• ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

OC

রাজ্য

Corona Restriction: পুজোর দিনে বিশেষ ছা‌ড় থাকলেও চলবে না লোকাল ট্রেন, অক্টোবর মাসেও চলবে করোনা বিধিনিষেধ

করোনাজনিত বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও একদফা বাড়ালো রাজ্য সরকার। তবে আসন্ন পুজোর দিনগুলোতে শিথিল করা হলো নৈশকালীন কড়াকড়ি। তবে এই পর্বেও লোকাল ট্রেন চলাচলের অনুমতি দেয়নি নবান্ন।করোনা রুখতে রাজ্য সরকারের জারি করা বিধি-নিষেধের চলতি মেয়াদ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। এদিন সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত করোনা বিধিনিষেধ জারি থাকবে। তবে ১০ ই অক্টোবর পঞ্চমী থেকে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বাইরে বেরোনো নিয়ে কোনও কড়াকড়ি থাকবে না। অর্থাৎ আগের মত রাত জেগে ঠাকুর দেখতে পারবেন মানুষ। তবে মাসের বাকি দিনগুলোতে যথারীতি নৈশ বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ জরুরি কোনও কারণ ছাড়া ওই সময় বাইরে বেরোনো নিষেধ থাকছে।বুধবার সন্ধ্যায় নবান্নের তরফে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে এখন যে সব করোনা বিধিনিষেধ রাজ্যে চালু রয়েছে তেমনটাই চলবে গোটা অক্টোবর মাসেও। অনেকে আশা করেছিলেন অক্টোবর থেকে লোকাল ট্রেন চলাচলে অনুমতি দিতে পারে রাজ্য সরকার। কিন্তু বুধবারের বিজ্ঞপ্তির পরে এটা স্পষ্ট যে, এখনই লোকাল ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচলের ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। একইভাবে মেট্রো রেলের চলাচলও নিয়ন্ত্রিতই থাকছে অক্টোবর মাসে। একই সঙ্গে এই সময়ে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ অন্যান্য বিধিনিষেধ নিয়ে প্রশাসন যে কড়া মনোভাব দেখাবে তাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে করোনা বিধিনিষেধ পালন নিশ্চিত করতে কড়া পদক্ষেপ করারও নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
কলকাতা

Mukul Roy-PAC: মুকুলের পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে স্পিকারকে সিদ্ধান্তের সময়সীমা দিল হাইকোর্ট

বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায় বহাল থাকবেন কি না, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত বিধানসভার স্পিকারকে নিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যেই বিধানসভার স্পিকারকে ওই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ করবে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত ২৪ অগস্ট এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানতে চান, পিএসি চেয়ারম্যান হতে কি কোনও রাজনৈতিক ছাড়পত্র লাগে? তিনি এও জানতে চান, পিএসি-র চেয়ারম্যান কি বিরোধী দল থেকে করাটাই নিয়ম? সরকার ও মামলাকারীর আইনজীবী উভয় পক্ষের কাছেই এ বিষয়ে মতামত চেয়েছিলেন তিনি।আরও পড়ুনঃ ভবানীপুর উপনির্বাচন: নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা হাইকোর্টেরপিএসি-র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। দলত্যাগী বিধায়ক মুকুলের চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিজেপি-র। রাজ্য বিজেপি-র নেতারা ওই পদ থেকে মুকুলের অপসারণ চাইছেন। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। বিজেপি-র অভিযোগ, পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে মুকুলকে নিয়োগ করতে গিয়ে বিধানসভার কার্যবিধির ৩০২ ধারা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এ রাজ্যে আগে এমন নজির নেই। বিরোধী দলের বিধায়ক অম্বিকার দাবি, পিএসি-র শীর্ষ পদে দলত্যাগী মুকুলের নিয়োগ অবৈধ। প্রথা অনুযায়ী, ওই পদ বিরোধী দলের প্রাপ্য। বিজেপি কোনওভাবেই তাঁর নাম পিএসি সদস্যদের তালিকায় রাখেনি, এই তথ্যই আদালতের আবেদনে তুলে ধরেছেন বিজেপি বিধায়ক।কিন্তু মুকুলের বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার স্পিকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে হাইকোর্ট। এ ব্যাপারে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কী সিদ্ধান্ত নেন সে দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

WB By Election: পুজোর পরই রাজ্যের বাকি চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন, নির্ঘণ্ট ঘোষণা কমিশনের

পুজোর পরই বাকি থাকা উপনির্বাচনগুলো সম্পন্ন হবে। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের বাকি চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ ও গোসাবায় উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হল। ২ নভেম্বর ভোটের গণনা হবে। অর্থাৎ ভবানীপুর উপনির্বাচনের ঠিক এক মাস পর ভোটের দিন ঘোষণা হল। শুধু বাংলাই নয়, বাংলার বাইরেরও যে সমস্ত রাজ্যে উপনির্বাচন বাকি রয়েছে, সেগুলিও এই ৩০ অক্টোবরই হবে। একই সঙ্গে তিন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তিন কেন্দ্রেও এদিনই ভোট হবে।আরও পড়ুনঃ কয়লা-কাণ্ডে রাজ্যে প্রথম গ্রেপ্তার লালা-ঘনিষ্ঠ ৪পশ্চিমবঙ্গের চার বিধানসভা কেন্দ্র গোসাবা, দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহে ভোট হবে ৩০ অক্টোবর। একইসঙ্গে তেলঙ্গানা, রাজস্থান, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয়, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, অসম, অন্ধ্রপ্রদেশেরও একাধিক কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি, মধ্যপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশের তিন লোকসভা কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ হবে এদিন। কমিশন সূত্রে খবর, পয়লা অক্টোবর থেকে শুরু হবে নোটিফিকেশন। ৮ অক্টোবর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ১১ অক্টোবর মনোনয়নের স্ক্রুটিনি। ১৩ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন। ২ নভেম্বর ভোট গণনা। ৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে নির্বাচন প্রক্রিয়া। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে নই। তবে আমরা চাই সঠিক সময়ে, সঠিক ভাবে নির্বাচন হোক। তবে যে চারটি কেন্দ্রে নির্বাচন হচ্ছে, সেই কেন্দ্রগুলোর বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া। তারা কোনও রাজনৈতিক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। ভবানীপুরের ঘটনাই সাক্ষী রাজ্যের এই আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতিতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট সম্ভব নয়।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
রাজ্য

Weather Emergency: দুর্যোগের আবহে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি বাতিল সরকারি কর্মীদের

রাজ্যে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ স্তরের প্রস্তুতি নিতে রাজ্য সরকার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে সম্ভাব্য বিপর্যয় মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রাজ্যের যে তিন আসনে উপনির্বাচন রয়েছে, দুর্যোগের কারণে সেখানে ভোট পর্ব যাতে কোনওভাবেই ব্যাহত না হয়, তা দেখতে বলা হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সমস্ত রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আরও পড়ুনঃ মহামূর্তি ধারণ করে এগিয়ে আসছে জোড়া দুর্যোগ, আতঙ্কে বঙ্গবাসীমুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী আজ সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়ে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলাশাসক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেন।সেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জমা জল বা ছেঁড়া তার থেকে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি কমাতে সবরকম ব্যবস্থা করার তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসন বা বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার কাজে গাফিলতি প্রমাণ হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। শহরাঞ্চলে সব বাতিস্তম্ভ ফিডার বক্স গুলির অবস্থা খতিয়ে দেখে সে গুলোকে নিরাপদ করে তোলার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলেও দুর্যোগের সময় ওভারহেড তার ছিড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মুখ্য সচিব জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি ঝড় বৃষ্টির সময় বা জল জমে থাকলে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারে কি কি সর্তকতা প্রয়োজন তা নিয়ে এইসময় নিরন্তর প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নে খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম।যে কোনও সমস্যায় টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০ তে যোগাযোগ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।কলকাতায় পুলিশ, পুরসভা , সিইএসসি, দমকল, পূর্ত দপ্তরের যৌথ ইউনিফায়েড কমান্ড তৈরি করা হয়েছে। পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একাধিক দল শহরে মোতায়েন থাকবে। ভবানীপুর একবালপুর কালীঘাট-সহ শহরের মোট পাঁচ জায়গায় বাইশটি দল মোতায়েন থাকবে। এর পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিতে শহরের বিপজ্জনক বাড়িগুলি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকায় ওই সব বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
রাজ্য

Electrocution: খড়দহ, দমদম, আগরপাড়ার পর ফের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত শ্রমিক!

খড়দহ, দমদম, আগরপাড়ার পর এবার জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক কারখানা শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বেলঘরিয়া টেক্সমেকো কারখানায়। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেলেন ওই কারখানারই শ্রমিক সোনা রায়। ৪০ বছর বয়সী সোনা রায় সাফাইয়ের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।কিন্তু একের পর এক জায়গায় যখন বিপত্তি ঘটছে জমা জলে তখন তার মধ্যেই সোনা রায়কে কেন সাফাইয়ের কাজ করানো হল। উঠছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, জমা জলের মধ্যে কারখানা কর্তৃপক্ষ জোর করে শ্রমিকদের কাজ করাত। এমনটাই অভিযোগ করছেন মৃত শ্রমিকের সহকর্মী ও তাঁর পরিবারের লোকজন। কারখানা কর্তৃপক্ষের জোর করে কাজ করানোর ফলে এই কারখানার ভিতরে জমে থাকা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল শ্রমিকের।বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর জখম হওয়া সোনাবাবুকে উদ্ধার করে ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর মৃতের সহকর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। কারখানার উদাসীনতায় এই মৃত্যু বলে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কারখানার শ্রমিকরা।আরও পড়ুনঃ বিমানবন্দরে ভারতীয় আমেরিকানদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আপ্লুত মোদি উল্লেখ্য, এর আগে খড়দহে মারা গিয়েছেন একই পরিবারের তিনজন। আগরপাড়াতেও ঘটেছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা। বুধবার বণিক ও অনুষ্কা নন্দী নামে দুই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে দমদমে। বুধবার সন্ধ্যায় পড়তে যাচ্ছিল অনুষ্কা। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় দেরি হয়ে যায়। পাশেই তার বন্ধু শ্রেয়ার বাড়ি। তাকে ডাকতে গিয়েছিল। অনুষ্কার মা জানান, বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়েই তারা যাচ্ছিল। উল্টোদিক থেকে একটি দুধের গাড়ি আসায় তারা পাশ কাটাতে যায়। মৃত্যু হয় তার। সব মিলিয়ে গত দুদিনে আটজন মানুষ প্রাণ হারাল বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে।শহর কলকাতা ও আশেপাশের অঞ্চলে একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় আঙুল উঠছে প্রশাসনের দিকে। চলছে রাজনৈতিক দোষারোপের পালা।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
রাজ্য

Maldah Child death: মালদা মেডিক্যাল কলেজে আরও ২ শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে আতঙ্ক

বুধ এবং বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং শুকনো কাশির সমস্যা নিয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। মৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাজমহলে। অন্যজন মালদহের ভুতনি এলাকার। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। চিকিৎসার তেমন সুযোগ মেলেনি বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এই নিয়ে গত তিন দিনে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৫ শিশুর মৃত্যু হল। এই মুহূর্তে ওই হাসপাতালে আরও ১৭৮ জন শিশু সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন। আরও পড়ুনঃ সকালের আলো ফুটতেই কেঁপে উঠল সিচুয়ান প্রদেশবুধবার রাতে দুজন এবং বৃহস্পতিবার সকালে একজন শিশু মারা গিয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। মৃত তিন শিশুই সদ্যজাত ছিল। কারও বয়স ৭ বছর, কারও বয়স ৫ বছর। তাদের শুকনো কাশি ও শ্বাসকষ্টও ছিল। শিশুদের এই জ্বরের চিকিৎসা করতে ইতিমধ্যে তৎপর হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ কতৃপক্ষ। শিশুদের জ্বর মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচ বিশেষজ্ঞের কমিটি গঠন করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। বিশেষজ্ঞরা শুক্রবার উত্তরবঙ্গে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন। শিশুমৃত্যু নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগের প্রধান সুষমা সাউ বলেছেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে মোট পাঁচ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার দুজন করে এবং শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এক জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী শিশুদের চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
কলকাতা

Taltola: বন্ধ বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতেই এলাকায় চাঞ্চল্য

বন্ধ বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ। বুধবার রাতে এই ঘটনাকে ঘিরে তালতলা থানা এলাকার ডক্টর লেনে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।আরও পড়ুনঃ ইঙ্গিত ছাড়াই আচমকা পদ ছাড়লেন তৃণমূল সাংসদজানা গিয়েছে, মৃতের নাম আশিস ফিলিপ গোমস, বয়স ৫১। ইন্টিরিয়র ডেকরেশনের কাজ করতেন তিনি। ডক্টর লেনের ওই বাড়িতে একাই থাকতেন। পরিবার অন্যান্যরা কাছেরই অন্য একটা বাড়িতে থাকতেন। বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎই আশিসবাবুর বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। বাড়ির সামনে দিয়ে হাঁটাচলা করা দায় হয়ে যায়। এই অবস্থায় বাড়ি বন্ধ দেখে, তালতলা থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিকরে ঢুকে দেখেন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আশিস ফিলিপ গোমস। দেহে পচন ধরেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিহত ব্যক্তিকে রবিবার শেষবার দেখা গিয়েছিল। মৃতের পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিস ফিলিপ গোমস ডক্টরস লেনের বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর পরিবার অন্যত্র থাকত। বাড়ির সব কাজই একাই করতেন। সে অর্থে পরিচারিকা কেউ ছিলেন না। বাড়িতে বেশিরভাগ সময়ই থাকতেন না তিনি। কাজের সূত্রে বাইরে বাইরেই থাকতেন। শেষ দুতিন তাঁদের দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন হয়তো কাজেই বাইরে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার থেকেই একটা পচা গন্ধ নাকে আসছিল তাঁদের। বুধবার তা আরও প্রকট হয়। গন্ধের উত্স খুঁজতে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন, আশিসের বাড়ির ভিতর থেকেই গন্ধটা ভেসে আসছে।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

N‌eeraj Chopra : নীরজ চোপড়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক ভ্যালু ৪২৮ কোটি টাকা!‌ কলকাতায় মজে গেলেন বাঙালী খানায়

কিছুদিন আগে পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ারের সংখ্যা সেভাবে দেখা যায়নি। অলিম্পিকে একটা সোনা জয়ই বদলে দিয়েছে ছবিটা। ভারতের প্রথম অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিকে সোনা জিতে ইতিহাস তৈরি করেছেন। তারপর থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গেছেন নীরজ চোপড়া। সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মাধ্যমে যতবার তাঁর নাম খোঁজা হয়েছে, তা বিশ্ব রেকর্ড। শুধু তাই নয়, নীরজ চোপড়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টক ভ্যালুর পরিমান জানলে চোখ কপালে উঠবে। ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে ৪২৮ কোটি টাকায়। সম্প্রতি নীরজ চোপড়ার জনপ্রিয়তা নিয়ে একটা সমীক্ষা করে হয়েছে। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, টোকিও অলিম্পিক থেকে সোনা জেতার পর এই ভারতীয় অ্যাথলিটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ৭ অগাস্টের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৪ লক্ষ ব্যবহারকারী ২৯ লক্ষ বার নীরজের নাম কোথাও না কোথাও উল্লেখ করেছেন বলে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। যা বিশ্ব রেকর্ড। ওই রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে নীরজ চোপড়ার নামের উল্লেখের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪০৫ ও ২০৫৫ শতাংশ হারে। এর ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় নীরজ চোপড়ার ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছন এবং প্রভাব একলপ্তে বেড়ে ৪১.২ কোটি ছুঁয়ে ফেলেছে। ওই সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নীরজ চোপড়ার সোশ্যাল মিডিয়া ভ্যালুয়েশন ৪২৮ কোটি টাকা। নীরজের নিজের পোস্ট করা বা অন্যান্য নেটিজেনদের ভিডিওতে ৪০.৫ বার দেখা হয়েছে এই ভারতীয় সোনাজয়ী অ্যাথলিটকে। এমনই দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুগামীর সংখ্যা একধাপে অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছেন নীরজ চোপড়া। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ার্স সংখ্যা প্রায় ৪৫ লক্ষ। অলিম্পিকে যাওয়ার আগের তুলনায় এক্ষেত্রে ২২৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ইন্টারাকশান ৮৬.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.২৭৯ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে।টোকিও অলিম্পিকে জ্যাভলিনে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়া এই মুহূর্তে কলকাতায়। বুধবার বিকেলে তাঁকে জমকালো সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে সাইয়ে এসেছিলেন ট্রেনিংয়ের জন্য। মঙ্গলবার দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর হোটেলে যাওয়ার পথে কলকাতা দেখে বলেছিলেন, এই শহর খুবই আবেগপ্রবণ। এদিন ডিনারে বাঙালী খানায় মুগ্ধ নীরজ। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, লুচি, আলুর দম, চিংড়িমাছের মালাইকারি, ইলিশ মাছের পদ, মটন কষা, জলভরা সন্দেশ, নলেনগুড়ের আইসক্রিম, দই। বুধবার সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিন বিশিষ্ট ব্যক্তি, দ্রোণাচার্য কোচ সৈয়দ নঈমউদ্দিন, চন্দ্রশেখর কুণ্ডু ও মহেন্দ্র প্রসাদ জালানকে নীরজের হাত দিয়েই সংবর্ধিত করা হয়।

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
রাজ্য

Advocate General: রাজ্যের নয়া অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়

রাজ্যের নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল হলেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। পরিচিত মহলের অনেকে তাঁকে গোপাল মুখোপাধ্যায় নামেও জানেন। সংবিধানের আর্টিক্যাল ১৬৫ (১) অনুযায়ী তাঁকে এই পদে নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।মঙ্গলবারই রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পদ থেকে সরে দাঁড়ান কিশোর দত্ত। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রাজ্যপালকে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। এছাড়া মুখ্যসচিব এবং আইনমন্ত্রীকেও পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি। সাড়ে ৪ বছর দায়িত্ব সামলানোর পর পদ থেকে সরে গেলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। রাজ্যে তৃণমূল শাসনের গত ১১ বছরে এই নিয়ে চারজন অ্যাডভোকেট জেনারেল পদ ছাড়লেন। ২০১৭-র ফেব্রুয়ারি থেকে জয়ন্ত মিত্রর জায়গায় দায়িত্ব নেন কিশোর দত্ত। অনিন্দ্য মিত্র, বিমল চট্টোপাধ্যায়ও এই সরকারের আমলে অ্যাডভোকেট জেনারেলের দায়িত্ব সামলান।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Om Sahani : ওমের সৌজন্যে অন্তঃসত্ত্বা মানালি !

ওমের জন্য অন্তঃসত্ত্বা মানালি! বিষয়টা খুব অবাক করার মতো। অনেকেই ভাববেন কি হল ব্যাপারটা। আসলে পুরোটাই অভিনয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি লকডাউন। এই ছবিতে প্রথমবার অন্তঃসত্ত্বার চরিত্রে দেখা যাবে মানালি কে। তার বিপরীতে রয়েছে ওম সাহানি। ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে এই ছবির প্রথম গান তোমার কপালে শীতঘুম। শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা ও সুরে এই গানটি গেয়েছেন ইমন চক্রবর্তী।লকডাউন ছবিতে রয়েছে টানাপোড়েনের গল্প। এই ছবিতে অনুরাধার চরিত্রে অভিনয় করছেন মানালি। চরিত্রের জন্য বাড়তি পরিশ্রমও করতে হয়েছে পরিচালকের স্ত্রী কে। এই চরিত্রের জন্য পরিচালকের সম্পূর্ণ ক্রেডিট রয়েছে বলে জানিয়েছেন মানালি।ছবিতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করছেন সোহম চক্রবর্তী, রাজনন্দিনী, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, আদৃত প্রমুখ। যদিও ছবির মুক্তির দিনক্ষণ এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসেই মুক্তি পেতে পারে এই ছবি।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২১
রাজ্য

By election: ভবানীপুর-সহ ৩ কেন্দ্রের নির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের

অবশেষে ঘোষিত হল উপ নির্বাচনের দিন। তবে ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। ফল ঘোষণা অক্টোবরের ৩ তারিখ । রাজ্যে বিগত বিধানসভা নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে প্রার্থী মারা গিয়েছিলেন। এই দুই আসনেও একই দিনে নির্বাচন হবে। ফল ঘোষণাও হবে একই দিনে।নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রে বিধায়কের মৃত্যু হলে বা ইস্তফা দিলে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে তার অন্যথাও হয়েছে অনেক সময়। ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা। সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে। বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে যেতেই উপনির্বাচনের দাবিতে সরব হয় তৃণমূল। অন্যদিকে, বিজেপি করোনা পরিস্থিতির উল্লেখ করে উল্টো মত দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ কয়লা-কাণ্ডে শহরের একাধিক জায়গায় ইডি হানা সম্প্রতি উপনির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। সেখানে প্রতিটি রাজ্যের কাছে ভোট করার ব্যাপারে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সেই বৈঠকে বাংলার নির্বাচনী আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, তাঁরা তখনই ভোট করতে প্রস্তুত। অন্যান্য কেন্দ্রের তুলনায় ভবানীপুর নিয়েই মানুষের আগ্রহ বেশি। কারণ, সেখানে প্রার্থী হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ২১ মে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর তার পরেই তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, এই আসনে প্রার্থী হবেন মমতাই। তাই উপনির্বাচন ঘোষণার অনেক আগে মে মাস থেকেই ওই আসনের উপনির্বাচনের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।ভবানীপুরের পাশাপাশি উপনির্বাচন হওয়ার কথা উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোসাবায়। ভোটের ফল ঘোষণার আগেই করোনা সংক্রমণে মারা যান খড়দার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। সেখানে জিতেছিল তৃণমূল। বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার পরে মারা গিয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। এ ছাড়া বিধানসভায় জিতেও সাংসদ পদে থেকে যাবেন বলে দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক-পদ ছেড়েছেন বিজেপি-র দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। কিন্তু সেই চার কেন্দ্রে এখনও উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেনি কমিশন। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ অনুরোধেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
রাজ্য

Truck Owners Demand: পুলিশ, এমভিআই ও ডাকপার্টির জুলুমবাজি বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি ট্রাক মালিকদের

পুলিশ, এমভিআই ও ডাকপার্টির জুলুমবাজির কারণে দায় হয়ে উঠেছে সড়কপথে ট্রাক চালানো। তারই প্রতিবাদে এবার স্বোচ্চার হল হুগলীর ইউনাইটেড ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ও ফেডারেশন অফ ওয়েষ্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা পুলিশি জুলুমবাজি বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বৃহস্পতিবার ডেপুটেশন দিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে। পুলিশ দিবসের পর দিন এই রাজ্যের পুলিশের জুলুমবাজি বন্ধের দাবিতে ট্রাক মালিকদের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে পথে নামাটা নজিরবিহীন বলেই দাবি করেছে রাজনৈতিক মহল।হুগলির ডানকুনি টোল প্লাজা থেকে খালি লরি নিয়ে এদিন মিছিল করে ট্রাক মালিকরা পৌছান বর্ধমানের আলিশায়। পরে ট্রাক মালিক সংগঠনের নেতৃত্ব সেখান থেকে পায়ে হেটে পূর্ব বর্ধমান জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে পৌছান। হুগলির ইউনাইটেড ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির সদস্য রসিদ সর্দার এদিন বলেন, পুলিশ, এম ভি আই ও ডাকপার্টির অত্যাচার ও জুলুমবাজির কারণে বহু ট্রাক মালিক ট্রাক চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। এইসব দপ্তরের লোকজন জোর করে ট্রাকে ওভারলোড করাতে বাধ্য করছে। অপরদিকে ফেডারেশন অফ ওয়েষ্টবেঙ্গল ট্রাক অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সজল ঘোষ অভিযোগে জানান,সম্প্রতি রাজ্যে এক্সেল লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু আসাধু পুলিশকর্মী ও পুলিশের ডাকপার্টি জোর করে ট্রাক ড্রাইভারদের ওভারলোড করতে বাধ্য করছে।ট্রাক ড্রাইভাররা ওভার লোড না করলে বিভিন্ন অজুহাতে অত্যাধিক হারে ফাইন করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ট্রাক মালিকরা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রীকে জানালেও সমস্যার সমাধান হয়নি। জুলুমবাজীও বন্ধ হয়নি। তাই তাঁরা চাইছে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক।ডেপুটেশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ট্রাক মালিকরা এদিন বলেন, ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি ২৯৪টি আসনেই প্রার্থী। তাই তাঁকেই তাঁরা ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জন্য কিছু করছেন না। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে একদিনের মধ্যে এই জুলুমবাজি বন্ধ হতে পারে বলে মন্তব্য করেন ট্রাক মালিকরা। তাঁরা এদিন দাবি করেন, লোডিং পয়েন্ট থেকে আণ্ডার লোড করে গাড়ি বার করা হোক। পাশপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিজে হস্তক্ষেপ করে পুলিশ, এমভিআই ও ডাকপার্টির জুলুমবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নিক। একই দাবির কথা শুনিয়েছেন ট্রাক মালিক সংগঠনের কর্তারাও।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০২১
বিদেশ

Kabul Rocket attack: ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই রকেট হানা, ভয়ে কাঁপছে কাবুলবাসী

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সতর্কবার্তা, আশঙ্কা সত্যি করে রবিবার বিকেলে কাবুল বিমানমন্দরের বাইরে মার্কিনিদের লক্ষ্য করে রকেটহানা চালায় তালিবানরা। জানা গিয়েছে শিশু-সহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। এদিকে ভোরের আলো ফোটার আগেই কান ফাটানো আওয়াজে একের পর এক রকেট ভেসে আসতে শুরু করেছে কাবুলের আকাশে। আরও পড়ুনঃ দিল্লি ও ত্রিপুরা জয়ের শপথ নিলেন পূর্ব বর্ধমানের সকল নেতা, মন্ত্রী ও বিধায়করাসোমবার সকাল থেকে এমনটাই পরিস্থিতি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। স্থানীয় সূত্রে খবর,কাবুল বিমানবন্দর লক্ষ্য করেই রকেটগুলি ছোড়া হচ্ছে, তবে বিমানবন্দরে যে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বসানো রয়েছে, তা ভেদ করে প্রবেশ করতে পারেনি রকেটগুলি। রবিবারই বিকেল নাগাদ কাবুল বিমানবন্দর লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, কাবুলের খাওজা বুঘরা জেলার গুলাই অঞ্চলে ওই বিস্ফোরণ হয়। জন বসতিপূর্ণ এলাকায় একটি বাড়িতে রকেট হামলা চালানোয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ল্যাব জার খইরখানার কাছে অবস্থিত খোরশিদ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে রকেট হামলাগুলি চালানো হয় বলে জানা যায়। প্রতিটি রকেটই কাবুলের হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছিল।আফগানিস্তানের এক সাংবাদিক টুইটে লেখেন, কমপক্ষে দুটি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ভোর ৬টা ৪০ থেকে কাবুলের লাব-ই-জার অঞ্চল থেকে হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের দিকে লক্ষ্য করে রকেটগুলি পাঠানো হচ্ছিল। আর্য শহরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন বাড়ির ছাদে রকেটগুলি পড়েছে। মাঝ আকাশেই রকেটগুলি ফেটে যায়, ভাঙা অংশগুলি আছড়ে পড়ে বাড়ির ছাদে।আরও পড়ুনঃ সোনার স্বপ্ন অধরা, ভাবনাবেনকে ৩ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দেবে গুজরাট সরকারগতকালের রকেট হামলার পরই পাল্টা হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেমন সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ীই ফের একবার বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। যেই অংশে হামলা চালানো হবে, সেখানে হামলাকারীদের গাড়িও পৌঁছে যায়। ভিতরে উপস্থিত ছিলেন এক আত্মঘাতী বোমারু। কিন্তু গোপন সূত্রে আগেই খবর পেয়ে গিয়ে ওই গাড়ির উপরই এয়ারস্ট্রাইক চালায় মার্কিন বাহিনী। বিস্তারিত তথ্য এখনও জানা না গেলেও ওই এয়ারস্ট্রাইক সফল হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।মার্কিন আধিকারিকরা জানান, আগামিকাল অর্থাৎ ৩১ অগস্ট উদ্ধারকার্য শেষ করার শেষদিন। একাধিক দেশের উদ্ধারকার্য শেষ হলে গেলেও মার্কিন বাহিনী এখনও কাজ জারি রেখেছে। সেই কাজে বাধা দিতেই পরিকল্পনা করে এই হামলাগুলি চালানো হচ্ছে। তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না মার্কিন বাহিনীও। পাল্টা আক্রমণ চালাবে তারাও।

আগস্ট ৩০, ২০২১
রাজ্য

Mamata Bannerjee: বড় ঘোষণা: চিকিৎসক-নার্সদের জন্য কল্পতরু মমতা

প্রত্যেক বৃহস্পতিবার বা ১৫ দিন অন্তর একবার করে বসবেন এসএসকেএম হাসপাতালে,মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহেই জানিয়েছিলেন। এ দিন প্রথমবার চিকিৎসক ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষেও বেশ কয়েকটি বড় ঘোষণা করলেন মমতা। যা মূলত এ রাজ্যের ডাক্তার, নার্সদের উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি কোয়াক ডাক্তারদের জন্যও সুখবর শুনিয়েছেন তিনি।বৈঠক শেষে সবার প্রথম এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের চিকিৎসক ও নার্সদের বাড়ি তৈরির জন্য বিনামূল্যে জমি দেবে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে হিডকোর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমকে ১০ কাঠা জমি বরাদ্দ করতে বলেন তিনি। যাতে সেখানে ডাক্তার ও নার্সদের আবাসন তৈরি করা যায়। পাশাপাশি যেসব নার্সরা অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। অভিজ্ঞতা সুবিশাল। রাজ্য সরকার তাঁদের পদোন্নতি করবে বলে জানান মমতা। একই সঙ্গে অপ্রচলিত চিকিৎসকরা (কোয়াক ডাক্তার), যারা ভাল কাজ করছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজে লাগানোর কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।আরও পড়ুনঃ মা হলেন নুসরত, পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন তিনিমমতা এ দিন বলেন, ডাক্তার-নার্সদের বাড়ি তৈরির জন্য জমি দেওয়ার ব্যাপারটা কেউ চিন্তা করেনি। হিডকোর চেয়ারম্যান ববিকে আমি বলেছি, আমায় ১০ একর জমি খুঁজে বের করে দিতে। যেখানে ডাক্তার এবং নার্সরা নিজেরা চাইলে তাঁদের বাড়ি বানিয়ে নিতে পারবেন। আমি জমিটা বিনা পয়সায় দেব। আর হাউসিংটা তারা নিজেরা তৈরি করে নেবে। নার্সদের জন্যও এ দিন বিরাট ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে চিকিৎসকদের অভাব রয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েই যে নার্সরা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, রাজ্য সরকার তাঁদের পদোন্নতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে কাজ করতে করতে যে নার্সরা চিকিৎসার বিষয়ে পোক্ত হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণের অধীনে থাকা চিকিৎসক বা প্র্যাক্টিশনার সিস্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এর জন্য নতুন গাইডলাই তৈরি করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। ডাক্তারদের অভাব মেটাতেই যে এই পদক্ষেপ, সেটাও সাফ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগস্ট ২৬, ২০২১
কলকাতা

Gauri Ghosh: প্রয়াত বাচিকশিল্পী গৌরী ঘোষ

আবৃত্তি জগতে নক্ষত্রপতন।প্রয়াত বাচিকশিল্পী গৌরী ঘোষ। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে ভুগছিলেন তিনি। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে গত সাতদিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন । বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গৌরী ঘোষ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।রেডিও উপস্থাপক হিসাবে আকাশবানীতে যোগদান করেছিলেন গৌরী ঘোষ। দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন রেডিওর সঙ্গে। পার্থ ঘোষ-গৌরী ঘোষ আবৃত্তি জগতের অন্যতম সেরা জুটি। তাঁদের হাত ধরেই আবৃত্তি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিল। তাঁদের হাত ধরেই কবিতা পৌঁছে গিয়েছে বাঙালির ঘরে ঘরে। রেডিওর পাশাপাশি অনেক অনুষ্ঠানে একসঙ্গে কবিতা পাঠ করেছেন এই জুটি। একাধিক সিডিও ক্যাসেটও রয়েছে তাঁদের। এই জুটির জনপ্রিয়তা ছিল আকাশছোঁয়া। শিল্পীর মৃত্যুতে স্বভাবতই শোকের ছায়া সংস্কৃতি মহলে।

আগস্ট ২৬, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Charlie Watts : প্রয়াত রক তারকা চার্লি ওয়াটস

প্রয়াত একজন রক তারকা। তিনি ব্রিটিশ রক সংগীতের দল দ্য রোলিং স্টোনস-এর ড্রামার চার্লি ওয়াটস। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর খবর সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে নিশ্চিত করেছেন তাঁর মুখপাত্র। ১৯৬২ সালে পথচলা শুরু হয়দ্য রোলিং স্টোনস-এর। ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন চার্লি ওয়াটস। এদিন ওয়াটসের মুখপাত্র জানান, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় চার্লি ওয়াটস আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আজ লন্ডনের হাসপাতালে পরিবারের উপস্থিতিতেই শেষ যাত্রার পথে পাড়ি দেন চার্লি। দ্য রোলিং স্টোনসের অফিশিয়্যাল টুইটারের পাতায় এই শোকবার্তা জানানো হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতেই দ্য রোলিং স্টোনসের আসন্ন মার্কিন সফর থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ওয়াটস। এর আগে ২০০৫ সালে গলায় ক্যানসার ধরা পড়েছিল তাঁর, কিন্তু মারণরোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।আরও পড়ুনঃ তালিবানদের ভয়, দেশ ছাড়লেন পপ তারকাগত পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বিশ্বের অন্যতম চর্চিত এবং সফল ড্রামার। দ্য রোলিং স্টোনসের কিছু উল্লেখযোগ্য অ্যালবাম, বেগার্স ব্যাংকুয়েট (১৯৬৮), লেট ইট ব্লিড (১৯৬৯), স্টিকি ফিংগার্স (১৯৭১), এবং এক্সাইল ওন মেইন স্ট্রিট (১৯৭২)। দ্য বিটলস এবং দ্য হু এর মতোই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তুমুল জনপ্রিয় ছিল এই ব্যান্ড। ব্লুজ এবং ৫০ এর দশকের রক এ্যন্ড রোল সঙ্গীতের অনুপ্রেরণা নিয়ে মৌলিক সংগীত তৈরি করেছিল দ্য রোলিং স্টোনস। পৃথিবীর সর্বকালের সেরা রক অ্যান্ড রোল ব্যান্ডের তালিকায় একদম প্রথমের সারিতে রয়েছে এই ব্যান্ড, সেই সফরের অন্যতম কাণ্ডারী চার্লি ওয়াটস। আজ পর্যন্ত এই ব্যান্ড মোট ৩০টি স্টুডিও অ্যালবাম, ২৩টি লাইভ অ্যালবাম এবং বেশ কয়েকটি সংকলিত অ্যালবাম প্রকাশ করেছে, সারা বিশ্বে তাঁদের ২০০ মিলিয়নের বেশি রেকর্ড বিক্রি হয়েছে।

আগস্ট ২৫, ২০২১
দেশ

Corona 3rd wave: অক্টোবরেই চরম আকার নেবে তৃতীয় ঢেউ!

উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ্যে আনল এনআইডিএম। অক্টোবরেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শিখর ছুঁতে পারে। এই বার প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি রিপোর্ট দিয়ে জানাল এ কথা। আরও পড়ুনঃ বিনিসুতোয়-এর জার্নি শেয়ার করলেন অর্পণারিপোর্টে বলা হল, দেশে ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশে আর ভ্যালু ১-এর উপর উঠে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এক জন সংক্রমিতের থেকে কত জন আক্রান্ত হচ্ছেন, তা বোঝানো হয় এই আর ভ্যালু দিয়ে।কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে যাতে আরও সতর্ক হয়ে আসন্ন ঢেউয়ের মোকাবিলা করা হয়, তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট বলছে, তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে বিপুল সংখ্যক শিশু সংক্রমিত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য যত সংখ্যক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা নেই দেশে। এই বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের ওই কমিটি।আরও পড়ুনঃ পূর্ব বর্ধমানে উদ্ধার বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়ন, পুলিশের হাতে তুলে দিল দিনমজুর যুবকএই রিপোর্ট সামনে আসতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে। কারণ, অক্টোবর থেকেই বাংলায় পুজোর মরশুম হচ্ছে।তার মধ্যেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া এবং তা শিখর ছোঁয়ায় পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

আগস্ট ২৩, ২০২১
নিবন্ধ

Afghanistan: আদিমতার উল্লাস-মধ্যযুগীয় বর্বরতা-অস্ত্রের ঝনঝনানি, চুপ! সভ্যতা মুখে কুলুপ এঁটেছে

আফগানিস্থানে তালিবানদের আধিপত্য কায়েম হয়েছে আবার। ফের আদিমতার পদচিহ্নের সূত্রপাত। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্থানে যে তালিবানি শাসন কায়েম ছিল তা পুনরায় ফিরে এলো। এই দেশের বেশির ভাগ অংশই এখন তালিবানিদের দখলে। শরিয়ত আইন স্থাপন এবং ইসলামিক রাষ্ট্র সামরিক শক্তির আশ্রয়ে গঠন করাই তালিবানদের লক্ষ্য। হঠাৎ করে আবার কেন তালিবানি শাসন বিস্তার? এই প্রশ্নের সম্মুখীন গোটা বিশ্ব, এই উত্থানের পেছনে কাদের মদত রয়েছে - এই প্রশ্ন জাগছে মানুষের মনে। মধ্যযুগীয় বর্বরতা, গণতন্ত্রের হত্যা, সামরিক বাহিনীর কড়া নজরদারি, যেখানে সেখানে মানুষের ন্যুনতম আধিকারে হস্তক্ষেপ, স্বাধীনতা খর্ব করাই হচ্ছে তালিবানদের প্রধান উদ্দেশ্য। কুড়ি বছর পর ফের আফগানিস্থানে তালিবানি শাসন কায়েম আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটাচ্ছে - দাবী বিশেষজ্ঞদের।আরও পড়ুনঃ ফাঁকা পড়ে থাকা ভারতীয় দূতাবাসে কী খুঁজছে তালিবান?বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আফগানিস্থানের সাধারণ মানুষ দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে, মহিলারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন, স্কুল কলেজ সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো সব বন্ধ। যদিও তালিবানদের মুখপাত্র ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আফগানিস্থানে সমস্ত অফিসের কার্যকলাপ স্বাভাবিক নিয়মে শুরু করার কথা। এছাড়াও তিনি আরও জানান, নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রয়েছে এবং নারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে তাঁদের কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন কথা বলছে। আফগানিস্থান থেকে মহিলারা সোশাল মিডিয়াতে জানিয়েছেন, তাঁরা নিরাপত্তা নিয়ে ভীষণ ভাবে ভীত, সন্ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন। সরকারি টেলিভিশনের মহিলা অ্যাঙ্করকে ছাটাই করেছে কাবুল দখল করেই। হাত পিছমোড়া করে বেঁধে এক মহিলার কপালে গুলি করা হচ্ছে, সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।এরপরও কি তালিবানদের ওপরে কোনও ভরসা করা যায়? নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফা তিনিও উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছেন নারী এবং শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে।আরও পড়ুনঃ তালিবানি আতঙ্কের মাঝেই কেঁপে উঠল আফগানিস্তানমার্কিন সামরিক বাহিনী আফগানদের মাটি ছাড়ার পরই তালিবান শক্তি আফগানিস্থান দখল করেছে। এই ঘটনায় হতবাক বিশেষজ্ঞরা। এখানেই বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যমেও প্রশ্ন উঠেছে সে দেশের প্রশাসনের কাছে কি আগাম খবর ছিল? একদল আমেরিকান সরকারি কর্মী এমন আভাসের কথাও নাকি জানিয়েছিলেন সে দেশের প্রশাসনকে। আমেরিকান সৈন্য আফগানিস্তানের মাটি ছাড়তেই তালিবানরা প্রবল শক্তিতে দখল নিতে শুরু করে। অস্ত্রের ঝনঝনানি শব্দ যে অনেক দিন বিশ্ববাসী শোনেনি। অস্ত্র ব্যবসাও তলানিতে। অর্থাৎ যুদ্ধ বা গৃহযুদ্ধের দামামা শুরু!আরও পড়ুনঃ টাকা চুরি করে নয়, চটি পড়ে দেশ ছেড়েছি, মুখ খুললেন আসরাফঅন্যদিকে, পাকিস্তান, চীন এবং মধ্য প্রাচ্য-এর দেশগুলো তালিবানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনটাই দেখা গিয়েছে। কমিউনিস্টরাও সমর্থন করছে ধর্মান্ধদের! রাজনীতির স্বার্থে সবই সম্ভব। তানিবানদের আফগানিস্থানে প্রথম সরকার গঠনের পরবর্তী ঘটনার ইতিহাস সারা বিশ্ব আজও ভুলতে পারেনি। সেই স্মৃতির আতঙ্ক ফের মনে করিয়ে দিচ্ছে তালিবানরা। একবিংশ শতাব্দীতেও গণতন্ত্র বাদ দিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনায় বন্দুকের নল যদি ক্ষমতার উৎস হয় তা ভয়াবহ হতে বাধ্য। ফের হত্যালীলা, অত্যাচার শুরু করে দিয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসের অফিসগুলোতে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালিয়েছে তারা। এই সভ্যতার যুগে মানুষ উড়োজাহাজের চাকায় ও ছাদে চেপে বসেছে। মাঝ আকাশ থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু- আতঙ্কের ভয়াবহতা এতেই স্পষ্ট। আফগান নারীরা সন্তানদের প্রাণ বাঁচাতে এয়ারপোর্টে আমেরিকান সৈন্যদের হাতে তুলে দিয়েছে। এভাবেই এগোচ্ছে বিশ্বের সভ্যতা! রাস্ট্রসংঘ, উন্নয়নশীল দেশগুলো টিভির পর্দায় বর্বরতা দেখছে। কী কারণে রাষ্ট্রপুঞ্জ গঠন করা হয় তা-ও এখন প্রশ্নের মুখে। তালিবানদের বর্বরতা কোনও দেশের অভ্যন্তরীন বিষয় বলে এড়িয়ে যাওয়া যায় কি? এদেশের বিদ্বজনেরাও কিম্তু চোখে ঠুলি লাগিয়েছেন। তাঁদের মুখেও কিম্তু লিউকেপ্লাস্টার লাগিয়ে নিয়েছেন। কানে গুঁজেছেন তুলো। এসব বিষয় নিয়ে আলেচনা নৈব নব চ।আরও পড়ুনঃ তালিবানি অন্ধকারের মধ্যেই কী আশার আলো? মহিলা সঞ্চালককে সাক্ষাৎকার তালিবান নেতারজানা যাচ্ছে, আফগানিস্তানের পঞ্জশিরে এখনও তালিবানরা প্রবেশ করতে পারেনি। নর্দার্ন অ্যালায়েন্স প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। দেখা যাচ্ছে আফগান মহিলারাও হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছে। এবার দখলদারির শুরুতে প্রতিরোধ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আগের তালিবান জমানায় একাধিক শিল্প-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ধ্বংস করেছে তালিবান গোষ্ঠী। এবারও যে কী করবে তা শীঘ্রই প্রত্যক্ষ করা যাবে।আরও পড়ুনঃ কাবুল বিমাবন্দরে প্রাণ বাঁচানোর লড়াইয়ে ম্লান একরত্তির অকাতর কান্নাএকবিংশ শতাব্দীতে এসেও মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হচ্ছে মানুষ - কেনও? সেই প্রশ্নই ঘুরে-ফিরে আসে। বিশ্বায়ন তথা আধুনিকতার যুগে এই বর্বরতার ছবি পুনরায় ঘটবে। অন্যদিকে বাকি বিশ্বের মানুষ তামাসা দেখবে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।ডঃ অপর্ণা দেবনাথ

আগস্ট ২০, ২০২১
কলকাতা

Local Train: লোকাল ট্রেন কবে চালু হবে, জানালেন মমতা

ফের একবার লোকাল ট্রেন নিয়ে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামাঞ্চলে অন্তত ৫০ শতাংশ টিকাকরণ না হলে লোকাল চলবে না। বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের পর একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় বসবাসকারী ৭৫ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে এ দিন জানান মুখ্যমন্ত্রী । এ দিন তিনি বলেন,৭৫ শতাংশ শহরাঞ্চলের জনসংখ্যাকে প্রথম কভার করছি। আমরা ৭৫ শতাংশ কভার করেছি কলকাতায়। হাওড়ায় ৮০ শতাংশ কভার করেছি। শহরাঞ্চল, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে আগে টিকাকরণ করছি। গ্রামের মানুষ অনেক সচেতন। তাঁরা ফাঁকা আবহাওয়ায় নিঃশ্বাস পায়। মুক্ত হাওয়া ও সবুজ পায়। এরপর গ্রামগুলিকে ধরব।আরও পড়ুনঃ কলকাতা লিগে দুর্দান্ত শুরু মহমেডানের, নায়ক সার্বিয়ান নিকোলাএরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন,গ্রামগুলিকে ৫০ শতাংশ টিকা দিতে পারলে কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়ে আমরা লোকাল ট্রেন চালু করব। মমতার ব্যাখ্যা, এখনই করতে পারছি না কারণ তৃতীয় ঢেউয়ে বাচ্চারা আক্রান্ত হওয়ার কথা। ধরুন মা-বাবা গাদাগাদি করে ট্রেনে যাতায়াত করে। তাঁরা বাড়ি ফিরে গেল। বাড়িতে বাচ্চারা আছে। বাচ্চাদের স্বার্থে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

আগস্ট ১৮, ২০২১
রাজ্য

Covid 19: কেন বন্ধ লোকাল ট্রেন? তা বিস্তারিত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

লোকাল ট্রেন বন্ধই থাকছে। আগামী ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত এরাজ্যে চলবে না লোকাল ট্রেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে একথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতের কার্ফুর সময় ৯টা থেকে কমে হয়েছে রাত ১১ টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত। করোনাবিধি চালু থাকবে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত। কেন লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখা হচ্ছে তার কারণও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।নানা মহল থেকে লোকাল ট্রেন চালু করার দাবি উঠছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, অনেকেরই প্রশ্ন লোকাল ট্রেন কেন চলছে না? আমি জানি মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিনটা এখনও সর্বত্র দেওয়া যায়নি। করোনার প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। দূরবর্তী ট্রেন চলছে, প্লেন চলছে, বাস, অটো, মেট্রো, গাড়ি সব চলছে। মমতা আরও বলেন, লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখতে হচ্ছে কারণ সেপ্টেম্বরে থার্ড ওয়েভ আসার কথা আছে। তাই কন্ট্রোলে রাখতে হচ্ছে। কারণ থার্ড ওয়েভ দেখে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থার্ড ওয়েভে শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। নিয়ম মেনে চলতে বললে নিয়ম মানা দূরের কথা সবাই দেখলাম গাদাগাদি করে চলে গেল। পরে সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকার ফলে অনেকের জীবীকায় টান পড়েছে। অনেকের যাতায়াতের খরচ বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপলব্ধি, মানুষের জীবন সব থেকে আগে। তিনি বলেন, বিশেষ করে দুই ২৪ পরগানা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, নদিয়া, এসব এলাকা থেকেই লোকজন কাজের সূত্রে কলকাতায় বেশি যাতায়াত করে। এসব এলাকায় ৫০ শতাংশ টিকা দেওয়ার পর লোকাল ট্রেন চালু করে দেব। কোনও সমস্যা হবে না।

আগস্ট ১২, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • ...
  • 19
  • 20
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইউরোপের সঙ্গে যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত! ভারত সফরের আগে কঠোর বার্তা পুতিনের

আগামী ৪ ডিসেম্বর নয়াদিল্লি সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই তাঁর এই সফর। তবে দিল্লি সফরের আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন পুতিন।তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না। তিনি আগেও বহুবার এই কথা বলেছেন বলে দাবি করেন। তবে একই সঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি ইউরোপ হঠাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে তাঁরা এখনই তার জন্য প্রস্তুত। পুতিনের এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।এ দিকে রাশিয়ার সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছে, পুতিনের ভারত সফরের মূল লক্ষ্য দুদেশের বিশেষ ও ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করা। তাঁর কথায়, ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক গভীর ঐতিহাসিক বোঝাপড়ার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।এই সম্মেলনে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

ভোটার তালিকায় মৃত্যু রহস্য! ৩ দিনে ২২০৮ থেকে নেমে এল মাত্র ২৯

প্রথমে সামনে এসেছিল ২২০৮টি এমন বুথের নাম, যেখানে ২০০২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে একজন ভোটারেরও মৃত্যু হয়নি বলে দেখানো হয়েছিল। এই তথ্য সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, এত বছরে কি সত্যিই ওই সব বুথে একজনও মারা যাননি? এরপর বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জেলার আধিকারিকরা। তারপর থেকেই অস্বাভাবিক গতিতে নামতে শুরু করে এই ধরনের বুথের সংখ্যা।সোমবার যেখানে এমন বুথের সংখ্যা ছিল ২২০৮, মঙ্গলবার তা নেমে আসে ৪৮০-এ। আর বুধবার সেই সংখ্যাই আরও কমে দাঁড়ায় মাত্র ২৯-এ। প্রথম দিনের হিসেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমন বুথের সংখ্যা ছিল ৭৬০। বুধবার সেই সংখ্যা নেমে আসে ২০-এ। নতুন তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়িতে রয়েছে ১টি, মালদহে ৪টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২০টি, হাওড়ায় ১টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১টি ও পুরুলিয়ায় ২টি এমন বুথ, যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত ভোটারের নাম নেই।জেলাশাসকদের রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই সংখ্যাও শূন্যে নেমে যেতে পারে। এই দ্রুত বদলে যাওয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধীদের বক্তব্য, যদি অবজারভার না আসতেন এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে তথ্য সংশোধনের নির্দেশ না দেওয়া হত, তাহলে কি এই ভুলগুলো ধরা পড়ত? এই পরিবর্তনের গতি ও ধরন নিয়েই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।এদিকে বুধবার পর্যন্ত কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ ফর্ম জমা পড়েনি। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৪২ লক্ষ। ডিজিটাইজেশনের হার ইতিমধ্যেই ৯৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২২ লক্ষ, ঠিকানা বদল করা ভোটার ১৭.৫ লক্ষ, নিখোঁজ ভোটার ৪ লক্ষ এবং ডুপ্লিকেট ভোটারের সংখ্যা ১.২ লক্ষ বলে জানানো হয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে এই বিপুল পরিবর্তন ও অস্বাভাবিক পরিসংখ্যান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব চান ইমরান, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ চাইছেন আসিম মুনির! বিস্ফোরক মন্তব্য পাক প্রধানমন্ত্রীর বোনের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ভারতের সঙ্গে পুরো মাত্রার যুদ্ধ চাইছেন বলে তীব্র অভিযোগ তুললেন জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বোন আলিমা খান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম Sky News-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আসিম মুনির একজন চরমপন্থী ইসলামপন্থী ও রক্ষণশীল নেতা। তাঁর এই মানসিকতার কারণেই বারবার ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। আলিমা খানের কথায়, ইমরান খান একেবারে উদারমনস্ক মানুষ এবং তিনি সব সময় ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চান, এমনকি বিজেপির সঙ্গেও তিনি সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ছিলেন।আলিমা বলেন, আসিম মুনির যেভাবে ধর্মীয় চরমপন্থায় বিশ্বাস করেন, তাতে যাঁরা ইসলামি ভাবধারায় বিশ্বাসী নন, তাঁদের বিরুদ্ধেই তিনি লড়াইয়ে নামতে চান। তাঁর অভিযোগ, এই কারণেই মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চরমে ওঠে। তিনি আরও বলেন, ইমরান খান পশ্চিমের কাছে একটি বড় সম্পদ। তাই পশ্চিমা দেশগুলির এখন উচিত আরও জোরদার ভাবে তাঁর মুক্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করা।এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন কিছুদিন আগেই ইমরানের আর এক বোনকে আদিয়ালা জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তার ঠিক পরই ইমরান নিজেও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আসিম মুনির মানসিক ভাবে অসুস্থ এক স্বৈরাচারী শাসক। জেলের ভিতরে তাঁর সঙ্গে কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায় সেনাপ্রধানের বলেও অভিযোগ করেন ইমরান খান।ইমরান আরও দাবি করেন, তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মতোই তাঁকে রাখা হয়েছে, এমনকি পশুর থেকেও খারাপ আচরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আসিম মুনির দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দিচ্ছেন, যার জেরে আজ পাকিস্তানে জঙ্গিবাদ ভয়াবহ আকার নিয়েছে।কাশ্মীর নিয়ে আসিম মুনিরের আগের একাধিক কড়া মন্তব্য এবং ইসলাম বনাম হিন্দু বিভাজনের বক্তব্য থেকেই সংঘাতের আগুন আরও ছড়িয়েছে বলে মত বিশেষ মহলের। তার পরই ভয়াবহ হামলা, পাল্টা ভারতের সামরিক অভিযানে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেই আবহেই এবার পাকিস্তানের অন্দরে সেনাপ্রধান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজনীতি আরও অস্থির হয়ে উঠল।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

বিমান ধরতে এসে চূড়ান্ত ভোগান্তি! দিল্লি-মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু—সব জায়গায় ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল... কী হল

প্রযুক্তিগত ত্রুটি, বিমানবন্দরের অতিরিক্ত ভিড় এবং বিভিন্ন পরিচালনাগত সমস্যার জেরে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইন্ডিগো। গত দুদিন ধরে দেশজুড়ে একের পর এক ফ্লাইট বাতিল ও দীর্ঘ বিলম্বে বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।বুধবার দুপুর পর্যন্ত একাধিক বড় বিমানবন্দরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে অন্তত ৩৩টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বাতিল হয়েছে ৫১টিরও বেশি বিমান। হায়দরাবাদেও আগমন ও প্রস্থান মিলিয়ে ১৯টি ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিশাখাপত্তনম, গোয়া, আমদাবাদ, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মাদুরাই, হুবলি, ভোপাল ও ভুবনেশ্বর থেকে হায়দরাবাদের উড়ানও বাতিল করা হয়েছে।বেঙ্গালুরুর কেমপেগওডা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বুধবার একদিনেই ৪২টি ঘরোয়া ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি ছিল আগমন এবং ২০টি ছিল প্রস্থান। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, গোয়া, কলকাতা ও লখনউগামী একাধিক ফ্লাইট এই বিপর্যয়ের তালিকায় রয়েছে। গত কয়েক দিনে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর বহু যাত্রী এক থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দেরির অভিযোগ তুলেছেন।সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২ ডিসেম্বর ইন্ডিগোর মাত্র ৩৫ শতাংশ ফ্লাইট সময়মতো উড়তে পেরেছিল এবং ১ ডিসেম্বর সেই হার ছিল ৪৯.৫ শতাংশ। এই অবস্থায় যাত্রীদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে।এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে জানায়, গত দুদিন ধরে তাদের পরিষেবা সারা দেশজুড়ে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে এবং এর জন্য তারা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চায়। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত ছোটখাটো সমস্যার পাশাপাশি শীতকালীন সময়সূচির পরিবর্তন, খারাপ আবহাওয়া, বিমান চলাচলে অতিরিক্ত চাপ এবং ক্রুদের নতুন কাজের সময়সীমার নিয়ম চালু হওয়ায় একসঙ্গে বহু সমস্যা তৈরি হয়েছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাময়িকভাবে কিছু ফ্লাইটের সময়সূচি বদলানো হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা বা টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যাত্রীদের বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার আগে অনলাইনে নিজেদের ফ্লাইটের অবস্থা দেখে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।সূত্রের খবর, নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকেই ইন্ডিগো তীব্র পাইলট সংকটে ভুগছে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ক্রুদের বিশ্রামের সময় বেড়েছে, রাতের কাজের সময় বদল হয়েছে এবং রাতে অবতরণের সংখ্যাও কমানো হয়েছে। এই নিয়ম চালু করেছে DGCA Delhi High Court-এর নির্দেশ অনুসারে। এর আগে এই নিয়মের বিরোধিতা করেছিল ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া।বর্তমানে এই বিমানসংস্থা প্রতিদিন প্রায় ২১০০টি ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালায়। তার বড় অংশই রাতে পরিচালিত হয়। ফলে ক্রু সংকটের প্রভাব আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

ঋণের চাপে দেশের পতাকাবাহী বিমান সংস্থাই বিক্রি! পাকিস্তানে তোলপাড়

ঋণ আর আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তানকে এবার তাদের জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করতেই হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপে পাকিস্তান সরকার আর্থিক কড়াকড়ির পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে। সেই শর্তের অংশ হিসেবেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা Pakistan International Airlines-এর ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী Shehbaz Sharif জানিয়েছেন, আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সরাসরি সমস্ত সংবাদমাধ্যমে দেখানো হবে। ইসলামাবাদে দরপত্রদাতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এই ঘোষণা করেন। নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য চারটি সংস্থাকে আগাম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেনা-নিয়ন্ত্রিত ফাউজি ফাউন্ডেশনের অধীন ফাউজি ফার্টিলাইজার কোম্পানিও।এই বিক্রির পেছনে রয়েছে আইএমএফ-এর ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজ। সেই প্যাকেজের অন্যতম শর্ত হল পিআইএ বেসরকারিকরণ। পাকিস্তানের বেসরকারিকরণমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরে সরকার প্রায় ৮৬ বিলিয়ন টাকা বেসরকারিকরণ থেকে আয় করার লক্ষ্য নিয়েছে। পিআইএ বিক্রি হলে সরকারের ভাগে যাবে একটি অংশ, বাকি থাকবে সংস্থার মধ্যেই।শোনা যাচ্ছে, গত দুই দশকে এটি হবে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বেসরকারিকরণ উদ্যোগ। যে চারটি সংস্থা এই দৌড়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে লাকি সিমেন্ট কনসোর্টিয়াম, আরিফ হাবিব কর্পোরেশন কনসোর্টিয়াম, ফাউজি ফার্টিলাইজার কোম্পানি ও এয়ার ব্লু।ফাউজি ফার্টিলাইজার মূলত ফুজি ফাউন্ডেশনের অংশ, যা পাকিস্তানের অন্যতম বড় কর্পোরেট গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। দেশের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এই সংস্থার পরিচালন পর্ষদে সরাসরি না থাকলেও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাঁর প্রভাব রয়েছে বলেই মনে করা হয়।পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি নিয়মিত নতুন ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তান প্রায় ঋণখেলাপির মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল খরচ দেশটির আর্থিক ভাঁড়ার আরও ফাঁকা করেছে। আইএমএফের ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ অনুমোদিত হয়। তার মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার তখনই দেওয়া হয়, বাকি টাকা তিন বছরে পর্যায়ক্রমে দেওয়ার কথা।পিআইএ-এর পতন শুরু হয় ২০২০ সালে। সেই সময় সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্যপাকিস্তানের ৩০ শতাংশের বেশি পাইলট ভুয়ো লাইসেন্স নিয়ে বিমান চালাচ্ছিলেন। এর জেরে শতাধিক পাইলটকে বসিয়ে দেওয়া হয়। ইউরোপ, ব্রিটেন ও আমেরিকা পিআইএ-র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে সংস্থার আয় ভয়াবহভাবে পড়ে যায়।এর সঙ্গে যোগ হয় অতিরিক্ত কর্মী, রাজনৈতিক নিয়োগ, স্বজনপোষণ, দুর্নীতি এবং ভয়াবহ অপব্যবস্থা। একই বছর করাচিতে পিআইএ বিমানের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, যা সংস্থার সংকটকে আরও গভীর করে তোলে। মেরামতি, তদন্ত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করতে গিয়ে পিআইএ পুরোপুরি আর্থিক দেউলিয়ায় পৌঁছয়।আজ পিআইএ শুধু একটি বিমান সংস্থা নয়, পাকিস্তানের ভেঙে পড়া অর্থনীতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ দিনের অব্যবস্থা, দুর্নীতি আর ভুল সিদ্ধান্তই এক সময়ের গর্বের সংস্থাকে এই অবস্থায় এনে ফেলেছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিকেই মান্যতা... হাইকোর্টের রায়ের পরেই বিস্ফোরক বিকাশ ভট্টাচার্য

৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার রায়ের পর খুশির হাওয়া থাকলেও বিতর্ক থামেনি। এই রায়কে কেন্দ্র করে এখনও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই রায়ের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিই প্রশ্রয় পেল। তিনি বলেন, আপাতত চাকরি বাঁচলেও এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের জন্য ভালো বার্তা নয়। আদালতে যে সমস্ত দুর্নীতির তথ্য পেশ করা হয়েছিল, সেগুলি আইনি ভাবে গ্রাহ্য না হলে আগামী দিনে দুর্নীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।অন্যদিকে সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়িয়েছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা একসময় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভগবান বলে স্লোগান দিয়েছিলেন, তারাই আজ তাঁকে শয়তান বলছেন। তাঁর অভিযোগ, পুরো বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করা হয়েছিল। সিপিএম-বিজেপির যোগসাজশেই বাংলায় শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে এত বড় অশান্তি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।প্রসঙ্গত, একক বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বহাল থাকছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। এই রায়ের পরেই প্রাথমিক শিক্ষক মহলে খুশির জোয়ার দেখা যায়। অনেকেই বলছেন, শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হল।রায়ের পর উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন। তাঁর পোস্টেও উঠে আসে সত্যের জয়-এর কথা।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

‘ভারত না ভাঙলে শান্তি নেই’— বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তার মন্তব্যে নতু করে চাঞ্চল্য

ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো না হলে বাংলাদেশে কখনও পুরোপুরি শান্তি আসবে নাএমনই উসকানিমূলক মন্তব্য করে তীব্র বিতর্কে জড়ালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা আবদুললাহি আমান আজমি। তিনি এক সময় অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।সম্প্রতি তিনি ঢাকা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ভারত নাকি বরাবরই Bangladesh-এর ভিতরে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্যও তিনি সরাসরি ভারতকে য়ী করেন।প্রাক্তন এই সেনাকর্তার আরও অভিযোগ, শেখ মুজিবর রহমান সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠিত হয়েছিল। তাদের সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনীকে ভারত আশ্রয়, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, সেই কারণেই ওই দীর্ঘ সময় জুড়ে পাহাড়ি এলাকায় রক্তপাত চলেছিল।জানা গিয়েছে, আবদুল্লাহিল আমান আজমি বরাবরই ভারতবিরোধী মন্তব্যের জন্য পরিচিত। সমাজমাধ্যমেও তিনি নিয়মিত ভারতবিরোধী পোস্ট করেন। তাঁর এই বিতর্কিত বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হওয়ার পথে।উল্লেখ্য, তিনি প্রয়াত জামাত প্রধান গুলাম আজমের ছেলে। গুলাম আজম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

নতুন এসএসসি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন! ফের অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত হাই কোর্টের

নতুন করে এসএসসি যে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে, তার ভবিষ্যৎ নিয়েই ফের অনিশ্চয়তার কথা উঠে এল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে, এই পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেলেও শেষ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপর। আগেও এই বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেছিলেন, এই পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।এ দিন এসএসসির মেধার ভিত্তিতে অতিরিক্ত দশ নম্বর দেওয়ার মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট করে জানান, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেলেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেই চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকবে। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দেয়, কমিশনকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই বিষয়ে প্রার্থীদের স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে।প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সেই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টেও। এরপর এসএসসি নতুন করে যে পরীক্ষা নিয়েছে, সেই পরীক্ষার বিষয়টিও এখন আদালতে বিচারাধীন। বুধবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।এই মামলায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার বিষয়টিও আদালতের নজরে আসে। শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছিল, তারা কখনও বলেনি যে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে ফ্রেশারদের অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আদালত শুধু এটুকুই চেয়েছিল, কোনও অযোগ্য পরীক্ষার্থী যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি দুর্নীতিমুক্ত হোক। রাজ্য যখন পুরনো ও নতুন প্রার্থী মিলিয়ে একসঙ্গে পরীক্ষা নিয়েছে, তার দায়ও রাজ্যেরই বলে মন্তব্য করা হয়। তবে যোগ্য প্রার্থীরা যেন কোনও ভাবেই সমস্যায় না পড়েন, সেই বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।এদিকে এসএসসি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের যে নতুন পরীক্ষা নিয়েছে, সেখানে পুরনো প্রার্থীদের পাশাপাশি নতুনরাও অংশ নেন। কিন্তু পরে ভেরিফিকেশনের সময় দেখা যায়, অতিরিক্ত ১০ নম্বরের কারণে বহু নতুন প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়াতেই ডাক পাননি। ফলে নতুন পরীক্ষার ভবিষ্যৎ এবং নিয়োগ নিয়ে ফের বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal