ভারতের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠা যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন জো রুট। ট্রেন্ট ব্রিজের পর আবার শতরান। তাঁর অধিনায়কোচিত লড়াই লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে দিল ইংল্যান্ডকে। ভারতের ৩৬৪ রানের জবাবে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তুলল ৩৯১। এগিয়ে গেল ২৭ রানে। অধিনায়ক জো রুট ১৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আরও পড়ুনঃ ক্রিকেটের মক্কাতে কলুষিত ক্রিকেট
দ্বিতীয় দিন ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড যখন সঙ্কটে, ব্যাট হাতে লর্ডসের বাইশ গজে আগমন অধিনায়ক জো রুটের। তারপর ররি বার্নসের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ১০০ রানের গন্ডি পার করে দেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ১১৯। জো রুট ৪৮ ও জনি বেয়ারস্টো ৬ রানে ক্রিজে ছিলেন। তৃতীয় দিন সকাল থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন ইংল্যান্ডের এই দুই ব্যাটসম্যান। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ইংল্যান্ড তোলে ২১৬/৩। রুট ৮৯ ও বেয়ারস্টো ৫১ রানে ক্রিজে ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ পুজারা ও রাহানের ব্যর্থতা নিয়ে কী বলছেন গাভাসকার?
তৃতীয় দিন লর্ডসের উইকেট অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না। বল সুইং হচ্ছিল না। সিমও করাতে পারছিলেন সামিরা। বাধ্য হয়ে শর্ট বলের স্ট্রাটেজিতে গিয়েছিলেন ভারতীয় জোরে বোলাররা। সেই পথেই সাফল্য পেলেন মহম্মদ সিরাজ। জনি বেয়ারস্টোকে একের পর এক শর্ট বল দিয়ে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছিলেন। ওভার দ্য উইকেটে সাফল্য না পেয়ে সিরাজ স্ট্র্যাটেজি বদলাতেই সাফল্য পান। রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে অ্যাঙ্গেল বদল করে শরীর লক্ষ্য করে শর্ট বল করতেই নিজেকে সামলাতে পারেননি বেয়ারস্টো (৫৭)। বল গ্লাভসে লেগে প্রথম স্লিপে কোহলির হাতে জমা পড়ে। ততক্ষনে অধিনায়ক জো রুটের সঙ্গে জুটিতে তুলে ফেলেছেন ১২১ রান। ইংল্যান্ডও পৌঁছে গেছে নিরাপদ স্থানে।
আরও পড়ুনঃ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সিএবি সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলি
এরপর বাটলারকে (২৩) সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান জো রুট। ইশান্তের বলে বাটলার বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার পর মঈন আলি রুটের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। দুজনে ইংল্যান্ডকে ৩০০ রানের গন্ডি পার করে দেন। ২৭ রান করে ইশান্তের বলে মঈন কোহলির হাতে ক্যাচ দেন। পরের বলেই সাম কারেনকে (০) তুলে নেন ইশান্ত। দুর্দান্ত ব্যাটিং পরিবেশের সুযোগ কাজে লাগান রুট। এদিন বেশ কয়েকটি মাইলস্টোনে পৌঁছে গেলেন। প্রথম ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিসেবে এক ক্যালেন্ডার বছরে পাঁচ-পাঁচটি সেঞ্চুরি। তিনটি ভারতের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে একটি দ্বিশতরান। অভিষেক হওয়ার পর সবথেকে কম সময়ে দ্রুততম ৯০০০ রানের মালিক হলেন রুট। অ্যালিস্টার কুকের পর সবথেকে কম বয়সে এই মাইলস্টোনে পৌঁছলেন। টেল এন্ডাররা সঙ্গ দিতে না পারায় দ্বিশতরান হাতছাড়া হল রুটের। ভারতের হয়ে সিরাজ ৯৪ রানে ৪ উইকেট, ইশান্ত ৬৯ রানে ৩ উইকেট ও সামি ৯৫ রানে ২ উইকেট নেন।