• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bankura

রাজ্য

খাঁচাবন্দি মৈপিঠের বাঘ, সুন্দরবন থেকে জঙ্গলমহল, রয়েলবেঙ্গল টাইগারের দাপদাপিতে আতঙ্ক বাড়ছে

সুন্দরবন থেকে পশ্চিমের জঙ্গলমহল, রাজ্যে বাঘের আনাগোনা বেড়েছে। যেন দুয়ারে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বাঁকুড়ার পর মৈপিঠের বাঘ ধরা পড়েছে। কিন্তু জঙ্গলমহল লাগোয়া এলাকায় রেডিও কলার ছাড়া আরেকটা বাঘ ঘোরাফেরা করছে। বাঘ মামার আতঙ্ক যেন কিছুতে কাটছ না সাধারণে। শেষেমশ খাঁচাবন্দি হয়েছে মৈপিঠের বাঘ৷ বাঘ পুরোপুরি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী৷ ইতিমধ্যে বাঘটির প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে৷ যে বাগটি ধরা পড়েছে সেটি পূর্ণ বয়স্কর পুরুষ বাঘ বলে জানা গিয়েছে৷ এই বাঘটিই বারবার লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে বনদপ্তর৷ বাঘকে গভীর জঙ্গলে ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে বনদপ্তর৷ বাঘটিকে ফের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে গভীর জঙ্গলে। এই বাঘ ধরার অভিযানে নেমেছিল বনদপ্তরের প্রায় ৮০ জনের টিম। লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় বাঘের খবর পেলেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান নিশা গোস্বামী ৷ রবিবার গভীর রাতে অবশেষে খাঁচাবন্দি মৈপিঠের বাঘ। বারবারই একই বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসছিল। রবিবার সকালে কিশোরিমোহনপুর এলাকায় বাঘ আসার খবরে নজরদারি চালানোর পর জঙ্গলের চারিদিক ঘিরে দেয় বনদপ্তরের কর্মীরা। তাতেই বাঘের গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়। ঘেরা জায়গার মধ্যে পাতা হয় খাঁচা। টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ছাগল। রাতেই সেই খাঁচায় অবশেষে বন্দী হল বাঘ। আজ বাঘটির শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। তারপর তাকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদপ্তর সুত্রে জানানো হয়েছে। এক সপ্তাহের নধ্যে তিন তিনবার বাঘের হানা মৈপিঠে। রবিবার সকালে কিশোরিমোহনপুর এলাকায় ফের দেখা গেল বাঘের পায়ের ছাপ। ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদপ্তর। বাঘের গতিবিধি লক্ষ্য করে জঙ্গলের মধ্যে প্রায় ১ কিলোমিটার মত জায়গা ঘেরা হয়। তারপর খাঁচা পেতে সাফল্য পায় বনদপ্তর। ৬ই জানুয়ারি সোমবার সকালে কিশোরীমোহনপুর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায়। ৮ তারিখ বুধবার ভোররাতে বাঘ ফিরে যায় জঙ্গলে। পরেরদিনই ৯ তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে ফের বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া যায় মৈপিঠের নগেনাবাদে। জাল দিয়ে ঘিরে ফেলায় ১০ তারিখ ভোর রাতে ফের বাঘ ফিরে যায় জঙ্গলে। ১২ তারিখ রবিবার সকালে মৈপিঠের কিশোরিমোহনপুর এলাকায় গঙ্গার ঘাটে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। এবারও আজমলমারির জঙ্গল থেকে বাঘ এসেছে লোকালয়ে বলে জানা গিয়েছে। মুড়িগঙ্গা নদী পেরিয়ে বাঘ লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় চলে আসায় আতঙ্ক ছড়ায়। অবশেষে বাঘ খাঁচাবন্দী হওয়ায় স্বস্তিতে এলাকার বাসিন্দারা।

জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
রাজ্য

স্বর্গ রথ চালিয়ে পূজা মণ্ডল সমাজকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন

সত্যি সাহসিকতার পরিচয় দিলেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ভয় না পেয়ে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন গুরুদায়িত্ব, পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি গাড়িচালক হিসেবেও কাজ করছেন। তবে যে সে গাড়ি নয়। বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লাড ডোনেশন সোসাইটির একটি শবদেহ বহনকারী গাড়ি চালাচ্ছেন পূজা মণ্ডল।মানুষের অন্তিম যাত্রার সহায়ক হলেও স্বর্গের রথ বা শববাহী গাড়িকে অবহেলার চোখেই দেখে সমাজ। বাঁকুড়াতেও রয়েছে নেতিবাচক উদাহরণ। সম্প্রতি বড়জোড়ার শব বহন করা গাড়িকে পেট্রোল দিতে চাননি পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। টুকটাক কাজ যেমন, টায়ার সারানো কিংবা সার্ভিসিং করাতে গেলেও অনেক সময় এই গাড়িগুলির চালকদের বেগ পেতে হয়। সাধারণ মানুষের একাংশের চোখে এই গাড়িগুলি অপবিত্র এবং অস্পৃশ্য।তা সত্ত্বেও হাসিমুখে এই কাজ করে চলেছেন ছাত্রী পূজা। কিন্তু কেন? জানা যায়, নেপথ্যে রয়েছে চমকপ্রদ একটি গল্প। ২০১৪ সালে গাড়িটি কেনা হয় সংগঠনের তরফে। তখন থেকে গাড়িটি চালাতে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল চালককে। পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে গিয়েও হয়েছে ঝামেলা। এছাড়াও সিট কভার লাগিয়ে দিতেও চাননি কোনও ব্যবসায়ী। বড়জোড়া ট্যাক্সি স্ট্যান্ডেই থাকত এই স্বর্গের রথ, কিন্তু কোনও ড্রাইভারই চালাতে চাইতেন না গাড়িটিকে। এর পর পূজা মণ্ডল বড়জোড়া ব্লাড ডোনার সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত হন এবং ২০১৮ সালে প্রথম রক্তদান করেন তিনি। তার পর ২০২১ সালে দুর্গাপুরে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করতে করতেই শবদেহ বহনকারী এই গাড়ির দায়িত্ব নেন পূজা। মূলত মানুষকে সচেতন করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত পূজার। তাঁর দাবি, আর পাঁচটা যানবাহনের মতই এটিও একটি স্বাভাবিক যান, কোনও অপবিত্র বস্তু নয়। এই চিন্তা থেকেই গাড়িটি চালানো শুরু করেন পূজা। এর পর ধীরে ধীরে চড়াই উতরাই পার করে, মানুষের মনের পরিবর্তন দেখেছেন তিনি। আগের মত আর গাড়িটি নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।সমাজসেবা নিয়ে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন পূজা। পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন সচেতনতার প্রচার এবং সমাজ কল্যাণমূলক কাজ। বর্তমানে পূজার নাম অনেকেই জানেন। তাঁকে উদাহরণ হিসাবে মনে রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর থেকে শুরু করে ভাইস চ্যান্সেলর কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পর্যন্ত সকলেই এক ডাকে চেনেন পূজাকে। বড়জোড়ার বাড়িতে তাঁর বাবা-মাও তাঁকে নিয়ে গর্বিত। পূজার মা টুম্পা মণ্ডল বলেন,আমার তো বেশ ভালই লাগে। প্রথম যখন আমার মেয়ে ঠিক করে যে গাড়িটা চালাবে, তখন খুব ভয় লাগত। এত বড় গাড়ি কি ও আদৌ চালাতে পারবে? তার পর ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়। এখন আমি খুব খুশি।বাঁকুড়ার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে শুরু করে বড়জোড়ার রাস্তাঘাটে শবদেহ বহনকারী গাড়ি চালিয়ে যান পূজা। গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে শবদেহর স্ট্রেচার টেনে বাইরে আনা পর্যন্ত একা হাতেই সামলান সব কিছু। এতে ক্লান্তি নেই, দায়িত্ব নিতে পারায় জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করেন পূজা।

জুলাই ১১, ২০২৪
রাজ্য

বাঁকুড়ায় গাড়ি তাড়া করে এলোপাথাড়ি গুলি, মারাত্মক জখম বর্ধমানের তৃণমূল শ্রমিক নেতা

পাশের জেলার তৃণমূল নেতাকে গুলি। মঙ্গলবার দুপুরবেলা বাঁকুড়ায় রাস্তায় চলে গুলি। জানা গিয়েছে, এদিন বেলা দেড়টা নাগাদ একটি চার চাকা গাড়িতে চড়ে চালক সহ পাঁচ যুবক বাঁকুড়া দুর্গাপুর রাজ্য সড়ক ধরে বাঁকুড়া থেকে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। এই পাঁচজনই বাঁকুড়া জেলা আদালতে আইনি কাজে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তাঁদের গাড়ি ধাওয়া করতে থাকে একটি বাইক। ওই বাইকে দুজন সওয়ারী ছিল বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। বাইক ধাওয়া করছে দেখা মাত্রই গতি বাড়ে চার চাকার। গাড়িটি বাঁকুড়া শহর লাগোয়া কেশিয়াকোল এলাকা ছেড়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছাকাছি আসতেই বাইকের পিছনে বসে থাকা যুবক দুহাতে দুটি বন্দুক নিয়ে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। গুলিতে গাড়িতেই জখম হন জিয়াবুল হক শেখ, নূর মহম্মদ শা ওরফে টগর এবং গোবিন্দ মণ্ডল নামে তিন যুবক। মাথায় গুলি লাগে নূরের। জখমদর ভর্তি করা হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়াও তাদের সঙ্গে ছিল গলসির গোহগ্রামের সেখ রবিউল। গুরুতর জখম হন বাগাই।এর মধ্যে জিয়াবুলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের দয়ালপুর গ্রামে। নূরের বাড়ি গলসির তেঁতুলমুড়ি গ্রামে। নুর গলসি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসির নেতা। গোবিন্দর বাড়ি বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানার পাবড়াডিহি গ্রামে। এদিকে গুলির আওয়াজে স্থানীয়রা চলে আসে। তাঁদের দেখেই দুস্কৃতীরা যে পথে এসেছিল সেই পথেই ফিরে যায়। পুলিশ বাঁকুড়া থেকে বেরোনোর সব রাস্তা ঘিরে ফেলে। তল্লাশি শুরু হয় বাঁকুড়া থেকে বেরোতে থাকা প্রতিটি বাস ও ছোট গাড়িতে। কেন তৃণমূল নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চলল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
রাজ্য

গ্রেফতারির পালা ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের, এবার তলব বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে

ঘুষ দিয়ে বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। এমন অভিযোগে ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের চার শিক্ষক গ্রেফতার হয়েছেন। এবার বাঁকুড়ায় কর্মরত ৭ জন প্রাথমিক শিক্ষক নুয়ে ধন্দ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার ৭ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব করেছে সিবিআই। এই সাত জনের বিরুদ্ধে ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির। তলব পাওয়া সাত শিক্ষক ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পাশ করে চাকরি পেয়েছিলেন। মূলত ২০১৪-র টেট দুর্নীতির অভিযোগ মামলাতেই সোমবার প্রাথমিকের ৪ শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। শিক্ষকের চাকরি পেতে এঁরা প্রত্যেকে ৫-৬ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের ধৃত ওই ৪ জন অযোগ্য প্রাথমিক শিক্ষক জেরায় নিজেরা দোষ কবুল করেছে।সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রথম টাকার বিনিময়ে চাকরি মেলার অভিযোগে ৪ শিক্ষককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। গ্রেফতার হওয়া ৪ শিক্ষক মুর্শিদাবাদ জেলার। সিবিআই-এর চার্জশিটে এই ৪ ধৃত শিক্ষকের নাম ছিল সাক্ষী হিসাবে। কিন্তু বিচারক প্রশ্ন তোলেন যে চার্জশিটে কেন সাক্ষী হিসেবে নাম রয়েছে তাদের? এরপরই এই ৪ জন অযোগ্য শিক্ষিককে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারক। ৪ ধৃত অযোগ্য শিক্ষিক হলেন- জাহিরউদ্দিন শেখ, সায়গল হোসেন, সীমার হোসেন ও সৌগত মণ্ডল। বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় জন ধৃত ৪ শিক্ষককে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এবার বুধবার বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে সিবিআই তলবের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আগস্ট ০৮, ২০২৩
রাজনীতি

বাঁকুড়ায় অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি, কেন বললেন প্রায়শ্চিত্তের কথা?

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহল তৃণমূল কংগ্রেসকে খালি হাতে ফিরিয়ে ছিল। ভরিয়ে দিয়েছিল বিজেপিকে। তারপর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনেও কিছু জমি পুনর্উদ্ধারে তৃণমূল সক্ষম হলেও বিজেপি থেকে পুরোপুরি মুখ ফেরায়নি বাঁকুড়া। এবার সেই বাঁকুড়ার ওন্দায় গিয়ে একরাশ অভিমান ঝরে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। বাঁকুড়ার মানুষকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায়শ্চিত্তের কথা বললেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। যে বক্তব্য নিয়ো তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।এবারও যদি বাঁকুড়ায় একই দশা হয় সেক্ষেত্রে অভিষেক জানিয়ে দিলেন, তাহলে তৃণমূল আর বাঁকুড়ার মানুষের অধিকার নিয়ে লড়াই আন্দোলন করবে না। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাঁকুড়ার ওন্দার সভা থেকে অভিষেকের এই ঘোষণা চাঞ্চল্য ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের টাকা না দেওয়ায় ফের বিজেপি নেতাদের ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।এদিনের সভায় ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখায় বিজেপিকে আগাগোড়া নিশানা করছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বার্তা, ধর্মের ভিত্তিতে নয়, উন্নয়নের কাজের নিরিখে আসন্ন পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে যেন বাঁকুড়াবাসী ভোটদানের সিদ্ধান্ত নেন। অভিষেক বলেন, ২০১৯ ও ২১ সালে বিজেপিকে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু কী পেয়েছেন? নিজের বুকে হাত রেখে সেই প্রশ্ন নিজেকেই করুন। আমাদের সকলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ২০১৯ সালে আপনারা বিজেপিকে দুটি লোকসভা আসনে জিতিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে আটটিতে বিজেপিকে জিতিয়েছিলেন। পরে তন্ময় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এলে আমাদের পাঁচজন বিধায়ক হয়। কিন্তু যাঁরা আচ্ছে দিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, কেউ আচ্ছে দিন পেয়েছেন? ধর্মের ভিত্তি, নাকি উন্ননের জন্য, নিজেদের অধিকারের জন্য ভোট দেবেন সেটা নিজেরাই ঠিক করুন। মনে রাখবেন সামনের পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন আপনাদের কাছে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার সুযোগ।অভিষেকের অভিযোগ, একুশের ভোটে হেরে যাওয়ার প্রতিশোধেই ১০০ দিন ও আবাস যোজনায় বাংলার বকেয়া আটকে রেখেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। বকেয়া আদায়ে দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতিও জোরকদমে করতে নির্দেশ দেন অভিষেক। তাঁর হুঁশিয়ারি, ১ কোটি চিঠি ও বঞ্চিতদের নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে কৃষিমন্ত্রকের সামনে বসব। দাবি আদায়ে স্লোগান হবে, ধরনা তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। দেখি তারপরও কীভাবে কানে তুলো দিয়ে বসে থাকতে পারে।বক্তব্যের শেষপ্রান্তে এসে অভিমানের সুরে বড় উপলব্ধি প্রকাশ পায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ১৯ সালে আপনারা মুখ ফিরিয়েছিলেন। ২১শেও ফিরিয়েছেন। আমরা কিন্তু ফেরায়নি। আপনারা ভুল পথে পরিচালিত হয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন, আমরা অভিমান করিনি। কিন্তু এবার বলে গেলাম, আপনিও রক্ত মাংসের মানুষ, আমিও রক্ত মাংসের মানুষ। আপনি যদি নিজেরে অধিকার নিয়ে না লড়েন, আপনার ছেলে, মেয়ে, পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজে না সরব হন তাহলে তৃণমূলও আপনার অধিকার নিয়ে লড়াই করবে না। আমি স্পষ্টভাবে বলছি আপনার অধিকারের জন্য আপনাকে নিজেকেই লড়াই করতে হবে। ভোট হবে উন্নয়নের ইস্যুতে, অন্য কোনও কিছুর উপর ভিত্তি করে নয়। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে অভিষেকের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসসহ বিরোধী নেতৃত্ব।

এপ্রিল ১২, ২০২৩
রাজ্য

খুনের দায়ে প্রাক্তন বিধায়ক সহ ৩ জনের যাবজ্জীবন সাজা

প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ককে যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ দিল বিধান নগর এমপি, এমএলএ কোর্ট। ২০১০ সালে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার অন্তর্গত তৃণমূল কর্মী মদন খাঁ খুনের ঘটনায় গতকালই দোষী প্রমাণিত করা হয় প্রাক্তন সিপিআইএম এমএলএ মনোরঞ্জন পাত্র সহ মোট তিন জন। আজ, বৃহস্পতিবার বিধাননগর এমপি, এমএলএ আদালতে তাঁদের সাজা ঘোষণ করা হল। এই তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।এর পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। যদি দিতে না পারে তাহলে আরপ ছয় মাস সাজা।এমপি, এমএলএ কোর্টের পিপি ইনচার্জ সোমা মন্ডল জানান, ২০১০ সালে বাঁকুড়ার তালডাংরার প্রাক্তন এমএলএ মনোরঞ্জন পাত্র তৃণমূল কর্মী ইসমাইল খাঁয়ের বাবা মদন খাঁয়ের বাড়িতে যায়। যেটা আমরা অভিযোগে পেয়েছি তখনকার দিনে মদন খাঁ তৃণমূল পার্টি করতেন। মনোরঞ্জন পাত্র দলবল নিয়ে ওনার বাড়িতে গিয়েছিলেন উনাকে তৃণমূল থেকে সিপিএমে আসতে বলছিলেন সেই নিয়ে একটা বচসা তৈরি হয়। সেই সময় এই মনোরঞ্জন পাত্র, জিতেন পাত্র, আজবাহার খাঁ সহ আরো লোকজন ওনার বাড়িতে যায়। তারা গিয়ে ওনাকে চাপ দিতে থাকেন। উনি যখন এই ব্যাপারটা মানতে না চান তখন ওনাকে খুন করা হয়। ওনার বাড়িতে যারা ছিলেন তাদের সামনেই বাড়ির ভেতরে গুলি করা হয়। উনার বডি লোপাট করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এটা ছিল ২৯/৬/২০১০ এর ঘটনা। ৩০ তারিখে ছেলে ইসমাইল খাঁ তালডাংরা পিএসএ অভিযোগ জানায়। এই ঘটনায় মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে কেস শুরু হয়। কিছুটা সাক্ষী ওখানেই হয়ে গেছিল। বাদবাকি সাক্ষী সাক্ষ্য প্রমাণ আর্গুমেন্ট সবকিছু এমপি, এমএলএ কোর্টে সম্পন্ন হয়। এদিন মোট ২১ জনের মধ্যে তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। তিনজনের মধ্যে একজন হল প্রাক্তন সিপিআইএমের এম এলএ মনোরঞ্জন পাত্র, জিতেন পাত্র ও আজবাহার খান। গুলিটা আজবাহার খান চালিয়েছিলেন উনাদের নির্দেশে। বাকি ১৯ জনের ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ সেভাবে সাপোর্ট করেনি সাক্ষীরা তাদেরকে সেইভাবে আইডেন্টিফাই করতে পারিনি যে ওখানে তারা হাজির ছিলেন বা কিছু সেই কারণে তাদেরকে এই মামলা থেকে খালাস করে দেওয়া হয়েছে। আজ বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল বিধান নগরএমপি, এমএলএ কোর্টে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২২
নিবন্ধ

শহরের কোলাহলের বাইরে এ যেন মনে গাঁথা ভিন্ন পৃথিবী

মোড়াটা বসতে দে। চেয়ার তো নেই। বিনয়ের সঙ্গে পরিতোষ বললেন, ওটাতেই বসতে হবে। মোড়াটা এগিয়ে দিল বিনু। ছিন্নভিন্ন খড়ের চাল যেন মাটি ছুঁয়ে ফেলেছে। মাটির দাওয়া। ঘরে-বাইরে চারিদিক অগোছাল। এদিক-ওদিক ঝুলছে কাপড়-জামা। প্রতি পদে দারিদ্রতার স্পষ্ট ছাপ। তবু আথিতেয়তায় যেন কোনও খামতি নেই পরিতোষ হেমব্রমের। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর আবস্থা। দিনমজুরি করেই সংসার টেনে চলেছেন বছর পঞ্চাশের পরিতোষ। কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার রাণীবাঁধে গ্রাম দেখতে গিয়েছে রকিরা। আসলে তাঁদের গন্তব্য ছিল মুকুটমনিপুর। বর্ষায় প্রকৃতির অসাধারণ শোভা দেখতে সেখানে যাওয়া। এরই ফাঁকে আদিবাসীদের গ্রাম দেখতে ইচ্ছে হয় উৎকল ও রেশমির। শহরের দূষণে জীবন জেরবার। তাই নির্মল গ্রামের সন্ধানে জঙ্গলমহল। সেই উদ্দেশ্যে ৫ বছরের ছেলে রাহুলকে নিয়ে পরিতোষদের বাড়িতে তিনজনেই হাজির। রাহুলের ডাক নাম রকি। আগে থেকেই কিছুটা পরিচয় ছিল পরিতোষের সঙ্গে। প্রথমবারের সাক্ষাতে আথিতেয়তায় মুগ্ধ উৎকল-রেশমিরা। পায়ের সামনে ঘটিতে জল রেখে প্রণাম করে পরিতোষের স্ত্রী। পাল্টা নমস্কার করে উৎকল-রেশিমি। অতিথিদের চা-বিস্কুট খেতে দিল রানি, পরিতোষের স্ত্রী। রানি তাঁদের দুপুরের আহারের করার জন্যও আবদার করতে থাকে। না খেয়ে এখান থেকে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, বলে রানি। প্রত্যন্ত গ্রামে আদিবাসীদের ব্যবহারে মুগ্ধতার কথা বলেই ফেলল রেশমি। সে বলে ওঠে, আমরা এসেছি গ্রাম দেখতে। জঙ্গলমহলের আদিবাসী মানুষজনের জীবন-জীবীকা, জীবনবোধ, পরিবেশ দেখার অসীম আগ্রহ নিয়েই এসেছি এখানে। কিন্তু ব্যবহারে এমন আন্তরিকতা পেতে পারি তা আশাই করতে পারিনি। এঁদের সঙ্গে না রক্তের সম্পর্ক না আগে কোনও দিন দেখা হয়েছে। একথা ভেবে মনের মধ্যে বির বির করতে থাকে রেশমি। অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন ওই পরিবারের সদস্যদের দিকে। পরিতোষের মেয়ে ঝুমুরও জোরাজুরি করছে। অথচ এঁরা কেউ কাউকে দেখা তো দূরের কথা তাঁদের সম্পর্কে কোনও কথাই শোনেনি। অযাচিত অতিথিকে আদিবাসীরা এতটা আপন করে নেয়, ভাবতে থাকে উৎকল। যেটুকু পরিচয় ওই পরিতোষের সঙ্গে উৎকলের। তাও এক বন্ধুর মারফৎ। সেই সূত্রে পরিতোষদের বাড়িতে চলে আসা।কনভেন্টে পড়াশুনা করে রাহুল। এবার রেশমিদের মনে উদ্রেক হয় পরিতোষের মেয়ে কী আদৌ পড়াশুনা করে? এমন প্রত্যন্ত গ্রাম, তারওপর সংসারের বেহাল দশা। নুন আনতে সত্যি সত্যি পান্তা ফুরানোর অবস্থা। পোষাক-পরিচ্ছদেও তার স্পষ্ট ছাপ। জিজ্ঞাসা করা ঠিক হবে কীনা ভাবতে থাকে রেশমি। কিন্তু কৌতুহল বেশিক্ষণ চাপা থাকেনি। শেষমেষ রানিকে জিজ্ঞেস করে রেশমি। মেয়ে কোন ক্লাসে পড়ছে? রানি বলে, সংস্কৃতিতে অনার্স গ্রাজুয়েট হল এবছরই। জানি না চাকরি-বাকরি পাবে কিনা। সরকারি চাকরি পাওয়ার আশা তো না করাই ভাল। তাছাড়া আমাদের টাকা-পয়সাও নেই। যাক ওই পড়াশুনাটা তো হয়েছে। এই আর কি। আসলে মেয়ের চেহারা স্লিম ঠিক নয়, একেবারেই রুগ্ন। দেখলে মনে হবে ক্লাস এইট-নাইনের ছাত্রী। দরিদ্র আদিবাসী পরিবারে যাঁদের অন্নের সংস্থান করতেই ঘাম ছুটছে, সেই বাড়ির মেয়ে অনার্স গ্রাজুয়েট। পড়াশুনা করতে যেতে হত ৪০ কিলোমিটার দূরের বাঁকুড়া শহরে। শিক্ষকও নেই গ্রামে। এসব শুনে মনপ্রাণ জুড়ে যায় রেশমির। শহরের মানুষের অহঙ্কারের কথা ভেবে নিজেকেই ছোট ভাবতে থাকে রেশমি। এমন প্রত্যন্ত গ্রাম, বাড়িতে অর্থের সংস্থান নেই, পরিবারের কেউ কলেজ কেন স্কুলের গন্ডিও পার করেনি। অথচ সেই বাড়িতে অনার্স গ্রাজুয়েট। পড়াশুনার জন্য কত লড়াই! কথা-বার্তায় সেটুকুও বোঝার উপায় নেই। রেশমি ভাবতে থাকে, অথচ এদের কোনও চাকরিও জুটবে না। এসটি কোটা থাকলেও কী যায় আসে।চা বিস্কুট খেয়ে, ভাল-মন্দ গল্পগুজবকে সঙ্গী করে পরিতোষদের বাড়ি ছাড়ে উৎকল-রেশমিরা। তার মধ্যে ছোট্ট রাহুল বায়না ধরে লালঝুটি মোরগ নেবে বলে। রেশমিরা যখন গল্পে মত্ত তখন রাহুল ছুটে বেরিয়েছে ছাগল, মোরগদের পিছনে। এই অনাবিল আনন্দ তো আর শহরে পাবে না। সেখানে তো কৃত্তিমতায় ভরা। চরম আত্মকেন্দ্রীক সমাজ। দুই পরিবেশে বিস্তর তারতম্য উপলব্ধি করতে থাকে উৎকলরা। পরিতোষদের বাড়িতে দুটো গরু, গোটা চরেক ছাগল, ১৯-২০টা মোরগ-মুরগি আছে। এসব দিয়ে কিছু অর্থের সংস্থান হয় আর কী। রানি বলে, মোরগ নিয়ে গেলে নিয়ে যান। কিন্তু তা-তো আর সম্ভব নয়। ঘন্টাখানেক পরিতোষদের বাড়িতে ছিল ওরা। কিন্তু যেন তারই মধ্যে এমন টান জন্মে গিয়েছে পরিবারটির প্রতি উঠতেও যেন তাঁদের মন করছে না। মানুষ তাহলে এখনও আছে। শিক্ষার জন্য গরীব মানুষের লড়াই আছে। আর্থিক দৈন্যতা সত্বেও আন্তরিকতা আছে পূর্ণমাত্রায়। অজানা পরিবারেও আত্মার টানের উপলব্ধি আছে। এসব ভেবেই বিহ্বল হয়ে উঠল রেশমি। যদিও কলকাতায় পাশের ফ্ল্য়াটের লোকজন কেউ কারও খবর রাখে না। দেনা-পাওনার হিসেবেই সবাই ব্যস্ত। তাঁর কাছে এ যেন শহরের বাইরে এক নতুন পৃথিবী। নয়া জগত।আদিবাসী গ্রাম থেকে ফের মুকুটমনিপুরের অতিথিশালায় গিয়ে ওঠে উৎকলরা। পড়ন্ত বিকেলে কংসাবতীর ড্যাম দেখতে অতিসুন্দর। তারওপর বর্ষাকালে টইটুম্বুর জলে আকর্ষণ বেড় গিয়েছে আরও বেশ কয়েকগুন। লকগেট থেকে মাঝে-মধ্যে জলও ছাড়া হচ্ছে। মহানগরের কোলাহল থেকে মাথার চাপ হালকা করতে এভাবে হঠাৎ হঠাৎ অনেকেই ছুটে যান পাহাড়, জঙ্গল, সমুদ্রে। স্বল্প সময়ে অল্প পরিচিত পরিতোষ হেমব্রমের পরিবারের আদর-আপ্যায়ন, মেয়ের পড়াশুনার খবরে উৎকল-রেশমির মন যেন অজানা আনন্দে ভরে গিয়েছে। কংসাবতীর ড্যামের সৌন্দর্যও যেন তার থেকে ম্লান। ফুরফুরে বাতাসে শ্বাস আর বাড়তি কনফিডেন্স নিয়ে কলকাতায় ফিরে ফের কাজে মন দিল উৎকলরা। কিন্তু ভোলেনি বাঁকুড়ার রানিবাঁধে হেমব্রমদের। তা যে মনে গেঁথে আছে।

অক্টোবর ৩০, ২০২২
রাজ্য

ভাইরাল পোড়া পাহাড়ের 'গুহা', আদিম নাকি খনিজ সম্পদের জন্য খোঁড়া , জানুন বিস্তারিত

প্রসঙ্গ দক্ষিণ বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের গোড়াবাড়ি পঞ্চায়েতের অধীন ভাইরাল হওয়া আমডিহা ও দামোদরপুর মৌজায় অবস্থিত পোড়া পাহাড়ের গুহা। কেউ বলেন কড়া পাহাড়। তবে কেউ বা কড়ো পাহাড়। তবে পোড়া পাহাড়া এই নামটা বেশি শোনা যায় এলাকাবাসীর কাছ থেকে। নাম করণের ইতিহাস অবশ্য জানা নেই কারও কাছে। তবে বাসিন্দাদের একাংশের অভিমত, বর্ষা বা নিম্নচাপের সময় পাহাড়ের চূড়ার দিকে তাকালে কিছু পুড়লে যেমন ধোঁয়া হয় সেই রূপ ধোঁয়া দেখা যায় পাহাড়ের চূড়ায় । এই কারণে হয়তো পাহাড়ের নাম হয়েছে পোড়া পাহাড়। আমার বাড়ি থেকে পাহাড়ের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াশোনা করার সময় গ্রামের এই পাহাড়ের নাম ভূগোল এ যেদিন প্রথমবার পড়লাম সেদিন যে কি আনন্দ হয়েছিল তা বলে বোঝানো যাবেনা। এই পাহাড় কোন আদি অনন্তকালে গড়ে উঠেছে তার সঠিক তথ্য পরিসংখ্যান কেউই দিতে পারবেনা। তবে আমার গ্রাম সংলগ্ন পাহাড়ের উত্তর দিকে যে গুহা রয়েছে সেটি তৈরির সঠিক গল্প এলাকার অনেকেই আপনাকে বলে দেবে। গুহা নিয়ে ইতিমধ্যে কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভুল তথ্য পরিবেশন করা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। এই ঝড় আছড়ে পড়েছে জেলা ছাড়িয়ে সারা রাজ্য জুড়ে । কেউ আবার ১৯৬২ সালের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য তুল ধরে আদিম যুগের সত্যতা প্রমাণ করতে চাইছেন। কোনও অধ্যাপক গবেষক বলছেন গুহাটি বহু প্রাচীন। কেউ আবার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য উল্লেখ করে বলেছেন এলাকায় আদিম মানুষের বসবাস ছিল। তাঁরা গুহাটি তৈরি করে ছিলেন বসবাসের জন্য। কেউ বলছেন এখানে নাকি বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু আসতেন। ওই গুহায় বসে বোমা বাঁধতেন। তাঁদের তথ্য অনুযায়ী কংসাবতী নদীর তীরবর্তী এলাকায় আদিম যুগের কোনও নিদর্শন থাকলেও পোড়া পাহাড়ের গুহার সঙ্গে আদিম যুগের কোনও যোগ নেই। কারণ, গুহাটি যাঁরা নিজের হাতে ড্রিল করে পাথর কেটে তৈরি করেছেন তাঁরা সবাই এখনও মরে যায়নি। আর যাঁরা সেখানে ঠিকা শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন তাঁদের অনেকে এখনো জীবিত সুস্থ সবল আছেন। গুহায় কাজ করা সেইসব শ্রমিকদের অভিজ্ঞতার বিবরণ তুলে ধরছি আপনাদের কাছে ।ছোট বেলায় বাবার (ঁশঙ্কর চন্দ্র মাহালী) কাছে শুনেছিলাম পাহাড়ে পাথর কেটে গুহা তৈরি হয়েছে। আমার বৃদ্ধা মা বিশাখা মাহালীর (৭৭) কাছে পাহাড়ে গুহা তৈরির বিষয়ে একদিন জানতে চেয়ে ছিলাম। মা বলেছিলেন বিয়ের বেশ কিছুদিন পর পাহাড়ে কোনও ধাতু উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছিল। সেই সময়ই গুহাটি তৈরি হয়। আগে কোনও গুহা ছিলোনা বলে শুনেছি। আমার গ্রাম কুঁড়েবাকড়া (আমডিহা) ও পাশাপাশি গ্রামে খোঁজখবর নিতে শুরু করলে অনেকেই জানিয়েছেন এই তো সেদিন গুহাটি তৈরি হয়েছে।কুঁড়েবাকড়া গ্রামের বাসিন্দা আসরফ আলি (৬৫), বড়মেট্যালা গ্রামের আলোক কুমার মাহাতো (৬২), বিশ্বনাথ রজক, মাইলিহীড় গ্রামের কৃষ্ণপদ বাস্কে সহ অনেকেই জানালেন পোড়া পাহাড়ে কোনও গুহা ছিলোনা। এই তো সেদিন গুহাটি তৈরি হল। কিশোর বয়েসে নিজেরা গুহা তৈরির কাজ দেখেছি । ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে যে গুহার বয়স এখন পঞ্চাশ -পঞ্চান্ন বছরের বেশি কিছুতেই নয়। আমরা দাঁড়িয়ে থেকে গুহা তৈরির কাজ দেখলাম। আর কোথা থেকে কে একদিন বেড়াতে এস দাবি করছেন তিনিই নাকি গুহার আবিষ্কারক। তাঁরা জানান জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এই পাহাড় থেকে উলফার্ম নামে এক প্রকার ধাতু সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিল । সেই সময় স্থানীয় বেশকিছু যুবককে এই কাজে ঠিকা শ্রমিক হিসাবে নিয়োগ করেছিল । যাঁরা প্রথম দিন থেকে কাজ করেছেন এবং এখনো সুস্থ স্বাভাবিক জীবিত আছেন তাঁরা হলেন খাতড়া ব্লকের খাতড়া ২ পঞ্চায়েতের বড়মেট্যালা গ্রামের বাসিন্দা দশরথ মাহাতো (৭০)। মাইলিহীড় গ্রামের বাসিন্দা নগেন্দ্রনাথ ভুঁইয়া (৭০)। বড়মেট্যালা গ্রামের অনিল মাহাতো, তিলাবনী গ্রামের কৃষ্ট মাঝি, দাঁড়শোল গ্রামের শিবু মাহাতো, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মাহাতো।পাহাড়ে গুহা খননের দিন থেকে কাজ করে পরে ভারত সরকারের জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এর মাইনিং বিভাগে যিনি চাকরি করেছেন তিনি দাঁড়শোল গ্রামের বাসিন্দা নিমাই বাউরি। তিনি জানান, ১৯৬৮ সালের এপ্রিল মাসে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এর মাইনিং ডিভিশন গুহা খননের কাজ শুরু করেছিল। প্রায় দুই তিন বছর কাজ হয়েছে। খননের আগে পাহাড়ে কোনও গুহা ছিলোনা। জি গোরাচারি নামে একজন মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারের আন্ডারে কাজ হয়। আমি টেকনিক্যাল লাইনে কাজ করতাম। দু বছর কাজ হওয়ার পরও বাণিজ্যিকভাবে কোনও সফলতা না পাওয়ায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখান থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে তারা চলে যায় রাখামাইনসে। গত প্রায় ১০ - ১২ বছর আগে নিমাইবাবু অবসর গ্রহণ করে এখন বাড়িতে আছেন।এঁদের মধ্য থেকে উলফার্ম উত্তোমনের কাজে ড্রিল হেল্পার হিসাবে যিনি কাজ করেছেন সেই দশরথ মাহাতো জানিয়েছেন। তাঁর বয়স যখন ১৬ - ১৭ বছর সেই সময় জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কর্মীরা তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায় হাফ (আধ) কিলোমিটার দূর দাঁড়শোল গ্রাম সংলগ্ন তিলাবনী মৌজায় ক্যাম্প করে থাকতেন। যে দিন তাঁরা প্রথম সেখানে এলেন সেই দিন গ্রামের অনেকের সাথে কৌতুহল নিয়ে হাজির হয়ে ছিলাম। বিকাল নাগাদ তাঁরা যখন সেখানে তাঁবু খাটানোর কাজ করছিলেন সেই সময় ধরাধরি করে দিতে বলেছিলেন কোনও একজন অফিসার। আমরা কয়েকজন তাঁবু খাটানোর কাজে সাহায্য করে ছিলাম তাঁদের। তাঁবু খাটানোর কাজ শেষে পরের দিনও যেতে বলে ছিলেন। ক্যাম্পে ২২ টি তাঁবু খাটানো হয়েছিল। সেখান থেকেই পাহাড়ে কাজ করার জন্য যেতে বলে ছিলেন তাঁরা। এলাকার ৩০ জন যুবককে পাহাড়ে কাজ করার জন্য নেওয়া হয়েছিল । ক্যাম্প থেকে প্রায় দুই কিলোমটার পোড়া পাহাড়ে গাড়িতে চাপিয়ে নিয়ে যেত। পাশাপাশি গ্রামের যাঁরা ছিলেন হেঁটে যেত। ওই ক্যাম্পে সরকারি কর্মচারী ছিলেন ২২ জন।আলোককুমার মাহাতো নামে এক ব্যক্তি জানান, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে যখন ক্যাম্প হয়েছিল সেই সময় আমরা সেখানে যেতাম। ওই সময় ১০-১১ বছর বয়স ছিল। ক্যাম্পে সিংবাবু নামে এক ড্রাইভার ছিলেন। গাড়িতে করে তিনি কংসাবতী নদীর কেচন্দা ঘাট থেকে ক্যাম্প ও পাহাড়ে ব্যবহারের জন্য জল আনতেন। কারণ, ক্যাম্পে কোনও জলের ব্যবস্থা ছিলোনা। নদীতে জল আনতে যাবার সময় গাড়িতে চাপতে চাইলে নিয়ে যেতেন। আবার পাহাড়ে কাজের জায়গায় যেতে চাইলে সেখানেও নিয়ে যেতেন। তাই শুরু থেকেই গুহা খননের কাজ দেখেছি।দশরথ মাহাতো জানান, মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার দাসগুপ্তবাবুর অধীনে ড্রিল হেল্পার হিসাবে কাজ করতাম। মাসে ৩০০ টাকা মজুরি ছিল। তিনি জানান পাহাড়ের উত্তর পশ্চিম কোনায় পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা কালো রং এর একটি বড় প্রাচীরপাথর আছে। ওই পাথরের উত্তর দিক থেকে ড্রিল করে প্রথম উলফার্ম সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু করার সময় প্রত্যেককে মাথায় টুপি (হেলমেট), পায়ে ফুল সু (জুতো) পরে নিতে হতো। পাথরে এক সঙ্গে ১৮ টি ড্রিল করে তাতে ডিনামাইট দিয়ে পাথর বার্স্ট করা হতো। এই কাজ করতেন অফিসারদের মধ্যে শিবশঙ্কর দাস নামে এক ব্যক্তি। কালো প্রাচীরপাথরের স্তরটি যে দিকে গিয়েছে সেই দিকেই পাথরটি ড্রিল করে ডিনামাইট দিয়ে বার্স্ট করে একটু একটু করে কেটে গুহাটি ভিতরের দিকে ঢুকেছে। প্রায় সাড়ে পাঁচ ছয় ফুট উচ্চতা এবং সাড়ে পাঁচ ছয় ফুট চওড়া গুহার ভিতরে কাজ করতে হতো। ভিতরে সম্পূর্ণ দাঁড়িয়ে কাজ করা যেত না কিছুটা ঝুঁকে কাজ করতে হতো। পাথরের আয়তন অনুযায়ী সব জায়গায় সমান ভাবে পাথর কাটা যায়নি। কোথাও বেশি আছে তো কোথাও একটু কম আছে। গুহার ভিতর অন্ধকার থাকায় কার্বাইট ল্যাম্প দেওয়া হতো। সেই আলোতে কাজ করতে হতো। উলফার্ম টুকরো (কালো পাথর) সংগ্রহ করে কাপড়ে মুড়ে সেগুলিকে তাঁরা বাইরে পাঠাতেন। কেটে কেটে ভিতরে ঢোকার সময় কালো পাথর ছাড়া ভিতরে যে মাটি ও পাথর বালি জমা হতো ট্রলিতে করে সেগুলিকে ভিতর থেকে বের করে ফেলা হতো। মূল গুহা ছাড়াও প্রাচীরপাথর যে দিকে যতটুকু গিয়েছে সেই দিকে ততটুকু পাথর কেটে শাখা গুহা তৈরি হয়েছে। ভিতের এই রকম আট-দশটি শাখা গুহা আছে। প্রাচীরপাথরটি প্রায় আড়াই থেকে তিন চেন অর্থাৎ আড়াই থেকে তিনশো ফুট গুহাটি কাটা হয়েছে। ড্রিল করে পাথর কাটার আগে ড্রিল মেশিন দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বাইরে পাঠানো হতো। সেখান থেকে নির্দেশ এলে তবেই পাথর কাটা হতো। প্রায় দুই-তিন বছর কাজ করার পর দেখা গেল যে পরিমাণ খরচ হচ্ছিল সেই খরচটুকুও সেখান থেকে উঠছিলো না। ফলে পোড়া পাহাড় থেকে উলফর্ম সংগ্রহের কাজ বন্ধ করে তাঁরা অন্য জায়গা চলে যায়।খাতড়া ২ পঞ্চায়েতের মাইলিহীড় গ্রামের বাসিন্দা নগেন্দ্রনাথ ভুঁইয়া (৭০) জানান ২০-২২ বছর বয়সে কাজে যোগ দিয়ে ছিলেন তিনি। ভিতরে ডিনামাইট বার্স্ট করার পর ভিতরে ঢুকে পাথর মাটি ট্রলিতে করে বাইরে আনা হতো। ট্রলি যাতায়াতের জন্য ট্রেন লাইনের মতো লাইন ছিল। লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত ট্রলি ছিল রিভলভিং। যে দিকে ইচ্ছা ঘোরানো যেত। পাহাড়ে যেখানে উলফার্ম তোলার কাজ চলছিল সেখানে জলের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পাহাড়ের ঢালে সিমেন্টের বাঁধ দিয়ে জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কংসাবতী নদী থেকে গাড়িতে (ট্যাঙ্ক) জল এনে সেখানে চৌবাচ্চায় ঢেলে রাখা হত। সেই জল দিনভর বিভিন্ন কাজে এবং পাথরে ড্রিল করার কাজে ব্যবহার হতো। পাহাড়ে গুহার অদূরে জল ধরে রাখার জায়গাটি আজও সম্পূর্ন অক্ষত আছে।দশরথবাবু জানান, এই পোড়া পাহাড়ে যাঁরা কাজ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে আমডিহা গ্রামের ঁবলাই মাহাতো, চিত্তরঞ্জন মাহাতো, কুঁড়েবাকড়া গ্রামের প্রয়াত হাবু শেখ, বড়মেট্যালা গ্রামের দশরথ মাহাতো, রবি রজক, গৌর সর্দার, জগত সর্দার, গৌর সর্দার (দ্বিতীয়), গতি মাহাতো, ছোটমেট্যালা গ্রামের ঁরতন মাহাতো, অনিল মাহাতো, দাঁড়শোল গ্রামের গুহিরাম মাহাতো, রঞ্জিত মল্লিক (কাঁদরু), ঁননিগোপাল সর্দার, নিমাই বাউরি, গাঁঠিরাম মাহাতো , শিবু মাহাতো, জ্ঞানেন্দ্রনাথ মাহাতো, রানিবাঁধ থানার ধাদকিডিহি গ্রামের সুধীর মাহাতো, ভেলাইগোড়া গ্রামের ঁধরম মান্ডি, মাইলিহীড়, নগেন ভুইয়া, ঁপবিত্র ভুঁইয়া, তিলাবনী গ্রামের, ঁলস্কর বাস্কে, কৃষ্ণ মাঝি সহ ৩০ জন যুবক কাজ করতেন। কাজ বন্ধ করে সরকারি কর্মীর এখান থেকে চলে যাবার সময় তাঁদের নিয়ে যেতে চেয়ে ছিলেন। কিন্তু এখান থেকে কেউ যেতে রাজি হয়নি। দাঁড়শোল গ্রাম থেকে নিমাই বাউরি ও ননিগোপাল সর্দার নামে দুজন ব্যক্তি গিয়েছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁদের স্থায়ী চাকরি হয়ে যায়। এদের মধ্যে কয়েক বছর আগে ননিগোপাল সর্দার মারা যান। নিমাই বাউরি এখনো সুস্থ স্বাভাবিক আছেন।পরিশেষে বলি গুহা নিয়ে মানুষের কাছে মিথ্যা ভূল তথ্য পরিবেশন না করে আসুন সঠিক তথ্য তুলেধরে বাঁকুড়ার পর্যটন মানচিত্রে আরও একটি নতুন পালকের সংযোজন করতে উদ্যোগী হই আমরা সকলে। মুকুটমণিপুর পর্যটন কেন্দ্র থেকে মাত্র চার সাড়ে চার কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে পোড়া পাহাড়। অপরদিকে পাহাড় সংলগ্ন কুরকুটিয়া ডুংরি (টিলা)। তার মধ্যখানে সুন্দর ঝিল, অদূরেই পাহাড় সংলগ্ন কৃপাসিন্ধু আশ্রম এবং মন্দির। এখানকার সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ পর্যটকদের যে মনকাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। মুকুটমণিপুরে বেড়াতে আসা পর্যটকরা সেখানে ঢোকার আগে বা পরে পাহাড়, গুহা, ঝিল, মন্দির দর্শন করে যেতে পারেন । ইচ্ছা করলে ঝিল সংলগ্ন প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে পিকনিক করতে পারবেন অনায়াসে। তাহলে আর দেরি কেন, এই মরসুমে যাঁরা মুকুটণিপুরে বেড়াতে আসার মনস্থির করছেন তাঁরা পোড়া পাহাড়ের গুহা দেখে যাবার কথা অবশ্যই ভেবে রাখুন।(সুশীল মাহালীর ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া)

অক্টোবর ১৫, ২০২২
রাজ্য

ক্যানসার শুনেই যোগাযোগ বন্ধ করলো স্বামী, অসহায় স্ত্রী

স্ত্রীর ক্যান্সার, স্বামী দেখেনা এমনকি যোগাযোগও রাখে না। অনাদরে তাই পড়েছিল শ্বশুরবাড়িতে, এটা সহ্য করতে পারেনি মেয়েটির বাবা, তিনি তাকে নিয়ে আসে নিজের বাড়ি বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের বেল বান্দী।কতই বা বয়স হবে, এই বয়সে যখন মেয়েটির পড়াশোনা করার কথা তখন অভাবের ঠেলায় গরীব বাবা মেয়েটির বিয়ে দিয়ে ছিল, ভাবনা ছিল এই , হয়তো খেয়ে পড়ে বাঁচবে ভালোভাবে কিন্তু কপালে সুখ না থাকলে যে কি হতে পারে সেটা জানে প্রত্যেকেই।হঠাৎ একদিন ক্যান্সার ধরা পড়ে, স্ত্রীর ক্যানসার শুনেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় স্বামী। অসহায় বাবা মেয়েকে নিজের বাড়ি বেলবান্দী নিয়ে চলে আসে। দুনিয়ার সবাই সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে পারে কিন্তু সন্তান কে ছেড়ে তো বাবা-মা চলে যেতে পারে না বা অবহেলায় মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে না। যদিও আধুনিক সভ্যতায় এখন অনেক কিছুই ঘটছে কিন্তু গ্রামীণ সরলতায় এখনো ততটা কুটিলতা বা জটিলতা গ্রাস করেনি অতএব বাবা ফেলতে পারেনি মেয়ে তুহিনাকে।বাবা নৈশর শা প্রতিদিন সকাল হলেই বেরিয়ে পড়ে ভিক্ষা করতে পরিবারের মুখে দু মুঠো ভাত তুলে দেওয়ার জন্য, নিঃস্ব পরিবারের নৈশর শা এর এটাই নিয়তি। তবুও এক বুক আশা নিয়ে ছুটে চলেছেন মেয়েকে নিয়ে এই ডাক্তার সেই ডাক্তারের কাছে।বাবা মা স্বপ্ল দেখেন একদিন না একদিন মেয়ে সুস্থ হয়ে গলা জড়িয়ে ধরে বলবে এইতো বাবা আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছি। মেয়ের দিকে তাকিয়ে বাবা মার চোখে ঝরে যায় অনন্ত জলের ধারা।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
রাজ্য

বালি চুরির র‍্যাকেটে যুক্ত পুলিশ, বিএলআরও, ডিএলআরও দের মাণিক ভট্টাচার্য্য করে দেওয়ার হুমকি বিজেপি সাংসদের

শনিবার পূর্ব বর্ধ মানের খণ্ডঘোষে দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, টেট দুর্নীতির অন্যতম নায়ক মাণিক বাবু যেমন পালিয়ে বেড়াচ্ছে, বালি চুরিতে যুক্তদের তেমনই অবস্থা হবে। খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম যদিও বিজেপি সাংসদের এইসব বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করেছেন।আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এদিন খণ্ডঘোষের রূপসায় বিজেপির একটি দলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, রাজ্যে এখন মহম্মদ বিনতুঘলকের সরকার চলছে, ডাকাত রাণীর সরকার চলছে। যা ইচ্ছে তাই করছে। এরপরেই পুলিশ ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, কিছু থানার ওসি ৬০০ কোটি টাকা এবং বিএলআরও ও ডিএলআরও যাঁরা হাজার হাজার কোটি টাকার বালি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে আমি চিফ সেক্রেটারিকে চিঠি পাঠিয়েছি। ধরে রাখুন, তদের ঠিক মতো করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা হয়ে যাবে। সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের এজেন্সি হোক বা রাজ্য সরকারের এজেন্সি হোক, ব্যবস্থা হয়ে যাবে। ঠিক সময়ে এদের মাণিক ভট্টাচার্য্য করে দেব। প্রাইমারি টেট দুর্নীতির অন্যতম নায়ক মাণিক বাবু যেমন লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন, এদেরও সেই ব্যবস্থা করা হবে। এদের সমস্ত টাকা রাজকোষে জমা পড়বে।

আগস্ট ২৮, ২০২২
রাজনীতি

কাশীনাথ মিশ্রের আদর্শ মেনে চলার আহ্বান আশিসলালের

বাঁকুড়া বিধানসভা থেকে পাঁচবার বিধায়ক হয়েছিলেন। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কাশীনাথ মিশ্র। ২০১২-এর ১০ এপ্রিল এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াণ হয়েছিল এই জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের। যিনি নিয়মিত বিধানসভার অধিবেশনে হাজির হতেন। সাধারণের জন্য রাজনীতি করতেন। রবিবার তাঁর প্রয়াণ দিবসে একাধিক কর্মসূচি পালিত হয় বাঁকুড়ায়। সমস্ত অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।রবিবার সকালে কাশীনাথ মিশ্রের দশম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তারপর তাঁর স্মরণে ছিল রক্তদান শিবির। এই অনুষ্ঠানে মূল পৃষ্ঠপোষক ছিলেন প্রয়াত কাশিনাথ মিশ্রের স্ত্রী মিনতি মিশ্র। রবীন্দ্র ভবনে ওই অকৃতদার নেতার স্মৃতিচারণা করেন প্রাক্তন সাংসদ অভিজিত মুখোপাধ্যায়, ত্রিপুরা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি আশিসলাল সিং, রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, জেলা নেতা অরূপ চক্রবর্তী ও অরূপ খাঁ, অলোক মুখোপাধ্যায়, তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সাংগঠনিক সভাপতি দিব্যেন্দু সিনহা মহাপাত্র, সমাজসেবী অচিন্ত্য ঘোষ, লড়াকু নেত্রী বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী মৌ সেনগুপ্ত, ৬ বারের কাউন্সিলর রাখী রজক, মূল আয়োজক রাহুল সেন, জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধক্ষ শিবাজী ব্যানার্জী, প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য নেতা পলাশ সাধুখাঁ।ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য আশিসলাল সিং বলেন, কাশীনাথ মিশ্রকে আমরা ভুলতে পারব না। তাঁর কর্মপদ্ধতি থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। তাঁর আদর্শে আমরা চলতে চেষ্টা করব। তাঁর সম্বন্ধে জানতে পারলে আগামী প্রজন্মের অনেক কাজে আসবে। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা বলেন, কাশীনাথ মিশ্রের সঙ্গে বিরোধী দলের নেতৃত্বের সঙ্গেও সদ্ভাব ছিল। বিধানসভায় তাঁর অংশগ্রহণ থেকে অনেকেই শিক্ষা নিতে পারেন।

এপ্রিল ১০, ২০২২
রাজ্য

Flood Situatuation: ফুঁসছে দামোদর-অজয়-গন্ধেশ্বরী-দ্বারকেশ্বর, বানভাসী দক্ষিণবঙ্গ, ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা

অজয় নদের জলে প্লাবিত হল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভেদিয়া অঞ্চল। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই অজয়ের জল বাড়তে শুরু করে। রাতে ভেদিয়ার সাঁতলা গ্রামের অজয় নদের বাঁধে ফাটল বিশাল আকার ধারণ করে। এই মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে অজয়ের জল সাঁতলা বাগবাটি-সহ চার পাঁচগ্রামকে প্লাবিত করেছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছে প্রশাসন। বিঘের পর বিঘে ধানের জমি জলের তলায়। ফলে চরম বিপদ শঙ্কায় এলাকার বাসিন্দারা।এদিকে, শুক্রবার সকাল পরিস্থিতির আরও অবনতি। অজয় নদের বাঁধ ভেঙে পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম বহু অংশ প্লাবিত হয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। ঘর হারানো মানুষজন একটু ডাঙার খোঁজে উত্তাল নদীর স্রোতের মধ্যে দিয়েই সাঁতরে চলেছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলছে। প্রাণহানি নিয়েও আশঙ্কায় প্রশাসন। সাতসকালে মঙ্গলকোটের কোঁয়ারপুর, মালিয়ারা ও গণপুর তিনটি গ্রামের কাছে অজয় নদের বাঁধ ভেঙেছে। বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করেছে আউশগ্রামের সাঁতলাতেও। জলবন্দি বেশকিছু গ্রামের মানুষ। আউশগ্রামের সাঁতলায় অজয়ের বাঁধ ভেঙেছে। তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর চেষ্টা চলছে। আউশগ্রামের সাঁতলা গ্রাম থেকে সাঁতরে বেরিয়ে এসে বাঁচার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বাঁকুড়ার পরিস্থিতিও তথৈবচ। জলের তীব্র স্রোতে বাঁশের সাঁকো ভেঙে পাত্রসায়ের, সোনামুখীর বহুলাংশ প্লাবিত। গন্ধেশ্বরী, দ্বারকেশ্বর নদী ফুঁসছে। দ্বারকেশ্বরের জলে হুগলির আরামবাগ, গোঘাট-সহ একাধিক ব্লক জলমগ্ন। উদ্ধারকাজে নামানো হচ্ছে সেনাবাহিনী।অন্যদিকে, বানভাসী হুগলিও। লাল সতর্কতা জারি হয়েছে আরামবাগে। একদিকে টানা বৃষ্টি অন্যদিকে দফায় দফায় ডিভিসি-র ছাড়া জল আবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বর্ষণ সব মিলিয়ে ফুলে ফেঁপে উঠেছে রূপনারায়ণ, দ্বারকেশ্বর, মুন্ডেশ্বরী ও দামোদর নদী । কোথাও বাঁধ ভেঙে আবার কোথাও বাঁধ উপচে জল ঢুকছে। তার মধ্যে রয়েছে আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট ও পুরশুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং ও নিচু এলাকার মানুষদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। পুরশুড়াতেও বিপদ বাড়িয়েছে ডিভিসির ছাড়া জল।দামোদর ও মুন্ডেশ্বরী নদীও বইছে বিপদ সীমার উপর দিয়ে। ইতিমধ্যেই প্রায় দুই লক্ষ্য কিউসেকেরও বেশি জল ছেড়েছে ডিভিসি। যদিও এখনও ডিভিসির ছাড়া জল মুন্ডেশ্বরী দিয়ে খানাকুলে এসে পৌঁছয়নি। কিন্তু ডিভিসির জল খানাকুলে এসে পৌঁছলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে এবং সমস্ত বন্যা পরিস্থিতিকে ছাপিয়ে যাবে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই নিয়ে ২ মাসে আরামবাগ মহকুমা পরপর তিনবার বন্যার সম্মুখীন হলো। সব মিলিয়ে বড় সড় বন্যা পরিস্থিতির আতঙ্কে আতঙ্কিত গোটা আরামবাগ মহকুমার মানুষ। জানা গিয়েছে, ধাপে ধাপে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হচ্ছে। আজ সকাল থেকে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। গতকাল এই জল ছাড়ার পরিমাণ ২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি ছিল। নিম্নচাপ ধীরে ধীরে সরে যাওয়ায় বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়েছে। তাই ধীরে ধীরে কমছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ। নতুন করে নিম্নচাপ না হলে এই জল ছাড়ার পরিমাণ আজকে অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করছে সেচ দপ্তর।

অক্টোবর ০১, ২০২১
রাজ্য

Bankura BJP: স্বামী-সন্তান ছেড়ে পালিয়ে বিয়ে করলেন চন্দনা বাউড়ি! কী বলছেন বিধায়িকা?

বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ উঠল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে গাড়ির চালককে বিয়ে করেছেন চন্দনা। সেই মর্মে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযুক্ত গাড়িচালক কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চন্দনা। স্বামী শ্রবণের সঙ্গে পারিবারিক গোলমালকেই রাজনৈতিক উদ্দেশে অন্য কারণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি।আরও পড়ুনঃ ফের বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরলগরিব ঘরের বধূ চন্দনা বাউড়ি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই খবরের শিরোনামে থেকেছেন। ভোটের প্রচারে বাঁকুড়া এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও চন্দনার কথা আলাদা করে বলেছিলেন। সেই চন্দনা সম্পর্কে পরকীয়ার খবর নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নানা জল্পনা শুরু হয়। বিজেপি-র পক্ষ থেকে অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি দুপুর পর্যন্ত। তবে চন্দনা তাঁর স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে একটি ফেসবুক লাইভ করে তাঁদের বক্তব্য প্রকাশ্যে জানান। সেখানেও তিনি গোটা বিষয়টিকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তবে জেলা বিজেপি-র একাংশের দাবি, কৃষ্ণ গাড়িচালক নন। তিনি শালতোড়া বিধানসভার দলীয় কো-কনভেনর।আরও পড়ুনঃ অতিরিক্ত টোল আদায়, অভব্য আচরণের অভিযোগ বালি টোল সংস্থার বিরুদ্ধেপুলিশ জানিয়েছে, বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে চন্দনার বিরুদ্ধে। গাড়িচালক কৃষ্ণর স্ত্রী রুম্পার দাবি, বুধবার রাতে চন্দনা এবং কৃষ্ণা বিয়ে করেছেন। পুলিশের একাংশের দাবি, বিবাহের বিষয়টি নাকি পুলিশের কাছে চন্দনা স্বীকার করেছেন। যদিও চন্দনার দাবি, তিনি একেবারেই তা বলেননি। পুলিশের একাংশের ওই দাবি অসত্য। প্রসঙ্গত, চন্দনা এবং কৃষ্ণ দুজনেই নিজের নিজের জীবনে বিবাহিত। তাঁদের সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ পেয়ে গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ চন্দনা ও কৃষ্ণর বিরুদ্ধে ৪৯৮-এ ধারায় বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করেছে।এ ছাড়াও,৫০৬ ধারায় দুজনের বিরুদ্ধেই ভয় দেখানোর অভিযোগও আনা হয়েছে।

আগস্ট ১৯, ২০২১
রাজ্য

Lalgarh: ১২ বছর ধরে পথ চেয়ে বসে লালগড়ে অপহৃত পুলিশ কনস্টেবল সাবির ও কাঞ্চনের পরিবার

এক আধ বছরের অপেক্ষা নয়। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ছেলের জন্য পথ চেয়ে বসে আছেন দুই পুলিশ কনস্টেবলের দুই মা। একজন কনস্টেবল সাবির মোল্লার সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা মা জাহানারা বেগম। অন্যজন সাবিরের সহকর্মী কাঞ্চন গড়াইয়ের বৃদ্ধা মা মিনতি গড়াই। ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড় থেকে অপহৃত হয়ে যায় এই দুই পুলিশ কনস্টেবল। দুই পুলিশ কনস্টেবলের কেউই সেই থেকে আজও আর বাড়ি ফেরেনি।আরও পড়ুনঃ নোরার হট ছবি, ইনস্টাগ্রামে ভাইরালবাড়িতে বসে চোখের জল মুছতে মুছতে শুক্রবার সাবিরের মা জাহানারা বেগম বলেন, ১২ বছর আগে আমার পুলিশ কনস্টেবল ছেলে সাবির মোল্লা ও তাঁর সহকর্মী কাঞ্চন গড়াই ধরমপুর পুলিশ ক্যাম্প থেকে লালগড় বাজারে ডিউটি করতে যাওয়ার পথে অপহৃত হয়। মাওবাদীরাই সাবির ও কাঞ্চনকে অরহরণ করে। তার পর থেকে দীর্ঘ ১২ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও ওদের হদিশ মেলেনি। এবার হয়তো রাজ্য প্রশাসন দুই মায়ের দুই পুলিশ কনস্টেবল ছেলেকে মৃত বলেই ঘোষণা করে দেবে।আরও পড়ুনঃ গোপনে ভারত ঘেষা তিব্বত ঘুরে গেলেন চিনা প্রেসিডেন্টজাহানারা বেগমের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার তেলসরা গ্রামে। তাঁর স্বামী ইব্রাহিম মোল্লা ২০০২ সালে মারা গিয়েছেন। কৃষিজীবী পরিবার। জাহানারা বেগমের চার ছেলে ও এক কন্যার মধ্যে সাবিরই সবার ছোট। সাবির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র ব্যাটেলিয়নে কস্টবেবল পদে চাকরি পাওয়ায় তাঁদের পরিবারে সুদিন ফেরে। সাবিরের মেজ দাদা সামাদ মোল্লা এদিন বলেন, ২০০৬ সালে ব্যারাকপুরে ট্রেনিং সম্পূর্ণ করে তাঁর ছোট ভাই সাবির মোল্লা। তারপর মাঝে কয়েক বছর সে অন্যত্র ডিউটি করে। ২০০৯ সালের ১৬ জুলাই পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড়ের ধরমপুর ক্যাম্পে পোস্টিং হয় সাবিরের। একই ক্যাম্পে পোস্টিং হয়েছিল বাঁকুড়ার ছাতনা থানার সুয়ারাবাকড়াআরও পড়ুনঃ রাজ কুন্দ্রার পর্নোগ্রাফি ব্যবসায় কি শিল্পা শেট্টিও জড়িত?গ্রামের যুবক কাঞ্চন গড়াইয়ের। বাড়িতে রয়েছে কাঞ্চনের বৃদ্ধ বাবা বাসুদেব গড়াই ও মা মিনতি গড়াই। কাঞ্চনই ছিল গড়াই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি। সামাদ মোল্লা জানান, ২০০৯ সালের ৩০ জুলাই বিকালে একই বাইকে চেপে ধরমপুর পুলিশ ক্যাম্প থেকে লালগড় বাজারে ডিউটিতে যাচ্ছিল সাবির ও কাঞ্চন। মাঝপথে মাওবাদীরা সাবির ও কাঞ্চনকে অপহরণ করে গুম করে দেয়। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর রাজ্য প্রশাসনে তোলপাড় পড়ে যায়। পুলিশের তাবড় মহল নড়ে চড়ে বসে। আজকের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সেই সময়ে ছিলেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেত্রী। তিনি অপহৃত দুই পুলিশআরও পড়ুনঃ কান্দাহারে নিহত পুলিৎজার জয়ী ভারতীয় চিত্রসাংবাদিককনস্টেবলের পরিবারের পাশে দাড়ান। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদানীন্তন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্তী পি চিদাম্বরমের কাছে পৌছান। দুই অপহৃত পুলিশ কনস্টেবলের উদ্ধারের ব্যবস্থা করার জন্য তিনি পি চিদাম্বরমের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন। কিন্তু এত সবের পরেও ১২ বছর পেরিয়ে গেল। দুই পুলিশ কনস্টেবল সাবির মোল্লা ও কাঞ্চন গড়াই কারোরই হদিশ মেলেনি। সামাদ মোল্লা বলেন, এবার হয়তো সরকারী নিয়ম মেনেই রাজ্য প্রশাসন অপহৃত দুই পুলিশ কনস্টেবল সাবির মোল্লা ও কাঞ্চন গড়াইকে মৃত বলে ঘোষনা করে দেবে!আরও পড়ুনঃ লম্বা চুল রাখা যাবে না, লক্ষ্মীর ফতোয়ারাজ্য রাজনীতিতে পালাবদল ঘটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও কিন্তু তিনি দুই অপহৃত পুলিশ কনস্টেবলের পরিবারের কথা ভুলে যাননি ।খাতায়-কলমে আজও সাবির মোল্লা ও কাঞ্চন গড়াই মিসিং অন ডিউটি রয়েছেন।তবে সাবির মোল্লা ও কাঞ্চনের গড়াইয়ের চাকরির বেতনের টাকা প্রতি মাসে তাঁদের অবিভাবকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। ২০১৭ সালে রাজ্য সরকার পুলিশ ডিপার্টমেন্টেই সাবিরের এক দাদা সরিফ মোল্লা ও কাঞ্চনের ভাই তারক গড়াইয়ের চাকরির ব্যবস্থা করে।আরও পড়ুনঃ পেগাসাস স্পাইওয়্যার! ভাবের ঘরে চুরি? আপনি কতটা সুরক্ষিত? আক্রান্ত কারা?তবে অন্য সব সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তি হয়নি বলে এদিন হতাশা ব্যক্ত করেছেন সাবির মোল্লার মা জাহানারা বেগম। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছেন। জাহানারা বেগম বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর ছেলের বেতনের ইনক্রিমেন্ট বন্ধ রয়েছে। পুরানো বেতনই এখনও পাচ্ছেন। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিমার কোনও অর্থ এখনও পাননি। এমনকি ২০২০ সালের পে-কমিশনের সুবিধাও তাঁরা পাচ্ছেন না। মাওবাদী এলাকায় কর্মরত পুলিশকর্মীরা অতিরিক্ত ৩০% বেতন পাবে বলে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সেটাও পাচ্ছেন না। আগে ডিএ পেলেও এখন সেটা বন্ধ রয়েছে। এই বিষয়গুলি মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন বলে জাহানারা বেগম বলেন। একই বক্তব্য কাঞ্চন গড়াইরের বাবা মায়েরও।আরও পড়ুনঃ মরণোত্তর অঙ্গদানের শপথ অভিনেতারএই বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় অপহৃত দুই পুলিশ কনস্টেবলদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দুই পরিবারের একজনের চাকরির ব্যবস্থাও তিনি করে দিয়েছেন। হতাশ হবার কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই পরিবারগুলির বিষয়ে ওয়াকিবহাল হয়েছেন।

জুলাই ৩০, ২০২১
রাজ্য

BJP MLA: সোনামুখীতে আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক

রাজ্যে ফের আক্রান্ত বিজেপি বিধায়ক। রবিবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন বাঁকুড়ার সোনামুখীর বিফায়ক দিবাকর ঘরামি। জানি গিয়েছে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দিবাকরবাবুর গাড়ির উপর লাঠি নিয়ে হামলা করে। নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় রক্ষা পান বিজেপি বিধায়ক। যদিও দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন বিজেপি কর্মী। জখম সকলকেই সোনামুখী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। যথারিতি এই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেজানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধেবেলা মানিকবাজারের কাষ্ঠসাঙা গ্রামের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সোনামুখীর (Sonamukhi) বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। তিনি সেখানে কথাবার্তা বলার পর ফেরার পথে মানিকবাজারের কাছে দুষ্কৃতী হামলার মুখে পড়েন।চলে গো ব্যাক স্লোগান।দুপক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে অনেকের মাথা ফেটে যায়, কেউ বা হাতে-পায়ে চোট পেয়েছেন। ঘটনার পরও রাতভর সেখানে উত্তেজনা জারি ছিল। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের খবর মিলেছে একাধিকবার। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, সবটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। এলাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ঘটনার কথা টুইট করে তীব্র নিন্দা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, একজন বিধায়কও অবিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলরাজে নিরাপদ নন।Sonamukhi MLA Dibakar Gharami attacked by TMC goons today at Manikbajar Panchayat area.7 BJP party members accompanying him were seriously injured alongside others had to be referred to Bankura Medical College.An MLA is not even safe in the Non-MLA CMs jungle raj. Horrific pic.twitter.com/Q8UpJqVeTP Suvendu Adhikari শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) July 4, 2021উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে একের পর এক বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের আক্রান্ত হওয়ার, ঘরছাড়া হওয়ার খবর আসছে রাজ্যজুড়ে। এই নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে দরবারও করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদেরও। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার আক্রান্ত হলেন বিজেপি বিধায়ক।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজনীতি

বাঁকুড়ায় নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী কী কী বললেন, দেখে নিন একনজরে

বঙ্গে ফের প্রধানমন্ত্রী। রবিবার বাঁকুড়ায় নির্বাচনী প্রচারে এসে মোদি বলেন, আমি মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম করি। আমার মনে আছে, লোকসভা নির্বাচনে যখন আপনাদের আশীর্বাদ নিতে এসেছিলাম দিদি কি কি করেছিলেন। লোকেদের ভয় পাওয়ানোর জন্য দিদি কি না করেছেন। কিন্তু আমি বাঁকুড়ার মানুষের প্রশংসা করব কি, মানুষ এত কিছুর পরও চুপচাপ পদ্মে ভোট দিয়েছেন। আজও এত মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ দিতে এসেছেন। এত জনগহ থেকে এটা নিশ্চিত ২ মে দিদি যাচ্ছে, আসল পরিবর্তন আসছে। আসল পরিবর্তন বাংলার বিকাশ, এমন সরকার আনার জন্য যা গরিবের সেবা করবে।তিনি আরও বলেন, যারা তোলাবাজির সিন্ডিকেটে কড়া পদক্ষেপ নেবে। এই পরিবর্তন বিজেপি করবে। দিদি ও দিদি, ভ্রষ্টাচারের খেলা চলবে না, চলবে না। সিন্ডিকেটের খেলা, কাটমানির খেলা চলবে না, চলবে না। বিজেপি সরকার এলে মায়ের পূজা হবে, মাথায় তিলক হবে, মানুষের সম্মান হবে। রামপাড়ায় আওয়াজ দিলে সব ঘর থেকে রাম বেরোবে, শুধু রামপাড়া নয় সব আদিবাসী সমাজের চিত্র এটা। বনবাসী সমাজের সঙ্গে প্রভু রাম সবসময় থেকেছেন। আর ভাবুন যারা রাম নাম নেয়, তাদের সাথে দিদি কি করেন। তুষ্টিকরণের জন্য দিদি। দিদি আপনার আসল চেহারা আপনি আগে দেখিয়ে দিলে কখনও আপনার সরকার আসত না। দিদি এখন তাঁর রাগ আমার উপর বের করেছেন। দিদির লোক আজকাল দেওয়াল চিত্র বানাচ্ছে। আমার মাথা নিয়ে ফুটবল খেলছে। কেন আপনি বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করছেন এভাবে?আমি আজ দিদিকে বার্তা দিতে চাই, আমি আমার মাথা ১৩০ কোটি মানুষের কাছে মাথা ঝুকিয়েই রেখেছি। এটাই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সংস্কার। তাই দিদি আপনি চাইলে আমার মাথায় পাও রাখতে পারেন আর লাথিও মারতে পারেন। কিন্তু আপনাকে আমি আর বাংলার বিকাশের উপর লাথি মারতে দেব না। এখানে মানুষ একটু জলের জন্য কষ্ট পাচ্ছে। জল কই দিদি? এখানে কৃষকদের এই হাল কেন? সেচ নেই কেন? চাকরি নেই কেন? আপনি শুধু কথা বলেছেন। আপনি দশ বছর বাংলার সঙ্গে খেলার পরেও আপনার মন ভরেনি? এখন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ঠিক করে নিয়েছে খেলা শেষ হবে, বিকাশ আরম্ভ হবে। অজিত মুর্মুর মত আদিবাসী শহিদ হয়েছেন। মানুষ গরিব হয়েছেন, তৃণমূলের নেতারা বড়লোক হয়েছেন। গরিবের টাকা লুটে এসব হয়েছে। তাই দিদি যাচ্ছে। বালি মাফিয়াদের রোজগার বেড়েছে। মানুষের অসুবিধায় দিদির হেলদোল নেই। এখন তো দিদি আমার মুখটাও দেখতে পছন্দ করেন না। কিন্তু আমাদের চন্দনা দিদির মত কার্যকর্তার চেহারা দিদি অনেক দিন মনে রাখবেন। এটা সেই গরিবদের প্রতীক যাঁদের হকের চাল, টাকা মেরেছে তৃণমূল। এখন এরাই গরিবদের নিজেদের অধিকার বুঝে নেবে। এটাই আসল পরিবর্তন। এঁদের সমর্থন দিয়ে বিধানসভায় পাঠাবেন যাতে দিনরাত তাঁরা আপনাদের সেবা করতে পারেন। ডাবল ইঞ্জিন সরকার বানাতে পারেন। আমি যুব ভোটার দের বলব সোনার বাংলার জন্য ভোট দিন। আপনাদের আগের প্রজন্মে সিপিএম, কংগ্রেস, তৃণমূল শেষ করেছে। লাখ মানুষ বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এখন থেকে ২৫ বছর খুব গুরুত্বপূর্ণ। সোনার সময়। ভ্রষ্টাচার মুক্ত সরকার তৈরির জন্য বাংলায় বিজেপি সরকার জরুরি। সরকার এসেই জাতীয় শিক্ষা নীতি লাগু হবে। যাতে নিজেদের ভাষায় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবে। জল জীবন মিশন লাগু হবে। আয়ুষ্মান ভারত লাগু হবে। হেলথ সেন্টার তৈরি হবে।বিজেপি স্কিম এর উপর চলে আর তৃণমূল স্ক্যামের উপর চলে। স্কিম যাদেরই স্কিম হোক না কেন স্ক্যামের ব্যবস্থা করে নেয় তৃণমূল। যেখানে স্কিম, সেখানে স্ক্যাম। আয়ুষ্মান ভারত, পিএম কিষান থেকে স্ক্যাম করা সম্ভব নয় তাই দিদি স্কিম আসতে দেননি। বাংলার কৃষক সরকার বঞ্চিত হয়েছেন পিএম কিষান যোজনা থেকে। বিজেপি সরকারে এসেই টাকা দেবে। আগেও দেবে। দশ বছর যে ইভিএমে জিতলেন এখন সেই ইভিএম চাননা। বোঝাই যাচ্ছে। এইবার জোরসে ছাপ, পদ্মে ছাপ। বন্ধুগণ, আসুন আমরা সংকল্প করি আসল পরিবর্তন, এবার নিশ্চই আসছে বিজেপি। সবাইকে ধন্যবাদ। ভারত মাতার জয়। বন্দে মাতরম।

মার্চ ২১, ২০২১
রাজ্য

বিজেপি নেতাদের ফাঁকা জনসভা নিয়ে কটাক্ষ মমতার

ভোট মরশুমে প্রচার, পালটা প্রচারে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এরইমধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভাগুলো। জখম পা নিয়েই মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় একদিনে তিনটি জনসভা করে ফেললেন তিনি। প্রত্যেক সভাতেই মঞ্চে হুইলচেয়ারে বসেই ভাষণ রাখলেন তিনি। তবে শরীর অসুস্থ হলেও, মনোবল ভাঙেনি এতটুকু। দুপুরের পরও মাথার উপর ঝাঁ ঝাঁ রোদ নিয়ে বিজেপি বিরোধী সুর ক্রমশই চড়িয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতাদের ফাঁকা জনসভা নিয়ে বিঁধলেন তিনি। ছন্দের আশ্রয়ে বললেন, জনগণ দিন তালি, বিজেপির সব চেয়ার খালি।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে এমন একটা উদ্দীপনা বরাবরই থাকে, যা শুধু তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের নয়, আলোড়ন তোলে আমজনতার মনেও। তার টানে তিনি যেখানেই সভা করুন, দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন সাধারণ মানুষজনও। ভোটের মরশুমে এই ভিড় আরও বেশি।এসব নিয়ে এদিন বাঁকুড়ার রাইপুর থেকে বিজেপি নেতৃত্বকে বিঁধলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমতো ছন্দে ছন্দে বললেন, জনগণ দিন তালি, বিজেপির সব চেয়ার খালি। এতে আমার কী করার আছে? লোকে তোমাদের পছন্দ করে না, তাই তোমাদের সভায় লোক আসে না। এদিনের সভা থেকে সরকারি আধিকারিকদের প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর আচরণ নিয়েও তোপ দেগেছেন মমতা। মেট্রো ডেয়ারি সংক্রান্ত একটি মামলায় স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে তলব করেছে ইডি। পুরনো এক মামলায় সিবিআই তলব করেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। কেন নন্দীগ্রামে তিনি জখম হওয়ার পর রাজ্যের নিরাপত্তা আধিকারিককে বদলানো হল, সেই প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মার্চ ১৬, ২০২১
রাজনীতি

নাম করে অভিষেককে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

গত রবিবার বজবজের সভা থেকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,সবার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দু ভাইপো। বুকের পাটা থাকলে ভাব বাচ্যে কথা বলে না বলে নাম নিয়ে দেখাক। এবার সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তাঁর নাম করেই আক্রমণ শানালেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। মঙ্গলবার সকালে কোচবিহারে চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন চোর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ডাকাত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন কয়লা মাফিয়া। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দেব বলে ছেলেদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে এলাকায় এলাকায়। ওর সঙ্গী বিনয় মিশ্র। আরও পড়ুন ঃ কল্যাণের মন্তব্যে বিজেপিকে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে , মত তৃণমূল সাংসদের তিনি আরও বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলুন আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে। তারপর আমি বুঝে নেব। তিনি তৃণমূলকে সাম্প্রদায়িক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, পিসি আর ভাইপো ছাড়া সবাই চেষ্টা করবে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কীভাবে বাঁচা যায়। তৃণমূলের মালিক পিকে ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা সৌমিত্রবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কোচবিহার জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি।

ডিসেম্বর ০১, ২০২০
রাজনীতি

রাজ্যপাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ডাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীকে, দাবি সৌমিত্র খাঁয়ের

রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে যে কোনও দিন রাজভবনে রাজ্যপালের ডাক পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ৭ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানের ডাকও দিয়েছেন তিনি। শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বলেছেন, পরিস্থিতি যা তাতে কদিন পর তৃণমূল বলে কোনও দলই থাকবে না। যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি জানান, শুভেন্দু অধিকারীর পর এবার সুব্রত মুখার্জী লাইনে আছে। আরো ৫৮ জন তৃণমূল বিধায়ক বিজেপিতে আসার জন্য প্রস্তুত। আরও পড়ুন ঃ বছরের শেষটা মোটেও ভাল যাচ্ছে না তৃণমূলেরঃ দিলীপ সৌমিত্র দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার মুখ থুবড়ে পড়বে। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সৌ্মিত্র যে অঙ্ক জানে না, আমি সেটা জানতাম না। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে থেকে ওর মাথাটা খারাপ হয়ে গেছে।

নভেম্বর ২৯, ২০২০
রাজনীতি

সিপিএম ও বিজেপি লোভী ও ভোগী, তৃণমূল ত্যাগীঃ মমতা

বাঁকুড়ার সভা থেকে একযোগে সিপিএম ও বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ী ময়দানে ছিল দলের কর্মীসভা। সেখানে তিনি বলেন, সিপিএম হল লোভী, বিজেপি হল ভোগী ও তৃণমূল হল ত্যাগী। লোকসভা ভোটের সময় জগাই-মাধাই-গদাই এক হয়েছিল। সিপিএম-এর হার্মাদরাই আজ রং পরিবর্তন করে বিজেপি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আপনারা কি সিপিএম-এর সেদিনের অত্যাচার ভুলে গেছেন। সেদিনের লড়াইয়ের কথা ভুলে গেছেন। আমি কিন্তু ভুলিনি। বাঁকুড়ার ছেলেমেয়েরা আগে ভয়ে বাড়ি থেকে বের হতে পারত না। কিন্তু আজ সেই বাঁকুড়া শান্তিতে আছে। বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য সময় পাত্তা নেই। আর আজ যখন বাংলার মানুষ শান্তিতে বাস করছে তখন মানুষের শান্তি কেড়ে নেওয়ার জন্য দিল্লি কা লাড্ডু কয়েকজনকে বাংলায় পাঠিয়েছে। তাঁরা কেউ বাংলার লোক নয়। বাইরের লোক। আপনাদের সব লুটে নেবে। কিন্তু যখন নির্বাচন আসবে তখন দেখবেন আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দিচ্ছে। এলাকায় লুকিয়ে লুকিয়ে টাকা দিচ্ছে। পুলিশের বিভিন্ন এজেন্সিতে যারা কাজ করে তাদের মাধ্যমেও টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে শুনেছি। আরও পড়ুন ঃ অনুব্রতর গড়ে চ্যালেঞ্জ দিলীপের বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ১০০ দিনের কর্মীরা সঠিক সময় টাকা পাচ্ছেন না। কারণ সেই টাকা সুদে খাটাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর কথায়, কেন্দ্র বাংলা থেকে করের টাকা নিয়ে যায়। সেই টাকাই আবার রাজ্যকে দেয়। আলাদা করে কিছুই দেয় না। জনসভা থেকে নাম না করে দিলীপ ঘোষকেও কটাক্ষ করতে পিছপা হননি মমতা। তাঁর খোঁচা, কেউ কেউ বলছেন গোমূত্র খেলে করোনা হবে না। তিনি তো খেয়েছিলেন. তাহলে তাঁর কীভাবে করোনা হল? বিজেপির রাজ্য সভাপতির গোমূত্র থেকে সোনা তৈরির মন্তব্য নিয়েও কটাক্ষ করলেন তিনি। বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বাঁকুড়া সফর নিয়ে মমতার খোঁচা, বাঁকুড়ায় এসে পাঁচতারা হোটেলের খাবার খেয়েছেন তিনি। এভাবে কি মানুষের কাছে আসা যায়? এছাড়াও নাম না করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও বিঁধলেন তিনি। তাঁর কথায়, কিছু মানুষের কোনও কাজ নেই সকাল থেকে শুধু টুইট করে যান। উল্লেখ্য,বাংলা কৃষকদের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা না দেওয়ার নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছিলেন রাজ্যপাল। পালটা মমতার দাবি, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, কৃষকদের প্রকল্পের টাকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, রাজ্যকে টাকা পাঠিয়ে দিন, আমরা কৃষকদের দিয়ে দেব। কিন্তু তাঁরা টাকা পাঠায়নি।

নভেম্বর ২৫, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal