• ৭ পৌষ ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Men

কলকাতা

২৫ কোটি কে দিল? যুবভারতী বিতর্কে মমতা সরকারকে নিশানা বিজেপির

যুবভারতী কাণ্ডে মুখ পুড়েছে কলকাতার। এই ঘটনা নিয়ে শুধু রাজ্য নয়, দেশ-বিদেশেও শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। হাইকোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত চলছে। আলাদা করে সিট গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে। ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে অরূপ বিশ্বাসকে। এর পাশাপাশি যুবভারতীতে ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৪৮ ঘণ্টায় একের পর এক গ্রেপ্তারির খবর সামনে এসেছে।এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সুর চড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের ভূমিকা ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান শমীক। তাঁর বক্তব্য, যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই টিকিট কেটে খেলা দেখতে গিয়েছিলেন। অনেকেই চাকরিজীবী, কেউ সরকারি কর্মী, কেউ বা বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করেন। শিক্ষিত যুবকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।শমীকের প্রশ্ন, যুবভারতীতে যে প্রাতিষ্ঠানিক লুঠ হয়েছে, তার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা কোথায়। মেসিকে আনার জন্য প্রথম ২৫ কোটি টাকা অগ্রিম কে দিয়েছিল, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, গোটা তৃণমূল দল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। শুধু ক্রীড়ামন্ত্রীকে সরিয়ে নাটক করা হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজিকে কে পরিচালনা করেন, শেষ পর্যন্ত দায় সরকারেরই।এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীও জানান, ধৃতদের আইনি সহায়তায় বিজেপি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তাঁর বক্তব্য, বিষয়টি দলের তরফে নজরে রাখা হচ্ছে। বিজেপির আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আবেদন করবেন। পাশাপাশি ধৃতদের মুক্তির দাবিও জানানো হবে বলে জানান তিনি।যুবভারতী কাণ্ড ঘিরে এ বার রাজনৈতিক চাপানউতোর আরও তীব্র হচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হওয়া হল না মুখ্যমন্ত্রীর! সম্মতি মিলল না রাষ্ট্রপতির

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী বিলে সম্মতি দিলেন না রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ফলে রাজ্য-সহায়তাপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য বা চ্যান্সেলর পদে আপাতত কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার যে প্রস্তাব ছিল, তা কার্যকর হল না রাষ্ট্রপতির অনুমোদন না পাওয়ায়।রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন (সংশোধনী) বিল ২০২২ রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষিত রেখেছিলেন রাজ্যপাল। ওই বিলে রাজ্যের সহায়তাপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রস্তাব ছিল। একই দিনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) বিল ২০২২-ও রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়। সেই বিলে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আমির-ই-জামিয়া বা চ্যান্সেলর পদে রাজ্যপালের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। তবে দুই ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রপতি ওই সংশোধনী বিলে সই করেননি।বর্তমানে রাজ্যের সহায়তাপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মূল আইনে স্পষ্ট ভাবে বলা রয়েছে, রাজ্যপাল তাঁর পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হবেন। সেই আইনি অবস্থান মাথায় রেখেই রাষ্ট্রপতি এই দুই সংশোধনী বিলে সম্মতি দেননি বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই চ্যান্সেলর পদে আপাতত কোনও বদল হচ্ছে না।প্রসঙ্গত, নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে আনা হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিধানসভায় বিল পাশও হয়। পরে তৎকালীন রাজ্যপাল সেই বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠান। তবে শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির অনুমোদন না মেলায় সেই আইন কার্যকর হল না।

ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫
বিদেশ

এক রাতেই দূতাবাসে উধাও রাষ্ট্রপতির ছবি! সাহাবুদ্দিনের বিস্ফোরক অভিযোগ—‘আমাকে কোণঠাসা করা হয়েছে’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তাল। অপমান সহ্য করতে না পেরে নিজের পদ ছেড়ে দিতে চাইছেন দেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরই তিনি ইস্তফা দিতে চান বলে জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস তাঁকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছেন এবং কোণঠাসা করে রেখেছেন।রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, তিনি দায়িত্ব পালন করছেন শুধুমাত্র সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে। কিন্তু তিনি পদ ছাড়তে আগ্রহী। তাঁর কথায়, গত সাত মাসে ইউনূস একবারও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। রাষ্ট্রপতির জনসংযোগ বিভাগও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় অপমান, গত সেপ্টেম্বর হঠাৎই বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়।সাহাবুদ্দিন বলেন, এক রাতেই সব দূতাবাস থেকে আমার ছবি উধাও হয়ে গেল। মানুষ ভুল বার্তা পেল যে হয়তো রাষ্ট্রপতিকে সরানো হচ্ছে। এটা ভীষণ অপমানের। তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি লিখিতভাবে জানালেও ইউনূস কোনও ব্যবস্থা নেননি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।২০২৩ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতির পদে আসেন সাহাবুদ্দিন। যদিও এই পদটি মূলত প্রতীকী, প্রকৃত ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার হাতে। কিন্তু ২০২৪ সালের ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর, রাষ্ট্রপতিই ছিলেন একমাত্র সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তাঁকে পাশ কাটানোর অভিযোগ উঠছে।তবে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। সেনাপ্রধান স্পষ্ট বলেছেন, তাঁর সামরিক ক্ষমতা নেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। বরং তিনি চান দেশে গণতন্ত্র ফিরুক।বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই বক্তব্য যে নতুন ঝড় তুলেছে, তা বলাই যায়।

ডিসেম্বর ১২, ২০২৫
রাজ্য

ফলতায় মহিলাদের ক্ষোভের মুখে নির্বাচন পর্যবেক্ষক! ছাতা হাতে ধাওয়া, স্লোগানে উত্তেজনা

ফলতায় নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগান বৃহস্পতিবার মহিলাদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বৃদ্ধ ভোটারদের তালিকা যাচাই করতে তিনি দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পায়রাচালি এলাকায় যান। ৮৫, ৮৬ ও ৮৭ নম্বর বুথের ভোটাররা ঠিক আছেন কিনা, তাঁরা জীবিত কিনাসেটা খতিয়ে দেখতে তিনি বাড়ি বাড়ি যাচ্ছিলেন।ঠিক সেই সময় এলাকার তৃণমূল-সমর্থিত মহিলাদের একদল হঠাৎ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেউ ছাতা হাতে তেড়ে যান, কেউ আঙুল তুলে স্লোগান দিতে থাকেন। অভিযোগ করতে থাকেনকেন গ্রামে রাস্তা হয়নি, কেন ঘর পাচ্ছেন না, কেন ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ। এসব উন্নয়নমূলক অভিযোগই তাঁরা পর্যবেক্ষকের সামনে তুলতে থাকেন।মুরুগান পরে জানান, এই ধরনের অভিযোগের সঙ্গে এসআইআর-এর কোনও সম্পর্ক নেই। এসআইআর হল ভোটার তালিকা সংক্রান্ত প্রক্রিয়া, উন্নয়ন বা সরকারি প্রকল্পের কাজ নয়এই বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করেন। তবুও বিক্ষোভ থামেনি।ঘটনায় অসন্তুষ্ট মুরুগান জানান, তিনি পুরো ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট আজই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে পাঠাবেন। তাঁর কথায়, আপত্তি থাকলেও এসআইআর-এর কাজ নিয়মমতো চলবে। বিক্ষোভের জেরে এলাকায় কিছুক্ষণ উত্তেজনা তৈরি হয়, তারপর পর্যবেক্ষক সেখান থেকে ফিরে আসেন।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

মহা টুইস্ট! বাইজুর বিরুদ্ধে ‘বিলিয়ন ডলারের ষড়যন্ত্র’? আদালতে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস

বাইজুর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে দেওয়া আগের রায় পাল্টে দিল ডেলাওয়ারের দেউলিয়া আদালত। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বাইজু রাভীন্দ্রনকে ১.০৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। অভিযোগ ছিল, বাইজুর সাবসিডিয়ারি Byjus Alpha-র টাকা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে নতুন শুনানিতে আদালত জানায়, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এখনো ঠিক হয়নি। জানুয়ারি ২০২৬-এ নতুন পর্বে শুরু হবে ক্ষতির হিসেব নির্ধারণের প্রক্রিয়া।এর আগে আদালত বলেছিল, একাধিকবার নির্দেশ অমান্য করেছেন রাভীন্দ্রন। তাই চারটি আলাদা গণনায় মোট ১.০৭ বিলিয়ন ডলার দিতে হবে এবং সম্পূর্ণ হিসেব দিতে হবে Alpha Funds-এর। Byjus Alpha তৈরি হয়েছিল ২০২১ সালে ১.২ বিলিয়ন ডলারের টার্ম লোন তোলার জন্য। ঋণদাতারা দাবি করেছিলেন, এর মধ্যে ৫৩৩ মিলিয়ন ডলার রাউন্ড-ট্রিপ করে রাভীন্দ্রন ও তাঁর সংস্থাগুলিতে গেছে। যদিও বাইজুর প্রতিষ্ঠাতা পক্ষ এই অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন।নতুন সিদ্ধান্তের পরে রাভীন্দ্রনের আইনজীবীরা পাল্টা দাবি তুলেছেন যে ঋণদাতা GLAS Trust এবং অন্যান্যরা আদালত ও জনসাধারণকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই ভুল তথ্যের জেরে কোম্পানি ভেঙে পড়েছে, প্রায় ৮৫,০০০ মানুষ চাকরি হারিয়েছেন এবং ২৫ কোটি ছাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাভীন্দ্রন জানিয়েছেন, তিনি আদালতে প্রমাণ দেখাবেন যে ৫৩৩ মিলিয়ন ডলার ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য নয়, বরং নিয়ম মেনে Think Learn-এ বিনিয়োগ করা হয়েছিল।আইনজীবীদের দাবি, GLAS Trust জানতে না পারার যে দাবি করেছে, তা মিথ্যা। ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকেই তাদের কাছে থাকা নথি প্রমাণ করে যে Alpha-তে পাঠানো টাকা ভারতীয় আইন মেনে কোম্পানিতে ফিরেই বিনিয়োগ হয়েছিল।রাভীন্দ্রন আরও বলেন, আদালতকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে এবং এই ভুল তথ্যের জন্য GLAS Trust ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তিনি নতুন আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাঁর পক্ষের আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বছরের শেষের আগেই ২.৫ বিলিয়ন ডলারের পাল্টা মামলা দায়ের করা হবে।

ডিসেম্বর ১১, ২০২৫
রাজ্য

৩ হাজার টাকায় ‘সরকারি সুবিধার প্রতিশ্রুতি’! আদিবাসীদের ভুল বুঝিয়ে বিশাল প্রতারণা, ধৃত ২

বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে কিছু মানুষ আদিবাসীদের ভুল বুঝিয়ে এসআইআর ফর্ম পূরণ না করতে দীর্ঘদিন ধরেই প্ররোচনা দিচ্ছিলেন। তাঁরা দাবি করছিলেন, যারা অন্তঃরাষ্ট্রীয় মাঝি সরকারের সদস্যপদ নিয়েছেন, তাঁদের নাকি এসআইআর ফর্ম জমা দিতে হবে না। এই দাবির জেরে রানিবাঁধ ও বান্দোয়ান বিধানসভার গ্রামগুলিতে সরকারি আধিকারিকদের কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বহু আদিবাসী ফর্ম পূরণে অনীহা প্রকাশ করেন এবং জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়।ঘটনা তদন্তে নেমে বাঁকুড়ার বারিকুল থানার পুলিশ জানতে পারে, মাঝি সরকারের নামে বড় ধরনের প্রতারণা চলছে। ছত্তিশগড় থেকে পরিচালিত এই সংগঠনের শাখা ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ এলাকার কয়েকজন। তদন্তে উঠে আসে, মাথাপিছু তিন হাজার টাকায় মাঝি সরকারের ভুয়ো সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছিল। সেই সঙ্গে দেশের সর্বত্র বিনা ভাড়ায় যাতায়াতসহ নানা সরকারি সুবিধার প্রতিশ্রুতিও দেখানো হচ্ছিল।পুলিশ প্রথমে হানা দেয় ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার পূর্ণিয়া গ্রামে। সেখানে ওড়িশা পুলিশের সহায়তায় ধরা পড়ে এই চক্রের অন্যতম মাথা ভবেন্দ্র মারান্ডি। পরে তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে বাঁকুড়ায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরেক অভিযুক্তের নাম উঠে আসে। তিনি বাঁকুড়ার বারিকুল থানার রসপকাল গ্রামের বাসিন্দা এবং আদিবাসী বিকাশ পরিষদের বহিষ্কৃত নেতা সন্তোষ মান্ডি। তাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। দুজনের বিরুদ্ধেই আর্থিক প্রতারণাসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে, এবং তাঁরা সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।এদিকে মাঝি সরকারের নামে প্রতারণার ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন আদিবাসী সামাজিক সংগঠন। তাঁরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছেন যে এসআইআর ফর্ম পূরণ করা কেন জরুরি। তাঁদের আশা, যাঁরা এবার বিভ্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরা খুব শীঘ্রই আগের অবস্থান বদলে ফর্ম পূরণের কাজে এগিয়ে আসবেন।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫
রাজ্য

ডেডলাইনের ঠিক আগে তুমুল দৌড়—কেন্দ্রীয় পোর্টালে উঠে এল লক্ষ লক্ষ ওয়াকফ সম্পত্তির খতিয়ান

৬ ডিসেম্বর ছিল শেষ তারিখ। তার মধ্যেই দেশের সব রাজ্যকে কেন্দ্রীয় পোর্টাল উমিদ-এ নিজেদের রাজ্যের ওয়াকফ সম্পত্তির খতিয়ান নথিভুক্ত করতে বলা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই এই বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই মতে গত ৬ জুন পোর্টাল চালু করে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রক। ছমাস সময়সীমা শেষ হওয়ার পর কেন্দ্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই গোটা দেশ মিলিয়ে ৫ লক্ষ ১৭ হাজারের বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি উমিদ পোর্টালে নথিভুক্ত হয়েছে।মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নথিভুক্ত হওয়া সম্পত্তির মধ্যে ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৯০৫টি সম্পত্তি ইতিমধ্যেই অনুমোদন পেয়েছে। যাচাইয়ের সময়ে বাতিল হয়েছে ১০ হাজার ৮৬৯টি নথিভুক্তি। আরও জানা গিয়েছে, সময়সীমার শেষ দিকে নথিভুক্তির গতি অনেক বেড়ে যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার কারণেই কাজ দ্রুত এগিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দাবি।পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি নথিভুক্ত হয়েছে উত্তরপ্রদেশেমোট ৯২ হাজার ৮৩০টি। এর মধ্যে ৮৬ হাজার ৩৪৫টি সুন্নি এবং ৬ হাজার ৪৮৫টি শিয়া ওয়াকফ সম্পত্তি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র, যেখানে নথিভুক্ত হয়েছে ৬২ হাজার ৯৩৯টি সম্পত্তি। তৃতীয় স্থানে কর্নাটক, মোট ৫৮ হাজার ৩২৪টি সম্পত্তি নিয়ে।পশ্চিমবঙ্গে নথিভুক্ত হয়েছে ২৩ হাজার ৮৬টি ওয়াকফ সম্পত্তি। যদিও রাজ্য সরকারের ওয়াকফ দফতরের ওয়েবসাইটে বলা আছে, বাংলায় মোট ওয়াকফ সম্পত্তির সংখ্যা ৮২ হাজার ৬১৬টি। ফলে নথিভুক্তির এই ব্যবধান নিয়েও নতুন প্রশ্ন উঠছে।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২৫
বিদেশ

ইমরান খান কি মানসিকভাবে অসুস্থ? জেল থেকে অভিযোগ, সেনার পালটা তোপে তপ্ত পাকিস্তান!

জেল থেকেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার তাঁর মন্তব্যের কড়া পালটা দিল পাকিস্তান সেনা। সেনার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট আহমেদ শরিফ চৌধুরী প্রকাশ্যে ইমরানকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর দাবি, ইমরানের রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাই তাঁকে দিয়ে এমন অভিযোগ করাচ্ছে।টিভিতে দেওয়া এক ভাষণে শরিফ বলেন, ইমরান এতটাই আত্মকেন্দ্রিক যে তিনি মনে করেন, তিনি যদি ক্ষমতায় না থাকেন, তাহলে দেশেও স্থিরতা থাকবে না। তিনি আরও বলেন, যাঁরা ইমরানকে জেলে দেখতে যাচ্ছেন, তাঁরা সেনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন। এর মধ্যেই গত কয়েক দিনে ইমরানের সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁর বোন উজমা খান।ইমরান জেল থেকে যে অভিযোগ তুলেছেন তা আরও বিস্ফোরক। তাঁর দাবি, সেনাপ্রধান মুনিরের সিদ্ধান্তই পাকিস্তানকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সন্ত্রাস এমন জায়গায় পৌঁছেছে যা আর নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। ইমরানের অভিযোগ, মুনির পাকিস্তানের স্বার্থ নয়, বরং পশ্চিমি বিশ্বের মন জিততেই কাজ করছেন। আফগানিস্তানের সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বাড়ানো হচ্ছে, যাতে আন্তর্জাতিক মহল তাঁকে মুজাহিদ বলে প্রচার করে।জেলে নিজের পরিস্থিতি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ইমরান। তাঁর দাবি, তাঁকে পুরোপুরি নিঃসঙ্গ অবস্থায় রাখা হয়েছে। তিনি এমন একটি সেলে রয়েছেন যেখানে টানা চার সপ্তাহ ধরে কোনও মানুষের মুখ পর্যন্ত দেখেননি। বাইরের জগতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫
দেশ

১২–২৪ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে যাত্রী! ইন্ডিগো নিয়ে কেন্দ্রের তীব্র সতর্কবার্তা

শয়ে শয়ে বিমান বাতিল ও দীর্ঘ দেরির জেরে বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর পরিষেবা নিয়ে এবার সরাসরি শোকজ নোটিস পাঠাল ডিজিসিএ। সংস্থার সিইও পিটার এলবার্সকে প্রশ্ন করা হয়েছে কেন টানা এক সপ্তাহ ধরে এত বিমান বাতিল হল এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছল। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। নির্দেশ না মানলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।মঙ্গলবার থেকে দেশের সবচেয়ে বড় বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর পরিষেবা কার্যত ধসে পড়েছে। প্রতিদিন শতাধিক বিমান বাতিল হচ্ছে। ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা বিমানবন্দরে বসে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। খাবার, জল, লাগেজকিছুই পাচ্ছেন না তাঁরা। পরিস্থিতি ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছে।কেন্দ্র জানতে চেয়েছে, কী কারণে এত বড় সমস্যা তৈরি হল। নোটিসে বলা হয়েছে, কেন্দ্রের নতুন কাজের সময়সীমা সংক্রান্ত নিয়ম মানতে গিয়েই ইন্ডিগোর রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ব্যর্থ হয়। সংস্থার পরিকল্পনার ঘাটতি এবং পরিষেবার ত্রুটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হয়নি, এমনকি বাতিল বা বিলম্বের ক্ষেত্রে যে পরিষেবাগুলি দেওয়া বাধ্যতামূলকতাও দেওয়া হয়নি।ডিজিসিএ সরাসরি ইন্ডিগোর সিইওকেই দায়ী করেছে এবং তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছে। আজ, রবিবার বিকেলের মধ্যে টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি একটি বিশেষ প্যাসেঞ্জার সাপোর্ট ও রিফান্ড সেল তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেটাও জানাতে হবে।ইন্ডিগো জানিয়েছে, পরিস্থিতি ঠিক করতে তারা দ্রুত কাজ করছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ পরিষেবাই স্বাভাবিকের পথে। সম্পূর্ণভাবে ফিরতে আরও কয়েক দিন লাগবে। আপাতত দিনে প্রায় ১৫০০টি ফ্লাইট চালানোর ব্যবস্থা করছে তারা।

ডিসেম্বর ০৭, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

শেষযাত্রায় এত গোপনীয়তা কেন? ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু ঘিরে নতুন জল্পনা

ভারতীয় সিনেদুনিয়ার কিংবদন্তি, বলিউডের হিম্যান ধর্মেন্দ্রর বিদায়বেলায় চেয়ে বসেছিল দেশের কোটি কোটি অনুরাগীর চোখ। যিনি একাই তিনশোর বেশি ছবিতে কাজ করে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন, যাঁর স্টার পাওয়ার একসময়ে রাজনৈতিক মহলেও সমান গুরুত্ব পেতসেই মহীরুহের শেষযাত্রা যে এত নীরবে সম্পন্ন হবে, তা কল্পনাও করেননি কেউ। আর সেই কারণেই ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর থেকেই উঠছে অসংখ্য প্রশ্ন। কেন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা মিলল না তাঁর? কোথায় সেই গান স্যালুট? কেন অনুরাগীরা তাঁকে শেষবার দেখা পর্যন্ত পেলেন না?সোমবার থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোলএমন মাপের তারকার বিদায় কি এমন নিরবচ্ছিন্ন নীরবতায় ঢেকে রাখা উচিত ছিল? প্রত্যাশিত মতো বিপুল ভিড় পর্যন্ত জমতে দেওয়া হয়নি, আর তাতেই ক্ষোভ ও ব্যথা ছড়িয়েছে তারকাভক্তদের মধ্যে। অনেকেই লিখেছেন, একবার অন্তত দেখতে দিতে পারত পরিবার।বলিউডের অন্দরমহলে ছড়িয়ে পড়েছে আরও বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, প্রথমে সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ধর্মেন্দ্রকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়, গান স্যালুট-সহ শেষকৃত্য করা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নাকি আপত্তি তোলে দেওল পরিবারই। তাঁদের দাবি, সবকিছু মিডিয়ার নজর থেকে দূরে রাখতেই চাইছিলেন তাঁরা। কারণ দিন পনেরো আগে ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর ভুয়ো খবর রটতেই নাকি ভীষণ অপমানিত বোধ করেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সেই অভিমানের জেরেই এবার সত্যি খবরটিও গোপন রাখার পথ বেছে নেন তাঁরা।যদিও পরিবারের পক্ষ থেকে এই দাবি নিশ্চিত করা হয়নি, কিন্তু বলিউড মহলে কানাঘুষো চলছেমিডিয়ার অতিরিক্ত নজরদারি, গুজব ও ভুল তথ্যর কারণেই নাকি ধর্মেন্দ্রর শেষযাত্রা এত চুপিসারে করা হয়েছে।ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পুরনো সদস্যের বক্তব্য, ভারতীয় ছবির ইতিহাসে ধর্মেন্দ্রর মতো মেগাস্টার বিরল। তাঁর মতো ব্যক্তিত্বকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দেওয়া শুধু দুঃখজনক নয়, অসম্মান-ও বটে। কিন্তু পরিবার যখন নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন বিতর্ক থামার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছেন অনেকে।তবে বলিউডের একটা প্রশ্নই এখন সবচেয়ে জোরালোএত বড় তারকার বিদায় কি সত্যিই এমন নীরব হওয়া উচিত ছিল?

নভেম্বর ২৫, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লড়াই শেষ! প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র: ৯০-এ থেমে গেল ছয় দশকের কিংবদন্তি যাত্রা

বার্ধক্যজনিত শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন অভিনয়জগতের হ্যাণ্ডসাম হিরো। নিজ বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। অমিতাভ, আমির, জীতেন্দ্র-সহ চলচ্চিত্র দুনিয়ার তারকারা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন।হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে সোনালি অধ্যায়ের অন্যতম স্তম্ভ ধর্মেন্দ্র প্রয়াত। সোমবার নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই তারকা। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। কিছু দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। কয়েক দফায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল, তৈরি হয়েছিল উদ্বেগের আবহ। পরে কিছুটা উন্নতির পর বাড়ি ফিরলেও শেষ পর্যন্ত আর ফেরানো গেল না প্রজন্মের পর প্রজন্মকে প্রভাবিত করা এই কিংবদন্তিকে।পরিবারের তরফে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও না এলেও, প্রযোজকপরিচালক এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সূত্রে খবর মিলেছে অভিনেতার প্রয়াণের। সোমবারই পবনহংস শ্মশানে সম্পন্ন হয় তাঁর শেষকৃত্য। শেষযাত্রায় উপচে পড়া ভিড়ভক্ত, প্রতিবেশী, ইন্ডাস্ট্রির কলাকুশলীসবাই যোগ দেন প্রিয় তারকার শেষ দর্শনে।শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন অমিতাভ বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, আমির খান, জীতেন্দ্র-সহ অসংখ্য তারকা। শোকবার্তা লিখে কর্ণ জোহর বলেন, একটা যুগের অবসান। ভারতীয় সিনেমা আজ এক মহান শিল্পীকে হারাল।গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা গুজব ছড়িয়েছিল। ভেন্টিলেশনে থাকার খবরও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে ধর্মেন্দ্রপুত্র সানি দেওলের সহকারী এবং স্ত্রী হেমা মালিনী সেই তথ্য খণ্ডন করেন। কিছুদিন আগে মৃত্যু-গুজব রটে তাঁর প্রথম স্ত্রীর কান্নার একটি ভিডিও ছড়ানোর পর পরিবারের তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।অভিনেতার শেষ কর্মজীবনেও ছিল ব্যস্ততা। মাত্র ২৪ নভেম্বর প্রকাশ্যে আসে তাঁর অভিনীত ইক্কিস ছবিতে তাঁর চরিত্রের ঝলক। জন্মদিনের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই এমন খবর শোকস্তব্ধ করেছে অনুরাগীদের। আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁর ৯০তম জন্মদিন পালনের প্রস্তুতি চলছিল পরিবারেকিন্তু তার আগেই ইন্ডাস্ট্রি হারাল ধর্ম পাজি-কে।প্রায় ছয় দশকের দীর্ঘ অভিনয়জীবনে শোলে, চুপকে চুপকে, সীতা অউর গীতা, ধর্মবীর, মেরা গাঁও মেরা দেশ-এর মতো কালজয়ী ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবেন ধর্মেন্দ্র। আজ তাঁর প্রয়াণে শোকাহত গোটা দেশআরও এক অধ্যায় শেষ হল ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে।

নভেম্বর ২৪, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

চলে গেলেন ধর্মেন্দ্র! বিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন

ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি তারকা ধর্মেন্দ্র আর নেই। ৮৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন হি-ম্যান নামে পরিচিত এই মহাতারকা। যদিও পরিবার প্রথমে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেনি, দুপুর থেকেই মুম্বইয়ের জুহুর বাড়ির বাইরে অস্বাভাবিক নড়াচড়ায় জোরালো হয় আশঙ্কা। দুপুরের পর তাঁর বাড়ি থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্স বেরিয়ে যায়, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সানি দেওল, ঈশা দেওল ও হেমা মালিনীকে দেখা যায় পাওয়ান হান্স শ্মশানে পৌঁছতে। এরপর অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেককে দেখা যায় সাদা পোশাকে ভিলে পার্লের শ্মশানের সামনে। আমির খান পৌঁছন ধর্মেন্দ্রের বাসভবনে।কিছুদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ধর্মেন্দ্র। চিকিৎসকেরা তাঁকে বাড়িতে এনে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে রেখেছিলেন। এক সময় শারীরিক অবস্থার খানিক উন্নতি হলেও শেষপর্যন্ত অসুস্থতাকে জয় করতে পারলেন না তিনি।মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে কিংবদন্তির প্রয়াণের খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ঢেউ তোলা শোকবার্তা, চলচ্চিত্র জগত শোকস্তব্ধ। পরিচালক করণ জোহর, যাঁর ছবিতে রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি-তে সর্বশেষ অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র, ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন বার্তা লিখে জানান, একটা যুগের অবসান। ভারতীয় সিনেমার প্রকৃত কিংবদন্তি, অপরূপ ব্যক্তিত্ব, সবচেয়ে বড় কথাঅত্যন্ত ভালো মানুষ। আজ আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে যে শূন্যতা তৈরি হল, তা কোনওদিন পূরণ হবে না।ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক সোনালি অধ্যায় রচনা করে গেলেন ধর্মেন্দ্র। ছয় দশকের টানা সাফল্য, তিনশোরও বেশি ছবি, আর কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়জয়সব মিলিয়ে তিনি ছিলেন বলিউডের এক অনন্য প্রতীক। তাঁর রেখে যাওয়া পরিবারে রয়েছেন দুই স্ত্রী প্রকাশ কৌর ও হেমা মালিনী এবং সন্তানসানি দেওল, ববি দেওল, বিজেতা, অজিতা, ঈশা দেওল ও আহানা দেওল।এ মুহূর্তে চলছে শেষকৃত্যের অনুষ্ঠান। চলচ্চিত্র দুনিয়ার বন্ধু, সহকর্মী, পরিবারের সদস্য এবং অগণিত শুভানুধ্যায়ী ভিড় জমিয়েছেন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। মুম্বইয়ের বাতাসে যেন ভেসে বেড়াচ্ছে একটি কথাইএভাবেই কি সত্যিই শেষ হয়ে গেল ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রদের একটির অধ্যায়?

নভেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

হাসপাতালে রোগীর পরিবারকে প্রতারিত করার ফাঁদ—ধরা পড়তেই বিস্ফোরক তথ্য, মাথা ঘুরে গেল পুলিশের

সরকারি হাসপাতালে দালালচক্র নির্মূলের দাবি বহুদিনের। অথচ কলকাতার দুই প্রধান স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল পুরনো সেই দাপটই। মেডিক্যাল কলেজ ও SSKMদুটি হাসপাতালেই রোগীর আতঙ্ক বাড়িয়ে আবার সক্রিয় হয়েছে দালাল চক্র। গত শুক্রবার সন্ধেয় সাদা পোশাকে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের আকস্মিক হানাতেই ধরা পড়ল এই নেটওয়ার্কের দুই সক্রিয় সদস্য।মেডিক্যাল কলেজ থেকে ধরা হয় সচিন রাউথ নামে এক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, তিনি রোগীর পরিবারের কাছে ঘোরাফেরা করে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা তুলছিলেন। চিকিৎসাপরামর্শ দেওয়ার নামে তাঁকে আগে থেকেই নজরে রেখেছিল পুলিশ। সেই সূত্র ধরেই শেষ পর্যন্ত হাতেনাতে ধরা পড়ে তিনি।অন্যদিকে SSKM হাসপাতাল থেকে পাকড়াও করা হয়েছে গোলাম রসুল নামে আরও এক দালালকে। রোগীদের ভিড়ের মাঝে ছদ্ম পরিচয়ে ঘুরে বেড়িয়ে তিনি নানাভাবে টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, তিনি বহিরাগতই ছিলেন। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক লাগছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশের গোপন নজরদারিতে তার জাল শেষমেশ ভেঙে পড়ে।সবচেয়ে বড় প্রশ্নমুখ্যমন্ত্রী সরাসরি হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও কীভাবে সরকারি হাসপাতালের ভিতর এমন দালালচক্রের দাপট এতটা প্রকাশ্যে চলল? গত মাসেই SSKM হাসপাতালের বহিরাগত প্রবেশ ও CCTV নজরদারি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। সেই সময়ই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, হাসপাতালের ভেতরে কারা ঢুকছেবেরোচ্ছে তার বিশেষ খতিয়ান রাখতে। তবু কীভাবে এসব চক্র ফের সক্রিয় হল, তা এখন তদন্তের মুখ্য দিক।দুই অভিযুক্তকেই আজ আদালতে পেশ করা হবে। তাঁদের কাছ থেকে আরও তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা চলছে। পুলিশ মনে করছে, তাঁদের পিছনে আরও বড় চক্র লুকিয়ে থাকতে পারে। হাসপাতাল চত্বরে তাদের ম্যাপিং শুরু করেছে তদন্তকারী দল।কলকাতার দুই সর্বাধিক ব্যস্ত সরকারি হাসপাতালে দালালচক্রের এই নতুন সক্রিয়তা রোগীদের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠছেএবার কি সত্যিই কঠোর পদক্ষেপ করবে প্রশাসন?

নভেম্বর ২২, ২০২৫
দেশ

দিল্লির লালকেল্লায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ! সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই জানাল কেন্দ্র

দিল্লির বুক কাঁপিয়ে গেল এক ভয়াবহ বিস্ফোরণ! লালকেল্লার সামনে সোমবারের (১০ নভেম্বর) সেই বিস্ফোরণ যে নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত সন্ত্রাসবাদী হামলাই ছিল, তা এখন আর কারও অজানা নয়। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলএটি ছিল এক ঘৃণ্য টেরর অ্যাটাক।বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠকে বসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বৈঠকের শুরুতেই দুই মিনিটের নীরবতা পালন করা হয় লালকেল্লা বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। এরপর কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়ে দেয়এটি দেশবিরোধী শক্তির পরিকল্পিত হামলা, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের নিরাপত্তা ও ঐক্যকে চ্যালেঞ্জ করা।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশে ফেরার পরই সরাসরি ছুটে যান দিল্লির লোক নায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে। সেখানে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন, চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে আশ্বাস দেন যে এই জঘন্য ঘটনার দায়ে জড়িতদের একটিকেও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। যারা এই হামলার পিছনে, তাদের শাস্তি হবেই।এই ঘটনার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা আরও কড়া করা হয়েছে। গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন, কোথা থেকে এবং কারা এই হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি এনআইএ-র একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে।১০ নভেম্বর বিকেলে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি হুন্ডাই আই-২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, একের পর এক গাড়ি উড়ে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের দোকান ও বাড়ির জানলার কাচ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, একটা বোমার আওয়াজে যেন কেঁপে উঠেছিল গোটা এলাকা!এখন প্রশ্ন একটাইকাদের হাত এই হামলার পিছনে? গোটা দেশ তাকিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দিকে। প্রধানমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাসবার এক সুর, ভারতকে ভয় দেখানো যাবে না।দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। বিদেশ থেকেও একাধিক দেশ ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমর্থনের বার্তা দিয়েছে। এদিকে কেন্দ্র জানিয়েছে, অভিযুক্তদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে।

নভেম্বর ১৩, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

অবশেষে স্বস্তি! হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন বলিউডের হি-ম্যান ধর্মেন্দ্র

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থাকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই উদ্বেগ ছড়িয়েছিল ভক্তদের মনে। কখনও শ্বাসকষ্ট, কখনও জল্পনা সব মিলিয়ে আতঙ্কের আবহ। অবশেষে বুধবার সকালে মিলল স্বস্তির খবর। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন ৮৯ বছরের এই কিংবদন্তি অভিনেতা।মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গত ৩১ অক্টোবর ভর্তি করা হয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দীর্ঘ চিকিৎসার পর বুধবার সকালে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ একটি অ্যাম্বুল্যান্স অভিনেতার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। তখনই চর্চা শুরু হয় ধর্মেন্দ্র কি সত্যিই ছাড়া পাচ্ছেন? কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালের চিকিৎসক প্রতীত সমদানি সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানান, হ্যাঁ, আজ সকালেই ধর্মেন্দ্রজিকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে তাঁর চিকিৎসা চলবে বাড়িতেই।ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষীয়ান এই অভিনেতার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসার প্রতি তিনি ভালোভাবে সাড়া দিচ্ছেন। নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে।তবে গত দুই দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল এক বিভ্রান্তিকর খবর দাবি করা হয়েছিল, প্রয়াত হয়েছেন ধর্মেন্দ্র। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভুয়ো খবর। পরিবার থেকে শুরু করে বলিউড মহল পর্যন্ত নিন্দায় মুখর হয়। কন্যা এষা দেওল ক্ষোভ উগরে দিয়ে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, আমার বাবা সম্পূর্ণ স্থিতিশীল। তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। দয়া করে ভুয়ো খবর না ছড়িয়ে পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন।ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী, অভিনেত্রী হেমা মালিনীও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি লেখেন, এই ধরনের মিথ্যে খবর ছড়ানো মানে এক অসুস্থ মানুষের প্রতি নির্মমতা। বরং তাঁর দীর্ঘায়ুর জন্য প্রার্থনা করুন। একই সুরে সানি দেওলের টিমও অনুরোধ জানায়, ধর্মেন্দ্রজি ভালো আছেন, সবাই তাঁর দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করুন।প্রায় ১০ দিন হাসপাতালে কাটানোর পর অবশেষে নিজের ঘরে ফিরলেন বলিউডের হি-ম্যান। ভক্তদের মুখে এখন একটাই প্রার্থনা ধর্মেন্দ্রজি, তাড়াতাড়ি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে পর্দায় ফিরে আসুন।

নভেম্বর ১২, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

ধর্মেন্দ্র মারা গিয়েছেন’— গুজবে নেটপাড়া তোলপাড়, হাসপাতালের সামনে জনস্রোত!

নেটমাধ্যমে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে খবর মারা গেছেন বলিউডের হ্যান্ডসম হিরো ধর্মেন্দ্র! মুহূর্তে তোলপাড় গোটা দেশ। কেউ টুইট করছেন, কেউ শোকবার্তা লিখছেন ইনস্টাগ্রামে। রাজনীতিক থেকে শুরু করে সেলিব্রিটি একের পর এক শোকপ্রকাশ যেন গুজবকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছিল। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ও বিভ্রান্তিতে পড়ে গিয়েছিল ভক্তমহল। কেউ ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের বাইরে ছুটে গিয়েছেন, কেউ আবার ফোন করেছেন মুম্বইয়ের হাসপাতাল প্রশাসনকে।সোমবার রাত থেকেই হাসপাতালের সামনে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। ধর্মেন্দ্রর এক ঝলক দেখার আশায় ভোর রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শতাধিক অনুরাগী। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে, মঙ্গলবার সকালে মুম্বই প্রশাসন বাধ্য হয় হাসপাতাল চত্বরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করতে। পুলিশ সূত্রে খবর, জনস্রোত সামাল দিতে হাসপাতাল ঘিরে বিশাল বাহিনী দাঁড় করানো হয়। যান চলাচল ব্যাহত হয় ব্রিচ ক্যান্ডির আশপাশের রাস্তায়।মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ হেমা মালিনী ও এষা দেওলকে হাসপাতাল থেকে বের হতে দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই ভাই সানি ও ববি দেওল পৌঁছে যান ধর্মেন্দ্রর কাছে। দিল্লিতে শুটিংয়ে থাকা অভয় দেওলও খবর শুনে রাতারাতি বিমানে চেপে মুম্বই আসেন। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্মেন্দ্র আপাতত স্থিতিশীল ও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। তবে মৃত্যু সংক্রান্ত গুজব ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ অভিনেতার পরিবার।হেমা মালিনী এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ লেখেন, এমন মিথ্যে খবর ছড়ানো অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ। ধর্মেন্দ্র একেবারেই সুস্থ আছেন, ঈশ্বরের কৃপায় তিনি ভাল আছেন। অন্যদিকে এষা দেওলও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া গুজবকে বাস্তবে পরিণত করছে, এটা ভয়ঙ্কর। দয়া করে এমন খবর বিশ্বাস করবেন না।বলিউডে এখন একটাই প্রশ্ন কে ছড়াল এই ভুয়ো খবর? নেটিজেনদের একাংশের অভিযোগ, কিছু ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ ভিউ বাড়াতে এই ধরনের সংবেদনশীল খবর ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে মুম্বই পুলিশের সাইবার শাখা সূত্রে খবর, গুজবের উৎস খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে।দেওল পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের কথায়, ধর্মেন্দ্র এখন বয়সের ভারে নাজুক, তবে তিনি সুস্থ আছেন। এই ধরনের খবর শুধু পরিবারের নয়, দেশের কোটি ভক্তের মনেও ভয় ঢুকিয়ে দিচ্ছে।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণের গুজব ছড়াল সোশ্যাল মিডিয়ায়, এষা দেওলের পাল্টা বার্তা ভাইরাল!

বলিউডে সকাল থেকেই হইচই। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একটাই খবর প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র! কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামনে এল সত্য। মৃত্যুর খবর মিথ্যে, এখনও লড়ে যাচ্ছেন হী-ম্যান। মঙ্গলবার দুপুরে ধর্মেন্দ্রর কন্যা এষা দেওল নিজেই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে গুজবের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন। তিনি লিখেছেন, ভুয়ো খবর ছড়াবেন না। আমার বাবার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। অনুরোধ করছি, আমাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করুন। বাবার দ্রুত আরোগ্য কামনা করুন।জানা গিয়েছে, ৮৯ বছর বয়সি ধর্মেন্দ্রকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত তিনি রয়েছেন আইসিইউতে, রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে। অভিনেতার শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যাওয়াতেই সোমবার রাতে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকদের একটি বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে তাঁর চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে ধর্মেন্দ্র রয়েছেন চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে।অভিনেতার স্ত্রী হেমা মালিনীও সোমবার রাতে এক্স (আগের টুইটার)-এ লেখেন, ধরমজির স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায়। চিকিৎসকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। ঈশ্বরের কৃপায় তিনি দ্রুত সেরে উঠবেন। একই সঙ্গে সানি দেওলের টিমও আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, ধর্মেন্দ্রর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল, ভয়ের কিছু নেই।আগামী ডিসেম্বরেই ৯০ বছরে পা দেবেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। বয়স নব্বই ছুঁলেও বলিউডে এখনও সক্রিয় ধর্মেন্দ্র। করণ জোহরের রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি-তে তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। জয়া বচ্চন ও শাবানা আজমির সঙ্গে তাঁর রোম্যান্টিক দৃশ্য তখনই প্রমাণ করে দিয়েছিল বয়স শুধু একটা সংখ্যা। সম্প্রতি তাঁর নতুন ছবি ইক্কিস-এর প্রথম ঝলকও প্রকাশ পেয়েছে, যেখানে দর্শকরা দেখে অবাক হয়েছেন তাঁর উজ্জীবিত উপস্থিতি দেখে।তবে কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন ধর্মেন্দ্র। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর অবস্থা এখন স্থিতিশীল, তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তবে চিকিৎসকেরা তাঁর বয়সের কথা মাথায় রেখে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত গণমাধ্যমের সামনে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রটানো মৃত্যুর গুজব ঘিরে নেটপাড়া সরগরম। ভক্তরা প্রার্থনা করছেন তাঁদের প্রিয় ধরম পাজি-র দ্রুত আরোগ্যের জন্য।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
দেশ

শীত পড়ার আগেই গরম রাজনীতি! ডিসেম্বরেই শুরু সংসদের শীতকালীন অধিবেশন

আসন্ন ডিসেম্বরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হতে চলেছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ইতিমধ্যেই সরকারের পাঠানো প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু জানিয়েছেন, অধিবেশন চলবে ১ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।সরকারের দাবি, এই অধিবেশন হবে গঠনমূলক, গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করার দিকেই নজর দেওয়া হবে। দেশের সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে ও গুরুত্বপূর্ণ বিল পাসে জোর দেবে কেন্দ্র।তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আগের মতো এবারও অধিবেশন উত্তাল হতে পারে। কারণ, গত বাদল অধিবেশনে একাধিক ইস্যুতে তুমুল বিক্ষোভ দেখা গিয়েছিল সংসদে। পহেলগাঁও হামলা থেকে শুরু করে ভারতের অপারেশন সিঁদুরসবকিছু নিয়েই তর্ক-বিতর্কে ফেটে পড়েছিল লোকসভা ও রাজ্যসভা। কেন্দ্র ও বিরোধীদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।বিহারে এসআইআর ইস্যু নিয়েও গত অধিবেশনে প্রবল আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। বিরোধীরা দাবি জানিয়েছিল বিস্তারিত আলোচনার, কিন্তু তাতে রাজি হয়নি সরকার। ফলে অধিবেশন একাধিকবার মুলতুবি করতে হয়েছিল।তখনই সংসদে আনা হয়েছিল ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল, যেখানে বলা হয়েছিলকোনও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী যদি কোনও মামলায় গ্রেফতার হন এবং টানা ৩০ দিন জেলে থাকেন, তবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বিরোধীরা এই বিলের তীব্র প্রতিবাদ করে, এমনকি সংসদ কক্ষে বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলে দেয়।ফলত, গত অধিবেশনে কার্যত অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। পরিসংখ্যান বলছে, লোকসভায় মোট কার্যদিবসের মাত্র ৩১ শতাংশ কাজ হয়েছিল, রাজ্যসভায় হয়েছিল ৩৯ শতাংশ। সব মিলিয়ে ১৫টি বিল পাস হয়।এবারও পরিস্থিতি যে শান্ত থাকবে না, তা বলছে সংসদ ভবনের করিডর থেকেই। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে, একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে চেপে ধরতে প্রস্তুত তারা। অন্যদিকে, সরকার চাইছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল দ্রুত পাস করাতে। ফলে ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই অধিবেশনেও উত্তেজনার পারদ চড়বেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ০৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘আমার শহর, আমার জয়’— রেড কার্পেটে নায়িকার মতো প্রত্যাবর্তন রিচার, মাতোয়ারা শিলিগুড়ি

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। অবশেষে ঘরে ফিরলেন বাংলার গর্ব, বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষ। শুক্রবার সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামতেই শিলিগুড়ি যেন উৎসবে ফেটে পড়ল। ফুলে ভরা খোলা জিপে শহর চষে বেড়ালেন তিনি। রাস্তাজুড়ে উচ্ছ্বাস, উল্লাস, আর রিচা, রিচা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠল গোটা শহর।নিজের শহরে ফিরে আবেগাপ্লুত রিচা বলেন, নিজের শহরে, নিজের মানুষদের ভালোবাসা পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। তাঁর এই কথায় যেন আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় শিলিগুড়িতে।বাঘাযতীন পার্কে আজ বিকেলে তাঁর জন্য নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও ক্রীড়া সংগঠনগুলি। উপস্থিত থাকবেন শহরের নামী ক্লাব, স্কুল, এবং মহিলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও। রিচার জন্য থাকবে গার্ড অফ অনার ও রেড কার্পেট সংবর্ধনা।শহরের সুভাষপল্লিতে তাঁর বাড়িতে এখন উৎসবের আবহ। আলোকসজ্জায় সেজে উঠেছে গোটা পাড়া। প্রতিবেশীরা বলছেন, আমাদের মেয়েই আজ গোটা দেশের গর্ব। রিচার মা স্বপ্না ঘোষ মেয়ের পছন্দের খাবার ফ্রায়েড রাইস, পনির আর মিক্সড ভেজ নিজ হাতে রান্না করেছেন। তবে নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে নজরদারি কড়া করা হয়েছে, যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা না হয়।ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রিচাকে। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁকে পুলিশে চাকরির প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। বাংলার এই মেয়ে ভারতের প্রথম মহিলা ক্রিকেটার যিনি বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হয়েছেন ৫২ বছর পর ভারতীয় মহিলা দল এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে।২২ বছর বয়সি রিচা ঘোষ এই বিশ্বকাপে করেছেন মোট ২৩৫ রান, যার মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঝোড়ো ৯৪ রানের ইনিংস। ফাইনালে তাঁর ২৪ বলে ৩৪ রান ভারতকে জয় এনে দেয়। গোটা টুর্নামেন্টে ১২টি ছক্কা হাঁকিয়ে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছেন তিনি।আজ শিলিগুড়ির প্রতিটি রাস্তায়, প্রতিটি ঘরে রিচার নামেই গর্ব। তাঁর সাফল্যে উজ্জ্বল বাংলা, গর্বিত দেশ।

নভেম্বর ০৭, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ক্রিকেটের নন্দনকানন সেজেছে হরমনপ্রীত কৌর অ্যান্ড কোং-র বিশ্বজয়ের কাটআউটে

ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের ঐতিহাসিক জয় উদযাপন সিএবির। ক্রিকেটের নন্দনকাননের সামনে হরমনপ্রীত কৌর অ্যান্ড কোং-কে অভিনন্দন জানিয়ে বিশাল কাটআউট লাগানো হয়েছে। সাজানো হয়েছে জার্সির রংয়ের নীল আলো দিয়ে।সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় লন্ডনে থাকাকালীনই একাধিক পরিকল্পনা করেছেন। তিনি গর্বিত, তৃপ্ত। কারণ, ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের অগ্রগতি, বিকাশের নেপথ্যে তো রয়েছে তাঁরই দূরদৃষ্টি।ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারিতে যখন ভারতীয় ক্রিকেটে টালমাটাল পরিস্থিতি, ক্রিকেটপ্রেমীরা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন, সেই পরিস্থিতি থেকে দলকে ঘুরে দাঁড় করিয়েছিলেন সৌরভ। গড়েছিলেন টিম ইন্ডিয়া। বিদেশে জেতা যায়, এই বিশ্বাস এনে দিয়েছিলেন। প্রশাসক হিসেবেও তাঁর রয়েছে একাধিক উল্লেখযোগ্য অবদান। যার অন্যতম দেশের মহিলা ক্রিকেটের বিকাশ। সৌরভ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, মেয়েদের ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আমি যখন ২০১৯ সালে বিসিসিআইয়ের সভাপতি হই তখন মেয়েদের ক্রিকেটকে সিরিয়াসলি দেখা হতো না। খুব ভালো জায়গায় ছিল না। এখন শেফালি ভার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, হরমনপ্রীত কৌর, রেণুকা সিং, রিচা ঘোষদের দেখে খুব ভালো লাগে এই কারণে যে, আমরা যে কাজ করেছি তা সদর্থকভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে। ডব্লিউপিএল একটা বড় স্টেপিং স্টোন, যা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের উন্নতি ঘটিয়ে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। সৌরভের কথায়, বিভাগ আলাদা হলেও মহিলা ক্রিকেটাররা পুরুষদের সম-বেতন পাচ্ছেন। তাঁরা এর যোগ্য। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতছে ভারত। ছটি বিশ্বকাপ জেতা মেগ ল্যানিং-সহ অস্ট্রেলিয়া দলে তাবড় ক্রিকেটাররা রয়েছেন। তবে ভারত পিছিয়ে নেই খুব একটা। কমনওয়েলথ গেমস ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে ভারত হারানোর পরিস্থিতিও তৈরি করে ফেলেছিল। তিন বছর আগেও কেউ ভাবতো না ভারতের মেয়েরা ইংল্যান্ডে গিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতবেন। খুব ভালো লাগে যখন ডাগ আউটে বসে দেখি শেফালি ভার্মা অবলীলায় ছয় মেরে বল গ্যালারিতে পাঠাচ্ছেন। সৌরভ মনে করেন, এ দেশে পুরুষদের চেয়ে মহিলা ক্রিকেটের অগ্রগতি অনেক দ্রুত হয়েছে। আর তার অন্যতম প্রধান ফ্যাক্টর ডব্লিউপিএল চালু করা। সিএবির এক বিবৃতিতে সৌরভ বলেছেন, আজ থেকে কুড়ি বছর আগে যখন পরিকাঠামোর অভাবে মেয়েদের ক্রিকেট লড়াই চালাচ্ছিল, তখন এর ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি লোক আশাবাদী ছিলেন না। সৌরভের কথায়, ক্রিকেটকে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য যে সকল মহিলা কঠোর পরিশ্রম করেছেন, তাঁদের সকলকে আমরা সাধুবাদ জানাই। যখন আমি বিসিসিআই সভাপতি হয়েছিলাম, তখন মেয়েদের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত হই এবং এর ভিত্তি শক্তিশালী করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জয় কেবল শুরু, এখান থেকে মেয়েদের ক্রিকেট আরও বড় সাফল্য অর্জন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।সৌরভ বিসিসিআইয়ের সভাপতি হয়েছিলেন ২০১৯ সালে। তার কয়েক মাস পরেই করোনার ধাক্কায় স্তব্ধ হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। তাতেও মহিলা ক্রিকেট নিয়ে ভাবনা জারি রেখেছিলেন সৌরভ। আইপিএলের ধাঁচে মহিলাদের ক্রিকেট লিগ করার প্রক্রিয়াও এগোচ্ছিল। ডব্লিউপিএল আসার আগে মহিলাদের টি২০ চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্ট করতো বিসিসিআই। সৌরভই বোর্ড সভাপতি হয়ে জানিয়েছেন, বছর চারেকের মধ্যে ডব্লিউপিএল শুরু হবে। করোনা প্রতিবন্ধকতা না হলে সৌরভ বোর্ড সভাপতি থাকাকালীনই ডব্লিউপিএল শুরু হয়ে যেত। তা হয় জয় শাহ বোর্ড সচিব ও রজার বিনি বিসিসিআই সভাপতি থাকাকালীন। কোনও কিছু রাতারাতি হয় না। আইপিএলের ধাঁচে মেয়েদের ক্রিকেট করতে গেলে যত ভালো মানের ক্রিকেটার দরকার তা ২০১৯ সালে ভারতে ছিল না। সেজন্য দরকার ছিল পরিকাঠামো। তবে ডব্লিউপিএল প্রথমদিকে সাতটি দল নিয়ে করার কথা থাকলেও পাঁচটি দল নিয়ে শুরু হয়। ২০১৮ সালে মেয়েদের টি২০ চ্যালেঞ্জ হয়েছিল প্রদর্শনী ম্যাচ হিসেবে। ২০১৯ সালে তা তিন দলের টুর্নামেন্ট হয়। আন্তর্জাতিক স্তরে যাতে ঘরোয়া ক্রিকেটাররা সাফল্য পান সে কারণে মূল দলের বিদেশ সফরের আগে মেয়েদের ভারতীয় এ দল পাঠানোর সিদ্ধান্তও সৌরভেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। শুধু তাই নয়, বিসিসিআই সভাপতি থাকাকালীন সৌরভ জোর দেন যাতে বিভিন্ন রাজ্য সংস্থাও প্রচুর পরিমাণে মহিলা ক্রিকেটারদের পুল তৈরি করতে পারে। সেটা সম্ভব হওয়াতেই ডব্লিউপিএলে বিভিন্ন রাজ্যের ক্রিকেটাররা বিদেশিদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করছেন, নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরতে পারছেন। বিদেশের লিগেও তাঁরা খেলছেন। সারা দেশে মেয়েদের টুর্নামেন্টের সংখ্যাও বেড়েছে।বাংলার ঝুলন গোস্বামীর কথা বাদ দিন, হরমনপ্রীত কৌর এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন তাঁর কেরিয়ারে সৌরভের কতটা অবদান। ডিরেক্টর অব ক্রিকেট হিসেবে সৌরভ নিজে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের সঙ্গে যুক্ত। সেই দলেরই জেমাইমা রডরিগেজ, শেফালি ভার্মারা ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর। বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের সেরা হয়েছেন দীপ্তি শর্মা। উত্তরপ্রদেশের দীপ্তির ক্রিকেট কেরিয়ারের উত্থান কিন্তু বাংলা থেকেই। সেই সঙ্গে প্রথম বাঙালি হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেলেন রিচা ঘোষ। রিচার বাড়ি শিলিগুড়িতে।সৌরভ বা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জোর দিয়েছেন বাংলার মেয়েদের ক্রিকেটেও। পরিকাঠামো থেকে শুরু করে সবরকম সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছেন। ইডেনে ক্রিকেটারদের থাকারও বন্দোবস্ত করেছেন তাঁরা। সর্বভারতীয় স্তরের টুর্নামেন্টে বাংলার মেয়েদের দল সাফল্যও পেয়েছে। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সভাপতি থাকাকালীন মেয়েদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টেও জোর দিয়েছেন। জেলা থেকে প্রতিভা অন্বেষণ করে এনে মেয়েদের জন্য ভিশন প্রজেক্টও চালু করেছে সিএবি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি সভাপতি হয়ে প্রাক্তন মহিলা ক্রিকেটারদের আরও বেশি সংগঠিত করে মেয়েদের ক্রিকেটে গুরুত্ব আরোপ করেছেন।সচিন তেন্ডুলকর একটা সময় বলেছিলেন, কপিল দেবের নেতৃত্বে তিরাশির বিশ্বকাপ জিততে দেখে তিনি দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলার স্বপ্ন তাড়া করতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে সচিন, সৌরভ হতে চেয়ে সারা দেশে কিটব্যাগ কাঁধে বাবা-মায়ের হাত ধরে প্রচুর প্রতিভাকে মাঠমুখী হতে দেখা গিয়েছিল। বাণিজ্যিক সংস্থা আগ্রহী হতে থাকে। যার ফলশ্রুতি, আকাশচুম্বী উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে ভারতের পুরুষদের ক্রিকেট। হরমনপ্রীতদের এই বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিতভাবেই অনুপ্রাণিত করবে এখনকার ছোট ছোট মেয়েদের বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। তবে এত সাফল্যের মধ্যেও মনে রাখতে হবে দেশের মহিলা ক্রিকেটের অগ্রগতির ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী আইসিসির ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও বিশ্বজুড়ে মহিলাদের ক্রিকেটের অগ্রগতি, জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে যাঁর অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে। মনে পড়ে সেই কথা, বাংলাই কিন্তু পথ দেখায়।

নভেম্বর ০৪, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 26
  • 27
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

বোমা বিষ্ফোরণে কেঁপে উঠলো ঢাকা, মৃত্যু এক, অপরাধ-হিংসা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে

ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশ উত্তপ্ত। তারপর ময়মনসিংহের দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছে জেহাদীরা। চট্টগ্রামে হিন্দু বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। অতপর আজ, বুধবার ঢাকায় নিউ ইস্কাটনে ককটেল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই বোমায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। ইউনূস সরকারের আমলে একের পর এক অপরাধ ঘটেই চলেছে। বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব।প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেলের বিস্ফোরণে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে এটাকে বোমার বিস্ফোরণ বলেছিল।এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে নিউ ইস্কাটনের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ফটকের সামনে শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এ সময় ওই যুবক গুরুতর আহত হন। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।পুলিশের উপকমিশনার মাসুদ আলম জানান, নিহত ব্যক্তির নাম সিয়াম বলে জানা গেছে। তিনি সেখানে চা খেতে এসেছিলেন। ওপর থেকে ককটেল এসে তাঁর মাথার ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে নির্বাচনে লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলি। খালেদাপুত্র তারেক রহমানের আগামী কাল বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে সরকার। পাশাপাশি তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিএনপি নেতা-কর্মীরা। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি বাংলাদেশে ফিরছেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
বিদেশ

ঢাকায় ছাত্রনেতা ওসমান হাদী হত্যা, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশের বিরুদ্ধে

ঢাকায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশি ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পরই ওসমান হাদীর পরিবার সরাসরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি অংশের বিরুদ্ধে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে এই হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ তুলেছে।২০২৪ সালের জুলাই মাসের বিদ্রোহের পর গড়ে ওঠা সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্ম ইনকিলাব মঞ্চএর মুখপাত্র ছিলেন শরীফ ওসমান হাদী। গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বিমানে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও ১৮ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এই মৃত্যুর পর ঢাকায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয়। একাধিক জায়গায় জনতা বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।ওসমান হাদীর ভাই শরীফ ওমর হাদী ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, আপনারাই ওসমান হাদীকে হত্যা করেছেন, আর এখন সেই হত্যাকাণ্ডকে ইস্যু করে নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন।ওমর হাদী জানান, তার ভাই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলেন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা নয় বরং একটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পক্ষে ছিলেন। তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, খুনিদের শাস্তি না হলে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। সরকার এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি।তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ন্যায়বিচার না হয়, তবে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরও একদিন দেশ ছাড়তে হতে পারে। যেমনটি গত বছর গণবিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে ঘটেছিল। ওমর অভিযোগ করেন, কোনও সংস্থা বা বিদেশি প্রভুদের কাছে মাথা নত না করায় ওসমান হাদীকে হত্যা করা হয়েছে।দ্য ডেইলি স্টারএর প্রতিবেদনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল জাবের দাবি করেছেন, এই হত্যাকাণ্ড জুলাইয়ের বিদ্রোহের অর্জন ও বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। তার অভিযোগ, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা শক্তি ও দেশের ভেতরের ফ্যাসিবাদী সহযোগীরা এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত।বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তবে ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা স্পষ্ট করেছেন, ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার দিন তারা কোনও কর্মসূচি নেবেন না। একইসঙ্গে তারা আশা প্রকাশ করেছেন, তারেক রহমান তাদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানাবেন।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
রাজ্য

সামশেরগঞ্জে বাবা-ছেলের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

গত ১২ এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার জাফরাবাদ গ্রামের দুই বাসিন্দা হরগোবিন্দ দাস এবং তাঁর ছেলে চন্দন দাসকে উত্তেজিত জনতার একটি দল নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই জোড়া খুনের মামলার তদন্তে গঠিত হয়েছিল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর ১৩ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জমা পড়েছিল চার্জশিট।আজ রায় বেরিয়েছে মামলার। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত ১৩ জন অভিযুক্তকেই দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করেছেন। এখানে একটি প্রাসঙ্গিক তথ্য, গণপিটুনিতে মৃত্যুর ধারায়(যা কয়েক বছর আগে চালু হওয়া নতুন ফৌজদারি বিধিতে ১০৩(২) ধারায় চিহ্নিত হয়েছিল) এটি দেশে দ্বিতীয় conviction.দণ্ডিত ১৩ জনের নাম হলো:১. দিলদার নদাব (২৮), ২. আসমাউল নদাব ওরফে কালু (২৭), ৩. এনজামুল হক ওরফে বাবলু (২৭), ৪. জিয়াউল হক (৪৫), ৫. ফেকারুল সেখ ওরফে মহক (২৫), ৬. আজফারুল সেখ ওরফে বিলাই (২৪), ৭. মনিরুল সেখ ওরফে মনি (৩৯), ৮. একবাল সেখ (২৮), ৯. নুরুল ইসলাম (২৩), ১০. সাবা করিম (২৫), ১১. হযরত সেখ ওরফে হযরত আলী (৩৬), ১২. আকবর আলী ওরফে একবর সেখ (৩০) এবং ১৩. ইউসুফ সেখ (৪৯)।এদের মধ্যে ৫ জনের নাম এফআইআর-এ ছিল। বাকিদের তদন্তে পাওয়া তথ্য এবং তাঁদের ভূমিকার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওড়িশার ঝারসুগুডা, ঝাড়খণ্ডের পাকুড়, বীরভূমের পাইকর, হাওড়া, ফারাক্কা, সামশেরগঞ্জ এবং সুতি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়।তদন্তের সময় সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা থেকে প্রাথমিক সূত্র পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া গুগল ম্যাপস লোকেশন ভিজ্যুয়ালাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে অভিযুক্তদের মোবাইলের সিডিআর (CDR) ম্যাপে প্লট করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে অপরাধের জায়গায় তাঁদের উপস্থিতি এবং প্রবেশ-প্রস্থানের পথ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করা হয়েছে।অভিযুক্তদের হাঁটার ধরন বা গেইট প্যাটার্ন বিশ্লেষণ (Gait pattern analysis) করা হয়েছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তিদের হাঁটার ধরনের সাথে হুবহু মিলে গেছে। আদালত এই রায়ে ডিএনএ (DNA) প্রমাণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্রে লেগে থাকা রক্তের ডিএনএ-র সাথে মৃত ব্যক্তিদের ডিএনএ মিলে গিয়েছে।এই মামলার সঙ্গে যুক্ত মিঠুন হালদার, ইন্সপেক্টর প্রসূন মিত্র এবং বিভাস চট্টোপাধ্যায়, এই তিন পুলিশ আধিকারিক দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। মাত্র নয় মাসের মধ্যেই দোষীদের শাস্তি সুনিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিপুর জেলা পুলিশকেও অভিনন্দন জানিয়েছে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্তারা।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে উত্তাল কলকাতা, বাংলা হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ, ধুন্ধুমার

কলকাতার রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠল মঙ্গলবার। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিক্ষোভ ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতেই পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় একাধিক বিক্ষোভকারী আহত এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি দীপুচন্দ্র দাসকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নৃংশস ভাবে হত্যা করে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। তাঁকে মারধর করে পোস্টে বেঁধে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তী বাংলাদেশ পুলিশ স্বীকার করে দীপু কোনওরকম সাম্প্রদায়িক কথা বলেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকী বাংলাদেশ পুলিশ তাঁকে না রক্ষা করে হত্যাকারীদের হাতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্য়াচারের প্রতিবাদেই এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী-সমর্থকরা হাইকমিশনের সামনে জমায়েত হতে শুরু করেন। প্রথমদিকে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বেগবাগান এলাকায় একাধিক পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা।পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ ব্যারিকেড ভেঙে হাইকমিশনের মূল গেটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বারবার মাইকে সতর্কবার্তা দিয়ে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধস্তাধস্তি শুরু হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। লাঠিচার্জের পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ এবং মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত বাহিনী। সাময়িকভাবে যান চলাচলও ব্যাহত হয়।পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে আরও অবনতি না ঘটে, সেই কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বক্তব্য, তাঁদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জের নিন্দা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হাঁসখালি কাণ্ডে তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা আদালতের

নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণ, খুন ও প্রমান লোপাটের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করে আদালত। গতকাল, সোমবার মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা সহ মোট ৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর আজ রাণাঘাট আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে। মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ গয়ালী, প্রভাকর পোদ্দার ও রঞ্জিত মল্লিক তিনজনকে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের সাজাও ঘোষণা করেছে আদালত। তৎকালীন পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালীর পাঁচ বছর কারবাসের সাজা হয়েছে।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় অভিযুক্তদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা, প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য এবং তদন্তকারী সংস্থার পেশ করা নথি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। মামলায় সরকারি কৌঁসুলি সওয়ালে জানান, অভিযুক্তরা পরিকল্পিতভাবে অপরাধে যুক্ত ছিল এবং তা প্রমাণ করতে পর্যাপ্ত তথ্য আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করেছিল ২ জনকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে যায় সিবিআইয়ের ওপর।রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। রায় শোনার পর দোষী সাব্যস্ত হওয়া অভিযুক্তদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তে হাঁসখালি সহ গোটা নদিয়া জেলায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই মামলাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তদের মধ্যে শাসকদলের নেতা থাকায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হয়েছে। উচ্চতর আদালতে যাবেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal