• ২৯ কার্তিক ১৪৩২, বুধবার ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Dumdum

রাজ্য

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, বিক্ষোভ, ভাঙচুর দমদমের স্কুলে

দমদমের একটি সরকারি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর শীলতাহানির অভিযোগে স্কুলে বিক্ষোভের পাশাপাশি ভাঙচুর চালালো, ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা।দমদম ভারতীয় বিদ্যামন্দির স্কুলের ছাত্রীর সাথে অশ্লীল আচরণের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার, নির্যাতিতা ছাত্রী অষ্টম ক্লাসে পঠারত। সে দমদম বিশরপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গত তিন ফেব্রুয়ারি স্কুলে গেলে অভিযোগ স্কুলের হেডমাস্টার শুভজিৎ ভট্টাচার্য ছাত্রীর শ্রীলতাহানি করেন। এরপর ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে সমস্ত বিষয় জানালে, আজ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর পাশাপাশি অভিভাবকরা এসে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ও স্কুলে ভাঙচুর করে। অবিলম্বে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করতে হবে এও দাবি জানায় অভিভাবকরা। অভিযোগ এর আগেও নাকি হেডমাস্টার অনেক ছাত্রীর শীলতাহানি করেছে। তাই এই বিষয় নিয়ে দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তারা।

মার্চ ০৪, ২০২৫
কলকাতা

বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা এবার দক্ষিণ দমদমে, আবাসিকরা আতঙ্কিত

বহুতল হেলে পড়ে যাওয়ার খবর মিলেই চলেছে। কলকাতা পুরসভা, বিধাননগর পৌর নিগমের পর দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণদাঁড়িতে পাঁচ তলা বিল্ডিং হেলে পড়ার ঘটনা ঘটলো। এর আগে শুধু কলকাতা নয়, হাওড়া ও কামারহাটিতেও বহুতল আবাসন হেলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণদাঁড়ির ৪৭ নম্বর পাঁচতলা বহুতল আবাসনটি পাশের বাড়ির ওপর হেলে পড়েছে। বিপজ্জনকভাবে বাড়ি হেলে যাওয়ার ঘটনায় আতঙ্কিত ওই বহুতলের আবাসিকরা। সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ দিয়ে এক টুকরো মাথার ছাদ কিনেছিলেন। আর সেই ছাদ টুকু চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি জমির ওপর বহুতলটি বৈধভাবে গড়ে উঠেছিল? আদৌ কি মাটি পরীক্ষা করা হয়েছিল? প্রশ্ন উঠেছ এই বিল্ডিংটির ডেভেলপার রবি গুপ্তা কি রাজ্যের কোনও মন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ?

জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
কলকাতা

মেট্রোপথে জুড়তে চলেছে কলকাতা বিমানবন্দর, নোয়াপাড়া থেকে ঘুরে গেল ট্রায়াল মেট্রো

মেট্রো যাত্রীদের জন্য আরও একটি সুখবর। মেট্রোতে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন আরও জোরালো হল। কারণ, নোয়াপাড়া-জয় হিন্দ বিমানবন্দর লাইনের (৭.০৪ কিমি) ইউপি এবং ডিএন উভয় লাইনেই প্রথম পূর্ণাঙ্গ ট্রায়াল রান সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের ঠিক আগে, আজ, শুক্রবার নোয়াপাড়া থেকে এই ট্রায়াল রান শুরু হয়েছিল। রেক নং এমআর ৪০৮ দিয়ে মেট্রো কর্মী, কর্মকর্তা এবং কৌতূহলী দর্শকরা তাদের সামনে ইতিহাস তৈরি হতে দেখেছেন।এই ট্রায়াল রানের সময় মেট্রো রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি, অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো ট্রায়াল রানের সময় মোটরম্যানের ক্যাবে শ্রী রেড্ডি উপস্থিত ছিলেন। জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনে যাওয়ার পথে, রেকটি দম দম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে থামে এবং জেনারেল ম্যানেজার এই স্টেশনটি পরিদর্শন করেন।ট্রায়াল রেকটি শেষ পর্যন্ত ১২:৩১ মিনিটে জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনে পৌঁছায়। মেট্রো কর্মকর্তা এবং সেখানে উপস্থিত কর্মীরা রেকটিকে স্বাগত জানালে। জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনটিও পরিদর্শন করেন এবং মেট্রোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে এই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম এবং কনকোর্স স্তরে উপলব্ধ বিভিন্ন যাত্রী সুবিধা স্থাপনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। এই প্রান্তে প্রথম ট্রায়াল রান সম্পন্ন হওয়ার জন্য জেনারেল ম্যানেজার সকলকে অভিনন্দন জানান।পরিদর্শন সম্পন্ন করার পর, জয় হিন্দ বিমান বন্দর মেট্রো স্টেশনের উর্ধ্বতন মেট্রো কর্মকর্তাদের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমস্ত মুলতুবি কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। ফিরতি যাত্রার সময়, রেকটি জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন থেকে দুপুর ১:৫৭ মিনিটে যাত্রা শুরু হয়েছিল এবং দুপুর ২:২১ মিনিটে নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে পৌঁছায়। জেনারেল ম্যানেজার এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই স্টেশনটি চালু হলে কলকাতা এবং শহরতলির মানুষকে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য একটি আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ হবে।ইয়েলো লাইনের নোয়াপাড়া এবং জয় হিন্দ বিমান বন্দরের মধ্যে অবস্থিত এই স্টেশনের প্রধান বৈশিষ্ট্য:-১. মোট স্টেশনের সংখ্যা-৪টি (নোয়াপাড়া, দম দম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড, জয় হিন্দ বিমান বন্দর)।২. জয় হিন্দ বিমান বন্দর এশিয়ার বৃহত্তম ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে।৩. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনটি অরেঞ্জ লাইন এবং ইয়েলো লাইনের সংযোগকারী স্টেশন হবে।৪. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৫টি প্ল্যাটফর্ম থাকবে।৫. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনের কনকোর্স এলাকা ১৪৬৪৫ বর্গমিটার।৬. জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম স্তর এবং কনকোর্স স্তরের মধ্যে ৬টি সিঁড়ি, ১২টি এসকেলেটর এবং ৬টি লিফট থাকবে।৭. একটি সাবওয়ে (দৈর্ঘ্য ৩৩০ মিটার এবং প্রস্থ ১০.৫ মিটার) যশোর রোডকে জয় হিন্দ বিমান বন্দর স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই সাবওয়েতে ২ নম্বর প্রবেশ-প্রস্থান পথ রয়েছে যা কনকোর্স অবৈতনিক এলাকাটিকে বারাসত পার্শ্বের দিকে, ২.৫ নম্বর বিমানবন্দর গেট (যশোর রোড হাইওয়ের কাছে) সংযুক্ত করবে।৮. এই সাবওয়েতে ৩টি এসকেলেটর, ২টি লিফট এবং ২টি সিঁড়ি থাকবে।৯. আরেকটি সাবওয়ে (দৈর্ঘ্য ২৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৩ মিটার) বিমানবন্দরকে জয় হিন্দ বিমান বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। এই সাবওয়েতে ৩ নম্বর রয়েছে। প্রবেশ-প্রস্থানের ব্যবস্থা থাকবে যা NSCBI বিমানবন্দর (বিমানবন্দরের আগমন গেট নং ১) দিয়ে আসা যাত্রীদের এবং পার্কিং এলাকা থেকে আসা যাত্রীদের জন্য সুবিধা প্রদান করবে।১০. এই সাবওয়েতে ৪টি লিফট, ৬টি এসকেলেটর এবং ৩টি সিঁড়ি থাকবে।১১, এই সাবওয়েতে যাত্রীদের সুবিধার্থে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের ট্রাভেলেটর থাকবে।১২. যশোর রোড এবং দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনগুলিতে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি প্ল্যাটফর্ম থাকবে এবং লিফট, এসকেলেটর ইত্যাদির মতো আধুনিক যাত্রী সুবিধা থাকবে।১৩. নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনটি ব্লু লাইন এবং ইয়েলো লাইনের মধ্যে যাত্রী বিনিময় স্থান হবে।১৪. নোয়াপাড়া থেকে জয় হিন্দ বিমান বন্দর পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ কার্শেড পর্যন্ত এই অংশের মোট দৈর্ঘ্য ৭.০৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ভূগর্ভস্থ এবং ৫.২৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্টে থাকবে।

জানুয়ারি ২৪, ২০২৫
কলকাতা

Dumdum-Manhole: দমদমে খোলা ম্যানহোলে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু

ম্যানহোলে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তির। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দমদম সেভেন ট্যাংকের কাছে। ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা থাকাতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের লোক এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের।জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রঞ্জন সাহা। তিনি পেশায় অটোচালক। তাঁর বয়স ৫১ বছর। শুক্রবার রাতে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখনই পড়ে যান ম্যানহোলে। অভিযোগ, ম্যানহোলের ঢাকনা ছিল খোলা। তাঁর চিৎকার শুনে স্থানীয় ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। তার পর রঞ্জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা ছিল। তা দেখতে না পেয়ে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। রঞ্জনের পরিবারের লোকের অভিযোগ, ম্যানহোল খোলা থাকার জন্যই এ রকম দুর্ঘটনা ঘটল। প্রাণহানি হল। রঞ্জনের মৃত্যুর জন্য পুরসভার গাফিলতিকে দায়ী করেছে তাঁর পরিবারের লোকেরা। রঞ্জনের মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী। রঞ্জনের স্ত্রী বলেছেন, সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী ছিল আমার স্বামী। এখন কী করে সংসার চলবে তা বুঝতে পারছি না। আমাকে একটা চাকরি দিলে খুব উপকার হত।

নভেম্বর ১৩, ২০২১
কলকাতা

Inhuman: গাছের তলায় গোঙানির আওয়াজ, ঘটনাস্থলে পুলিশ

ফের অমানবিক ঘটনার সাক্ষী শহর কলকাতা । তবে অমানবিকতা এবার রাস্তার লোকের নয়, পরিবারের সদস্যদের। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে বৃ্দ্ধা মাকে রাস্তার পাশে প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলে গেল নিজের মেয়েই! সিঁথি থানার পেয়ারাবাগান এলাকার ঘটনা। ঘটনায় স্তম্ভিত সকলে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে সিঁথির মোড়ের কাছে মেট্রো বাইপাস এলাকায় হঠাৎই আর্তনাদ শুনতে পান পথচলতি মানুষ। কাছে যেতেই তাজ্জব হন প্রত্যেকে। দেখা যায়, প্লাস্টিকে মুড়ে পড়ে রয়েছেন এক বৃদ্ধা। বয়স আনুমানিক ৮০ বছর।আরও পড়ুনঃ বধূকে ধর্ষণের পর সোনার গয়না ও টাকা হাতানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবকজানা গিয়েছে, যেখানে ঐ বৃদ্ধাকে ফেলা হয় সেই জায়গাটি নির্জন। অনেকেই মৃতদেহ বলে ভেবে পাশ কাটিয়ে চলে যান। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সিঁথি থানার পুলিশ। বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে পুলিশ ও স্থানীয় মানুষের সহায়তায় আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃ্দ্ধার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে পুলিশ। তাঁর নাম ঠাকুর দাসী সাহা বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধার অস্পষ্ট কথা অনুযায়ী পুলিশ জানতে পারে, বৃদ্ধার মেয়ের নির্দেশে তার ছেলেরা রিক্সায় করে এখানে প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলে দিয়ে গিয়েছেন। যদিও বাড়ির ঠিকানা স্পষ্ট করে তিনি বলতে পারেননি। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

আগস্ট ০৫, ২০২১
কলকাতা

Rail Block: সোনারপুরের পর দমদম ক্যান্টনমেন্টে যাত্রীবিক্ষোভ

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার পর এবার লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে বনগাঁ শাখায় রেল অবরোধ। সোমবার সকালে দমদম (Dumdum) ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে সকলের চড়ার দাবিতে অবরোধ (Rail Block) করেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের দাবি, রোজকার কাজকর্ম করার জন্য বেরতেই হচ্ছে। এই স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে শুধু জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদেরই নয়, উঠতে দেওয়া হোক সকলকেই। নয়ত পুরোদমে লোকাল ট্রেন চালু করে দেওয়া হোক। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন তাঁদের অবরোধের জেরে আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলপুলিশ ও স্থানীয় থানার পুলিশ। ঘণ্টাখানেক পর অবরোধ ওঠে।আরও পড়ুনঃ জেনে নিন হাওড়ায় কোথায় কোথায় কন্টেনমেন্ট জোনগত সপ্তাহে পরপর দুদিন লোকাল ট্রেন চালুর দাবিতে যাত্রী বিক্ষোভের উত্তাল হয়ে উঠেছিল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সোনারপুর (Sonarpur), মল্লিকপুর স্টেশন। সেই বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হন আরপিএফ জওয়ানরা। রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এসব স্টেশন। এর জেরে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় গত সপ্তাহে রেলের তরফে ফের রাজ্যের কাছে আবেদন জানানো হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এখনই ট্রেন চালানোর অনুমোদন দেননি।এরপর আজ ফের দমদম ক্যান্টনমেন্টে একই ঘটনা। সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে অবরোধ শুরু করেন যাত্রীরা। স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে (Staff special trains) সবাইকে ওঠার অনুমতি দিতে হবে, এই দাবি তোলেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে আরপিএফ, জিআরপি ও পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত রেল নিতে পারবে না বলে জানানো হয়। শেষে ঘণ্টাখানেক পর ওঠে অবরোধ। যদিও বাড়তি ভিড় সামাল দিতে আজ থেকে শিয়ালদহ শাখায় আরও বাড়তি স্টাফ স্পেশ্যাল চালানো হচ্ছে। গত সপ্তাহে সোনারপুরের ঘটনার পর থেকে আরও ১০০টি ট্রেন বাড়ানো হয়েছে। আগামী দিনে তা আরও বাড়বে বলে শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলকর্তারা জানিয়েছেন।

জুন ২৮, ২০২১
কলকাতা

দমদম মেট্রো স্টেশনে উদ্ধার প্রচুর গয়না

ব্যাগ ভর্তি শুধুই সোনার গয়না। দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার উপক্রম। সবমিলিয়ে ওজন প্রায় ৪৫০ গ্রাম! বাজারমূল্য কমবেশি ২৫ লক্ষ টাকা। ঘটনা দমদম মেট্রো স্টেশনের। আপাতত সোনাভর্তি ব্যাগ-সহ ওই ব্যক্তিকে সিঁথি থানার পুলিশ আটক করেছে।কলকাতা মেট্রো রেলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, শনিবার বিকেল প্রায় চারটে নাগাদ দমদম মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ করছিলেন এক ব্যক্তি। প্রবেশের মুখে স্ক্যানারে তাঁর ব্যাগটি পরীক্ষা করতে গিয়ে চক্ষুচড়কগাছ নিরাপত্তারক্ষীদের। দেখা যায়, ব্যাগভর্তি সোনার গয়না। প্রায় ৪৩১ গ্রাম সোনা রয়েছে। এরপর তাঁকে প্রাথমিকভাবে এই সোনার উৎস নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতে তিনি তেমন সন্তোষজনক কোনও উত্তর দিতে পারেননি বলে দাবি নিরাপত্তারক্ষীদের। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সোনা কেনার কোনও বৈধ কাগজপত্রও পাওয়া যায়নি। এরপর মেট্রোর তরফে খবর দেওয়া হয় সিঁথি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাগটি বাজেয়াপ্ত করে, আটক করা হয় ব্যক্তিকেও। যদিও ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও জানানো হয়নি পুলিশের তরফে। ফলে সোনা পাচারের সঙ্গে তাঁর আদৌ কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না, তাও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে এত বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না নিয়ে মেট্রো পথে কোথাও যাওয়ার চেষ্টা আগে কখনও হয়নি বলেই মত কর্তৃপক্ষের। আসলে কলকাতা মেট্রোয় নিরাপত্তা বরাবরই বেশি। তাই কোনও সন্দেহজনক বস্তু নিয়ে স্ক্যানারের নজরদারি এড়িয়ে বেরিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি কেন এত সোনার গয়না নিয়ে, কোনও নথি ছাড়াই পাতালপথ ধরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তা জানা যায়নি।

এপ্রিল ১২, ২০২১
কলকাতা

নাড্ডা কেন অপরাধীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, প্রশ্ন কল্যাণের

কেন্দ্র অসাংবিধানিক কাজ করছে। জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে ১৪ ডিসেম্বর মুখ্যসচিব ও ডিজিকে তলব করা হয়েছে। সে বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বলেন, মুখ্যসচিব ও ডিজিকে এভাবে তলব করা যায় না। ভারতে এরকম কোনও আইন নেই। এই তলব পুরোপুরি অসাংবিধানিক। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। জেপি নাড্ডার কনভয়ের সামনে ৫০ টি মোটরবাইক ছিল। জেপি নাড্ডা অপরাধীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জেড ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত কোনও ব্যক্তির কনভয়ে অত গাড়ি থাকতে পারে না। সাতজনকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাকেশ সিং তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি করতে থাকে। বিজেপি প্ররোচনা দিচ্ছে, এই অভিযোগও করেন কল্যাণ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন নাড্ডার কনভয়ে এত মোটর সাইকেল? কেন নাড্ডা অপরাধীদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ? আরও পড়ুন ঃ শারীরিক অবস্থার উন্নতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত আরেক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজ্যে মন্ত্রিসভার রিপোর্ট কার্ড পেশের দিন ছিল। সেদিক থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এটা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন সৌগত। এরপরই সৌগত পরিসংখ্যান দিয়ে দেখান, বিজেপি যে বারবার রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার কথা তুলছে, তা অমূলক। কেননা, রাজনৈতিক মৃত্যুর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। পাশাপাশি তিনি দিল্লিতে অভিষেক ব্যানার্জীর বাড়ির দেওয়ালে কালি লেপে দেওয়ারও তীব্র সমালোচনা করেন।

ডিসেম্বর ১১, ২০২০
উৎসব

ভারতচক্রের পুজোয় এবার মহামারীর অন্ধকার কাটিয়ে আলোয় জেগে ওঠার কাহিনি

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতার পুজোয় থিমের রমরমা বেড়েছে। এবার করোনা পরিস্থিতিতে পুজো অন্যরকম হতে চলেছে। দমদম পার্ক ভারতচক্রের কথাই ধরা যাক। ২০ বছরে পা দেওয়া এই পুজোর থিমে প্রতিবছরই থাকে চমক। উত্তরের যে পুজোগুলোয় প্রতি বছর ভিড় হয় , তার মধ্যে দমদম পার্ক ভারতচক্র অন্যতম। তাদের এবারের থিমে উঠে এসেছে মহামারীর অন্ধকার কাটিয়ে আলোয় জেগে ওঠার কাহিনি। থিমের নাম দেওয়া হয়েছে, দুখ জাগানিয়া। মণ্ডপ ভাবনায় উঠে এসেছে, কীভাবে সাত মাস ধরে থমকে থাকা শহর আলোর স্পর্শ পেয়ে আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠেছে। এই আশার আলোই রয়েছে মায়ের আগমণী বার্তায়। আরও পড়ুনঃ বাংলায় সব পুজো মণ্ডপ দর্শকশূন্য রাখতে হবে , রায় হাইকোর্টের সবারই আশা, মায়ের ত্রিশুলের আঘাতে খণ্ডবিখণ্ড হয়ে এবার মিলিয়ে যাবে করোনাসুর। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে জীবন। এই পুজোর থিম ভাবনা শিল্পী অনির্বাণ দাসের। দমদমের ভারতচক্রের এবারের প্রতিমা নির্মাণ করছেন শিল্পী সৌমেন পাল। আলোয় রয়েছেন প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী, আবহ সঙ্গীতে সংবর্ত জানা গানওয়ালা। উদ্যোক্তারা জানালেন, করোনার কথা মাথায় রেখে সুরক্ষার বিষয়ে কোনওরকম আপস করবেন না তাঁরা। মানুষ যাতে সমস্ত সতর্কতা মেনে তবেই ঠাকুর দেখতে বেরোন, সেই অনুরোধও করেছেন তাঁরা।

অক্টোবর ২১, ২০২০
বিবিধ

শ্রমজীবী মানুষের রান্নাঘর

অগণিত শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াল ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী দক্ষিণ দমদম এরিয়া কমিটি - ২, বেদিয়াপাড়া ১১নং ওয়ার্ড। কিংবদন্তী জননেতা জ্যোতি বসুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করেছে শ্রমজীবী মানুষের রান্নাঘর। ১০ টাকার বিনিময়ে শ্রমজীবী মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে দুপুরের খাবার। প্রতিদিন প্রায় দেড়শ শ্রমজীবী মানুষ এই রান্নাঘর থেকে খাবার সংগ্রহ করছে। অগনিত মানুষের আর্থিক সাহায্যে ও পার্টির তহবিল থেকেই এই শ্রমজীবী রান্নাঘর চালানো হচ্ছে। মধ্যাহ্নভোজে প্রতিদিন ভাত, সবজি, ডিম ছাড়াও সপ্তাহের কোনও কোনও দিন মাছ,মাংস দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭ টা থেকে কুপন দেওয়া হয়। একমাস এই শ্রমজীবী রান্নাঘর চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান দক্ষিণ দমদম এরিয়া কমিটি - ২, বেদিয়াপাড়া ১১নং ওয়ার্ড পার্টি কনভেনার কমরেড প্রশান্ত পাল। তিনি বলেন, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী বরাবরই মেহনতী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মানুষ যাতে দুমুঠো খেয়ে বাঁচতে পারে তার জন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।

সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০

ট্রেন্ডিং

বিনোদুনিয়া

শেষ জন্মদিনে স্ত্রীর কান্নাভেজা পোস্ট! ‘জন্মজন্মান্তরে আমাদের গল্প লিখব…’ জুবিনকে গরিমার শেষ চিঠি

প্রয়াণের পর প্রথম জন্মদিন। আজ ৫৩ বছরে পা দিতে পারতেন জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গ। তাঁর অকালমৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি কেউইবিশেষত অসমের মানুষ। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া। স্বামীর জন্মদিনে অদেখা একগুচ্ছ ছবি সোশালে পোস্ট করে আবেগে ভাসলেন তিনি। ছবির ক্যাপশনে লিখলেনজন্মজন্মান্তরে আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব। ভালো থেকো জুবিন। সেই কয়েকটি লাইনে যেন গরিমার মনের সব কথা ফুটে উঠল। শুধু স্ত্রী নন, জীবনের বহু লড়াইয়ে জুবিনের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, ছায়াসঙ্গীও ছিলেন গরিমা।গত মাসেই জুবিনের শেষ সিনেমা রই রই বিনালের মুক্তির জন্য নিরন্তর লড়াই করেছিলেন গরিমা। একদিকে গায়কের মৃত্যুর রহস্য নিয়ে যখন অসম জুড়ে ক্ষোভ আর বিক্ষোভ, তখন সেই চাপের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তবুও শেষ কাজটি স্বামীর নামে সম্পূর্ণ করার জেদ ছাড়েননি তিনি।জন্মদিনে প্রিয় বন্ধুর স্মৃতিতে ডুবে গেলেন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সোশালে তিনি লিখলেন, শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় বন্ধু। কিছু মানুষ কখনও আমাদের ছেড়ে যান না, সঙ্গেই থেকে যান। তুমি তেমনই। তোমার সুরে তুমি বেঁচে থাকবে। তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে।জুবিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্য এখনও কাটেনি। সিঙ্গাপুরে নর্থ ইস্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে ঘটে যায় বিপদ। স্কুবা ডাইভিং করার সময় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। পরদিনই ছিল তাঁর পারফরম্যান্স, কিন্তু তার আগেই হারিয়ে গেলেন অসমের তারকা। আজ তাঁর জন্মদিনে সেই ঘটনাই নতুন করে কষ্ট দিচ্ছে অনুরাগীদের। মনে পড়ছে গায়কের হাসি, গান আর অকৃত্রিম মায়াভরা উপস্থিতি।আজকের দিনটা তাই শুধুই জন্মদিন নয়অসমের মানুষের কাছে আজ স্মরণ, বেদনা আর গভীর ভালোবাসার দিন। জুবিন নেই, কিন্তু তাঁর সুর, তাঁর গল্প, তাঁর স্মৃতি আজও ভেসে বেড়ায় অনুরাগীদের হৃদয়ে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

“জেডিইউ ২৫ পার করলে সন্ন্যাস”—নিজের ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণিত, এবার নীতীশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ পিকে’র

বিহার নির্বাচনের আগেই প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, জেডিইউ যদি ২৫টির বেশি আসন পায় তবে তিনি সন্ন্যাস নিয়ে নেবেন । কিন্তু সেই ভবিষ্যদ্বাণীকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে এনডিএ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আর জেডিইউ এককভাবে জিতেছে ৮৫টি আসন। বিপরীতে পিকে গঠিত জন সুরজ পার্টির ঝুলিতে এসেছে বিশাল শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দেশের অন্যতম ভোট-কুশলী।সাংবাদিকদের প্রশ্নে নিজের সন্ন্যাস সংক্রান্ত মন্তব্য থেকে কার্যত পিছিয়ে এসে পিকে বলেন, তিনি কোনও রাজনৈতিক পদে নেই, তাই পদত্যাগ বা সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই ওঠে না। হার সত্ত্বেও তিনি বিহারেই থাকবেন, বিহারের গ্রাম-শহরেই ঘুরে বেড়াবেন। হাসিমুখে দাবি করেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বিতীয় অংশ অন্তত ঠিক হয়েছে, জন সুরজ যে হয় শীর্ষে থাকবে, নয়তো একেবারে নিচেঠিকই তাই হয়েছে, কারণ শূন্য আসন মানেই নিচে পৌঁছনো।কিন্তু হাসির আড়ালে লুকিয়ে ছিল তীব্র ক্ষোভ। সরাসরি নীতীশ কুমারের দিকে আঙুল তুলে পিকে অভিযোগ করেন, বিহারে টাকা বিলি করে ভোট কেনা হয়েছে। তাঁর দাবি, নির্বাচনের ঠিক আগে মুখ্যমন্ত্রী মহিলা রোজগার যোজনার নামে মহিলাদের কাছে ১০ হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল ভোট প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, কোনও উন্নয়ন প্রকল্পে এমন তড়িঘড়ি টাকা দেওয়ার নজির নেই, তাই এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভোট-লেনদেন ছাড়া আর কিছু নয়।প্রশান্ত কিশোর এখানেই থামেননি। তিনি নীতীশকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যদি ছমাস পর মহিলাদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে প্রকৃত অর্থে তুলে দেওয়া হয়, তবে তিনি শুধু রাজনীতি নয়বিহার রাজ্যটাই ছেড়ে দেবেন। তাঁর কথায়, ভোট কেনার জন্যই সরকারি প্রকল্পের নাম করে নগদ টাকা বিলি করা হয়েছে।জন সুরজের লজ্জার হারের দায়ও নিজের কাঁধে নিলেন পিকে। তিনি স্বীকার করেন, সততার সঙ্গে লড়াই করলেও তারা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে, ফলে হারটাকে মেনে নিতে আপত্তি নেই। নির্দেশিত ২৩৮টি আসনে লড়াই করে ২৩৬টিতেই জন সুরজের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তবুও ভোট শতাংশের হিসেবে তারা বিএসপি, সিপিআই-এমএল, মিমসহ বেশ কিছু দলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এবং ৩.৪ শতাংশ ভোট দখল করায় পিকে তা ভবিষ্যতের সম্ভাবনা হিসেবে দেখছেন।এত বড় রাজনৈতিক ধাক্কার পরও প্রশান্ত কিশোরের লড়াই থামছে না, বরং নতুন অভিযোগ, নতুন চ্যালেঞ্জে বিহারের রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
বিদেশ

হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ড? রাষ্ট্রসংঘের কড়া প্রশ্ন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে

জুলাই বিক্ষোভে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই রায়ের বিরুদ্ধে এবার সরব হল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশন। আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠছেএই বিচার কি আদৌ ন্যায়সঙ্গত? সব মিলিয়ে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে তৈরি বিচারব্যবস্থা ও তাঁর ক্যাঙারু আদালত বলতে শুরু করেছেন অনেকেই। কারণ, আদালত ঘোষণার আগেই যেন স্ক্রিপ্ট লিখে ফেলা হয়েছিলহাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ফাঁসির সাজা।রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রবিনা সামদাসানি এক বিবৃতিতে জানান, এই রায় নিয়ে তাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে। তাঁর কথায়, গত বছরের বিক্ষোভ দমনের সময় যে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনার সঠিক বিচার অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে রাষ্ট্রসংঘের হাতে যথেষ্ট তথ্য নেই। তবুও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিচার হওয়া উচিতএটাই তাঁদের বার্তা।রবিনা আরও বলেন, অভিযুক্ত শেখ হাসিনা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। অনুপস্থিতিতেই তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়যে পরিস্থিতির মধ্যেই হোক না কেন, তারা এমন বিচারকে সমর্থন করে না। তাঁদের আশা, বাংলাদেশ সত্যিকারের ন্যায়বিচারকে গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি সামলাবে।রাষ্ট্রসংঘের পাশাপাশি হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড একেবারে সরাসরি মন্তব্য করেছেনজুলাই বিক্ষোভের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সত্যিই ভয়াবহ ছিল, কিন্তু সেই অপরাধের বিচার হতে হবে সুষ্ঠুভাবে। এই বিচারপক্রিয়া না সঠিক, না আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে হয়েছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ড এমনিতেই অত্যন্ত নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অপমানজনক শাস্তি। আধুনিক কোনও ন্যায়বিচার ব্যবস্থায় মৃত্যুদণ্ডের জায়গাই নেই।সব মিলিয়ে, আন্তর্জাতিক সমাজের একাংশের চোখে পুরো বিচার ব্যবস্থাটাই এখন প্রশ্নের মুখে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেই এই রায় আরও অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
কলকাতা

পুর নিয়োগ দুর্নীতি: ইডির জালে এবার মন্ত্রীর মেয়ে! জানুন কী কী প্রশ্ন ঝুলছে

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের গতিবেগ আরও তীব্র করল ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর মেয়ে মোহিনী বসু মঙ্গলবার দুপুরে সল্টলেকের ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবীও। ঠিক তার আগের দিনই সুজিত বসুর জামাইকে কয়েক ঘণ্টা জেরা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে আজ মোহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ ঘিরে তৈরি হয় বিশেষ আগ্রহ।এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই কলকাতার নানা জায়গায় অভিযান চালিয়েছে। তল্লাশি চলে মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের বাড়িতে, তাঁর অফিসে এবং তাঁর ছেলের রেস্তরাঁতেও। এই দীর্ঘ তল্লাশিতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নগদও পায় ইডি। তার পর থেকেই তদন্তের ফোকাস পরিবারে কার কী ভূমিকায় পড়েছে সেই দিকেও ঘুরে যায়।গত সপ্তাহেই মন্ত্রীর স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে তলব করে পাঠায় ইডি। তাঁদের সবার কাছে চাওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি, ঋণের তথ্য এবং আর্থিক লেনদেনের ডকুমেন্টস। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার দুপুরে ইডির দপ্তরে হাজির হন মোহিনী বসু। তাঁর সঙ্গে বেশ কিছু নথিও ছিল বলে সূত্রের দাবি।হাজিরা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীদের দাবিপুর নিয়োগ দুর্নীতি থেকে যে টাকা উঠেছিল, তা কোথায় কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে, কোন কোন ব্যবসায় ব্যবহার করা হয়েছে, বিশেষত হোটেল ও রেস্তরাঁ ব্যবসায় কোনও অর্থ ঢুকেছে কি নাতা খতিয়ে দেখতেই মন্ত্রীকন্যাকে তলব করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থেই তাঁর সঙ্গে থাকা নথিগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।ইডি মনে করছে, এই দুর্নীতির টাকায় একাধিক লেনদেন হয়েছে, এবং পরিবারের সদস্যদের অ্যাকাউন্টে তার ছাপ থাকতে পারে। তাই তদন্তে এই জিজ্ঞাসাবাদকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

নকশাল দমন অভিযানে ঐতিহাসিক সাফল্য! নিহত কুখ্যাত মদভি হিদমা ও তার স্ত্রী

ভারতের নকশালবিরোধী অভিযানে বড় সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর মাথাব্যথার কারণ হওয়া শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার মদভি হিদমা অবশেষে নিহত। অন্ধ্রপ্রদেশের আল্লুরী সীতারামারাজু জেলার গভীর জঙ্গলে সোমবার ভোরে তুমুল বন্দুকযুদ্ধের মধ্যেই শেষ হয় দেশের সবচেয়ে কুখ্যাত নকশাল নেতাদের এক জনের অধ্যায়। হিদমার সঙ্গে তার স্ত্রী রাজে ওরফে রাজাক্কাসহ মোট ছয় মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নিহতদের মধ্যে আরও আছেন চেল্লুরি নারায়ণ ওরফে সুরেশ, এসজেডসিএম এবং টেক শঙ্কর।ঘটনাস্থল মারুদ পল্লি। পশ্চিম গোদাবরী জেলার গভীর অরণ্যের এক এমন জায়গা, যেখানে ছত্তীসগড়, তেলঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের সীমানা মিলেছে। স্থানীয় সময় সকাল প্রায় ছটা। ঘন জঙ্গলের নিস্তব্ধতা ভেঙে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে তিন রাজ্যের মিলনসীমা। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তাকর্মীরা রাতে থেকেই ওই এলাকায় কম্বিং অপারেশন শুরু করেছিলেন। জঙ্গলের ভেতরে মাওবাদীরা ক্যাম্প গেড়েছেএমন তথ্য পাওয়ার পরই যৌথ বাহিনী অভিযানে নামে। মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হতেই দুপক্ষের মধ্যে টানা গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষ থামার পর ধীরে ধীরে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে হিদমাসহ ছয়জনের নিথর দেহ।পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান এখনও চলছে। জঙ্গলের ভেতর আরও মাওবাদী লুকিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ। তবে সবচেয়ে বড় খবরমদভি হিদমার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা মহলে স্বস্তির হাওয়া। ১৯৮১ সালে ছত্তীসগড়ের সুকমায় জন্ম হিদমার মাথার দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা। সিপিআই (মাওবাদী)-র সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে একসময় তার নাম প্রথম সারিতে ছিল। কমপক্ষে ২৬টি বড় হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে বহু বছর ধরে তার সন্ধানে ছিল দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা। কয়েকটি রাজ্যের সীমান্তজুড়ে তার টিমের ত্রাসের জন্য তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব বলে মনে করা হত। এবার সেই অধ্যায় শেষ।এই অভিযানের পরে গোটা অঞ্চলেই নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। গ্রামবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, এ অপারেশন নকশাল নেটওয়ার্কে বড় ধাক্কা দেবে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও একাধিক জঙ্গলের গভীরে একই ধরনের অভিযান চালানো হতে পারে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

২৫ জায়গায় একযোগে তল্লাশি, জেরা চেয়ারম্যান— আল ফালাহ নিয়ে কেন এত সন্দেহ?

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলছে। এবার সরাসরি তদন্তকারীদের নজর গিয়ে পড়ল ফরিদাবাদের আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। মঙ্গলবার সকাল হতেই ইডি দিল্লির অফিসে হানা দিয়ে শুরু করে তল্লাশি। শুধু দিল্লি নয়, আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত মোট ২৫টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জাভেদ আহমেদ সিদ্দিকির বাড়িতেও পৌঁছে যায় ইডি। সেখানেই তাঁকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পিএমএলএ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেনের বড় অংশই পরিষ্কার নয়। এমনকী কিছু টাকা বেআইনি কাজে বা জঙ্গি তৎপরতার চক্রে ঢুকে গিয়েছে কি না, সেদিকেও নজর দিচ্ছে ইডি। কারণ বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক চিকিৎসকের নাম উমর-উন-নবি, ডক্টর মুজাম্মিল, ডক্টর শাহীন সইদসহ আরও কয়েকজন। তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন, এই চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে যে মোটা অঙ্কের লেনদেন ধরা পড়েছে, তা কোনওভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে গেছে কি না। যদি গিয়ে থাকে, তা কী উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তারও উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।শুধু ইডিই নয়, আলাদা ভাবে তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিশের আর্থিক দুর্নীতিদমন শাখা। অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাও পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে নজর রাখছে। ফলে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে একের পর এক প্রশ্ন আরও ঘনীভূত হচ্ছে।দিল্লির লালকেল্লার সামনে ১০ নভেম্বর ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে এনআইএ। তারই মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়-সংক্রান্ত আর্থিক যোগসূত্র সামনে আসায় তদন্তকারীদের সন্দেহ আরও গভীর হয়েছে। বিস্ফোরণের পরবর্তী তদন্ত এখন একেবারে নতুন দিকের দিকে মোড় নিচ্ছে, এবং তাতে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এখন তদন্তের কেন্দ্রে।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
রাজ্য

ফর্ম না–পাওয়া নিয়ে উদ্বেগ, পূর্ব পুটিয়ারিতে বৃদ্ধার মৃত্যুর পর আলোচনায় প্রশাসনিক বিভ্রান্তি

কলকাতার পূর্ব পুটিয়ারিতে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকা এক বৃদ্ধা আগুনে পোড়া অবস্থায় প্রাণ হারালেনএমনই দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। মৃতার নাম যমুনা মণ্ডল, বয়স ৬৭। পরিবার জানিয়েছে, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এলাকায় ভোটার এনুমারেশন ফর্ম বিলি হচ্ছিল। আশপাশের বাড়িগুলিতে ফর্ম পৌঁছোলেও তাঁদের বাড়িতে পৌঁছায়নি। সেই কারণেই যমুনা দেবী অস্বাভাবিক আতঙ্কে ভুগছিলেন।যমুনার ছেলে মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, তাঁর মায়ের আগে থেকেই স্নায়ুর সমস্যা ছিল। ফর্ম না পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। গত শনিবার তাঁরা অবশেষে এনুমারেশন ফর্ম পান। কিন্তু তাতেও যমুনা দেবীর ভয়ের অবসান হয়নি বলে দাবি পরিবারের। সোমবার সকালে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।এদিকে দক্ষিণ দমদম থেকেও সামনে এসেছে আর-একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানকার আরএন গুহ রোডের বাসিন্দা বৈদ্যনাথ হাজরা, বয়স ৪৬, কয়েকদিন ধরে এসআইআরসংক্রান্ত দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বৈদ্যনাথ বাবুর ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল নাএই বিষয়টি তাঁকে মানসিকভাবে অস্থির করে তুলছিল। দুদিন আগে গভীর রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তাঁর মোবাইল ফোন বাড়িতেই পড়ে ছিল। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আজ তাঁর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, এসআইআরনিয়ে তৈরি হওয়া ভয়ই তাঁকে চরম পদক্ষেপে ঠেলে দিয়েছে।এসআইআর প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভয় ও বিভ্রান্তির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে দায়ী করেছে। আবার বিজেপির অভিযোগ, আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোট রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসকদলই।ঘটনাগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা চরমে উঠেছে। কিন্তু দুই পরিবারের মর্মান্তিক ক্ষতি পাহাড়প্রমাণ প্রশ্ন তুলছেএসআইআরসম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এত ভয় ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে কেন, এবং এই আশঙ্কা দূর করতে প্রশাসনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন কি না।(মানসিক চাপ বা সংকটে থাকলে যেকোনও সময় কিরণ ১৮০০-৫৯৯-০০১৯ হেল্পলাইনে সাহায্য পাওয়া যায়।)

নভেম্বর ১৮, ২০২৫
দেশ

দিল্লি বিস্ফোরণের আগেই ‘সুইসাইড বোমার’ হওয়ার প্রস্তুতি! জেরায় ফাঁস দানিশের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি

দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে নয়া মোড়। আত্মঘাতী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেনএমনই সন্দেহে পাকড়াও করা হল উমরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জাশির বিলাল ওয়ানিকে, যাঁকে দানিশ নামেই চিনত গোটা শ্রীনগর। এনআইএ-র একটি বিশেষ দল গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে প্রথমে তাঁকে শ্রীনগরেই আটক করে। পরে জেরা চলতে থাকতেই উঠে আসে বিস্ফোরণের দিনেদুজনের ভূমিকাসহ একাধিক চমকে দেওয়া তথ্য। দিন তিনেক আগে অনন্তনাগে গোপনে লুকিয়ে থাকা দানিশকে পাকড়াও করা হয়। তদন্তকারীদের মতে, দিল্লি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা টেবিলে বসেই উমরের সঙ্গে মিলিতভাবে তৈরি করেছিলেন তিনি। শুধু পরিকল্পনাই নয়আত্মঘাতী হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন দানিশ নিজেও। শেষ মুহূর্তে কোনও অজানা কারণে সেই সিদ্ধান্ত আর বাস্তবায়িত হয়নি। কিন্তু তার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় শ্রীনগরের এই যুবক।তদন্তকারীদের কাছে দানিশ স্বীকার করেছেন, কাশ্মীরের একটি মসজিদে উমরের সঙ্গে প্রথম আলাপ। সেখান থেকেই সম্পর্ক ঘনিয়ে ওঠে। উমরের প্রভাবেই তাঁর মনে জিহাদের পথে পা বাড়ানোর ইচ্ছা জন্মায়। ধীরে ধীরে আত্মঘাতী হামলার জন্য নিজের মনকে তৈরি করতে শুরু করেন তিনি। তদন্তকারীরাও বিস্মিতকারণ দানিশ বুদ্ধিমত্তায় ও প্রযুক্তিগত দক্ষতায় অত্যন্ত চৌকস। ড্রোন, রকেট-লঞ্চারের মতো জটিল অস্ত্র তৈরি করতে তাঁর দক্ষতার কথাও উঠে এসেছে জেরায়। এমনকি, দিল্লি বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহৃত মারাত্মক বিস্ফোরক তৈরিও দানিশই নাকি করেছিলেন, যা পরে তিনি তুলে দেন উমরের হাতে।এখন দফায় দফায় জেরা চলছে। দানিশের কাছ থেকে বেরিয়ে আসছে বিস্ফোরণ-কাণ্ডের নেপথ্যের অজানা সুত্র। কিন্তু ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আর-একটি পতন ঘটে দানিশের পরিবারের উপরছেলের বিরুদ্ধে জঙ্গি-যোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই মানসিক চাপে ভেঙে পড়ে তাঁর বাবা। বাড়ির মধ্যেই আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। গোটা এলাকায় নেমে আসে স্তব্ধতা ও শোকের ছায়া।

নভেম্বর ১৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal