• ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

DA

রাজনীতি

বাংলাদেশে গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি উঠলো এবাংলায়, পথে শুভেন্দু অধিকারী

শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক মহম্মদ ইউনুসের শাসনকালে ওই দেশে হিন্দু তথা সংখ্যালঘুদের খুন, মারধর, মন্দির-বাড়ি লুঠপাট থেমে নেই। হিন্দু তথা স্ংখ্যালঘু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করায় বাংলাদেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তাঁর মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছে সেদেশের হিন্দুরা। এদিকে এরাজ্যেও পথে নেমেছে বিজেপি। বাংলাদেশের সনাতনীদের উপর ক্রমাগত বেড়ে চলা অত্যাচারের প্রতিবাদে ও বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্থিত্ব রক্ষার অন্যতম মুখ, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি পরিষদীয় দল বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন অভিযান করে। দিল্লিতে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা করেছেন।

নভেম্বর ২৭, ২০২৪
রাজ্য

নিত্যযাত্রীদের জন্য বিরাট সুখবর, পূর্ব রেলের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা

নিত্যযাত্রীরা বিশেষত অর্থাৎ যারা অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ বা ব্যবসার কাজে রোজই একটু দূরে বিশেষত কলকাতা বা সংলগ্ন অঞ্চলে যাতায়াত করে থাকেন, তাঁদের দীর্ঘ দিনের চাহিদা পূরণে ইন্টারসিটি ধরণের মাঝারি দূরত্বের এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে অতিরিক্ত রিজার্ভড (সংরক্ষিত ) কোচ জুড়তে চলেছে পূর্বরেল। এই রিজার্ভড কোচ সংযুক্তির ফলে তাদের যাতায়াত আরও সুগম হয়ে উঠবে যা আর্থসামাজিক উন্নয়নেরও সহায়ক। পাঁচটি ট্রেন যেমন ১২৩৩৭/১২৩৩৮ হাওড়া - বোলপুর - হাওড়া শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস, ১২৩৩৯/১২৩৪০ হাওড়া - ধানবাদ - হাওড়া কোলফিল্ড এক্সপ্রেস, ১২৩৪১/১২৩৪২ হাওড়া - আসানসোল - হাওড়া অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, ১৩০১১/১৩০১২ হাওড়া - মালদা - হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস এবং ০৩০৪৭/০৩০৪৮ হাওড়া - রামপুরহাট - হাওড়া বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিতে লাগছে একটি করে অতিরিক্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর চেয়ার কার। এই অতিরিক্ত কোচের সংযোজন ২৭ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই উভয় প্রান্ত থেকে কার্যকর হবে। এছাড়াও, ১৩০৪৫/১৩০৪৬ হাওড়া - দেওঘর - হাওড়া ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেসে লাগছে একটি অতিরিক্ত সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণীর রিজার্ভড কোচ। এই ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযুক্তি হাওড়া থেকে ৩০শে নভেম্বর এবং দেওঘর প্রান্ত থেকে ১লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ২২৩২১/২২৩২২ হাওড়া - সিউড়ি - হাওড়া হুল এক্সপ্রেসে যাত্রীদের জন্য আরও সুখবর। তারা পাচ্ছেন একটি অতিরিক্ত এসি ৩ টায়ার কোচের সংযোজন। এতদিন পর্যন্ত এই গাড়িতে যাত্রীরা কেবলমাত্র বসেই যাতায়াত করতে পারতেন, কিন্তু এখন এসি ৩ টায়ার কোচের সংযোজনের ফলে যাত্রীরা শুয়ে অথবা ঘুমিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। অতিরিক্ত কোচের সংযুক্তির ফলে হুল এক্সপ্রেসের কোচ সংখ্যাও ১৩টি কোচ থেকে ১৪ টি কোচে বৃদ্ধি পেলো। এই এসি ৩ টায়ার কোচের সংযোজন উভয় প্রান্ত থেকেই ৩০শে নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। নিত্যযাত্রীদের চাহিদা পূরণে পূর্বরেল সর্বদাই সচেষ্ট। সময়বিশেষে দ্বিতীয় শ্রেণীর অতিরিক্ত কোচ সংযোজনের ফলে সাধারণ যাত্রীরা সাশ্রয়কারী যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে রেলের উপর বিশেষ নির্ভরশীল। রেলের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নিত্য যাত্রীরা।

নভেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

এখন ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান সাগর থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে, ভোরেই ল্যান্ডফল, জানাল হাওয়া অফিস

ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতিবেগে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় দানা। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৯০ কিলোমিটারের দূরে রয়েছে দানার অবস্থান। সাগর থেকে দানার অবস্থান ২১০ কিলোমিটার। ল্যান্ডফলের পর ১০৫ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতি হতে পারে ঘূর্ণঝড়ের। দানা খুব সম্ভবত মুভ করে ওড়িষার পুরি ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ডের মধ্যে আছড়ে পড়বে। ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় ঝড় বইবে উপকূল এলাকায়। রাত সাড়ে এগারোটায় এই তথ্য জানায় আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

অক্টোবর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

কিছু সময়ের মধ্যে ল্যান্ডফল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী

আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। কিছু সময়ের মধ্যে ল্যান্ডফল করতে চলেছে দানা। অসীম শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana)। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নবান্নে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর। রাতভর নবান্নে থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নজর রাখছেন পুরো পরিস্থিতির।ভয় পাবেন না কিন্তু সতর্ক থাকুন। ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে রাজ্যবাসীকে অস্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সরকারের দেওয়া গাইডলাইন সাধারণ মানুষকে মেনে চলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের বন্দোবস্ত করেছে। যে জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্ট্রোলরুমে ছাড়াও উপস্থিত আছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, ডিজি রাজীব কুমার, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দপ্তরের প্রধান সচিব শ্রী দুষ্যন্ত নারিয়ালা, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দপ্তরের বিশেষ সচিব প্রিয়াঙ্কা সিংলা প্রমুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কি বলেছেন?মানুষের জীবন হল সবচেয়ে দামী। মানুষের জীবন আগে রক্ষা করতে হবে। স্কুলগুলি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই কারণেই। আমি আজ রাতে নবান্নেই থাকব। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সকলে কাজ করবেন। সেই সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকেও পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজরদারি চালাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন ও জেলায় জেলায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য সরকার। নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর, ০৩৩-২২১৪৩৫২৬, আরেকটি হেল্পলাইন নম্বর হল ১০৭০।

অক্টোবর ২৪, ২০২৪
কলকাতা

১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল করল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন

শিয়ালদহ-ক্যানিং - ২৪সোনারপুর-ক্যানিং - ৭শিয়ালদহ - লক্ষ্মীকান্তপুর -২৫শিয়ালদহ-বজবজ - ২৯শিয়ালদহ - সোনারপুর - ১১সোনারপুর-বারুইপুর - ২শিয়ালদহ - বারুইপুর - ১৬শিয়ালদহ - নৈহাটি - ২লক্ষ্মীকান্তপুর - বারুইপুর - ৩শিয়ালদহ - ডায়মন্ড হারবার - ৩০লক্ষ্মীকান্তপুর - নামখানা - ১৯শিয়ালদহ-হাসনাবাদ - ২০সার্কুলার রেল - ২সব মিলিয়ে ১৯০ লোকাল আপাতত বাতিল করল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন।দীপক নিগম, শিয়ালদহ রেল ডিভিশন, DRM বলেন,কলকাতায় ঝড়ের সম্ভাবনা আছে৷ এমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। একাধিক পাম্প নিয়ে আসা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে। বিভিন্ন স্টেশনের গাছ ট্রিম করা হয়েছে।স্টেশন বিল্ডিংয়েই যেন থাকেন যাত্রীরা৷ সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ তার জন্য পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা হবে৷ কেউ যেন প্ল্যাটফর্ম শেডে না থাকে।ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, কাকদ্বীপে সিগন্যাল বিভাগের সিনিয়র আধিকারিকরা থাকবেন। এখানে মেডিক্যাল টিম থাকবে।মোটরম্যানদের বলা হয়েছে, হাওয়ার বেগ বুঝে কন্ট্রোল রুমে জানাতে৷ যাতে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ বিজ্ঞাপন বোর্ড বারবার পরীক্ষা করা হয়েছে।শিয়ালদহ সাউথে আগামীকাল রাত আটটায় শেষ ট্রেন ছাড়বে৷ এরপর বন্ধ থাকবে ২৫ তারিখ সকাল দশটা অবধি৷ দক্ষিণ শাখার যে সব ট্রেন শিয়ালদহ আসবে তাদের প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন সন্ধ্যা সাতটায় ছাড়বে৷ আবার পরের দিন সকাল নটায় ছাড়বে৷ ঝড়ের সময়ে কোনও ট্রেন লাইনে রাখা হবে না।সেন্ট্রাল কন্ট্রোল অফিস থেকে সব নজরদারি হবে৷কৌশিক মিত্র, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক, পূর্ব রেল বলেন,১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে৷ দক্ষিণ শাখায় সবচেয়ে বেশি লোকাল বাতিল থাকছে।দীপক নিগম, ডিআরএম জানিয়েছেন, কানেকটিভি যথাযথ রাখার জন্য রেল নিজে থেকেই কথা বলেছে ফোন প্রভাইডারদের সাথে৷ একটা হেল্পলাইন নাম্বার খোলা হচ্ছে৷ তবে আগামীকাল ট্রেন বন্ধ হবার আগে, যাত্রী চাহিদা দেখে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে।

অক্টোবর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

আরও এক তৃণমূল নেতা গ্রেফতার, এবার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে

হাতির দাঁত পাচারের ঘটনায় কলকাতা পুর এলাকার এক তৃণমূল নেতা গ্রেফতারের পর এবার বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সহ মালদার সংখ্যালঘু সেলের এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে দুটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬ রাউন্ড কার্তুজ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মোথাবাড়ি থানার পুরাতন পটলডাঙ্গা এলাকায়।বাড়িতে বেআইনি অস্ত্র মজুত, এই অভিযোগে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতের নাম আব্দুস সালাম। তার বাড়ি মোথাবাড়ি থানার পুরাতন পটলডাঙা এলাকায়। তিনি তৃণমুলের সংখ্যালঘু সেলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ধৃতের বাড়িতে অভিযান চালায়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে দুটি আগ্নেয়য়াস্ত্র ও ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। কি কারণে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বাড়িতে মজুত করেছিল ওই তৃণমূল নেতা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, একজনকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজ্য তৃণমূলের সহ-সভাপতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেছেন, বিরোধীরা কি বলল তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। তবে দলের নেতা বা কর্মী যেই হোক অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী ঘিরে ভাতারে বিশৃঙ্খলা, কোনওরকমে সামলালেন বিধায়ক

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতি। গন্ডগোলের রেশ গড়িয়েছে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য় সড়কে। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিজয়ার অনুষ্ঠানে চূড়ান্ত অশান্তি ও দ্বন্দ্বে চলতে থাকে বিশৃঙ্খলা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী নিজে পরিস্থিতি সামলাতে নাজেহাল হয়ে যান। নিজে পথে নেমে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেন। শেষমেশ ভাতার হাউজিং মাঠে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। কোনওপ্রকারে অনুষ্ঠান শুরু হলেও উত্তেজনা চলতেই থাকে। ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক হাজরাকে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাসুদেব যশ অশোকবাবুকে শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। সেই সময় মঞ্চের আশপাশে কর্মীদের একাংশ চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। মঞ্চে অশান্তি চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করে দিয়ে বিজয়া সম্মিলনী শেষ করে দিতে বাধ্য হন নেতারা। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, বিজয়া সম্মিলনী একটা মিলনের অনুষ্ঠান। আনন্দের বিষয়। তাই আমরা প্রথম থেকেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করব বলে ঠিক করেছিলাম। বক্তৃতা পর্ব রেখে অনুষ্ঠান দীর্ঘায়িত করতে চাইনি। বিশৃঙ্খলার বিষয়টি অবশ্য বিধায়ক এড়িয়ে যান। এ নিয়ে তাঁর সাফাই, বাইরে কি ঘটেছে সঠিক জানি না। অনুষ্ঠান সুষ্ঠ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ভাতারে দলের সহ সভাপতি অশোক হাজরার সঙ্গে দলের একাংশের মনোমালিন্য চলছে। বিশেষ করে ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অশোকবাবুর প্রভাব রয়েছে। দলের অভ্যন্তরের কিছু সমস্যা এমনিতেই চলছিল। বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও অশোক হাজরার দাবি, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রচুর জনসমাগম হয়েছিল। অত্যাধিক ভিড়ের কারণে সামান্য বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। তবে তারপর সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

কেন রাখা হয় ঘূর্ণি ঝড়ের নাম? এই তালিকায় কোন কোন দেশ রয়েছে?

বাংলা ও ওড়িষা উপকূল লন্ডভন্ড করতে দাঁনা বাঁধতে চলেছ দানা{ প্রবল আশঙ্কায় উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা{ সতর্ক রাজ্য় সরকরাও{ ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি সম্ভবত বুধবারের মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে দানা।আইএমডি লিখেছে যে নিম্নচাপ মঙ্গলবার সকালের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ এবং বুধবারের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, পরের দিন সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে যাওয়ার জন্য উত্তর-পশ্চিমে এগোবে। ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকালে পুরী এবং সাগর দ্বীপের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে, ঝড়ের গতিবেগ হবে প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিমি, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।আগস্টের শেষ দিকে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় আসনার পর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় দানা দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় দানা নামের অর্থ উদারতা এবং এই অঞ্চলে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের নিয়ম অনুসারে কাতার এটি বেছে নিয়েছে। কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং তাদের নাম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করা হয়?ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখে কারা?২০০০ সালে, WMO/ESCAP (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) নামক দেশগুলির একটি দল, যা বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড নিয়ে গঠিত, সিদ্ধান্ত নেয়। এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। প্রতিটি দেশ পরামর্শ পাঠানোর পর, WMO/ESCAP প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন (PTC) তালিকা চূড়ান্ত করেছে।WMO/ESCAP ২০১৮ সালে আরও পাঁচটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইয়েমেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে আইএমডি দ্বারা প্রকাশিত ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা এই দেশগুলি সরবরাহ করেছিল - ১৩টি দেশের প্রতিটি থেকে ১৩টি পরামর্শ।ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখার কারণ কী?ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ করে তোলে, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও, এটি বিজ্ঞানী, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকেও সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, মানুষকে প্রস্তুত হতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ। একটি অঞ্চলে একাধিক সাইক্লোনিক সিস্টেম।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল আশঙ্কা, চূড়ান্ত প্রস্তুতি রাজ্যের

ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। উপকূল অঞ্চলের ৫ জেলা সহ মোট ৭ জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকারও। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম ভাবে সরকার প্রস্তুত রয়েছে সরকার। উপকূলের এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনার কাজ চলছে। উপকূলবর্তী এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও বাড়তি সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করছে প্রশাসনের কর্মীরা।ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায ইতিমধ্যেই রাজ্য ও জেলা স্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের সর্বক্ষণ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি রাখবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামিকাল, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতায় সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী থেকে সাগরদ্বীপের মাঝে কোনও এক জায়গায় ল্যান্ডফল হতে পারে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে শহর কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামেও।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

দামোদরে ইলিশ! খুশির হাওয়া দক্ষিণবঙ্গে। এবার কি নিয়মিত পাওয়া যাবে? প্রশ্ন মুখে মুখে

দক্ষিণবঙ্গে খুশির হাওয়া, পূর্ব বর্ধমান জেলায় দামোদরে জেলের জালে ধরা দিলো রুপালী সুন্দরী। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে দামোদরে এক জেলের জালে উঠলো প্রায় ১ কেজি ১০০ গ্রামের ইলিশ। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় প্রায় ২০ বছর পর জামালপুরের দামোদরে ধরা পড়লো ইলিশ। দামোদরের জলে পাওয়া রূপালী সুন্দরীকে দেখতে স্থানীয় মানুশের ভিড় জমে যায়। কোন পথে জামালপুরে ইলিশ দামোদরে পৌছলো তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে মৎস্য বিশেষজ্ঞ মহলে। নোনা জলের কুলীন মাছ দামোদরের মিষ্টি জলে চলে কোন পথে এল? কেউ কেউ জানাচ্ছেন জামালপুরে থেকে ভাগ হয়ে যাওয়া মুন্ডেশ্বরী নাব্যতা বেড়ে যাওয়ায় জল প্রবাহ বেশী হওয়ায় ইলিশের গতিপথ হয়ত সুগম হয়েছে। দুর্গাপুর ব্যারেজ হয়ে প্রবাহিত দামোদর তার গতিপথ পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের কাছে জ্যোতসিরাম থেকে পরিবর্তন করে এবং তারপরে দুটি চ্যানেলে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি দামোদর চ্যানেল (আমতা চ্যানেল নামেও পরিচিত) এবং অপরটি কঙ্কা-মুন্ডেশ্বরী চ্যানেল। মূল চ্যানেলটি শেষ পর্যন্ত হুগলি নদীর (গঙ্গা) সাথে মিলিত হয়ে শেষ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে।বিশিষ্ট মৎস্য চাষী বৃন্দাবন ঘোষ জানান, যেহেতু গঙ্গা হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে সেক্ষেত্রে বর্ধমান জেলায় দামোদরে ইলিশ পাওয়া খুব একটা আশ্চর্যের বিষয় নয়। গলসি এলাকার দামোদরের পাড়ের বাসিন্দা শিল্পী সুব্রত বৈরাগি জনতার কথাকে জানান, এই এলাকার অনেক জেলে আছেন যারা নিয়মিত ভাবে দামোদরের জলে মাছ ধরে থাকেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন দামোদরে ইলিশ পেয়েছেন তবে তার কোনটায় ৪৫০-৬০০ গ্রামের বেশী নয়। সুব্রত আরো জানান, তবে নিয়মিত ভাবে ইলিশ এখানে পাওয়া যায় না।হটাৎ হাজির হওয়া অতথি কে দেখতে শুক্রবার সকালে জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার মাছের আড়তে ভিড় জমে যায়। দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে কয়েক দিন আগেই ডিভিসি-র জলাধার থেকে ব্যাপক জল ছাড়ার ফলে বানভাসি হয় জামালপুরের বিভিন্ন এলাকা। মাছ সবসময় স্রোতের বিপরীতে ভেসে বেড়ায়। এখন জামালপুরে ইলিশ ধরার পড়ায় মনে করা হচ্ছে দূর্গাপুরের ডিভিসি-র ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলের তোড়ে মোহনা থেকে স্রোতে বিপরীতে ভাসতে ভাসতে কিছু ইলিশ জামালপুরের দামোদরে এসে পড়েছে। ইলিশটি ধরা পড়ে তপন বিশ্বাস নামে এক মৎস্যজীবীর জালে। সেই খবরে খুশির হাওয়া জামালপুর সহ দক্ষিণবঙ্গে, খবর চাউর হতেই অনেকেই জাল হাতে নিয়ে দামোদরের পাড়ে হাজির হয়ে পরেন। যদি তার শিকে ছেঁড়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইলিশটিকে কিনতে অনেকে ইচ্ছা প্রকাশ করায় মাছের আড়তে নিলাম ডাকেন আড়তদার। ১২০০ টাকা থেকে ডাক শুরু হয়, শেষমেশ ২১০০ টাকায় কেজিতে এসে থামে ডাক। জানাযায় জামালপুরের স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মণ বিশ্বাস ওই মাছটি ২,১০০ টাকা কেজি দরে মাছটিকে কিনে নেন। গর্বিত ক্রেতা লক্ষ্মণ বিশ্বাস বলেন, এক কেজি ওজনের জীবন্ত ইলিশ পেয়ে আমি খুবই খুশি। তাই টাকার কথা মাথায় ছিলনা। তায় ২,১০০ টাকায় মাছটি কিনে ফেললাম।স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী এবং আড়তদারেরা জানান, জামালপুর এলাকায় এর আগেও মাছ পাওয়া গেছে। আনুমানিক বছর ২০ আগে দামোদরে ইলিশ পাওয়া যেত। দীর্ঘ ২০ বছর পরে দামোদরের জলে ইলিশ ওঠায় এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। জামালপুর ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক (FEO) নিত্যানন্দ মণ্ডল জনতার কথাকে জানান, আমি শুনেছি উত্তর মোহনপুর এলাকার মৎস্যজীবী তপন বিশ্বাস মাছটি পেয়েছেন। জামালপুরের বাসস্ট্যান্ডের পাশে মাছের আড়তের আড়তদার প্রভাত পাত্রের আড়তে মাছটি নিলাম হয়েছে। আড়তদার প্রভাত পাত্র বলেন, ভরা বর্ষায় নোনা জল থেকে উঠে এসে মিষ্টি জলে ডিম পাড়তে আসে ইলিস। সেই ভাবেই হয়তো ইলিসটি এসেছিল, এবং কাল্লা এবং জামালপুরের মাঝে ধরা পড়ল। তবে আশার কথা শুনিয়েছেন প্রভাত সহ স্থানীয় মৎস ব্যাবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, ইলিশ হল ঝাঁকের মাছ। একটি যখন ধরা পড়েছে তখন আগামী কয়েকদিনে আরও মাছ ধরা পড়বে। সেই আশায় দক্ষিণবঙ্গের মৎসপ্রেমী রা।

অক্টোবর ০৫, ২০২৪
বিনোদুনিয়া

দাদাসাহেব পুরস্কার মিঠুন চক্রবর্তী ছাড়া আর কোন কোন বাঙালির ঝুলিতে আছে?

দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। সিনেমাটিক কেরিয়ার অনবদ্য তাই এই পুরস্কার জুটেছে গৌরাঙ্গর। এর আগে তিনি তিন তিনটে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। পেয়েছিলেন পদ্ম ভূষণ পুরস্কার। এর আগেও একাধিক কৃতী বাঙালি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। রইল সেই তালিকা:বীরেন্দ্রনাথ সরকারঃ চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং পরিচালক হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন বীরেন্দ্রনাথ সরকার। ১৯৭০ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান। কলকাতার হেয়ার স্কুলের অধ্যক্ষ পেয়ারী চরণ সরকারের প্রপৌত্র। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করেন। তারপরই ভারতে ফিরে সিনেমা নির্মাণে মনোযোগ দেন। পুনর্জন্ম, জিন্দা লাশ, কপালকুণ্ডলা, পল্লীসমাজ, মাসতুতো ভাই, সীতা আরও অনেক ছবির জন্য বিখ্যাত। পঙ্কজ মল্লিকঃ মহিষাসুরমর্দিনী অনুষ্ঠানের কম্পোজার পঙ্কজ মল্লিক ১৯৭২ সালে পেয়েছিলেন দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। বহু ছবিতে তিনি সুরকার হিসেবে কাজ করেছেন। তবে দেবী দুর্গার আহ্বানে তাঁর যে সুর বাঙালির মনে রয়ে গিয়েছে, সেটি ভোলার নয়।ধীরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলিঃ পরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ গাঙ্গুলি ১৯৭৫ সালে পেয়েছিলেন এই পুরস্কার। হিন্দি এবং বাংলা ছবিতে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে ভূষিত করা হয় দাদা সাহেব ফালকে সম্মানে। তাঁর পরিচালিত ছবির মধ্যে, বিলেত ফেরত, চরিত্রহীন, রাজিয়া বেগম, ইন্দ্রজিৎ, বিমাতা, চিন্তামনি আরও উল্লেখযোগ্য।কানন দেবীঃ বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র কানন দেবী। তাঁর সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গে অভিনয় দক্ষতা ছিল অতুলনীয়। ১৯৭৬ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পেয়েছিলেন। মুক্তি, বিদ্যাপতি, জওয়াব, শেষ উত্তর, মেজদিদি, রাজলক্ষী ও শ্রীকান্ত, ঋষির প্রেম ছবির জন্য বিখ্যাত।নীতিন বসু এবং রাইচাঁদ বড়ালঃ নীতিন বসু এই পুরস্কার পান ১৯৭৭ সালে। বাঙালি এই পরিচালক এবং সিনেমাটোগ্রাফার দিদার, ধুপ ছায়ো, ওয়ারিস, ভাগ্যচক্র, চণ্ডীদাস ছবির জন্য বিখ্যাত। অন্যদিকে ঠিক তাঁর পরের বছর ১৯৭৮ সালে এই পুরস্কার পান রাইচাঁদ বড়াল। তিনি মিউজিক কম্পোজার।সত্যজিৎ রায়ঃ বাংলা ছবিকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছেন সত্যজিৎ রায়। তিনি১৯৮৪ সালে এই পুরস্কার পান। পথের পাঁচালী ছবির মাধ্যমে তিনি ভারতীয় সিনেমার অন্যন্য রূপ তুলে ধরেন। তারপর, শাখা প্রশাখা, কাঞ্চনজঙ্ঘা, জলসাঘর, গুপি গাইন বাঘা বাইন, সোনার কেল্লা, নায়ক, চিড়িয়াখানা, আরও অনেক ছবি। অস্কারও পেয়েছেন এই কালজয়ী পরিচালক।মৃণাল সেনঃ বাংলা ছবির আরেক পরিচালক, আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ জনপ্রিয়। মৃণাল সেন এই পুরস্কার পান, ২০০৩ সালে। ভুবন সোম, আকালের সন্ধানে, চালচিত্র, মৃগয়া, একদিন প্রতিদিন, কলকাতা ৭১ ছাড়াও নানা ছবির পরিচালক তিনি। মান্না দেঃ মান্না দে, যার সুরেলা কন্ঠে ভেসেছে বাংলা তথা গোটা ভারতবর্ষ, তাঁকে ২০০৭ সালে দেওয়া হয়েছিল এই পুরস্কার। একের পর এক গান তো বটেই, তাঁর সঙ্গে দুটি ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন মান্না দে।তপন সিনহাঃ খ্যাতনামা পরিচালক তপন সিনহা ২০০৮ সালে পেয়েছিলেন এই পুরস্কার। কাবুলিওয়ালা থেকে শুরু করে ঝিন্দের বন্দী, আপনজন, বাঞ্ছারামের বাগান, অতিথির মত ছবি তিনি উপহার দিয়েছেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ঃ বাংলা ছবির ফেলুদা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছিল দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার। তিনি ২০১১ সালে এই পুরস্কার পান। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য, এমনকি সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার যে পারদর্শিতা তিনি দেখিয়েছেন, তা অকল্পনীয়।এবার ওই তালিকায় আরেক নাম যোগ হলঃ মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর ভক্ত মহল আনন্দে উল্লাসিত।

অক্টোবর ০১, ২০২৪
রাজ্য

বর্ণ পরিচয় স্রষ্টার জন্মদিনে বর্ধমানের শিক্ষকের বিশেষ সম্মান প্রাপ্তি

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবন নানান কাহিনী আর কীর্তিতে ভরপুর। কথিত আছে, মাত্র ১৯ বছর বয়সে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্যকে সম্মান জানাতে তাঁকে বিদ্যাসাগর উপাধি দেওয়া হয়। এও জানা যায় বিদ্যাসাগর তাঁর অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার জন্য ছুটি চেয়ে না পাওয়ায় সটান চাকরি ছেড়ে দেন, এবং ভরা বর্ষার রাতে প্রবল উত্তাল দামোদর নদী সাঁতরে মাকে দেখতে যাওয়ার কাহিনী লোকগাথা হয়ে গেছে।বাংলা ও বাঙ্গালির সংগঠন বাংলা পক্ষ আজ বৃহস্পতিবার ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪ তম জন্মদিনে সমগ্র পশ্চিম বাংলার ২৩ টি জেলা থেকে ২৩ জন শিক্ষাবিদকে বিদ্যাসাগর জাতীয় শিক্ষক সম্মান প্রদান করেন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় দামোদর নদের মাত্র কয়েক কিমি দূরে বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্তকে ১৪৩১ সনের বিদ্যাসাগর জাতীয় শিক্ষক সম্মানে ভূষিত করা হয়।বাংলা পক্ষের পূর্ব বর্ধমান জেলার সম্পাদক অসিত সাহা জনতার কথাকে জানান, এই পুরস্কার তুলে দিতে পেরে তাঁরা গর্বিত। তিনি প্রসঙ্গক্রমে জানান যে, বর্ধমানের প্যারিচাঁদ মিত্র লেন এলাকার একটি বাড়িতে বসে ঈশ্বরচন্দ্র বর্ণপরিচয় লেখেন। শুধু তাই না, এই বই যাতে প্রকাশকরা বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেন। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে এই ঘটনা উল্লেখ করে বলেন যে, বড় হয়ে চাকরির জন্য অনর্থক সময় নষ্ট না করে তোমরা ব্যবসার কথা ভাবতে পার, এই পথ বিদ্যাসাগরই দেখিয়ে গেছেন। বিদ্যাসাগর জাতীয় শিক্ষক সম্মান পুরস্কারে ভূষিত প্রধানশিক্ষক ড. সুভাষচন্দ্র দত্ত তাঁর ভাষণে বাংলা পক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। বিদ্যাসাগরের পূর্বপুরুষদের চরিত্র উল্লেখ করে বলেন যে, ঠাকুরদাদা ঠাকুমা বাবা মা এঁদের দৃঢ় মনোভাবসম্পন্ন গুণাবলী বিদ্যাসাগরকে বিদ্যাসাগর হতে সাহায্য করেছে।আজ বাংলা পক্ষ তরফ থেকে এই ওই বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষকশিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীকেও সংবর্ধিত করে। কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা স্বাগতা আঢ্য জানান, এই সম্মান আমাদের সকলের খুব ভাল লেগেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসুদেব মণ্ডল বিদ্যাসাগরের সঙ্গে রামকৃষ্ণের সাক্ষাতের ঘটনাটি স্মরণ করেন। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী যথা, মধুমিতা অরিজিৎ ইন্দু পূর্বারা নাচ আবৃত্তি গানে বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানায়।এবছর যে শিক্ষাব্রতীদের সম্মানিত করতে পেরে আমরা গর্বিত,তাঁরা হলেনঃ১) আলিপুরদুয়ার- অজিত কুমার দে ২)কোচবিহার- নারায়ণ চন্দ্র সাহা৩) জলপাইগুড়ি- জুয়েল দত্ত৪) শিলিগুড়ি- কাকলী মজুমদার চাকী৫) উত্তর দিনাজপুর- কিংশুক মাইতি৬) দক্ষিণ দিনাজপুর- তপন অধিকারী৭) মালদা- মহ: সাকিলুর রহমান৮) মুর্শিদাবাদ- খাজিম আহমেদ৯) নদীয়া- সুবীর কুমার পাল১০) বীরভূম- জয়ন্ত মুখার্জী১১) পশ্চিম বর্ধমান- জইনুল হক১২) পূর্ব বর্ধমান- ড: সুভাষ চন্দ্র দত্ত১৩) হুগলী- শুভময় সরকার১৪) হাওড়া- বিশ্বনাথ বসু১৫) উত্তর ২৪ পরগণা (শিল্পাঞ্চল)- অশোক কুমার ভৌমিক১৬) উত্তর ২৪ পরগণা (শহরাঞ্চল)- শুভদীপ চৌধুরী১৭) উত্তর ২৪ পরগণা (গ্রামীণ)- মিজানুর রহমান১৮) দক্ষিণ ২৪ পরগণা- অমিত ভট্টাচার্য১৯) কলকাতা- তৃপ্তিশ্রী ধর২০) পূর্ব মেদিনীপুর- মৃণালসুন্দর পাত্র২১) পশ্চিম মেদিনীপুর- শক্তিপদ বেরা২২) বাঁকুড়া- ঈশ্বর পান২৩) পুরুলিয়া- ড: জয়ন্ত হাজরা

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

অনুব্রতর বাড়ির দরজায় আটকে গেলেন মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, কান্নায় ভাসলেন সকন্যা "বীরভূমের বাঘ"

গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল জামিন পাওয়ার পর আজ সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা রওয়ানা দেন বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ির দিকে। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন অসংখ্য অনুগামী।এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়, রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা ও বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীকে অনুব্রত তাঁর বাড়িতে ঢোকার অনুমতি না দেওয়ায়। তাঁদের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সাংসদ অসিত মালকেও দরজার বাইরে থেকে ফিরে আসতে হচ্ছে। অনুব্রত মন্ডল ও তাঁর কন্যা সুকন্যাকে দেখা গেল হাত দিয়ে চোখের জল মুছতে। আবেগি অনুব্রত দু হাত দিয়ে চোখ চেপে ছিলেন। আজ বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। অনুব্রতর সঙ্গে দেখা হয়নি দলনেত্রীর। বাড়িতে ঢোকার সময় অনুব্রত এদিন বলেন, তিনি দিদির সঙ্গেই আছেন। পায়ে ব্যথা রয়েছে। শরীর ভালো থাকলে তিনি দেখা করবেন দিদির সঙ্গে। কাজল এখন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। অনুব্রত তিহাড় জেলে থাকলেও তিনিই দলের সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন। ফলে তাঁর প্রত্যাবর্তনে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেবে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। মমতা বরাবরই অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হয়েছে, কেড়ে নেওয়া হয়েছে দলের সাংগঠনিক পদ। তবে তাঁরা বিধায়ক রয়েছেন। অনুব্রত জেলে থাকলেও দলের সভাপতিই থেকে গিয়েছেন।অনুব্রত বাড়ি ফেরার পর তাঁরা দেখা করতে গিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে। যদিও কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের মাধ্যমে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, বাড়িতে প্রবেশাধিকার নেই। স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে সেখান থেকে ফিরে যান চন্দ্রনাথ, বিকাশ, অসিত মাল। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ পেয়েছেন জেলা নেতা সুদীপ্ত ঘোষ, নলহাটির বিধায়ক, বোলপুরের পুর প্রধান। অনুব্রতর সঙ্গে জেলা কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছিলেন। সেখানে ছিলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা। ছিলেন আরও কয়েকজন।

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

অডিও ক্লিপ কাণ্ডে আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য, সিপিএমের যুবনেতা কলতানের জামিন

অডিও ক্লিপ কাণ্ডে আদালতে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সিপিএম যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তের জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ শুনানির পর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চ বাম যুবনেতাকে ৫০০ টাকার বন্ডে জামিন দেয়। আদালতের নির্দেশ, আদালতের অনুমতি ছাড়া এই সংক্রান্ত মামলায় কলতানকে গ্রেফতার করা যাবে না। হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়ে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। এদিন আদালত পুলিশকে প্রশ্ন করে, ফোনে কথোপকথনের যে রেকর্ডিংয়ের ভিত্তিতে কলতানকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি কোথা থেকে পেল পুলিশ। কোথা থেকে এই অডিও রেকর্ডিং এল তা খোঁজ নিয়েছে কি পুলিশ। উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, কলতান না বলেননি। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানতে চান, যে পেনড্রাইভ পুলিশের কাছে এসেছে এবং যেখান থেকে এসেছে সেই সোর্সকে কি জেরা করা হয়েছে?বিচারপতি এদিন আরও প্রশ্ন করেন, কলতানকে গ্রেফতার করার আগেই একজন রাজনীতিবিদ (তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ) কী করে অডিও ক্লিপের বিষয়টি সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন। সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে একটানা ধরনা-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ডাক্তারদের সেই ধরনায় হামলার ছক কষা হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। রাজ্য সরকার ও শাসকদলকে অপদস্থ করতেই বিরোধীরা এই হামলার ছক কষেছিল বলে দাবি করেছিলেন কুণাল। সাংবাদিক সম্মেলন করে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেতা। কুণালের দাবি ছিল, ফোনের এক পাশে যিনি রয়েছেন তাঁর নামের প্রথম অক্ষর স, ফোনের অন্য পারে থাকা ব্যক্তির নামের প্রথম অক্ষর ক।কুণালের এমন বিস্ফোরক অভিযোগের পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গত ১৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা সঞ্জীব দাস নামে একজনকে। পরদিনই গ্রেফতার সিপিএমের যুবনেতা কলতান দাশগুপ্ত। DYFI-এর মুখপাত্রের সম্পাদক কলতান। কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য এই তরুণ নেতা।এদিন আদালতে রাজ্য জানায়, গত ৫ মাসে কলতান এবং সঞ্জীবের মধ্যে ১৭১ বার ফোনে কথা হয়েছে। ৬ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩৪ বার কথা হয়েছে। আদালতে রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি ছিল, এই ঘটনায় কলতান কৃষ্ণ এবং সঞ্জীব অর্জুনের ভূমিকা পালন করেছেন। মাথা ফাটানোর প্রশ্নের উত্তরে না বলেননি কলতান। সাহেব, বাপ্পা এবং দাদুকে খুঁজে বের করে আরও জেরা করা প্রয়োজন।দুপক্ষের শুনানির পর এদিন রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। পরে কলতানকে ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয় হাইকোর্ট। আদালতের অনুমতি ছাড়া এই সংক্রান্ত মামলায় কলতানকে গ্রেফতার করা যাবে না।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার টালা থানার ওসি

টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতার করলো সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে অভিজিৎ মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরজি কর প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষকে এই মামলাতেও গ্রেফতার করল সিবিআই। এর আগে দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তিনি এখন জেল হেফাজতে আছেন। এর আগে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল টালা থানার ওসিকে। মাঝে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
নিবন্ধ

মাতৃবিয়োগ উড়ান সংস্থার উচ্চপদস্থ আধিকারিক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের, এক মহিয়সী নারীর কাহিনী

এআই এয়ারপোর্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের উচ্চপদস্থ আধিকারিক বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের মা গীতা চট্টোপাধ্যায়ের জীবনাবসান হয় গত ৩১ অগাস্ট। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। গীতাদেবী ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে তিনি শিক্ষিকতা করেছেন। গীতা চট্টোপাধ্যায়ের আরেক পুত্র বিভাস চট্টোপাধ্যায় বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদে আসীন। গীতাদেবী শিক্ষকতা করতেন বাগবাজারের আদর্শ মহিলা বিদ্যালয়ে। মৃত্যুর সময় সংসারে রেখে গিয়েছেন পুত্রদ্বয় বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় ও বিভাস চট্টোপাধ্যায়, পুত্রবধূদ্বয় গার্গী লাহিড়ী চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা চট্টোপাধ্যায়। নাতি, নাতনি মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়, বিহান চট্টোপাধ্যায় ও রিয়ান চট্টোপাধ্যায়।১৯৪২ সালের ২৮ ডিসেম্বর এক সম্ভ্রান্ত বনেদি পরিবারে জন্ম হয় গীতা চট্টোপাধ্যায়ের। তখন তাঁরা থাকতেন তৎকালীন মধ্যপ্রদেশের(এখন ছত্তিসগড়) অম্বিকাপুরে। এক মাসের মধ্যেই মাতৃহারা হন ছোট্ট গীতা। জন্মদাত্রী মায়ের অনুভতির স্বাদ পাননি। সাত ভাইবোনের মধ্যে সব থেকে ছোট ছিলেন তিনি। বাবা ছিলেন প্রথিতযশা চিকিৎসক অনাথ বন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়াশুনা করেছেন। ট্রান্সফারেবল জব ছিল অনাথবন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মধ্যপ্রদেশের অম্বিকাপুরে পরিবার নিয়ে বসতি স্থাপন করেছিলেন তিনি। সেই সময় নারী শিক্ষার খুব বেশি প্রচলন ছিল না। তবে চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একনিষ্ঠ অধ্যাবসায় থাকায় তাঁকে কখনও থামতে হয়নি। পড়াশুনা করেছেন অম্বিকাপুরে এডওয়ার্ড সেকেন্ডারি স্কুল, তারপর গভঃ ডিগ্রি কলেজ অম্বিকাপুর। এমএ, বিএড-ও করেছেন তিনি। অনাথ বন্ধু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদি বাড়ি ছিল বর্ধমান জেলার নাড়ুগ্রামে।গীতাদেবী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২জুন, সাল ১৯৬৬। তাঁর বিয়ে হয়েছিল মুর্শিদাবাদের গোপালপুর গ্রামে। স্বামী বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় চাকরিসূত্রে দমদমে আসেন। তিনি ছিলেন শিক্ষক। দমদমেই স্থায়ী বসবাস শুরু করেন তাঁরা। বিয়ের পর প্রথম পর্যায়ে ছেলেদের পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন গীতাদেবী। ছেলেরা একটু বড় হওয়ার পর ১৯৭৬ সালে বাগবাজারের আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে চাকরি সামলেছেন, আরেক দিকে সাংসারিক লড়াই করে গিয়েছেন গীতাদেবী। ছেলেদের সুশিক্ষায় বড় করে তুলেছেন।নারী শিক্ষা প্রসারে অত্যন্ত অগ্রগন্য ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। বিশেষত নারী শিক্ষার প্রসার না ঘটলে কোনও জাতির উন্নতি হতে পারে না। ছাত্রীদের মনের মনিকোঠায় থাকতেন তাঁদের পছন্দের শিক্ষিকা। সহকারি শিক্ষিকাদের সঙ্গেও খুবই সদ্ভাব ছিল তাঁর। শিক্ষা অন্ত প্রাণ ছিলেন গীতাদেবী।এদিকে স্বামীর অকাল মৃত্যুতে ভেঙে না পড়ে ছেলেদের পড়াশুনা থেকে খাওয়া-দাওয়া, পোষাক-পরিচ্ছদ সবেতেই নজর ছিল তাঁর। সকালে স্কুল করে এসেই সাংসারিক যুদ্ধে নেমে পড়তেন। কখনও ছেলেদের বুঝতে দেননি তাঁদের বাবার অভাব। একাধারে মা ও বাবা দুই ভূমিকাই সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন গীতা দেবী। তিন ছেলের মধ্যে মেজ ছেলের কঠিন অসুখে ১৯৮১ সালে অকাল প্রয়াণ ঘটে। জীবনে দুটি বড় ধাক্কা সামলে নিয়ে বজ্রহাতে সংসার ধরে রেখেছেন। আশির কোঠাতেও সবসময় খবর নিতেন ছেলেরা কী করছে? কেমন আছে? তাঁরা কি খেয়েছে? অফিস গিয়েছে কিনা? নাতি-নাতনিদের শুদ্ধ বাতাস ছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন গীতা চট্টোপাধ্যায়।গীতা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শুধু পারিবারিক ক্ষেত্র নয়, তাঁর অগুনতি ছাত্রী ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় গীতা চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণে বাগবাজার গঙ্গাতীরে ভাগবত সভা অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৫ টায় দমদম রোড, হনুমান মন্দিরের কাছে পুরাঙ্গনে স্মরণসভা হবে অবসর প্রাপ্ত এই মহিয়সী শিক্ষিকার।

সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডের বিচারের দাবিতে মালদার দুই চিকিৎসকের অভিনব প্রতিবাদ

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনার অভিনব প্রতিবাদ জানালেন মালদার দুই শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। নিজেদের প্রেসক্রিপশনে প্রতিবাদের ভাষা লিখে এবং দোষীদের ফাঁসির দাবির কথা উল্লেখ করেই রোগীদের সেই প্রেসক্রিপশন বিলি করলেন মালদার এই দুই চিকিৎসক । মালদার দুই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের এমন অভিনব প্রতিবাদকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে অন্যান্য চিকিৎসকেরা। মালদার এই দুই প্রতিবাদী চিকিৎসকের নাম অভিজিৎ মিশ্র। যিনি শহরের মকদুমপুর রোডে রোগী দেখেন। আরেক চিকিৎসক রামপ্রকাশ সাহা। তিনি সিঙ্গাতলা রোডে রোগী দেখেন।বলাবাহুল্য, একদিকে যখন আরজি কর কাণ্ডের আবহে উত্তাল সারা রাজ্য। কলকাতার সিপির পদত্যাগের দাবিতে পথে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। স্বাস্থ্য দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার সন্দীপ ঘোষ। চিকিৎসক থেকে জুনিয়র চিকিৎসক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে যার মত করে আন্দোলনে নেমেছেন। ঠিক সেই সময় মালদা শহরে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনের দুই শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভিনব এই প্রতিবাদে রীতিমতো সারা ফেলে দিয়েছে। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ রামপ্রকাশ সাহা এবং ডাঃ অভিজিৎ মিশ্র মালদা শহরের মকদুমপুর এবং সিঙ্গাতলা এলাকায় প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার সময় যে প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন সেখানে লেখা থাকছে আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদ। আরও লেখা থাকছে বিচারের দাবি। লেখা থাকছে আরজি করের বিচার চাই। অপরাধচক্রের বিনাশ চাই। উই ওয়ান্ট জাস্টিস।মালদার ওই দুই শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ রামপ্রকাশ সাহা এবং ডাঃ অভিজিৎ মিশ্র বলেন, শিশুদের নানান অসুখ-বিসুখের ক্ষেত্রে পরিষেবা তো দিতেই হবে। শিশুরা ঈশ্বরের একটা অংশ। ওদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করলে চলবে না। তবে আরজি কর কান্ড নিয়ে প্রতিবাদের ভাষার আমাদের অব্যাহত রয়েছে। তাই নিজেদের ব্যবহৃত প্রেসক্রিপশনে এই ভাবেই প্রতিবাদ জানিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছি।

সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪
রাজ্য

খোল, করতাল, হারমোনিয়াম নিয়ে কীর্তন, আরজি করে কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ

ভোরের আলো ফুটতেই হরিনাম সংকীর্তনের শুরু হয়েছিল। কীর্তন শুনতেই ভিড় জমিয়েছিলেন অসংখ্য প্রাত:ভ্রমণকারী। কিন্তু আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে হরিনাম সংকীর্তন হবে, তা দেখে রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে গিয়েছে মালদা শহরের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার ভোরের আলো ফুটতেই আরজি কর ঘটনার অভিনব প্রতিবাদে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে, খোল, করতাল, হারমোনিয়াম বাজিয়ে হরিনাম সংকীর্তনে এভাবেই সোচ্চার হলেন মালদার গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার কর্মকর্তারা। এদিন সাতসকালে মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজ হোটেল মোড় এলাকায় ছোটখাটো মঞ্চ করেই শুরু হয় আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ কীর্তন। হরিনাম সংকীর্তনের পাশাপাশি আরজিকর কাণ্ডে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়ে সোচ্চার গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার উদ্যোক্তারা। সাতসকালে প্রাতঃভ্রমণে বেড়ানো অসংখ্য মানুষেরা এই অভিনব প্রতিবাদ দেখতেই দাঁড়িয়ে পড়েন। রাজমহল রোডের রাজপথে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে আরজিকর কান্ডের এই অভিনব প্রতিবাদ। এই সংস্থার এমন প্রতিবাদকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসী। গৌড়ীয় বৈষ্ণব সংস্থার চেয়ারপার্সন চিত্রা সরকার বলেন, কলকাতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ছাত্রীকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, তাতে দোষীদের ফাঁসি চাই। পাশাপাশি মৃত নির্যাতিতার আত্মার শান্তি কামনা এদিন করা হয়েছে। প্রত্যেকে যেন সঠিক বিচার পায়, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুরক্ষা চাই এবং চারিদিকে বিষাক্ত বাতাবরণ শুদ্ধিকরণ জন্য নাম সংকীর্তনের মধ্যে দিয়ে এদিন ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা হয়।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৪
রাজ্য

কাকলির মন্তব্যে সমালোচনার ঝড়, ক্ষমা চাইলেন তৃণমূল সাংসদ

প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ চিকিৎসক কাকলি ঘোষ দস্তিদার। রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে মহিলা চিকিৎসকদের একাংশের উদ্দেশ্যে তাঁর করা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থী বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে কাকলি লিখেছেন, কারও ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি। আমি আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করছি। আমি বরাবর মহিলাদের অধিকার ও কল্যাণের পক্ষে থেকেছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব।একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টক শোতে গিয়ে মহিলা চিকিৎসকদের একাংশকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেছিলেন, ছাত্রীদের কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার একটা চল শুরু হয়েছিল। যার আমি তীব্র নিন্দা করি, ঘৃণা করি। আমার ছেলেরাও নিন্দা করেছিল বলে ওদের কম নম্বর দিয়েছিল। কিন্তু আজ তাঁরা এখন প্রথিতযশা চিকিৎসক। তবে কোলে বসিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার চলটা যে এখন এখানে এসে দাঁড়াবে, মুখ খোলার সাহস করলে তাঁর থিসিস আটকে দেওয়া হবে, এটা ভাবতেও পারিনি।I am sorry for any statement made in ABP anondo talk show and apologize if my recent words have hurt anyones sentiments. I retract my statement. My intention has been and will always be to champion cause of well-being and rights of women. Dr. KakoliGDastidar (@kakoligdastidar) September 1, 2024আরজি কর আবহে মহিলা চিকিৎসকদের নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এমন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। সমাজের বিভিন্ন মহলে ওঠে তীব্র প্রতিবাদ। এমনকী ইন্ডিয়ান সাইক্রিয়াটিক সোসাইটির চিকিৎসকেরা বিবৃতি দিয়ে জানান, কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এই মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়। সাংসদের মন্তব্যে চিকিৎসকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে শেষমেষ নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪
রাজ্য

প্রেসক্রিপশনে স্ট্যাম্প! আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চিকিৎসকের

রোগীর প্রেসক্রিপশনে বিচার চেয়ে, অপরাধীদের বিনাশ চেয়ে আরজি কর নিয়ে নয়া লড়াই শুরু করেছেন বীরভূমের এক চিকিৎসক। আরজি করের বিচার চাই, অরপরাধ চক্রের বিনাশ চাই। এমন লেখা রাবার স্ট্যাম্প বানিয়ে নিয়েছেন ওই চিকিৎসক। এমন ভাবে অন্যরাও লড়াই ছড়িয়ে দিক, বলেন চিকিৎসক দেবব্রত দাস। আরজি কর হাসপাতালের ছাত্র ছিলেন দেবব্রত দাস। চেনে হাসপাতালের সব তল্লাট। আরজি করের প্রাক্তনী প্রতিটি রোগীর প্রেসক্রিপশনে স্ট্যাম্প ব্যবহার করছেন।বীরভূমের রামপুরহাট গভঃ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রাক্তন কনসালট্যান্ট ল্যাপরোস্কোপিক সার্জেন দেবব্রত দাস। বর্তমানে তিনি হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকানে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করেন। আরজি কর কাণ্ডের পর দেবব্রতবাবু জুনিয়ার- সিনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন। একাধিক আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। এবার নিজের চেম্বার থেকেই আন্দোলনকে নানা দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তাই লালকালির স্ট্যাম্পে আরজি করের বিচার চাই, অরপরাধ চক্রের বিনাশ চাই লেখা প্রতিবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছেন রোগী ও তাদের পরিবারের মধ্যে। শুধু বাংলাতে নয়, ইংরেজিতেও লেখা রয়েছে উই ওয়ান্ট জাস্টিস।দেবব্রত দাস বলেন, আমি আরজি করের প্রাক্তন ছাত্র। ওই কলেজের প্রতিটি গলি আমি চিনি, জানি। সেখানে এই ঘটনা আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। আমি কল্পনাও করতে পারছি না যে স্বাধীন ভারতে পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে আমার প্রাক্তন কলেজে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে। সেই জন্য চিকিৎসক সমাজ সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রাস্তায় নেমেছে। বার বার বলা হচ্ছে ঘটনার প্রমান মুছে ফেলা হয়েছে। এর জন্য দায়ী করা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। তাই সাধারণ মানুষের মতো আমি চিকিৎসক হিসাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে আমার প্রেসক্রিপশনকে ব্যবহার করেছি। সেই প্রেসক্রিপশন প্রতিটি মানুষের পাশাপাশি ওষুধের দোকানেও পৌঁছে যাচ্ছে। এছাড়া আমাদের সারা ভারতে যে সংগঠন রয়েছে সেখানেও আমার প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দিয়ে প্রতিবাদের ভাষা পৌঁছে দিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে প্রতিবাদের ভাষা পৌঁছে দিতে ইংরেজিতেও লেখা রয়েছে।

আগস্ট ৩১, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • ...
  • 72
  • 73
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal