• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

College

কলকাতা

Hospital: ওয়ার্মারে ঝলসে গেল সদ্যোজাত শিশু!

শহরের হাসপাতালে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ। হাসপাতালে ওয়ার্মারে ঝলসে গেল ১০ দিনের শিশু! কাঠগড়ায় কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। লিখিত অভিযোগ পেলেই তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা নয়নতারা সর্দার। দিন সাতেক আগে বারুইপুর হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু শিশুটি সুস্থ ছিল না একেবারেই। ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জন্ডিস ধরা পড়ে। পরিবারের লোকেদের দাবি, বারুইপুর হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, জন্ডিসে আক্রান্ত একরত্তির চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। এরপর শিশুকে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। এসএনসিইউ বিভাগে ওয়ার্মারে শিশুটিকে রেখে ছিলেন চিকিৎসকরা।আরও পড়ুনঃ করোনা প্রতিরোধে নতুন দিশা, বাজারে আসছে ন্যাজাল স্প্রেপরিবারের লোকেদের অভিযোগ, এদিন দুপুরে যখন ছেলেকে দুধ খাওয়াতে যান নয়নতারা, তখন দেখেন, ওয়ার্মারে শিশুটির শরীরে ঝলসে লাল হয়ে গিয়েছে! সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত নার্সকে ঘটনাটি জানান তিনি। শেষপর্যন্ত তড়িঘড়ি ওয়ার্মারটি বদলে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে। যদিও গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাননি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরং তাঁদের দাবি,ওয়ার্মারে যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে শিশুটির শরীর তেতে গিয়েছিল, ঝলসে যায়নি। বস্তুত, ঘটনাটি নজরে পড়ার পর তড়িঘড়ি ওয়ার্মারটি বন্ধ করে শিশুটিকে সরিয়েও ফেলা হয়।

জুলাই ০৯, ২০২১
শিক্ষা

College Fee: কলেজের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ

কলেজের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন বর্ধমানের মহারাজাধিরাজ উদয়চাঁদ উমেন্স কলেজ-এর ছাত্রীরা। এদিন বর্ধমান শহরের রাজবাটি এলাকায় কলেজের সামনেই হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন সমস্ত বর্ষের ছাত্রীরা।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানের কোভিড ফিল্ড হাসপাতালের বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচিকলেজের অবস্থানকারী ছাত্রীরা জানান, কোভিডের কারণে গত ২ বছর ধরে কলেজ বন্ধ। লকডাউনের ফলে অনেকের বাড়িতেই আয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ পরিবারই এখন আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে কলেজের ফি বৃদ্ধির কোনও যৌক্তিকতা নেই। কলেজ বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ, জল বা অন্যান্য কোনও ক্ষেত্রেই খরচের কোনও প্রশ্নই নেই, তাহলে কেন হঠাৎ কলেজের ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিলম্বে ফি মকুব না করলে আরও বৃ্হত্তর আন্দোলনের পথে তাঁরা নামতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রীরা।আরও পড়ুনঃ ভুয়ো টিকা নিয়ে রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্রঅন্যদিকে কলেজের কর্মরত এক কর্মীর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই কলেজের ফি মকুবের বিষয়ে কথা হয়েছে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। দুঃস্থ ছাত্রীদের ৭৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে। যদিও শুধু দুঃস্থ ছাত্রীদেরই নয়, কলেজের সব ছাত্রীর জন্যই সমান নিয়ম লাগু করার পক্ষে সওয়াল করেন ছাত্রীরা। যদিও এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকেরা।

জুন ২৭, ২০২১
দেশ

দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান বিহারের কোভিড হাসপাতালের সুপারিটেন্ডেন্ট

দেশে প্রথমবার করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা আড়াই লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই কোভিড হাসপাতালে বেডের সংখ্যার অপ্রতুলতা কিংবা অক্সিজেনের অভাবের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বিহারের প্রথম কোভিড হাসপাতাল নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তীব্র অক্সিজেনের অভাব দেখা দেওয়ায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইলেন হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট।যেভাবে অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীরা ক্রমেই মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেন তা দেখে উদ্বিগ্ন সুপারিনটেন্ডেন্ট ড. বিনোদকুমার সিং। স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখ্য সচিবকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা অত্যন্ত গভীর। রোগীদের মরতে হচ্ছে। এরপর সরকার আমাকে দায়ী করবে।কয়েকদিন আগে এক রোগীর মৃত্যুর পরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের সংঘর্ষ বাঁধে। এক্ষেত্রেও অভিযোগের মূল কারণ অক্সিজেনের সরবরাহের অভাব।এই পরিস্থিতিতে সুপারিটেন্ডেন্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর হাসপাতালের অক্সিজেনের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পাটনা জেলা প্রশাসনের হাতে। ফলে নালন্দা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অক্সিজেন বহু সময়ই চলে যাচ্ছে অন্যান্য হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে যে অচিরেই রোগীমৃত্যু আরও বাড়বে বলে আশঙ্কিত তিনি। আর তাই তাঁর আরজি, তিনি আর হাসপাতালের সুপারিটেন্ডেন্টের দায়িত্বে থাকতে চান না।

এপ্রিল ১৮, ২০২১
রাজ্য

টিফিন, পানীয় জল, এমনকি কলমও 'শেয়ার' করা নিষেধ স্কুলে

ছাত্রীদের একসময়ে সব কিছু সকলে ভাগ করে নেওয়ার শিক্ষা দিয়েছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। শুক্রবার নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার দিনে ছাত্রীদের ভাগ করতে বারণ করার কথা তাঁর মূখেই শোনা গেল। করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ১১মাস বন্ধ থাকার পরে এদিনই প্রথম খুলল স্কুল। সকালে স্কুলে ঢোকার সময়ে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে সার দিয়ে দাঁড়াতে হলো ছাত্রীদের। প্রথমেই থার্মালগান দিয়ে তাপমাত্রা মাপা হলো, তারপরে হাত স্যানিটাইজার দিয়ে জীবানুমুক্ত করে তারপরেই ক্লাসরুমে ঢুকতে দেওয়া হলো হাওড়া যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীদের। এদিন সকালে স্কুলে আসা ছাত্রীদের করোনা বিধি মেনে চলার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি, নিজেদের মধ্যে টিফিন, পানীয় জল, এমনকি কলমও শেয়ার করতে বারণ করেন।এদিন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শুভ্রা চক্রবর্তী বলেন, ছোট বেলায় যাদেরকে সবকিছু ভাগ করে নেবার শিক্ষা দিয়েছিলাম, করোনা পরিস্থিতিতে এবারে সেটাই করতে তাদের বারন করতে হচ্ছে। ছাত্রীদের করোনা বিধি মেনে চলার কথা বলেছি। প্রতি বেঞ্চের দুই ধারে দুইজন ছাত্রী বসবে। এদিন প্রায় এক বছর পরে স্কুলে এসে যারপরনাই খুশি ছাত্রীরা।একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী রিয়া সাহানির কথায়, প্রায় এক বছর পরে আবার বন্ধুদের সাথে দেখা হচ্ছে। অনেক নতুন বন্ধু হয়েছে। খুব আনন্দ হচ্ছে। এদিন ধর্মঘটের মধ্যে স্কুলে আসা নিয়ে এক অবিভাবকের কথায়, ওরা তো অনেকদিন ধরেই গৃহবন্দী হয়ে রয়েছে। তাই বাংলা বনধে স্কুল খোলায় ওদেরকে আর থামানো যায়নি। বামফ্রন্টের ডাকা বন্ধ না মেনে তাই স্কুলে ছুটেছে পড়ুয়ারা। এদিনের বাংলা বনধে হাওড়ার জনজীবনে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া কোন প্রভাব পড়েনি। বাস ও ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। বন্ধ না মেনে পথে নামেন মানুষজন। হাওড়া স্টেশনে ট্যাক্সি পরিষেবাও প্রায় স্বাভাবিক ছিল।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
রাজ্য

বর্ধমানে মহিলা কলেজের অধ্যাপকের রহস্যমৃত্যু

বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল কলেজ অধ্যাপকের রক্তাক্ত মৃতদেহ। মৃতর নাম মহম্মদ আকবর হোসেনুর রহমান(৪০)। এই ঘটনার জানাজানি হতেই বুধবার সকাল থেকে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে বর্ধমানের কৃষ্ণপুর এলাকায়। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। অধ্যাপকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ পলাতক স্ত্রীর খোঁজ চালাচ্ছে।পুলিশ ও মৃতর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ আকবর হোসেনুর রহমান শহর বর্ধমানের উদয়চাঁদ মহিলা কলেজর ভূগোলের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর আদি বাড়ি বীরভূম জেলার মাড়গ্রাম থানার একডালায়।বর্তমানে তিনি বর্ধমানের কৃষ্ণপুর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে সস্ত্রীক থাকতেন। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই এদিন সকালে বর্ধমানে চলে আসেন আধ্যাপকের বাবা মুজিবর রহমান। তিনি এদিন জানিয়েছেন,গত জুলাই মাসে হোসেনুর রহমানের বিয়ে হয় সুহানা পারভীনের সঙ্গে। এটি তাঁর ছেলের দ্বিতীয় বিয়ে। মুজিবর বাবু বলেন, তাঁর বৌমা তাঁকে ফোন করে এদিন ভোরে বলে হোসেনুর খুব অসুস্থ পড়েছে। সেইজন্য তাঁকে তাড়াতাড়ি বর্ধমানে চলে আসতে বলে। এরপর থেকেই বৌমার ফোন সুইচড অফ হয়ে থাকে। মুজিবরবাবু জানান, তিনি বর্ধমানের কৃষ্ণপুরের বাড়িতে পৌ্ঁছে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ কারা রয়েছে। তারই মধ্যে পুলিশ চলে আসে । পুলিশের সঙ্গে তিনিও ঘরে ঢোকেন। তখন দেখতে পান ঘরের মেঝেতে তাঁর ছেলে হোসেনুরের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। তার মাথার পিছনের দিকে আঘাতের ক্ষত চিহ্নও রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কিভাবে ছেলের মৃত্যু হল এবং কেনই বা হোসেনুরকে ফেলে রেখে বৌমা সুহানা পারভীন গা ঢাকা দিল তার সবটাই রহস্যে মোড়া বলে মৃতর বাবা মন্তব্য করেছেন ।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২১
বিদেশ

এরাজ্যের ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার রাজশাহীতে

বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার ভারতীয় ছাত্রের মৃতদেহ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে।জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে রাজশাহীর বেসরকারি বারিন্দ মেডিক্যাল কলেজে উদ্ধার হয়েছে এক শিক্ষার্থীর দেহ। মৃত ইকবাল জাফর শরিফ (২৪) পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে কলেজের অধ্যক্ষ বিকে দাম জানান, করোনা মহামারির জন্য বেশ কয়েকদিন নিজের দেশেই ছিলেন ইকবাল। সম্প্রতি বাংলাদেশে ফিরেছিলেন তিনি। গত বুধবার তিনি রাজশাহীতে এসে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত হোস্টেলে ওঠেন। হোস্টেলে আগে প্রতি কক্ষে দুজন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকলেও এখন করোনার কারণে একজন করে রাখা হচ্ছে। ঘটনার দিন নিজের ঘরেই ছিলেন ইকবাল। সন্ধ্যাবেলা সিলিং ফ্যানে তাঁর দেহ ঝুলতে দেখেন অন্য শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে সঙ্গেই কর্তৃপক্ষ ও পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। তারপর দেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। প্রাথমিক ধারনা, আত্মহত্যাই করেছেন ওই পড়ুয়া। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের দাবি, বহুদিন ধরেই মানসিক রোগে ভুগছিলেন ওই ছাত্র। পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছিল যে ইকবালকে দুবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হয়েছিলেন।

জানুয়ারি ২৩, ২০২১
রাজ্য

মা-মাটি-মানুষের স্লোগান তোলাবাজি-ভাইপোরাজে বদলে গিয়েছে, তোপ অমিত শাহর

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে মেদিনীপুরে কলেজ মাঠের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অমিত শাহ। শুভেন্দুকে দলে টেনে এদিন তিনি বলেন, বাংলায় যেভাবে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলে যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে ভাইপো-কেন্দ্রিক রাজনীতি করছে তৃণমূল। অমিত শাহকে বলতে শোনা গেল, মমতার একসময়ের মা-মাটি-মানুষের স্লোগান এখন বদলে গিয়েছে তোলাবাজি-ভাইপোরাজে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, মমতা ১০ কোটি বাঙালির কথা ভাবেন না, শুধু ভাবেন, কখন কীভাবে ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করব। যদিও বিজেপি তাতে ভয় পায় না। বাংলার মানুষও ভয় পাবে না। আরও পড়ুন ঃ এবার গেরুয়া শিবিরের পথে হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে অমিত বলেন, আজ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন সাংসদ-সহ এক ঝাঁক বিধায়ক ও নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দিদি, ভোট আসতে আসতে তৃণমূলে আপনি শুধু একা থাকবেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও আইন-শৃঙ্খলা নেই। বিজেপির বাঙালি অবাঙালি সব কার্যকর্তাদের সম্মান করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, আপনাকে হারানোর কাজ বিজেপির বাঙালি কার্যকর্তারা করবেন। আর আপনাকে হারিয়ে যিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তিনিও এই মাটিরই মানুষ হবেন। অমিত শাহ বলেন, আপনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু উন্নয়ন হয়নি। দুর্নীতিমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু আমফানের টাকা তৃণমূলের পকেটে। করোনাকালে কেন্দ্রের দেওয়া জিনিস পাননি গরিবরা। হাইকোর্ট পর্যন্ত সিএজি তদন্তের কথা বলেছে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। দিদি, আপনার লজ্জা হওয়া উচিত। আপনি নিজেও উন্নয়ন করেন না, মোদিজিকেও করতে দেন না। ভাবেন, তাহলে মোদিজি বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি জানেন না, মোদিজি এমনিতেই বাংলার মানুষের মনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলার কৃষকদের সমস্যার সমাধান, বেকারদের সমস্যার সমাধান নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপিই করবে।এবার আমাদের ৫ বছর সুযোগ দিন, বাংলাকে সোনার বাংলা করব। বাংলার মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কমিউনিস্টকে ৩৪ বছর দিয়েছেন, মমতাকে ১০ বছর সময় দিয়েছেন। তিন দশক সুযোগ দিয়েছেন কংগ্রেসকেও। বাংলার মানুষকে আহ্বান করতে চাই, একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন। তিনি এদিন জানান, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে দুশোর বেশি আসনে জিতে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। তৃণমূলের শাসনকালে ৩০০-রও বেশি বিজেপি কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু এভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দলকে দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। বরং তারা আরও জ্বলে উঠবে। অমিত শাহ বলেন, কান খুলে শুনে নিন দিদি, বিধানসভা ভোটে দুশোর বেশি আসন পেয়ে বিজেপি বাংলায় আসবে। যে সোনার বাংলার প্রতিশ্রুতি দিয়েও পূরণ করতে পারেনি তৃণমূল, বিজেপি সরকার তা করে দেখাবে। কৃষক থেকে শ্রমিক, সব সমস্যার সমাধান হবে। বাংলায় বন্ধ হবে হিংসা।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
রাজনীতি

বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে শুভেন্দুর শ্লোগান ‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’

তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে নিজের মূল প্রতিপক্ষ বলে চিহ্নিত করে নাম না করেই গর্জে উঠলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর কলেজ মাঠের মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতার হুঙ্কার, তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। সমস্তরকম জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শনিবার শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেন। অমিত শাহ তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে বরণ করে নেন। অমিত শাহকে দাদা বলে সম্বোধন করে বললেন, আমার যখন কোভিড হয়েছিল, ২১ বছর ধরে যে দলে ছিলাম , সেই দলের কেউ খোঁজ নেননি। অমিতজি খোঁজ নিয়েছেন। তিনি বলেন, অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে ১০০টি মামলা হয়েছে। আপনাদের সকলকে আশ্বস্ত করছি, শুভেন্দু কারও উপর নজরদারি করবে না, মাতব্বরি করবে না। কর্মী হিসেবে কাজ করবে। পতাকা লাগাতে বললে, তাইই লাগাব। পার্টি যা নির্দেশ দেবে, সেটাই করব। আমি ছাত্র রাজনীতি করে এসেছি, সব কাজই গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করি। আমি সিঁড়ি দিয়ে উঠে এসেছি। আরও পড়ুন ঃ তৃণমূলের দলটা ভিতর থেকে পচে গিয়েছে, খোলা চিঠি শুভেন্দুর তিনি আরও বলেন, আমায় মুকুল রায় বলেছিলেন, আত্মসম্মানবোধ থাকলে তৃণমূলে থাকবি না। তুই বিজেপিতে চলে আয়। তাঁর কথা রাখতে পেরেছি। আত্মসম্মান আছে বলেই তৃণমূল ছেড়েছি। আজ যিনি আমাকে পৃথিবীর সবথেকে বড় পার্টি পরিবারে প্রাথমিক সদস্য হিসাবে গ্রহণ করলেন আমার বড় ভাই অমিত শাহ। বললেন বিজেপি বহুত্ববাদে বিশ্বাস করে। দেশের শান অমিতজি। ২০১৯ সালে নির্বাচনে জেতার পর যশস্বী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পূরণ করেছেন। ২০১৪ সালে নির্বাচনে দলকে উত্তরপ্রদেশে বিশাল জয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। অশোক রোডে পুরনো পার্টি অফিসের ছোট্ট ঘরে দর্শন দেন তিনি। সুযোগ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং। ভাইয়ের মতো ভালবাসেন আমায়। শুভেন্দু বলেন, আজকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পার্টিতে যোগ দিলাম। জাতীয়তাবাদ, বহুত্ববাদ, দেশপ্রেমে বিশ্বাস করে এই দল। বসুধৈব কুটুম্বকম, সর্বজন হিতায় সর্বজন সুখায় আদর্শ মেনে চলে। পাশাপাশি তাঁর দিতে ওঠা অনেক অভিযোগের জবাব দিলেন কড়া ভাবে। বলেন, অনেকে আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছে! অনেকে বলছেন মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি। আমার মা গায়ত্রী দেবী। আর দেশ আমার মা। আর কেউ আমার মা নয়। এবারও দ্বিতীয় হবেন মমতা, প্রথম হবে বিজেপিই। এবার বাংলায় বিজেপিরই সরকার হবে। মোদীর হাতে বাংলাকে না তুলে দিলে রাজ্যের সর্বনাশ হবে, এমন তোপ দাগেন শিশির পুত্র। তাঁর দাবি, মা বলতে হলে ভারতমাতাকে বলব, অন্য কাউকে নয়।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
কলকাতা

ডিসেম্বরেও খুলছে না কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ঃ পার্থ

আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে খুলছে না কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। রবিবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, এখনও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খুব একটা সন্তোষজনক নয়। সংক্রমণের ধারা বজায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও কয়েক গুণ বাড়তে পারে। তাই সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে এখনই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব নয়। পরিবর্তে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবেই খুলবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। আপাতত অনলাইন ক্লাসেই জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া স্নাতকে সেমেস্টার অনুযায়ী পরীক্ষাও অনলাইনে নেওয়ার কথাই বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আরও পড়ুন ঃ নির্বাচন কমিশনে অসত্য তথ্য দিয়েছেন অর্জুন সিংঃ শশী পাঁজা করোনা পরিস্থিতিতে স্নাতকের প্রথম বর্ষের ভরতি প্রক্রিয়াও অনলাইনেই হয়েছে। যেসব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও আসন খালি রয়েছে সেখানে পুনরায় ভর্তির জন্য পোর্টাল চালু করা হতে পারে। তবে কীভাবে সেই প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন হবে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। প্রসঙ্গত, করোনা আবহে বিগত সাড়ে সাত মাসের উপর বন্ধ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনেই চলছে পঠন-পাঠন। স্নাতক ও স্নাতোকত্তোরে পরীক্ষাও হয়েছে অনলাইনে।

নভেম্বর ২৯, ২০২০
রাজ্য

হাওড়ার কলেজে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা

অবিলম্বে সম্পুর্ন রেজাল্ট হাতে তুলে দেওয়া সহ একাধিক দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখালেন হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি এখনই রেজাল্ট না হাতে পেলে কিভাবে পরবর্তীতে তারা ভর্তি হবেন ? এদিন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিন কলেজের সামনে পড়ুয়ারা এবং অভিভাবকরা কলেজের গাফিলতির অভিযোগ তোলেন। থার্ড ইয়ারের স্টুডেন্টদের ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্টে ইতিহাসের নম্বর না দেওয়ায় কার্যত বিপাকে পড়েছেন এইসব পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ , কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার খাতার নম্বর না যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ইতিহাস অনার্সের পড়ুয়ারা। একটি বিষয়ে ফলাফল অসম্পূর্ণ থাকায় তাঁরা স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ালো হাওড়ার নরসিংহ দত্ত কলেজের সামনে। এই মাসের ১০ নভেম্বর এমএ-তে ভর্তির লাস্ট ডেট। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি স্টুডেন্টদের রেজাল্ট হাতে দিয়ে দেওয়া হবে। দুর্গাপূজার সপ্তমীর দিন রেজাল্ট আউট হয়। কিন্তু সেখানে ইতিহাসের নম্বর ছিল না বলে অভিযোগ। আরও পড়ুন ঃ অমিত শাহকে খাইয়েও মনের কথা বলা হল না বিভীষণ হাঁসদার এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষা সোমা বন্দোপাধ্যায় জানান , প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্যই নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়কে ফের নম্বর পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে। এই প্রসঙ্গে ছাত্রীরা জানান, আমাদের বলা হয়েছিল লক্ষ্মীপুজোর পরে আমাদের রেজাল্ট দিয়ে দেওয়া হবে, কিন্তু এখনও তা হয়নি। তাছাড়া পড়ুয়াদের আরো অভিযোগ , অন্যান্য বিষয়ে গড়ে নম্বর দেওয়া হয়েছে । যে ফার্স্ট ক্লাস পায় তাকেও কম নম্বর দিয়েছে। এছাড়াও দ্বিতীয় পত্রে কোনও নম্বর নেই। পড়ুয়ারা আরো বলেন, আমরা চাইছি এই মুহুর্তে আমাদের রেজাল্ট আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। আমাদের প্রাপ্য নম্বর দেওয়া হোক। দরকার পড়লে আমরা খাতা রিভিউ করব। প্রয়োজনে বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকেও জানাবেন তাঁরা।

নভেম্বর ০৫, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal