৫ মিনিট থেকে অপেক্ষা করছি। এখন ৭ টা বাজতে ৫ মিনিট বাকি। আন্দোলনকারীরা সভা ঘরে এলেন না। তিন দিনের প্রচেষ্টায় বৈঠক হল না। লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার বক্তব্য, ওরা বিচার চায় না, চেয়ার চায়। পাল্টা দিয়েছেন চিকিৎসকরাবৃহস্পতিবারর রাজ্যের সঙ্গে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের আলোচনা শেষমেষ হল না। নবান্নের বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং না হলে কোন ভাবেই আলোচনা নয়। রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। এদিকে সরকারের তরফে কোন ভাবেই লাইভ সম্প্রচার হবে না বলে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও একই কথা জানান। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন পরিস্থিতিতে টানা ২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলেছে টানটান স্নায়ুযুদ্ধ। বৈঠক না হওয়ায় টানা তৃতীয় দিনেও মিলল না কোন সমাধান সূত্র। এ বিষয়ে মুখ্যসচিব বলেন, আজকে ইমেল করেছিলাম। তার পরিপ্রেক্ষিপ্তে ওরা এখানে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী ৫টা থেকে অপেক্ষা করছেন। ওরা ৩২ জন এসেছে। আমরা ওদের আসতে অনুমতি দিয়েছি। ওদের একটা ইস্যু আছে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের। আমরা ভিডিও রেকর্ডিংয়ের কথা বলেছিলাম। ওরা লাইভ স্ট্রিমিংয়ে অনড়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাইছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করছেন। এখনও ওরা মিটিং হলে আসেনি। ওদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। ওদের যা দাবি আছে, সুপ্রিম কোর্টের যা নির্দেশ আছে সবকিছুই আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। আমরা অনুরোধ করব ওরা মিটিংয়ে আসুক। যাই হোক জুনিয়র চিকিৎসকরা মিটিংয়ে যাননি।এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে আন্দলনরত চিকিৎসকরা। বাতিল হয় আজকের বৈঠক। এরপর এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পৌনে ৫টা থেকে প্রায় সাতটা বাজে! আমরা ২ ঘন্টা ১০ মিনিট অপেক্ষা করেছি, আমার ভেবেছিলাম তাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আমরা প্রথমে চিঠি দিয়েছিলাম, মুখ্যসচিব, ডিজি, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ হোম সেক্রেটারি আমার সঙ্গে ছিলেন। আমরা বলেছিলাম খোলা মনে আসুন, কোনও একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে নয়। আলোচনার মাধ্যমে পাঁচটা নতুন কথা আসতে পারে। কথা বললে সমাধান হয়। এর আগেও গতকাল ও গত পরশু অপেক্ষা করেছিলাম তাঁরা আসেনি।মমতা আরও বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে তাঁদের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে ক্ষমা করে দেওয়া। আজকেও মুখ্যসচিব তাদের চিঠি দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। আগের বার ঘটনা ছিল ভিন্ন। সুপ্রিম কোর্ট বা সিবিআইয়ের কাছে ছিল না। আমরা আজকের বৈঠকে রেকর্ডিংয়ের সুযোগ রেখেছিলাম। সুপ্রিম কোর্ট যেটা পারে আমরা তা পারি না। এই নিয়ে কোন আলোচনা আইনত সঠিক নয়। যেহেতু তদন্ত বিচারাধীন, আগামী ১৭ তারিখ শুনানি। তাই লাইভ সম্প্রচারে আমাদের কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। আমরা ভিতরে যখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে, সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তখন রেকর্ডিং করার ব্যবস্থা রেখেছিলাম। আমরা ওনাদের ৪.৪৫ মিনিটে আসতে বলেছিলাম। তারা অনেকটা দেরি করে এসেছেন। তাতেও আমরা কিছু মনে করিনি। বাংলার মানুষের একটা আবেগ আছে। আমরা সবাই চাই নির্যাতিতা বিচার পাক। এটা আমাদের হাতে নেই। সিবিআই তদন্ত করছে বলে আমি কোন মতামত জানাবো না। আজ আমাদের আলোচনা ছিল স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে গঠনমূলক উন্নতি, তাদের সেফটি ও সিকিউরিটি। টেলিকাস্টের বিষয়েও আমরা ওপেন মাইন্ড, কিন্তু এই মামলা বিচারাধীন। আমাদের একটা দায়বদ্ধতা আছে। আমরা চিঠিতে উল্লেখ করেছিলাম। আমরা খোলা মন নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। যদি মিটিংটা সফল হত আমরা যৌথভাবে প্রেস মিট করতে পারতাম। আমরা ভেবেছিলাম খোলামেলা আলোচনায় রাগারাগি না করে ডাক্তার ও রোগীদের স্বার্থে মানবিক ভাবে আলোচনা করবে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ছোটদের ক্ষমা করা আমাদের সৌজন্য। সেটা আমরা মেনে চলছি। ১৫ জন বলার পরও ওরা ৩৪ জন এসেছেন তাও মেনে নিয়েছি। কেন ঢুকলেন না আমরা জানি না। ওদের সাহায্য করার জন্য আমি চন্দ্রিমা ছাড়া কাউকে ডাকিনি। যাতে তাঁরা খোলামেলা আলোচনা করতে পারে। আমি ৩ বার চেষ্টা করলাম। ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে ২৭ জন মারা গিয়েছেন, সাত লক্ষ মানুষ পরিষেবা পাননি, দেড় হাজার সিরিয়াস রোগী দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছেন। ১১ বছরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ঢালাও উন্নতি করেছি। কর্মবিরতির জেরে যাদের মৃত্যু তাদের জন্য আমরা সহানুভুতি জানাবো না? আমার হৃদয় কাঁদছে সবার জন্য। বিনা চিকিৎসায় কত রোগী মারা গেছেন তার পরিসংখ্যান নেওয়ার কাজ করছে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্ট সময় দিয়ে দিয়েছে। তারপরও কোন অ্যাকশন নিইনি। অনেক সিনিয়ার ডাক্তার কষ্ট করেও কাজ করছেন। তাদের অভিনন্দন। ডাক্তারদের কাছে আবেদন কাজে যোগ দিন, রোগীদের সেবা দিন। এরপরও বসতে চাইলেও আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। ধৈর্য্য ধরাটাও একটা পরীক্ষা। আমাকে অনেক অপমান অসম্মান করা হয়েছে। অনেকে জানতেন না এর মধ্যে রঙ আছে, ওরা বিচার নয় ওরা চায় চেয়ার, আমি পদত্যাগ করতেও রাজি। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক, সাধারণ মানুষ বিচার পাক। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছে, এখানে চেয়ারের কোনও প্রশ্নই নেই। লাইভ না করে কি লুকোতে চাইছে সরকার, প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসারা।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
রাজ্য

বিক্ষোভের জেরে মালদা মেডিক্যাল কলেজে এদিনও যোগ দিতে পারলেন না আরজি করের চিকিৎসক

মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের অফিস ঘরে বসে রয়েছেন আরজিকর থেকে বদলি হয়ে আসা চিকিৎসক অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। আর তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজে কোনওভাবেই দায়িত্ব নিতে দেওয়া হবে না বলে দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের ঘরে নিজেকে আটকে রেখেই কোনরকমে আন্দোলনকারীদের থেকে রেহাই পেয়েছেন আরজি কর থেকে আসা চিকিৎসক অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও আন্দোলন যেন আবার নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করে দিয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এমন ঘটনায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদা মেডিকেল কলেজে। যদিও মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপ্রতিম মুখার্জি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করবো। ওই চিকিৎসক আরজি কর থেকে মালদা মেডিকেল কলেজে দায়িত্ব নিতে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি যাতে কোন সমস্যা না হয়, সেব্যাপারে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ছাত্রীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর তোলপাড় গোটা দেশ। রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীরা কর্মবিরতি ও আন্দোলন করেছেন। প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নেমেছে সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতির মধ্যে আরজি কর মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরুনাভ দত্ত চৌধুরীকে আপাতত মালদা মেডিকেল কলেজে কর্মক্ষেত্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ওই ডাক্তার যাতে মালদা মেডিকেল কলেজে যোগ না দেন, তার জন্যই নতুন করে চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলন প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এদিন কয়েক ঘন্টা ধরে মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভে সোচ্চার হন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বিক্ষোভকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, আরজি করে ওই চিকিৎসকের অধীনে মৃত ওই ছাত্রী পাঠরত ছিল। ওই মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার অরুনাভ দত্ত চৌধুরীকে আমরা কোনভাবেই মালদা মেডিকেল কলেজে কাজ করতে দেব না। আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রী খুনের ঘটনায় ইনিও হয়তো জড়িত রয়েছেন বলে আমাদের ধারণা। তাই প্রতিবাদ জানিয়েছি। অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপ্রতিম মুখার্জি বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে আরজি কর থেকে আসি ওই চিকিৎসক অরুনাভ দত্ত চৌধুরীর জয়েনিং-এর বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রায় দুঘণ্টা অপেক্ষা করার পর জয়েন না করে খালি হাতে ফিরে গেলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে বদলি হয়ে আসা অরুণাভ দত্ত চৌধুরী। আরজিকর আবহে অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে যোগদান করতে দেওয়া হবে না। আরজিকর ঘটনার পর দোষীরা চিহ্নিত হোক শাস্তি পাক ,তারপর তাকে আমরা ওয়েলকাম জানাবো, স্পষ্ট বক্তব্য মালদা মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের।

আগস্ট ২৯, ২০২৪
রাজ্য

আরজি করে অডিও ক্লিপ ভাইরাল, তিন বার ফোনে তিনরকম কথা

আরজি করে মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে চাঞ্চল্যকর অডিও ক্লিপ ভাইরাল। ফোনে তিনবার তিন রকম কথা বলা হয় মেয়েটির বাবা-মাকে, এমনই দাবি তাঁদের। তিনবার ফোন করে একবারও সে তাঁর নাম প্রকাশ করেনি। একবার বলেছেন তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অডিও ক্লিপ ঘিরেই নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করে দেখেনি জনতার কথা।আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস খুনের পর কেটে গিয়েছে বেশ কিছুদিন। এখনও মেয়ের ভয়ানক পরিণতির বিচারের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে বাবা-মা। গোটা রাজ্য উত্তাল আরজি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে। এরই মধ্যে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর পর পরই তাঁর পরিবারের কাছে তিনবার ফোন যায়, অন্তত ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে এমনই দাবি জোরালো হচ্ছে। তিনবার ফোনে তিন রকম কথা বলা হয় হাসপাতালের তরফে, এমনটাই দাবি করছেন পরিবারের সদস্যরা।প্রথমে ফোন করে বলা হয়, মেয়ের শরীর খারাপ। দ্বিতীয়বার অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের পরিচয় দিয়ে করে ফোন করা হয় নিহতের পরিবারে। সেই ফোনে হাসপাতালে যেতে বলা হয় নিহত নির্যাতিতার মা-বাবাকে। তৃতীয়বার ফোন করে বলা হয়, তাঁদের মেয়ে হয়তো আত্মহত্যা করেছে। হয়তো মারা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেই অডিও ক্লিপ। সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করে দেখা হয়নি। তবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এভাবেই তিনবার ফোন করা হয়েছিল। ওদিকে ছিল মহিলার কন্ঠস্বর। সে তাঁর নাম বলেনি। শুধু একবার অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বলেছেন। তিনি যে চিকিৎসক নন তাও বলেছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা যে তুমুল হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে জোরদার তৎপরতা চালাচ্ছে সিবিআই। তরুণীকে নৃশংস খুনের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা বাংলা। এদিন হাসপাতালে মর্গে গিয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল। যত দিন গড়াচ্ছে প্রতিবাদের সুর আরও চড়া হচ্ছে। তবে নির্যাতিতার মা-বাবা এখনও বিচারের অপেক্ষায় দিন গুণছেন।

আগস্ট ২৯, ২০২৪
রাজ্য

নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, জলকামান, লাঠিচার্জ, ইঁট বৃষ্টি, গ্রেফতার বহু

তরুণী চিকিৎসকের খুনীদের বিচারের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে ধুন্ধুমার কাণ্ড কলকাতা ও হাওড়ায়। জলকামান থেকে পুলিশের লাঠিচার্জ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট বৃষ্টি সবই চলল কয়েক ঘন্টা ধরে। নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে আগামিকাল ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এদিনের ঘটনায় ৯৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।নবান্ন অভিযানে অশান্তির অভিযোগে ৯৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ দেখে আরও অনেককে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। এ়ডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানান, অশান্তিপূর্ণ, দুষ্কৃতীদের আন্দোলন হয়েছে নবান্ন অভিযানের নামে। পুলিশ রক্তাক্ত হয়েও ধৈর্য হারায়নি। বিক্ষোভকারীদের হামলায় বহু পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ছাত্রসমাজ নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু কোনও ছাত্র এমন গুন্ডামি-অসভ্যতা করতে পারে বলে পুলিশের জানা নেই। এদিকে, নবান্ন অভিযানে পুলিশি সন্ত্রাসের অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে লালবাজার অভিযান করে রাজ্য বিজেপি। আর সেই কর্মসূচিতেও উত্তেজনা ছড়ায়। নবান্ন অভিযানে যাঁদের আটক করা হয়েছে তাঁদের মুক্তির দাবিতে এদিন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে লালবাজার অভিযান করে বিজেপি। সেই কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়, পুলিশের গার্ডরেল ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। কিন্তু পুলিশের বাধা পান তাঁরা। ফিয়ার্স লেনে বিজেপির লালবাজার অভিযান আটকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাল পুলিশ। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত মজুমদার এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়। কাঁদানে গ্যাসের জেরে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের কর্তারা। এ়ডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানান, অশান্তিপূর্ণ, দুষ্কৃতীদের আন্দোলন হয়েছে নবান্ন অভিযানের নামে। পুলিশ রক্তাক্ত হয়েও ধৈর্য হারায়নি। বিক্ষোভকারীদের হামলায় বহু পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ছাত্রসমাজ এই অভিযানের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু কোনও ছাত্র এমন গুন্ডামি-অসভ্যতা করতে পারে বলে পুলিশের জানা নেই।

আগস্ট ২৭, ২০২৪
রাজ্য

আগামিকাল বিজেপির ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ, মোকাবিলায় রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে রাজ্য বিজেপি। এরই প্রতিবাদে কাল বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলা বনধের ঘোষণা করেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।বুধবার বাংলা বনদের ডাক দিয়েছে বিজেপি। গোটা রাজ্যজুড়ে সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। আজ নবান্ন অভিযানে পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিজেপির এই বনধ। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। সেই অভিযানকে আগেই বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল রাজ্য পুলিশ। সেইমতো এই অভিযান আটকাতে কলকাতা, হাওড়ার দিকে দিকে জোরদার পুলিশি তৎপরতা চোখে পড়ে সকাল থেকেই।সাঁতরাগাছি, হাওড়া, হাওঢ়া ময়দান, প্রিন্সেপ ঘাট-সহ একাধিক এলাকায় নবান্ন অভিযান শুরু হতেই পুলিশ তুমুল তৎপরতা চোখে পড়ে। জায়গায় জায়গায় আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। এমনকী জলকামান ব্যবহার করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। তবে আন্দোলনকারীদের পাল্টা ইট-পাথরের ঘায়ে কয়েকজন পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন। ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিশ অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এরই প্রতিবাদে আগামিকাল বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আগামিকাল এই বনধ সফল করতে বিজেপির কর্মীরা রাস্তায় নামবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।অন্যদিকে বিজেপির ডাকা বনধের বিরোধিতায় পাল্টা সোচ্চার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এদিন দলের নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, কাল কোনও বাংলা বনধ হবে না। নবান্ন অভিযান নয়, আজ ছিল সমাজবিরোধীদের অভিযান। বিজেপির কিছু গুন্ডা অরাজকতা তৈরি করছে। সিপিএমের ক্যাডাররা গন্ডগোল করেছে। মমতাকে টার্গেট করে বাংলা দখলের চেষ্টা। পুলিশ এদিন সংযম বজায় রেখেছে। বনধ মোকাবিলা করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

আগস্ট ২৭, ২০২৪
রাজ্য

অভিষেক কন্যাকে হুমকি, সরব তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক

আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। দিকে দিকে পথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে সাধারণ মানুষ। এই আবহে অভিষেক কন্যাকে হুমকির ঘটনায় এক্স-এ ট্যুইট করে ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এবার এনিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে ব্যর্থ হয়ে নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আজ সহ্যের সব সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে । দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাবালিকা কন্যাকে আজ হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই ধরণের ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই। অবিলম্বে এই নোংরা রাজনীতি বন্ধ করুন।আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এনিয়ে বিরোধীদের নিশানায় তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিরোধী বাম-বিজেপির আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায় সহ সাত জনের পলিগ্রাফ টেস্ট করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

আগস্ট ২৭, ২০২৪
রাজ্য

সন্দীপ ঘোষের পর সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেষ্ট, আরজি কর এলাকায় নিষেধাজ্ঞা বাড়ল জমায়েতে

ধৃত সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট সম্পন্ন! ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ সিবিআই প্রশ্নমালা হাতে নিয়ে প্রেসিডেন্স জেলে প্রবেশ করে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পলিগ্রাফ টেস্টের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ জেল থেকে বেরিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা।আরজি করে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের রহস্যভেদে মরিয়া সিবিআই। আদালতের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষ, সঞ্জয় রায় সহ ৭ জনের পলিগ্রাফ টেস্টের নির্দেশ দেওয়া হয়। গতকালই সিবিআই আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়। এর জন্য দিল্লি থেকে উড়ে আসেন সিবিআইয়ের বিশেষ দল। আজ রবিবার আরজি কর কাণ্ডে এক মাত্র ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষা হয় বলেই জানা গিয়েছে। রবিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দীর্ঘ চার ঘন্টা পর জেল থেকে বেরিয়ে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা।এদিকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো কলকাতা পুলিশ। পুলিশের তরফে এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২৫ তারিখ থেকে আগামী সাতদিন অর্থাৎ ৩১ অগস্ট পর্যন্ত শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে মিটিং করা যাবে না। ওই এলাকায় ৫ বা তার বেশি লোকের জমায়েত হলেই নিয়ম ভাঙা হবে। সেক্ষেত্রে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলেই জানিয়েছে।আরজি কর হাসপাতালে সুষ্ঠ কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে গতকাল আন্দোলনরত জুনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে একদফা আলোচনা করা হয়। যদিও আলোচনা ফল্প্রসু না হওয়ায় রাজ্যের জুনিয়র এবং সিনিয়র ডাক্তাররা আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিপ্তে নিরাপদ কাজের পরিবেশের দাবিতে, তাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। এদিকে চিকিৎসকদের আন্দোলন জারি থাকায় কলকাতা পুলিশ আগামী সাতদিন অর্থাৎ ৩১ অগস্ট পর্যন্ত হাসপাতাল চত্ত্বরে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছে।অন্যদিকে সিবিআই আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগে সিটের হাত থেকে তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে সকাল থেকেই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ডেরা সহ শহরের অন্যান্য ১৪টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির তদন্তের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)-র হাত থেকে তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে হস্তান্তর করে।

আগস্ট ২৫, ২০২৪
রাজ্য

কর্মবিরতিতে অনড় আন্দোলনরত চিকিৎসকরা, ভরসা নেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে

আরজি কর কাণ্ডে সর্ষের মধ্যে ভূত দেখতে পাচ্ছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তাই সুপ্রিম কোর্টের আবেদন সত্ত্বেও কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন তাঁরা। সিবিআই তদন্তের উপর ভরসা থাকলেও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উপর তাঁরা ভরসা রাখতে পারছেন না। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁরা জানিয়েছেন, আড়াল থেকে ক্ষমতাশীল একটা চক্র সক্রিয় হয়ে তদন্তে বাধা সৃষ্টি করছে। যাদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করছে স্বাস্থ্যভবনও।আন্দোলনকারী জানিয়েছেন, এই চক্রের কারণেই আসল দোষী বহাল তবিয়তে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে মেডিক্যাল কলেজ মুড়ে দিলেও তাঁরা নিরাপদ বোধ করছেন না। সে কারণেই তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন না এখনই। কেন তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন তার স্বপক্ষে বেশ কিছু প্রমাণ এবং যুক্তি পেশ করেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের উপর। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।আরজি কর কাণ্ডে ব্যর্থতার জন্য পুলিশকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলেছেন, হামলাকারীদের উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের ভয় দেখানো এবং তথ্য প্রমাণ লোপাট এটা কার্যত স্পষ্ট। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সেদিন রাতে এমার্জেন্সি গেট দিয়ে ঢুকে কোথাও কোনও ভাঙচুর না করে সেমিনার রুম খুঁজতে গিয়ে বাকি ফ্লোরগুলিতে ভাঙচুর চালায়। ওই সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল, যা বেদনাদায়ক। তারা আমাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। অত্যন্ত অসংবেদনশীল এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর পুরো দোষ চাপিয়ে আসল দোষীদের আড়াল করেছে। সুবিচার পাওয়ার পথে বাধা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।দুষ্টচক্র পুলিশের মতোই ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে বাধা তৈরি করছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২১ আগস্ট আমরা স্বাস্থ্যভবনে বৈঠক করেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, সন্দীপ ঘোষ-সহ বাকি কর্তৃপক্ষকে প্রশাসনিক ব্যর্থতার দায় নিয়ে কেন এখনও তাঁদের অপসারণ করা হচ্ছে না। তখন প্রশাসনিক জটিলতা ছাড়া আর কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যায় এঁদের বাঁচানোর পিছনে এক অশুভ দুষ্টচক্র প্রবলভাবে সক্রিয়। যারা এতকিছুর পরেও সন্দীপ ঘোষ-সহ কর্তৃপক্ষকে আড়াল করতে ব্যস্ত এবং তাদের চাপের কাছে স্বাস্থ্যভবনও কার্যত অসহায়। যাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে তাঁকে কেন এখনও সাসপেন্ড করা হল না, শুধু হাইকোর্টের নির্দেশে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সমস্ত অভিযোগে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কেন তাঁকে স্বাস্থ্যভবন বরখাস্ত করছে না, কে বা কারা বাধা দিচ্ছে?চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে যে প্রচার চলছে তা অসত্য বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। জুনিয়র ডাক্তাররা বলেছেন, এমার্জেন্সি-সহ সমস্ত বিভাগ চালু। সিনিয়র চিকিৎসকরা বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছেন। আমরাও কাজে যোগদান করতে চাই। কিন্তু যাঁরা ন্যায়বিচারের পথে বাধা দিচ্ছে, তাঁরা যদি সক্রিয় থাকে তাতে যদি কীভাবে নিরাপদ বোধ করব। সিআইএসএফ দিয়ে আরজি করতে মুড়ে দিয়ে কী হবে যদি আসল অপরাধীদের আড়াল করার জন্য ভিতরেই কোনও চক্র সক্রিয় থাকে?আন্দোলনকারীরা তাঁদের চার দফা দাবি জানিয়েছেনঃ-১। ৯ই আগস্টের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করা। হয়তো দোষীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাই তাঁরা মোটেও নিরাপদ নন। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।২। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ঘটনায় যে বা যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত তাঁদের তদন্ত কের বিচারের আওতায় আনতে হবে। স্বাস্থ্যভবনকে অবিলম্বে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করতে হবে।৩। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশ সম্পূর্ণ রূপে ব্যর্থ। এই ব্যর্থদার দায় নিয়ে পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে পদত্যাগ করতে হবে। প্রয়োজনে তাঁকেও বিচার এবং তদন্তের আওতায় আনতে হবে।৪। প্রতিটি কলেজে ভয়ের রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছভাবে নির্বাচন করতে হবে। সমস্ত কলেজ এবং হাসপাতালে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কমিটিতে জুনিয়র ডাক্তার এবং মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে হবে। তাঁদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের মাধ্যমে বেছে নিতে হবে।

আগস্ট ২৫, ২০২৪
রাজ্য

সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে সিবিআই হানা, আরজি কর কাণ্ডে অভিযান আরও বেশ কিছু জায়গায়

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন ল।অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে রবিবার সাতসকালে হাজির CBI টিম। আজ সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। এদিন ১ ঘন্টারও বেশি সময় পরও বাড়ির দরজা খোলেননি সন্দীপ। পরে সকাল ৮টার পর হঠাৎই বাড়ির দরজা খুলে বাইরে বেরোতে দেখা যায় সন্দীপ ঘোষকে। আরজি কর কাণ্ডে গত টানা ৯ দিন ১০-১২ ঘণ্টা ধরে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে সিবিআই। গতকালই তাঁর পলিগ্রাফ টেস্টও হয়েছে বলে খবর সূত্রের।রবিবার আরজি কর কাণ্ডে শহর কলকাতার দিকে দিকে সাঁড়াশি হানা সিবিআইয়ের। শুধু প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতেই নয়, আজ আরজি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের এন্টালির বাড়িতেও হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এছাড়াও হাওড়ায় আরজি কর মেডিক্যালের সাপ্লায়ারের বাড়িতেও অভিযানে যায় সিবিআই দল। হাওড়ার হাটগাছায় বিপ্লব সিংহের বাড়িতে আজ সকালে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের কয়েকজন আধিকারিক। আরজি কর মেডিকেল কলেজের সাপ্লায়ার বিপ্লব সিংহ।জানা গিয়েছে, আজ সকালে নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআইয়ের বেশ কয়েকটি দল এই অভিযানে বেরোয়। বেলেঘাটায় সন্দীপ ঘোষের বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। একইভাবে এদিন শহরের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। এদিন আরজি করের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাড়িতে সিবিআই অভিযান চলে।

আগস্ট ২৫, ২০২৪
রাজ্য

সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট সিবিআইয়ের, আগামিকাল সঞ্জয়ের পালা

৯ অগাস্ট রাতে ঠিক কী ঘটেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে? রহস্যের সমাধানে মরিয়া সিবিআই। তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে শুরু হল সাত জনের পলিগ্রাফ টেস্ট। শনিবার পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয় ওই হাসপাতালের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষের।আরজি কর কাণ্ডে পলিগ্রাফ টেস্ট করা শুরু করল সিবিআই। ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সহ সাত জনের পলিগ্রাফ টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু করল সিবিআই। রহস্যের সমাধান সূত্রে পলিগ্রাফ টেস্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই। দিল্লি থেকে ইতিমধ্যে কলকাতায় এসে পৌঁছাছেন সিবিআইয়ের বিশেষ দল।বয়ানের সত্যতা যাচাইয়ে গতকালই সাত জনের পলিগ্রাফ টেস্টের নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আর আজই পলিগ্রাফ টেস্টের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এখন প্রশ্ন কবে কিনারা হবে তরুণী চিকিৎসক খুনের? কখন CBI পলিগ্রাফ টেস্ট করে?এদিন সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে। আগামিকাল এই টেস্ট হবে সঞ্জয় রাইয়ের। তাঁকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে এই টেস্ট করবে সিবিআই। তার জন্য প্রেসিডেন্সি জেল কর। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে সিবিআই। সেখানে পৃথক ঘরের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। ধাপে ধাপে বাকিদের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এক প্রাক্তন সিবিআই আধিকারিক বলেছেন, যখন অভিযুক্ত তদন্তকারীদের যথেষ্ট তথ্য দেয় না অথবা তদন্তকারীরা মনে করছেন, তাঁরা অভিযুক্তের থেকে চেয়েও যথেষ্ট তথ্য পাচ্ছেন না, তখনই পলিগ্রাফ টেস্টের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তদন্তকারীরা যখন মনে করেন, অভিযুক্ত আরও কিছু গোপন করে যাচ্ছে, তখন তা বের করে আনতে দরকার হয় এই টেস্টের। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত সত্য গোপনের ক্ষমতা হারিয়ে যায়। আর, সেটাই তদন্তকারীদের হাতিয়ার।

আগস্ট ২৪, ২০২৪
রাজ্য

আরজি করের যাবতীয় দুর্নীতির তদন্ত সিট নয় সিবিআইয়ের হাতে, নির্দেশ আদালতের

শুধু তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের তদন্ত নয়, এবার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের যাবতীয় দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামিকাল, শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে তদন্তের নথি হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। এর আগে এই তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী কমিটি সিট গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। ফলত কলকাতা হাইকোর্টের নতুন নির্দেশে পর সিটের আর কোনও গুরুত্ব রইল না।আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই অভিযোগ তিনি একবছর আগেই সরকারকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তারপরও অভিযু্ক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারই প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তুলেছিলেন, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য একবছর আগে কেন সিট গঠন করা হয়নি? আর, তারপরই তিনি সিবিআইকে আরজি কর হাসপাতালের যাবতীয় দুর্নীতির তদন্তভার তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।আদালতের এই নির্দেশে আরও বেকায়দায় পড়তে চলেছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। তাঁর বিরুদ্ধে বেওয়ারিশ লাশ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন আখতার আলি। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তাঁদের পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও আখতার আলি তুলেছেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রাজ্য সরকার যে সিট গঠন করেছিল, সেই সিটে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্তাও ছিলেন। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, এই ঘটনা বড় না হলে কেন এত বড়মাপের পুলিশকর্তাদের ১৬ আগস্ট গঠন করা সিটের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে? এরপরই আদালত আরজি কর দুর্নীতির যাবতীয় তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।এর ফলে রাজ্য সরকারের গঠিত সিট-এর আর প্রয়োজন রইল না। সিবিআইয়ের এই তদন্ত চলবে আদালতের নজরদারিতে। আদালত তদন্তের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সিবিআইকে আদালতে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আদালতের এই নির্দেশের পর প্রতিক্রিয়ায় আখতার আলি বলেছেন, আমি সন্তুষ্ট। আমি পুলিশের কাছে যাবতীয় অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু, অভিযোগের সুরাহা হওয়া দূর, আমাকেই অন্য হাসপাতালে (বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ) বদলি করে দেওয়া হয়েছে।

আগস্ট ২৩, ২০২৪
রাজ্য

আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে চিকিৎসা ধর্মঘট

আরজি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের প্রতিবাদে সারা বাংলায় চিকিৎসা ধর্মঘটের ডাক দিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স। আগামিকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ওপিডি বন্ধ থাকবে। শুধু ইমার্জেন্সি বিভাগ খোলা থাকবে। এমনকী বক্তিগত চেম্বার বন্ধ রাখারও আবেদন জানিয়েছে এই সংগঠন। এদিন এনআরএস মেডিক্য়াল কলেজ প্রাঙ্গনে নাগরিক কনভেনশনের আয়োজন করেছিল চিকিৎসকদের এই সংগঠন। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স সংগঠনের নেতা ড. মানস গুমটা বলেন, আমাদারে দাবি ধর্ষক ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সিবিআই তদন্তের আগে আরজি করের চেষ্ট বিভাগে মেরামতের নামে প্রমান লোপাটের চেষ্টার প্রতিবাদ করছে আমাদের এই সংগঠন। সন্দীপ ঘোষসহ সমস্ত সন্দেহভাজনকে অবিলম্বে হেফাজতে নিয়ে দ্রুত তদন্ত করতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। আরজি করে নিহত তরুণী চিকিৎসকের খুনীদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য হাসপাতালের চিকিৎসকরাও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছে। এদিন বুদ্ধিজীবীদের একটি দল ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে মিছিল করে আরজি করে মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে যায়। রাজনৈতিক দলগুলি চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে পথে নেমেছে। এদিনই আবার কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলা পুলিশের হাত থেকে সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

আগস্ট ১৪, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal