• ৫ পৌষ ১৪৩২, মঙ্গলবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

SSC

রাজ্য

আপাতত স্বস্তি যোগ্য শিক্ষকদের, চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি সুপ্রিম কোর্টের

অবশেষে কিছুটা স্বস্তির। সৌজন্যে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৩১ ডিসেম্বর নয়, ২০২৬ সালের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বহাল থাকবেন যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই সময়সীমার মধ্যেই নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। এমনই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। রাজ্যের তরফে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন জানানো হলেও আদালত সেই আবেদন আংশিক মঞ্জুর করে প্রায় আট মাসের অতিরিক্ত সময় দেয়। আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সময়কালে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাবেন এবং পড়ানোর কাজও চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে আদালত স্পষ্ট করেছে, এই সুবিধা শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ কার্যকর হবে না।আজকের এই রায়ে বড় স্বস্তি পেল রাজ্য সরকারও। কারণ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখা এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক সংকট এড়ানো রাজ্যের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত আগের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরিষেবা ও বেতন বহাল থাকবে।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই জটিল প্রক্রিয়া শেষ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ায় রাজ্য সরকার সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়।আদালতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ করতে আরও কয়েক মাস সময় প্রয়োজন। পাশাপাশি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জিও জানানো হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
কলকাতা

নতুন এসএসসি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন! ফের অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত হাই কোর্টের

নতুন করে এসএসসি যে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে, তার ভবিষ্যৎ নিয়েই ফের অনিশ্চয়তার কথা উঠে এল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে, এই পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেলেও শেষ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপর। আগেও এই বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেছিলেন, এই পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।এ দিন এসএসসির মেধার ভিত্তিতে অতিরিক্ত দশ নম্বর দেওয়ার মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট করে জানান, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেলেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেই চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকবে। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দেয়, কমিশনকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই বিষয়ে প্রার্থীদের স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে।প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সেই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টেও। এরপর এসএসসি নতুন করে যে পরীক্ষা নিয়েছে, সেই পরীক্ষার বিষয়টিও এখন আদালতে বিচারাধীন। বুধবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।এই মামলায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার বিষয়টিও আদালতের নজরে আসে। শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছিল, তারা কখনও বলেনি যে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে ফ্রেশারদের অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আদালত শুধু এটুকুই চেয়েছিল, কোনও অযোগ্য পরীক্ষার্থী যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি দুর্নীতিমুক্ত হোক। রাজ্য যখন পুরনো ও নতুন প্রার্থী মিলিয়ে একসঙ্গে পরীক্ষা নিয়েছে, তার দায়ও রাজ্যেরই বলে মন্তব্য করা হয়। তবে যোগ্য প্রার্থীরা যেন কোনও ভাবেই সমস্যায় না পড়েন, সেই বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।এদিকে এসএসসি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের যে নতুন পরীক্ষা নিয়েছে, সেখানে পুরনো প্রার্থীদের পাশাপাশি নতুনরাও অংশ নেন। কিন্তু পরে ভেরিফিকেশনের সময় দেখা যায়, অতিরিক্ত ১০ নম্বরের কারণে বহু নতুন প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়াতেই ডাক পাননি। ফলে নতুন পরীক্ষার ভবিষ্যৎ এবং নিয়োগ নিয়ে ফের বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

৭ হাজার ২৯৩ ‘দাগি’র পুরো নাম প্রকাশ করতেই হবে, SSC-কে কড়া নির্দেশ

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের মামলার মুখে পড়ল এসএসসি। অযোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষায় বসছে, তা নিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট-এ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবারও কড়া নির্দেশ দিলেন। বুধবারের মধ্যেই ৭ হাজার ২৯৩ জন দাগি বা অযোগ্য প্রার্থীর পুরো তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্ট এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই মতো কিছু তালিকা প্রকাশও করা হয়েছিল। পরে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অযোগ্যদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই মতে গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করে, যাঁরা তখন চাকরি করছিলেন।কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ নয়। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল মোট অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ৩ হাজার ৫১২ জন এবং ১ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাকি সবার সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।এ বার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচএই সব ধরনের অনিয়মে যুক্ত মোট ৭ হাজার ২৯৩ জনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।এই ৭ হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদুপক্ষই। অনেকেই তখন চাকরি করছিলেন, আবার কেউ কেউ তালিকায় থাকলেও চাকরিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে এবার আদালত সকলেরই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আবারও চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

অবশেষে প্রকাশ্যে এসএসসির ‘দাগিদের’ তালিকা, এক লাফে সামনে এল ১৮০৬ জনের নাম

ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় দাগি প্রার্থীদের নাম জড়িয়ে পড়তেই গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই বিতর্ক গড়ায় প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে এবং পরে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। দুই আদালতই সাফ জানিয়ে দেয়, কোনও পরিস্থিতিতেই দাগি চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাখা যাবে না। এমনকি বিশেষভাবে সক্ষম হলেও দাগিরা চাকরির সুযোগ পাবেন না, এমন কঠোর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।সুপ্রিম কোর্টের তরফে তখনই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, দাগি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই নির্দেশ ঘিরেই অপেক্ষা চলছিল গোটা রাজ্য জুড়ে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেখানেই তিনি স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রশংসা করে জানান, আদালতের নির্দেশ মেনেই স্বচ্ছভাবে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যেই কোর্টের নির্দেশ মেনে সব কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।সাংবাদিক সম্মেলনেই শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন, খুব শীঘ্রই দাগি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ হবে। তাঁর বক্তব্য ছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও দাগি প্রার্থীকে রাখা যাবে না এবং সেই কারণেই তালিকা প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক।শেষ পর্যন্ত সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। অবশেষে সামনে এল দাগি প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা। সেই তালিকায় রয়েছে মোট ১৮০৬ জন দাগি চাকরিপ্রার্থীর নাম। শুধু রোল নম্বরই নয়, তালিকায় দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ এবং কোন বিষয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন, সেই সমস্ত বিস্তারিত তথ্যও।নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, তখন এই তালিকা প্রকাশ নতুন করে আলোড়ন ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক ও শিক্ষা মহলের একাংশ। এখন নজর, এই তালিকা প্রকাশের পর নিয়োগ প্রক্রিয়া কোন পথে এগোয়।

নভেম্বর ২৭, ২০২৫
কলকাতা

এসএসসি ঘিরে নতুন বিতর্ক, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের প্রার্থীদের নিয়োগ এখন আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর

কলকাতা হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের মেয়াদ উত্তীর্ণ শিক্ষক নিয়োগ প্যানেলের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কাদের নিয়োগ করা হয়েছিল। শুধুমাত্র প্যানেল সদস্য নয়, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকদের নিয়োগপত্র কারা পেয়েছিলেন, সেই তথ্যও কমিশনকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে পেশ করতে হবে।২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্যানেল ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছিল। পরবর্তীতে নতুন পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং ফল প্রকাশিত হয়। কিন্তু পুরনো প্যানেলের প্রার্থীদের নিয়োগ ও নতুন প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হওয়ায় কমিশনের ওপর চাপ বেড়েছে। আদালতের এই নির্দেশ আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ এবং কার্যকর করার উদ্দেশ্যে জারি করা হয়েছে।বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন যে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলের কোনও প্রার্থী যদি চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন, তবে তাঁর বা তাঁদের ভাগ্য আদালতের রায়ের ওপর নির্ভর করবে।একই সঙ্গে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, চলতি বছরের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট কমিশনকে আপলোড করতে হবে। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, আপনারা ওএমআর শিট আপলোড করেননি কেন? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রথম দিন থেকে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা উচিত, না হলে পরে আবার অনিয়মের অভিযোগ উঠবে।এভাবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর আবারও নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার চাপে আসে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নির্দেশ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন বিতর্কের সূত্রপাত করতে পারে।

নভেম্বর ২৭, ২০২৫
কলকাতা

১০ নম্বর বাতিল চাই! রাস্তায় দাবদাহ—পুলিশকে ধেয়ে গেল নতুন চাকরিপ্রার্থীরা

কলকাতার রাজপথে ফের উত্তেজনা। নতুন করে তেতে উঠল আন্দোলন। এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে আজ কার্যত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল শহরের বুকে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ব্যারিকেড ভেঙে দৌড়ে মিছিল এগিয়ে যাওয়া, রুট পরিবর্তন, পুলিশের প্রস্তুতির ঘাটতিসব মিলিয়ে দুপুর থেকেই উত্তেজনায় টগবগ করছে ধর্মতলা ও তার সংলগ্ন এলাকা।অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর বাতিলের দাবিতে আজ পথেই নামেন ফ্রেশার্স চাকরিপ্রার্থীরা। প্রথমে তাঁদের গন্তব্য ঠিক ছিল ধর্মতলা। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রুট বদলে ঠিক হয়, তাঁরা রামলীলা ময়দানে যাবেন। কিন্তু সেখানেই তৈরি হয় নতুন সমস্যা। চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যখন নির্দিষ্ট রুটে এগোতে শুরু করে, পুলিশ তখন তাদের আটকে দেয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় উত্তেজনা, ধাক্কাধাক্কি, চিৎকার-চেঁচামেচি।ব্যারিকেড সরিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা দলে দলে এগোতে থাকেন ধর্মতলার দিকেই। মাঝপথেই নিজেরাই রুট বদলে নেন। তাঁরা দ্রুত এগোতে শুরু করেন এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে। সেখানে যথেষ্ট পুলিশ না থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যত নাস্তানাবুদ হয়ে যায় কলকাতা পুলিশ। পুলিশের তৈরি অস্থায়ী ব্যারিকেডও ভেঙে মিছিল এগিয়ে চলে। ফলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয় রাস্তায়।এক চাকরিপ্রার্থী অভিযোগ করেন, আমাদের মিছিল যাওয়ার কথা ছিল বিকাশ ভবনের দিকে। কিন্তু পুলিশ নিজেদের সুবিধে মতো ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। কমিশনের সঙ্গে মিলেই আমাদের আন্দোলন চেপে ধরার চেষ্টা চলছে। আমরা ধর্মতলাতেই অবস্থান করব। ১০ নম্বর বাতিল করতেই হবে।আরও এক চাকরিপ্রার্থী চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, ১০ নম্বর বাতিল চাই, এক লক্ষ আসন বাড়াতে হবে। আমরা ধর্মতলা যেতেই পারব। দেখি পুলিশ কীভাবে আটকায়! এই মন্তব্যের পরই দেখা যায়, চাকরিপ্রার্থীরা দৌড়ে দৌড়ে ধর্মতলার দিকে ছুটছেন। police প্রস্তুত না থাকায় মুহূর্তে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। দ্রুত অতিরিক্ত ফোর্স ডেকে আনা হয়, যাতে ধর্মতলায় ঢোকার আগেই মিছিলকে আটকে দেওয়া যায়।এসএলএসটি ফল প্রকাশের পর থেকেই নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠেন। অভিযোগ, অতিরিক্ত ১০ নম্বর যোগ হওয়ার ফলে অনেকেই ফুল মার্কস পেলেও ভেরিফিকেশনের কল পাননি। সেই প্রতিবাদেই তাঁরা পথে নেমেছেন। আজকের ঘটনায় সেই ক্ষোভ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ল কলকাতার মাঝরাস্তায়।

নভেম্বর ২৪, ২০২৫
কলকাতা

দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসলেন কীভাবে? এসএসসি-র ব্যাখ্যায় বাড়ল রহস্য

একাদশদ্বাদশের এসএসসি ফলপ্রকাশ হতেই যে নামটি সবচেয়ে বেশি উত্তাপ ছড়িয়েছে, তা হল নীতীশরঞ্জন বর্মন। কয়েক মাস আগেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি যে দাগী প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছিল, সেখানে স্পষ্টভাবে ছিল নীতীশরঞ্জনের নাম। আর সেই নীতীশই এবার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষায় বসে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকও পেয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছেএকজন দাগী প্রার্থী কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন? কীভাবে ইন্টারভিউয়ের তালিকায় নাম উঠল? বিতর্ক মুহূর্তে চড়ে গিয়েছে মাথা তুলেই।এই অভিযোগ আদালতে তুলে ধরেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা গৃহীত হয়েছে। আদালতে শামিম জানান, নীতীশরঞ্জন বর্মন নামে ওই প্রার্থী অযোগ্য হয়েও পরীক্ষায় বসেছেন, এমনকি ভেরিফিকেশনের জন্যও ডাক পেয়েছেন। একই অভিযোগ করেছেন নীতীশরঞ্জনের স্ত্রীও, যাঁর সঙ্গে তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। তিনিই প্রথম আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সামনে আনেন। তাঁর দাবি, নীতীশ দাগী হয়েও ভুলভাবে পরীক্ষায় বসেছেন এবং এখন ভেরিফিকেশন রাউন্ডেও জায়গা পেয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।বিতর্কের ঢেউ যখন তুঙ্গে, তখন স্কুল সার্ভিস কমিশন মুখ খুলল। কমিশনের বক্তব্য, ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বিশেষভাবে সক্ষম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কিছু ছাড়ের কথা বলেছিল। সেই নির্দেশ মানতেই নাকি কিছু ক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এসএসসি একই সঙ্গে জানিয়েছে, সব তথ্যই যাচাই করা হচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে যদি গরমিল ধরা পড়ে, দাগী হয়েও কেউ যদি সতর্কতা সত্ত্বেও তালিকায় ঢুকে পড়েন, তাহলে ভেরিফিকেশনের সময় সেই প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার পূর্ণ অধিকার কমিশনের রয়েছে।এদিকে আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য সম্পূর্ণ বিপরীত। তাঁদের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট ভাষায় বলেছেএকজনও দাগী প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য যে ছাড়ের কথা বলা হয়েছিল, তা বয়স বা শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, দাগী তালিকার ক্ষেত্রে নয়। ফলে নীতীশরঞ্জন বর্মন কীভাবে পরীক্ষায় বসলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আদালতকক্ষে এই ব্যাখ্যার ওপরেই নজর এখন সবার।রবিবার দিনভর এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা চলেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তীব্র আলোচনার ঢেউ। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেনআইনের ফাঁক কি কাজে লাগাল নীতীশ? নাকি নিয়োগ ব্যবস্থার ত্রুটি এতটাই গভীর যে দাগী তালিকা থাকা সত্ত্বেও এমন ভুল সম্ভব? এখন অপেক্ষা আদালতের সিদ্ধান্তের, আর সেই সিদ্ধান্তই ঠিক করবে নীতীশরঞ্জনের মতো বিতর্কিত প্রার্থীর ভবিষ্যৎ।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর নিয়ে তোলপাড়! এসএসসি তালিকায় ১৯৯৭ পর জন্মেও ‘এক্সপেরিয়েন্স’?

এসএসসি-র এগারো-বারোর শিক্ষক নিয়োগে ফের নতুন করে বিতর্কে আগুন লেগেছে। উচ্চ কাট-অফের চাপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নতুনরা। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে ৬০ নম্বরের মধ্যে পূর্ণ ৬০ পেলেও চাকরি হয়নি একাধিক প্রার্থীর। কমিশনের প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, মোট ২০ হাজারের সামান্য বেশি প্রার্থীকে ডাকা হয়েছে, আর সেই তালিকার বড় অংশেই ইন-সার্ভিস শিক্ষকেরা সুবিধা পেয়েছেন অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত দশ নম্বরের জোরে। এই বাড়তি নম্বরেরই বিরোধিতায় এবার পথে নেমে সরব হয়েছেন নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা।বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ আরও বিস্ফোরক। তাঁদের বক্তব্য, যাঁদের জন্ম ১৯৯৭ সালের পর, এমন বহু প্রার্থীও নাকি অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ১০ নম্বর পেয়েছেন বলে তালিকায় দেখা যাচ্ছে। বয়সের হিসাবে যা একেবারেই অসম্ভব। এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল বাড়তেই স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কমিশনের বক্তব্য, যে প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণই প্রার্থীদের অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি। আপাতত ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করে প্রাথমিক তালিকা বানানো হয়েছে। এর পরেই তথ্য যাচাইকরণ চলবে। সার্টিফিকেট ভেরিফিকেশনে কোনও গরমিল ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যাবেন। পরে অঞ্চলভিত্তিক ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করা হবে।এদিকে অভিযোগ উঠছে কাট-অফ এতই বেশি যে, ভালো নম্বর পেয়েও বহু প্রার্থী তালিকার বাইরে। ইংরেজিতে কাট-অফ ৭৭, বাংলায় ৭৩, অঙ্কে ৭১ এবং ইতিহাসে ৭৫এই অত্যাধিক কাট-অফের কারণেই নাকি পূর্ণ নম্বর প্রাপ্তদের মধ্যেও বাদ পড়ার ঘটনা ঘটছে। যদিও কমিশন সূত্রের দাবি, যাঁদের ডাকা হয়েছে তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ফ্রেশার। কিন্তু কমিশনের এই ব্যাখ্যায় পরিস্থিতি শান্ত তো হয়নি, বরং ক্ষোভ আরও বেড়েছে।করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত এ দিন রীতিমতো মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান নবাগত চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, অভিজ্ঞতার অতিরিক্ত ১০ নম্বর প্রক্রিয়াটাই অবিচার। ফুল মার্কস পেয়েও যদি ইন্টারভিউর ডাক না আসে, তাহলে নিয়োগ পদ্ধতি প্রশ্নের মুখে পড়ে। ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি, আর এই নিয়েই সরগরম রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের অঙ্গন।

নভেম্বর ১৭, ২০২৫
কলকাতা

পূর্ণ নম্বর পেয়েও চাকরি নয়! একাদশ-দ্বাদশ নিয়োগে ফ্রেশারদের বিস্ফোরক অভিযোগ

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে সামনে এল এক অভূতপূর্ব ছবিপূর্ণ নম্বর পেয়েও চাকরি পেলেন না বহু ফ্রেশার প্রার্থী। শনিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত হল নতুন ইন্টারভিউ তালিকা, আর তার পর থেকেই তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে। বিশেষ করে বাংলায়, ইংরেজিতে, অঙ্কে ও ইতিহাসে যে ধরনের কাট-অফ দেখা গেল, ফ্রেশারদের কাছে তা যেন প্রবল ধাক্কা।ইংরেজিতে কাট-অফ ৭৭, বাংলায় ৭৩, অঙ্কে ৭১ এবং ইতিহাসে ৭৫ নম্বর। পরীক্ষায় যাঁরা নিজেদের বিষয়ের লিখিত অংশে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন, তাঁদের অনেকেই জানাচ্ছেনপূর্ণ নম্বর থাকলেও তাঁরা কাট-অফ পেরোতে পারেননি। বহু নতুন প্রার্থী প্রশ্ন তুলছেন, অভিজ্ঞতার নম্বরের কারণে কি ইন-সার্ভিস শিক্ষকেরাই এভাবে সুবিধা পাচ্ছেন? কারণ দেখা যাচ্ছে, যাঁরা বিষয়ের নম্বর কম পেয়েছেন, তাঁরাও অভিজ্ঞতার নম্বর ভরসায় তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। ফ্রেশারদের মতে, এই পরিস্থিতি তাঁদের জন্য অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করছে।স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্র জানাচ্ছে, মোট ২০ হাজারের বেশি চাকরিপ্রার্থীকে ডাকা হয়েছে ইন্টারভিউয়ের জন্য। তাঁদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ফ্রেশার। কিন্তু আশ্চর্যভাবে দেখা যাচ্ছে, অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও বহু ইন-সার্ভিস শিক্ষক আবার নথি যাচাই প্রক্রিয়ায় ডাক পাননি। কমিশন সূত্রের দাবি, এঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ নবম-দশমের নিয়োগ পর্যায়ে ডাক পেয়ে যেতে পারেন। যদিও নবম-দশমের নথি যাচাই এখনও শুরু হয়নি।মোট শূন্যপদ ৩৫ হাজার ৭২৬। এর মধ্যে একাদশ-দ্বাদশে শূন্যপদ রয়েছে ১২ হাজার ৫১৪টি। এবার ১৪ সেপ্টেম্বর হয়েছিল একাদশ-দ্বাদশের লিখিত পরীক্ষা, যেখানে আবেদন করেছিলেন ২ লক্ষ ৪৬ হাজার প্রার্থী। আর ৭ সেপ্টেম্বর নেওয়া হয়েছিল নবম-দশমের পরীক্ষা, যার আবেদনকারী প্রায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার। এত বিপুল আবেদনকারীর মধ্যে মাত্র ২০ হাজারের কিছু বেশি প্রার্থী ইন্টারভিউ ডাক পেয়েছেন। আর সেই তালিকাতেই দেখা যাচ্ছে পূর্ণ নম্বরধারী বহু ফ্রেশার বাদ, আর কম নম্বর পেয়েও অভিজ্ঞতার জোরে তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছেন ইন-সার্ভিস শিক্ষকরা।এই পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ফ্রেশার প্রার্থীদের অনেকেই প্রশ্ন তুলছেননতুনদের কি ইচ্ছাকৃতভাবে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? একইসঙ্গে উঠছে আরও অভিযোগএকদিকে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের পর সরকার ও কমিশন স্বচ্ছতার কথা বললেও বাস্তব চিত্র কি সত্যিই তেমন? পূর্ণ নম্বর পেয়েও চাকরি না মেলার ব্যাখ্যা কারও কাছেই স্পষ্ট নয়।একাদশ-দ্বাদশের ফল সামনে আসতেই নিয়োগের ভবিষ্যৎ নিয়ে আবার নতুন করে অনিশ্চয়তা বাড়ল। ফ্রেশারদের দাবি, যদি বিষয়ভিত্তিক পূর্ণ নম্বরও চাকরির পথে যথেষ্ট না হয়, তাহলে তাঁদের লড়াই কতটা সুষ্ঠু তা নিয়েই প্রশ্ন রয়ে যায়।

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
কলকাতা

২০ হাজার উত্তীর্ণ, কিন্তু আন্দোলনের নেতারা? বিস্ময়ে ভরা শনিবার সন্ধ্যা

নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে যাঁদের দিন-রাত পথে দেখা গিয়েছে, যাঁদের কণ্ঠস্বরেই আন্দোলনের আগুন জ্বলেছেশনিবার সন্ধ্যায় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের নতুন ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশের পর তাঁদের জীবনে ঠিক কী পরিবর্তন এল? প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন এই পর্যায়ে। বহু চাকরি হারানো মানুষ নতুন করে আশার আলো দেখতে পেলেও, আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠা সেই কয়েকজন পরিচিত চাকরিপ্রার্থীতাঁদের মুখে কি কোনও স্বস্তির হাসি ফুটল?চিন্ময় মণ্ডল, সুমন বিশ্বাস, মেহবুব মণ্ডল এবং সঙ্গীতা সাহাকরুণাময়ীতে বিকাশ ভবনের সামনে দিনের পর দিন যাঁদের দেখা যেত, রাতভর যাঁরা অবস্থান করতেন, যাঁদের চোখে প্রতিবাদের ক্লান্তি আর অনিশ্চয়তার অন্ধকার স্পষ্ট ছিলশনিবারের তালিকা সেই দীর্ঘ সংগ্রামে ঠিক কী বার্তা দিল?চিন্ময় মণ্ডলের নাম উঠল না তালিকায়। শিক্ষক আন্দোলনের অন্যতম মুখ তিনি। দিল্লি থেকে কলকাতানিয়োগের স্বচ্ছতার দাবি নিয়ে দৌড়ে বেড়িয়েছেন বহুবার। কিন্তু নতুন প্রকাশিত তালিকায় তিন নম্বরের কারণে কাট-অফের ওপারে উঠতে পারলেন না। চিন্ময়ের কথায়, আশানুরূপ ফল হয়নি। তবুও তিনি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েননি। বললেন, নবম-দশমের ফলাফলের দিকে এখনও তাকিয়ে আছেন।একই ছবি সুমন বিশ্বাসের ক্ষেত্রেও। চাকরি হারানোর পর থেকেই তিনি ছিলেন আন্দোলনের প্রথম সারিতে। তাঁর নামও নেই এই তালিকায়। তবুও হতাশ নন। বরং তাঁর আক্ষেপযোগ্যতার বিচার হয়নি ঠিকমতো। তাঁর অভিযোগ, পুরনো ও নতুন আবেদনকারীকে একসঙ্গে মেশানোয় প্রকৃত যোগ্যদের ক্ষতি হয়েছে। একজন নতুন আবেদনকারী তাঁকে জানিয়েছেন, ৬০-এর মধ্যে পুরো ৬০ পেয়েও ইন্টারভিউ ডাক পাননি।মেহবুব মণ্ডল অবশ্য তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। ভেরিফিকেশনের ডাকও এসেছে তাঁর কাছে। কিন্তু ব্যক্তিগত সাফল্যের থেকেও বেশি ভাবাচ্ছে তাঁকে অন্যদের ভবিষ্যৎ। সাত বছর চাকরি করে যাঁদের আবার নতুন করে পরীক্ষার লড়াইয়ে নামতে হয়েছে, তাঁদের অনেকেই এবারও কাট-অফ তুলতে পারেননি। আন্দোলনের দীর্ঘ রাতগুলোতে যাঁরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছেন, তাঁদের কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কাই তাঁকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে। তাঁর দাবি, এই শিক্ষকদের জন্য রাজ্যের উচিত আলাদা ব্যবস্থা করা, যাতে কেউ কাজ হারিয়ে অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঠেলে না দেওয়া হয়।সঙ্গীতা সাহার নাম উঠেছে তালিকায়। তবুও মনে নেই উচ্ছ্বাস। বরং ক্ষোভ, বেদনা আর দীর্ঘ অবিচারের স্মৃতি চেপে ধরেছে তাঁকে। তাঁর কথায়, বিনা দোষে তাঁদের অন্যায় পরীক্ষার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের অপরাধ ছিল না, কিন্তু তবুও তাঁদের জীবনকে অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল বছরের পর বছর। আশেপাশের বহু সহযোদ্ধা কাট-অফ উত্তীর্ণ হতে পারেননি। সঙ্গীতার প্রশ্নযাঁরা এবারও সুযোগ পেলেন না, তাঁদের ভবিষ্যতের কথা কি সরকার ভাববে? আদালত কি তাঁদের জন্য কোনও পথ খুলে দেবে? অনেকেই তাঁকে ফোন করে বলেছেন, এবারও কিছু হয়নিএখন কী করবেন, সেই উত্তর অন্ধকারেই রয়ে গেছে।একদিকে নতুন তালিকা বহু মানুষের কাছে আশার আলো, অন্যদিকে আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠা এই চার জনের গল্প যেন আবার প্রশ্ন তোলেনিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সেই দীর্ঘ পথ শেষে কি সত্যিই স্বচ্ছতার আলো দেখা গেল, নাকি এখনও বহু মানুষের জীবন লড়াইয়ের অন্ধকারেই পড়ে রইল?

নভেম্বর ১৫, ২০২৫
কলকাতা

‘কিছু বলব না’— চোখে জল নিয়ে জেলমুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

অবশেষে সাড়ে তিন বছর পর জেলমুক্তি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে হুইলচেয়ারে চেপে বেরিয়ে এলেন তিনি। চোখে জল, মুখে একটাই কথা কিছু বলব না। তারপরই দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাড়ির পথে নাকতলার উদ্দেশে রওনা দেন প্রাক্তন মন্ত্রী। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর মুহূর্তে চারপাশে ভিড় জমায় অনুগামীরা। কারও হাতে বেহালা পশ্চিমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই চাই লেখা পোস্টার, কেউ আবার মোবাইলে রেকর্ড করছেন সেই ঐতিহাসিক দৃশ্য।২০২২ সালের জুলাইয়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে প্রথমে গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকা। চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। তার পর থেকেই জেলবন্দি ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের ভেতরে কেটেছে তাঁর তিনটি বছর, অসুস্থতার কারণে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে তাঁকে।এরপর একে একে তিনটি মামলায় ইডি, সিবিআই এবং নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলা জামিন পান পার্থ। কিন্তু আদালতের শর্ত ছিল, এই মামলাগুলিতে অন্তত আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না। সোমবার অষ্টম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হতেই মঙ্গলবার সকালে আদালতের পক্ষ থেকে পাঠানো হয় রিলিজ অর্ডার। প্রেসিডেন্সি জেল ও হাসপাতাল দুই জায়গায়ই সেই নির্দেশ পৌঁছনোর পর অবশেষে সবুজ সংকেত মেলে মুক্তির।দীর্ঘ আইনি লড়াই, অসুস্থতা আর অভিযোগের ভার পেরিয়ে শেষমেশ নিজের বাড়িতে ফিরলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিকেল নাগাদ নাকতলার বাড়িতে পৌঁছতেই সমর্থকদের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। কেউ ফুলের মালা নিয়ে এগিয়ে আসে, কেউ আবেগে কেঁদে ফেলেন। পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় বাড়িতে প্রবেশ করেন তিনি।রাজনৈতিক মহলে এই মুক্তিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। কেউ বলছেন, এটা নতুন রাজনীতির ইঙ্গিত, কেউ আবার মনে করছেন, দুর্নীতির মামলা থেকে পুরোপুরি মুক্তি মেলা এখনও বাকি। তবে আপাতত তিন বছর তিন মাসের বন্দিদশার অবসান। আর তার সাক্ষী থাকল গোটা রাজ্য।

নভেম্বর ১১, ২০২৫
রাজ্য

'সতীদাহের নামে নারীদের যেমন চিতায় তুলত, আমরাও তেমনই অগ্নিপরীক্ষায়', কালো পোশাকে প্রতিবাদে পরীক্ষাকেন্দ্রে মেহবুবরা

কালো পোশাকে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নিলেন চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁদের মধ্যেই ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষক মেহবুব মণ্ডল। কালো পাঞ্জাবি পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে হাজির হলেন তিনি। বারুইপুরের বাসিন্দা মেহবুবের পরীক্ষা পড়েছে সোনারপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলে। সকালেই রওনা দিয়ে পৌঁছে যান কেন্দ্রে। ক্ষোভ চেপে রাখেননি, সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে সোজাসুজি উগরে দেন মনের কথা। তাঁর অভিযোগ, যেভাবে সতীদাহের নামে নারীদের জোর করে চিতায় ঠেলে দেওয়া হত, কিংবা গ্যালিলিওকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ আর বিচার বিভাগের সহায়তায় আজ আমাদেরও ঠিক তেমনভাবেই আবার নতুন অগ্নিপরীক্ষায় ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফল কী হবে, আমরা জানি না।সেই বহুল আলোচিত প্যানেলই এর কেন্দ্রে। রাতারাতি প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরি হারিয়েছিলেন। এরপর থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত হয়েছে অসংখ্য শুনানি, দরবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি ফেরাতে না পেরে নতুন পরীক্ষাতেই বসতে হচ্ছে তাঁদের। এবার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ হবে ৩৫ হাজার ৭৫২ শূন্যপদে।দুই দফায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম ধাপ ৭ সেপ্টেম্বরযেখানে নবম-দশম শ্রেণির জন্য পরীক্ষা দেবে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ প্রার্থী। দ্বিতীয় ধাপ ১৪ সেপ্টেম্বরএকাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য বসবেন আরও ২ লক্ষ ৪৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী। ফলে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার। রাজ্যজুড়ে প্রথম দিনে ৬৩৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে, আর দ্বিতীয় দিনে ৪৭৮টি কেন্দ্রে বসবেন পরীক্ষার্থীরা।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

'এসএসসি-র নয়া নিয়োগ পরীক্ষায় ফের দাগিদের সুযোগ', বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর

নয় বছর পর আবারও হতে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। কিন্তু পরীক্ষার আগেই উঠছে একাধিক প্রশ্নআসন্ন পরীক্ষা কি সত্যিই হবে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ? আর কি দেখা যাবে না অনিয়ম, কারও চোখের জল? প্রায় ৬ লক্ষ প্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই পরীক্ষার ওপর। তবু রাজনৈতিক মহলে সংশয় কাটছে না।এই পরিস্থিতিতেই আসানসোলে গিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, এখনও ১৫২ জন দাগি প্রার্থীকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হয়েছে এবং তাঁরা পরীক্ষায় অংশ নেবেন। যদিও তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। শুভেন্দুর কথায়, ১৯৫৮ জন দাগি শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে ১৮০৬ জনের নাম প্রকাশ করেছে কমিশন। কিন্তু ১৫২ জনকে বাদ রাখা হয়েছে না, বরং তাঁদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ এক প্রহসনের পরীক্ষা। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, টাকা নিয়ে কেন্দ্র ঠিক হয়েছে, তৃণমূল নেতারা পুলিশের সহযোগিতায় গোটা প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল করছে। এর ফল কিছুই হবে না, হবে কেবল অশ্বডিম্ব।অন্যদিকে, পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি জানান, এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার। এর মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসবেন ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ জন প্রার্থী। আর ১৪ সেপ্টেম্বর একাদশ-দ্বাদশের জন্য বসবেন ২ লক্ষ ৪৬ হাজার জন। প্রথম দিনে গোটা রাজ্যে থাকছে ৬৩৬টি পরীক্ষা কেন্দ্র, দ্বিতীয় দিনে ৪৭৮টি কেন্দ্র।অর্থাৎ, দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হতে চলা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে প্রশাসন আশাবাদী হলেও বিরোধীরা মনে করছে এর মধ্যেও লুকিয়ে আছে অনিয়মের ছাপ

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

SSC-এর 'অযোগ্য' তালিকায় তৃণমূলের দাপুটে বিধায়কের ছেলের বউয়ের নামও

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) প্রকাশ করেছে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা। শনিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত ওই তালিকায় নাম রয়েছে মোট ১৮০৪ জনের। তালিকা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই নতুন করে চাপে পড়ল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।প্রকাশিত তালিকার ১২৬৯ নম্বরে রয়েছেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের পুত্রবধূ শম্পা ঘোষ। উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটির একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। তবে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকায় নিজের নাম প্রকাশ পাওয়ার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি শম্পা ঘোষ।এছাড়া, রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের নামও রয়েছে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকায়। তিনিও রাজপুরের এক স্কুলে শিক্ষকতার দায়িত্বে ছিলেন। শুধু তাঁরা নন, তালিকায় আরও আছেন পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে দলীয় পদে থাকা নেতাদের আত্মীয়-স্বজন।এসএসসি জানিয়েছে, এই তালিকায় থাকা প্রার্থীদের মধ্যে অনেকে আবার নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছিলেন। কমিশন তাঁদের আবেদনপত্র বাতিল করার পাশাপাশি অ্যাডমিট কার্ডও স্থগিত করেছে।রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা ভোটের আগে শাসক দলের অস্বস্তি আরও বাড়ল এই তালিকা প্রকাশের ফলে। কারণ, অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ প্রার্থীদের পাশাপাশি শাসক দলের জনপ্রতিনিধি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নাম উঠে আসায় বিরোধীরা নতুন করে রাজনৈতিক অস্ত্র পেয়ে গেল।

আগস্ট ৩১, ২০২৫
রাজ্য

'দাগি' তালিকায় TMC কাউন্সিলরের নাম, হাইকোর্টে ফের মামলা করার হুঁশিয়ারি

অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ হতেই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর নাম। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের নামও উঠে এসেছে দাগি তালিকায়। শনিবার প্রকাশিত তালিকায় ১,৮০৪ জনের মধ্যে রয়েছেন তিনিও। তালিকায় নিজের নাম দেখে ক্ষুব্ধ কুহেলি জানিয়েছেন, তিনি আগামী সোমবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।কুহেলি ঘোষ বলেন, আমি আগেই মামলা করেছিলাম। সিবিআই-কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলাম। আদালতে জানিয়েছিলাম, আমাকে যে কোনও তদন্তকারী সংস্থা ডাকুক। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ আমাকে ডাকেনি। হঠাৎ করেই জানতে পারলাম তালিকা প্রকাশ হচ্ছে, আর সেখানে আমার নাম রয়েছে। কেন আমার নাম এসেছে, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।তালিকার ৬৪৭ নম্বরে রয়েছে কুহেলির নাম। প্রথমে তিনি প্রাথমিক শিক্ষিকার পদে নিযুক্ত ছিলেন। পরে হাইস্কুলে শিক্ষিকার চাকরিও পান। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পুরনো প্রাইমারির চাকরিতে ফেরার জন্য সব নথি জমা দিলেও এখনও সেই প্রক্রিয়া এগোয়নি। পরীক্ষা দিয়ে নিয়ম মেনে তিনি চাকরি পেয়েছেন বলেই দাবি করেছেন কুহেলি ঘোষ।শুধু কুহেলি ঘোষই নন, ওই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন একাধিক রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী নামও। তালিকার ৩১৬ নম্বরে রয়েছেন হুগলির খানাকুলের দাপুটে তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য বিভাস মালিক। তিনি তারকেশ্বরের একটি বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি ১,৩৩২ নম্বরে রয়েছে তাঁর স্ত্রী সন্তোষি মালিকের নামও। তালিকায় আরও রয়েছে জেলা পরিষদের সদস্যা সাহিনা সুলতানার নাম।

আগস্ট ৩১, ২০২৫
রাজ্য

চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর! সরকারি স্কুলে হাজার-হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি

পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WBSSC) ১ম State Level Selection Test (SLST) 2025এই মাধ্যমে সরকারি-অনুদানপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ে নন-টিচিং স্টাফ বা শিক্ষাকর্মী নিয়োগ শুরু হচ্ছে। গতকাল ২৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে মোট ৮,৪৭৭টি শূন্যপদ ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে: Group C (ক্লার্ক)-এর ২,৯৮৯টি শূন্যপদ রয়েছে এবং Group D (নন-টিচিং স্টাফ)-এর ৫,৪৮৮টি শূন্যপদ রয়েছে।এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সুপ্রিম কোর্ট-এর ৩ এপ্রিল ২০২৫-এর আদেশ অনুযায়ী জারি হয়েছে এবং WBSSC-এর ২০২৫ নিয়মাবলীর অধীনে এই গোটা প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে।এই প্রায় সাড়ে ৮ হাজার শূন্যপদে অনলাইন আবেদন শুরু হবে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকাল ৫টা থেকে।আবেদনের শেষ তারিখ, আগামী ৩১ অক্টোবর ২০২৫, বিকাল ৫টা পর্যন্ত। ফি জমার শেষ সময়, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ রাত ১১:৫৯ পর্যন্ত। বিশদ বিজ্ঞপ্তি এবং আবেদন পদ্ধতি সংক্রান্ত তথ্য ৩১ আগস্ট ২০২৫ থেকে WBSSC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (www.westbengalssc.com) পাওয়া যাবে।

আগস্ট ৩০, ২০২৫
রাজ্য

নির্ধারিত দিনেই SSC-এর পরীক্ষা, দাগিরা সুযোগ পেলে 'ফল' ভুগবে রাজ্য, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

বেআইনি নিয়োগ-কেলেঙ্কারির কারণে দাগি (অযোগ্য) প্রার্থীরা স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) আসন্ন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি, নিয়োগ পরীক্ষার নির্ধারিত দিন ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর বজায় রেখে পরীক্ষা বাধা ছাড়াই সম্পন্ন করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার বেঞ্চ স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এক জন দাগি অযোগ্য প্রার্থীও যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে তা নিশ্চিত করা SSC কর্তৃপক্ষের প্রধান দায়িত্ব ।SSC-এর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, প্রায় ১,৯০০ জন প্রার্থী দাগি বা অযোগ্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত ।সুপ্রিম কোর্ট SSC-কে এক সপ্তাহের মধ্যে (৭ দিনের মধ্যে) অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়; তা না হলে SSC-কে ফল ভোগ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয়।কলকাতা হাইকোর্ট আগেই দাগি প্রার্থীদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন, যা upheld হয় ডিভিশন বেঞ্চের মাধ্যমে ।একই সঙ্গে এদিন আদালত জানিয়েছে, অযোগ্যদের পুনরায় সুযোগ দেওয়ার SSC ও রাজ্য সরকারের যুক্তিও দ্বিগুণ শাস্তির সমতুল্য হবে। আদালত ত আরো জানিয়েছে, সমাজে প্রতারণার জন্য কোন স্থান নেই।স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে, এসএসসির আইনজীবী এদিন জানিয়েছেন দাগী প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ১,৯০০ জন।SSC-কে সেই নামের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।বিধি লঙ্ঘনের ফল SSC-কে ভোগ করতে হবে বলেও এদিন স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের এই বক্তব্যের পর এসএসসি-র তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, সম্ভব হলে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবারই দাগিদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে।সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে স্পষ্ট যে, নিয়োগে স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করতে দাগি প্রার্থীরা কোনোভাবেই পরীক্ষায় বসতে পারবে না, এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া সময়মতো, আইনগত ও নৈতিক মানদণ্ড অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে।

আগস্ট ২৯, ২০২৫
রাজ্য

অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশের দিন কড়া নির্দেশ নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট

এসএসসি মামলায় নয়া মোড়। আর কোনও অজুহাত নয়, ৭ দিনের মধ্যে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে ওয়েবসাইটে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এই নির্দেশ দিয়েছেন। এসএসসিকে সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে ফের বিড়ম্বনায় রাজ্য সরকার। আদালত জানতে চেয়েছে, কোনও মন্ত্রী সুপারিশ করছে? কিছু পাইয়ে দিতে চাইছে? চাকরি যাওয়ার জন্য় সম্পূর্ণ দায়ী এসএসসি, দায়ী বোর্ড। আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেন স্বচ্ছতা থাকে। আপনারা কেন তালিকা প্রকাশ করছেন না? একজনও যদি আবেদন করে, পরীক্ষা দেয়, তাহলে ফের সিবিআইকে ডাকবে আদালত। বিচারপতি বলেন, কেন এতদিন তালিকা প্রকাশ করেননি? আগামী ৭ দিনের মধ্যে অযোগ্যদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। একজন দাগী পরীক্ষার্থীও যদি পরিক্ষায় বসে তাহলে তার ফল ভোগ করতে হবে এসএসসিকে। আইনজীবীদের একাংশ জানিয়েছেন, রাজ্য় সরকার অযোগ্য়দের কাছ থেকে টাকা ফেরতের কোনও বন্দ্যোবস্ত করেনি। বরং সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যোগ্য আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা বারে বারে বলেছি আযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে। আমাদের কথা শোনা হয়নি। এবার সেই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

আগস্ট ২৮, ২০২৫
রাজ্য

এসএসসির ২৬হাজার শিক্ষকের রিভিউ পিটিশন, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় ফের বড় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ছিল রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন, চাকরিহারাদের একাংশ-সহ নানা পক্ষ। সেই মামলার শুনানি শেষ হয় গত ৫ অগস্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চ এ বার জানিয়ে দিল, পুনর্বিবেচনার আর্জির আদালতে শুনানির দরকার নেই। পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারপতিরা। নিয়োগপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতি এবং একাধিক অনিয়মের অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ অনিয়মের অভিযোগে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, সঠিক তথ্য না থাকায় যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব হয়নি। সেই কারণে পুরো প্যানেল বাতিল করা হল। নতুন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয় এসএসসিকে। দাগি বা চিহ্নিত অযোগ্যদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত। পরবর্তীতে এসএসসি এবং রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায়। আবেদন জানায় চাকরিহারাদের একাংশও। কিন্তু রিভিউ পিটিশন বাতিল হওয়ায় চাকরি ফিরে পাওয়ার তেমন কোনও সম্ভাবনা থাকল না বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। ইতিমধ্যে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে কলকাতার রাস্তায় বহু আন্দোলন সংগঠিত করেছে যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা।

আগস্ট ১৯, ২০২৫
দেশ

অভিনব প্রতারণা, বীরভূমের বিভাস অধিকারী গ্রেফতার, ধৃত পুত্র-সহ আরও পাঁচ

উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় পুলিশকে চমকে দিয়ে ফাঁস হল এক অভিনব প্রতারণা চক্র। মূল অভিযুক্ত বীরভূমের বাসিন্দা বিভাস অধিকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত হয়েছে তাঁর পুত্র-সহ মোট ছয় জন।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা নয়ডায় এক ভুয়ো থানা গড়ে তুলেছিল। পুলিশি পোশাক, ব্যাজ, নকল সিলমোহর, সরকারি কাগজপত্রসবকিছু সাজানো হয়েছিল আসল থানার মতো করে। এই থানা থেকেই চাকরি পাইয়ে দেওয়া, মামলার সমাধান এবং ব্যবসায়িক অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা হাতানো হত।গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নয়ডা পুলিশ গত সপ্তাহে হানা দেয় ওই স্থানে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় নকল পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র, পুলিশি পোশাক, সরকারি সিল, নগদ অর্থ এবং কম্পিউটার সেটআপ।পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই প্রতারণা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে চলছিল। শুধু নয়ডা নয়, দিল্লি ও এনসিআর এলাকাতেও এদের যোগাযোগ ছিল।তদন্তকারীদের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রতারণা চলছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একাধিক অভিযোগ হাতে আসার পর শুরু হয় গোপন নজরদারি। এরপরই গত সপ্তাহে হানা দিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে নয়ডা পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে নকল পরিচয়পত্র, ভুয়ো নিয়োগপত্র, পুলিশি পোশাক, সরকারি সিল, নগদ অর্থ এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি রাজ্য-স্তরে এদের যোগাযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আগস্ট ১০, ২০২৫
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.নের ঘটনায় ১৩ জন দোষী সাব্যস্ত, রায় মঙ্গলবার

সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস খু.ন কাণ্ডে ধৃত ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলো জঙ্গিপুর আদালত। চলতি বছর তাঁদের নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। এই মামলা রায়দান করা হবে মঙ্গলবার। রায়ের দিকে নজর রয়েছে সাধারণ মানুষের।দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিপুর আদালতে এই মামলার শুনানি চলে। ফরেনসিক রিপোর্ট, একাধিক সাক্ষী, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য উঠে আসে। যার ফলে মামলা গুরুত্বপূণ মোড় নেয়। চলতি বছরের ১২ ই এপ্রিল সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামে খুন করা হয় হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে। সেই সময় হিংত্মাক আন্দোলন চলছিল ওই মুর্শিদাবাদের এই এলাকায়। দীর্ঘ শুনানির পর অবশেষে জঙ্গিপুর আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ১৩ জনকে। এদিন রায় ঘোষণা ও দোষী সাব্যস্ত করার ঘটনায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজনীতি

হুমায়ুন কবীরের নতুন দল ‘জেইপি’, মঞ্চ থেকেই একের পর এক হুঁশিয়ারি, ব্রিগেডে জনসভা জানুয়ারিতে

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা খাগারুপাড়া মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল হুমায়ুন কবীরের নতুন রাজনৈতিক দল জে ইউ পি (JUP)। দল গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর। সভার মঞ্চ থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে একের পর এক বড় রাজনৈতিক ঘোষণা করেন তিনি।হুমায়ুন কবীর জানান, জেইউপি দলের হয়ে তিনি বেলডাঙা ও রেজিনগর, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন এবং ৩০ হাজার ভোটে দুটি আসনেই জয়লাভ করবেন। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার আরও ছয়টি বিধানসভা আসনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন তিনি।সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, আপনি সাড়ে সাত লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা বাংলার মানুষের মাথায় চাপিয়েছেন। এর জবাব ২০২৬ সালে বাংলার মানুষ দেবে।কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রিগেডে সভা করব। ফিরহাদ হাকিম বেশি বাড়াবাড়ি করলে ব্রিগেড থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে মেয়র অফিস ঘেরাও করা হবে।সভায় উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে হুমায়ুন কবীর বলেন, আজ যারা এখানে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়, জেলায় হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেপুটেশন, জেলার বাইরে হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে থানার ইট খুলে নেব।তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে হুমায়ুন কবীর ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে নিশ্চিহ্ন করে দেব।একই সঙ্গে বিজেপিকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, বিধানসভা থেকে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাদোলা করে বাইরে ফেলবে, এমন স্বপ্ন দেখবেন না। বিরোধী দলনেতাকেও আক্রমণ করে বলেন, ২০০টি আসনে প্রার্থী দিলে ১০০টি আসন জিতব, তার মধ্যে ২০ জন হিন্দু বিধায়ক থাকবেন।মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যদি আপনার সৎ সাহস থাকে, তাহলে আপনার প্রিয় চ্যানেলে বসুন, আমার মুখোমুখি। সেদিন বাংলার মানুষ দেখবে আপনার মিথ্যাচার।সভা শেষে তিনি আগামী দিনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন৪ জানুয়ারি: ডোমকল জনকল্যাণ মাঠে জনসভা৫ জানুয়ারি: হরিহরপাড়া এলাকার একটি মাঠে জনসভাএদিনের সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু কর্মী-সমর্থক জে ইউ পি দলে যোগদান করেন, যা দলটির ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের ইঙ্গিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভোটের আগে তৃণমূলে বড় ধাক্কা, আজ নতুন দল ঘোষণা হুমায়ুন কবিরের

বঙ্গ রাজ্য রাজনীতিতে আজ, সোমবার নয়া জল্পনা ও চমক। সাসপেন্ড তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগামিকাল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর এই পদক্ষেপ ঘিরে জেলা ও রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা।জানা গিয়েছে, বেলডাঙ্গায় আয়োজিত ওই জনসভা থেকেই নতুন দলের নাম, প্রতীক ও রাজনৈতিক রূপরেখা প্রকাশ করবেন হুমায়ুন কবির। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়েছিলেন। দলবিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপের অভিযোগে তাঁকে দল সাসপেন্ড করে। সেই ঘটনার পর থেকেই আলাদা রাজনৈতিক পথ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন তিনি। পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন হুমায়ুন।হুমায়ুন কবিরের নতুন দলে কারা কারা যোগ দেবেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে কোনও পরিচিত মুখ তাঁর সঙ্গে থাকবেন কি না, এই প্রশ্নগুলো ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব বিবেচনা করলে, এই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করলেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দলও হুমায়ুন কবিরের ঘোষণার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।গত ৬ ডিসেম্বর হুমায়ুন বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেছেন। তারপর থেকে নতুন দল গঠনের জন্য প্রস্তুতি বৈঠকও সেরেছেন। ভোটের আগে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা অনেকটাই নির্ভর করবে হুমায়ুন কবিরের সংগঠিনক শক্তি ও জনসমর্থনের উপর। আগামিকালের বেলডাঙ্গার সভা থেকেই স্পষ্ট হবে, এই নতুন দল রাজ্য রাজনীতিতে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে নবাবের মুর্শিদাবাদ যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাঁর ঈঙ্গত রয়েছে।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৫
রাজ্য

নরেন্দ্র মোদীর পর এবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক করবেন নেতৃত্বের সঙ্গে

একদিন আগেই রাজ্যে এসেছিলেন বিজেপির পোস্টারবয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ৩০ডিসেম্বর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল রচনা করবেন। তারপর সাংবাদিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও তাঁর এই বঙ্গসফরকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বক্তব্য, বাংলায় নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত ষশাহ হোক, এঁরা কেউ এখানে বিজেপির জয় এনে দিতে পারবেন না। আগেও নির্বাচনের আগে বারে বারে এসেছেন এবারও আসবেন। তবে ব্যর্থ হবেন বলেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে পৌঁছল বিহারের ৫৫টি বাইক, উদ্দেশ্য ঘিরে তৃণমূল–বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যেই পূর্ব বর্ধমানে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক চাপানউতোর। শনিবার বিহারের নম্বর প্লেটযুক্ত ৫৫টি পুরনো মোটরবাইক বর্ধমান জেলা বিজেপি দলীয় অফিসের ঠিকানায় এসে পৌঁছানোকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বাইকগুলি ট্রেন থেকে নামিয়ে বর্ধমান রেল স্টেশনের ইস্টার্ন রেলওয়ের পার্সেল অফিসের সামনে রাখা হয়।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের একাধিক নেতা ও কর্মী। বর্ধমান রেল স্টেশনে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে তৃণমূল। বাইকগুলির মালিকানা, পরিবহণ সংক্রান্ত নথি এবং কেন শুধুমাত্র বিজেপির বর্ধমান জেলা অফিসের ঠিকানায় এই বাইক পাঠানো হয়েছে। তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তোলেন বিধায়ক।বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে সুনীল গুপ্তা নামের এক ব্যক্তির নামে এই ৫৫টি বাইক পাঠানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে পরিকল্পিতভাবেই বাইকগুলি রাজ্যে ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশঙ্কা, আগামী দিনে এই বাইক ব্যবহার করে বাইরের লোকজন বা দুষ্কৃতীদের রাজ্যে ঢোকানোর চেষ্টা হতে পারে। জানা গিয়েছে, এই ৫৫টি নয়, ২৩ জেলা মিলিয়ে প্রায় ৬০০০ মোটর বাইক আসার কথা।বিধায়ক খোকন দাস স্পষ্ট ভাষায় জানান, এতগুলো বাইক বিহার থেকে কী উদ্দেশ্যে বাংলায় আনা হয়েছে, তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ভোটের আগে এই বাইক ব্যবহার করে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা থাকতে পারে। একই সঙ্গে তিনি রেল ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। দলের বর্ধমান শহর সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ও বাইকগুলির সম্পূর্ণ তথ্য জনসমক্ষে আনার দাবি জানান। তাঁর বক্তব্য, রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে এই পরিবহণের বিস্তারিত জানাতে হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ না হলে বাইকগুলি পার্সেল অফিস থেকে ছাড়তে দেওয়া হবে না।অন্যদিকে, তৃণমূলের সব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহরায় বলেন, কিছুদিন আগেই বিহারে নির্বাচন হয়েছিল। সেই সময় দলীয় কর্মীদের কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাইকগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। বিহারের ভোট শেষ হওয়ায় সেগুলি এখন পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্ধমান জেলা বিজেপি অফিস রাঢ়বঙ্গ জোনের কেন্দ্রীয় অফিস হওয়ায় এখানকার ঠিকানাতেই বাইক পাঠানো হয়েছে। বিজেপির দাবি, প্রতি নির্বাচনের আগেই এভাবেই বাইক আনা হয় এবং বিষয়টি জেনেও তৃণমূল অহেতুক বিতর্ক তৈরি করছে। বাইক বিতর্কে প্রশাসনের ভূমিকা কী হয়, তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে বাড়ছে কৌতূহল।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এশিয়া কাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ, দুবাইয়ে পাকিস্তানের কাছে লজ্জার হার ভারতের

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ুষ মাত্রের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ১৫৬ রানে। ফলে ১৯১ রানের বড় ব্যবধানে হার স্বীকার করেই শিরোপা হাতছাড়া করতে হল টিম ইন্ডিয়াকে।টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় পাকিস্তান। দলের হয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সামির মিনহাস। মাত্র এক ইনিংসেই তিনি করে ফেলেন ১৭২ রান। উসমান খানের সঙ্গে ৯২ রানের এবং আহমেদ হুসেনের সঙ্গে ১৩৭ রানের দুটি বড় জুটিতে ভর করে দ্রুত ৩০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।বিশেষজ্ঞদের মতে, একসময় পাকিস্তানের ইনিংস ২৭০২৮০ রানের মধ্যেই থামতে পারত। কিন্তু মিনহাসের ব্যাটে ভর করেই ৪৩ ওভারের মধ্যেই ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে তারা। পরে তাঁর আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ৩০২/৩ থেকে ৩২৭/৮ মাত্র ২৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারালেও ততক্ষণে ম্যাচ কার্যত একপেশে হয়ে গিয়েছিল।লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। বৈভব সূর্যবংশী, আয়ুষ মাত্রে, অভিজ্ঞান কুণ্ডুর মতো পরিচিত নাম থাকলেও কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি। আশ্চর্যজনকভাবে দলের সর্বোচ্চ রান আসে ১০ নম্বর ব্যাটার দীপেশ দেবেন্দ্রনের ব্যাট থেকে। তিনি মাত্র ১৬ বলে ৩৬ রান করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা যথেষ্ট ছিল না।এই হার যেন সাম্প্রতিক সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল। সেবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে, এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মঞ্চ ফাইনাল, ফলাফলও প্রায় একই রকম হতাশাজনক।উল্লেখযোগ্যভাবে, ফাইনালে ওঠার আগে টুর্নামেন্টে একমাত্র অপরাজিত দল ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল তারা। অন্যদিকে পাকিস্তান গ্রুপে ভারতের কাছেই একমাত্র হেরেছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে ধরা দেয় তারা। শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ে দাপটের সঙ্গে জয় ছিনিয়ে নিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ নিজেদের ঝুলিতে ভরল পাকিস্তান। আর ফাইনালে বারবার হোঁচট খাওয়ার প্রবণতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন থেকে গেল ভারতীয় যুব দলের সামনে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিদেশ

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলার পরও অকুতোভয় কর্তৃপক্ষ, সন্ত্রাসের নিন্দার ঝড় বিশ্বের সর্বত্র

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠল ঢাকায় প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশের দুটি প্রথম সারির সংবাদপত্রের দফতরে এই হামলার অভিযোগ সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে সাংবাদিক মহল, নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে নিন্দার ঝড় বয়েছে অন্যত্র।ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পরবর্তীতে হিংসা ছড়িয়ে পরে নানা জায়গায়। নৃশংস ভাবে হিন্দু যুবক খুন থেকে সংস্কৃতি সংগঠনের ওপর হামাল। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর ক্রমাগত হামলা চলতে থাকে।প্রাথমিক অভিযোগ অনুযায়ী, ঢাকায় অবস্থিত প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারা অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালায় এবং কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। আগুন লাগিয়ে দেয় এই অফিসদুটিতে। যদিও এই ঘটনায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতির খবর নেই, তবে আচমকা হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কিছু সময়ের জন্য সংবাদকর্ম ব্যাহত হয়। সংবাদপত্র প্রকাশনা বন্ধ রাখতে হয়। বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইন পোর্টালেও আর খবর আপলোড করা যায়নি।হামলার ঘটনার পরপরই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও সম্পাদকীয় মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বক্তব্য, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা গভীর উদ্বেগজনক। এই দুই সংবাদপত্র গোষ্ঠীও জানিয়ে দেয় তারা ভয় পায় না। খবর প্রকাশ করতে কোনও পরোয় তারা করবে না। এমনকী দফতরের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে।ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।এই ঘটনার পর প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হুমকি বা হামলার মাধ্যমে সত্য প্রকাশ থামানো যাবে না। তারা দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে প্রশাসনের কাছে।আন্তর্জাতিক স্তরেও এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ও মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে সংবাদমাধ্যমের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং মুক্ত সাংবাদিকতার পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের অফিসে হামলার ঘটনা শুধু দুটি সংবাদপত্রের ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের সামগ্রিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। এখন দেখার, প্রশাসনিক পদক্ষেপ কতটা দ্রুত ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫
বিনোদুনিয়া

লাইভ মঞ্চে লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত, ওসির ভূমিকা নিয়েও তদন্ত

লাইভ পারফরম্যান্স চলাকালীন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীকে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক মহল। পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে একটি বেসরকারি স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করতে গিয়ে এই ঘটনার মুখে পড়েন তিনি। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে, যার নাম তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় ভগবানপুরের একটি বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে। অভিযোগ অনুযায়ী, লগ্নজিতা চক্রবর্তী যখন জাগো মা গানটি পরিবেশন করছিলেন, তখন অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা ও ওই স্কুলের মালিক মেহবুব মল্লিক আচমকাই মঞ্চে উঠে আসেন। শিল্পীর অভিযোগ, তিনি গালিগালাজ করেন এবং চিৎকার করে বলেন, অনেক হয়েছে জাগো মা, এবার কিছু সেকুলার গান গাও। পাশাপাশি মারধরের হুমকি ও শারীরিকভাবে আক্রমণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অনুষ্ঠান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরে লগ্নজিতা চক্রবর্তী ভগবানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, প্রথমে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর মামলা রুজু হয় এবং অভিযুক্ত মেহবুব মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়।পূর্ব মেদিনীপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে ভগবানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং আরও এক পুলিশকর্মীর ভূমিকা নিয়েও বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও তীব্র হয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা অভিযোগ করেন, একজন শিল্পী কি গান গাইবেন, সেটাও শাসক দলের লোক ঠিক করে দিচ্ছে। এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও দাবি করেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। যদিও এই ঘটনার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।লাইভ মঞ্চে একজন শিল্পীর গান বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ওঠা এই প্রশ্ন এখন আর শুধু ব্যক্তিগত অভিযোগে সীমাবদ্ধ নয়। সাংস্কৃতিক পরিসরে মতপ্রকাশের অধিকার, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব সব মিলিয়ে এই ঘটনা রাজ্যজুড়ে বড় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal