স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান, দপ্তর সামলাচ্ছেন স্বামী, সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ঘিরে বিতর্ক
যত গণ্ডগোল খণ্ডঘোষে। ফের খবরের শিরোনামে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের শাঁখারি গ্রাম পঞ্চায়েত। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিকে নিয়ে শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে। টেবিলের উল্টো দিকে থাকা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছেন একজন ব্যক্তি। তার পাশে নির্লিপ্ত ভাবে বসে আছেন একজন মহিলা। শাঁকারি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ওই ছবি ঘিরেই রাজনৈতিক বির্তক তৈরি হয়েছে। ছবি ঘিরে হইচই শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। জানাগেছে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবির মহিলা শিউলি খাঁ। শাঁখারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তার পাশে বসে যিনি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সেই পুরুষটি হলেন প্রধানের স্বামী প্রসেনজিৎ খাঁ।বিরোধীদের অভিযোগ গ্রামে প্রতিদিন পঞ্চায়েত দপ্তরে বিকেল পর্যন্ত প্রধানের পাশে একটি চেয়ারে বসে থাকেন তাঁর স্বামী। পঞ্চায়েতের, কাজকর্মে আসা লোকজনের সঙ্গে তিনিই কথা বলেন। কলেজে ভর্তির জন্য শংসাপত্র কিংবা জমি সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে পঞ্চায়েত গিয়ে প্রধানের স্বামীর সঙ্গেই কথা বলতে হয় স্থানীয়দের। স্বামীর নির্দেশের পরেই প্রয়োজনীয় শংসাপত্র মেলে। তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করেন প্রসেনজিৎ খাঁ। তিনি বলেন, বাড়ি থেকে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে তিনি স্ত্রীকে বাইকে করে সকালে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। আবার বিকেলে বাড়ি নিয়ে যান। তিনি পঞ্চায়েতের কোন কাজে হস্তক্ষেপ করেন না।বিজেপি জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, তিনি শুধু পঞ্চায়েত অফিসে বসে থাকেন না। তার নির্দেশ ছাড়া কোন সার্টিফিকেট ইস্যু হয় না। এমনকি গাড়ির তেলের বিলও নিচ্ছেন প্রধানের স্বামী। সেই ছবিও দেখা যাচ্ছে। প্রধান শিউলি খাঁ বলেন, তার স্বামী কোনদিনই অফিসের কাছে হস্তক্ষেপ করেন না। এটা মিথ্যে অভিযোগ। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, স্বামী প্রধানের কাছে যেতেই পারেন। তার মানে এই নয় প্রধানের কাজে তার স্বামী তদারকি করছেন।