• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Doctors

রাজ্য

দাবি আদায়ে এবার আমরণ অনশনে জুনিয়র চিকিৎসকরা, মঞ্চে থাকছে সিসি ক্যামেরা

আমরণ অনশনে বসছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। প্রথম দফায় ৬ জন এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বাকি জুনিয়র চিকিৎসকরা হাসপাতালে রোগী দেখবেন। রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চলবে। গতকালই জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছিল ২৪ ঘন্টারর মধ্যে তাঁদের দাবি মানতে হবে। তা নাহলেই অনশনে বসবেন। সেই মতো শনিবার অনশনের কথা ঘোষণা করেন।জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, কোনও অনশনকারী অসুস্থ হলে তার দায় রাজ্য সরকারের। এদিন ধর্মতলায় মঞ্চ বাধতে পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। নিজেরাই আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি করেন। এদিকে এদিন অভিযুক্ত ১০ জন চিকিৎসক পড়ুয়াকে আরজি কর থেকে এক্সপেল করেছে। আরজি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের বিচারের দাবি আদায়ে প্রথম থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর সঙ্গে আরও একাধিক দাবি রয়েছে তাদের। মোট ১০ দফা দাবি রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। সেই দবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে তাঁরা।

অক্টোবর ০৫, ২০২৪
নিবন্ধ

এ’ কোন সকাল - রাতের চেয়েও অন্ধকার!

সেই এলোমেলো দিকহারানো সন্ধ্যা-বায়ের লুটোপুটি খাওয়া ঘর-বার-উঠোন-বাজারে, কাজলকালো রাত পেরিয়ে, আধফোটা কুসুমের মতো ফুটে ওঠা আগমনী আলো আজ আবার ছড়িয়ে দিল মাতৃপূজার সুসমাচার। বেজে উঠলো আলোর বেণু; আজ প্রভাতে সে সুর শুনে খুলে দিলাম হৃদয়ের রুদ্ধ দুয়ার। কিন্তু সবার অন্তরের পুঞ্জীভূত আঁধার কাটলো কি? মাতলো কি ভুবন? যে নিবিড় বেদনা আচ্ছন্ন করে রেখেছে বুকের মাটি, মনের আকাশ কালো করে জমে থাকা সেই মেঘ যেন রাতের চেয়েও অন্ধকার করে রেখেছে শরতের আকাশবীণায় গানের মালা বিলানো আজকের এই মহালয়ার সকালকে।অথচ, বর্ষণক্ষান্ত আশ্বিনের নীল আকাশে সাদা মেঘের বহরে অমলধবলপালে আজ লেগেছে মন্দমধুর হাওয়া; দুধসাদা কাশের গুচ্ছ বেঁধে, ঝরা শেফালীর মালা গেঁথে, নবীন ধানের অঞ্জলি দিয়ে ডালা সাজিয়ে শারদলক্ষ্মী এসে গেছেন শুভ্র মেঘের রথে সমাসীন হয়ে। ধৌতশ্যামল আলোঝলমল বনগিরিপর্বতে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর শ্বেতশতদলশোভিত করুণানয়নের আশীর্বাণী। শিউলীতলার পাশে পাশে.. ঝরা ফুলের রাশে রাশে.. শিশিরভেজা ঘাসে ঘাসে অরুণরাঙা চরণ ফেলে.. জলতরঙ্গে ঝিলমিল ঝিলমিল ঢেউ তুলে ছড়িয়ে পড়ছেন তিনি। আলোছায়ার আঁচলখানি লুটিয়ে পড়ছে বনে বনে; ফুলগুলি ঐ মুখে চেয়ে কী কথা গুনগুনোচ্ছে মনে মনে, কে খবর রাখে তার! তবু ঐটুকু ঐ মেঘাবরণ দু হাত দিয়ে সরিয়ে, মুখের ঢাকা হরণ করে, শারদলক্ষ্মীকে বরণ করে নিতে যেন কারো মন নেই আজ। এমন নিরানন্দ দেবীপক্ষের সূচনা খুব বেশী দেখা গেছে কি?একদিকে বানভাসি নদী-মাঠ-ঘর-গেরস্থালির অপার দুর্ভোগ, অন্যদিকে অগ্নিমূল্য হাটবাজার; আর সব ছাপিয়ে এক নির্যাতিতা প্রতিবাদিনীর সর্বপরিব্যপ্ত বেদনার্ত ছায়া এবারের মাতৃপক্ষকে যেন ঢেকে রেখেছে এক তিমিরঅবগুণ্ঠনে। উৎসবে মেতে ওঠার মেজাজটাই পাড়ি দিয়েছে দিকশূণ্যপুরের দিশায়।তবু এরই মধ্যে পথে-পার্কে-পল্লীপ্রান্তে শালবল্লা-বাঁশ-ত্রিপল-প্লাইউডের কাঠামো-রা সেজে উঠছে দ্রুত। দোকান-পসার-মল-মার্কেটে ভীড়ও খানিক খানিক জমে উঠছে। মহালয়ার রাতভোর অসংস্কৃত বাজী-র উদযাপন এবার কিছু কম (আজকাল পাড়ার যে যে বাড়িতে বয়স্ক বা অসুস্থ মানুষ আছেন বলে খবর, তাঁদের জানালার কাছাকাছিই সাধারণতঃ বাজী ফাটানো হয় বেশী)। ইতস্ততঃ কিছু ক্লাবের মাইকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র-ও সাড়া দিলেন বহু যুগের ওপার থেকে আজ ভোরবেলায়, যদিও কিছু স্তিমিতস্বনে। তবে পিতৃতর্পণাভিলাষীরা ছাড়া নদীর তীরে কাশের বনে মানুষের ঢল নামলো কই!মন ভালো নেই; আমাদের অনেকেরই মন ভালো নেই। আজ অখিলবিমানে দিকে দিকে সর্বস্যার্তিহরা দেবীমায়ের জয়গান। সিংহস্থা শশীশেখরা মরকতপ্রেক্ষা জগজ্জননী দূর করুন এই দুঃসহ আঁধার। ভয়ের আবহ শেষ হোক সবার ঘরের প্রতিটি দুর্গা হেসে উঠুক সুখে-সাহসে-সাফল্যে প্রতিটি অভয়া বিচার পাক!ওগো আমার আগমনী আলো, জ্বালো প্রদীপ জ্বালো, জ্বালো গো- ড. সুজন সরকার, বর্ধমান। ।

অক্টোবর ০২, ২০২৪
রাজনীতি

আরজি করের পটভূমিকায় স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি আগমনী, টিএমসিপির সাসপেন্ড নেত্রীর নিশানায় কুণাল ও দেব

সাসপেন্ড হতেই সরাসরি তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ থেকে শুরু করে অভিনেতা সাংসদ দেবকে তুলোধোনা করলেন যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের বহিষ্কৃত সহ সভাপতি রাজন্যা হালদার। তাঁর দাবি, শিল্পী সত্ত্বা থেকেই ছবি, এর মধ্যে কোন রাজনীতি নেই। পাশাপাশি রাজন্যা এদিন কুনাল ঘোষকে নিশানা করে বলেছেন, কুণাল ঘোষ যে পুজোর গান লিখেছেন তা কী তিনি দলকে জানিয়ে লিখেছিলেন? একই সঙ্গে রাজন্যার নিশানায় ছিলেন অভিনেতা সাংসদ দেবও। নিজের বহিষ্কারের সুপারিশের পালটা তিনি দেবকে নিশানা করে বলেন, দেব দা যখন প্রধান বানিয়েছিলেন তখন তিনি কী দলকে জানিয়ে বানিয়েছিলেন। আমার তো মনে হয় না। রাজন্যা বলেছেন, আমি মনে করি না দলীয় কাজের বাইরে শিল্পভাবনার ক্ষেত্রে দলকে জানানোর কোনও প্রয়োজন আছে। আরজি করের ঘটনার সঙ্গে ছবির কোন সম্পর্ক নেই সেকথা মনে করিয়ে রাজন্যা বলেন, ছবির সঙ্গে আরজি করে ঘটনার কোন সরাসরি যোগ নেই। ছবি দেখে যদি দল যদি সিদ্ধান্ত নিত তাহলে ভালো হত। আশা রাখি দল ছবি দেখে সিদ্ধান্ত পূর্ণবিবেচনা করবে।তিলোত্তমাদের গল্প নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘের ছবি আগমনী মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ২ অক্টোবর। টিএমসিপির দুই নেতা-নেত্রী প্রান্তিক ও রাজন্যা জুটির এই ছবিকে নিয়েই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। এই প্রেক্ষাপটেই ২ জনকেই সাসপেন্ড করেছে দল। মহালয়ার দিন এই ছবি মুক্তির আগেই শুক্রবার রাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সাসপেন্ড করেছে প্রান্তিক চক্রবর্তী ও রাজন্যা হালদারকে। প্রান্তিক ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সহসভাপতি ও রাজন্যা যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সহসভাপতি।প্রান্তিক ও রাজন্যা দুজনেই জানিয়েছেন, শিল্পী সত্ত্বা থেকেই তাঁরা এই স্বল্প দৈর্ঘের ছবি তৈরি করছেন। শুধু আরজি করের নির্যাতিতা নন, সমাজের সকল স্তরের নির্যাতিতার কাহিনী থাকছে এতে। পাশাপাশি প্রতিবাদ ও জন জাগরণের ভাষাও থাকবে এই ডকুমেন্টারিতে। দল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও ২ অক্টোবর আগমনী মুক্তির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসছে না রাজন্যা ও প্রান্তিক। তাঁদের বক্তব্য, শর্ট ফিল্মটা দেখার পর বিচার করা উচিত ছিল। এখানে কোনও বিচারাধীন বিষয় দেখানো হচ্ছে না।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
রাজ্য

খোল, করতাল, হারমোনিয়াম নিয়ে কীর্তন, আরজি করে কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ

ভোরের আলো ফুটতেই হরিনাম সংকীর্তনের শুরু হয়েছিল। কীর্তন শুনতেই ভিড় জমিয়েছিলেন অসংখ্য প্রাত:ভ্রমণকারী। কিন্তু আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন হবে, তা দেখে রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে মালদা শহরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুটতেই আরজি কর ঘটনার অভিনব প্রতিবাদে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে, খোল, করতাল, হারমোনিয়াম বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তনে এভাবেই সোচ্চার হলেন মালদার গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার কর্মকর্তারা। এদিন সাতসকালে মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজ হোটেল মোড় এলাকায় ছোটখাটো মঞ্চ করেই শুরু হয় আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ কীর্তন। হরিনাম সংকীর্তনের পাশাপাশি আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়ে সোচ্চার গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার উদ্যোক্তারা। সাতসকালে প্রাতঃভ্রমণে বেড়ানো অসংখ্য মানুষেরা এই অভিনব প্রতিবাদ দেখতেই দাঁড়িয়ে পড়েন। রাজমহল রোডের রাজপথে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে আরজিকর কান্ডের এই অভিনব প্রতিবাদ। এই সংস্থার এমন প্রতিবাদকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসী। গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার চেয়ারপার্সন চিত্রা সরকার বলেন, কলকাতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ছাত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে দোষীদের ফাঁসি চাই। পাশাপাশি মৃত নির্যাতিতার আত্মার শান্তি কামনা এদিন করা হয়েছে। প্রত্যেকে যেন সঠিক বিচার পায়, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা চাই এবং চারিদিকে বিষাক্ত বাতাবরণ শুদ্ধিকরণ জন্য নাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে এদিন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা হয়।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

Gangasagar Mela: সুপারস্প্রেডারের ভয়ে গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ করতে আদালতে আর্জি ডক্টর্স ফোরামের

কোভিড পরিস্থিতিতে মেলা নিয়ে আগেও সতর্ক করেছেন রাজ্যের চিকিৎসকেরা। সব পক্ষের শুনানির পর শর্ত সাপেক্ষে মেলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। সেই মতো মেলার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে ফের সেই মেলা বন্ধ করার আর্জি জানালেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের দাবি, এখনও যদি না বন্ধ হয়, তাহলে রাজ্য বিপদসীমায় পোঁছে যাবে। সোমবার গঙ্গাসাগর মেলা সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে এ দিন আর্জি জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ দিন মামলার শুনানি শেষের পর রায়দান স্থগিত রাখল আদালত।করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে গঙ্গাসাগর মেলা চলতে পারে বলে শুক্রবার জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তিন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করে বলেছিল, কমিটি চাইলে মেলা বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে। আবার ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে চালুও রাখতে পারে। কিন্তু আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার ফের পাঁচটি মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। যার বক্তব্য মূলত দুটিপ্রথমত, অবিলম্বে মেলা বন্ধ করা হোক। কেন না কমিটির রিপোর্ট পেয়ে তা কার্যকর করতে করতে ক্ষতি আরও বাড়বে। দ্বিতীয়ত, আদালতের কাছে আইনজীবীরা জানতে চেয়েছেন, নজরদারি কমিটিতে কোনও চিকিৎসক বা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞকে রাখা হয়নি কেন? যাঁরা কমিটিতে রয়েছেন, তাঁদের পক্ষে কি রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিচার করা সম্ভব?সোমবার আদালত মামলাকারীদের আইনজীবীদের পরামর্শ দেয়, রাজ্যে এই মুহূর্তে যে করোনা পরিস্থিতি সেখানে দাঁড়িয়ে, এতটা ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল। তাই মেলা বন্ধ করা হোক। ডক্টর্স ফোরামের তরফে আদালতকে অনিরুদ্ধ জানান, কলকাতা থেকে ডায়মণ্ড হারবার ব্যস্ত রাস্তাগুলির মধ্যে অন্যতম। করোনার সাম্প্রতিক স্ফীতির দিকে নজর রেখে এখনই মেলা বন্ধ করা না হলে তা সুপার স্প্রেডার-এর রূপ নিতে পারে।

জানুয়ারি ১০, ২০২২
দেশ

Covid-Doctors: মুম্বইয়ে তিন দিনে কোভিড আক্রান্ত দু’শোর বেশি চিকিৎসক, বঙ্গে আক্রান্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা-সহ বহু

ওমিক্রন আবহে দেশজুড়ে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বিপুলভাবে বাড়তে শুরু করেছে। কোনও হাসপাতালে এক সঙ্গে ৭০ জন, তো কোনও হাসাপাতলে তারও বেশি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এর মধ্যে মুম্বইয়ের ছবিটা বোধহয় সবচেয়ে ভয়াবহ। গত তিন দিনের মধ্যে শহরের সরকারি হাসপাতালগুলির ২২০ জন চিকিৎসক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।এদিকে করোনায় আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তবে কেবল স্বাস্থ্য অধিকর্তা নন, আক্রান্ত হয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের ৮৭ জন। মোট ১৩৫ জনের ৮৭ জনই করোনা আক্রান্ত। প্রথমে সংখ্যাটা ছিল ৬৬। সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়ে হয় ৮৭। পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, স্বাস্থ্যভবনে কার্যত থাবা বসিয়ে দিয়েছে করোনা। স্বাস্থ্য ভবনের মূল প্রশাসনিক কার্যালয়ে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত হয়েছেনে অনেকেই। স্বাস্থ্য ভবনে মোট কতজন আক্রান্ত, সেই পরিসংখ্যান এখনই নির্দিষ্টভাবে বলতে পারছেন না দপ্তরের কেউই।মহারাষ্ট্রের চিকিৎসক সংগঠন সূত্রে খবর, জেজে হাসপাতালে গত ৭২ ঘণ্টায় ৭৩ জন চিকিৎসকের কোভিড ধরা পড়েছে। কিং এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল হাসপাতালে আক্রান্ত ৬০ জন চিকিৎসক। লোকমান্য তিলক মিউনিসিপ্যাল জেনারেল হাসপাতালে এক সঙ্গে ৮০ জন চিকিৎসক কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া আর এন কুপার হাসপাতালে সাত জন এবং থানের ছত্রপতি শিবাজি হাসপাতালের আট চিকিৎসকের কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যে ভাবে দেশজুড়ে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে দেশজুড়ে একটা আশঙ্কার মেঘ তৈরি হচ্ছে।

জানুয়ারি ০৬, ২০২২
কলকাতা

Sourav Ganguly: চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে স্থিতিশীল সৌরভ, স্বাভাবিক খাবার খাচ্ছেন

করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে আপাতত ভাল আছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নতুন করে আর জ্বর আসেনি সৌরভের। কাশিও নেই। তবে সর্দি রয়েছে বিসিসিআই সভাপতির।হাসপাতাল সূত্রে খবর, সর্দি থাকায় মাঝে মধ্যে স্টিম দেওয়া হচ্ছে সৌরভকে। কিন্তু কাশি না থাকায় আপাতত তাঁর সিটি স্ক্যান করা হবে না। স্বাভাবিক ভাবে খাবার খাচ্ছেন তিনি। কথাও বলছেন। বুধবার দুপুরে সৌরভের শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসকরা। তার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।সৌরভের চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার তিন সদস্যের চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে। সেই দলে রয়েছেন সরোজ মণ্ডল, সপ্তর্ষি বসু ও সৌপ্তিক পণ্ডা। এ ছাড়াও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে চিকিৎসক দেবী শেঠি ও আফতাব খানের।কোভিডের জন্য যে চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন অনুসরণ করা হয়, সেই মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপি সৌরভের জন্য সোমবার রাতেই শুরু করা হয়েছে। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে জিনের পরীক্ষার জন্য। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে সেই রিপোর্ট পাওয়া যেতে পারে। রিপোর্ট পাওয়ার পরে বোঝা যাবে তাঁর ওমিক্রন সংক্রমণ হয়েছে কি না।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
রাজ্য

Corona: রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় আবার ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ

চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের তরফে ক্রমাগত সতর্কবাণী সত্ত্বেও ভোটপুজো থেকে বড়দিন বিধি ভাঙার কোনও সুযোগই ছাড়েনি জনতার একটি বড় অংশ। ফল-ও মিলছে, যেমন মিলেছিল দুর্গাপুজো থেকে জগদ্ধাত্রী পুজো পর্যন্ত মহোৎসবে লাগামছাড়া মাতনের পরে। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যে দৈনিক করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৫০০-র ঘরে ঘোরাফেরা করলেও মঙ্গলবার রাতে স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে কার্যত দ্বিগুণ হয়েছে। সংখ্যাটি এক ধাক্কায় পৌঁছে গিয়েছে ৭০০-র ঘরে।২ দিন পরেই বর্ষবরণ। বর্ষশেষের নিশিযাপন আর ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনটি উদ্যাপনের তাগিদে কলকাতা ৩১ ডিসেম্বরের রাত থেকে শৃঙ্খলা ভেঙে, অতিমারি বিধি উড়িয়ে ওমিক্রনকে স্বাগত জানাতে হামলে পড়বে কি না, তা নিয়েও মহা উদ্বেগে আছেন চিকিৎসকেরা।ওমিক্রন পশ্চিমবঙ্গ-সহ সারা দেশে থাবা বসাতে থাকায় বার বার বিধি মানার কথা বলে স্বাস্থ্য শিবির মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু বছর শেষের উৎসবে প্রশাসন রাশ আলগা করার কারণেই এক শ্রেণির মানুষের বেপরোয়া আচরণের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে মানুষের আত্মিক সচেতনতা ও বোধের উপরেই ভরসা রাখতে চাইছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নতুন বছরের আনন্দ ষোলো আনা অনুভব-উপভোগ করেও পথে নেমে ভিড় করে উচ্ছ্বাস প্রকাশে লাগাম টানারই আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা।স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পাঁচ জন। আর কারও খোঁজ মেলেনি, যাঁকে ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা যায়। ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবকের আজ, বুধবার পুনরায় কোভিড পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষার রিপোর্টও যদি নেগেটিভ আসে, তা হলে তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
কলকাতা

SSKM: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছিলেন না, মন্ত্রীর মৃত্যুতে প্রশ্নের মুখে এসএসকেএম

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর প্রশ্নের মুখে এসএসকেএম হাসপাতাল। তাঁর আইনজীবী মনিশঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তাররা এসে পাম্প করছিলেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ছিলেন না। যখন ব্যথা হচ্ছিল, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা কেউ ছিলেন না।সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলছেন, কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। শহরের অন্যতম সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।যদি এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ ঘটনার কথা অস্বীকার করছে না। তাঁরা বলছেন, ঘটনার সময়ে মেডিক্যাল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ওয়ার্ডে ছিলেন না। সন্ধ্যেবেলার রাউন্ড শেষে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দেখে যান তাঁরা। সন্ধ্যার পর যে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটতে পারে, এমন কোনও ইঙ্গিতই পাননি বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যখন সুব্রত মুখোপাধ্যায় হাসপাতালে এসেছিলেন, তাঁর হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করছিল না। তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট ছিল।তাঁকে স্টেইন বসানোর পর ৪৮ ঘণ্টা চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রাখেন। স্টেইন বসানোর আগে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বেশ কয়েকবার হৃদপিণ্ডের গতির ছন্দপতন অর্থাৎ হার্ট অ্যারিথমিয়া হয়ে যায়। কিন্তু সোমবার স্টেইন বসানোর পর মঙ্গল ও বুধবার তাঁর হৃদপিণ্ডের ছন্দপতন ঘটেনি। সন্ধ্যায় চিকিৎসকরা দেখে বলেছিলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায় অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন। আজ, শুক্রবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচমকাই তাঁর হার্ট অ্যারিথমিয়া হয়। তার কারণ হিসাবে চিকিৎসকরা বলছেন, আর্টারি, হৃদপিণ্ডের মাংসপেশি আগের থেকেই অনেক বেশি দুর্বল ছিল। সেই কারণেই এটা ঘটেছে। এসএসকেএমের বক্তব্য, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা হয়তো ছিলেন না, কিন্তু বাকি যাঁরা ছিলেন, তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।

নভেম্বর ০৫, ২০২১
রাজ্য

Mamata Bannerjee: বড় ঘোষণা: চিকিৎসক-নার্সদের জন্য কল্পতরু মমতা

প্রত্যেক বৃহস্পতিবার বা ১৫ দিন অন্তর একবার করে বসবেন এসএসকেএম হাসপাতালে,মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহেই জানিয়েছিলেন। এ দিন প্রথমবার চিকিৎসক ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষেও বেশ কয়েকটি বড় ঘোষণা করলেন মমতা। যা মূলত এ রাজ্যের ডাক্তার, নার্সদের উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি কোয়াক ডাক্তারদের জন্যও সুখবর শুনিয়েছেন তিনি।বৈঠক শেষে সবার প্রথম এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের চিকিৎসক ও নার্সদের বাড়ি তৈরির জন্য বিনামূল্যে জমি দেবে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে হিডকোর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমকে ১০ কাঠা জমি বরাদ্দ করতে বলেন তিনি। যাতে সেখানে ডাক্তার ও নার্সদের আবাসন তৈরি করা যায়। পাশাপাশি যেসব নার্সরা অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। অভিজ্ঞতা সুবিশাল। রাজ্য সরকার তাঁদের পদোন্নতি করবে বলে জানান মমতা। একই সঙ্গে অপ্রচলিত চিকিৎসকরা (কোয়াক ডাক্তার), যারা ভাল কাজ করছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজে লাগানোর কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।আরও পড়ুনঃ মা হলেন নুসরত, পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন তিনিমমতা এ দিন বলেন, ডাক্তার-নার্সদের বাড়ি তৈরির জন্য জমি দেওয়ার ব্যাপারটা কেউ চিন্তা করেনি। হিডকোর চেয়ারম্যান ববিকে আমি বলেছি, আমায় ১০ একর জমি খুঁজে বের করে দিতে। যেখানে ডাক্তার এবং নার্সরা নিজেরা চাইলে তাঁদের বাড়ি বানিয়ে নিতে পারবেন। আমি জমিটা বিনা পয়সায় দেব। আর হাউসিংটা তারা নিজেরা তৈরি করে নেবে। নার্সদের জন্যও এ দিন বিরাট ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে চিকিৎসকদের অভাব রয়েছে, সেটা স্বীকার করে নিয়েই যে নার্সরা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন, রাজ্য সরকার তাঁদের পদোন্নতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ডাক্তারের পরামর্শ মেনে কাজ করতে করতে যে নার্সরা চিকিৎসার বিষয়ে পোক্ত হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের প্রশিক্ষণের অধীনে থাকা চিকিৎসক বা প্র্যাক্টিশনার সিস্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এর জন্য নতুন গাইডলাই তৈরি করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। ডাক্তারদের অভাব মেটাতেই যে এই পদক্ষেপ, সেটাও সাফ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগস্ট ২৬, ২০২১
কলকাতা

SSKM: মহিলা চিকিৎসককে যৌন হেনস্থায় স্বাস্থ্য ভবনের কোপে ২ চিকিৎসক

এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসককে যৌন হেনস্থার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্য ভবন। দুজনকেই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের যে সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং আর এক অধ্যাপক চিকিৎসককে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত দুই চিকিৎসককে বদলির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুনঃ ২২ জুলাই থেকে দিল্লির সংসদ ভবনের সামনে ধর্ণায় বাংলার কৃষকওএই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারিণী দুতরফের বক্তব্যই শুনেছে ওই কমিটি। এর পরই বিষয়টি নিয়ে মে মাসে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ওই কমিটি। সেই রিপোর্টে জানা গিয়েছে নির্যাতিতার অভিযোগ সত্যি। তার পরেই পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্য ভবন।উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যৌন হেনস্থার বিষয়টি জানান নির্যাতিতা পড়ুয়া-চিকিৎসক। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও জানান তিনি। বিষয়টি নিয়ে ভবানীপুর থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতা। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে করা অভিযোগে নির্যাতিতা জানান, ২০২০ সাল থেকেই যৌন হেনস্থার শিকার তিনি। নানা অছিলায় অভিযুক্ত চিকিৎসক তাঁকে হেনস্থা করত বলে অভিযোগ করেছেন ওই পড়ুয়া-চিকিৎসক।

জুলাই ০৮, ২০২১
দেশ

Corona Death: দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনার বলি ৭৯৮ জন চিকিৎসক

প্রথম ঢেউয়ের থেকেও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথমবারের থেকেও বেশি প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে করোনার নতুন মিউটেন্ট সেন্ট (Corona Virus)। সরকারি পরিসংখ্যান আপাতত সেই প্রমাণই দিচ্ছে। ভারতীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৭৯৮ জন চিকিৎসক (Doctors)। যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।আরও পড়ুনঃ বিধানসভা ভোটের হারের কারণ খু্ঁজতেই মরিয়া শুভেন্দুদেশে করোনা আছড়ে পড়ার পর ঝুঁকি নিয়েই দিনের পর দিন মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের ধারা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের দায়িত্ব বেড়েছে আরও কয়েকগুণ। গত মার্চের পর থেকে লাফিয়ে বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। আর সেই রোগীদের জীবনদান করতে গিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন বহু চিকিৎসক। ভারতীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (Indian Medical Association) পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাণ গিয়েছে ৭৯৮জন চিকিৎসকের। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দিল্লির চিকিৎসকরা। রাজধানীতে মারণ ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে মোট ১২৮ জন ডাক্তারের। তালিকায় এরপরই রয়েছে বিহার। চলতি বছর রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জন চিকিৎসকের। উত্তরপ্রদেশে ৭৯ জন চিকিৎসক করোনার বলি হয়েছেন। কেরল এবং মহারাষ্ট্রে আবার নতুন করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট।যার সংক্রমণের ভয়াবহতা অনেক বেশি মারাত্মক। এই দুই রাজ্যে চিকিৎসকদের মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ২৪ ও ২৩। যদিও তুলনামূলকভাবে চিকিৎসক মৃত্যুর হার অনেক কম পুদুচেরিতে।এর আগে ২৫ জুন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) জানিয়েছিল, ৭৭৬ জন ডাক্তার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বলি হয়েছেন। যেখানে তালিকার শীর্ষে ছিল বিহার। দ্বিতীয় স্থানে ছিল দিল্লি। তবে মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাকি রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে দিল্লিই শীর্ষে উঠে এসেছে।Indian Medical Association says 798 doctors died during second wave of COVID-19 across the country; maximum 128 doctors lost their lives in Delhi, followed by Bihar at 115 pic.twitter.com/mOBgRtQJp0 ANI (@ANI) June 29, 2021 ১ জুলাই দেশজুড়ে পালিত হবে চিকিৎসক দিবস। ঠিক তার আগে আইএমএ-র এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সাধারণ দেশবাসী-সহ চিকিৎসকমহলেও।

জুন ৩০, ২০২১
বিবিধ

বহুগুণসম্পন্ন কমলালেবু, জেনে নিন নানাবিধ উপকারিতা

কমলালেবুর রস বা জুস খেতে সকলেই পছন্দ করেন। এতে একদিকে যেমন আছে ভিটামিন সি, তেমনই আছে খনিজও। ফলে রোজকার খাদ্য তালিকায় যদি এই ফলটা থাকে তাহলে শুধু ক্যালোরি নয়, একসঙ্গে অনান্য অনেক সমস্যার সমাধান করে দেবে কমলালেবুর রস।বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি প্রতিদিন কমলালেবুর রস খাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ওবেসিটি, ডায়াবেটিসের মতো দৈহিক সমস্যা দূরে রাখা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয় মস্তিষ্ক গঠনেও সাহায্য করে কমলালেবু। পাশাপাশি কমলালেবুতে ফ্যাট থাকে না, ক্যালোরির পরিমাণও অত্যন্ত কম। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কমলালেবুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তবে মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত এই ফল খেলে পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া, বদহজম হতে পারে। অন্যদিকে, হার্ট ও কিডনির রোগে যাঁদের হাই পটাশিয়াম যুক্ত খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাঁদের অবশ্যই কমলালেবু খাওয়ার আগে পুষ্টিবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে তবে খেতে হবে।কমলালেবুর গুণাগুণ:১. কমলালেবুতে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি এবং হেসপিরিডিন যা উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। এতে প্রাকৃতিক উপাদান হিসাবে থাকা ফ্ল্যাভনোয়েড শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা নিয়ে থাকে।২. ক্যানসার প্রতিরোধে কমলালেবুর জুড়িমেলা ভার। ত্বক, মুখের ভিতর, ব্রেস্ট, ফুসফুস, পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে কমলালেবু। লিউকোমিয়া প্রতিরোধেও কমলালেবুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। গবেষণায় জানা দিয়েছে, কমলালেবুতে আরও একটি উপাদান থাকে যাকে বলে লিমোনেন । এই উপাদান ক্যানসার রোধে খুবই উপযোগী।৩. কমলালেবুতে ভিটামিন সি, কোলিন, পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার থাকে। যা স্ট্রোক, এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। ফলে যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁরা চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো কমলালেবু খেতে পারেন।৪. প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান অর্থাৎ ভিটামিন সি থাকায় নানা ধরনের সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে কমলালেবু।৫. যাঁদের কিডনিতে পাথরের সমস্যা রয়েছে তাঁদের কাছে কমলালেবু খুবই উপকারী এক ফল। নিয়মিত তা খেতেই পারেন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal