মেষ/ ARIES: আজ বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।বৃষ/ TAURUS: শ্রমিক অশান্তির মধ্যে পড়তে পারেন। মিথুন/ GEMINI : ভোগবিলাস করতে পারেন। কর্কট/ CANCER : দেহে কোনওকারণে পীড়া হতে পারে। সিংহ/ LEO: সন্তানের কারণে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে। কন্যা/ VIRGO: হঠকারী কোনও সিদ্ধান্তে ক্ষতি হতে পারে। তুলা/ LIBRA: আজ প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। বৃশ্চিক/ Scorpio: নৈতিক কারণে অবনতি হতে পারে। ধনু/ SAGITTARIUS: লোকসান বৃদ্ধি পেতে পারে আজ। মকর/ CAPRICORN: হৃদরোগে কষ্ট পেতে পারেন। কুম্ভ/ AQUARIUS: কোনও আত্মীয়র কারণে ক্ষতি হতে পারে। মীন/ PISCES : সৎ বন্ধু লাভ করতে পারেন।
ভাসুরের ছেলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কাকিমা। তা নিয়ে পরিবারে অশান্তি শুরু হওয়ায় যুগল রিতা হাজরা (৩০) ও অর্ণব হাজরা (২২)একসঙ্গে বিষপান করে নেয়। বিষপানে রিতা হাজরা মারা যান। আর বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মৃতার প্রেমিক অর্ণব। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার কোজলসা গ্রামে।অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ হাজরার সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় রিতাদেবীর। বিকাশবাবুদের পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস তাঁরই খুড়তুতো দাদার ছেলে অর্ণবদের। হায়দ্রাবাদে রুটি কারখানায় কাজ করত অর্ণব। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে গত বছর অর্ণব কেতুগ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে। পরিবারের সদস্যদের কথায় জানা গিয়েছে, অর্ণব হায়দ্রাবাদে থাকাকালীন বছর তিনেক আগে থেকেই রিতাদেবীর সঙ্গে অর্ণবের পরকীয়া সম্পর্ক তৈরি হয়। উভয় পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারলে তাঁদের এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বোঝায়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। মাঝে তাঁরা দুজন বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিল। পরিবারের লোকজন বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাঁদের ফের বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। অর্ণব বাড়ি ফিরে আসার পর দু জনের মধ্যে ঘনিষ্টতা আরও বাড়ে। মঙ্গলবার বিকেলে রিতাদেবীর সঙ্গে দেখা করে অর্ণব। তারপর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দুজনেই বিষপান করে।দুজনকেই উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন কেতুগ্রাম-১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে অর্নব হাজরাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।রিতাদেবীর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই কিছু সময় পরেই রীতাদেবীর মৃত্যু হয়। সংকটজনক অবস্থায় অর্ণব বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টালবাহনা চলছিল। চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই না হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হস্তক্ষেপে অবশেষে আইএসএলে খেলার ব্যাপারে সম্মত হয় ইস্টবেঙ্গলের লগ্নিকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্ট। ৩১ আগস্ট ছিল ট্র্যান্সফার উইন্ডো বন্ধ হওয়ার শেষ তারিখ। শ্রী সিমেন্টের হাতে ছিল মাত্র ৫ দিন। এই পাঁচদিনেই ২১ জন ফুটবলারকে সই করিয়ে চমক দিয়েছেন শ্রী সিমেন্ট কর্তারা। এদের মধ্যে সবথেকে বড় চমক আদিল খান। আরও বড় চমক অপেক্ষা করছে লালহলুদ সমর্থকদের জন্য। অনেক আগেই এটিকে মোহনবাগান গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যকে প্রস্তাব দিয়েছেলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তখন প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অরিন্দম। আবার সবুজমেরুণের এই গোলকিপারকে নতুন করে প্রস্তাব দিয়েছেন শ্রী সিমেন্ট কর্তারা। তাঁকে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার দিতে চায় শ্রী সিমেন্ট। এই বিশাল অঙ্কের অর্থের প্রস্তাব আবার নতুন করে ভাবাচ্ছে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে।আরও পড়ুনঃ এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিচ্ছেন অরিন্দম ভট্টাচার্য? ঝাঁপালেন কর্তারাতবে একটা বিষয় নিয়ে একটু দ্বিধায় রয়েছেন এটিকে মোহনবাগানের এই গোলকিপার। এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা ১ বছরের চুক্তি করতে চাইছেন। অন্যদিকে অরিন্দম চান দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি। তবে লালহলুদের প্রস্তাব নিয়ে ইতিবাচক ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন এটিকে মোহনবাগানের এই গোলকিপার। কারন, বিশাল অঙ্কের অর্থের পাশাপাশি প্রথম একাদশে নিশ্চিত খেলার সুযোগ। এটিকে মোহনবাগানে থাকলে সেটা হবে না। এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছ থেকে কিছুদিন সময় চেয়েছেন অরিন্দম। কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর বিষয়টা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।এদিকে, ৩১ আগস্টের মধ্যে ২১ জন ফুটবলারকে সই করিয়ে চমক দিয়েছেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। অনেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন, এত কম সময়ের মধ্যে কীভাবে দল গঠন করবেন কর্তারা। এবছরও জেজে লালপেকলুয়াকে ধরে রাখলেন এসসি ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। তিনি চেন্নাইন এফসিতে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েছিলেন। এছাড়া কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে নাওরেম মহেশ সিংকে সই করিয়েছে লালহলুদ। গতবছর লোনে তিনি আই লিগে সুদেভা এফসির হয়ে খেলেছিলেন। তবে এসসি ইস্টবেঙ্গলের অবশ্য সেরা রিক্রূট আদিল খান। ভারতীয় দলের এই ডিফেন্ডারকে এফসি গোয়া থেকে লোনে নিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল।আরও পড়ুনঃ লাদাখে নাচের ভিডিও পোস্ট করলেন সারালালহলুদে যোগ দিতে পেরে খুশি আদিল খান। এসসি ইস্টবেঙ্গলের চুক্তিপত্রে সই করার পর তিনি বলেন, রবি ফাউলারের কোচিংয়ে খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। লালহলুদ সমর্থকরা খুবই আবেগপ্রবন। এবছর আইএসএলে নিজের সেরাটা উজার করে দেব। আশা করছি সমর্থকদের হতাশ করব না।
মেষ/ ARIES: কোনও আত্মীয়র কাছ থেকে শোক পেতে পারেন। বৃষ/ TAURUS: আজ প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারেন। মিথুন/ GEMINI : কোনও কারণে হয়রানির শিকার হতে পারেন। কর্কট/ CANCER : আজ উচ্চাশা জন্মাতে পারে মনে। সিংহ/ LEO: প্রতিভার বিকাশ হতে পারে। কন্যা/ VIRGO: কোথাও যাত্রা করবেন না, অশুভ হতে পারে। তুলা/ LIBRA: পরের অর্থ নিলে ক্ষতি হতে পারে। বৃশ্চিক/ Scorpio: গৃহসংস্কারে ব্যয় হতে পারে। ধনু/ SAGITTARIUS: প্রেমে বদনাম হতে পারে আপনার। মকর/ CAPRICORN: সহকর্মীদের মধ্যে বিবাদ বাধতে পারে। কুম্ভ/ AQUARIUS: সুরক্ষার জন্য চিন্তা হতে পারে। মীন/ PISCES : অভাব-অনটনের মধ্যে পড়তে পারেন।
গ্রাহকের আজান্তেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে গায়েব হয়ে গেল তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। ঘটনার বিহিত চেয়ে কালনা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন কালনার মধূবন পাড়ার বিডিও অফিসের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ধীরেন্দ্রনাথ দাস। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশকে ধীরেন্দ্রনাথ দাস জানিয়েছেন, বিডিও অফিস থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি এককালীন ২ লক্ষ টাকা পান। ২০১৮ সালের ২৯ আগষ্ট ওই ২ লক্ষ টাকা তিনি কালনার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট হিসাবে গচ্ছিত রাখেন। ২০২৩ সালের ১৯ আগষ্ট ছিল ফিক্সড ডিপোজিটের ম্যাচিউরিটি ডেট। ধীরেন্দ্রনাথ বাবু জানিয়েছেন, তাঁর ছোট মেয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মেয়ের চিকিৎসার জন্য তাঁর টাকার প্রয়োজন হয়। সেই কারণে মেয়াদ উত্তির্ণ হওয়ার আগেই চলতি মাসের ১৬ তারিখ তিনি ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেট ভাঙিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে যান। তখনই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানিয়ে দেয়, ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা নাকি তুলে নেওয়া হয়েছে । ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ধীরেন্দ্রনাথ বাবুর ফিক্সড ডিপোজিট সার্টিফিকেটেও ক্লোজ বলে লিখে দেয়। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এমনটা জানিয়ে দেওয়ায় মাথায় হাত পড়ে যায় ধীরেন্দ্রনাথ বাবুর। তিনি নিশ্চিত হন জালিয়াতি করে কেউ তাঁর ফিক্সড ডিপোজিটের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এরপরেই ধীরেন্দ্রনাথবাবু ঘটনা সবিস্তার উল্লেখ করে কালানা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।আক্ষেপ প্রকাশ করে ধীরেন্দ্রনাথ দাস এদিন বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কে জীবনের সঞ্চয়টুকু জমা রেখে এইভাবে ঠকতে হবে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। এখন অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা কীভাবে করবেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারছেন না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার ইন্দ্রজিৎ মজুমদার শুধু বলেন, লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে তাঁকে কেউ কিছু জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
আইপিএলের দ্বিতীয় দফা শুরুর আগেই একের পর এক ধাক্কা খেয়েই চলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দল প্লে অফে উঠলে পাবে না শ্রীলঙ্কার দুই ক্রিকেটারকে। সেটা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছে। এবার আইপিএলের দ্বিতীয় পর্ব থেকে ছিটকে গেলেন অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর। চোটের জন্য এই স্পিনার অলরাউন্ডার আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলিতে খেলতে পারবেন না। তাঁর পরিবর্তে আইপিএলের দরজা খুলে গেল বাংলার জোরে বোলার আকাশদীপের সামনে। ওয়াশিংটন সুন্দরের পরিবর্ত হিসেবে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলে সুযোগ পেলেন তিনি।আরও পড়ুনঃ নীরজে উদ্বুদ্ধ দেবেন্দ্র প্যারালিম্পিকে দেশকে এনে দিলেন রুপোইংল্যান্ড সফরে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ইংল্যান্ড থেকে তঁাকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। রিহ্যাব চলছিল। এই ভারতীয় স্পিনার অলরাউন্ডারের চোট যে বেশ গুরুতর তা বোঝা গেছে সোমবার। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলের পক্ষ থেকে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আঙুলের চোটের জন্য সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে শুরু হতে চলা আইপিএল ২০২১র বাকি ম্যাচগুলিতে খেলতে পারবেন না ওয়াশিংটন সুন্দর। আসলে ২০২১ টি২০ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তিনি। পুরো ফিট না হয়ে মাঠে নামলে আবার চোট লেগে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপে খেলা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।ওয়াশিংটনের পরিবর্তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আকাশদীপকে নিলেও তিনি দলে কতটা সুযোগ পাবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ, বিরাট কোহলির দল আগেই অ্যাডাম জাম্পার পরিবর্তে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ড্যানিয়েল সামসের পরিবর্তে জোরে বোলার দুষ্মন্ত চামিরাকে নিয়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলে আকাশদীপ সঙ্গী হিসেবে পাবেন বাংলারই শাহবাজ আমেদকে।আরও পড়ুনঃ প্যারালিম্পিকে ডিসকাস থ্রোতে রুপো জিতলেন যোগেশ কাথুনিয়াআদপে বিহারের ছেলে হলেও বড় ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ছোট বেলাতেই কলকাতায় চলে আসেন আকাশদীপ। বাংলার বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে দাপিয়ে খেলার পর ২০১৯২০ মরশুমে রনজি দলে ডাক পান। দলকে রনজি ফাইনালে তোলার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। বাংলার হয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৫টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন। উইকেট নিয়েছেন ৩৫টি। টি২০ ম্যাচ খেলেছেন ১৬টি। উইকেট পেয়েছেন ২১টি। বিরাট কোহলির দলে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার সুযোগ পাবেন ভেবেই আপ্লুত আকাশদীপ।
বড় সিদ্ধান্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের। অতিমারি পরিস্থিতির কারণে সমস্ত রকম পরীক্ষার ফি এবং টিউশন ফি মকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বর্তমান অতিমারি পরিস্থিতিতে সমস্ত সেমেস্টারের পড়ুয়াদের টিউশন ফি মকুব করা হবে। পাশাপাশি, বিভিন্ন সেমেস্টারের পরীক্ষার্থীদের মার্ক শিট বা গ্রেড শিট সংগ্রহ করতেও কোনও রকম ফি দিতে হবে না।আরও পড়ুনঃ দুয়ারে তৃতীয় ঢেউ? ফের বাড়ছে সংক্রমণ, সতর্ক করল কেন্দ্রপ্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আসার আগে, ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষার ফি এবং টিউশন ফি মকুবের দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভে নেমেছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ সে সময় ফি মকুবের কথা ঘোষণা করেছিলেন। এ বার একই পথে হাঁটল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। গত কয়েক দিনে একাধিক বার ছাত্র সংগঠনগুলিও সহ-উপচার্যের দ্বারস্থ হয়েছে। তাদের একটাই দাবি ছিল, করোনা আবহে যখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ তখন কেন এই টিউশন ফি নেওয়া হবে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ডিএসও একটি ডেপুটেশনও জমা দেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আগে অবস্থান বিক্ষোভ করে তারা। সেদিনই সহ-উপাচার্য এই ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের আশ্বস্ত করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, এই দাবি মেনেও নেওয়া হবে। সেই মতো ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্যেকটি সেমেস্টারের টিউশন ফি মকুবের কথা জানাল। যা বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন পড়ুয়ারা।
ফের পুলিশের জালে ভুয়ো আইপিএস। তবে শহরে নয়, শহরের বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ভূয়ো আইপিএস অফিসারকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো আইপিএস পরিচয় দিয়ে টাকা চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাজস্থানের আলওয়ার থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা গ্রেপ্তার করে রাহুল খান নামে এক যুবককে। আরও পড়ুনঃ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বেহালায় তাণ্ডবঅভিযোগ, ফেসবুকে নিজেকে আইপিএস পরিচয় বলে দিত ধৃত ব্যক্তি। সেই পরিচয় দিয়ে প্রতারণা চক্র চালাত। বিভিন্ন মানুষের থেকে টাকা চাইত। টাকা না দিলে ভয় দেখাত। ইতিমধ্যে তার নামে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়ে পুলিশের কাছে। এরপরই তদন্ত শুরু করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সাইবার বিভাগের অফিসাররা। তদন্তে নেমে অভিযুক্তের অবস্থান চিহ্নিত করেন তাঁরা। এরপর অভিযান চালিয়ে রাজস্থানের আলওয়ার থেকে রাহুল খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে জেরা করে প্রতারণা সংক্রান্ত আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। কতদিন ধরে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ধৃত, কার কার কাছ থেকে, কত টাকা প্রতারণা করেছে, এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কসবা ভুয়ো টিকা কাণ্ড এবং ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের প্রতারণা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সজাগ কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ। এরপর থেকে কলকাতা-সহ রাজ্যে একাধিক ভুয়ো অফিসারের পর্দা ফাঁস হয়েছে। ভুয়ো আইপিএস থেকে ভুয়ো মানবাধিকার আধিকারিক, পুলিশের জালে ধরা পড়েছে অনেকেই। ফের একবার পুলিশের জালে ভুয়ো আইপিএস।
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে মামাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল ভাগ্নে। পলাতক বোন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া থানার দোয়াসীন গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মামা অরবিন্দ মাঝি (৪২) কে খুনের দায়ে ধৃত ভাগ্নের নাম রাহুল ঘরুই। মৃত ও ধৃত দুজনেরই বাড়ি দোয়াসীন গ্রামে। এই খুনের ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতের বোন মৌসুমী ঘরুই। পুলিশ তারও সন্ধান চালাচ্ছে।আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে অশান্তি অব্যাহত বর্ধমানের খাগড়াগড়েপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় চাষি অরবিন্দ মাঝির বাড়ি দেয়াসীন গ্রামের মাঝেরপাড়ায়। তাঁর দিদি মৌসুমী ঘরুইয়ের শ্বশুরবাড়ি কালনা মহকুমার পূর্বস্থলী থানার আটপাড়া গ্রামে। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় মৌসুমীদেবী বিয়ের ৩ বছর পার হতে না হতেই দোয়াসীন গ্রামে বাপের বাড়ি চলে আসেন। তারপর থেকে একমাত্র ছেলে রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে মৌসুমীদেবী বাপের বাড়িতেই রয়ে আছেন।আরও পড়ুনঃ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠকে যোগ দেবে তৃণমূলএলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌসুমীদেবীরা ৬ বোন ও ২ ভাই। তাঁদের বাবা শ্যাম মাঝি কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। এই মাঝি পারিবারের সম্পত্তি নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় মৌসুমীদেবীর সঙ্গে তাঁর ভাই অরবিন্দর বচসা বাঁধে। সেই সময়েই রাহুল বাড়ি ফেরে। এরপর রাহুল ও তাঁর মায়ের সঙ্গে অরবিন্দবাবুর তুমুল কথা কাটাকাটি শুরু হয়। মৃতর স্ত্রী রমাদেবী অভিযোগ, কথা কাটাকাটি চলার সময়ে বাড়িতে থাকা টিউবওয়েলের একটা বাতিল লোহার হ্যান্ডেল নিয়ে ভাগ্নে রাহুল তাঁর স্বামীর মাথায় সজোরে মারে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্বামী অরবিন্দ মাঝি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। রমাদেবী বলেন, এই ঘটনার পরেই রাহুল ও তাঁর মা মৌসুমী বাড়ি ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তারই মধ্যে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রাহুলকে ধরে ফেলতে পারলেও মৌসুমী পালায়। এরপর ওইদিন রাতেই অরবিন্দবাবুকে উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রমাদেবী ঘটনা সবিস্তার জানিয়ে এদিন কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ রাহুল ঘরুইকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ পলাতক রাহুলের মা মৌসুমী ঘরুইয়ের সন্ধান চালাচ্ছে বলে মৃতর স্ত্রী রমাদেবী জানিয়েছেন। ননদ ও ভাগ্নার কাঠোর শাস্তির দাবি করেছেন অরবিন্দবাবুর স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা।
উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ্যে আনল এনআইডিএম। অক্টোবরেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ শিখর ছুঁতে পারে। এই বার প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মেনে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি রিপোর্ট দিয়ে জানাল এ কথা। আরও পড়ুনঃ বিনিসুতোয়-এর জার্নি শেয়ার করলেন অর্পণারিপোর্টে বলা হল, দেশে ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ। জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশে আর ভ্যালু ১-এর উপর উঠে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এক জন সংক্রমিতের থেকে কত জন আক্রান্ত হচ্ছেন, তা বোঝানো হয় এই আর ভ্যালু দিয়ে।কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে যাতে আরও সতর্ক হয়ে আসন্ন ঢেউয়ের মোকাবিলা করা হয়, তার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দেওয়া ওই রিপোর্ট বলছে, তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে বিপুল সংখ্যক শিশু সংক্রমিত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য যত সংখ্যক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা নেই দেশে। এই বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া পরামর্শ দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের ওই কমিটি।আরও পড়ুনঃ পূর্ব বর্ধমানে উদ্ধার বিরল প্রজাতির ক্যামেলিয়ন, পুলিশের হাতে তুলে দিল দিনমজুর যুবকএই রিপোর্ট সামনে আসতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মধ্যে। কারণ, অক্টোবর থেকেই বাংলায় পুজোর মরশুম হচ্ছে।তার মধ্যেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া এবং তা শিখর ছোঁয়ায় পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
ঘুরপথে হলেও, জন বার্লার পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আলাদা উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি অন্যায্য নয় বলে বিতর্কে বাড়ালেন দিলীপ। এমনকী, পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবিকেও সমর্থনই জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। শনিবার জলপাইগুড়িতে দাঁড়িয়েই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যে করার দাবিতে নিজের সমর্থন জানালেন দিলীপ। সেটাও আবার এই দাবি তুলে বিতর্কে জড়ানো আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার উপস্থিতিতে। বললেন, মানুষের কথা বললেই কি বিচ্ছিন্নতাবাদী বলতে হবে নাকি!আরও পড়ুনঃ মনোজ-সামান্থার সেরা পুরস্কারবার্লা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তোলার সময়েও দিলীপ তার বিরোধিতা করেননি। আবার এ ভাবে সমর্থনও জানাননি। তবে সেই দাবি ওঠার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল সরকারকেই দায়ি করেছেন তিনি। শনিবার দিলীপ বলেন, আজ যদি জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গ আলাদা হতে চায় তার সমস্ত দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, গত ৭৫ বছর ধরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন হয়নি। কেন এখানকার মানুষকে চিকিৎসা, শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্য ইত্যাদির জন্য বাইরে যেতে হবে। কেন হাসপাতাল, ভাল, স্কুল নেই? কেন কল কারখানা, জীবিকার ব্যবস্থা নেই? জঙ্গলমহলেও সেই অবস্থা। মা, বোনেরা শালপাতা, কেন্দুপাতা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কেন তাঁদের চাকরির জন্য রাঁচি, ওডিশা, গুজরাতে যেতে হচ্ছে? এই দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়নের লাভ পাওয়ার অধিকার নেই তাঁদের? তাই তাঁরা যদি এই দাবি তুলে থাকেন তা হলে সেটা নাজায়েজ নয়।শনিবার বিজেপি-র উত্তরবঙ্গে বার্লার শহিদ সম্মান যাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দেন দিলীপ। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দিলীপ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জন বার্লা এক জন জনপ্রতিনিধি। যাঁরা তাঁকে জিতিয়েছেন তাঁদের কথা শোনাটা তাঁর দায়িত্ব। তিনি তাই বলেছেন। সেই সঙ্গে পাহাড়ে আলাদা রাজ্যের দাবি প্রসঙ্গে দিলীপ মমতার নাম না করেও খোঁচা দেন। বলেন, উনি তো গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে জিইয়ে রেখে জিটিএ-তে সই করেছিলেন। তখন প্রশ্ন ওঠেনি? যখন লোকের আওয়াজকে আমরা তুলে ধরেছি, তখন আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে গেলাম?
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পুর্তিতে মেতে উঠল আমেরিকা। সারা ভারত যখন স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে মাতোয়ারা ঠিক সেই উপলক্ষ্যেই আমেরিকার শিকাগো শহরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আজাদী কি অমৃত মহোৎসব।শিকাগো নামটার সাথে ভারতীদের বিশেষ করে বাঙালীর নাড়ির টান। নামটা শুনলেই স্বামী বিবেকানন্দের সিস্টার্স অ্যান্ড ব্রাদার্স অব আমেরিকা... গলাটা কানে ভেসে ওঠে। ১৮৯৩র ১১ ই সেপ্টেম্বর, শিকাগোর বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে সনাতন হিন্দু ধর্মের কথা তুলে ধরেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের পরমপ্রিয় শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ। এহেন নাস্টালজিক শহরে অবস্থিত শিকাগো কালচারাল সেন্টারে এক মনোজ্ঞ পরিবেশে ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে আজাদী কি অমৃত মহোৎসব অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। শিকাগোর ভারতীয় কনস্যুলেট অমিত কুমার এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন ও পৌরহিত্য করেন। উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহধর্মিনী।অনুষ্ঠান শুরু হয় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। পতাকা উত্তোলন করেন শিকাগোর ভারতীয় কনস্যুলেট জেনারেল অমিত কুমার। তিনি উপস্থিত আমন্ত্রিতদের উদ্দেশে ভারতের রাষ্ট্রপতির ভাষন পাঠ করে শোনান। কনস্যুলেট শিকাগো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কিছু নির্বাচিত প্রতিনিধি, উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শুরু হয় বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী সঞ্চিতা ভট্টাচার্যর নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে।আরও পড়ুনঃ যারা অদৃশ্য রয়ে গেলেনঃ শ্রমিক ঠিকাদার বা দালালতন্ত্র!শিকাগো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মুল আকর্ষন ছিল বিশিষ্ট তবলিয়া পণ্ডিত হিন্দোল মজুমদারের তবলা ও সাথে লিয়ন লিফার-র বাঁশরী। হিন্দোল মজুমদার এই প্রজন্মের তরুণ তবলা বাদকদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় তবলিয়া। সঙ্গীত তাঁর রক্তে ছিল। তাঁর মাতামহ প্রয়াত চিত্তরঞ্জন রায়, একজন বিশিষ্ট সঙ্গীত প্রেমী এবং তাঁর মা প্রয়াত সুনন্দা মজুমদার, পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন, এবং তিনি জয়পুর ঘরানার পণ্ডিত রামগোপাল মিশ্রের কাছে কত্থক নৃত্য শিক্ষালাভ করেন। তাঁর মায়ের অকাল প্রয়াণের পর, হিন্দোল মজুমদার প্রতি বছর তাঁর মায়ের স্মরণে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী, ছাত্র-ছাত্রী ও তাঁর অনুরাগীদের সঙ্গে নিয়ে এক সঙ্গীত সন্ধ্যা আয়োজন করেন। পারিবারিক সঙ্গীত আবহে অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দোল ছোট বয়সেই তবলা শেখা শুরু করেন। মাত্র ৫ বছর বয়েসে তাঁর তবলায় হাতে খড়ি, ১০ বছর বয়সে তিনি প্রথম মঞ্চে অনুষ্ঠান করেন। তারপর আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।আরও পড়ুনঃ দত্ত কুলোদ্ভব কবি শ্রীমধুসূদনহিন্দোল মজুমদারের তবলা ও সঙ্গে লিয়ন লিফার-এর বাঁশরী এক অনবদ্য সন্ধ্যার উপহার দেয় শিকাগো কালচারাল সেন্টারে। তাঁদের অনুষ্ঠান প্রথম উপস্থাপনা রাগ দেশ। দেশ হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের খম্বাজ ঠাটের অন্তর্ভুক্ত একটি রাগ। বেশ কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান দেশ রাগের উপর আধারিত। তার মধ্যে ভারতের জাতীয় সংগীত ও বন্দে মাতরম অন্যতম। লিয়ন লিফার আমেরিকার এক প্রথিতযশা বাঁশরী শিল্পী, তাঁর সঙ্গীত শিক্ষার গুরু ভারত বিখ্যাত বাঁশরী শিল্পী প্রয়াত পণ্ডিত পান্নালাল ঘোষের জামাই ও প্রধান শিষ্য প্রয়াত দেবেন্দ্র মুর্দেশ্বর। দীর্ঘদিন তাঁর কাছে থেকে শিক্ষা লাভ করেন লিয়ন।তাঁদের পরবর্তী উপস্থাপনা কাজরী, কাহারবা তালের উপর আধারিত এই কম্পোজিসন খুবই মনোরম। কাজরি (বা কাজরী), হিন্দি শব্দ কাজরা বা কাজল থেকে এসেছে, (যার অর্থ কোহল বা কালো), কাজরী হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনবদ্য সৃষ্ঠি, এটি উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে খুব জনপ্রিয়। তীব্র গরমের দেশে কালো বর্ষার মেঘ তাদের কাছে ভীষন স্বস্তি এবং দারুন আনন্দ নিয়ে আসে। সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশ করতে সেই মুহূর্তে কাজরী গাওয়া হয়। তবলায় হিন্দোল মজুমদারের সঙ্গত এক অন্য মাত্রা পায়, তিন ঘরানার মহান গুরুর শিক্ষা তাঁর বাদন শৈলিতে প্রকট। তাঁর তেরেকেটে-এর লয়কারী শুনলে অনেকেরই ফারুকাবাদ ঘরানার মাহান শিল্পী ওস্তাদ কেরামতউল্লাহ খাঁর কথা মনে পরতে বাধ্য। মহান তবলিয়া ওস্তাদ কেরামতউল্লাহ খাঁ-এর সুযোগ্য শিষ্য শিবশঙ্কর কর্মকার-ই তাঁর প্রথম গুরু। তারপর তিনি ফারুকখাবাদ ঘরানার বিশিষ্ট তবলা গুরু পণ্ডিত শঙ্খ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নাড়া বাধেন।আরও পড়ুনঃ মহানায়ক উত্তম কুমার ও মান্না দে বাংলার সিনেমার আমি যামিনী তুমি শশীঅনুষ্ঠানের সর্বশেষ অংশে শিল্পী লিয়ন ঠুংরি পরিবেশন করেন। লগী কাহারবা তালের ওপর আধারিত কম্পজিসনটি উপস্থিত বিশিষ্টজন উপভোগ করেন। হিন্দোল মাজুমদারের তবলা সঙ্গত এক কথায় অনবদ্য। তাঁর লয়কারি, সাথ সঙ্গত, সাওয়াল জবাব মনমুগ্ধ করে দেয়। বাঁশরী শিল্পী লিয়নের উপস্থাপনা উপস্থিত দর্শককূলকে মোহিত করে দেয়, আদ্যন্ত ভারতীয় এক বাদ্যযন্ত্র বাঁশরী একজন আমেরিকান শিল্পী যে যেভাবে রপ্ত করেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। শিল্পী লিয়ন শিকাগোতে অবস্থিত পূর্ব ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে (Northeastern Illinois University, Chicago, IL) প্রাক্তন বাঁশি বিভাগের অধ্যাপক।আরও পড়ুনঃ বিরোধী বিধান-র জ্যোতি স্নেহপণ্ডিত হিন্দোল মজুমদার আমেরিকা থেকে জনতার কথাকে জানান, ভারতের বেশীরভাগ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী-ই বছরের বেশ কিছু সময় আমেরিকা ও ব্রিটেনে কাটান। এই প্রয়াস অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে, সেখানকার মানুষের ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শেখার প্রবল ইচ্ছা, ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের প্রসার ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের জন্য তাঁরা সেখানে বছরের বেশ কিছু সময় থেকে যান। ২০২০ র করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁরা অনেকেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। হিন্দোল বাবু আরও জানান যে, তিনি গত ২০২১ এপ্রিলে আমেরিকা গিয়েছেন। অনেকদিন ধরে অনলাইন মাধ্যমে শিক্ষা দান করেছেন, এখন আমেরিকার মিলওয়াক শহরে তাঁর বাসভবনে শাস্ত্রবিধি মেনে প্রবাসী ভারতীয় ও আমেরিকান কিছু ছাত্র-ছাত্রীকে সরাসরি শিক্ষা দান করছেন। তিন বলেন ভারতীয় কনস্যুলেটের আমন্ত্রণ পেয়ে আমি গর্বিত বোধ করছি। দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি, তাছাড়া শিকাগো সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে (Chicago Cultural Centre) অনুষ্ঠান করা যেকোনও শিল্পীর কাছেই স্বপ্ন। এটা শিল্পীর জীবনপঞ্জিতে লিখে রাখার মত বিষয়।
মারধরের পর মুখে বিষাক্ত কিছু ঢেলে দিয়ে সৎ মাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হল ছেলে ও বৌমা। মাতৃ হত্যার এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার কালাড়াঘাট গ্রামে। পেশায় আশা কর্মী মা মণিকা বোস (৪৫)কে খুনের অভিযোগে ধৃতরা হল ছেলে সুভাষ বোস ওরফে বাবাই ও বৌমা আল্পনা বোস। মৃত ও ধৃত সকলেরই বাড়ি কালাড়াঘাট গ্রামে। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ মর্গে মৃতার দেহের ময়না তদন্ত হয়। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছেন মৃতার বাবা কাশিনাথ নন্দী ও তাঁর পরিজনরা।আরও পড়ুনঃ ১০০ পুরসভায় বড়সড় রদবদলমৃতা আশা কর্মী মণিকা বোসের বাপের বাড়ি জামালপুর থানা সন্নিকটে হাওয়াখানা পাড় এলাকায়। মণিকাদেবীর বাবা কাশীনাথ বাবু এদিন জানান, কালাড়াঘাট নিবাসী দিলীপ বোসের স্ত্রী পুত্রসন্তান সুভাষকে জন্ম দেওয়ার কয়েক বছর বাদ মারা যান। এরপর সংসার সামলানো ও নাবালক সন্তান সুভাষকে প্রতিপালনের জন্য ব্যবসায়ী দিলীপ বোস পুনর্বিবাহের মনস্থির করেন। বছর ১৬ আগে তাঁর মেয়ে মণিকার সঙ্গে বিয়ে হয় দিলীপ বোসের। মণিকা নিজে নিঃসন্তান থেকে গিয়ে সুভাষকে পুত্র স্নেহে বড় করে তেলেন। বছর ১০-১১ আগে দিলীপ ঘোষ মারা যান। তারপরেও সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। সংসারে অশান্তি তৈরি হয় সুভার তাঁর সৎ মা মণিকা দেবীর মতামতকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে নিছের ইচ্ছায় ছয় মাস আগে বর্ধমানের বড়শুলের তরুণী আল্পনাকে বিয়ে করার পর থেকে। এই বিয়ে মেনে নিতে না পেরে মণীকাদেবী কালাড়াঘাটের একই বাড়িতে আলাদা থাকছিলেন।আরও পড়ুনঃ সুপার ড্যান্স শো তে ফিরলেন শিল্পাকাশীনাথ বাবু বলেন, সোমবার বিকালে সুভাষ তাঁকে ফোন করে জানায়, মা (মণীকা) কেমন করছে। এমনটা শুনেই তিনি মেয়ের বাড়িতে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন বাড়ির মেঝেতে মণিকা ছটফট করছে। মেয়ে মণিকার শরীরে আঘাতের দাগও দেখতে পান। কাশীনাথবাবু জানান, শারীরিক ওই কষ্টের মধ্যেই মেয়ে মণিকা তাঁকে জানায় মারধোরের পর তাঁর মুখে বিষ জাতীয় কিছু ঢেলে দিয়েছে ছেলে সুভাষ ও তাঁর বৌ আল্পনা। এমনটা শোনার পরেই পরিবারের লোকজন মণিকাদেবীকে দ্রুত জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মণিকাদেবীকে মৃত বলে জানান।আরও পড়ুনঃ দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ঐতিহাসিক লর্ডসে অবিস্মরনীয় জয় ভারতেরএই ঘটনা সবিস্তার উল্লেখ করে সোমবার রাতেই কাশীনাথ নন্দী জামালপুর থানায় সুভাষ ও তাঁর স্ত্রী আল্পনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খা জানিয়েছেন, দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সুভাস বোস ও তাঁর স্ত্রী আল্পনার বিরুদ্ধে খুনের মামালা রুজু হয়েছে। এদিন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত দুজনকেই বুধবার পেশ করা হবে বর্ধমান আদালতে।
বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার কলকাতায় রানি রাসমনি রোডে। সোমবার বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতারা। অভিযোগ, কর্মসূচি শুরুর আগেই অতি তৎপর হয়ে পড়ে পুলিশ। রানি রাসমণি রোডে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মীদের। মহামারি আইনে গ্রেপ্তার করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদার, দেবশ্রী চৌধুরী, সৌমিত্র খাঁ, শীলভদ্র দত্তদের আটক করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস কর্মসূচি পালন বিজেপির রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ সমাবেশের পর গান্ধি মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতারা। এরপর মহামারি আইনে গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপি নেতারা। আরও পড়ুনঃ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত? কংগ্রেস ছাড়লেন সুস্মিতা দেবমূলত এ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি কিংবা একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের কী ছবি তা বাংলার মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। নারী নিগ্রহের ঘটনা থেকে টিকা নিয়ে কারচুপি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের। তা নিয়েই এদিনের ধরণা।রাজ্যজুড়ে বিজেপি একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে গত আটদিন ধরে। ১৬ অগস্ট তার শেষদিন। এদিন কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় বিক্ষোভ, ধরণার আয়োজন করেছে গেরুয়া শিবির। কলকাতায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়েও তৈরি হয় ধরণা মঞ্চ। সেখানে থাকার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীদের। পাশাপাশি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়ারও কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এদিন সেই কর্মসূচির শুরুতেই ঝামেলা জড়িয়ে পড়ে পুলিশ ও বিজেপি কর্মীরা।
উত্তরাখণ্ডের এক মনোরম জায়গা চম্পাওয়াতের পবনদীপ রাজন যেন পড়ন্ত বিকালের পাহাড়ি এলাকার ঝলক শান্ত স্নিগ্ধ হাওয়া। তাঁর কন্ঠ মাধুর্যে মনমুগ্ধ গুনাগ্রাহীদের আশ্বস্ত করে ১২ তম ইন্ডিয়ান আইডলের বিজয়ী হলেন পবন। সারা ভারতের অসংখ্য সঙ্গীত প্রেমীর ভোটের নিরিখে বিজয়ী হন পবনদীপ, তাঁকে বিজয়ীর ট্রফির সঙ্গে সঙ্গে ২৫ লাখের নগদ পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও মারুতি ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে একটি ব্র্যান্ড নিউ মারুতি সুইফট গাড়ি উপহার স্বরুপ দেওয়া হয়।দীর্ঘ কয়েকমাসের কঠিন প্রতিযোগিতা শেষে যুগ্ম রানার্স আপ হন বাংলার অরুণিতা কাঞ্জিলাল এবং সায়লি কাম্বলে। বাংলার অসংখ্য মানুষের নয়নের মনি অরুণিতা তাঁর সুরের মায়াজালে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন সমগ্র অনুষ্ঠানে, সঙ্গীত বিশেষজ্ঞদের অনেকেই তাঁর মধ্যে শ্রেয়া ঘোষালের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। বাংলার মেয়ে অরুণিতার অসংখ্য গুনাগ্রাহী সারাটা দিন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন তাঁর জয়ের আশায়, যে কোনও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী একজনই হয়, কিন্তু অরুণিতা রানার্স আপ হয়েও মানুষের মন জয় করে নিতে সমর্থ হয়েছেন।রবিবারের গ্র্যান্ড ফিনাল পর্বের মধ্যরাতে পবনদীপকে বিজয়ী ঘোষণা করার পর তাঁর পরিবারও উপস্থিত থেকে পাবনকে নিয়ে উচ্ছাস-আবেগে ভেসে যান। সমগ্র অনুষ্ঠান জুড়ে পবনদীপ বলিউডের বিভিন্ন গায়কের জনপ্রিয় গানগুলি তাঁর নিজের মতো করে পরিবেশন করে মুগ্ধ করে রেখেছিলেন দর্শককুলকে। তাঁর সাথে বাংলার অরুণিতার বেশ কিছু রোমান্টিক গান এতটাই জনপ্রিয় ছিল যে উপস্থিত দর্শক থেকে শুরু করে বিচারকরা পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে রোম্যান্টিক কিছু খোঁজার চেষ্টা করে গিয়েছেন। যদিও তাঁরা খুব সন্তর্পনে এই আলোচনা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখে নিজেদের উপস্থাপনাতেই ব্যস্ত ছিলেন।বিজয়ী ঘোষণার পর অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে পবনদীপ বলেন, ইন্ডিয়ান আইডল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা শিল্পীদের সম্মানের উচ্চশিখরে পৌছে দেয়। এটি আপনাকে যে ধরনের এক্সপোজার দেয় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো কথা এই মুহূর্তে আমার মনে আসছে না। অতুলনীয়! শো চলাকালীন আমি একক ভাবে ও সহ শিল্পীদের সঙ্গে এবং বিভিন্ন বিখ্যাত প্রতিষ্টিত শিল্পীদের এত গান গাইতে পেরেছি, এবং আমাদের গাইড করার জন্য দেশের অন্যতম সেরা বিচারক এবং বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত থেকেছেন। আমার ইন্ডিয়ান আইডল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মূল কারণ ছিল অনেক কিছু শেখার চেষ্টা, বিজয়ী হওয়ার ইচ্ছায় আমি আসিনি। আমি কৃতজ্ঞ যে এই শোতে এত মাস কাটানোর পরে আমরা এখন প্লেব্যাকের জন্য প্রস্তুত।তিনি আরও বলেন যে বেশ কয়েক মাস ধরে এখানে একসঙ্গে এতজন বন্ধুর সাথে থাকা, গান গাওয়া, খাওয়া, ঘুরে বেড়ানো, রেওয়াজ করা, খুনসুটি করার পর শো ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে আমরা সবাই ব্যাথিত ও ভারাক্রান্ত। এত মাস পরে, আমরা যখন বাক্স গোছাচ্ছি যে যার নিজের জায়গায় ফিরে যাবার জন্য, খুব মনখারাপ লাগাছে। শোটি আমাদের নতুন বাড়ি হয়ে উঠেছিল এবং মনে হচ্ছে যেন আমরা গতকালই এসেছি। এখন মনে হচ্ছে আরও কিছুদিন আমরা থেকে যেতে পারলে আরও বেশি আনন্দ হতো, আরও বেশী শিখতে পারতাম।চূড়ান্ত পর্বে কিয়ারা আডবাণী, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, দ্য গ্রেট খালি, কুমার শানু, উদিত নারায়ণ এবং অন্যান্য বিশিষ্ঠরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক হিসাবে হাজির ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী সোনু কাক্কর, হিমেশ রেশমিয়া, বিশাল দাদলানি এবং অনু মালিক।ফিনাল পর্বটি সঞ্চালনা করেন উদিত নারায়ণের সুপুত্র আদিত্য নারায়ণ, ভারতী সিং এবং হর্ষ লিম্বাচিয়া। ইন্ডিয়ান আইডলের সমাপ্তি অনুষ্ঠানটি টানা ১২ ঘণ্টা ব্যাপী চলছে এবং এটি কোনও রিয়েলিটি শোয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এবং দীর্ঘতম। ফাইনালিস্ট পবনদীপ রাজন, অরুণিতা কাঞ্জিলাল, নিহাল তাওরো, সায়লি কাম্বলে, মোহাম্মদ দানিশ এবং শন্মুখপ্রিয়া রবিবারের পর্বে বিজয়ীর ট্রফির জন্য লড়াই করছেন।দ্য গ্রেট খালি সহ অন্যান্য বিশেষ অতিথিরা ১২ ঘণ্টার দীর্ঘ পর্বের জন্য শোতে যোগ দিয়েছিলেন। আলকা ইয়াগনিক লতা মঙ্গেশকরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অলকা ও উদিত নারায়ণ -এর পুরনো দিনের ঝলক এই অনুষ্ঠানের উপরি পাওনা। বিচারক সোনু কক্করের সঙ্গে দানিশের বিখ্যাত সূফি শিল্পী নসরত ফতেহ আলি খানের গান এক অন্য মাত্রা পায়।ফিনাল পর্বে উপস্থিত থেকে সনি এন্টারটেইনমেন্ট নেটওয়ার্ক-র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (Chief Executive Officer ) এনপি সিং বলেন যে কোনও প্রতিযোগিতায় একজনই বিজয়ী হয়। কিন্তু প্রতিযোগিতা না হলে সেই বিজয়ীর মর্যাদা থাকে না। তিনি আরও বলেন, চুড়ান্ত পর্বের সকলেই বিজয়ী,প্রতিযোগিতার নিয়ম মেনে আমরা এক জনের নাম ঘোষণা করব। দীর্ঘ আট মাস ধরে চলা এই অনুষ্ঠানের সকল সদস্যকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
ফের কলম ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশপ্রেমের গান লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লেখা সেই গানের একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে প্রকাশও করলেন নিজেই। শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গানটির লি্ংক শেয়ার করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেসবুকে মমতা লিখেছেন, ভারতবর্ষের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে দেশ মাতৃকাকে আমার প্রণাম জানাই। আজকের এই শুভদিনে আমার রচনা ও ভাবনায় একটি গান রইল সবার জন্য।গানটি হল নিম্নরূপ: এই ধরণীর মাটির বাঁধন/ বাঁধুক জোরে মোদের/ সোনার চেয়েও যে খাঁটি/ দেশটা সবার নিজের... গানটির শুরু এ ভাবেই। গানের প্রথম চার লাইন নিজের পোস্টের সঙ্গে জুড়েও দিয়েছেন মমতা। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন, মনোময় ভট্টাচার্য, তৃষা পারুই এবং দেবজ্যোতি বসু।আজ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর এই উপহার সকল রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর জন্য।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে বর্ধমান জেলার নাম। দেশ মাতৃকাকে ব্রিটিশ শৃঙ্খল মুক্ত করার শপথ নিয়ে এই জেলার বহু বীর সন্তান বিপ্লবী আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অবশ্যাই অগ্রগণ্য এই জেলার সদর দক্ষিণ মহকুমার বটুকেশ্বর দত্ত, রাসবিহারী বোস, রাসবিহারী ঘোষ ও অনিল বরণ রায়। এই চার দেশবরেণ্য বিপ্লবীর নাম আজও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এনারা ছাড়াও অবিভক্ত বর্ধমান জেলার আরও অনেকে আছেন যারা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে জোরদার করার কাজে সামিল হয়েছিলেন। তাঁরা হয় তো বিস্মৃতির অতলে রয়ে গিয়েছেন। তবে দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে ব্রতী হবেন বর্ধমান জেলার আপামর বাসিন্দা। ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায়, লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ১৯০৫ সালে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল তার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল বর্ধমান জেলাতেও। শুধু শহর বর্ধমানের মানুষজনই নয়, গ্রামীন বর্ধমানের মানুষজনও সেই সময়ে সামিল হয়েছিলেন বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদ আন্দোলনে। তদানীন্তন সময়কালে অবিভক্ত বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামের সন্তান কাজী নজরুল ইসলামের দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা স্বাধীনতা আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৯২৫ সালে বর্ধমানে এসে বর্ধমানের মহারাজা বিজয়চাঁদের আতিথ্য গ্রহন করেছিলেন। এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাসবিদরা মনে করেন দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোন অংশেই কম ছিল না বর্ধমানের গুরুত্ব। স্বদেশী আন্দোলন থেকে শুরু করে বিপ্লবী আন্দোলন, সবেরই উত্তোরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বর্ধমানের বিপ্লবীদের নাম। এই জেলার জ্যোতিন্দ্রনাথ বন্দ্যেপাধ্যায় যৌবনে বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। পরে অবশ্য তিনি আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ করে নিরালঙ্গ স্বামী নামে পরিচিত হন। ১৮৭৬ সালে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই ভারত সভার তিনটি শাখা গড়ে উঠেছিল বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।ওই শাখাগুলি বর্ধমান শাখা, কালনা শাখা ও পূর্বস্থলী হিতকরী সভা নামে আত্মপ্রকাশ করে। কালনার কবিরাজ বংশীয় উপেন্দ্রনাথ সেন ও দেবেন্দ্রনাথ সেনের উদ্যোগে কালনা ও কাটোয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ বিরোধী সভা।ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, সেই সভায় স্বয়ং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ব চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য বলেন, স্বদেশী আন্দোলনের ঢেউ সেই সময়ে কালনার বাঘনা পাড়ার যুবক মহলে প্রভাব ফেলেছিল। ১৯০৬ সালে বিদেশী দ্রব্য লুঠ করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছিল কালনার বাঘনা পাড়ার যুবকরা। সেই ঘটনায় ব্রিটিশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন গৌর গোবিন্দ গোস্বামী, মণিগোপাল মুখোপাধ্যায়, সন্তোষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বৃন্দাবন গোস্বামী, বলাই গঙ্গোপাধ্যায় ও বলাই দেবনাথ। সিদ্ধেশ্বরবাবু এও বলেন, এদের গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত মোকদ্দমাই ছিল বঙ্গে প্রথম রাজনৈতিক মোকদ্দমা। তদানিন্তন সময়ে বাঘনা পাড়ায় স্বদেশী ভাণ্ডারও প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। ১৯৪২ শে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে বাঘনা পাড়ার যুবকরা জড়িত হয়েছিলেন বলে সিদ্ধেশ্বর আচার্য্য জানিয়েছেন। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে উৎসাহিত করার জন্য নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু দুবার বর্ধমানে এসেছিলেন। ইংরেজ আমলে জাতীয় শিক্ষা নিয়েও বর্ধমান জেলা উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছিল। ইংরেজি বিদ্যালয়ের পরিবর্তে জাতীয় বিদ্যালয় স্থাপনে খণ্ডঘোষের তোরকোনায় রাসবািহারী ঘোষ প্রভূত অর্থ দান করেছিলেন। কালনা, বর্ধমান সদর, বৈকন্ঠপুর নানা স্থানে জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বান্ধব সমিতি, মহামায়া সমিতি প্রভৃতি নামে জেলার কালনা, পূর্বস্থলী ও মন্তেশ্বরে বিপ্লববাদী গুপ্তসমিতি গড়ে উঠেছিল। মানকরের জমিদার রাজকৃষ্ণ দিক্ষিত ও দুর্গাপুরের ভোলানাথ রায় সেই সময়ে স্বদেশী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন।স্বরাজ তহবিলের চাঁদা তোলার জন্য ১৯২১-২২-তে চিত্তরঞ্জন দাস বর্ধমানে এসেছিলেন। তাঁর আগমনে বর্ধমান জেলায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল। জাতীয়তাবাদী কবিতা লোখার জন্য বর্ধমানের জামালপুরের গোপালপুর গ্রাম নিবাসী গোবিন্দরাম বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্কুল থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছিল । ১৯২২ সালের ৫ জানুয়ারি এই গোপালপুরের ইংরেজ বিরোধী মানুষজনের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা পায় গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়। গান্ধীজীর অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রথম পরিচালন সমিতি এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত হয়, ইংরেজদের নিয়ম মেনে রবিবার নয় - বিদ্যালয় ছুটি থাকবে সোমবার। সেই থেকে আজও রবিবার পুরোমাত্রায় পঠনপাঠন চালু থাকে গোপালপুর মুক্তকেশী বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয় ছুটি থাকে সোমবার। পরাধীন ভারতবর্ষের মাটিতে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ভিন্নমাত্রায় পৌছে দিতে বর্ধমানের মহিলারাও মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য নির্মলা সান্যাল ও সুরমা মুখোপাধ্যায়ের নাম । ১৯৩১ -তে কংগ্রেসের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বর্ধমান জেলা কৃষক সমিতি। তদানীন্তন কালেই কৃষক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যে সভার সভাপতি হয়েছিলেন ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর নামেই পরবর্তীকালে হাটগোবিন্দপুরে গড়ে ওঠে ভূপেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়।পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অবিভক্ত বর্ধমান জেলাবাসীর অবদান কোন অংশেই কম ছিল না। এই জেলার বটুকেশ্বর দত্ত, রাসবিহারী বসু, রাসবিবাহী ঘোষ, অনিলবরণ রায় প্রমুখ দেশবরেণ্য বিপ্লবীর নাম দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। এঁরা ছাড়াও জেলার আরও যাঁরা দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন তাঁদের অবদানও জেলাবাসী মনে রেখেছে। ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে বর্ধমানবাসী সকল বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহনকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে তাই ব্রতী হবেন।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বর্ধমানের শিবপুর দিঘীরপাড় এলাকা থেকে উদ্ধার হল প্লাস্টিকের জারিকেন ভর্তি তাজা বোমা। যা জানতে পারার পরেই বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখে খবর দেয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে। শনিবার বিকালে দুর্গাপুর থেকে সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছায়। তাঁরা জারিকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার করে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে নিস্ক্রিয় করে। এই ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে শিবপুর দীঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা মহলে।আরও পড়ুনঃ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সিএবি সচিব স্নেহাশিস গাঙ্গুলিবর্ধমানের বেলকাস পঞ্চায়েতের সদস্য তানবীর আলি বলেন, শীবপুর দীঘিরপাড় সংলগ্ন পাওয়ার হাউসের পিছনে জঙ্গলের পড়েছিল জারিকেনটি। এলাকায় বাসিন্দারা সেটি দেখতে পেয়ে বর্ধমান থানায় খবর দেয়। সেই খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ওই জায়গাটি ঘিরে রাখে।আরও পড়ুনঃ পুজারা ও রাহানের ব্যর্থতা নিয়ে কী বলছেন গাভাসকার?এদিন বিকালে সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌছে জারিকেনে থাকা বোমাগুলি উদ্ধার করার পর নিস্ক্রিয় করে। বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের জার থেকে মোট ৬ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে সিআইডি বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড। সেগুলি নিস্ক্রিয় করা হয়েছে।আরও পড়ুনঃ ক্রিকেটের মক্কাতে কলুষিত ক্রিকেটরাত পোহালেই দেশ জুড়ে পালিত হবে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। তার প্রাক্কালে জারিকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার ঘিয়ে বর্ধমানে শাসক বিরোধী তর্জা তুঙ্গে উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনের আগে শহর বর্ধমানের সুভাষপল্লীতে বল ভেবে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে যাওয়ায় এক শিশুর মৃত্যু হয়। এতবড় ঘটনার পরেও বর্ধমানে বোমা উদ্ধারে ঘটনায় বিরাম পড়েনি। জেলা বিজেপি নেতা কল্লোল নন্দন বলেন, শাসকদলের দৌলতে সব জায়গাতেই বোমা উদ্ধার হয়েই চলেছে। যদিও পল্টা জবাবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, তৃণমূল বোমা-গুলি নিয়ে রাজনীতি করে না। পুলিশ তদন্ত শুরু করছে। তদন্তেই পরিস্কার হবে যাবে কারা বোমা রেখেছিল।
রবিবার স্বাধীনতা দিবস। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কলকাতাকে। নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, কলকাতার নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন প্রায় চার হাজার পুলিশকর্মী। রেড রোডে মূল অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে রেড রোডে নিরাপত্তা আটোসাঁটো করা হয়েছে। রেড রোডে তিনটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করেছে কলকাতা পুলিশ। সেখান থেকেই নজর রাখা হবে। রবিবার রাস্তায় থাকবেন ১১ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক। গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থার তদারকির দায়িত্বে থাকছেন অতিরিক্ত নগরপাল দময়ন্তী সেন।লালবাজার সূত্রে খবর, রেড রোড এবং গোটা কলকাতার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ২৩টি পয়েন্টে নাকা চেকিং চলছে। প্রত্যেকটি গাড়ি পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রায় ৫০০টি অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে রেড রোড ও আশেপাশের এলাকায়। এছাড়াও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুলিশ। কলকাতার বিভিন্ন হোটেল ও গেষ্ট হাউসে তল্লাশি চলছে। কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় টহল দেবে পর্যাপ্ত পরিমান হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড। করোনা অতিমারির মধ্যেই এবার স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। তাই বাড়তি সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। কোভিডবিধি মেনে এবার রেড রোডে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষেধ থাকছে। তবে রাজ্যের মন্ত্রীরা সহ আমন্ত্রিত অতিথিরা থাকবেন অনুষ্ঠানে। দুরত্ববিধি মেনেই তাঁদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার অবশ্য ট্যাবলো ফিরছে কুচকাওয়াজে। মোট ৪০ মিনিটের একটি অনুষ্ঠান করা হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক, রেহাই পেল না ৪ জইশ জঙ্গি কোভিড বিধি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে অনাড়ম্বরভাবেই দেশের ৭৫-তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। অতিমারির আবহে গত বছরেও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল সাদামাটা। এবারও দর্শকহীন রেড রোডে মাত্র শ খানেক অতিথির উপস্থিতিতে মিনিট ৪০-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। যদিও স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তির বিশেষ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে শোভাযাত্রায় ট্যাবলোর সংখ্যা কিছু বাড়ছে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু, জল স্বপ্ন, খেলা দিবস- এর মতো নতুন প্রকল্পগুলি মিলিয়ে তৈরি হচ্ছে ৯ থেকে ১০টি ট্যাবলো। এছাড়া তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং একতাই সম্প্রীতির ওপর ট্যাবলো বানানো হচ্ছে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের ওপরে থাকছে বিশেষ ট্যাবলো। এবারেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করছে না। গান শোনাবে লোকপ্রসার শিল্পের বাউলের দল। পতাকা উত্তোলন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এর পরে পুলিশ মেডেল প্রদান করবেন তিনি।কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের সুসজ্জিত টুকরি অংশ নেবে মার্চপাস্টে।
কাল ভারতবাসীর কাছে একটি বিশেষ দিন। কাল আমাদের স্বাধীনতা দিবস। এবারের স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব আরও বেশি। কারণ এবছর স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ তম বর্ষ।আরও পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসে হামলার ছক, রেহাই পেল না ৪ জইশ জঙ্গিএই বিশেষ দিন উপলখ্যে ভারত ভাগ্যবিধাতা গাইলেন ৭৫ জন শিল্পী। মূল উদ্যোগে রয়েছেন শুভদীপ চক্রবর্তী ও চিরন্তন ব্যানার্জী। তাদের এই উদ্যোগে সামিল হয়েছেন উষা উত্থুপ, অনুপম রায়, ইমন চক্রবর্তী , লগ্নজিতা চক্রবর্তী, সোমলতা আচার্য , ইন্দ্রানী সেন, রূপঙ্কর বাগচী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়,সুরজিত্, সিধু, জোজো এছাড়াও রয়েছে আগত প্রজন্মের কিছু নবীন সংগীত শিল্পী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারত ভাগ্যবিধাতা গানটিকে গেয়ে এক নতুন রূপ দেয়। মোট ৪০ জন গানটি গায়, সাথে গানটিতে সামিল হন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী,দেবশ্রী রায়, অনিন্দ্য পুলক ব্যানার্জী ও আরো ১০ জন অভিনেতা অভিনেত্রী। আছেন সুমন্ত্র সেনগুপ্ত, বাচিক শিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়,প্রণতি ঠাকুর, নবীনরাও কণ্ঠ মিলিয়েছেন এই সঙগিতে, সংগীত পরিচালনা করেছেন চিরন্তন। নৃত্যশিল্পী থাঙ্কুমণি কুট্টি সহ রয়েছেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, তনুশ্রী শঙ্কর সাথে আরো ১০ নৃত্য শিল্পী এবং বেশ কয়েকজন জন বাদ্যযন্ত্রশিল্পী।