আকাশে মেঘ। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। হেমন্তের শেষ লগ্নে এমন বৃষ্টিভেজা স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার পিছনে অবশ্য উত্তুরে বাতাসের অবদানও কম নয় বলে আবহবিদেরা জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুষ্ক, ঠান্ডা হাওয়া বয়ে আসছে। উল্টো দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে উষ্ণ এবং আর্দ্র জলীয় বাষ্প বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরে ঢুকছে। বিপরীত চরিত্রের এবং বিপরীতমুখী দুই বায়ুর সংমিশ্রণে কলকাতা-সহ উপকূলীয় জেলাগুলির আকাশে স্থানীয় ভাবে মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি হচ্ছে।জাঁকিয়ে শীতের প্রত্যাশায় আমবাঙালি অনেক দিন ধরেই আশা নিয়ে বসে রয়েছে। মেঘ, বৃষ্টির জেরে স্যাঁতস্যাঁতে ঠান্ডা থাকলেও শীতের আমেজ কিন্তু সে ভাবে মিলছে না। এমন মেঘ, বৃষ্টির আবহাওয়াও অনেকের না-পসন্দ। তাই প্রশ্ন উঠছে, শীতের চেনা ঝকঝকে আকাশ কবে মিলবে?সঞ্জীববাবুর দাবি, আজ, শুক্রবার সকালের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি শুরু হবে। তবে আজও, আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। তাই রাতের তাপমাত্রা সে ভাবে নামবে না। আগামিকাল, শনিবার থেকেই ঝকঝকে আকাশ মিলবে। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে সূর্যাস্তের পরে মাটির বিকিরিত তাপ বাধাহীন ভাবে বায়ুমণ্ডলের বাইরে যেতে পারে। তার ফলেই রাতের পারদ নামে। শীতকালে আকাশ মেঘমুক্ত থাকলেই রাতে জাঁকিয়ে শীত পড়ে। সঞ্জীববাবুর বক্তব্য, আগামিকাল, শনিবার থেকেই পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৩-৪ দিনে রাতের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি নামতে পারে।আবহাওয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন বেসরকারি ওয়েবসাইটের দাবি, আগামী সপ্তাহে হু-হু করে পারদ পতন হতে পারে। কলকাতার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেও নেমে যেতে পারে।