• ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Cyclone

রাজ্য

এখন ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান সাগর থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরে, ভোরেই ল্যান্ডফল, জানাল হাওয়া অফিস

ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার গতিবেগে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় দানা। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৯০ কিলোমিটারের দূরে রয়েছে দানার অবস্থান। সাগর থেকে দানার অবস্থান ২১০ কিলোমিটার। ল্যান্ডফলের পর ১০৫ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতি হতে পারে ঘূর্ণঝড়ের। দানা খুব সম্ভবত মুভ করে ওড়িষার পুরি ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ডের মধ্যে আছড়ে পড়বে। ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টায় ঝড় বইবে উপকূল এলাকায়। রাত সাড়ে এগারোটায় এই তথ্য জানায় আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

অক্টোবর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

কিছু সময়ের মধ্যে ল্যান্ডফল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী

আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। কিছু সময়ের মধ্যে ল্যান্ডফল করতে চলেছে দানা। অসীম শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana)। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নবান্নে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর। রাতভর নবান্নে থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নজর রাখছেন পুরো পরিস্থিতির।ভয় পাবেন না কিন্তু সতর্ক থাকুন। ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে রাজ্যবাসীকে অস্বস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সরকারের দেওয়া গাইডলাইন সাধারণ মানুষকে মেনে চলার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের বন্দোবস্ত করেছে। যে জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্ট্রোলরুমে ছাড়াও উপস্থিত আছেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ, ডিজি রাজীব কুমার, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দপ্তরের প্রধান সচিব শ্রী দুষ্যন্ত নারিয়ালা, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট দপ্তরের বিশেষ সচিব প্রিয়াঙ্কা সিংলা প্রমুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কি বলেছেন?মানুষের জীবন হল সবচেয়ে দামী। মানুষের জীবন আগে রক্ষা করতে হবে। স্কুলগুলি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই কারণেই। আমি আজ রাতে নবান্নেই থাকব। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সকলে কাজ করবেন। সেই সঙ্গে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকেও পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজরদারি চালাতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন ও জেলায় জেলায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য সরকার। নবান্নের হেল্পলাইন নম্বর, ০৩৩-২২১৪৩৫২৬, আরেকটি হেল্পলাইন নম্বর হল ১০৭০।

অক্টোবর ২৪, ২০২৪
কলকাতা

১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল করল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন

শিয়ালদহ-ক্যানিং - ২৪সোনারপুর-ক্যানিং - ৭শিয়ালদহ - লক্ষ্মীকান্তপুর -২৫শিয়ালদহ-বজবজ - ২৯শিয়ালদহ - সোনারপুর - ১১সোনারপুর-বারুইপুর - ২শিয়ালদহ - বারুইপুর - ১৬শিয়ালদহ - নৈহাটি - ২লক্ষ্মীকান্তপুর - বারুইপুর - ৩শিয়ালদহ - ডায়মন্ড হারবার - ৩০লক্ষ্মীকান্তপুর - নামখানা - ১৯শিয়ালদহ-হাসনাবাদ - ২০সার্কুলার রেল - ২সব মিলিয়ে ১৯০ লোকাল আপাতত বাতিল করল পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশন।দীপক নিগম, শিয়ালদহ রেল ডিভিশন, DRM বলেন,কলকাতায় ঝড়ের সম্ভাবনা আছে৷ এমারজেন্সি কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। একাধিক পাম্প নিয়ে আসা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে। বিভিন্ন স্টেশনের গাছ ট্রিম করা হয়েছে।স্টেশন বিল্ডিংয়েই যেন থাকেন যাত্রীরা৷ সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ তার জন্য পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে ঘোষণা হবে৷ কেউ যেন প্ল্যাটফর্ম শেডে না থাকে।ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, নামখানা, কাকদ্বীপে সিগন্যাল বিভাগের সিনিয়র আধিকারিকরা থাকবেন। এখানে মেডিক্যাল টিম থাকবে।মোটরম্যানদের বলা হয়েছে, হাওয়ার বেগ বুঝে কন্ট্রোল রুমে জানাতে৷ যাতে ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়৷ বিজ্ঞাপন বোর্ড বারবার পরীক্ষা করা হয়েছে।শিয়ালদহ সাউথে আগামীকাল রাত আটটায় শেষ ট্রেন ছাড়বে৷ এরপর বন্ধ থাকবে ২৫ তারিখ সকাল দশটা অবধি৷ দক্ষিণ শাখার যে সব ট্রেন শিয়ালদহ আসবে তাদের প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন সন্ধ্যা সাতটায় ছাড়বে৷ আবার পরের দিন সকাল নটায় ছাড়বে৷ ঝড়ের সময়ে কোনও ট্রেন লাইনে রাখা হবে না।সেন্ট্রাল কন্ট্রোল অফিস থেকে সব নজরদারি হবে৷কৌশিক মিত্র, মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক, পূর্ব রেল বলেন,১৯০ লোকাল ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে৷ দক্ষিণ শাখায় সবচেয়ে বেশি লোকাল বাতিল থাকছে।দীপক নিগম, ডিআরএম জানিয়েছেন, কানেকটিভি যথাযথ রাখার জন্য রেল নিজে থেকেই কথা বলেছে ফোন প্রভাইডারদের সাথে৷ একটা হেল্পলাইন নাম্বার খোলা হচ্ছে৷ তবে আগামীকাল ট্রেন বন্ধ হবার আগে, যাত্রী চাহিদা দেখে অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে।

অক্টোবর ২৪, ২০২৪
রাজ্য

কেন রাখা হয় ঘূর্ণি ঝড়ের নাম? এই তালিকায় কোন কোন দেশ রয়েছে?

বাংলা ও ওড়িষা উপকূল লন্ডভন্ড করতে দাঁনা বাঁধতে চলেছ দানা{ প্রবল আশঙ্কায় উপকূল অঞ্চলের বাসিন্দারা{ সতর্ক রাজ্য় সরকরাও{ ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি সম্ভবত বুধবারের মধ্যে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম রাখা হয়েছে দানা।আইএমডি লিখেছে যে নিম্নচাপ মঙ্গলবার সকালের মধ্যে গভীর নিম্নচাপ এবং বুধবারের মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে, পরের দিন সকালে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের কাছে যাওয়ার জন্য উত্তর-পশ্চিমে এগোবে। ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার রাতে এবং শুক্রবার সকালে পুরী এবং সাগর দ্বীপের মধ্যে ল্যান্ডফল করবে বলে আশা করা হচ্ছে, ঝড়ের গতিবেগ হবে প্রতি ঘন্টায় ১২০ কিমি, এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।আগস্টের শেষ দিকে আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় আসনার পর দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে উত্তর ভারত মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় দানা দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় দানা নামের অর্থ উদারতা এবং এই অঞ্চলে গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের নিয়ম অনুসারে কাতার এটি বেছে নিয়েছে। কীভাবে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় এবং তাদের নাম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোন নিয়ম অনুসরণ করা হয়?ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখে কারা?২০০০ সালে, WMO/ESCAP (বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা/ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক) নামক দেশগুলির একটি দল, যা বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড নিয়ে গঠিত, সিদ্ধান্ত নেয়। এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে। প্রতিটি দেশ পরামর্শ পাঠানোর পর, WMO/ESCAP প্যানেল অন ট্রপিক্যাল সাইক্লোন (PTC) তালিকা চূড়ান্ত করেছে।WMO/ESCAP ২০১৮ সালে আরও পাঁচটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং ইয়েমেন। ২০২০ সালের এপ্রিলে আইএমডি দ্বারা প্রকাশিত ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা এই দেশগুলি সরবরাহ করেছিল - ১৩টি দেশের প্রতিটি থেকে ১৩টি পরামর্শ।ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখার কারণ কী?ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ করে তোলে, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও, এটি বিজ্ঞানী, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকেও সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, মানুষকে প্রস্তুত হতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ। একটি অঞ্চলে একাধিক সাইক্লোনিক সিস্টেম।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল আশঙ্কা, চূড়ান্ত প্রস্তুতি রাজ্যের

ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। উপকূল অঞ্চলের ৫ জেলা সহ মোট ৭ জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে রাজ্য সরকারও। মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সবরকম ভাবে সরকার প্রস্তুত রয়েছে সরকার। উপকূলের এলাকাগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে আনার কাজ চলছে। উপকূলবর্তী এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও বাড়তি সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকাগুলিতে মাইকিং করছে প্রশাসনের কর্মীরা।ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায ইতিমধ্যেই রাজ্য ও জেলা স্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আধিকারিকদের সর্বক্ষণ পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি রাখবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামিকাল, বুধবার থেকে শনিবার পর্যন্ত স্কুল এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কায় সতর্কতামূলক একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হুগলি, হাওড়া এবং কলকাতায় সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে পুরী থেকে সাগরদ্বীপের মাঝে কোনও এক জায়গায় ল্যান্ডফল হতে পারে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানার। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ার তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে শহর কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামেও।

অক্টোবর ২৩, ২০২৪
রাজ্য

রেমাল নামের অর্থ কি? কেন প্রক্রিয়ায় হয় এই নামকরণ?

ঘূর্ণিঝড়কে চিহ্নিত করার জন্য চালু হয়েছিল নামকরণের প্রথা। এই নামের সাহায্যে সাধারণ মানুষ ছাড়াও, বিজ্ঞানী, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত ব্যক্তিরাও ঘূর্ণিঝড়কে চিহ্নিত করতে পারে। নতুন নামই বুঝিয়ে দেয়, এটা আলাদা ঘূর্ণিঝড়। এব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে, প্রস্তুতি নিতে, বিভ্রান্তি দূর করতে নয়া নাম কাজে লাগে। কোনও অঞ্চলের সাইক্লোনিক সিস্টেমই হল ঘূর্ণিঝড়। বিশ্বের সমস্ত জায়গায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ের একইভাবে নামকরণের রীতি চালু আছে।রেমাল নামের অর্থ কি? আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার (২৬ মে) মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে। চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে এটিই হবে প্রথম প্রাক-মৌসুমি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। আরবি ভাষায় রেমাল নামের অর্থ- বালি। নামকরণ করেছে ওমান। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের আদর্শ নিয়ম অনুসারে এই নাম বেছে নেওয়া হয়েছে।এবার ওমান কেন বেছে নিল?কিন্তু, ওমান কেন বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম বেছে নেবে? এই প্রশ্নও উঠেছে। আসলে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা- ডব্লিউএমও (WMO)-এর সদস্য ১৮৫টি দেশ। এটি রাষ্ট্রসংঘের সংস্থা। পাশাপাশি রয়েছে এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন-এসক্যাপ (ESCAP)। এই সংস্থা রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের অধীনে থাকা একটি আঞ্চলিক কমিশন। যা এশিয়ায় অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বৃদ্ধির জন্য তৈরি হয়েছে। ওমান যার সদস্য।ঘূর্ণিঝড়ের নাম আদৌ কেন?ঘূর্ণিঝড়ের নাম গ্রহণ করা মানুষের পক্ষে মনে রাখা সহজ, সংখ্যা এবং প্রযুক্তিগত পদের বিপরীতে। সাধারণ জনগণ ছাড়াও, বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়, মিডিয়া, দুর্যোগ ব্যবস্থাপক ইত্যাদিকেও এই নামকরণ সাহায্য করে। একটি নাম দিয়ে, এটি স্বতন্ত্র ঘূর্ণিঝড় শনাক্ত করা, এর উন্নয়ন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা, সম্প্রদায়ের প্রস্তুতি বাড়াতে এবং বিভ্রান্তি দূর করার জন্য দ্রুত সতর্কবার্তা প্রচার করা সহজ।২০০০ সালে ওমানের মাস্কাটে অনুষ্ঠিত হয়, পিটিসির ২৭তম অধিবেশন। পিটিসি বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করতে রাজি হয়। প্যানেলের প্রতিটি দেশ তাদের সুপারিশ পাঠানোর পর, পিটিসি তার তালিকা তৈরি করে। আর, ২০০৪ সালে এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরু করে। পিটিসি ২০১৮ সালে, ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেনকেও তাদের সংগঠনভুক্ত করেছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে, ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। সদস্য ১৩টি দেশের প্রত্যেক সদস্য ১৩টি করে পরামর্শ দিয়েছিল। সেই তালিকা থেকেই বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হচ্ছে।কোন দেশে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে, বা আছড়ে পড়বে নামকরণের ক্ষেত্রে তা বিবেচনা করা হয় না। বরং, দেশগুলোর পরপর নাম অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা হয়। যেমন, ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ-র নাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। আছড়ে পড়েছিল মহারাষ্ট্রে। ভারত নাম দিয়েছিল গতি। আছড়ে পড়েছিল সোমালিয়াতে। ইরান নাম দিয়েছিল নিভার। আছড়ে পড়েছিল তামিলনাড়ুতে।

মে ২৬, ২০২৪
রাজ্য

এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, মাটি হতে পারে উৎসব

উৎসবের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা এরাজ্যেও। কালীপুজোর আনন্দ মাটি করে দিতে পারে সিত্রাং। হাওয়া অফিসের চূড়ান্ত আপডেট, মঙ্গলবার ভোরেই আছড়ে পড়বে প্রবল শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়। তবে গতি অনুযায়ী ল্যান্ডফল হবে বাংলাদেশের বরিশালে। কিন্তু এই ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে উপকূলবর্তী জেলাগুলি ও দক্ষিণবঙ্গের একাংশে। ইতিমধ্যেই ভোর থেকে বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বেলা বাড়তেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোড়ে সিত্রাং বাংলাদেশের তিনকোনা দ্বীপ ও সন্দ্বীপের মাঝামাঝি কোনও একটা জায়গায় আছড়ে পড়বে। এখানে ল্যান্ডফল না হলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে এরাজ্যেও। পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়া সিত্রাংয়ের প্রভাব পড়বে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায়। বৃষ্টি হবে কলকাতাতেও।বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যেই শক্তি সঞ্চয় করেছে সিত্রাং, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এদিন ভোর থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ভারি বর্ষণের সঙ্গে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সিত্রাং সমুদ্র থেকে স্থলভাগের কাছাকাছি আসতেই ঝড়-বৃষ্টির দাপট বাড়বে।ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে সরকারি দফতরের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। সতর্ক রাজ্য প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্তরকম ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া আগেই নিষেধ করা হয়েছে।

অক্টোবর ২৪, ২০২২
রাজ্য

অশনির প্রভাব শুরু, সমুদ্র উপকূলে কড়া সতর্কতা, কলকাতায় প্রস্তুত প্রশাসন

অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় অশনির উত্তর অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলের কাছে আজই এসে পৌঁছাবে বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড়ের আগেই নামখানা বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা শাসক-সহ রয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।আবহাওয়া খারাপ থাকবে তেলেঙ্গানা ও হায়দ্রাবাদে। দমকা হাওয়ার সঙ্গে চলবে টানা বৃষ্টি। বকখালির সমুদ্র সৈকত থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশ টহল দিচ্ছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করে মাইকিং হয়েছে। সমুদ্র উপকূলে যাতে কেউ না যান তার জন্য বারে বারে রাজ্যের উপকূলে প্রচার চালানো হচ্ছে। নৌকা বেঁধে রাখা হয়েছে অনেক জায়গায়। অশনির জেরে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।অশনির আশঙ্কায় সতর্ক কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের তরফে তৈরি করা হয়েছে ইউনিফায়েড কম্যান্ড সেন্টার। কলকাতায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৫টি দল ও এনডিআরএফের ২টি দল থাকছে। এছাড়া কলকাতা পুরসভা, পূর্ত দফতর, সিইএসসির প্রতিনিধিও থাকছে। পাশাপাশি লালবাজারের তরফে চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন। মহানগরের নাগরিকরা অসুবিধায় পড়লে এই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলেই সাহায্য়কারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে।

মে ১০, ২০২২
রাজ্য

শিয়রে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি', সংকেত মৌসম ভবনের

রবিবার সকালে মৌসম ভবন সুত্রে জানানো হয়েছে, গভীর বঙ্গোপসাগরে অশনি ঘূর্নীঝড়ের আকার নিলো। আন্দামানের অনতিদূরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হয়েছে। এই মুহুর্তে তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটারের কাছাকাছি। এই ঘুর্নাবর্ত উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর বরাবর উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে।অশনির সংকেত পেয়ে প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাও। মৌসম ভবন থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান করা জেলাগুলির জন্য ১০ থেকে ১৩ মে অবধি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।মৌসম ভবন সুত্রে আগেই জানানো হয়েছিলো ঘূর্ণিঝড় অশনির পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা প্রায় নেই। তাঁরা রবিবারও জানিয়েছে, এই মুহুর্তে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি পুরী থেকে প্রায় ১,০৩০ কিলোমিটার এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৯৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। মঙ্গলবার নাগাদ ওড়িশা কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল ছুঁতে পারে ঘূর্ণিঝড় অশনি। পশ্চিমবঙ্গ বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ঘূর্ণিঝড় অশনির আগাম সতর্কতা জারি করেছে।পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে হওয়া বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া তে কৃষিজমি এবং ফসল নষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকদের জন্য ছদফা সতর্কতা জারি করেছে। নবান্ন থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁরা যেনো পাকা ধান কেটে অতি সত্তর গুদামজাত করে রাখেন। এছাড়াও বিভিন্ন সব্জি ও ফসলের ক্ষেত থেকে অতি সত্তর জমা জল নিকাশী করে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

মে ০৮, ২০২২
রাজ্য

ঘূর্ণিঝড়ের অশনি সংকেত, রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

মে যেন ঘূর্ণিঝড়ের মাসে পরিণত। এর আগেও মে-তেই নানান ঝড় এসেছে বঙ্গে। বা ঝড়ের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টি হয়েছে। ফের ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গতকাল দক্ষিণ আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত আজ, শনিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এই নিম্নচাপ রবিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী মঙ্গলবার এই ঘূর্ণিঝড় পাশের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলের কাছে অবস্থান করবে। আবহাওয়ায় এই পরিবর্তনের দরুন বঙ্গে আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুত্-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকায় ঘোষণা করা হয়েছে, মত্স্যজীবীরা যেন ওই সময় সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকেন। এদিন সন্ধ্যাতে ঘূর্ণাবর্ত গভীর নিম্নচাপে পরিবর্তন হবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

মে ০৭, ২০২২
কলকাতা

তিলোত্তমায় দেখা মিলল কালবৈশাখীর, বজ্রবিদ্যুসহ ঝড়-বৃষ্টি দুই ২৪ পরগনাতেও

অবেশেষ দেখা মিলল কালবৈশাখীর। সাপ্তাহের শেষে শনিবাসরীয় সন্ধ্যাতেই কলকাতায় আচমকা ধুলো উড়তে শুরু করে। কালবৈশাখীতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে মহানগরবাসী। বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে কল্লোলিনী কলকাতা। কালবৈশাখীর ঝড়ে গ্রীষ্মের দহণ এদিন যেন নিমিষে উধাও হয়ে যায়।সোমবার কলকাতায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তার আগেই প্রকতি সদয় হল তিলোত্তমা কলকাতার প্রতি। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানেও এদিন বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা নামে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলাতে স্বস্তি এসেছে। এদিন কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি চলে।হাঁসফাঁস গরমে স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি দিতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার। এদিকে গরমের ছুটি ঘোষণার পর দিন থেকেই প্রকৃতি সদয় হতে শুরু করে। এদিন হঠাৎ ঝড়-জলে অফিস ফেরত মানুষজন বিপাকে পড়ে। তবু বৃষ্টিতে খুশিই হয়েছেন তাঁরা। পূবালি হাওয়ার জেরে রাজ্যে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করছে বলে জানিয়ে ছিল হাওয়া অফিস।

এপ্রিল ৩০, ২০২২
রাজ্য

কালবৈশাখি-র দাপটে তছনছ বর্ধমান, দূর্গাপুর, কালনা, কাটোয়া ও আউষগ্রাম

টানা দুমাসের প্রখর দাবদাহের শেষে সস্থির বৃষ্টিতে ভিজল দক্ষিণ বঙ্গ। দুপুর থেকেই মেঘের আনাগোনা আকাশ জুড়ে। তাপমাত্রা ৩৫-৩৮ ডিগ্রী র আসপাসে থাকলেও বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতে হাঁসফাঁস করা গরমে মানুষ জন কাহিল হয়ে পড়ে।বিকাল গড়াতেই পশ্চিমের আকাশ কালো হয়ে আসে। ৫:৩০ এর পর বর্ধমান জুড়ে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া। সময় গড়াতেই বাতাসের গতি বাড়তে বাড়তে প্রবল ঝড়ের আকার নেয়। সারা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শুরু হয় কালবৈশাখীর দাপট। আম, লিচু, জাম-র ব্যপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। শহর বর্ধমানে একাধিক জায়গায় ভেঙে পরে বহু গাছ। কালবৈশাখীর দাপটে বর্ধমান শহর ঢোকার মুখে উল্লাস মোড়ে পৌরসভার স্বাগতম গেট ভেঙে পড়ে ব্যাপক যানযটের সৃষ্টি হয়।দূর্গাপুর, পানাগড় ও কাঁকসা অঞ্চলে ভয়ঙ্কর শিলাবৃষ্টি হয়। বহু বাড়ির ও পথ চলতি গাড়ির কাঁচের জানলা ভেঙে যায়। দুর্গাপুর শহড়ের টানা ১০ মিনিট ধরে শিলাবৃষ্টি হয়। যা দেখলে তুষারপাত ভেবে ভ্রম হতেই হবে। এ হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ায় সস্তির বৃষ্টি হয়েছে বিকেল ও সন্ধ্যার সময়। নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরে ঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয় এক ব্যাক্তির। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়েওই ব্যক্তি যাওয়ার সময় মাথায় ওপর গাছের শুকনো ডাল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়। মৃত ব্যাক্তির নাম রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক।

এপ্রিল ২৯, ২০২২
দেশ

মার্চেই তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা, আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট 'অশনী'

বসন্ত নিয়ে বাঙালির যতই রোম্যান্টিকতা থাকুক না কেন, প্রকৃতির কিন্তু সে দিকে ভ্রূক্ষেপ নেই। রাতে অল্পস্বল্প ঠান্ডা অনুভূত হলেও দিনের বেলায় চড়চড়িয়ে বাড়ছে পারদ। হওয়া অফিস বলছে, কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখনই ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে যাওয়ার জোগাড়। অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। গুজরাতের একাধিক অংশ ও পশ্চিম রাজস্থানে তাপমাত্রা ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রির মধ্যে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজস্থান, বিদর্ভ, কোঙ্কন ও গোয়াতেও তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে। এরমধ্যে সৌরাষ্ট্র-কচ্ছে সপ্তাহজুড়ে একাধিক তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কোঙ্কন-গোয়াতেও তাপ প্রবাহ বওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচলপ্রদেশ-সহ একাধিক জায়গাতেও তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ থেকে ৬ ডিগ্রি বেশি থাকবে।মার্চের শুরু থেকেই কাঠ-ফাটা গরমে হাসফাঁস করতে শুরু করেছেন দেশবাসী। একাধিক রাজ্যে শুরু হয়েছে তাপ প্রবাহ। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে চলেছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভারত মহাসাগর ও পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর উপকূলে নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। আগামী কয়েকদিনে এই নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী ১৯ মার্চ পর্যন্ত আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী ১৮ ও ১৯ মার্চ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। আন্দামান সাগরের উপর থেকে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের উপরে চলতি বছরের প্রথম নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। এর সরাসরি প্রভাব আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপরই পড়বে। ঝোড়ো হাওয়া-সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপ থেকে তৈরি হওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে অশনী।

মার্চ ১৬, ২০২২
বিদেশ

ঘূর্ণিঝড় ইউনিসের দাপটে বিধ্বস্ত ব্রিটেন, মৃত অন্তত ১০

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ব্রিটেন। ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে গিয়েছে একের পর এক বাড়ির ছাদ। ঘণ্টায় ১৯৫ কিমি বেগে প্রবল হাওয়ার দাপটে ভেঙেছে গাড়ি, উপড়ে গিয়েছে গাছ। ঝড়ে এ পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, সাম্প্রতিক কালে এমন বিধ্বংসী ঝড় ইংল্যান্ডে এই প্রথম।🚨💨 Storm Eunice is battering the UK with powerful winds of up to 122 mph. Heres whats happening pic.twitter.com/GHn6iPCWZk LADbible (@ladbible) February 18, 2022শুক্রবার লিভারপুলে ঝড়ের তাণ্ডবে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের। আয়ারল্যান্ডে গাছ ভেঙে পড়ে ৬০ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার উপর। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ঝড়ের বেগে লন্ডনের ও-টু অ্যারেনা স্টেডিয়ামের ছাদ উড়ে গিয়েছে। একের পর এক বাড়ি তছনছ হয়ে গিয়েছে। বিধ্বস্ত পরিবহণ ব্যবস্থাও। বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসেও মারাত্মক প্রভাব পড়েছে এই ঝড়ের। ক্ষতির মুখে বহু বাড়ি ও জনজীবন। নেদারল্যান্ডসের আমস্টার্ডামের কাছে গাছের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের বলে জানিয়েছে পুলিশ। উত্তর গ্রনিনজেন এলাকায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি। ইউনিস ঝড়টি শুক্রবারই পশ্চিম ইংল্যান্ড উপকূলে জোর ধাক্কা দিয়ে কর্নওয়ালে আছড়ে পড়ে। প্রবল ঢেউয়ে ভেসে যায় উপকূল এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে লিভারপুল, কর্নওয়াল, আয়ারল্যান্ড ইত্যাদি জায়গার করুণ ছবি। লন্ডন এবং দক্ষিণ ইংল্যান্ডের একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। পরিষেবা সচল রাখা এবং উদ্ধারকাজে কাজ করে চলেছে প্রশাসন। ঝড়ের জন্য একের পর এক বিমান বাতিল করা হয়েছে। লন্ডনের গুরুত্বপূর্ণ বিমান বন্দরগুলিতে সব মিলিয়ে দুলক্ষ মানুষ আটকে পড়েন।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
রাজ্য

Cyclone JAWAD: গভীর নিম্নচাপ হয়েই বাংলায় প্রবেশ জাওয়াদের

শনিবারই শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। রবিবার সকালে তা আরও শক্তিক্ষয় করে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার গতিবেগে ওডিশা উপকূলের দিকে এগিয়েছে। হাওয়া অফিসের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী সোমবার ওডিশা উপকূল থেকে নিম্নচাপটি আরও উত্তরপূর্বে সরেছে। এবং ১০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা বেগে এগোচ্ছে। আগামী ছঘণ্টায় আরও শক্তি ক্ষয় করে নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হবে বাংলার উপকূল।যার জেরে রাত থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সোমবার সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার। টানা বৃষ্টিতে কলকাতার একাধিক অঞ্চলে জল জমার সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।হাওয়া অফিসের জানিয়েছে, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাংলাদেশ লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে।হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রাজ্যের উপকূলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সোমবার বিকেল থেকে ধীরে ধীরে হাওয়ার গতি কমবে। মঙ্গলবারের পর বৃষ্টি কমতে পারে বলেই জানিয়েছে তারা।

ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
কলকাতা

Cyclone JAWAD: বাংলায় জাওয়াদ-আতঙ্ক নেই, জানাল আলিপুর

বাংলার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ-এর আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, আতঙ্কেরও কোনও কারণ নেই। শনিবার বিকেলে এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ছঘণ্টায় সেটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।শুক্রবারের পূর্বাভাসে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, এর পর উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে ওডিশা উপকূল বরাবর সরে আগামী ৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ রবিবার, দুপুর-বিকেল নাগাদ পুরী উপকূলের কাছে পৌঁছবে জাওয়াদ।শনিবার সন্ধ্যায় দেখা গেল, ওই পথেই এগোচ্ছে সে। হাওয়া অফিস জানায়, রবিবার দুপুরে পুরী পৌঁছে জাওয়াদ ধীরে ধীরে শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর ধীরে ধীরে বাংলার উপকূলে ঢুকবে।কিন্তু বাংলায় যখন আসবে, তখন তার শক্তি কতটা থাকবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এখনও অবধি মৌসম ভবন যা জানিয়েছে, তাতে গভীর নিম্নচাপ হয়েই জাওয়াদ-এর বঙ্গে ঢোকার সম্ভাবনা প্রবল। তবে উপকূলবর্তী এলাকায় বাতাসের বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩৫-৪৫ কিলোমিটার। দমকা হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
রাজ্য

Cyclone Jawad: বাংলায় গভীর নিম্নচাপ হয়েই প্রবেশের সম্ভাবনা জাওয়াদের, জানাল হাওয়া অফিস

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ স্থলভাগের ঠিক কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানায়নি হাওয়া অফিস। তবে, বাংলায় তা ঢুকতে পারে গভীর নিম্নচাপ হিসাবে। শনিবার সকালে হাওয়া অফিসের বুলেটিন অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।মধ্য-পশ্চিম বঙ্গোপাগরেই এখন অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি। গত ৬ ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়েছে সে। শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশাখাপত্তনম থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পুরী থেকে ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ৫ ডিসেম্বর তা পুরী উপকূলে পৌঁছতে পারে বলে আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। এর পর তা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে। তার পরই তা ক্রমশ এগিয়ে আসতে পারে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায়। কিন্তু বাংলায় যখন আসবে, তখন তার শক্তি কতটা থাকবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এখনও অবধি মৌসম ভবন যা জানিয়েছে, তাতে গভীর নিম্নচাপ হয়েই জাওয়াদ-এর বঙ্গে ঢোকার সম্ভাবনা প্রবল।বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ঘণীভূত হওয়ার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ শনিবার সকাল থেকেই মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বিক্ষিপ্ত থেকে হালকা বৃষ্টিও হতে পারে কলকাতায়। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
রাজ্য

Cyclone Jawad: পুরী ছুঁয়ে বাংলার দিকে আসতে পারে জাঁদরেল জাওয়াদ

সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের অভিমুখ পরিবর্তন বিপদ বাড়াচ্ছে বাংলার। মৌসম ভবনের দাবি অনুযায়ী জাওয়াদ আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার ভোরে অন্ধ্র-ওডিশা উপকূলে পা রাখবে। তারপর তা বাঁক নিয়ে ওডিশা, ছত্তিশগড় হয়ে মধ্যপ্রদেশের দিকে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় মত, এই ঘূর্ণিঝড় ভূমিস্পর্শ করবে না শনিবার ভোরে। বরঞ্চ তা সাগরের বুকেই বাঁক নিয়ে মধ্য ও উত্তর ওডিশা উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে। রবিবার বিকালের মধ্যেই তা পুরীর কাছাকাছি চলে আসবে। অনুমান সোমবার ভোরে তা ভূমিস্পর্শ ঘটবে বাংলা ওডিশা উপকূলে। যদিও সেক্ষেত্রে তা আর ঘূর্ণিঝড় থাকবে কিনা তা নিয়ে খটকা থাকছে। কেননা দীর্ঘ সাগর পাড়ি দেওয়ার জেরে সাগরের বুকেই তার শক্তিক্ষয় হতে শুরু করে দেবে। তার জেরে ভূমিস্পর্শ কালে তা অতি গভীর নিম্নচাপের চেহারা নেবে। আর তার জেরে ওডিশা ও বাংলার বুকে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। আবার এটাও হতে পারে ওডিশা উপকূল ধরে এগোবার সময় সাগর থেকে আরও শক্তি সঞ্চয় করবে সে। আর তারপরেই সে এগিয়ে আসবে বাংলার দিকে।শুক্রবার বিকালে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এক সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড় আদৌ ভূমিস্পর্শ করবে কিনা তা নিয়েই খটকা আছে। তবে সাগরের বুকেই সে বাঁক নিয়ে ওডিশার উপকূল ধরে বাংলার দিকে এগিয়ে আসবে। তার জন্য এদিন থেকেই বাংলায় বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। শনিবার এই দুই জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। রবিবার কিন্তু দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও ঝাড়গ্রাম জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জলোচ্ছ্বাসেরও সম্ভাবনা থাকছে সেক্ষেত্রে। তবে ওডিশা উপকূল ধরে এগোনোর সময়েই জাওয়াদের শক্তিক্ষয় ঘটতে পারে। তাই বঙ্গে ঝড়ের তাণ্ডব সেভাবে নাও থাকতে পারে। কিন্তু যদি তার বিপরীত হয়, তাহলে বাংলার কপালে দুর্ভোগ থাকবে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২১
রাজ্য

Cyclone-Jawad: আরও শক্তি বাড়াল নিম্নচাপ! আগামী ১২ ঘণ্টায় ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়

আরও শক্তি বাড়াল নিম্নচাপ। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত অতি গভীর নিম্নচাপ। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর লাগোয়া পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড়ে। রবিবার সকালের মধ্যে পৌঁছবে ওডিশা-অন্ধ্র উপকূলে। তারপর উত্তর-উত্তরপূর্ব অভিমুখে বাঁক নেবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ।বঙ্গোপসাগরে ঘণীভূত হওয়া নিম্নচাপের জেরে শনিবার থেকে বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায়। শনিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে রাজ্যের উপকূলের জেলাগুলিতে। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার কলকাতার আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আকাশে বিক্ষিপ্ত মেঘের জেরে বাড়বে তাপমাত্রা। যার জেরে কমবে শীতের অনুভূতি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৯.৭ ডিগ্রি এবং ১৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।শুক্রবার থেকেই বেশ কয়েকটি জেলা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়ায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ৬ জেলায় শনিবার ভারী বৃষ্টি। রবিবার মূল দুর্যোগের আশঙ্কা। এই ঘূর্ণিঝড় অন্ধ্র-ওডিশা উপকূলের দিকে এগোবে। কিন্তু সেখান থেকে এটি স্থলভাগে ঢুকে যাবে কিনা, তা সুস্পষ্ট নয়। এক হতে পারে, স্থলভাগে ঢুকে খানিকটা শক্তি হারিয়ে বাংলার দিকে এল। অথবা স্থলভাগে না ঢুকেই সমুদ্র পথ ধরে বাংলায় আছড়ে পড়তে পারে। ওড়িশার কাছাকাছি আসার পর ঘূর্ণিঝড় একটা টার্ন নিতেই পারে।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবছর আন্দামান ও বঙ্গোপসাগরে বারবার নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যদি নিম্নচাপ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে,তাহলে শক্তি বৃদ্ধি করবেই। এক্ষেত্রেও সেটি হবে। এবছর একটানা শীতের মরসুমও নেই। তার একটাই কারণ জলীয় বাষ্প। শীতের আমেজও এবার কম থাকবে। এক টানা কনকনে শীতের সম্ভাবনা কম।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২১
রাজ্য

Cyclone: ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি বঙ্গে, থাইল্যান্ড থেকে ধেয়ে আসছে জাওয়াদ

থাইল্যান্ড থেকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। ফের বাংলায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পূর্বাভাস। সপ্তাহান্তে কলকাতা-সহ উপকূল সংলগ্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতিভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমশ দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঢুকবে। শক্তি সঞ্চয় করে সেখানেই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এই গভীর নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাওয়াদ। শনিবার সকালে এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা ওডিশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা -সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি এবং উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনি ও রবিবার ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।এর প্রভাবে শনিবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলে বাতাসের গতিবেগ ৬৫ থেকে ৮০ কিলোমিটার হতে পারে। মৎস্যজীবীদের দেওয়া সতর্কবার্তায় আবহাওয়া দপ্তর শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যারা সমুদ্রের রয়েছেন তাদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

পাকিস্থানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধবংস, জম্মুসহ দেশের বহু শহরে ব্ল্যাক আউট, ৩টে পাক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

অপারেশন সিন্দুরের পর লাহোরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত অপারেশন সিন্দুর-এর মাধ্যমে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। ভারত গতকাল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো হয়। সন্ধ্যের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও গুজরাটের বহু শহর ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। জম্মুতে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। দুটি যুদ্ধ বিমান গুলি করে ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৭ ও ৮ মে মধ্য রাতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভুজ সহ ১৫টি শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে, ভারতের কাউন্টার ইউএএস (Unmanned Aerial System) ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে এই আক্রমণগুলিকে প্রতিহত করে। এদিকে ভারতের পাল্টা পদক্ষেপে লাহোরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাহোরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাতেও বিস্ফোরণের খবর আসে। লাহোরে এয়ার ডিসেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার ও রাজৌরি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন নিরীহ নাগরিকের। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন মহিলা ও ৫ জন শিশু। পাশাপাশি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান ৭ মে রাতে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, বাথিন্ডা, চণ্ডীগড়, এবং ভুজ-এর মতো উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থান লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই হামলাগুলি সফলভাবে প্রতিহত করে।

মে ০৮, ২০২৫
রাজ্য

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রুপায়ন পাল, জয়জয়কার পূর্ব বর্ধমানের

ভারতীয় সেনাারা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার ভোররাতের ওই ঘটনায় বেজায় খশি এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান পাওয়া বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র রুপায়ন পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ (৯৯.৪ শতাংশ)। বুধবার ফল প্রকাশের পর কৃতী ছাত্র রুপায়ন সাংবাদিকদের বলে, ভারতীয় সেনারা যে প্রত্যাঘাত করেছে সেটা যথেষ্টই প্রশংসনীয়। প্রত্যেক ভারতীয় জন্য এটা গর্বের। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আরও ছয় কৃতী ছাত্র ছাত্রী।রুপায়ন পালেদের আদি বাড়ি ভাতারের খেড়ুর গ্রামে। তবে এখন তাঁরা থাকেন বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী কালীতলায়। রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল জামালপুর থানার জৌগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষক। মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।রুপায়ন জানিয়েছে, মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় আমি পঞ্চম স্থানে ছিলাম।উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা ভাল হলেও মেধা তালিকার একেবারে প্রথম স্থানে আমি থাকব, এতটা আমি আশা করিনি।রুপায়ন জানিয়েছে, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে তাঁর বাবা ও মায়ের।পাঠ্য পুস্তক পড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার প্রতিও যথেষ্ট ঝোকঁ রয়েছে রুপায়নের। তাঁর প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার জন্য দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা পড়াশুনা করেছে রুপায়ন। কৃতী এই ছাত্র ডাক্তার হতে চায়। তার জন্য সে জয়েন্ট পরীক্ষাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে। ডাক্তার হতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও করেছে রুপায়ন।তবে শুধু রুপায়ন পালই নয়, মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধীক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জায়গা করে নিয়েছে। মেধা তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে জেলার কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ঋদ্ধিত পাল এবং ভাতার এম পি হাইস্কুলের ছাত্র কুন্তল চৌধুরী। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। এছাড়াও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কাটোয়া ডি ডি সি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি ও মেমারির ভি এম ইনস্টিটিউশন (শাখা ১) এর ছাত্র জয়দীপ পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর-৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেবদত্তা ৭০০ নম্বরে মাধ্যম ৬৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল।ইতিমধ্যেই এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE মেন) প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সপ্তম স্থানে এবং দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে দুই কৃতী ছাত্র শুভম পাল ও অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম স্থানাধিকারী শুভমের প্রাপ্ত নম্বর - ৪৯১ (৯৮.২ শতাংশ)। আর দশম স্থান থাকা অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ (৯৭.৬ শতাংশ)।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

জৈশ এ মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারের ডেরায় আক্রমণ, তাঁর পরিবারের ১৪ জন নিহত

অপারেশন সিন্দুরের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু ছিল বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তর, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার। আজহারকে শেষবার বাহাওয়ালপুরে সংগঠনটির মাদ্রাসার কাছে দেখা গিয়েছিল, যেখানে ওই মাদ্রাসাটি একটি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত, পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহের উৎসও ছিল। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হাফিজ সাইদের লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে সম্পর্কিত মুরিদকেতে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ এই মাদ্রাসাটি ধ্বংস করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁর ভাই এি হামলায় মারা গেছেন বলে খবর। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে প্রায় ৭০ জন জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীও পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রতিশোধমূলক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, পাকিস্তানি F-16 এবং JF-17 যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে একটি JF-17 ,আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন অনুসারে, এই হামলার আকার এবং নির্ভুলতা ভারতের নিরাপত্তা নীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি প্রথমবারের মতো অভিযানগুলিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সীমাবদ্ধ রাখার পরিবর্তে ভারত পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের গভীরে, পাঞ্জাব প্রদেশে, আক্রমণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এই পদক্ষেপটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারত সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে মেনে নেবে না এবং তার নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারত, পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা

অবশেষে চরম বদলা নিল ভারত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। একেবারে বেছে বেছে নির্দষ্ট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে বিধ্বংসী হামলা চালানো হয়েছে। ভারত এই অপারেশনের নাম দিয়েছে অপারেশন সিন্দুর। এই বদলার খবর ভারতীয় সেনার তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে।ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে তার মধ্যে ৪টি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মুজাফফরাবাদ এবং কোটলিতে। এই সমস্ত এলাকাই সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি। এদিকে জম্মু বিভাগের কমিশনারের জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, ৭ মে (বুধবার) জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলায় সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশেষ করে পুঞ্চ জেলায় নিরাপত্তা সতর্কতা জারি হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পুঞ্চ জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় আজ, ৭ মে ২০২৫, বন্ধ থাকবে।আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত।OperationSindoor হল পহেলগামে আমাদের নিরীহ ভাইদের নৃশংস হত্যার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া। ভারত এবং তার জনগণের উপর যে কোনও আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতে মোদী সরকার বদ্ধপরিকর। ভারত সন্ত্রাসবাদকে তার মূল থেকে নির্মূল করতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।এদিকে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানি বাহিনীর আন্তঃসীমান্ত গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মীরে কমপক্ষে সাতজন নাগরিক নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন। পাক গোলাবর্ষণে মেন্ধরে একজন এবং পুঞ্চে ৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৫ সালের ৬-৭ মে রাতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিপরীতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পোস্ট থেকে কামান থেকে গোলাবর্ষণ সহ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এই তথ্য জানিয়েছেন উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা (প্রতিরক্ষা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বারাতওয়াল।

মে ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal