• ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, রবিবার ০১ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Theatre

বিনোদুনিয়া

ধূমকেতু পাপেট থিয়েটারের সপ্তম জাতীয় পুতুল নাটকের উৎসব

ধুমকেতু পাপেট থিয়েটারের পরিচালনায় ও কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সহযোগিতায় সপ্তম জাতীয় পুতুল নাটক উৎসব সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো দুদিন ধরে উত্তর কলকাতার বাগবাজার রিডিং লাইব্রেরীতে। সংস্থার পরিচালক দিলীপ মন্ডল জানান এবার উৎসবের থিম জনসেবায় পুতুলের ব্যবহার, শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সমাজ সচেতনতা। আমরা গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে কলকাতার নানান স্কুল ও সংস্থায় আমরা পাপেট কর্মশালা ও সেমিনার করে চলেছি। আসাম ও নাগাল্যান্ডে ওয়াকসপ সেমিনার করার পরেও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে এবং বিভিন্ন সংস্থায় পাপেটের কর্মশালা ও সেমিনারের করেছি। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও স্বচ্ছতা, স্বচ্ছ ভারত নিয়ে পুতুল নাটক করা হয়। এবারের উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয় বাগবাজার রিডিং লাইব্রেরীতে দুদিনে ধরে। প্রদীপ জ্বালিয়ে এই উৎসবের শুভ সূচনা করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সমিত সাহা ও নাট্য নির্দেশক সুরজিৎ সিনহা। তাদের উত্তরীয় ও স্বারক দিয়ে সংবর্ধনা জানান ধূমকেতু পাপেট এর কর্ণধার দিলীপ মন্ডল। প্রেক্ষাগৃহে প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলো ধুমকেতু পাপেট থিয়েটারের স্বাধীনতা বিপ্লবীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছেলেমেয়েদের নিয়ে জগায়ের স্বপ্ন রাংতাল থিয়েটারের মানব পুতুল এবং সংবেদনের ঠোঙার পাপেট মঞ্চস্থ হয়। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান শুরু বেলা দুটো থেকে। এদিন ছিলো শিল্পাঞ্জলির র তারের পুতুল নাচ আর কথা বলা পুতুল, ধুমকেতু পাপের থিয়েটারের কথা বলা পুতুল, অরুণ কুমার ঘোষের পুতুল নাচ, আশা নিকেতনের জগায়ের স্বপ্ন দ্বিতীয় পর্ব আর স্বনির্ভর দলের পাপেটে পড়া পড়া খেলা। এই ছিলো উৎসবের দ্বিতীয় ও শেষ দিনের ধূমকেতু পাপেট আয়োজিত জাতীয় পুতুল উৎসবের মূল আকর্ষণ। সব মিলিয়ে সমগ্র অনুষ্ঠানটি এক কথায় অনবদ্য হয়ে ওঠে। সামগ্রিক অনুষ্ঠান এর ভাবনা, পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন ধূমকেতু পাপেট এর কর্ণধার দিলীপ মন্ডল।

জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
বিনোদুনিয়া

রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ুধ-এর নতুন প্রযোজনা ‘মাস্টারদা: ১৯৩০’

স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে স্বাধীনতা সংগ্রামী মাস্টারদা সূর্য সেনের প্রতি নিবেদিত এক শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসাবে দমদমের ঐতিহ্যবাহী নাট্যদল রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ুধ মঞ্চস্থ করল তাঁদের নতুন প্রযোজনা মাস্টারদা: ১৯৩০। নাটকটি লিখেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন ড. দানী কর্মকার। কলকাতার মুক্তাঙ্গন মঞ্চে মঞ্চস্থ হল নাটকটি। মাস্টারদার জীবন ও দর্শনমগ্ন এক সমষ্টিজীবন এই নাট্য। এই নাটক এক বেদনাদায়ক এবং একই সাথে বিস্মৃত ইতিহাসের গৌরবময় পাঠে পরিণত হয়েছে। ডকু থিয়েটারের আঙ্গিকে মঞ্চের নির্ধারিত পরিসরেই উঠে এসেছে ঐতিহাসিক সেই সময়। অবিভক্ত বাংলার অজস্র বিপ্লবীদের স্বাধীনতার লড়াইয়ে অবিস্মরণীয় আত্মবলিদানের এক রক্তাক্ত দলিল যেন এই নাটক। এ যেন সংলাপের মাধ্যমে এক অখন্ড জীবন-কথা। নাট্যকার সংলাপ, আবহে, অভিনয়ের মাধ্যমে মঞ্চের পরিসরে ত্রিশের সেই ঐতিহাসিক যুগ রচনা করেছেন আশ্চর্য দক্ষতায়। ঐতিহাসিক হলেও এই নাটক সমকালীন চিরন্তন মহাকাব্য হয়ে উঠেছে। ত্রিশের দশকে ব্রিটিশ পরাধীনতার সেঁকল ছিঁড়তে বাংলার যে সমস্ত বিপ্লবী তরুণ তরুণী সংগ্রাম করেছেন তাঁদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাস্টারদা। গান্ধীজীর অহিংস আন্দোলনের বিপরীতে চট্টগ্রামে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন মাস্টারদা। আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের দলের নাম রেখেছিলেন ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখা। সেইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম ও অবদানের পাশাপাশি এই নাটকে উল্লেখিত হয়েছে তৎকালীন ঐতিহাসিক ঘটনা ও মুহূর্ত। এ যেন অগ্নিযুগের বিপ্লবনাট্য।অতিমারি কাটিয়ে মাস্টারদার জীবন ও সাধনার সমস্ত তথ্য সাল-তারিখসহ ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিটের এই নাটকটি সত্যি অনবদ্য। মাস্টারদার চরিত্রে কাজল শম্ভুর চরিত্রায়ন প্রশংসার দাবি রাখে। এছাড়া কল্পনা দত্ত ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চরিত্রে যথাক্রমে ঝুমা ঘোষ ও বর্ণালী কর্মকার নাটকে প্রাণ সঞ্চার করেছেন।নাটকের অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিত সরকার, রাজদীপ সাহা, বিনায়ক কর্মকার, লোকনাথ দাস, ঈশান কর্মকারসহ এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী। নাটকের আবহ ও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন ড. দানী কর্মকার। নাটকের বিশাল প্রেক্ষাপট, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও আবেগময় মুহূর্ত সৃষ্টিতে আবহ বিরাট ভূমিকা রেখেছে। মঞ্চে বিশাল রক্তাক্ত ক্যানভাস নাটকের বিষয়ভিত্তিক পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে। আলো আঁধার ও যুদ্ধের ভয়াবহতা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন আলোক পরিকল্পক গোবিন্দ কর্মকার। এছাড়া রূপসজ্জায় ছিলেন সৌগত মিত্র, পোশাক ভাবনায় সীমা কর্মকার এবং কোরিওগ্রাফি করেছেন বর্ণালী কর্মকার।

জুন ২৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

কাঁচড়াপাড়া ফিনিকের নাটক " বন্ধনহীন গ্রন্থি "

কাঁচরাপাড়া কাজী নজরুল ইসলাম মঞ্চে কাঁচরাপাড়া ফিনিক প্রযোজিত নাটক বন্ধনহীন গ্রন্থি মঞ্চস্থ হলো। এক পৌঢ় দম্পতির নিঃসঙ্গ বেদনা নাটকের বিষয়বস্তু। দুই পুত্র বিদেশে ব্যাস্ত থাকার কারণে দীর্ঘ কয়েক বৎসর পুত্র, পুত্রবধু ও নাতি-নাতনীদের মুখদর্শনেবঞ্চিত দম্পতির অতীতচারণে উঠে আসে। নিজেদের স্বার্থপরতার কথা, পুত্রদের উচ্চশিক্ষা বিদেশে না হলে সমাজে সম্মান না থাকার কথা, আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় দূরত্ব তৈরি করা ইত্যাদি। এরই মধ্যে ধূমকেতুর মতো উদয় হয় পৌড়ের ভাগ্নে এবং ছোটবোন। বিনাপয়সায় চক্ষু অস্ত্রপচার শিবিরে মাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য সুদূর বর্ধমানের এক গ্রাম থেকে সটান চলে আসে সুধাময়ের বাড়িতে এক/দুদিনের জন্য থাকতে। প্রথমে বিরক্তি হলেও পরে ভাগ্নে কার্তিক এবং বোন মিনতির সাহচর্যে এবং কার্তিকের মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব পালনের প্রতি কর্তব্যকর্মে মুগ্ধ হয়ে ওঠে।পরিশেষে উপলব্ধি করে যে একা একা বাঁচা যায় না। নিঃসঙ্গতা কাটাতে হলে পরস্পর পরস্পরের হাত ধরে আনন্দের সঙ্গে বাঁচতে হবে। তাই প্রতিবেশী দীবাকর বাবুর কথা মত একটি সংস্থার সাথে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে নাটকের সমাপ্তি।নীল কৌশিকের মঞ্চ অন্যমাত্রা এনে দেয়। বাপ্পা সেনের আলো - দুঃখ, বেদনা, আনন্দ ও স্মৃতি রোমন্থনে দারুন ভাবে কাজ করেছে। সুজয় সেনগুপ্তর আবহ, দৃশ্যায়ন তৈরিতে সহায়তা করেছে। অভিনয়ে কনক মুখার্জি ও অমিতা সেন অনবদ্য। তপন মণ্ডল ও সুতপা দাস যথাযথ , তবে কার্তিক চরিত্রে গৌতম ঘোষের অনবদ্য অভিনয় অনেকদিন মনে থাকবে।এককথায় উপভোগ্য একটি প্রযোজনা। এই নাটকের পরিচালক কাবেরী মুখার্জি নাট্যকার অতনু মজুমদারের নাটকের বক্তব্যকে সহজ এবং সুন্দর ভাবে দর্শকের কাছে উপস্থাপিত করেছেন।

জুন ০৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

ইউটিউবে দর্শকদের নাটক দেখাতে বিশেষ ভাবনা

নাটক দেখবো। কিন্তু তাও আবার ইউটিউবে? সেরকমই ভাবনা নিয়ে এসেছে ইউপিক্স কলকাতা। করোনা পরিস্থিতিতে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ায় সেই ইউটিউব কে কাজে লাগিয়ে নাটকের ভাবনা নিয়েছে এই সংস্থা। তাদের এই ইউটিউব চ্যানেলের শুভ উদ্বোধন হয়ে গেল যাদবপুরের ইন্দুমতি সভাগৃহ তে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বদেশ গাঙ্গুলি, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, রিমি গাঙ্গুলি, অভিজিৎ সেন, রিপণ দাস সহ অন্যান্যরা। বাংলাদেশে ইউটিউবের মাধ্যমে নাটককে তুলা ধরার বিষয়টা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তাদের আদলেই নাটককে ইউটিউবের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে তুলে ধরার ভাবনা নিয়েছে ইউপিক্স কলকাতা। ইউপিক্স কলকাতা-র প্রতিষ্ঠাতা সানি মন্ডল জানিয়েছেন নবাগত চলচ্চিত্র পরিচালকরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে তার জন্য এগিয়ে এসেছে ইউপিক্স কলকাতা। এদিন এই সংস্থার পক্ষ থেকে হ্যাপি বার্থডে, টোটাল সোশ্যাল, এবং দ্য ট্রিপ এই তিনটি ছোট নাটকের পোস্টার উন্মোচন করা হয়। চ্যানেলটি ৫ জুন ইউটিউবে লঞ্চ হবে। সেদিন হ্যাপি বার্থডে নাটকটি দেখতে পাবেন দর্শকরা।

মে ২৮, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সালকিয়া সব্যসাচী থিয়েটার দলের নাট্য সেমিনার

বর্তমানে বিভিন্ন থিয়েটার দল থিয়েটার সেমিনারের আয়োজন করছে। থিয়েটার সেমিনারের মূল লক্ষ্য থিয়েটার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া। সেরকমই সালকিয়া সব্যসাচী বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য সন্ধ্যাবেলায় থিয়েটার সেমিনারের আয়োজন করে। সালকিয়া শিল্পাশ্রম স্কুলে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সাতটি স্কুলের ৭৫ জন ছাত্রছাত্রী এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করে। বিশিষ্ট অভিনেতা, পরিচালক ও বেতার শিল্পী মুরারী মুখোপাধ্যায়ের অসামান্য দক্ষতায় প্রায় দু-ঘন্টা ধরে বিশ্লেষণ করেন থিয়েটার নিয়ে আলোচনা করেন এর মধ্যে ছিল থিয়েটার কি? থিয়েটারের প্রয়োজনীয়তা কেন? মুরারী মুখোপাধ্যায় জানান বিদ্যালয় থেকেই শুরু হওয়া দরকার থিয়েটার শিক্ষা।এছাড়াও অভিজিৎ চ্যাটার্জী ও এই বিষয়ে আলোচনা করে। ছাত্রছাত্রীরা মুগ্ধ হয়ে এই থিয়েটার আলোচনা শুনে আপ্লুত হন। ছাত্রছাত্রীরাও প্রশ্নোত্তর পর্বেও যোগদান করে। শেষে তারা বলে এই প্রথম এমন একটি অনুষ্ঠানে তারা অংশ নিল যেখানে তারা শিখলো যে পুঁথিগত বিদ্যা ও অর্থনৈতিক সচ্ছলতাই জীবনে সব নয়। এই থিয়েটার সেমিনার নিয়ে তারা জানল চরিত্র গঠন, মনের বিকাশ ও জ্ঞানের ভান্ডার একমাত্র থিয়েটারই বৃদ্ধি করতে পারে।

মে ১২, ২০২২
বিনোদুনিয়া

নাটক নিয়ে বিশেষ ভাবনা, অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে নাটকের বিভিন্ন বিষয়

নাটকের জন্য একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম টাইমস অফ থিয়েটার-এর আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হল কলকাতা প্রেস ক্লাবে। গুগল প্লে স্টোরে এই অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বিল্পব দাশগুপ্ত, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র বসু, জগন্নাথ বসু, উর্মিমালা বসু, অংশুমান ভৌমিক, মুরারি রায়চৌধুরী, প্রদীপ মিত্র, সঞ্চয়িতা ভট্টাচার্যর মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।টাইমস অফ থিয়েটার প্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নাটক নিয়ে কাজ করতে করতেই আমাদের মনে হয়েছিল যে নাটকের জন্য এমন কিছু করা দরকার যা নাটককে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দেবে। রোজকার জীবনে নাটক যেন বন্ধুর মতো থাকে। তাই টিওটি রেডিও অ্যাপ তৈরি হল। টিওটি রেডিও অ্যাপে সারাদিন নাটক, নাটক নিয়ে আলোচনা, নাটকের গল্প, নাটকের গান, নাটকের কুইজ, ছোটদের নাটক সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে। টিওটি রেডিও অ্যাপের কোনো সাবস্ক্রিপশন ফি নেই। বিশ্বের যেকোনও প্রান্ত থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে যুক্ত থাকা যাবে।

মে ১০, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মিনার্ভা থিয়েটারে 'দেবীগর্জন' গর্জে উঠল

বিজন ভট্টাচার্যর কাছে নাটক শুধু একটা পারফরম্যান্স ছিল না। শিল্প বলতে তাঁর কাছে ছিল সমাজ বদলের হাতিয়ার। থিয়েটারকে বুঝতেন গণের নাটক। যা কেবল সাধারণ মানুষের ভাল-মন্দ-দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কথা বলবে না। নাটকের মধ্য দিয়ে মানুষও হয়ে উঠবেন সেই গল্পের এক একজন অংশ। দেবীগর্জন- বিজন ভট্টাচার্যের লেখা একটি অন্যতম নাটক। বীরভূমের সাঁওতাল কৃষকদের আন্দোলন অর্থাৎ দেবীগর্জন নাটক, উৎসর্গ করা হয়েছে কৃষক আন্দোলনের শহীদদের উদ্দেশ্যে, উনিশ বিশ শতক জুড়ে নীল- তেভাগা সহ সমস্ত কৃষক যারা আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন। এছাড়া দেবীগর্জন নাটকে দুটি প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে হয়। বিজন ভট্টাচার্য জানান যে আদিবাসী সাঁওতালরা তাদের আরাধ্য হিসাবে কালী কে আরাধনা করেন, সেই মাতৃ শক্তির আবির্ভাবের কথা খেয়াল রেখেই নাটকে দেবীগর্জন নাম এবং প্রসঙ্গ এসেছে। কৃষক আন্দোলন নাটকে প্রেক্ষাপট হলেও দুটি প্রসঙ্গ নাটকে প্রধান- ধর্মগোলা ও পঞ্চায়েত ব্যবস্থা। নির্যাতিত নিপীড়িত সাঁওতাল আদিবাসী কৃষকদের জোতদারদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের চিত্র প্রকাশ পেয়েছে এই দেবীগর্জন নাটকের মধ্য দিয়ে। জমিদার প্রথার বিলোপ হলেও মধ্যস্বত্বভোগী প্রভঞ্জন সামন্ততান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পঞ্চায়েতি প্রথাকে পিছনে রেখে কৃষকদের জমি নিজের দখলে করে নেন। এদিকে কৃষি ঋণ ও সুদ জোগাতে হত দরিদ্র আদিবাসী কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়। অবশেষে এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তারা, নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নেয়। তিন অঙ্কের এগারোটি গর্ভাঙ্কে দেবীগর্জন হয়ে উঠেছে স্বার্থক গণনাট্য। এখানে আমি রাজা আমারই নীতি ইটাই রাজনীতি প্রভঞ্জনের এই কথায় যেমন সমকালীন জোতদারের মুখোশ খুলে যায়, ধর্মগোলার মজুত ধানের বিতরণের দাবিতে চাষিদের সঙ্গে জোতদারের বিরোধ বাধে, তখন মংলার চেতনায় প্রশ্ন জাগে- কে রাজা, কার রাইজ্য ? এটাই গণনাট্যের মূল। নাটকের শেষে মংলার নেতৃত্বে জোটবদ্ধ ভুঁই চাষির দল পঞ্চায়েতি শাসন চালুর দাবি জানায়। সেই দাবির গর্জনই আসলে দেবীগর্জন। কলকাতার মিনার্ভা থিয়েটারে নাট্যিক কোলকাতার এই দেবীগর্জন নাটকটি মঞ্চস্থ হল। নাটকটিতে সকলের পারফরম্যান্স দর্শকদের মন ছুঁয়ে গেছে। প্রতাপ কুমার মণ্ডল নাট্যিক কোলকাতা দলের কর্ণধার ও নির্দেশক। তিনি জানিয়েছেন, বিজন ভট্টাচার্য মহশয়ের নাট্য চিন্তা ভাবনা ও দর্শন এর জায়গা থেকে আমরা গত ছয় মাস ধরে এই নাটকের মহড়া দিচ্ছি, চেষ্টা করছি লেখকের মূল ভাবনা কে তুলে ধরার; প্রথম অভিনয়ের মঞ্চায়নের ভুলভ্রান্তি সব শুধরে আমরা শিঘ্রই মঞ্চে ফিরছি; এবং দেবীগর্জন নাটক বাংলা থিয়েটারে যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে, সেটা আমাদের বিশ্বাস। এই নাটকে সৃজিতা বান্টি ভদ্র নাটকের মূল কেন্দ্রে রত্না চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বাংলা থিয়েটারের প্রথম সারির অভিনেত্রী একজন সৃজিতা। তাঁর প্রথম নির্দেশনা দেবীগর্জন নাটকটি, তিনি যে মুন্সিয়ানার সঙ্গে অত্যন্ত নিপুণ ভাবে এই নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন, তা যথেষ্ট প্রশংসার দাবী রাখে। এই নাটকে সৃজিতাঁর অভিনয় সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।এই নাটকে তিনি যুব সাউতাল মংলা চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজল শম্ভু। শম্পা দে এই নাটকে গীরি চরিত্রে যথেষ্ট প্রভাবশালী অভিনয় দেখিয়েছেন। শঙ্খ বরণ দাস ত্রিভুবনের চরিত্রে তিনি অসম্ভব দক্ষতার সঙ্গে চরিত্রের রূপ দিয়েছেন। সন্তু সাধু খাঁ নাটকের মূল নেগেটিভ চরিত্র প্রভঞ্জন যার জন্যই এই দেবীগর্জন, তিনি সকল সহশিল্পীদের সঙ্গে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে গেছেন।

মে ০৮, ২০২২
বিনোদুনিয়া

"কৃষ্ণপক্ষ" সিঁথি অনুরণন- এর নাটক সকলের বিশেষভাবে ভালো লাগবে

উত্তর কলকাতার মিনারভা থিয়েটার হলে সিঁথি অনুরণন এর নবতম প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হলো কল্লোল চক্রবর্তী র লেখা পূর্ণাঙ্গ নাটক কৃষ্ণপক্ষ ।এই নাটকের মূল বিষয় হলো, একটি আবহ যা অনাদিকাল ধরে চলে আসা রিরংসা, লোভ, মোহ, মাৎসর্যকে ধারণ করে বসে আছে। অনভিপ্রেত হিসেবে সে কিছু মৃত্যু বহন করছে। কিন্তু মৃত্যু যেহেতু একটি নির্ণয় বা পরিণাম হয়ে থাকতে পারে না, সেই কারণে এই নাটকের অন্তিম পর্যায়ে চন্দ্রোদয় এর কথা বলে জীবনে ফিরে আসা হচ্ছে। যে দমবন্ধ পরিবেশের মধ্যে দর্শককুল সতত তাদের মস্তিষ্কের সঞ্চালনে বাধা পেয়ে অসার হয়ে যাচ্ছিল, তা থেকে শেষমেশ মুক্তি পায়। এই নাটকের কুশীলবরা নিষ্ঠুরতাকে সঙ্গী করে এবং তাদের জীবনের পরাজয়, অবসাদ, বিষন্নতা এই সবের মধ্য দিয়ে মৃত্যুর দ্যোতক হয়ে ওঠে।মিনার্ভা থিয়েটার হলে নবীন পরিচালক ও অভিনেতা দেবাঞ্জন চ্যাটার্জীর পরিচালনায় সমস্ত কুশীলবরা তাঁদের সেরা অভিনয় দিয়ে নাটকটিকে একটি উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন। নাটকের আবহ তৈরি করেছেন সুশান্ত চক্রবর্তী। ভুজঙ্গের চরিত্রে চঞ্চল বন্দ্যোপাধ্যায়, মালতী- ডাঃসংঘমিত্রা সাহা,বেজি - তুষারকান্তি বাগচি, মঞ্জু - পাপিয়া রায়, ধ্রুব - দেবাঞ্জন, অশোক-অর্ণব মজুমদার,নবা- সুদীপ শিকদার, প্রধান- ডাঃ সোমনাথ সাহা, পুলিশ-আশিস কুমার চন্দ্র ও মহিলা কনস্টেবল এর চরিত্রে দীপিকা ঘোষ মুন্সিয়ানার সাক্ষর রেখেছেন। আলো, ধ্বনি, সাজসজ্জা, শব্দ প্রক্ষেপণ যথাযথ। সবমিলিয়ে কৃষ্ণপক্ষ নাটকটি সকল দর্শকদের নজর কারে।

মে ০৫, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো কাঁচরাপাড়া ফিনিকের সপ্তম বর্ষ নাট্যোৎসব ২০২২

কাঁচরাপাড়া ফিনিক নাট্য সংস্থা আয়োজিত প্রয়াত সৌমিত্র মুখার্জী স্মরণে সপ্তম বর্ষ মিলন নাট্য উৎসব বিপুল দর্শক সমাগমে স্থানীয় কাজী নজরুল ইসলাম মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো। সংস্থার সভাপতি যমুনা কান্ত চক্রবর্তী উদ্বোধনী ভাষণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। প্রতিদিন ফিনিকের সদস্য- সদস্যা দের সমবেত সংগীত এর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান আরম্ভ হয় । প্রথম দিন গ্রুপ থিয়েটার পত্রিকার সম্পাদক দেবাশিস বন্দোপাধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। এবং পরবর্তী দিনগুলিতে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব শান্তনু মজুমদার, সঞ্জয় সেনগুপ্ত, দুলাল চক্রবর্তী, ডঃ অপূর্ব দে, এবং প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যকে উত্তরীয়, পুষ্পস্তবক ও স্মারক দিয়ে সম্মান জানানো হয়।তিন দিনে মোট সাতটি নাটক যথাক্রমে - গোবরডাঙ্গা রূপান্তরের যুদ্ধ, ডানলপ চোখের রাহুগ্রাস, আঁতপুর জাগৃতির অথ ভগবতী কথা , রানিকুঠি জীয়নকাঠির আশ্চর্য বসন্ত , বীরনগর মালঞ্চ নাট্যগোষ্ঠীর আমরা মানুষ, এবং- বরানগরের অন্ধ গলির রাজা, ও চন্দননগর রঙ্গ পিঠের পাসপোর্ট মঞ্চায়িত হয়। প্রত্যেকটি নাটক দর্শকদের প্রশংসা ধন্য হয়।শেষদিনে ফিনিক - এর সভাপতি উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সব মিলিয়ে শেষ হলো কাঁচরাপাড়া ফিনিকের এই তিনদিনের নাট্য উৎসব।

এপ্রিল ০৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অনুষ্ঠিত হলো গোবরডাঙ্গা চেতক আয়োজিত নাট্য বিষয়ক সেমিনার " দলগুলির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকলেও থিয়েটারে দর্শক কমে যাচ্ছে কেন"?

গোবরডাঙ্গা চেতক তাদের নিজস্ব মহলা কক্ষে আয়োজন করেছিলো এক নাট্য বিষয়ক সেমিনারের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পৌরপিতা ও নাট্য অভিনেতা শঙ্কর দত্ত। তিনি এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানান এবং প্রদীপ জ্বালিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। গোবরডাঙ্গা চেতকের নাট্য বিষয়ক সেমিনারের বিষয় ছিলো নাট্য দলগুলির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সাধারণ দর্শকের নাট্য বিমুখতা...কেন? এই নিয়ে আলোকপাত করেন গোবরডাঙ্গা শিল্পায়নের নির্দেশক আশীষ চট্টোপাধ্যায়, ভাবনা থিয়েটার পত্রিকার সম্পাদক অভিক ভট্টাচার্য , গোবরডাঙ্গা নাবিকনাট্যমের নির্দেশক জীবন অধিকারী এবং অশোকনগর নাট্যমুখ এর নির্দেশক অভি চক্রবর্তী সাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ আইচ। সকলেই বর্তমান সময়ের নাট্য দল গুলির আর্থিক অনটন, অভিনেতা অভিনেত্রীদের পারিশ্রমিক না দিতে পারা, পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ন দেওয়া,প্রচারের অভাব এর পাশাপাশি দর্শকদের ভালো মন্দ, সময়-ব্যস্ততা, টিভি সিরিয়াল-ফেসবুকের রমরমা,টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন খরচ, নাটকের নামি অনামি শিল্পীদের অভিনয় সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ ও নানা কথা আলোচনা করেন থিয়েটার ব্যক্তিত্বরা। দীর্ঘ দু ঘন্টা এই সেমিনার চলে। এই আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন গোবরডাঙ্গা চেতক এর সম্পাদক ও নির্দেশক দীপক সাহা।মঞ্চে উপস্থিত সকল নাট্য ব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন করে চেতক নাট্য দলের সদস্যরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন গোবরডাঙ্গা চেতকের সভাপতি শৈলেন মুখোপাধ্যায়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি এক কথায় খুব তাৎপর্য পূর্ন হয়ে ওঠে। চেতকের কর্ণধার দীপক সাহা এক সাক্ষাৎকারে জানালেন ১৯৮৯ সাল থেকে আমাদের এই দলের পথ চলা শুরু হয়। কোনো সরকারী গ্র্যান্ড বা সাহায্য ছাড়াই আমরা প্রতি বছর চরম আর্থিক অনটনের মধ্যে থেকে নাট্য উৎসব, সেমিনার ও নাট্য কর্মশালা করে চলেছি।

এপ্রিল ০৩, ২০২২
বিনোদুনিয়া

সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো তিন দিনের ইমন নাট্যমেলা

প্রতি বছরের মতন এ বছর ও মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টার আয়োজন করেছিল তিন দিনের ইমন নাট্যমেলা। গত ২৫ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ সংস্থার নিজ উদ্যোগে নির্মিত পদাতিক মঞ্চে অনুষ্ঠিত এই নাট্যমেলায় মঞ্চস্থ হয় মূকাভিনয়, আবৃত্তি, সঙ্গীত, নৃত্য ও নাটক। এছাড়াও অনুষ্ঠিত হয় সঙ্গীত, নৃত্য, অঙ্কন ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা।প্রথম দিন সন্ধ্যা ৬টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাট্য পরিচালক অভি চক্রবর্তী, তপন দাস, দোলা রায় হাওলাদার, অপূর্ব দে, জীবন অধিকারী, অভিজিৎ ব্যানার্জী ও ইমন মাইমের কর্ণধার ধীরাজ হাওলাদার সহ বহু বিশিষ্ট রা। প্রথম দিন ছিল গৌতম অধিকারী-র কথাবলা পুতুল এবং তারপর মঞ্চস্থ হয় দত্তপুকুর দৃষ্টি-র বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য নির্দেশিত নাটক জুতা আবিষ্কার বাসুদেব আইচ পরিচালিত নটরাজ নৃত্য গোষ্ঠীর নৃত্যানুষ্ঠান এবং হালিশহর রংতাল থিয়েটারের মূকাভিনয়, পরিচালনায় ছিলেন রতন চক্রবর্তী। উৎসবের দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত হয় সংগীত প্রতিযোগিতা এবং তারপর ছিল নৃত্য প্রতিযোগিতা এরপর বিকেল ৫টা থেকে অনুষ্ঠিত হয় আইসকা মসলন্দপুর এর পরিবেশনায় ক্যারাটে প্রদর্শনী, পরিচালক স্বরাজ হাওলাদার। এদিন সম্মান জ্ঞাপন করা হয় বিশিষ্ট মূকাভিনয় শিল্পী মুকুল দেব, বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী, রণেন চক্রবর্তী, দীপক মুস্তাফি প্রমুখদের। এদিনের অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল মীনাক্ষী পাঠকের পরিচালনায় মল্লার নৃত্যগোষ্ঠীর নৃত্যানুষ্ঠান, অনন্যা চক্রবর্তীর পরিচালনায় অনুশীলা কাব্যগীতি-র আবৃত্তি, মূকাভিনেতা শ্রীকান্ত বসু-র একক মূকাভিনয় ও শতকমল মাইম সেন্টারের মূকাভিনয়; পরিচালনায় ছিলেন কমল মন্ডল।এবছরের ইমন নাট্যমেলার তৃতীয় অর্থাৎ শেষ দিন, সকাল ১০টায় ছিল অঙ্কন প্রতিযোগিতা ও তারপর আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। এদিন সন্ধ্যায় প্রথমেই ছিল সমস্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা গুলির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং তারপর একে একে পরিবেশিত হয় চন্দনা রায়ের পরিচালনায় ছন্দাবলী ও রনিতা দাস-এর পরিচালনায় সৃজন কলাকেন্দ্রের নৃত্যানুষ্ঠান ও সৌরজ্যোতি অধিকারী ও কৃষ্ণেন্দু তালুকদারের গান। এরপর মঞ্চস্থ হয় জীবন অধিকারীর পরিচালনায় গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যমের নাটক অথ বৃষমঙ্গল কথা ধীরাজ হাওলাদারের পরিচালনায় মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টার এর মূকাভিনয় আজি হতে শতবর্ষ পরে এবং শঙ্খশুভ্র বিশ্বাসের পরিচালনায় খাঁটুরা শিল্পাঞ্জলীর পাপেট শো।এই নাট্যমেলার শেষ দিনে মঞ্চে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ আইচ। তাঁকে ইমন মাইমের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। ইমন নাট্যমেলা-২০২২ এর প্রতিটি দিন উৎসবস্থল পরিপূর্ণ করে দর্শকরা নাটক, মূকাভিনয় ও অন্যান্য অনুষ্ঠান গুলি উপভোগ ও সমাদর করেছেন। মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টার-এর কর্ণধার ধীরাজ হাওলাদার সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন-এই নাট্যমেলায় এত দর্শক বন্ধু এবং সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলির সহৃদয় অংশগ্রহণ আমাদের সাহস ও শক্তি যোগায় এবং এই উৎসব কে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলে। মছলন্দপুর ইমন মাইম সেন্টার এর নাট্যমেলা মছলন্দপুর এর সংস্কৃতি জগতে একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য আয়োজন হয়ে উঠেছে একথা বলাই যায়।

এপ্রিল ০১, ২০২২
বিনোদুনিয়া

পূর্ব বর্ধমানে মহা সমারোহে পালিত হল বিশ্ব নাট্যদিবস

২৭শে মার্চ রবিবার বিশ্ব নাট্যদিবস। এই উপলক্ষে পূর্ব-বর্ধমান জেলার ভাতাড়ের প্রচেষ্টা নাট্যসংস্থা ও নটরাজ মিউজিক কলেজের পক্ষ থেকে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয়। নাটক জীবন ও সমাজের দর্পণ। নাটকের মাধ্যমে সমাজকে জাগ্রত করা যায় তা আমরা ব্রিটিশ শাসিত ভারতের সময় থেকেই দেখে এসেছি। এখন এই সময়কালে ছোট থেকে বড়ো সকলে যখন মোবাইলে আকৃষ্ট তখন ভাতাড়ের মত একটা ছোট্ট জায়গায় অনেক অসুবিধা অনেক রকম সমস্যা থাকা সত্ত্বেও প্রচেষ্টা যে নিজের চেষ্টা জারি রেখেছে তা অতুলনীয়। আজ সন্ধ্যায় প্রচেষ্টার পক্ষ থেকে তিনটি নাটকের অংশ অভিনীত হয়েছে -- নিরূপ মিত্রের পাওনা গন্ডা; মনোজ মিত্রের-- টাপুর টুপুর আর চন্দন সেনের অনুবীক্ষণ। শুধুমাত্র নাটক মঞ্চস্থ করা নয় একটা ছোট আলোচনা সভার আয়োজন ও করা হয় নাটকের শেষে। যেখানে আমন্ত্রিত অতিথিরা এবং দর্শক নিজেদের মতামত জানাতে পেরেছেন। এই উদ্যোগ যেমন নাট্য শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তার সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে নাটক বিষয় আগ্রহী করে তুলবে। আর শহরের বড়ো বড়ো মঞ্চ থেকে দূরে থাকা নাট্য পিপাসু দের পিপাসা মেটাবে। এই সংস্থার সভাপতি শ্রী প্রসেনজিৎ ব্যানার্জী মহাশয় ও সম্পাদক শ্রী ধীমান ভট্টাচার্য মহাশয়ের ঐকান্তিক চেষ্টা ও পরিশ্রম এগিয়ে নিয়ে চলেছে এই অঞ্চলের নাট্য চর্চাকে। আগামী দিনে ওনাদের আগামী প্রজন্ম নাট্য শিল্প জানবে ও নাট্যচর্চা শিখবে এই আশা রাখি।

মার্চ ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

মঞ্চস্থ হলো মুকুলিকা গানের স্কুল আয়োজিত দুদিনের মুক্ত মঞ্চে থিয়েটার উৎসব ২০২২

গোবরডাঙ্গা মুকুলিকা গানের স্কুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হলো এই প্রথম ২ দিন ব্যাপি আনন্দধারা মুক্ত মঞ্চে নাট্যৎসব ২০২২। প্রথমদিন এই উৎসবের সূচনা হয় সেমিনার দিয়ে। আমার ছেলেবেলা আমার থিয়েটার- শীর্ষক সেমিনারে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নাট্য পরিচালক আশিষ চট্টোপাধ্যায়,ভাবনা থিয়েটারের সম্পাদক অভীক ভট্টাচার্য্য, নাট্যব্যক্তিত্ব দীপা ব্রহ্ম, নাট্য পরিচালক ও অভিনেতা জীবন অধিকারী ও ইমন মাইম সেন্টার এর কর্ণধার ধীরাজ হাওলাদার। সেমিনারে দীপা ব্রহ্ম একটি সঙ্গীত পরিবেশনও করেন, সেমিনারের বিষয়টি এবং উপস্থাপনা উপস্থিত শ্রোতা দের বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করে। সেমিনার পরিচালনায় ছিলেন জীবন অধিকারী।এই নাট্য উৎসবের উদ্বোধনী সন্ধ্যায় উপস্থিত ছিলেন গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পৌর প্রধান শংকর দত্ত ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর শ্রীমতি রত্না বিশ্বাস চৌধুরী এবং সাংবাদিক ইন্দ্রজিৎ আইচ সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।উৎসবের প্রথম দিন অনিমা দাসের কথায় ও সুরে সম্মিলিত সঙ্গীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে মুকুলিকার ছাত্র-ছাত্রীরা নাট্য উৎসবের সূচনা করে। প্রথমদিন এই উৎসবের মুল আকর্ষণ ছিলো শ্রুতিনাটক। অনিমা দাসের নির্দেশনা ও মুকুলিকার প্রযোজনায় মঞ্চস্থ হয় দুটি শ্রুতিনাটক শান্তিনীড়, ও আমার একলা আকাশ। প্রসঙ্গত শান্তিনীড় নাটকটি রচনা করেন অনিমা দাস। মুকুলিকা প্রয়োজিত বনানী মুখোপাধ্যায় এর নাটক সখা শ্রুতি নাটকটি সকলের ভালো লাগে, নির্দেশনা অনিমা দাস। এরপর গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যমের নাটক স্বীকারোক্তি মঞ্চস্থ হয়, গল্প নন্দিতা বাগচী, নাটক সুব্রত সরকার, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা জীবন অধিকারী। উৎসবের দ্বিতীয়দিন মঞ্চস্থ হয় ন্যাজার্ট ভাবনা প্রোয়োজিত নাটক কাঁথা, নির্দেশনা সমরেশ বসু, রচনা মোহিত চট্টোপাধ্যায়। ঐদিনের দ্বিতীয় নাটক টি ছিলো দৃষ্টি দত্তপুকুরের উপস্থাপনা পান্ডুলিপির সাদা পাতা।শেষ পরিবেশনা ছিলো ধীরাজ হাওলাদারের পরিচালনায় ইমন মাইম সেন্টার এর মূকাভিনয়। দর্শকরা দারুণভাবে উপভোগ করেছেন সেই মুকাভিনয়। সমগ্র উৎসব পরিকল্পনা, ভাবনা ও পরিচালনায় ছিলেন মুকুলিকার কর্ণধার অনিমা দাস।

মার্চ ২৭, ২০২২
বিনোদুনিয়া

অনুষ্ঠিত হলো গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যমের নাট্য উৎসব ২০২২

গোবরডাঙ্গা শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটারে মহা সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো তিনদিন ধরে গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যমের নাট্য মিলন উৎসব ২০২২। শাঁওলি মিত্র নামাঙ্কিত মঞ্চে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট একাডেমির প্রধান হৈমন্তী চট্ট্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন আশিস দাস, কৃষ্ণেন্দু চট্ট্যোপাধ্যায়, শ্যামল দত্ত, বাসুদেব কুন্ডু সহ বহু বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব। নাবিক সম্মানে সম্মানিত করা হয় অভিনেতা নরেন কন্ডু কে। এদিন মঞ্চস্থ হয় দুটি নাটক। প্রথম নাটক আমতা পরিচয়ের থ্যাঙ্ক ইউ দাদাজি। নির্দেশক - ঋতুপর্না বিশ্বাস। দ্বিতীয় নাটক গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যমের অথ বৃষ মঙ্গল কথা, নির্দেশনা ও সামগ্রিক পরিকল্পনা - জীবন অধিকারী। দুটি নাটকই দর্শক সাধারনের মন জয় করে। বিশেষ করে অথ বৃষ মঙ্গল কথা নাটক টি দর্শকদের মনে আনন্দের জোয়ার এনে দেয়, হাস্যরসে এই সময়ের একটি অন্য রকম প্রযোজনা দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছিল। দ্বিতীয় দিন মুকুলিকা গানের স্কুল পরিবেশন করেন শ্রুতি নাটক তাহার নামটি রঞ্জনা, বিধায়ক ভট্টাচাৰ্য এর এই নাটক টি পাঠ করেন অনিমা দাস ও আস্তিক মজুমদার, তারপর হরিপাল আশ্রমিক পরিবেশন করেন নাটক সেলসম্যান নাট্যকার ও নির্দেশক ভাস্কর দাস ও দিনের শেষ নাটক সূর্য সন্ধান থিয়েটার জঙ্গলমহলের এই নাটকটির নাট্যকার ও নির্দেশক সঞ্জয় আচার্য। তৃতীয় দিন অর্থাৎ উৎসবের শেষ দিন নাবিক সম্মান প্রদান করা হয় মায়া রাহা কে, তিনি ১৯৭৭ সালে নাবিক নাট্যমের প্রথম নাটকের প্রথম অভিনেত্রী ছিলেন। এই দিনের প্রথম নাটক ছিলো হালিশহর উনিটি মালঞ্চ প্রযোজিত আত্মকথন নির্দেশনায় ছিলেন দেবাশিস সরকার, দ্বিতীয় নাটক খড়দহ থিয়েটার জোন প্রযোজিত কাম ব্যাক বিনোদিনী নির্দেশক তপন দাস এবং সব শেষ ইমন মাইম সেন্টার পরিবেশন করেন একটি মুখাভিনয়। নির্দেশক ছিলেন ধীরাজ হওলাদার। সবমিলিয়ে সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো নাবিক নাট্যমের নাট্য উৎসব ২০২২।

মার্চ ১৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

"আভি রাত বাকি হ‍্যায়" রঙ্গকর্মীর এই নতুন নাটক জীবন কে এক গভীর সঙ্কট এর মুখোমুখি দাঁড় করায়

আমরা সকলেই কম বেশি জীবনের নানা সমস্যায় জর্জরিত। অর্থনৈতিক, সামাজিক সমস্যার পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনেও নানা ঘাত প্রতিঘাতে আমাদের মন ভালো নেই। বর্তমান সময়ে প্রতিটা পরিবারে কিছু না কিছু সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা যখন আরো বাড়তে থাকে তখন সেই পরিবারটা শেষ হয়ে যায় তিলে তিলে। ১৯৮০ সালে বোম্বের মিল ওয়ার্কার দের নিয়ে বিখ্যাত মারাঠি নাট্যকার জয়ন্ত পাওয়ার লিখেছিলেন তার জনপ্রিয় নাটক আধান্তর। রঙ্গকর্মীর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত নাট্য নির্দেশক ও অভিনেত্রী উষা গাঙ্গুলীর অনুপ্রেরণায় সেই নাটক মারাঠি ভাষা থেকে হিন্দি অনুবাদ করেছেন কৈলাশ সিঙ্গার। সেই হিন্দি নাটক অভি রাত বাকি হ্যায় একাডেমি হলে মঞ্চস্থ হলো। নাট্যরূপ ও নির্দেশনা সৌতি চক্রবর্তী।এই নাটকটি একটা অতি সাধারণ গরীব পরিবার কে কেন্দ্রকরে মঞ্চস্থ হয়েছে। যে পরিবারে রয়েছে তিন ভাই, এক বোন আর মা। বড় ভাই বাবা স্বপ্ন দেখে বিরাট সাহিত্যিক হবার। মেজো ভাই নাড়ুর স্বপ্ন মস্তান বা ডন হবার। আর পরিবারের ছোট ছেলে মোহন সারাদিন রেডিওতে ক্রিকেট শোনে।তার দিশাহীন জীবন। বোন মঞ্জুর বিয়ে হয়েছে কারখানার এক লেভার রানের সাথে। রানে ইউনিয়ান লিডার। সে সবসময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। কিন্তু মঞ্জু একটা কারখানায় কাজ করলেও ঠিকমত টাকা পায়না, তাই শে পাড়ার একজনের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, পেটে আসে সন্তান।পরিবারের সবাই তাকে প্রশ্ন করলে মঞ্জু উত্তর দেয় বাঁচতে গেলে লাগে পয়সা। কে দেবে টাকা, কারখানায় ঠিকমত টাকা দেয়না, তাইসে এই পথে গেছে। বড় ছেলে বাবা চেয়েছিল তার লেখা উপন্যাস কাগজে ছাপাতে। পারেনি সে। সামান্য টাকায় সে প্রকাশক কে দিয়ে দেয়।সেই শোক ভুলতে প্রতিদিন নেশা করে।মেজো নাড়ু প্রায়দিন মস্তানী করে পাড়ায়। সংসারে সে কিছুই দেয়না, মায়ের থেকে এসে টাকা চায়, আর খেতে আসে। ছোটো মোহন রেডিও তে ক্রিকেট শুনে কাটায়। দিশাহীন,লক্ষহীন জীবনের এক বেকার যুবক। বাড়িতে প্রতিদিন অশান্তি, পরিবারে আর্থিক অভাব, গালিগালাজ এসব রোজকের ঘটনা। এই চলতে চলতে মঞ্জুর সাথে যে লোকের অবৈধ সম্পর্ক ছিলো সেই লোক কে খুন করে নাড়ু। পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এই পরিবারের ছেলে মেয়েদের যে পিতা সে অনেক আগে মারা যায়। তার এল এই সি মাত্র ১৫ হাজার টাকা পায়। পাশাপাশি মঞ্জুর স্বামী রানের কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। তাদের মালিক মাত্র ২৫ হাজার টাকা দেয়। শেষমেষ পরিবারের সকলেই মাকড়সার জালের মতন নিজেদের জীবনে আর্থিক অনটন, মানহানিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে, এখান থেকে কোনো ভাবে বেরিয়ে আসার উপায় নেই।অসহায় এক পরিবার লক্ষ বিহীন,দিশাহীন এক অজানা অন্ধকারে তলিয়ে যায় সকলেই। করোনার পরবর্তী সময়ে বহু পরিবারের এই অবস্থার স্বীকার। অসাধারণ একটি নাটক আভি রাত বাকি হ্যায়। রঙ্গকর্মীর নতুন নাটকটি এখন কার সময় উপযোগী নাটক। চমৎকার উপস্তাপনা। এই নাটকে দারুন অভিনয় করেছেন (বড় ছেলে বাবা) শুভম, (মেজো ছেলে নাড়ু) দিপেস রজক, (ছোট ছেলে মোহন) ওম তেওয়ারী, (মেয়ে মঞ্জু) স্নেহা রায়, (জামাই রানে) অনিরুদ্ধ সরকার, (মা) রঞ্জিনী ঘোষ, (নাড়ুর সঙ্গী বাটার) রহত নাদিম, (বড় ছেলের বন্ধু সতীশ) শঙ্কর দে, (মামি) শ্রেয়া খৈতান। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক, বাপ্পা, অরিজিৎ ও সুভাষ। এই নাটকে সৌমেন চক্রবর্তী র আলো, সৌতি চক্রবর্তীর মঞ্চ নজর করেছে। সবমিলিয়ে এক ঘন্টা পঞ্চাশ মিনিটের রঙ্গকর্মীর এই নতুন হিন্দি নাটক আভি রাত বাকি হ্যায় এক কথায় জীবনের গল্পগাথা।

ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
রাজ্য

'বঙ্গবালা' শাঁওলি-র প্রয়াণে বাংলার নাট্য জগৎ আনাথ

সকলের অগোচরে না ফেরার জগতে চলে গেলেন বিশিষ্ট নাট্যকার অভিনেত্রী শাঁওলি মিত্র। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রবিবার নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মঞ্চ কাঁপানো অভিনেত্রী। বাবার শম্ভু মিত্রের পথ অনুসরণ করে ফুলের ভারে নয় একেবারে অনারম্বরে লোকচক্ষুর আড়ালে কিরীটি শ্মশানে সম্পন্ন হল শেষকৃত্য। সেখানে হাজির ছিলেন নাট্যকার অর্পিতা ঘোষ।নাথবতী অনাথবৎ খ্যাত শাঁওলি-র বাবা শম্ভু মিত্রের মতো মৃত্যুর পরে তার ইচ্ছার কথা লিখে গিয়েছেন। লিখেছিলেন তাঁর শেষকৃত্যের পরই যেন সকলকে জানানে হয়। সেই ইচ্ছাকে সম্পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যার কয়েক বছর ধরেই বাড়িতে চিকিৎসা চলছিল।ঋত্বিক ঘটকের কালজয়ী ছায়াছবি যুক্তি তক্কো আর গপ্পো তে বঙ্গবালার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল শাঁওলি মিত্র-কে। তিনি একাধিক কালজয়ী নাটকে সুনামের সাথে অভিনয় করেছেন, তাঁর অভিনীত অন্যতম কয়েকটি নাটক ডাকঘর, পুতুলখেলা, একটি রাজনৈতিক হত্যা, বিতত বীতংস ...... আরও অনেক। নাট্যজগতে তাঁর অসামান্য অভিনয়ের অবদানের জন্য তিনি ২০০৯-এ ভারত সরকারের সর্বোচ্চ সন্মান পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন। তিনি ২০১১-তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধ্বশত জন্মবর্ষ উদযাপন কমিটির চেয়ারপার্সন মত গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।শাঁওলি মিত্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ২০১১রাজ্যে পালাবদলের সময় তিনি পথে নেমে তৎকালীন শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। অনন্য অভিনয়ের জন্য ২০০৩-এ সংগীত নাটক অকাদেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১২-তে তাঁকে বঙ্গবিভূষণ ও ২০১৪ সালে দীনবন্ধু পুরস্কার প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অকাদেমির দায়িত্বে ছিলেন । শাঁওলীর প্রয়াণে বাকরুব্ধ বাংলার নাট্যজগৎ।

জানুয়ারি ১৬, ২০২২
বিনোদুনিয়া

Simla A Bong positive : সিমলা এ বং পজিটিভের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান

সিমলা এ বং পজিটিভ নাট্যদল তাদের পঞ্চম জন্মদিন উদযাপন করল হেদুয়ায়। রক্তদান কর্মসূচর মাধ্যমে তাদের অনুষ্ঠান শুরু হয়। মোট ৫২ জন এদিন রক্ত দেন। এই রক্তদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ অভিনেত্রী বাসবদত্তা চ্যাটার্জি। এছাড়া বিনামূল্যে অক্সিজেন পার্লার ও ছিল।আরও পড়ুনঃ সাহসী পোশাকে আলুপোস্ত রেঁধে ভাইরাল রিম্পিবিকালে থিয়েটার নিয়ে একটা সেমিনার হয়। মে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন অনিন্দ্য ব্যানার্জি, পঙ্কজ মুন্সী, কমল চ্যাটার্জি, ত্রিগুণা শঙ্কর প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। অনিন্দ্য ব্যানার্জি এই আলোচনাসভায় জানান করোনা পরিস্থিতিতে থিয়েটারের অবস্থা খুব খারাপ। সরকার থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে থিয়েটারের অবস্থা আরও বিপন্ন হতে পারে। এছাড়া এদিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী তপতী মুন্সী ও সমাজসেবী শ্রেয়া পাণ্ডে।

আগস্ট ০৩, ২০২১
বিনোদুনিয়া

A Bong Positive : এ বং পজেটিভের জন্মদিনে কিঞ্জল

আগামী ১ লা আগস্ট কলকাতা সিমলা এ বং পজেটিভ নাট্য দলের পঞ্চম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে সারাদিন ব্যাপী নানান রকমের উদযাপন। এই দিন সকাল থেকেই মহৎ রক্তদান কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। বেলা ১২ টার সময় এই রক্তদান কর্মসূচী তে উপস্থিত থাকবেন প্রখ্যাত অভিনেতা বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, ও কিঞ্জল নন্দ। সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে বিনামূল্য অক্সিজেন পার্লারের। বিকেল ৫ টা থেকে থাকছে থিয়েটার নিয়ে এক সেমিনার। করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত ক্ষেত্রে যখন ধীরে ধীরে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, থিয়েটার হল গুলো খোলার প্রতি দৃষ্টি নেই কারোর, কাজের অভাবে অসংখ্য শিল্পী নিজেদের পেশা ছেড়ে বাধ্য হচ্ছেন অন্য কাজ করতে, এরকম অবস্থায় কি হতে পারে থিয়েটারের ভবিষ্যত? এই বিষয়ক এই থিয়েটার আলোচনা চক্রে উপস্থিত থাকবেন অনিন্দ্য ব্যানার্জী, অনুরাধা মুখার্জী, পঙ্কজ মুন্সী, কমল চ্যাটার্জী, ত্রিগুণা শঙ্কর এর মতোন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরা। সঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।। কলকাতা সিমলা এ বং পজেটিভ এর পঞ্চম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠান। উপস্থিত থেকে সারা দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানকে সফল করে তুলবেন শিল্পী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

জুলাই ২৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

প্রয়াত স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত

প্রয়াত অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত (Swatilekha Sengupta)। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ছোট পর্দার পাশাপাশি থিয়েটারের মঞ্চে দাপিয়ে অভিনয় করে গিয়েছেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। বিখ্যাত থিয়েটার শিল্পী রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর স্ত্রী ছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।১৯৮৪ সালে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পর্দায় অভিনয়ের যাত্রা শুরু স্বাতীলেখার। সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ঘরে বাইরে-র বিমলা অভিনয় নিয়ে আজও প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলা ছবির দর্শক। সেই থেকে সৌমিত্র ও স্বাতীলেখার জুটিকে পছন্দ করেছিলেন অনুরাগীরা। কিন্তু তার পরে মঞ্চের বাইরে দেখা যায়নি তাঁকে। দীর্ঘ ৩১ বছর পরে সৌমিত্রর সঙ্গেই পর্দায় ফিরলেন তিনি। প্রযোজক-পরিচালক নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বড় পর্দায় দেখা যায় তাঁকে। বেলা শেষে ছবিতে সৌমিত্র-স্বাতীলেখার রসায়ন দেখে আপ্লুত দর্শকদের জন্য ফের বেলাশুরু-তে অভিনয় করেন তাঁরা। কিন্তু ছবি মু্ক্তি পাওয়ার আগেই চলে গেলেন নায়ক-নায়িকা। গত বছর নভেম্বর মাসে মৃত্যু হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার চলে গেলেন স্বাতীলেখাও।১৯৭০ সালে ইলাহাবাদে মঞ্চজীবন শুরু তাঁর। মঞ্চজীবনে পেয়েছেন বিভি করন্থ, তাপস সেন এবং খালেদ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্য। ১৯৭৮ সালে নান্দীকার নাট্যদলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। সেখানেই আলাপ ও প্রেম হয় নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের সঙ্গে। তার পরে বিয়ে এবং সংসার। ভারতীয় নাট্যজগতে তাঁর অবদানের জন্য সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারও পেয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। তাঁর কন্যা সোহিনী সেনগুপ্তও একই ভাবে নাট্য ও পর্দার জগতে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। মঞ্চে শঙ্খপুরের সুকন্যা, মাধবী, পাতা ঝরে যায় ইত্যাদিতে তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখাছিলেন স্বাতীলেখা। নান্দীকার-এর বেশ কিছু নাটকের সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।

জুন ১৬, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal