• ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বৃহস্পতি ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Bardhaman

রাজনীতি

Dilip Ghosh: "তোলাবাজ ও চামচাবাজদের নিয়ে দল চলছে", অভিযোগ বর্ধমানের বিজেপি নেতার

কার্যকারিনী সভায় যোগ দিতে গিয়ে ঘাড় ধাক্কা খেয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির যুব নেতা। মঙ্গলবার বর্ধমান সদর জেলা বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ইন্দ্রনীল গোস্বামী বলেন, বিজেপি দলটা অকৃতজ্ঞ হয়ে গিয়েছে। কতকগুলো তোলাবাজ ও চামচাবাজকে নিয়ে জেলা বিজেপির নতুন সভাপতি এখন দলটা চালাচ্ছে। ইন্দ্রনীলবাবু একইসঙ্গে দাবি করেন, বিজেপি এখন আদর্শ বিচ্যুত হয়েছে। তাই তিনি সংগঠন ছেড়ে দিয়ে দলের এই তেলাবাজি, নোংরামি ও ভ্রষ্টাচারির বিরুদ্ধে আলাদা মঞ্চ গড়ে আন্দোলনে নামবেন। বিধানসভা ভোটে পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার পর ওই দলেরই এক যুব নেতার আনা এমন বিস্ফোরক অভিযোগ রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। বিজেপি যুব নেতা ইন্দ্রনীল গোস্বামীর এদিনের বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, ভোটে ভরাডুবির পর এখন বিজেপি নেতারাই বিজেপির আসল স্বরূপ প্রকাশ্যে আনতে শুরু করে দিয়েছেন । যত দিন যাবে রাজ্যের মানুষ মিস কল পার্টি বিজেপি নেতাদের মুখ থেকে এমন আরও নানা বিস্ফোরক অভিযোগ শুনতে পাবেন। তার থেকেই পরিস্কার হয়ে যাবে রাজ্যের মানুষ কেন বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আগামী দিনে গোটা দেশের মানুষ মিস কল পার্টি বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবেন।আরও পড়ুনঃ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ডোঙার সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কেরবর্ধমান জেলা বিজেপি কার্যালয়ে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয় কার্যকারিনী সভা। সেই সভায় যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জেলা পার্টি অফিসে এদিন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করতে যান বর্ধমান সদর জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি ইন্দ্রনীল গোস্বামী। তাঁকে পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ইন্দ্রনীলবাবুর অভিযোগ, আরও পড়ুনঃ ইংল্যান্ডের স্বপ্ন চুরমার করে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিদিলীপ ঘোষের সামনেই পার্টি অফিসে থাকা বিজেপি কর্মীরা আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। এর পর জেলা বিজেপি পার্টি অফিস থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেই ইন্দ্রনীল গোস্বামী জেলা বিজেপির সভাপতি, সহ- সভাপতির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ উগরে দেন। ইন্দ্রনীলবাবু এও বলেন, জেলা সভাপতি তাঁর কিছু পেটোয়া লোকেদের পদে রেখে দলের ক্ষতি করছেন। এমনকি তোলাবাজিও করছেন বলে ইন্দ্রনীল গোস্বামী অভিযোগ করেন।আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক টেনিসে ঐতিহাসিক সাফল্য বাঙালি তরুণেরএদিকে ইন্দ্রনীল গোস্বামী প্রকাশ্যে সংবাদ মাধ্যমের কাছে এইসব অভিযোগ করার পরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এস আর ব্যানার্জি। তিনি বলেন, ইন্দ্রনীল গোস্বামী দলের যুব সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। এদিন দিলীপ ঘোষ দলের যে সকল কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন বলেছিলেন তার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে যুব মোর্চার কারও অংশগ্রহণ করার কথা ছিল না। সে কারণেই ইন্দ্রনীলকে মিটিংয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এস আর ব্যানার্জী একই সঙ্গে জানান, ইন্দ্রনীলবাবুর কাউকে তোলাবাজ মনে হতে পারে। কিন্তু তাঁর কোনও মাপকাঠি বা গ্রহনযোগ্যতা নেই। মিটিংয়ে যাদের অংশগ্রহণ করার কথা ছিল তাঁদেরকেই শুধুমাত্র এদিন পার্টি অফিসে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুনঃ উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ এ মাসেইজেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক এমনটা বললেও কার্যকারিণী সভা শেষে দিলীপ ঘোষ বিক্ষুব্ধ যুব নেতা ইন্দনীল গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের মধ্যে মিনিট খানেক আলোচনাও হয়। দিলীপবাবু মিটিং শেষে চলে যাবার পরেই ইন্দ্রনীল গোস্বামী ভোল বদলান। তিনি ফের সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন , আমাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়ায় আমি আবেগের বসে সাংবাদিকদের কাছে দলের কিছু আভ্যন্তরীণ কথা বলে ফেলেছিলাম।কিন্তু দিলীপ দা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। এই সব নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যদিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

জুলাই ১৩, ২০২১
রাজ্য

Petrol Hike: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির অভিনব প্রতিবাদ, ’ডোঙার' সাহায্যে জল সেচ তৃণমূল বিধায়কের

জ্বালানির আঁচে জ্বলছে গোটা দেশ। ১০০ পেরিয়েছে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম। ডিজেলের দামও ১০০ ছুঁইছুঁই। জ্বালানির এই অগ্নিমূল্যের প্রভাবে সংকট তীব্র হবে রাজ্যের কৃষিক্ষেত্র। সেচের কাজে পাম্প মেশিন ছেড়ে চাষিদের ফের ডোঙা ব্যবহারেই ফিরতে হবে। সোমবার রথযাত্রার দিন ডোঙায় জল সেচ করে নিজের চাষজমি কর্ষণ কাজের শুভারম্ভ ঘটিয়ে সেই বার্তাই দিলেন বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক। বিধায়কের এই বার্তা রাজ্যের শস্যগোলা বলে পরিচিত পূর্ব বর্ধমান জেলার কৃষক মহলকেও ভাবিয়ে তুলেছে। তবে বিধায়কের এদিনের কর্মকাণ্ডকে নাটক বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।বর্ধমান ২ ব্লকের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের হাটকান্ডা গ্রামে বাড়ি বিধায়ক নিশীথ মালিকের। তাঁর পরিবারের সকলেই কৃষিজীবী। পরিবারের চাষবাস বিধায়ক নিজেই দেখেন । বরাবরই জমিতে নেমে চাষ-আবাদের কাজ তিনি নিজেই তদারকি করেন ।প্রতিবছরের মতো এবছরও রথযাত্রা উৎসবের দিন বিধায়ক নিশীথ মালিক তাঁদের পারিবাবিক চাষ জমির কর্ষণ কাজ শুরু করেন । এদিন বাড়িতে থাকা সাবেকি আমলের ডোঙা কাঁধে নিয়েই বিধায়ক জমির উদ্দেশ্যে রওনা নেন । বহুকাল পর ডোঙা নিয়ে নিশীথ মালিককে চাষের জমির দিকে যেতে দেখে এলাকার অন্য চাষিরা কার্যত তাজ্জব বনে যান । ডোঙা নিয়ে জমিতে পৌছে বিধায়ক নিশীথ মালিক প্রথমে ডোঙার সাহায্যে তাঁদের ধান জমিতে জল সেচ করেন। এর পরেই শুরু হয় তাঁর জমির কর্ষণ কাজ। কর্ষণ কাজ পুরোপুরি শেষ হবার পর জমিতে আউশ ধান রোয়ার কাজ শুরু হবে।বেশ কয়েক বছর ধরে পাম্প মেশিনের সাহায্যে জমিতে জল সেচ করে চাষাবাদের কাজ করে আসছেন নিশীথ মালিক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু হঠাৎ করেই পাম্প মেশিন ছেড়ে বাবা ঠাকুরদার আমলের ডোঙা নিয়ে জমিতে কেন জল সেচ করতে হল? এই প্রশ্নের উত্তরে বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, দেশে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস এখন অগ্নিমূল্য। পেট্রোলের লিটার প্রতি মূল্য ১০০ পার হবার পর এখন ডিজেলও ১০০ ছুঁইছুঁই । অগ্নিমূল্য জ্বালানি তেল পাম্প মেশিনে ভরে জল সেচ করে ধান চাষ করতে গেলে চাষের খরচ বহুগুণ বেড়ে যাবে। খরচ বেড়ে গেলে চাষিরা চাষ করেও লাভের মুখ দেখতে পাবেন না। নিশীথ বলেন, পেট্রোপণ্যের এমন মূল্য বৃদ্ধির কারণে তিনি বাবা ঠাকুরদার আমলে সেচের কাজে ব্যবহৃত ডোঙা দিয়েই তাই জমিতে সেচের কাজ সারলেন ।একই সঙ্গে তিনি জেলার কৃষিজীবী মহলকে এই বার্তাও দিলেন, কেন্দ্রে মোদি সরকারের দৌলতে পেট্রোল, ডিজেলের দাম এখন যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে সবাইকেই এবার সেই ডোঙা নিয়েই চাষের কাজে ফিরতে হবে । ডোঙা নিয়ে জমিতে জল সেচ করাটা একপ্রকার তাঁর পেট্রৌপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ বলেও এদিন বিধায়ক নিশীথ মালিক মন্তব্য করেন। তৃণমূল বিধায়কের এমন প্রতিবাদকে নাটক বলে বলে কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি প্রবাল রায়। তিনি দাবি করেন, দেশের কৃষকদের স্বার্থের কথা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার ভাবে বলেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাচ্ছেন। কৃষকদের প্রতি দরদ থাকলে নাটক, প্রতিবাদ ছেড়ে এই রাজ্যের সরকার নিজেদের অংশের কর কমাচ্ছেন না কেন? পাল্টা সেই প্রশ্ন রেখেছেন জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি।

জুলাই ১২, ২০২১
রাজনীতি

Minister WB: বিজেপিকে রুখতে ঝাঁড়ফুক বা পানিপোড়া, নাহলে ৭০-৮০ ডিগ্রির দাওয়াই, হুঙ্কার রাজ্যের মন্ত্রীর

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়পেট্রোপণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের কু-পুত্র বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। রবিবার নিজের বিধানসভা এলাকা পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম ও সাতগেছিয়া বাজার এলাকায় হওয়া দলের প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। সেই কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখতে উঠে নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপিকে কার্যত তুলোধনা করেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সারা রাজ্যের পাশাপাশি এদিন পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্তেশ্বরের সাতগেছিয়া ও কুসুমগ্রামে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় । সেই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন আরও বলেন, সেই সব গ্রাম আমি চিনি যেখানে বিজেপির কর্মীরা অনেক মুসলমান বাড়ির সামনে কাঁফন রেখেছিল। যারা রেখেছিল তারাও মুসলমান। তাদেরও টুপি আছে, দাড়িও আছে।নামাজ তারাও পড়ে। তবে তারা কুড়ি হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ওইসব বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এরপরেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমরা প্রথমে ওদের ঝাড়ফুঁক তেল ও পানি পোড়া দেব । তাতে যদি ঠিক হয়ে যায় তো ঠিক আছে। না হলে ৭০ ডিগ্রি বা ৮০ ডিগ্রির বিষয়টি পরে ভেবে দেখা হবে।পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ কর্মসূচীতে যোগ দিয়ে এইসব বিস্ফোরক মন্তব্য করার পাশাপাশি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতের কু-পুত্র বলেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানের শপথ নেওয়া রাজ্যের একজন মন্ত্রী যে ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আপমান করছেন তা কার্যত নজিরবিহীন। একই সঙ্গে কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, মন্ত্রীর বক্তব্য থেকেই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে এই রাজ্যে বিরোধীদের নিকেশ করতে চায় শাসক দল।তারই ইঙ্গিত স্বরুপ মন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে ঝাড়ফুঁক, তেলপোড়া, পাণি পোড়া, ৭০ডিগ্রি, ৮০ডিগ্রির প্রসঙ্গ তুলেছেন। তবে এই সব হুঁশিয়ারী দিয়ে লাভ কিছু হবে না। কারণ দেশের আইনি শাসন ব্যবস্থা অনুযায়ী বিরোধীদেরও রাজনীতি করার ও মত প্রকাশের আধিকার রয়েছে।

জুলাই ১০, ২০২১
রাজ্য

Memari: ঝাঁড়ফুকের নামে কুকীর্তি, মেমারিতে ধৃত ওঝা

ওঝা ঝাড়ফুঁক করে দিলেই শারীরিক অসুস্থতা থেকে নাবালিকা মেয়ে মুক্তি পাবে! এমন অন্ধবিশ্বাসে ভর করেই নাবালিকাকে সঙ্গে নিয়ে ওঝার দ্বারস্থ হয়েছিলেন মা। কিন্তু অসুস্থতা থেকে মুক্তি পাওয়া তো দূরের কথা, উল্টে ওঝার যৌন লালসার শিকার হয়ে চোখের জল মুছতে মুছতেই বাড়ি ফিরতে হল নাবালিকে। এমনই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার উলোরা গ্রামে । এমন কুকীর্তির নায়ক গুনধর ওঝা সুদেব মালিক অবশ্য পার পায়নি। ঝাড়ফুকের নাম অসুস্থ নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মেমারি থানার পুলিশ ওঝা সুদেব মালিককে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেছে নাবালিকার পরিজন ও এলাকাবাসী।পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ১৩ বয়সী নাবালিকার বাড়ি মেমারি থানার গেঁড়াঘাট গ্রামে। বেশ কিছুদিন যাবৎ সে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছে। নাবালিকার পরিবার এখনও কুসংস্কার মুক্ত হতে পারেনি। তাই ওঝা ঝাড়ফুঁক করে দিলেই মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা সেরে যাবে এমনটা মনে করেন নাবালিকার মা। সেই মতো শুক্রবার বিকালে অসুস্থ নাবালিকা মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর মা উলরা গ্রামের সায়েরপাড় নিবাসী ওঝা সুদেব মালিকের কাছে যান। ওঝা সুদেব নাবালিকাকে দেখে তাঁকে সুস্থ কেরে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঝাড়ফুঁক করার জন্যে ঘরের ভিতরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। আধঘন্টা পেরিয়ে গেলেও ওঝা ওই ঘরের দরজা না খোলায় নাবালিকার মায়ের দুঃশ্চিন্তা বাড়ে। তিনি ওঝার ঘরের দরজা ধাক্কা দেওয়া শুরূ করেন। ওঝা ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর ঘরের ভিতরে ঢুকে নাবালিকাকে কাঁদতে দেখেন মা। বিদ্ধস্ত অবস্থায় ওঝা সুদেবের ঘর থেকে বেরিয়ে নাবালিকা কাঁদতে কাঁদতে তাঁর মাকে জানায় ঝাড়ফুঁকের নামে ওঝা তাঁকে ঘরে ঢুকিয়ে নিয়ে ধর্ষণ করেছে।মেয়ের মুখ থেকে এই ঘটনা শোনার পরেই নাবালিকাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে তাঁর মা পরিবারের লোকজনকে ওঝার কুকীর্তির কথা জানান। মেয়ের চিকিৎসা করিয়ে ওইদিনই ঘটনা সবিস্তার জানিয়ে নাবালিকার মা মেমারি থানায় ওঝার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো অ্যাক্টের ৪ ধারার মামলা রুজু করে পুলিশ রাতেই ওঝা সুদেব মালিককে গ্রেপ্তার করে । পাশাপাশি পুলিশ নাবালিকা ও ধৃতর পরণের পোষাকও বাজেয়াপ্ত করে। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পুলিশ এরপর ওঝাকে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসক ধৃত ওঝাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিন বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।ধৃত ওঝাকে শনিবার পুলিশ বর্ধমান আদালতে পশ করে। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে ৫ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চাওয়ার পাশাপাশি নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে আগামী সোমবার তাঁকে বর্ধমানে পকসো আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।

জুলাই ১০, ২০২১
রাজ্য

Bomb Explosion: ভাতারের বোমা বিস্ফোরণের পিছনে রহস্য কি?

বোমা বিস্ফোরণে আস্ত একটি মাটির বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলা পুলিশের কর্তাদের। শুক্রবার ভোররাতে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বাণেশ্বরপুরের এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই বাড়ির সদস্য লালচাঁদের নামে এর আগেও থানায় নানা অভিযোগ আছে। কয়েকদিন আগে সে একটি ঝামেলায় জড়িয়ে ছিল। কেন বাড়িতে বোমা রাখা ছিল, কোথা থেকেই বা তা সংগ্রহ করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।ঘটনার খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ জামরুল মল্লিকের বাড়িতে তদন্তে যায়। সমস্তকিছু খতিয়ে দেখার পর পুলিশ কর্তারা একপ্রকার নিশ্চিৎ হন মাটির বাড়ির ভিতরেই মজুত রাখা ছিল বোমা। সেই বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতেই গোটা মাটির বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। আরও পড়ুনঃ স্প্যানিশ তারকা এডু গার্সিয়াকে ছেড়ে দিচ্ছে এটিকেমোহনবাগানতদন্তের প্রয়োজনে ওই বাড়িটি ও তার চারপাশ পুলিশ ঘিরে রেখেছে। বাড়ির ভিতরে আর বোমা রয়েছে কিনা তাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ভাতার থানার পুলিশ জামরুল ও তাঁর ছেলে লালচাঁদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার জন্য অনেকদিন আগেই পুলিশের খাতায় স্থান পায় লালচাঁদের নাম। বেআইনি ভাবে আগ্নেআস্ত্র রাখার অভিযোগে বছর দেড়েক আগে লালচাঁদ পুলিশের হাতে ধরাও পড়ে।যদিও পড়ে সে ছাড়া পায়। এছাড়াও কয়েকবছর আগে ভাতার কলেজে অশান্তির ঘটনাতেও লালচাঁদের নাম জড়ায়। তারপর সে কেরলে গিয়ে বাবা জামরুল মল্লিকের সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে যোগ দেয়। দিন কুড়ি আগে বাবা ও ছেলে কেরল থেকে ভাতারের বাণেশ্বরপুর গ্রামের বাড়িতে ফেরে । তার পর এদিনই তাঁদের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ।আরও পড়ুনঃ জেলাশাসক থেকে সফল ব্যবসায়ী, মেধাবী অশ্বিনী এখন দেশের বড় দায়িত্বেতদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, লালচাঁদ বাড়ি ফেরার পর গত বৃহস্পতিবার রাতে পাশের কুলনগর গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে লালচাঁদ ও তাঁর বন্ধুদের বচসা হয়েছিল। কি নিয়ে বচসা হয়েছিল তা এখনও পরিস্কার জানা যায়নি। তবে ওই বোমা মজুতের সঙ্গে ওই গোলযোগের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে পুলিশ খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে। বোমা বিস্ফোরণের তদন্তে ভাতার থানার পুলিশ বোম স্কোয়াডে ও ফরেনসিক বিভাগেরও সাহায্যা নিচ্ছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার তদন্ত শুর হয়েছে । ওই বাড়ির দুইজনকে আটক করে ঘটনা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলানো হচ্ছে। আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে বাড়িতে গিয়ে সৌরভকে শুভেচ্ছা মমতার, দিদিকে দাদার দুর্দান্ত উপহারএদিকে খবর পেয়ে এদিন দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলে আসে বোম্ব স্কোয়াড। আর কোথাও বোমা মজুত আছে কিনা তল্লাশি করে পুলিশ । শেষে ঘটনাস্থল থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বোম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা।

জুলাই ০৯, ২০২১
রাজ্য

১০০ দিনের কাজ না পাওয়ায় পঞ্চায়েত ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ বর্ধমানে

পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে নানা অভিযোগ এনে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর পঞ্চায়েতে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এদিন পঞ্চায়েত প্রধান বিনয়কৃষ্ণ ঘোষকে ঘিরে রেখে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে এদিন শিকেয় ওঠে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম। খবর পেয়ে ভাতার থানার পুলিশ পঞ্চায়েত অফিসে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেয় । সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ছবি দাস, বন্দনা বাগদি অভিযোগে জানান, ১০০ দিনের কাজ পঞ্চায়েত এলাকার সবাই পাচ্ছেন না।এছাড়াও সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে চরম অনিয়ম হচ্ছে। এলাকার বহু পরিবারের শৌচাগার নেই। এই সব কিছু পঞ্চায়েত প্রধানকে বারবার তাঁরা জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ওড়গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল শেখ বলেন, রাজ্য সরকার গ্রামীন এলাকার উন্নয়নের কথা বললেও সাহেবগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নের কোন উদ্যোগই নেই। গ্রামবাসীদের সমস্যা ও দাবিদাওয়ার বিষয় নিয়ে বিক্ষোভকারীদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রধান । পরে দাবা দাওয়া মেটানোর আশ্বাস দেন। পঞ্চায়েত প্রধান বিনয় কৃষ্ণ ঘোষ যদিও দাবি করেন, এদিনের ঘটনা সব চক্রান্ত। এলাকার কয়েকজনকে উস্কে এদিন ঝামেলা করানো হয়েছে। ভাতার বিধানসভার বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, বিক্ষোভ হয়নি। আলোচনার জন্য বসেছিল। বিধানসভা থেকে ফিরে তিনি আলোচনা করে সব সমাধানের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।

জুলাই ০৯, ২০২১
রাজ্য

Rice Mill: সহায়ক মূল্যে কেনা ধান আত্মসাতের অভিযোগে রাইস মিলের বিরুদ্ধে এফআইআর

সহায়ক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে কেনা ধান আত্মসাতের অভিযোগে রাসমিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলো অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ দপ্তর। বুধবার দপ্তরের পূর্ব বর্ধমান জেলা ম্যানেজার রাজু মুখোপাধ্যায় গলসির পারাজের একটি রাসমিলের বিরুদ্ধে গলসি থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ প্রতারণা ও সরকারী সম্পত্তি আত্মসাৎতের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে । ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গলসির কৃষক মহলে।আরও পড়ুনঃ রদবদলের পর বড় সিদ্ধান্ত মোদির নতুন মন্ত্রিসভারঅত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গলসির পারাজের উত্তরপাড়ার সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মাধ্যমে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনে সরকার। সেই ধান পারাজের ওই মিলটিতে জমা দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সংগৃহীত ১২০৬.৫৮২ মেট্রিক টন ধান সরকার ওই মিলটিকে দেয় । সেই ধানের পরিবের্ত ৮২০.৫৭৬ মেট্রিক টন চাল সরকারকে দেওয়ার কথা ছিল রাইস মিলটির। ওই রাইস মিল কর্তৃপক্ষ সরকারকে সেই চাল আজও দেয়নি। এমনকি ধানও ফেরত দেয়নি।আরও পড়ুনঃ জন্মদিনে বাড়িতে গিয়ে সৌরভকে শুভেচ্ছা মমতার, দিদিকে দাদার দুর্দান্ত উপহারএই পরিস্থিতিতে চাল না দেওয়ার কারণ দর্শানোর জন্য সরকারের তরফে পারাজের ওই রাইসমিল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি পাঠায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর । অভিযোগ তার পরেও রাইসমিল কর্তৃপক্ষ হেলদোলও দেখায়নি, চালও দেয়নি। রাইসমিল কর্তৃপক্ষের এমন কাজ কারবারের পরিপ্রেক্ষিতে এরপরেই এফআইআর দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । সেই অনুযায়ী অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহ দপ্তর বুধবার এফআইআর দায়ের করে।

জুলাই ০৯, ২০২১
রাজ্য

Fake Sanitizer: বর্ধমানে নকল স্যানিটাইজারের রমরমা, গ্রেপ্তার ৪

ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো ও পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হল শহর বর্ধমানের ৪ নকল স্যানিটাইজার কারবারী।উদ্ধার হয়েছে ৩০০লিটার নকল স্যানিটাইজার। এই ঘটনায় শহর বর্ধমানে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।আরও পড়ুনঃ করোনার আসন্ন তৃতীয় ঢেউ, সৌজন্যে ডেল্টা প্লাসকোভিড অতিমারিতে চাহিদা বেড়েছে স্যানিটাইজারের। তারই সূযোগ নিয়ে শহর বর্ধমানে রমরমিয়ে চলছিল নকল স্যানিটাইজার বিক্রি। গোপন সূত্রে সেই খবর পৌঁছায় ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরো ও পূর্ব বর্ধমানা জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্র্যাঞ্চে। এদিন এই দুই দপ্তরের আধিকারিকরা যৌথ ভাবে শহর বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। শহর বর্ধমানের কালিবাজার এলাকার প্রসেনজিৎ দাসের বাড়িতে অভিযান চালাতেই উদ্ধার হয় ২৫০ লিটার নকল স্যানিটাইজার। এর পর শহরের কল্যাণী মার্কেট সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয় আরও ৫০লিটার নকল স্যানিটাইজার। উদ্ধার হওয়া স্যানিটাইজার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।আরও পড়ুনঃ টিকা না নিয়েই সার্টিফিকেট, সমস্যার সমাধানে হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরড্রাগ কন্ট্রোল ইন্সপেক্টর কৌশিক মাইতি জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন বর্ধমান শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় নকল স্যানিটাইজার বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে প্রায় ৩০০ লিটার নকল স্যানিটাইজার উদ্ধার হয়েছে। তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওইসব স্যানিটাইজারের বোতল ও ড্রামে কোনও ব্যাচ নম্বর, উৎপাদনের তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ কিছুই নেই। এমন স্যানিটাইজার বিক্রির অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত হওয়া সমস্ত স্যানিটাইজার পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। নকল স্যানিটাইজার বিক্রি বন্ধে এমন অভিযান জেলা জুড়ে চলবে বলেপ ড্রাগ ইন্সপেক্টর জানিয়েছেন।

জুলাই ০৮, ২০২১
রাজ্য

Minor Abducting: নাবালিকা বোনকে অপহরনের অভিযোগে গ্রেপ্তার দিদি ও তাঁর প্রেমিক

নাবালিকা বোনকে অপহরনের অভিযোগে দিদি ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর খড়দত্ত পাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হলেন নাবালিকার দিদি রুমা খাতুন ও তাঁর প্রেমিক সুরজ বিশ্বকর্মা। রুমার বাড়ি খড়দত্ত পাড়ায় হলেও তাঁর প্রেমিক সুরজ ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বাসিন্দা। এই দুজনকে গ্রেপ্তার করার পরেই পুলিশ বছর ষোল বয়সী নাবালিকাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ বুধবার দুই ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। বিচারক ধৃতদের বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ জখম কলেজ ছাত্রী, রক্তমাখা ধারালো কাঁচিসহ গ্রেপ্তার যুবকপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলীতে জেসিবি চালানোর কাজ করে ঝাড়খণ্ডের যুবক সুরজ বিশ্বকর্মা। খড়দত্ত পাড়া নিবাসী তরুণী রুমা খাতুনের সঙ্গে তাঁর ভাব-ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরী হয়। তাঁদের সম্পর্কে পথের কাঁটা হয়েছিল রুমার নাবালিকা বোন। তাই পরিকল্পনা কষে কয়েকদিন আগে রুমা তাঁর বোনকে সঙ্গে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। তার পর থেকে নাবালিকা আর বাড়িতে না ফেরায় বাড়ির লোকজন চিন্তায় পড়ে যান। আত্মীয়,পরিচিত সাবার বাড়িতে খোঁজ চালিয়েও নবালিকার হদিশ পান না তাঁর অবিভাবকরা। বাড়ির মেয়ের হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নিয়ে রুমা ও তাঁর প্রেমিক সুরজের উপরে বাড়ির সবার সন্দেহ জাগে। মেয়েকে ফিরে ফেতে নাবালিকার মা এরপরেই রুমা ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগে জানান। অপহরনের মামলা রুজু করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ মেমারি থানা এলাকার একটি ডেরা থেকে রুমা ও তাঁর প্রেমিক সুরজকে গ্রেপ্তার করে। এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ নাবালিকার হদিশ জানতে পেরে তাঁকেও উদ্ধার করে। পুলিশের কাছে দুই ধৃত দাবি করেছে, অন্য যুবকের সঙ্গে ভাব ভালবাসা করিয়ে দেবে বলে কথা দিয়ে তাঁরা গোপনে নাবালিকাকে তাঁদের সঙ্গে নিয়ে চলে এসে লুকিয়ে রেখেছিল।

জুলাই ০৭, ২০২১
রাজ্য

Student Stabbed: জখম কলেজ ছাত্রী, রক্তমাখা ধারালো কাঁচিসহ গ্রেপ্তার যুবক

পেটে ধারালো কাঁচি চালিয়ে দিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে জখম করার অভিযোগে যুবককে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। ধৃতের নাম সত্যম দে ওরফে চিনা।তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার দেবীপুরের বটতলা এলাকায়। মেমারি থানার পুলিশ বুধবার ভোরে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের দেখানো জায়গা থেকেই পুলিশ এদিন রক্তমাখা কাঁচিটি উদ্ধার করেছে। উদ্ধার হওয়া কাঁচিটি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে।আরও পড়ুনঃ মার্টিনেজ যেন ১৯৯০ র গাইকোচিয়া। কোপা ফাইনালে মেসি-নেইমারপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানিয়েছে, আক্রান্ত মেমারি কলেজের তৃতীয় বর্ষে ছাত্রী সান্তনা হাঁসদার বাড়ি মেমারি থানার জুঝাপুর গ্রামে। মেমারির দেবীপুরে প্রাইভেট টিউশন সেন্টারে অনলাইন পরীক্ষা দেওয়া শেষে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ স্কুটি চেপে ছাত্রীটি বাড়ি ফিরছিল। পথে আচমকা এক যুবক তাঁর পেটে ধারালো কাঁচি চালিয়ে দেয়। ছাত্রীর পেটে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যান। আঘাত গুরুতর থাকায় সেখান থেকে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই এখন ছাত্রীটি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।আরও পড়ুনঃ ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন হকির কিংবদন্তী কেশব দত্তএই হামলার কথা জানিয়ে রাতে ছাত্রীর মা মেনকা হাঁসদা মেমারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে জখম করার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ হামলাকারীর খোঁজ চালানো শুরু করে। এদিন ভোরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেতে সক্ষম হয়। ধৃতকে এদিনই পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। সিজেএম ধৃতকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

জুলাই ০৭, ২০২১
রাজ্য

Student Stabbed: দিনেদুপুরে মেমারিতে কলেজ ছাত্রীর পেটে ছুরি, দুষ্কৃতী পলাতক

অনলাইন পরীক্ষা দিয়ে স্কুটি চেপে বাড়ি ফিরতে থাকা কলেজ ছাত্রীর পেটে ছুরি মেরে পালাল এক দুস্কৃতী। মঙ্গলবার বিকাল ৫ টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার দেবীপুর বেলতলা বাজার এলাকায়। ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম মেমারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সান্তনা হাঁসদাকে ভর্তি করা হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে মেমারিতে। তদন্তে নেমে পুলিশ হন্যে হয়ে ওই দুষ্কৃতীর খোঁজ চালাচ্ছে।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজ ছাত্রী সান্তনা হাঁসদার বাড়ি মেমারি থানার দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের জুঝারপুরে। ছাত্রীর মামাতো ভাই শ্রীমন্ত সরেন জানিয়েছেন, অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এদিন তাঁর বোন সান্তনা দেবীপুর বেলতলা এলাকায় প্রাইভেট টিউশন সেন্টারে গিয়েছিল। সেখানে পরীক্ষা দিয়ে বিকাল ৫ টা নাগাদ সে স্কুটি চেপে নিজের বাড়িতে ফিরছিল । টিউশন সেন্টার থেকে কিছুটা দূরে রাস্তায় স্কুটি দাঁড় করিয়ে আচমকাই সান্তনার পেটে ছুরি মেরে দিয়ে পালায় বছর ৩৮-৪০ বয়সী ওই দুষ্কৃতী।আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরসেই মুহূর্তে আশেপাশে কোন লোকজন না থাকায় ওই দুষ্কৃতী সহজেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এক সহপাঠী ও সহপাঠীর ভাই রক্তাত অবস্থায় পথে সান্তনাকে আর্তনাদ করতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে । তারই মধ্যে এলাকার মানুষজনও ঘটনাস্থলে হাজির হয়েযায়। শ্রীমন্ত সরেন জানিয়েছে ,তার বোনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে প্রথমে মেমারি গ্রামীন হাহপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁকে রাতে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানেই সান্তনা চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে তাঁর ভাই শ্রীমন্ত সরেন জানিয়েছে ।পলাতক দুস্কৃতিকে গ্রেপ্তার করে তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে কলেজ ছাত্রীর পরিবার।আরও পড়ুনঃ কীভাবে ফাঁদে ফেলত চাকরির প্রতারণা চক্র? কারাই বা পান্ডা?মেমারি থানার পুলিশ জানিয়েছে ,ছাত্রীর পরিবারের তরফে কোন লিখিত অভিযোগ এখনও জমা পড়েনি। তবুও ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তেরও খোঁজ চলছে।

জুলাই ০৬, ২০২১
রাজ্য

Job Fraud :বড় খবর: পুলিশের জালে বড়সড় চাকরির প্রতারণা চক্র, মেমারি থেকে গ্রেফতার ৮

ফিউচার ইন্ডিয়া সংস্থার নামে চারবছর ধরে চাকরি দেওয়ার প্রতারণা চক্র সক্রিয় ছিল। চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পালসিট এলাকায়। সেখানকার একটি ধাবা থেকে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে এরা তিন হাজারেরও বেশি বেকার যুবক যুবতীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে।আরও পড়ুনঃ গলসিতে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতিরবর্ধমান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যান সিংহ রায় বলেন, পালসিটের ওই ধাবায় চাকরি প্রার্থীরাও হাজির ছিলেন। তাঁদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটজনকে গ্রেফতার করেছে মেমারি থানার পুলিশ। ফিউচার ইন্ডিয়া নামে চলছিল সংস্থাটি। রোড সেফটি অর্গানাইজেশনের নামে এরা প্রশিক্ষণ দিয়েছে। নথি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করছিল। এদের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দফতর ও রাজ্যপালের কাছে আবেদন করা চিঠি মিলেছে।দীর্ঘ দিন ধরেই এই প্রতারণা চক্রটি সারা রাজ্যে জাল বিস্তার করেছে। ২০১৮ থেকেই সক্রিয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১,১০,৫০০ টাকা। এছাড়া ৭ টি মোবাইল, ১ টি গাড়ি, বেশ কিছু স্ট্যাম্প ও নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে। ধৃতদের কয়কজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালানো হবে বলে পুলি জানিয়েছে।

জুলাই ০৬, ২০২১
রাজ্য

Barakar: পুলিশি হেপাজতে যুবকের মৃত্যুতে রণক্ষেত্র বরাকর

কুলটির থানার বরাকরে এক 22 বছরের যুবককে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়েছে, এই অভিযোগ কে ঘিরে রনক্ষেত্রের চেহারা নিল বরাকর বাজার এলাকা। বেগুনিয়া মোর থেকে শুরু করে হনুমান চড়ায় অবধি রাস্তা অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ চলে। ঘটনাস্থলে পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা, কমব্যাট ফোর্স। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, দফায় দফায় বিক্ষোভ, তুমুল উত্তেজনা এলাকায়। মৃত যুবকের আত্মীয় এম ডি সাকিল আনসারি বলেন, আমার ভাইপো আরমানকে রাতে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। মারধর করে। সকালে হাসপাতালে পাঠালে তাকে মৃত বলে জানান ডাক্তার। ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষ তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। বরাকর বাজার জুড়ে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। রাস্তার বেশ কয়েকটি জায়গায় টায়ার দিয়ে আগুন জেলে বিক্ষোভ চলতে থাকে। ঘটনাস্থল আসেন এসিপি অমর আলি মোল্লা। ডিসিসি অভিষেক গুপ্তা ও পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার ঠাকুর।

জুলাই ০৬, ২০২১
রাজ্য

Accident: বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন রাজ্যের মন্ত্রী

বরাত জোরে বেঁচে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের বিধায়ক বড়সড় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী সোমবার বিকেলে নিজের বিধানসভা এলাকা থেকে মেমারি-কাটোয়া রোড ধরে কাটোয়ায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মেমারি থানার কামালপুর ব্রিজের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য বাড়ি যাচ্ছিলেন। আহত মন্ত্রীকে রাতে পৌছে দেওয়া হয় কাটোয়ার কবজগ্রামের বাড়িতে।আরও পড়ুনঃ গানওয়ালার গান চুরির অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ সামাজিক মাধ্যমেজানা গিয়েছে, সাতগেছিয়ার আগেই বড়সড় বিপত্তি ঘটে। ওই সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি ডানদিকে ঘুরে যাওয়া মেমারি মুখী একটি বোলেরো পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মন্ত্রীর গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই দুর্ঘটনায় সামান্য জখম হয়েছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। মন্ত্রীর গাড়ির চালক এবং বোলেরো গাড়ির চালকও আহত হন । বোলেরো গাড়ির চালককে মেমারির পাহাড়হাটি স্বাস্থকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যাওয়া হয় । আরও পড়ুনঃ বিপদসংকুল ও ভয়ঙ্কর সাচ পাস অভিযানের অভিজ্ঞতাগ্রন্থাগারমন্ত্রী বলেন, বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছি। দুটি আঙুলে সামান্য চোট রয়েছে। তবে সুস্থ রয়েছি। তাঁর মায়ের শরীর খারাপ। মায়ের চিকিৎসা করানোর জন্য তিনি তাঁর কাটোয়ার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে পূর্ব বর্ধমান সদর(দক্ষিণ) এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান জানান, মন্ত্রীর গাড়ির চাকা পাংচার হয়ে এই বিপত্তি ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজ্য

Gang Rape: গলসিতে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির

গলসিতে বিধবা আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সরব হল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সভনেত্রী ও প্রাক্তন মন্ত্রী অঞ্জু কর সহ সমিতির জেলা সম্পাদিকা সুপর্না ব্যানার্জী, জেলা সভানেত্রী মণিমালা দাস, স্থানীয় নেত্রী পুস্প দে, সদস্যা কাজী জবুন্নেসা ও পুতুল সেখ প্রমুখরা রবিবার পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানায় হাজির হন। তাঁরা গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সকল অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে এদিন থানায় স্মারকলিপি জমা দেন।নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েও পাশে থাকার আশ্বাস দেন মহিলা সমিতির সদস্যরা। আরও পড়ুনঃ দাম্পত্যে ইতি। বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত লাগান খ্যাত ভুবনেরগলসির সাঁকো গ্রামের ওই বিধবা আদিবাসী মহিলা গত বৃহস্পতিবার পাশের পাড়ায় বিয়ে বাড়িতে যান । অভিযোগ, ওইদিন রাতে যুবকের দল তাঁকে বিয়ে বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। পরদিন সকালে এই বিষয়টি জানানানি হয়। তদন্তে নেমে গলসি থানার পুলিশ ওইদিনই এলাকা থেকে উত্তম বাউরি নামে অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেপ্তার করে । শনিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে হেপজতে নিয়ে পুলিশ ঘটনায় জড়িত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে।আরও পড়ুনঃ তৃণমূল কার্যালয়ে কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি, জল্পনা গোষ্ঠী দ্বন্দ্বেরমহিলা সমিতির জেলা সভানেত্রী মণিমালা দাসের অভিযোগ, আগেও গলসিতে একজন ছাত্রী, একজন তপশিলি জাতির মহিলা ও দুইজন আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। পর পর হওয়া এই ঘটনা প্রমান করে যে গলসি থানা এলাকায় মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ঠিক নেই গলসিতে। পূর্বেকার ওইসব ঘটনা বিষয়েও তাঁরা প্রশাসনকে স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। কিন্তু দোষীদের শাস্তি হয়নি। এত কিছুর পরেও ফের সাঁকো গ্রামের বিধবা মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনা সেই গলসিতেই ফের ঘটলো।গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রীরা এদিন গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সকল অভিক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জুলাই ০৫, ২০২১
রাজ্য

গলসিতে বিয়ে বাড়ির খাবার খেয়ে অসুস্থ ১০ শিশু সহ ৪৪ জন

বিয়েবাড়িতে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন পরিবার পরিজন সহ কয়েকজন গ্রামবাসী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানে গলসি থানার উচ্চগ্রামে। ১০ জন শিশুসহ ৪৪ জন অসুস্থকে ভর্তি করা হয়েছে পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।আরও পড়ুনঃ সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণে সত্যি উল্লেখ ছিল না, তাই বাধাহাসপাতালে ভর্তি অসুস্থরা বলেন, অনুষ্ঠান বাড়িতে আমন্ত্রিত ও প্রতিবেশীরা সবাই এদিন বেলা দশটার সময় মুড়ি, কুমড়োর তরকারি, বোঁদে খান। তারপরেই তাঁদের বমি শুরু হয়। খবর পেয়ে গ্রামে স্বাস্থ্যে কেন্দ্রের টিম যায়। পৌঁছায় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ফারুক হোসেন। গ্রামে যান গলসি থানার ওসি দীপঙ্কর সরকার সহ পুলিশকর্মীরা। স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও পুলিশের উদ্দ্যোগে অসুস্থ ৪৪ জন স্থানীয় পুরষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক ডাঃ সৈফ আলি জানিয়েছেন, অসুস্থদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন সবাই একটু সুস্থ রয়েছে । অসুস্থতার কারণ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য দপ্তরের টিম। আরও পড়ুনঃ আধপোড়া-নগ্ন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার বর্ধমানে, তদন্তে পুলিশঅসুস্থদের আত্মীয় ক্ষেত্রনাথ বাগদী জানান, এই ঘটনার পরে গ্রামে আশেপাশের মানুষজনকে সেলাইন বিতরণ ও ওষুধ বিলি করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় ব্লিচিং ছড়িয়ে মানুষকে সতর্ক করা হয়। এলাকায় ব্যবহৃত নলকুপটি বন্ধ করেদেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এলাকার পুকুরের জল ব্যবহার না করার জন্যে পোস্টার সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জুলাই ০২, ২০২১
রাজনীতি

FINE: ভোটপ্রচারে আসা নাড্ডার হেলিকপ্টার দেখতে যাওয়ার অপরাধে জরিমানা

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়ঘরে ফেরার জন্য ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের কাছ থেকে বিভিন্ন রেটে জরিমানা আদায়ের অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, মঙ্গলকোটের বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফিরতে গেলে তৃণমূল নেতাদের গুনতে হচ্ছে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী প্রচারে আসা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার হেলিকপ্টার দেখতে যাওয়ার অপরাধে জরিমানা গুনতে হচ্ছে দশ হাজার টাকা । ঘরছাড়া থাকা মঙ্গলকোটের ঝিলু-২ পঞ্চায়েতের বনপাড়া গ্রামের বিজেপি সমর্থক সান্তনা পাল জেলা প্রশাসনের কাছে এমনই অভিযোগ দায়ের করতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।আরও পড়ুনঃ Euro 2020: ২৫ বছর আগের যন্ত্রণা ভুলিয়ে দিলেন দিলেন স্টারলিং ও হ্যারিকেনপেশায় মোটরভ্যান চালক বিজেপি সমর্থক সান্তনা পালের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের লোকজন তাঁর ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়ার পাশাপাশি লুটপাটও চালায়। তাঁর মোটর ভ্যানটিতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হয়। পরে মোটরভ্যানটি ফেলে দেওয়া হয় পুকুরের জলে। সান্তনা পাল বলেন, এই ঘটনার পর আতঙ্কে সপরিবারে তিনি বাড়িছাড়া হন। সম্প্রতি স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা তাঁকে ফোন করেন। ওই নেতা তাঁক বলেন, গ্রামের বাড়িতে ফিরতে হলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। এমনটা শোনার পর বাধ্য হয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। তারপর জেলা প্রশাসনে নির্দেশে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ গত রবিবার তাঁকে তাঁর নিজের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। তবে ভাঙচুর হওয়া বাড়ি বসবাসের অনুপযুক্ত থাকায় এখন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই রয়েছেন বলে এদিন সান্তনাবাবু জানান।আরও পড়ুনঃ নির্যাতিতাদের অভিযোগ নথিভুক্ত করল জাতীয় মহিলা কমিশন রাজনৈতিক হিংসার শিকার হওয়া সান্তনা পালের অভিযোগের এখানেই শেষ নয়। তাঁর আরও অভিযোগ, ভোটের ফল ঘোষনার পর বনপাড়া গ্রামের বহু বিজেপি কর্মী ও সমর্থক ঘরবাড়ি ছাড়া হয়। ওই সমস্ত বিজেপি কর্মীদের ফোন করে জানানো হয় মোটা টাকা জরিমানা গুনলে তবেই তাদের বাড়ি ফিরতে দেওয়া হবে। বিজেপির নেতাকর্মীদের স্তর অনুযায়ী তৃণমূলের তরফ থেকে জরিমানার একটা রেট ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির বুথ এজেন্ট হলে তাঁদের ঘরে ফেরার জন্যে ৪০-৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করা হচ্ছে। জরিমানার টাকা জোগাড় করতে এখন হিমসিম খেতে হচ্ছে ঘরছাড়াদের। বনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রমেশ পাল, সুকান্ত পাল প্রমুখ বিজেপি কর্মীরাও একই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁরা বলেন , গ্রামে ফেরানোর শর্তে এক তৃণমূল নেতাকে তাঁদের ২১ হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। বনপাড়া গ্রামের এক মহিলার অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের প্রচারে হেলিকপ্টারে চড়ে নতুনহাটে এসেছিলেন জেপি নাড্ডা। তাঁর স্বামী সেই হেলিকপ্টার দেখতে গিয়েছিলেন। সেই অপরাধে তাঁকে দশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের উপর হামলা, রণক্ষেত্র যাদবপুরএই সমস্ত অভিযোগগুলি উঠছে মূলত বনগ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি উজ্জ্বল শেখের বিরুদ্ধে। যদিও তাঁর দাবি, হয়তো ভুল করে দু একটা ছেলে ডিস্টার্ব করেছে। আমি তাদের নিষেধ করেছি। তবে কারও কাছ থেকে টাকা নিইনি। অন্যদিকে মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক তথা ব্লকের সভাপতি অপূর্ব চৌধুরি বলেন, যারা এমন কাছ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ টাকা চাইলে তাঁকে জানানোর কথাও তিনি বলেন।সান্তনা পালের অভিযোগপত্র (FIR)

জুন ৩০, ২০২১
শিক্ষা

College Fee: কলেজের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভ

কলেজের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন বর্ধমানের মহারাজাধিরাজ উদয়চাঁদ উমেন্স কলেজ-এর ছাত্রীরা। এদিন বর্ধমান শহরের রাজবাটি এলাকায় কলেজের সামনেই হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন সমস্ত বর্ষের ছাত্রীরা।আরও পড়ুনঃ বর্ধমানের কোভিড ফিল্ড হাসপাতালের বিশেষ টিকাকরণ কর্মসূচিকলেজের অবস্থানকারী ছাত্রীরা জানান, কোভিডের কারণে গত ২ বছর ধরে কলেজ বন্ধ। লকডাউনের ফলে অনেকের বাড়িতেই আয় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ পরিবারই এখন আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে কলেজের ফি বৃদ্ধির কোনও যৌক্তিকতা নেই। কলেজ বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ, জল বা অন্যান্য কোনও ক্ষেত্রেই খরচের কোনও প্রশ্নই নেই, তাহলে কেন হঠাৎ কলেজের ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিলম্বে ফি মকুব না করলে আরও বৃ্হত্তর আন্দোলনের পথে তাঁরা নামতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রীরা।আরও পড়ুনঃ ভুয়ো টিকা নিয়ে রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্রঅন্যদিকে কলেজের কর্মরত এক কর্মীর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ইতিমধ্যেই কলেজের ফি মকুবের বিষয়ে কথা হয়েছে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। দুঃস্থ ছাত্রীদের ৭৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে। যদিও শুধু দুঃস্থ ছাত্রীদেরই নয়, কলেজের সব ছাত্রীর জন্যই সমান নিয়ম লাগু করার পক্ষে সওয়াল করেন ছাত্রীরা। যদিও এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে ছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকেরা।

জুন ২৭, ২০২১
প্রযুক্তি

Mask: ডাক্তার ও নার্সদের জন্য অভিনব মাস্ক আবিস্কার করে সাড়া ফেলেছে বাংলার কিশোর বিজ্ঞানী

কোভিড আক্রান্তদের প্রাণে বাঁচানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত এক করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। কোভিড যুদ্ধে নিজে সামিল হতে না পারলেও প্রথম সারির সেইসব কোভিড যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ কিছু একটা করার ব্যাপারে মনস্থির করে বসে দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র দেবর্ষি দে। সেই অনুযায়ী নিজের বিজ্ঞান ভাবনা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেবর্ষি তৈরি করে ফেলেছে ইউনিভার্সাল মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ার। পিপিই কিট পরিহিত প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের মুখে থাকা তাঁর তৈরি মাস্ক ফ্রেশ অক্সিজেন সরবরাহ করবে। পাশাপাশি শ্বাস কষ্টের রোগীরা নেবুলাইজেশনের সহায়তাও তাঁর আবিস্কৃত মাস্কের মাধ্যমে পাবেন বলে দেবর্ষি দাবি করেছে। খুব শীঘ্রই কোভিড সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। তার প্রাক্কালে এক খুদে বিজ্ঞানীর তৈরি সামান্য মূল্যের এমন অভিনব মাস্ক প্রশাসন ও চিকিৎসক মহলে সাড়া ফেলে দিয়েছে।আরও পড়ুনঃ ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক আবিষ্কারে বাঙালি তরুণীর বিশ্বজয়মেধাবী ছাত্র দেবর্ষি দে-র বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার প্রত্যন্ত গ্রাম বেত্রাগড়ে। সে জামালপুরের সেলিমাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। দেবর্ষি জানিয়েছে, দুই ধরণের ইউনিভার্সাল মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ার সে তৈরি করেছে। তার মধ্যে একটি প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধা অর্থাৎ ডাক্তার ও নার্সদের ব্যবহারের জন্য। অপরটি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য।দেবার্ষি আরও জানিয়েছে, দুটি মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ার সে একই প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে। তবে ডাক্তার ও নার্সদের জন্যে তাঁর তৈরি মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন। সেই কারণে সাধারণ মানুষদের ব্যবহারের জন্যে তাঁর তৈরি করা মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারটি আকারে একটু ছোট। আর ডাক্তার ও নার্সদের জন্য তৈরি মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারটি আকারে একটু বড়। মুলত ১২ ভোল্ট ডিসি রি-চার্জেবল লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি,বাজার থেকে কেনা একটি টিপি ৪০৫৬ এবং একটি এক্স এল ৬০০৯ সার্কিট বোর্ড এবং নিজের তৈরি করা অপর একটি সার্কিট বোর্ড ইউনিভার্সাল মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ার এর ভিভাইসটিতে রয়েছে বলে দেবর্ষি জানিয়েছে।আরও পড়ুনঃ হেরেও আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিরাটনিজের তৈরি করা ডিভাইসের ব্যখ্যা দিতে গিয়ে দেবর্ষি জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের জন্য তৈরি করা তাঁর মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারের ডিভাইসটিতে ২ টি এয়ার সাকার রয়েছে। আর ডাক্তার ও নার্সদের ব্যবহারের জন্যে তৈরি করা ডিভাইসটিতে রয়েছে ৫ টি এয়ার সাকার। প্রতিটি এয়ার সাকারের মধ্যে রয়েছে ৬ টি ০.১-০.৩ মাইক্রোনের ফিল্টার। যা বাতাসকে ১০০ শতাংশ বিশুদ্ধ করে পাইপ লাইনের মধ্যমে মাস্কের ভিতরে পাঠিয়ে দেয়। ছোট ডিভাইস টিতে থাকা সুইচ দ্বারাই ডিভাইসটি কন্ট্রোল করা যাবে। আর বড় ডিভাইসটি তার (wire) দ্বারা যুক্ত রিমোটের মাধ্যমে কন্ট্রোল করতে হয়। ছোট ডিভাইসটির ওজন ২০২ গ্রাম আর বড় ডিভাইসটির ওজন ৪০৫ গ্রাম। যা সহজেই ব্যবহার যোগ্য। সরু পাইপের ইনপুট লাইন ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত থাকবে আর আউটপুট পাইপ লাইন মাস্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। এছাড়াও নিমুলাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১৫ এমএল এর নিমুলাইজার চেম্বারটি ইনপুট পাইপ লাইন ডিভাইসের সাথে এবং চেম্বারের আউটপুট পাইপ লাইনটি মাস্কের সাথে যুক্ত করতে হবে। শ্বাস কষ্টের রোগীরা এক্ষেত্রে উপকার পাবেন। ডাক্তার ও নার্সদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা বড় ডিভাইসের ইউনিভার্সাল মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারটি তৈরি করতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা। আর একই প্রযুক্তিতে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্যে তৈরি করা ছোট ডিভাইসের মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ারটি তৈরী করতে সর্বোচ্চ ৩০০- ৩৫০ টাকা খরচ পড়েছে বলে দাবি দেবর্ষির।আরও পড়ুনঃ মুকুল রায় তো বিজেপি পার্টির মেম্বার, বললেন মমতাদেবর্ষির বাবা ব্রজেন দে হাওড়ার লিলুয়ার এমসিকেবি ইনস্টিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কেমিস্ট্রির প্রফেসার। মা হীরা দে সাধারণ গৃহবধূ। দেবর্ষির দিদি দেবর্পিতা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে এমসিকেবি ইনস্টিটিউটে তৃতীয় বর্ষে পাঠরত। বৃহস্পতিবার ব্রজেন বাবু ও হীরাদেবী বলেন,ছোট থেকেই বিজ্ঞান ভিত্তিক কারিগরি বিষয় নিয়ে দেবর্ষির আগ্রহ বাড়তে শুরু করে। ইলেকট্রনিক্স খেলনা বা অন্য যা কিছু সে হাতের কাছে পেত তার সবটা খুলে ভিতরে কিকি পার্টস আছে , সেই পার্টসগুলি কীভাবে কাজ করছে তা বোঝার চেষ্টা করতো দেবর্ষি। এইসব ছাড়াও ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক্সের সরঞ্জাম থেকে নতুন কিছু তৈরি করা যায় কিনা তারও প্রচেষ্টা ছেলে দেবর্ষি চালাতো। ব্রজেনবাবু বলেন, এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে। বাড়িতে বসেই নিজের বিজ্ঞান ভাবনা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেবর্ষি প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা ডাক্তার ও নার্স এবং একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের জন্যে ইউনিভার্সাল মাস্ক এয়ার সাপ্লায়ার তৈরি করে ফেলেছে জেনে তিনি গর্বিত বোধ করছেন। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যানে লাগবে এমন আরও অনেক কিছু দেবর্ষি আবিস্কার করুক এমটাই ইচ্ছার কথা মা হীরাদেবী শুনিয়েছেন।আরও পড়ুনঃ বজ্রপাত বৃদ্ধি, বর্ধমানের জামালপুরে কারণ অনুসন্ধানে ব্যস্ত বিশেষজ্ঞরা, বললেন মমতাজামালপুর ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচ চিকিৎসক ঋত্বিক ঘোষ জানিয়েছেন,পিপিই কিট পরিহিত হয়ে কাজ করা ডাক্তার ও নার্সদের ক্ষেত্রে দেবর্ষির আবিস্কৃত মাস্ক সহায়ক হতে পারে বলেই তাঁর মনে হয়েছে। অন্যদিকে ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন, দেবর্ষির আবিস্কৃত মাস্কটি অভূতপূর্ব হওয়াই তিনি বিষয়টি সম্বন্ধে বিএমওএইচ কে জানান। এমন মাস্ক প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধারের কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা নেবে বলেই তাঁর মনে হয়েছে। সার্টিফিকেশনের জন্য বিএমওএইচ মাস্কের বিষয়টি নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সার্টিফিকেশন পাওয়া গেলে সরকারিভাবে দেবর্ষির আবিস্কৃত মাস্ক ব্যবহার করা যাবে বলে বিডিও জানিয়েছেন।

জুন ২৪, ২০২১
রাজ্য

আদিবাসী উৎসবে মেতে উঠেছে ভাতারের সাহেবগঞ্জ

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের সাহেবগঞ্জে শুরু হয়েছে আদিবাসী উৎসব। বৃহস্পতিবার ভাতারের প্রাক্তন বিধয়ক বনমালী হাজরা ও ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুন্দরী মারডি মেলার উদ্বধোন করেন। উৎসব চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।শনিবার উৎসব প্রাঙ্গণে হাজির হন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, স্থানীয় বিধায়ক সুভাষ মন্ডল, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তপন সরকার, যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অরবিন্দ পাল। এদিন আদিবাসী নৃত্যের প্রতিযোগিতা হয়। ৬৮টি আদিবাসী গ্রুপ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এছাড়াও ছিল হাঁড়ি ভাঙা ও মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা।মেলা মানুষের সঙ্গে মানুষের মিলনের মাধ্যম। আবার এই মেলাতেই ভাষা এবং সংস্কৃতির আদানপ্রদান হয়। সাংস্কৃতিক চর্চা একটা জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করে। সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর মধ্যেও অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ভাষা বলতে জানে কিন্তু অলচিকি অক্ষর চেনেও না, পড়তেও পারে না।বিশিষ্টরা মনে করে, এই মেলা আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। কারণ, এই তিন দিন শুধু তাঁদের ভাষা, সংগীত, নৃত্যের প্রদর্শন করবে। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষও জ্ঞাত হবে আদিবাসী সংস্কৃতি সম্পর্কে। প্রসার ঘটবে লোকসংস্কৃতির।তাছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচার করা করাও এই মেলার উদ্দেশ্য।

জানুয়ারি ৩০, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 32
  • 33
  • 34
  • 35
  • 36
  • 37
  • 38
  • 39
  • 40
  • 41
  • ›

ট্রেন্ডিং

বিদেশ

ইউরোপের সঙ্গে যে কোনও মুহূর্তে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত! ভারত সফরের আগে কঠোর বার্তা পুতিনের

আগামী ৪ ডিসেম্বর নয়াদিল্লি সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতেই তাঁর এই সফর। তবে দিল্লি সফরের আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন পুতিন।তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় না। তিনি আগেও বহুবার এই কথা বলেছেন বলে দাবি করেন। তবে একই সঙ্গে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি ইউরোপ হঠাৎ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে তাঁরা এখনই তার জন্য প্রস্তুত। পুতিনের এই মন্তব্য ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।এ দিকে রাশিয়ার সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছে, পুতিনের ভারত সফরের মূল লক্ষ্য দুদেশের বিশেষ ও ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করা। তাঁর কথায়, ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক গভীর ঐতিহাসিক বোঝাপড়ার উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।এই সম্মেলনে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্বের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই বৈঠককে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
রাজ্য

ভোটার তালিকায় মৃত্যু রহস্য! ৩ দিনে ২২০৮ থেকে নেমে এল মাত্র ২৯

প্রথমে সামনে এসেছিল ২২০৮টি এমন বুথের নাম, যেখানে ২০০২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে একজন ভোটারেরও মৃত্যু হয়নি বলে দেখানো হয়েছিল। এই তথ্য সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, এত বছরে কি সত্যিই ওই সব বুথে একজনও মারা যাননি? এরপর বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চায় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জেলার আধিকারিকরা। তারপর থেকেই অস্বাভাবিক গতিতে নামতে শুরু করে এই ধরনের বুথের সংখ্যা।সোমবার যেখানে এমন বুথের সংখ্যা ছিল ২২০৮, মঙ্গলবার তা নেমে আসে ৪৮০-এ। আর বুধবার সেই সংখ্যাই আরও কমে দাঁড়ায় মাত্র ২৯-এ। প্রথম দিনের হিসেবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এমন বুথের সংখ্যা ছিল ৭৬০। বুধবার সেই সংখ্যা নেমে আসে ২০-এ। নতুন তথ্য অনুযায়ী, জলপাইগুড়িতে রয়েছে ১টি, মালদহে ৪টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২০টি, হাওড়ায় ১টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১টি ও পুরুলিয়ায় ২টি এমন বুথ, যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত ভোটারের নাম নেই।জেলাশাসকদের রিপোর্ট বলছে, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই এই সংখ্যাও শূন্যে নেমে যেতে পারে। এই দ্রুত বদলে যাওয়া তথ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধীদের বক্তব্য, যদি অবজারভার না আসতেন এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে তথ্য সংশোধনের নির্দেশ না দেওয়া হত, তাহলে কি এই ভুলগুলো ধরা পড়ত? এই পরিবর্তনের গতি ও ধরন নিয়েই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।এদিকে বুধবার পর্যন্ত কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০ লক্ষ ফর্ম জমা পড়েনি। মঙ্গলবার এই সংখ্যাটা ছিল ৪২ লক্ষ। ডিজিটাইজেশনের হার ইতিমধ্যেই ৯৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ২২ লক্ষ, ঠিকানা বদল করা ভোটার ১৭.৫ লক্ষ, নিখোঁজ ভোটার ৪ লক্ষ এবং ডুপ্লিকেট ভোটারের সংখ্যা ১.২ লক্ষ বলে জানানো হয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধন ঘিরে এই বিপুল পরিবর্তন ও অস্বাভাবিক পরিসংখ্যান প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব চান ইমরান, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ চাইছেন আসিম মুনির! বিস্ফোরক মন্তব্য পাক প্রধানমন্ত্রীর বোনের

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ভারতের সঙ্গে পুরো মাত্রার যুদ্ধ চাইছেন বলে তীব্র অভিযোগ তুললেন জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বোন আলিমা খান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম Sky News-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আসিম মুনির একজন চরমপন্থী ইসলামপন্থী ও রক্ষণশীল নেতা। তাঁর এই মানসিকতার কারণেই বারবার ভারতের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। আলিমা খানের কথায়, ইমরান খান একেবারে উদারমনস্ক মানুষ এবং তিনি সব সময় ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চান, এমনকি বিজেপির সঙ্গেও তিনি সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী ছিলেন।আলিমা বলেন, আসিম মুনির যেভাবে ধর্মীয় চরমপন্থায় বিশ্বাস করেন, তাতে যাঁরা ইসলামি ভাবধারায় বিশ্বাসী নন, তাঁদের বিরুদ্ধেই তিনি লড়াইয়ে নামতে চান। তাঁর অভিযোগ, এই কারণেই মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চরমে ওঠে। তিনি আরও বলেন, ইমরান খান পশ্চিমের কাছে একটি বড় সম্পদ। তাই পশ্চিমা দেশগুলির এখন উচিত আরও জোরদার ভাবে তাঁর মুক্তির জন্য চাপ সৃষ্টি করা।এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন কিছুদিন আগেই ইমরানের আর এক বোনকে আদিয়ালা জেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তার ঠিক পরই ইমরান নিজেও সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আসিম মুনির মানসিক ভাবে অসুস্থ এক স্বৈরাচারী শাসক। জেলের ভিতরে তাঁর সঙ্গে কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায় সেনাপ্রধানের বলেও অভিযোগ করেন ইমরান খান।ইমরান আরও দাবি করেন, তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় জেলে আটকে ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মতোই তাঁকে রাখা হয়েছে, এমনকি পশুর থেকেও খারাপ আচরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আসিম মুনির দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহ দিচ্ছেন, যার জেরে আজ পাকিস্তানে জঙ্গিবাদ ভয়াবহ আকার নিয়েছে।কাশ্মীর নিয়ে আসিম মুনিরের আগের একাধিক কড়া মন্তব্য এবং ইসলাম বনাম হিন্দু বিভাজনের বক্তব্য থেকেই সংঘাতের আগুন আরও ছড়িয়েছে বলে মত বিশেষ মহলের। তার পরই ভয়াবহ হামলা, পাল্টা ভারতের সামরিক অভিযানে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সেই আবহেই এবার পাকিস্তানের অন্দরে সেনাপ্রধান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজনীতি আরও অস্থির হয়ে উঠল।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
দেশ

বিমান ধরতে এসে চূড়ান্ত ভোগান্তি! দিল্লি-মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু—সব জায়গায় ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল... কী হল

প্রযুক্তিগত ত্রুটি, বিমানবন্দরের অতিরিক্ত ভিড় এবং বিভিন্ন পরিচালনাগত সমস্যার জেরে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ইন্ডিগো। গত দুদিন ধরে দেশজুড়ে একের পর এক ফ্লাইট বাতিল ও দীর্ঘ বিলম্বে বিমানবন্দরে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।বুধবার দুপুর পর্যন্ত একাধিক বড় বিমানবন্দরে শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে অন্তত ৩৩টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে বাতিল হয়েছে ৫১টিরও বেশি বিমান। হায়দরাবাদেও আগমন ও প্রস্থান মিলিয়ে ১৯টি ইন্ডিগো ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বিশাখাপত্তনম, গোয়া, আমদাবাদ, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মাদুরাই, হুবলি, ভোপাল ও ভুবনেশ্বর থেকে হায়দরাবাদের উড়ানও বাতিল করা হয়েছে।বেঙ্গালুরুর কেমপেগওডা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বুধবার একদিনেই ৪২টি ঘরোয়া ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি ছিল আগমন এবং ২০টি ছিল প্রস্থান। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, গোয়া, কলকাতা ও লখনউগামী একাধিক ফ্লাইট এই বিপর্যয়ের তালিকায় রয়েছে। গত কয়েক দিনে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে ইন্ডিগোর বহু যাত্রী এক থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দেরির অভিযোগ তুলেছেন।সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২ ডিসেম্বর ইন্ডিগোর মাত্র ৩৫ শতাংশ ফ্লাইট সময়মতো উড়তে পেরেছিল এবং ১ ডিসেম্বর সেই হার ছিল ৪৯.৫ শতাংশ। এই অবস্থায় যাত্রীদের ক্ষোভ চরমে উঠেছে।এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিগো এক বিবৃতিতে জানায়, গত দুদিন ধরে তাদের পরিষেবা সারা দেশজুড়ে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে এবং এর জন্য তারা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চায়। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রযুক্তিগত ছোটখাটো সমস্যার পাশাপাশি শীতকালীন সময়সূচির পরিবর্তন, খারাপ আবহাওয়া, বিমান চলাচলে অতিরিক্ত চাপ এবং ক্রুদের নতুন কাজের সময়সীমার নিয়ম চালু হওয়ায় একসঙ্গে বহু সমস্যা তৈরি হয়েছে।পরিস্থিতি সামাল দিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাময়িকভাবে কিছু ফ্লাইটের সময়সূচি বদলানো হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। সংস্থা জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের বিকল্প ব্যবস্থা বা টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যাত্রীদের বিমানবন্দরে রওনা হওয়ার আগে অনলাইনে নিজেদের ফ্লাইটের অবস্থা দেখে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।সূত্রের খবর, নতুন ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশন নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকেই ইন্ডিগো তীব্র পাইলট সংকটে ভুগছে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ক্রুদের বিশ্রামের সময় বেড়েছে, রাতের কাজের সময় বদল হয়েছে এবং রাতে অবতরণের সংখ্যাও কমানো হয়েছে। এই নিয়ম চালু করেছে DGCA Delhi High Court-এর নির্দেশ অনুসারে। এর আগে এই নিয়মের বিরোধিতা করেছিল ইন্ডিগো ও এয়ার ইন্ডিয়া।বর্তমানে এই বিমানসংস্থা প্রতিদিন প্রায় ২১০০টি ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালায়। তার বড় অংশই রাতে পরিচালিত হয়। ফলে ক্রু সংকটের প্রভাব আরও মারাত্মক হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

ঋণের চাপে দেশের পতাকাবাহী বিমান সংস্থাই বিক্রি! পাকিস্তানে তোলপাড়

ঋণ আর আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তানকে এবার তাদের জাতীয় বিমান সংস্থা বিক্রি করতেই হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপে পাকিস্তান সরকার আর্থিক কড়াকড়ির পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে। সেই শর্তের অংশ হিসেবেই পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বা Pakistan International Airlines-এর ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী Shehbaz Sharif জানিয়েছেন, আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে এবং তা সরাসরি সমস্ত সংবাদমাধ্যমে দেখানো হবে। ইসলামাবাদে দরপত্রদাতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এই ঘোষণা করেন। নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য চারটি সংস্থাকে আগাম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সেনা-নিয়ন্ত্রিত ফাউজি ফাউন্ডেশনের অধীন ফাউজি ফার্টিলাইজার কোম্পানিও।এই বিক্রির পেছনে রয়েছে আইএমএফ-এর ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজ। সেই প্যাকেজের অন্যতম শর্ত হল পিআইএ বেসরকারিকরণ। পাকিস্তানের বেসরকারিকরণমন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরে সরকার প্রায় ৮৬ বিলিয়ন টাকা বেসরকারিকরণ থেকে আয় করার লক্ষ্য নিয়েছে। পিআইএ বিক্রি হলে সরকারের ভাগে যাবে একটি অংশ, বাকি থাকবে সংস্থার মধ্যেই।শোনা যাচ্ছে, গত দুই দশকে এটি হবে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বেসরকারিকরণ উদ্যোগ। যে চারটি সংস্থা এই দৌড়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে লাকি সিমেন্ট কনসোর্টিয়াম, আরিফ হাবিব কর্পোরেশন কনসোর্টিয়াম, ফাউজি ফার্টিলাইজার কোম্পানি ও এয়ার ব্লু।ফাউজি ফার্টিলাইজার মূলত ফুজি ফাউন্ডেশনের অংশ, যা পাকিস্তানের অন্যতম বড় কর্পোরেট গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। দেশের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এই সংস্থার পরিচালন পর্ষদে সরাসরি না থাকলেও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাঁর প্রভাব রয়েছে বলেই মনে করা হয়।পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দেশটি নিয়মিত নতুন ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তান প্রায় ঋণখেলাপির মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। প্রতিরক্ষা খাতে বিপুল খরচ দেশটির আর্থিক ভাঁড়ার আরও ফাঁকা করেছে। আইএমএফের ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ অনুমোদিত হয়। তার মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার তখনই দেওয়া হয়, বাকি টাকা তিন বছরে পর্যায়ক্রমে দেওয়ার কথা।পিআইএ-এর পতন শুরু হয় ২০২০ সালে। সেই সময় সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্যপাকিস্তানের ৩০ শতাংশের বেশি পাইলট ভুয়ো লাইসেন্স নিয়ে বিমান চালাচ্ছিলেন। এর জেরে শতাধিক পাইলটকে বসিয়ে দেওয়া হয়। ইউরোপ, ব্রিটেন ও আমেরিকা পিআইএ-র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে সংস্থার আয় ভয়াবহভাবে পড়ে যায়।এর সঙ্গে যোগ হয় অতিরিক্ত কর্মী, রাজনৈতিক নিয়োগ, স্বজনপোষণ, দুর্নীতি এবং ভয়াবহ অপব্যবস্থা। একই বছর করাচিতে পিআইএ বিমানের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, যা সংস্থার সংকটকে আরও গভীর করে তোলে। মেরামতি, তদন্ত এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বিপুল অর্থ খরচ করতে গিয়ে পিআইএ পুরোপুরি আর্থিক দেউলিয়ায় পৌঁছয়।আজ পিআইএ শুধু একটি বিমান সংস্থা নয়, পাকিস্তানের ভেঙে পড়া অর্থনীতির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ দিনের অব্যবস্থা, দুর্নীতি আর ভুল সিদ্ধান্তই এক সময়ের গর্বের সংস্থাকে এই অবস্থায় এনে ফেলেছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিকেই মান্যতা... হাইকোর্টের রায়ের পরেই বিস্ফোরক বিকাশ ভট্টাচার্য

৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল রাখার রায়ের পর খুশির হাওয়া থাকলেও বিতর্ক থামেনি। এই রায়কে কেন্দ্র করে এখনও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, এই রায়ের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতিই প্রশ্রয় পেল। তিনি বলেন, আপাতত চাকরি বাঁচলেও এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতের জন্য ভালো বার্তা নয়। আদালতে যে সমস্ত দুর্নীতির তথ্য পেশ করা হয়েছিল, সেগুলি আইনি ভাবে গ্রাহ্য না হলে আগামী দিনে দুর্নীতি আরও বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।অন্যদিকে সিপিএম ও বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র সুর চড়িয়েছেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাঁরা একসময় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভগবান বলে স্লোগান দিয়েছিলেন, তারাই আজ তাঁকে শয়তান বলছেন। তাঁর অভিযোগ, পুরো বিচারব্যবস্থাকে রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করা হয়েছিল। সিপিএম-বিজেপির যোগসাজশেই বাংলায় শিক্ষকদের চাকরি নিয়ে এত বড় অশান্তি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।প্রসঙ্গত, একক বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে বহাল থাকছে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি। এই রায়ের পরেই প্রাথমিক শিক্ষক মহলে খুশির জোয়ার দেখা যায়। অনেকেই বলছেন, শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হল।রায়ের পর উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, আজ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন। তাঁর পোস্টেও উঠে আসে সত্যের জয়-এর কথা।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
বিদেশ

‘ভারত না ভাঙলে শান্তি নেই’— বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তার মন্তব্যে নতু করে চাঞ্চল্য

ভারত ভেঙে টুকরো টুকরো না হলে বাংলাদেশে কখনও পুরোপুরি শান্তি আসবে নাএমনই উসকানিমূলক মন্তব্য করে তীব্র বিতর্কে জড়ালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্তা আবদুললাহি আমান আজমি। তিনি এক সময় অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা।সম্প্রতি তিনি ঢাকা প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ভারত নাকি বরাবরই Bangladesh-এর ভিতরে অস্থিরতার পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অশান্তি হয়েছিল, তার জন্যও তিনি সরাসরি ভারতকে য়ী করেন।প্রাক্তন এই সেনাকর্তার আরও অভিযোগ, শেখ মুজিবর রহমান সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গঠিত হয়েছিল। তাদের সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনীকে ভারত আশ্রয়, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, সেই কারণেই ওই দীর্ঘ সময় জুড়ে পাহাড়ি এলাকায় রক্তপাত চলেছিল।জানা গিয়েছে, আবদুল্লাহিল আমান আজমি বরাবরই ভারতবিরোধী মন্তব্যের জন্য পরিচিত। সমাজমাধ্যমেও তিনি নিয়মিত ভারতবিরোধী পোস্ট করেন। তাঁর এই বিতর্কিত বক্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হওয়ার পথে।উল্লেখ্য, তিনি প্রয়াত জামাত প্রধান গুলাম আজমের ছেলে। গুলাম আজম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫
কলকাতা

নতুন এসএসসি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন! ফের অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত হাই কোর্টের

নতুন করে এসএসসি যে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে, তার ভবিষ্যৎ নিয়েই ফের অনিশ্চয়তার কথা উঠে এল কলকাতা হাই কোর্টে। আদালতের পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে, এই পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেলেও শেষ সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপর। আগেও এই বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেছিলেন, এই পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখন কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।এ দিন এসএসসির মেধার ভিত্তিতে অতিরিক্ত দশ নম্বর দেওয়ার মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট করে জানান, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পেলেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সেই চাকরির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকবে। পাশাপাশি আদালত নির্দেশ দেয়, কমিশনকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই বিষয়ে প্রার্থীদের স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে।প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পরে সেই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টেও। এরপর এসএসসি নতুন করে যে পরীক্ষা নিয়েছে, সেই পরীক্ষার বিষয়টিও এখন আদালতে বিচারাধীন। বুধবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।এই মামলায় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার বিষয়টিও আদালতের নজরে আসে। শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করেছিল, তারা কখনও বলেনি যে নতুন পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে ফ্রেশারদের অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আদালত শুধু এটুকুই চেয়েছিল, কোনও অযোগ্য পরীক্ষার্থী যেন পরীক্ষায় বসতে না পারে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি দুর্নীতিমুক্ত হোক। রাজ্য যখন পুরনো ও নতুন প্রার্থী মিলিয়ে একসঙ্গে পরীক্ষা নিয়েছে, তার দায়ও রাজ্যেরই বলে মন্তব্য করা হয়। তবে যোগ্য প্রার্থীরা যেন কোনও ভাবেই সমস্যায় না পড়েন, সেই বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।এদিকে এসএসসি নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের যে নতুন পরীক্ষা নিয়েছে, সেখানে পুরনো প্রার্থীদের পাশাপাশি নতুনরাও অংশ নেন। কিন্তু পরে ভেরিফিকেশনের সময় দেখা যায়, অতিরিক্ত ১০ নম্বরের কারণে বহু নতুন প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়াতেই ডাক পাননি। ফলে নতুন পরীক্ষার ভবিষ্যৎ এবং নিয়োগ নিয়ে ফের বড় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal