• ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bharat

রাজ্য

বিশ্বভারতীর যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত, ফের পুরনো নিয়মে ফিরছে রবি ঠাকুরের প্রতিষ্ঠান

কোভিড কাল থেকে অবরুদ্ধ ছিল রবি ঠাকুরের বিশ্বভারতী। তবে এবার সেই অবরুদ্ধ দ্বার খুলে যেতে চলল। এবার থেকে পর্যটকরা আশ্রম ক্যাম্পাসে ঘুরতে পারবেন। নতুন উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ শান্তি নিকেতনে কাজে যোগ দিয়ে এমন নির্দেশ দিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চেয়েছিলেন অচলায়তনের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছিল। আপাতত সেই বিতর্ক মিটতে চলেছে। অবরুদ্ধ দরজা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। এই সিদ্ধান্তে খুশি প্রবীন আশ্রমিকরা। প্রবীণ আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুপ্রিয় ঠাকুররা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বর্তমান উপাচার্য এবং আমি একই এগ্রিকালচারাল কলেজের ছাত্র। তিনি আমার থেকে দশ বছরের জুনিয়র। খুব ভালো লাগছে, তিনি এই কথা বলেছেন। পর্যটনকে এই হেরিটেজ সাইটের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। পাঁচিল দিয়ে অবরুদ্ধ করা সহজ। কিন্তু রবীন্দ্র ভাবনার উন্মুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা কঠিন। ছাত্রদের যেমন এখানে রবীন্দ্র স্টাডিজ পড়তে হয়। কিন্তু যারা এখানে বাইরে থেকে পড়াতে আসেন, তাদেরকে পড়তে হয় না। একথা প্রাক্তন উপাচার্য সুজিত বসুকে বলেছিলাম। সব থেকে যেটা দরকার উপযুক্ত পরিকাঠামো। পর্যটকদের জন্য পার্কিং ব্যবস্থা, বাথরুম। কোথায় পার্কিং হবে, কোথায় হবে না তার নোটিশ দরকার। নোংরা হবে বলে, কাউকে ঢুকতে দেব না, তালা মেরে দেব, এটা সহজ কথা। হেরিটেজ সাইট মানুষকে দেখতে দিতে হবে। ৬ বছর পর পর্যটকদের জন্য খুলে গেল বিশ্বভারতীর সমস্ত এলাকা। তাতে বিভিন্ন মহলে খুশির হাওয়া। গত ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। এই হেরিটেজ তকমা রক্ষা করতে অতি সতর্ক বিশ্বভারতী এতদিন পর্যটক থেকে সংবাদ মাধ্যমের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছিল। এবার সবার জন্য আশ্রমের দরজা উন্মুক্ত হলো। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি যথাযথ থাকবে।শুক্রবার শান্তি নিকেতন, আ ইউ নেসকো ওয়ার্লড হেরিটেজ সাইট, ট্যুরিজম বিষয়ে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একটি আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়। এদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ বলেন, একটি পরিকল্পনা করে হেরিটেজ সাইটের সঙ্গে ট্যুরিজম লিংক আপ করা হবে। অবশ্যই নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। তবে রবীন্দ্র ভাবনা তাঁর আদর্শ এবং স্থান ঐতিহ্যকে মানুষের কাছে আরও ভালোভাবে তুলে ধরতে আশ্রম উন্মুক্ত করা হবে। গত পরশু জয়েন করে আমি জানিয়ে দিয়েছি। অতীত নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি বা অতীতের মতো যে তিনি চলবেন না, তাঁর প্রথম সিদ্ধান্তে তিনি তা বুঝিয়ে দিলেন। স্বাভাবিক ভাবে বিশ্বভারতী তার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে। বিশ্বভারতীর দ্বার উন্মুক্ত হলে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছে শিক্ষানুরাগীরা। পাশাপাশি পর্যটন শিল্প বৃদ্ধি পাবে।

মার্চ ২১, ২০২৫
রাজ্য

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বিশ্বভারতীতে, পড়াশুনা ও কেরিয়ার কেমন ছিল প্রবীর কুমার ঘোষের?

বিশ্বভারতীর নতুন উপাচার্য পদে বসলেন কৃষি বিজ্ঞানী অধ্যাপক প্রবীর কুমার ঘোষ। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে সাংবাদিক উপাচার্য বলেন, আচার্য এবং শিক্ষা মন্ত্রক যে আমাকে গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করব। প্রথমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংটা কি ভাবে এগিয়ে নিয়ে আসা যায় সেটা দেখতে হবে। তাছাড়া এখানে এগ্রিকালচার নিয়ে খুব ভালো কাজ হচ্ছে। রবীন্দ্র ভাবনায় তা এগিয়ে চলেছে। শুরুতে ৬ টি গ্ৰাম দত্তক নেওয়া হয়। এখন সেটি ৬৫তে পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, ১৫ মাস পর স্থায়ী উপাচার্য পেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন স্থায়ী উপাচার্জ কৃষি বিজ্ঞানী প্রবীর কুমার ঘোষের দিকে তাকিয়ে শান্তিনিকেতন। গত বছরের অগাস্ট থেকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন অধ্যাপক বিনয় কুমার সরেন। প্রবীর কুমার ঘোষ তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। পাঁচ বছরের জন্য বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন তিনি। প্রবীর কুমার ঘোষ ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বভারতীর ছাত্র ছিলেন। ৪ দশক পরে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি উপাচার্য পদে ফিরছেন। ৬৩ বছর বয়সের প্রবীর কুমার ঘোষের জন্ম মুর্শিদাবাদের কুমারপুরে। ভগীরথপুর হাইস্কুল এবং ডোমকল বিটি হাইস্কুলে পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীকালে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং তারপর উত্তরাখণ্ডের পন্তনগরের জিবি পন্ত কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ছত্তিশগড়ের রায়পুরে আইসিএআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটিক স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর পদে ছিলেন। তার আগে ভোপালের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সয়েল সায়েন্সেস এবং কানপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ডালস রিসার্চ-এ কাজ করেছেন।

মার্চ ২০, ২০২৫
রাজনীতি

বাংলার ৩২ জন বিজেপি নেতার নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার কেন্দ্রের, দেখুন তালিকা

সামনে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বাংলার ৩২ জন বিজেপি নেতার নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, শঙ্কু দেব পন্ডা। সম্প্র্তি জন বার্লাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে দেখা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছিলেন। জন বার্লা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন বলেও জোর জল্পনা চলছে। তারই মধ্যে তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে এঁদের নিরাপত্তী রক্ষী দেওয়া হয়েছিল।রাজ্যের যে ৩৪জন বিজেপি নেতার রক্ষী তুলে নেওয়া হল তাঁদের তালিকা -১) তপশিলি জাতি-উপজাতির জাতীয় কমিশনের সহ-সভাপতি অরুণ হালদার২) কোচবিহারে বিজেপির রাজ্য কোর কমিটির সদস্য অভিজিৎ বর্মন৩) দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাক্তন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দাস৪) বিজেপির রাজ্য নেতা অজয় রায়৫) নদিয়ার জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস6) উলুবেড়িয়ার সাংসদ পদপ্রার্থী অরুণোদয় পাল চৌধুরী৭) আরামবাগের সাংসদ পদপ্রার্থী অরূপকান্তি দিগর৮) দক্ষিণ 24 পরগনার জয়নগর ও মাজিলপুর পুরসভার 2 নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা অশোক কাণ্ডারি৯) জগদীশপুরের বিজেপি নেতা অশোক পুরকায়স্থ১০) দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি নেতা মন্দির ব্রজ১১) উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি নেতা বাসুদেব সরকার১২) বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে১৩) বিজেপির রাজ্য যুগ্ম আহ্বায়ক দেবব্রত বিশ্বাস১৪) ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি নেতা দেবাংশু পাণ্ডা১৫) রাজ্য বিজেপি নেতা দেবাশিস ধর১৬) বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ১৭) দক্ষিণ 24 পরগনার বিজেপি নেতা দীপক হালদার১৮) বিজেপির রাজ্য নেতা জয়দীপ ঘোষ১৯) বিজেপির রাজ্য নেতা জীবেশচন্দ্র বিশ্বাস২০) আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা২১) বিজেপি নেতা লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়২২) মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা নির্মল সাহা২৩) মুর্শিদাবাদের বিজেপি নেতা নিভাস২৪) রাজ্যের বিজেপি নেতা নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়2৫) বিজেপির রাজ্যের আহ্বায়ক পলাশ রানা২৬) বোলপুরের বিজেপি সাংসদ পদপ্রার্থী পিয়া সাহা২৭) ঝাড়গ্রামের বিজেপি নেতা প্রণত টুডু২৮) বিজেপি নেত্রী প্রণতি মাঝি২৯) বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসী চরণ মণ্ডল৩০) বিজেপির রাজ্য নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা৩১) ঘাটালের বিজেপি নেতা তন্ময় দাস৩১) কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৫
রাজ্য

শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনে পালিত হবে না আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস

শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনে এবার পালিত হবে না আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস। তবে বিশ্বভারতীতে যথারীতি মর্যাদার সঙ্গে পালিত হবে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, বাংলাদেশ ভবনের সংস্কার চলছে। তাই এবছর বাংলাদেশ ভবনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান স্থগিত থাকছে।এদিকে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর, সে দেশে টালমাটাল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ ভবনের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। যদিও, এর প্রভাব বাংলাদেশ ভবনের উপর আদৌ পড়বে না বলে বাংলাদেশ ভবন আধিকারিক সূত্রে খবর।এ ব্যাপারে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক (ভারপ্রাপ্ত) এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানান, অন্যান্য বছরের মতো এবছরও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কো-ঘোষিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে বিশ্বভারতী। ওইদিন সকাল সাড়ে আটটায় আন্তর্জাতিক অতিথি নিবাসের সামনে থেকে (পূরবী গেট) একটি সাংগীতিক পরিক্রমা পৌঁছোবে ইন্দিরা গান্ধী কেন্দ্রে। সেখানে ভাষাশহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।২০১৭ সালে শান্তিনিকেতনে পূর্বপল্লীর পিছনের মাঠে ১ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গ ফুট জায়গাজুড়ে তৈরি হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ ভবন ৷ বাংলাদেশ সরকারের ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল এই ভবন ৷ দুই বাংলার সংহতির প্রতীক এই ভবনের নকশা নিজে হাতে তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ ২০১৮ সালের ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন৷ সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
রাজ্য

বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে দুপুরে মাছ-ভাত, যাত্রাপথেই সুস্বাদু খাবরে তৃপ্ত বাঙালি

কথায় আছে মাছে ভাতে বাঙালি অর্থাৎ বাঙালি যেখানেই যাক দুপুরের আহারে মাছ ভাত চাই ই চাই। অবশ্য এতে সমস্যার কিছুই নেই, বাঙালিরা যেখানেই যায় মাছ ভাতের হোটেল একটা অবশ্যই জোগাড় করে নেয়। শুধুমাত্র যাত্রার সময়কালে বাঙালিকে ম্যানেজ করতে হয় দুপুরের খাবারটা মাছ ভাত ছাড়া। তবে সেই চিন্তারও এখন অবসান হয়েছে। দুপুরের আহারে মাছ ভাত একটি অপূর্ব পরিচিতি যা বাঙালি সমাজের জীবনধারা এবং সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত অংশ। এই অংশের মূল্যায়ন এখন 22301 হাওড়া - নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মাধ্যমে পূর্ণতঃ সম্পন্ন হয়েছে। এখন হাওড়া - নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এ বাংলার সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের পদগুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেমন প্রাতরাশে ত্রিকোণ পরোটা, ছোলার ডাল, মাল্টিগ্রেন আটার রুটি। লাঞ্চ অথবা ডিনারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা, ফিস ফ্রাই, ধোকা অথবা ছানার ডালনা, সোনামুগের ডাল, বাঙালির অতিপ্রিয় মাছের ঝোল, সরষে মাছ, মিষ্টি দই, সন্দেশ এবং ক্ষীরকদম। প্রাতরাশ থেকে লাঞ্চ এবং ডিনার এর জন্য বাছাইকৃত বাঙালি খাবারের প্রতিটি অংশে উল্লেখযোগ্য সুস্বাদ এবং পারিপাটিত্ব সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, তার উচ্চ-গতির ক্ষমতা এবং বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধার জন্য বিখ্যাত ৷ যাত্রীদের জন্য একটি অতুলনীয় অভিজ্ঞতার সাথে রেল ভ্রমণকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করে চলেছে ৷ উল্লেখযোগ্যভাবে, ঋতুগত ভিন্নতা সত্ত্বেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সাফল্য মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

মে ১৭, ২০২৪
রাজনীতি

বাংলায় ভোটপ্রচারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গল্প শোনালেন অমিত শাহ, বললেন, "দখলে নেব"

বাংলায় একের পর এক জনসভা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তুলোধোনা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে এসে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কথা বললেন অমিত শাহ। শাহ বলেন, বাংলায় মোদীজির পাঠানো চাল দিদির সিন্ডিকেটের লোকেরা খেয়ে নিচ্ছে। মোদী সরকারের অধীনে কাশ্মীরে নয়, পিওকে-তে স্বাধীনতার স্লোগান উঠছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও ভারতীয় জনতা পার্টির অমিত শাহ বুধবার হুগলিতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে করা উন্নয়নমূলক কাজগুলি তুলে ধরেন। পাশাপাশি কংগ্রেস ও তৃণমূলের কু-শাসনের কথাও তুলে ধরেন। এবং কয়েক বছর ধরে দেশে ঘটে চলা দুর্নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং, শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কবির শঙ্কর বোস, জেলা সভাপতও মোহন চাঁদ অটক এবং অন্যান্য নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র বলেন, যে এই নির্বাচন দুটি দলের মধ্যে। একদিকে রয়েছে পরিবারতান্ত্রিক দল, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান, শরদ পাওয়ার তাঁর মেয়েকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান, উদ্ধব ঠাকরে তাঁর ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চান এবং সোনিয়া গান্ধী প্রধানমন্ত্রী করতে চান রাহুল গান্ধীকে । অন্যদিকে, একজন দরিদ্র চা বিক্রেতার পরিবারে জন্মগ্রহণকারী এদেশের মহান নেতা হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার এই দেশের লাগাম কার হাতে তুলে দেবেন তা জনগণেরই সিদ্ধান্ত। একদিকে ইন্ডি জোটের দুর্নীতিবাজরা ১২ লাখ টাকার কেলেঙ্কারি করেছে, অন্যদিকে ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ২৫ পয়সারও কোনও অভিযোগ নেই। একদিকে রাহুল গান্ধী আছেন, যিনি গরম বাড়লেই ছুটি কাটাতে বিদেশে চলে যান, আর অন্যদিকে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনি ২৩ বছর ধরে একটিও ছুটি নেননি এবং জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করেন। কবির শঙ্কর বসুকে দেওয়া প্রতিটি ভোটই নরেন্দ্র মোদীকে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী করার দিকে যাবে।শাহ বলেন, এটাই বিজেপির গ্যারান্টি যে কবির শঙ্কর বসুর বিজয়ের পর বাংলায় অনুপ্রবেশকারী তো ছেড়ে দিন, একটি পাখিও ঢুকতে পারবে না। নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয়বার বিজয়ের পর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ হবে, মাফিয়া রাজের অবসান হবে এবং কাটমানিও দূর হবে। কংগ্রেস, বাম এবং তৃণমূল কংগ্রেস গত ৭০ বছর ধরে রাম মন্দির নির্মাণকে বাধাগ্রস্ত করে রেখেছিল, কিন্তু নিজের শাসনকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আদালতের মাধ্যমে রাম মন্দিরের পথ প্রশস্ত করেছিলেন, ভূমিপুজোও করেছেন এবং ২২ জানুয়ারি ভগবান শ্রী রামের মহিমান্বিত অভিষেক হয়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে মোল্লা-মৌলবীদের নিয়ে সদ্ভাবনা যাত্রা করছিলেন। কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসও তোষণের রাজনীতির কারণে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস বলে যে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণ করা উচিত নয়, রক্তের নদী বয়ে যাবে, তবে তাদের বোঝা উচিত যে এটি মোদীজির নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সরকার, সেখানে কোনও রক্তপাত হবে না। নদীর কথা তো ভুলে যাও, পাথর ছুঁড়তেও কারও সাহস নেই এখানে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানিয়েছেন।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী বলেছেন, ইন্ডি জোট যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের কাশ্মীরে ধর্মঘট হত। এখন মোদীজির প্রভাবে, কাশ্মীরের যে অংশটি ভারতে রয়েছে সেখানে কোনও ধর্মঘট নেই, তবে শুধুমাত্র পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ধর্মঘট হয়। আগে ভারতের কাশ্মীরে আজাদীর স্লোগান উঠত, এখন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে স্লোগান উঠছে। আগে পাথর ছোঁড়া হতো ভারতীয় কাশ্মীরে, কিন্তু এখন পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। আমাদের কাশ্মীরে ২ কোটি ১১ লাখ পর্যটক কাশ্মীরে গিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে আটার দাম রেকর্ড গড়েছে। মণিশঙ্কর আইয়ার এবং ফারুক আবদুল্লাহর মতো লোকেরা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কথা বলবেন না, কারণ পাকিস্তানের কাছে পারমানবিক বোমা আছে বলে দেশকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। এখন আমি বলছি রাহুল বাবা এবং মমতা জি, ভয় পেতে হলে ভয় পান কিন্তু পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের এবং আমরা তা নেব।শ্রী শাহ বলেছেন, মমতাজি বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ এবং জৈন উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে পছন্দ করেন না, তবে তিনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের পছন্দ করেন এবং তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছেন। আমি মমতাজি এবং তার ভাইপোকে বলতে চাই যে আপনি নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করুন তবে আমরা প্রত্যেক শরণার্থীকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়ে থাকব। শ্রী শাহ বলেন, যে সত্যজিৎ রায় একজন খুব বড় চলচ্চিত্র শিল্পী ছিলেন এবং তিনি একটি খুব বিখ্যাত চলচ্চিত্র হীরক রাজার দেশে তৈরি করেছিলেন কিন্তু মমতাজি যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি ছিলেন না, অন্যথায় হীরক রাজার দেশে এর পরিবর্তে হীরক রাণার দেশে এই নামে একটি চলচ্চিত্র তৈরি হতো। যে বাংলায় সৃষ্টি বন্দে মাতরম সেখানেই হিংসা, দুর্নীতি ও তোষণ, যে বাংলা দিয়েছে জনগণ মন, যে বাংলা স্বাধীনতা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে, সেই বাংলা থেকে দেশপ্রেমকে ধ্বংস করার কাজ করেছে কমিউনিস্ট ও তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা গরিব, অনগ্রসর ও আদিবাসীদের অধিকার কেড়ে নিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

মে ১৫, ২০২৪
রাজ্য

পোষ্টার ঘিরে তোলপাড় বীরভূম, বিতর্ক ছড়াল বিজেপির অন্দরে

বিজেপির পোষ্টার ঘিরে তোলপাড় বীরভূম ফের অস্বস্তিতে বিজেপি। এবার পোষ্টারকে ঘিরে বিতর্ক ছড়াল বিজেপির অন্দরে। যদিও তার নামে ছাপানো ওই পোষ্টারের বিরুদ্ধে থানায় যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন কলোসোনা মণ্ডল। তাঁর দাবি, কিছু ছদ্মবেশী বিজেপি এবং তৃণমূল এসব করেছে।প্রসঙ্গত, রামকৃষ্ণ রায় জেলা সভাপতি থেকে সরে যাওয়ার পরেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন সিউড়ির বিজেপি নেতা কালোসোনা মণ্ডল। তবে দেবাশিস ধর প্রার্থী হওয়ার পর তিনি সক্রিয় হয়ে ওঠেন। প্রচারেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু আইনি জটিলতায় দেবাশিসবাবুর প্রার্থী পদ বাতিল হওয়ায় বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন দেবতনু ভট্টাচার্য। পরেই অসুস্থ হয়ে পরেন দলের বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সহ। ফলে প্রচারেও খামতি দেখা যায় বিজেপিতে। অভিযোগ আমোদপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দেবাশিস ভট্টাচার্যকে মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এমনকি দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারেও দেখা যায় না দেবাশিসবাবুকে। অভিযোগ দলের তরফে ডাক না পাওয়ায় সিউড়িতে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন প্রাক্তন আই পি এস অফিসার দেবাশিস ধর। এই টানাপোড়েনের বৃহস্পতিবার সকালে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আবেদন জানানো কালোসোনা মন্ডলের নামাঙ্কিত পোষ্টার লক্ষ্য করা যায়। দলীয় প্যাডে ছাপানো অক্ষরে লেখা ওই পোষ্টারে কারও সাক্ষর না থাকলেও না রয়েছে কালোসোনা মণ্ডলের। ওই ছাপানো প্যাডই জেরক্স করে জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কালোসোনা মণ্ডল বলেন, দলের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকলে সরাসরি বলব। অভাবে চোরের মতো পোস্টার মারব না। আসলে বিজেপিকে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই কিছু ছদ্মবেশী বিজেপি এবং তৃণমূলের প্রচার বিভাগ এসব করছে। যাতে আমাদের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য জয়ী হতে না পারে। তবে মনে রাখবেন বিজেপি বীরভূম লোকসভা নির্বাচনে জিতে গিয়েছে। মানুষ আর চোর তৃণমূলকে চায় না। তাই এখন কখন পোষ্টার দিয়ে কখন ভুয়ো ভিডিও করে বিজেপিকে খাটো করার চেষ্টা করছে। আমি এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করব। পুলিশ সি সি টিভি দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, এসব বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।

মে ১০, ২০২৪
রাজ্য

সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে মমতার সরকারকে তীব্র আক্রমণ নাড্ডার

মমতা সরকারের দুর্নীতি, তোলাবাজি ও অপশাসনের কারণে পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন থেমে গেছে এবং মমতার অপশাসনের কারণে যে রাজ্যটি প্রথমসারির রাজ্যগুলির মধ্যে গণ্য হয়েছিল তাও আজ পিছিয়ে পড়েছে। রবিবার মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁ ও নদিয়ার রানাঘাটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। এরাজ্যের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নাড্ডা। তুনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি মা, মাটি এবং মানুষের কথা বলেন, তিনি নিজেই নারীদের উপর অত্যাচার করা শাহজাহান শেখকে রক্ষা করেন এবং তার কর্মীরা দরিদ্রদের জমি অবৈধভাবে দখল করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, এমনকি তৃণমূলের চাল চোর নেতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধারণ মানুষের জন্য পাঠানো চালও খেয়ে নেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বরাদ্দ বাজেটের হিসাব দেননি, তবুও বিজেপি সরকার রাজ্যের দরিদ্র মানুষের জন্য মাথার ছাদ তৈরি করেছে। কংগ্রেস, টিএমসি এবং সিপিএম সবাই একই থালার এবং এই তিনটি দল দেশকে দুর্বল করতে চায়, বলে মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।এদিন তাঁর ভাষণে কংগ্রেসকেও এক হাত নেন নাড্ডা। তাঁর বক্তব্য, একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির জন্য ধর্মের ভিত্তিতে এসসি, এসটি এবং ওবিসি সংরক্ষণ করে কংগ্রেস তার ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করে।রবিবার বড়ঞাঁ এবং রানাঘাটের জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, কংগ্রেস এবং তৃণমূলের দেশবিরোধী মানসিকতাকে সামনে তুলে ধরেন। পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য সহ-সভাপতি সঞ্জয় সিং, বহরমপুর লোকসভার প্রার্থী নির্মল কুমার সাহা এবং রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।নাড্ডা বলেন, আজ আমেরিকা, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের মতো উন্নত দেশগুলির অর্থনৈতিক অবস্থা নড়বড়ে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একমাত্র ভারতই একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র যা দশম স্থান থেকে লাফিয়ে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে এবং মোদীজি যদি তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। আজ ভারত সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে। আজ আমরা অটোমোবাইল খাতে জাপানকে ছাড়িয়ে তৃতীয় স্থানে দাঁড়িয়েছি। সবচেয়ে সস্তা এবং কার্যকর ওষুধ তৈরিতে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ভারত বর্তমানে ১৩৮ শতাংশ বৃদ্ধির সাথে বিশ্বের বৃহত্তম রফতানিকারক। পেট্রোকেমিক্যালে ভারতের রফতানি ১০৬ শতাংশ বেড়েছে। আমরা আগে চিন থেকে যে খেলনা আমদানি করতাম সেগুলির ক্ষেত্রে ভারত এখন তৃতীয় স্থানে এসেছে। ১০ বছর আগে, আপনার মোবাইলে লেখা ছিল মেড ইন কোরিয়া, মেড ইন চায়না এবং মেড ইন জাপান, কিন্তু আজ আপনার সমস্ত মোবাইলে লেখা মেড ইন ইন্ডিয়া এবং এটা মোদীর নেতৃত্বে পরিবর্তনশীল ভারত।নাড্ডা পরিসংখ্যান তুলে ধরে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা সরকারকে। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া অনুদান ২৬৮ শতাংশ বাড়িয়েছে। স্মার্ট সিটি উদ্যোগের অধীনে কলকাতার উন্নয়নের জন্য ৯৪০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এইমস এবং ১১টি মেডিকেল কলেজ তৈরি করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার ১১ কোটি বাড়িতে জল সংযোগ দিয়েছেন, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৬১ লক্ষ নতুন জল সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

এপ্রিল ২৮, ২০২৪
রাজ্য

ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বক্তব্য একনজরে

গুরু গোবিন্দ সিং ৪ জন সাহেবজাদা মুঘলদের অনেক অত্যাচার সহ্য করেছিলেন, কিন্তু নিজের ধর্ম ত্যাগ করেননি, তাঁর বীরত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোদীজি তাঁদের শাহাদাত দিবসকে বীর বাল দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেন।◈ পশ্চিমবঙ্গে দিদির ভয়ে, প্রিন্ট মিডিয়া এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া জনসাধারণের কাছে বিজেপির মতামত প্রকাশ করতে দেয় না।◈ সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদেরকে কেউই বাংলায় বিজেপির পদ্ম চিহ্ন এবং আবার একবার মোদি সরকারের স্লোগান পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারবে না।◈ ২০১৫ তে দিদি বিজেপিকে গুরুত্ব দেননি, কিন্তু আমাদের কর্মীরা লোকসভায় ১৮টি আসন এবং বিধানসভায় ৭৭টি আসন জিতেছিল।◈ আমরা বিধানসভায় ৩ থেকে ৭৭ টি আসন পেয়েছি। লোকসভায় আমরা শূন্য থেকে ১৮ টি আসন লাভ করেছি। আগামী দিনে ৩৫ টি আসন পাবো সেটা দিদিও ভালো ভাবে জানে। ◈ এ বার মোদী সরকারের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩৫টি আসন আসবে।◈ যদি আপনারা বাংলা থেকে ৩৫ টি পদ্ম দেন তাহলে সোনার বাংলার গ্যারেন্টি মোদীর। ◈ স্বাধীনতার আগে বাংলা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে ছিল, কিন্তু দিদির শাসনে বাংলা কালো টাকা, সিন্ডিকেট, অনুপ্রবেশ ও দুর্নীতির শিকার হয়েছে।◈ বাংলায় যেখানে আগে রবীন্দ্রসংগীত শোনা যেত, আজ সেখানে বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।◈ যখন বাংলা থেকে বামপন্থী শাসন উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তখন গোটা দেশ এবং বাংলার মানুষ খুশি হয়েছিল, কিন্তু দিদি যেভাবে শাসন চালিয়েছেন তাতে জনগনের বক্তব্য হলো যে বামপন্থীরা এর চেয়ে ভাল ছিল।◈ যাদের বাড়ি থেকে ৫০-৫০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তাদের কনস্টেবল বলে ডেকেছেন দিদি, যখন কনস্টেবলের কাছে এত টাকা তখন মালিকদের কাছে কত টাকা থাকবে?◈ বাংলায় বিজেপি সরকারের অর্থ - অনুপ্রবেশ এবং গরু চোরাচালান বন্ধ করা এবং শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া।◈ দিদি শরণার্থীদের বিভ্রান্ত করার জন্য জিজ্ঞাসা করলেন CAA কার্যকর হবে কি না? CAA দেশের আইন এবং এটি বলবৎ থাকবে।মোদিজির নেতৃত্বে, ভারত সব ক্ষেত্রেই উন্নতি করছে, কিন্তু বাংলাতে কোনো পরিবর্তন হয়নি, কারণ দিদি ভয় পাচ্ছেন যে যদি মোদির পরিকল্পনাগুলি সবার কাছে পৌছে যায়, তাহলে ওনার ভোট বেস ভেস্তে যাবে।◈ দিদি! আপনার সমর্থনের ভিত্তি কমে গেছে এবং বাংলার মানুষরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এবার মোদি সরকার গঠন করা হবে।◈ দিদি দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। এনারা তাদের কাটমানি বিদেশে নিয়ে যায়, বাংলো তৈরি করে এবং তারপর চপ্পল পরে ঘুরে বেড়ায়। এখন আর চপ্পলের ফাঁদে পা দেবে না বাংলার মানুষ। বাংলার মানুষ কোটি টাকার বাংলো, কাটমানি, সিন্ডিকেট, অনুপ্রবেশকারী ও মাফিয়াদের হিসাব চায় এবং এই হিসাব মমতা দিদিকে দিতে হবে।◈ গোটা দেশ জানে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের কী ধরনের অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। সারা দেশে বিজেপি কর্মীরা আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।◈ দিদি ভোট ব্যাংকের জন্য অনুপ্রবেশকারীদের আঁকড়ে ধরে দেশের নিরাপত্তা সাথে খেলা করছেন।◈ TMC সাংসদ সদস্যরা তাদের লোকসভা অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড একজন ব্যবসায়ীকে দেন, সাংসদরা যারা টাকা এবং দামি উপহার নিয়ে প্রশ্ন করেন তারা দেশকে নিরাপদ কি করে রাখতে পারবে? তারা বাংলার দারিদ্রতা এবং গ্রামের বিদ্যুৎ নিয়ে প্রশ্ন করেনি, কারণ গরিব মানুষ তাদের দামী উপহার দিতে পারে না।◈ একজন তৃণমূল সাংসদ দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে নকল করে সাংবিধানিক পদের অবমাননা করেছেন।◈ ২০০৪-১৪ সালে, দিদির সমর্থিত ইউপিএ সরকার বাংলাকে ২ লক্ষ কোটি টাকা দিয়েছিল। ২০১৪-২৩ সালে, মোদী বাংলাকে ৭ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিলেন।◈ বাংলার মানুষ মমতা দিদির কাছে এই নির্বাচনে মোদী সরকারের দেওয়া প্রতিটি টাকার হিসাব চাইবে।

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩
রাজ্য

২০২৪ লোকসভা বাজিমাত করতে বঙ্গ বিজেপির নয়া টিম ঘোষণা নাড্ডা-শাহর

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে জেপি নাড্ডাকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গসফরে অমিত শাহ। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে চব্বিশের লড়াইয়ে ঝাঁপাতে আগেভাগে একাধিক পদক্ষেপ শুরু করে দিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। তবে এবার অমিত শহ, জেপি নাড্ডারা এসে সেই তৎপরতাকে আরও গতি দিলেন। সেই সঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনে অলআউট লড়াইয়ে ঝাঁপাতে তৈরি হল নয়া টিম। ১৫ জনের নতুন টিম তৈরি হল শাহ-নাড্ডাদের হাত ধরেই। শাহের সেই ম্যানেজমেন্ট টিম ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। বঙ্গ বিজেপির বেশ কয়েকটি অত্যন্ত চেনা মুখেরও ঠাঁই হয়নি সেই ১৫ জনের বিশেষ টিমে।চব্বিশের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে কোমর বেঁধে কাজ শুরু বিজেপির। ভোটের আগে এবার রাজ্য সফরে বিজেপির শীর্ষ সেনাপতি অমিত শাহ, সঙ্গে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। শাহের নির্দেশে ১৫ জনের একটি টিম তৈরি হয়েছে। এই টিমই দলের তরফে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার এই নতুন টিমের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা।রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, এই ১৫ জনের টিমে রয়েছেন চার কেন্দ্রীয় অবজার্ভার। তাঁরা হলেন, অমিত মালব্য, সুনীল বনশাল, আশা লাখরা এবং মঙ্গল পান্ডে। তবে টিমের বাকি ১১ জনই এরাজ্যের। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পাল, জগন্নাথ সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তী, সতীশ ধন্দ, জ্যোতির্ময় মাহাতো, দীপক বর্মনের পাশাপাশি ১৫ জনের টিমে রয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও।তবে ১৫ জনের এই টিমে জায়গা হয়নি এরাজ্য থেকে নির্বাচিত চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার ও জন বার্লা ঠাঁই পায়নি শাহ-নাড্ডাদের ঘোষিত দলে।।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
রাজনীতি

শাহ- নাড্ডা জুটি বঙ্গ সফরে, ২০২৪-এর লক্ষ্যে নয়া স্ট্র্যাটেজি

বছর শেষের আগেই ফের বঙ্গ সফরে অমিত শাহ-জে পি নাড্ডা! আজ, মঙ্গলবার দিনভর তাঁদের একগুচ্ছ কর্মসূচি। লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবিরের কৌশল কী হবে? কীভাবে সাজানো হবে রণনীতি? সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হবে কোন কেন্দ্রগুলোতে?বিজেপি সূত্রে দাবি, একাধিক বিষয় নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা। যেখানে মূলত থাকবেন, বিজেপি জেলা ও সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, কোর কমিটির সদস্য ও পর্যবেক্ষকরা। মঙ্গলবারের বৈঠকের আগে লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে রিপোর্ট তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।গতবার যে আসনগুলোতে বিজেপি হেরেছে, সেগুলোর জন্য নয়া রণকৌশল নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৪টে করে আসন পিছু একজন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে বিজেপির সাংগঠনিক জেলা তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে দাবি, কোন কোন কেন্দ্রগুলোতে বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা আছে, কোথায় ভাল লড়াই দেওয়ার জন্য় তারা প্রস্তুত কোথায় সেই সম্ভাবনা কম, তার ভিত্তিতেই কেন্দ্র ধরে ধরে রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে।মাস খানেক আগেই শহরে এসেছিলেন অমিত শাহ। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির বিরাট প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রেখেছিলেন শাহ। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, লোকসভা ভোট শিয়রে তাই অগোছাল বঙ্গ বিজেপিকে চাঙ্গা করতে এবার ঘন ঘন আসবেন শাহ-নাড্ডারা। তৃণমূল নেতাদের ভাষায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করবেন গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতারা। তাতে অবশ্য জোড়াতাপ্পি মারা সম্ভব নয় বলে দাবি তৃণমূলের। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী আসন কিভাবে ধরে রাখা যায় তা নিয়েও স্ট্র্যাটেজি নিচ্ছে বিজেপি। বিজেপির বঙ্গ সংগঠনে খোলনলচে সম্পর্কে অবগত রয়েছেন অমিত শাহ। নয়া সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব রয়েছে জেপি নাড্ডার। তাই এবার শাহ-নাড্ডা জুটি একযোগে অপারেশন শুরু করল বাংলায়।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যের সঙ্গে দূরত্ব কমাতে তৎপর বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, থানায় তলব বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে

২৪ ঘন্টা হয়েছে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক। কবিগুরুর বিশ্বভারতীর গড়িমা ধরে রাখার আহ্বান জানালেন সকলকে। এদিকে এদিন মেয়াদ শেষের পরই প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তলব করল শান্তিনিকেতন থানা। ৬টি মামলার প্রেক্ষিতে তাঁকে ডাকা হয়েছে। ১০ নভেম্বরের পর থেকে বিদ্যুৎবাবুকে ক্রমান্বয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তিনি বলেন, বিশ্বভারতীর সমস্ত সমস্যার সমাধান জানতে চেয়ে আমি মন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছি। তারা জানালেই আমি পদক্ষেপ করব। তবে আমার সর্বস্তরের মানুষের কাছে আবেদন যে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সকলকেই ধরে রাখতে হবে৷ বিশ্ব ঐতিহ্যের তকমা ধরে রাখতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়৷ সঞ্জয়বাবু জানিয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের কী কাজ, কতটা এক্তিয়ার সেগুলো তাঁর জানা নেই৷ এসব জানাতে চেয়ে তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকে চিঠি দিয়েছেন।উপাচার্য বলেছেন, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হওয়ায় আমার কাজ স্থায়ী উপাচার্য যাতে দ্রুত আসতে পারেন তার পথ প্রশস্ত করে দেওয়া। এ জন্য ইসি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের সভা ডাকতে হয়। আপাতত সেটাই করা আমার মূল লক্ষ্য।ফলক বিতর্কে উত্তাল বিশ্বভারতী। সেই ফলক বাতিলের কী নির্দেশ দেবেন বর্তমান উপাচার্য? সঞ্জয়বাবুর জবাব, আমি কোনও নির্দেশ বা পদক্ষেপ করতে পারি কিনা সেটা আমি এখনও জানি না। তাই আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক থেকে আমার এক্তিয়ার জানানো হোক, তারপরই আমি কী করণীয় তা বলতে পারব।নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাড়ির জমি থেকে রাস্তার দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা- একাধিক কারণে তাঁর নানা পদক্ষেপের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিশ্বভারতীয় প্রাক্তন উপাচার্য। উপাচার্যে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে নবান্নের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমেই বেড়েছে বিশ্বভারতীয়। সেই ব্যবধান কমাতে কী পদক্ষেপ করবেন বর্তমান উপাচার্য? ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে দূরত্ব যাতে কমে ও বিশ্বভারতী যাতে সঠিক পথে চলে সেটাই তিনি করবেন। পৌষমেলার আয়োজন করার চেষ্টা তিনি যে করবেন, তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক।বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক সিদ্ধান্ত, পদক্ষেপ, মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বহু অভিযোগ দায়ের হয়েছে শান্তিনিকেতন থানায়। ৮ নভেম্বর তাঁর মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখনও তিনি সরকারি বাসভবনেই রয়েছেন। এদিন শান্তিনিকেতন থানার মহিলা অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ যায় বিদ্যুৎবাবুর বাসভবনে৷ জানা গিয়েছে, ৬টি পৃথক মামলায় তাঁকে নোটিস দিয়ে শান্তিনিকেতন থানায় তলব করা হয়েছে। ১০ নভেম্বর থেকে পর পর হাজিরার তারিখ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

নভেম্বর ০৯, ২০২৩
রাজ্য

বিশ্বভারতীতে নয়া উপাচার্য, মেয়াদ বৃদ্ধি নয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর

বিতর্কে বারং বার জড়িয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বুধবারই তাঁর কাজের মেয়াদ শেষ হল। তাঁর মেয়াদ কী ফের বাড়বে? গত কয়েকদিনে চর্চায় বারে বারে এই প্রশ্ন উঠেছে। এসবের মধ্যেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য করা হল ডঃ সঞ্জয়কুমার মল্লিককে।৫৬ বছর বয়সী অধ্যাপক সঞ্জয়কুমার মল্লিক কলাভবনের অধ্যক্ষ। বিশ্বভারতীর কর্মসমিতিরও সদস্য তিনি। বিশ্বভারতী অ্যাক্ট অ্যান্ড স্ট্যাটু অনুযায়ী সিনিয়র মোস্ট অধ্যাপক হিসাবে উপাচার্যের ভার সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হল সঞ্জয় মল্লিককে। উপাচার্য পদে সঞ্জয়বাবুর নিয়োগের কথা প্রকাশ্যে আসতেই উচ্ছ্বাস দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, অধ্যাপক ও কর্মীদের মধ্যে৷ এই বদলকে তাদের আন্দোলনের জয় বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসক শিবিরের একাংশ।উপাচার্য পদে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যতদিন ছিলেন ততদিনই তাঁর বহু সিদ্ধান্ত ঘিরে তোলপাড় হয়েছে। থানা, পুলিশ, আইন-আদালত কিছুই বাকি নেই। মেয়াদ শেষের দিনও তাঁকে ঘিরে আন্দোলন, বিক্ষোভ হতে পারে, এই আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর, উপাচার্যের বাড়ি ও দফতর এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে উপাচার্যের বাসভবন ল থেকে বুধবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে স্বাক্ষর করেন বিদ্যুৎবাবু। কোনও উপাচার্যের মেয়াদ শেষে এই দৃশ্য বিশ্বভারতীতে নজিরবিহীন বলে দাবি আশ্রমিকদের।নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাড়ি বিতর্ক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তার দাবি থেকে পৌষ মেলা বন্ধ, আশ্রমিকদের একাংশকে আক্রমণ। বহু কারণে কখনও মুখ খুলে, কখনও আবার তাঁর সিদ্ধান্তের কারণে একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিধানসভা ভোটে বিজেপির পরাজয় নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে সমালোচনার মুখেও পড়েছিলেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা বিদ্যাৎবাবুকে টানা আক্রমণ করে গিয়েছেন। শেষমেষ বিতর্কের অবসান হল, নয়া ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পেল কবিগুরুর বিশ্বভারতী।

নভেম্বর ০৮, ২০২৩
দেশ

আবর্জনা মুক্ত ভারত গড়ার অঙ্গীকার কলকাতার জিএসআইয়ের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দফতরে

আবর্জনা মুক্ত ভারত-এর যুগের অঙ্গীকারে ভারতের জিওলজিক্যাল সার্ভে, পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর, কলকাতা, রবিবার এক ঘন্টা শ্রমদানের মাধ্যমে Swacchata Hi Seva 2023 অভিযান সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেয়। সল্টলেকের জিএসআই কার্যালয়ে ও আনন্দলোক হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার আবর্জনা অপসারণ এবং পরিচ্ছন্নতার প্রচারের প্রচেষ্টায় ৫০০ জন জিএসআই কর্মীবৃন্দ ও নাগরিক সমবেত হয়েছিলেন। গান্ধী জয়ন্তীর প্রাক্কালে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশ্যে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। জিএসআই, পূর্বাঞ্চল শাখার অ্যডিশেনাল ডিরেক্টার জেনারেল এবং এইচ ও ডি, শ্রীমতি বর্ষা অশোক আগলাওয়ের তত্ত্বাবধানে Ek Tarikh Ek Ghanta এক ঘণ্টার শ্রমদান অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অধ্যক্ষা সারা বছর নিয়মিত কার্যালয়ে ও সংলগ্ন এলাকার পরিচ্ছন্নতা রক্ষার বিষয়ে জোর দেন। চিফ ইঞ্জিনিয়ার, সকল ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল, ডিরেক্টর, উচ্চপদস্থ কর্মচারী ও অন্যান্য কর্মীবৃন্দ এবং অস্থায়ী স্টাফ পূর্ণ উৎসাহের সাথে অংশগ্রহণ করেন। প্রবীণ নাগরিকসহ স্থানীয় লোকজন ব্যাপকভাবে এই বৃহৎ পরিচ্ছন্নতা কর্মকাণ্ডে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট জাতীয় ফুটবল খেলোয়াড় সন্দীপ নন্দী। তিনি একটি পরিষ্কার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেন।

অক্টোবর ০১, ২০২৩
রাজ্য

রাজ্যর ৪র্থ বন্দেভারত ট্রেন পাটনা-হাওড়ার সময়সূচি জেনে নিন, একদিনেই যাতায়াত

পশ্চিমবঙ্গবাসীর জন্য অত্যন্ত সুখবর চতুর্থ (৪র্থ) বন্দেভারত এক্সপ্রেস পেতে চলেছে রাজ্যবাসীরা। ২২৩৪৮ /২২৩৪৭ পাটনা-হাওড়া বন্দেভারত এক্সপ্রেস প্রতি সপ্তাহে ৬ দিন চলবে ( বুধবার ব্যতীত )। ট্রেনটি সকাল ৮টার সময় পাটনা থেকে ছেড়ে একইদিনে হাওড়ায় পৌঁছাবে দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিটে (14:35 Hrs.)। পুনরায় ট্রেনটি দুপুর ৩ টা ৫০ মিনিটে (15 : 50 Hrs.) ছেড়ে একইদিনে পাটনায় পৌঁছাবে রাত ১০ টা ৪০ মিনিটে (22:40 Hrs.)। এই ট্রেনটিতে ৮ টি এসি চেয়ার কার থাকছে।পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, পাটনা-হাওড়া বন্দেভারত ট্রেন আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে উভয়পথে যাত্রা শুরু করবে। ট্রেনটি যাত্রাকালে পাটনাসাহিব, মোকামা, লক্ষীসরাই, জসিডি, জামতারা, আসানসোল ও দূর্গাপুর স্টেশনে দাঁড়াবে। উল্লেখযোগ্যভাবে এই ট্রেনটিতে সফররত যাত্রীরা পাটনা থেকে হাওড়া মাত্র ৬ ঘন্টা ৩৫ মিনিটে পৌঁছবেন যা অন্যান্য গণ পরিবহন মাধ্যমের তুলনায় অনেকটা কম সময় নেবে। এতে বহু যাত্রীরা উপকৃত হবেন ।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
দেশ

এবার হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারত যাত্রা শুরু শীঘ্রই, এই ট্রেনগুলিতে যুক্ত একাধিক সুবিধা

আগামী ২৪সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নয়টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করবেন। যার মধ্যে রয়েছে পাটনা-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। দেশীয়ভাবে তৈরি আধা-হাই-স্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি ইতিমধ্যেই স্থল পরিবহনের দ্রুততম মাধ্যম হিসাবে যাত্রী এবং ভ্রমণকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। পশ্চিমবঙ্গ ইতিমধ্যেই হাওড়ানিউ জলপাইগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়িগুয়াহাটি এবং হাওড়াপুরী রুটে তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পেয়েছে।নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের নাগরিকদের সেবায় সমস্ত প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আনার জন্য সর্বদা বদ্ধপরিকর। যাত্রীদের আরও সুবিধার জন্য বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের রেকগুলিতে আরও বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে।নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস রেকগুলিতে আরও যাযা সুবিধা যুক্ত হল: আসন হেলান কোণ 17.31 ডিগ্রী থেকে 19.37 ডিগ্রী পর্যন্ত বৃদ্ধি করা, আসনের নীচে মোবাইল চার্জিং পয়েন্টের উন্নত ব্যবস্থাপনা, ECC আসনে নানাবিধ সুবিধা, বাথরুমে নানা সুবিধা যুক্ত করা সহ প্রায় ২৫ ধরনের বাড়তি ফিচার যুক্ত হচ্ছে বন্দে ভারতে। নতুন বৈশিষ্ট্যগুলি কেবল যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক উপাদানই নয়, যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
রাজনীতি

মহাভারতের রচয়িতা কে? মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে কপোকাত শুভেন্দু, তৃণমূলের খোঁচা

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে গিয়ে এবার কুপোকাত স্বয়ং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার শুভেন্দুর বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়ল না তৃণমূল কংগ্রেসও। মহাভারতের রচয়িতা বলতে গিয়ে গুলিয়ে একাকার করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।মহাভারতের রচয়িতা নজরুল ইসলাম। মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় এই মন্তব্য করেছেন বলে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভাতেও কথাটি তুলেছিলেন। এবার এক সভায় ওই প্রসঙ্গ টেনে বলতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, মহাভারতের রচয়িতা কৃত্তিবাস ওঝা। শুভেন্দুর ভিডিওটিও ভাইরাল হয়েছে। এবার বিরোধী দলনেতাকে চেপে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস।LoP @SuvenduWB has confidently declared that the Mahabharata was penned by none other than eminent Mahakavi, Krittibas Ojha.Bravo! Except, of course, for that pesky detail that Ojhas major contribution to Bengali literature was in the form of his illustrious adaptation of the pic.twitter.com/gENbQAwGuQ All India Trinamool Congress (@AITCofficial) September 10, 2023আদপে রামায়ণ লিখেছিলেন ঋষি বাল্মীকি। নদিয়ার ফুলিয়ার কৃত্তিবাস ওঝা বাংলায় ছড়া আকারে রামায়ন লিখেছেন। যা কৃত্তিবাসী রামায়ণ বলে পরিচিত। বাংলার মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছিল এই পদ্যানুবাদ রামায়ণ।প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী মহাভারত লিখেছিলেন ব্যাসদেব। পরবর্তীতে কবিন্দ্র পরমেশ্বর না কাশিরাম দাস কে বাংলায় মহাভারত অনুবাদ করেছিলেন তা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে কাটোয়ার কাশিরাম দাসের মহাভারত খ্যাতি পেয়েছিল।

সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
রাজ্য

বীরভূমে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের হেলিপ্যাড বেদখল, আবর্জনার স্তুপে দুর্গন্ধে এলাকায় টেকাই দায়

আবর্জনার স্তুপে মুখ ঢেকেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের হেলিপ্যাড। মুখ্যমন্ত্রী বোলপুর সফরে এলেই ওই হেলিপ্যাড ব্যবহার করেন। এখন সেই জায়গার উপর নজর পড়েছে ঠিকাদারদের। ফলে লোকচক্ষুর আড়ালে হেলিপ্যাডটিকে রীতিমতো ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। ফাঁকা অংশ ঠিকাদারদের ফেলে রাখা ইমারতি দ্রব্য দখল করে নিয়েছে। তবে বিষয়টি নাকি জানা নেই পুরসভার। শুক্রবার সেই হেলিপ্যাড পরিদর্শন করেন বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ, বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।রাজ্যে পালা বদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র এবং পর্যটন কেন্দ্র থেকে কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য হেলিকপ্টার চলাচলের সিদ্ধান্ত নেন। সেই তালিকায় বোলপুরের পাশাপাশি ছিল তারাপীঠ, দিঘা সহ বেশ কয়েকটি জায়গা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় হেলিপ্যাড। বোলপুরে গীতাঞ্জলী প্রেক্ষাগৃহ সংলগ্ন এলাকায় সেই হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বোলপুর সফরে এলে তাঁর হেলিকপ্টার সেখানেই অবতরণ করত। এখন সেই জায়গা কার্যত ঠিকাদারদের দখলে চলে গিয়েছে। হেলিপ্যাডের চারিদিক আগাছায় ঢেকেছে। পুরসভা শহরের আবর্জনা সেখানে ফেলে ভাগাড়ের রুপ দেওয়া হয়েছে। আর এক শ্রেণির ঠিকাদার বিল্ডিং নির্মাণ করার জন্য ইমারতি দ্রব্য মজুতের জায়গা করে নিয়েছে সেই হেলিপ্যাড। এনিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। তবে বিষয়টি জানা নেই বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষের। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে খোঁজ নেবেন।এদিকে খবর পেয়ে শুক্রবার সেই হেলিপ্যাড পরিদর্শনে যান বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, তৃণমূল এক বিচিত্র দল। বোলপুরে স্বয়ং দলনেত্রীর হেলিকপ্টার অবতরণের জায়গাটার অর্ধেক দখল করে নিয়েছে দিদিমনির স্থানীয় কিছু প্রমোটার এবং তোলাবাজ ভাইয়েরা। এলাকায় গিয়ে দেখলাম কেষ্টবাবুর পাচার করতে না পারা দু-চারটে গরু ঘুরে বেড়াচ্ছে। আশপাশটা আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। পুরসভার সহযোগিতায় দুর্গন্ধে পারিপার্শ্বিক এলাকা সুরভিত। যারা মুখ্যমন্ত্রীর হেলিপ্যাড দখল করতে পারে তারা সমস্ত জায়গা দখল করতে পারে। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বোলপুরে এসে তাঁর হেলিপ্যাড একবার দেখে যান।

সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
দেশ

ইন্ডিয়া কেন ভারত? মোদি সরকারের উদ্দেশ্য প্রকাশ্যে আনলেন অভিষেক

দ্য প্রেসিডেন্ট অফ ভারত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষ থেকে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষ্যে দেশবিদেশের অতিথিদের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র, এই লেখা ঘিরেই আপাতত চরম বিতর্ক। তাহলে কী এবার সত্যি ইন্ডিয়ার বদলে শুধুই ভারত? দেশের নামকরণ বিতর্কে গতকালই কেন্দ্রের তীব্র বিরোধিতা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন মোদী সরকারের এই নাম বদলের কৌশল? এক বার্তায় সেটাই ব্যাখ্যা করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।সংবিধানে ভারত এবং ইন্ডিয়া এই দুয়েরই উল্লেখ রয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে সব বাদ দিয়ে দেশের নাম শুধু ভারত রাখার দাবি উঠছে। এই নেপথ্যে আরএসএস-এর দর্শন রয়েছে বলে মনে করে বিরোধীীা। পাশাপাশি বিরোধী জোটের নাকরণ হওয়ায় ইন্ডিয়া নামটি মানতে কষ্ট হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের। তাই এই পদক্ষেপের ভাবনা। মনে করছে বিরোধী দলগুলো। এদিকে পদ্ম শিবিরের বক্তব্য, ব্রিটিশদের দেওয়া দেশের ইন্ডিয়া নামটি কেন এখনও ব্যবহার হবে। আগামী সংসদ অধিবেশনে এই নামকরণ সংক্রান্ত বিল পেশ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।INDIA vs BHARAT is just a distraction orchestrated by the BJP. Lets cut to the chase and hold the govt accountable for skyrocketing prices, rampant inflation, communal tensions, unemployment, border disputes and their empty rhetoric of Double Engine and Nationalism. #StayFocused Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) September 6, 2023কি লিখেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?বুধবার দুপুরে দেশের নামবদল বিতর্কে বিরাট ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যয়। এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, ভারত বনাম ইন্ডিয়া আসলে বিজেপির দ্বারা সংগঠিত একটি বিভ্রান্তি মাত্র। আসল ইস্যুগুলি থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। আসুন আমরা এই প্ররোচনায় পা না দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলি। সরাসরি আক্রমণ করি আকাশছোঁয়া দাম, ব্যাপক মূদ্রাস্ফিতি, সাম্প্রদায়িক বিভাজন, বেকারত্ব, সীমান্ত বিরোধ, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের শূন্যতা এবং জাতীয়তাবাদের ফাঁকা আওয়াজের জন্য।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৩
রাজনীতি

‘দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো’, বিজেপির কাকে কটাক্ষ অনুপমের?

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু মন্তব্য পোস্ট করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা।আবারও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু মন্তব্য পোস্ট করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। এর মাধ্যমে দলেরই একাংশকে দুষেছেন অনুপম, তারঁ পোস্টে এই ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়েছে। বঙ্গ বিজেপির কোনও নেতার নাম নিয়েছেন অনুপম? সংবাদমাধ্যমে নিজের এই ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে মুখ খুলেছেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।অনুপম হাজরার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন..আপনার সাংগঠনিক দায়িত্বকে কাজে লাগানোর দায়িত্ব আমার। আর যদি এখনও মনে হয় পার্টির সংগঠনের থেকে নিজের ইগো বা অভিমানটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা পদ আগলে বসে থেকে ভেতরে-ভেতরে দলের ক্ষতি করবেন, তাহলে আমি অন্তত আমার সীমিত ক্ষমতার মধ্যে এটুকু চেষ্টা করব যে আপনি যেন কোনওভাবেই আপনার পদের বা ক্ষমতার অপব্যবহার না করতে পারেন!!! কারণ অতি প্রচলিত একটি প্রবাদ রয়েছে- দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো!!!নিজের এই ফেসবুক পোস্ট সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমেও এদিন মুখ খুলেছেন অনুপম। অনুপম বলেছেন, এটা বলতে কোনও বাধা নেই প্রতিটি সাংগঠনিক জেলাতেই এমন লোকজন আছেন যারা দলের পুরনো কর্মী, যাদের সংগঠন আছে। কিন্তু মান-অভিমান করে নিজেদের সরিয়ে রেখেছেন বা বসে আছেন বা সক্রিয় নন। তাঁদেরই এই পোস্টের মাধ্যমে বার্তা দিতে চেয়েছি। দলের অনেকে অনেক পদে আছেন, কিন্তু মাঠে নামছেন না। তাঁরাই দুষ্টু গরু।বিজেপি নেতা আরও বলেন, অনেকে দলের পদে থেকেও মাঠে নামছেন না। অনেকে নিজেও কাজ করেন না, অন্যদেরও করতে দেন না। এই দাদা ওই দাদার লবি না ধরে মোদীর লবি ধরে দলকে শক্তিশালী করুন। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

পাকিস্থানে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধবংস, জম্মু সহ দেশের বহু শহরে ব্ল্যাক আউট, ৩টে পাক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত

অপারেশন সিন্দুরের পর লাহোরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত অপারেশন সিন্দুর-এর মাধ্যমে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। ভারত গতকাল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো হয়। সন্ধ্যের পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর ও গুজরাটের বহু শহর ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। জম্মুতে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। দুটি যুদ্ধ বিমান গুলি করে ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ৭ ও ৮ মে মধ্য রাতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভুজ সহ ১৫টি শহরে এই হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে, ভারতের কাউন্টার ইউএএস (Unmanned Aerial System) ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা সফলভাবে এই আক্রমণগুলিকে প্রতিহত করে। এদিকে ভারতের পাল্টা পদক্ষেপে লাহোরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাহোরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাতেও বিস্ফোরণের খবর আসে। লাহোরে এয়ার ডিসেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কুপওয়ারা, বারামুল্লা, উরি, পুঞ্চ, মেন্ধার ও রাজৌরি সেক্টরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মর্টার শেল নিক্ষেপে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন নিরীহ নাগরিকের। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন মহিলা ও ৫ জন শিশু। পাশাপাশি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান ৭ মে রাতে অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, কাপুরথালা, জলন্ধর, লুধিয়ানা, বাথিন্ডা, চণ্ডীগড়, এবং ভুজ-এর মতো উত্তর ও পশ্চিম ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থান লক্ষ্য করে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনী সেই হামলাগুলি সফলভাবে প্রতিহত করে।

মে ০৮, ২০২৫
রাজ্য

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম বর্ধমানের রুপায়ন পাল, জয়জয়কার পূর্ব বর্ধমানের

ভারতীয় সেনাারা অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার ভোররাতের ওই ঘটনায় বেজায় খশি এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম স্থান পাওয়া বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র রুপায়ন পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৭ (৯৯.৪ শতাংশ)। বুধবার ফল প্রকাশের পর কৃতী ছাত্র রুপায়ন সাংবাদিকদের বলে, ভারতীয় সেনারা যে প্রত্যাঘাত করেছে সেটা যথেষ্টই প্রশংসনীয়। প্রত্যেক ভারতীয় জন্য এটা গর্বের। উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার আরও ছয় কৃতী ছাত্র ছাত্রী।রুপায়ন পালেদের আদি বাড়ি ভাতারের খেড়ুর গ্রামে। তবে এখন তাঁরা থাকেন বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লী কালীতলায়। রূপায়ণের বাবা রবীন্দ্রনাথ পাল জামালপুর থানার জৌগ্রাম হাই স্কুলের শিক্ষক। মা জয়শ্রী পাল ভাতারের ভাটাকুল স্বর্ণময়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা।রুপায়ন জানিয়েছে, মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় আমি পঞ্চম স্থানে ছিলাম।উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষা ভাল হলেও মেধা তালিকার একেবারে প্রথম স্থানে আমি থাকব, এতটা আমি আশা করিনি।রুপায়ন জানিয়েছে, তাঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে তাঁর বাবা ও মায়ের।পাঠ্য পুস্তক পড়ার পাশাপাশি গল্পের বই পড়ার প্রতিও যথেষ্ট ঝোকঁ রয়েছে রুপায়নের। তাঁর প্রিয় লেখক শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয় চরিত্র ব্যোমকেশ। উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করার জন্য দৈনিক ১২-১৩ ঘন্টা পড়াশুনা করেছে রুপায়ন। কৃতী এই ছাত্র ডাক্তার হতে চায়। তার জন্য সে জয়েন্ট পরীক্ষাও দিয়েছে বলে জানিয়েছে। ডাক্তার হতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যাও করেছে রুপায়ন।তবে শুধু রুপায়ন পালই নয়, মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধীক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা জায়গা করে নিয়েছে। মেধা তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে জেলার কাটোয়া কাশীরাম দাস ইনস্টিটিউশনের ছাত্র ঋদ্ধিত পাল এবং ভাতার এম পি হাইস্কুলের ছাত্র কুন্তল চৌধুরী। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩ (৯৮.৬ শতাংশ)। এছাড়াও ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কাটোয়া ডি ডি সি গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী দেবদত্তা মাঝি ও মেমারির ভি এম ইনস্টিটিউশন (শাখা ১) এর ছাত্র জয়দীপ পাল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর-৪৯২ (৯৮.৪ শতাংশ)। ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দেবদত্তা ৭০০ নম্বরে মাধ্যম ৬৯৭ নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল।ইতিমধ্যেই এবছর জয়েন্ট এন্ট্রান্সের (JEE মেন) প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও ১০০-য় ১০০ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে কাটোয়ার দেবদত্তা মাঝি। এবছরের উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকার সপ্তম স্থানে এবং দশম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে দুই কৃতী ছাত্র শুভম পাল ও অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম স্থানাধিকারী শুভমের প্রাপ্ত নম্বর - ৪৯১ (৯৮.২ শতাংশ)। আর দশম স্থান থাকা অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮ (৯৭.৬ শতাংশ)।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

জৈশ এ মহম্মদের মাথা মাসুদ আজহারের ডেরায় আক্রমণ, তাঁর পরিবারের ১৪ জন নিহত

অপারেশন সিন্দুরের সবচেয়ে বড় লক্ষ্যবস্তু ছিল বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত জইশ-ই-মোহাম্মদের সদর দপ্তর, যার নেতৃত্বে ছিলেন কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাসুদ আজহার। আজহারকে শেষবার বাহাওয়ালপুরে সংগঠনটির মাদ্রাসার কাছে দেখা গিয়েছিল, যেখানে ওই মাদ্রাসাটি একটি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত, পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহের উৎসও ছিল। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রগুলি হাফিজ সাইদের লস্কর-ই-তৈয়বার সাথে সম্পর্কিত মুরিদকেতে সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সহ এই মাদ্রাসাটি ধ্বংস করে দিয়েছে। সূত্রের খবর, মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তাঁর ভাই এি হামলায় মারা গেছেন বলে খবর। প্রাথমিক অনুমান অনুসারে প্রায় ৭০ জন জঙ্গিকে নির্মূল করা হয়েছে এবং ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ চালানোর জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীও পাকিস্তানের বিমান হামলার প্রতিশোধমূলক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, পাকিস্তানি F-16 এবং JF-17 যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে, যার মধ্যে একটি JF-17 ,আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে ভূপাতিত করা হয়েছে।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন অনুসারে, এই হামলার আকার এবং নির্ভুলতা ভারতের নিরাপত্তা নীতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। এটি প্রথমবারের মতো অভিযানগুলিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সীমাবদ্ধ রাখার পরিবর্তে ভারত পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডের গভীরে, পাঞ্জাব প্রদেশে, আক্রমণ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে এই পদক্ষেপটি স্পষ্ট করে দিয়েছে যে ভারত সীমান্তবর্তী সন্ত্রাসবাদকে মেনে নেবে না এবং তার নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।

মে ০৭, ২০২৫
দেশ

পহেলগাঁওয়ের বদলা নিল ভারত, পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা

অবশেষে চরম বদলা নিল ভারত। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে গুড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা। একেবারে বেছে বেছে নির্দষ্ট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে বিধ্বংসী হামলা চালানো হয়েছে। ভারত এই অপারেশনের নাম দিয়েছে অপারেশন সিন্দুর। এই বদলার খবর ভারতীয় সেনার তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে।ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে তার মধ্যে ৪টি পাকিস্তানের পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুর এবং মুরিদকে এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মুজাফফরাবাদ এবং কোটলিতে। এই সমস্ত এলাকাই সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি। এদিকে জম্মু বিভাগের কমিশনারের জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, ৭ মে (বুধবার) জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি এবং পুঞ্চ জেলায় সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশেষ করে পুঞ্চ জেলায় নিরাপত্তা সতর্কতা জারি হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পুঞ্চ জেলার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয় আজ, ৭ মে ২০২৫, বন্ধ থাকবে।আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গর্বিত।OperationSindoor হল পহেলগামে আমাদের নিরীহ ভাইদের নৃশংস হত্যার প্রতি ভারতের প্রতিক্রিয়া। ভারত এবং তার জনগণের উপর যে কোনও আক্রমণের উপযুক্ত জবাব দিতে মোদী সরকার বদ্ধপরিকর। ভারত সন্ত্রাসবাদকে তার মূল থেকে নির্মূল করতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।এদিকে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তানি বাহিনীর আন্তঃসীমান্ত গোলাবর্ষণে জম্মু ও কাশ্মীরে কমপক্ষে সাতজন নাগরিক নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন। পাক গোলাবর্ষণে মেন্ধরে একজন এবং পুঞ্চে ৬ জন নিহত হয়েছেন। ২০২৫ সালের ৬-৭ মে রাতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিপরীতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের পোস্ট থেকে কামান থেকে গোলাবর্ষণ সহ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এই তথ্য জানিয়েছেন উত্তরাঞ্চলীয় কমান্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা (প্রতিরক্ষা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুনীল বারাতওয়াল।

মে ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal