অমিত শাহ ঘুরে গিয়েছেন কয়েক দিন আগেই। এ বার খড়গপুরে প্রচারে নরেন্দ্র মোদি।একদিনের ব্যবধানে ফের একবার বঙ্গে পা রাখলেন তিনি। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ কলাইকুণ্ডা বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। সেখান থেকে গাড়িতে চেপে বেলা ১১টা বেজে ৩৫ মিনিট নাগাদ বিএনআর মাঠে পৌঁছন। বঙ্গের আসন দখল করতে অভিনেতা হিরণকে খড়গপুরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতি সেখানে পদযাত্রা করে গিয়েছেন অমিত শাহ। এবার সভা করতে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বঙ্গে ভোটের বাজার মাতিয়ে রেখেছে শাসকদলের খেলা হবে স্লোগান। তৃণমূলের ছোট-বড় নেতারা তো বটেই, খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গিয়েছে এই স্লোগান। যা গত কয়েক মাসে প্রচারে সামান্য অ্যাডভান্টেজই দিচ্ছিল শাসক শিবির। এবার তৃণমূলের সেই খেলা হবে স্লোগানের পালটা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পুরুলিয়ার সভা থেকে মোদি জানিয়ে দিলেন, কোনও রকম খেলা নয়, বিজেপি শুধু উন্নয়নের কথা বলবে। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ভয় দেখানো দিদির অস্ত্র। যে কারণে খেলা হবে স্লোগান দেখিয়ে ভীতির সৃষ্টি করা হচ্ছে।পুরুলিয়ার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর হুংকার, অত্যাচার অনেক করেছ দিদি। ভয় দেখানোই তোমার অস্ত্র। রুখে দাঁড়াবে বাংলার মানুষ। মা দুর্গার আশীর্বাদে বাংলার মানুষ করবে তোমাকে পরাস্ত। তৃণমূলের জনপ্রিয় স্লোগানকে কটাক্ষ করে মোদি বললেন, বাংলায় তৃণমূলের হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি আছে। সেটা বুঝতে পেরেই দিদি বলছেন, খেলা হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে চাকরি হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে শিক্ষা হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে মহিলাদের উত্থান হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে যুব শক্তির প্রকৃত উত্থান হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে সোনার বাংলা তৈরি হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে প্রত্যেক ঘরে জল হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে হাসপাতাল হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে, স্কুল হবে দিদি, স্কুল হবে।নতুন এই স্লোগান তোলার পরই মোদির কটাক্ষ, ও দিদি বাংলায় খেলা এবার শেষ হবে। বিকাশ আরম্ভ হবে। দিদির বাংলার মানুষের থেকে বেশি খেলার চিন্তা। দিদি ভুলে গিয়েছেন, এবার গোটা বাংলা আপনার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে। চুরির খেলা আর হবে না দিদি। নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়া নিয়ে এতদিন মুখ না খুললেও এদিন মমতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দিদি আমাদের চোখে আপনিও বাংলার মেয়ে। আপনাকে আমরা সম্মান করি। ভগবানের কাছে প্রার্থনা তুমি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাও। কিন্তু সুস্থতা কামনা করেও মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনাকে পরোক্ষে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মোদি। বলেছেন, কলকাতার ব্রিগেড র্যা লির পর কী কী হচ্ছে, সেটা আপনারাও দেখছেন, গোটা দেশ দেখছে। ১০ বছর তোষণের পর, মানুষের উপর অত্যাচারের পর হারার ভয়ে দিদি কেমন বদলে গিয়েছেন।
কোনও দলের নাম না করে নিজের আগের ভুল সিদ্ধান্তের কথা বললেন। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে বিজেপি-তে যোগ দিয়ে মিঠুন স্পষ্ট বলেন, তাঁর আগের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। তাঁর কথায়, কারও দিকে আঙুল তুলতে চাই না। কাউকে দোষও দিচ্ছি না। আমারই সিদ্ধান্তে ভুল ছিল।প্রসঙ্গত, ব্রিগেডের সভার পরে মঞ্চের পিছনে মিঠুনের সঙ্গে আলাদা করে অন্তত ১৫ মিনিট কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মিঠুনের কথায়, ওঁর সঙ্গে আমার খুব ভাল আলোচনা হয়েছে। সব কথা তো প্রকাশ্যে বলা যায় না। তাঁর আরও বক্তব্য, বাংলায় বিজেপি যথেষ্ট জায়গা তৈরি করেছে। বাংলার মানুষ বিশ্বাস করছে, ওরা রাজ্যের জন্য ভাল কিছু করবে। তারা ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে। সেটা কখনও মিথ্যে হতে পারে না। তার মধ্যে কিছু সততা থাকে। মিঠুন আগেও বলেছেন, তিনি রাজনীতি নয়, মানবনীতি বোঝেন। কিন্তু তাঁর কথায়, সকলেরই একটা পতাকা প্রয়োজন হয়। প্রধানমন্ত্রী আমায় ডেকে যখন কথা বললেন, আমি বললাম, আমি বাংলার জন্য কাজ করতে চাই। আমি বাংলাকে ভালবাসি। তবে এক সময়ে বাম সঙ্গ থেকে শুরু করে অধুনা সঙ্ঘের হাত ধরা। বেশ কয়েকদিন ধরা চলা জল্পনা সত্যি প্রমাণ করে এদিন মোদির ব্রিগেড মঞ্চে রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন হল মহাগুরুর। আর তাঁর এই প্রত্যাবর্তনকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নেটাগরিকরা।
স্বাধীনতার পর গত ৭৫ বছরে বাংলা থেকে যা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা ফিরিয়ে দেব। আমার কথা লিখে রাখুন! বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। গোটা ভারত জানে, স্বপ্ন দেখাতে জানেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে এমন স্বপ্ন দেখিয়েই দেশের মানুষের মন জিতেছিলেন। তখনও তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। স্বপ্ন দেখানোর কারিগর সেই অস্ত্রেই দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরেছেন ২০১৯ সালে। আর ২০২১ সালে গঙ্গাপাড়ের নীলবাড়ি দখল করতে ব্রিগেড সমাবেশ থেকে স্বপ্ন ফেরি করলেন তিনি। ফিরিস্তি শোনালেন, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী কী করবে। যাকে তিনি নিজেই আখ্যা দিলেন আসল পরিবর্তন। মোদির অবশ্য তা জানার কোনও অবকাশ ছিল না। বস্তুত, সমাবেশের সাফল্যে খুশি মোদি ব্রিগেড সমাবেশের শেষে টুইট করেন, ধন্যবাদ কলকাতা, ধন্যবাদ বাংলা। রাজ্যবাসী বিজেপি-কেই চায়। ব্রিগেডের জমায়েত দেখে যে তিনি খুশি, তা রবিবার নিজের বক্তব্যেও বারবার বুঝিয়েছেন মোদি। আর সেই সঙ্গে ছুঁতে চেয়েছেন সেই ভিড়ের মন। ব্রিগেড ময়দানে থেকেই হোক বা না থেকে, তাঁর শ্রোতা যে গোটা বাংলা, তা বুঝে ভাষণ-কৌশলী মোদি দুই বাংলার কথাই বলেছেন। বলেছেন, উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ, পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে কোনও পার্থক্য করা হবে না। সবাই সমান গুরুত্ব পাবে। সবার কল্যাণ করাই হবে প্রশাসনের মূল মন্ত্র। কারও তোষণ হবে না। কেমন হবে বিজেপি-র বাংলা? নিজে প্রশ্ন তুলে নিজেই উত্তর দিয়েছেন মোদি, বাংলা চায় উন্নতি। বাংলা চায় শান্তি। বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা। বাংলা চায় সোনার বাংলা। এর পরেই বলেন, এই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড থেকে আমি বাংলার মানুষকে আসল পরিবর্তনের আশ্বাস দিতে চাই। বাংলার পুনর্নিমাণ হবে। বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার, বিনিয়োগ বাড়ানোর, কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। কেন্দ্রে থেকেও তিনি যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলার কথা ভাববেন, তা বোঝাতে মোদি বলেন, এখানকার ছেলেমেয়েদের জন্য, শিল্পের জন্য, বাংলার জন্য ২৪ ঘণ্টা লড়াই করব। প্রতি মুহূর্ত আপনাদের জন্য বাঁচব। শুধু ভোট নয়। প্রতিনিয়ত আপনাদের মন জয় করে চলতে চাই। তা করতে চাই প্রেম আর সমর্পণ দিয়ে। বাংলার মানুষের উপকার করাই বিজেপি-র কাছে সবচেয়ে জরুরি হবে।
আজ যখন ব্রিগেড গ্রাউন্ডে মোদির ভাষণ, ঠিক তখনই শিলিগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল করবেন তৃণমূল নেত্রী। আজ বিজেপির ব্রিগেড। প্রধান বক্তা নরেন্দ্র মোদি। শহরে প্রধানমন্ত্রী আসার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে।বিধানসভা ভোটের আগে ব্রিগেড চ্যালেঞ্জ বিজেপির । ব্রিগেড গ্রাউন্ড ভরাতে মরিয়া বিজেপি। রাত থেকেই হাওড়া, শিয়ালদা থেকে শহরমুখী বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আজকের ব্রিগেড নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড। বিধানসভা নির্বাচনে এবার রাজ্যের মসনদ দখল পাখির চোখ বিজেপির। তাই ব্রিগেডে মোদি কী বার্তা দেন সেদিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা। ব্রিগেড থেকেই নির্বাচনী প্রচারের সুর বেঁধে দেবেন মোদি, মনে করছেন বিজেপি নেতা-কর্মী থেকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও।
রবিবার মোদির ব্রিগেডে বড় চমক হিসেবে থাকতে পারেন খিলাড়ি অক্ষয় কুমার। মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর পর আরও বড় চমক অপেক্ষা করে রয়েছে রবিবারে বিজেপির এই ব্রিগেড সমাবেশে। শনিবার শহরে হাজির হয়েছেন মহাগুরু। রবিবার মোদির ব্রিগেডের জনসভা থেকে বলিউডের এই দুই সুপারস্টার হাজির হলে, তাঁরা কী বার্তা দেন, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।এদিকে রবিবার ব্রিগেডের জনসভা নিয়ে জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা চত্ত্বর। পাশাপাশি মোদির ব্রিগেডের জনসভাকে এক অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
রবিবারের ব্রিগেডে সত্যিই বড় চমক দিতে চলেছে বিজেপি। সব ঠিক থাকলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় হাজির থাকতে চলেছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। দলের শীর্ষনেতাদের দেওয়া প্রস্তাবে নাকি ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়ে দিয়েছেন মহাগুরু বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সূত্রে এমনটাই খবর।গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা আগামী রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতো মহাতারকাদের হাজির করানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। সেইমতো এই তিন মহাতারকার সঙ্গে গেরুয়া শিবির যোগাযোগ করেছে বলেও সূত্রের দাবি। তবে, সৌরভের ঘনিষ্ঠ সূত্র ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তিনি ব্রিগেড সমাবেশে হাজির হচ্ছেন না। প্রসেনজিতের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে বিজেপি সূত্রের দাবি, মিঠুন চক্রবর্তী রবিবারের সমাবেশে হাজির থাকার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছেন। যদিও, এখনই তিনি সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেবেন কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। তবে, আগামী দিনে বাংলার নির্বাচনে মিঠুনকে অন্যভাবে কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন মিঠুন চক্রবর্তী। একপ্রকার হঠাৎই বসন্ত পঞ্চমীর সকালে মুম্বইয়ের মাঢ় অঞ্চলে মহাতারকার বাংলোয় হাজির হন আরএসএস প্রধান। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে মিঠুনের বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা চলছে। অভিনেতা নিজে অবশ্য দাবি করেছেন, এই বৈঠক অরাজনৈতিক। ওঁর সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক আলোচনা হয়েছে।
সোমবার সকালেই টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির এইমসে হাসপাতালে গিয়ে টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। নিজেই টুইট করে সেই খবরও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোভিশিল্ড নয়, একবারে স্বদেশি প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিনেই ভরসা রেখেছেন তিনি। এরপরই টুইটারে দেশবাসীকেও কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে দেশের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা পেয়েছেন। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে আজ অর্থাৎ ১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫ বছর বয়স্কদের মধ্যে যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাঁরা টিকা পাবেন। সকাল ৯ টা থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কিন্তু তার আগেই দেশবাসীকে চমক দিয়ে সকাল বেলা কোভিড টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করেন তিনি। Took my first dose of the COVID-19 vaccine at AIIMS.Remarkable how our doctors and scientists have worked in quick time to strengthen the global fight against COVID-19.I appeal to all those who are eligible to take the vaccine. Together, let us make India COVID-19 free! pic.twitter.com/5z5cvAoMrv Narendra Modi (@narendramodi) March 1, 2021টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, এইমস থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিলাম। চিকিৎসক এবং বিজ্ঞানীরা খুব অল্প সময়ে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইকে যে ভাবে শক্তিশালী করেছেন তা কুর্নিশযোগ্য। যাঁরা কোভিড টিকা নেওয়ার জন্য মনোনীত তাঁদের সকলের কাছে টিকা নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি আমি। আসুন ভারতকে কোভিড-১৯ থেকে মুক্ত করি।
হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে রেরে করে উঠেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা প্রয়োগ নিয়ে। বিজেপির কোনও নেতা টুইট করেছেন তো কেউ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই কটাক্ষের কড়া জবাব দিয়েছেন।বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জে জনসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে কটাক্ষ করেছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে। মমতা বলেন, হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার। মমতার সভার ৪৮ ঘণ্টা আগে এখানেই সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাবণ ও দানব মিলে দেশ চালাচ্ছে বলেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। এই নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।তৃণমূলনেত্রীর হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূত কিমাকার বক্তব্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো ফেসবুকে লেখেন, ছিঃ !!! এই একজন মূখ্যমন্ত্রীর ভাষা !! এই ভাষা বলতে আপনার যে লজ্জা করে না তা আমরা বহুদিন আগেই দেখেছিজেনেছি কিন্তু আমাদের তো লজ্জা আছে, বাঙালির তো আত্মভিমান আছে, লজ্জাও আছে !! সারা পৃথিবীর বাঙালির মাথা আপনি হেঁট করে দিচ্ছেন !! আপনি আবার নিজেকে বাংলা গর্ব বলেন???বিজেপির এই রাজ্যের কোইনচার্জ অমিত মালব্য এদিন মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে টুইটে লেখেন, নিশ্চিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া হাওয়া অনুভূত হচ্ছে।পিসির তা অসহ্য লাগছে। তাই এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করছেন। যা বাংলার সংস্কৃতি নয়। শারীরিক গঠন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীস্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন। আসলে পিসি হেরে গিয়েছেন। এদিন মধ্য কলকাতার লেবুতলা পার্কে দলীয় সভায় বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে তোপ দেগেছেন। রাজীব বলেন, কখনও তুইতোকারি করছেন, কখনও বিরোধী দলের নেতার শারীরিক গঠন নিয়ে কটাক্ষ করছেন। এগুলো কী মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা হওয়া উচিত?রাজনৈতিক মহলের মতে, সব কিছুকে ছাপিয়ে এবার বাঙালি, বাংলার মনীষী, বহিরাগত নিয়েই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও ভারতীয় জনতা পার্টি। একই বিষয় নিয়ে একদল আক্রমণ করছে প্রতিপক্ষ পাল্টা মন্তব্য করছে।
এখানেই দুদিন আগে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জের জনসভা থেকে নাম না করে শাহ-মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্তব্য করলেন, হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার । গত সোমবার এই মাঠেই সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাবণ ও দানব মিলে দেশ চালাচ্ছে বলেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মমতা।এই সভাতেই বাংলা চলচ্চিত্রের এক ঝাঁক তারকা তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন ঘাসফুল শিবিরে ভিড়েছেন কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, সুদেষ্ণা রায়, মানালী দে। এছাড়াও তৃণমূলে যোগ দেন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও শিক্ষাবিদ অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। এদিনও তৃণমূলনেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন গোলপোস্টের নীচে তিনিই দাঁড়াবেন। একদিকে থাকবে তৃণমূল, অন্যদিকে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি। মমতার দাবি, সব ওপর দিয়ে চলে যাবে। একটা বলও গোলপোস্টে ঢুকবে না।তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ভাবা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। এদেশে এখন দুটো নেতা, একটা হোঁদল কুতকুত। আরেকটা কিম্ভূতকিমাকার। আমি এর ইংরেজি, হিন্দি জানি না। এদিকে মঙ্গলবারই অভিষেকের বাড়িতে কয়লাকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়েছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করে সাংসদপত্নী রুজিরাকে। সিবিআই আসার আগে মমতা পৌঁছান তাঁর ভাইপোর বাড়িতে। এদিন মমতা বলেন, ঘরে ঢুকে বাইশ-তেইশ বছরের এক বউকে কয়লা চোর বলছে। আর কয়লা চোরেদের নিজেরা কোলে করে ঘুরছেন। আমার বাড়ির মা-বোনেরা কয়লা চোর? তোমার সারা গায়ে ময়লা। নোটবন্দির ময়লা।
● আজ রেল এবং মেট্রোর বহু প্রকল্পের শিল্যান্যাস এবং বাস্তবায়্ণ হতে চলেছে। আমি বাংলার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভ কামনা দিতে চাই। ● বিশ্বের যেসব দেশগুলি দারিদ্র দূরীকরণ করেছে তাদের ক্ষেতে দেখা গিয়েছে পরিকাঠামোর উন্নয়ন। ● আমাদের দেশেও অনেক আগেই আধুনিক পরিকাঠামো উন্নয়ন হওয়া দরকার ছিল কিন্তু হয়নি। তাই এখন এই বিকাশের সব সম্ভবনার দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে। ● উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা আমাদের মূল লক্ষ্য। সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। ● পশ্চিমবঙ্গেও একই কাজ হচ্ছে। রেলপথ সম্প্রসারণ, ইলেকট্রিক ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফ্রেট করিডর থেকে অভূতপূর্ব লাভ পাবে পশ্চিমবঙ্গ। নতুন উদ্যোগ ও সম্ভাবনার দিক খুলে যাবে। ● কিষান ট্রেনের সুবিধা ছোট ছোট কৃষকরাও পাচ্ছেন। ফল, সবজি, দুধ, মাছ ইত্যাদি সামগ্রী দেশের বড় বড় বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে।● হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলির জন্য আজ অনেক বড় দিন। মেট্রোর নতুন পথে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে। কলকাতা যাওয়ার জন্য আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে এখন থেকে। ● ঋষি অরবিন্দ, মতিলাল রায়, রাসবিহারী বোস, কানাইলাল দত্তের মত মানুষ এখানে জন্মেছেন। এই মাটিতেই রামকৃষ্ণ পরমহংস জন্মেছেন। বহু মনীষী এই মাটিতেই জন্মেছেন। ● কিন্তু এখানে পরিকাঠামো বেহাল করে দেওয়া হয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র ভবনের অবস্থা খুব খারাপ। সেই বঙ্কিম ভবন যেখানে বন্দে মাতরম রচিত হয়েছিল। যা অনুপ্রাণিত করেছিল বিপ্লবীদের। ● বহু অন্যায় হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে। এর পিছনে রয়েছে ভোটব্যাংকের রাজনীতি। এই রাজনীতি বাংলায় মানুষকে দুর্গা পূজা করা থেকে বাধা দেয়। এই সব লোকেদের কখনও ক্ষমা করা হবে না। আজ আমি বাংলার মানুষকে আশ্বাস দিতে চাই বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব করবেন। কেউ ভয় দেখাবে না। বিজেপি সোনার বাংলা তৈরির জন্য কাজ করবে। এখানে সংস্কৃতি মজবুত হবে। সব কিছুর সম্মান হবে। সবার বিকাশ হবে। তুষ্টিকরণ হবে না। তোলাবাজি মুক্ত বাংলা হবে। ● স্বাধীনতার আগে বাংলা অন্য রাজ্য থেকে এগিয়ে ছিল। কিন্তু যাঁরা বাংলায় শাসন করেছেন তাঁরা বাংলার এই হাল বানিয়েছেন। মা মাটি মানুষ বলে উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করেছেন। ● গ্রামে গ্রামে প্রকল্পের টাকা পৌঁছায় না। তোলাবাজি হয়ে যায়। তাই তৃনমূলের নেতাদের অর্থ বেড়েছে। সাধারণ মানুষ গরিব হয়েছে।● এখানে কৃষক সম্মান নিধির টাকা পায়না মানুষ। ● আয়ুষ্মান ভারতের টাকা থেকে আজও বঞ্চিত বাংলার মানুষ। ● বাংলার ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য জল জীবন মিশন প্রকল্প চালু হয়েছে। বাংলার জন্য এই প্রকল্প খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারহ দেড়-পৌনে দু-কোটি পরিবারের মধ্যে মাত্র দুলক্ষ ঘরে নল থেকে জলের সুবিধা রয়েছে। এই প্রকল্পে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ঘরে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকার চাপ দেওয়ার পরে মাত্র ৯ লক্ষ ঘরে এই সুবিধা হয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট তৃনমূল সরকার কতটা উদাসীন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের শুদ্ধ পানীয় জল পাওয়ার অধিকার আছে কি নেই? কিন্তু সব ঘরে জল পৌঁছানোর জন্য ১৭০০ কোটি টাকার বেশি টাকা তৃণমূল সরকারকে দিয়েছে। ৬০৯ কোটি টাকা মাত্র তৃণমূল খরচ করেছে। বাকি টাকা কারচুপি করেছে। এটাই প্রমাণ করে তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের জন্য সহানুভূতি নেই। ● পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার গড়তে হবে আসল পরিবর্তনের জন্য। যে স্বপ্ন আজকের যুবসমাজ দেখছে। ● বিগত কিছু বছরের অব্যবস্থা কি হাল করেছে রাজ্যের। হুগলি নদীর দুপাশে জুট, স্টিলের কারখানা ছিল। কিন্তু আজ কি হাল তা আপনারা দেখছেন। ● কলকাতা এখন বদলে গিয়েছে। বাংলার মানুষকে এখন কাজ করার জন্য অন্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে। এর জন্য দায়ী এখানের সরকার। বিজেপি সরকার তৈরি হয়েই সব ঠিক করবে। বিকাশ হবে। ● বন্ধুগণ একটা সময় ছিল যখন পশ্চিমবঙ্গের জুট গোটা দেশে সরবরাহ হত। এর সঙ্গে পাট চাষীদের রোজগার জড়িয়ে ছিল। বিজেপি সরকার কেন্দ্রে এসে জুট নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেছে। ● হুগলির আলু চাষি, ধান চাষিদের লুটেছে তৃণমূল। যতদিন না প্রক্রিয়াকরণ শিল্প গড়ে উঠছে, বিক্রি করার স্বাধীনতা পাচ্ছে এই অবস্থা পরিবর্তন হবে না। ● এর জন্য দায়ী সিন্ডিকেট, কাটমানি। ভাড়া বাড়ি নিতে হলেও কাটমানি দিতে হয়। এই ধারনা, এই পরিস্থিতির বদল চাই। ● যতদিন এখানে সিন্ডিকেট রাজ, তোলাবাজি, কাটমানি, শাসন প্রশাসন গুন্ডাদের আশ্রয় দেবে ততদিন এখানে উন্নয়ন হবে না। ● এর বদল ঘটানোর জন্য সব জায়গায় আওয়াজ উঠছে আর নয় অন্যায়। আসল পরিবর্তন চাই। ● আমরা সবাই মিলে এখানে শ্রমিক, কৃষক, যুবকদের সেই সুবিধা দেব।
প্রায় বছর দশেকের প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে আজ দরজা খুলছে দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর। সোমবার বিকেলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে কলকাতা মেট্রোর সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । মূল অনুষ্ঠান হবে হুগলির সাহাগঞ্জে। সেখানেই থাকবেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশীও। থাকছেন মেট্রোর ইঞ্জিনিয়ার এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সরকারি প্রোটোকল মেনে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। যদিও তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না বলেই খবর। উদ্বোধনকে সামনে রেখে দক্ষিণেশ্বর স্টেশনটিকেও সাজানো হয়েছে। বঙ্গে আসার কয়েক ঘণ্টা আগে বাংলায় টুইট করে প্রকল্প উদ্বোধনের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। সঙ্গে বাংলায় তিনি অন্যান্য প্রকল্পের কথাও জানিয়েছেন।সোমবার থেকেই নোয়াপাড়ার সঙ্গে জুড়বে বরাহনগর এবং দক্ষিণেশ্বর। ফলে মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত যুক্ত হয়ে যাচ্ছে পাতালপথে। এ নিয়ে রবিবার বাংলাতে টুইটও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, বরাহনগর ও দক্ষিণেশ্বরের নবনির্মিত স্টেশনদুটিতে অনেক অত্যাধুনিক সুযোগসুবিধা রয়েছে। যা সহজ জীবনযাত্রার জন্য আরও সহায়ক হবে। এই স্টেশনগুলোতে রয়েছে দৃষ্টিনান্দনিকতার ছোঁয়া।টুইটে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মা কালীর দুটি পবিত্র মন্দির কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। এই মন্দিরগুলো প্রাণবন্ত ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতীক।সোমবার উদ্বোধন হলেও যাত্রীদের জন্য ওই স্টেশনগুলি চালু হবে অর্থাৎ মঙ্গলবার। নয়া স্টেশন যুক্ত হলেও সর্বোচ্চ ভাড়ায় কোনও বদল হচ্ছে না। ফলে কবি সুভাষ থেকে ২৫ টাকাতেই পৌঁছনো যাবে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত। আপনারা জেনে খুশি হবেন, বরাহনগর ও দক্ষিণেশ্বরের নবনির্মিত স্টেশন দুটিতে অনেক অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা রয়েছে যা সহজ জীবনযাত্রার জন্য আরো সহায়ক হবে । এই স্টেশনগুলিতে রয়েছে দৃষ্টিনান্দনিকতার ছোঁয়া। pic.twitter.com/MLMka3iw01 Narendra Modi (@narendramodi) February 21, 2021
বামেদের ব্রিগেডের এক সপ্তাহের মধ্যে ব্রিগেডে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়েই বঙ্গ বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার পরিসমাপ্তি হতে চলেছে। তার আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি মোদির রাজ্য সফর রয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেড। ওইদিন রাজ্যে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। একটি রাজনৈতিক সভাও তাঁর করার কথা। তার এক সপ্তাহ বাদে ৭ মার্চ মোদি ব্রিগেডে সভা করবেন। ফলে, এক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যে দুটি ব্রিগেড। দুসপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীরও রাজ্যে তিনটি সফর। মনে করা হচ্ছে রাজ্যের ভোটের সামান্য আগে ব্রিগেডে জনসভা করে নিজেদের শক্তিপ্রদর্শনও করে নিতে চায় গেরুয়া শিবির।সোমবার বঙ্গ সফরে হুগলির সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানার মাঠে জনসভা করবেন। সেদিনের সরকারি কর্মসূচির মধ্যে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রেল প্রকল্পের উদ্বোধন-সহ কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের একটি অনুষ্ঠানও ও প্রকল্পের শিলান্যাস রয়েছে। তার ঠিক পাঁচদিন পরেই আবার প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফর তাৎপর্যপূর্ণ। ভোটের আগে রাজ্যবাসীর মন জিততে কোনওরকম ঘাটতি বিজেপি রাখতে চায় না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দুসপ্তাহের মধ্যেই তিনবার বঙ্গ সফরের পিছনে অন্য রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বামেদের ব্রিগেডে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। রাহুল ব্রিগেডে হাজির থাকবেন কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বামেদের ব্রিগেডের দিনই প্রধানমন্ত্রীর জনসভা করাটা কাকতালীয় নাও হতে পারে।এর আগে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগেও ব্রিগেড করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভার আগে নজিরবিহীনভাবে রাজ্যে ১৭টি জনসভা করেন মোদি। ভোটবাক্সে তার ফলও পেয়েছিল বিজেপি। বিধানসভাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছে গেরুয়া শিবির।
একুশের নির্বাচনের প্রচারে অনেকবার বাংলায় আসবেন। আগেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। গত বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসে একাধিক কর্মসূচিতে অংশও নিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, চলতি মাসে ফের তিনি বঙ্গে আসছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি কাকদ্বীপ থেকে পরিবর্তন রথযাত্রার উদ্বোধন হবে তাঁর হাত দিয়েই। তবে একা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নন, বঙ্গ দখলের ভিত শক্ত করতে ফেব্রুয়ারিতেই আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি মোদির বাংলায় পা রাখার কথা শোনা যাচ্ছে। যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, এবারও সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতেই এরাজ্যে আসবেন তিনি। মোদি-শাহর পাশাপাশি ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলায় আসার কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডারও।এখনও পর্যন্ত মোদির সফরের কথা সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও জানা গিয়েছে, নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রেলের উদ্বোধন করবেন মোদি। হুগলিতে জনসভাও করতে পারেন তিনি। তবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েই বঙ্গ সফরে আসার কথা অমিত শাহর। এর আগে কোচবিহার থেকে পরিবর্তন রথযাত্রার শুভ সূচনা করেছিলেন শাহ। এবার কাকদ্বীপের যাত্রার উদ্বোধনে হাজির থাকতে পারেন তিনি। পাশাপাশি কলকাতা জোনেও জনসভা করতে পারেন তিনি। আবার হুগলির সিঙ্গুরেও অমিত শাহর সমাবেশ চাইছে রাজ্য বিজেপি। ভোটের আগে জনসংযোগ বাড়াতে ইতিমধ্যেই চারটি পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা হয়েছে বঙ্গে। নবদ্বীপ, তারাপীঠ ও ঝাড়গ্রাম থেকে যাত্রার উদ্বোধনে ছিলেন জেপি নাড্ডা। কাকদ্বীপ থেকে পঞ্চম রথযাত্রা শুরু হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে তারই উদ্বোধন হবে শাহর হাতে।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নিজেদের ডিজিটাল প্রচারকে জোরদার করতে বৃহস্পতিবার মোদিপাড়া অ্যাপ চালু করল রাজ্য বিজেপি। অ্যাপটি কলকাতায় চালু করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে। মোদিপাড়া অ্যাপ হল বিজেপি কর্মকর্তাদের এবং বিজেপি সমর্থকদের জন্য একটি সবরকম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ডিজিটাল কন্টেন্ট এবং হাব। পার্টির কার্যকর্তারা, সমর্থক এবং ভোটাররা এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের সাম্প্রতিক কাজ, সর্বভারতীয় এবং পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত থাকতে পারবে। ফেসবুক, হোয়্যাটসএপ এমনকী টুইটারের মত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মোদিপাড়া অ্যাপের বিষয়গুলো শেয়ার করতে পারবে। বিজেপি সমর্থক এই অ্যাপের মাধ্যমে হোয়্যাটসএপ স্ট্যাটাস এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিজেদের শুভেচ্ছাবার্তা কন্ট্যাক্টে থাকা মানুষদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে বাড়ি থেকেই সব মানুষকে এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। এই অ্যাপটি ওয়ান স্টপ প্লাটফর্ম হয়ে উঠবে যার মাধ্যমে বিজেপি কার্যকর্তা এবং সমর্থকরা একটি সমষ্টিগতভাবে দলের বার্তা এবং কথা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে দিতে পারে। এই অ্যাপ দলীয় কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করা এবং আসন্ন নির্বাচনে দলের কাজে এবং প্রচারে গতি আনা, সাম্প্রতিক তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া এবং সোনার বাংলার স্বপ্নকে সাকার করবে। সম্প্রতি ডিজিটাল প্রচারে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।যার দ্বারা একটি মাত্র বোতাম টিপেই বাড়ি বসে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। বিজেপি এখন এগিয়ে চলেছে অনলাইনে সমর্থকদের শক্তিশালী অন-গ্রাউন্ড সাংগঠনিক নেটওয়ার্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে।
উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ ধসের পর তৃতীয় দিনেও জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। ইন্দো-তিবেটিয়ান সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, এসডিআরএফ ও অন্যান্য এজেন্সি একজোট হয়ে দুর্গম তপোবন টানেলের মধ্যে ঢুকে আটকে পড়াদের বের করার আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২০৬ জন আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ৩২ জনের দেহ।টানেলের মুখ আটকে গিয়েছে পাথর ও বালিতে। তার ফলে সেখানে আটকে রয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সন্ধান পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ১২০ মিটার ভিতরে ঢুকতে সফল হয়েছে উদ্ধারকারী দল। টানেলের ভিতর অক্সিজেনের অভাব অনুভূত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। চামোলি জেলার আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ ওই টানেল থেকে যত দ্রুত সম্ভব ধসের কবলে পড়া মানুষগুলোকে বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে চামোলি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ১৩ টি গ্রামের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তে অবস্থিত এই গ্রামগুলো নদীর উপরের সেতুর মাধ্যমে চামোলি জেলার মূল শহরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করত। কিন্তু হিমবাহ ধসে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে সেই সেতু। ফলে ওষুধ থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী, কোনও কিছুই আর পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না সেই সব গ্রামে। গ্রামগুলোর মধ্যে অন্যতম রাইনি গ্রামের সঙ্গে নতুন করে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে বলেই সেনার তরফে খবর।
রবিবারই রাজ্যে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রথমবার হলদিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন রাজনৈতিক সভায়। সেই মঞ্চ থেকে একের পর এক ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন তিনি। তবে সেখানেই শেষ নয়। হলদিয়া থেকে ঘুরে যাওয়ার পর ফের টুইটে বাংলার সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি নরেন্দ্র মোদি।সোমবার রাতের দিকে ওই টুইটটি করেন নরেন্দ্র মোদি। তাতে তিনি লেখেন, বাংলার মানুষ দুর্নীতি নয়, উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। এছাড়া ওই টুইটে হলদিয়ায় রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে রাখা বক্তব্যের একটি অংশও তুলে ধরেন মোদি। ভিডিওর শুরুতেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতার অংশটি শোনা যায়। বাংলার সংস্কৃতির কথাও তাঁর টুইট করা ভিডিওতে শোনা গিয়েছে। হলদিয়া ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ সেকথাও তুলে ধরেন তিনি। তবে তারপর থেকেই শুরু হয় আক্রমণ। কেন বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বাম-কংগ্রেসের মতোই তৃণমূলের শাসনকালে রাজ্যে উন্নয়ন হয়নি বলেই দাবি তাঁর। সরাসরি নাম করে ওই ভিডিওতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিতেও শোনা যায়। মমতার বদলে বাংলার মানুষ নির্মমতার শিকার হয়েছেন বলেই দাবি করেন মোদি। এছাড়াও একাধিক ইস্যুতে বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।The emerging message from West Bengal is- they have faith in politics of development, not politics of corruption and criminalisation. pic.twitter.com/odyxYj8vFJ Narendra Modi (@narendramodi) February 8, 2021
হলদিয়ার জনসভা থেকে ফের চেনা অস্ত্রে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর অভিযোগ, শুধুমাত্র তৃণমূল সরকারের রাজনৈতিক দূরভিসন্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি, আয়ুষ্মান ভারতের মতো জনকল্যাণ মূলক প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যবাসী পাননি। মোদির ঘোষণা, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই চালু করা হবে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প। শুধু তাই নয়, তৃণমূল সরকারের বাধার জন্য রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কৃষক যে দুবছরের কিষাণ সম্মান নিধির টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, সেটাও দেওয়া হবে রাজ্যবাসীকে।হলদিয়ার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, বাংলার গরিবরা কি শুধু ভোট নেওয়ার জন্য? এটা সেই সরকার, যারা বিপদের সময়ও দুর্নীতির রাস্তা খোঁজে। আম্ফানের সময় মানুষের সাহায্যের জন্য কেন্দ্র যে টাকা পাঠিয়েছে, সেটা নিয়ে এঁরা কি করেছে তা সকলেই জানে। কেন্দ্রের দেওয়া বিনামূল্যে রেশনও এখানকার গরিবদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি রাজ্য। আমাদের ভাগ্য ভাল যে বাংলার ৪ কোটি মানুষের জনধন অ্যাকাউন্ট ছিল। সেজন্যই সরাসরি কেন্দ্র টাকা দিতে পেরেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার খুব কষ্ট হয়, করোনার এই কঠিন সময়েও বাংলার লক্ষ লক্ষ কৃষক কোটি কোটি টাকা পাননি। করোনার সময় দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার আওতায় হাজার হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন। এর মধ্যে বাংলারও লক্ষ লক্ষ কৃষক থাকতে পারতেন। কিন্তু এখানকার একজন কৃষকও এই সুবিধা পাননি। কারণ, এখানকার সরকার এই যোজনায় যুক্তও হয়নি। বাংলার মানুষ ওদের সরিয়ে দেবে এটা বুঝতে পেরেই কদিন আগে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কেন্দ্রকে সম্মতি দিয়ে চিঠি লিখেছে। কিন্তু এঁরা চায় না সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে টাকা যাক। ইতিমধ্যেই বাংলার ২৫ লক্ষ কৃষক রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৬ হাজার কৃষকের নাম এঁরা জমা দদিয়েছে। সেই ৬ হাজার কৃষকেরও ব্যাংক ডিটেল কেন্দ্রকে এখনও দেয়নি রাজ্য সরকার। মা-মাটি-মানুষের কথা বলে অথচ তাঁর সংবেদনহীনতা গোটা রাজ্য দেখেছে। কারা কৃষকদের নাম নিয়ে রাজনীতি করছে, আর কারা কৃষকদের সমস্যার সমাধান করছে, গোটা দেশের লোক দেখছে।
রাজ্যের ভোট ঘোষণা যে কোনও মুহূর্তে। তার ঠিক আগেই, বঙ্গ দখলের লক্ষ্যে বিজেপির প্রচার কোন সুরে বাঁধা থাকবে তা ঠিক করে দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে দিয়েই কার্যত শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভোট প্রচার। কারণ, হোক না রাজ্যের কুর্সি দখলের লড়াই, দলের কাছে তিনিই মুখ। তাই আজ, রবিবার হলদিয়ার হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে তিনি কী বার্তা দেন সে দিকে যেমন তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য বিজেপি, তেমনই শাসকদল তৃণমূলও। হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে রাজনৈতিক সভার পর মোদির সরকারি অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ আছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। তবে নবান্ন সূত্রে শনিবার পর্যন্ত তাঁর এই অনুষ্ঠানে আসার কোনও খবর নেই।যে জেলা থেকে মোদির তথা বঙ্গ বিজেপির প্রচার সফর শুরু হচ্ছে, তার এবার বাড়তি গুরুত্ব নন্দীগ্রামের জন্য। এবং এই সভার উপর প্রচারের একটু হলেও বেশি লাইট অবশ্যই যার জন্য, তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারী, যিনি শাসক শিবির ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানোর পর বিভিন্ন জেলায় সভা করলেও হলদিয়ায় নতুন ভূমিকায় প্রথম পা রাখবেন মোদির সভামঞ্চেই। এই সভামঞ্চের লাগোয়া যে অনুষ্ঠানস্থল সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন তিনটি বড় প্রকল্পের, যা কিছুটা বদলে দেবে হলদিয়ার আর্থিক পরিস্থিতি এবং শিলান্যাস করবেন আরও একটি বড় প্রকল্পের। সেই সরকারি মঞ্চে আবার থাকতে পারেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে। থাকবেন বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ একগুচ্ছ নেতা-নেত্রী।তবে কারা থাকবেন মোদির মঞ্চে অথবা কাদের জায়গা হবে লাগোয়া ভিআইপির চেয়ারগুলিতে, তার চেয়েও বড় কথা হল প্রধানমন্ত্রী আজ কী বার্তা দেন এবং কতখানি আক্রমণ শানান রাজ্যের শাসকদলকে লক্ষ্য করে। তুলে ধরেন কোন কোন ইস্যু।
সেস বৃদ্ধি নিয়ে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। একইসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য বাজেটে যা যা প্রকল্প প্রস্তাব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তার জন্য কেন্দ্রের অনুদানও নিজের দক্ষতায় জোগাড় করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফল পাবে রাজ্যবাসী।কোনও জিনিসের বিক্রয়মূল্যের উপর কর নেয় রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকার। কিন্তু সেই একই জিনিসের বিক্রয়মূল্যের উপর সেস বসানো থাকলে সেই অংশটুকু সম্পূর্ণরূপে যায় কেন্দ্রের ঘরে। এই ইস্যু তুলেই আক্ষেপের কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার বারবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেস ও সারচার্জ বাড়াচ্ছে। মোদি সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন রাজ্য থেকে কেন্দ্রের মোট রাজস্বের ৮ শতাংশ সেস হিসাবে যেত। এখন সেটা বেড়ে ১৬ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যগুলোকে এই বঞ্চনা আমাদের মেনে নিতে হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্র কেন সেস বৃদ্ধি করবে। এতে তো রাজ্যের করে ঘাটতি।কেন্দ্র রাজ্য থেকে করের যে টাকা কেটে নিয়ে যায়, তার ৪১ শতাংশ ফেরত দেয় রাজ্যকে। অর্থমন্ত্রীর অভিযোগ, সেই টাকাও তারা দিচ্ছে না। তাঁর কথায়, গত বছর রাজ্যের যা পাওনা ছিল তার মধ্যে ১৭ হাজার কোটি টাকা কম দিয়েছে। এ বছরও ১০ হাজার কোটি টাকা কম দেবে বলে আশঙ্কা করছি। তাঁর কথায়, সব বিরোধী দল প্রশ্ন করছে টাকা আসবে কোথা থেকে? বাজেট দেখলে বুঝতে পারবেন অর্থ দপ্তরের হাতে ১২ হাজার কোটি টাকা আছে খরচ করার জন্য। এ ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী নিজে পরিকল্পনা খাতে ব্যয়ের জন্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাছে প্রেজেন্টেশন দিয়েছিলেন। তা অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য হয়েছিল। ফলে রাজ্যের দাবিদাওয়া কেন্দ্রের বাজেটে অনুমোদন করা হয়েছে।