মুর্শিদাবাদ সীমান্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ। মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ রুটমার্চ। এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই রুটমার্চ বলে জানিয়েছেন পুলিশ।ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জ্বলছিল মুর্শিদাবাদ। অশান্তি ছড়িয়েছিল মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায়। এলাকায় শান্তি এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা ফেরাতে গোটা জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। মহামান্য আদালতের নির্দেশেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় মুর্শিদাবাদ জেলায়। আর যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে । সেই দিকটা লক্ষ রেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন।
র্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে বাবা ও ছেলে খুনে গ্রেফতার দুই। এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন বীরভূম ও সুতি এলাকা থেকে কালু নাদাব ও দিলবার নাদাব নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওয়াকাফ বিক্ষোভের মাঝেই ১২ এপ্রিল কুপিয়ে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস নামে দুই পিতা ও পুত্রকে। জানা গিয়েছে ধৃতদের বাংলাদেশ পালানোর পরিকল্পনা ছিল। এখন পর্যন্ত ২২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১০৯৩ টি সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ফেক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ বিএসএফ সিআরপিএফ টহলদারি করেছে। আর নতুন করে কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নৌকায় নদী পার হয়ে প্রাণে রক্ষা পেলেন কয়কশো মানুষ। মুর্শিদাবাদের অশান্তির পরিবেশ থেকে জীবন বাঁচাতে গঙ্গা পার হয়ে অসংখ্য আতঙ্কিত মানুষ আশ্রয় নিল মালদার বৈষ্ণবনগর থানার পারলালপুর এলাকায়। রবিবার সকাল হতেই ধুলিয়ান গঙ্গার ঘাট থেকে নৌকা করে শতাধিক মানুষেরা প্রাণ বাঁচাতে মালদায় এসে আশ্রয় নেয়। মালদার পারলালপুর হাইস্কুলে নির্যাতিত মানুষদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে প্রশাসন। এদিন চোখে মুখে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে ধুলিয়ানের বাসিন্দা পারুল মন্ডল, নমিতা মন্ডলেরা বলেন, দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি সব লুট করে নিচ্ছে। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাড়ির জলের ট্যাংকিতেও বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে মালদায় এসে জীবন বাঁচিয়েছি। কয়েকদিন ধরে ধুলিয়ান সহ আশেপাশের এলাকায় দুষ্কৃতীদের তান্ডবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বাড়িতে চাল নেই, রান্নার গ্যাস শেষ হয়ে গিয়েছে। কোনও কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একদল দুষ্কৃতী প্রকাশ্যে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত মহিলারা নিজেদের জীবন বাঁচাতেই নৌকায় নদী পার করেই মালদায় চলে আসছেন। এদিন আমাদের মতোন অসংখ্য মানুষ ধুলিয়ান থেকে নৌকা করে মালদার পারলালপুর হাইস্কুলে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। ঘরবাড়ি সব পড়ে আছে। বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র লুট করেছে দুষ্কৃতীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনরকম সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এখন সবাই জীবন বাঁচাতেই এদিক সেদিক ছুটছে। এদিন ধুলিয়ানের বেদবনা এলাকার বাসিন্দা অনন্ত সন্ন্যাসী বলেন, আমার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। গবাদি পশু লুট করেছে দুষ্কৃতীরা। হঠাৎ করে কেন এরকম অরাজকতা তৈরি হলো কিছুই বুঝতে পারছি না। দিনদুপুরে হাতে অস্ত্র নিয়ে তান্ডব চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। মূলত মহিলাদের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে বাড়ির বাইরে বের হতে পারি নি। দিনমজুরি করে সংসার চালায়। হাতে কাজ নেই। বউ, ছেলে , মেয়ে নাতিনাতনি সবাই রয়েছে । কাজ না করলে সংসার চালবে কি করে? কিন্তু এই অশান্তির পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে বের হতে পারছি না। তার মধ্যে ওরা দল বেঁধে শনিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে সমস্ত কিছু লুট করে নিয়েছে। অল্পের জন্য আমরা পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছি। শনিবার রাতের এমন ঘটনার পর এদিন সকালে কোনরকমে নৌকা করে গঙ্গা নদীর ঘাট পার হয়ে মালদার পারলালপুর হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছি। জানি না কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ঘরবাড়ি সবই চলে গেল। পার পারলালপুর এলাকার বাসিন্দা শ্রীমন্ত বিশ্বাস জানিয়েছেন, সকাল থেকেই অসংখ্য মানুষ ধুলিয়ানের গঙ্গার ঘাট হয়ে নৌকা করে মালদার পারলালপুরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ স্কুলে উঠেছেন । আবার কেউ নিজেদের আত্মীয়র বাড়িতে ছুটে গিয়েছেন। এইসব মানুষদের আপাতত খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটা আন্দোলনের নামে এরকম অরাজকতা চলছে । অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনরকম কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। মালদা সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং জানিয়েছেন, ধুলিয়ান থেকে নৌকা করে এখনো পর্যন্ত ১৭০ জন মানুষ পারলালপুর হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। মুর্শিদাবাদের কয়েকটি এলাকায় বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে। এসব মানুষদের প্রশাসনিক ভাবে খাওয়ার সহ ত্রাণ বিলির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট স্কুল ক্যাম্পে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
অশান্ত মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মুর্শিদাবাদের অশান্তি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সেনা নামানোর আবেদন জানান তিনি। শুভেন্দুর সেই আবেদনে মান্যতা দিল দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি আদালত এদিন বলেন, মুর্শিদাবাদে শান্তি-সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনাই এখন প্রথম অগ্রাধিকার। বিএসএফকে ডাকা হলেও কাজ করতে দেয়নি জেলাশাসক এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আইনজীবীর। এরপরই কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর জানতে চান বিচারপতি। রাজ্যের তরফে এদিনের সওয়াল-জবাবে জানানো হয়েছে গোটা ঘটনায় ১৩৮ জন গ্রেফতার, এডিজি পদমর্যাদার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে অবস্থান জানতে চান হাইকোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। গ্রন্থাগার মন্ত্রী বলেছেন অশান্তি ছড়িয়ে দেবে হবে, বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। এপ্রসঙ্গে গতকাল আমতলা থানার উল্লেখ। সরকারের তরফে যে বক্তব্য পেশ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়, বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর আইনজীবীর। সওয়াল জবাব শেষে বিরোধী দলনেতার আবেদনকে মান্যতা দিয়ে অশান্ত মুর্শিদাবাদে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। শান্তি ফেরাতে পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, এমনটাই জানানো হয়েছে আদালতের তরফে।
কাল সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের সুতির সাজুর মোদের আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশের গুলি এবং সেইগুলিতে গুরুতর জখম অবস্থায় চুতির কাশেম নগরের ইজাজ আহমেদ ২১ বছরের যুবক গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে তাকে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কা জনক অবস্থা থাকা সত্বেও মেডিকেল বোর্ড গঠন করার পরে আজ তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে গতকাল সন্ধ্যায় ধুলিয়ানে ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক হামলা এবং লুটপাট চালায় ধুলিয়ানের বিভিন্ন এলাকা জুড়ে। গোটা রাত রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার পর তার বাড়ি থেকে পিতা এবং পুত্রের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহাকুমার হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শামসেরগঞ্জ এর জাফরাবাদ এর বাসিন্দা পিতা হরগোবিন্দ দাস (৭৪)এবং পুত্র চন্দন দাস (৪০)। তাদের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। Ui বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, বাড়তি ঢুকে হামলা চালিয়ে খুন করা হয়েছে দুজনকে।
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস এবং অভয়া মঞ্চের পক্ষ থেকে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান। প্রতিনিধিরা যায় করে সিবিআই দপ্তরে। ৮ মাসেও মেলেনি বিচার। দ্রুত তদন্ত, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার দাবিতে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস এবং অভয়া মঞ্চের অভিযান। মিছিল করে তারা উপস্থিত হয় ফিজিও কমপ্লেক্সের সামনে। এর পরে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, ৮ মাস পার হলেও প্রকৃত বিচার মিলল না। তদন্তে সিবিআই এর দীর্ঘসূত্রিতা এমনকি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রেও তদন্তকারীদের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরা। এরপর তাদের একটি প্রতিনিধি দল প্রবেশ করে ফিজিও কমপ্লেক্সের ভেতরে সিবিআই দপ্তরে।
ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রদান করে স্কুল ছাত্রদের মাঠমুখী করার মহান উদ্যোগ পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের। ৭ই এপ্রিল ২০২৫ সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম-২ ব্লকের সাহেব ডাঙ্গা, খান্ডারী ডাঙ্গায় পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুল এবং হোস্টেল ছাত্রদের বই ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক ও জেলা সমাহর্তা আয়েশা রানী এ (আইএএস), উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস), সদর উত্তর মহুকুমাশাসক তির্থঙ্কর বিশ্বাস, আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল।এই মহান উদ্যোগটি মূলত পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে সংগঠিত হয়। জেলার প্রকল্প আধিকারিক ও অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মণ্ডল জনতার কথা কে জানান মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ও জেলাশাসক আয়েশা রানী এ-র তত্ত্বাবধানে অনগ্রসর শ্রেণীর উন্নয়নে নানাবিধ প্রকল্প সংগঠিত হয়। এটিও অনগ্রসর অনগ্রসর শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা ও মাঠমুখী করার এক আভিনব প্রচেষ্টা। তিনি আরও জানান এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আবাসিক স্কুল এবং হোস্টেলের ছাত্রদের ক্যারাম বোর্ড, ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেট বল, ক্রিকেট সরঞ্জাম, ব্যাডমিন্টন র্যাকেট-র মত আউটডোর গেমের সরঞ্জামের সাথে-সাথে লুডো, দাবা সহ বাচ্চাদের খেলার সামগ্রীও প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর স্বাগত ভাষণে এই মহান উদ্যোগের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও আবাসিক স্কুল এবং হোস্টেলের ছাত্রদের বিভিন্ন রেফারেন্স ও গল্পের বই বিতরণ করে তাদের শিক্ষার প্রসারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিশিষ্টজনেদের মতে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট যেভাবে বিশ্বকে মুঠবন্দি করতে শেখায়, সাথে সাথে পরিবেশ পরিজন দের থেকেও তাদেরকে অনেক দূরে ঠেলে দিচ্ছে, বাচ্চারা ক্রমশ গৃহ বন্দী হয়ে পড়ছে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। অনগ্রসর অনগ্রসর শ্রেণীর অনেকেই অর্থের অভাবে ক্রীডা সরঞ্জাম ক্রয় করতে আপারগ, তাই তারা সেভাবে মাঠমুখী হয় না। সেক্ষেত্রে এই শুভ উদ্যোগের জন্য বাংলার অনেক ছাত্র ছাত্রী নতুন উন্নত ক্রীড়া সরঞ্জাম পেয়ে পূর্ণ উদ্যমে সবুজ মাঠ মাতাবে এই আশা করায় যায়।
বিশ্বভারতীর নতুন উপাচার্য পদে বসলেন কৃষি বিজ্ঞানী অধ্যাপক প্রবীর কুমার ঘোষ। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে সাংবাদিক উপাচার্য বলেন, আচার্য এবং শিক্ষা মন্ত্রক যে আমাকে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করব। প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংটা কি ভাবে এগিয়ে নিয়ে আসা যায় সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া এখানে এগ্রিকালচার নিয়ে খুব ভালো কাজ হচ্ছে। রবীন্দ্র ভাবনায় তা এগিয়ে চলেছে। শুরুতে ৬ টি গ্ৰাম দত্তক নেওয়া হয়। এখন সেটি ৬৫তে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, ১৫ মাস পর স্থায়ী উপাচার্য পেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন স্থায়ী উপাচার্জ কৃষি বিজ্ঞানী প্রবীর কুমার ঘোষের দিকে তাকিয়ে শান্তিনিকেতন। গত বছরের অগাস্ট থেকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন অধ্যাপক বিনয় কুমার সরেন। প্রবীর কুমার ঘোষ তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। পাঁচ বছরের জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন তিনি। প্রবীর কুমার ঘোষ ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বভারতীর ছাত্র ছিলেন। ৪ দশক পরে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি উপাচার্য পদে ফিরছেন। ৬৩ বছর বয়সের প্রবীর কুমার ঘোষের জন্ম মুর্শিদাবাদের কুমারপুরে। ভগীরথপুর হাইস্কুল এবং ডোমকল বিটি হাইস্কুলে পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীকালে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং তারপর উত্তরাখণ্ডের পন্তনগরের জিবি পন্ত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ছত্তিশগড়ের রায়পুরে আইসিএআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটিক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর পদে ছিলেন। তার আগে ভোপালের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সয়েল সায়েন্সেস এবং কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ডালস রিসার্চ-এ কাজ করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ২ যুবক মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি নিয়ে সেক্টর ফাইভের দিক থেকে নিউটাউনের দিকে আসিছল। তখন বলাকা আবাসনের কাছে অত্যন্ত বেপরোয়া হবে গাড়ি চালাচ্ছিল বলে এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে। গাড়িটি একটা গাড়িকে ধাক্কাও মারে। ওই দুজনকে পুলিশ আটক করে নিয়ে আসে গাড়িসহ। দুই অভিযুক্তকে যখন থানায় কর্মরত অবস্থায় ডিউটি অফিসার সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদা নাম জিজ্ঞাসা করে তখন ওই মহিলা অফিসারের গায়ে হাত দিয়ে মারধর করে এবং পোশাকের দড়ি ধরে টানাটানি করে। এরপরেই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত দুই যুবককে এদিন বারাসাত আদালতে তোলা হয়।
খাবারে রং মেশানোর অভিযোগে কয়েকজন দোকানিকে কান ধরে উঠবস করার অভিযোগ উঠল খাদ্য সুরক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।ঘটনাটি ঘটেছে, সাঁইথিয়া থানার আহমদপুরে। বৃহস্পতিবার ওই এলাকার খাবারের দোকানে পরিদর্শনে যান জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। সেখানে বেশ কিছু দোকানের ফ্রিজে দু-তিন দিনের পুরনো মাংস, মিষ্টি, তেলে ভাজা দেখতে পান। আধিকারিকরা সেই সমস্ত জিনিস নষ্ট করে দেন। এরপর লক্ষ্য করেন খাবারে মেশানো হচ্ছে নিম্নমানের রং। যে রং খাবারে মেশানো হচ্ছে সেটা মানুষের শরীরে ক্ষতিকারক। ক্ষতিকারক রং হাতেনাতে ধরা পড়ার পর কয়েকজন দোকানিকে কান ধরে উঠবস করান খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিক। এনিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ঘটনার বিরোধিতা করা হয়েছে।ব্যবসায়ী সুভাষ সাহু বলেন, আমার দোকানে কামধেনু রং পেয়েছিল। সেই অপরাধে আমাকে বেশ কয়েকবার কান ধরে উঠবস করিয়েছে। শুধু আমাকে নয়, বেশ কয়েকজন দোকানিকে একই শাস্তি দিয়েছে।সিউড়ি মারচেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, খাবারে কোন রং মিশিয়ে থাকলে দোকানদারকে জরিমানা করতে পারেন। নোটিশ দিতে পারেন। কিন্তু তিনি নিজে হাতে কোন শাস্তি দিতে পারেন না। বিষয়টি আমরা নিন্দা করছি। সঠিক জায়গায় আমরা অভিযোগ জানাব।জেলা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক প্রসেঞ্জিত বটব্যাল বলেন, যে ভাবে মানুষের শরীরে রং ঢুকছে তাতে মানুষের শরীরের ক্যান্সার এবং অসংক্রমিত রোগ বাসা বাঁধছে। ওই দোকানি আমাদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। তারা বলতে থাকে দামী রং দিতে পারব না। লোক চাইছে তাই কমা রং দিয়েই খাবার তৈরি করব। আমরা জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি। প্রথম সাবধান করা হচ্ছে। পরে তাদের নোটিশ করা হবে। তারপর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সল্টলেকের EZCC তে পালিত হল বঙ্গনারী শক্তি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভা নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। নারী নিজেই একজন শক্তি। আমরা পিছনে তাকালে দেখতে পাই বিভিন্ন নারীদের কথা যারা সমাজ পরিবর্তন করেছে। পশ্চিমবঙ্গে নারীরা শক্তি হলেও সেই শক্তিকে ভেঙে দেয়া হচ্ছে। তাদের সম্মানকে ভুলন্ঠিত করা হচ্ছে। সেই জন্য আমরা সেলফ ডিপেন্স এর উপর জোর দিচ্ছে। যে সমাজ নারীদেরকে ভুলোনিত করার চেষ্টা করছে তাদের আমরা আইডেন্টিফাই করছি। আমরা আগামী দিনে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে পা বাড়াবো। নারীদের যেভাবে সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনেক রকমের আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের দোরগোড়ায় ভারতীয় ক্রিকেট দল। এই প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচে পরাজিত হয়নি রোহিত, বিরাটরা। শনিবার নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ভারতের জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার মধ্যমগ্রামে এমএলএ কাপের ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেন, আমাদের দলের সকলে ভালো খেলছে। ভালো খেলা হবে। ভারত ফেবারিট। এই টুর্নামেন্টে ভারত এখনও অপরাজেয়। ইন্ডিয়া দারুণ ফর্মে আছে। তাই ভারতের জেতার সম্ভাবনা বেশি। সবাই ভালো ফর্মে আছে। শনিবার মাঠে এসে খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন সৌরভ। তিনি বলেন, এত ভালো মাঠে ফুটবল খেলা হচ্ছে, এত দর্শক খুব ভালো লাগছে। রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল ভারতের জয় নিয়ে আশাবাদী সৌরভ বলেন, ভারতীয় দলের জয় অব্যাহত আছে ফলে দলের প্লেয়ারদের পরিবর্তনের কোনও দরকার নেই। রোহিত শর্মার ভালো ফর্ম নেই তার অবসর নেওয়ার সময় এসেছে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে সৌরভ রহিতের পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেন, রোহিত ভালো ফর্মে আছে। এইতো ছয় মাস আগে ওয়ার্ল্ড কাপ জিতলো। ক্যাপটেন হিসেবেও সফল হচ্ছে। বিগত দিনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, রোহিতের অবসরের কোন কারণই নেই। কেন অবসর নেবে? বাংলার ক্রিকেট নিয়ে তিনি তেমন কোন মন্তব্য করতে চাননি। এই প্রসঙ্গে সৌরভের মন্তব্য, বাংলার কোচ লক্ষ্মী রতন শুক্লা দেখছে। লক্ষ্মী ভালো কোচ। বায়োপিকের কাজ চলছে, ডিসেম্বরে রিলিজ হবে বলে জানালেন সৌরভ।
বর্ধমান পুরসভার উন্নয়ন নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন তৃণমূল কাউন্সিলর বসির আহমেদ ওরফে বাদশা। তাঁর দাবি, দুএকটি ওয়ার্ড ছাড়া পুর এলাকার কোনও ওয়ার্ডে উন্নয়ন হয়নি। রাস্তা হয়নি বেশিরভাগ ওয়ার্ডে। বরং না নোটিশ দিয়ে ফুটপাতের দোকান ভাঙতে মরিয়া। বসির আহমেদ বলেছেন,বর্ধমান পুরসভা এলাকায় ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া কোনও ওয়ার্ডে উন্নয়ন হয়ৃনি। ৩৩টা ওয়ার্ডে কোনও কাজ হয়নি। দেখাতে পারবেন কোথায় কি রাস্তা হয়েছে? এক ঘন্টা বৃষ্টিতে বাবুরবাগ ডুবে গিয়েছে। প্রতিবছর লহর সংস্কার হয়। এবছর লহর সংস্কার হয়নি। নিকাশি ব্যবস্থা কিছু হয়নি। চেয়ারম্যান ও বিধায়কদের জানিয়ে কিছু হয়নি। শুধু ফুটপাতের দোকানদারদের ওপর হিংসা। তাদের উচ্ছেদ করতে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। অন্ধকারে এসে দোকান বন্ধ ছিল ভেঙে চলে গিয়েছো। এর ফল পাবে। আমরা কিছু করতে করতে পারব না। বিধানসভা ভোটেই পাবে। লোকসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে তৃণমূল লিড পেয়েছে। কিন্তু এরপর জনগন কি করবে জানি না। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, মাস পিটিশন করে বিষয়টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাবেন। কোথাও হকার উচ্ছেদ নেই অথচ ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে হকার উচ্ছেদ হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী (কন্ট্রাকচুয়াল) ইউনিয়ন এর তরফ থেকে UDMA দফ্তর অভিযান। একাধিক দাবf নিয়ে এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভ দেখায় নগরায়ন দফতরের সামনে। অবিলম্বে পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে, কর্মরত অবস্থায় কোন কর্মীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা সহায়তা প্রদান, ষাটোর্ধ্ব কোন কর্মী গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে অবসরকালীন ভাতা দিয়ে অবসর গ্রহণের সুযোগ দিতে হবে, পৌর স্বাস্থ্যকর্মীদের সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকৃতি, সরকারি সব ছুটি, পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও ইএস আই-র আওতায় আনতে হবে। এই সকল দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে সল্টলেকের নগরায়ন দফতরের UDMA অভিযান। অভিযানের ডাক দেয় পশ্চিমবঙ্গ পৌর স্বাস্থ্যকর্মী (কন্ট্রাকচুয়াল) ইউনিয়ন।
মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির। আরও চার প্রসূতির মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে ১৩ সদস্যের মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই টিমে রয়েছেন রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল বোর্ডের সদস্যরাও।অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার ১৩ সদস্যের ওই তদন্তকারী টিম যাচ্ছেন মেদিনীপুরে।স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, যে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে, তার ব্যাচ নিয়ে কিছু অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।শনিবার ওই টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে সব কিছু খতিয়ে দেখবেন। কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে যথাযত পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।ঘটনার সূত্রপাত, সন্তান জন্ম দেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন একের পর এক প্রসূতি। শুক্রবার সকালে তাঁদেরই মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।মৃত প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, সন্তানের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হয়। স্যালাইনেই সমস্যাতেই এমন বিপত্তি হয়েছে। ভর্তি থাকা প্রসূতিদেরও স্বজনরাও অভিযোগ করেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। তার জেরেই এমন কাণ্ড।
কারবার বলতে সামান্য টেলারিং। মঙ্গলবার সাত সকালে বর্ধমান শহরের লস্করদিঘিতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। টেলারিং কারবারির বাড়িতে ইডির হানায় রীতিমতো চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাও রীতিমতো হতবাক। জানা গিয়েছে,এই টেলারিংয়ের কাজ করা মইনুল হাসানের বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালায় সিবিআই। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রহস্য দেখা দিয়েছে ১০ লক্ষ টাকা লেনদেন নিয়ে।জানা গিয়েছে, মইনুল হাসানের একটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এক দিনে ১০ লক্ষ টাকা জমা হয়েছে। আবার দেরি না করে ওই দিনই সেই টাকা তুলে আবার অন্য একজনকে দিয়েও দিয়েছেন তিনি। এই নিয়েই ইডির পাঁচ জনের একটি দল এদিন সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৫ পর্যন্ত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালায় মইনুল হাসান মল্লিক ও তাঁর পরিবার সদস্যদের। কি কারণে ইডির হানা? তা অবশ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে গোপন রাখেননি মইনুল। তিনি বলেন,গত ২১ নভেম্বর তাঁর একাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা দেয় সুকান্ত ব্যানার্জী নামে একজন পরিচিত। সুকান্তর বাড়ি দক্ষিণেশ্বরে। ওই দিনই সুকান্তর কথা মত তিনি অপর একজনকে ওই ১০ লক্ষ টাকা তুলে দেন। বর্ধমানের ভাঙাকুঠি এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় অ্যাকাউন্ট রয়েছে মইনুলের। এখন ওই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিজ করা আছে। যদিও টাকা তুলে যে ব্যক্তির হাতে তিনি ওই টাকা তুলে দিয়েছেন সেই ব্যক্তি তাঁর অপরিচিত বলে মইনুল হাসান মল্লিক দাবি করেছেন। তাঁকে তিনি চেনেন না বলেই জানিয়েছেন মইনুল। ওই ১০ লক্ষ টাকার লেনদেনের পরিপেক্ষিতেই তাঁর বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা হানা দেয়।মইনুলের বক্তব্য়, সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বলছেন ওই ১০ লক্ষ টাকার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। কেন তিনি এই টাকা নিয়ে মাঝে থেকে লেনদেন করেছেন তাঁর সদুত্তর দিতে পারেননি মইনুল হাসান। তদন্তকারীদের অনুমান, কোনও কারণ ছাড়া কেউই নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার লেনদেন করবে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তাছাড়া কিছু সময়ের ব্যবধানে কে টাকা দিল অ্যাকাউন্টে, আর কাকে মইনুল টাকা তুলে দিল তা নিজেই জানেন না, এতে রহস্য দেখতে পাচ্ছে তদন্তকারীরা।এদিকে মইনুল জানিয়েছেন, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে সাত দিন সময় দিয়েছেন। এই সাতদিনের মধ্যে ওই ১০ লক্ষ টাকা লেনদেনের বিষয়ে সঠিক তথ্য তুলে দিতে হবে। প্রশ্ন উঠেছে, কারও কথা মতো তিনি কি করে ১০ লক্ষ টাকার এমন তড়িঘড়ি লেনদেনের দায়িত্ব নিলেন? সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে চিনতেও পারছেন না মইনুল! তাঁকে সুকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ফাঁসিয়েছে বলে মইনুলের দাবি।
কল্যানীর এইমসের একাধিক স্বাস্থ্য পরিষেবার সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই সূচনা লগ্নেই ক্ষমা চাইলেন পশ্চিমবঙ্গের সত্তোরোর্ধ প্রবীণদের কাছে। ক্ষমা চেয়েছেন দিল্লির প্রবীণদের কাছেও। কিন্তু কেন এই ক্ষমা?নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমি পশ্চিমবঙ্গের ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে সকল প্রবীণ মানুষ এবং দিল্লির ৭০ বছরের ঊর্ধ্বে সকল প্রবীণ মানুষদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কারণ আমি আপনাদের সেবা করতে পারবো না। আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি কারণ আমি জানি তাঁরা কেমন আছেন, সেই তথ্য আমি সংগ্রহ করি, কিন্তু আপনাদের সাহায্য করতে পারবো না। এর কারণ দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের সরকার আয়ুষ্মান যোজনার সাথে যুক্ত হচ্ছে না।70 वर्ष से ऊपर के सभी बुजुर्गों को आयुष्मान योजना के दायरे में लाने की अपनी गारंटी को आज धन्वंतरि जयंती पर पूरा कर मुझे बहुत संतोष मिला है। pic.twitter.com/SkDd71zTNl Narendra Modi (@narendramodi) October 29, 2024রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে চিকিৎসা না পাওয়ার জন্য যে তিনি ক্ষমা চাইছেন তাও স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে নিজেদের রাজ্যের অসুস্থ মানুষদের কষ্টে রাখার প্রবণতা যেকোনও মানবিক মনোভাবের বিরোধী এবং তাই আমি পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ মানুষদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, দিল্লির প্রবীণ মানুষদের কাছেও ক্ষমাপ্রার্থী। দেশের মানুষদের সেবা করার ইচ্ছা আমার আছে, কিন্তু রাজনৈতিক ব্যবস্থার দেওয়াল আমাকে দিল্লি এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ মানুষদের সেবা করতে বাধা দিচ্ছে।
রোগী দেখাতে আর বাংলার বাইরে ছুটতে হবে না। এখানেই গড়ে উঠেছে চিকিৎসা পরিষেবার বৃহত্তর হাসপাতাল। নদীয়ার কল্যানীতে গড়ে উঠেছে এইমস। সেই হাসপাতাল সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হল। কীভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন, যাবেন কীভাবে সমস্তই তথ্যই থাকছে এখানে।১৭৫৪ কোটি টাকা খরচ করে ১৮০ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে কল্যানীর এইমস। এই আধুনিক হাসপাতালে রয়েছে মোট ৯৬০টা বেড। তার মধ্যে এখন চালু হচ্ছে ৪৫০টি বেডের পরিষেবা। ধীরে ধীরে সমস্ত বেডই চালু হয়ে যাবে। এখানে চিকিৎসক দেখাতে হলে প্রথমেই ১০টাকা দিয়ে একটা বই করাতে হবে। এই বইটির মেয়াদ একবছর। একবছর ফ্রিতে ডাক্তার দেখাতে পারবেন। এই হাসপাতালে বেডের ভাড়া দিনপ্রতি মাত্র ৩৫টাকা। এই টাকার বিনিময়ে রোগী এখানে খাবারও পাবে। এখানে ভর্তির সময় ১০ দিনের টাকা অর্থাৎ ৩৫০টাকা দিতে হবে। কসান মানি দিতে হবে ২৫ টাকা। মোট খরচ ৩৭৫ টাকায় ১০ দিন এখানে চিকিৎসা হবে। যাদের কেন্দ্রীয় প্রকল্প আয়ুস্মান ভারতের কার্ড রয়েছে তাঁদের এই টাকাও লাগবে না। গরিব মানুষের ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। স্বাস্থ্যের সমস্ত ধরনের পরীক্ষা চালু রয়েছে। সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয় রেজিস্ট্রেশন। রোগী দেখা হয় ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত। সোম থেকে রবিবার পর্যন্ত খোলা থাকে আউটডোর। অনলাইনেও রেজিস্ট্রেশন করা যেতে পারে।কল্যানীতে কিভাবে যাওয়া যাবে?শিয়ালদা থেকে ট্রেন যোগে সহজেই যাওয়া যাবে কল্যানী। আবার যাঁরা মুর্শিদাবাদের দিক থেকে আসবেন তাঁরাও ট্রেনে যোগে এই স্টেশনে আসতে পারবেন। বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি থেকে এলে নৈহাটি থেকে ট্রেন ধরবেন। নৈহাটি থেকে একেবারেই কাছে। তাছাড়া যে কোনও প্রান্ত থেকে সড়ক যোগাযোগেও যাওয়া যেতে পারে কল্যানী। জিটি রোড ধরে হুগলির পান্ডুয়ার পরেই ঈশ্বরগুপ্ত সেতু পার হলেই কল্যানী।
আরজি কর হাসপাতাল যে ঘটনা ঘটেছে তার পর স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত শহর তথা রাজ্যের মানুষ। কর্মক্ষেত্রে কেউ কতটা নিরাপদ তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেরই দাবি, যে কোনও কাজের জায়গা হোক, বহু সময়ে বহু কর্মী হেনস্থার শিকার হন। আর টালিগঞ্জও এইসব অভিযোগ থেকে বাদ নেই। তাই এবার কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার তদন্তের জন্য যাতে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয় তার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠানো হল টলিপাড়া থেকে।মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছে ওয়েমেন ফোরাম ফর স্ক্রিন ওয়ার্কারস। তাঁদের দাবি, কাজ করতে এসে বহু অভিনেতা, ক্রু সদস্য, টেকনিশিয়ান অনেক সময়ই হেনস্থার শিকার হন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না বেশিরভাগ সময়। তাই এসব অভিযোগের তদন্ত করতে স্বাধীন একটি কমিটি গঠন করুক সরকার। মূলত আরজি করের ঘটনার পরই এমন একটি পদক্ষেপ নেওয়া আরও জরুরি হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছে তাঁরা।
পূর্ব রেলের এই স্টেশনের সমস্ত কর্মীই মহিলা। রেলের মহিলা কর্মীরা নিরাপদে প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশন পরিচালনা করছেন। ৬ মার্চ ২০২০ থেকে শিয়ালদহ বিভাগের প্রথম সর্ব-মহিলা চালিত রেলওয়ে স্টেশনে পরিণত হয়েছে। এখানে স্টেশন মাস্টার, পয়েন্টসম্যান, পোর্টার এবং স্যানিটেশন স্টাফ সহ স্টেশনের পুরো স্টাফরা প্রত্যেকেই মহিলা। এই মাইলফলক নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত বলা যায়।প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনে নিরাপত্তা একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার, উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং নিয়মিত নিরাপত্তা টহল এবং জরুরী প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থাগুলি মহিলা যাত্রীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করে। মহিলাদের বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করে, প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশন একটি আরও অন্তর্ভুক্ত কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলছে। প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনের সর্ব-মহিলা দলটি রেলের কার্যক্রমের সমস্ত দিক পরিচালনা করছে। ট্রেন পরিচালনা এবং কাজের স্থানান্তর পরিচালনা থেকে ব্যতিক্রমী যাত্রী পরিষেবা প্রদান এবং পরিচ্ছন্নতা ও স্যানিটেশন বজায় রাখার জন্য এই মহিলারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন।পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, আমাদের সমাজ গঠনে মহিলারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এই উদ্যোগটি তাদের ক্ষমতার প্রমাণ।