• ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Sehwag

খেলার দুনিয়া

‘‌ওই কথা বললে শেহবাগ বাঁচত না’‌, কেন এমন কথা বললেন শোয়েব আখতার?‌

ভারতপাকিস্তান ম্যাচ মানেই উত্তেজনা। ভারতপাকিস্তান ম্যাচের আগে এক অনুষ্ঠানে শোয়েব আখতারের সঙ্গে বাকযুদ্ধের একটা উদাহরণ তুলে ধরেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। তিনি বলেন, একবার পাকিস্তান সফরে মুলতান টেস্টে আমি ৩০০ রান করার পর শোয়েব আখতার আমাকে বাউন্সার দিয়ে কাছে এগিয়ে এসে বলেছিল, ক্ষমতা থাকলে হুক শট মারো। তখন আমি বলেছিলান, অন্যপ্রান্তে শচীন আছে। ওকে বাউন্সার দাও। শচীন স্ট্রাইকে আসার পর শোয়েব ওকে বাউন্সার দেয়। শোয়েবের বাউন্সারে শচীন ছক্কাও মেরেছিল। তখন আমি শোয়েবকে বলেছিলাম, বাবা, বাবাই হয় এবং ছেলে, ছেলেই হয়। ভারতপাকিস্তান ম্যাচের দিন এক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে শোয়েব আখতারকে শেহবাগের সেই কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। কথাটা শুনে শোয়েব আখতার রীতিমতো রেগে যান। তিনি বলেন, শেহবাগ এই ধরণের কথা বলেছিল কিনা মনে করতে পারছি না।শোয়েবের কথায়, প্রথম কথা হল যদি ও এই কথাটা আমার মুখের উপর বলত তা হলে ও বাঁচতে পারত না। আমি জানি না কখন কোথায় কী ভাবে ও এটা বলেছিল। আমি নিজেই ওকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম এই রকম কোনও মন্তব্য ও করেছিল কি না, জানানর জন্য। ও সরাসরি বলেছিল না। দ্বিতীয় কথা হল, আপনি যে অনুষ্ঠান করছেন সেটাও উপর ফোকাস রাখুন অন্যান্য বিষয়ে না গিয়ে। আমি প্রত্যেকের সম্মান করি, আপনাদের সম্মান করি, ভারতে অনেক বড় ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে। আমি সব সময় চেষ্টা করি এমন কোনও কথা না বলার যেটায় দুই দেশের মধ্যে ব্যবধান তৈর হয়। ক্রিকেটে ফিরে আসুন, ক্রিকেটের কথা বলুন। যে ভাবে এই অনুষ্ঠান হয় একই বিষয় বারবার রিপিট করা হয়। এটা আমি পছন্দ করি না।শোয়েব আখতার বলেন, কখন, কোথায় শেহবাগ এই কথা বলেছিল তা আমি জানি না। যদি আমার মুখের ওপর এই কথা বলত, তাহলে বাঁচত না। এমনকী বাংলাদেশে একবার তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এই কথা বলেছে কিনা। তখন শেহবাগ কিন্তু অস্বীকার করেছিল। শেহবাগের বক্তব্য অস্বীকার করা শোয়েবের এই প্রথম নয়। কয়েক বছর আগে, পাকিস্তানের এআরওয়াই নিউজকে একটা সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ও শেহবাগের বাপ বাপ হোতা হ্যায় মন্তব্য অস্বীকার করেছিলেন শোয়েব।

আগস্ট ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‘‌হর্ষল ১৪–১৫ কোটি পাওয়ার যোগ্য’‌, কেন একথা বললেন শেহবাগ?‌

বুধবার এলিমিনেটর ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১৪ রানে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মূলত রজত পতিদারের দুরন্ত ১১২ রানের সুবাদে ফাফ ডুপ্লেসির দল প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে তোলে ২০৭/৭। বল হাতে জস হ্যাজেলউড এবং হর্ষল প্যাটেলের ডেথ ওভারের বোলিং জয় এনে দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। বেঙ্গালুরুর জয়ের আসল নায়ক যদি ধরা হয়, তাহলে উঠে আসবে হর্ষল প্যাটেলের নাম। কারণ লখনউ সুপার জায়ান্টদের বিরুদ্ধে খেলায় হর্ষল অত্যন্ত মিতব্যয়ী ছিলেন। ৪ ওভারে দেন মাত্র ২৫ রান। তুলে নেন ১ উইকেট। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগ এলিমিনেটরে হর্ষল প্যাটেলের চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্স নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তাঁর মতে, পারফরম্যান্সের তুলনায় হর্ষল নিলামে অনেক কম টাকা পেয়েছেন। আইপিএলে ১৪১৫ কোটি টাকা পাওয়ার যোগ্য হর্ষল। এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের অনুষ্ঠানে বীরেন্দ্র শেহবাগ বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি কীভাবে রাহুল তেওয়াটিয়া তার ১০ কোটি টাকার ট্যাগের প্রতি সুবিচার করে। কারণ সে গুজরাট টাইটান্সকে ম্যাচ জিতিয়েছে। হর্ষল প্যাটেল বেঙ্গালুরুর হয়ে যেভাবে বোলিং করেছে, তাতে ওর দাম এখনও বেশ কম। ও দলকে যতগুলি ম্যাচ জিতিয়েছে, তাতে আমি মনে করি, ১০.৭৫ কোটি টাকা ওর মূল্য কম। হর্ষলের ১৪১৫ কোটি টাকার ক্যাটাগরিতে থাকা উচিত। শেহবাগ আরও বলেন, হর্ষল স্লগ ওভারে বোলিং করছে, উইকেট পাচ্ছে এবং ম্যাচ বাঁচাচ্ছে। কখনও কখনও শুরুর দিকে বোলিং করে কম রান দিয়ে উইকেটও তুলে নিয়েছে। তাই আমি মনে করি হর্ষল এই শ্রেণিতে থাকার যোগ্য। এখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর কোয়ালিফায়ার ২তে উঠেছে। এরজন্য হয়তো আরসিবি তাকে একটি বোনাস দিতে পারে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আমেদাবাদে ২৭ মে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার ২এর ম্যাচ খেলবে।শুধু বীরেন্দ্র শেহবাগই নন, লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও মেনে নিয়েছেন তাঁর দল হর্ষল প্যাটেলের বোলিংয়ের কাছেই হেরেছে। ম্যাচের পর লোকেশ রাহুল বলেন, মাঝের ২ ওভার দুর্দান্ত বোলিং করে হর্ষল ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিয়েছিল। ওই সময় আমরা বড় শট খেলতে পারিনি। ডেথ ওভারেও ভাল বোলিং করেছিল। যদি মাঝের ওভারগুলিকে কয়েকটা বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারি মারতে পারতাম, তাহলে আমাদের কাজটা সহজ হয়ে যেত।

মে ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সৌরভের সঙ্গে কোহলির নেতৃত্বের কোনও তুলনাই হয় না?‌ এ কী বললেন শেহবাগ!‌

নেতা বিরাট কোহলির কোনও নম্বরই নেই বীরেন্দ্র শেহবাগের কাছে! সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও তুলনাই আনতে চান না! শেহবাগের মন্তব্য নিয়ে শোরগোল দেশের ক্রিকেট মহলে। শেহবাগের দাবি, সৌরভ গাঙ্গুলি একটা নতুন দল গড়েছিলেন, নতুন ক্রিকেটারদের সুযোগ দিয়েছেন। সাফল্যব্যর্থতার দিনে তাঁদের পাশে থেকেছেন। কোহলি তেমন করেছেন কিনা, তা নিয়ে শেহবাগের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। কোহলি কয়েকজন প্লেয়ারের পাশে থাকলেও, অনেকের পাশে থাকেননি।বেটিং কেলেঙ্কারিতে ভারতীয় ক্রিকেটের টালমাটাল অবস্থা, সেই সময়ই সৌরভ গাঙ্গুলির হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিল বিসিসিআই। তাঁর হাত ধরেই স্বমহিমায় ফিরেছিল ভারতীয় ক্রিকেট। একঝাঁক তরুণ প্রতিভাকে তুলে নিয়ে এসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন সৌরভ। অধিনায়ক হিসেবে একটা দল তৈরি করেছিলেন। তাঁর হাতে গড়া দলই পরের দিকে সাফল্য এনে দিয়েছিল দেশকে। অধিনায়ক হিসেবে সৌরভকে অনেক উঁচুতে রেখেছেন শেহবাগ। স্পোর্টস ১৮ চ্যানেলে একটি অনুষ্ঠানে শেহবাগ বলেছেন, সৌরভ গাঙ্গুলি একটা নতুন দল তৈরি করেছিল, নতুন নতুন ক্রিকেটার তুলে নিয়ে এসেছিল। তাদের ভাল সময়ে যেমন পাশে দাঁড়িয়েছিল, তেমনই খারাপ সময়েও পাশে দাঁড়িয়েছিল। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় কোহলি এই কাজটা করেছিল কিনা আমার সন্দেহ রয়েছে। কোহলির নেতৃত্বের সময় ২৩ বছর দল জিতুক বা হারুক, প্রতিটা টেস্টে দলে পরিবর্তনের ধারা এসে গিয়েছিল। আমার মনে হয়, সেই সেরা অধিনায়ক, যে একটা দল তৈরি করতে পারে এবং ক্রিকেটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জোগাতে পারে। কোহলি কয়েকজন ক্রিকেটারের পাশে দাঁড়িয়েছে, আবার অনেকের পাশে দাঁড়ায়নি। এটা একজন আদর্শ ক্যাপ্টেনের গুন নয়। একদিনের ক্রিকেটে ঋষভ পন্থকে ওপেনিংয়ে পাঠানোর পক্ষেও সওয়াল করেছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। তাঁর মতে, ঋষভকে ওপেন করতে পাঠালে আরও বেশি সফল হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটা একদিনের ম্যাচে কোচ রাহুল দ্রাবিড় ঋষভকে ওপেন করতেও পাঠিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে ১৮ বলে ৩৪ রান করেছিলেন ঋষভ। শেহবাগ বলেছেন, দ্রাবিড় অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় দলের কোচ থাকার সময় থেকে ঋষভকে চেনে। ওর দক্ষতা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। ৪ কিংবা ৫ নম্বরে নামলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করতে হয়। অনেক বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয়। যদি ওপেন করে আরও বেশি সাফল্য পাবে।

মে ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‘‌বড়া পাও ছিনিয়ে নিয়ে গেল’‌, কামিন্স সম্পর্কে কেন একথা বললেন শেহবাগ?‌

ক্রিকেট দুনিয়ায় মজাদার টুইট করার ব্যাপারে দারুণ সুনাম আছে বীরেন্দ্র শেহবাগ ও হরভজন সিংয়ের। এই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারের টুইটে অনেকসময় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আবার টুইট করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ভক্তদের বিরাগভাজন হয়েছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ। বীরু নাকি নিজের টুইটে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে নিয়ে উপহাস করেছেন।কী এমন টুইট করেছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ? বুধবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে ম্যাচ ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। শেষদিকে ঝড় তুলে ১৫ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের ইনিংস খেলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন নাইট রাইডার্সের প্যাট কামিন্স। তাঁর এই ইনিংস দেখে বীরন্দ্র শেহবাগ টুইট করেন, মুন সে নিভালা ছিন লিয়া, বড়া পাও ছিন লিয়া। প্যাট কামিন্স, ক্লিন হিটিংয়ের অন্যতম প্রদর্শন, ১৫ বলে ৫৬। শেহবাগের এই টুইট রোহিত ভক্তদের ভাল লাগেনি।কেন বড়া পাওর কথা বলেছেন বীরেন্দ্র শেহবাগ? আসলে মুম্বইয়ের মানু্ষদের সবথেকে প্রিয় খাবার বড়া পাও। কামিন্সের ইনিংস দেখে তিনি বলেন, এটা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে বড়া পাও কেড়ে নেওয়ার মতো। কামিন্সের এই ইনিংসে যেমন শেহবাগ থেকে অনেকেই মুগ্ধ, তেমনই অবাক কামিন্স নিজেও। তিনি যে ওইরকম বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন, কামিন্স নিজেও বিশ্বাস করতে পারছেন না। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, এই রকম ইনিংস খেলে আমিই সবথেকে বেশি অবাক। সত্যিই আমি আনন্দিত। আমার প্রিয় জায়গায় বল পড়লেই উড়িয়ে দেব, একথা মাথায় রেখে ব্যাট করতে নেমেছিলাম। এর বেশি কিছু করার চেষ্টা করিনি।Moonh se nivala cheen liya ,, sorry vada pav cheen liya.Pat Cummins, one of the most insane display of clean hitting , 15 ball 56 Jeera Batti #MIvKKR pic.twitter.com/Npi2TybgP9 Virender Sehwag (@virendersehwag) April 6, 2022এই মরশুমে প্রথম ম্যাচে নাইট রাইডার্সের জার্সি গায়ে নিজের পারফরমেন্সে খুশি কামিন্স। তিনি বলেন, প্রথম ম্যাচে নিজের পারফরমেন্সে আমি খুশি। স্টেডিয়ামের বাউন্ডারি ছোট ছিল। তার সুযোগ নিতে চেয়েছিলাম। ক্রিজে এসে একটা কথাই শুধু মাথায় ছিল, বাউন্ডারির বাইরে বল ওড়াতে হবে। সেই চেষ্টা করতেই সফল। লক্ষ্য ছিল কয়েকটা বড় শট খেলে ভেঙ্কটেশ আয়ারের কাজ সহজ করে দেওয়া। সেটা করতে পেরেছি। কামিন্সের ইনিংস দেখে মুগ্ধ কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার। তিনি বলেন, অবিশ্বাস্য ইনিংস। এত জোরে বল মারছিল, এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না।

এপ্রিল ০৭, ২০২২

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইলন মাস্ককে খোলা চিঠি ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রীর, এক্সে ‘নীরব সেন্সরশিপ’-এর অভিযোগ

পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী জেমাইমা গোল্ডস্মিথ এবার সরাসরি এক্সের মালিক ইলন মাস্কের কাছে আবেদন জানালেন। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খানের গ্রেফতারি, জেলবন্দি জীবন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরার জন্য এক্স ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো কমিয়ে দিচ্ছে।জেমাইমার দাবি, ২০২২ সালে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর গত ২২ মাস ধরে ইমরান খান কার্যত একঘরে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর কথায়, এটি কোনও সাধারণ জেল নয়, বরং রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে নৃশংস নিঃসঙ্গ কারাবাস। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দুই ছেলে বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। এমনকি মাসের পর মাস ফোনে কথা বলা বা চিঠি পাঠানোরও অনুমতি মেলেনি বলে অভিযোগ।জেমাইমা আরও জানান, পাকিস্তানের টেলিভিশন ও রেডিও থেকে ইমরান খানের নাম কার্যত মুছে ফেলা হয়েছে। তাঁর মতে, একমাত্র স্বাধীন মঞ্চ হিসেবে এক্স-ই ছিল সত্য বলার জায়গা। কিন্তু এখন সেই প্ল্যাটফর্মেও তাঁর কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।এক্স-এ করা দীর্ঘ পোস্টে জেমাইমা জানান, প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব এআই টুল গ্রক-এর তথ্য অনুযায়ী তাঁর অ্যাকাউন্টে গোপন থ্রটলিং করা হচ্ছে। অর্থাৎ, ইমরান খানের জেল পরিস্থিতি বা সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেই সেগুলি অ্যালগরিদমের মাধ্যমে আড়াল করে দেওয়া হচ্ছে। ইলন মাস্ককে উদ্দেশ করে তিনি লেখেন, আপনি মুক্ত বাক্স্বাধীনতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কথা বললেও যদি কেউ না শোনে, তা হলে সেটি আদৌ স্বাধীনতা নয়।জেমাইমার দাবি অনুযায়ী, তাঁর প্রায় ৩৫ লক্ষ ফলোয়ার থাকা সত্ত্বেও এক্সে তাঁর পোস্টের পৌঁছনো ভয়াবহ ভাবে কমে গিয়েছে। ২০২৩ এবং ২০২৪ সালের শুরু পর্যন্ত প্রতি মাসে তাঁর পোস্টে ৪০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ইমপ্রেশন হতো। কিন্তু ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত মোট ইমপ্রেশন নেমে এসেছে মাত্র ২ কোটি ৮৬ লক্ষে, প্রায় ৯৭ শতাংশ পতন।তিনি জানান, ২০২৫ সালের মে মাসে পাকিস্তানে এক্সের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠতেই তাঁর একটি পোস্ট চার মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেন। কিন্তু তার পরই আবার হঠাৎ করে পোস্টের পৌঁছনো প্রায় শূন্যে নেমে যায়। জেমাইমার দাবি, গ্রক জানিয়েছে এই চাপ আসছে পাকিস্তানি প্রশাসনের দিক থেকেই, যারা ইমরান খানের পরিবারকে ঘনিষ্ঠ ভাবে নজরদারিতে রেখেছে।এই অভিযোগের পর পাশে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটিশ সাংবাদিক পিয়ার্স মরগান। তিনি বলেন, ইমরান খানের পক্ষে কথা বলার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে চাপা দেওয়া হচ্ছে। মরগানের মন্তব্য, ইমরান খানের সঙ্গে যা ঘটছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং পাকিস্তান সরকারকে তাঁর মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।এই ঘটনার মধ্যেই ইমরান খানের পরিবারের তরফে নতুন করে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগে তাঁর বোন আলিমা খান অভিযোগ করেন, রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে ইমরান খানকে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং বেআইনি ভাবে একঘরে রাখা হয়েছে। তিনি জানান, গত আট মাস ধরে পরিবার নিয়মিত জেলে গেলেও তাঁদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।জেলের বাইরে জড়ো হওয়া পিটিআই সমর্থকরাও ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলের চারপাশে কড়া পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ক্ষমতা হারানোর পর একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে জেলে রয়েছেন ইমরান খান। তাঁর গ্রেফতারি নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরেও প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল জানায়, ইমরান খানের আটক বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চায়নি পাকিস্তান সরকার।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

মেক্সিকোর শুল্ক-বোমা! ভারতের রফতানিতে ৫০ শতাংশ কর, পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল দিল্লি

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই এমন দেশগুলির পণ্যের উপর হঠাৎ আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কড়া আপত্তি জানাল ভারত। মেক্সিকোর এই একতরফা সিদ্ধান্তে ভারতীয় পণ্যের উপর কর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ভারত জানিয়েছে, কূটনৈতিক আলোচনা চালু রাখার পাশাপাশি প্রয়োজন হলে রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।ভারত সরকারের বক্তব্য, কোনও আগাম আলোচনা ছাড়াই এমন শুল্ক বৃদ্ধি দুই দেশের সহযোগিতামূলক বাণিজ্য সম্পর্কের পরিপন্থী। পাশাপাশি বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থার স্বচ্ছতার নীতির সঙ্গেও এই সিদ্ধান্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মেক্সিকোর এই পদক্ষেপ ভারতের বিরুদ্ধে সরাসরি নয়, তা বোঝা গেলেও আগাম আলোচনা ছাড়া এমএফএন শুল্ক বাড়ানো বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না।মেক্সিকোর নতুন শুল্ক কাঠামোয় মোট ১,৪৬৩টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে ভারত ছাড়াও চিন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো একাধিক এশীয় দেশের উপর। বেশির ভাগ পণ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক প্রায় ৩৫ শতাংশ হতে পারে, যদিও কোথাও তা ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।অপ্রত্যাশিত ভাবে ২০২৫ সালের ৩ ডিসেম্বর মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রক ফের এই প্রস্তাব পেশ করে এবং আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেয়। এর আগে বিভিন্ন দেশের আপত্তি ও মেক্সিকোর শিল্পমহলের চাপে এই সিদ্ধান্ত ২০২৬ সালের অগস্ট পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।মেক্সিকো সরকার দাবি করেছে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে উৎসাহ দেওয়া এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানোই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য। তবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলের একাংশের মতে, আমেরিকার সঙ্গে ইউএসএমসিএ চুক্তি পর্যালোচনার সময় চিনের বিরুদ্ধে শুল্ক নীতি কঠোর করার চাপের সঙ্গেই এই সিদ্ধান্ত জড়িত। বিশেষ করে চিনা পণ্য ঘুরপথে আমেরিকার বাজারে ঢোকা ঠেকাতে মেক্সিকোর উপর চাপ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে ভারত দ্রুত পদক্ষেপ করেছে। বাণিজ্য সচিব রাজেশ আগরওয়াল ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর অর্থনীতি মন্ত্রকের ভাইস মিনিস্টার লুইস রোসেন্দোর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেছেন। খুব শীঘ্রই কারিগরি স্তরের বৈঠকও হতে পারে। এর আগেই, ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মেক্সিকোয় ভারতীয় দূতাবাস এই শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় পণ্যের জন্য বিশেষ ছাড় চেয়েছিল।বাণিজ্য দফতর জানাচ্ছে, নতুন শুল্কের প্রকৃত প্রভাব কতটা পড়বে, তা নির্ভর করবে মেক্সিকোর সরবরাহ ব্যবস্থায় ভারতীয় পণ্যের গুরুত্বের উপর এবং ভারতীয় সংস্থাগুলি করের বোঝা ভোক্তাদের উপর চাপাতে পারে কি না, তার উপর। এখনও পর্যন্ত কোন কোন পণ্য এই তালিকায় পড়ছে, তার চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি।সরকারি সূত্রের স্পষ্ট বক্তব্য, ভারতীয় রফতানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার ভারত রাখে। তবে একই সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথেই এগোতে চায়।সব মিলিয়ে টানাপড়েন তৈরি হলেও ভারত জানিয়েছে, মেক্সিকোর সঙ্গে অংশীদারিত্বকে তারা গুরুত্ব দেয় এবং দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষের স্বার্থে স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য পরিবেশ বজায় রাখতে আগ্রহী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
দেশ

৪৫ বছরের বাম দুর্গ ভাঙল বিজেপি! কেরলের রাজধানীতে ইতিহাস গড়ল এনডিএ

কেরলের রাজধানী তিরুবনন্তপুরমে বড় রাজনৈতিক পরিবর্তন। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছে। এর ফলে টানা ৪৫ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের দখল ভেঙে গেল রাজধানীর কর্পোরেশনে। এই ফলাফলকে কেরলের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক বলেই মনে করা হচ্ছে।১০১টি ওয়ার্ডের মধ্যে এনডিএ জিতেছে ৫০টিতে। শাসক বামফ্রন্ট এলডিএফ নেমে এসেছে মাত্র ২৯টি আসনে। কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ পেয়েছে ১৯টি ওয়ার্ড। দুটি আসনে জয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। এক ওয়ার্ডে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট বাতিল হয়েছে।এই ফলের ফলে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে সরকার গঠনের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল এনডিএ। শহরের রাজনৈতিক সমীকরণে যে বড় পরিবর্তন এসেছে, তা স্পষ্ট বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।ফলাফলটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তিরুবনন্তপুরম জেলা কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা ও সাংসদ শশী থারুরের নিজের এলাকা। তাঁর ঘাঁটিতেই বিজেপির এই সাফল্য কেরলের রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিচ্ছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের।এখানেই শেষ নয়। কেরলের স্থানীয় নির্বাচন শেষে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য পেয়েছে এনডিএ। ত্রিপুনিথুরা পুরসভাতেও ক্ষমতা হারিয়েছে এলডিএফ, সেখানে দখল নিয়েছে বিজেপি-নেতৃত্বাধীন জোট।ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শশী থারুর বলেন, কেরলের গণতন্ত্রের জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য দিন। তিনি ইউডিএফ-এর সামগ্রিক ফলের প্রশংসা করেন এবং একই সঙ্গে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশনে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের কথা স্বীকার করেন। থারুর বলেন, মানুষের রায়কে সম্মান জানানোই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য, সে রায় বিরোধীদের পক্ষেও গেলে। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনের শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের পরিবর্তনের ইচ্ছাই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। শশী থারুরের কথায়, এলডিএফের ৪৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে তিনি পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন, কিন্তু ভোটাররা অন্য একটি দলকে সেই পরিবর্তনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সেটাই গণতন্ত্রের শক্তি।শেষে তিনি বলেন, কংগ্রেস কেরলের মানুষের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে এবং ভাল শাসনের পক্ষে তাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসি কাণ্ডে বড় ঘোষণা পুলিশের! টিকিটের টাকা ফেরাতে হবে, না হলে আইনি পদক্ষেপ

কেউ ৪ হাজার, কেউ ৮ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত প্রিয় ফুটবলার লিয়োনেল মেসিকে চোখের সামনে দেখতে পাননি তাঁরা। যুবভারতীতে তৈরি হওয়া চরম বিশৃঙ্খলার জন্য দর্শকদের ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে পুলিশ ও উদ্যোক্তাদের উপর।এই পরিস্থিতিতে টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, যে টিকিট বিক্রি হয়েছে, তার টাকা দর্শকদের ফেরত দেওয়া উচিত। কারণ, বহু দর্শকই মেসিকে দেখতে পাননি।ডিজি জানান, অনুষ্ঠানে ন্যূনতম টিকিটের দাম ছিল ৩৫০০ টাকা। তার সঙ্গে স্টেডিয়ামের ভিতরে জলের বোতল থেকে শুরু করে পপকর্ন পর্যন্ত চড়া দামে বিক্রি হয়েছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, উদ্যোক্তারা যদি টাকা ফেরতের বিষয়ে সঠিক ব্যবস্থা না নেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই মূল উদ্যোক্তাকে আটক করা হয়েছে এবং এই বিশৃঙ্খলার জন্য কাউকেই রেয়াত করা হবে না।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে স্টেডিয়ামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এডিডি আইন-শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম জানিয়েছেন, সকল দর্শক নিরাপদে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন এবং ট্রাফিক পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়েছে।উল্লেখ্য, এদিন যুবভারতীতে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফুটবল তারকা মেসির সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছনোর আগেই নিজের কনভয়ের দিক ঘুরিয়ে নেন তিনি। পরে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

ভিআইপি কালচারের বলি ফুটবলপ্রেমীরা? মেসি বিতর্কে বিজেপি-সিপিএমের তোপ

পাহাড়প্রমাণ প্রত্যাশা মুহূর্তে যেন জল হয়ে গেল। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকা লিয়োনেল মেসিকে ঠিকমতো দেখতে পেলেন না দর্শকরা। মেসি মাঠ ছাড়তেই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাধারণ মানুষের মুখে ঘুরছে একটাই কথাভিআইপি কালচারের জন্যই বঞ্চিত হল সাধারণ দর্শক। ক্ষোভে ফেটে পড়ে তছনছ হয়ে যায় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। ভাঙা হয় চেয়ার, তোরণ। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর।অব্যবস্থার জেরে মাঠে ঢুকতেই পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাস্তা থেকেই কনভয় ঘুরিয়ে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। পরে মেসির কাছে ক্ষমা চেয়ে গোটা ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামেনি। একের পর এক তোপ দাগছে বিরোধীরা।বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষ সাড়ে তিন হাজার থেকে আট হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছেন। একশো দিনের কাজের শ্রমিকের প্রায় এক মাসের মজুরি একটি টিকিটের দামের সমান। তাঁর অভিযোগ, একদল প্রভাবশালী মানুষ মেসিকে ঘিরে রেখে সাধারণ দর্শকদের বঞ্চিত করেছেন। গোটা ঘটনাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন।বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তাঁর দাবি, টিকিটের কালোবাজারি হয়েছে এবং পুরো ব্যবস্থাই ছিল চরম বিশৃঙ্খল। তিনি বলেন, যাঁরা বোতল ছুড়েছেন তাঁদের মধ্যেও শাসকদলের লোকজন রয়েছেন বলে তাঁর কাছে খবর আছে। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুরোপুরি ব্যর্থ বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।সিপিএমও এই ঘটনায় সরব। দলের নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, বাংলায় যেখানে অনুষ্ঠান হবে, সেখানে দুর্নীতি, কালোবাজারি আর বিশৃঙ্খলা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলাধুলো থেকে মেলাসব ক্ষেত্রেই একই ছবি দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ।এ দিকে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আবেগে আঘাত করেছে এবং ফুটবলপ্রেমীদের অপমান করেছে। সব মিলিয়ে মেসিকে ঘিরে এই বিশৃঙ্খলা শুধু মাঠেই নয়, রাজ্য রাজনীতিতেও ঝড় তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

‘শুধু টাকা আর হ্যাংলামি?’ মেসি বিতর্কে আয়োজকদের তোপ কুণাল ঘোষের

দর্শকাসন থেকে একের পর এক জলের বোতল ছোড়া হল। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন লিয়োনেল মেসি। হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও প্রিয় তারকাকে দেখতে পেলেন না বহু ভক্ত। ক্ষোভে ফেটে পড়ে মাঠে নেমে ভাঙচুর শুরু করেন অনেকে। এই ঘটনার পর প্রকাশ্যে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসিকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী সকাল ১১টা থেকেই স্টেডিয়ামে থাকার কথা ছিল মেসির। মাঠ পরিক্রমাও করার কথা ছিল তাঁর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল শাহরুখ খানেরও। মেসি সময়মতো মাঠে পৌঁছলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় মাঠজুড়ে।দর্শকদের অনেকেই জানান, চার মাস আগে টিকিট কেটেছেন তাঁরা। কেউ আবার ভোর ৪টে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এত অপেক্ষা আর টাকা খরচ করেও মেসিকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি বহু মানুষ।এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ লেখেন, আয়োজকদের ন্যূনতম পরিকল্পনাও ছিল না। তাঁর প্রশ্ন, সবটাই কি শুধু টাকা আর ব্যবসা? কেন মেসিকে ঘিরে এত লোকের ভিড় রাখা হল? কেন মাঠ পরিক্রমার সময় মেসিকে একা এগোতে দেওয়া হল না? কেন গ্যালারির দর্শকদের বঞ্চিত করা হল? কুণালের মন্তব্য, এই ঘটনা কলকাতার জন্য লজ্জাজনক।তিনি আরও লেখেন, কয়েকজনের আদিখ্যেতার জন্য পুরো আয়োজন নষ্ট হয়ে গেল। মেসিকে দেখার বদলে কেউ কেউ নিজেকে জাহির করতেই ব্যস্ত ছিলেন। কুণাল স্মরণ করিয়ে দেন, ২০১১ সালে এই যুবভারতীতেই খেলতে এসেছিলেন মেসি। তখন কর্নার ফ্ল্যাগের পাশে বসে শান্তিপূর্ণভাবে খেলা দেখেছিলেন তিনি। সেদিন কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মেসিকে নিয়ে মঞ্চের স্বপ্ন ভেস্তে, গাড়িতেই আটকে রইলেন শাহরুখ

শহরে আসবেন লিয়োনেল মেসি। চোখের সামনে ফুটবলের ভগবানকে দেখবেন হাজার হাজার ভক্ত। একই মঞ্চে থাকার কথা ছিল শাহরুখ খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও লিয়োনেল মেসির। সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সব পরিকল্পনাই ছিল তৈরি। নির্ধারিত সময়েই শনিবার যুবভারতীতে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাঠে পৌঁছন মেসি। কিন্তু তার পরেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা, যা আগে কখনও দেখেননি ফুটবলপ্রেমী বাঙালি।এই অশান্ত পরিস্থিতির জেরে মাঠে ঢুকতেই পারলেন না বলিউড তারকা শাহরুখ খান। শনিবার সকালেই কলকাতায় আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আব্রাম। শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে আব্রামের সঙ্গে লিয়োনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ এবং রদ্রিগো ডিপলের সঙ্গে ছবিও তোলেন শাহরুখ। তার পর যুবভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।কিন্তু মেসি যখন মাঠ পরিক্রমা শুরু করেন, ঠিক তখনই গ্যালারি থেকে বোতল ছোড়া শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তার কারণে মাঝপথেই মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মেসিকে। সেই সময় গাড়িতে বসে স্টেডিয়ামের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন শাহরুখ খান। বিশৃঙ্খলার কারণে তিনি মাঠে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর তাঁকে ফিরে যেতে হয়।এই ঘটনার পর শহরের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ-প্রশাসন ও আয়োজকদের ভূমিকা নিয়েও। পুরো ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫
কলকাতা

মন্ত্রীরা মেসিকে দেখলেন, সেলফি তুললেন আর আমরা টাকা দিলাম! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দর্শকরা

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হল। মাঠের ভিতরে ছোড়া হল চেয়ার, জলের বোতল। ক্ষুব্ধ দর্শকরা ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে ঢুকে পড়েন। এমনকি একটি দিকের গোলপোস্টও ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গিয়েছে। মেসিকে সামনে থেকে দেখতে না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার দর্শক।মাঠে উপস্থিত দর্শকদের কথায় উঠে এসেছে চরম হতাশা। এক দর্শক বলেন, মেসিকে নয়, আমরা শুধু অরূপ বিশ্বাসকেই দেখতে পেয়েছি। আর এক জনের অভিযোগ, আমাদের টাকায় সরকার মেসিকে দেখল, আমরা দেখলাম না। কেউ কটাক্ষ করে বলেন, অনিরুদ্ধ ধর আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলাম, আর কাউকে দেখতে আসিনি।এক দর্শকের ক্ষোভ, অরূপ বিশ্বাসকে দেখলাম সেলফি তুলতে ব্যস্ত। মনে হচ্ছিল মেসির জায়গায় উনিই এই অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ। ৩ হাজার ৩৩৮ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলাম, কিন্তু এক ঝলকও মেসিকে দেখতে পেলাম না। কেউ ৪ হাজার, কেউ আবার ১০ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটে এসেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ দর্শকদের থেকে মেসিকে আড়াল করে শুধু নেতা-মন্ত্রীরাই তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন।অনেকেই প্রশাসনের ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। এক জন বলেন, মাঠে পুলিশ, স্তাবক আর মিডিয়ার ভিড় ছিল। সাধারণ মানুষ কিছুই দেখতে পায়নি। পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটা এক যুবক জানান, আগের রাত থেকেই তিনি সেই হোটেলের কাছে অপেক্ষা করছিলেন, যেখানে মেসি ছিলেন। তবুও ভগবান দর্শন হয়নি তাঁর।দর্শকদের ক্ষোভ ক্রমেই তীব্র আকার নেয়। মাঠে ওঠে চোর চোর স্লোগান। কেউ বলেন, নেতা-মন্ত্রীরা মেসিকে দেখল, সেই টাকাই তো আমরা দিয়েছি। সাঁতরাগাছির এক দর্শকের আক্ষেপ, আমরা শুধু মেসির হাতটা দেখেছি। কেউ গোটা ঘটনাকে দুর্নীতির সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটা স্ক্যাম ২০২৫, শতদ্রু দত্তের উদ্যোগ।শুধু রাজ্যের দর্শকরাই নন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা এক প্রবাসী ভক্তও মেসিকে দেখতে না পেয়ে ভেঙে পড়েন। এমনকি এক রোনাল্ডো ভক্তও মেসিকে দেখতে এসে হতাশ হয়েছেন। কারও অভিযোগ, পুলিশও গালাগাল করেছে। এক দর্শকের কথায়, এত বড় লজ্জা ঢাকার জায়গা নেই। আর এক জন বলেন, মেসিকে দেখতে এসে শুধু ক্যামেরাম্যানই দেখে গেলাম।সব মিলিয়ে যুবভারতীর এই বিশৃঙ্খলা নিয়ে ক্ষোভ এখন সর্বত্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, মেসিকে নিয়ে গোটা বিষয়টাই মেস করে দেওয়া হল।

ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal