• ২ পৌষ ১৪৩২, রবিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

ED

রাজ্য

২ বছর পর রাজ্য থেকে উঠছে সমস্ত করোনা বিধিনিষেধ

দীর্ঘ দু-বছর পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে রাজ্যে করোনার সমস্ত বিধিনিষেধ উঠে গেলো। করোনার গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে সমস্ত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করার পর থেকে ধাপে ধাপে সমস্ত বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এতদিন রাত ১২টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বহাল ছিল কড়াকড়ি। এই সময়ে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ও যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল।তবে এবার আর কোনও বিধিনিষেধই থাকছে না।আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রাজ্য।করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে ওঠার পর থেকেই দেশে নিম্নমুখী সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত করোনাবিধি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দেশজুড়ে জারি থাকা মহামারি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।এবার সেই পথেই হাঁটল রাজ্য।তবে করোনার বিধিনিষেধ উঠলেও মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

মার্চ ৩১, ২০২২
রাজ্য

প্রতিবন্ধী শংসাপত্র না পেয়ে গলসির বিডিওর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রতিবন্ধীরা

প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পেতে চাওয়া প্রতিবন্ধীদের হয়রানির শিকার হওয়া বন্ধে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবে ঘটে চলেছে ঠিক তার উল্টোটাই। প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পাবার জন্য বুধবার প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও অনেক প্রতিবন্ধী সকাল থেকে পূর্ব বর্ধমানের গলসির পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লাইন দেন। কিন্তু সারাটা দিন লাইনে অপেক্ষমান থেকেও অনেক প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পাওয়ার ডাকই পান না। আর তার কারণে এদিন তুমুল অশান্তি বেঁধে যায় পুরসা হাসপাতালে। প্রতিবন্ধী শংসাপত্র না পাওয়ায় জন্য গলসি ১ ব্লক প্রশাসনকে দায়ী করে হাসপাতাল চত্ত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন লাইনে দাঁড়ানো প্রতিবন্ধী ও তাঁদের পরিবার সদস্যরা। বিডিও দেবলীনা দাস দূর হাটো ও হায় হায় স্লোগান তাঁরা দিতে থাকেন। উত্তেজনা চরমে উঠলে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালে প্রতিবন্ধীদের বিক্ষোভের জন্য প্রশাসনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন গলসির পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাজাহান শেখ। তিনি জানান, গলসি ১ ব্লক প্রশাসন থেকে জানানো হয় ব্লকের ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিবন্ধীদের ৩০ মার্চ পুরসা হাসপাতালে আসতে হবে। ব্লক প্রশাসন থেকে এই বার্তা আসার পর প্রতিটি বুথ এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের দিয়ে মাইকিং করা। সেইমত ৯টি পঞ্চায়েত এলাকার বহু প্রতিবন্ধী এদিন সকাল পুরসা হাসপাতালে পৌছে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন । তার পর দীর্ঘ সময় বাদে প্রতিবন্ধীদের অনেকে জানতে পারেন , দুয়ারে সরকারে ক্যাম্পে ,আবেদন করা প্রতিবন্ধীদেরই শুধুমাত্র পুরসা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে প্রতিবন্ধী শংসাপত্র দেওয়া হবে। আর তা জানার পরেই হাসপাতাল চত্ত্বরে চরম বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে ।গলসির অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, গলসি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস এখনও পর্যন্ত ব্লকের কোথাও প্রতিবন্ধী শংসাপত্র পাবার ক্যাম্প করেননি ।বিডিও অফিসের এমন গাফিলতির জন্যই এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের কটুক্তি হজম করতে হয়।ক্যাম্প না হওয়ায় এলাকার শতশত প্রতিবন্ধীও হয়রানির শিকার হচ্ছেন,। এই বিষয়ে গলসি ১ ব্লকের যুগ্ম বিডিও দীপঙ্কর রায় জানান,কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য এদিন এমন সমস্যা হয়েছে। তাছাড়াও এদিন পরিসেবা দেওয়ায় পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার আসতে পারেননি। তবে খুব শীঘ্রই প্রতিবন্ধীদের শংসাপত্র প্রদানের জন্য শিবিরের আয়োজন করা হবে।

মার্চ ৩০, ২০২২
রাজ্য

নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা তৃণমূল বিধায়কের

পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে নির্বাচনীয় প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জাড়ি করে নির্বাচন কমিশনার। বুধবার তার প্রতিক্রিয়া দিলেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। প্রতিক্রিয়ায় বিধায়কের দাবি, নির্বাচন কমিশনারের কাছ থেকে এই ধরনের কোনও নোটিশ তিনি পাননি।উল্লেখ্য, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচন দলীয় প্রচার চলছে। সেখানে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার অন্তর্গত লাউদহ ব্লকের কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে কর্মীদের সম্বোধন করার সময় বিজেপি সমর্থকদের খোলাখুলি হুমকি দিতে দেখা যায়। যে ভিডিও র সত্যতা যাচাই করিনি আমরা।যারা কট্টর বি জে পি যাদেরকে এড়ানো যাবে না তাদেরকে চমকাতে হবে। বলবেন আপনি যদি ভোট দিতে চান তাহলে ধরে নেব আপনি বিজেপিকে ভোট দেবেন। ভোটের পর আপনি কোথায় থাকবেন সেটা আপনার নিজের বিষয়। আপনি যদি ভোট দিতে না যান তাহলে ধরে নেব আপনি আমাদের সমর্থন করছেন। তাহলে আপনি বাড়িতে থাকুন ব্যবসা করুন, চাকরি করুন, ভালভাবে থাকুন, কোন অসুবিধা নেই আমরা আপনার সঙ্গে আছি ক্লিয়ার। ভিডিওটি সামনে আসার পর বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন একটা জিনিসই উনি বুঝেছেন। বিজেপির লোকেরা যদি ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় তাহলে উনারা হারবেন, এটা উনি বলেছেন। এরকম হুমকি উনি না দিলেই ভাল হয়। উনিতো অনুব্রত মণ্ডলের শিষ্য, অনুব্রত মণ্ডল তো কিছুদিন পর হয়তো জেলের মধ্যে থাকবেন। এরকম থাকলে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে লুডু খেলার জন্য আরও দুতিনজন লাগবে। তখন হয়তো উনাকে যেতে হবে । এরকম না করলেই ভালো হবে।আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার বিভিন্ন অঞ্চলের কর্মীদের নিয়ে কর্মিসভা করা হল। এই কর্মিসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পাণ্ডবেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মদন বাউরি সহ-সভাপতি রমা রুইদাস এবং কিরীটি মুখার্জি, রামচরিত পাসোয়ান সহ অন্যান্য ব্লক নেতৃত্ব।মূলত এই সভাটি বিধানসভার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হরিপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনী সভায় বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সেখানেই বলেন বলে বিজেপির অভিযোগ।

মার্চ ৩০, ২০২২
রাজ্য

রাস্তার দাবীতে পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ বর্ধমানে

রাস্তার দাবীতে পঞ্চায়েতে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাদের দাবী পূরণ না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত খুলতে না দেওয়ার হুমকিও দেয়। লাঠী,টাঙ্গী, হাঁসুয়া,কুড়ুল ও তীরধনুক নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হল গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার বর্ধমান-১ নম্বর ব্লকের বণ্ডুল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বণ্ডুল আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারা বিক্ষোভে সামিল হন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে গ্রামের রাস্তার দাবী প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েও সুরাহা না হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখান।তাদের দাবী না মানা পর্যন্ত তারা এই বিক্ষোভ দেখাবেন।যদিও পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সেখ গোলাম নবী জানিয়েছেন, সমস্যার কথা তাদের জানা। জমি সমস্যার জন্যই রাস্তাটি করা যাচ্ছে না। রাস্তাটি নির্মাণের জন্য যে জমির প্রয়োজন তা ব্যক্তি মালিকানায় থাকায় সমস্যা হচ্ছে। জমির মালিকরা জমি দিতে চাইছেন না। বিডিওকে জানিয়েছি বিষয়টা। ঘন্টা খানেক বিক্ষোভ চলার পর বর্ধমান-১ নম্বর ব্লকের বিডিও মৃণালকান্তি বিশ্বাসের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে। বিডিও জানান খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধানের জন্য সব পক্ষ নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজ্য

পুর্ব বর্ধমানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যাক্তি গ্রেপ্তার, এলাকায় চাঞ্চল্য

আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। অভিযুক্তের নাম শ্রীমন্ত ঘাঁটি। এই অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি খন্ডঘোষ এর বীচখাঁড়া এলাকায়। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত্রে পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বর্ধমান বাঁকুড়া রোডের খণ্ডঘোষ এর মেটেডাঙ্গার কবরস্থান এলাকায় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলিও পাওয়া যায়। খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি শ্রীমন্ত ঘাঁটিকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আজ বর্ধমান আদালতে পেশ করেন।খন্ডঘোষ থানার পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে সম্পূর্ণ বিষয়টির তদন্ত করতে চান। কিসের উদ্দেশ্যে ওই ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে রাস্তার উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন এবং এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজ্য

পুলিসি তৎপরতায় বোমা ও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার অব্যহত পূর্ব বর্ধমানে

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলায় অব্যাহত রয়েছে বোমা,গুলি ও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা। সোমবারের পর মঙ্গলবারও জার ভর্তি বোমা বোমা উদ্ধার হল জেলার গলসি ও রায়না থানা এলাকায়। একই দিনে আগ্নেআস্ত্র ও কার্তুজ সহ এক দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। অস্ত্রসস্ত্র ও বোমা উদ্ধার অভিযান জারি থাকবে বলে জেলার পুলিশ কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে গলসি ১ ব্লকের করকডাল ও শিড়রাই গ্রামের পশ্চিম পাড়া থেকে উদ্ধার হয়েছে জার ভর্তি বেশ কিছু বোমা । তার পর থেকে পুলিশ ওই দুই জায়গা ঘিরে রেখে বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে খবর দেয়। মঙ্গলবার বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড দুই জায়গা থেকে বোমা গুলি উদ্ধার করে নির্জন জায়গায় নিয়েগিয়ে নিস্কৃয় করে। কারা এলাকায় বোমা জড়ো করেছিল তার তদন্ত গলসি থানার পুলিশ শুরু করেছে। রায়না থানার পুলিশও এদিন হিজলনা অঞ্চলের ফুলবাড়ি এলাকার একটি ঝোপ থেকে জারে ভর্তি বোমা উদ্ধার করেছে। পুলিশের দাবি কয়েকদিন ধরে পুলিশ হিজলনা অঞ্চলে রুটমার্চ করে। তাতেই ভীত হয়ে কোন দুস্কৃতি দলের কেউ রাতের অন্ধকারে জার ভর্তি বোমা ঝোপে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে থাকতে পারে। এরই পাশাপাশি খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বীচখাঁড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শ্রীমন্ত ঘাঁটি নামে এক দুস্কৃতিকে ধরে। পুলিশের দাবী তল্লাশীতে ধৃতের কাছথেকে একটি আগ্নেআস্ত্র ও একটি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশ ধৃতকে এদিনই বর্ধমান আদালতে পেশ করে নিজেদের হেপাজতে নিয়েছে।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজ্য

কয়লাকাণ্ডঃ অভিষেকপত্নী রুজিরা ও শ্যালিকাকে তলব ইডির

কয়লাকাণ্ডে অভিষেকপত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আগামিকাল সকাল ১১টা নাগাদ দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রুজিরাকে। পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার একই সময়ে হাজির হতে বলা হয়েছে মেনকাকে। এর আগেও রুজিরাকে তলব করেছিল ইডি। তখন দেখা করেননি রুজিরা। এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল। এদিন তিনি হাজির হতে পারেননি। সময় চেয়েছেন।ইডি সূত্রের খবর, মূলত বিদেশে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে রুজিরা ও মেনকাকে। বিদেশের সেই ব্যাংক থেকেও তথ্য় মিলেছে ইডির। সেই তথ্য় যাচাই করতে চায় ইডি আধিকারিকরা। এদিকে এদিনও কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো নিয়ে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এবিষয়ে এক জোট হতে আবেদন জানিয়েছেন মমতা। এর আগে কয়লাকাণ্ডে তলব করা হয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে। যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রকে খুঁজে বেড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজ্য

বগটুই হত্যাকান্ডঃ সাসপেন্ডেন্ট আইসিকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে খতিয়ে দেখেছে তাঁরা। প্রথম দফায় নিহতদের আত্মীয় মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এদিকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে রামপুরহাট থানার সাসপেন্ডেন্ট আইসি ত্রিদীপ প্রামানিককে।সিবিআই সূত্রে খবর, ত্রিদীপ প্রামানিককে প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বগটুইয়ের ঘটনা কখন ঘটেছিল? সেদিন রাত কটা নাগাদ আইসি খবর পেয়েছিলেন? তারপর কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? কেন একসঙ্গে এভাবে পুড়ে গেল একাধিক দেহ? গন্ডগোলটা কোথায়? মূলত এসবই তার কাছে জানতে চেয়েছে সিবিআই। কীভাবে খুন হওয়ার পর আগুনে জীবন্তদের ভষ্মীভূত করা সম্ভব হল তা নিয়ে বিস্মিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর পিছনে আদৌ কী রহস্য রয়েছে তা উদ্ঘাটন করতে চাইছে সিবিআই।জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে রামপুরহাট থানা চত্বরে কী ঘটেছিল তা জানার জন্য সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই সময় থানায় কোন কোন আধিকারিকরা ছিলেন, ঘটনা নিয়ে পুলিশের কোনও ততপরতা ছিল কীনা থানায়, তা-ও খতিয়ে দেখতে চাইছে তদন্তকারীরা। একইসঙ্গে সিবিআই জানতে চাইছে ওই দিন থানায় কারা এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে সন্দেহভাজন কেউ আছে কীনা তা-ও দেখে নিতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এদিকে এদিন ফের মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

মার্চ ২৯, ২০২২
রাজনীতি

বিধানসভায় তৃণমূল-বিজেপি বিধায়কদের তুমুল হাতাহাতি, জখম বেশ কয়েকজন, সাসপেন্ড ৫ বিজেপি বিধায়ক

রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডের ঢেউ আছড়ে পড়ল বিধানসভায়। সোমবার দিনের শুরুতেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য বিধানসভার অন্দর। বগটুইতে নিরীহ মানুষজনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকার তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বেড়ে যায় বিক্ষোভ। সেই সময় ওয়েলে যুযুধান দুই শিবির। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় বিজেপি ও তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে। পরে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের কার্যত হাতাহাতিতে গেরুয়া শিবিরের ১০ বিধায়ক আহত হয়েছেন বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। জানা গিয়েছে, বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। চশমা ভেঙে যায় এক বিধায়কের। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফেটে গিয়েছে। এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। অসিতবাবুর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দ্বারা প্রহৃত হয়েছেন তিনি।Absolute pandemonium in the West Bengal Assembly. After Bengal Governor, TMC MLAs now assault BJP MLAs, including Chief Whip Manoj Tigga, as they were demanding a discussion on the Rampurhat massacre on the floor of the house.What is Mamata Banerjee trying to hide? pic.twitter.com/umyJhp0jnE Amit Malviya (@amitmalviya) March 28, 2022সোমবার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল ও বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে তুমুল হাতাহাতির অভিযোগ ওঠে। একে অপরের উপর হামলে পড়েন বলে অভিযোগ। জামা ধরে টানাটানি, হাত চালানোর পাশাপাশি কারও কারও মুখের কথাও আগলহীন হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে বিধানসভার মত প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণ নিঃসন্দেহে প্রশ্নের অবকাশ রাখে। বিধানসভায় যে ঘটনা ঘটেছে ইতিমধ্যেই তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এই ঘটনার জেরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, বিধায়ক মনোজ টিগ্গা-সহ পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়।এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করেন। গোটা বিষয়টি জানতে চান। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের একজন বিধায়ককে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তিও করা হয়েছে। ২১০ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন অসিত মজুমদার। এই সমস্ত বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী শিবিরের উদ্দেশে বলেন, যে ঘটনা ঘটল সেটা অনভিপ্রেত। বিধানসভার নিয়মকানুন নিয়ে পড়াশোনা করেন না। বিধানসভার গুরুত্ব তাঁরা বোঝেন না। সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যেই বিধানসভার সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তালিকা তৈরি হবে। কীভাবে সেই ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায় সেটাও দেখা হবে বলে জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ।

মার্চ ২৮, ২০২২
রাজ্য

বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে কিশোরী মৃত্যর ঘটনায় মামলা রুজু হল এক কৃষক ও তাঁর কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে

বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে এক কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠলো এক কৃষক ও তাঁর কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ,চুরি রুখতে ওই কৃষক তাঁর স্ট্রবেরি খেতের বেড়ার সঙ্গে জড়িয়ে রেখেছিলেন বিদ্যুৎতের তার। সেই বিদ্যুৎতের তারে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়েই কিশোরী পূজা কর্মকার(১৭) এর মৃত্যু হয় বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকালে থেকে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ভেদিয়া এলাকায়। খবর পেয়ে আউশগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্ট্রবেরি খেতের পাশ থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।কিশোরীর মৃত্যুর জন্য তাঁর মা স্ট্রবেরি চাষ করা কৃষক শ্যামানন্দন পাঠক ও তাঁর কেয়ারটেকার লক্ষণ যাদব কে দায়ী করে এদিন বিকালে আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ।পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরী পূজা কর্মকারের বাড়ি আউশগ্রামের দীপচন্দ্রগ্রামের বাগানপাড়ায়। সেখানকার অজয় নদের চরের লাগোয়া কিছুটা জায়গায় স্ট্রবেরি চাষকরা কৃষক শ্যামানন্দন পাঠক ও তাঁর কেয়ারটেকার লক্ষণ যাদবের বাড়ি বিহারে।এদিন সকালে ওই স্ট্রবেরি খেতের পাশে পূজা কর্মকারের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।কিশোরীর দেহে ওই সময়ে খেতের বেড়ায় থাকা বিদ্যুৎবাহী তার জড়িয়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকার বাসিন্দা মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে । বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে অনেক লোকজনও জড়ো হয়ে যায়। এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসাবাদে জমির কেয়ারটেকার লক্ষণ যাদব স্বীকার করে নেন খেতেয় ফসল চুরি রুখতে তারা জমির বেড়ায় বিদ্যুতের তার জড়িয়ে রাখেছিল। বিদ্যুৎবাহী ওই তারে দেহ ঠেকে যাওয়ায় কিশোরীর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে কেয়ারটেকার আশংকা প্রকাশ করেন।পরিবারের সদস্যদের কথায় জানা গিয়েছে, পূজার বাবা পরিযায়ী শ্রমিক। মা পেশায় জনমজুর। পূজারা দুভাই বোন। এবারে তাঁর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই হঠাৎ সে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। ফলে এবারে তার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। শেষে চলতি মাসের ১২ তারিখে নবদ্বীপ থেকে তাকে উদ্ধার করে আনে পরিবারের লোকজন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর থেকেই সে ফের পালানোর মতলব করছিল বলে জানা গেছে। তাই পূজার মা ও ভাইসহ প্রতিবেশীরা তার উপর সর্বদা নজর রাখছিলেন। শেষে রবিবার রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে চুপি চুপি বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পরে পূজা। এদিন ওই স্ট্রবেরী খেতের পাশে বিদ্যুৎবাহী তার জড়ানো অবস্থায় পূজার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মাঠে মাঠে পালানোর সময় ওই জমির পাশ দিয়ে যেতেই গিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মার্চ ২৮, ২০২২
রাজ্য

দ্বিতীয় 'বগটুই' হতে যাওয়ার আগে রুখে দিল কাটোয়া থানার পুলিশ- অস্ত্রসস্ত্র সহ গ্রেপ্তার ৩ দুস্কৃতি

বিরোধী পক্ষের হাত থেকে খাসজমির দখল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বিপুল অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অপেক্ষা করছিল দুস্কৃতি দল। তাঁদের পরিকল্পনা ছিল শনিবার গভীর রাতে পূর্ব বর্ধমানের শ্রীবাটি গ্রামে গিয়ে বিরোধী পক্ষের উপর হামলা চালানো। আর তেমনটা হলে হয়তো দ্বিতীয় বগটুই এর মত ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। কিন্তু তা আর হতে দেয়নি কাটোয়া থানার পুলিশ। রাতেই অভিযান চালিয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ অস্ত্রসস্ত্র সহ তিন দুস্কৃতিকে ধরে ফেলে। দুই দুস্কৃতি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও দুস্কৃতি দলের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পেরে আপাত স্বস্তিতে কাটোয়া থানার পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম জামীর আলি মণ্ডল, বজরুল শেখ ওরফে কালো শেখ এবং সইদুল শেখ ওরফে ফুটো। ধৃতদের সকলের বাড়ি শ্রীবাটি গ্রামেই। পুলিশের দাবী ধৃতদের মজুত করা ৪ টি রাইফেল, ২৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, একটি পিস্তল ও ২ রাউন্ড পিস্তলের গুলি এবং ১৬ টি সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে। দুস্কৃতিদের এত বিপুল অস্ত্র ভান্ডার দেখে চোখ কার্যত কপালে উঠে যায় পুলিশ কর্তাদের। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ তিন ধৃতকেই রবিবার পেশ করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে। আরও আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার ও পলাতক দুস্কূতিদের নাগাল পেতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতদের ১২ দিন নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানান। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। হেপাজতে নেওয়া দুস্কৃতিদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে অস্ত্রসস্ত্রের উৎসের সন্ধান চালাচ্ছে।এছাড়াও দুস্কৃতিরা আর কোথাও অস্ত্র মজুত করে রেখেছে কিনা সেই বিষয়েও পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে ।উদ্ধার হওয়া শকেট বোমা নিস্কৃয় করার জন্য কাটোয়া থানার পুলিশ বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডে খবর দিয়েছে।কাটোয়া থানার এক পুলিশ অফিসার জানান গ্রেপ্তারের পর ধৃতদের জিজ্ঞাবাদ চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, শ্রীবাটি গ্রামের একটি খাস জমি নিয়ে বজরুল শেখ এর সঙ্গে ওই গ্রামেরই অন্য আর একটি গোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিবাদ চলছে। বিবাদের কোন নিস্পত্তি হয় নি। তার কারণে বজরুল শেখ তাঁর বিরোধী পক্ষের উপরে প্রাণঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা চুড়ান্থ করে ফেলে। পরিকল্পনা মাফিক হামলার আগে বোমা, বন্দুক সহ অন্য আরো অস্ত্রসস্ত্র আগে থেকেই জোগাড় করে রাখা হয়েছিল। শনিবার রাতে বিরোধী পক্ষের উপর হামলার চালানোর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত বজরুল নিয়ে ফেলেছিল। শনিবার গভীর রাতে তাঁরা গ্রামের এক জায়গায় অস্ত্রসস্ত্র হামলা চালানোর জন্য অপেক্ষা করছিল বজরুল শেখ ও তাঁর দলবল। কাটোয়া থানার পুলিশ গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়ে গিয়ে অভিযান চালানোয় সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায় বলে ধৃত দুস্কৃতিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ কে জানিয়েছে।

মার্চ ২৭, ২০২২
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানে পরিত্যক্ত দুটি জারে প্রচুর বোমার হদিস, ব্যাপক চাঞ্চল্য

ফের পূর্ববর্ধমানে উদ্ধার হল প্রচুর সংখ্যক বোমা। দেওয়ানদীঘি থানার তালিত রেল গেটের কাছে পীরতলা লাগোয়া মাঠে পরিত্যক্ত দুটি জারে প্রচুর পরিমাণ বোমার হদিস পেল পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দেওয়ানদীঘি থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বর্ধমান বোলপুর জাতীয় সড়কের (NH 2B)পাশে একটি মাঠের মধ্যে দুটি জারে বোমা রাখা আছে। রবিবার বোম্ব স্কোয়াড এর এক্সপার্ট টিম আসার পরই সঠিক ভাবে জানা যাবে কি ধরনের বোম এগুলি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমার হদিস পাওয়ার পরই জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে।অধিক রাতে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আশপাশের গ্রামের লোকজন সেভাবে টের পায়নি। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখতে পেয়ে বোমার বিষয়ে জানতে পারে স্থানীয় মানুষজন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা। দেওয়ানদীঘি থানার পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে।কারা এই জার ভর্তি বোমা লোকালয়ে রেখে গেল সেই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে দেওয়ানদীঘি থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, শুক্রবার গভীর রাতে বর্ধমান শহরের সরাইটিকর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে একটি নাইলনের ব্যাগে চারটি ক্রুড বোমা উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। আর এরপরই শনিবার রাতে ফের তালিতের এই ঘটনায় জেলা পুলিশ মহলেও আলোড়ন পড়েছে

মার্চ ২৭, ২০২২
রাজ্য

ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রীতে বাধা হয়ে দাঁড়ানোই, বাড়িতে বোমা মজুতের অভিযোগে গ্রেপ্তার চাষি-গ্রেপ্তারি নিয়ে ধোঁয়াসা

ওয়াকফ সম্পত্তিতে থাবা বসাতে চাওয়া প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হওয়া চাষির বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হল বোমা। রহস্যজনক সেই বোমা উদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেপ্তার করলো ওই বাড়ির মালিক তথা চাষি ফিরোজউদ্দিন মল্লিককে। বর্ধমান থানার কৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়ার এই ঘটনা এলাকাবাসী মহলে তুমুল চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে। বোম ডিসপোজাল স্কোয়াড উদ্ধার হওয়া বোমা গুলি এদিন বিকালে নিস্কৃয় করে। যদিও এলাকাবাসী ও ফিরোজউদ্দিনের পরিবার সদস্যরা দাবী করছেন, ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রী আটকানোর জন্যই প্রমোটার ও জমি দালালরা চক্রান্ত করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।বর্ধমানের কেষ্টপুর গ্রামের এক প্রান্তে বাড়ি পেশায় চাষি ফিরোজউদ্দিন মল্লিকের। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে তিনি ওই বাড়িতেই থাকেন। ফিরোজউদ্দিনের ছেলে ইব্রাহিম মল্লিক এদিন বলেন,শুক্রবার অনেকটা রাতে তাঁদের বাড়িতে পুলিশ আসে। পুলিশ তাঁদের ঘুম থেকে তোলে। ঈব্রাহিম জানায় কি কারণে গভীর রাতে পুলিশ তাঁদের বাড়িতে তা সে জানতে চায়। তখন পুলিশের একজন তাঁকে চড় মেরে বলে, তাঁদের বাড়িতে বোমা রাখা আছে। ফিরোজউদ্দিনের স্ত্রী সাকিলা বানু অভিযোগে বলেন,মধ্য রাতে তাঁদের বাড়িতে পুলিশ ঢুকে হুমকি দেয়। বাড়িতে থাকা অন্য মহিলাদেরও পুলিশ ধমকায়। সাকিলা বিবি দাবী করেন, তাঁদের পরিবার চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে। পরিবারের কেউ রাজনীতিও করে না। চক্রান্ত করে কেউ ব্যাগে ৪টি বোমা ভরে নিয়ে এসে তাঁদের বাড়ির বাথরুমের ছাদে রেখে দিয়ে গিয়ে পুলিশকে ফোন করেছে। তাঁরা নির্দোশ বলে জানান সাকিলা বিবি।পুলিশ যদিও ফিরোজউদ্দিণের পরিবাবার সদস্যদের এইসব বক্তব্যকে কোন গুরুত্ব দেয় নি। বর্ধমান থানার সাব-ইন্সপেক্টর সঞ্জয় মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়িতে বোমা মজুত রাখার অভিযোগে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ ফিরোজউদ্দিন মল্লিককে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ দাবি করেছে, ধৃত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বোমার কারবারে সঙ্গে জড়িত। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন এই কারবারে জড়িত রয়েছে। এদিনই ধৃত ফিরোজউদ্দিন কে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। আরও বোমা উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে তদন্তকারী অফিসার এদিন ধৃতকে ৫ দিন পুলিশি হেপাজতে নেবার জন্য আদালতে আবেদন জানায়। ধৃতের আইনজীবী অবশ্য মিথ্য মামলায় ফাঁসানোর হয়েছে বলে জানিয়ে পুলিশি হেপাজতের বিরোধীতা করেন। দুই পক্ষের সওয়াল শুনে সিজেএম ধৃতকে ৪ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।এই ঘটনা কার্যতই হতবাক করে দিয়েছে এলাকাবাসীকে। তাঁরা দাবী করেছেন, ফিরোজউদ্দিনের পরিবারটি সাতেপাঁচে থাকে না। প্রতিবেশী সোনেহারা বিবি ও সালমা বেগম বলেন, এই ঘটনার নিয়ে আমরা শুধু আতঙ্কিতই নই, বিস্মিতও হয়েছি। কারণ, ফিরোজউদ্দিনের পরিবার চাষবাস নিয়েই থাকে। এরকম কিছুতে ওদের জড়িত থাকাটা কোন ভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এলাকাসূত্রে এও জানা গিয়েছে ,একটি ওয়াকফ সম্পত্তি প্রমোটারদের বিক্রিতে বাঁধা দিয়েছিলেন ফিরোজউদ্দিন ও তাঁর পরিবার সদস্যরা। এলাকাবাসীর ধারণা, তার কারণেই প্রোমোটার ও জমির দালালরা ফিরোজ উদ্দিনের পরিবারকে ফাঁসাতে এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মার্চ ২৭, ২০২২
রাজ্য

চরম অমানবিক, নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বাবা

বাবার যৌন অত্যাচারের জেরে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লো নাবালিকা মেয়ে। এমনটা জেনে হয়তো অনেকেই হতবাক হবেন। কিন্তু বাস্তবেই হতবাক করে দেওয়ার মত এমন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। দিনের পর দিন ধর্ষণ করে নিজের নাবালিকা মেয়েকে অন্তঃসত্বা করে দেওয়ার অভিযোগে কুলাঙ্গার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে কালনা থানার পুলিশ। সুননির্দিষ্ট ধরায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। নির্যাতিতা নাবালিকাকেও এদিন মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বিচারক ধৃত অভিযুক্তকে জেল হেফাজত ও তার মেয়েকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নাবালিকার বাবার দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবী করেছেন এলাকাবাসী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনায় বাড়ি বছর পনোরো বয়সী নাবালিকার। কালনা থানার পুলিশের কাছে সে অভিযোগে জানিয়েছে, তাঁর বাবা গত দু-বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তাঁর মা বাইরে কাজে চলে গেলেই তাঁর বাবা তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করতো। তাঁর বাবা শুধু তাঁকে ধর্ষণ করেই খান্ত থাকেনি। হুমকি দিয়েছিল, তার কু-কীর্তির কথা কাউকে জানালে সে তাঁকে প্রাণে মেরে দেবে। সেই হুমকিতে ভীত হয়ে এতদিন কাউকে কিছু জানাতে পারেনি বলে নাবালিকা পুলিশকে জানায়। নাবালিকা পুলিশকে এও জানায়, দিনের পর দিন নিজের বাবার যৌন আত্যাচারের শিকার হতে হওয়ায় সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। ডাক্তারের কাছে গিয়ে নাবালিকা জানতে পারে সে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে। এরপরেই নাবালিকা কালনা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। সে পুলিশের কাছে নিজের বাবার অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে ধর্ষনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে পুলিশ নাবালিকার বাবাকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দা মহলেও তোলপাড় ফেলে দিয়েছে।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজ্য

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, অভিযোগের আঙুল উঠলো বন্ধুর দিকে

বিয়ে বাড়িতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। যা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে। মৃত ছাত্রের নাম শেখ জিৎ (১৬)। বর্ধমানের সড়াইটিকর মন্সিপাড়ার এই ছাত্র এবছর বর্ধমান হাই মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।শনিবার সকালে এলাকার একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্তায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যদিও হাঁটু ভাঁজ করা অবস্তায় ছাত্রের পা মাটিতে ঠেঁকেছিল। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ছাত্র জিৎ আত্নহত্যা করেছে বলে মানতে চাননি তাঁর পরিবার। জিৎকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। ছাত্রেয় মৃত্যুর প্রকৃত কারণ কি তার তদন্ত পুলিশ শুরু করেছে।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র শেখ জিৎ শুক্রবার তাঁদের পাড়ারই একটি বিয়ে বাড়িতে যায়।সেখানে সবার সঙ্গে সে নাচ-গান করে। বন্ধু শেখ শরিফের বাড়িতে রাতে ঘুমাতে যচ্ছে বলে বলে জিৎ তাঁর বাড়ির লোকজনকে জানায়। জিতের বাবা শেখ আল্লারাখা এদিন পুলিশকে অভিযোগে জানান, তাঁর ছেলে শুক্রবার পাড়ার একটি বিয়ে বাড়িতে যাবার সময় বলে যায় বাড়িতে আনন্দ করবো। রাতে বাড়িতে ফিরবো না। বন্ধু শেখ শরিফের বাড়িতে ঘুমাবো বলেও সে জানিয়ে যায়। এরপরই এদিন সকালে বাড়ির অদূরেএকটি গাছে ঝুলে থাকা অবস্থায় ছেলের দেহ উদ্ধার হয়৷ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁরা দেখেন ছেলের দেহ গাছে ঝুললেও হাঁটু ভাঁজ করা অবস্তায় তাঁর পা মাটিতে ঠেকে আছে।শেখ আল্লারাখা বলেন, পুলিশ ঘটনা বিষয়ে শরিফকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় রাত বারোটার সময় সে জিৎকে ঘর থেকে বার করে দিয়েছে। ঘর থেকে বের করে দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে শরিফ জানায়, তাঁর ঘুম পেলেই জিৎ উঠে পালিয়ে যাচ্ছিল। তাই সে জিৎকে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার কথা জিতের বাড়িতে জানালে যদি বকাবকি করে তাই কাউকে কিছু জানায় নি বলে শরিফ বলে। ছেলের বন্ধুর এমন বক্তব্য রহস্যজনক ঠেকায় শেখ আল্লারাখা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার যথোপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।তদন্তে নেমে পুলিশ ছাত্রের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই পুলিশ পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের কেষ্টপুর থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা রাখা নিয়ে প্রশ্ন অভিযুক্তের পরিবারের

পূর্ব বর্ধমানের কেষ্টপুর গ্রাম থেকে বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। এই ঘটনায় পুলিশ ফিরোজউদ্দিন মল্লিক নামে এক গ্রামবাসীকে আটক করেছে। তাঁর পুত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, ওই পরিবারটি কারও সাতেপাঁচে থাকে না। পুত্র ইব্রাহিম মল্লিকের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ এসে তাঁকে ঘুম থেকে তোলে। তাঁকে চড় মারা হয়। তারপর বলা হয় বাড়িতে বোম রাখা আছে। তাঁর মা সাকিলা বানুর দাবি, মধ্যরাতে পুলিশ এসে হুমকি দেয়। মেয়েদের ধমকায়। তাঁর দাবি, কেউ বোমা রেখেই পুলিশকে খবর দিয়েছে। তাঁরা এসবে জড়িত নন।এলাকার বাসিন্দা সোনেহারা বিবি, সালমা বেগমরা একদিকে আতঙ্কিত অন্যদিকে বিস্মিত। তাঁরা জানান, এই পরিবারটি চাষবাস নিয়ে থাকে। এরকম কিছুতে তাঁরা জড়িত থাকা কার্যত অসম্ভব। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ওয়াকফের সম্পত্তি বিক্রিতে বাঁধা দেন এই পরিবারের সদস্যরা। এলাকাবাসীর ধারণা, প্রোমোটাররা সেকারণেই এইরকম কারসাজি করে থাকতে পারে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন, এটা নিয়ে একটি কেস করা হবে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্ত চলছে।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই গ্রেপ্তার আনারুল

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই বগটুই-কাণ্ডে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। আনারুলের বিরুদ্ধেই প্রথম থেকে অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেও তাঁরা একই অভিযোগ করেন। আর তারপরই আনারুলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হল তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে। মমতা নির্দেশ দেওয়ার পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। পরে তাঁকে তারাপীঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে বলেছিলেন, যেখান থেকে সম্ভব তুলে এনে গ্রেপ্তার করতে হবে আনারুলকে। সেই মতো পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গেলেও পাওয়া যায়নি আনারুলকে। গেটে তালা লাগানো ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আনারুল হোসেন কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন সেই খোঁজ শুরু হয়। পরে তারাপীঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। নৃশংস এই হত্যাকান্ডে বৃহস্পতিবার থেকে বারবার তাঁর নাম উঠে এসেছে। স্থানীয়রা বলেছেন, আগুন লাগান হয়েছে তাঁর নির্দেশেই। তবে এই অভিযোগ শোনার পরও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি তিনি। সাফ জানান, ওই সময় এলাকাতেই ছিলেন না তিনি। শুধু তাই নয়, শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন আনারুল।

মার্চ ২৪, ২০২২
নিবন্ধ

ওরা আমাকে একটা পুড়ে যাওয়া বাড়ির ভিডিও পাঠায়......

বুশেনওয়াল্ড-এর অয়ারলেস ক্রমাগত আবেদন ছড়িয়ে দিচ্ছে আকাশে বাতাসে-- বুশেনওয়াল্ড কয়েদী শিবির সাহায্য চাইছে ! বুশেনওয়াল্ড কয়েদী শিবির সাহায্য চাইছে! বুশেনওয়াল্ড কয়েদী শিবির... সারা শিবিরে জয়ধ্বনি উঠেছে, বহু সহস্রের মিলিত কণ্ঠে বাঁধভাঙ্গা জলস্রোতের মত জনস্রোত ছুটে বেরুচ্ছে শিবির থেকে মাঠের পানে। উচ্ছ্বসিত, উদ্বেলিত, আনন্দ কোলাহলে মুখর এক বিশাল মিছিল।---- আমরা যারা সাত-আটের দশকে এক অমল শৈশব কাটিয়েছি এই বাংলায়, তাদের অনেকেরই পড়া জার্মান সাহিত্যিক ব্রুনো আপিজ-এর নেকেড অ্যামং উল্ভস, সুধীন্দ্রনাথ রাহা-র অনুপম অনুবাদে যে কাহিনী আমাদের প্রথম দিয়েছিল নাৎসী জার্মানীর কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের বীভৎসতার মর্মন্তুদ বর্ণনা। দেব সাহিত্য কুটির-এর প্রকাশনায় বিদেশী গল্প চয়ন বইটির বারোটি বিখ্যাত বিদেশী আখ্যানের প্রতিটিই ছিল বিশিষ্ট; তবে নেকেড অ্যামং উল্ভস বিষয়বস্তুর কারণেই ছিল তার মধ্যে নিজ বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল। সেই বুশেনওয়াল্ড! ওয়াইমার-এর অনতিদূরে যে বন্দীনিবাস আউশভিৎজ-এর মতো ততো কুখ্যাতি অর্জন করে নি শুধু এই কারণে যে সেখানে গ্যাসচেম্বার ছিল না গণহত্যার জন্য। তাবলে অন্য কোনো দিক দিয়ে বুশেনওয়াল্ড-এর বন্দীশিবির কম নারকীয় ছিল না আউশভিৎজ-এর তুলনায়। স্বয়ং ব্রুনো আপিজ নাৎসী-নীতির বিরোধী হওয়ার কারণে দীর্ঘ কয়েক বছর নরকযন্ত্রণা সহ্য করেছিলেন এখানে, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত--- মার্কিন সেনার আগমনে যখন বুশেনওয়াল্ড-এর পতন ঘটে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি রচেছিলেন কালজয়ী এই উপন্যাস।সাতাত্তর বছর আগে অ্যাডল্ফ হিটলার-এর সেই মৃত্যুশিবির থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন আরো এক তরুণ, উনিশ বছরের বরিস রোমানশেঙ্কো। চারের দশকের শুরুর দিকে ইহুদী বরিস রোমানশেঙ্কো বন্দী ছিলেন পর পর তিনটি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে--- পিয়েনেমুন্ডে, মিত্তেলবাউ-দোরা, এবং বার্গেন-বেলসেন। সবশেষে বুশেনওয়াল্ড-এর কুখ্যাত বন্দীশিবিরে অবর্ণনীয় কষ্টে দিন কাটছিল তাঁর, ১১ই এপ্রিল ৪৫ -এ মিত্রপক্ষের মার্কিন সেনারা সেখানকার একুশ হাজার বন্দীকে মুক্ত না করা পর্যন্ত। ২০১৮-য় ঐ ক্যাম্পের মুক্তির ৭৩-তম বর্ষপূর্তিতে শেষ জীবিত বন্দীদের অন্যতম হিসেবে উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল বরিস রোমানশেঙ্কো-র।নাৎসী নেকড়ে-দের উদ্যত নখ-দাঁত-থাবা থেকে রক্তাক্ত ছিন্নভিন্ন হয়েও ফিরে আসা ৯৬ বছরের বরিস থাকতেন ইউক্রেন-এর খারকিভ শহরে। নাতনি ইউলিয়া থাকেন অন্য শহরে। তিনি জানিয়েছেন: ১৮ই মার্চ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানতে পারি, খারকিভ-এর সলতিভকা-য় শেলিং করেছে রুশ সেনা। আমি স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করে পাঠাই, আমার দাদুর কোনো খবর জানো? ওরা আমাকে একটা পুড়ে যাওয়া বাড়ির ভিডিও পাঠায়। ততক্ষণে খারকিভ-এ কারফিউ জারী হয়েছে। ফলে তখন আর ওখানে গিয়ে উঠতে পারি নি। নাতনি যখন সেই পাড়ায় পৌঁছোতে পারলেন, দেখলেন দাদুর বাড়িটা আর নেই: পুরোটাই পুড়ে খাক। দরজা-জানালা-ব্যালকনি--- কিছুই অবশিষ্ট নেই। আর দাদু? কামানের গোলার আগুন নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে হিটলার-এর গণনিধনযজ্ঞ থেকে বেঁচে ফিরে আসা ছিয়ানব্বই বছর বয়সী মানুষটিকে।বুশেনওয়াল্ড কনসেনট্রেশন ক্যাম্প মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউট-ও একাধিক টুইট-এ জানিয়েছে বরিষ্ঠ এই হলোকস্ট-সারভাইভার -এর চলে যাওয়ার দুঃসংবাদ। সাতাত্তর বছর আগে যে মুক্তিফৌজ নতুন জীবন দিয়েছিল বরিস-কে, সেই মিত্রপক্ষেরই প্রধান শরিক সোভিয়েত রাশিয়ার উত্তরসূরী বাহিনী এক ফুঁয়ে নিভিয়ে দিল নবতিপর মানুষটির প্রাণপ্রদীপ।নিয়তির কী নিষ্ঠুর পরিহাস!......ডঃ সুজন সরকার, বর্ধমান।(তথ্যসূত্র: এই সময়, ২৩শে মার্চ ২২)

মার্চ ২৪, ২০২২
কলকাতা

'দোষীরা ছাড় পাবে না', কালই বগটুইয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বৃহস্পতিবারই যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হওয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার তখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি-র বিধায়ক দল। দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়নি বিজেপির প্রতিনিধি দল। তার আগেই মমতা জানিয়ে দিলেন তিনি যাচ্ছেন। সঙ্গে এটাও জানালেন যে, বিজেপি বিধায়ক দলের কর্মসূচি না থাকলে যেতেন বুধবারেই। মঙ্গলবরাই তদন্তকারী দল গঠন করে রাজ্য প্রশাসন যে তৎপরতা দেখিয়েছিল তার ধারাবাহিকতাই যেন বজায় থাকল মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায়। বিরোধী দলনেত্রী থাকাকালীন যে ভাবে দ্রুত অকুস্থলে পৌঁছে যেতেন সে ভাবেই বৃহস্পতিবার যাচ্ছেন আগুনে পুড়ে আট জনের মৃত্যু হওয়া বগটুই গ্রামে। বুধবার তিনি বলেন, আজই যেতাম। কিন্তু বিরোধীরা গিয়েছেন। আগামিকাল আমি যাচ্ছি।রামপুরহাটে যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। যারা এর পিছনে রয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না। বগটুই গ্রামের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথমবার মুখ খুলেই জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে আক্রমণ শানালেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে। এই রাজ্যের বিজেপি নেতাদের তো বটেই, মমতার আক্রমণ ছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি নিয়েও।বগটুইয়ের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তৃণমূল এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করে। এ দিন মমতা যেন সেই দাবিতে সিলমোহর দিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তৃণমূলের যে যোগ নেই সেই দাবি করে তিনি বলেন, আমরা সরকারে। আমরা কি চাই কোথাও কেউ বোমা মারুক! বদনামের চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ ছাড় পাবে না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সিপিএম, কংগ্রেসের মতো চক্রান্তকারী দল নই। এর পাশাপাশি মমতা নাম না করেও বিজেপি-কে আক্রমণ করে বলেন, আসলে দাঙ্গা করতে পারছে না। লোকে খেতে পারছে না, তাও তো বলতে পারছে না। মেয়েরা পড়াশুনা করতে পারছে না, এ কথাও বলতে পারছে না। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না, এ কথা বলতে পারছে না। তাই দেশলাই জ্বালানো খুব সহজ তাই না। দেশলাই জ্বালাতে চক্রান্তকারীদের জুড়ি নেই। কিন্তু তারা এটা বোঝে না যে, অন্যের ঘরে দেশলাই জ্বাললে নিজের ঘরে এসেও পড়তে পারে। অনেক নষ্টামি, অনেক দুষ্টুমি দেখেছি। এর সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কালকেও দেখেছেন গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে, পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এটা নিয়ে যাতে কেউ বলতে না পারে, তাই হট করে একটা এমন ঘটনা ঘটিয়ে দিচ্ছে।

মার্চ ২৩, ২০২২
রাজ্য

রামপুরহাটের ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তি দিক রাজ্য, হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব মোদি

রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে চাপানউতোর তুঙ্গে তখন মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে দিল্লি থেকে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মোদি। সেই অনুষ্ঠানের ভাষণে তিনি বলেন, রামপুরহাট জঘন্য অপরাধ হয়েছে। রাজ্য সরকারকে বলব অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপি কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেছে। সিবিআই-এর পাশাপাশি এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির। আর তারই মধ্যে মোদি বললেন, এই ঘটনার তদন্তে রাজ্যকে সবরকম সাহায্য করবে কেন্দ্র।মোদি আরও বলেন, আশা করি সরকার অপরাধীদের দ্রুত সাজা দেবে। বাংলার মানুষের কাছে আমার আবেদন, অপরাধীদের যারা প্রশ্রয় দেবে তাদের ক্ষমা করবেন না। ইতিমধ্যেই বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা একটি সত্যতা যাচাই কমিটি তৈরি করেছেন। সেই কমিটির সদস্যরা বুধবার রাতেই কলকাতায় এসে বৃহস্পতিবার বগটুই যাওয়ার কথা। এ সবের মধ্যেই মোদির বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মার্চ ২৩, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 24
  • 25
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • 30
  • ...
  • 78
  • 79
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

আইএমএফের চাপে লাগামছাড়া জিএসটি! পাকিস্তানে জনবিস্ফোরণের আশঙ্কা

কন্ডোমের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি নিয়ে চরম উদ্বেগে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ-এর নির্দেশে এই কর বসানো হয়েছে। এর ফলে কন্ডোমের দাম এতটাই বেড়েছে যে তা এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আইএমএফ-এর কাছে কর কমানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আইএমএফ। এই সিদ্ধান্তে দেশে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে পাক সরকার।আইএমএফ-এর ঋণের উপরই কার্যত নির্ভরশীল পাকিস্তানের অর্থনীতি। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের শর্ত হিসেবেই কর আদায় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আইএমএফ। তার জেরেই কন্ডোম, স্যানিটারি ন্যাপকিন ও শিশুদের ডাইপারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বসানো হয়েছে।পাকিস্তান সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছিল, জনস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কথা ভেবে অন্তত কন্ডোমের উপর থেকে কর কমানো হোক। কিন্তু আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের মাঝপথে কর কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন করা যাবে না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের বাজেটে। আইএমএফের যুক্তি, কন্ডোমের উপর থেকে কর তুলে নিলে সরকারের কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে, যা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।এই পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগে রয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। পাকিস্তানে বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার প্রায় ২.৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ বাড়ছে। সরকার মনে করছে, কন্ডোমের দাম বেড়ে যাওয়ায় বহু মানুষ তা ব্যবহার করতে পারছেন না। এর ফলে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উপর আরও চাপ ফেলবে।পাক সরকারের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে। কিন্তু আইএমএফ-এর কড়া অবস্থানের সামনে আপাতত অসহায় ইসলামাবাদ। এখন পরের বাজেটের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া শাহবাজ সরকারের হাতে আর কোনও পথ খোলা নেই।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

তাহেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে মর্মান্তিক ঘটনা, কুয়াশায় প্রাণ গেল চারজনের

এসআইআর আবহের মধ্যেই শনিবার পশ্চিমবঙ্গে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নদিয়ার তাহেরপুরে তাঁর সভা রয়েছে। সকাল থেকেই সভাস্থলের দিকে ভিড় জমতে শুরু করেছিল। ঠিক সেই সময়েই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ট্রেনের ধাক্কায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, মৃত ও আহত সকলের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মোদির সভায় যোগ দিতেই নদিয়ার তাহেরপুরে এসেছিলেন। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।শনিবার ভোরে তাহেরপুর স্টেশনের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার সাবলদহ গ্রাম থেকে প্রায় ৪০ জন তাহেরপুরে আসেন। ভোরবেলা তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রেললাইনের ধারে প্রাতঃকৃত্য সারতে যান। সেই সময় আচমকাই দ্রুতগতির একটি ট্রেন চলে আসে। ট্রেনের ধাক্কায় চার জন লাইনের উপর ছিটকে পড়েন। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।একই ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য জনের চিকিৎসা চলছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অনেকটাই কম ছিল। সেই কারণেই ট্রেন আসছে বুঝতে না পারায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য সম্ভাবনাগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মতুয়াগড় হিসেবে পরিচিত নদিয়ার তাহেরপুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদির সভা ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা তুঙ্গে। তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হট টাব থেকে সুইমিং পুল, এপস্টেইন নথিতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ছবি

কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনকে ঘিরে ফের তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি। এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কিত হাজার হাজার পাতার নথি প্রকাশ করল মার্কিন ন্যায় বিভাগ। সেই নথিতে বারবার উঠে এসেছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের নাম। প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক ছবি। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয়, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম ও ছবি সেখানে প্রায় নেই বললেই চলে।প্রকাশিত ছবিগুলির একটিতে তরুণ বিল ক্লিন্টনকে একটি হট টাবে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। ছবির একটি অংশ কালো রঙে ঢেকে রাখা হয়েছে। অন্য একটি ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক মহিলার সঙ্গে সাঁতার কাটছেন ক্লিন্টন। ওই মহিলা এপস্টেইনের ঘনিষ্ঠ ও প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল বলে মনে করা হচ্ছে। আরও একটি ছবিতে ক্লিন্টনের পাশে দেখা গিয়েছে পপ সংগীতের কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনকে। তাঁদের পাশেই ছিলেন গায়িকা ডায়ানা রস।এই সব ছবি ও তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি। নব্বইয়ের দশক এবং দুই হাজার দশকের শুরুতে এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কথা আগে একাধিকবার সামনে এসেছে। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত নথিতে তাঁর কোনও ছবি নেই। নামও এসেছে মাত্র একবার, একটি যোগাযোগের খাতায়। সেই খাতাটি কার, তাও স্পষ্ট নয়।অথচ এর আগে প্রকাশিত নথিতে ট্রাম্পের উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছিল। এমনকি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে তাঁকে দেখা যাওয়ার কথাও উঠে এসেছিল। সেই কারণেই নতুন নথিতে তাঁর অনুপস্থিতিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের ধারণা, নিজেকে আড়াল করতে বিল ক্লিন্টনের দিকেই আলো ঘোরানোর চেষ্টা করছেন ট্রাম্প। উল্লেখযোগ্য ভাবে, মাসখানেক আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে বিল ক্লিন্টনের সম্পর্ক নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন ট্রাম্প। সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানা যায়।এই পরিস্থিতিতে বিল ক্লিন্টনের শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বলেন, এপস্টেইন সংক্রান্ত তদন্ত শুধুমাত্র বিল ক্লিন্টনকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না। তাঁর বক্তব্য, বহু পুরনো ছবি প্রকাশ করতেই পারে প্রশাসন, কিন্তু গোটা বিষয়টি শুধু ক্লিন্টনকে ঘিরে নয়। তিনি বলেন, এপস্টেইনের ক্ষেত্রে দুধরনের মানুষ ছিলেন। একদল, যাঁরা অপরাধের কথা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আরেক দল, যাঁরা এরপরও যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিল ক্লিন্টন প্রথম দলের মধ্যেই পড়েন।নাম না করলেও ক্লিন্টন শিবির যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেই নিশানা করছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ট্রাম্প যতই চেষ্টা করুন না কেন, এপস্টেইন কেলেঙ্কারি থেকে নিজের নাম পুরোপুরি সরিয়ে রাখা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
দেশ

অসমে ট্রেন-হাতির সংঘর্ষ, লাইনচ্যুত রাজধানী, মৃত অন্তত ৮ হাতি

ভোরের ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেই অবস্থাতেই একপাল হাতিকে ধাক্কা মারল রাজধানী এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয়ে যায় রাজধানী এক্সপ্রেসের পাঁচটি কামরা। ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত আটটি হাতির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। দুর্ঘটনার জেরে ওই রুটে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ট্রেন চলাচল।শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ভোরে অসমের যমুনামুখ-কামপুর সেকশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাটি নর্থ-ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের লুমডিং ডিভিশনের আওতায়। জানা গিয়েছে, সাইরং থেকে নয়া দিল্লিগামী রাজধানী এক্সপ্রেস দ্রুত গতিতে আসছিল। সেই সময়ই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একপাল হাতি। চারদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় দূর থেকে কিছুই দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান।গুয়াহাটি থেকে প্রায় ১২৬ কিলোমিটার দূরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অংশটি হাতির নির্দিষ্ট করিডর নয়। ট্রেনের লোকো পাইলট জানিয়েছেন, সামনে হাতির পাল দেখতে পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। কিন্তু হাতিগুলি আরও এগিয়ে আসায় শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি।প্রবল ধাক্কার জেরে ট্রেনের ইঞ্জিন ও পাঁচটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর, এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও যাত্রীর আহত বা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর যেসব কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল, সেখানকার যাত্রীদের নিরাপদে অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মোট আটটি হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক হাতির মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত একটি রিলিফ ট্রেন পাঠানো হয়। রেল আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন।রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত কামরা এবং হাতিগুলির দেহ ট্র্যাকে ছড়িয়ে থাকায় উদ্ধারকাজে বেশ সময় লাগছে। সেই কারণে অসমের উপরের অংশ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।যাত্রীরা যাতে অসুবিধায় না পড়েন, সে জন্য গুয়াহাটি পৌঁছনোর পর রাজধানী এক্সপ্রেসে অতিরিক্ত কোচ জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

হিন্দু যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার নিন্দা বিএনপির

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করল বিএনপি। একই সঙ্গে এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ জুড়ে যে হিংসা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁর অভিযোগ, একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়াকে অনিশ্চিত করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে।শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বিএনপি। একই সঙ্গে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, হাদির মৃত্যুর পর যেভাবে সারা দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তা নিছক স্বতঃস্ফূর্ত নয়, বরং পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে।হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের দফতরে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনাও তীব্র ভাষায় নিন্দা করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই হামলার ফলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন চরম ঝুঁকির মুখে পড়ে। পাশাপাশি নিউ এজ-এর সম্পাদক নূরুল কবীরকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনা, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি, ছায়ানট ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর উপর হামলারও নিন্দা করেন তিনি। ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রসঙ্গও তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে।এই সব ঘটনার মধ্যে সবচেয়ে নৃশংস বলে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি জানান, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এক হিন্দু যুবককে গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ভয়াবহ, ঘৃণ্য ও ন্যাক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সমস্ত ঘটনা প্রমাণ করে যে পুরনো একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নস্যাৎ করা এবং দেশে ফ্যাসিবাদের নতুন রূপ প্রতিষ্ঠা করা।বর্তমান ইউনূস সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সরকারের নাকের ডগাতেই এই সব ঘটনা ঘটছে, অথচ সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক বলে মনে হচ্ছে না। এর ফলে দেশের ভিতরে ও বাইরে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, এই হত্যাকাণ্ড ও হিংসার বিরুদ্ধে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দল প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি তুলেছে। তবুও হিংসা থামছে না, যা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।শেষে তিনি বলেন, শান্তিকামী ও গণতান্ত্রিক দেশবাসীর পক্ষ থেকে এই অপশক্তিকে সতর্ক করে দিতে চায় বিএনপি। এত রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবেই এই ষড়যন্ত্র ও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
বিদেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ? একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা

বাংলাদেশ জুড়ে ফের অশান্তির আগুন। শিল্প ও সংস্কৃতির দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে একের পর এক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে এসেছে। এর আগে ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরেও হামলার ঘটনা ঘটে। প্রশ্ন উঠছে, এই সব তাণ্ডব কি শুধুই ওসমান হাদির মৃত্যুর ক্ষোভ, না কি এর পিছনে রয়েছে সংগঠিত কোনও শক্তি?শুক্রবার রাতে ঢাকার তোপখানা সড়কে অবস্থিত উদীচীর কার্যালয়ে প্রথমে ভাঙচুর চালানো হয়। এরপর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দমকলের চারটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাঁর দাবি, ছায়ানট, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার ধারাবাহিকতার মধ্যেই উদীচীর উপর আঘাত এসেছে।উদীচী কার্যালয়ে হামলার খবর পেয়ে সেখানে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও তাসনিম জারা-সহ দলের নেতৃত্ব। সেখানে ইউনূস সরকার দরকার নেই স্লোগান ওঠে বলে জানা গেছে।এই অশান্তির সূত্রপাত হয় এক সপ্তাহ আগে। ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ ডিসেম্বর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বাড়তে থাকে।ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আগুন জ্বলে ওঠে। হামলা হয় দেশের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের দফতরে। একই সঙ্গে আক্রমণ চালানো হয় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ৩২ ধানমন্ডি এবং প্রখ্যাত সংস্কৃতি কেন্দ্র ছায়ানটেও। ভাঙা হয় বাদ্যযন্ত্র, ছিঁড়ে ফেলা হয় বই। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এই লাগাতার হামলায় উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী মহল।যে বাংলাদেশ এক সময় গান, নাটক, কবিতা আর মুক্তচিন্তার জন্য পরিচিত ছিল, আজ সেখানে মৌলবাদী হিংসার ছায়া আরও গাঢ় হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

ডিসেম্বর ২০, ২০২৫
রাজ্য

যুবভারতী কাণ্ডে নতুন মোড়, শতদ্রু দত্তের রিষড়ার বাড়িতে হানা বিধাননগর পুলিশের

যুবভারতী কাণ্ডের পর থেকেই রিষড়ার একটি ঝাঁ চকচকে তিনতলা বাড়ি ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িতেই হাজির হল বিধাননগর পুলিশ। যুবভারতী স্টেডিয়ামে মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে হওয়া বিশৃঙ্খলার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উদ্যোক্তা শতদ্রু দত্তের এই বাড়িতে এদিন তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে এই তল্লাশি, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।গত ১৩ ডিসেম্বর যুবভারতী স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসির অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন শতদ্রু দত্ত। ওই দিন স্টেডিয়ামে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়ায়। সেই ঘটনার পরই আয়োজক সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এবং পুলিশ শতদ্রুকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঠিক সেই সময়ই শুক্রবার সকালে তাঁর রিষড়ার বাড়িতে পৌঁছে যায় বিধাননগর পুলিশের একটি দল।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ বিধাননগর থানার পাঁচজন আধিকারিক, তাঁদের মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মীও ছিলেন, এদিন সকালে রিষড়ায় যান। প্রথমে তাঁরা রিষড়া থানায় হাজির হন। পরে স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় বাঙুর পার্ক এলাকায় শতদ্রু দত্তের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র এক পরিচারিকা ছিলেন। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা।এরপর তিনতলা বাড়ির প্রতিটি ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে একটি ব্যক্তিগত ফুটবল মাঠ এবং একটি সুইমিং পুল রয়েছে। সেগুলিও ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে তল্লাশির পর বাড়ি থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।এদিকে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান, মেসির অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। যুবভারতী কাণ্ডে পুলিশের তরফে ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সেই এফআইআরের ভিত্তিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইসিআইআর দায়ের করে আর্থিক লেনদেনের উৎস খতিয়ে দেখতে পারে বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫
দেশ

সংবাদমাধ্যমে আগুন, ভারত-বিরোধী স্লোগান—ঢাকা পরিস্থিতিতে কড়া নজর দিল্লির

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ একাধিক শহরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছে এবং কট্টরপন্থীদের একাংশ প্রকাশ্যে ভারত-বিরোধী মন্তব্য করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে কড়া নজর রাখছে ভারত।সূত্রের খবর, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় যেখানে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস রয়েছে, সেখানে কর্মরত ভারতীয় আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে নয়া দিল্লি। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জেরে একাধিক জায়গায় ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে।বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে কট্টরপন্থীদের বিক্ষোভ চলে। কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই বিক্ষোভ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের বাসভবন ঘিরে ধরার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে খবর আসে। বিভিন্ন দিক থেকে অফিস ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়। এই পরিস্থিতিতে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় আজও ভিসা কেন্দ্র বন্ধ থাকতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগেও বাংলাদেশের এক রাজনৈতিক মিছিলে ভারতের সেভেন সিস্টার্সকে আলাদা করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত। সেই মন্তব্যের পরই দিল্লি কড়া অবস্থান নেয়। বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে স্পষ্ট জানানো হয়, এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য ভারত কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর স্পষ্ট, সেই বার্তা এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal