• ১৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার ০১ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ban

দেশ

বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে বাংলা থেকে ধৃত দুই, মুখ খুললেন মমতা

বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে দুই অভিযুক্তকে নিউ দিঘার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে এনআইএ গ্রেফতার করেছে। বাংলা থেকে জঙ্গি সন্দেহে দুজন গ্রেফতার হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করে ময়দানে বিরোধীরা। শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করে সোচ্চার শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, বিকাশ ভট্টাচার্যেরা। এবার এই ইস্যুতেই মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে দুই সন্দেহভাজনকে কাঁথি থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গেই এদিন যৌথ অপারেশন ছিল রাজ্য পুলিশও। এবিষয়ে শুক্রবার দিনহাটার নির্বাচনী সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেঙ্গালুরুতে একটা বোমা ফেটেছিল। তারা কর্নাটকের বাসিন্দা। বাংলায় লুকিয়েছিল। ২ ঘণ্টার মধ্যে ধরে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। আবার বলছে বাংলা সেফ নয়। দিল্লি-উত্তর প্রদেশ সেফ? রাজস্থান, গুজরাত সেফ? বাংলার মানুষ শান্তিতে থাকুক বিজেপি এটা চায় না।উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ কাণ্ডে দুই সন্দেহভাজনকে কাঁথি থেকে গ্রেফতার করেছে NIA। বিভিন্ন সূত্র মারফত গত কয়েকদিন ধরে খবর পৌঁছেছিল তদন্তকারীদের কাছে। শেষমেশ অতর্কিতে অভিযান চালিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকতনগরী থেকে দুই সন্দেহভাজনকে NIA গ্রেফতার করেছে।দুজনকে ধরে দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল NIA-এর তরফে। এদিনের এই অভিযানে NIA-এর সঙ্গেই ছিল রাজ্য পুলিশও। যৌথভাবে এই অপারেশন চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে।

এপ্রিল ১২, ২০২৪
দেশ

বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের ঘটনায় কাঁথি থেকে দুজনকে গ্রেফতার এনআইএ-র

বেঙ্গালুরু রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পেল এনআইএ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল এনআইএ। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আব্দুল মতিন এবং মুসাভির হোসেনকে। গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর একটি ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কর্ণাটকের ১৮ টি স্থানে তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। এই ঘটনার সঙ্গে বড় কোনও জঙ্গি দলের সম্পর্ক রয়েছে বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।মূল অভিযুক্ত মুজ়াম্মিল শরিফকে ঘটনার ২৭ দিন পর পুলিশ গ্রেফতার করলেও, আরও দুই অভিযুক্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।

এপ্রিল ১২, ২০২৪
রাজ্য

রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে হাজির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন

ইদের মঞ্চে ভোটের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকেই ভোট দেওয়ার বার্তা দলনেত্রীর। বৃহস্পতিার কলকাতার রেড রোডে ইদের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদায়ী সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই এদিন তৃণমূলনেত্রী ফের একবার তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকে।বৃহস্পতিবার ইদের সকালে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে রেড রোডের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে ফের একবার সিএএ, এনআরসি ইস্যুতে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই ইস্যুতে তৃণমূলনেত্রী বলেন, CAA, NRC চাই না। আমরা কোনও ভেদাভেদ চাই না। সবাই মিলে একসঙ্গে থাকতে চাই। সবাইকে এককাট্টা হতে হবে। একাধিক এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের আগে ভয়ের আবহ তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনই অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায় ,ভোটের আবহে ভয় দেখাতে চাইছে কেউ কেউ। ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতর দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। সবাইকে জেলে ঢোকাতে চাইছে। ভোটের সময় বেছে বেছে মুসলিম লিডারদের ফোন করে বলছে কি চাই? আমাদের সঙ্গে বিজেপির লড়াই এখানে। তৃণমূল ছাড়া একটা ভোটও অন্য কোনও দলকে দেবেন না।এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৪০০-র বেশি আসন পার করে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। বিজেপির সেই লক্ষ্যকে কটাক্ষ করে এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো একুশের বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে এদিন বলেন, বলেছিল এবার দুশো পার। সত্তরেই শেষ। এখন বলছে চারশো পার। আগে দুশো পার করে দেখাও।

এপ্রিল ১১, ২০২৪
রাজনীতি

সুকান্ত, শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ মমতার, পাল্টা দিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি

শনিবার লোকসভা ভোটের প্রচারে বালুরঘাটের তপনে জনসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রের অর্থ আটকে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী করেন সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে। মমতা বলেন, ওরা বাংলার গদ্দার, বাংলার কুলাঙ্গার। পাল্টা জবাব দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি।এ দিন জলপাইগুড়িতে ঝড়বিধ্বস্ত এলাকা প্রদর্শনে তাঁর যাওয়া ও বিরোধী বিজেপি নেতাদের না যাওয়া নিয়ে মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে বাংলার টাকা কেন্দ্রীয় সরকারের আটকে রাখার প্রসঙ্গটি আসে। মমতা বলেন, আপনাদের এখানে ওই কুসান্তবাবু আছেন, আর ও দিকে আছে গদ্দার। এরা মনে করে, যা বলবে তা-ই করতে হবে। গায়ের জোরে চালাবে।এরপরই সুকান্ত মজুমদারের নাম ধরে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন মমতা। বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি সুকান্তবাবুকে। ভোট দেওয়ার আগে বলেননি আপনি আর গদ্দার? বাংলাকে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া যাবে না? বাংলার বাড়ি দেওয়া যাবে না? রাস্তা দেওয়া যাবে না? কোনও দিন সারি-সারনা ধর্ম নিয়ে কথা বলেছেন দিল্লিতে গিয়ে? তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, আপনারা বাংলার টাকা বন্ধ করেছেন, আপনারা বাংলার গদ্দার। আপনারা বাংলার কুলাঙ্গার। আপনারা বাংলার ভাল চান না। আপনারা উত্তরবঙ্গের ভাল চান না। আপনারা দক্ষিণবঙ্গেরও ভাল চান না।পরে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের জবাব দেন সুকান্ত। বলেন, ইয়ে ডর হামে আচ্ছা লগা। বালুরঘাট কেন, উত্তরবঙ্গেও গত বারে যেমন শূন্য হাতে তৃণমূল ফিরেছিল, এ বারও শূন্য হাতে ফিরবে। কংগ্রেসও তাই। উনি ১০০ দিনের টাকার কথা বলছেন, আমি এখনও বলছি, উনি হিসাব দিন, সব টাকা কেন্দ্র দেবে। হিসাব না দিলে একটি টাকাও পাবে না। কারণ, নরেন্দ্র মোদীর শপথ, উনি চুরি করবেন না। কাউকে করতেও দেবেন না। উনি আমাকে কুসান্ত বলুন বা যতই খারাপ কথা বলুন। আমি কোনও খারাপ কথা বলব না। তার জবাবও দেব না। আমার পারিবারিক শিক্ষা তেমন নয়।সাম্প্রতিক ঝড়ে বাড়ি ভেঙে পড়া নিয়ে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সুকান্ত। বলেন, উনি বরং বলুন, এত বাড়ি ভেঙে পড়ল কেন? কেন এই মানুষজনকে উনি বাড়ি বানানোর টাকা পেতে দেননি।

এপ্রিল ০৬, ২০২৪
রাজনীতি

প্রাক্তন বিচারপতিকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছেন মমতা

আরও একবার প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানায় প্রাক্তন বিচারপতি তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফের একবার অভিজিৎবাবুর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, জনগণের আদালতে বিচার হবে প্রাক্তন বিচারপতির।এর আগে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ সম্পর্কে তৃণমূল নেত্রী মমতা বলেছিলেন, মুখ থেকে মুখোশ খুলে গিয়েছে। যেখানে দাঁড়াবেন সেখানেই হারবেন।শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে প্রচার সারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানেই তিনি আক্রমণ করেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থীকে। বলেন, দেখলেন একজন বিচারপতি কী করলেন। আপনি অনেকের চাকরি খেয়েছেন। এ বার জনগণের আদালতে আপনার বিচার হবে। আমরা ওখানে (তমলুক) ছাত্রনেতা দেবাংশুকে পাঠিয়েছি। গোহারা হারবেন।তমলুক অধিকারীদের গড় বলেই পরিচিত। এখান থেকেই জোড়-ফুল প্রতীকে জিতে দিল্লি গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে নন্দীগ্রাম থেকে তাঁকে জিতিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর পর তমলুকের সাংসদ ছিলেন তাঁর ছোট ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেডে় তিনিও এখন বিজেপিতে। তবে, তমলুক থেকে প্রাক্তন বিচারপতিকে এবার প্রার্থী করেছে পদ্ম শিবির। যাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের ছাত্রনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।অভিজিৎবাবুর বিরুদ্ধে কেন এত রাগ মমতার? হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে শ্রীঘরে পাঠানোর নেপথ্যেও রয়েছে তাঁর নির্দেশ। শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁচাছোলা পর্যবেক্ষণ করেছেন অভিজিৎবাবু। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় শুরু থেকেই রাজনীতিক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মমতা দাবি কেরছিলেন যে, কথায় কথায় পিল গিলে বিজেপি যেমন নির্দেশ দিয়েছে, তেমনই উনি (অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) রায় দিয়েছেন।

এপ্রিল ০৫, ২০২৪
রাজ্য

মালদায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রণকৌশল নিয়ে বৈঠক অভিষেকের, বিশেষ নির্দেশ নেতা-কর্মীদের

গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদা ও মুর্শিদাবাদের জনগণ দুহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই খুব ভালো ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও আমরা আশাবাদী বিরোধীদের পরাস্ত করে মালদায় ভালো ফল করবে তৃণমূল। শুক্রবার বিকালে দলের ১২১ জন কর্মকর্তাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করার পরে জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বেসরকারি হোটেলে তৃণমূলের মালদা দুটি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন কমিটির ৪২ জন সদস্য, দলীয় বিধায়ক, অঞ্চল কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে মোট ১২১ জন কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই গোপন বৈঠক করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এদিন দুপুর দুটো থেকে প্রায় বিকেল চারটা পর্যন্ত দুঘণ্টা ধরে রুদ্রদ্বার এই বৈঠক চলে। এই বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা মালদার দুই বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ও তাজমুল হোসেন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী, দলের চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক সমর মুখার্জী , মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস।এদিন দলীয় বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদায় খুব ভালো ফল হয়েছে। মালদার দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্র সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুটি বিধানসভা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদের মধ্যে পড়ে। সেটি হলো সামশেরগঞ্জ এবং ফারাক্কা। সেখানেও গত বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল হয়েছিল তৃণমূলের। এদিনের এই পর্যালোচনা বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বের নানান কথা শোনা হয়েছে। আগামীতে নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করতে কি ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সেনিয়ে এদিন এই বৈঠকের মাধ্যমে মতামত বিনিময় করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সামনে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদা এবং মুর্শিদাবাদে আমরা ভালো ফল করেছিলাম। জনগণ দুইহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিল। এবারও আমরা আশাবাদী মালদা এবং মুর্শিদাবাদে ভালো ফল করবে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনে মালদার দুটি কেন্দ্রের মধ্যে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জিতেছিল এবং দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল। কিন্তু এবার সর্বত্র মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের জোয়ার বইছে গোটা রাজ্য জুড়ে। ফলে এবারে আর বিরোধীদের কোন জায়গা থাকবে না।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচনী রণকৌশল ঠিক করতে এদিন পর্যালোচনার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দলের বুথ স্তরের কর্মীরা প্রচার চালাবেন। যারা গত লোকসভা নির্বাচনে বিমুখ হয়েছিল, তাদের কাছে বুথ স্তরের কর্মীরা যাবেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নের প্রচার তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি কেন গত লোকসভা নির্বাচনে এই ধরনের ফলাফল হয়েছিল? সেটিও প্রান্তিক স্তরে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে হবে।

এপ্রিল ০৫, ২০২৪
রাজনীতি

মাথাভাঙার জনসভায় ডবল ইঞ্জিন মমতার মুখে! তীব্র আক্রমণ বিজেপির আইপিএস প্রার্থীকে

কোচবিহারে নির্বাচনী জনসভায় বিজেপিকে অলআউট আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এর মধ্যেই তৃণমূলনেত্রীর মুখে শোনা গেল বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন প্রসঙ্গও। যদিও তড়িঘড়ি মন্তব্যের ব্যাখ্যাও দিতে শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।কোচবিহার বিমানবন্দরে আমরা ৩০০ কোটি টাকা খরচ করেছি। আর বাবু একটি বিমান নিয়ে নেমে গেলেন। বাহ-বাহ। আমরা বলেছিলাম, ডাবল ইঞ্জিন দাও। সিঙ্গল ইঞ্জিন দিও না। কারণ, ওতে মানুষের জীবন রক্ষা পায় না। এখন সিঙ্গল ইঞ্জিন চলে না। ডাবল ইঞ্জিন চলে।বিতর্ক বাড়তে পারে বুঝেই তড়িঘড়ি উপরোক্ত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এরপর তৃণমূলনেত্রী বলেন, ওটা বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন নয়। মিথ্যা কথার ডাবল ইঞ্জিন নয়। ওটা প্লেনের ডাবল ইঞ্জিনের কথা বলছি আমি।কোচবিহারের মাথাভাঙার গুমানি হাটে এদিন দলের প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়ার সমর্থনে সভা করেন তৃণমূলনেত্রী। কোচবিহারে এবারেও বিজেপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। এদিন নিশীথ প্রামাণিককেও বেনজির আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু রয়েছে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।এরই পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নিশানা করেছেন কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপার তথা এবারের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকে। শীতলকুচিতে এর আগেরবার নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন বর্তমানে বীরভূমের প্রার্থী।সেই দেবাশিস ধরকে আক্রমণ শানিয়ে এদিন তৃণমূলনেত্রী বলেন, শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো ৪ জনকে গুলি করে মেরেছিল। ভোট চলাকালীন এসেছিলাম, পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। কোচবিহারের তৎকলাীন এসপিকেই বিজেপি বীরভূমে প্রার্থী করেছে। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে হাতের রক্ত মোছেনি। এখন বীরভূমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

এপ্রিল ০৪, ২০২৪
রাজনীতি

নির্বাচনী সভায় কৃষ্ণনগরের রাজ পরিবারকে তুলোধেনা, কি বললেন মমতা?

কৃষ্ণনগরে জনসভা দিয়েই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন ২০২৩ এর প্রচার পুরোদমে শুরু করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কৃষ্ণনগরের ধুবুলিয়ার মাঠে প্রকাশ্য জনসভায় দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে জেতানোর আবেদনের পাশাপাশি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ইতিহাস নিয়েও ফের ভয়ঙ্কর তথ্য সামনে এনেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও একহাত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।এবারের লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে রাজমাতা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করেছে। সদ্য গেরুয়া দলে যোগ দেওয়া কৃষ্ণনগরের রাজমাতা অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে, রবিবার কৃষ্ণনগরে প্রচারে এসে সেই রাজমাতা অমৃতা রায় ও তাঁর রাজ পরিবারের ইতিহাস নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মমতার বক্তব্য, কীসের রাজমাতা? এখন আমরা সবাই প্রজা। প্রজার ভূমিকাই পালন করুন। আর রাজা হলে তো রাজ প্রাসাদে থাকবেন। মিথ্যার আশ্রয় নেবেন না। মহুয়ার বিরুদ্ধে যাকে দাঁড় করিয়েছে তাঁর পরিবারের ইতিহাস ভুলে গেছেন? ইংরেজদের সাহায্য করে ভারতের স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে চেয়েছিলেন ওরা। মোদীবাবু ইতিহাস জানেন না।এরই পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রকে ফের একবার কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে জেতানোর আবেদন জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, মহুয়াকে জেতাতে হবে। ওকে তাড়িয়ে দিয়েছে আপনাদের সমর্থনের পরেও। মহুয়াকে জেতাতেই হবে। ও যাতে বিজেপির মুখোশটা টেনে খুলে দিতে পারে।

মার্চ ৩১, ২০২৪
রাজ্য

দলীয় কর্মী ও নেতাদের কড়া হুঁশিয়ারি অভিষেকের, 'ফল ভালো না হলে সরতে হবে'

নিজের দুর্গ অটুট রাখতে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলের যুবরাজ। ডায়মন্ড হারবারে এবারও তৃণমূলের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী কোনও শিবির-ই এই কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি। এই অ্যাডভানটেজ-কেই কাজে লাগিয়ে ভোটপর্বের শুরুতেই কয়েক কদম এগিয়ে যেতে মরিয়া তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বুধবার দলীয় নেতা, স্থানীয় বিভিন্নস্তরের তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার ভোট প্রস্তুতি বৈঠক সারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শুরুতেই সকলকে সেনাপতি মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, ডায়মন্ড হারবারে এবার তাঁর জয়ের ব্যবধান অন্তত চার লাখ হওয়া চাই। অর্থাৎ টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন তিনি। এর আগে বসিরহাটের জনসভায় তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন এবার ৪ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতবেন।দলীয় বৈঠকে অভিষেক মনে করিয়ে দিয়েছেন, জনগণই তৃণমূলের শক্তি। তাই বার বার মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের চাহিদা কী, তা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পরিষ্কারভাবে জানতে হবে। আগামী দুমাস আরও নিবিড়ভাবে মানুষের কাছে যেতে হবে। রাজ্য সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিষয়ও মানুষকে জানাতে হবে বেশি করে।৪,৬,৯ ও ১৬- ডায়মন্ড হারবার পুরসভার এই চার ওয়ার্ডে গত নির্বাচনে তৃণমূলের ফল ভাল হয়নি। কেন খারাপ হয়েছিল? সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নেতাদের কাছে জানতে চান বিদায়ী সাংসদ। তাঁর নির্দেশ, এই সব ওয়ার্ডগুলিতে নেতা-কর্মীদের আরও বেশি করে মানুষের কাছে যেতে হবে, কথা শুনতে হবে। এসব বুথ ও ওয়ার্ডে কেন তৃণমূলের থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়েছিলেন তা জানতে হবে। সূত্রের খবর অভিষেক বলেছেন, মানুষ যদি না চায় আমাদের, তবে সরে যেতেই হবে।বৈঠকে এরপরই কড়া ভাষায় অভিষেকের হুঁশিয়ারি, কোনও ওয়ার্ডে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল লিড না পেলে তার দায়িত্ব নিতে হবে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং প্রেসিডেন্টদের। তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী, তাঁদেরকে সংশ্লিষ্ট পদ থেকে সরেও যেতে হবে।ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা বলেন, উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। তাই মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচার করতে হবে। তাঁদের কোনও অভাব, অভিযোগ থাকলে শুনতে হবে জনপ্রতিনিধি ও তৃণমূল নেতাদের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বার্তাই বাতলেছেন ভোট প্রস্তুতি বৈঠকে।ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল। জয়ের লক্ষ্যমাত্রার টার্গেট বেঁধে ও পার্টি নেতা, জনপ্রতিনিধিদের বেনজির হুঁশিয়ারি দিয়ে যেন সেই মডেলকেই আরেকবার চর্চায় ফেরালেন খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-ই।

মার্চ ২৭, ২০২৪
রাজ্য

দিল্লি থেকে ট্রেনে হাওড়া এসে বাংলাদেশ, দেশে ফিরতেই লক্ষ লক্ষ টাকার নকল নোটসহ গ্রেফতার

বর্ডার পোস্ট রামনগর, দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্তের ০৮ ব্যাটালিয়নের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা, আন্তর্জাতিক সীমান্তে জাল ভারতীয় মুদ্রা পাচারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়। ৫০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় মুদ্রার ৩১০০ পিস আটক করেছে। একজন ভারতীয় ব্যবসায়ীর সাথে এই জাল ভারতীয় মুদ্রা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করার সময় কারেন্সি নোটগুলোকে হাতেনাতে আটক করা হয়। বিএসএফ-এর গোয়েন্দা বিভাগের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, বর্ডার পোস্ট রামনগরের বিএসএফ জওয়ানরা ১৫,৫০,০০০/- (মূল্য ৫০০৩১০০ পিস) মূল্যের ভারতীয় জাল নোট উদ্ধার করে। যার মধ্যে নোট নম্বর 8FK-986918, নোট নম্বর 8FK-এর ৭৭৯ টি নোট রয়েছে। - 986916-এর ৭৮০ টি নোট, 8FK-986913-এর ৭৭৩ টি এবং 8FK-986933-এর ৭৬৮ টি নোট রয়েছে।বিএসএফ-এর মুখপাত্রের মতে, ০৮ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি রামনগরের সতর্ক বিএসএফ জওয়ানরা নিজেদের গোয়েন্দা বিভাগ থেকে জাল ভারতীয় মুদ্রার সম্ভাব্য পাচার সম্পর্কে খবর পান। খবর পেয়ে সৈন্যরা একটি বিশেষ অভিযান শুরু করে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং রামনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে একটি মোবাইল চেকপোস্ট স্থাপন করে। গোয়েন্দা অধিদপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে একটি সন্দেহজনক অটোকে থামিয়ে তাতে বসা সমস্ত ব্যক্তিকে যথাযথভাবে চেক করা হয়, চেকিংয়ের সময় তাদের কাছে কিছু সন্দেহজনক প্যাকেট পাওয়া যায় যার কারণে অটোটি এবং এতে বসা সকল ব্যক্তিকেও আটক করা হয়। সীমান্ত চৌকি রামনগরে আটক করা হয়। এটি তল্লাশির জন্য আনা হয় এবং মালপত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশির সময় মোহাম্মদ আলীর ব্যাগে সন্দেহজনক প্যাকেট পাওয়া যায়, যা খুললে বিপুল পরিমাণ জাল ৫০০ টাকার নোট উদ্ধার করা হয়। গণনার ভিত্তিতে তাদের সংখ্যা ৩১০০ পাওয়া গেছে। এরপর জাল ভারতীয় মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করে পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত পাচারকারী মোহাম্মদ আলী, পিতা- শেখ সামশুল হক, ঠিকানা- হযরত নিজামুদ্দিন, নয়াদিল্লি।জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ আলী জানায়, বাংলাদেশে কিছু অবৈধ কাজ করার জন্য বদরপুর (নয়া দিল্লি) থেকে অজ্ঞাত কয়েকজন তার সাথে যোগাযোগ করেছিল। যার জন্য সে রাজি হয়েছিল। তিনি ১৩.০৩.২০২৪ তারিখে ট্রেনে করে হাওড়া পৌঁছান এবং বনগাঁ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের যশোরে পৌঁছান। সেখানে তিনি শান্তি নামে এক বাংলাদেশী পাচারকারীর সাথে দেখা করেন যিনি তাকে ১৫,৫০,০০০/- টাকার জাল মুদ্রা দেন এবং ভারতে পৌঁছানোর পর আব্বাস নামে একজন ব্যক্তির কাছে চালানটি হস্তান্তর করতে বলেন।২০২৪ সালের ২১-২২ মার্চ মধ্যরাতে তিনি একটি অজানা এলাকা থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে উমরপুর, পিএস-হাঁসখালীতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির বাড়িতে থাকেন এবং সকালে চালানটি নিয়ে যাওয়ার সময় বিএসএফ তাকে নকল ভারতীয়সহ ধরে ফেলে। মুদ্রা ছাড়া একই অটো থেকে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন দালাল ও অটো চালককেও আটক করা হয়েছে।এ কে আর্য, বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক, এই সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এটি তার সৈন্যদের এবং দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা বিভাগের সতর্কতার একটি ইঙ্গিত মাত্র। তিনি জনগণকে কোনও অবস্থাতেই চোরাচালানের পথ অবলম্বন না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, তার সৈন্যরা কোনও অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনও ধরনের অপরাধ সংঘটিত হতে দেবে না এবং এর সঙ্গে জড়িতদের রেহাই দেবে না।

মার্চ ২৩, ২০২৪
দেশ

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের গ্রেফতারে ক্ষিপ্ত মমতা, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবে ইন্ডিয়া জোট

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোচ্চার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের টার্গেট করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তুলোধনা করে এক্স হ্যান্ডলে সোচ্চার হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানাই। আমার অটল সমর্থন ও সংহতি জানাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে শ্রীমতি সুনিতা কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছি। এটা আপত্তিজনক যে নির্বাচিত বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে এবং গ্রেফতার করা হচ্ছে। বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরে CBI-ED তদন্তের অধীনে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অসদাচরণ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের ওপর নির্মম আঘাত। আমাদের INDIA জোট নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করবে।উল্লেখ্য, প্রায় ৬০০ কোএি টাকার আবগারি দুর্নীর মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গ্রেফতারের আগে ৯ বার তাঁকে সমন পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে ৯ বারই সমন এড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।শেষমেশ দিল্লি হাইকোর্টে আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেন কেজরি। যদিও উচ্চ আদালত তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেয়। এরপরেই গতকাল সন্ধ্যেয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে ইডি। আাদালত এদিন তাঁকে ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে।

মার্চ ২২, ২০২৪
দেশ

গ্যারান্টি বনাম ন্যায় - ভোটের হালহকিকত

গতবারের মতো এবারও লোকসভা ভোট হবে সাত দফায়। দেশের ২২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে এক দিনেই। আর বাকি রাজ্যে একাধিক দফায় ভোট হবে। এরমধ্যে পশ্চিম বঙ্গ, বিহার ও উত্তর প্রদেশে এই তিন রাজ্যে ভোট হবে সাত দফায়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে এই তিন টি বড় রাজ্য এবং অতীতে ভোটে হিংসার কথা মাথায় রেখেই সাত দফায় ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার ভোট যেমন দীর্ঘ সময় ধরে চলবে এবং এক এক রাজ্যে নানা দফায় ভোট হবে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ই বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে টক্কর চলবে। তবে, যেহেতু লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে অর্ধেকের মতো আসনে কংগ্রেস ও বিজেপির সরাসরি লড়াই হবে তাই মোদী সরকারের গ্যারান্টি বনাম কংগ্রেসের ন্যায় গ্যারান্টি কোনটাতে জনতার মজবে সেদিকে সবার ই নজর থাকবে।এই গ্যারান্টি বনাম গ্যারান্টির রিঙের বাইরে মূল যে বিষয়গুলি নির্বাচনী প্রচারে উঠে আসছে তার হল , নির্বাচনী বন্ড, কৃষক আন্দোলন, রাম মন্দির নির্মাণ, বেকারত্ব, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। দেশটির নাম ভারতবর্ষ। এই দেশের মাটিতে রাজ্য থেকে রাজ্যে বৈচিত্র্যের চাষ। সে বৈচিত্র, ভাষায়, পরিধানে, সংস্কৃতিতে, খাদ্যাভ্যাসে কোথায় নেই? তাই সব রাজ্যে সব ইস্যু যে ভোট ভিক্ষুকদের মুখে শোনা যাবে তা নয়। রাজ্যে রাজ্যেই সুর বদলাবে ন্যারেটিভ বা ভাষ্য এবং রঙ। একবার দেখে নেওয়া যাক অঞ্চল ভেদে কোন ইস্যু কোথায় ভোট প্রচারে প্রাধান্য পেতে পারে।CAA সংশোধনী আইন, অসম ও বঙ্গে কী ভূমিকা নিতে পারে?বাম ও কংগ্রেস ক্রমশ দূর্বল হওয়ায় বঙ্গে প্রধান বিরোধী আসনে বসেছে বিজেপি। কিন্তু গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ফল বলছে তৃনমূল কংগ্রেসে রাজ্যপাট দখলের থেকে এখনো দূরে ই রয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে CAA চালু করে রাজ্যের মতুয়া সহ ৩৪ শতাংশ নমঃশূদ্র ভোট ঝোলায় পুরে অনেক দূর এগোনো যাবে বলে আশা বিজেপির। এর সঙ্গে সন্দেশখালি ইস্যুতে মহিলা ভোট ও তৃণমূল অনেকটাই হারাতে পারে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু CAA নিয়ে মতুয়াদের বড় অংশের উচ্ছাস উদ্বেগে পরিনত হয়ে এখন ক্ষোভের চেহারা নিয়েছে।এই অবস্থায় তৃনমূলের আশা মতুয়া ভোটে ভাগ বসানো যাবে।রাম মন্দির নির্মাণ ও উত্তর প্রদেশরাম মন্দির নির্মাণ উদযাপন দেখেছে গোটা দেশ। সেই সময় মানুষের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের মধ্যে হিন্দুত্বের বিকাশ ই দেখেছে বিজেপি । এরসঙ্গে তাদের আশা বাড়িয়েছে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির - জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় হিন্দু পক্ষের পালে হাওয়া গেরুয়া শিবিরের আশা আরও বাড়িয়েছে। ২০১৪ সালে উত্তর প্রদেশে ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৭১টি আসন পেয়েছিল NDA.আর গত লোকসভা ভোটে পেয়েছিল ৬৪টি আসন। এবার ওই দুই ইস্যুতে আসন বাড়ার বাড়ার আশায় গেরুয়া শিবির।মরাঠা ভূমে জোর টক্করমহারাষ্ট্রে কয়েক বছর ধরেই রাজনীতিতে ভাঙ্গা গড়ার খেলা চলছে। প্রধান দুই আঞ্চলিক দল শিব সেনা আর NCPতে গড়ার বদলে ভাঙনের ছাপ অত্যন্ত স্পষ্ট। রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি ও যেন আরব সাগরের তীরে কিছুটা উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতিতে জনতা জনার্দন কোন মরাঠা বীর কে জয়তিলক পরান সেদিকে সবার ই নজর থাকবে।বিহারে ফল কি পিছনে এগোবে?লোক হাসিয়ে, লোক মাতিয়ে ফের বিজেপি তে ফিরেছেন নিতীশ কুমার। দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আনুগত্য ও জানিয়ে এসেছেন।২০১৯ শে এই রাজনৈতিক জুটি ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৯ টি জিতেছিল। এবার সঙ্গে রয়েছে চিরাগ পাশোয়ানের এল জে পি। খাতায় কলমে বিহারে NDA জোটে উচ্চবর্ণ ,অ-যাদব OBC, EBC এবং দলিত ভোট ব্যাঙ্কের কোলাজ। উল্টো দিকে কংগ্রেস, RJD ও বাম জোটের ভরসা মূলত মুসলিম, যাদব, আর EBC ভোট। তবে জাতপাতের রাজনীতি টপকে এই জোটের প্রচারের মূল সুর দেশ জুড়ে বেকারত্বের সমস্যা। জাতপাতের ঘেরাটোপে থেকে বিহারে কি ২০১৯শের নির্বাচনী ফলের পুনরাবৃত্তি হবে? নাকি জাতপাত সরিয়ে RJD জোটের প্রচার ই গুরুত্ব পাবে। এই প্রশ্ন ঘিরে ই লড়াই বিহারে। দাক্ষিণাত্যে গেরুয়া কি ফিকেই থাকবে? এবারের লোকসভা নির্বাচনে NDA র লক্ষ ৪০০ আসন। এরমধ্যে বিজেপির একার লক্ষ ৩৭০ আসন। বিজেপি জানে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে হিন্দি বলয়ের বাইরে আসন বাড়াতে হবে। তাই এবার বিজেপির বিশেষ নজরে রয়েছে পশ্চিম বঙ্গ, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং দাক্ষিণাত্য । দক্ষিণের কেরল, কর্ণাটক, তামিল নাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ , তেলেঙ্গানা এবং পুদুচেরি এই ছয় রাজ্য মিলিয়ে মোট লোকসভার ১২৯ টি আসন রয়েছে । এর মধ্যে ২৯টি আসন বিজেপির। অতএব ৩৭০ আসনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে দক্ষিণে বিজেপি কে ভালো ফল করতেই হবে। ফলে দক্ষিণে এবার লোকসভা নির্বাচনে দ্রাবিড় বনাম হিন্দুত্বের রাজনীতির জোর টক্কর।

মার্চ ২০, ২০২৪
রাজ্য

'পিছন থেকে ধাক্কা' মুখ্যমন্ত্রীকে, হইচই দিনভর, পাল্টা ব্যাখ্যা রাজ্যের মন্ত্রীর

পুশ ফ্রম বিহাইন্ড। চিকিৎসার পর আহত মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম ছাড়তেই বিতর্ক বাড়তে থাকে। এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাড়িতে পিছন থেকে ধাক্কা লাগার কারণে পড়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কে তাঁকে ধাক্কা মারল? তা নিয়েই প্রশ্ন দানা বাঁধে। রহস্য ঘনীভূত হয়। আজ অবশ্য মনিময়বাবু জানিয়ে দেন, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। দলের তরফে মন্ত্রী শশী পাঁজাও পিছন থেকে যে কেউ ধাক্কা দেয়নি, আসলে কি ঘটেছে তা জানিয়েছেন।বৃহস্পতিবার রাতে এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। বাড়িতে পিছন থেকে ধাক্কা(push from behind) লেগে পড়ে গিয়েছেন তিনি। তাঁর মস্তিষ্কে আঘাত লেগেছে। গভীর ক্ষত হয়েছে কপালে। ক্ষতস্থান থেকে অনেকটা রক্তও বেরিয়েছে। হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান, মেডিসিন এবং কার্ডিয়োলজি বিভাগের চিকিৎসকেরা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছেন। ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করানো হয়। ইসিজি, সিটি স্ক্যান-সহ বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালে রাতে তাঁকে থেকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বাড়ি ফিরে যেতে চান।মুখ্যমন্ত্রীকে কে পিছন থেকে ঠেললো? তা নিয়েই রহস্য বাড়তে থাকে। তদন্তের দাবি জানানো হয় বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতৃত্বের পক্ষে।পুশ ফ্রম বিহাইন্ড আসলে কী? প্রবল বিতর্কের মধ্যেই তার ব্যাখ্যা দেন এসএসকেএমের ডিরেক্ট মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, পুশ ফ্রম বিহাইন্ড আসলে একটা সেনসেশন। এর মানে নয় যে কেউ তাঁকে ধাক্কা দেয়। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। ডাঃ মণিময়ের দাবি, যদি মাথা ঘুরে কেউ পড়ে যান সেক্ষেত্রে এই রকম পুশ ফ্রম বিহাইন্ড বা পিছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার অনুভূতি হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় হয়তো বলতে চেয়েছিলেন পড়ে যাওয়ার সময় তাঁর পিছন থেকে ধাক্কা অনুভূত হয়।দুপুরে রাজ্যের মন্ত্রী তথা চিকিৎসক শশী পাঁজা দলের পক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, বিষয়টা সিনকোপ। অনেক সময় হঠাৎ করে মূর্ছা যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে কেউ ধাক্কা দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। শরীরের মধ্যে আমচকা অস্থিরতা দেখা দেয়। সেই সময় কেউ পড়ে যেতেই পারে। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে তাবড় বিরোধী নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

মার্চ ১৬, ২০২৪
দেশ

কি কি নথি প্রয়োজন সিএএ-এর জন্য? কিভাবে আবেদন? জানুন বিস্তারিত

CAAআর ইংরেজির সিক্সলোকসভা ভোটের মুখে CAA কার্যকর হওয়ার কথা ঘোষণা হল। এরপরেই রাজনীতিতে উত্তাপ বেড়েছে। এই আইন কে ইংরেজি ছয়ের মতো দেখাচ্ছে, যা টেবিলে রেখে দেখলে একদিক থেকে মনে হবে ছয়, অন্যদিক থেকে দেখলে মনে হবে নয়। যেমন একপক্ষের বক্তব্য এই আইনের দৌলতে বহু মানুষ নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন। অন্য পক্ষের দাবি এই আইনে নাগরিকত্বে টান পড়বে অনেক মানুষের। কেন্দ্রের বক্তব্য, এই আইনের বলে ২০১৪ সালের ৩১ শেষ ডিসেম্বরের আগে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ও পাকিস্তান থেকে যে সমস্ত হিন্দু, শিখ, জৈন, খৃষ্টান ও পার্শী ভারতে এসেছেন এবং নাগরিকত্ব চান তারা শংসাপত্র পাবেন।CAA র জন্য কি নথি লাগবে?বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে এলে সে দেশের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। সে দেশে জন্মের শংসাপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র, সংশ্লিষ্ট দেশের পরিচয় পত্র, যে কোনো লাইসেন্স, জমি বা ভাড়াটে সংক্রান্ত রেকর্ড। আবেদনকারীর যিনি ওই দেশের নাগরিক ছিলেন তার প্রামাণ্য নথি। ওই নথিগুলির মধ্যে যে কোনো একটি দিতে হবেএছাড়াও যে নথি লাগবেকবে ভারতে প্রবেশ করেছেন তার প্রমান দিতে হবে। যেমন ভিসার ফটোকপি।ফরেনার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট। ভারতে জনগণনার সময়ে গণনাকারীদের দেওয়া স্লিপ। ভারতীয় আধার কার্ড অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। রেশন কার্ড, ভারত সরকারের দেওয়া জন্মের শংসাপত্র। আবেদনকারীর নামে ভারতীয় জমি বা ভাড়াটে কাগজ, প্যানকার্ড। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারি সংস্থার দেওয়া কোনো নথি। ভারতীয় প্রশাসনে বা সংস্থায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির দেওয়া শংসাপত্র। আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের অ্যাকাউন্টের প্রমান। ভারতীয় বিমা সংস্থার পলিসি। আবেদনকারীর নামে বিদ্যুতের বিল। আবেদনকারীর নামে আদালত বা ট্রাইব্যুনালের নথি যদি থাকে। ভারতে কর্ম সংস্থানের নথি। ভারতীয় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নথি যদি থাকে। ট্রেড লাইসেন্স। বিয়ের শংসাপত্র।এছাড়াও লাগবে হলফনামাআবেদনকারীর ঠিকানা। যে দেশ থেকে এসেছেন সেখানকার শেষ ঠিকানা। পাশাপাশি জানাতে হবে ধর্ম। এই সবই জানাতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের সই ও সিল সহ হলফনামায়।কি ভাবে আবেদনপ্রথমে সরকারের অ্যাপ বা ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। দ্বিতীয় ধাপে আবেদনকারীকে কিছু প্রশ্ন করা হবে। শেষ পর্যায়ে আবেদনের জন্য ৫০টাকা জমা দিতে হবে। সব তথ্য ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট দিনে আবেদনকারীকে জেলা স্তরে যাচাই কমিটির কাছে উপস্থিত হতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে সব অরিজিনাল নথি। সবকিছু ঠিক থাকলে নিষ্ঠা শপথ নিতে হবে এবং লিখিত নিষ্ঠা শপথে সই করতে হবে। এরপরে ওই আবেদন যাবে রাজ্য স্তরে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির কাছে। ওই কমিটির চেয়ারম্যান চুড়ান্ত সিলমোহর দিলে আবেদনকারী পোর্টালের মাধ্যমে ডিজিটাল শংসাপত্র পাবেন।এই আইনে সঙ্গে কি নাগরিকত্ব হারানোর সম্পর্ক আছে?কেন্দ্রীয় সরকার বলছে এই আইনে কারো নাগরিকত্ব হারানোর প্রশ্ন নেই। আইন জারি হওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাস্ট্র মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে CAA র কারো নাগরিকত্ব যাবে না। মুসলমানদের এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই। এই আইনের বলে কোনো ভারতীয় নাগরিক কে নিজের নাগরিকত্ব প্রমানে আর নতুন করে কোনো নথি দেখাতে হবে না। কিন্তু CAA চালু হওয়ার পরে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের যৌথ forum য়ে বিবৃতি জারি করেছেন সেখানে কয়েকটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁদের মতে CAA র নিয়মে একটি ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি নাগরিকত্বের আবেদন যাচাই করবে। স্বাভাবিক নিয়মেই অনেক আবেদন খারিজ হয়ে যাবে। এদের মধ্যে একটি বড় অংশ রয়েছে যাঁরা বহুদিন ধরে এদেশে বসবাস করছেন। তাঁদের রেশন, আধার, ভোটার কার্ড ও রয়েছে। তাঁদের আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁরা কি নাগরিকত্ব হারাবেন? তাঁদের সব কার্ড কি বাতিল হয়ে যাবে? অন্য দেশ থেকে আসা মানুষকে নাগরিকত্ব পেতে যে সব নথি চাওয়া হয়েছে তা হয়তো দিতে পারলেন না। বা অন্য কারনে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে তাঁর পরিচিতি কি হবে? নাগরিক না অ-নাগরিক। এই জরুরি প্রশ্ন গুলির কিন্তু কোনো স্পষ্ট উত্তর নেই। অথচ CAA র মাধ্যমে কে নাগরিক, আর কে নয়, তার বাছাই পর্ব শুরু হবে।

মার্চ ১৬, ২০২৪
রাজ্য

মারাত্মক জখম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এসএসকেএমে ভর্তি

কপালে মারাত্মক চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রক্তারক্তি অবস্থা। তৃণমূল কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রীর চোটের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাড়িতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে। জানা গিয়েছে, অভিষেকের গাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে মন্ত্রীসহ বহু মানুষ তাঁর সুস্থতা কামনা করে ভিড় জমিয়েছেন।Our chairperson @MamataOfficial sustained a major injury.Please keep her in your prayers 🙏🏻 pic.twitter.com/gqLqWm1HwE All India Trinamool Congress (@AITCofficial) March 14, 2024মুখ্যমন্ত্রীর কপালে চোট কতটা মারাত্মক সেদিকে নজর রেখেছেন তা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাঁকে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে। ইন্টারনাল কোনও আঘাত লেগেছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রেখেছেন চিকিৎসকরা। বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে মুখ্যমন্ত্রীর। বঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

মার্চ ১৪, ২০২৪
রাজনীতি

দিদির বার্তায় চুপসে গেলেও বাবুনের ফোঁসের মুখে হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী

দিল্লি থেকে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন বাবুন বন্দোপাধ্যায়। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা যায় তাঁকে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছেদ করছেন তিনি।এদিন সন্ধ্যায় শহরে ফিরে এসেই কলকাতা বিমানবন্দরে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে। হাওড়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে এখনও তাঁর ক্ষোভ এক আনাও কমেনি। তবে দিদির সঙ্গে তিনি সমস্ত কিছু ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেবেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলেন দিদি বকেছে দরকারে পাও ধরে নেব।

মার্চ ১৩, ২০২৪
রাজনীতি

মুখ্যমন্ত্রীর এক হুঙ্কারেই গুটিয়ে গেলেন ভাই বাবুন, আর প্রার্থী নয়

দিনভর নাটকের পর দিদির হুঙ্কারে পুরো ডিগবাজি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন হাওড়া কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াবেন, এই খবরে তোলপাড় হয়ে যায় রাজনৈতিক মহল। এব্যাপারে দিদির কথা শুনবেন না বলেও জানিয়ে দেন। এমনকী রটে যায় তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু ত্যাজ্য ভাই করেছেন বাবুনকে, এই হুঁশিয়ারিতে টনক নড়ে যায় বাবুনের। ছোটভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের (বাবুন) সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার শিলিগুড়িতে মমতা সাফ বলেন, আমি যে দিন থেকে দল করি, কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে কাজ করি। আমার পরিবার বলে কিছু নেই। মা মাটি মানুষই আমার পরিবার। আমাদের পরিবারে রক্তের সম্পর্কে ৩২ জন সদস্য। কেউ এ রকম নয়। এতে সবাই ক্ষুব্ধ। আমি সরাসরি বলছি, যারা বেশি বড় হয়ে যায়, তাদের লোভও বেড়ে যায়। ওকে পরিবারের সদস্য বলেই আমি মনে করি না। সব সম্পর্ক ছেদ।মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমি পরিবারতন্ত্র করি না। যে যেখানে ইচ্ছে ভোটে লড়তে পারে। আমার কিছু যায় আসে না। যাঁর নাম করছেন তাঁর অনেক কাজই আমার পছন্দ নয়, তবে মেনে নিতে হচ্ছিল এতদিন। ও ছোটবেলা ভুলে গিয়েছে। যখন বাবা মারা গিয়েছিলেন তখন ওঁর বয়স মাত্র আড়াই বছর ছিল, দুধ বিক্রি করে মানুষ করেছি। ভোট আসলেই এসব করে। অনেক অশান্তি সহ্য করেছি, আর নয়।টিকিট না মেলায় এবার ক্ষোভের আগুন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েদর পরিবারেই। এদিন সকালে বিদ্রোহী তৃণমূল নেত্রীর ছোট ভাই স্বপণ বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে বাবুন! কলকাতা ছেড়ে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে তিনি জল্পনা বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন স্বপণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে প্রার্থী হয়ে লড়াইয়ের হুঙ্কারও ছেড়েছেন তিনি। তবে অসন্তোষের মধ্যেও দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভগবান বলেই উল্লেখ করেছেন ছোটভাই বাবুন।স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে যিনি মুখ্যমন্ত্রীর ছোট ভাই। স্বপনের নিশানায় হাওড়ায় তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও হাওড়া থেকে তৃণমূলের বাজি গত দুবার ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী এই প্রাক্তন ফুটবলারই। প্রসূনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ মমতার ভাইয়ের।কীসের অভিযোগ? বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে ফোনে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যে মানুষটা হাওড়ায় প্রার্থী হয়েছেন, সেই প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মোহনবাগান ক্লাবের এজিএমের সময় আমাকে গলাধাক্কা দিয়েছিলেন। আমাকে অপমান করেছিলেন। তাঁকে নিয়ে আমার প্রচুর অ্যালার্জি আছে। হাওড়ার মানুষ ওঁকে মেনে নিচ্ছেন কি না জানি না। কিন্তু আমি বলতে পারি, এই প্রার্থী ঠিক হয়নি। ওঁর যোগ্যতা নিয়ে আমার সংশয় আছে। আমি মনে করি, যে ক্লাস ফাইভ পাশ করতে পারে না। তাকে গ্র্যাজুয়েশন করানো হচ্ছে। এমপি ল্যাডের টাকা এলাকার মানুষের জন্য ঠিকমত খরচ করতে পারেননি, কোনও কাজ হয়নি। প্রসূনের থেকে অনেক ভাল প্রার্থী ছিল। ওর মতো বাজে লোককে না দেওয়াই উচিত ছিল।ভাই স্বপন কি প্রসূনকে নিয়ে তাঁর ক্ষোভের কথা দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন? জবাবে স্বপন বলেন, কিছু জিনিস জানিয়েও লাভ হয়নি। প্রথম থেকে বলা হয়েছে ওঁকে বাদ দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করলে হাওড়ার মানুষ অন্যভাবে গ্রহন করবেন। অরূপ রায়, রাজীব ব্যানার্জীদের দাঁড় করানো হলে ভাল ফলফল হত।স্বপনের সাফ কথা, দিদি যতদিন বেঁচে আছে বিজেপিতে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যাইনি কখনও, যাবও না। ১৯৮১ সাল থেকে দলের সঙ্গে জড়িয়ে। দিদি যতদিন আছে আমি কোথাও যাব না। তবে তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, ফুটবল প্রশাসক কল্যাণ চৌবে, পিটি উষাদের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির যোগ নয়, ক্রীড়া প্রশাসক হওয়ার কারনেই এই যোগাযোগ বলে জানিয়েছেন তিনি।এরপরই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি হাওড়ার ভোটার হয়েছি। নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াব। দিদিমনির সঙ্গে সরাসরি কথা বলব। দিদি আমার কাছে ভগবান। দিদির কথা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। দিদির কাছে আশীর্বাদ চাইব। দিদি হয়তো আমাকে না করবে। কিন্তু আমি দিদিকে বোঝানোর চেষ্টা করব কেন দাঁড়াচ্ছি।দিনভর এই কর্মকাণ্ডের পর মমতার এক হুঙ্কারে ফেসবুক পোস্ট করে নিজের বিপ্লব থেকে সরে আসেন স্বপন ব্যানার্জী তথা বাবুন। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে জানিয়ে দেন দিদিই শেষ কথ। বিজেপিতে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।

মার্চ ১৩, ২০২৪
রাজ্য

ভোটে অস্ত্র CAA

কিছুদিন ধরেই হাওয়ায় ভাসছিল। অবশেষে মাটিতে নেমে এল। Citizenship Bill সংসদে পাশ হওয়ার চার বছর পরে আইনে পরিণত হল। লোকসভা নির্বাচনের দরজায় দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বার্তা মোদী যা বলেন, তাই করেন। আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করার কয়েক মূহুর্ত পরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর টুইট, সেই বার্তার ই প্রতিধ্বনি। টুইটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী লেখেন,এই আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও একবার প্রমাণ করলেন তিনি যে প্রতিশ্রুতি দেন তা পালন করেন। ২০১৯ য়ের লোকসভা নির্বাচনে কয়েক মাস পরেই সংসদে CAA পাশ হয়। ওই নির্বাচনে বিজেপির ইস্তাহারে এই আইন চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এই আইনের লক্ষ্য ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের যে শিখ, বৌদ্ধ,জৈন, খৃষ্টান,পার্শী ও হিন্দু রা অত্যাচারিত হয়েছেন বা হচ্ছেন তাদের জন্য একমাত্র স্বাভাবিক আশ্রয়স্থল ভারত এই বার্তা দেওয়া। CAA র ফলে তাঁরা চাইলে ভারতে সহজেই নাগরিকত্ব পাবেন। আশ্রয় যারা পাবেন সেই তালিকায় মুসলিম সম্প্রদায়ের উল্লেখ না থাকায় সংসদে CAA Bill পাশ হওয়ার পরেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। সংসদে বিল পাশ হলেও আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা থেকে সরকার বিরত থাকে।দীর্ঘ সময় ধরে সরকার আইনের বিজ্ঞপ্তি জারি না করায় বিরোধীরা সমালোচনার অস্ত্র পেয়ে যায়। বিরোধীরা বলতে থাকে বিজেপি নির্বাচন এলেই ভোটার দের মেরুকরণের জন্য CAA র গাজর ঝোলাতে থাকে। লোকসভা নির্বাচনের মুখে সেই আইন চালু করে বিজেপি বিরোধীদের অস্ত্র ভোঁতা করে দিল। এই আইন চালু করে বিজেপি মনে করছে পশ্চিম বঙ্গে তাদের আসন বাড়বে। এবার নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য ৩৭০-র ও বেশি আসন পাওয়া। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বিজেপি কে হিন্দি বলয়ের বাইরের রাজ্যে আসন বাড়াতে হবে। উত্তর প্রদেশের পরে যে তিনটি রাজ্যে লোকসভার আসন বেশি রয়েছে সেগুলি হল মহারাষ্ট্র (৪৮ টি আসন), পশ্চিমবঙ্গ (৪২ টি আসন) এবং বিহার (৪০টি আসন)। তাই পশ্চিমবঙ্গে আসন বাড়ানো এবার বিজেপির অন্যতম প্রধান এজেন্ডা। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলায় দেশভাগের কারণে ওপার থেকে চলে আসা মতুয়া সম্প্রদায়ের বাস। এই সম্প্রদায়ের ভোট যে দিকে যাবে সেই দলের ঝোলায় অন্তত ২১টি বিধান সভা ও তিনটি লোকসভা আসন চলে যাওয়া নিশ্চিত। মতুয়া ছাড়াও দেশ ভাগের কারণে ওপার বাংলা থেকে বহু মানুষ পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। নাগরিকত্বের অধিকার নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের নানা ধোঁয়াশা ও প্রশ্নচিহ্ন দেখা দেওয়ায় তাঁদের মধ্যে ও উদ্বেগ বেড়েছে। CAA লাগু হওয়ায় এই অংশের ভোটারদের ও সমর্থন পেতে পারে বিজেপি। ২০১৯য-র লোকসভা নির্বাচনে CAAর আশায় মতুয়া সম্প্রদায় ভোট দিয়েছিল বিজেপি কে। তবে CAA চালু না হওয়ায় গত বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোট কম পাওয়ায় বিজেপির ফল খারাপ হয়। তবে দক্ষিণবঙ্গে মতুয়া সম্প্রদায় এবং দেশভাগের কারণে আসা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট CAA র কারণে বিজেপি পেলেও উত্তর বঙ্গে রাজবংশী ভোট বিজেপির চিন্তা বাড়াতে পারে। কারণ রাজবংশী রা চায় NRC। তাদের ধারণা উত্তর বঙ্গে বাইরে থেকে আসা ঊচ্চবর্ণের মানুষ তাদের জায়গা, জমি, কাজ, ব্যবসা সব দখল করে বসে আছে।রাজবংশী দের চোখে এরা সবাই বিদেশি। তাই রাজবংশী দের দাবি বিদেশি তাড়াতে NRC চালু করতে হবে। উত্তর বঙ্গে NRC চালুর আশায় ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে রাজবংশী রা হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছিল বিজেপি কে। উত্তর বঙ্গের সমতলে জনসংখ্যার প্রায় ৪৩ শতাংশ রাজবংশী। মূলত এদের ভোটেই উত্তর বঙ্গের সাতটি লোকসভা আসনে বিজেপি জিতেছিল। কিন্তু NRC নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার পদক্ষেপ না করায় গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজবংশীদের বড় অংশ বিজেপি কে ভোট দেয়নি। ফলে বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর বঙ্গের বিজেপির ফল ভালো হয়নি। এছাড়াও বিজেপির পথে কাঁটা হতে পারে দেশের শীর্ষ আদালত। CAA র বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ২০২০ সালে Indian Union Muslim League প্রথম মামলা করে। এর পরে ২০০ টির বেশী মামলার আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এই মামলাকারি দের মধ্যে রয়েছেন আসাদ উদ্দিন ওএইসি, জয়রাম রমেশ, এবং মহুয়া মৈত্র। এছাড়াও রয়েছে রাজনৈতিক সংগঠন আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি, অসম গণপরিষদ, National Peoples party ( Assam) এবং দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাগম। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে সুপ্রিমকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি U U Lalit য়ের বেঞ্চ জানায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলার শুনানি শুরু হবে। কিন্তু তারপর থেকে এখনো শুনানি শুরু হয় নি। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী মামলা গুলি বর্তমানে বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে তালিকাভুক্ত রয়েছে। মামলাকারিদের আবেদনে বলা হয়েছে CAA সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারাকে ভঙ্গ করছে। সংবিধানের ওই ধারায় বলা হয়েছে The state shall not deny to any person equality before the law or the equal protection of the laws within the territory of India মামলাকারিদের আবেদন CAA তে ধর্মীয় বিভাজনের ফলে সংবিধানের এই বক্তব্য কে অস্বীকার করা হচ্ছে। দেশের শীর্ষ আদালত যদি মামলাকারিদের আবেদনের পক্ষে রায় দেয় তাহলে সমস্যায় পড়বে বিজেপি।

মার্চ ১৩, ২০২৪
রাজ্য

সিএএ নিয়ে মোদীর ঘোষণার আগেই তীব্র আক্রমণ মমতার

সিএএ নিয়ে তৎপরতার মধ্যেই নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনের মুখে কেন কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকরের চেষ্টা চালাল? কেন আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল, এবার স্পষ্ট হল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনও বৈষম্য মানব না। এই জন্যই কি তাহলে মতুয়াদের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছিল? যাঁরা এতদিন এই রাজ্যে আছেন, লেখাপড়া করছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব কাড়ার চেষ্টা কেন হচ্ছে? এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ছলনা। আমি গোটা আইনটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। এখানে যাঁরা আছেন, তাঁরা প্রত্যেকে এদেশের নাগরিক। তাঁদের প্রত্যেকের সামাজিক, রাজনৈতিক, গণতান্ত্রিক, সম্পত্তিগত অধিকার আছে।মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি গোটা বিষয়টি দেখার পর নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এরাজ্যের নাগরিকদের আমি কিছুতেই নাগরিকত্ব হারাতে দেব না। লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে কোনও অশান্তি হোক, সেটা আমি চাই না। রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। সেটা হতে দেব না। মুখ্যমন্ত্রী সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই জানিয়েছেন যে, সিএএ নাগরিকত্ব কাড়ার আইন নয়। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। যদিও অসমের পরিস্থিতি এবং সেখানকার মানুষের দুর্ভোগ দেখে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের এই দাবি মানতে নারাজ বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হল, কী এই সিএএ? সংক্ষিপ্তসার হল, ২০১৯ সালে পাশ হওয়া সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন এটা। আপাতত ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান নাগরিকদের এই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। এর আগে যখন সিএএ আইন করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, তখনই প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই তাঁর নেতৃত্বাধীন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস স্লোগান তুলেছিল, ক্যা ক্যা, ছি ছি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এত প্রতিবাদের মধ্যেই সোমবার সিএএ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশজুড়ে সিএএ লাগু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

মার্চ ১১, ২০২৪
রাজ্য

"আজ ট্রেলার দেখালাম, সিনেমাটা নির্বাচনে বাংলার মানুষ দেখিয় দেবে”, হুঙ্কার অভিষেকের

রবিবাসরীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন ব্রিগেড। এদিন যে জনজোয়ার ঘটেছে তা পুরোপুরি বলা যাবে না। লোকসভা নির্বাচনের আগে মাত্র ১২ দিনের ঘোষণায় কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশ করল রাজ্যের শাসকদলের। ব্রিগেডে আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে আগাগোড়া আক্রমনাত্মক ভাষণ দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ব্রিগেডের জনপ্লাবন দেখে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, আজ ট্রেলার দেখালাম, সিনেমাটা নির্বাচনে বাংলার মানুষ দেখিয় দেবে। শুধু একথাই নয়, নাম না করে এদিন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ সেনাপতি।আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের মুখে ব্রিগেডে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র ১২ দিনের ঘোষণায় ব্রিগেডে এই সভা তৃণমূলের। এই সভামঞ্চ থেকেই এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও বিজেপিকে নিশানা করে তুমুল হুঙ্কার ছাড়েন অভিষেক।অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভোট ED, CBI দেবে না। ভোট দেবেন মানুষ। দিল্লি থেকে বহিরাগত এসে বলছে মোদী গ্যারান্টি। চোর চুরি করে এখন BJP-তে যায়। এটাই মেদাীর গ্যারান্টি। ২০১৪-এর আগে বলেছিলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী হলে প্রত্যেক ভারতীয়র অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১৫ লাখ করে। কেউ পেয়েছেন? তাহলে বলুন মোদীর গ্যারান্টি জিরো গ্যারান্টি।এখানেই থামেননি তৃণমূলের শীর্ষ সেনাপতি। আসন্ন নির্বাচনে তাঁদের লড়াই কার কার সঙ্গে সেব্যাপারেও কর্মীদের সতর্ক করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, তৃণমূলের লড়াই শুধু BJP-এর বিরুদ্ধে নয়। BJP, CPIM, বাংলার অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) নেতৃত্বাধীন থাকা Congress, ED, CBI, NIA, আয়কর, মোদী, অমিত শাহ, বিচার ব্যবরস্থার একাংশের বিরুদ্ধে। আমাদের বিশ্বাস, এই লড়াইয়ে আমরাই জিতব। বিজেপির সঙ্গে টাকা আছে, আমাদের সঙ্গে মানুষ আছেন।এছাড়াও নাম না করে এদিন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন অভিষেক। এপ্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এখন চুরি করেই বিজেপিতে যাচ্ছে। এখন বিচারপতিকে উত্তরীয় পরাচ্ছে চোরেরা।এদিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও এদিন নাম না করে প্রাক্তন বিচারপতিকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি। চাকরি খেয়েছে বলে তোপ দাগেন মমতা। বিচারপতির বিচার জনগণ করবে বলে তিনি জানিয়ে দিলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন তৃণমূল নেত্রী।

মার্চ ১০, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • ...
  • 66
  • 67
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

ভয়ঙ্কর ঘটনা আসানসোলে, বাড়িতেই পুড়ে শেষ মা, বাবা ও ছেলে

বাড়িতে আগুন লেগে মৃত তিন, আহত এক। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান। শনিবার গভীর রাতের ঘটনা। এই ঘটনায় বাড়ির তিনজন মারা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির কর্তা কেবল চন, স্ত্রী গায়ত্রী চন ও এদের জামাই বাবলু সিং আগুন লাগার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। কেবল চনের মেয়ে শিল্পী সিংকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার ফতেপুর বৈশালী পার্কের কাছে। রাতে দমকল ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

জুন ২৯, ২০২৫
রাজ্য

অজানা ফোন কল থেকে সাবধান! ১ কোটি টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার পান্ডা

পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নামে পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল অ্যারেস্টের নাম করে প্রতারণা। গ্রেপ্তার এক। গ্রেপ্তার করলে বিধানগর সাইবার ক্রাইম পুলিশ পুলিশ সূত্রে খবর সল্টলেক ডিএল ব্লকের বাসিন্দা শম্ভুনাথ চৌধুরী একটি ফোন কল আসে। সেখানে তাকে বলা হয় আপনাকে ডিজিটাল অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আপনি ঘর বন্ধ থাকবেন। কোন আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। এবং ধাপে ধাপে চারদিন ধরে প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে বুঝতে পেরে সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত নেমে নির্মল বিজয় নামে রাজস্থানের বাসিন্দার নাম উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গতকাল নাগেরবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার থানার পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

কলকাতা 'ল কলেজে ঘটনার প্রতিবাদ সামশেরগঞ্জে, পথে বামেরা

কলকাতার ল কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে সামসেরগঞ্জেও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বামেরা। শনিবার বিকেলে DYFI এবং SFI এর নেতৃত্বে সামসেরগঞ্জের কাকুড়িয়ায় রাস্তা অবরোধ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।মুখ্যমন্ত্রীর কুশ পুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে বামেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও রাস্তা অবরোধে বাধা দেওয়ার সময় থেকেই পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি হয় বাম কর্মী সমর্থকদের। তামান্না খাতুনের খুনিদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপশি কলকাতার কলেজে ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান বাম কর্মী সমর্থকরা।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

লালবাজারে আটক বঙ্গ বিজেপির সভাপতি, অবস্থান থেকে পুলিশ গাড়িতে তোলা হল ৩ কাউন্সিলরকে

কসবা ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র নেতা মনোজিৎ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার দুই সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গড়িয়াহাটে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেখান থেকে রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি নেতৃত্বকে গ্রেফতার করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের নারী নিরাপত্তার অবনতি এবং কসবা লকলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করছিল বিজেপি। এরপর দলের অন্যদের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে লালবাজারে আটক করে রেখেছে। সুকান্ত মজুমদার স্পষ্ট জানিয়েছে, ব্যক্তিগত বন্ডে এবার আর জামিন নেবেন না। রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত সুকান্ত মজুমদার জামিন নেননি। তিনি দলের অন্যদের সঙ্গে এখন লালবাজারেই আছেন। অন্যদিকে এই সময় লালবাজারের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করছিল বিজেপি। সেই অবস্থান থেকে বিজেপির তিন কাউন্সিলরকে আটক করে পুলিশ। সজল ঘোষ, মীনাদেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝাকে আটক করে পুলিশ।

জুন ২৮, ২০২৫
কলকাতা

কসবা কাণ্ডে মদন মিত্র ও কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে তোলপাড় বাংলা, তৃণমূলের নিন্দা

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্রের কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূল বলছে, দল দুই নেতার মন্তব্য সমর্থন করে না। কার্যত এই দুই নেতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দূরত্ব তৈরি করছে। বিজেপি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত, যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো যেত। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অপরাধীদের সমর্থন করতে চাইছে এই তৃণমূল নেতা। অন্য দিকে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, মানসিকতার পরিবর্তন না হলে হবে না। আইন বা পুলিশ দিয়ে কিছু হবে না। স্টুডেন্টরা যদি তাঁদের সহপাঠিনীকে রেপ করা তা প্যাথিটিক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কি পুলিশ থাকবে? মূল অভিযুক্ত যে প্রাক্তনী তা এড়িয়ে গিয়েছেন কল্যান। এদিকে এই দুই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বক্তব্য, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।তৃণমূল বলছে আমাদের অবস্থান স্পষ্টমহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।

জুন ২৮, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

'ফুড ব্লগ'! সস্তা জনপ্রিয়তার আড়ালে ভাইরাল 'অন্ধকার'

মুঠোফোন ধরে সামাজিক মাধ্যমে খানিক নাড়াচাড়া করতেই একের পর এক খাবারের দোকানের ভিডিও আসতে থাকে। প্লাস্টিকের চালা, একেবারেই অস্বাস্থকর পরিবেশ কিন্তু মানুষ লাইন দিয়ে খাবার খাচ্ছে। আবার সেই খাবার খেয়ে ক্যামেরার সামনে প্রস্বস্থি সূচক মন্তব্যও করে যাচ্ছেন। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমের দাপট এতটায় যে, কেউ নতুন উদ্যোগ নিলে উদ্বোধনের দিন প্রথমেই যাঁদের কথা তাঁদের মনে করেন তাঁরা হলেন ফুড ব্লগার। সামাজিক মাধ্যম খুললেই আমরা বিভিন্ন ধরনের ফুড ব্লগারদের কে দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁদের ফুড ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বহু সাধারণমানের খাবার স্টল রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে গেছেন। আমরা কলকাতার নন্দিনীর ভাতের হোটেল দেখেছি, শিয়ালদার রাজুর পরটা, মোবাইল পরটা, বর্ধমানে মুনমুন দির পোলাও চিলি চিকেন ছাড়াও অনেক ভাইরাল ফুড ব্লগ দেখেছি, এরা প্রত্যেকেই সাধারণ থেকে খুব কম সময়ে অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। আবার অন্যদিকে বেশকিছু ফুড ব্লগার আছেন যাঁরা রীতিমত ফুড ব্লগিংয়ের নামে এক কথায় নোংরামি চালায় বলে অভিযোগ। আর এদের কারণেই প্রায় সময়েই বিক্রেতাদের নানা সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।চিত্র পরিচালক সূর্য বলেন, এই সমস্ত ফুড ব্লগারদের অযৌক্তিক সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কোন বিক্রেতা হয়ে ওঠে খুব জনপ্রিয় আবার কেও হয় সমালোচনার শিকার। তাঁদের জীবন ও জীবিকা দুটোই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি - ফুড ব্লগ। ছবিটির পরিচালনা করেছেন সূর্য। যেটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৮ শে জুন SD Entertainment youtube চ্যানেলে। এই ছবির মুখ্য চরিত্র দেখা যাবে অভিনেতা অনুপম মুখার্জিকে। যিনি থিয়েটারের পাশাপাশি বিভিন্ন মেগা সিরিয়ালে নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন।এ ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন পুষ্পিতা বক্সী, রাজা মুখার্জি, সুদিপ চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত, আকাশ ব্যানার্জি সহ আরো এক ঝাঁক নতুন অভিনেতা। ছবিতে চিত্রগ্রাহকের দায়িত্ব ছিলেন সৌনক দাস ও অভ্রজিৎ নাথ।এখনো পর্যন্ত ফুডব্লগ ছবিটি ৯ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এ অংশগ্রহণ করে ৬ টা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে সেরা বাংলা ছবি, সেরা গল্প, সেরা পরিচালক বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ও নেপাল আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অন্যতম।ফুড ব্লগ ছবিটি প্রসঙ্গে পরিচালক সূর্য জানান আমি সর্বদা এমন ছবি তৈরি করতে পছন্দ করি যা এক সামাজিক বার্তা প্রদান করে। আশা করি এই ছবিটির মাধ্যমেও আমরা সমাজকে এক শিক্ষামূলক বার্তা দিতে পারবো।

জুন ২৮, ২০২৫
নিবন্ধ

সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে রসুনের উপকারিতা জানুন

বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব সাধারণত বেড়ে যায় এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক এক চক্র। কয়েকটি কারণে বর্ষাকালে সাপের আনাগোনা বাড়ে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বন্যা ও জল জমা, সাপ সাধারণত মাটির গর্তে বাস করে। বর্ষায় সেই গর্তে জল জমে যাওয়ায় তারা শুকনো জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসে। আশ্রয় খোঁজা, বৃষ্টিতে সাপ আশ্রয় নিতে খোঁজে শুকনো ও উষ্ণ জায়গাযেমন: বাড়ির বারান্দা, রান্নাঘর, গ্যারেজ, বা স্টোররুম। এছাড়াও সাপ খাবারের খোঁজে বসতিতে ঢুকে পরে। ইঁদুর, ব্যাঙ ইত্যাদি জীব বর্ষাকালে উঁচু ডাঙ্গা জমি, বসত বাড়িতে উঠে আসে, তাদের অনুসরন করে সাপ মানুষের বসতিতে ঢুকে পড়ে। যেসব এলাকা বনাঞ্চল বা জলাভূমির পাশে, সেখানে বর্ষায় সাপ চলাচল বেশি হয়।সাপের উপদ্রব থেকে নিরাপদে দূরে থাকতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন রাসায়নিক স্প্রে করেন কেউ কেউ। কিন্তু আমাদের বাড়িতেই এক ভেষজ সবসমই থাকে সেই রসুন ব্যাবহার করে সাপ থেকে দূরে থাকা যায় বলে অনেকের-ই ধারণা। সাপের আসা-যাওয়ার পথে রসুন দেওয়ার পেছনে একটি প্রচলিত লোকবিশ্বাস রয়েছে। এটি মূলত প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:কেন রসুন দেওয়া হয়?তীব্র গন্ধ: রসুনের গন্ধ অত্যন্ত তীব্র এবং এটি অনেক প্রাণীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর। কিছু মানুষের ধারণা যে সাপ তাদের সংবেদনশীল জিহ্বা (জ্যাকবসন অঙ্গ) দিয়ে পরিবেশের গন্ধ বোঝে, আর রসুনের তীব্র গন্ধ তাদের বিরক্তি উদ্রেক করে।রসুনে অ্যালিসিনের মতো সালফার সমৃদ্ধ যৌগ থাকে, যা তীব্র গন্ধ তৈরি করে। এই গন্ধ সাপের সংবেদনশীল ইন্দ্রিয় অঙ্গগুলিকে (বিশেষ করে জ্যাকবসন অঙ্গ, যা তারা তাদের জিহ্বার মাধ্যমে পরিবেশকে ঘ্রাণ নিতে ব্যবহার করে) জ্বালাতন করতে পারে বা অভিভূত করতে পারে।লোকবিশ্বাস ও অভ্যাসঃ গ্রামাঞ্চলে প্রাচীনকাল থেকেই রসুন, পেঁয়াজ, নিমম বা কর্পূর ব্যবহারের মাধ্যমে সাপ দূরে রাখার চেষ্টা চলে আসছে। যদিও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব একটা নেই, তবুও অনেকেই এটাকে কার্যকর মনে করেন। রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে সাপ তাড়ানোর চেষ্টা হিসেবে রসুন ব্যবহার একটি বিকল্প পদ্ধতি।বিজ্ঞানভিত্তিকভাবে এখনও সরাসরি প্রমাণ নেই যে রসুন সাপকে নিশ্চিতভাবে তাড়াতে পারে। তবে কিছু গবেষণা বলেছে, সাপ সাধারণত তীব্র গন্ধ বা ঝাঁঝালো রাসায়নিক এড়িয়ে চলে, তাই কিছু ক্ষেত্রে রসুন কার্যকর হতে পারে।রসুন ব্যবহার পদ্ধতিঃ১। রসুন থেঁতো করে সাপের সম্ভাব্য চলাচলের রাস্তায় ছড়িয়ে দিন।২। রসুন ও লবণের মিশ্রণ একটি কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।৩। রসুন তেলের সঙ্গে ন্যাপথলিন মিশিয়ে ব্যবহার করেন অনেকে (সতর্কতার সঙ্গে)।তবে মনে রাখবেনঃ১। সাপ তাড়ানোর জন্য রেসকিউ টিম বা স্থানীয় বন দপ্তরে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায়।২। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার, ঘাসছাঁটা রাখা, ইঁদুর-মুরগির আনাগোনা কমানোএসব বেশি কার্যকর।সাপ তাড়ানোর জন্য কিছু নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি নিচে দেওয়া হলো, যা আপনি রসুনের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন:পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন (সবচেয়ে কার্যকর উপায়)১। বাড়ির চারপাশে ঝোপঝাড়, লম্বা ঘাস, ময়লা, কাঠের গুঁড়ি বা ইটের স্তূপ থাকলে সাপ আশ্রয় নিতে পারে।২। পুরনো বা অব্যবহৃত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।৩। ইঁদুর বা ছোট প্রাণী থাকলে সাপ আসতে পারে, এদের নিয়ন্ত্রণ করুন।প্রাকৃতিক প্রতিকারঃ১. রসুন ও পেঁয়াজঃ রসুন ও পেঁয়াজ থেঁতো করে মিশিয়ে সাপের চলাচলের পথে ছড়িয়ে দিন। আপনি চাইলে সেগুলোর রস করেও স্প্রে করতে পারেন।২. লবণ ও চুনঃ চুন ও লবণ (নুন) মিশিয়ে দেয়ালে বা জানালার আশপাশে ছিটিয়ে রাখুন৩. নিমের পাতা ও তেলঃ নিমের তেল সাপদের প্রচণ্ড অপছন্দের জিনিস। এটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে সাপের আসা যাওয়ার পথে স্প্রে করতে পারেন।৪. সাদা ভিনিগারঃ ভিনিগার ও লবণ মিশিয়ে সাপের চলার পথে স্প্রে করুন। মাটির গন্ধ নষ্ট হওয়ায় সাপ এড়িয়ে চলে।কম্পন ও শব্দ ব্যবহারঃসাপ শব্দ-সংবেদনশীল (কম্পনে সাড়া দেয়)। মাটি কাঁপায় এমন যন্ত্র (যেমন: হাতুড়ি দিয়ে ঠোকাঠুকি), বা ব্যাটারিচালিত কম্পন-ডিভাইস সাপ দূরে রাখতে পারে।পোষা প্রাণীঃ কুকুর (দেশী বা বিদেশি) সাপের উপস্থিতি টের পেলে ঘন ঘন ডাকতে থাকে। গ্রামের অনেক বাড়িতে পোষা প্রাণী রাখার ফলে সাপ আসার সম্ভাবনা কমে যায়।যা করবেন নাঃসাপ দেখলে নিজে রিস্ক নিয়ে তাড়াতে যাবেন না।, পেট্রোল, অ্যাসিড বা আগুন ব্যবহার করবেন না। সাপটিকে না মেড়ে তারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপতভাবে বিষাক্ত মনে হলেও সাপ সামাজের ভারসাম্য রাখতে বিরাট ভুমিকা নেয়। সাপ দেখলে বা সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় বন দফতর বা স্থানীয় সাপ উদ্ধারকারী দলের (snake rescuer) সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অনেক জায়গায় হেল্পলাইন নম্বরও রয়েছে। প্রয়োজনে জেলার বনদপ্তরে ফোন করে সাহায্য নিন। এছাড়াও জেলায় জেলায় বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংস্থা আছে যাঁরা বসতি থেকে সাপ গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে অরণ্যে পৌছাতে সাহায্য করেন। যেমন, বর্ধমান জেলায় তথাগত পাল আছেন, যিনি তাঁর দৈনন্দিন পেশার কঠিন চাপের ফাঁকেও এই ধরনের নোবেল জব করতে ভালবাসেন।

জুন ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এলাকায় মদের দোকান তৈরির প্রতিবাদে গাইঘাটার ইছাপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ইছাপুরে গোল্ডেন রেস্টুরেন্ট নামে একটি দোকানের উদ্বোধন হচ্ছিল। এলাকাবাসীর দাবি মানুষকে বোকা বানাতে রেস্টুরেন্ট বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে হবে মদের দোকান, একটি ট্রেড লাইসেন্স দেখিয়ে এমই দাবি করেন গ্রামবাসীরা। এবং ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দারা মিছিল করে এসে দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাদের দাবি, দোকান মালিক পাশের জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে রেস্টুরেন্ট কাম বারের লাইসেন্স বানিয়েছে।এলাকায় মদের দোকান হলে পরিবেশ নষ্ট হবে, নারী নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে ধ্বংস হবে যুবসমাজ। ফলে তারা কোনভাবেই মদের দোকান হতে দেবেন না। ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পর বিক্ষোভে শামিল হন গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর । কোনভাবেই এখানে মদের দোকান হতে দেবেন না বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে মালিক পক্ষের দাবি, তাদের যেকোনো লাইসেন্স থাকতে পারে। কিন্তু এখানে রেস্টুরেন্টই তৈরি হবে।

জুন ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal