• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Order

রাজ্য

মাতৃ ভাষার আবেগে ছেদ, এবার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে মিলনের দৃশ্য অধরা

পেট্রাপোল বন্দরে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে উদযাপিত হচ্ছে না ভাষা দিবস। চেনা পেট্রাপলে এবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে অচেনা ছবি। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসে দুই বাংলার মানুষ জিরো পয়েন্টে একত্রিত হয়, মেলবন্ধন ঘটে দুই বাংলার। বাংলাদেশে ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর দুই বাংলার সেই আবেগে ছেদ পড়লো। পরশী দেশে অস্থির পরিস্থিতির জেরে জিরো পয়েন্টে এবার সেই ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হল না। ফলে মন খারাপ ভাষা প্রেমীদের।স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভাষা দিবস উদযাপনী অনুষ্ঠান নিয়ে তেমন উৎসাহ দেখায়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোন বার্তা বা যোগাযোগও করেনি তাদের সাথে। বাংলাদেশের সদিচ্ছার অভাব থাকায় এবার পেট্রাপোলে দুই বাংলার মিলন হলো না। বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিত ঘোষ বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমাদের সাথে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে যোগাযোগ করেনি। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের দিক থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তাদের সদিচ্ছার অভাবেই দুই বাংলার মিলন হলো না। আঘাত ভাষা প্রেমী মানুষের ভাবাবেগে।বিগত বছরগুলিতে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে নো-ম্যান্সল্যান্ডে ভারত বাংলাদেশ যৌথ ভাবে ভাষা দিবস উৎযাপন করে এসেছে। এই দিনে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া মলিন হয়ে যেত। থাকত না সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কড়া দৃষ্টি। সীমান্তে এসে মিলত হত দুই বাংলার অগণিত ভাষা প্রেমী মানুষ। কিন্তু এবার দেখা গেল না সেই মিলনের ছবি। একুশের দিনে কার্যত ফাঁকা পড়েই রইল জিরো পয়েন্ট। বাংলাদেশের বেনাপোলেও দেখা মিলল না বাংলাদেশিদের। অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ যারা পেট্রাপোল সীমান্ত এসেছিলেন তারাও ভারাক্রান্ত মনে ফিরলেন সীমান্ত থেকে। তবে সাধারণ মানুষের আবেগের কথা মাথায় রেখে প্রতিবছরের মতো এ বছরও ভারতীয় ভূখণ্ডে ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির যৌথ উদ্যোগে ভাষা দিবস উদযাপনের আয়োজন করা হয়। পেট্রাপোলে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে পুস্পার্ঘ নিবেদনের মধ্য দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫
রাজ্য

বিএসএফের পোষাক পরা তিন ব্যক্তি গ্রেফতার, মালদার বাংলাদেশ সীমান্তে তারা কি করছিলেন?

বিএসএফের পোষাক পরে পাচারের সময় ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা তিনজনকে আটক কা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়ছে দুইটি মোষ। উদ্ধার হয়েছে একটি নকল বন্দুক ও ধারালো অস্ত্র। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার ৮৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের পান্নাপুর সীমান্তে। ঘটনার পর থেকে ওই সীমান্ত এলাকায় কড়া প্রহরা শুরু হয়েছে। বিএসএফ সূত্রে খবর,ধৃতদেরকে ইতিমধ্যে হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মোষগুলিকে ই-ট্যাগিংয়ের পরে তুলে দেওয়া হয়েছে একটা সংস্থার হাতে। এদিন রাতে বেশ কয়েকজন পাচারকারী বিএসএফের পোষাক পরে ভারতে থেকে মোষ পাচার করছিল। সেই সময় ওই সীমান্ত এলাকায় প্রহরারত ৮৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ জওয়ানরা ঘটনা দেখতে পেয়ে ধাওয়া করলে তিনজন ভারতীয় পাচারকারীকে আটক করে।ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুইটি মোষ। দুইটি ধারালো অস্ত্র ইতিমধ্যে ধৃতদের হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে এবার বিএসএফের পোষাক পরে মহিষ পাচার বিএসএফের মাথা ব্যথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও বি এস এফের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে ঘটনার পর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিএসএফের দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগকারী অফিসার নীলোৎপল কুমার পান্ডে বলেন, চোরাচালান এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিএসএফ কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। সীমান্তে অবৈধ কার্যকলাপ রুখতে বিএসএফ সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জওয়ানরা সর্বদা সতর্ক এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বা চোরাচালানের যেকোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে প্রস্তুত।

ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
রাজ্য

উত্তর ২৪ পরগণায় বাংলাদেশ সীমান্তে ফেন্সিংয়ের তৎপরতা, ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক বিএসএফের

ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বিস্তীর্ণ অংশে এখনও কাঁটা তারের বেড়া নেই। সম্প্রতি মালদার বৈষ্ণবনগরের সীমান্ত এলাকায় শুধু বিএসএফের সঙ্গে বিজিবির নয়, দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় ফেন্সিং দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এদিকে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের সীমান্ত এলাকায় নানা জায়গায় কাঁটা তারের ফেন্সিং নেই। সেই এলাকায় কাঁটাতার দিতে গাইঘাটা ব্লক অফিসে বিএসএফ এর সঙ্গে বৈঠক করল ব্লক প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ-এর ৫ ও ১৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের আধিকারিকরা। তাছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গাইঘাটার বিডিও, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও ব্লকের ভূমি রাজস্ব দপ্তরে আধিকারিকরা। গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার বলেন, রামনগর এবং ঝাউডাঙা গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে সীমান্ত পড়ছে। এই এলাকায় কাটাতার দেওয়ার জন্য প্রায় ১০০ একর জমি কেনা হবে। জমি নিয়ে কোন সমস্যা নেই। জমি কেনার কাজ শুরু হয়েছে। গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাগচি বলেন, গাইঘাটা ব্লকে সীমান্তে কাটাতার দেওয়া নিয়ে কোন জমি জট নেই। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে জমি মাপা হয়ে যাবে।

জানুয়ারি ২১, ২০২৫
রাজ্য

মালদার গ্রামে ফসল লুঠের অভিযোগ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে, সীমান্তে দুই পাড়ের বাসিন্দাদের খন্ডযুদ্ধে ধুন্ধুমার

ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তেজনা যেন কিছুতেই থামছে না। এবার মালদার বৈষ্ণবনগর থানার সুকদেবপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফসল লুঠ করাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো। শনিবার ওপার সীমান্তের বাংলাদেশীরা এপারে প্রবেশ করে কৃষকদের ফসল লুঠ করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেশ কয়েকটি সীমান্তের আম গাছও কেটে ফেলে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিএসএফের ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে হয়। কিন্তু কর্তব্যরত জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর ছুড়ে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা। তাতেই দুই বিএসএফ জওয়ান জখম হন। এই দৃশ্য দেখে বসে থাকেনি সুকদেবপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা হাতে বাঁশ, লাঠি নিয়ে বাংলাদেশীদের ধাওয়া করে। তখনই পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যায় বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় বিজিবি(বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ) সদস্যদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১১ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত সুকদেবপুর সীমান্তে চলে দুই সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই পক্ষের সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীদের শূন্যে কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে হয় বলে অভিযোগ। যদিও বিএসএফের পদস্থ কর্তাদের উপস্থিতির পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। কিন্তু এই ঘটনার পর এখনও থমথেমে রয়েছে মালদার সুকদেবপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সুকদেবপুর গ্রামের গোপাল মন্ডল এবং তপন ঘোষের গমের জমির ফসল লুঠ করছিল বাংলাদেশীরা। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট এলাকার এক পঞ্চায়েত সদস্যের আম গাছ কেটে সাফ করে দেয় বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। সেই সময় প্রথমেই কর্তব্যরত বিএসএফের ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা বাধা দেয়। তখন ওপারের একশোরও বেশি বাংলাদেশীরা ইঁট, পাথর ছুঁড়ে বিএসএফের ওপর হামলা চালায়। এই পরিস্থিতির বিষয়টি সীমান্তের এপারের গ্রামবাসীদের নজরে আসতেই হাতে বাশ, লাঠি নিয়ে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে। তখনই মুহূর্তের মধ্যে দুই প্রান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে গোলমাল বেঁধে যায়। যদিও পরে বিএসএফের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকদেবপুর এলাকার তৃণমূল দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিনয় মন্ডল বলেন, এদিন শতাধিক বাংলাদেশীরা সুকদেবপুরের সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে গ্রামের দুই বাসিন্দা গোপাল মন্ডল ও তপন ঘোষের জমির ফসল লুঠ করেছিল। শুধু তাই নয়, ওরা আমার বাগানের ১৫টি আম গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছিল। তখনই সীমান্তে বিএসএফের ১১৫ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের কর্তব্যরত জওয়ানেরা প্রতিবাদ জানিয়ে বাধা দেয়। কিন্তু সেই সময় বিএসএফকে লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর ছোঁড়া হয়। তাতে দুই বিএসএফ জওয়ান জখম হন।

জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ফের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা, গুলি, পিঠটান পাচারকারীদের

ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা কিছুতেই কমছে না। ফের মালদার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে চললো গুলি। উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি গবাদি পশু। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের গোরুপাচার ঠেকাতেই বিএসএফের মহিলা জওয়ানদের গুলি ছুঁড়তে হয়। বুধবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। যদিও দুষ্কৃতীরা পাল্টা বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইঁট, পাথরত ছোড়ে। কিন্তু বিএসএফের প্রতিরোধে চোরাকারবারীর দল সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যায় বলে দাবি। এই ঘটনায় বিএসএফ পাঁচটি মহিষ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর থানার ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাঙ্গোলবান্দা সীমান্ত এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে এমন ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর নেই। বিএসএফ সুত্রে খবর, হবিবপুর থানার ধুমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারিতে রয়েছে বিএসএফের ৮৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জাওয়ানেরা। এদিন রাত আড়াইটা নাগাদ ওই এলাকার সীমান্তের কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়েই বাংলাদেশী দুষ্কৃতীরা গরু পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি নজরে আসতেই ৮৮ ব্যাটেলিয়নের কর্তব্যরত কয়েকজন মহিলা জওয়ান রুখে দাঁড়ায়। কিন্তু বাংলাদেশী দুষ্কৃতিরা অস্ত্র এবং ইঁট, পাথর ছুঁড়ে বিএসএফের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। এরপরই মহিলা জওয়ানদের তৎপরতায় পাল্টা মোকাবিলা করা হয়। দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্যে তিন রাউন্ডগুলি ছোঁড়া হলে গবাদি পশু ছেড়ে সীমান্তের ওপারে পালিয়ে যায় তারা। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ওপার সীমান্তের ১৫ থেকে ২০ জন সশস্ত্র একটি দুষ্কৃতীর দল জড়ো হয়েছিল। মালদার হবিবপুর সীমান্তের নাঙ্গোলবান্দা এলাকা দিয়ে গোরু মহিষ পাচারের চেষ্টা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু বিএসএফের প্রহরারত মহিলা জওয়ানেরা অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গেই বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের অপরাধ ঠেকিয়েছে। পরে উদ্ধার হওয়া ওই পাঁচটি গবাদি পশু হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।

জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
দেশ

চতুর্থ দফার নির্বাচনের আগে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শন বিএসএফের

আগামী ১৩ মে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে একটি বিস্তৃত সফর করেছেন এবং নির্দেশিকা দিয়েছেন বিএসএফ। সকল কর্মকর্তাকে নিজ নিজ স্তরে সীমান্তে সংঘটিত অপরাধের উপর কড়া নজর রাখতে এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সম্পূর্ণ সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সাথে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত এসব ইউনিটের বিএসএফ জওয়ানদের পূর্ণ সততার সাথে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।সফরের সময়, শ্রী গান্ধী, শ্রী আয়ুষ মণি তিওয়ারি, আইপিএস, আইজি, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের সাথে, বেহরামপুরের আঞ্চলিক সদর দফতর পরিদর্শন করেন এবং বর্ডার রোড বরাবর পদ্মা নদীর নিকটবর্তী সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। আশেপাশের এলাকার মাটি ক্ষয়ের একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করা হয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।উপরন্তু, শ্রী গান্ধী ১৪৯ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি কানাপাড়া এবং নির্মলচর পরিদর্শন করেন এবং কর্পস কমান্ড্যান্ট স্থানীয় পরিস্থিতি এবং প্রচলিত আন্তঃসীমান্ত অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক রবি গান্ধী কোম্পানী কমান্ডারদের সাথে মতবিনিময় করেছেন এবং সীমান্ত অপরাধ দমনে মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলির সাথে নিজেকে পরিচিত করেছেন।এরপরে, শ্রী গান্ধী ৭৩ ব্যাটালিয়নের একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল সীমান্ত চৌকি হারুডাঙ্গা পরিদর্শনে যান, যেখানে তাকে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার অস্থির এলাকা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ ও কার্যকলাপ প্রতিরোধে গৃহীত জোরালো ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন।তার মূল্যায়ন অব্যাহত রেখে, মিঃ গান্ধী ১৪৬ এবং ৮৬ ব্যাটালিয়নের সীমান্ত চৌকি ,মেঘনা এবং শিকারীপুর পরিদর্শন করেন এবং সেখানে অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলি যত্ন সহকারে মূল্যায়ন করেন।মিডিয়াকে সম্বোধন করে, শ্রী রবি গান্ধী সীমান্তের নিরাপত্তা এবং জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইস্টার্ন কমান্ডের অটল প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেন। তিনি আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবেলায় এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সক্রিয় পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

মে ১১, ২০২৪
রাজ্য

প্রতিবেশী নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে কুড়ি বছরের জেল ও নগদ জরিমানার আদেশ কালনা কোর্টের

প্রতিবেশী দশ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবকের বিরুদ্ধে কুড়ি বছরের জেল এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায় আরও ছয় মাস জেলের সাজা ঘোষণা করল আদালত। শুক্রবার কালনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুধীর কুমার এই সাজা ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত সুব্রত হালদারের বাড়ি কালনা থানার সাতগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষপল্লী গ্রামে।গত ২০২০-র ১৪ ই অক্টোবর সন্ধ্যাবেলায় প্রতিবেশী ওই নাবালিকা মুদিখানা দোকানে গিয়েছিল। ফেরার পথে আসামি সুব্রত হালদারের সঙ্গে ওই নাবালিকার দেখা হয়। সুব্রত একটা মোবাইল দেখিয়ে নাবালিকাকে বলে চার্জ ফুরিয়ে গেছে, তুই এটা বাড়িতে দিয়ে আয়। সরল বিশ্বাসে মেয়েটি তার বাড়িতে মোবাইল পৌঁছে দিতে গেলে সুব্রতও চুপিসারে পিছন পিছন বাড়ি ফিরে আসে। নিজের বাড়ির ভিতরে পেঁপে গাছ তলায় তাকে ধর্ষণ করে।বাড়ি ফিরে নাবালিকা বাড়িতে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার মাকে সব খুলে বললে পরিবার তরফে কালনা থানায় অভিযোগ লিপিবদ্ধ করা হয়। কালনা থানার পুলিশ সুব্রত হালদারকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এ বি এবং পস্ক আইনের ৪ উপ-ধারায় মামলা রজু করে। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন পুলিশ অফিসার সোমনাথ নস্কর। এই মামলায় তদন্তকারী অফিসার সহ ১৬ জনের সাক্ষ্যদানের পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।কালনা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুধীর কুমার শুক্রবার তাকে কুড়ি বছর জেল এবং দশ হাজার টাকা জরিমানার রায় ঘোষণা করেন। অনাদায় আরও অতিরিক্ত ছয় মাসের জেলের সাজা দেন। সরকারি আইনজীবী মলয় পাঁজা বলেন, এই মামলার রায়ে সমাজে একটা বার্তা পৌঁছালো যে, নাবালিকার উপর অত্যাচার করলে তার পরিণতি এটাই হবে। তবে নির্যাতিতা ওই মহিলা কেস চলাকালীন আত্মহত্যা করেন এই ঘটনার চাপ সহ্য করতে না পেরে। যদিও তার আগেই এই কেসের তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছিল। নির্যাতিতা নাবালিকার মা এদিন শুক্রবার কালনা আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন আমার মেয়ে বেঁচে থাকলে আমি আজ আরও খুশি হতাম।

আগস্ট ২৬, ২০২২
দেশ

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে সুপ্রিম রায়, তোলপাড় রাজনৈতিক মহল

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে অন্তর্বর্তী রায় দিয়ছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের শুনানিতে বলেছে, কেন্দ্র পুনর্বিবেচনা না করা পর্যন্ত এই আইনে নতুন কোনও মামলা নয়। কেন্দ্রীয় সরকার যত দিন না ১২৪ এ ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহ আইন পুনর্বিবেচনা করছে ততদিন পর্যন্ত এই ধারায় কোনও মামলা করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। একদিকে বিজেপি রাষ্ট্রদ্রোহ আইন থাকা নিয়ে গলা ফাটাচ্ছে অন্যদিকে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি ওই আইন তুলে দেওয়া নিয়ে জোরালো দাবি তুলেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি তো এই আইন পুরোপুরি তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।এদিন রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে এই ধারায় কোনও এফআইআর, তদন্ত বা কড়া পদক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে। আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটে বলেছেন, সত্যি কথা বলা সব সময় দেশভক্তির পরিচয় দেয়। আর সত্যি কথা শোনার ক্ষমতা রাখা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। সত্যকে অস্বীকার করা ঔদ্ধত্যের লক্ষ্মণ। কাজেই এই নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, সত্যের জয় হবেই। এর পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুখেন্দুশেখর রায় এদিন বলেছেন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তুলে দেওয়া উচিত।এদিনের রায়ে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা কিরণ রিজিজু বলেছেন, একটা বিষয় আমাকে অবশ্যই বলতে হবে, আমরা আদালত এবং আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি, তবে তার একটি লক্ষ্মণ রেখা রয়েছে। উষ্মা প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলি বহুকাল থেকেই এই আইন তুলে দেওয়ার পক্ষে আন্দোলন করে চলেছে। তারাও আপাতকালীন এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তাঁরা চাইছেন সম্পূর্ণভাবে যেন এই আইন তুলে দেওয়া হয়। ব্রিটিশরা নেই অথচ তাঁদের আইন বইছে দেশ। খোদ ইংল্যান্ডে এই আইন তুলে দেওয়া হয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনমুক্ত বেশিরভাগ দেশ এই আইন তুলে দিয়েছে।

মে ১১, ২০২২
রাজ্য

বামেদের আইন অমান্য আন্দোলনে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ধুন্ধুমার কান্ড বর্ধমান শহরে

পূর্ব বর্ধমান জেলা বামপন্থী গণসংগঠণের ডাকে আইন অমান্য ঘিরে প্রবল উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমান শহরে। মঙ্গলবার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ব সহ একাধিক দাবীতে আইন অমান্যর ডাক দেয় জেলার বামপন্থী গণসংগঠনসমূহ। বর্ধমান রেল স্টেশন থেকে মিছিল করে এসে কার্জনগেটে আইন অমান্য করে তারা। কার্জনগেটে পুলিশের একটি ব্যারিকেড ভেঙে দেয় তারা। দ্বিতীয় ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা হলে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আটক করে। কর্মসূচিতে ছিলেন সিপিএম নেতা অমল হালদার, সৈয়দ হোসেন,তাপস সরকার সহ অন্যান্যরা বামপন্থী নেতৃত্বরা। অমল হালদার জানান, আমরা একটার পর এক ব্যারিকেড ভেঙে আমাদের আইন অমান্য আন্দোলন করলাম, কিন্তু আইন অমান্য যে করছি! আমাদের দেশে কি আদও আইন বলে কিছু আছে? আনিশ খান মারা গেলো, বর্ধমানে তুহিনা বলে এক ছাত্রী মারা গেলো। আরও অবাক ব্যাপার সেই ছাত্রীর আত্ম্যহত্যায় প্রোরচনা দেওয়া আসামী এসডিও-র কাছে শপথ বাক্য পড়ে এলেন। তিনি মনে করেন এই মুহূর্তে আমাদের দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই।তিনি আরও বলেন, সোমবার রাতে রামপুরহাটে ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক গণহত্যায় প্রায় ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়। একজন তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান-র হত্যার বদলি ১০ টি তাজা প্রান চলে গেলো। তিনি জানান আজকের এই আইন অমান্য ২৮ ও ২৯ তারিখের ধর্মঘট কে সফল করার জন্য। ১২ দফা দাবী নিয়ে এই ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি বামজোট এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। সাধারণ মানুষকে দেশের এই ভয়াবহ দুর্দিনে এগিয়ে এসে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।অমল হালদার আক্ষেপের সুরে বলেন সারা দেশে একের পর এক রাষ্টায়ত্ত কল কারখানা বন্ধ হচ্ছে। হু হু করে বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন রাষ্টায়ত্ত কল কারখানা বেসরকারিকরন ও বিলগ্নিকরন হচ্ছে। মানুষ তাঁর ফসলের ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না। ক্ষেত মজুরদের কাজ বন্ধ সহ একাধিক দাবী তোলেন এই আইন অমান্য আন্দোলন থেকে।রামপুরহাট কান্ড নিয়ে বীরভূমের অবিসংবাদিত তৃণমূল নেতা অনুব্রত-র মন্তব্য নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বাম নেতা আমল হালদার জানান, অনুব্রত যা বলেছেন তা তিনি বিশ্বাস করেন না, কারন একটা বাড়িতে টিভি ফেটে আগুন লাগতে পারে, পর পর ১০-১২ টা বাড়িতে একসাথে টিভি ফেটে আগুন লেগে এত মানুষের মৃত্যু! তিনি আক্ষেপ করে বলেন এই পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে কোনও আইন নেই, গোটা পশ্চিমবঙ্গ তছনছ হয়ে গেছে।

মার্চ ২২, ২০২২
বিদেশ

ভারতীয়দের রাতেই খারকিভ ছাড়ার সতর্কবার্তা দিল্লির

যে কোনও মুহূর্তে শুরু হতে পারে রুশ বাহিনীর ফাইনাল অ্যাসল্ট। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের খারকিভে থেকে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের বুধবার সন্ধ্যার (স্থানীয় সময়) মধ্যে এলাকা ছাড়ার জন্য নির্দেশিকা পাঠাল কিভের ভারতীয় দূতাবাস। রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে আজ অবধি প্রায় ২ হাজারেরও বেশি নাগরিক মারা গিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষের তরফে।URGENT ADVISORY TO ALL INDIAN NATIONALS IN KHARKIV.FOR THEIR SAFETY AND SECURITY THEY MUST LEAVE KHARKIV IMMEDIATELY.PROCEED TO PESOCHIN, BABAYE AND BEZLYUDOVKA AS SOON AS POSSIBLE.UNDER ALL CIRCUMSTANCES THEY MUST REACH THESE SETTLEMENTS *BY 1800 HRS (UKRAINIAN TIME) TODAY*. India in Ukraine (@IndiainUkraine) March 2, 2022টুইটারে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে দ্রুত খারকিভ ছাড়ুন। চূড়ান্ত সময়সীমা সন্ধ্যা ৬টা (আন্তর্জাতিক সময় রাত ৯টা)-র মধ্যে পিসোচিন, ববই বা বেজলিউদিভকা শহরে পৌঁছানো উচিত। প্রয়োজন হলে পায়ে হেঁটে। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের নিকটতম শহর পিসোচিনের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার।যদিও খারকিভে আটক ভারতীয় পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন, লাগাতার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানহানার মধ্যে পায়ে হেঁটে ১১ কিলোমিটার কার্যত অসম্ভব। প্রসঙ্গত, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে ইতিমধ্যেই কিভের ভারতীয় দূতাবাসও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রুশ বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হানা এড়াতে সোমবারই খারকিভে আটক ভারতীয়দের ট্রেনে করে ইউক্রেনের পড়শি দেশগুলিতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কারণ, গাড়িতে গেলে যুদ্ধবিমানের নিশানা হওয়ার সম্ভাবনা। কিন্তু খারকিভ স্টেশনে আটক বহু ভারতীয় এখনও ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার খারকিভ শহরেই রুশ বাহিনীর বোমাবর্ষণে ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়া নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধরের মৃত্যু হয়েছিল।

মার্চ ০২, ২০২২
দেশ

ইউক্রেন সীমান্ত পার করতে গিয়ে চরম হেনস্থার মুখে ভারতীয় পড়ুয়ারা

প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই কোনও মতে ইউক্রেন থেকে দেশে ফিরেছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। তবে পড়াশোনার জন্য যে দেশে গিয়েছিলেন, কঠিন পরিস্থিতিতে সেই দেশ ছেড়ে আসার সময় অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখদায়ক হল না অনেক ভারতীয় পড়ুয়ারই। দেশের মাটিতে পা রাখার পর অধিকাংশ পড়ুয়ার অভিযোগ, পোল্যান্ড সীমান্তে পৌঁছতেই বাধা দেয় ইউক্রেনীয় সীমান্তরক্ষীরা। উদ্ধারকারী বিমান ধরার জন্যই তারা সীমান্ত পার করছেন, এই কথা জানানোর পরও অনেককে সীমান্ত পার করতে দেননি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তে আটকে থাকা পড়ুয়াদের হেনস্থার শিকার হতে দেখা যাচ্ছে।সম্প্রতিই সামনে এসেছে এমনই একটি ভিডিও, যেখানে দেখা যাচ্ছে এক পড়ুয়া সুটকেস টেনে আনছেন। আচমকাই পিছন থেকে এক ইউক্রেনীয় সেনা এসে সুটকেসে লাথি মারেন। ওই পড়ুয়া ভারতীয়ই ছিলেন কিনা, সে সম্পর্কে জানা না গেলেও, ওই সীমান্তে আটকে থাকা বহু পড়ুয়াই অভিযোগ করেছেন যে ভারতীয়দের নিত্যদিন হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে।Whatever at this point seeing the harrasment of unkrainian soldiers against Indian students (basically until yesterday they contributed to their GDP immensely).I cannot morally support such pedestrian people. Who harass ordinary citizens to create political pressure on govt.✌🏼 pic.twitter.com/ND62gGSoAY Prakash (@IamPrakashNaidu) February 27, 2022এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে মানসী চৌধুরী নামক ইউক্রেনে আটকে থাকা এক পড়ুয়া বলেন, প্রতিদিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। এরা আমাদের উপর অত্যাচার করছে। ভারতীয় পড়ুয়াদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। ইউক্রেনের সেনারা আমাদের সীমান্ত পার করে পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। প্রত্যেকটি মহিলা পড়ুয়াকে হেনস্থা করা হচ্ছে, আমাদের চুল ধরে টানা হচ্ছে, রড দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। বেশকিছু মহিলার গুরুতর আঘাত, এমনকি হাত বা পা ভেঙেও গিয়েছে।ওই ছাত্রী আরও যোগ করে বলেন, ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধিরা আমাদের খাবার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছেন। কিন্তু ইউক্রেনের সীমান্তরক্ষীরা আমাদের পোল্যান্ডে যেতে দিচ্ছে না। গেলেই রড নিয়ে আক্রমণ করতে আসছে। গতকাল তো গুলিও চালিয়েছে।দীক্ষা পাণ্ডে নামক অপর এক পড়ুয়াও বিগত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতাকে বিভীষিকাময় বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, সীমান্তে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন, তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মেয়েদের চুলের মুঠি ধরে মারধর করা হচ্ছে। জানি না কেন এই ধরনের হিংসাত্নক রূপ ধরেছে সেনারা।

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

খুন ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় যুক্ত তিন কুখ্যাত দুস্কৃতীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা

ছিনতাই ও খুনের মামলায় তিন দুস্কৃতীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিল আদালত। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ফাস্ট ট্রাক আদালতর বিচারক রাজশ্রী বসু অধিকারী বৃহস্পতিবার এই সাজা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের ৬ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শাস্তি প্রাপকরা হল নাসিম শেখ, আবু বক্কর ও চন্দন শেখ। এদের প্রত্যেকের বাড়ি কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রামের মহুলা গ্রামে। নিহতের স্ত্রী আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। মামলার সরকারি আইনজীবী স্বরোজ দাস জানিয়েছেন, নৃশংস হত্যাকাণ্ডটি প্রায় চার বছর আগে ঘটে। সেই মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর বয়ান আদালতে রেকর্ড করা হয়। বিচার প্রক্রিয়া শেষে তিনজন দোষী সাব্যস্ত হয়। এদিন বিচারক অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ শোনান। মামলার দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ র ১৪ জুন রাত্রে। ওইদিন দুই বন্ধু কৃষ্ণগোপাল সরকার এবং অনুপম পাত্রকে মুর্শিদাবাদের সালার স্টেশন থেকে বাইকে চাপিয়ে নিয়ে সুখময় মিস্ত্রি কেতুগ্রামের আনকোনা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে কেতুগ্রামের ইছাপুর ও মহুলা গ্রামের মাঝামাঝি রাস্তায় কয়েকজন দুস্কৃতি সুখময় সহ বাইক আরোহীদের উপর ইঁট ও বাঁশ দিয়ে আক্রমণ করে। দুস্কৃতিরা ইঁট দিয়ে মেরে কৃষ্ণগোপাল ও অনুপমকে জখম করে। পরে দুষ্কৃতীরা বাঁশের লাঠি দিয়ে সজোরে সুখময় মিস্ত্রির মাথায় আঘাত করে। তাতে সুখময়বাবুর মৃত্যু হয়। এরপর দুস্কৃতীরা সুখময়বাবুর পকেট থেকে তাঁর মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তা দেখে জখম অবস্থাতেই কৃষ্ণগোপাল ও অনুপম চিৎকার চেঁচামিচি শুরু করে দিলে দুস্কৃতিরা ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। এরপর ১৮ জুন মৃতর স্ত্রী চিত্রা মিস্ত্রি কেতুগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে চিত্রাদেবী পুলিশকে জানান, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে সুখময়ের মা করুনাময়ী মিস্ত্রি ও ভাই মৃণ্ময় মিস্ত্রি সুপারি কিলার লাগিয়ে সুখময়কে খুন করিয়েছে। মৃতের স্ত্রীর এমন অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সুখময় বাবু মালদায় রেলের এক ঠিকাদার সংস্থায় সুপারভাইজারের কাজ করতেন। সেইজন্য সুখময় তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে মালদাতেই থাকতেন। যদিও তদন্ত বেশ খানিকটা এগিয়ে নিয়ে যাবার পর পুলিশ নিশ্চিৎ হয় সম্পত্তি নিয়ে সুখময়েয় পরিবারে কোনও গোলমাল ছিল না ছিনতাইয়ের উদ্দ্যেশেই দুস্কৃতিরারা সুখময়কে খুন করেছে। এরপরেই খুনের ঘটনায় জড়িত দুই কুখ্যাত অভিযুক্তকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। পরে মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করে চন্দন শেখ নামে অপর দুস্কৃতীকে।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
কলকাতা

নজিরবিহীন নির্দেশ হাইকোর্টের, ৩৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বাকে গর্ভপাতের অনুমতি

৩৫ সপ্তাহের গর্ভবতী এক মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল হাইকোর্ট। শারীরিক সমস্যার কারণেই এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট এই নজিরবিহীন নির্দেশ দিয়েছে। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। গর্ভপাতের জন্য নিজেই আবেদন করেছিলেন ওই মহিলা। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সুতপা সান্যাল। রাজ্য সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখেই এই গর্ভপাতে অনুমোদন দেয়নি রাজ্য সরকার। এরপরই ওই মহিলা আদালতের দ্বারস্থ হন।আদালতের নির্দেশে এ ভাবে গর্ভপাত করানোর ঘটনা নতুন নয়। যদিও ৩৫ সপ্তাহ পর এই অনুমতি অনেকটাই নজিরবিহীন। গর্ভবতী মহিলার সম্মত্তি নিয়েই বুধবার এই নির্দেশ দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।উত্তর কলকাতার বাসিন্দা এক মহিলা এই আবেদন জানিয়েছিলেন। বিয়ের পর থেকেই শারীরিক সমস্যা ছিল তাঁর। বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও সন্তান হয়নি তাঁর। অবশেষে অনেক চিকিৎসার পর তিনি গর্ভবতী হন। কিন্তু সন্তান গর্ভে ধারণ করার পর থেকেই শুরু হয় ফের সমস্যা। সময় যত বাড়তে থাকে সমস্যাও তত বাড়তে থাকে।মামলাকারী বর্তমানে ৩৫ সপ্তাহের গর্ভবতী। বহু বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে তাঁর। যদি না এই মুহূর্তে গর্ভপাত করানো হয়, তাহলে মায়ের জীবনের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। গর্ভস্থ সন্তানেরও শারীর সমস্যা রয়েছে। তাই গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।২০২১ সালের গর্ভপাত আইন সংশোধনী অনুযায়ী, ধর্ষিতা, নাবালিকা, শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে অথবা স্বামী মারা গিয়েছেন বা ডিভোর্স হয়েছে, এমন প্রসূতিদের গর্ভপাত করানো যাবে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে। গর্ভস্থ ভ্রূণের বিশেষ ত্রুটি থাকলেও করানো যাবে গর্ভপাত। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও এই আইন প্রযোজ্য। সব ক্ষেত্রেই একটি মেডিক্যাল বোর্ড শারীরিক অবস্থা দেখে চূড়ান্ত অনুমতি দেবে। সেই অনুসারেই ৩৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে এদিন গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

Suspended Festival: করোনা আবহে স্থগিত বর্ধমান পৌরসভার বার্ষিক উৎসব

করোনা আবহে আপাতত বর্ধমানে বর্ধমান পৌর উৎসব স্থগিত ঘোষণা করে দিল বর্ধমান পৌরসভা। আবার কবে এই উৎসব হবে তা এখনও জানায়নি পৌর কতৃপক্ষ। জানুয়ারিতেই বর্ধমান পৌর উৎসব হওয়ার কথা ছিল, মেলার জন্য ২২ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য্য করা হয়েছিল। মেলা পরিচালনা জন্য যোগ্য সংস্থার কাছে থেকে দরপত্র নেওয়ার পদ্ধতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। মেলার বিষয়ে মতামত নেওয়ার জন্য গত ২২ ডিসেম্বর বংশগোপাল টাউন হলে শহরের নাগরিক বৃন্দ ও বিশিষ্ট মানুষদের নিয়ে এক সভা আয়োজন করা হয় বর্ধমান পৌরসভার পক্ষ থেকে।বর্ধমানের উপ-পৌরপ্রশাসক আইনুল হক বলেন, করোনার বিধিনিষেধ জারি রয়েছে রাজ্যে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করা খুব জরুরি। আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে এই উৎসব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে। এই মুহুর্তে মানুষের স্বাস্থ্যই পৌরসভার কাছে মূল প্রাধান্য।এই মুহুর্তে বর্ধমান শহর ও সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় করোনা আক্রান্তের খবর আসছে। মনে করা হচ্ছে করোনা-র তৃতীয় ঢেউ যেভাবে সারা বিশ্বে আছড়ে পরেছে তাঁর থেকে এই শহরও বাদ যাবে না। উপ-পৌরপ্রশাসক আইনুল হক বলেন, আমাদের সদা সতর্ক থাকতে হবে, মাস্ক না পড়ে বাইরে বেরোবেন না, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। শরীর খারাপ বুঝলে পৌর-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

জানুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

School Open in Kalna: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পূর্ব বর্ধমানে বেসরকারি স্কুলে মৌখিক পরীক্ষা, ক্ষুব্ধ প্রশাসন

নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় রাজ্য সরকার সোমবার থেকে স্কুল কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেছে। কিন্তু সেই সরকারী নির্দেশকে উপেক্ষা করে মঙ্গলবার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হল পূর্ব বর্ধমানের কালনার জিউধরা এলাকার একটি বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে। এই ঘটনা কথা জেনে বেজায় ক্ষুব্ধ হন কালনার মহকুমা শাসক সুরেশ কুমার জগৎ। তিনি ওই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ করোনাকালে বাড়ি বাড়ি খাবার পাঠাবে রাজ্যকালনার মহিষমর্দিনী গার্লস ইন্সটিটিউশন ও কালনা হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া এদিন বিদ্যালয়ে এসেছিল প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠানে রিহার্সালের জন্য। আবার বই জমা দেওয়ার জন্যও কিছু পড়ুয়া স্কুলে আসে। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের ফিরিয়ে দেয়। তারই মধ্যে এদিন উল্টো চিত্র ধরা পড়ে কালনার জিউধরার বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে একাদশ ও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দ্বাদশ শ্রেণির মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

জানুয়ারি ০৪, ২০২২
দেশ

Farmer Protest Withdrawn: অবশেষে জয়! সিঙ্ঘু সীমান্তে প্রত্যাহার কৃষক আন্দোলন

দিল্লি সীমানায় ১৫ মাস ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে আপতত ইতি টানলেন কৃষকরা। শনিবার সিঙ্ঘু সীমানা থেকে তাঁবু সরিয়ে নেওয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন সংযক্ত কৃষক মোর্চা নেতারা। তাঁদের প্রধান দাবি মেনে নরেন্দ্র মোদি সরকার তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরেও কৃষক সংগঠনগুলি ছদফা দাবি তুলেছিল। সেই সব দাবি মানতে রাজি হলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তারির দাবি মানছে না সরকার। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের কাছে থেকে চিঠি এসে পৌঁছয় কৃষকদের কাছে। এর পরই কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরকে পাশে নিয়ে আন্দোলন তোলার সিদ্ধান্ত নেন।কেন্দ্র চিঠিতে জানিয়েছে, আন্দোলনের সময় কৃষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারে বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ। কেন্দ্রীয় সংস্থাও সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। অন্য রাজ্যগুলিকে এ নিয়ে অনুরোধ জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুৎ আইন সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে কৃষকদের আপত্তির বিষয়গুলি নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা হবে। তার আগে ওই বিল সংসদে পেশ হবে না। খড় পোড়ানো বন্ধ করার আইনে কৃষকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের ধারা আগেই প্রত্যাহার করা হয়েছে।চিঠিতে কেন্দ্র নিজে আন্দোলনে মৃত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস না দিলেও জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা আগেই ক্ষতিপূরণে সম্মতি জানিয়েছে।আন্দোলন প্রত্যাহার করার ঘোষণার পাশাপাশি শনিবার সকাল ৯টায় সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমানায় একটি বিজয় মিছিল বার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকরা।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
কলকাতা

Earthquake: কাকভোরে কেঁপে উঠল কলকাতা, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.১

শুক্রবার ভোরে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারত-মায়ানমার সীমান্ত। দেশের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১।ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ-সহ কলকাতাও। শুক্রবার ভোর সওয়া ৫টা নাগাদ কলকাতায় অনুভূত হয় কম্পন। কম্পনের স্থায়িত্ব ছিল ৩০ সেকেন্ড। কেন্দ্রীয় মৌসম ভবন জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল মিজোরামের থেনজল থেকে ৭৩ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে ও ১২ কিমি গভীরে। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে উৎসস্থল ১৭৪ কিমি পূর্বে। অসম, ত্রিপুরা এবং প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির খবরও পাওয়া যায়নি। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেটের মতো জায়গা কেঁপে উঠেছে।ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমলজির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার কাকভোরে কেঁপে ওঠে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা। ভোর ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ এই ভূকম্পন হয়। এখনও কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। যেহেতু রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ৬ পার করে গিয়েছে, তাই বিশেষজ্ঞদের পরিভাষায় এই ভূমিকম্প ভেরি স্ট্রং বা অতিরিক্ত তীব্র হিসাবেই ধরা হচ্ছে।

নভেম্বর ২৬, ২০২১
কলকাতা

BSF: বিএসএফের ক্ষমতাবৃদ্ধি-বিরোধী প্রস্তাব পাশ বিধানসভায়

বিএসএফ-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আজ সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায়। ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গেল সেই প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি তৃণমূল সরকারের। এই ইস্যুতেই এ দিন সরব হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়কেরা। এই প্রসঙ্গে বিধানসভার পরিষদীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ক্রমশ সীমান্তবর্তী নয়, এমন এলাকাতেও ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে বিএসএফ-এর। এ দিন ভোট দেননি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার। এই ইস্যুতে এ দিন বিধানসভায় সরব হন উদয়ন গুহ, তাপস রায়-সহ তৃণমূল বিধায়কেরা।এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এই বিধানসভায় যেহেতু তৃণমূলের সংখ্যগরিষ্ঠতা আছে, তাই কোনও দিন আমরা হয়ত দেখব ভারতের সীমান্ত সুরক্ষার বিরুদ্ধে এরা প্রস্তাব পাশ করবে, কোনও দিন ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এরা প্রস্তাব পাশ করবে। বলবে ভারতের কোনও সুরক্ষার দরকার নেই। এরা ভুলে যায় যে এটা পশ্চিমবঙ্গের সুরক্ষার বিষয় নয়, ভারতের সুরক্ষার বিষয়। তৃণমূল সরকার বিধানসভায় বসে অধিকার বহির্ভূত চর্চা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, এ ভাবে তৃণমূল শত্রুদের ইন্ধন জোগাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে। সরকারের এই প্রস্তাব নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

নভেম্বর ১৬, ২০২১
রাজ্য

Firecrackers Ban: সবরকমের বাজি নিষিদ্ধ করে কী জানাল হাইকোর্ট?

দীপাবলি ও ছটে সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সব ধরনের বাজিতেই এবার নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এমনকী শব্দবাজি না হলেও তা পোড়ানো যাবে না। কোনও ধরনের ফায়ার ক্র্যাকার্সই ব্যবহার করা যাবে না।পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজিও এবার নিষিদ্ধই বলে জানাল আদালত। কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজোতে কোনওরকম বাজিই ফাটানো যাবে না বলে নির্দেশ আদালতের।শুক্রবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চে উৎসবের মরশুমে বাজি পোড়ানো নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, সবুজ বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্স কোনও রকম ক্ষতি করে না, এমন প্রমাণ মেলেনি। সবুজ বাজি পরীক্ষা সম্ভবও নয়। তাই অতিমারিকে মাথায় রেখে এবং এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের কথা ভেবে এবার পুজোয় সবরকমের বাজিই নিষিদ্ধ করা হল।একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ, বাজি যে ব্যবহার হচ্ছে না সেটা দেখবে রাজ্য। কালীপুজো, দীপাবলি, জগদ্ধাত্রী পুজো, ছটপুজোর পাশাপাশি ক্রিসমাস কিংবা নিউ ইয়ারেও বাজি ব্যবহার চলবে না। তবে অবশ্যই প্রদীপ জ্বালানো যাবে। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের অবকাশকালীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।গতবারও বলা হয়েছিল, বাজিও ফাটানো যাবে না পুজোয়। হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল কোনও বাজি বিক্রিও করা যাবে না। অর্থাৎ রাজ্যজুড়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বাজি। কালীপুজো, দীপাবলির পাশপাশি ছটপুজোতেও বাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। এবারও সেই পথেই হাঁটল কলকাতা হাইকোর্ট।

অক্টোবর ২৯, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Mordern Nari : সন্দীপ্তা এবার 'মর্ডান নারী'

৬ অক্টোবর মহালয়ার দিন নতুন প্রযোজনা সংস্থা মিষ্টি দই আনলিমিটেড-এর প্রথম প্রোজেক্ট মিউজিক ভিডিও মর্ডান নারী লঞ্চ হয়ে গেল। মিউজিক ভিডিওর পরিচালক দীপাঞ্জন রায়। প্রযোজনা করেছেন অম্লান সেন। অদিতি বোসের সঙ্গীত পরিচালনায় এই মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন সকলের প্রিয় সন্দীপ্তা সেন। গান গেয়েছেন উজ্জয়িনী।পরিচালক দীপাঞ্জন রায় মর্ডান নারী মুক্তির দিন যে খুব এক্সাইটেড ছিলেন সেটা তার কথা শুনেই বোঝা গেল। তিনি জানালেন,দুর্গাপুজোর আগে ক্রিয়েটিভ একটা প্রোজেক্ট করতে চেয়েছিলাম। ক্রিয়েটিভ ড্যান্স নাম্বার। যেটা আর ৪-৫টা প্রোজেক্টের থেকে একটু আলাদা হবে। আমাদের এই কাজটা পুরো একটা প্যাকেজ। আর আজকের দিনে আমার প্যাকেজটাই চাই। আজ স্ট্রিমিং হলো। ভীষণই ভালো লাগছে। বাকিটা দর্শকদের কেমন লাগে সেটাই দেখার।মর্ডান নারী-র কেন্দ্রীয় চরিত্র সন্দীপ্তা সেন জানালেন,আমি সবসময় অন্য ধরণের কাজ করতে ভালোবাসি। আমি যে কাজ করেছি তার থেকে আলাদা একটা কাজ। মিউজিক ভিডিও তো ভালোই লাগে। আর সেটা যখন ড্যান্স নাম্বার হয় তখন আরও ভালো লাগে। আমি ড্যান্স করতে ভীষণ ভালোবাসি। গানটায় আমার তিনটে লুক রয়েছে। তিন ধরনের পার্টে দর্শকরা আমাকে দেখতে পাবেন। সেটা খুব ভালোলাগার একটা জায়গা।দুর্গাপুজোর আগেমর্ডান নারী এই ভিন্নধারার প্রোজেক্ট দর্শকদের অন্য এক মিউজিক ভিডিও উপহার দিচ্ছে। যে মিউজিক ভিডিও মহিলাদের নতুন উদ্যম যোগাবে। তাই এবার পুজোয় বেশ কিছু আইটেম-সং এর মধ্যে অভিনবত্বের ছাপ রেখেছে মর্ডান নারী।

অক্টোবর ০৭, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal