• ১ শ্রাবণ ১৪৩২, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

NH

রাজনীতি

দলের লাইনের বিপক্ষে হাঁটলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, আমিষ নিষিদ্ধ নিয়ে বড় মন্তব্য়

এতো দলের উল্টো সুর গাইলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা এ কী বললেন! তিনি প্রকাশ্যে তার মত ব্যক্ত করে বলেছেন, গরুর মাংস কেন সমস্ত আমিষই নিষিদ্ধ করা উচিত। অথচ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে বলেছেন, কারও খাওয়া নিয়েই কেউ কোনও কিছু বলতে পারে না। কে কি খাবে, কি পরবে সেটা তাঁর একান্তই নিজস্ব বিষয়। এবার দলের লাইনের একেবারে বিপক্ষে হাঁটলেন তৃণমূলের তারকা সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, শুধু গোমাংসই নয়, দেশে সব ধরনের আমিষ পদ নিষিদ্ধ করে দেওয়া উচিত। সরকার বিভিন্ন জায়গায় গোমাংস বিক্রি বন্ধ করেছে, এটা ঠিক কাজ হয়েছে। তবে এখনও বহু জায়গা রয়েছে যেসব জায়গায় গোমাংস বিক্রি করা কিংবা খাবার ক্ষেত্রে কোনও আইনি বাধা নেই। উত্তর-পূর্বে গোমাংস খেলে ইয়াম্মি, আমাদের উত্তর ভারতে খেলে মাম্মি। এটা চলতে পারে না। বন্ধ করলে সব জায়গায় করতে হবে।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্কুলের পরিকাঠামোতে মুগ্ধ 'আলভিটো '-র বর্ধমানে কোচিং করানোর প্রস্তাব!

মাত্র কয়েকদিন আগেই বর্ধমানের ছেলের গোলে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা। চুড়ান্ত ফাইনালে গোল করে আপামর বাঙ্গালী ফুটবল প্রেমীর নয়নের মনি হয়ে গেছেন রবি হাঁসদা। সেই রবির বাড়ির কাছেই বর্ধমান শহরে ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় এলেন একজোড়া কিংবদন্তি ফুটবলার।বর্ধমান মডেল স্কুলে ১৭ই জানুয়ারি শুক্রবার দুই দিন ব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার সূচনা হয়। প্রথম দিনের প্রধান অথিতি ছিলেন কলকাতা ময়দানের তিন প্রধানের অন্যতম মোহনবাগানের কিংবদন্তি ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য। ৭০-র দশকের কলকাতা ময়দানের মাঝমাঠের মানস-বিদেশ জুটির নাম শোনেনি, এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া দুস্কর।বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় দিন ১৮ই জানুয়ারি শনিবার প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন কিংবদন্তি গোয়ানিজ ফুটবলার আল্ভিটো রোনাল্ডো কোরিয়া ডিকুনহা। আল্ভিটো তাঁর ফুটবলার হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেন গোয়ার বিখ্যাত ক্লাব সেসার হয়ে। তারপর কয়েক মরসুম গোয়ান ফুটবলের নামজাদা ক্লাব সালগাওকার-র হয়ে খেলে কলকাতা ময়দানে প্রবেশ ২০০৩-এ। সেই থেকে কোলকাতা ময়দানের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র-র পরিণীত আল্ভিটো। তাঁর ঝরঝরে বাংলা শুনে তাঁকে গোয়ানিজ ভাবতে দুবার ভাবতে হবে।আল্ভিটো রিমোটের সাহায্যে সম্প্রীতির বার্তা জানিয়ে একঝাঁক গ্যাস বেলুন আকাশে ওড়িয়ে এদিনের স্পোর্টস মিটের সুচনা করেন। তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই আক্ষেপের সাথে জানান, এই প্রজন্মের মাঠমুখো না-হওয়ার প্রবনতার কথা। তিনি জানান খেলার মাঠে যাওয়ার প্রবণতা এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের ক্রমশই হ্রাস পাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের ছাত্রাবস্থায় আমরা এত বেশী খেলতাম যে অবিভাবকদের কাছে বেশী খেলার জন্য বকুনি খেতাম, আর এখন ঠিক তার উলটপুরাণ। আল্ভিটো বলেন, এখনও এতটাও খারাপ হয়ে যায়নি পরিবেশ, এখনও সময় আছে। অবিভাবকেরা বাচ্ছাদের হাত ধরে মাঠমুখী করুন। দেখবেন ছেলে-মেয়েরা খেলতে খেলতে পড়াশোনাতেও উন্নতি করতে শুরু করছে। তিনি বলেন, মাঠে এলে শুধুমাত্র শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ হয়, তা নয়। মাঠ মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে, দলবদ্ধ ভাবে কোনও কাজ করার মানসিকতা গড়তে ও প্রতি পদক্ষেপের জেতার জেদ তৈরি করতে সাহায্য করে।আল্ভিটো বর্ধমানের এই স্কুলের ক্রীড়া পরিকাঠামো-র ভুয়াসী প্রশংসা করে বলেন, আমরা ছোটো বেলায় এরকম পরিকাঠামো পাইনি। এখানে দুইটি প্রমান মাপের মাঠ, একটি প্রসস্ত ইন্ডোর অডিটোরিয়াম সবই আছে শুধুমাত্র অভাব একঝাঁক উৎসাহী ক্রীড়াপ্রেমী ছাত্র-ছাত্রী। তিনি স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডলকে জানান, স্কুলের ক্রীড়ার উন্নয়নে বিশেষ করে ফুটবলের জন্য তাঁকে কোনও প্রয়োজন লাগলে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে যথাযত সাহায্য করতে প্রস্তুত।আল্ভিটো স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বাচ্ছাদের সাথে বেশ কিছুক্ষন সময় কাটান। বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন। আল্ভিটো-র সাথে এদিন উপস্থিত ছিলেন কোলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠনের সহ-সভাপতি ও আজকাল পত্রিকার বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক নজরুল ইসলাম উপস্থিত সোহেল। এছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন জেলার পিওবিসিডাবলু আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু কুমার মন্ডল ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডঃ শিবকালি গুপ্ত।স্কুলের কর্নধার অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল জনতার কথাকে বলেন, আমাদের স্কুল ক্রীড়া পরিকাঠামোতে কোনও কার্পণ্য করে না। দু-দুটি প্রমান সাইজের মাঠ পরে আছে ছেলেদের জন্য। বর্ষা-তেও যদি খেলতে অসুবিধা হয় তার জন্য ইন্ডোর স্টেডিয়াম বানানো হয়েছে। ক্রিকেটের জন্য কোলকাতা থেকে কোচ আসছে ছেলেদের কোচিং দিতে। এনসিসি-র ট্রেনিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সহ মাঠ বানানো হয়েছে। তিনি জানান, তাঁর বিশ্বাস খেলার মাঠ কখনো খারাপ মানুষ তৈরি করে না। খেলাধুলা একজন কে অপরকে সাহায্য করতে শেখায়। ফুটবলে একা-একা যেমন গোল করা যায় না ঠিক তেমন-ই রিলে রেসে সঠিক ভাবে ব্যাট্ম বদল না করলে জেতা যায় না, আবার ক্রিকেটে ক্যাচ না ধরলে বোলার উইকেট পায়না। একে অন্যকে সাহায্য করে কি ভাবে জয়লাভ করা যায় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ খেলার মাঠ।

জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
দেশ

কেন্দ্রের ন্যায় সংহিতা আইন, খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকাররে রিভিউ কমিটি

কেন্দ্রের ন্যায় সংহিতা আইন নিয়ে আগেই প্রতিবাদ জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই আইন খতিয়ে দেখে পর্যালোচনা করার জন্য নতুন রিভিউ কমিটি তৈরি করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে সাত সদস্যের এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, কমিটির শীর্ষে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অসীম কুমার রায়। প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে ফৌজদারি বা অপরাধ সংক্রান্ত বিচার ব্যবস্থায় চালু হয়েছে নয়া তিন আইনের শাসন। ভারতীয় দণ্ডবিধি বা আইপিসির বদলে ভারতীয় ন্যায়সংহিতা (বিএনএস), ফৌজদারি কার্যবিধি বা সিআরপিসি-র বদলে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা(বিএনএসএস) এবং এভিডেন্স অ্যাক্টের বদলে ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম (বিএসএ) চালু হয়েছে গোটা দেশে। এই আইন প্রনয়ণ নিয়ে আগে বিতর্ক শুরু হয়েছিল।

জুলাই ১৮, ২০২৪
রাজ্য

টানা ৩ দিন আয়কর তল্লাশি রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাইয়ের বাড়িতে, ইডির হানা আরেক মন্ত্রীর ঘরে

একটানা ৩ দিন! রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের বাড়িতে টানা তিন দিন ধরে আয়কর দফতরের টানা তল্লাশি। নিউ আলিপুরে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের বাড়িতে একটানা চলছে আয়কর দফতরের তল্লাশি। স্বভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। এদিন বোলপুরে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।টানা ৩ দিন ধরে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাসের বাড়িতে আয়কর তল্লাশি চলছে। সূত্রের খবর, আপাতত টানা তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন আয়কর দফতরের অফিসাররা বাজেয়াপ্ত করেছেন। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্যও হাতে এসেছে আয়কর অফিসারদের।এদিকে, টানা এই তল্লাশি অভিযান ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। এপ্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমে বলেন, এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া। আয়কর দফতর কঠিনভাবে সক্রিয় হয়েছে। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত কিছু জানা যাচ্ছে ততক্ষণ রাজনৈতিক বিতর্ক চাই না।এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে শুক্রবার একযোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিয়েছে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের বাড়ির পাশাপাশি কলকাতা শহরের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দেয় ইডিনিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা ঘুরপথে বেশ কয়েকজন ব্যাবসায়ীর মাধ্যমেই সাদা করার চেষ্টা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। তারই ভিত্তিতে কলকাতায় এদিন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তল্লাশি চালিয়েছে। অন্যদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার তদন্তে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নাম উঠে এসেছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বাড়িতেও এদিন ইডি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে।

মার্চ ২২, ২০২৪
রাজ্য

দুই মন্ত্রী সম্মুখ সমরে, সংঘর্ষে মাথা ফাটল পুলিশ আধিকারিকের, শহর বনধের ডাক

দুই মন্ত্রী সম্মুখ সমরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতীশ অধিকারী ও রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এক মন্ত্রী আরেকজনের দিকে তেড়ে যাচ্ছে, অন্য জন জবাব দিচ্ছে, এমন দৃশ্য খুব একটা দেখা যায় না। মঙ্গলবার কোচবিহারে দিনহাটায় প্রচারে ধুন্ধুমার ঘটনা ঘটে। প্রচারিত একটি ভিডিওতে স্পষ্ট দুই মন্ত্রীর বাকবিতন্ডা থেকে লাঠিসোটা নিয়ে দাপাদাপি। বিজেপি ও তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনায় মাথা ফেটেছে এক পুলিশ আধিকারিকের। এই ঘটনার জেরে আজ, বুধবার দিনহাটা বনধের ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যে নির্বাচনের আগে পরে বারে বারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিনহাটা। এবার লোকসভা নির্বাচন আসতেই ফের উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের দিনহাটায়। দুই মন্ত্রীর সামনেই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ মুখোমুখি বাকবিতন্ডায় জড়ান। একে অপরের দিকে তেড়ে যান। এই দৃশ্য দেখে স্বভাবতই বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়৷ জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষে দুই পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। দিনহাটার এসডিপিও মাথায় চোট পেয়েছেন। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ নাজেহাল হয়ে পড়ে। এমনকী মন্ত্রীদের নিরাপত্তা রক্ষীদের দিকেও লাঠি নিয়ে তেড়ে যেতে দেখা যায় প্রচারিত ভিডিওতে।তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, উদয়ন গুহের জন্মদিন পালনের জন্য দিনহাটা চৌপতি এলাকায় কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। তখন ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন নিশীথ প্রামানিক। তিনি নির্বাচনী প্রচার থেকে ফিরছিলেন। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা করে। তা থেকে বিবাদের সূত্রপাত।বিজেপির অভিযোগ, সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার সময় দিনহাটার পাঁচমাথা মোড়ে তৃণমূলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ভাবে রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। হঠাৎ কনভয়ে ইট-পাটকেল, তির-ধনুক নিয়ে আক্রমণ করে তৃণমূল। এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য পুলিশের কাছে দিনহাটার ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার দিনহাটা বনধের ডাক দিয়েছে তৃণমূল অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি।

মার্চ ২০, ২০২৪
রাজ্য

বিহিত চাইতে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক, তিরে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও অমৃতা সিনহা

এবার একযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এছাড়া, বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকেও মামলা সরানোর আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।নিয়োগ মামলা থেকে অভিষেকের সম্পত্তি- এছাড়াও আর্থ সামাজিক নানা বিষয়ে প্রকাশ্যে নিজের মতামত জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সন্দেশখালির ঘটনার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। বলেছিলেন, বাংলায় সাংবিধানিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আইনশ়ৃঙ্খলার পরিস্থিতি মোটেই ভাল নয়। কেন কিছু বলছেন না রাজ্যপাল? এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তির উৎস জানতে চেয়েছিলেন তিনি? বলেছিলেন, স্বচ্ছতা রাখতে অভিষেকের উচিত সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সম্পত্তির হিসাব পোস্ট করা।বহু সময় বিচারপতির সেইসব মন্তব্য রাজ্যের শাসক দলের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকের দাবি, এতে প্রভাব পড়ে মামলায়। এসবের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আবেদন, বিষয়ের বাইরে গিয়ে মামলার বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করা থেকে যেন বিরত থাকেন। সেই মর্মে যেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়েও সম্প্রতি শাসক দল প্রশ্ন তুলেছিল। তৃণমূলের মুখপাত্রদের মতে, মামলার প্রকৃত রায় এখনও অজানা। তার আগেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ থেকে মামলায় নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। শীর্ষ আদালতে আবেদনে অভিষেক জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক যে তিনি যেন একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেন। সেই বেঞ্চ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুনবে। মূলত বিচারপতি সিনহার এজলাসে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেই মামলাগুলি যাতে ওই বিশেষ বেঞ্চে যায়।

জানুয়ারি ১০, ২০২৪
রাজ্য

অমৃতা সিনহার স্বামীকে একাধিকবার ডাকছে সিআইডি! কি বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

একটি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীকে সিআইডি তলব নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে। সিআইডি-র এক অফিসারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনে অভিযোগ জানিয়েছেন আইনজীবী প্রতাপ দে। নির্দিষ্ঠ মামলা থেকে তাঁর স্ত্রী (বিচারপতি অমৃতা সিনহা) এবং তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে ওই অফিসারের জানার আগ্রহ বেশি বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবী দে। যার পাল্টা সিআইডি-র প্রেস বিবৃতি জারি করেছে। বিধাননগর দক্ষিণ থানায় রুজু হওয়া মামলায় যে তথ্য এবং সাক্ষ্যের সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে, শুধু সেই বিষয়েই প্রতাপ দে-কে প্রশ্ন করা হচ্ছে বলে দাবি রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার। চলতে থাকা এই বিতর্কেই শুক্রবার নিজের এজলাসে বসে মুখ খুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।শুক্রবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে আইজীবী প্রতার দে-র অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, বিচারপতি সিনহার স্বামীকে সিআইডি প্রায়ই ডেকে পাঠাচ্ছে অন্য একটি মামলায়। কেন? এটা কি এতই গুরুত্বপূর্ণ মামলা? তারপরই বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, সুপ্রিম কোর্ট তো সিআইডি এবং রাজ্যকে অনেক নির্দেশ দেয়, সব নির্দেশ কি রাজ্য বা সিআইডি মেনে চলে? শেষে অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বলেন, রাজ্যকে আপনি বিভিন্ন বিব্রতকর অবস্থা থেকে বাঁচাতে পারেন, চেষ্টা করে দেখুন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।বার অ্যান্ড বেঞ্চ (আইন সংক্রান্ত বিষয়ে খবরাখবর পরিবেশনকারী সংবাদমাধ্যম)-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, একটি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এক বিধবার সঙ্গে তাঁর কয়েক জন আত্মীয়ের বিরোধ ছিল। মামলা গড়ায় আদালতে। আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করতে বাপের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দাদা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিধবার। তাঁকে হুমকি, মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও প্রমাণ হিসাবে জমা করা হয় আদালতে। মামলাকারী বৃদ্ধা আত্মীয়দের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি অভিযোগ করেন।একটি অপরাধের মামলায় অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে বিচারপতি সিনহার আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দুটি মামলার তদন্ত যাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তার সব রকম চেষ্টা করেছেন বিচারপতি সিনহার স্বামী। অভিযোগ করা হয় যে, ওই দুই মামলার প্রাথমিক তদন্তে এক জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পরেও তদন্তের গতি থমকে রয়েছে। হলফনামায় জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীকে এক বার ডেকে তিরস্কার এবং ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি। তিনি নাকি বলেছেন, ওই দুটি দেওয়ানি মামলায় কেন ফৌজদারি মামলার তদন্ত হচ্ছে?বার অ্যান্ড বেঞ্চ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি মামলাকারীর আবেদনে প্রার্থনা জানানো হয় যে, শীর্ষ আদালত যেন বিচারপতি এবং আইনজীবী স্বামীর ওই কাজের জন্য তদন্তের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, মামলাকারীরা পর্যাপ্ত পুলিশি সুরক্ষার আবেদন জানিয়েছেন।ফলস্বরূপ, ওই দুটি মামলার তদন্তপ্রক্রিয়াই বাধাপ্রাপ্ত হয়। শুধু তাই নয়, বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন মামলাকারীরা।মামলার প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরে অবশ্য এই মামলায় বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। তবে গত ১ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ। সেই সূত্রেই বিচারপতি স্বামীকে তলব করছে সিআইডি।

ডিসেম্বর ২২, ২০২৩
রাজ্য

অস্বস্তি বাড়ল বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর, তিনবার তলব সিআইডির

একটি সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক বিধবা মহিলা ও তাঁর কন্যা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি জমি সংক্রান্ত মামলায় অবৈধভাবে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ছিল বিচারপতির স্বামীর বিরুদ্ধে। সেই মামলার তদন্তে এক মাসে মোট তিনবার বিচারপতির স্বামীকে তলব করা হল। ১ ডিসেম্বরও সিআইডি দফতরের প্রতাপচন্দ্র দে-কে ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তারপর ফের গত শনিবার চলে ৯ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর ফের ২২ ডিসেম্বর প্রতাপবাবুকে তলব করেছে সিআইডি। এছাড়া, তাঁর মোবাইলটিও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বিচারপতি সিনহার এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার বিচার চলছে। সেই মামলাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সংস্থা লিপস এম্ড বাউন্ডসের সম্পত্তি, আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি সিনহা। যার প্রেক্ষিতে ইডি আদালতে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা করেছে ইডি। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা চলছে। এসবের মধ্যেই বিতারপতির স্মামীকে বারংবার তলব ও মোবাইল জমার নির্দেশ আদতে চাপ বাড়ানোর কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।বার অ্যান্ড বেঞ্চ (আইন সংক্রান্ত বিষয়ে খবরাখবর পরিবেশনকারী সংবাদমাধ্যম)-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, একটি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এক বিধবার সঙ্গে তাঁর কয়েক জন আত্মীয়ের বিরোধ ছিল। মামলা গড়ায় আদালতে। আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, পৈতৃক সম্পত্তি থেকে তাঁকে বঞ্চিত করতে বাপের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দাদা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল বিধবার। তাঁকে হুমকি, মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও প্রমাণ হিসাবে জমা করা হয় আদালতে। মামলাকারী বৃদ্ধা আত্মীয়দের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি অভিযোগ করেন।একটি অপরাধের মামলায় অবৈধ ভাবে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে বিচারপতি সিনহার আইনজীবী স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দুটি মামলার তদন্ত যাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তার সব রকম চেষ্টা করেছেন বিচারপতি সিনহার স্বামী। অভিযোগ করা হয় যে, ওই দুই মামলার প্রাথমিক তদন্তে এক জন অভিযুক্ত গ্রেফতার হওয়ার পরেও তদন্তের গতি আটকে রয়েছে। হলফনামায় জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তদন্তকারীকে এক বার ডেকে তিরস্কার এবং ভর্ৎসনা করেছেন বিচারপতি। তিনি নাকি বলেছেন, ওই দুটি দেওয়ানি মামলায় কেন ফৌজদারি মামলার তদন্ত হচ্ছে?মামলার প্রেক্ষিতে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরে অবশ্য এই মামলায় বাড়তি পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। তবে গত ১ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত জানিয়েছি, আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিশ। সেই সূত্রেই বিচারপতি স্বামীকে তলব করেছে সিআইডি।

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
রাজ্য

শুধু টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক শিক্ষক, ৯৪ জনের চাকরি গেল পাকাপাকি

টেটই পাস করেননি, তবে চাকরি জুটেছিল প্রাথমিক শিক্ষক পদে। টাকার বিনিময়ে নাকি এই চাকরি হয়েছিল। শেষরক্ষা হল না শেষপর্যন্ত আদালতেও সঠিক নথি পেশ করতে ব্যর্থ হন ওই ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষক। এরপরই প্রথামিক শিক্ষা পর্ষদ ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিলের কথা আদালতে জানিয়েছে।উল্লেখ্য, মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি থাকালীনই ওই ৯৪ জনকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। যাঁরা টেট পাস করেননি।প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত একটি মামলাতেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তুলেছিলেন যে কীভাবে টেট পাশ না করে চাকরি পেলেন প্রার্থীরা। পর্ষদের কাছে রিপোর্ট তলবও করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। সেই রিপোর্টেই পর্ষদ জানিয়েছিল, টেট পাশ না করেই ২০১৪ ও ২০১৬ সালে চাকরি পেয়েছেন এমন ৯৬ জন প্রাথমিকে শিক্ষক হিসাবে কাজ করে চলেছেন। যা নিয়ে সর্বত্র শোরগোল পড়ে যায়।এরপরই বিচারপতি সিনহা ওই ৯৬ জনকে পর্ষদের কাছে তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ওই ৯৬ জনের থেকে নথি চেয়ে পাঠায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। জানা যায়, ৯৬ জনের মধ্যে ৯৪ জনই সঠিক নথি পেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ওই ৯৪ জনের চাকরি বাতিল করল পর্ষদ। চাকরি বাতিলের নির্দেশ ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের জানানো হয়েছে। আগামী সোমবার থেকেই পর্ষদের নির্দেশ কার্যকর হবে।

নভেম্বর ০৪, ২০২৩
রাজ্য

তিস্তায় লাল সতর্কতা জারি, গজলডোবায় উদ্ধার অজ্ঞাত পরিচয় ৩ টে মৃতদেহ

তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করলো সেচ দপ্তর। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করলো সেচ দপ্তর। আজ সকাল ১০ টায় জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। এদিকে গজলডোবায় তিস্তায় ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এখনও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।এদিন সকাল ১০ টায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ৮২৫২.৪০ কিউমেক। আরও জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে।সিকিম পাহাড়ে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে ভয়াবহ জলস্ফীতি তিস্তায়। তিস্তার দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করলো সেচ দপ্তর। তিস্তা পারে মাইকিং এর পাশাপাশি নদীপারে থাকা লোকেদের হুইসেল বাজিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকেরা।তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমান:১) ভোর ৫ টায় ৩৪৮৪ কিউসেক।২) সকাল ৭ টায় ৭০২৬ কিউসেক।৩) সকাল ৮ টায় ৫০২৩ কিউসেক।৪) সকাল ৯ টায় ৭৯৫১.৩৮ কিউসেক।৫) সকাল ১০ টায় ৮২৫২.৪০ কিউসেক।৬) সকাল ১১ টায় ৭৮৮৫.৬৪ কিউসেক

অক্টোবর ০৪, ২০২৩
নিবন্ধ

কেন‌ সমাজতন্ত্র: অ্যালবার্ট আইনস্টাইন

বিশ্ব জুড়ে এখন আলোচনায় ক্রিস্টোফার নোলান (Christopher Nolan) পরিচালিত সিনেমা ওপেনহাইমার (Oppenheimer)। ভারত ও তার ব্যাতিক্রম নয়। এদেশে মুক্তির প্রথম সাতদিনে ওপেনহাইমারের বক্স অফিস হিসেব ৭৩.১৫ কোটি টাকা। দেশ জুড়ে ১৯২৩ টি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ওপেনহাইমার। শুধু ইংরেজি ভাষায় নয়, হিন্দিতে ও ডাব করে ভারতে দেখানো হচ্ছে এই সিনেমা। পরমাণু বোমার জনক ওপেনহাইমারের সাফল্য ব্যার্থতার পাশাপাশি তাঁর জীবনে নানা ঘাত প্রতিঘাত দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক। সিনেমায় বিভিন্ন দৃশ্যে পরিচালক অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কে এনেছেন। আইনস্টাইন এবং ওপেনহাইমার দুজনেই ইহুদী। দুজনে ই পদার্থ বিজ্ঞানী। এছাড়াও নানা ভাবে ওপেনহাইমারের জীবনে এই শ্রেষ্ঠ পদার্থ বিজ্ঞানীর প্রভাব রয়েছে। ১৯৩৩ এ জার্মানিতে হিটলার ক্ষমতায় আসেন। আইনস্টাইন সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। তিনি আর দেশে ফেরেন নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহে হিটলারের জার্মানি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আইনস্টাইন। তিনি সেই সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট (Franklin D Roosevelt) কে সতর্ক করে চিঠি লেখেন। চিঠিতে আইনস্টাইন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরীক্ষা শুরু করা উচিত বলে পরামর্শ দেন। তাঁর এই চিঠি থেকেই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পরীক্ষাগার ম্যানহাটন প্রজেক্ট (Manhattan Project) তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই প্রোজেক্টের ডাইরেক্টর (Director) হন ওপেনহাইমার। এছাড়াও আমেরিকার প্রিন্সটনে ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ এ (Institute for Advanced Studies in Princeton) দীর্ঘ দিন কাজ করেন ওপেনহাইমার। সেই সুত্রেও আইনস্টাইনের সঙ্গে তাঁর নিকট সম্পর্ক হয়। আমি অত্যন্ত মুর্খ। তবে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন সম্পর্কে লিখতে বসার মতো মুর্খ নই। তাই আমার এই লেখার বিষয় বিজ্ঞানী নয়, সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী আইনস্টাইন।প্রখ্যাত বিজ্ঞানীরা সাধারণত নিজেদের গবেষণা ও আবিষ্কারের বাইরে পা রাখেন না। আইনস্টাইন এই দিক থেকেও উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম। অবসর সময়ে শুধু ভায়োলিনের ছড়েই নয় তাঁর সমান মনোযোগ ছিল দেশ দুনিয়ার রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতির দিকেও। তিনি মনে প্রানে ইহুদীদের জন্য পৃথক দেশ চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই দেশ আরব বা প্যালেস্তিনীয়দের ধ্বংস করে গড়ে উঠুক তা চান নি। তাই ইসরায়েলের আগ্রাসী পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করে Zionist movement এর নেতাদের তিনি চিঠি লিখেছিলেন। পুঁজির মৃগয়াক্ষেত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেও তাঁর বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব ও মানবতা এবং নীতিবোধ যে পুঁজি বাদ নয় সমাজতন্ত্র ই চায় তা প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিভৎস ক্ষত তখনও পৃথিবীর বুকে জেগে রয়েছে। সেই অন্ধকার দিনে ১৯৪৯ সালের মে (May) মাসে নিউ ইয়র্কের (New York) Monthly Review পত্রিকায় আইনস্টাইন লিখলেন Why Socialism। নিখাদ পন্ডিত আর পান্ডিত্য কে চেনাতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন পাথরের আছে ভার, আলোর আছে দীপ্তি। মহান দ্রষ্টার এই আলোক সংকেত আমাদের শেখায় পান্ডিত্যের সঙ্গে যে বিনয় থাকে তার দীপ্তি হীরের মতো দ্যুতি ছড়ায়। আর পন্ডিতের অহংকার পাথরের মতো ভারী হয়ে সমাজের বুকে চেপে বসে। বিশ্ব কবির এই উচ্চারনই অক্ষর হয়ে ফুটে উঠেছে Why Socialism প্রবন্ধের শুরুতে। আইনস্টাইন লিখেছেন আর্থিক ও সামাজিক বিষয়ে বিশারদ নন, এমন কোনো ব্যক্তির কি সমাজতন্ত্র নিয়ে মত প্রকাশ করা ঠিক? নানা কারণে আমি বিশ্বাস করি হ্যাঁ ঠিক। বিশ্ব শ্রেষ্ঠ এই বিজ্ঞানী যে মানবজাতির সংকট নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন তা তাঁর এই প্রবন্ধ পড়লে বোঝা যায়। এই সংকট থেকে পরিত্রাণে তিনি কিন্তু বিজ্ঞানকে বেদিতে বসাননি। প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন সমাজতন্ত্রের অভিমুখ সমাজনৈতিকতার দিকে। বিজ্ঞান কোনো লক্ষ্যর জন্ম দিতে পারে না। কোনো লক্ষ্য মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেও পারে না। বিজ্ঞান পারে কোন লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ নির্দেশ করতে।সভ্যতার সংকট যে মানুষ কে কতটা হতাশার দিকে নিয়ে গিয়েছিল তা বোঝাতে তিনি লিখেছেন সম্প্রতি এক বুদ্ধিমান বন্ধুর সঙ্গে যুদ্ধের আতঙ্ক নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমি বলেছিলাম আর একটি যুদ্ধ মানুষের অস্তিকেই বিপন্ন করবে। একটি Supranational institution ই এই বিপদ থেকে মানুষ কে উদ্ধার করতে পারে। আমার এই বক্তব্য শুনে বন্ধু শান্ত স্বরে বলেছিলেন, মানবজাতির বিনাশে আপনি বিরোধিতা করছেন কেন? বন্ধুর এই উত্তর এক ব্যাথাদীর্ণ বিচ্ছিন্নতারই প্রকাশ। এর থেকে মানুষের পরিত্রাণের পথ কী?। তবে সমাজ সম্পর্কে শিক্ষিত বুদ্ধিমান মানুষের এই উদাসীনতা তাঁকে ব্যাথিত করেছিল। প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন সমাজ ই মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও কাজ করার যন্ত্রপাতি যোগায়। তাকে ভাবপ্রকাশের রূপ - ভাষা দেয়। মানুষের ভাবনার বিষয় বস্তুর বেশিরভাগটাই দেয় সমাজ। সমাজ, এই ছোট শব্দটির ভিতরে থাকে অতীত ও বর্তমানের লক্ষ লক্ষ মানুষের শ্রম ও কাজ। তার ফলে মানুষের জীবন যাপন সম্ভব হয়। প্রবন্ধে আইনস্টাইন দ্বিধাহীন ভাবে পুঁজিবাদকে ই কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, আমার মতে পুঁজিবাদী সমাজের অর্থনৈতিক নৈরাজ্যই যত নষ্টের গোড়া। পুঁজিবাদ চালিত পদ্ধতিতে ব্যাক্তিগত সম্পত্তি অল্প কিছু মানুষের হাতে জড়ো হয়। তাই হতাশা নয় সামাজিক শক্তির উপরেই আস্থা রেখে লিখেছেন, যতই বিপদ আসুক না কেন সমাজের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেই মানুষ জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে পারে।প্রবন্ধের শেষ দিকে আইনস্টাইন লিখেছেন, আমি স্থির নিশ্চিত এই অনাসৃষ্টি দূর করার একটিই মাত্র পথ আছে, সেই পথ হল সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রতিষ্ঠা। তার সঙ্গে প্রয়োজন সামাজিক লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলার মত শিক্ষা ব্যবস্থা। তবে সমাজ তন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা বোঝানোর পাশাপাশি সেই ব্যবস্থার বিপদের দিকগুলি ও তিনি চিহ্নিত করেছিলেন। তাই প্রবন্ধে লিখেছেন, একটি পরিকল্পিত অর্থনীতি মানেই সমাজতন্ত্র নয়। পরিকল্পিত অর্থনীতি মানুষ কে গোলাম বানাতেও পারে। সমাজতন্ত্রে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রীভবনের ফলে সর্ব শক্তিমান আমলাতান্ত্রিক ও হয়ে উঠতে পারে। ব্যাক্তির অধিকার কি ভাবে সংরক্ষিত হবে? আমলাতান্ত্রিকতার বিপরীতে গণতান্ত্রিক ক্ষমতা কিভাবে নিশ্চিত করা যাবে? আইনস্টাইনের এই দূরদৃষ্টি আমাদের পরবর্তী কালের সোভিয়েত পতন এবং বর্তমান চীনের সামাজিক পরিস্থিতি মনে করায়।ওপেনহাইমার সিনেমায় আইনস্টাইন বিভিন্ন দৃশ্যে এলেও হলিউড তার ধর্মমতে এই মহা বিজ্ঞানীর সমাজতন্ত্রে আস্থাকে এড়িয়ে গিয়েছেন। এইসময় পৃথিবীর বিভিন্ন গোলার্ধে সমাজতন্ত্রের পতন হলেও তা যে সমাজতন্ত্রের মৃত্যু গাথা নয় সেই বিশ্বাস জাগিয়ে রাখে, আমাদের সামনে দিকচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে Why Socialism।

আগস্ট ০৪, ২০২৩
রাজ্য

পঞ্চায়েত ভোটে হাইকোর্টের নজিরবিহীন নির্দেশ

রাজ্য নয় দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে আদালতের নজিরবিহীন নির্দেশ। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলাকাত হাইকোর্ট। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকে কাশ্মীরা বিবি ও ওমজা বিবি নামের দুজন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, স্ক্রুটিনিতে তাঁদের ফর্ম বাতিল করে দেওয়া হয়। যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তা বিডিও অফিসে বিকৃত করা হয়। এমনকী বিডিওর কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি। এরপরই ন্যায্য বিচারের আশায় ওই দুই প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী ৭ জুলাই পঞ্চায়েতের নথি সংক্রান্ত তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে সিবিআইকে। ৮ জুলাই হবে পঞ্চায়েত ভোট।কেন রাজ্য পুলিশে আস্থা রাখলেন না বিচারপতি? বিচারপতি সিনহার যুক্তি, রাজ্য পুলিশকে এই তদন্তভার দেওয়া যাবে না। কারণ যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য সিবিআইকেই এই ভার দেওয়া প্রয়োজন।পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেছিলেন বিরোধীদের একাংশ। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, সে প্রসঙ্গেই বিচারপতি সিনহা মন্তব্য করেন, একটি নির্বাচন ঘিরে এত অভিযোগ। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার! রাজ্যের উচিত, আদালতের নির্দেশ মতো আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। অশান্তি, রক্তপাত, জীবনহানি হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, অশান্তির জন্য যদি কোনও প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তবে তাঁদের অতিরিক্ত সময়ও দেওয়া উচিত কমিশনের।

জুন ২১, ২০২৩
রাজ্য

মামলা সরল বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে, দ্রুত বিচারের আশায় তাকিয়ে বঙ্গবাসী

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এবার সরল মামলা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত ২টি মামলা সরিয়ে নিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। দুটি মামলাই স্থানান্তরিত হয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে।রাজ্যেরই এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই দিন থেকেই ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল ওই অনুষ্ঠান নিয়ে। ওই সাক্ষাৎকারের তর্জমা বিচার করেই গত শুক্রবার ঐতিহাসিক নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পরে সুপ্রিম রায়ের পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করেন বাকি মামলাগুলিও তাঁর এজলাস থেকে সরে যেতে পারে।জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকেই অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হতে পারে। তবে রাজ্যের মানুষের মধ্যে এখন জোর চর্চা চলছে দুটি মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। এই বিচারপতি মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। স্বভাবতই নতুন বিচারপতির ওপর একটু রহলেও চাপ থাকবে। মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করাই তাঁর লক্ষ্য বলে জানিয়ে ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।সব থেকে বড় প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের স্টাইলে দ্রুত এগোতে পারবেন কি বিচারপতি সিনহা? সাধারণ মানুষ অভিজিৎবাবুর নির্দেশ বা রায় শোনার অপেক্ষায় থাকতেন। খুব দ্রুত হাইকোর্টে বিচারপ্রক্রিয়া করে রীতিমতো ঝড় তুলে দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।মামলা থেকে সরলেও গতকালও নিজের স্টাইলেই বক্তব্য রেখেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মিডিয়ার সামনে মুখ বন্ধ করার কোনও লক্ষণই নেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। অভিজিৎবাবু বলেন, অভিষেকের নাম তো কুন্তলই বলেছে। যতদূর মনে পড়ছে আদালতে জমা নথিতেও তার উল্লেখ আছে। তাহলে কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে কেউ কি পৃথিবীতে নেই? অভিষেকের নাম আকাশ থেকে পড়েনি। এক প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি বলেন, আগে যে ভাবে তাঁকে দুটি মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ফের তাঁকে একই কারণে বাকি মামলা থেকে সরিয়ে দিতেই পারে।

মে ০২, ২০২৩
রাজ্য

অভিষেকের নির্দেশে সরতে হচ্ছে অভিযুক্ত দাঁইহাটের পুরপ্রধান শিশির মন্ডলকে

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। একেই নানা দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার মমতা-অভিষেকের দল। তরুণীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরেই পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য শিশির মণ্ডলকে জরুরি নির্দেশ দিয়েছেন।পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার শীর্ষ নেতৃত্বের এই নির্দেশের কথা প্রকাশ্যে আনেন। শিশির মণ্ডল তরুণীর অভিযোগ অস্বীকার করলেও ঘরে ও বাইরে তাঁকে নিয়ে নিন্দার ঝড় বাইছে। বিরোধীরা এই অভিরযোগকে হাতিয়ার করেশাসক দলের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেছে। দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডলের সঙ্গে এক তরুণীর টেলিফোনে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড মঙ্গলবার দুপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে হয়ে ওঠে। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন,শিশির মণ্ডলকে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন। দলের সেই নির্দেশ এদিন শিশির মন্ডলকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। দলের নির্দেশ মতো পদত্যাগ করবো বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিশিরবাবু।

নভেম্বর ০৪, ২০২২
রাজ্য

কাজের বদলে জুটল কুপ্রস্তাব, তৃণমূল পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগে ছিঃছিঃ রব পূর্ব বর্ধমানে

চেয়েছিলেন কাজ, জুটেছে সহবাসের প্রস্তাব। অভিযোগ তরুণীর। অভিযুক্ত তৃণমূল পুরপ্রধান। আর ওই দুজনের সেই অডিও ভাইরাল হতেই চারিদিকে ছিঃছিঃ রব উঠেছে। তরুণীর অভিযোগের তীরে বিদ্ধ পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল। যদিও শিশির মন্ডল পুরো বিষয়টাকে চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন। এই ঘটনায় তোলপাড় জেলার রাজনৈতিক মহল।দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল দীর্ঘদিন কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ২০০০-তে তিনি প্রথম দাঁইহাট পুরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ওই পুরসভার বিরোধী দলনেতা হন। ২০১৮-তে অনাস্থা এনে পুরবোর্ডের পতন ঘটিয়ে শিশির মণ্ডল পুরপ্রধান হন। তারপর ২০২২-এর পুরনির্বাচনে ফের জয়ী হয়ে শিশির মণ্ডল দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। প্রাক্তন শিক্ষক ও দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর বিরুদ্ধে মেয়ের বয়সী তরুণীকে সহবাসের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে বিস্মিত দাঁইহাটের বাসিন্দা।সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অডিও ও ভিডিও কথোপকথনে পুরুষ কন্ঠের ব্যক্তি দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল বলে দাবি করা হচ্ছে। ভাইরাল হওয়া ওই অডিও এবং ভিডিওর সত্যতা জনতার কথা যাচাই করেনি। সেই কথোপকথন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০-তে স্নাতক হয়েছেন তরুণী। ফোনের শুরুতেই ওই তরুণী চেয়ারম্যানকে কাকু সম্মোধন করে একটা কাজের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। চেয়ারম্যান তাঁর কাছে জানতে চান কোন স্কুলে পড়াশুনা করেছেন, বাড়ি কোথায়, বাবার নাম, পরিবারের অবস্থা কেমনসহ নানা বিষয়। অভিযোগ, সেই কথোপকথনেই সহবাসের প্রস্তাব দিয়ে বসেন চেয়ারম্যান। তবে দাঁইহাট পুরপ্রধান শিশির মণ্ডল ওই অডিও এবং ভিডিও কথোপকথন তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ওই অডিওতে আমার গলায় অন্য কেউ এইসব কথা বলছে। এই ধরনের অশালীন কাজ কোনদিনও আমি করতে পারি না। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্যই এই চক্রান্ত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, বিষয়টি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হবে। বিজেপির বক্তব্য, এটাই তৃণমূল নেতাদের আসল রূপ।

নভেম্বর ০২, ২০২২
রাজ্য

ছট উৎসবের মুখে কুলটিতে বিহারীবাবুর নামে নিখোঁজ পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য

দীপাবলি উৎসব পেরিয়ে দেশ জুড়ে ছট উৎসবের প্রস্তুতি শুরু। এই পরিস্থিতি তে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রেও বিভিন্ন ছট ঘাট পরিদর্শন সহ তার সংস্কার সাধন করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বাজারে পুজার সামগ্রী কেনার ব্যস্ততা বেড়েছে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যয় কুলটির স্টেশন রোড অঞ্চলে এলাকার সংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার নিখোঁজের পোস্টার ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে। যদিও এই পোস্টার কে বা কারা লগিয়েছে তার স্পষ্ট কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে পোস্টের তলায় লেখা রয়েছে আসানসোলের বিহারী সমাজ। উল্লেখ্য শত্রুঘ্ন সিনহা নিজেও বিহারীবাবু হিসাবে পরিচিত।তবে পোস্টারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় তৃণমুল পুরপিতা সেলিম আখতার আনসারি বলেন এটি নিশ্চিত ভাবেই কোনো পাগলের কাজ। অন্যদিকে স্থানীয় জিসান কুরেশি নামের ব্যক্তি বলেন পোস্টার কারা লাগিয়েছে জানা নেই। তবে পোস্টারের বক্তব্য সত্যি। ছট উৎসবেও নিজের সাংসদ এলাকায় বিহারীবাবুর দেখা নেই। যখন তার নিজের উপস্থিতিতে এলাকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি তে নজর দেওয়া ও স্থানীয় জনগণের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ ছিল। অন্য দিকে কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বিমান দত্ত জানিয়েছেন এটি পুরোপুরি বিজেপির চক্রান্ত। তারা কোনো ভাবেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সাথে পেরে উঠছে না। তাই নানা ছলে তৃণমূলের বদনাম করতে চাইছে। এলাকায় পরিষেবা দেওয়ার কাজ পুরনিগমের। যা যথার্থ ভাবেই পালিত হচ্ছে। এলাকার সংসদ প্রতিনিয়ত মেয়রের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছেন।

অক্টোবর ২৮, ২০২২
দেশ

ওডিষার উপজাতি মহিলাই রাষ্ট্রপতি! কে এই দ্রৌপদী মর্মু? জানুন

বিজেপির চমক। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা মঙ্গলবার ন্যাশানাল ডেমক্রেটিক ফ্রন্ট-র পক্ষ থেকে রাস্ট্রপতি পদপার্থীর নাম ঘোষণা করলেন। নাড্ডা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু-র নাম ঘোষণা করেন। তিনি নির্বাচিত হলে, ওড়িষার ৬৪ বছর বয়সী দ্রৌপদীই হবেন দেশের প্রথম আদিবাসী এবং দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি।জেপি নাড্ডা বলেন, সমস্ত এনডিএ শরিকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসাবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম প্রস্তাব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নাড্ডা মঙ্গলবার বিরোধী জোটের রাষ্ট্রপতি পদপার্থী যশবন্ত সিনহার নাম ঘোষণার এক ঘণ্টা পরেই তাঁদের পার্থীর নাম ঘোষণা করেন।নাড্ডা আরও বলেন,ইতিপুর্বে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং আমি রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বিষয়ে ঐকমত্য হওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গপ আলোচনা করছিলাম। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। এখন যখন ইউপিএ ইতিমধ্যে সংসদীয় দলের বৈঠকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তখন আমরাও আমাদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী নিয়েও আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, প্রায় ২০টি নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আমরা স্থির করেছিলাম দেশের পূর্বাঞ্চল থেকেই প্রার্থী করা হবে। এছাড়াও একজন নারী ও একজন উপজাতিকে প্রার্থী করারও ব্যাপারটা বিবেচনায় ছিল।কে এই দ্রৌপদী মুর্মু?দ্রৌপদী মুর্মু ২০ জুন ১৯৫৮ তে ওড়িষার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডু। আদিবাসী পরিবারের অন্তর্গত, একটি উপজাতীয় জাতিগোষ্ঠীর পরিবার নারায়ণ। দ্রৌপদী মুর্মুর স্বামীর নাম শ্যাম চরণ মুর্মু। এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। তিনি তাঁর স্বামী ও দুই ছেলেকে হারান।দ্রৌপদী একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য। তার রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু হয় যখন তিনি ওডিষার রায়রাংপুরে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। পরে তিনি রায়রাংপুর থেকে ২০০০ এ বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বিতা করে জয়ী হন এবং রাজ্যের বিজেডি-বিজেপি সরকারে মন্ত্রীত্ব লাভ করেন। ওডিষায় বিধায়ক এবং মন্ত্রী হিসাবে তার মেয়াদে তিনি প্রচুর সম্মান অর্জন করেছিলেন।Congratulations Smt #DraupadiMurmu on being announced as candidate of NDA for the countrys highest office. I was delighted when Honble PM @narendramodi ji discussed this with me. It is indeed a proud moment for people of #Odisha. Naveen Patnaik (@Naveen_Odisha) June 21, 2022ওড়িষায় ভারতীয় জনতা পার্টি এবং বিজু জনতা দলের জোট সরকারের বাণিজ্য ও পরিবহন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য মন্ত্রী ছিলেন। তিনি ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল। তিনি ওডিষা থেকে প্রথম মহিলা এবং উপজাতীয় নেত্রী যিনি ভারতের একটি রাজ্যে গভর্নর নিযুক্ত হয়েছেন।১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে। এবং ২১ জুলাই গণনার দিন ধার্য করা হয়েছে। এই নির্বাচনের প্রতিদন্দ্বিতা করার জন্য মনোনয়ণ জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৯ জুন। ২০১৭-র রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও তাঁর না বিবেচনার মধ্যে ছিল। শেষ মুহুর্তে বিবেচনায় আসে রামনাথ কোবিন্দ-র নাম। কেন দ্রৌপদী মুর্মু?সামনের বছর গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচন। তাঁর আগে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রার্থী হিসাবে দ্রৌপদী মুর্মু-র নাম প্রস্তাবের পিছনে বিজেপির এক বড় পদক্ষেপ। এই চারটি রাজ্যে তফসিলি উপজাতিদের জন্য ১২৮টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে, এবং সেই ১২৮টি আসনের মধ্যে ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মাত্র ৩৫টি আসন জিতেছিল।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করে বিজপি উপজাতীয় ভোটারদের মধ্যে অনেক বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে বিজেপি আশা করছে। এছাড়াও, ওড়িষায় ক্ষমতাসীন বিজেডি সরকারের থেকেও সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে তাঁরা প্রায় নিশ্চিত। ইতিমধ্যে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়েক দ্রৌপদী মুর্মু প্রার্থি পদের জন্য বিবেচিত হওয়ায় তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তাঁর সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।একই ভাবে, মুর্মুকে প্রার্থী করার জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনকেও দ্বিধায় রাখবে। সোরেনের দল উপজাতীয় রাজনীতির জন্যই বিশেষ পরিচিত এবং একজন উপজাতীয় মহিলার বিরোধিতা করা তার পক্ষে কঠিন হবে, বিশেষ করে যিনি তার রাজ্যের গভর্নর ছিলেন। মজার ব্যাপার হল, ইউপিএ প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যশবন্ত সিনহাও ঝাড়খণ্ডের। বিজেপি গুজরাট এবং রাজস্থানে বিধায়ক রয়েছে এমন ভারতীয় উপজাতি পার্টির মতো ছোট দলগুলির কাছ থেকেও সমর্থন পাওয়ার আশা করতে পারে, বলে মনে করছে বিদগ্ধ জনেরা।পরিশেষে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গের দিকে। তাঁদের আরও ধারনা দ্রৌপদী মুর্মুকে প্রার্থী করে সবচেয়ে অসুবিধায় ফেলে দেওয়া হল বাংলার অগ্নি কন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এনডিএ বিরোধী জোটের মূল আহ্বায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-র বিরোধিতার রাশ টানতেই মুর্মুর নাম ঘোষণা। ২০২০ থেকেই তাঁর রাজনৈতিক পদক্ষেপে নারীবাদী স্লোগান সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। এবং তারই ফলস্রুতি ২০২১-র নির্বাচনের ফলাফল। তাঁর বাংলা নিজের মেয়েকেই চায় স্লোগান হয়ত এক্ষেত্রে বুমেরাং হয়ে যেতে পারে। একজন নারীবাদী কি আর এক উপজাতী নারীর বিরিধিতায় রাস্তায় নামতে পারবেন? আপামর জনসাধারণের চোখ থাকবে সে দিকেই......

জুন ২২, ২০২২
দেশ

রাষ্ট্রপতি পদে পার্থী তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতি

শেষমেশ তৃণমূল নেতৃত্ব থেকেই রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী দেওয়া হল। যদিও এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সদ্য প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহসভাপতি। যশবন্ত সিনহাই বিরোধীদের তরফে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হচ্ছেন। এদিন তাঁর নাম ঘোষণা করেছে বিরোধী জোট। তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।এর আগে দিল্লিতে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপদে প্রার্থী নিয়ে বিরোধীরা একত্রিত হয়েছিলেন। যদিও সেই বৈঠকে আপ, বিজু জনতা দল, টিআরএস সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের নেতৃত্ব হাজির ছিলেন না। মমতা প্রথমে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তখনই তা খারিজ করে দেন শারদ পাওয়ার। এরপর ফারুক আবদুল্লা ও গোপালকৃষ্ণ গান্ধির নাম প্রস্তাব দিলেও তা তাঁরা গ্রহণ করেননি। শেষমেশ যশবন্ত সিনহা তৃণমূলের পদ থেকে ইস্তফা দিতেই তাঁর নাম নিয়েই গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই।মঙ্গলবার দিল্লিতে ১৮ জোটের বিরোধী জোটের বৈঠকে যশবন্ত সিনহার নাম রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ২৭ জুন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানানো হয়েছে। এদিন সকালেই যশবন্ত টুইট করে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি প্রার্থী হতে পারেন। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

জুন ২১, ২০২২
রাজ্য

জতীয় সড়কে গ্যাস ভর্তি ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ধাক্কা মারল ল্যাংচার দোকানে

আবার ট্যাঙ্কার বিভ্রাট। শক্তিগড় থানার আমড়া এলাকায় গ্যাস ভর্তি ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ধাক্কা মারল ল্যাংচার দোকানে।ল্যাংচার দোকানের কর্মচারীরা ঐ সময় শেডের নিচে বসে ছিলেন। আঁচ পেয়ে তারা সরে যান। দোকানের সামনের শেড দুমড়ে মুচড়ে যায়। ভাগ্যক্রমে কেউ আহত হয়নি। দমকলের গাড়ি ও ক্রেনের সাহায্যে গ্যাস ট্যাঙ্কারটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। শক্তিগড় থানার পুলিশ যান নিয়ন্ত্রনে ব্যস্ত। এই এলাকায় সকালের পর আবার যানজট সৃষ্টি হয়।দোকানের মালিক পারভেজ ইসলাম জানান, বড়সর দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেও দোকানে অনেক টাকার আর্থিক ক্ষতি সম্মুখীন হলাম। তিনি জানান, হঠাৎই ট্যাঙ্কারটি অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ওই ল্যাংচার দোকানে। ওই এলাকায় পরপর ল্যাংচার দোকানে দিনভর বেচাকেনা চলে। প্রচুর মানুষ থাকেন। সেসময় একজন দোকান কর্মচারী ও দুজন ঝালমুড়ি বিক্রেতা সেখানে ছিলেন। তাদের একজন জগদীশ ভট্টাচার্য জানান, কী ঘটতে পারত ভাবতেই শিউরে উঠছি। হঠাৎই দেখি বোঝাই ট্যাঙ্কার আমাদের দিকে ছুটে আসছে। আমি ধাক্কা দিয়ে একজনকে সরিয়ে নিজেও ছুটে যাই। নইলে চাপা পড়তাম।এই নিয়ে জাতীয় সড়কে একদিনেই দুবার ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনা ঘটল। সকালেই জাতীয় সড়কে তেলের ট্যাঙ্কার উল্টে বিপত্তি ঘটে। বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের মিরছোবায় সকালের ঘটনা ঘটে।কলকাতা থেকে দুর্গাপুরমুখী একটি তেলের ট্যাঙ্কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় দুর্ঘটনার পরই জাতীয় সড়কের একটি লেন এবং সাইড লেনে তেল ছড়িয়ে পরে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্যাঙ্কারের ঠিক পিছনেই ছিল একটি চারচাকা। চারচাকাটি ট্যাঙ্কারের পিছনে ধাক্কা মারে। আবার ওই চারচাকার পিছনে ধাক্কা মারে একটি লরি। চারচাকা গাড়িতে ৪-৫ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে একজনের মাথায় আঘাত লাগে।আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ পৌঁছায়। যায় দলকল ও বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়।। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়কের দুর্গাপুর মুখী লেন বন্ধ থাকে।একদিক দিয়েই আপ এবং ডাউন গাড়ি চলাচল করে। প্রচন্ড অসুবিধায় পড়েন যাত্রীরা। বিকেলেই আবার আমরা গ্রামে একইভাবে ট্যাঙ্কার দুর্ঘটনা ঘটল।এই আমরা এলাকাটিই শক্তিগড় বলে সাধারণের কাছে পরিচিত। ভাগ্যক্রমে এদিন লোকজন কম থাকায় কেউ হতাহত হন নি।

মে ২২, ২০২২
রাজ্য

বিজেপির বহিরাগত খোঁচা বিহারীবাবুকে, বালিগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী বাবুলকে হুঙ্কার ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের

গতবছর ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার কথা ছিল বিহারীবাবুর। শেষমেশ আসানসোল লোকসভা আসনের টিকিট হাতে নিয়েই তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। বালিগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী করেছে বিজেপি থেকে দলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন আরেক বিজেপি সাংসদ গায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে। লোকসভা ও বিধানসভা দুই আসনের প্রার্থী আগে বিজেপি করতেন, দুজনই সাংসদ ছিলেন, দুজনই শিল্পী জগতের লোক। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই প্রার্থীর নাম টুইট করে জানানোর পরই বিজেপির তরফ থেকে নানা ধরনের কটাক্ষ করা হয়।বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য টুইটে লেখেন অভিষেকের লোককে প্রার্থী না করে বহিরাগতকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, নিজেদের প্রার্থী নেই বলে দুই প্রাক্তন বিজেপি নেতাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। প্রায় একই মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। যদিও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিক সাংসদ হলে তৃণমূলের লাভ হবে।It was widely speculated that TMC would field Saayoni Ghosh, president of partys youth wing, considered close to Abhishek Banerjee, from Asansol. But Mamata Banerjee, just to cut her nephew to size has fielded a complete outsider, not just for Asansol but Bengal, from the seat. Amit Malviya (@amitmalviya) March 13, 2022এদিকে এরই মধ্যে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন বাবুলের বালিগঞ্জে প্রার্থী হওয়া নিয়ে হুঙ্কার ছেড়েছেন। সংগঠনের সভাপতি মহম্মদ ইয়াহ ইয়াহ বলেছেন, একজন দাঙ্গাকারীকে তৃণমূল প্রার্থী করেছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রয়োজনে আমি নিজে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী হব। ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের প্রার্থী হব আমি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বহিরাগত তত্বকে হাতিয়ার করেই সর্বত্র প্রচার করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।এবার অন্য রাজ্য থেকে একজন অবাঙালিকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। যদিও তৃণমূলের পক্ষে কেউ কেউ যুক্তি খাড়া করতে চাইছেন এটা লোকসভা নির্বাচন। যার প্রেক্ষিত সর্বভারতীয়। ১২ এপ্রিল উপিনর্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

মার্চ ১৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কালনা থানার মৈত্রী কাপ কলঙ্কিত করল কেএসএসএ

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালনা থানার পরিচালনায় শনিবার থেকে শুরু হলো মৈত্রী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলকে নিয়ে দু-দিনের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো ও ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও প্রথম দিনেই এই টুর্নামেন্টে কালির দাগ লাগাল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা মানিক দাসের ভূমিকা।প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিজাড়া সুহানা একাদশ যথাসময়ে দল নামাতে না পারায় ওয়াকওভার পায় পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি। সময়ানুবর্তিতার উপর জোর দিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য। এরপরেই শুরু হয় চালাকি। পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতিকে দ্বিতীয় ম্যাচের পরিবর্তে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে বিজাড়ার এক কর্তা অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি। বিজাড়ার টিম লিস্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কেএসএসএ-র এক প্রভাবশালী আটকে দেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনিই গিয়ে ওই দলের কয়েকজনকে কেএসএসএ-র হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নেন। যদিও ওই ফুটবলাররা মাঠে নামতেই বেঁকে বসে তৃতীয় ম্যাচে কেএসএসএ কোচিং ক্যাম্পের প্রতিপক্ষ দল মধুপুর মারাং বুরু ক্লাব। শেষ অবধি কালনা থানার আইসির নির্দেশে তিন ফুটবলারকে বসাতে বাধ্য হয় কেএসএসএ। কাহানি মে ট্যুইস্ট এখানেই। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত দলের কাউকে খেলানো যাবে না। এমনকী রবিবারের খেলার যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা আছে, যদি কেউ এমন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে সেই দলকে বহিষ্কার করা হবে। সেটাই যদি হবে, তাহলে যে দল এমন অপরাধ করল সেই দলের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিপক্ষ মধুপুরকে জয়ী ঘোষণা করা হলো না সেই প্রশ্ন উঠছে। দর্শক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলতে থাকে।এরপর সেমিফাইনালের আগে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি জানায় যে তিনজনকে আগেই জালিয়াতির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের যেন না নামানো হয়। এই সময় সেই মানিক লোকজন জোগাড় করে আপত্তিকর আচরণ করেন। এমনকী মঞ্চে বসেই। প্রশ্ন হলো, টুর্নামেন্টে একটি দলের কর্তা এহেন আচরণ করেন কীভাবে, তাও পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসে? প্রথমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পার পাওয়া, তারপর মানিকের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় রেফারি ম্যানেজ।সেমিফাইনালে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল কেএসএসএ-র। খেলা যখন ১-১, টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচ গড়াচ্ছে তখন রেফারি চরম ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল গুনতে হয় সংহতিকে।বল কেএসএসএ-র ফুটবলারের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও কর্নার দেন রেফারি! সংহতি প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। সেই মুভ থেকে জয়সূচক গোল পায় টেইন্টেড কেএসএসএ। যা দেখে মাঠে উপস্থিত অন্য রেফারিরাও বলেন ওটি কর্নার ছিল না। কর্নার না হলে গোলটিও হতো না। যে রেফারিরা ম্যাচটি খেলালেন তাঁরা স্থানীয় রেফারি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানিক দাসকে মানিকদা বলে অভিহিত করছিলেন। অভিযোগ, ওই মানিক কেএসএসএ-তে নিজের থাকার প্রভাব খাটিয়ে রেফারি ম্যানেজ করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল জাজ রাখা হলো না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই টুর্নামেন্ট খেলাতে এআইএফএফের রেফারি জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল থানা। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরপর সব ঠিক করা হয় মানিকের উপস্থিতিতেই। তিনি লটারির সময়েও হাজির ছিলেন। মানিকের এমন জালিয়াতির প্রচেষ্টা ও উদ্ধত আচরণে রুষ্ট অনেকেই।এক ক্লাবের কর্তা থেকে দর্শকদের কয়েকজন বলছিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে থানা নয়, মানিক সর্বেসর্বা! তিনি থানার কে? যদিও কালনা থানার উপর কোনও ক্ষোভ নেই কারও। পুলিশের টুর্নামেন্ট, রেফারির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য বলে সবাই সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিলেন। কিন্তু আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্টতা কলঙ্কিত করল কালনা থানার সাধু উদ্যোগকে। সকলেই বলছিলেন, টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী যে দলের প্রথম ম্যাচেই বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই দল গায়ের জোরে ফাইনালে, এই বিষয়টি হাস্যকর। ফুটবলের স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। পুলিশের টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে রুষ্ট অনেকেই। যে মানিকের জন্য কলঙ্কিত হলো এমন দারুণ এক টুর্নামেন্ট, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয় থানা ও কেএসএসএ-র তরফে সেটাই দেখার। আর কিছু না হলে ফুটবল মহলের কাছে কি সদর্থক বার্তা যাবে? প্রশ্ন থেকেই গেল।

জুলাই ১২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal