• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Murder

দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
রাজ্য

RG Kar কাণ্ডে তৃণমূলের দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ অভয়ার বাবার! উত্তাল রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডে ফের নয়া মোড়! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। টাকা দিয়ে রফা করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ!আরজি কর কাণ্ডে ফের নয়া মোড়! তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। টাকা দিয়ে রফা করতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ! আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীর বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করতেই কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে পালটা বোমা ফাটালেন নির্যাতিতার পরিবার।কী অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার? সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বলেন, আমাদের সঙ্গে উনি টাকা দিয়ে ব্যাপারটা মেটানোর চেষ্টা করেছিলেন। বাড়িতে আসেননি, তবে বলেছিলেন আপনাদের এত টাকা দিচ্ছি, ব্যাপারটা মিটিয়ে নিন। পাশাপাশি বেশ কিছু হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটও সাংবাদিকদের দেখান নির্যাতিতার বাবা। তিলোত্তমার মা-বাবা আরও অভিযোগ করেন, মাঝেমধ্যেই কুণাল ঘোষ তাঁদের ফোন ও মেসেজ করতেন। এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কুণাল ঘোষও। তাঁর কথায়, তিলোত্তমার বাবা বলছেন আমি নাকি ফোন করে রফার চেষ্টা করতাম! এতদিন পর এসব বলছেন? কত বড় মিথ্যা বলছেন ভেবে দেখুন। আমি অনুরোধ করছি, কোর্টে গিয়ে মাননীয় বিচারকের কাছে সব প্রমাণ দিন। সাংবাদিকদেরও প্রিন্ট আউট দিয়ে দিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সবটা দিয়ে দিন। সবাই দেখুক কুণাল ঘোষ কী লিখেছিলেন। অকারণে রহস্য বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না।কোনও ভাবেই মেয়ের ন্যায় বিচার ছিনিয়ে আনার যে অঙ্গীকার তা থেকে আমাদের পিছু হটানো যাবে না। তৃণমূল সরকার বারে বারে যাতে ন্যায় বিচার না পাই তার চেষ্টা করেছে। এবার এক সন্তানহারা বাবার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন তৃণমূলেরই মুখপাত্র। তবে মেয়ের ন্যায় বিচার ছিনিয়ে আনবই। কোনও শক্তি সেই ন্যায় বিচার ছিনিয়ে আনার লড়াই থেকে আমাদের বিরত করতে পারবে না। কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে লড়াই হবে আইনি পথেই। এভাবেই বছর পেরোলেও মনোবল অটূট রেখে লড়াই জারির বার্তা দিলেন আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা।আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের। বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে নির্যাতিতার বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই সংবাদমাধ্যমের সামনে আরজি করের নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ ছিল, CBI টাকা নিয়ে তদন্ত চেপে দিয়েছে। সিবিআইকে টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। কুণাল ঘোষ সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে বিষয়টা দেখাশোনা করেছেন। আরজি করের নির্যাতিতার বাবার এই মারাত্মক অভিযোগের ব্যাপারে আগেই কুণাল ঘোষ তাঁকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন তিনি।এর আগে গত সপ্তাহে নিহত চিকিৎসকের বাবাকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে ক্ষমা চাইতে বলেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, নিহত চিকিৎসকের বাবার প্রতি ম্পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে, তবে ইচ্ছেমতো বা অন্য কারও প্ররোচনায় মিথ্যে অভিযোগ করা যায় না। পাশাপাশি কুণাল ঘোষ সতর্ক করে বলেন,ক্ষমা না চাইলে আদালতে প্রমাণ হাজির করতে হবে। নোটিশ পাওয়ার পর চার দিনের সময়সীমা দিয়েছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র।কুণাল ঘোষ বলেন, তিনি মিথ্যে ও নাটকের সব সীমা অতিক্রম করেছেন। আমি বুঝি, মেয়েকে হারানোর যন্ত্রণায় থাকা এক বাবার বেদনা কতটা গভীর। কিন্তু তাই বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করলে প্রশ্ন উঠবেই। কার নির্দেশে বা কোন তথ্যের ভিত্তিতে এমন কথা বললেন? উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৯ অগস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ডিউটিতে থাকা ৩১ বছর বয়সি এক চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে সিবিআই তদন্তেও দোষী হিসাবে উঠে আসে সঞ্জয়ের নামই। শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয়।নিহত চিকিৎসকের বাবা সিবিআই তদন্তের কড়া সমালোচনা করে বলেন, সিবিআই শুধু কলকাতা পুলিশের সেই পুরনো তত্ত্বকেই প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে। আমরা শুরু থেকেই ভিন্ন দাবি জানালেও সিবিআই আমাদের বক্তব্য উপেক্ষা করেছে। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকার সিবিআইকে ঘুষ দিয়েছে এবং কুণাল ঘোষই এই সমঝোতা করিয়েছেন।

আগস্ট ২১, ২০২৫
রাজ্য

চায়ের দোকানে খুন, গ্রেফতার তৃণমূলের উপ-প্রধানের দুই ভাই

পূর্ব আক্রোশ বসত এক ব্যক্তিকে রড দিয়ে পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম মোহাম্মদ বাবলু (৪৫)। তাঁর বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার গিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতলাটোলা গ্রামে। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এদিন বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন বাবলু। আচমকাই কয়েকজন দুষ্কৃতী রড দিয়ে আঘাত করে। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জঙ্গি পুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। গত লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকার একটি বুথে তৃণমূল কম ভোট পায়, তা নিয়ে এলাকায় গন্ডগোল বাধে। সেই গন্ডগোলের জেরে এখনও অনেকেই বাড়ি ছাড়া। পূর্বের আক্রোশ বসে এই হামলা বলে দাবি করা হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে কংগ্রেস বেশি ভোট পাওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের কিছু মাস্তান তাদের ধমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। খুনের ঘটনায় উপপ্রধানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। বাবলু শেখের খুনের ঘটনায় পুলিস উপপ্রধান কারু শেখের দুই ভাই তানজিল শেখ ও আসগার শেখ ওরফে হারু শেখকে গ্রেপ্তার করে। দুইজনকে এদিন ১০ দিনের পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।

জুন ১০, ২০২৫
রাজ্য

খুন করে টুকরো টুকরো দেহ বালি, সিমেন্টে ঢালাই, গ্রেফতার কাকিমা

এ যেন বলিউডের সেই বিখ্যাত হান্ডেড ডেজ সিনেমা। ১৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর একটি নির্মীয়মান বাড়ির ঢালাই সিমেন্টের মেঝে খুঁড়ে এক ঠিকাদারের টুকরো করা দেহ উদ্ধার করলো পুলিশ। কাকিমার সঙ্গে ওই ঠিকাদারের পরকীয়া সম্পর্কের জের এবং মোটা টাকার লেনদেনকে ঘিরেই এই খুনের ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ। চাঁচল মহকুমার পুখুরিয়া থানার কোকলামারি এলাকার বাসিন্দা ওই ঠিকাদার সাদ্দাম নাদাপ (৩৬)। তার কাকিমা মৌমিতা হাসানের বাড়ি ইংরেজবাজার শহরের কৃষ্ণপল্লী বাপুজী কলোনি এলাকায়। মৌমিতার স্বামী রহমান নাদাপ, তিনি পেশায় সরকারি স্কুলের শিক্ষক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের বাপুজি কলোনি এলাকার কাকিমা মৌমিতা হাসানের বাড়ির নিচতলা ভাড়া নিয়ে অফিস করেছিল ভাইপো সাদ্দাম। লেবার সরবরাহের পাশাপাশি জমি জায়গার বেচা কেনার সঙ্গে যুক্ত ছিল সাদ্দাম নাদাল। গত ১৮ মে ইংরেজবাজার শহরের বাপুজী কলোনি এলাকার অফিস থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময় রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় সাদ্দাম। সেই সময় তার কাছে ছিল ব্যবসার ২৫ লক্ষ টাকা। এই বিষয়ে ইংরেজবাজার থানায় পুখুরিয়া থেকে এসে তার পরিবারের লোকেরা নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরবর্তীতে সাদ্দামের কাকিমাকে সন্দেহ করে নির্দিষ্ট নাম দিয়ে ২৩ মে আবারপ অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী নাসরিন খাতুন। এরপরই পুলিশ রবিবার সাদ্দামের কাকিমা মৌমিতাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি জেরায় মৌমিতা স্বীকার করে তার বাবার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে নিয়ে গিয়ে ভাইপোকে সুপারি কিলারের সাহায্যে খুন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন এলাকায় মৌমিতার বাবার বাড়ি। সেখানেই তাদের একটি বাড়ি তৈরি হচ্ছে। সেই বাড়িতেই গত ১৮ মে সাদ্দামকে প্রলোভন দিয়ে নিয়ে আসে তার কাকিমা মৌমিতা। সাদ্দামের সঙ্গে তার কাকিমার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল গত পাঁচ বছর ধরে। এরপরই সেখানে সুপারি কিলারের সাহায্য নিয়ে খাসি কাটার মতো সাদ্দামের দেহ টুকরো করা হয়। সেই দেহের অংশ নির্মীয়মান বাড়ির মেঝেতে পুঁতে দিয়ে রীতিমতো বালি সিমেন্টের ঢালাই করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পিছনে তিন থেকে চারজন দুষ্কৃতীর সাহায্য নিয়েছে ধৃত ওই মহিলা। সোমবার তপন এলাকা থেকেই মৃত ওই ঠিকাদারের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মোটা টাকার লেনদেনকে কেন্দ্র করেই কাকিমার সঙ্গে গোলমাল চলছিল ভাইপো সাদ্দামের। তার জেরে এই খুনের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। এদিকে আদালতে যাওয়ার পথে ধৃত মৌমিতা হাসান জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে তাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল। তার স্বামী ও নাবালক সন্তানকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পথের কাঁটা দূর করতে তিনি এভাবে খুন করেছে।

জুন ০৩, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মালদায় ফের শুট আউট, লিচুবাগানে গুলিবিদ্ধ যুবক

গুলিকাণ্ড থামছেই না মালদায়। ফের শুট আউট। লিচুবাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ যুবক উদ্ধার। কালিয়াচক থানার মোজমপুর এলাকার ঘটনা। করিম খান নামে ওই যুবক বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির পাশেই লিচু বাগান জোগাচ্ছিল ওই যুবক। গতকাল রাত দশটা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা খবর পান করিম খানকে কেউ বা কারা গুলি করেছে। এরপর পরিবারের সদস্যরা লিচু বাগানে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় নীচে পড়ে রয়েছে করিম। এরপরই তাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে কে বা কারা করিম শেখকে গুলি মেরেছে কিছুই বুঝতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন কালিয়াচকের মজমপুর কয়েক মাস ধরে শান্ত ছিল। কিন্তু নতুন করে আবার উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। এর আগে মালদার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাবলা সরকারকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে খুন করেছিল।

মে ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বুথ কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে খুন, ৬ জনের যাবজ্জীবনের নির্দেশ

ভোট গ্রহন কেন্দ্রে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ৬ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন করাদন্ডের নির্দেশ দিলেন লালবাগ আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা বিচারক জিতেন্দ্র গুপ্তা। এছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস জেল। শুক্রবার বিচারকের এই রায় শুনে আদালত চত্ত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন আসামী পক্ষের লোকজন। এই ব্যাপারে সরকারি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক ফিটু বলেন, এই কেসে মোট ১৯ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। এছাড়া অন্যান্য তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ৩০২ ধারায় খুন ও ৩৪ ধারায় সম্মিলিত কার্যকলাপের অভিযোগে দোষীদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন আবুল কালাম ওরফে টিয়ারুল শেখ।নতুন ভোটার দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে রানিতলা থানার অনুপনগরের বাসিন্দা টিয়ারুল সকাল সকাল বালিপাড়া সরকার পাড়া ১৮৮ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। অভিযোগ ভোটের লাইনে দাঁড়াতেই তৃণমূল কর্মী লালু শেখ, বিয়ারুল শেখ, মাসু শেখ, কামারুন শেখ, তাহজুল শেখ এবং আবু হেনা বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতে থাকে টিয়ারুল ও তার পরিবারকে। এর প্রতিবাদ করলে ভোটের লাইন থেকে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। তার পরেই তাঁকে ভারি সজনে গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক ভাবে পেটান তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাহিনী। এই অবস্থায় বাবাকে বাঁচাতে ছুটে যায় তার ছেলে মাহাতাব। ততক্ষণে বুথের কংক্রিটের দেওয়ালে চেপে ধরে এলোপাতাড়ি ধারল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় ওই কংগ্রেস কর্মীকে। রক্তাক্ত টিয়ারুল বাড়ির দিকে ছুটতে থাকে এক সময় পেট চিরে নাড়ি ভুড়ি বেরিয়ে গেলে ছেলে মাহাতাব তাকে উদ্ধার করে নসিপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। জখমের অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে লালবাগ হাসপাতালে পাঠানো হয়, কিন্তু রাস্তায় টিয়ারুলের মৃত্যু হয়। এর আগে ওই বুথে তৃণমূল কংগ্রেস ছাপ্পা ভোট করছিল বলে অভিযোগ তোলে বাম-কংগ্রেস জোট। সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল বুথে। সেক্টর আধিকারিক বুথে পৌঁছালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্ত কিছুক্ষণ পরেই আবার উত্তেজনা শুরু হয়। আর তাতেই খুন হতে হয় কংগ্রেস কর্মী টিয়ারুল শেখকে। মৃতের দাদা আইজুদ্দিন শেখ বলেন, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সক্রিয় হলে ভাইকে এই ভাবে দফায় দফায় আঘাত করে খুন করতে পারত না তৃণমূলের গুণ্ডা বাহিনী। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। অবশ্য তাদের মধ্যে ৫ জন জামিনে মুক্ত হলেও এতদিন জেল হেফাজতে ছিল লালু শেখ। এই খুনের ঘটনায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসার গদাধর ঘোষাল ও সাব-ইন্সপেক্টর সাহাবুদ্দিন আদালতে প্রায় ৪৭০ পাতার চার্জশিট জমা করেন। এদিনের আদালতের রায় শুনে মৃতের পুত্র মাহাতাব শেখ বলেন, আদালতের প্রতি আমার বিশ্বাস ছিল। আদালতের এই রায় শোনার অপেক্ষায় ছিলাম। এদিকে আসামী পক্ষেরআইনজীবী সাহানা পারভিন বলেন, আমার মক্কেলদের ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আমরা উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

মে ২৪, ২০২৫
রাজ্য

শেষমেষ পুলিশের জালে মালদার তৃণমূল নেতা খুনের মাস্টামাইন্ড

প্রায় চার মাস অতিক্রান্ত। শেষমেশ পুলিশের জালে মালদার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা বাবলা সরকার খুনের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড।বৃহস্পতিবার কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহানকে বিহারের কাটিহার থেকে গ্রেফতার করে মালদা পুলিশ। বিহারের পুলিশ ও গোয়েন্দা অফিসারদের সহযোগিতা নিয়েই বাবলা সরকার খুনের মূল চক্রীকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার মালদা নিয়ে আসা হয়। এদিন ধৃতকে মালদা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় আরও এক অভিযুক্ত বাবলু যাদবকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কৃষ্ণ এবং বাবলুর বিরুদ্ধে বাবলা সরকার খুনের ঘটনায় ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল মালদা জেলা পুলিশ।এদিকে বাবলা সরকার খুনের মাস্টারমাইন্ড কৃষ্ণ রজক গ্রেফতার হতেই ফের নতুন করে বড়মাথার তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। নিহত বাবলা সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকার বলেন, পুলিশ ভালো কাজ করেছে। ধৃত কৃষ্ণ রজক গ্রেফতার হওয়ার পর এতদিন যারা আড়ালে অথবা অন্তরালে রয়ে গিয়েছে, তাদের নাম হয়তো উঠে আসতে পারে। মালদার একজন জনপ্রিয় নেতাকে তার এলাকায় ঢুকে দিনের আলোতেই এলোপাথাড়ি গুলিতে খুন করছে দুষ্কৃতীরা। এত বড় সাহস হয় কি করে? অবশ্যই এর পিছনে বড় কারও প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি বাবলা সরকার নিজের এলাকা মহানন্দাপল্লিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন। একটি মোটর বাইকের করে আসা চারজন দুষ্কৃতী তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারের গাড়ি ধাওয়া করেই মহানন্দাপল্লীতে এসে তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। এই ঘটনার পর ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং একদা সিপিএমের নেতা স্বপন শর্মা, বিহারের তিন পেশাদার খুনিসহ মোট আটজন গ্রেফতার হয়েছিল। কৃষ্ণ রজক গ্রেফতারের পর সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো মোট ৯ জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কৃষ্ণ রজকের বাড়ি ২২ নম্বর ওয়ার্ডের রেল কলোনি এলাকায়। পেশায় গোয়ালা কৃষ্ণ রজক মানুষের বাড়ি বাড়ি গরুর দুধ সরবরাহ করত। একটা সময় গরুর দুধ সরবরাহের কাজ বন্ধ করে জমি জায়গার ব্যবসায় নেমে পড়েছিল অভিযুক্ত কৃষ্ণ রজক। কোনও কারণবশত বাবলা সরকারের সঙ্গে অভিযুক্তের জমি জায়গার টাকা পয়সা হিসাব নিয়ে গোলমাল হয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা পুলিশের। পাশাপাশি গরুর দুধ বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করার ক্ষেত্রেও পরিচয় হয়েছিল ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মার সঙ্গে কৃষ্ণ রজকের। বাবলা সরকার খুনের ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে এই কৃষ্ণ রজকের সঙ্গে ধৃত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি এবং স্বপন শর্মার ফোনে একাধিকবার কথা হয়েছে। তাদের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল, সিসিটিভি ফুটেছে সেই তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় যে ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছিল, মূলত সেই টাকা এই কৃষ্ণ রজক এবং আরেক অভিযুক্ত বাবলু যাদবের হাত দিয়েই সরবরাহ করা হয়। এত মোটা অংকের টাকা কোথায় পেয়েছিল তারা। সেটি নিয়েও এখন উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে জেলা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বাবলা সরকার খুনের ঘটনার পর কৃষ্ণ রজক এবং বাবলু যাদবের গ্রেফতারের জন্য দুই লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। কৃষ্ণ রজক গ্রেফতার হলেও এখনপ গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে বাবলু যাদব। মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, বিহারের কাটিহার থেকে বাবলা সরকার খুনের মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণ রজককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি বাবলু যাদবের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

এপ্রিল ২৫, ২০২৫
কলকাতা

সল্টলেকে বিশ্বখ্যাত খেলোয়াড়ের বাড়িতে খুন, গ্রেফতার এক

বিশ্ববরেন্য ফুটবলার পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঘটে গেল খুনের ঘটনা। প্রয়াত খ্যাতনামা এই ফুটবল কোচের পরিবারের দুই পরিচারকের মধ্যে ঝগড়া বিতন্ডা থেকেই ঘটে যায় খুন। এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মদের আসরে খুন হয়েছে বলে খবর। রান্না ঘরের ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপ। দুই পরিচারকের মধ্যে বচসা। আর তার ছেড়েই খুন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করল বিধান নগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। প্রাক্তন ফুটবলার PK ব্যানার্জীর বাড়িতই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকে জিডি ব্লকের ২৭৩ নম্বর বাড়িতে মদের আসর বসে। সেখানেই দুই পরিচারকের মধ্যে ঝামেলা হয়। ঝামেলা চলাকালীন বরুন ঘোষ রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে গোপীনাথ মুহুরিকে। বিধান নগর মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এর পরে খবর যায় বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বরুণ ঘোষকে গ্রেফতার করে। তবে কি কারণে এই ঝামেলা, সেই বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

মার্চ ১৫, ২০২৫
কলকাতা

আরজি কর কাণ্ডে স্ট্যাটাস রিপোর্ট CBI-এর, কি আছে রিপোর্টে

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিল CBI। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জমা দেওয়া সেই স্ট্যাটাস রিপোর্টে আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত স্পষ্ট। আরজি করের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করছে সিবিআই। স্ট্যাটাস রিপোর্টেও এই আশঙ্কার উল্লেখ রয়েছে। এদিকে, আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচার চেয়ে দিল্লিতে সিবিআই অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা-মা।আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত এখনও জারি রয়েছে। আগামী ১৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগে শিয়ালদহ আদালতে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে আরজি করের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত স্পষ্ট। এক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত এখনও চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। এ ব্যাপারে দ্রুত চার্জশিট পেশ করা হবে বলেও তারা জানিয়েছে। তবে টালা থানার প্রাক্তন ওসি-র মোবাইল ফোনের সিম এখনই ফেরত দেওয়া যাবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে সিবিআই। সেক্ষেত্রে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের সেই আশঙ্কাকে মান্যতা দিয়েছে আদালত।এদিকে আরজি করের নির্যাতিতা তরুণীর বাবা-মা ন্যায়বিচারের দাবিতে দিল্লিতে সিবিআই অধিকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন। আরজি করের তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫
কলকাতা

ট্যাংরার তিন মহিলা কি পরিকল্পিত খুনের শিকার? কেন এমন কাণ্ড?

আত্মহত্যা না খুন? ট্যাংরার বাড়ি থেকে তিন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের পর এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দেহ ক্রমশ বাড়ছিল ৷ খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর সেই সন্দেহ আরও ঘণীভূত হয়। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর দেখা গেল সেই সন্দেহই কার্যত সত্যি হল৷ খুনই করা হয়েছে ট্যাংরার রোমি দে, সুদেষ্ণা দে ও এক নাবালিকাকে ৷বুধবার ট্যাংরা থানা এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে তিন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ সেই তিনজন রোমি-সুদেষ্ণা ও এক নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত হয় বৃহস্পতিবার ৷ সেখানে ওই নাবালিকার শরীরে বিষ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান (জয়েন্ট সিপি-ক্রাইম) রূপেশ কুমার ৷ তিনি বলেন, ওই নাবালিকার শরীরে বিষ মিলেছে ।কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী রোমির দুই হাতের কবজির শিরা কাটা ছিল ৷ তাঁর গলা বাঁদিক থেকে ডানদিকে কাটা হয় ৷ রোমির হাতের শিরা যখন কাটা হয়, তখন তিনি বেঁচেছিলেন ৷ সুদেষ্ণাকেও একইভাবে হত্যা করা হয় ৷ অন্যদিকে নিহত নাবালিকার বুক, দুই পা, ঠোঁট-সহ বিভিন্ন অংশে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ পাকস্থলিতেও রক্তক্ষরণের প্রমাণ মিলেছে ৷ এছাড়া পাকস্থলিতে সামান্য পরিমাণে আংশিকভাবে হজম হওয়া খাবার, হলুদ ও সাদা দানাজাতীয় পদার্থ মিলেছে। যার গন্ধ অনেকটা ওষুধের মতো ৷ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ফরেনসিক তদন্তেও একাধিক তথ্য উঠে এসেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাড়ি থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার হয়েছে ৷ বেসিনে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে ৷ ফলে তদন্তকারীদের ধারনা, অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় ৷ তার পর রক্তমাখা জামাকাপড় বাড়িতে রেখে সাফসুতরো হয়ে বেরিয়ে যান৷এক্ষেত্রে মূল প্রশ্ন হল, খুন কে করল? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷ সন্দেহের তির প্রাথমিকভাবে দুই ভাই প্রণয় দে ও প্রসূন দের ওপর৷ কারণ, আত্মহত্যার যে তত্ত্ব বুধবার পুলিশকে দিয়েছিলেন এই দুই ভাই, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অনেকটাই ভুল বলেই তদন্তকারীরা মনে করছে৷বৃহস্পতিবার ওই পরিবারের গাড়ির চালক কৈলাস দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ৷ তার পরই তদন্তকারীদের ধারণা, পুরো ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পিত৷ কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের কৈলাস কী জানিয়েছেন? পুলিশ সূত্রে খবর, কৈলাস সোমবার শেষবার ডিউটিতে এসেছিলেন ৷ সকালে বাচ্চাদের স্কুলে ছেড়ে আসেন। পরে সন্ধ্যায় টিউশনে ছেড়ে আসতে যান তিনি। পরে তিনি বাড়ি চলে আসেন।মঙ্গলবার তাঁকে আসতে বারণ করা হয়, পুলিশকে জানিয়েছে কৈলাস৷ কৈলাস সাড়ে ১৫হাজার টাকা বেতন পেতেন ৷ সেই টাকা পেতেও এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি ৷ এছাড়া দে পরিবারের কারখানার কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলে আর্থিক অনটনের বিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি ৷ ফলে ঋণের যে বিষয়টি বুধবার সামনে এসেছিল, সেটাও সঠিক নয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷এর আগে ট্যাংরায় এই তিনজনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ। মৃত গৃহবধূ সুদেষ্ণা দে-র বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তার ভিত্তিতেই অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিনভর পাওনাদাররা ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খোলেনি বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীর? এখানেই বড় প্রশ্ন, তাহলে মহিলাদের মৃত্যু কি আরও আগেই হয়েছে? রহস্য ক্রমশ বাড়ছে।কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছিলেন, সুইসাইড নোট কিছু আমরা পাইনি। আসলে কারণ কী, কেন মারা গেছে, সেটা পোস্টমর্টেম থেকে বোঝা যাবে। ভিসেরার কেমিক্যাল পরীক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। ৩জন মহিলা মারা গেলেন! তিনজন পুরুষ এখনও বেঁচে! এটাও বড় রহস্য।মৃত গৃহবধূ সুদেষ্ণা দে-র বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তার ভিত্তিতেই অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ব্য়বসায়ে ক্ষতির ফলেই এমন ঘটনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে? খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
কলকাতা

খাস কলকাতায় ভয়াবহ কাণ্ড, ট্যাংরায় একই পরিবারের তিন মহিলার রহস্যমৃত্যু

সাতসকালেই খাস কলকাতায়, ভয়ঙ্কর ঘটনা, তুমুল চাঞ্চল্য। ট্যাংরায় একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু। পথ দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে মিলল এই তিন মহিলার মৃতদেহের খোঁজ। দুর্ঘটনায় তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন ভোরে একটি গাড়ি রুবি হাসপাতালের মোড় থেকে অভিষিক্তার মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি ইএম বাইপাসের উপর কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশনের পিলারে ধাক্কা মারে। ঘটনার তদন্তে নেমে ট্যাংরার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিন মহিলার নিথর দেহ। আদৌ দুর্ঘটনা না আত্মহত্যার চেষ্টা তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়িতে কোনও ঘটনা ঘটিয়ে তাঁরা গাড়িতে বাইরে বেরিয়ে ছিল কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে।পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে মৃত্যু? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদের হাতের শিরাকাটা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটে ঘর থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তিন জনের মধ্যে একজনের স্বামী দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তিনজনই আত্মঘাতী হয়েছেন। আত্মহত্যা না খুন, সব দিকটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ জোগার করা হচ্ছে। তদন্ত নিয়ে মুখে না খুললেও পুলিশের দৃঢ়় ধারনা ওই পরিবারের নিজেদের মধ্যে বড় কোনও সমস্যা আছে।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
রাজ্য

মোহন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ অভয়ার পরিবারের, দোষীদের শাস্তির দাবিতে লড়াই জারি

আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করলেন আর জি কর মেডিকেল কলেজের মৃত ছাত্রীর বাবা মা। নিউটাউনের একটি অতিথি নিবাসে তাঁদের মধ্যে প্রায় দেড় ঘন্টা আলোচনা হয়। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সিবিআই ঠিকভাবে তদন্ত করছে না বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলেও ইচ্ছা প্রকাশ করেন নির্যাতিতার পরিবার। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করে অভয়ার পরিবার। তাঁরা চাইছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। এবার সেই নির্যাতিতার পরিবার দেখা করলেন আরএসএস প্রধানের সঙ্গে। আজ দীর্ঘ দেড় ঘন্টা ধরে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেন মোহন ভাগবত।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের জন্মদিনে পথে নামার ডাক আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের

আরজি করের কাণ্ডের বিচারের দাবিতে ফের পথে নামতে চলেছে তাঁর বাবা-মা। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন অভয়ার। ওই দিন পথে নেমে বিচারের দাবি জানাবেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা সকলকে ৯ ফেব্রুয়ারি পথে নামার আবেদন জানিয়েছেন। অভয়ার বাবা - মা স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা বিচার ছিনিয়ে আনবেন। সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। এদিকে আরজি কর মামলায় নির্যাতিতার পরিবারকে নয়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পরেই হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। এদিন মামলার শুনানিতে নির্যাতিতার পরিবারকে এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে এই শুনানিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
রাজনীতি

ফের বাংলায় শুট আউট, নৈহাটিতে গুলিতে ঝাঁঝরা ত়ৃণমূল কংগ্রেস কর্মী

এবার শুট আউটের ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনর নৈহাটি। ফের গুলিতে ঝাঁঝরা সক্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এর আগে মালদায় পর পর একাধিকবার শুট আউট হয়েছে। তার মধ্যে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা থেকে দলের কর্মীও নিহত হয়েছেন।ফের বাংলায় শুট আউট। নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদবকে গৌরীপুরে ৪ রাউন্ড গুলি করেছে দুষ্কৃতীরা। বিজেপি তাঁকে খুন করেছে। এর পিছনে রয়েছে ব্য়ারাকপুরের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সন্তোষ আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। এই ঘটনার পর নৈহাটির সিং ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। এমনকী আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন আসে। এই সিং ভবনে বসতেন অর্জুন সিং। যদিও অর্জুন সিং ঘটনার দায় স্বীকার করেননি। বরং বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রসের অন্তর্কলহের বলি সন্তোষ যাদব।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫
রাজ্য

মালদায় ফের খুন , এবার ন্যায্য ভাড়া চাওয়াই কাল হল টোটো চালকের

দুই তৃণমূল নেতা ও কর্মী খুনের পর ফের মালদায় খুন। এবার সামান্য টোটো ভাড়া নিয়ে গন্ডগোলের জেরে মানুষের প্রাণ গেল। একজন পুলিশ ফাঁড়ির অদূরেই টোটো চালককে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ কয়েকজন মদপ্যদের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার থানার বেলবাড়ি ঘাট এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় তদন্তে পৌঁছায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত টোটো চালকের নাম কাজল ঘোষ(৫২)। তাঁর বাড়ি রামকেলির বারোদুয়ারি এলাকায়। এদিন রাতে বেলবাড়ি ঘাট শ্মশানে কাজল ঘোষ তার টোটো করে যাত্রী ভাড়া নিয়ে যায়। অভিযোগ যাত্রী নামানোর পর টোটো ভাড়া চাওয়াই হল তার কাল। ভাড়া দিতে অস্বীকার করা নিয়ে গন্ডগোল বাঁধে মদ্যপ অবস্থায় থাকা টোটো যাত্রী শ্যামল মন্ডল ও বিমল মন্ডলের সাথে। অভিযোগ, ঠিক সেই সময় তারা দুজন ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপ মারে ওই টোটো চালককে। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে পথেই মৃত্যু হয় কাজল ঘোষের। এই ঘটনায় শ্যামল মন্ডল, বিমল মন্ডল সহ বেশ কয়েকজনের নামে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতের এক ভাই উজ্জ্বল ঘোষ জানিয়েছেন, এলাকারই একটি শ্মশানে জোর করে অভিযুক্তরা আমার দাদাকে টোটো চালিয়ে নিয়ে যেতে বলে। মদ্য়প ছিল ওরা সেইজন্য আমার দাদা টোটো নিয়ে যেতে চাইছিল না। কিন্তু অভিযুক্ত দুইজন কলার ধরে জোর করিয়ে দাদাকে নিয়ে যায়। বারোদুয়ারি থেকে বেলবাড়ি শশান ঘাটের দূরত্ব অনেকটাই। দুইজনের ভাড়া ১০০ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু সেই টাকা দিতে ওরা অস্বীকার করে। ভাড়া চাওয়ার জন্য দাদাকে ওরা অতর্কিতে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। এই ঘটনায় ইংরেজবাজার থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার শহরের মহানন্দাপল্লি এলাকায় তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকার খুন হয়েছিলেন। তারপর মালদার কালিয়াচকে আরও এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়। এরপর এদিন রাতে ইংরেজবাজারের আবারো এই টোটো চালকের খুনের ঘটনায় জেলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

জানুয়ারি ২৩, ২০২৫
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ফের প্রতিবাদ মিছিল অভয়া মঞ্চের

অবশেষে আরজি কর মামলার সাজা ঘোষণা করল শিয়ালদহ আদালত। আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। এদিন ফের দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজার সওয়াল করেছিলেন সিবিআই আইনজীবী। অন্যদিকে, সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী তার মক্কেলকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। আরজি কর কাণ্ডে গত শনিবার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শিয়ালদহ আদালত।সোমবার নির্ধারিত সময়ে সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদহ আদালতে আনা হয়। প্রথমে সঞ্জয় নিজের বক্তব্যে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। শুধু তাই নয়, মেডিকেল না করেই কেন্দ্রীয় সংস্থা তাকে হেফাজতে নিয়েছিল বলেও দাবি করে সঞ্জয়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলে সঞ্জয় রায়। তখন বিচারক জানিয়ে দিয়েছিল বিকেল ২.৪৫ রায় ঘোষণা হবে। ঠিক ঘোষিত সময়ে আরজি কর কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। সঞ্জয় রায়কে আজীবন কারবাসের নির্দেশ দেন বিচারক অনির্বান দাস।এদিন বিচারক আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। সাজা ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালতের তিনতলার বারান্দা থেকে আইনজীবীরা চিৎকার করে জানিয়ে দেন সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন রায়ের পর অভয়া মঞ্চ শিয়ালদাহ থেকে মৌলালি পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন। উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান চলতে থাকে। এই রায় নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অভয়ার পরিবার, চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের বড় অংশ।

জানুয়ারি ২০, ২০২৫
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডে একা সঞ্জয় রায়ই দোষী সাব্যস্ত, সাজা ঘোষণা সোমবার

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হালপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। রায় শোনাল শিয়ালদা কোর্টের বিচারক অনির্বান দাস। আগামী সোমবারই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদা আদালতের বিচারক। বিএনএসের ৬৪,৬৬,১০৩/১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয়কে। ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে। কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার পর ৫ মাস ৯ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করল শিয়ালদা আদালত। নিহত তরুণী চিকিৎসকের সুবিচারের আশায় গর্জে উঠেছে রাজপথ। দেশ থেকে বিদেশ সর্বত্র আছড়ে পড়েছিল প্রতিবাদের ঢেউ। অবশেষে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। বিএনএসের তিনটি ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদা আদালত। তবে এখনও যে মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের উত্তর অধরা রয়ে গিয়েছে তা রায় ঘোষণার আগেই স্পষ্ট জানিয়েছেন মৃতার বাবা-মা। অবশেষে শনিবার ১২ মিনিটেই সিবিআই তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদা আদালতের বিচারপতি। ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট আরজি করে নারকীয় হত্যাকাণ্ড! কী কারণে খুন? খুনের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে দেশ জুড়ে বেনজির প্রতিবাদ চলতে থাকে। আদালতের নির্দেশে তদন্ত হাতে নেয় সিবিআই। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট তারপর সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার বাআব্রু পরিস্থিতি ধরা পড়ে। তরুণী চিকিৎসক খুন-ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। যদিও এদিনও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সঞ্জয় রায় বলেন, আমি নির্দোষ, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আরও কিছু বলার চেষ্টা করলে বিচারপতি দাস বলেন, আপনার সব বক্তব্য সোমবার শোনা হবে। গত ১১ নভেম্বর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। তার পর কেটে গিয়েছে দুমাস। অবশেষে আজ শনিবার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করলেন শিয়ালদা কোর্টের বিচারপতি অনির্বান দাস। দোষী সাব্যস্ত হলেন সঞ্জয় রায়। সাজা ঘোষণা আগামী সোমবার।

জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
রাজ্য

কালিয়াচকের তৃণমূল কর্মী খুনের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার, এদিনই মালদায় গিয়েছিলেন ডিজি

মালদায় এসেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। শুক্রবার তিনি নিহত বাবলা সরকারের স্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তার আগে পুলিশ সুপারের অফিসে উত্তরবঙ্গের আইজি, ডিআইজি সহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজীব কুমার। অবশেষে এদিন বিকেলেই জানা গিয়েছে, মালদার কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত জাকির শেখ। তৃণমূল কর্মী খুনের তিন দিন পর এদিন সন্ধ্যায় কাশিমনগরের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী জাকির শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মী আতাউল হককে খুন এবং দলের দুই নেতার ওপর গুলি করে মাথা থেঁতলে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোমিনপাড়া নয়াবস্তি এলাকায় সাতসকালে খুন হন তৃণমূল কর্মী আতাউল হক (৫০)। এই ঘটনার সময় নওদা যদুপুর তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি বকুল শেখ এবং সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের নির্বাচিত শাসকদলের সদস্য এসারুদ্দিন শেখের ওপর হামলা চালানো হয়। আহত দুই তৃণমূল নেতা এখনও চিকিৎসাধীন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আমির হামজা নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই ওই খুন এবং হামলার মূল ষড়যন্ত্রী জাকির শেখকে ধরতে ড্রোন উড়িয়ে এবং পুলিশ কুকুর দিয়েও চলে তল্লাশি অভিযান। গ্রেফতার হয় জাকির শেখ। পুলিশ জানিয়েছে, কাশিমনগরের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী জাকির শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামিকাল, শনিবার মালদা আদালতে জাকিরক পেশ করা হবে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমানে দুই সন্তানের সামনে নৃশংস খুন স্ত্রীকে, তারপর মেঝেতে পুঁতে........ এ কেমন গৃহকর্তা?

দুই সন্তানের সামনে নৃশংস খুন স্ত্রীকে, মেঝেতে পুঁতে শুয়ে পড়ল বাবাএ কেমন বাবা? এ কোন স্বামী? কি এমন হল এমন ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটলেন বর্ধমানের আউশগ্রামের যদুগড়িয়া গ্রামের সোম হাঁসদা। অভিযোগ, দুই শিশু কন্যার সামনে মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে দিয়েছে বাবা। শুধু তাই নয় এই ঘৃন্যতম কাণ্ড ঘটানোর পর সেই ঘরেই দুই কন্যাকে নিয়ে রাতের ঘুমিয়ে পড়ে বাবা। গৃহবধূ খুনের এমন রোমহর্ষক ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জঙ্গলমহলে। সোম হাঁসদাকে গ্রেফতার করেছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ। বুধবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে পুলিশ।পুলিশ সূত্রের খবর, সোম হাঁসদার সঙ্গে ভাব ভালোবাসা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল লক্ষ্মীর। বছর সাতেক আগে তাঁরা বিয়ে করেন। দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে দম্পতি বেশ সংসার জীবন কাটাচ্ছিলেন। বড় মেয়ের বয়স ছয় বছর, ছোট মেয়ে তিন বছর বয়স, সে হামাগড়ি দেওয়া ছেড়ে হাঁটতে শিখেছে। সোম হাঁসদার মা পানমনি হাঁসদা এদিন বলেন, আমার ছেলে মদের নেশায় ভীষণ ভাবে আশক্ত হয়ে পড়েছিল । প্রতিদিন মদ খেতো। কাজকর্ম সেরকমর করতো না। নেশা করা নিয়ে বৌমা মা আপত্তি করলে ছেলে অশান্তি করতো। তারই মধ্যে হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সকাল থেকে বৌমাকে বাড়িতে আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না। বৌমা কোথায় তা আমি আমার ছেলের কাছে জানতে চাই । তখন ছেলে জানায়, তাঁর মার খেয়ে বৌমা পালিয়ে গেছে। এরপর সন্ধ্যায় দেখি বাড়িতে পুলিশ এসে ছেলের ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ছে। বেশ খানিকটা মাটি খোঁড়া হতেই বেরিয়ে আসে বৌমার মৃতদেহ। পুলিশ বৌমার মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি আমার ছেলে সোমকেও ধরে নিয়ে গিয়েছে আউশগ্রাম থানার পুলিশ। বড় নাতনী পুলিশের কাছে তাঁর বাবার সব কীর্তি ফাঁস করে দিয়েছে। সে পুলিশকে জানায়, ছোট বোন ও তাঁর সামনেই তাঁদের মাকে হত্যা করেছে বাবা। তারপর তাঁর বাবাই ঘরের মাটি খুড়ে তাঁদের মায়ের মৃতদেহ পুঁতে দিয়ে ওই ঘরে তাঁদেরকে নিয়ে শুয়ে পড়ে। এই ঘটনা সোমবার রাতে ঘটেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে শিশুকন্যাটি। পানমনি হাঁসদা বলেন, নাতনির কাছে জেনেছি ঘটনার দিন শাবল দিয়ে বৌমার মাথায় আঘাত করেছিল আমার ছেলে সোম। তাতেই বৌমার মৃত্যু হয়। তারপর ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে ছেলে বৌমার মৃতদেহ মাটি চাপা দিয়ে রাখে। এই ঘটনা বাইরে থেকে কেউ যাতে বুঝতে না পারে তার জন্য ছেলে সোম তার ঘরের দরজায় তালা দিয়ে রাখে।

জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal