• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Joe Root

খেলার দুনিয়া

বেন স্টোকসকে প্রতিদান দিলেন জো রুট, কীভাবে?‌

জো রুট নেতৃত্বে থাকার সময় অনেক টেস্ট জিতিয়েছিলেন বেন স্টোকস। উত্তরসূরীকে এবার প্রতিদান দিলেন জো রুট। প্রাক্তন অধিনায়কের ব্যাটে ভর করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে দারুণ জয় তুলে নিল ইংল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের দলকে ৫ উইকেট হারিয়ে সিরিজে ১০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন বেন স্টোকসরা। দুরন্ত সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকেন জো রুট। এদিন সেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি পৌঁছে যান ১০ হাজার রানের মাইলস্টোনে।প্রথম ইনিংসে দুই দলই ব্যাটিং ব্যর্থতার মুখে পড়েছিল। নিউজিল্যান্ড শেষ হয় ১৩২ রানে। জবাবে ইংল্যান্ড ১৪১ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ড্যারিল মিচেলের দুরন্ত সেঞ্চুরির সুবাদে নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ২৮৫। ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৭। তৃতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে ৬৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে একসময় যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে দলকে টেনে নিয়ে যান জো রুট ও অধিনায়ক বেন স্টোকস। জুটিতে ওঠে ৯০। ৫৪ রান করে আউট হন স্টোকস। এরপর রুটের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বেন ফোকস,তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল পাঁচ উইকেটে ২১৬। চতুর্থদিন মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই ১৩.৫ ওভারে বাকি রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। প্রাক্তন অধিনায়ক জো রুট অপরাজিত ছিলেন ৭৭ রানে। ১৭০ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। মেরেছেন ১২টি চার। এরই ফাঁকে এদিন তিনি পেরিয়ে যান টেস্টে ১০ হাজার রানের মাইলস্টোন।এই বছরে জো রুটের এটা তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১১৮ টেস্টে তাঁর রান ১০ হাজার ১৫। গড় ৪৯.৫৭, ২৬টি শতরান ও ৫৩টি অর্ধশতরান করেছেন। বিশ্বের ১৪ নম্বর ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রানের ক্লাবে ঢুকে পড়লেন রুট। টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান সচিন তেন্ডুলকরের। তিনি করেছেন ১৫ ৯২১। এরপর রয়েছেন রিকি পন্টিং, জ্যাক কালিস, রাহুল দ্রাবিড়, অ্যালিস্টার কুক, কুমার সাঙ্গাকারা, ব্রায়ান লারা, শিবনারায়ণ চন্দ্রপাল, মাহেলা জয়বর্ধনে, অ্যালান বর্ডার, স্টিভ ওয়া, সুনীল গাভাসকর ও ইউনিস খান।

জুন ০৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

I‌CC Test Ranking :শীর্ষে উঠে এলেন জো রুট, রোহিতেরও নীচে কোহলি

ছয় বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফের বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যানের মুকুট উঠল ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুটের মাথায়। ভারতইংল্যান্ড চলতি টেস্ট সিরিজে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। শুধু এই সিরিজে নয়, একবছর ধরে তাঁর ব্যাটে রানের ধারা অব্যাহত। তার পুরস্কার পেলেন রুট। নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনকে সরিয়ে বিশ্বের ১ নম্বর ব্যাটসম্যানের জায়গা দখল করলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।আরও পড়ুনঃ দৈনিক টিকাকরণে দেশে ফের রেকর্ডচলতি সিরিজ শুরুর সময় টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ৫ নম্বরে ছিলেন রুট। প্রথম দুটি টেস্টে শতরানের সুবাদে উঠে এসেছিলেন ২ নম্বরে। হেডিংলেতে তৃতীয় টেস্টে আবার সেঞ্চুরি। প্রত্যাশিতমতোই চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগে বিশ্বের ১ নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যানের জায়গায় উঠে এলেন।নটিংহ্যাম, লর্ডস ও হেডিংলেতে তিনতিনটি সেঞ্চুরি এসেছে ইংল্যান্ড অধিনায়কের ব্যাট থেকে। এখনও পর্যন্ত ৩ টেস্টে জো রুটের রান ৫০৭, গড় ১২৬.৭৫। এই স্বপ্নের ফর্মের জন্যই নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে সরিয়ে দীর্ঘ ৬ বছর পর টেস্ট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ১ নম্বের উঠে এলেন রুট। হেডিংলে টেস্টে রান পাওয়ায় জনি বেয়ারস্টো উঠে এসেছেন ২৪ নম্বরে, ৫ ধাপ ওপরে। ডেভিড মালান ব্যাটসম্যানদের তালিকায় উঠে এসেছেন ৮৮ নম্বরে।আরও পড়ুনঃ দলগঠনে চমক এসসি ইস্টবেঙ্গলের, অরিন্দমকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব!জো রুট শীর্ষে উঠে এলেও অবনমন হয়েছে বিরাট কোহলির। হেডিংলেতে কোহলি দ্বিতীয় ইনিংসে অর্ধশতরান করলেও ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে নেমে গিয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। তাঁকে টপকে ৫ নম্বরে উঠে এসেছেন রোহিত শর্মা। হেডিংলিতে রোহিত দুটি ইনিংসে করেন ১৯ ও ৫৯ রান। প্রথম দশ টেস্ট ব্যাটসম্যানের তালিকা থেকে ছিটকে গেছেন ঋষভ পন্থ, তিনি এখন ১২ নম্বরে রয়েছেন। তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৯১ রান করায় চেতেশ্বর পুজারা ৩ ধাপ উঠে চলে এসেছেন ১৫ নম্বরে। অজিঙ্ক রাহানে নেমে গিয়েছেন ১৮ নম্বরে। নেমে গিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং লোকেশ রাহুলও। জাদেজা রয়েছেন ৪৫ নম্বরে, রাহুল ৪৮এ।আরও পড়ুনঃ কেন ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় জানালেন ডেল স্টেন?হেডিংলে টেস্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য র্যাঙ্কিংয়ে ইংল্যান্ডের বোলারদের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। বিশ্বের সেরা ৫ বোলারের মধ্যে চলে এসেছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ১ ধাপ উঠে তিনি এখন পঞ্চম স্থানে। ৯ ধাপ উঠে অলি রবিনসন চলে এসেছেন ৩৬ নম্বরে। র্যাঙ্কিংয়ে ফের ঢুকে পড়ে ক্রেগ ওভার্টন রয়েছেন ৭৩ নম্বরে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিন দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছেন। ১ ধাপ উঠে ১০ নম্বরে রয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। মহম্মদ সামি ১৮ নম্বরে উঠে এসেছেন। ১৯ নম্বরে নেমে গিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। বোলারদের ক্রমতালিকায় নেমে গিয়ে ৪১ নম্বরে রয়েছেন মহম্মদ সিরাজ, ৫৬ নম্বরে শার্দুল ঠাকুর।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌IND vs ENG Test : আবার সেঞ্চুরি রুটের, হেডিংলেতে চালকের আসনে ইংল্যান্ড

লর্ডস টেস্টে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পর দেশের বোলারদের নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। আশায় ছিল, হেডিংলেতেও জ্বলে উঠবেন। কিন্তু ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেন না যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সামিরা। ভারতীয় বোলারদের ব্যর্থতার সুযোগ নিয়ে তৃতীয় টেস্টে চালকের আসনে ইংল্যান্ড। আবার অধিনায়কোচিত সেঞ্চুরি জো রুটের। চলতি সিরিজে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক সেরে ফেললেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ভারতের প্রথম ইনিংস ৭৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর প্রথম দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল বিনা উইকেটে ১২০। ররি বার্নস ৫২ ও হাসিব হামিদ ৬০ রানে ক্রিজে ছিলেন। প্রথমদিন যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই দ্বিতীয় দিন শুরু করে ররি বার্নসহাসিব হামিদ জুটি। সকালের পরিবেশের কথা ভেবে প্রথম ৩০ মিনিট ভারতীয় বোলারদের কিছুটা সমীহ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। পরে সময় যত গড়িয়েছে, দাপট দেখিয়েছেন বার্নস ও হামিদ। ওপেনিং জুটিতে দুজনে তোলেন ১৩৫ রান। জুটি ভাঙেন মহম্মদ সামি। তিনি তুলে নেন ররি বার্নসকে। ৬১ রান করে বোল্ড হন বার্নস। দলের ১৫৯ রানের মাথায় ফেরেন অন্য ওপেনার হাসিব হামিদ। ৬৮ রান করে তিনি রবীন্দ্র জাদেজার বলে বোল্ড হন। রুট নামার পর ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ড দারুণ সচল ছিল। এই সময় ভারতীয় বোলাররা দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। জুটি ভাঙতে ৮০ ওভার শেষ হতেই দ্বিতীয় নতুন বল নেন কোহলি। কোনও লাভ হয়নি। কোহলি নতুন বল নিতেই রুটের দাপট যেন বেড়ে গিয়েছিল। মধ্যাহ্নভোডের বিরতির সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১৮২/২। সেখান থেকে চাবিরতিতে ২৯৮/৩।দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর ডেভিড মালানেন সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক জো রুট। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ওঠে ১৩৯ রান। ২৯৮ রানের মাথায় ইংল্যান্ড তৃতীয় উইকেট হারায়। ৭০ রান করে মহম্মদ সামির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মালান। এরপর জনি বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে দলের লিড বাড়ানোর ফাঁকে দুরন্ত শতরান উপহার দেন রুট। বেয়ারস্টোকে (২৯) তুলে নেন সামি। রুট এদিন কেরিয়ারের ২৩তম টেস্ট শতরান পূর্ণ করলেন মাত্র ১২৪ বলে। ১২টি চারের সাহায্যে। রুটের বিধ্বংসী ফর্ম, সেই সঙ্গে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানেরই অর্ধশতরানের সুবাদে রানের পাহাড় করছে ইংল্যান্ড। ১৬৫ বলে ১২১ রান করে যশপ্রীত বুমরার বলে বোল্ড হন রুট। ইংল্যান্ডের রান তখন ৩৮৩। পরের ওভারেই জাদেজার বলে আউট হন মঈন আলি (৮)। ইংল্যান্ডকে ৪০০ রানের গন্ডি পার করে দেন স্যাম কারেন ও ক্রেগ ওভারটন।

আগস্ট ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

IND vs ENG Test : ‌লর্ডসে রুটের রাজত্বে লজ্জায় পড়লেন কোহলি, এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড

ভারতের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠা যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন জো রুট। ট্রেন্ট ব্রিজের পর আবার শতরান। তাঁর অধিনায়কোচিত লড়াই লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে দিল ইংল্যান্ডকে। ভারতের ৩৬৪ রানের জবাবে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তুলল ৩৯১। এগিয়ে গেল ২৭ রানে। অধিনায়ক জো রুট ১৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন।আরও পড়ুনঃ ক্রিকেটের মক্কাতে কলুষিত ক্রিকেটদ্বিতীয় দিন ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড যখন সঙ্কটে, ব্যাট হাতে লর্ডসের বাইশ গজে আগমন অধিনায়ক জো রুটের। তারপর ররি বার্নসের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ১০০ রানের গন্ডি পার করে দেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ১১৯। জো রুট ৪৮ ও জনি বেয়ারস্টো ৬ রানে ক্রিজে ছিলেন। তৃতীয় দিন সকাল থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন ইংল্যান্ডের এই দুই ব্যাটসম্যান। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ইংল্যান্ড তোলে ২১৬/৩। রুট ৮৯ ও বেয়ারস্টো ৫১ রানে ক্রিজে ছিলেন।আরও পড়ুনঃ পুজারা ও রাহানের ব্যর্থতা নিয়ে কী বলছেন গাভাসকার?তৃতীয় দিন লর্ডসের উইকেট অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না। বল সুইং হচ্ছিল না। সিমও করাতে পারছিলেন সামিরা। বাধ্য হয়ে শর্ট বলের স্ট্রাটেজিতে গিয়েছিলেন ভারতীয় জোরে বোলাররা। সেই পথেই সাফল্য পেলেন মহম্মদ সিরাজ। জনি বেয়ারস্টোকে একের পর এক শর্ট বল দিয়ে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিলেন। ওভার দ্য উইকেটে সাফল্য না পেয়ে সিরাজ স্ট্র্যাটেজি বদলাতেই সাফল্য পান। রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে অ্যাঙ্গেল বদল করে শরীর লক্ষ্য করে শর্ট বল করতেই নিজেকে সামলাতে পারেননি বেয়ারস্টো (৫৭)। বল গ্লাভসে লেগে প্রথম স্লিপে কোহলির হাতে জমা পড়ে। ততক্ষনে অধিনায়ক জো রুটের সঙ্গে জুটিতে তুলে ফেলেছেন ১২১ রান। ইংল্যান্ডও পৌঁছে গেছে নিরাপদ স্থানে।আরও পড়ুনঃ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সিএবি সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলিএরপর বাটলারকে (২৩) সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান জো রুট। ইশান্তের বলে বাটলার বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার পর মঈন আলি রুটের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। দুজনে ইংল্যান্ডকে ৩০০ রানের গন্ডি পার করে দেন। ২৭ রান করে ইশান্তের বলে মঈন কোহলির হাতে ক্যাচ দেন। পরের বলেই সাম কারেনকে (০) তুলে নেন ইশান্ত। দুর্দান্ত ব্যাটিং পরিবেশের সুযোগ কাজে লাগান রুট। এদিন বেশ কয়েকটি মাইলস্টোনে পৌঁছে গেলেন। প্রথম ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিসেবে এক ক্যালেন্ডার বছরে পাঁচ-পাঁচটি সেঞ্চুরি। তিনটি ভারতের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে একটি দ্বিশতরান। অভিষেক হওয়ার পর সবথেকে কম সময়ে দ্রুততম ৯০০০ রানের মালিক হলেন রুট। অ্যালিস্টার কুকের পর সবথেকে কম বয়সে এই মাইলস্টোনে পৌঁছলেন। টেল এন্ডাররা সঙ্গ দিতে না পারায় দ্বিশতরান হাতছাড়া হল রুটের। ভারতের হয়ে সিরাজ ৯৪ রানে ৪ উইকেট, ইশান্ত ৬৯ রানে ৩ উইকেট ও সামি ৯৫ রানে ২ উইকেট নেন।

আগস্ট ১৪, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

লালগোলা রাজবাড়ির ঐতিহাসিক রথযাত্রা, রাস্তায় মানুষের ঢল

সীমন্তের গঞ্জ শহর লালগোলা রাজবাড়ির রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে জেলার মানুষের বড় উন্মাদনা। ফলে রাজবাড়ির রথের রশি টানতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন সাধারন মানুষ থেকে ভক্তগন। নিয়ম মেনে রাজবাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে পুজাপাঠের মধ্য দিয়ে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে রথ বাজারে মাসির বাড়ি পৌঁছয় জগন্নাথ দেব। সেই সঙ্গে রাজ বাড়ির রথকে ঘিরে বাসিন্দাদের উচ্ছ্বাস পরিনত হল সম্প্রীতির মহোৎসবে। রাজপরিবার সুত্রে জানা যায়, পুরীর আদলে পেতলের পাত দিয়ে মোড়া প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতার ৬ চাকার এই রথটি ১৮৪০ সালে তৈরি করান লালগোলার মহারাজা মহেশ নারায়ণ রায়। অবশ্য এর আগে ১৮২৩ সালেও লালগোলায় একটি কাঠের রথ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল বলে জানা যায়। লালগোলা রাজ পরিবারের কূল দেবতা দধিমানব দেব। এই দেবতাকেই রথের দিন জগন্নাথ দেব হিসেবে পুজা করা হয়। রথের দিন তাঁকে রথ বাজারে মাসির বাড়ি নিয়ে আসা হয়, সেখানে বিধি মেনে সাত দিন পুজা করার পর উল্টো রথের দিন ফের রাজ বাড়ির জগন্নাথ মন্দিরে নিয়ে যাওয়ায় রীতি। রথ উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক দিন মেলা বসে রাজ বাড়ি প্রাঙ্গনে। সাকার্স রথমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। শিশু কিশোরদের জন্য বসে হরেক কিসিমের নাগরদোলা। মহিলাদর জন্য সংসারের টুকিটাকি থেকে আধুনিক রেস্তোরাঁ। যেখানে পাওয়া যায় ভিন রাজ্যের খাবারের হরেক পদ। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অজয় ঘোষ বলেন , লালগোলার রথের ঐতিহ্য বাংলা জুড়ে। ফলে মানুষ এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন।রথের কদিন শ্বশুর বাড়ি থেকে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়ি লালগোলাতে ফেরেন বিবাহিত মহিলারা। এখানেই লালগোলার রথের বিশেষ মাহাত্ম্য। এদিকে রথের দঁড়িতে টান দিতে অন্যান্যদের সঙ্গে সমবেত হন সারজামান শেখ, সাহিল শেখ, ফিরোজ হোসেনদের মতো অনেকেই। তাদের দাবি, রাজ বাড়ির রথের সঙ্গে এলাকার মানুষের শেকড়ের সম্পর্ক। এখানে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে থেকেও বড় হয়ে ওঠে ভাবের আদান প্রদান,সম্প্রদায়ের মেল বন্ধন। তাছাড়া রথের মেলা কে ঘিরে এলাকার ছোট বড় সব মানুষ মেতে ওঠেন সমান ভাবে। লালগোলা রাজবাড়ির রথের পাশাপাশি জিয়াগঞ্জের সাদক বাগ আঁকড়ার বৈষ্ণবীয় রথ কে ঘিরে জেলার মানুষের সমাগম লক্ষ্য করা যায়। নশিপুর রাজবাড়ির রথের ঐতিহ্য বেশ প্রাচীন। রথের মেলায় রকমারি ফুল ও ফলের গাছ পাওয়া যায়। ফলে গাছ প্রেমী মানুষের আকর্ষণ রয়েছে নশিপুর রাজবাড়ি মেলার প্রতি।

জুন ২৭, ২০২৫
কলকাতা

কলকাতার 'ল কলেজে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ, গ্রেফতার ৩, তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

কসবা ল কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতরে এক আইনের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ছাত্র নেতা মনজিৎ মিশ্র সহ অন্যান্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অন্য অভিযুক্ত জাইব আহমেদ ও প্রমিত মুখার্জি। মনজিৎ মিশ্র ওই ল কলেজের প্রাক্তনী এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল এবং বাকি দুজন সেখানকার পড়ুয়া। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটানো হয় ২৫ জুন, বুধবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যেই। শুধু ধর্ষণই নয়, ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখতে ভিডিও রেকর্ডিং করে ভয় দেখায় অভিযোগকারীরা। পরবর্তীতে ধর্ষিতা যাতে অভিযোগ না জানান, তার জন্যও নানাভাবে চাপ দেওয়া হয় এবং অভিযোগের এফআইআর কপিতে অভিযুক্তদের নাম দেওয়ার বদলে তাদের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অভিযোগ লেখা হয়। এমন ঘটনা বোধহয় কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ঘটা সম্ভব। ভারতীয় জনতা পার্টি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায় এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে। বিজেপির দাবি, কসবার গণধর্ষণের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন অপরাধের ঘটনা নয়, এটি অভয়া ধর্ষণ কান্ডের পর এই রাজ্যের নারী নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতার আবারও এক জলজ্যান্ত উদাহরণ।এই বিষয়ে রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড. সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধকে ছোটখাটো বলে উপেক্ষা করেন, যা রাজ্যে এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর এই মনোভাব পুলিশ প্রশাসনকেও প্রভাবিত করে, যার ফলে অপরাধীরা নির্ভয়ে এই ধরনের কাজ করে। রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, কলকাতার মতো শহরে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কার্যালয় রয়েছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ বোধ করবে?২০২৪ সালে আরজি কর মেডিকেল কলেজের এক নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি উঠেছিল। রাজ্য সভাপতি সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আরজি করের ঘটনায়ও মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। এখনও তিনি একই ভুল করছেন।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য দেখায়, যার ফলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ অপরাধীদের ধরা, কিন্তু তারা শাসক দলের নেতাদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত।এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শ্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র একটি অপরাধ নয়, এটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের দ্বারা শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করার একটি জ্বলন্ত প্রমাণ। তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বারবার তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভয় ও অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার জন্য পুলিশ দায়ী । মনোজ ভার্মা থেকে শুরু করে বিনীত গোয়েল এবং বাকি সব পুলিশ দিঘায় রয়েছে । পুরো কলকাতা পুলিশকে নিয়ে চলে গিয়েছে ওখানে। দিঘায় তো লোকই হয়নি৷ তাই জামা খুলিয়ে পুলিশকে দিয়ে হাঁটাবে। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিজেপি এই বিষয়টা নিয়ে লড়বে। খুব বড় পদক্ষেপ করা হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই সরকারকে উচিত শাস্তি দেওয়া উচিত।এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক এবং সাধারণ সম্পাদিকা শ্রীমতী অগ্নিমিত্রা পা ৷ তিনি বলেন, শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। অভয়ার ঘটনার পরে দশ মাসও কাটেনি আজকে আরেক অভয়া বোনের গণধর্ষণ হয়ে গেল। এই ঘটনা ঘটেছে বুধবার।এদিকে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতৃত্ব ল কলেজের ঘটনাকে ঘৃণ্য ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে। অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, অভিযুক্তরা কেউ তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসিপির নেতৃত্বে নেই। দলের সঙ্গে এখন তাদের কোন সম্পর্ক নেই। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে নেতাদের ছবি প্রসঙ্গে তৃমূলের দাবি, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহু অপরাধীদের ছবি দেখা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

রথযাত্রা ও জিলিপি বাংলার সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ

রথ দেখতে গিয়ে কলা না বেচলেও জিলিপি খাননা এরকম মানুষ মেলা ভার। রথযাত্রা ও জিলিপির সম্পর্কটি বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি মিষ্টি সংযোগ। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়, রথযাত্রা মানেই একটি উৎসব, আর এই উৎসবের অনিবার্য অংশ হচ্ছে জিলিপি।কেন রথযাত্রায় জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ?ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি: জিলিপি একটি বহু পুরনো ও জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টান্ন। রথযাত্রা উপলক্ষে ভোগ ও প্রসাদে মিষ্টির ব্যবহার প্রচলিত, এবং জিলিপি তার মধ্যে একটি প্রধান আইটেম।উৎসবের আনন্দে শামিল হওয়া: রথযাত্রার দিন সকালে বা রথ টানার পর জিলিপি খাওয়ার প্রথা বহু জায়গায় প্রচলিত। এটি যেন রথের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে।জাগন্নাথদেবের ভোগ: ওড়িশার পুরীতে রথযাত্রার সময় জগন্নাথদেবের জন্য যে ৫৬ ভোগ দেওয়া হয়, তাতে নানা রকমের মিষ্টির মধ্যে জিলিপির মতো মিষ্টিও থাকে (যদিও সেখানে জিলিপিকে স্থানীয়ভাবে অন্য নামে ডাকা হতে পারে)।লোকাচার ও বাজার সংস্কৃতি: বাংলার বিভিন্ন মেলাতে যেমন রথের মেলা হয়, সেখানে জিলিপি ও অন্যান্য মিষ্টি খাবার বিক্রি হয় ব্যাপকভাবে। এটি এক ধরনের লোকাচার হয়ে দাঁড়িয়েছে রথ মানেই জিলিপি!রথ ও জিলিপির সম্পর্ক হলো উৎসব, ভক্তি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। রথ টানার পর একগাদা গরম জিলিপি খাওয়ার আনন্দ বাঙালির হৃদয়ে বিশেষভাবে গেঁথে আছে।

জুন ২৭, ২০২৫
রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal