• ১৫ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

East Bengal

খেলার দুনিয়া

‌স্নায়ুচাপের ডার্বিতে কোন দল হট ফেবারিট, কারাই বা আন্ডারডগ?‌

ডার্বি মানেই স্নায়ুচাপের খেলা। অতীতে দেখা গেছে, ভাল দল নিয়েও ডার্বি জেতা যায় না। ম্যাচের দিন যে দল স্নায়ুচাপ ধরে রাখতে পেরেছে, তারাই ডার্বিতে বাজিমাত করে গেছে। ফলে ডার্বিতে নির্দিষ্ট কোনও দলকে এগিয়ে রাখাটা বোকামি। কিন্তু এবারের আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হট ফেবারিট হিসেবে মাঠে নামবে এটিকে মোহনবাগান। অন্যদিকে, অনেকটা পিছিয়ে থেকে শুরু করতে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে।এটিকে মোহনবাগান ডার্বিতে হট ফেবারিট থাকলেও ফুটবল বোদ্ধারা হয়তো এগিয়ে রাখার ঝুঁকি নেবেন না। কারণ করোনার জন্য পরপর তিনটি ম্যাচ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় এটিকে মোহনবাগানের খেলায় ছন্দপতন হয়েছে। যার প্রভাব আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে দেখা গেছে। সবুজমেরুণ ফুটবলারদের খেলার মধ্যে ধারাবাহিকতার চরম অভাব। অন্যদিকে, একের পর এক ম্যাচ হেরে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তার ওপর প্রথম পর্বের ডার্বিতে হারতে হয়েছিল লালহলুদকে। ফলে বদলা নেওয়ার জন্য মরিয়া হবে এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা।এসসি ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় এটিকে মোহনবাগানের চাপ অনেকটাই বেশি। ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট পেয়ে এই মুহুর্তে লিগ টেবিলে সপ্তম স্থানে রয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ওডিশা এফসিরর বিরুদ্ধে আগের ম্যাচটা জিতলে চার নম্বরে উঠে আসত। সেটা সম্ভব হয়নি। ডার্বি না জিতলে প্লে অফের লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়বে সবুজমেরুণ শিবির। এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই চাপটা নেই। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে রয়েছে লালহলুদ শিবির। সেমিফাইনালে ওঠার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ফলে চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামতে পারবে মারিও রিভেরার দল।যদি দুই দলের শক্তির বিচার করা হয়, তাহলে আক্রমণভাগে অনেকটাই এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। ১০ ম্যাচে সবুজমেরুণ করেছে ২০ গোল। সেখানে এসসি ইস্টবেঙ্গল ১৩ ম্যাচে করেছে ১৩ গোল। কার্ড সমস্যা মিটিয়ে হুগো বোমাস ডার্বিতে প্রথম একাদশে ফিরছেন। রয় কৃষ্ণা রয়েছেন, সঙ্গে ডেভিড উইলিয়ামস। লিস্টন কোলাসোও চলতি আইএসএলে বেশ কয়েকটা গোল করেছেন। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের মধ্যে ধারাবাহিকতা নেই। নির্বাসন কাটিয়ে আগে ম্যাচে মাঠে ফিরলেও আন্তোনীয় পেরোসেভিচ হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে জ্বলে উঠতে পারেনি। সমর্থকরা তাকিয়ে নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার মার্সোলো রিবেইরার দিকে। পেরোসেভিচের সঙ্গে তাঁকে শুরু থেকে খেলিয়ে চমক দেখাতে পারেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। এছাড়া মাঝমাঠে নতুন বিদেশি ফ্রান সোতাও তাঁর তুরুপের তাস হতে পারেন।আইএসএলের শুরু থেকেই দুই দলের রক্ষণ যথেষ্ট নড়বড়ে। গোল করেও গোল ধরে রাখতে পারেনি দুই দল। বরং রেনেডি সিং যে কটা ম্যাচে দলের দায়িত্বে ছিলেন, অনকেটাই সংঘবদ্ধ দেখিয়েছে লালহলুদ রক্ষণকে। আদিল খান অনেকটাই নির্ভরতা দিয়েছে। ড্যারেল সিডোয়েলও ছন্দে ফিরেছেন। ফলে এসসি ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ভেদ করতে যথেষ্ট ঘাম ঝড়াতে হবে রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাসদের।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

এসসি ইস্টবেঙ্গল ডার্বি জিতলে সেটা হবে সবথেকে বড় অঘটন, কেন একথা বললেন শ্যাম থাপা?‌

শনিবার আইএসএলের মহারণ। রাত পোহালেই আবার মাঠে নামছে কলকাতার দুই প্রধান। আইএসএলের এই হাইভোল্ডেজ ম্যাচ নিয়ে আগের মতো ক্রীড়ামহলে আর তেমন উত্তেজনা নেই। সদস্যসমর্থকদের মধ্যেও সেই উন্মাদনা নেই। সবাই যেন ধরে নিয়েছেন, এটিকে মোহনবাগানের সামনে দাঁড়াতেই পারবে না এসসি ইস্টবেঙ্গল। বর্তমান পরিস্থিতিও সেই ইঙ্গিতও দিচ্ছে। তবুও ডার্বি বলে কথা। অনেক কিছুই তো ঘটতে পারে। কিন্তু লালহলুদকে নিয়ে আশা দেখতেন না কেউ। যেমন দুই প্রধানকে বহু ডার্বিতে উতরে দেওয়ার নায়ক শ্যাম থাপা বলছিলেন, ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গল জিতলে সেটা হবে বড় অঘটন।আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না শ্যাম থাপা। তিনি বলছিলেন, আমি তো এসসি ইস্টবেঙ্গলের জেতার কোনও আশাই দেখছি না। জেতা তো দূরের কথা, ড্র করতে পারবে কিনাও সন্দেহ। এই ইস্টবেঙ্গল টিমের কী আছে বলুন তো? একটা পজিশনেও ভাল ফুটবলার আছে, যাকে ঘিরে সমর্থকরা স্বপ্ন দেখতে পারে। এটিকে মোহনবাগানের দিকে তাকান। সব বিভাগেই ভাল ভাল ফুটবলার। রক্ষণ একটু কমজোরি হলেও আক্রমণভাগ খুবই শক্তিশালী। রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো বিদেশি রয়েছে আক্রমণভাগে। এছাড়া লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংয়ের মতো দেশীয় ফুটবলাররা। এদের আটকানোর মতো ডিফেন্ডার এসসি ইস্টবেঙ্গলে নেই।১৯৭৮ র ডার্বি ম্যাচে শ্যাম থাপার বাইসাইকেল কিকশোনা যাচ্ছে চোটের জন্য রয় কৃষ্ণা অনিশ্চিত। তা সত্ত্বেও মোহনবাগানকে পিছিয়ে রাখছেন না শ্যাম থাপা। তিনি বলেন, রয় কৃষ্ণা খেলতে না পারলেও সমস্যা হবে বলে মনে করছি না। কার্ড সমস্যা মিটিয়ে হুগো বোমাস প্রথম একাদশ ফিরছে। ডেভিড উইলিয়ামস আছে। মাঝমাঠে জনি কাউকো। ডিফেন্সে তিরি, ম্যাকহিউরা আছে। স্বদেশি ফুটবলাররাও যথেষ্ট ভাল। শুনছি নাকি সন্দেশ ঝিঙ্ঘানকেও খেলানো হতে পারে। সুতরাং এই এটিকে মোহনবাগানকে যদি এসসি ইস্টবেঙ্গল হারাতে পারে, সেটা হবে এই আইএসএলের সবথেকে বড় অঘটন।অতীতে দুর্বল দল নিয়েও লালহলুদের ডার্বি জেতার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু এই এসসি ইস্টবেঙ্গলের সেই ক্ষমতা নেই বলে মনে করছেন শ্যাম থাপা। তিনি বলেন, আগে ডার্বির একটা অন্য আবেগ ছিল। এইসব বিদেশি কোচ, ফুটবলাররা মুখে যাই বলুক, ডার্বির আবেগ জানে? গুরুত্ব বোঝে? আবেগ থাকা চাই। সেটা থাকলেও দুর্বল দল নিয়ে জেতা যায়। সেটা অতীতে আমরা অনেকবার জিতেছি। কখনও ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে, কখনও এটিকে মোহনবাগানের জার্সি গায়ে। সেসব দিন এখন আর নেই।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বি নিয়ে কী বললেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ মানোলো দিয়াজ?‌ জানলে চমকে যাবেন

এবারের আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বিতে তিনিই ছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডাগ আউটে। শনিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলতে নামছে লালহলুদ শিবির। এবার আর ডাগ আউটে নয়, সুদূর স্পেনে বসে টিভির পর্দায় চোখ রাখতে হবে মানোলো দিয়াজকে। তাঁর কোচিংয়েই প্রথম পর্বের ডার্বিতে ৩ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছিল লালহলুদকে। দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের কোনও সম্ভাবনা দেখছেন না লালহলুদের এই প্রাক্তন কোচ।ডার্বি নিয়ে মানোলো দিয়াজের বক্তব্য, এসসি ইস্টবেঙ্গলের যা অবস্থা, এবারও ডার্বি জেতার কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ভাগ্যের জোরে জিতেছিল। পরের ম্যাচেই হায়দরাবাদ এফসির কাছে হার। দলটার যদি ছন্দ ফিরে আসত তাহলে তো পরের ম্যাচেও জিতত। মানোলো দিয়াজের কোচিংয়ে প্রথম পর্বের ডার্বিতে প্রথমার্ধে একেবারেই দাঁড়াতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধেই ৩ গোল হজম করতে হয়েছিল। ৫ গোলের রেকর্ডও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা লড়াই করে ম্যাচে ফিরেছিল লালহলুদ ব্রিগেড।মানোলো দিয়াজকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব সামলেছিলেন রেনেডি সিং। তাঁর কোচিংয়ে লালহলুদ ফুটবলারদের মধ্যে লড়াইটা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। যা দিয়াজের সময় দেখা যায়নি। তবুও এই স্প্যানিশ কোচের দাবি, এসসি ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন ফুটবলার ছাড়া বাকিদের আইএসএলে খেলার যোগ্যতাই নেই। এমনকি আন্তোনীয় পেরোসেভিচ ও ড্যারেল সিডোল ছাড়া বাকি বিদেশি ফুটবলারদের নাকি কর্তারাই পছন্দ করে দলে নিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগের তিন মূলত এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজী সমাদ্দারের দিকে।রেনেডি সিং দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আদিল খান প্রথম একাদশে। নিয়মিত খেলছেন। রক্ষণকে দারুণ নির্ভরতাও দিচ্ছেন। তবু আদিল খানকে ভাল মানের ডিফেন্ডারের স্বীকৃতি দিতে নারাজ মানোলো দিয়াজ। তিনি বলেন, আদিল খানের দক্ষতা এমন কিছু আহামরি নয়। ভাল স্ট্রাইকারের সামনে পড়লে ওর দুর্বলতা ফুটে উঠবে। ওকে না খেলানোর জন্য আমার অনেক সমালোচনা হয়েছিল। সবই শুনেছি। ওকে একটা ম্যাচে আমি খেলাতে চেয়েছিলাম। ও খেলতে রাজি হয়নি। একজন পেশাদার ফুটবলারের এইরকম আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। টিমটার মধ্যে শৃঙ্খলা ছিল না। এরজন্য কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট দায়ী।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ছন্নছাড়া লালহলুদকে ডার্বিতে কেন গুরুত্ব দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের হুগো বোমাস?‌

এই মুহূর্তে আইএসএলের লিগ টেবিলে সবার শেষে রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ১৩ ম্যাচে জয় মাত্র একটিতে। আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে ৪ গোলে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে। ডার্বিতে নামার আগে মনোবল একেবারে তলানিতে লালহলুদ শিবিরের। তা সত্ত্বেও এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নয় এটিকে মোহনবাগান শিবির। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে থাকলেও বিপক্ষ শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন।আগের ম্যাচে ওডিশা এফসির কাছে আটকে যেতে হয়েছিল এটিকে মোহনবাগানকে। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হয়নি সবুজমেরুণ শিবিরের। ওডিশা ম্যাচের ড্র ডার্বিতে পুষিয়ে নিতে চান এটিকে মোহনবাগান ফুটবলাররা। সবুজমেরুণ শিবিরের লক্ষ্য ডার্বি জিতে লিগ টেবিলের ওপরের দিকে উঠে আসতে। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমে ওডিশা এফসির বিরুদ্ধে একেবারেই ছন্দে ছিল না এটিকে মোহনবাগান। আসলে দীর্ঘদিন ম্যাচের মধ্যে না থাকাটা সমস্যায় ফেলে দিয়েছিল। সবুজমেরুণ কোচ জুয়ান ফেরান্দোর বিশ্বাস ডার্বিতে ছন্দে ফিরবে দল।ডার্বিতে মাঠে নামার আগে এটিকে মোহনবাগান কোচকে স্বস্তি দিচ্ছে ফুটবলারদের চোটআঘাত ও কার্ড সমস্যা কাটিয়ে ওঠা। কার্ড সমস্যার জন্য আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি হুগো বোমাস। ডার্বিতে তিনি মাঠে ফিরছেন। করোনামু্ক্ত হয়ে জনি কাউকোও খেলার জন্য তৈরি। এছাড়া বাকিরাও ডার্বিতে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। আগের ম্যাচ ড্র হলেও প্রথম পর্বের ডার্বিতে জয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী এটিকে মোহনবাগান শিবির।প্রথম পর্বের ডার্বিতে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন হুগো বোমাস। শনিবার মাঠে নামার জন্য তিনি মুখিয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতেও জয়ের ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। ডার্বি নিয়ে বোমাসের প্রতিক্রিয়া, ডার্বির গুরুত্ব কতটা জানি। সবাই এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে। দীর্ঘদিন অনুশীলন করতে পারিনি। তারজন্য আগের ম্যাচে সমস্যা হয়েছিল। ডার্বির আগে পর্যাপ্ত অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছি। আশা করছি গোটা দল ছন্দে ফিরবে। আগের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসির কাছে এসসি ইস্টবেঙ্গল ৪ গোল খেলেও বিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণভাগের এই স্তম্ভ। বোমাস বলেন, প্রথম পর্বে জিতেছিলাম বলে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই। আগের ম্যাচে হারের বদলা নেওয়ার জন্য মরিয়া হবে। জিততে গেলে আমাদের সতর্ক হয়ে মাঠে নামতে হবে। আইএসএলে ডার্বির পরিসংখ্যান অবশ্য এটিকো মোহনবাগানের অনুকূলে। একবারও জিততে পারেনি লালহলুদ শিবির।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ডার্বিতে ৫–৬ গোলের লজ্জায় পড়তে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে? কী বললেন সমরেশ চৌধুরি‌

আইএসএলের প্রথম পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। শনিবার আবার দ্বিতীয় পর্বের ডার্বিতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হয়নি দুই দলের কাছে। এটিকে মোহনবাগান আগের ম্যাচে আটকে গিয়েছিল ওডিশা এফসির কাছে। অন্যদিকে, হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। চলতি আইএসএলে ১৩ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটা ম্যাচে জয় পেয়েছে লালহলুদ। ৬টি হার, ৬টি ড্র। তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল জায়গায় এটিকে মোহনবাগান। ১০ ম্যাচে চারটিতে জয়, চারটি ড্র। হার দুটি ম্যাচে। ডার্বিতে লালহলুদের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না লালহলুদ জার্সি গায়ে একসময় দাপিয়ে খেলা সমরেশ চৌধুরি।এসসি ইস্টবেঙ্গলের নাম শুনলেই রীতিমতো রেগে আগুন লালহলুদের এই ঘরের ছেলে। সমরেশ চৌধুরি বলছিলেন, এই এসসি ইস্টবেঙ্গল দল নিয়ে আলোচনা করতেই আমার ঘেন্না লাগছে। এটা কোনও দল হল? গোলকিপার থেকে শুরু করে স্ট্রাইকার, একটাও ভাল ফুটবলার আছে। আমার তো মনে হয় লালহলুদ জার্সি গায়ে দেওয়ার কোনও যোগ্যতাই এদেন নেই। কোন ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা করব? কাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখবে সমর্থকরা?ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের জয়ের কোনও সম্ভাবনাই দেখছেন না সমরেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলের অনেক দল দেখেছি। এইরকম দুর্বল দল কখনও দেখিনি। দুর্বল দল নিয়েও অতীতে লালহলুদ ডার্বি জিতেছে। এবার জেতার কোনও সম্ভাবনাই দেখছি না। এমনকি ড্র করতে পারে, এমন আশাও নেই। আমার তো মনে হয় ৫৬ গোলের লজ্জায় না পড়তে হয়। আক্রমমভাগ থেকে শুরু করে রক্ষণ, সব পজিশনেই হতশ্রী অবস্থা। তাছাড়া এই দলে কজন ফুটবলার ডার্বির আবেগ বোঝে? ডার্বিতে এই এসসি ইস্টবেঙ্গল নিয়ে আতঙ্কে আছি।এটিকে মোহনবাগানকে ডার্বিতে যে আটকানো কঠিন, মেনে নিয়েছেন সমরেশ চৌধুরি। তিনি বলেন, ওডিশা এফসির কাছে এটিকে মোহনবাগান আটকে গেলেও ওরা ভাল ছন্দে রয়েছে। আক্রমণভাগে রয় কৃষ্ণা, হুগো বোমাস, ডেভিড উইলিয়ামসের মতো ফুটবলাররা রয়েছে। এদের আটকানোর মতো ডিফেন্ডার লালহলুদে নেই। তাছাড়া প্রথম পর্বের ডার্বিতে এটিকে মোহনবাগানের কাছে উড়ে গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবে সবুজমেরুণ শিবির।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের চমক নতুন বিদেশি, কে সেই বিদেশি?‌

টানা ১১ ম্যাচ পর এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জয় স্বপ্ন দেখিয়েছিল লালহলুদ সমর্থকদের। সোমবার হায়দরাবাদ এফসির কাছে ৪০ গোলে হার প্রত্যাশার পারদ চুপসে গেছে। একাধিক ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। পরের ম্যাচ ২৯ জানুয়ারি এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়া মনোবল কি ডার্বিতে ফিরিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন লালহলুদ ফুটবলাররা। দলের আত্মবিশ্বাস ফেরানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ কোচ মারিও রিভেরার।আগের ম্যাচে ভাল খেলেও হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দলের পারফরমেন্সে হতাশ লালহলুদ কোচ। হায়দরাবাদের কাছে হারের পর তিনি বলেন, ম্যাচের ফল খুবই হতাশাজনক। একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। যদিও ফুটবলাররা সেরাটা দিয়েছিল। পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারেনি। বেশ কয়েকটা ভুল আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিল। পাশাপাশি বিপক্ষের স্ট্রাইকার বার্থোলেমিউ ওগবেচেকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে মারিও রিভেরা। তিনি বলেন, ওগবেচে আইএসএলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। ওর কাছেই হারতে হয়েছে। সব সুযোগগুলোই কাজে লাগিয়েছে।🚨𝐀𝐍𝐍𝐎𝐔𝐍𝐂𝐄𝐌𝐄𝐍𝐓🚨We are happy to announce the signing of versatile Spanish midfielder 𝐅𝐫𝐚𝐧𝐜𝐢𝐬𝐜𝐨 𝐉𝐨𝐬 𝐒𝐨𝐭𝐚 on a short term deal that will see him turn out for the red and gold brigade till the end of the season.#JoyEastBengal #WeAreSCEB #আমাগোক্লাব pic.twitter.com/u4FHeGFbNG SC East Bengal (@sc_eastbengal) January 25, 2022এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচই ডার্বি। ডার্বির আগে হায়দরাবাদ এফসির কাছে বিধ্বস্ত হলেও এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। তিনি বলেন, সমর্থকদের কাছে ডার্বির গুরুত্ব কতটা, তা আমি জানি। ওদের জন্যই ডার্বি জিততে চাই। তবে ডার্বিতে নতুন বিদেশি ফ্রান সোতাকে পাবেন কিনা এখনও নিশ্চিত নন মারিও রিভেরা। বেশ কয়েকদিন আগেই গোয়ায় পৌঁছে গেছেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। গোয়ার হোটেলে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। মাঝে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাই অনুশীলনে নামতে পারেননি। ফ্রান সোতার আবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে বুধবার অনুশীলনে নামবেন। আমির দারভিসেভিচখএ ছেড়ে দিয়ে তাঁকে নেওয়া হচ্ছে। এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার কেমন জায়গায় আছে তা দেখেই ডার্বিতে খেলাবেন কিনা সিদ্ধান্ত নেবেন মারিও রিভেরা। ডার্বিতে তাঁর চমক হতে পারেন ফ্রান সোতা।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বির মহড়ায় ডাহা ফেল এসসি ইস্টবেঙ্গল, বিধ্বস্ত হায়দরাবাদের কাছে

আগের ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় স্বপ্ন দেখিয়েছিল সমর্থকদের। পরের ম্যাচেই সেই চেনা এসসি ইস্টবেঙ্গল। আবার হারের মুখ দেখতে হল লালহলুদ শিবিরকে। হায়দরাবাদ এফসির কাছে হারতে হল ৪০ ব্যবধানে। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার খেসারত দিতে হল মারিও রিভেরাকে। ডার্বির ড্রেস রিহার্সাল একেবারেই ভাল হল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে। একেবারে ডাহা ফেল। ৫ ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে এদিন মাঠে ফিরে এসেছিলেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। তাঁকে শুরু থেকেই মাঠে নামান মারিও রিভেরা। কিন্তু খেলার মতো জায়গায় থাকা সত্ত্বেও মার্সেলো রিবেইরাকে প্রথম একাদশে রাখেননি। আগের ম্যাচের মতোই এদিন ৪৩৩ ছকে দল সাজিয়ে ছিলেন রিভেরা। লক্ষ্য ছিল শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলে হায়দরাবাদ এফসিকে চাপে ফেলা। কিন্তু সেই লক্ষ্যে এদিন সফল হননি। কারণ এফসি গোয়ার তুলনায় হায়দরাবাদ এফসি অনেক বেশি শক্তিশালী ও ভারসাম্যপূর্ণ দল। হায়দরাবাদ এফসিরও লক্ষ্য ছিল ম্যাচের শুরু থেকে আধিরপত্য বজায় রাখা। আক্রমণ ঝড় তুলে ২১ মিনিটে এগিয়েও যায় হায়দরাবাদ এফসি। সৌভিক চক্রবর্তীর কর্ণারে হেড করেন বার্থোলোমেউ ওগবেচে। তাঁর হেড এসসি ইস্টবেঙ্গলের এক ডিফেন্ডারের গায়ে গেলে গোলে ঢুকে যায়। পিছিয়ে পড়ে কুঁকড়ে থাকেনি লালহলুদ। বরং সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। একের পর এক আক্রমণও তুলে নিয়ে আসছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। ৩৯ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। খেলার গতির বিরুদ্ধে ব্যবধান বাড়ায় হায়দরাবাদ এফসি। ৪৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে গতিতে আদিল খান ও অমরজিৎতে পেছনে ফেলে অরিন্দমকে ভট্টাচার্যকে পরাস্ত করে ২০ করেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে ৩০ করেন অনিকেত যাদব।দ্বিতীয়ার্ধে সেমবই হাওকিপকে তুলে নিয়ে মার্সেলো রিবেইরাকে মাঠে নামান এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও রিভেরা। তা সত্ত্বেও খেলায় ফিরতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ এদিন একেবারে ছিল নিস্প্রভ। উইং প্লেও একেবারে ভাল হয়নি। রক্ষণে ড্যান সিডোয়েলকেও জার্সি দেখে চিনতে হচ্ছিল। যখনও হায়দরাবাদ এফসি আক্রমণে উঠে এসেছে, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে লালহলুদ ডিফেন্স। এরই মধ্যে ৭৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ওগবেচে। ৮৪ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মার্সেলো রিবেইরাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন হায়দরাবাদ এফসি গোলকিপার কাট্টিমনি। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। ফ্রাঞ্জো পর্চের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন কাট্টিমনি। বাকি সময়ে আর ব্যবধান কমাতে পারেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল।

জানুয়ারি ২৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আক্রমণভাগে দুই বিদেশি?‌ আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল

একটা জয়ই বদলে দিয়েছে লালহলুদ শিবিরকে। একটা সময় মাঠে নামার আগে কেমন যেন কুঁকড়ে থাকত। মারিও রিভেরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বদলে গেছে ছবিটা। এফসি গোয়াকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেছে। সেই আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করেই সোমবার হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।লালহলুদ সমর্থকদের কাছে সুখবর, দীর্ঘদিন পর আক্রমণভাগে দেখতে পাবেন দুই বিদেশিকে। নির্বাসন কাটিয়ে হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে ফিরছেন আন্তোনীও পেরোসেভিচ। নতুন বিদেশি স্ট্রাইকার মার্সেলো রিবেইরাও কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে কয়েকদিন আগে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন। তিনিও খেলার মতো জায়গায় রয়েছেন। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে দুই বিদেশি স্ট্রাইকারকেই খেলানোর পরিকল্পনা রয়েছে লালহলুদ কোচের। তবে দুই বিদেশি স্ট্রাইকারকে একসঙ্গে মাঠে নামাবেন কিনা তা এখনও চূড়ান্ত করেননি মারিও রিভেরা। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, নির্বাসন কাটিয়ে পেরোসেভিচ মাঠে ফিরছে। মার্সেলোও মাঠে নামার জন্য তৈরি। তবে ওকে শুরু থেকে মাঠে নামাব না পরের দিকে খেলাব, তা এখনও ঠিক করিনি। তবে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে মার্সেলো খেলবে। ও ভাল ফিনিশার। দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে ভাল উঠতে পারে। গোলটা ভাল চেনে।আগের ম্যাচে জয় ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বলে মনে দাবি করেন লালহলুদ কোচ। রিভেরার কথায়, জয় এলে যে কোনও দলের মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। ভাল খেলার জন্য ফুটবলারদের তাগিদ বাড়ে। আগের ম্যাচে ছেলেরা দারুণ ডিফেন্স সামলেছে। এর থেকেই প্রমাণিত ফুটবলাররা মানসিকভাবে কতটা ভাল জায়গায় রয়েছে। এফসি গোয়া ম্যাচে লং পাসে না খেলে ছোট ছোট পাসে দ্রুত গতিতে আক্রমণ শানিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচেও একই স্ট্র্যাটেজিতে দলকে খেলাতে চান মারিও রিভেরা।হায়দরাবাদ এফসিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন লালহলুদ কোচ। বিপক্ষ দল সম্পর্কে রিভেরা বলেন, এবারের আইএসএলে অন্যতম সেরা দল হায়দরাবাদ এফসি। দলের মধ্যে দারুণ ভারসাম্য রয়েছে। যেমন দ্রুতগতিতে আক্রমণে উঠে আসে, তেমনই আবার রক্ষণও সামলায়। এই রকম দলের বিরুদ্ধে লড়াই করা বেশ কঠিন। তবে আমার দলের ফুটবলাররাও তৈরি। আগে ম্যাচে জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন নওরেম মহেশ সিং। আক্রমণভাগে পেরোসেভিচ, মার্সেলো রিবেইরার সঙ্গে মহেশ সিংকে জুড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানুয়ারি ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডার্বি নিয়ে কী ভাবছেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা?

টানা ১১ ম্যাচ জয় ছিল না। অবশেষে আগের ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে এবারের আইএসএলে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। গুমোট ভাব কেটে স্বস্তি ফিরে এসেছে লালহলুদ শিবিরে। একটা জয়ই আত্মবিশ্বাস বড়িয়ে দিয়েছে গোটা শিবিরের। তার ওপর চোটআঘাত কাটিয়ে উঠছেন ফুটবলাররাও। সোমবার হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে লালহলুদ শিবির যে মনোবল বাড়িয়ে মাঠে নামবে, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে শক্তি বাড়িয়ে বাড়িয়ে মাঠে নামবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। ৫ ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে দলে ফিরবেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন ড্যানিয়েল চিমার জায়গায় দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডোতে দলে নেওয়া ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্সেলো রিবেইরো। তাঁকেও হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচে পাবেন লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা। রিবেইরাকে ঘিরেই হায়দরাবাদ ম্যাচের পরিকল্পনা করবেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ফ্রাঞ্জো পর্চে ও ড্যান সিডোয়েলের পারফরমেন্সও আশাজনক। সব মিলিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে অনেক ছন্দবদ্ধ লেগেছে। টমিস্লাভ মার্সেলো ছাড়া দলের আর কোনও ফুটবলারের চোট নেই। হীরা মণ্ডলও রবিবার থেকে অনুশীলনে ফিরতে পারেন। সব মিলিয়ে একটা অন্যরকম পরিবেশ লালহলুদ শিবিরে। একটা জয়ই আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। এতদিন জয় না পাওয়া দল কীভাবে বদলে গেল? লালহলুদ কোচ মারিও রিভেরা বলেন, দেশে থাকলেও নিয়মিত আইএসএলের খেলা দেখতাম। আইএসএলে খেলা সব ফুটবলারের খেলার ধরণ আমার জানা। এসসি ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিয়ে মাঠে নেমে ফুটবলারদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশেছি। ফলে ওরা সমস্যাগুলো আমাকে খুলে বলতে পেরেছে। সেটাই আমাকে সাহায্য করেছে। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে খুব বেশি সময় পাননি। এই বছর লালহলুদের খেলা দেখে রিভেরার মনে হয়েছিল ফুটবলাররা একসঙ্গে ৩৪টে পাস খেলতে পারছে না। অনুশীলনে সেটার ওপরই বেশি জোর দিয়েছেন। তাতেই বদলে গেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। নির্বাসন কাটিয়ে পরের ম্যাচে ফিরছেন আন্তোনীয় পেরোসেভিচ। মার্সেলো রিবেইরাকেও পাবেন। আক্রমণভাগে শক্তি অনেকটাই বেড়ে যাবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের। এটাই আরও আশাবাদী করে তুলেছে মারিও রিভেরাকে। তিনি বলেন, পেরোসেভিচ খুবই ভাল ফুটবলার। মার্সেলোকে নিয়েও আশাবাদী। অনেক উঁচুমানের স্ট্রাইকার। আশা করছি অন্যদের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেবে। ২৯ জানুয়ারি এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে ম্যাচ। ডার্বির উন্মাদনা সম্পর্কে জানেন রিভেরা। তবে এখনও ডার্বি নিয়ে ফুটবলারদের চাপে ফেলতে চান না। আপাতত হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচই পাখির চোখ করছেন।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ভারতীয় ফুটবলে ইন্দ্রপতন, চলে গেলেন সুভাষ ভৌমিক

ভারতীয় ফুটবলে ইন্দ্রপতন। মারা গেলেন প্রাক্তন ফুটবলার ও ময়দানের কিংবদন্তী কোচ সুভাষ ভৌমিক। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। শনিবার ভোরে কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আশিয়ানজয়ী ইস্টবেঙ্গলের এই কোচ। সুভাষ ভৌমিকের মৃত্যুতে ভারতীয় ক্রীড়াজগতে নেমে এসেছে শোকের ছাড়া। দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। সুগার ও কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হত। প্রতিদিন বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডায়ালিসিস করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তার ওপর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ায় সমস্যা আরও বেড়ে যায়। শারিরীক অবস্থা এমন অবনতি হয়েছিল যে কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আরও ভাল চিকিৎসার জন্য শুক্রবার নব মহাকরণে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দপ্তরে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠকে ঠিক হয়েছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য মেডিকা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে সুভাষ ভৌমিককে। কিডনি প্রতিস্থাপনের বিষয়টিও খতিতে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে শনিবার ভোরে মারা যান তিনি।ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের জার্সি গায়ে কলকাতা ময়দানে একসময় দাপিয়ে খেলেছেন সকলের প্রিয় ভোম্বলদা। সবুজমেরুণের তুলনায় লালহলুদ জার্সিতেই বেশি সময় কাটিয়েছিলেন। রাজস্থান থেকে ১৯৬৯ সালে প্রথম লালহলুদ জার্সি গায়ে তুলে নিয়েছিলেন। পরের বছরই লালহলুদ জার্সি ছেড়ে যোগ দেন মোহনবাগানে। ৩ বছর মোহনবাগানে কাটিয়ে ১৯৭৩ সালে আবার ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসেন। ১৯৭৬ সালে আবার মোহনবাগানে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে লালহলুদে ফিরে আসেন। ইস্টবেঙ্গল থেকেই ফুটবলকে বিদায় জানান। ভারতীয় দলের হয়েও দীর্ঘদিন দাপিয়ে খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৭০ সালে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন, মারডেকা, পেস্তা সুকানের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। দেশের জার্সি গায়ে দুদুটি হ্যাটট্রিকও করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তার মধ্যে মারডেকা কাপে ফিলিপাইন্সের বিরুদ্ধে একটা। ওই ম্যাচে ৫১ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। ১৯৬৯ সালে বাংলার সন্তোষ ট্রফি জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন সুভাষ ভৌমিক। দীর্ঘ ৬ বছর পর সেবার সন্তোষ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। বাংলার জার্সি গায়ে মোট ৪ বার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। ২ বার বাংলাকে নেতৃত্ব দিলেও রেলওয়েজের কাছে সেমিফাইনালে হারতে হয়েছিল। কোচ হিসেবেও দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তবে লালহলুদকেই বেশি সাফল্য এনে দিয়েছিলেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০০ এবং ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের কোচ ছিলেন। ২০০২০৩ এবং ২০০৩০৪ মরশুমে তাঁর কোচিংয়েই জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ২০০৩ সালে লালহলুদকে আশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। ২০০৬ সালে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরের বছর সালগাঁওকারে যোগ দেন। ২০০৮০৯ মরশুমে আবার ইস্টবেঙ্গলে ফিরে আসেন। ২ মরশুম লালহলুদে কাটিয়ে মোহনবাগানের দায়িত্ব নেন। চার্চিল ব্রাদার্সের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুভাষ ভৌমিক। তাঁর কোচিংয়েই ২০১২১৩ মরশুমে আই লিগ জেতে চার্চিল।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কাঙ্খিত জয় এসসি ইস্টবেঙ্গলের, জোড়া গোল করে নায়ক মহেশ সিং

মানেলো দিয়াজ পারেননি। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিংও ব্যর্থ। অবশেষে মারিও রিভেরার হাত ধরেই এবারের আইএসএলে কাঙ্খিত প্রথম জয় পেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ২১ গোলে হারাল এফসি গোয়াকে। ১১ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল লালহলুদ শিবির। জয়ের নায়ক নওরেম মহেশ সিং। জোড়া গোল করে তিনিই কাঙ্খিত জয় এনে দিলেন।মারিও রিভেরা দায়িত্ব নেওয়ার পর বলেছিলেন, ভারসাম্য বজায় রেখে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চান। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী দল সাজিয়েছিলেন। ৪৩৩ ছকে শুরু করেছিলেন রিভেরা। শুরু থেকেই এফসি গোয়ার ওপর চাপ তৈরি করছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। তার ফলও পায় হাতেনাতে।ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার দুই ফুটবলার নগুয়েরা ও এডু বেদিয়ার ভুল বোঝাবুঝিতে বল পেয়ে যান নওরেম মহেশ সিং। বল ধরে এগিয়ে গিয়ে ডান পায়ের হালকা পুশে তিনি জালে বল পাঠান। ২৪ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারত এফসি গোয়া। এডু বেদিয়ার কাছ থেকে বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়ে বাইরে মারেন রোমারিও।৩৭ মিনিটে সমতা ফেরায় এফসি গোয়া। মাঝমাঠ থেকে বল এগিয়ে গিয়ে বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত পাস বাড়ান জর্জ ওর্টিজ। সেই বল ধরে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে বল জালে পাঠান আলবার্তো নগুয়েরা। ৪২ মিনিটে আবার এগিয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার আনোয়ার বল পাস করতে গিয়ে নওরেম মহেশ সিংয়ের পায়ে জমা দেন। তাঁর দুরন্ত শট বারে লেগে গোললাইনের ভেতরে পড়ে বেরিয়ে আসে।এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে রক্ষণকে দারুণ নেতৃত্ব দিলেন আদিল খান। লুজ বল ধরে উড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা ছিল না। আক্রমণ গড়ার দিকে নজর দিয়েছিলেন। তবে হীরা মণ্ডলের অভাব বারবার চোখে পড়ছিল। হীরা না থাকায় তাঁর জায়গায় অঙ্কিত মুখার্জিকে মাঠে নামিয়েছিলেন মারিও রিভেরা। অনভ্যস্ত জায়গায় প্রথমার্ধে নিজেকে সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি অঙ্কিত। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ছন্দে ফেরেন।সমতা ফেরানোর জন্য দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে ওঠে এফসি গোয়া। কিন্তু লালহলুদ রক্ষণে আদিল খান ও ফ্রাঞ্জো পর্চে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠায় ওর্টিজ, নেগুয়েরোরা গোলের তিনকাঠি খুঁজে পাননি। তিনকাঠির নিচে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন অরিন্দম ভট্টাচার্যও। দক্ষতার শীর্ষে উঠে বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোল বাঁচান। না হলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া কঠিন হয়ে পড়ত এসসি ইস্টবেঙ্গলের

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌আবার করোনা হানা, এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ আদৌও হবে তো?‌

১১ ম্যাচ খেলা হয়ে গেছে। এখনও জয় আসেনি। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে অবস্থান। দলের অন্দরে চূড়ান্ত ডামাডোল। চোটআঘাতের তালিকাও দীর্ধ। বেশ কয়েকজন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত। মঙ্গলবার তালিকাটা আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় লালহলুদে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন মারিও রিভেরা। বুধবার তাঁর কোচিংয়েই এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। লালহলুদে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে মারিও রিভেরা। প্রথম একাদশ গড়তেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। কারণ দলের একাধিক ফুটবলার চোটের কবলে। তার ওপর করোনায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন ফুটবলার কোয়ারেন্টিনে। আর দুএকজন ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত হলেই ম্যাচ স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন আগের ৩টি ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে আয়োজকরা। এই রকম সমস্যা সঙ্কুল পরিস্থিতিতেও ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন লালহলুদের স্প্যানিশ কোচ। তবে নিজের প্রথছম ম্যাচেই জয়ের কথা ভাবছেন না মারিও রিভেরা। প্রথম লক্ষ্য দলকে ছন্দে নিয়ে আসা। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের আগের দিন তিনি বলেন, মরশুমের মাঝখানে কোনও দলের দায়িত্ব নিলে বুঝতে হয় দলের সবকিছু ঠিকঠাক নেই। আপাতত লক্ষ্য দলকে ছন্দে ফেরানো, ফুটবলারদের মনোবল চাঙ্গা করা। তবে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে আগের থেকে ভাল ছন্দে রয়েছে। দলের অবস্থা যাইহোক না কেন, প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক খেলার দিকে মন দিতে চান রিভেরা। তিনি বলেন, আমি টোটাল ফুটবলে বিশ্বাসী। আক্রমণাত্মক ফউটবল খেলতে চাই। তবে শুধু আক্রমণাত্মক খেললেই হবে না, রক্ষণও মজবুত রাখতে হবে। এদিকে, ফুটবলারদের তৈরি রাখলেও এপসি গোয়ার বিরুদ্ধে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। জানা গেছে, টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে আয়োজকদের কাছে ম্যাচ স্থগিতের আবেদন জানানো হয়েছে। লালহলুদের বেশ কয়েকজন ফুটবলার চোটের কবলে। তার ওপর বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। মঙ্গলবার আবার নতুন করে দুজন ফুটবলারের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই অবস্থায় মাঠে নামা কঠিন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচ স্থগিতের কোনও খবর নেই। হয়তো ম্যাচ শুরুর ঘন্টা ৩৪ আগে জানা যাবে আদৌও ম্যাচ হবে কিনা।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ফুটবলারদের কী বললেন রিভেরা?‌ স্থগিত হতে পারে লালহলুদের ম্যাচ

শিবিরে করোনার হানা। বেশ কয়েকদিন কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে আবার মাঠে এসসি ইস্টবেঙ্গল। তবে এবার অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিংয়ের তত্ত্বাবধানে নয়। কোয়ারেন্টিন পর্ব কাটিয়ে মাঠে নেমে পড়লেন নবনিযুক্ত কোচ মারিও রিভেরা। বেশ কয়েকদিনের বিরতি কাটিয়ে বুধবার আবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে প্রথম পরীক্ষা মারিও রিভেরার। আইএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি লালহলুদ ব্রিগেড। তার মধ্যেই দলের মধ্যে চূড়ান্ত ডামাডোল। ম্যানেজমেন্টের ওপর বিরক্ত হয়ে নেতৃত্ব ছেড়েছেন গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করেছেন রেনেডি সিং। এই অবস্থায় দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই চ্যালেঞ্জ নতুন কোচ মারিও রিভেরার। প্রথম দিন মাঠে নেমে অধিকাংশ ফুটবলারের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন লালহলুদের নতুন স্প্যানিশ কোচ। কোথায় সমস্যা হচ্ছে ফুটবলারদের কাছ থেকে জেনে নেন। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে আরও একদিন দলকে দেখে নেওয়ার সুযোগ পাবেন রিভেরা। প্রথমদিনের অনুশীলনের পর তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকায় কয়েকদিন ফুটবলাররা অনুশীলন করতে পারেনি। দল খারাপ জায়গায় রয়েছে। ফুটবলারদের কাছে কাজটা কঠিন হলেও আমার বিশ্বাস এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াবে। দল নিয়ে মাঠে নামলেও বুধবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে আদৌও এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। শবিবার ও রবিবার আইএসএলের ম্যাচ স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। সোমবার জামশেদপুর এফসি ও হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচ স্থগিত হয়ে গেল। আইএসএলের জৈব সুরক্ষা বলয়ে করোনা সংক্রমণের জেরে এই নিয়ে চারটি ম্যাচ স্থগিত হল। ৮ জানুয়ারি এটিকে মোহনবাগানের ওডিশা এফসি ম্যাচ এবং গত শনিবারের বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছিল। গতকাল বিকেল ৪টে ১৫ নাগাদ জানানো হয় কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচটি স্থগিত হওয়ার কথা। আইএসএলের খেলা শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে হায়দরাবাদ-জামশেদপুর ম্যাচ স্থগিতের কথা জানানো হয়। ১১ জানুয়ারি এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারানোর পর থেকেই কোয়ারেন্টিনে জামশেদপুর। এসসি ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করছে, বুধবার তাদের ম্যাচও স্থগিত হয়ে যেতে পারে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডামাডোল এসসি ইস্টবেঙ্গলে, স্বপ্নভঙ্গ হয়ে নেতৃত্ব ছাড়লেন সবুজ-মেরুন থেকে আসা গোলকিপার

এসসি ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবকে নেতৃত্ব দেবেন। সেই স্বপ্ন নিয়ে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে লালহলুদে যোগ দিয়েছিলেন। স্বপ্ন পূরণ হলেও দলকে আইএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখাতে পারেননি। ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন অরিন্দম ভট্টাচার্য। শনিবার হঠাৎ করেই তিনি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন।শনিবার বিকেলে টুইটারে অরিন্দম লেখেন, নিজের খেলার ব্যাপারে সবসময় সততা বজায় রেখে চলতে বিশ্বাস করি। আমাকে ঘিরে এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জন্য নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালাম। তবে আগের মতোই মাঠে নেমে দলের জন্য, সমর্থকদের জন্য ১০০ শতাংশ উজাড় করে দেব। মাঠে নামার সুযোগ না পেলেও সবরকম দায়িত্ব পালন করার জন্য আমি তৈরি। তবে সূত্রের খবর, ম্যানেজমেন্টের ওপর অসন্তুষ্ট হয়েই নেতৃত্ব ছেড়েছেন অরিন্দম ভট্টাচার্য।Ive always been honest about the way Ive played the game. And at this moment due to circumstances around me, I am stepping down as the captain of @sc_eastbengal(1/2) Arindam Bhattacharya (@ArindamGK) January 15, 2022নতুন কোচ মারিও রিভেরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে অরিন্দম ভট্টাচার্যর নেতৃত্ব ছাড়াটা আরও একটা খারাপ খবর এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে। কারণ আগের দিনই লালহলুদের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিং পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি নতুন কোচ মারিও রিভেরার সহকারী হিসেবে কাজ করবেন না। এখন দেখার লালহলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ইতিমধ্যেই গোয়ায় টিম হোটেলে পৌঁছে গেছেন রিভেরা। আপাতত কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। কোয়ারেন্টিন পর্ব শেষ করে পরের ম্যাচ থেকেই তিনি লালহলুদ ব্রিগেডের দায়িত্ব তুলে নেবেন। এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে। লালহলুদের পরের ম্যাচ নিয়ে অবশ্য অনিশ্চয়তা রয়েছে। এক ফুটবলার ও এক সাপোর্ট স্টাফ করোনায় আক্রান্ত। হয়তো কিছুদিনের জন্য স্থগিত হয়ে যেতে পারে আইএসএল।

জানুয়ারি ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : ‌ইতিহাস গড়েও জয় এল না এসসি ইস্টবেঙ্গলের

ভাগ্য বরাবরই সাহসীদের সঙ্গ দেয়। যেমন আইএসএলে আগের দুম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে দিয়েছিল। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে অবশ্য ভাগ্য সহায় হল না। স্বদেশি ব্রিগেড নিয়ে মাঠে নেমে নজির গড়লেন। আইএসএলের ইতিহাসে এই নজির আগে কোনও দল দেখাতে পারেনি। তবুও এদিন দলের হারল বাঁচাতে পারলেন না লালহলুদের অন্তর্বর্তীকলীন কোচ রেনেডি সিং। শেষ মুহূর্তের গোলে হারতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। টানা ৪ ম্যাচ পর আবার হারের মুখ দেখতে হল। তবে লালহলুদ ব্রিগেডের লড়াইকে কুর্নিশ জানাতেই হবে।এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে লিগ টেবিলে চতুর্থ স্থানে ছিল জামশেদপুর এফসি। অন্যদিকে লালহলুদ শিবির একেবারে শেষ স্থানে। তার ওপর ৪ জন বিদেশি নিয়ে মাঠে নেমেছিল জামশেদপুর এফসি। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ভরসা স্বদেশি ব্রিগেড। অসম লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হাল মানল লালহলুদ ব্রিগেড।আরও পড়ুনঃ ভামিকার জন্মদিনে সেঞ্চুরি হাতছাড়া, রান পেলেও ব্যর্থ বাবা কোহলিযদিও ম্যাচের শুরু থেকে সমানে সমানে লড়াই করছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। এদিন জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে সেমবই হাওকিপকে একা ওপরে রেখে ৪১৪১ ছকে দল সাজিয়েছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রেনেডি সিং। লক্ষ্য ছিল মাঝমাঠে প্রতিপক্ষকে আটকে দেওয়া। সৌরভ দাস দুই ডিফেন্ডারের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে প্রথমার্ধে তিনকাঠি খুঁজে পাননি জামশেদপুর এফসি স্ট্রাইকাররা।দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণত্মক হয়ে ওঠে জামশেদপুর এফসি। ৫২ মিনিটে গোল করার সুযোগও এসেছিল। সেবিয়ার সেন্টারে স্টুয়ার্ট হেড করলে বল বারে লেগে ফিরে আসে। অবশেষে ৮৮ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পায় জামশেদপুর। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে ইশান পান্ডিতা গোল করে দলকে জেতান। ১৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে গেল জামশেদপুর।

জানুয়ারি ১১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal-New Foreigner : ‌চিমার পরিবর্তে লালহলুদে পর্তুগালের স্ট্রাইকার

স্ট্রাইকার সমস্যা কাটতে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গলে। কয়েকদিনের মধ্যেই গোয়ার শিবিরে যোগ দিচ্ছেন পর্তুগালের প্রথম ডিভিশনে খেলা স্ট্রাইকার মার্সেলো রিবেইরো ডস স্যান্টোস।আইএসএলের প্রথম থেকেই স্ট্রাইকার সমস্যায় সমস্যায় ভুগতে হয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডোতে নতুন স্ট্রাইকারকে সই করাল এসসি ইস্টবেঙ্গল। পর্তুগালের প্রথম ডিভিশনে খেলা ক্লাব গিল ভিসিন্তে খেলা মার্সেলো রিবেইরো ডস স্যান্টোসকে এবার খেলতে দেখা যাবে লালহলুদ জার্সি গায়ে।আরও পড়ুনঃ সুপারস্প্রেডারের ভয়ে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতে আদালতে আর্জি ডক্টর্স ফোরামেরআইএসএলে বিদেশি ফুটবলাররাই সাধারনত পার্থক্য গড়ে দেন। কিন্তু লালহলুদে ড্যানিয়েল চিমা, আমির ডার্বিসেভিচরা দলকে ভরসা দিতে পারেননি। হাতে বিকল্প না থাকায় ড্যানিয়েল চিমাকে দিনের পর দিন প্রথম একাদশে খেলাতে হয়েছে। কিন্তু তিনি যেভাবে গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন, এককথায় অবিশ্বাস্য। তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। অবশেষে দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডোতে তাঁকে ছেঁটে ফেললেন। মুম্বই সিটি এফ সি ম্যাচের পরই তাঁর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করা হয়।আরও পড়ুনঃ আইএসএলে ইতিহাস গড়তে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কীভাবে দেখে নিনড্যানিয়েল চিমার পরিবর্ত হিসেবে আগে থেকেই বিদেশি স্ট্রাইকারের খোঁজে ছিলেন লালহলুদ কর্তারা। একসময় গত মরশুমে এসসি ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া ব্রাইট এনবাখারের সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনি কভেন্ট্রির সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন করে আসতে রাজি হননি। হাইমে কোলাডোরে সঙ্গেও কথা বলেন। শেষ পর্যন্ত পর্তুগালের মার্সোলো রিবেইরো ডস স্যান্টোসকে সই করালেন লালহলুদ কর্তারা।🚨𝐀𝐍𝐍𝐎𝐔𝐍𝐂𝐄𝐌𝐄𝐍𝐓🚨We are pleased to announce that we have acquired the services of young Brazilian striker 𝐌𝐚𝐫𝐜𝐞𝐥𝐨 𝐑𝐢𝐛𝐞𝐢𝐫𝐨 𝐝𝐨𝐬 𝐒𝐚𝐧𝐭𝐨𝐬 on loan from Gil Vicente FC till the end of the season, subject to clearances.#WelcomeMarcelo #WeAreSCEB pic.twitter.com/FER5whE2Lm SC East Bengal (@sc_eastbengal) January 10, 2022২৪ বছর বয়সী ডস স্যান্টোস ২০২১র আগস্টে প্রথম গিল ভিসেন্তের জার্সি গায়ে মাঠে নামেন। এখনও পর্যন্ত তিনি ৩টির বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ডস স্যান্টোসও নিয়মিত খেলার আশায় ক্লাব ছাড়তে মুখিয়ে ছিলেন। লালহলুদ কর্তাদের প্রস্তাব তিনি গ্রহন করেন। আপাতত তিনি গিল ভিসেন্তে থেকে লোনে এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিচ্ছেন। এসসি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি করার পর মার্সোলো রিবেইরো ডস স্যান্টোস বলেন, এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে পেরে আমি খুশি। শুনেছি এই ক্লাবটি ভারতের অন্যতম সেরা। আশা করছি দলের হয়ে ভাল অবদান রাখতে পারব। স্যান্টোসকে চুক্তি করলেও আপাতত কয়েকটা ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন না। ভারতে এসে তাঁকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তবে একটাই সুবিধা তিনি খেলার মধ্যে রয়েছেন। আরও পড়ুনঃ এসটিএফের অভিযানে ৬৫ কোটি টাকার হেরোইনসহ গ্রেফতার বাবা ও ছেলে, ব্যাপক চাঞ্চল্য বর্ধমানে

জানুয়ারি ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আইএসএলে ইতিহাস গড়তে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কীভাবে দেখে নিন

১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট। লিগ টেবিলের একেবারে শেষে। এখনও পর্যন্ত আইএসএলে জয়ের মুখ দেখেনি এসসি ইস্টবেঙ্গল। অতিবড় লালহলুদ সমর্থকও নিশ্চিতভাবে প্লে অফের আশা করছেন না। এসসি ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররাও হয়তো আশা ছেড়ে দিয়েছেন। এখন মোটিভেশন বলতে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। সেই লক্ষ্যেই আপাতত এগিয়ে চলা। মঙ্গলবার সামনে শক্তিশালী জামশেদপুর এফসি। বিদেশি ছাড়াই জামশেদপুরের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে এসসি ইস্টবেঙ্গল। বিদেশি ছাড়াই খেললে আইএসএলে ইতিহাস তৈরি হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও দল এই সাহস দেখাতে পারেনি।আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনন্য কৃতিত্ব ট্রেন্ট বোল্টেরজামশেদপুরের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে লালহলুদ শিবিরকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে আগের ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরমেন্স। রেনেডি সিং অন্তর্বর্তীকালীন কোচের পদে বসার পর আমূল বদলে গেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। আগের তুলনায় অনেকবেশি সঙ্ঘবদ্ধ। মাত্র একজন বিদেশি নিয়ে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে লালহলুদ ব্রিগেডের দুর্দান্ত লড়াই মন জয় করে নিয়েছে বিশেষজ্ঞদের। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এটাই ভরসা জোগাচ্ছে এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রেনেডি সিংকে। স্বদেশি ব্রিগেডের পারফরমেন্সে তিনি মুগ্ধ।আরও পড়ুনঃ সুপারস্প্রেডারের ভয়ে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতে আদালতে আর্জি ডক্টর্স ফোরামেরজামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধেও রেনেডি সিংয়ের ভরসা সেই স্বদেশি ব্রিগেড। মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচের পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ড্যানিয়েল চিমাকে। আন্তোনীয় পেরোসেভিচ নির্বাসনের কবলে। টমিস্লাভ মার্সেলো ও ফ্রাঞ্জো পিরেজের চোট এখনও সারেননি। আগের ম্যাচে নতুন করে চোটের কবলে পড়ছেন জয়নার লরেন্সো। ফলে হাতে একমাত্র বিদেশি আমির ডার্বিসেভিচ। যার থেকে স্বদেশি ফুটবলারদের ওপরই ভরসা বেশি রেনেডি সিংয়ের।আরও পড়ুনঃ লোড হচ্ছে.... কি বোঝাতে চাইলেন পরীমনি? মা হচ্ছেন?এই অবস্থায় নিজেদের মেলে ধরার জন্য আরও একটা সুযোগ পাচ্ছেন সৌরভ দাস, অঙ্কিত মুখার্জি, হীরা মণ্ডলরা। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচও ভরসা করছেন স্বদেশি ব্রিগেডের ওপর। রেনেডি বলেন, যারা এতদিন সুযোগ পায়নি তাদের কাছে নিজেদের প্রমাণ করার ভাল সুযোগ। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে বিদেশি ছাড়াই শুরু থেকে দল মাঠে নামবে। ফুটবলাররা যে দারুণ লড়াই করবে, সে বিষয়ে আমি আশাবাদী। তবে জিততে গেলে সব বিভাগকে একসঙ্গে জ্বলে উঠতে হবে। জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের ম্যাচে এগিয়ে গিয়েও রক্ষণের ব্যর্থতায় জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। রেনেডি সিংয়ের কোচিংয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে লালহলুদ শিবির। সেটাই আশাবাদী করে তুলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল সদস্যসমর্থকদের।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : চিমার পরিবর্তে কে?‌ নতুন বিদেশি এসসি ইস্টবেঙ্গলে

ড্যানিয়েল চুকুয়াম চিমাকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন লালহলুদ সমর্থকরা। কিন্তু আইএসএলের সবকটা ম্যাচেই চূড়ান্ত ব্যর্থ। দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া এই বিদেশি স্ট্রাইকারকে ছেঁটে ফেলার জন্য ঝড় তুলেছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল সদস্যসমর্থকরা। অবশেষে চিমাকে ছেঁটে ফেললেন লালহলুদ কর্তরা। শুক্রবার মুম্বই সিটি এফসি ম্যাচের পরই তাঁর সঙ্গে চূড়ান্ত বিচ্ছেদ হয়ে যায়। শনিবারই তিনি নরওয়ের পথে রওনা দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ রয় কৃষ্ণা করোনায় আক্রান্ত? স্থগিত এটিকে মোহনবাগানের ম্যাচচিমার পরিবর্তে ইতিমধ্যেই বিদেশি স্ট্রাইকারের সন্ধানে নেমে পড়েছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। জুয়ান মেরা, সার্জিও মেন্ডির নাম ভেসে উঠেছে। একসময় লালহলুদে খেলা যাওয়া হাইমে কোলাডের সঙ্গেও কথা বলেছেন কর্তারা। নতুন বিদেশি স্ট্রাইকারের খোঁজে রয়েছেন নবনিযুক্ত কোচ মারিও রিভেরা। তাঁর সঙ্গেও আলোচনা করছেন লালহলুদ কর্তারা। সোমবারে মধ্যেই নতুন বিদেশি চূড়ান্ত করতে চান। বিদেশি ফুটবলারের পাশাপাশি নতুন স্বদেশি ফুটবলারের খোঁজেও রয়েছেন কর্তারা। তবে যে ফুটবলারই আসুন না কেন ১০ দিন কোয়ারেন্টিন পর্ব না কাটিয়ে মাঠে নামতে পারবেন না।আরও পড়ুনঃ নবান্নের নয়া কোভিডবিধি, শর্তসাপেক্ষে খোলা যাবে বিউটি পার্লারড্যানিয়েল চুকুয়াম চিমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আন্তোনীয় পেরোসেভিচ নির্বাসনের কবলে। টমিস্লাম, ফ্রাঞ্জো পিরেসরা চোটের কবলে। এই অবস্থায় ১১ জানুয়ারি জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে বিদেশি ছাড়াই মাঠে নামতে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। কারণ ড্যারেন সিডোয়েল এখনও পুরোপুরি ফিট নন। তাই বিদেশি সমস্যা মেটাতে পেরোসেভিচের শাস্তি কমানোর আবেদন জানানো হয়েছে। এখন ফেডারেশনের অ্যাপিল কমিটির দিকে তাকিয়ে লালহলুদ টিম ম্যানেজমেন্ট। যদি পেরোসেভিচের শাস্তি কমে যায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে এসসি ইস্টবেঙ্গল।আরও পড়ুনঃ নেতাইয়ে শুভেন্দুকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় মুখ্যসচিব, ডিজির কাছে কৈফিয়ৎ চান রাজ্যপাল

জানুয়ারি ০৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : সীমাবদ্ধতা নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই এসসি ইস্টবেঙ্গলের

যদি একজন ভাল মানের স্ট্রাইকার থাকতেন। কিংবা আন্তোনীয় পেরোসেভিচকে নির্বাসনের যদি নির্বাসনের কবলে পড়তে না হত। নিশ্চিতভাবেই মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ত এসসি ইস্টবেঙ্গল। সীমাবদ্ধতা নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই রেনেডি সিংয়ের দলের। গতবারের চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসিকে আটকে দিল লালহলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের ফল গোলশূন্য।আরও পড়ুনঃ ম্যাকহিউ, বোমাস কেন চিন্তা বাড়িয়েছে জুয়ান ফেরান্দোর?মানোলো দিয়াজ চলে যাওয়ার পর ফুটবলারদের শরীরী ভাষাই বদলে গেছে। নিজেদের দক্ষতার শীর্ষে উঠে লড়াই আদিল, হাওকিপ, অঙ্কিত মুখার্জিদের। গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে এদিন এক বিদেশিকে প্রথম একাদশে রেখে দল সাজিয়েছিলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ রেনেডি সিং। ইগর অ্যাঙ্গুলো, মোর্তাদা ফল, আহমেদ জাহুদের বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই করলেন হাওকিপ, আদিল খান, হীরা মণ্ডলরা।আরও পড়ুনঃ অড-ইভেন পদ্ধতিতে বর্ধমান শহরের বাজার বন্ধ থাকবে, ঘোষনা মাইক্রো কনটেইনমেন্টজোন জোনেরএদিন ম্যাচের শুরু থেকেই এসসি ইস্টবেঙ্গল প্রেসিং ফুটবলের ওপর জোর দিয়েছিল। প্রতিটা বলের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ছিলেন হাওকিপ, আদিল খান, সৌরভ দাসরা। শুরুর দিকে এসসি ইস্টবেঙ্গলের আধিপত্য বেশি ছিল। তার মাঝেই ৯ মিনিটে ডানদিক থেকে ভেসে আসা বল ইগর অ্যাঙ্গুলোর হেড সরাসরি অরিন্দম ভট্টাচার্যর হাতে চলে যায়। পরের মিনিটেই হীরা মণ্ডলের থ্রো চিমার ব্যাকহেড গোলে ঢোকার মুখে বাঁচান মুম্বই সিটি এফসি গোলকিপার। ১৩ মিনিটে আবার সেই হীরা মণ্ডলের থ্রো ইন বক্সে জটলার মধ্যে সুবিধা জায়গায় পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন চিমা। ১৯ মিনিটে চোটের জন্য বেরিয়ে যেতে হয় জয়নার লরেন্সোকে। তাঁর পরিবর্তে নামেন অঙ্কিত মুখার্জি। রক্ষণকে দারুণ নির্ভরতা দিলেন অঙ্কিত। প্রথমার্ধে ইগর অ্যাঙ্গুলোদের বিন্দুমাত্র জ্বলে উঠতে দেননি।আরও পড়ুনঃ সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আজই ভার্চুয়াল বৈঠকে করতে পারেন মোদিদ্বিতীয়ার্ধেও ছবিটা বদলায়নি। শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে সমানে সমানে লড়ে গেলেন হাওকিপরা। ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠকে দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিলেন সৌরভ দাস। ম্যাচের সেরাও তিনি। বিদেশিদের ভিড়ে একজন বাঙালী ফুটবলার ম্যাচের সেরা হচ্ছেন, এটাই এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে বড় প্রাপ্তি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার মতো সুযোগ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। ড্যানিয়েল চিমা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে এবারের আইএসএলে প্রথম জয় তুলে ননিতে পারত লালহলুদ শিবির।

জানুয়ারি ০৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

SC East Bengal : ‌মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কেন রেনেডির ভরসা স্বদেশি ব্রিগেড?‌

ভাল খেলেও জয় অধরা। এসসি ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে এই কথাটা বলা যেতেই পারে। হায়দরাবাদ এফসি ও বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে আগের দুটি ম্যাচে তুলনামূলকভাবে ভাল ফুটবল উপহার দিয়েছিল। তবুও জয় আসেনি। শুক্রবার সামনে আইএসএলের অন্যতম সেরা দল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি। তাদের বিরুদ্ধে মরশুমের প্রথম জয় কি তুলে নিতে পারবে এসসি ইস্টবেঙ্গল? লালহলুদের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ রেনেডি সিংকে আত্মবিশ্বাসী মনে হলেও কাজটা যথেষ্ট কঠিন।আরও পড়ুনঃ রাজ্যজুড়ে শীতের আমেজ কমিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রাচোটআঘাত, নির্বাসন সমস্যায় এই মুহূর্তে জর্জরিত লালহলুদ শিবির। নির্বাসিত থাকায় মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধেও আন্তোনীয় পেরোসেভিচকে পাবেন না রেনেডি। আগের ম্যাচে দুই বিদেশিকে নিয়ে প্রথম একাদশ সাজিয়েছিলেন। চোটের জন্য টমিস্লাভ মার্সেলোকে পরের দিকে বেরিয়ে যেতে হয়। মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে তাঁকেও পাবেন না। হাতে রইল এক বিদেশি ড্যানিয়েল চিমা। অর্থাৎ শক্তিশালী মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে এক বিদেশি নিয়ে মাঠে নামতে হবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। স্বদেশি ব্রিগেডের ওপরই ভরসা করতে হবে রেনেডি সিংকে।আরও পড়ুনঃ সুরাতে গ্যাস লিক করে মর্মান্তিক মৃত্যু ৬ কারখানা শ্রমিকেরআগের দুটি ম্যাচের পারফরমেন্স আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে লালহলুদ কোচকে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে রেনেডি সিং বলেন, আগের ম্যাচে গোটা দল যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। তবে আমাদের আরও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। মুম্বই সিটি এফসিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিলেও লড়াই করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী রেনেডি। তিনি বলেন, মুম্বইয়ের আক্রমণভাগ এই আইএসএলে অন্যতম সেরা। গত কয়েকটা মরশুম ধরে দুর্দান্ত খেলছে। এই ম্যাচে ওদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে হবে। আমরা যদি দল হিসেবে খেলতে পারি, তাহলে মুম্বই সমস্যায় পড়বে। আশা করছি ভাল ম্যাচ হবে। দুএকজন ছাড়া বিদেশি ফুটবলারকে এই ম্যাচে পাব না। স্বদেশি ফুটবলারদের ওপরই ভরসা করছি। তবে একটা কথা মানতেই হবে, দুএকজন বিদেশি নিয়ে বিপক্ষ দলের চার সেরা বিদেশি খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন।আরও পড়ুনঃ রক্ষণ সামলাতে পুরনো ডিফেন্ডারকে ফেরাল এটিকে মোহনবাগানমুম্বই সিটি এফসিতে রয়েছেন ইগর অ্যাঙ্গুলো, মোর্তাদা ফল, জাহুর মতো বিদেশি। স্বদেশি ফুটবলাররাও যথেষ্ট ভাল। বিপক্ষ ফুটবলারদের নিয়ে বেশি না ভেবে নিজেদের খেলার ওপর বেশি ফোকাস করছে লালহলুদ শিবির। কোচ রেনেডি সিংয়ের বিশ্বাস, তাঁর দলের ফুটবলাররা নিজেদের খেলা খেলতে পারলে মুম্বইয়ের কাজ কঠিন হয়ে যাবে।

জানুয়ারি ০৬, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal