নয়া তালিব সরকার আগের থেকে অনেক আলাদা হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন তালিবানি শীর্ষনেতারা। মহিলাদের শিক্ষা ও কাজ করার স্বাধীনতা দেওয়ার কথাও বলেছেন তারা। কিন্তু আফগানিস্তানের মসনদে বসার আগেই তালিবানের মহিলাদের খুন করার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেল।সূত্রের খবর, তালিবানরা ইতিমধ্যেই একটি তালিকা তৈরি করেছে, যেখানে কোন কোন মহিলাদের খুন করা হবে, তা উল্লেখ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দেহ ব্যবসা ও নীলছবির সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের খুন করার পরিকল্পনা করেছে তারা। সরকার ঘটনের পরই যৌনকর্মীদের মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হতে পারে। দ্য সান পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনও দাবি করা হয়েছে, সমস্ত পর্ন সাইটগুলিও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে তালিবানিরা। সেখানে কোনও বিদেশী পুরষের সঙ্গে যৌন কার্যকলাপে জড়িত হয়েছিলেন, এমন কোনও আফগান মহিলাকে দেখতে পেলেই তাঁকে খুঁজে বের করে নিজেদের যৌনদাসী বানিয়ে রাখা বা খুন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের দাবি, আফগানিস্তানজুড়ে একটি নতুন কর্মসূচিও শুরু করেছে তালিবানিরা, যেখানে দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মহিলাদের চিহ্নিতকরণের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাদের খোঁজ মিললেও জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।আরও পড়ুনঃ সেপ্টেম্বরে হচ্ছে না উপনির্বাচন?কান্দাহারেও নতুন ফতেয়াতে জারি করে গণমাধ্যম থেকেও মহিলাদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এ বার থেকে মহিলা কন্ঠস্বর টিভি বা রেডিওয় শোনা যাবে না। আফগান সরকারের পতনের পরই কান্দাহার, হেরাতে দেখা গিয়েছিল সমস্ত দোকান থেকে মহিলাদের ছবি সাদা বা কালো রঙে ঢেকে ফেলা হচ্ছে। বিগত ২০ বছরেও ক্ষমতায় না থাকলেও অবৈধ সম্পর্ক বা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও মহিলাদের খুন করেছে তালিবান। এ বার পালা পর্নস্টার ও যৌনকর্মীদের। ২০ বছর পর ফের একবার যখন তালিবানের হাতেই আফগানিস্তানের শাসনভার এসে পড়ে, ফের বীভীষিকাময় দিনগুলি ফিরে আসার আশঙ্কাই করেন আফগান মহিলারা। তবে তালিবানি শীর্ষ নেতারা আশ্বস্ত করে জানান, অতীতের তালিবানের সঙ্গে তাদের আকাশ-পাতাল ফারাক রয়েছে। নতুন তালিবান সরকার মহিলাদের সম্মান করবে, শিক্ষা ও কাজ করার অধিকারও দেবে শরিয়া আইন মেনে। সবসময় হিজাব পড়ে থাকতে হবে না, বোরখা পরলেই চলবে।