• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, মঙ্গলবার ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Congress,

দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদে উল্টো হাওয়া, অধীরের উপস্থিতিতে কংগ্রেসের যোগদান সভায় ভিড়

দলের আদর্শে আস্থা রেখে এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নেতৃত্বে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ প্রায় ১০০০জন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করলেন।জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এই যোগদান সভায় ফারাক্কার বিশিষ্ট সমাজসেবী সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাও অধীর চৌধুরীর হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে দলে যোগ দেন ।এই প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ বলেন, দিন দিন মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে কেবলমাত্র রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস দলই বিজেপি - আরএসএসকে মোকাবেলা করতে পারে। তাই তাঁরা আমাদের প্রতি আস্থা রেখে কংগ্রেসে যোগদান করছেন। আগামিদিনে আমরা প্রতিটি ব্লক ও মহকুমায় ভোটার অধিকার সম্মেলন শুরু করব এবং বিজেপি ও তৃণমূলের ভোট চুরির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলব।উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি ও প্রাক্তন মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এই বিশাল যোগদান আগামী দিনে জেলার কংগ্রেস সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করবে।

সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫
রাজনীতি

“ভোটারদের গায়ে হাত পড়লে গণ আন্দোলন", চক্রান্ত বাংলাতেও! চরম হুঁশিয়ারি মমতার

বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলো। সোমবার একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে হুঙ্কার ছাড়লেন তৃণমূল সুপ্রমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিহারে ৪০ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার পশ্চিমবঙ্গেও সেটাই করতে চাও? যদি এমনটা করার চেষ্টা করো, তাহলে আমরা ঘেরাও আন্দোলন শুরু করব। আমরা তীব্র প্রতিবাদে নামব। আমরা তোমাদের কারোর নাম বাদ দিতে দেব না, একজনকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেব না_এরই পাশাপাশি বিজেপি সরকারের বাঙালিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, এই মুহূর্ত থেকেই শুরু হচ্ছে ভাষা আন্দোলন। ২৭ জুলাই থেকে, প্রতি শনিবার ও রবিবার মিছিল ও সভা করতে হবে-বাংলা ভাষার প্রতি যে হিংসা ও অবমাননা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এটা করতে হবে। কোনও পরিযায়ী শ্রমিক বা তাঁদের পরিবার যদি বলে তারা সমস্যায় আছে, তাহলে পাশে দাঁড়াতে হবে, আমাদেরও অবহিত করুন।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

বাংলা দিবস পালন নিয়ে বিজেপিকে কড়া তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

বাংলা দিবস পালন নিয়ে ফের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। আগামী ২০ জুন বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ সচিব পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি দফতরকে একটি চিঠি দিয়েছে। আলাদা করে বাংলা দিবস পালনের দিন নির্ধারণ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে BJP-র কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০ জুন প্রতিটি রাজ্যের রাজভবনে বাংলা দিবস পালন করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এই তারিখ কীভাবে ঠিক করা হল? দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৫ আগস্ট। বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস আপনারা ঠিক করে দেবেন? বিজেপি ইচ্ছা মতো চাপিয়ে দেবে? এটা বাংলাকে চরম অসম্মান বলে আমরা মনে করছি। বাংলা দিবস বাংলার সরকার পালন করবে। সেটা ১ বৈশাখ।এদিন কেন্দ্রকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও তোপ, সব বুলডোজ করছে, দেশে জুমলা সরকার চলছে। পেহেলগাঁওয়ের পর সবাই বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা বলেছে। বিরোধীরা সবাই অধিবেশন ডাকার কথা বলেছিল। কেন বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে না?একশো দিনের কাজের টাকা চার বছর ধরে বন্ধ করেছে। আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজে সেই টাকা খরচ করে উন্নয়ন বজায় রেখেছে।

জুন ১৮, ২০২৫
রাজনীতি

২১ জুলাইয়ের পোস্টারে ছবি কার? কি সিদ্ধান্ত দলের?

২১ জুলাই শহীদ দিবস। ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের ২১ শে জুলাইকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সভা সফল করতে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শনিবার ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে তৃণমূল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার ২১ জুলাইয়ের পোস্টারে থাকবে শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকবে না। এটা অভিষেক নিজেই চেয়েছেন। উল্লেখ্য, অভিষেক ২০১১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন এবং দলের যুব সংগঠনের সভাপতি হন। এরপর থেকে তিনি দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে উঠে আসেন। কিন্তু তাঁর ছবি পোস্টার থেকে বাদ যাওয়ার বিষয়টিকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনার শেষ নেই। গত বছর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সমাবেশে অভিষেকের ছবি না-থাকায় তৃণমূলের ভিতরেই বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। কুণাল ঘোষের মতো নেতারা সেই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। এবার যাতে তেমন কোন বিতর্ক না হয় তা নিয়ে আগে ভাগেই সতর্ক অবস্থান নিল দল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুদীপবাবু বলেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দফতর থেকে যেসব পোস্টার পাঠানো হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিই রয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, অভিষেক নিজেই বলেছেন, যেহেতু তিনি ২১ জুলাইয়ের ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না, তাই তাঁর ছবি পোস্টারে না থাকাই যুক্তিযুক্ত।রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বারবার দলীয় সভায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, সরকার যেমন তাঁর হাতেই, সংগঠনেও তিনিও শেষ কথা। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই, বাম সরকারের আমলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন তৃণমূল কর্মী। সেই শহিদদের স্মৃতিতে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করে তৃণমূল। যেহেতু সেই সময় অভিষেক রাজনীতিতে ছিলেন না, তাই এবার তিনি নিজেই সরে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন এমনটাই দাবি সুদীপের-ফিরহাদদের।তবে এই ছবি বিতর্ক নতুন কোন ইস্যু নয়। ২০২৩ সালে নেতাজি ইন্ডোরের এক সভাতেও শুধু মমতার ছবি ছিল, অভিষেকের ছবি না-থাকায় কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন। আবার ২০২৫-এর শুরুতে অভিষেকের দফতর থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারে তাঁর বিরাট ছবি ঘিরেও শুরু হয়েছিল বিতর্ক। পরে সেটি বদলে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এরপর ফের ফেব্রুয়ারিতে নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভায় দেখা যায় শুধুই মমতার ছবি। সব মিলিয়ে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশকে ঘিরে যে রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরি হচ্ছে, তাতে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক নেতৃত্বকেই সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর অভিষেকের ছবি না-থাকা সেই বার্তাকেই আরও সুদৃঢ় করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের ।

জুন ১৫, ২০২৫
কলকাতা

অনুব্রত কলকাতায় তৃণমূলের বৈঠকে, তাঁকে কি নির্দেশ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের?

এদিন কলকাতায় তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে হাজির ছিলেন বীরভূমের দলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। এসেছিলেন জেলা পরিষদের সভাপতি কাজল শেখ। এই দুই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার তৃণমূল। লড়াই মূলত অনুব্রত ও কাজলের মধ্যে। তাঁরা বিবৃতিও দেন প্রকাশ্য। সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসিকে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে অনুব্রত মন্ডল। তাতে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। সমাজের সর্ব স্তর থেকে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।তৃণমূলের একাংশের রোষানলে পড়েন অনুব্রত। দলীয় নির্দেশ মেনে সেই ঘটনার পর তড়িঘড়ি ক্ষমাও চেয়ে নেন কেষ্ট। তারপর অবশ্য এআই তত্ব সামনে আসে। এবার শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেদলের ঐক্য রক্ষা করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, এবং নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বকে দূরে সরিয়ে দলীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনুব্রত মন্ডলকে সতর্ক করা হয়েছে। ভবিষ্য়তে এমন কাজ করলে দল বরদাস্ত করবে না।

জুন ১৫, ২০২৫
রাজনীতি

বর্ধমানে বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অভিযোগ অস্বীকার বিধায়কের

বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠলো বর্ধমানে। অভিযোগ, হামলাকারীরা বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে চড়াও হয়ে বিজেপি কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালায়। তখন বিজেপির কার্য্যকারিনী কমিটির বৈঠকও চলছিল। বর্ধমান শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রথতলা এলাকায় হওয়া এই ঘটনায় এলাকার বিধায়ক খোকন দাসের নাম জড়িয়েছে। বর্ধমান শহরের ৫ নম্বর মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর রায়, মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক অসিত হালদার সহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল লামা, মনোজ ওরাও,পুনা ভাংরা ও পবন সিং সোমবার বর্ধমান জেলা বিজেপি দফতরে এসে পৌঁছান। এরপর আহত বিজেপি কর্মীদের দেখতে তারা সেখান থেকে চলে যান স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে । আহতদের কাছ থেকে হামলার ঘটনার সবিস্তার শুনে বিজেপি প্রতিনিধিরা ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। শঙ্কর ঘোষ বলেন, শাসকদলের দুস্কৃতীরা চরম অন্যায় করছে। বিজেপির সংগঠন বিস্তারে ভয় পেয়ে তারা এসব করছে।ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা যুবমোর্চার সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহার অভিযোগ, বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খোকন দাসের বাড়ির শহরের রথতলা এলাকায়। বিধায়কের বাড়ির কাছেই বাড়ি রথতলা এলাকায় ৫ নম্বর মণ্ডলের মণ্ডল বিজেপি সভাপতি শুভঙ্কর রায়ের। রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই বুথ স্বশক্তিকরণ ও অপারেশন সিঁদুরের সফলতার কথা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া নিয়ে বিজেপি কর্মীরা বৈঠক করছিলেন।বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, বৈঠকের শেষদিকে হঠাৎ করেই বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নেতৃত্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি মণ্ডল সভাপতি শুভঙ্কর রায়ের বাড়িতে চড়াও হয়। তারা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে। এমনকি মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটতরাজও চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মণ্ডল সভাপতি সহ আরও বেশ কয়েকজন বিজেপিকর্মী আহত হন। চিকিৎসার জন্য তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। খবর পেয়ে রাতেই বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয় । তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাসের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপি নেতৃত্ব আইনের দ্বারস্থ হলে প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। বিজেপি বাজার গরম করার জন্যই তৃণমূলের নামে এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে প্রসেনজিত দাস মন্তব্য করেছেন। আর বিধায়ক খোকন দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রাতে ঝামেলার কথা শুনেছি। ওদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। আমরা ওর মধ্যে নেই। মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। আমাদের কেউ হামলা করেনি। আর শুভঙ্কর রায় তো বাংলাদেশী। ওই একমাত্র এখানে থাকে। ওর গোটা পরিবার থাকে বাংলাদেশে। কি করে নাম তোলালো তা বুঝতে পারছি না। বিধায়কের এই বক্তব্যের পাল্টা জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, নিজে বাংলাদেশি বলেই হয়তো বিধায়ক খোকন দাস সবাইকে বাংলাদেশি বানিয়ে দিতে চাইছে।

জুন ০৯, ২০২৫
রাজনীতি

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেস, এবার কাজল শেখের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্লক সভাপতির

বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকলহ যেন কিছুতেই কমছে না। বরং বাড়ছে। আইসিকে গালাগাল দেওয়ার অডিও ভাইরাল হতেই অনুব্রত ও কাজল গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব আরও বেড়েছে। নাম না করে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ সাবের আলি। তাঁর বক্তব্য, দলকে ভাঙিয়ে কেউ কেউ ব্যবসা করছে। তাঁর অভিযোগ, সভাধিপতি দলে বিভাজন সৃষ্টি করছেন। বিষয়টি কোর কমিটির কাছে জানাবেন বলে জানিয়েছেন সাবের আলি।এআইকে যতই দোষারোপ করা হোক না কেন কুকথা কাণ্ডে বিদ্ধ বীরভূম জেলার প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মুষড়ে পড়েছিলেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। এরই মাঝে উৎসাহিত হয়ে কাজল ঘনিষ্ঠরা বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট সভা করেন বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার বোলপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসে হাজিরা দিয়ে পরের দিন দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন অনুব্রত। এরপর থেকেই ফের উৎসাহিত হয়ে ময়দানে নেমে পড়েছেন অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় সাঁইথিয়া ব্লকের হরিসরা গ্রামে সভা করেন সাবের আলি। সভায় তিনি বলেন, বীরভূম জেলায় ১১ টি বিধানসভার সিটে জয়ী করতে পারেন একমাত্র অনুব্রত মণ্ডল। কারণ তিনিই জেলায় সংগঠনকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন।সাবের আলির অভিযোগ, বীরভূম জেলা পরিষদ সাঁইথিয়া ব্লকে কোন উন্নয়ন করেনি। আর সাঁইথিয়া ব্লকের একজন উপপ্রধানকে ডেকে দলে বিভাজনের সৃষ্টি করছেন। ভাঁওতাবাজি করে তাকে বলা হচ্ছে তোমার এলাকার উন্নয়নে যত টাকা লাগবে দেব। শুধুমাত্র দলে বিভাজন করতে এসব করছেন সভাধিপতি। সরাসরি সভাধিপতিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, এই ব্লকে একমাত্র অবজারভার রানা সিং সভা ডাকতে পারেন। সভাধিপতি পারেন না। মাঠপলসা অঞ্চলে সভাধিপতি নোংরামি করেছে। বনগ্রাম অঞ্চল নিয়ে নোংরামি করছে। দলটা সভাধিপতির বাড়ির সম্পত্তি নয়। কাউকে নিয়ে আলোচনা করতে হলে জেলা পরিষদে নিয়ে গিয়ে আলোচনা করুন। দলকে বিভাজন করতে কাউকে পার্টি অফিসে ডেকে পাঠিয়ে আলোচনা করবেন না। কোর কমিটির কাছে মুখোশ খুলে দেব। এ বিষয়ে কাজল শেখের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জুন ০৭, ২০২৫
রাজ্য

জার্মানী গিয়ে চুপিসারে বিয়ে সেরেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, পাত্র কে?

তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সুদূর জার্মানী গিয়ে বিয়ে করেছেন। ওড়িশার প্রাক্তন বিজু জনতা দলের (বিজেডি) সাংসদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পিনাকী মিশ্রের গলায় মালা দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। দুজনেই ডিভোর্সী। এক মাস আগে চুপিসারে এই বিয়ে সেরেছেন মহুয়া-পিনাকী।গত ৩০ মে একটি সাধারণ অনুষ্ঠানে তাঁরা বিয়ে করেছেন। কৃষ্ণনগরের দুই বারের তৃণমূল সাংসদ এর আগে লার্স ব্রোসনকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু পরে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তিনি বিদেশী বড় সংস্থায় কাজ করেছেন। ৫০ বছর বয়সী মহুয়া নগদ অর্থের বিনিময়ে জিজ্ঞাসা করেছেন, যার ফলে লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে লোকসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি দর্শন হিরানন্দানির কাছ থেকে উপহার এবং নগদ অর্থ গ্রহণ করেছিলেন। তার পার্লামেন্ট লগইন আইডি শেয়ার করার এবং তার পক্ষে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার বিনিময়ে। ১৯৭৪ সালে আসামের কাছাড় জেলায় জন্ম মহুয়া মৈত্রের। চা চাষীদের পরিবারে বেশ সচ্ছলভাবে বেড়ে ওঠেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের একটি কলেজ থেকে অর্থনীতি ও গণিতে ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে দেশে ফিরে আসার পর তিনি প্রথমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি ২০০৮ সালে প্রথম কংগ্রেসে যোগ দেন, যেখানে দল তাকে রাহুল গান্ধীর আম আদমি কা সিপাহি (সাধারণ মানুষের সৈনিক) বুথ-স্তরের প্রচারণার নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেয়। মৈত্রের স্বামী পিনাকী মিশ্র ওড়িশার একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৯৬ সালে পুরী থেকে কংগ্রেসের সাংসদ হন। একজন প্রবীণ আইনজীবী হিসেবে তিনি পরবর্তীতে নবীন পট্টনায়েকের বিজেডিতে যোগ দেন এবং ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনে পুরীতে আবার জয়লাভ করেন এবং দিল্লিতে দলের মুখ হন।

জুন ০৬, ২০২৫
রাজ্য

সারাজীবন চলবে লক্ষ্মীর ভান্ডার, ২০২৬-এর আগে জানিয়ে দিলেন মমতা

উত্তরবঙ্গের দ্বিতীয় দিনের সফরে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার জেলা এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হবে। এটা চলতে থাকবে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতে প্রথম আমরা এই প্রকল্প চালু করেছি। সারাজীবন চলবে, প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা তা রাখি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির নাম না করেই কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা দিলে কথা রাখি, উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক সভায় বলেন নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর, ঘোষণা করেন একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা। তিনটি জেলার মোট ৩৬৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মোট অর্থমূল্য ২৫০ কোটি ৫৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা। এরইসঙ্গে ১৩৪টি প্রকল্পের শিলান্যাস করা হল, যার অর্থমূল্য প্রায় ১৮৯ কোটি ৪২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা। বাংলার উন্নয়নের লক্ষ্যে মা-মাটি-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষের সরকার সদা জাগ্রত। বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা, কৃষকবন্ধু মৃত্যুকালীন সহায়তা, চোখের আলো প্রকল্প, যোগ্যশ্রী, ক্যাশ ক্রেডিট লোন (আনন্দধারা), সংখ্যালঘু ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সহায়তার জন্য মেয়াদি ঋণ প্রদান, সবুজ সাথীর সাইকেল প্রদান, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী, জমির পাট্টা প্রদান, ধামসা-মাদল বাদ্যযন্ত্র প্রদান একাধিক প্রকল্পের সরকারি পরিষেবা প্রদান করলাম। উত্তরবঙ্গের যে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলি উদ্বোধন করেন মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেগুলি হল, মাল ব্লকে ১৬২টি এবং নাগরাকাটা ব্লকে ২৮৫টি চা সুন্দরী ঘর নির্মাণ প্রকল্প, ৩১ কোটি ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়। রাজগঞ্জ ব্লকে সাহুডাঙ্গি থেকে বেলাকোবা রাস্তা ২৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। মালবাজার ব্লকে গজলডোবা ব্যারেজ থেকে ক্রান্তি ওদলাবাড়ি সংযোগকারী বাগানবাড়ি মোড় রাস্তা নির্মাণ, ১৬ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। বেরুবাড়ি গ্যাস ইন্সুলেটেড সাব স্টেশন, ১০ কোটি টাকা। বানারহাট ব্লকে গয়েরকাটা-রামসাই-মধুবনী পার্কের কাছে মাচুয়া নদীর উপর আরসিসি সেতু, ৮ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। মালবাজার ব্লকে চেংমারী পি.ডব্লিউ.ডি রোড থেকে পি.এম.জি.এস.ওয়াই রোড খাল পাড়া জুনিয়র হাইস্কুল পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ৮ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন ব্লকে ৫০টি ওয়াটার ভেন্ডিং কিয়স্ক নির্মাণ, সাড়ে ৪ কোটি টাকা। মিনগ্লাস চা-বাগানে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্প, ৪ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে আলুর উৎকর্ষ কেন্দ্র নির্মাণ, ৪ কোটি টাকা। ধূপগুড়ি কৃষকবাজারের পরিকাঠামো উন্নয়ন, ৩ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। রাজগঞ্জ ব্লকে পানকৌড়ি মোড় থেকে হরিহর হাই স্কুল ভায়া মরাডাঙ্গি হাসপাতাল পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মাণ, ৩ কোটি ১৭লক্ষ টাকা। ধূপগুড়ি ব্লকে গিলান্ডি নদীর উপর সুরক্ষা কাজ এবং রাস্তা-সহ জয়েস্ট সেতু নির্মাণ, ২ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। মালবাজার ব্লকে সুখা ঝোরার উপর বক্স কালভার্ট নির্মাণ, ২ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। ময়নাগুড়ি ব্লকে দ্বারিকামারিতে সালমারা নদীর উপর জয়েস্ট সেতু নির্মাণ, ২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। ক্রান্তি ব্লকে রাজাডাঙ্গা আঁচল মোড় থেকে দেবীপুর ফ্যাক্টরি মোড় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ২ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। রাজগঞ্জ ব্লকে তালমা নদীর উপর সংযোগ সড়ক এবং সুরক্ষা কাজ-সহ জয়েস্ট সেতু নির্মাণ, ২ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা। নাগরাকাটা ব্লকে ভবানী শর্মার বাড়ি থেকে বামিয়া মুন্ডার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ২ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা। মাল ব্লকে গোলাপ চাঁদের দোকান থেকে দমদিম টিজি ফ্যাক্টরি গেট হয়ে এনজি ডিভিশন অফিস পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, ২ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। এছাড়া, আরও অনেকগুলি রাস্তা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, কমিউনিটি হল, ইকো পার্ক, সৌরচালিত পথবাতি, সৌরচালিত পানীয় জল, পানীয় জলের নলকূপ, দোকানঘর, মাদ্রাসা লাইব্রেরি, মিড-ডে মিল ডায়নিং হল, বিভিন্ন স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ অন্যান্য প্রকল্প।

মে ২১, ২০২৫
রাজ্য

আদালতের নির্দেশে মেনে মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু, দিলেন নিরাপত্তার আশ্বাস

শর্তসাক্ষেপে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি মিলতেই শনিবার মুর্শিদাবাদে সফরে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন প্রথমে তিনি ধূলিয়ান গঙ্গা স্টেশনে নামেন। সেখানে দলীয় নেতা ও কর্মীরা তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা জানান। তারপরে তিনি স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের জেরে হিংসার ঘটনায় জাফরাবাদে বাবা হরগোবিন্দ দাস ও ছেলে চন্দন দাসকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। বিরোধী দলনেতা আজ দাস বাড়িতে যান। সেখান মৃত হরগোবিন্দ ও চন্দন দাসের স্ত্রী এবং অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা করেন। তিনি দুই পরিবারের সদস্যদের হাতে ১০ লক্ষ ১ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেন। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, হিংসার ঘটনার পর থেকে জাফরাবাদে ভয়ঙ্কর অবস্থা। গ্রামবাসীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্প ও এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে। তিনি এই বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, দাস পরিবার মুখ্যমন্ত্রীর ১০ লক্ষ টাকা প্রত্যাখ্যান করেছে কিন্ত আমার ১০ লক্ষ টাকা গ্রহণ করেছে। কাজেই দাস পরিবারের কাছে মুখ্যমন্ত্রী ব্রাত্য, আমাকে গ্রহণ করেছেন। জাফরাবাদ থেকে বেরিয়ে দিঘির পাড়ে যান। সেখান থেকে বেতবোনায় পৌঁছন। সেখানে কিছুক্ষণ থেকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং হিংসা বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন। গ্রামবাসীরা তাঁকে নিরাপত্তার দাবি জানায়। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু।

এপ্রিল ২৬, ২০২৫
রাজনীতি

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ফের রাজনীতির ময়দানে, উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়তে চান প্রাক্তন মন্ত্রী

রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পাওয়ার পর নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে হাবড়ায় এলেন বিধায়ক জনপ্রিয় মল্লিক। দীর্ঘ ১৫ মাস পর বিধায়কের কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাসিত জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠরা। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, এলাকায় এখনও অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। এখন আমার কাছে উন্নয়নই পাখির চোখ। দ্রুত সেই কাজগুলি শেষ করতে হবে। রেশন দুর্নীতি মামলায় ১৪ মাস জেলবন্দি ছিলেন হাবড়ার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শর্তসাপেক্ষে জামিন পাওয়ার পর বিধানসভায় গেলেও হাবড়ায় তাঁকে দেখা যায়নি। তবে হাবড়ার বহু নেতাকর্মী তাঁর সঙ্গে তার কলকাতার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তারা বাড়িতে গিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে দেখা করে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে আশার অনুরোধ করছিলেন। জেল মুক্তির প্রায় এক মাস পর রবিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এলেন জ্যোতিপ্রিয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আসার খবর পেয়ে আগে থেকেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা হাবরা ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় জমায়েত করেছিল। সেখান থেকে কর্মীদের সঙ্গে মিছিল করে হাবড়া পৌরসভায় আসেন বিধায়ক। মিছিলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে মিছিলে হাঁটেন হাবড়া পৌরসভার বর্তমান এবং প্রাক্তন পৌর প্রধান। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমার শরীর ভালো আছে, সুস্থ আছে। কর্মীদের কাছে থাকাটাই আনন্দের। আমাদের জীবনের সবটাই কর্মী। নেতাভিত্তিক না করে কর্মীভিত্তিক কাজ করলে অনেক ভালো লাগে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এখন হাবরার উন্নয়নটা আমার কাছে পাখির চোখ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে উন্নয়নের কাজগুলি আমরা শুরু করেছি সেই কাজগুলি অনেকটা আমার কাছে অসমাপ্ত থেকে গেছে। কিন্তু সরকার কাজ করেছে পৌরসভা, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ কাজ করেছে। তারপরও কিছুটা রাস্তার কাজ, কালভার্টের কাজ এবং মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজও কিছুটা বাকি রয়েছে। সেগুলো দ্রুত সম্পূর্ণ করা হবে। হাবড়ার বস্ত্র হাটে দোকান বিতরণ করে দেওয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫
দেশ

প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, এইমসে সনিয়া, প্রিয়াঙ্কা, আসছেন রাহুল

প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে দিল্লির ভর্তি করা হয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। আজ রাতেই দিল্লির এমসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এইমসে পৌঁছান সনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।পঞ্জাবের গাহতে জন্মগ্রহণ করেন মনমোহন সিং। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্ণরও ছিলেন। অর্থনীতিতে পন্ডিত ব্যক্তি ছিলেন মনমোহন সিং। দেশ ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি দক্ষতার সঙ্গে বিচরণ করছেন। মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণের খবর পেয়েই দিল্লির AIIMS-এ পৌঁছোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কর্ণাটক থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জন খাড়গেরা। মনমোহন সিংয়ের মেয়ে এবং স্ত্রীও এইমস-এ রয়েছেন। অন্যদিকে, কর্ণাটকের বেলাগাভিতে চলমান CWC সভা মাঝপথে বাতিল করেছে কংগ্রেস। শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। শুধু ভারতে নয়, গোটা বিশ্বের স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদদের মধ্যে অগ্রগণ্য তিনি। তাঁর অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে তাঁকে রাজনীতিতে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। নরসিমা রাওয়ের মন্ত্রিসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। মনমোহন সিং ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁকে অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার বলে অভিহিত করলেও প্রধানমন্ত্রী থেকে তাবড় বিজেপি নেতৃত্ব শোকপ্রকাশ করেছেন। সজ্জন, ভদ্র, সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসাবেই দেশের জনতা মনে রাখবেন মনমোহন সিংকে।তিনিই প্রথম এবং একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি লোকসভা নির্বাচনে না জিতে রাজ্যসভা সদস্য হয়ে দুবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এরপরেও তিনি রাজ্যসভার মাধ্যমে কংগ্রেসের রাজনীতিতে নিজের উপস্থিতি বজায় রেখেছিলেন। তাঁর সরকারের অনরাত্মা ছিলেন সনিয়া গান্ধী।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজনীতি

বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের ৬ লক্ষের মেডিক্যাল বিল নিয়ে বিতর্ক, ব্যাট ধরলেন কুণাল

বিবাহ বিচ্ছেদ, বিধায়ক, তারপর সন্তান। এবার সন্তান হওয়ার পরও বিতর্ক যেন কিছুতে পিছু ছাড়ছে না বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে। এবার বিতর্কে তাঁর সন্তান হওয়ার মেডিক্যাল বিলের অর্থের পরিমান ও বিধানসভায় বিল জমা নিয়ে। কাঞ্চন ইস্যুতে এবার মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যতটা পেরেছেন কাঞ্চন মল্লিকের হয়ে ব্যাট ধরতে।কুণাল টুইটে বলেছন, কাঞ্চন মল্লিক তাঁর সন্তান হওয়ার বিষয়ে বিধানসভায় মেডিকেল বিল জমা দিয়েছেন বলে ট্রোলিং চলছে। এটা আপত্তিকর। কাঞ্চন কোনো বিল জমা দেননি। কাঞ্চন জনপ্রিয় মুখ। আরও নানা কারণে সম্প্রতি খবরে। সোশ্যাল মিডিয়াতে চর্চার কেন্দ্র। কিন্তু তাই বলে ঘটনা না জেনেবুঝে তাঁকে আক্রমণ, কটাক্ষ চলতে পারে না। বিধায়করা বিধানসভা থেকে মেডিকেল বিল পান। এটা নিয়ম বহির্ভূত নয়। কাঞ্চন শ্রীময়ীর সন্তানের জন্য ভাগীরথী নেওটিয়া দুলক্ষ টাকা বিল করেছে। ডাঃ প্রণব দাশগুপ্তর টিমের বিল চার লক্ষ টাকা। এই ছলক্ষ টাকার বিল নিয়ে কাঞ্চন বিধানসভায় খোঁজ নিয়েছেন উনি জমা দিতে পারেন কিনা। আলোচনা করেছেন। নিয়ম জেনেছেন। কিন্তু বিল জমা দেননি, Repeat, বিল জমা দেননি। তার আগেই তিনি বিল জমা দিয়েছেন বলে সমালোচনা শুরু।বিধানসভায় কাঞ্চন যে মেডিক্যাল বিল জমা দিয়েছেন বলে বিতর্ক দেখা দিয়েছে, তা খন্ডন করেছেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি বিল জমা নিয়ে খোঁজ নেওয়া বা বিল যদি দিতেন তাও কোনও দোষের নয় বলেই দাবি কুণালের। প্রাক্তন রাজ্যসভার সদস্যরে বক্তব্য, এখানে দুটো কথা। এক, যদি ডাক্তারবাবুদের বিল বেশি হয়, তাহলে কাঞ্চন বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কী করবেন? বিধানসভায় এসংক্রান্ত কোনো নিয়ম আছে কি না। দুই, এর আগে ওই হাসপাতাল এবং ওই ডাক্তারটিমের ক্ষেত্রে যদি কোনো বিল জমা পড়ে থাকে, তাহলে বিধানসভা কী করেছিল? আচমকা অত বেশি টাকার বিল পেয়ে বিধায়ক কাঞ্চন যদি বিধানসভায় খোঁজ নিয়ে থাকেন, দোষের নয়। জমা দিলেও দোষ হত না। বিধানসভা স্ক্রুটিনি করতে পারত। নিয়মনীতি অনুযায়ী চলত। কিন্তু কাঞ্চন বিল জমা দেননি, তাতেই এই খবর এবং কাঞ্চনকে সমালোচনায় বিদ্ধ করা অনুচিত। কেন মেডিকেল বিল এত বেশি হবে, আলোচনাটা সেদিকে হওয়াটা জরুরি।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
রাজ্য

গুরুতর অভিযোগ তৃণমূলের চিকিৎসক বিধায়কের বিরুদ্ধে, ক্ষুব্ধ তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েতরা

এর আগে হুমকি, তোলাবাজি মাস্তানী সহ নানা অভিযোগ শোনা তৃণমূলের কোনও কোনও বিধায়কের বিরুদ্ধে। এবার বীরভূমের এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে তোলপাড়। তিনি আবার পেশায় চিকিৎসক। সেই চিকিৎসাক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে।মত্ত অবস্থায় অপারেশন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক চিকিৎসক-বিধায়কের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বুধবার অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েতরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের চিকিৎসক-বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়। ঘটনাটি ঘটেছে তারাপীঠ শহরের একটি নার্সিংহোমে। বুধবার ওই নার্সিংহোম ও বিধায়কের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তারাপীঠ মন্দিরের সেবায়েতরা। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে দিন কয়েক আগে বীরভূমের হাসানের বিধায়ক চিকিৎসক অশোক চট্টোপাধ্যায়ের নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী সুজাতা মুখোপাধ্যায়। সুজাতাদেবী সাহাপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যাও। অস্ত্রোপচারের পর সোমবার সুজাতাদেবীর মৃত্যু হয়।সুজাতা দেবীর স্বামী তথা তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, চিকিৎসক-বিধায়ক মত্ত অবস্থায় ভুল অপারেশন করেছিলেন। তারই জেরে তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পুর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক বিধায়ক। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারাপীঠ শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
কলকাতা

ধর্মতলা চত্বরে মিছিল, মিটিং, জমায়েতে পুলিশের নিষেধাজ্ঞায় বিতর্ক, কাল শুনানি হাইকোর্টে

ধর্মতলা চত্বরে মিছিল, মিটিং, জমায়েত নিষিদ্ধ। কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া পর্যন্ত এলাকায় ৫ জন একসঙ্গে থাকতে পারবে না। বৌবাজার থানা ও হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা। মূলত রাজনৈতিক কর্মসূচির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানা গিয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আগামী ৬০ দিনের জন্য়। এর আগেও নাকি এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে লালবাজার দাবি করছে। এদিকে কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকা নিয়ে তোলপাড় রাজনৈতিক ও চিকিৎসক মহল। ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশের এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজনৈতিক দল থেকে চিকিৎসক সংগঠন। তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোশাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার কলকাতা পুলিশের ওই নির্দেশিকা পত্র পোস্ট করে লিখেছেন, আগামী দুইমাস ব্যাপী ধর্মতলা সংলগ্ন কে. সি. দাস ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউজ পর্যন্ত এলাকায় সমস্ত জমায়েত এবং মিটিং-মিছিলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো কলকাতা পুলিশ। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদে এত ভয় কেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার? মাননীয়া ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে আগেই সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার বাজেয়াপ্ত হয়েছে, এবার প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও বারবার বাধাদানের অপচেষ্টা! কিসের এত ভয় নব নিযুক্ত অপদার্থ পুলিশ কমিশনারের?আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর থেকে রাজ্যজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। রাতদখলের কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ে। সেই আন্দোলন এখনও চলছে। জেলাগুলির পাশাপাশি কলকাতা শহরেও বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে বিক্ষোভ-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে লালবাজারের এই নির্দেশিকায় বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। আদালতে গিয়েছে রাজনৈতিক দল থেকে চিকিৎসক সংগঠনগুলি।

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
রাজ্য

বন্যা পরিস্থিতি দেখে কি বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

আর্ত মানুষের পাশে আজীবন থাকার প্রতিজ্ঞা নিয়েই রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলাম। আজ আমার রাজ্যবাসীর একাংশ বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিপদের সম্মুখীন। কাল আমি হুগলির পুরশুড়া, গোঘাট-আরামবাগ এলাকা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে গিয়েছিলাম। এছাড়াও বীরভূমের বন্যা কবলিত এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখেছি। আজ, পাঁশকুড়া, রাতুলিয়ার বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখলাম এবং সেখানকার স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করলাম। আমাদের প্রশাসন দিবারাত্রি তাঁদের পাশে আছে। যাঁদের শস্যের ক্ষতি হয়েছে, তাঁরা শস্য বীমার টাকা পাবেন। এখন আমি উদয়নারায়ণপুরের পথে। এই বছর কোনও আলোচনা ব্যতীত প্রায় পাঁচ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যার জন্য দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটি একটি ম্যান ম্যাড বন্যা ছাড়া আর কিছুই নয়।আমি প্রথমদিন থেকে এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। দুর্গতদের পাশে থাকতে আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ত্রাণ পরিষেবা চালু আছে। প্রত্যেক পরিবার যেন ত্রাণ পরিষেবা পায়, তা সুনিশ্চিত করেছি। কোনও একজন মানুষেরও ক্ষতি যেন না হয় সেটি নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
রাজ্য

"বদলা নয়, বদল চাই," বদলে গেল, স্লোগান সংশোধন করে হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেত্রী মমতার

২০১১ থেকে বলে আসছেন বদলা নয়, বদল চাই। এবার ডায়ালগ একটু সংশোধন করতে চাইলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অন্যরকম চাইছেন। ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ দেবের কথা টেনে ফোঁস করার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় কর্মীদের। বুধবার বিজেপির ডাকা বনধের দিন মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, আরজি করের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি রাজনীতি করছে। লাশের নোংরা রাজনীতি করছে। বাংলার মানুষের কাছে তাদের চেহারা উন্মোচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, বাংলায় আগুন লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।বাংলায় আগুন জ্বললে দিল্লিতে আপনার(মোদির) চেয়ারটাও টলিয়ে দেব। পাশাপাশি অভিষেকের সুরেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে জোরালো আইন আনার পক্ষেও সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।আগামী শুক্রবার তৃনমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের কলেজের গেটে গেটে আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে প্রতিবাদে সামিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এর পাশাপাশি আগামী শনিবার ব্লকে ব্লকে মিছিলের ডাক দিয়েছেন তিনি।টিএমসিপির মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, আরজি করে যে বোনটি নির্যাতিতা হয়েছে , দেশের সব প্রান্তের মেয়েরা যেভাবে নির্যাতিতা হচ্ছে, আমি সকল নির্যাতিতাদের জন্য আজকের দিনটি উৎসর্গ করছি। আমরা বিচার চাই, ওরা লাশ চাই। ওরা আন্দোলনকে জল ঢেলে দিতে চাইছে। আসল উদ্দেশ্য থেকে সরে যাচ্ছে।এদিকে, আজ ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিরোধী বিজেপি। এদিন বন্ধের বিরোধিতা করে মমতা বলেন, কেরল হাইকোর্ট, বোম্বে হাইকোর্ট বন্ধকে নিষিদ্ধ করেছে। বাংলায় বন্ধের কোন স্থান নেই। আরজি কর প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৯ তারিখ ঝাড়গ্রাম থেকে ফিরছিলাম, ১০ সকালে পৌঁছে যা যা করনীয় সব করা হয়েছে। আরজি করে যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। যাতে দেরি না হয়, কোন ভুল না হয় তার জন্য সব রকম চেষ্টা সরকারের তরফে করা হয়েছে। আমি সাত দিনের মধ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে ফাঁসি চেয়েছিলাম। যারা ধর্ষক তাদের একটাই শাস্তি হওয়া দরকার তা হল ফাঁসি। কিছু মোদি মিডিয়া বিজেপির অশান্তিকে প্রমোট করছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহে বিধান সভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে ধর্ষণে্র ঘটনায় ফাঁসির সাজা আনার বিষয়ে বিল আনবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আরজি কর কাণ্ডের প্রসঙ্গে জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে বলেন, জুনিয়ার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয়নি সরকার। দিল্লিতে বিজেপি সরকার ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল। আরজি কর প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি শনিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছিলাম। মঙ্গলবারের মধ্যে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। আজ ১৬ দিন কেটে গিয়েছে। এত দিন কী করছে সিবিআই? কোথায় গেল বিচার? পাশাপাশি তিনি স্লোগান তোলেন, বিচার চাই বিচার চাই জবাব দাও সিবিআই, ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই জবাব চাই সিবিআই। এরপাশাপাশই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে যোগদানের বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগস্ট ২৮, ২০২৪
রাজ্য

লোকসভা নির্বাচনের রিপিট টেলিকাস্ট, অশান্তি এড়ানো গেল না উপনির্বাচনেও

গাদপুকুরিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলেছেন বাগদার বিজেপি প্রার্থী বিনয় কুমার বিশ্বাস। এই নিয়েই তোলপাড়। বিজেপি প্রার্থীর ওপর হামলা থেকে গাড়ি ভাঙচুর সবই হল বুথের সামনে। ভোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন শিকেয় উঠেছে। বুথের সামনেই সর্বত্র গিজগিজ করছে, মানুষের জটলা বা ভিড়। তাঁদের সরানোর তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ল না। এবারের উপনির্বাচনেও অশান্তি আটকানো গেল না। ৭০ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও কাজেই এল না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললো খোদ বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।এদিকে সারা দিন ধরেই বিজেপি প্রার্থীরা বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। কলকাতার মানিকতলা থেকে রায়গঞ্জ। অন্যদিকে বাগদা বা রাণাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্র। রাজনৈতিক মহলের মতে, এ এক নয়া নির্বাচনী কৌশল তৃণমূল কংগ্রেসের। ভোটের সময় একসঙ্গে শয়ে শয়ে লোকের ভিড় নিয়েই রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশ ঘটনাস্থলে থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অভিযোগ, দিনভর হেনস্থা হতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের।লোকসভা নির্বাচনের রিপিট টেলিকাস্ট হল আজকের উপনির্বাচনে। বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়েছিল চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে তৃণমূলের সেটিংয়ের অভিযোগও তুলেছিল বিজেপি। এবারও একই কাণ্ড। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, মাত্র কয়েকটা বুথে খুচরো গন্ডগোল হয়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এইগুলোকে বড় করে দেখানো হয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা দাবি করেছে, মাত্র চার-পাঁচটা বুথে অশান্তির ছবি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। বাকি বুথে ক্যামেরা তো পৌঁছায়নি। আবার বিজেপি দাবি করছে, ওয়ের কাস্টিং মনিটরিং করে কোনও কাজ করছে না নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী তৃণমূলের দালালি করছে বলে বিজেপি প্রার্থীরা অভিযোগও করছে।

জুলাই ১০, ২০২৪
রাজনীতি

সকালে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে, বিকেলে বাড়ি ফিরলেন অভিষেক

রবিবার সকালে বাইপাশের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তাঁর শরীরে ছোট্ট একটি অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। দিনভর হাসপাতালে থাকার পর এদিন বিকেলেই তাঁকে ছুটি দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিন তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট হয়নি। সেক্ষেত্রে শারীরিক কিছু পরীক্ষাও হতে পারে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের।লোকসভা নির্বাচন পর্ব মেটার পরপরই এবার হাসপাতালে ভর্তি হলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। দিন কয়েক আগেই এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানিয়েছিলেন, চিকিৎসাজনিত কারণে তিনি সংগঠন থেকে ছোট্ট বিরতি নিচ্ছেন।এর আগে বার কয়েক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখের অস্ত্রোপচার হয়েছিল। দেশে তো বটেই এমনকী বিদেশে গিয়েও চোখের চিকিৎসা করিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালে আমেরিকায় চোখের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।তবে এবার আর চোখের চিকিৎসা নয়, সূত্রের খবর সম্ভবত পেটের ছোট্ট অস্ত্রোপচারের জন্য কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বিকেলেই হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। আপাতত দিন কয়েক বাড়িতেই বিশ্রামে থাকবেন তিনি।

জুন ১৬, ২০২৪
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

বিশ্ব তাঁকে বলে ‘লাকিয়েস্ট’… রমেশের কাঁপানো স্বীকারোক্তি — “সবচেয়ে একা আমি”

এক মুহূর্তে ভাগ্যবান, পরের মুহূর্তেই যেন সব হারানো মানুষ। আমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এই দ্বৈত অনুভূতির মধ্যেই বন্দি রমেশ বিশ্বাসকুমার। সারা বিশ্ব তাঁকে বলছে লাকিয়েস্ট সারভাইভারকিন্তু তাঁর মনে শুধুই শূন্যতা। জীবিত বেঁচে ফেরা তাঁর কাছে আশীর্বাদ নয়, যেন এক অন্তহীন বোঝা। কারণ সেই আগুনের বলয়ে হারিয়ে গেছেন তাঁর ভাই, তাঁর সবচেয়ে কাছের মানুষ, জীবনের শক্তি।১২ জুন। আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে উড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান। রমেশ ছিলেন ১১এ আসনে। কয়েক সারি পিছনেই বসেছিলেন তাঁর ভাই অজয়। দুজনেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে-বিদেশে যাওয়াআসা ছিল নিয়মিত। কেউ জানত না, ওই দিনটাই হবে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর শেষ যাত্রা। কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুনে ঘেরা মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয় বিমান। সারা দুনিয়া হতভম্ব হয়ে দেখেছিল সেই আগুন, সেই কালো ধোঁয়া, সেই ছিন্নভিন্ন ধাতব খোলস। আর রমেশ দেখেছিলেন নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ভয়াবহ দৃশ্য।চার মাস কেটে গেছে, কিন্তু রমেশ সামান্যটাই এগোতে পেরেছেন স্মৃতি থেকে। ভাইয়ের শেষকৃত্য নিজের হাতে করেছেন তিনি। কিন্তু মনের আগুন নিভেনি। আজও শীতল স্বরে বলেন, আমি যে বেঁচে আছি, এখনও বিশ্বাস হয় না। কিন্তু ভাইটা নেই। ও ছিল আমার মেরুদণ্ড। প্রতিটা মুহূর্তের সঙ্গী। এখন আমি একেবারে একা।তিনি আর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন না। স্ত্রীর সঙ্গে নয়, সন্তানের সঙ্গেও নয়। নিজের ঘরে থাকেন, দরজা বন্ধ করে। নিজের পৃথিবীতে কেবল ব্যথা, স্মৃতি আর নিঃশব্দ কান্না। কারও সঙ্গে থাকতে ইচ্ছে হয় না। নিঃশব্দটাই ভালো লাগে, বলেন রমেশ।দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর মানসিক আঘাত আরও গভীর হয়েছে। চিকিৎসা নেই। আর্থিক সংকটও ঘিরে ধরেছে পরিবারকে। শুধু রমেশই নন, ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা-ও। প্রতিদিন বাড়ির সদর দরজায় বসে থাকেন তিনি। কথা বলেন না। কারও সাথে নয়, নিজের সঙ্গেই যুদ্ধ করেন। প্রতিদিনই আমাদের পরিবারের জন্য অসহ্য। খুব ক্লান্ত মানসিক ও শারীরিকভাবে, বললেন রমেশ।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

তৃণমূলে ফিরলেন শোভন, চোখে জল রত্নার—“গোপাল ভবনের দরজা এখনও খোলা!”

দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন, দলবদল আর ব্যক্তিগত জীবনের ওঠানামাসব মিলিয়ে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়। প্রায় ছয় বছর পর তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন রাজ্য মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ফিরলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২০১৮ সালে দল ছাড়ার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র অবস্থান নিয়েছিলেন শোভন, বিজেপিতেও সক্রিয় ভূমিকা ছিল না বললেই চলে। শেষে বহু নাটকীয়তার পর আবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত।কিন্তু শোভনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে আলোচনায় এলেন তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। দল যখন শোভনকে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করেছিল, সেই সময় ছিলেন না তিনি তৃণমূলে। আজ শোভন ফিরতেই রত্নার অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নতাহলে রত্নার ভবিষ্যৎ কী? শোভন কি আবার নিজের পুরনো বেহালা পূর্ব কেন্দ্র ফিরে পাবেন? রাজনৈতিক অন্দরে এখন এমনই কৌতূহল।আজ শোভনের দলবদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রত্না বলেন, উনি দক্ষ প্রশাসক। আট বছর সময় নষ্ট হল। কথায় গর্বের সুর থাকলেও আক্ষেপও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, আপনারাই বলুন, আগে উনি কী রকম ছিলেন আর এখন কী রকম হয়েছেন! তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও বিতর্কে জড়াতে চাননি রত্না। তাঁর ভাষায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দায়িত্ব দিয়েছেন, তখন অবশ্যই দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দলের নীতিনির্ধারণে আমি নেই, তাই এ নিয়ে বলার কিছু নেই।শুধু তাই নয়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে আদালতের অবস্থানও এই মুহূর্তে শোভন ও রত্নার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এখনও তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। আদালত শোভনের ডিভোর্স আবেদন খারিজ করেছে। আবার রত্নার একত্র থাকার আবেদনও মানেনি আদালত। এই অবস্থায়ও রত্নার প্রকাশ্য বার্তাশোভনকে ঘরে ফেরার ডাক। তিনি বলেন, তৃণমূল ভবনের মতো গোপাল ভবনের দরজাও ২৪ ঘণ্টা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য খোলা।দলের রাজনীতি, ব্যক্তিগত সম্পর্কদুই অঙ্গনেই চলছে নাটকীয়তা। শোভনের প্রত্যাবর্তনে তৃণমূলের রাজনৈতিক সমীকরণ যেমন নতুন মোড় নিল, তেমনই রত্নার মন্তব্যে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অধ্যায়ও ফিরে এল আলোচনায়। এখন দেখার, রাজনীতি ও সংসারের কোন পথে এগোয় শোভন-রত্নার গল্প।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

“পৃথিবী ১৫০ বার ধ্বংস করতে পারি”—ট্রাম্পের বিস্ফোরক হুমকি!

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিতর্কের কেন্দ্রে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিতে নিজেকে শান্তির দূত হিসেবে প্রচার করছিলেন তিনি। দাবি করেছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে আমেরিকা নাকি আটটি যুদ্ধ থামিয়েছে। কিন্তু নোবেল না পেতেই সুর বদলএবার তিনি ঘোষণা করলেন, আমেরিকার কাছে রয়েছে এত পারমাণবিক অস্ত্র আছে, যা দিয়ে পৃথিবী ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা যদি পারমাণবিক পরীক্ষা বন্ধ রাখে আর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলি যদি পরীক্ষা চালিয়ে যায়, তা হলে ক্ষতি শুধুই আমেরিকার। তাই ৩৩ বছর পর আবার পারমাণবিক বিস্ফোরণ পরীক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া এবং পাকিস্তান গোপনে পারমাণবিক পরীক্ষা করছে। আমেরিকা একা ভদ্র থাকলে চলবে না।নোবেল হাতছাড়া হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের এই কড়া ভাষা নজর কাড়ছে। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবুও তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শত্রুপক্ষ যখন আরও শক্তি বাড়াচ্ছে, তখন আমেরিকা পিছিয়ে থাকবে না। তাঁর দাবি, আমেরিকার হাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক ভান্ডার। রাশিয়ার অনেক আছে, চীনও দ্রুত বাড়াচ্ছে। আমরাও প্রস্তুত।তবে এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি ভারতপাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা থামাতে ভূমিকা নেওয়ার দাবি করেছিলেন ট্রাম্প। বলেছিলেন, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান, নিরীহ মানুষ বাঁচাতে চান। অথচ এখনই তাঁর নতুন বার্তাশান্তি নয়, শক্তিই আসল।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

অনিল অম্বানির ৩,০০০ কোটি বাজেয়াপ্ত, সিল বিলাসবহুল বাড়ি! ইডির মেগা অ্যাকশন, কাঁপছে কর্পোরেট দুনিয়া

নভেম্বরের প্রথম কাজের দিনেই বড়সড় চমক দেশের কর্পোরেট দুনিয়ায়। রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল অম্বানির বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী তদন্ত চলা এক অর্থপাচার মামলায় তাঁর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চারটি পৃথক অস্থায়ী আদেশ জারি করে এই পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত সম্পদের তালিকায় রয়েছে মুম্বাইয়ের অভিজাত পালি হিলের অনিল অম্বানির বিলাসবহুল বাসভবন। দিল্লির মহারাজা রঞ্জিত সিং মার্গের রিলায়েন্স সেন্টারের জমি সহ একাধিক বাণিজ্যিক সম্পত্তি সিল করেছে ইডি। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স গ্রুপের নয়ডা, হায়দরাবাদ, চেন্নাই এবং পুনের সম্পত্তিও নজরবন্দি।এই মামলা মূলত রিলায়েন্স হোম ফাইনান্স লিমিটেড এবং রিলায়েন্স কমার্শিয়াল ফাইনান্স লিমিটেডকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, এই দুই সংস্থার মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীর টাকার দুর্ব্যবহার এবং তছরুপ হয়েছে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ইয়েস ব্যাংক এই দুই প্রতিষ্ঠানে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের শেষে সেই ঋণ খেলাপি ঋণে পরিণত হয়।ইডির দাবি, অনিল অম্বানির বিভিন্ন সংস্থাযার মধ্যে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারও রয়েছেমোট ১৭ হাজার কোটিরও বেশি টাকা অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডাইভার্ট করা হয়েছে বিশাল অঙ্ক। চলতি বছরের অগস্টে অনিল অম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তার আগে জুলাই মাসে তাঁর সংস্থার শীর্ষকর্তাদের বাড়ি-অফিস মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। মোট ৫০টি সংস্থা ও একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি হয়েছিল সেইসময়।উল্লেখ্য, এই মামলার সূত্র সিবিআই-এর এক এফআইআর। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই ইডির পদক্ষেপ। আর এই মুহূর্তে স্পষ্টঅনিল অম্বানির আর্থিক সাম্রাজ্যে তীব্র চাপ নেমে এসেছে। নব-নভেম্বরেই যেন শুরু হল নতুন ঝড়।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

বাড়ি-বাড়ি ফর্ম, রাস্তায় আতঙ্ক—হাসপাতালে তৃণমূল কাউন্সিলর

এখন বাংলায় এসআইআর ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে ফর্ম বিলি, বাড়ি-বাড়ি যাবেন বিএলওরা। আর সেই গরম রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রিষড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি। তৃণমূল বলছে, মানুষের আতঙ্ক সামলাতে গিয়েই অসুস্থ তিনি। বিজেপি-র ভাষায়এ সবই নাটক।রবিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন সাকির আলি। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শয্যায় শুয়েই তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ওয়ার্ডে একটি বড় বস্তি এলাকা আছে। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই সেখানে প্রচণ্ড আতঙ্ক ছড়িয়েছে। দিনভর বহু মানুষ তাঁর কাছে ছুটে এসেছেনতাঁদের নাম বাদ যাবে না তো? কাগজপত্র ঠিক আছে তো? কী করতে হবে? কারও হাতে পাকা নথি নেই, কারও তথ্য মেলে না। সেই আতঙ্ক সামলাতে সামলাতেই ধকল যায় তাঁর, দাবি কাউন্সিলরের। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনটাই বলছে তৃণমূল শিবির।অন্যদিকে বিজেপি একেবারে পাল্টা সুরে। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, পুরোটাই নাটক! তাঁর অভিযোগ, দেশের ১২টি রাজ্যে এসআইআর চলছে, কোথাও এমন কেউ অসুস্থ হচ্ছে না। কিন্তু বাংলায় তৃণমূলের কাউন্সিলরই কেবল অসুস্থ হচ্ছেন! অভিযোগ আরও এগিয়ে গিয়ে বলেন, রিষড়া পুরসভার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাকির আলির দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই প্রচারের আলোয় আসতেই এই নাটক সাজানো হয়েছে।এদিকে এসআইআর নিয়ে আতঙ্ক যে বাস্তব, তা স্পষ্ট রাজ্যের নানা প্রান্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে আতঙ্ককে দায়ী করা হচ্ছে। হুগলির ডানকুনিতে রবিবার সন্ধ্যায় মারা গিয়েছেন ষাট বছর বয়সি হাসিনা বেগম। স্থানীয়দের দাবি, এসআইআর নিয়ে আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মানুষ এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না, কী কী নথি লাগবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত হবে। তার মধ্যেই আতঙ্ক যেন ছায়ার মতো তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে।রাজ্যজুড়ে প্রশ্ন একটাইএসআইআর কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কি ন্যায়সঙ্গতভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে? নাকি আতঙ্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে? মানুষের ঘরে ঘরে অস্থিরতা বাড়ছে, রাজনৈতিক পালটা-যুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হচ্ছে। আর এই সবকিছুর মধ্যেই হাসপাতালে শুয়ে আছেন সাকির আলিতাঁর দাবি, মানুষ বাঁচাতে গিয়ে তাঁর নিজের শরীরই হার মানল। বিজেপি বলছে, সবটাই সাজানো দৃশ্য। সত্যি কোনটা? উত্তর চাইছে রাজ্যবাসী।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

ভয়াবহ! একের পর এক গাড়ি পিষে এগলো ডাম্পার—চিৎকারে কাঁপল জয়পুর

ভয়াবহ সড়কদুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল রাজস্থানের জয়পুর। সোমবার দুপুরে লোহামান্ডি রোডে একটি বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু হল অন্তত দশ জনের। আহত হয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন। তাঁদের মধ্যে বহুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সবাইকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা প্রাণপ্রত্যাশী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।চোখের সামনে এতগুলো প্রাণ হারাতে দেখে শিউরে উঠেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তাঁদের দাবি, ডাম্পারের চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল। প্রথমে একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। তারপর আর থামেনি। একের পর এক তিন-চারটি গাড়িকে গুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় ভয়ঙ্কর ডাম্পারটি। মুহূর্তে রক্তমাখা লোহামুখী রাস্তায় হাহাকার। চিৎকার-আর্তনাদে ভরে যায় এলাকা। আতঙ্কে জীবন বাঁচাতে ছুটোছুটি শুরু করেন মানুষ।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। উদ্ধারকাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, এখনও হয়তো কয়েকজন ডাম্পারের নিচে আটকে থাকতে পারেন। ভারি যন্ত্র এনে গাড়ি সরানোর চেষ্টা চলছে। ডাম্পারচালককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি সত্যিই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা, তা খতিয়ে দেখতে মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হচ্ছে। পাশাপাশি গাড়ির নথিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।রাজস্থানে যেন দুর্ঘটনার অভিশাপ নেমেছে। একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় যোধপুরে মালা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৮ জন পুণ্যার্থী। কোলায়াত মন্দির থেকে ফেরার পথে তাঁদের ট্রাভেলার গাড়ি ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এখনও সেই শোক কাটেনি রাজস্থানের মানুষের। তার মধ্যেই ফের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হল জয়পুরের ব্যস্ত রাস্তা।দেশজুড়ে প্রশ্ন উঠছেকেন এত প্রাণ হাঁটুর চাপে? কেন রাস্তায় এত নেশাগ্রস্ত চালক? নিরাপত্তা কোথায়? আর কত পরিবারকে এভাবে ভেঙে পড়তে হবে? এই রক্তাক্ত ছবিই হয়তো আবারও মনে করিয়ে দিলজীবন সেকেন্ডের খেল, আর গাড়ির স্টিয়ারিং ভুল হাতে পড়লেই সর্বনাশ অনিবার্য।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

‘জেন্টলম্যানস গেম’ শব্দটি কেটে দিলেন হরমন! বিশ্বজয়ের পর বার্তা—ক্রিকেট সবার

কিছু স্বপ্ন থাকে সারা দেশের। শুধু পুরুষ বা মহিলার নয়, কোটি মানুষের। ভারত বিশ্বকাপ জিতেছেএটাই মূল কথা। এখানে মহিলা ভারত নয়, টিম ইন্ডিয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের অভিধান কখনও লিঙ্গের ভাগে ভাগ করা যায় না।ক্রিকেটকে এত দিন বলা হতজেন্টলম্যানস গেম। কিন্তু নতুন ইতিহাসের রাতে সেই শব্দটাই পাল্টে দিলেন হরমনপ্রীত কৌর। বিশ্বজয়ের পর সকালে ট্রফি বুকে জড়িয়ে শুয়ে থাকা একটি ছবি পোস্ট করলেন ভারতের অধিনায়িকা। তাঁর টি-শার্টে লাইনে লেখাGentlemans শব্দটি কেটে দিয়ে পাশে বড় অক্ষরেCricket is Everyones Game। বার্তাটা স্পষ্টক্রিকেট শুধু পুরুষের নয়, সবার খেলা।হরমনের সঙ্গে স্বপ্নে ভেসেছেন স্মৃতি, জেমাইমা, শেফালিরাও। রাতভর ছিল উন্মাদনা, আনন্দ, নাচ, হাসি। গোটা দেশ দেখলনতুন ইতিহাস লেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটাররা জানালেন, এই স্বপ্ন কোটি ভারতবাসীর। হরমনের ক্যাপশনে তাই লেখাকিছু স্বপ্ন কোটি কোটি মানুষের।এই জয়ের পেছনে আছে ত্যাগ, কষ্ট, বাধা আর লড়াই। গ্রামের মাঠে শেফালিকে শুনতে হয়েছেমেয়েদের আবার ক্রিকেট! তাই তিনি চুল কেটে ছেলে সেজে খেলেছেন ছেলেদের টুর্নামেন্টে। হরমন নিজে ওড়না বেঁধে খেলেছেন ছেলেদের সঙ্গে, ভেঙেছেন রীতি, জেদের সঙ্গে।এই দল জানে সংগ্রাম বলতে কী বোঝায়। বড় ম্যাচের চাপ, সামনে ইতিহাসতবু নিজেরা ভেঙে পড়েননি। এত দিন ধরেই মেয়েদের ক্রিকেট আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হত। কিন্তু বিশ্বজয় বলছেএ দেশ এখন বলছে, আমাদের হরমন, আমাদের শেফালি, আমাদের টিম ইন্ডিয়া।২০০৫ সালে স্বপ্ন ভেঙেছিল। ২০১৭-য় আবার heartbreak, তবু মনে রইল হরমনের ১৭১ রানের ইতিহাস। এবার আর হার নয়। এবার ট্রফি ঘরে। এই ট্রফি শুধু আজকের মেয়েদের নয়, ঝুলন-মিতালির মতো কিংবদন্তিদেরও। ভবিষ্যতের প্রতিটি ছোট মেয়ের কাছে বার্তাস্বপ্ন সত্যিই হয়, যদি লড়াই করো।এখন থেকে ভারতীয় ঘরে ঘরে বাবা-মা হয়তো বলবেনহরমনপ্রীতের মতো খেলো। আর ভারতীয় ক্রিকেটের ঘরে ঝুলবে নতুন নামজনগণমন অধিনায়িকা হরমনপ্রীত।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

হাঁটতে বেরিয়ে হঠাৎ গুলি! প্রতিবেশী প্রেমিকের নাম বলেই লুটিয়ে পড়লেন মহিলা

হরিদেবপুরে সোমবার ভোরের শুটআউট ঘিরে চাঞ্চল্য। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ গুলিবিদ্ধ হলেন এক মহিলা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত প্রেমিক বাবলু ঘোষকে পাকড়াও করল কলকাতা পুলিশ। ধরা পড়লেন পিটিএসের কাছে একটি গাড়ি থেকে। পুলিশের নজরে এ ঘটনাকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছেকারণ ঘটনার মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার অভিযুক্ত।পুলিশ সূত্রের খবর, ৫০ বছর বয়সি মৌসুমী হালদার প্রতিদিনের মতো হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই মোটরবাইকে করে দুই যুবক আসে। লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলি লাগে মৌসুমীর পিঠে। লুটিয়ে পড়েই তিনি আততায়ীর নাম বলে দেনবাবলু। এলাকাবাসীও জানতেন, প্রতিবেশী বাবলু ঘোষের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল মৌসুমীর।জানা গিয়েছে, বাবলুর মুরগির ব্যবসা ছিল। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মৌসুমীর সঙ্গে তাঁর প্রেম। এমনকি চুপিসারে বিয়েও করেছেন তারাএমনটাই ছড়িয়েছিল এলাকায়। বাবলুর মেয়ের বিয়েও হয়ে গেছে। অভিযোগ, কিছুদিন ধরে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। কিন্তু তাতে রাজি ছিল না বাবলু। ওই মহিলাকে সংসার ছেড়ে তাঁর সঙ্গে থাকতে জোরাজুরি করত। শেষমেশ প্রেমের জটিলতাই রক্তাক্ত পরিণতি নিল।পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বাবলু কোনও গ্রাহকের কাছ থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জোগাড় করে সোমবার সকালে গুলি চালায়। এরপর নিজের বাড়ির তালা বন্ধ করে জিনিসপত্র তুলে পালানোর চেষ্টা করে ভাড়ার গাড়িতে। প্রতিবেশীরা গাড়ির নম্বর দেখে রাখেন। সেই সূত্রেই শুরু হয় পুলিশের অভিযান।হরিদেবপুর থানার ওসি প্রসূন দে সরকার ও অতিরিক্ত ওসি সুদীপ্ত দেবঘরিয়ার নেতৃত্বে শুরু হয় অপারেশন। গাড়ির মালিককে ফোন করে খদ্দের সেজে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জানা যায়, গাড়িটি হাওড়ার পাঁচলায় আছে। পুলিশ গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, আরেক দল পাঁচলার পথে রওনা দেয়।কিন্তু গাড়িটি মাঝপথেই ধরা পড়ে। পিটিএসের কাছে নম্বর মিলিয়ে পুলিশ গাড়ি থামায় এবং ভিতরেই বাবলুকে দেখা যায়। পাঁচলায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে দাবি পুলিশের। তার আগেই হাতকড়া পড়ল তার হাতে। আজ তাকে আদালতে তোলা হবে।দ্রুত পদক্ষেপে এই গ্রেফতারকলকাতা পুলিশের তদন্ত এবং তৎপরতার বড় নিদর্শন হয়ে রইল বলে মত অনেকের।

নভেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal