চলতি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুঃস্বপ্ন চলছেই। টানা ৫ ম্যাচ খেলা হয়ে গেল। অথচ এখনও জয়ের মুখ দেখল না। বুধবার পাঞ্জাব কিংসের কাছে হারল ১২ রানে। দল এখনও জয় না পেলেও টি২০ ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলস্টোনে পোঁছে গেলেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলির পর দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন।
টি২০ ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলস্টোনে পৌঁছতে রোহিত শর্মার দরকার ছিল ২৫ রান। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে কাগিসো রাবাডার তৃতীয় বল ডিপ এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে পাঠিয়ে টি২০ ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলস্টোনে পৌঁছন রোহিত। ১৭ বলে ২৮ রান করেন রোহিত। এদিন ২৮ রান করায় টি২০ ক্রিকেটে তাঁর মোট রান হল ১০০০৩। বিরাট কোহলির রান ১০৪৯৯।
মঙ্গলবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে চেন্নাই সুপার কিংস প্রথম জয় পেয়েছিল চেন্নাই। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অবশ্য এখনও জয়ের মুখ দেখল না। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঠে এদিন টস জিতে পাঞ্জাব কিংসকে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত। দারুণ শুরু করেছিলেন অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও শিখর ধাওয়ান। ওপেনিং জুটিতে ৯.৩ ওভারে দুজনে তোলেন ৯৭। শুরুর দিকে শিখরের তুলনায় বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে এদিন প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন মুরুগান অশ্বিন। মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে তিনি তুলে নেন। ৩২ বলে ৫২ রান করে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হন। তিন নম্বরে নামা জনি বেয়ারস্টো (১৩ বলে ১২) রান পাননি। তাঁকে ফেরান জয়দেব উনাদকাত। লিয়াম লিভিংস্টোন ৩ বলে ২ রান করে যশপ্রীত বুমরার বলে বোল্ড হন।
অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়ালের পাশাপাশি দুরন্ত ব্যাট করেন শিখর ধাওয়ান। ৫০ বলে ৭০ রান করে তিনি বাসিল থাম্পির বলে কায়রন পোলার্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শিখর ধাওয়ানের ইনিংসে রয়েছে ৫টি ৪ ও তিনটি ৬। শেষদিকে ঝড় তোলেন জিতেশ শর্মা। ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৬ বলে ১৫ রান করেন শাহরুখ খান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তুলল ১৯৮। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে বাসিল থাম্পি ৪৭ রানে ২টি, জয়দেব উনাদকাত ৪৪ রানে ১টি, যশপ্রীত বুমরা ২৮ রানে ১টি, মুরুগান অশ্বিন ৩৪ রানে ১টি উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৯৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় মুম্বই। ঝড় তুলেও চতুর্থ ওভারে ফিরে যান রোহিত শর্মা। পরের ওভারে ঈশান কিশানকে (৩) তুলে নিয়ে মুম্বইকে চাপে ফেলে দেন বৈভব আরোরা। এরপর ঝড় তোলেন ‘বেবি এবি’ ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। ১০ ওভারে ১০৫/২ রানে পৌঁছে যায় মুম্বই। ওডিয়েন স্মিথের বলে ব্রেভিস ফিরতেই রানের গতি কমে যায় মুম্বইয়ের। ৪টি চার ও ৫টি ছয়ের সাহায্যে ২৫ বলে ৪৯ রান করেন ব্রেভিস। ১ ওভার পরেই রান আউট হন তিলক ভার্মা। ২০ বলে তিনি করেন ৩৬।
পরপর ব্রেভিস ও তিলক ভার্মা আউট হলেও পোলার্ড ও সূর্যকুমার যাদব মুম্বইয়ের জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন। পোলার্ড (১১ বলে ১০) রান আউট হতেই চাপে পড়ে যায় মুম্বই। সূর্যকুমার ঝড় তুলে দলকে প্রথম জয় এনে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রাবাডাকে তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ওডিয়েন স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৩০ বলে ৪৩ রান করেন সূর্যকুমার। শেষ ওভারে উনাদকাত (৭ বলে ১২), বুমরা (০) ও টাইমল মিলসকে (০) তুলে নেন স্মিথ (৪/৩০)। মুমইয়ের ইনিংস থেমে যায় ১৮৬/৯ রানে।
আরও পড়ুনঃ আদৌও সামনের মরশুমে আইএসএলে খেলতে পারবে ‘শ্রী–হীন’ ইস্টবেঙ্গল?
আরও পড়ুনঃ দুর্দান্ত জয়ের পরেও জরিমানা এটিকে মোহনবাগানের! সমর্থকদের জন্য কী দশা
আরও পড়ুনঃ শ্রী-হীন ইস্টবেঙ্গল, স্পোর্টিং রাইটস ফিরে পেল
আরও পড়ুনঃ সুযোগ না পেয়ে নাইট রাইডার্স সম্পর্কে কী বললেন প্রাক্তন অধিনায়ক?