• ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার ০২ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

CBI

রাজ্য

আরজি করে চিকিৎসক খুনের মামলায় সিবিআই তদন্ত, আদালতের নির্দেশ পেয়েই টালা থানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

আদালত নির্দেশ দিতেই সিবিআই আধিকারিকরা টালা থানায় পৌঁছে যান। সেখানে আরজি করে চিকিৎসক খুনের নথি নিতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হা। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ উচ্চ আদালতের। পুলিশ এবং হাসপাতালের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আদালত।আরজি কর সংক্রান্ত মামলার শুনানির প্রথম দিনেই চূড়ান্ত বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। তিন সপ্তাহ পর রাজ্য সরকারের রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে CBI নির্দেশ দেওয়া যায়। যে ঘটনায় রাজ্যের ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে সেক্ষেত্রে সিবিআই নির্দেশ দেওয়া যায়। হাসপাতালের সুপার কিংবা কেউ FIR দায়ের করলেন না, এটা তো বিস্ময়ের। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ইস্তফার পরেও কেন সমান গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল? পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষ কাজে যোগ দিতে পারবেন না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে CBI-কে কেস ডায়েরি হস্তান্তর করতে নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। কলকাতা পুলিশের কেস ডায়েরিতে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট। আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে প্রথমেই কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হলো তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ওই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকের দেহ ওই হাসপাতাল থেকেই উদ্ধার হয়েছে। যিনি হাসপাতালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি কেন FIR করলেন না? এদিকে আজই টালা থানায় যান সিবিআই আধিকারিকরা। প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে থানা থেকে বেরিয়েছেন বলে খবর।

আগস্ট ১৩, ২০২৪
কলকাতা

মুক্তিতে স্বস্তি! কেজরিওয়ালের নামে পুজো কালীঘাট মন্দিরে

আজ আম আদমী পার্টি, পশ্চিমবঙ্গের তরফ থেকে আম আদমী পার্টির সুপ্রিমো শ্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নামে পুজো দেওয়া হল কলকাতার কালীঘাট মন্দিরে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আগামী দিন গুলির রাজনৈতিক সাফল্য কামনা করে এবং দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করে আজ এই প্রার্থনা করা হয় দলের তরফে । দলের তরফ থেকে প্রধান মুখপাত্র, অর্ণব মৈত্র জানিয়েছেন, দেশে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে যাতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের লড়াই সফল হয় সেই জন্য আজকের এই পুজো আয়োজন করা হয়েছিল। তার সাথে সমগ্র দেশবাসীর মঙ্গল কামনা করি আমরা।। মায়ের কাছে আমাদের প্রার্থনা সকলে ভালো থাকুক এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেশের স্বৈরাতন্ত্র কে পরাজিত করে দেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর করুন।

মে ১১, ২০২৪
রাজ্য

অযোগ্য নিয়োগ আদালতে মানলো এসএসসি, জানাল যোগ্য শিক্ষকদের সংখ্যাও

শেষমেশ অযোগ্যরা যে শিক্ষকতায় নিয়োগ করা হয়েছিল তা মেনে নিল এসএসসি। পাশাপাশি মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের সংখ্যাও জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।চাকরিহারা যোগ্যদের পাশে দাঁড়াল SSC ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। ২০১৬ সালের প্যানেলে চাকরি পাওয়া ১৯ হাজার নিয়োগ বৈধ ও তার উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে বলে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছে SSC। অর্থাৎ প্রায় ৭ হাজার নিয়োগ অবৈধ বলেই কার্যত এদিন মেনে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এদিকে, SSC-র এই বক্তব্য শুনে বিস্মিত সুপ্রিম কোর্টও। SSC দায়িত্ববানের মতো কাজ করেনি বলে উষ্মা প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।নিয়োগ ঘিরে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এদিন রাজ্যের আইনজীবীও সওয়াল করেন শীর্ষ আদালতে। মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে বেনিয়মের কোনও প্রমাণ নেই বলে তিনি দাবি করেছেন। তাই রাজ্য মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়ে গেলে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে এদিন সওয়ালে দাবি করেছেন রাজ্যের আইনজীবী।

মে ০৭, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালিতে উদ্ধার বিপুল কার্তুজসহ আগ্নেয়াস্ত্র, সিবিআইয়ের তদন্তে এনএসজি

সন্দেশখালিতে এনএসজি-র বম্ব স্কোয়াড। উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক। শুক্রবার বেলা বাড়তেই সন্দেশখালিতে হানা দেয় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, শেখ শাহজাহান শেখের এক ঘনিষ্ঠ স্থানীয় তৃণমূল নেতার আত্মীয়ের বাড়িতে প্রচুর অস্ত্র ও বোমা মজুত রয়েছে। সেই খবর মিলতেই অভিযানে নামে সিবিআই। তল্লাশিতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে বলে খবর। উদ্ধার করা হয়েছে ১২০টি নাইন এমএম বুলেট। বিভিন্ন ধরণের ৩৪৮টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র।বাড়িটিতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক জমা রয়েছে বলে সন্দেহ সিবিআই আধিকারিকদের। যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। সেই আশঙ্কায় NSG কম্যান্ডোদের ডাকা হয়। মাইন ডিটেক্টর থেকে রোবোটিক ডিভাইস দিয়ে অস্ত্রভাণ্ডারের তল্লাশি শুরু করে NSG কম্যান্ডোরা।সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার মল্লিকপাড়ায় শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ আবু আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালায় সিবিআই গোয়েন্দারা। তার বাড়িতেই লুকিয়ে রাখা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক। এরপরই গোটা গ্রাম দখলে নেয় NSG কম্যান্ডোরা। ওই এলাকাটি ঘিরে নিয়ে তাঁদের নিজস্ব অত্যাধুনিক মেশিন, রোবট নিয়ে কাজ শুরু করেন তাঁরা।NSG কম্যান্ডোদের তল্লাশিতে সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭টি পিস্তল, দেশি বোমা, তিনটি বিদেশি রিভালবার, উদ্ধার হয়েছে একটি পুলিশের রিভালবার, মেঝে খুঁড়তেই উদ্ধার হয় বোমা-বারুদ। উদ্ধার করা হয়েছে ৩৫০ রাউন্ড কার্তুজ। পাশাপাশি মিলেছে বেশ কিছু নথি। যার সবের সঙ্গে যোগ রয়েছে শাহাজানের।এদিকে এই ঘটনার পরই তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সঙ্গে সিমি বা পিএফআইয়ের কোন ফারাক নেই। মমতা ব্যনার্জিকে গ্রেফতার করে তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি পুলিশ এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত বলেও দাবি করেন বিরোধী দল নেতা।এদিকে শুভেন্দুর পালটা তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন, ওখানে অস্ত্রভান্ডার ছিল নাকি কেউ বদনাম করার জন্য ওখানে রেখে গেছে তা তদন্তসাপেক্ষ। কী পাওয়া গেছে তা আমরা জানি না। অফিসিয়াল কোনও বিবৃতি নেই। তা পুরো বিষয়টাই একটা চিত্রনাট্য ছাড়া এই মুহূর্তে কিছুই মনে হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।

এপ্রিল ২৬, ২০২৪
দেশ

উত্তর বনাম দক্ষিণ

১৯ শে এপ্রিল শুরু লোকসভা নির্বাচন। রামমন্দির, সিএএ (CAA), দূর্নীতি, ইলেক্টরাল বন্ড (Electoral Bond), ইডি (ED), সিবিআই-র (CBI) গ্ৰেফতার কড়া নাড়া। প্রচারে এই সমস্তই হাতিয়ার। এর পাশাপাশি চলছে লাভার্থী বা সুবিধা ভোগী বাড়িয়ে ভোট কুড়োনোর জন্য প্রতিশ্রুতির বন্যা। এর তুলনায় বেকারত্বের সমস্যা, ক্ষুধার সমস্যা, বৈষম্য বেড়ে চলা, স্বাস্থ্য পরিষেবার অপ্রতুলতা নিয়ে হইচই অনেক কম। অনেকে বলছেন দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, যুক্তরাস্ট্রীয় কাঠামোর চেহারা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ও বিরোধী রাজনীতির পরিসরের মত বিষয়গুলি ভবিষ্যতে কোন দিকে বাঁক নেবে তা নির্ধারিত হবে এবারের নির্বাচনে। তবে এরই মাঝে চোরা স্রোতের মত বইছে আরো এক সমস্যা। যা গত বছর কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পরে বাড়তি গতি পেয়েছে। এই হারের পরে বিন্ধ পর্বতের নিচে কোনো রাজ্যেই আর গেরুয়া শাসন নেই। এই পথ বেয়েই জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে উত্তর বনাম দক্ষিণের বিভাজন। সংসদীয় রাজনীতির এই পাশা খেলার ফল প্রতিফলিত হচ্ছে ভাষা, আর্থিক উন্নয়ন, আর সামাজিক রূপান্তরের রাজনীতিতেও।আরও পড়ুনঃ কেজরীওয়াল: টেক্কা না পুট?Colonial Hangover বলে ইংরেজি কে যতই গাল পাড়ুন, বর্তমানে হিন্দি-হিন্দুস্তানের দাপটের মাঝেও ইংরেজি বিনা গীত নেই। চাকরির ক্ষেত্রে, সমাজে কল্কি পাওয়ার ক্ষেত্রে, ইংরেজের মাতৃভাষা-ই এখনো অধিকাংশের কাছে ধারালো হাতিয়ার। অনেকের কাছে আবার বদ্ধ জলাশয় থেকে স্রোতে অবগাহনে কার্যকরি উপায়। এই পরশ পাথরের মুল্য দক্ষিণ ভারত অনেক আগেই বুঝেছে। তাই উত্তরের অনেক রাজ্যে যখন ইংরেজি হঠানোর জন্য লাফঝাঁপ দিচ্ছে, দক্ষিণ তার এই অবস্থানে অনড় থেকে ক্রমশ এগোচ্ছে। ন্যাসো-র (NSSO) সমীক্ষা বলছে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য গুলিতে প্রায় ৬০ শতাংশ স্কুলে ক্লাস ১২ পর্যন্ত ইংরেজি-ই শিক্ষার বাহন। প্রতিতুলনায় উত্তরপ্রদেশে ১৪% এবং বিহারে ৬% স্কুলে ইংরেজিতে পঠনপাঠন চলে। শুধু তাই নয় উচ্চশিক্ষায় প্রবেশ নিয়ে ২০২০-২১ সালে সর্বভারতীয় সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দক্ষিণে ১৮-২৩ বছর বয়সীদের মধ্যে প্রায় ৫০% উচ্চশিক্ষায় ভর্তি হয়। যেখানে সর্বভারতীয় গড় হচ্ছে ২৭%। হরিয়ানা এবং হিমাচল ছাড়া হিন্দি বলয়ের সব রাজ্য, গুজরাট এবং দেশের পূর্ব ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির হার জাতীয় গড়ের অনেক নিচে। এর পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে আর্থিক বৈষম্যের পার্থক্যটাও ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। ইংরাজি জানা দক্ষ কর্মী এবং উন্নত পরিকাঠামোর কারণে দক্ষিনে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়ছে। জাতীয় পরিসংখ্যান বলছে বিহার, ছত্তিশগঢ়, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশের তুলনায় কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, তামিল নাড়ু তে মাথা পিছু আয় অনেকটাই বেশি।আরও পড়ুনঃ গ্যারান্টি বনাম ন্যায় - ভোটের হালহকিকতরাজনীতির অলিন্দে শোনা যাচ্ছে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে দেশের লোকসভা কেন্দ্র গুলির সীমা নির্ধারণ-র (Delimitation ) কাজ শুরু হবে। জনসংখ্যার বিচারে নির্ধারিত হবে কেন্দ্র গুলির সীমানা। কেন্দ্রীয় পরিবার পরিকল্পনা নীতি মেনে দক্ষিণে অনেক আগে থেকেই জন সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। নারী শিক্ষায় অগ্ৰাধিকারের জন্য দক্ষিণে Fertility Rate কমেছে। ১৯৭১ সালে দেশের মোট জনসংখ্যা ২৪.৮% ছিল দক্ষিণ ভারত। ২০২১সালে তাই কমে ১৯.৯% এসে দাঁড়িয়েছে। আর বিহার এবং উত্তর প্রদেশে এই হার ২৩% থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬%। ৮৪৮ সদস্য আসন বিশিষ্ট নতুন সংসদ ভবন চালু হয়ে গিয়েছে। Delimitation য়ের পরে ৮৪৮ আসনে লোকসভার ভোট হবে। রাজনৈতিক পন্ডিতদের মতে জন সংখ্যার ভিত্তিতে উত্তর প্রদেশে লোকসভার আসন ৮০ থেকে বেড়ে ১৪৩ হবে। যেখানে জনসংখ্যার ভিত্তিতে দশটি লোকসভার আসন বাড়বে তামিলনাড়ুতে।আরও পড়ুনঃ এক দেশ এক ভোটহিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ছত্তিশগঢ়, ঝাড়খণ্ড এই দশটি রাজ্য নিয়ে হিন্দি বলয়। বর্তমানে এই দশটি রাজ্যে রয়েছে ২২৫টি লোকসভা আসন। ২০১৯শের লোকসভা নির্বাচনে এই ২২৫টি আসনের মধ্যে ২০৩ টি আসন পেয়েছিল NDA। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় ম্যাজিক ফিগার হলো ২৭২। এবার ও হিন্দি বলয়ে বিজেপির এই দাপট বজায় থাকলে ক্ষমতায় ফেরা নিশ্চিত। তবে দলকে এবার ৩৭০ আসনের লক্ষ্য মাত্রায় বেঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হিন্দি বলয়ে আসন বাড়ার যেহেতু আর জায়গা নেই বিজেপির বিশেষ নজরে এবার দক্ষিণ ও দেশের অন্যান্য অংশ। তাই ৫০ বছর আগে কংগ্রেস শাসনে পকপ্রনালীর এক দ্বীপ কচ্ছথিভু চুক্তি করে শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি দক্ষিণে প্রচারে গিয়ে দ্রাবিড় অস্মিতা জাগিয়ে তোলার সব রকম চেষ্টাই তিনি করেছেন। কিন্তু ক্ষমতায় ফিরে delimitation য়ের কাজ সম্পূর্ণ করার পরে দক্ষিণের এই গুরুত্ব কি বিজেপির কাছে থাকবে? তখন হিন্দি বলয়ের দশটি রাজ্যে আসন সংখ্যার যে বৃদ্ধি হবে তার জোরেই বিপুল আসন হাতের মুঠোয় আসার পথ খোলা থাকবে। আর কে না জানে যার ভোট নেই তার গুরুত্বও নেই। তখন দক্ষিণের রাজ্য গুলিতে কেন্দ্রের বিমাতৃসুলভ আচরনে স্লোগান তুলে গলা ফাটালেও বিশেষ লাভ হবে বলে মনে হয় না। অতএব জাতীয় রাজনীতিতে উত্তর বনাম দক্ষিণের দ্বন্দ্বের নতুন অধ্যায় শুরু হওয়ার অপেক্ষা।

এপ্রিল ১৮, ২০২৪
দেশ

সিবিআই তল্লাশির পর এবার ইডির তলব মহুয়াকে, কি করবেন তৃণমূল প্রার্থী?

সিবিআইয়ের পর ইডি। আগামী ৩১ মার্চ কৃষ্ণনগরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা করবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই সংসদে ঘুষের বদলে প্রশ্ন কাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামী ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীকে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির দিতে হতে বলা হয়েছে। মহুয়ার পাশাপাশি এই মামলায় অন্যতম অভিযোগকারী ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকেও সমন পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর এজেন্সির তরফে।মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ, লোকসভায় প্রশ্ন করার জন্য তিনি নাকি শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ বাবদ নগদ ও নানা ধরণের উপহার নিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এই ব্যাপারে প্রথম সরব হন। তারপর এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ চলতে থাকে। অবশেষে এথিক্স কমিটির সুপারিশের পর সাংসদ পদ বাতিল হয় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর। এরপরই মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় লোকপাল। ইতিমধ্যে মহুয়ার বাবার কলকাতা ও কৃষ্ণনগরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।জানা গিয়েছে, বিদেশি মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় ফেমা, 1999-এর নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে মহুয়া এবং ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে। এর আগে মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিল করে এথিক্স কমিটি। তা নিয়ে শোরগোল পরে যায় রাজনীতিতে।

মার্চ ২৭, ২০২৪
রাজ্য

শেখ শাহজাহানের বাড়িতে-মার্কেটে সিবিআই

কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে গেল সিবিআই। এই প্রথম সন্দেশখালি গেল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন সিবিআই গিয়েছে সরবেড়িয়ায় তার মার্কেটেও। ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার তদন্ত করতে সেখানে গিয়েছে সিবিআই। গতকালই আদালতের নির্দেশে সিআইডি শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে। এদিকে হামলার দিন শেখ শাহজাহান কাদের ফোন করেছিলেন? তা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। ইডি আধিকারিকদের কাছ থেকে সেদিনের ঘটনা জানা হচ্ছে। যে ইডি আধিকারিকের মাথা ফেটেছিল, তাঁর বয়ান নিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি ইডি কি তথ্য পেয়েছে তাও জানতে চাইছে সিবিআই। একইসঙ্গে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে শেখ শাহজাহানকে।

মার্চ ০৭, ২০২৪
রাজ্য

শেষমেশ দীর্ঘ টালবাহানার পর সিআইডির হাত থেকে সিবিআইয়ের হেফাজতে শাহজাহান

বহু টালবাহানা, বিভ্রান্তি, শেষমেশ সন্দেশখালির তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহনকে হেফাজতে পেল সিবিআই। কোর্টের নির্দেশে শাহজাহানকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরে বাধ্য হল সিআইডি।বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতেই হবে। বুধবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতাকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করতেই হবে। এদিকে এদিন ইডি শেখ শাহজাহানকে হস্তান্তরে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করে। তারপরই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বুধবার বিকেল ৪.১৫-র মধ্যে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই মত এদিন ৪টের মধ্যে ভবানী ভবনে পৌঁছে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা। কিন্তু তখনও সন্দেশখালির বাঘকে হাতে পায়নি সিবিআই গোয়েন্দারা। ফলে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের দৃষ্টি আকর্ষণে ফের উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে সিবিআই।এসবের মধ্যেই সন্ধ্যার মুখে ভবানী ভবনের পিছনের দরজা দিয়ে শেখ শাহজাহানকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরই শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় সিআইডি।সন্দেশখালি কাণ্ডে মঙ্গলবার দুপুরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এছাড়াও, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে ধৃত শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে বলে নির্দেশ দেয় আদালত। খারিজ করে দেওয়া হয়েছে, সন্দেশখালি কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চের বিশেষ তদন্তকারী দলগঠনের নির্দেশ। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মত, বিকেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভবানী ভবনে চলে আসে কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। অবশেষে টালবাহানার পর সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে সিবিআইয়ের হাতে শাহজাহানকে তুলে দেয় পুলিশ। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে মামলা রয়েছে বলে সিবিআই-কে জানিয়ে দেয় পুলিশ।গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালি কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহজাহান। গত বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর বামনপুকুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে সিআইডির হেফাজতে রাখা হয়েছে বহিষ্কৃত এই তৃণমূল নেতাকে। শাহজাহানের পুলিশি হেফাজের নির্দেশের পরই ইডি তাঁকে হেফাজতে চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি ছিল, সন্দেশখালিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই। সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে নিয়ে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলেও কোনও ভরসা নেই। কারণ, রাজ্য পুলিশ এই মামলায় সহযোগিতা করবে না। তাই এই তদন্তভার শুধু সিবিআইকেই দেওয়া হোক। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন মঞ্জুর করে।আদালত সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপর হামলার ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দুটি এফআইআর (৮ ও ৯ নম্বর) দায়ের হয়েছিল। এছাড়া বনগাঁ থানায় আরও একটি এফআইআর (১৮ নম্বর) দায়ের হয়। ওই মামলার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না তাতে সাড়া দেননি। প্রক্রিয়া মেনে মামলা হবে বলে জানানো হয়। বুধবার প্রক্রিয়া মেনে আবেদন হলেও রাজ্যের আবেদনে সাড়া দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে।

মার্চ ০৬, ২০২৪
রাজনীতি

নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ নানা প্রশ্নের খোলামেলা জবাব দিলেন

এবার ইডির স্ক্যানারে প্রসন্ন-আগে তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আগের বার তিনি জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু ইডি মনে করছে আরও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে। তাই ফের তদন্ত হচ্ছে। জাল এতো বড় যে কে যুক্ত আর কে নয়, অনেকে অজান্তে যুক্ত হয়ে পড়েছে। কে সুবিধা পেয়েছে কে পায়নি, এভাবেই বিশাল বিস্তার হয়েছে। তার কিনারা খোঁজার চেষ্টা চলছে। অবশেষে সংহতি মিছিলে আদালতের অনুমতি-আগে তৃণমূলের মধ্যে সংহতি করুন। সংহতির নামে হিন্দু বিরোধীদের এককাট্টা করার চেষ্টা হচ্ছে। আমার মনে হয় না কোনও হিন্দু এই সংহতি মিছিলে যাবে। যার শরীরে হিন্দু রক্ত আছে সে রামের বিরুদ্ধে যাবে না। কিছু হারামখোর যাবে। যারা তৃণমূলের উচ্ছিষ্ট ভোগী, এই করেই যারা খাচ্ছে আর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, এরকম কিছু লোক যাবে। আর যারা সিএএ পাস হওয়ার পর সারা বাংলায় আগুন জ্বালিয়ে ট্রেন বাস রেল জাতীয় সড়ক অচল করেছিল, সেই সমস্ত রাষ্ট্রবিরোধীদের নিয়ে এখানে রামের বিরুদ্ধে মিছিল হবে। আইএসএফের সভার অনুমতি ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই-সবাইকে আদালতে যেতে হয়। কারণ এখানে সরকার বলে কিছু নেই। আমরা খুঁজে পাইনা সরকার কোথায় আছে। অনুমতি কে দেবে? পুলিশ কোথায়? টাকা তুলতে চাঁদা তুলতে আর ফুটবল খেলতে ব্যস্ত। প্রশাসন কে চালাবে? কোর্ট আছে। ভালো মন্দ যাই হোক কোর্টের কাছেই বিরোধীদের যেতে হয়। তৃণমূলের নেতা খুন হলেও পুলিশে ভরসা না রেখে কোর্টে যেতে হয়। সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যকে রাজধর্ম মনে করালো হাইকোর্ট-আদালত বা রাজ্যপাল। এই দুটি স্তম্ভই এখন মানুষের ভরসা। সমস্যায় পড়লে মানুষ এখন আদালতে যায় বা রাজ্যপালের কাছে যায়। কারণ আর কারও কাছে আশা নেই। কেউ কানমোলা দিচ্ছে। কেউ চিঠি লিখে রাজধর্ম মনে করিয়ে দিচ্ছে। সরকার ঘুমাতে চলে গেছে। বেহায়া নির্লজ্জ দের কিছু হয় না। কুকুরের বিবাহবার্ষিকী পালন-হেমন্ত বিশ্ব শর্মা একবার গল্প করছিলেন, কেন তিনি কংগ্রেস ছেড়েছেন। রাহুল গান্ধী একবার তাকে বাড়িতে খেতে ডেকেছিলেন। রাহুল আমাদের সঙ্গে খাননি। সামনে কুকুর বিস্কুট খচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গে আগে জমিদারের বউরা পুতুলের বিয়ে দিত। এখন কেউ কুকুরের ডায়ালিসিস করছে। কেউ বিবাহবার্ষিকী করছে। আপনার আমার টাকায় ভূতের শ্রাদ্ধ হচ্ছে। গরীব মানুষ কিছু পায়না। এরকম লোক, যারা দাপিয়ে বেড়ায়, তারাই ফুর্তি করে। ভুয়ো জব কার্ড ধরতে কমিটি-১৪ লক্ষ ৪২ হাজার ভুয়ো জব কার্ড। হয় মালিক নেই। অথবা যার নামে কার্ড তার হাতে কার্ড নেই। এই লোকের কাজের টাকা উঠছে। কিন্তু খেয়ে ফেলছে কে? কোথায় যাচ্ছে এই টাকা? এটাও তদন্ত করে বের করার দরকার আছে।

জানুয়ারি ১৯, ২০২৪
রাজ্য

এবার সন্দেশখালির ঘটনার যৌথ তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

সন্দেশখালির বেপাত্তা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শাহজাহান শেখের সন্ধানে এবার রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। বুধবার এই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। নির্দেশ অনুযায়ী, এই বিশেষ তদন্তকারী দল প্রয়োজনে আধা সেনা ও রাজ্য পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারবে। তদন্তকারী দলের মাথায় যৌথভাবে থাকবেন সিবিআইয়ের ও রাজ্যের এস পি পদমর্যাদার একজন করে অধিকারিক। এই তদন্তের উপর নজরদারি রাখবে আদালত।রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা কেন্দ্র কোথাও সন্দেশখালি তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। চূড়ান্ত রিপোর্টও হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া জমা দেওয়া যাবে না।রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণণূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছিলেন ইডি গোয়েন্দারা। যা জানতে পেরেই ধুন্ধুমার বেঁধে যায় সেখানে। স্থানীয়রা মারধর চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের লক্ষ্য করে। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়িও। এরপর মোট তিনটি এফআইআর হয় ন্যাজাট থানায়। তার মধ্যে একটি এফআইআর করে ইডি। একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। তৃতীয় এফআইআরটি করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির কেয়ারটেকর। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক প্রথম দুটি এফআইআরের তদন্ত করবে সিট।রাজ্য জানিয়েছে তাদের তরফে বিশেষ তদন্তকারী দলে থাকবেন আইপিএস জসপ্রীত সিং। যদিও সিবিআইয়ের তরফে এখনও কোনও আধিকারিকের নাম ঘোষণা করা হয়নি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ওই দিনই বিশেষ তদন্তকারী দল-কে তদন্তের অগ্রগতির সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।মঙ্গলবার সন্দেশখালি মামলায় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির চারদিকে নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বুধবার রাজ্য হাইকোর্টে জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ১০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। শাহজাহান মার্কেটেও ইন্সস্টল করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এরপরই এজলাসে রাজ্য ও সিবিআই-ইডি বাকযুদ্ধ হয়। সিবিআই বলে ওসামা বিন লাদেনের মতো ভয়েস মেসেজ করছেন শাহজাহান অথচ পুলিশ তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না। ইডি তাতে সহমত পোষণ করে। এরপরই সন্দেশকালি মামলার তদন্তে পুলিশ-সিবিআই সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেগুপ্ত।

জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
দেশ

এবার অভিষেককে নিয়ে মোদীর দরবারে মমতা, নয়া কৌশল তৃণমূলের

বুধবার বাংলার বকেয়া পাওনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রবিবারই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই রাজধানী যাবেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতে মমতার নেতৃত্বে তৃণমূলের যে প্রতিনিধি দল যাবে তাতে থাকছেন অভিষেক।বাংলার বকেয়া নিয়ে সরব তৃণমূল। দাবি আদায়ে পুজোর আগে দিল্লি ও কলকাতায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ধরনা কর্মসূচি হয়েছে। কিন্তু, পুজো মিটতেই সেই আন্দোলন গতি হারায়। বদলে শাসক দলের অন্দরের বিবাদ মাথাচাড়া দেয়। চর্চায় আসে জোড়া-ফুলের অন্দরের এক ব্যক্তি এক পদ ও বয়সসীমা বিতর্ক। স্পষ্টতই তৃণমূলের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে মতপার্থক্য ধরা পড়ে। আর তাতেই তোলপাড় হয় বঙ্গ রাজনীতি। গুঞ্জন চলে ঘাস-ফুলের অন্দরেও।নভেম্বরের শেষে তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনে দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চোখে রক্তক্ষরণের কারণেই তাঁর গড়হাজিরা বলে দাবি করেছিলেন খোদ দলনেত্রী। এরপর কুণাল ঘোষের মন্তব্যে বিতর্কের শুরু। তিনি বলেছিলেন, কারা এটা করেছেন, আমি বলতে পারব না। তবে এটা ঠিক হয়নি। এখন অভিষেকের ছবি ছাড়া তৃণমূলের মঞ্চ অসম্পূর্ণ। এটা হতে পারে না। যা মমতা-অভিষেককে ঘিরে দলের অন্দরে নেতৃত্বের আড়াআড়ি টানাপোড়েনের ইঙ্গিত জোড়াল করেছিল। তারপর কুণাল বলেছিলেন, ব্যাপারটা কখনওই মমতাদি বনাম অভিষেক নয়। ব্যাপারটা মমতাদি এবং অভিষেক। একজনকে ঘিরে আবেগ রয়েছে। আর একজন সময়ের কথা বিবেচনা করে দলের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা দেখছেন। কিন্তু এতে বিতর্কের ইতি ঘটেনি।এরপর মমতা-অভিষেককে একসঙ্গে নজরে পড়েনি। উল্টে খুড়তুতো ভাইয়ের বিয়েতে দার্জিলিং যাওয়ার পথে অভিষেক রাজনীতিতে প্রবীণদের প্রোডাক্টিভিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। রাজনীতিতে তারুণ্যের পক্ষে সওয়াল করেন। তার আগে নেতাজি ইন্ডোরের সভায় অবশ্য আশি ছুঁইছুইঁ সৌগত রায়ের নাম করেই তাঁকে আগামিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরও দলে বয়সসীমা ও এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে নিজের অবস্থান অনড় থাকেন। যা পিসি-ভাইপোর প্রকট মতভেদের প্রকাশ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
রাজ্য

ফের নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হানা, লক্ষ লক্ষ উদ্ধার বিধায়কের বাড়ি থেকে

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে আবারও টাকা পাহাড় মিললো। এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। টাকা গুণতে মেশিন আনেন তদন্তকারীরা। বিপুল পরিমাণ এই টাকার উৎসের খোঁজ শুরু করেছে সিবিআই। তবে বিধায়কের দাবি, একটি জমি বিক্রি করেই এই টাকা পেয়েছেন তিনি। জাফিকুল ইসলামের এই দাবির পিছনে সত্যতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।রাজ্যজুড়ে আজ ফের একবার ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার একাধিক এলাকার পাশাপাশি কোচবিহার ও মুর্শিদাবাদে তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই। রাজ্যে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই দিকে দিকে চলে এই অভিযান। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা।সেই বাড়িতেই তল্লাশিতে মোট ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের দাবি। তবে বিধায়ক নিজে দাবি করেছেন, এই টাকা একটি জমি বিক্রি মাধ্যমে তাঁর কাছে এসেছে। যদিও তৃণমূল বিধায়কের এই দাবির পিছনে আদৌ সত্যতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগা জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারীরা।জানা গিয়েছে, জাফিকুল ইসলামের বেশ কয়েকটি কলেজ রয়েছে। বিএড এবং ডিএড-এর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে তাঁর। এদিন বেশ কিছুক্ষণ তাঁর বাড়িতে তল্লাশির পর ওই বাড়িতে ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ডাকে সিবিআই। আনা হয় টাকা গোনার মেশিন। সূত্রের খবর মোট ২৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল জাফিকুলের।

নভেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজ্য

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে আবারও নড়াচড়া শুরু করেছে সিবিআই। বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলপর প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর ও কলকাতা পুরসভার তৃণমূলের মুখ্যসচেতক বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। এদিন সকালে কলকাতার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় সিবিআই। এদিন একইসঙ্গে তল্লাশি চলে রাজারহাটে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও। এছাড়াও এদিন মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ি ও কোচবিহারেও একাধিক ঠিকানায় হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে সিবিআই অভিযান চলে। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তেই এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে খবর। বৃহস্পতিবার তা্র বাড়িতে পৌঁছনোর পর বেশ কিছুক্ষণ বাইরেই অপেক্ষা করতে হয় সিবিআই আধিকারিকদের। বাড়ির ভিতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় বাধ্য হয়ে প্রায় কুড়ি মিনিট বাড়ির বাইরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে সিবিআই অফিসারদের। প্রায় কুড়ি মিনিট পর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত নিজে এসে দরজা খুলে দেন। তিনিই সিবিআই আধিকারিকদের বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়েছেন।এরই পাশাপাশি আজ সকালে রাজারহাটে বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতেও সিবিআই হানা দেয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে অভিযানে যায় তদন্ত সংস্থা। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এই অভিযান বলে জানা গিয়েছে। দেবরাজ তৃণমূলের দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি। শহর কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকা ছাড়াও এদিন মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার-সহ একাধিক জেলায় ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানে নেমেছে সিবিআই। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা।

নভেম্বর ৩০, ২০২৩
রাজ্য

কালীঘাটের কাকুর গলার স্বর এখনও অধরা, পিজির বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির

কালীঘাটের কাকুর গলার স্বরের নমুনা এখনও জোগাড় করতে পারেনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। হাসপাতালে তাঁর মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমনই যে ইডি এখনই তাঁর গলার স্বরের নমুনা নিতে গেলে সেই চাপ আরও বেড়ে গিয়ে তাঁর অসুস্থতাও নাকি বেড়ে যেতে পারে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন দাবিতে বেজায় প্যাঁচে ইডি। আদালতে এব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ডের নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মাস্টারমাইন্ড কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, এমনই দাবি ইডির। গ্রেফতার হলেও বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একটি গলার স্বরের নমুনা পেয়েছে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ওই গলার স্বরটি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের। যদিও এটি প্রমাণ সাপেক্ষ। সেই কারণেই কালীঘাটের কাকুর গলার স্বরের নমুনা চায় ইডি।একাধিকবার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে ইডির আধিকারিকদের। কালীঘাটের কাকুর গলার স্বরের নমুনা নিতে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এদিকে, এসএসকেএমের পরিবর্তে ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকুর চিকিৎসার জন্য সওয়াল করেছে ইডি। সিবিআই বিশেষ আদালত নির্দেশে জানায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গলার স্বরের নমুনা নেওয়া সম্ভব কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবে ইএসআই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।যদিও এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, বর্তমানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই গলার স্বরের নুমনা সংগ্রহে সায় দেওয়া যাচ্ছে না। মানসিক চাপে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই পরিস্থিতিতে গলার স্বরের নমুনা নেওয়া হলে সেই চাপ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে হাসপাতার কর্তৃপক্ষ। যদিও ইডির পাল্টা দাবি, তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা দিতেই এই পদক্ষেপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

নভেম্বর ২৭, ২০২৩
রাজনীতি

নতুন বছরে সিবিআইয়ের নেমত্তন্ন কে পাবেন? দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে ক্ষিপ্ত তৃণমূল

এবার দিলীপ ঘোষের নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কেও কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব করা উচিত বলে মনে করেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ইডির ডাক পেয়েছেন। আমাদের দিদি কেন ডাক পাবেন না? দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যে বিরাট আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তৃণমূলের।নেতা-মন্ত্রী, বিধায়করা গিয়েছেন। দিল্লিতে দুজন মন্ত্রী গিয়েছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীও ডাক পেয়েছেন। আমাদের দিদি কেন ডাক পাবেন না। তাঁর এত গুণধর ভাই-বোন, বাড়ির লোক সবাই যদি ডাক পানআসল জায়গাটা তো ওটাই। উনি কেন ডাক পাবেন না? এখন ডেকে সিবিআই চা খাওয়াক। কেমন চা দেখে আসুক।তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় নতুন বছরে সেই সুযোগ আসবে। সিবিআইয়ের নেমত্তন্ন পাবেন দিদি। কেউ যেন বাইরে না থাকে। পার্থ-বালু বলছেন সব দিদি জানেন। ভাইরা দিদিকে ভালো করে জানেন। নতুন বছরের আগে আরও কিছু লোককে জেলের ভাত খেতে হবে।এদিকে, দিলীপ ঘোষের এহেন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ তৃণমূল। দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেন, বিজেপির বিভিন্ন নেতারা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কী করবে তার আগাম পূর্বাভাস দিচ্ছেন। শুভেন্দু অধিকারী আগেই বলে দিচ্ছেন কার বাড়িতে কখন ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স যাবে। অনেক ক্ষেত্রে সেই পূর্বাভাস মিলেও যাচ্ছে। দিলীপবাবু বলছেন ইডির চিঠি পাবেন দিদি। এতে প্রমাণিত হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, সিবিআইকে দলীয় সংগঠনে পরিণত করেছে বিজেপি।

নভেম্বর ২৬, ২০২৩
রাজ্য

এবার আর ৯-১০ ঘন্টা নয়, মাত্র এক ঘন্টার মধ্যেই ইডি দফতর ছাড়লেন অভিষেক

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সূত্রেই এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে হাজিরা দেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক দাবি করেন, কিছু নথি চেয়েছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি, সেটা পাঠিয়ে দিলেও হত, কিন্তু সশীরের আসার কথা বলা হয়েছিল তাই এসেছি। তদন্তে সহযোগিতা করছি। আবার ডাকলে আসব। বিস্তারিত মিডিয়ায় আর কিছু বলছি না। অভিষেক জানান, এদিন প্রায় ৬ হাজার পাতার নথি ইডি আধিকারিকদের কাছে জমা করেছেন তিনি। তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে আমাগী দিনেও সহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই নথি দেখে যদি মনে করেন তদন্তকারীর আবার ডাকবেন, জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে আবার আসব। শুধু নথি পাঠিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি। তদন্ত এড়াতে কোনওদিন কোনও অজুহাত খুঁজিনি।গত কয়েকমাসে কেন্দ্রীয় একাধিক সংস্থার বারবার তলবের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এর আগেও তৃণমূলের শীর্ষ নেতাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করা হয়েছিল। একটানা ৯-১০ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তৃণমূল নেতাকে। যদিও বারাবর তাঁকে এই তলব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই তোপ দেগেছেন অভিষেক ও তাঁর দলের নেতারা। ইডি-সিবিআইকে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদের চাপে রাখতে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।রাজনৈতিকভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পেরে না উঠে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি, এমনই অভিযোগ রাজ্যের শাসকলের। এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তাঁকে ফের একবার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে এই নোটিস পাঠানো হয়েছিল। এই মামলায় এর আগে ইডি এবং সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেলিন তৃণমূল নেতা। আজ ফের একবার ওই একই মামলায় হাজিরা তৃণমূলের সেকন্ড ইন কম্যান্ডের।

নভেম্বর ০৯, ২০২৩
রাজ্য

রেশন দুর্নীতিতে গারদে জ্যোতিপ্রিয়, এবার আশঙ্কা প্রকাশ রাজ্যের মন্ত্রীর

রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক। সঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরই মধ্যে বড় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বোস৷ এদিন এক সভায় সুজিত বোস বলেন, যখন আমরা লড়াই সংগ্রাম করছি তখন আমাদের নেতৃত্বদের নানাভাবে হেনস্তা করছে। কাউকে জেলে ধরে নিয়ে যাচ্ছে কাউকে ইন্টারোগেশন করা হচ্ছে। ছমাস বাদে যখন দেশে সাধারণ নির্বাচন তার আগে সমস্ত বিরোধী নেতাদের জেলবন্দি রাখবার জন্য চেষ্টা করছে। আজকে ওরা আমাদের বিভিন্ন নেতাদের গ্রেফতার করছে। আমি বলছি কোন নেতা যদি দোষ করে তাহলে নিশ্চয়ই তাদেরকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু অনেকে দোষী না থাকা সত্ত্বেও তাঁদেরকে নানাভাবে অ্যারেস্ট শুধু করছে না তাদেরকে অসুস্থ করে দিচ্ছে এমন এমন জেরা করছে।সুজিতের অভিযোগ, আমার আপ্ত সহায়ক নিতাই দত্ত আছে সবাই জানে। নিতাই কাউন্সিলর হয়েছে পরে ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছে। তার বাড়িতে ইডিকে পাঠিয়ে দেওয়া হল ১২ ঘন্টা জেরা তাকে করা হলো। তাঁর বাড়ি থেকে কিছু পেল না কিন্তু বলতে হবে একটাই নাম। সুজিত বোসের নামটা তোমরা বলে দাও সুজিত বোসের নামটা তুমি লিখে দাও তোমাকে ছেড়ে দেবো। এটা কোন ধরনের অত্যাচার। সুজিত বোসের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ৪২ বছর। সুজিত বোসের এত খারাপ অবস্থা হয়নি যে সুজিত বোস টাকার বিনিময়ের লোককে চাকরি দিয়েছে। জীবনে এই কাজ আমি কোনদিন করিনি। যতই ওকে মেরে ফেলুন কেটে ফেলুন যতই ওকে জেলে আটকান কোনদিনও ও বলবেনা সুজিত বোস এই কাজ ওকে করতে বলেছে, সুজিত বোস কোন কাউকে বলেছে।রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পর কার দিকে নজর কেন্দ্রীয় এজেন্সির? সুজিত বোসের নিউটনের তৃতীয় সূত্রের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন।

অক্টোবর ২৮, ২০২৩
রাজ্য

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের কড়া নির্দেশ, নিজাম প্যালেস ছুটলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি

নির্দেশ ছিল। শেষমেশ সেই নির্দেশ কার্যকরী করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে পৌঁছেও গিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গৌতম পালকে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ না মানলে গ্রেফতারির হুঁশিয়ারিও ছিল। শেষমেশ নির্ধারিত সময়েই চতুর্থীর ভিড় ঠেলে নিজাম প্যালেসে পৌঁছান পর্ষদ সভাপতি।শুধু গৌতমবাবু নয়, পাশাপাশি পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জেরা করতে পারেন বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়।বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলে। ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় এদিন সিবিআইকে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। জানা গিয়েছে, সেই রিপোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উল্লেখ রয়েছে, এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানি এমনভাবে ওএমআর শিট তৈরি করেছিল যাতে প্রার্থীর নাম, রোল নম্বর কোনও কিছু স্পষ্ট বোঝা না যায়। এমনকী পর্ষদের কাছে ওএমআর শিট সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হলেও তাঁরা নতুন প্রিন্ট করা কপিকেই ডিজিটাইজ ডাটা হিসাবে দাবি করছেন।এরপরই বিচারপতি জানান, সিবিআইয়ের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ওএমআর শিট দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন। এই দুর্নীতি সামনে আসার পরও বর্তমান বোর্ড সদস্যরা কীভাবে এস বসু রায় এণ্ড কোম্পানিকেই ওএমআর শিট তৈরির দায়িত্ব দিলেন? এ জন্যই পর্ষদ সভাপতিকে জিজ্ঞসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে। তারপরই পর্ষদের বর্তমান সভাপতি গৌতম পাল ও সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন বিচারপতি। ফলে গৌতম পালকে বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে। নির্দেশে বলা হয়েছে, সিবিআই চাইলে সেক্রেটারিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। তারপর বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। যদি বোর্ড সদস্যেদের কেউ সহযোগিতা না করেন তাহলে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই।

অক্টোবর ১৮, ২০২৩
কলকাতা

সিবিআইয়ের দিনভর তল্লাশি চেতলার বাড়িতে, ক্ষোভ উগরে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

এর আগে নারদাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রবিবার পুরনিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই ১০ ঘণ্টা তল্লাশি চালালো ফিরহাদের চেতলার বাড়িতে। সেই বাড়ি থেকে সিবিআই আধিকারিকরা চলে যেতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র। তিনি বলেন, এভাবে আমার সম্মানহানি করা হচ্ছে। আজ আমার ভাইয়ের শ্রাদ্ধ ছিল। সেখানে আমাকে যেতে দেওয়া হল না। কেন এভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হেনস্তা করা হবে? রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে আচমকা হানা দেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। সেই অভিযান ১০ ঘণ্টা পর শেষ হয় সন্ধে সাড়ে ৬টায়। তদন্তকারীরা বাড়ি ছাড়তেই ফিরহাদ মেয়ে প্রিয়দর্শিনী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাঁদের ওপর, মানসিক নির্যাতন চলছে।মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্ত্রী রুবি ও কন্যা প্রিয়দর্শিনীকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, দীর্ঘ বছর ধরে চেতলার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে আসছেন। তাঁরা আমাকে কাউন্সিলর বানিয়েছেন। বিধায়ক বানিয়েছেন। আজ অবধি কেউ বলতে পারেনি যে আমি দুর্নীতি করেছি। তার পরও কেন আমাকে এই ভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে? বিজেপিকে বলব, আমাকে জেলে রাখুন। কিন্তু, আমাকে এই ভাবে সম্মানহানি করবেন না। একটা অসভ্য, বর্বর দল। এদের কাছে মাথানত করব না।তাঁর বিরুদ্ধে নারদা মামলা প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ওই একটা মামলাতেই আমি অভিযুক্ত। জেলেও গেছি। কিন্তু, জেলে না-গিয়ে অসুস্থ বলে হাসপাতালে শুয়ে থাকিনি। কিন্তু, ওই একই মামলায় তো শুভেন্দু অধিকারীও অভিযুক্ত। কোথায়, ওকে তো ডাকাই হল না? আমি ২৫ বছর ধরে কাউন্সিলর। কখনও দুর্নীতির সঙ্গে হাত মেলাইনি। বামফ্রন্ট আমলেও মার খেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। কিন্তু, এভাবে আমাকে কখনও হেনস্তা করা হয়নি। এদিন সিবিআই তল্লাশি চালায় প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রের বাড়িতেও।

অক্টোবর ০৮, ২০২৩
রাজ্য

লোকসভা নির্বাচনের আগে তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, জেরা-তলব অব্যাহত

প্রায় ছয় ঘন্টা জিজ্ঞাসাবেদ শেষে ইডি দফতর ছাড়লেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদ মাধ্যমে এই অভিনেত্রী-সাংসদ বলেন আমি সব উত্তর দিয়ে দিয়েছি। এদিকে আগামী কাল সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিন আগেই অভিষেককে তলব করা হয়েছিল। অন্য দিকে দীর্ঘ দিন পরে নারদ কয়ণ্ডে তলব করা হয়েছে ম্যাথু স্যামুয়েলকে।ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় এদিন তলব করা হয়েছিল বসিরহাটের সাংসদ নুসরতকে। কিন্তু প্রথম ডাকেই সিজিও কংপ্লেক্সের ইডি দফতরে পৌঁছে যান ১০টা ৪৩ মিনিটে। এরপর তাঁর পার্সোনাল ডিটেল ফর্মপূরণ প্রক্রিয়া চলে। খতিয়ে দেখা হয় অভিনেত্রীর আনা নথি। এরপর থেকেই ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দল। ইডি সূত্রে খবর, দুটি পর্বে নুসরতকে জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে।রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর থাকাকালীন কেন প্রতারণা? ডিরেক্টর হিসাবে তাঁর কী ভূমিকা ছিল? কত টাকা ও কেন ঋণ নিয়েছিলেন? ফেরৎ কীভাবে, কতদিনে দিয়েছিলেন, তার কোনও নথি রয়েছে কিনা? নুসরতকে জিজ্ঞাসাবাদে এইসবই জানতে চান ইডির আধিকারিকরা।সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন মুসরত জাহান। সেই সংস্থা সস্তায় ফ্ল্যাট বিক্রির নামে বহু মানুষের থেকে অর্থ নিয়ে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ যে, ওই প্রতারণার টাকাতেই দক্ষিণ কলকাতায় একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছিলেন নুসরত।২০১১ সালে সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের পথ চলা শুরু হয়েছিল। ২০১৪ সাল নাগাদ সেই কোম্পানি অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন বাংলা অভিনেত্রী নুসরত। ওই সংস্থায় নুসরতের পাশাপাশি অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন রাকেশ সিং নামে এক ব্যবসায়ী ও মডেল-অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্র। নুসরতের পাশাপাশি এদিন রাকেশ সিংকেও তলব করা হয়েছে। বুধবার তলব করা হয়েছে রূপলেখাতে, তবে তিনি ইডিকে চিঠি দিয়ে না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। দাবি করেছেন, নথি জোগাড়ে সময় লাগবে তাঁর।

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal