• ১৪ কার্তিক ১৪৩২, সোমবার ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Australia

খেলার দুনিয়া

Ashes Series :অভিষেক টেস্টেই বিধ্বংসী বোল্যান্ডের ৭ রানে ৬ উইকেট, লজ্জার হার ইংল্যান্ডের

এক সময় অ্যাশেজ সিরিজে মানেই টানটান উত্তেজনা। দুশেই দেশের ক্রিকেটাররা মুখিয়ে থাকতেন অ্যাশেজ সিরিজ খেলার জন্য। সমর্থকরাও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকতেন। অ্যাশেজের সেই আগের মতো কৌলিন্য আর নেই। আর কৌলিন্য হারানোর মূলে ইংল্যান্ড। এত জঘন্য ইংল্যান্ড দল আগে কখনও অ্যাশেজে খেলেছে কিনা বলা কঠিন। নূন্যতম প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো দক্ষ ব্যাটার নেই! ফল যা হওয়ার তাইই হল। টানা ৩ টেস্ট জিতে অ্যাশেজ সিরিজ পকেটে ভরে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় টেস্ট শেষ হতে সময় লাগল মাত্র ২দিন ও ১ ঘন্টা। তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়া জিতল এক ইনিংস ও ১৪ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড গুটিয়ে গেল মাত্র ৬৮ রানে। ইংল্যান্ডক ভাঙলেন স্কট বোল্যান্ড। অভিষেক টেস্টেই চমক দেখালেন অস্ট্রেলিয়ার এই উঠতি জোরে বোলার। ৬ উইকেট দখল করে অভিষেক টেস্টে ম্যাচের সেরার পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে ইতিহাস গড়লেন বোল্যান্ড। মেলবোর্নে এই টেস্টে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তাঁর ও মিচেল স্টার্কের দাপটে প্রথম ইনিংসে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। কামিন্স ও স্টার্ককে যোগ্য সহায়তা করেছিলেন নাথান লায়ন। ইংল্যান্ডের ১৮৫ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে তোলে ২৬৭। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মার্কাস হ্যারিস। তিনি করেন ৭৬। ইংল্যান্ডের জেমস অ্যান্ডারসন ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।ইনিংস পরাজয় এড়াতে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৮৩। দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান চল ১২ ওভারে ৪ উইকেটে ৩১। তৃতীয় দিন সকালে ১ ঘন্টার মধ্যে ইংল্যান্ড বাকি ৬ উইকেট হারায় মাত্র ১৫.৪ ওভারে। দ্বিতীয় ইনিংসে স্কট বোল্যান্ডের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ২৭.৪ ওভারে মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে যায়। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১ মেডেন নিয়ে ৭ রানে ৬ উইকেট তুলে নেন বোল্যান্ড। নিজের ২১ বলে ৬ উইকেট পান। প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট পেয়েছিলেন বোল্যান্ড। ম্যাচে ৭ উইকেট। ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট ও বেন স্টোকস ছাড়া কারও রান দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছায়নি। রুট ২৮ ও স্টোকস ১১ রান করেন। মাত্র ২২ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। শেষ ৬ উইকেট পড়ে মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে। অ্যাশেজে ১৯৩৬ সালের পর এটাই ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Ashes Series : ‌ফিরেই দুরন্ত কামিন্স, ১৮৫ রানে গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ড

চোটের জন্য আগের টেস্টে খেলেননি। বক্সিং ডে টেস্টে ফিরে এসে ঝলসে উঠলেন প্যাট কামিন্স। দিনের শুরুতে তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে দিশা খুঁজে পাননি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টেও সেই অস্ট্রেলিয়ার দাপট। প্রথম দিনে চা পানের বিরতির পর ১ ঘন্টার মধ্যেই মাত্র ১৮৫ রানে গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইনিংস। জবাবে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ১ উইকেটে ৬১।বৃষ্টির জন্য এদিন খেলা কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। বৃষ্টি হওয়ায় মেলবোর্নে এদিন সকালের পরিবেশ ছিল যথেষ্ট স্যাঁতসেঁতে। এই স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগান অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলাররা। বিশেষ করে প্যাট কামিন্সের কথা বলতেই হবে। চোট সারিয়ে ফিরেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন। দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন ওপেনার হাসিব হামিদকে (০)। ইংল্যান্ডের ভান্ডারে তখন মাত্র ৪ রান। অষ্টম ওভারে জ্যাক ক্রাউলে (১২) সেই কামিন্সের শিকার।দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। দারুণ সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট করছিলেন দাওইদ মালান ও অধিনায়ক জো রুট। ২৭ তম ওভারে জুটি ভাঙেন সেই প্যাট কামিন্স। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ৬১। অধিনায়ক জো রুটের ব্যাটে বাঁচার স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু সিরিজের তৃতীয় অর্ধ শতরান করেও দলকে স্বপ্ন দেখাতে ব্যর্থ রুট। ৮২ বলে ৫০ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে তিনি উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। রুট আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ডের বড় ইনিংসের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়। বেন স্টোকস (২৫), জনি বেয়ারস্টো (৩৫), অলি রবিনসনরা (২২) কিছুটা লড়াই করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ৬৫.১ ওভারে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। কামিন্স ৩৬ রানে ৩টি, স্টার্ক ৫৪ রানে ২টি উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডারে ধস নামান নাথান লায়ন। ৩৬ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট।শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে ব্যাট করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও ডেভিড ওয়ার্নার। দিনের শেষবেলায় পনেরতম ওভারে ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ৩৮ রান করে অ্যান্ডারসনের বলে ফিরে যান ওয়ার্নার। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৬১/১। ক্রিজে রয়েছেন হ্যারিস (২০) ও নৈশপ্রহরী নাথান লায়ন (০)।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Ashes Series : অ্যাশেজে আবার হার!‌ কেন দুরবীন দিয়ে খুঁজতে হচ্ছে ইংল্যান্ডকে?‌

অ্যান্ড্রু স্ট্রস, অ্যালিস্টার কুক, কেভিন পিটারসেন, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফদের বিকল্প এখনও খুঁজে পেল না ইংল্যান্ড। ফলে একসময়ে টেস্ট ক্রিকেটে দাপট দেখানো ইংল্যান্ডকে খুঁজতে হয় দুরবীন দিয়ে। অ্যাশেজ সিরিজের কথা ছেড়েই দিন, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ডের মতো দলের কাছেও টেস্টে নাকানিচোবানি খেতে হয় ইংরেজদের। অ্যাশেজে তো আরও করুণ অবস্থা। প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টেও লড়াই করতে পারল না ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় টেস্ট ২৭৫ রানে জিতে অ্যাশেজ সিরিজে ২০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। তাও আবার দলের সেরা বোলার প্যাট কামিন্সকে ছাড়াই।চোটের জন্য প্যাট কামিন্স না খেলায় দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিতে নেমেছিলেন স্টিভ স্মিথ। দীর্ঘদিন পর দেশকে নেতৃত্ব দিতে নেমে দলকে জয় এনে দিলেন। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪৭৩ রান তুলে ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেঞ্চুরি করেন লাবুশেন (১০৩)। ওয়ার্নার করেন ৯৫, স্টিভ স্মিথ ৯৩। অ্যালেক্স ক্যারে (৫১), মিচেল স্টার্ক (৩৯), মিচেল নেসেররাও (৩৫) রান পেয়েছিলেন। জবাবে ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ রান করেন দাওইদ মালান (৮০)। জো রুট করেন ৬২। ২৪৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ২৩০/৯ রান তুলে ইনিংস ছেড়ে দেয়। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭৩।ইংল্যান্ডে যা ব্যাটিং শক্তি, তাতে এই রান তোলা যথেষ্ট কঠিন ছিল। বড় রানের লক্ষ্য দেখে চাপে পড়ে যান জো রুটরা। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৮২/৪। দিনের শেষ বলে আউট হয়েছিলেন জো রুট। তিনি আউট হতেই দেওয়াল লিখন পরিস্কার হয়ে যায় ইংল্যান্ডের। পঞ্চম দিন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। ১৯২ রানে গুটিয়ে যায়। সর্বোচ্চ রান করেন ক্রিস ওকস (৪৪)। ররি বার্নস করেন ৩৪। ২০৭ বল খেলে ২৬ রান করেন জস বাটলার। ঝাই রিচার্ডসন ৪২ রানে ৫ উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন মার্নাস লাবুশেন।

ডিসেম্বর ২০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Ashes Test : খেলা চলাকালীন মাঠের পাশেই বজ্রাঘাত!‌ বন্ধ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া–ইংল্যান্ড ম্যাচ

অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার দাপট অব্যাহত। প্রথম টেস্টে দারুণ জয় তুলে নিয়েছিলেন প্যাট কামিন্সরা। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে খবরের শিরোনামে মার্নাস লাবুশেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাশেজে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন। তার থেকেও বড় কথা গোলাপি বলের টেস্টে তৃতীয় শতরান তাঁর। আর কোনও ব্যাটসম্যানের এই কৃতিত্ব নেই।টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন ভাল শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দিনের শেষে ২২১/২ তুলেছিল। তিনবার জীবন পেয়ে লাবুশেন ৯৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। এদিন জেমস অ্যান্ডারসনের বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে টেস্ট জীবনের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিতে পৌঁছন লাবুশেন। তবে সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৩০৫ বল খেলে ১০৩ রান করে তিনি অলি রবিনসনের বলে আউট হন। ২৪১ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।লাবুশেন আউট হওয়ার পর স্টিভ স্মিথের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ট্রেভিস হেড। যদিও তিনি বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হননি। ১৮ রান করে জো রুটের বলে বোল্ড হন। ক্যামেরন গ্রিনও (২) ব্যর্থ। এরপর অ্যালেক্স ক্যারে ও স্মিথ অস্ট্রেলিয়াকে টানেন। ৯৩ রান করে অ্যান্ডারসনের বলে আউট হন স্মিথ। তিনি আউট হওয়ার পরপরি ফেরেন অ্যালেক্স ক্যারে (৫১)। মাইকেল নেসের ২৪ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ৯ উইকেটে ৪৭৩ তুলে ইনিংস সমাপ্তি ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। মিচেল স্টার্ক ৩৯ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের হয়ে স্টোকস ৩টি, অ্যান্ডারসন ২টি, ব্রড, ওকস, রবিনসন, রুট ১টি করে উইকেট পান।ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। তৃতীয় ওভারেই আউট হন ররি বার্নস (৩)। মিচেল স্টার্ক তাঁকে তুলে নেন। ইংল্যান্ডের রান তখন ৭। ৩ ওভার পরেই অভিষেককারী নেসের বলে আউট হন হাসিব হামিদ (৬)। ৮.৪ ওভারে ইংল্যান্ড ১৭/২ রান তোলার পরেই মাঠের পাশে বাজ পড়ে। স্টাম্প ক্যামেরায় সেই বাজ পড়ার ছবি ধরা পড়ে। আম্পায়াররা আর ঝুঁকি নিতে চাননি। তৎক্ষণাৎ খেলা বন্ধ করে দেন।

ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Ashes Series : ‌দুরন্ত সেঞ্চুরি হেডের, অ্যাসেজের প্রথম টেস্টেই চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া

বিশ্ব ক্রিকেটে হারানো সম্মান ফিরে পেতে অস্ট্রেলিয়া যে কতটা মরিয়া প্রমাণ করেই চলেছে। এবছর টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন। টেস্টেও বিশ্বের এক নম্বর দলের তকমা ফিরে পেতে বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্যে প্রথম সিরিজ হিসেবে বেছে নিয়েছে অ্যাশেজ। ব্রিসবেনে গাব্বায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। প্রথম টেস্টেই চালকের আসনে অস্ট্রেলিয়া। ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়া যে আধিপত্য দেখাবে, প্রথম দিনেই ইঙ্গিতটা ছিল। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে প্যাট কামিন্সের দাপটে মাত্র ১৪৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের ইনিংস। ৩৮ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অসি অধিনায়ক। মিচেল স্টার্ক ও জস হ্যাজেলউড ২টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন জস বাটলার। তিনি করেন ৩৯। অলি পোপ করেন ৩৫। হাসিব হামিদ করেন ২৫। ক্রিস ওকস ২১। ইংল্যান্ডের আর কোনও ব্যাটসম্যান দুঅঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াও শুরুতে ধাক্কা খায়। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বলে মার্কাস হ্যারিসকে (৩) তুলে নেন অলি রবিনসন। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ১০। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে অস্ট্রেলিয়াকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুশেন। জুটিতে ওঠে ১৫৬। লাবুশেনকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন জ্যাক লিচ। ১১৭ বলে ৭৪ রান করে লিচের বলে মার্ক উডের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লাবুশেন। ৪ ওভার পরে স্টিভ স্মিথকে তুলে নেন মার্ক উড। ১২ রান করে জস বাটলারের হাতে ধরা পড়েন স্মিথ। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন গ্রিনকে পরপর দুবলে তুলে নিয়ে অস্টেলিয়াকে চাপে ফেলে দেন রবিনসন। ১৭৬ বলে ৯৪ রান করে আউট হন ওয়ার্নার। অ্যালেক্স ক্যারেও (১২) বড় রান পাননি। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও অন্যপ্রান্তে মারমুখী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন ট্রেভিস হেড। মাত্র ৮৫ বলে টেস্ট জীবনের তৃতীয় শতরান পূর্ণ করেন। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সঙ্গে সপ্তম উইকেটের জুটিতে মূল্যবান ৭০ তোলেন ট্রেভিস হেড। ২৭ বলে ১২ রান করে জো রুটের বলে হাসিব হামিদের হাতে ধরা পড়েন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৩০৬। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেটে তুলেছে ৩৪৩। ট্রেভিস হেল ১১২ রানে এবং মিচেল স্টার্ক ১০ রানে ক্রিজে রয়েছেন।

ডিসেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : প্রতিশোধের স্বপ্ন চূরমার, নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথম টি২০ বিশ্বজয় অস্ট্রেলিয়ার

২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরে একদিনের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। এবছর টি২০ বিশ্বকাপে প্রতিশোধ নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ ছিল। প্রতিশোধ নিতে ব্যর্থ কিউয়িরা। ৭ বল বাকি থাকতে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উড়িয়ে প্রথমবারের মতো টি২০ বিশ্বকাপ ঘরে তুলল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের নায়ক মিচেল মার্শ। ৫০ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস জিতেও সেই একই সিদ্ধান্ত। সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ড্যারিল মিচেল ও মার্টিন গাপটিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে জস হ্যাজেলউড তুলে নেন ড্যারিল মিচেলকে। ৮ বলে ১১ রান করে তিনি ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান মার্টিন গাপটিল ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।১০ ওভারে কিউয়িরা তোলে ৫৭/১। একাদশতম ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে ১৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। পরের ওভারের প্রথম বলে অ্যাডাম জাম্পাকে ছয় মারতে গিয়ে মার্কাস স্টয়নিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গাপটিল। ৩৫ বলে তিনি করেন ২৮। এরপর গ্লেন ফিলিপকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নিয়ে যান উইলিয়ামসন। জুটিতে ওঠে ৬৮। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে পরপর দুটি ৬ মেরে ৩৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন উইলিয়ামসন। ১৭ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে গ্লেন ফিলিপকে তুলে নেন জস হ্যাজেলউড। ১৭ বলে ১৮ রান করেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন কেন উইলিয়ামসন। ৪৮ বলে ৮৫ রান করেন তিনি। উইলিয়ামসনের ইনিংসে রয়েছে ১০টি ৪ ও ৩টি ৬। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ তোলে নিউজিল্যান্ড। ৭ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন জিমি নিশাম। দুর্দান্ত বল করেন জস হ্যাজেলউড। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি।ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। ট্রেন্ট বোল্টের বলে ড্যারিল মিচেলের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৭ বলে ৫ রান করেন ফিঞ্চ। এরপর জ্বলে ওঠেন ডেভিড ওয়ার্নার। সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও তিনি ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ৩৮ বলে ৫৩ রান করে বোল্টের বলে বোল্ড হন ওয়ার্নার। তিনি মারেন চারটি ৪ ও ৩টি ৬। ওয়ার্নার ফিরে গেলেও চাপে পড়েনি অস্ট্রেলিয়া। কিউয়ি বোলারদের ওপর নিরঙ্কুশ প্রভাব বিস্তার করেন মিচেল মার্শ। তাঁর দাপটে ইশ সোধি, টিম সাউদিরা দিশা খুঁজে পাননি। তাঁকে যোগ্য সহায়তা করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ১৮.৫ ওভারে ১৭৩/২ রান তুলে প্রথম বারের মতো টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। ৫০ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মিচেল মার্শ। তিনি মারেন ৬টি ৪ ও ৪টি ৬। ১৮ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। ট্রেন্ট বোল্ট ১৮ রানে ২ উইকেট নেন।

নভেম্বর ১৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : ফাইনালে কারা এগিয়ে?‌ কনওয়ের না থাকা বড় ধাক্কা নিউজিল্যান্ডের

টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া। দুটি সেরা দল যে ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।এখন প্রশ্ন হল ফাইনালে এগিয়ে কোন দল? সত্যি কথা বলতে কী এই ধরণের ম্যাচে বিশেষ কোনও দলকে এগিয়ে রাখা বোকামি। একেই খেলাটার নাম ক্রিকেট। তার ওপর টি২০ ফর্ম্যাট। এই ফর্ম্যাটে ভবিষ্যতবানী করা খুবই কঠিন। টি২০ ক্রিকেটে টস জেতাটা অনেক সময় বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়। যেটা চলতি বিশ্বকাপের প্রায় সব ম্যাচেই দেখা গেছে। সুতরাং আমার মনে হয় না ফাইনালেও এর ব্যতিক্রম হতে পারে।ফাইনালে মুখোমুখি দুটি দল এর আগে কখনও টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়নি। ফলে অস্ট্রেলিয়া যেমন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মুখিয়ে, তেমনই নিউজিল্যান্ডও মুখিয়ে থাকবে। ২০১০ সালের টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই পরাজয়ের পর আবার টি২০ বিশ্বকাপ ফাইনালে অসিরা। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড এই প্রথমবার। ফলে এবারের বিশ্বকাপ উপহার দেবে নতুন চ্যাম্পিয়নকে। নিউজিল্যান্ড ২০১৯ সালে একদিনের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ফাইনালে হেরেছিল। এইবছর আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে। আইসিসি ইভেন্টে টানা তিনটি ফাইনাল খেলতে চলেছে। ফলে মানসিকভাবে ড়িউজিল্যান্ড কিন্তু এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে।আইসিসির প্রতিযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া কিন্তু বড় শক্তি। ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে ওরা অনেক এগিয়ে। এই বিশ্বকাপের প্রথম থেকে ভাল ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। সবথেকে বড় কথা দলে একাধিক ম্যাচ জেতানোর ক্রিকেটার রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটি দারুণ ভয়ঙ্কর। ছন্দে থাকলে ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ জুটি যে কোনও দলের বোলিং শক্তিকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে। আইপিএলের ব্যর্থতা কাটিয়ে ওয়ার্নার ছন্দ ফিরে পেয়েছেন। মিডল অর্ডারে রয়েছে স্টিভ স্মিথের মতো ব্যাটসম্যান। বড় ম্যাচের ঘোড়া। ম্যাক্সওয়েলও যে কোনও মুহূর্তে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন। ম্যাথু ওয়েড সেমিফাইনালে দেখিয়ে দিয়েছেন কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। বোলিং শক্তিও অসাধারণ। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজেলউডের মতো জোরে বোলার রয়েছে। অ্যাডাম জাম্পার মতো স্পিনার যে কোনও দলকে বেগ দিতে পারেন।নিউজিল্যান্ডে সেই অর্থে কোনও তারকা নেই। ওদের আসল শক্তি দলগত খেলা। নিউজিল্যান্ড বরাবরই দল হিসেবে খেলে। এই বিশ্বকাপেও সেই একই ধারা অব্যাহত। মার্টিন গাপটিল, ড্যারিল মিচেল ছন্দে থাকলে যে কোনও বোলারের মাথাব্যথা হয়ে উঠতে পারে। কেন উইলিয়ামসন নিঃশব্দে বিপক্ষে খুন করতে পারেন। তবে ফাইনালে ডেভন কনওয়ের খেলতে না পারাটা বড় ধাক্কা। মিডল অর্ডারে বড় শূন্যতা তৈরি হবে। এমনিতেই লকি ফার্গুসন আগেই ছিটকে যাওয়ায় বোলিং কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ডেভিড ওয়ার্নারদের থামানোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ নিতে হবে ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, জিমি নিশামদের। দল হিসেবে খেললে নিউজিল্যান্ডকে আটকানো মুশকিল হবে। ভারতপাকিস্তান ম্যাচে যেমন চাপ থাকে, তেমনই অস্ট্রেলিয়ানিউজিল্যান্ড ম্যাচও স্নায়ুচাপের। এটাও অনেকটা ফ্যাক্টর করবে ফাইনালে।

নভেম্বর ১৩, ২০২১
রাজনীতি

Suvendu Adhikari: বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হার নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন শুভেন্দু, কি বললেন তিনি?

টি ২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে গ্রুপ লিগ থেকেই বিদায় নিয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচেই ভারতকে হারিয়েছে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। এবার সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে দিল অষ্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানকে পরাজিত করার জন্য অষ্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন গেরুয়া শিবিরের এই নেতা।সেমিফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সোশাল মিডিয়ায় রাজ্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু লিখেছেন..দেশদ্রোহীদের জোর কা ঝটকা,পাকিস্তানের হারে ফাটছে পটকা।ভারত পাকিস্তান ম্যাচে ভারতের হারে যারা পটকা ফাটিয়েছিল, উল্লাস করেছিল, আজ সেইসব দেশদ্রোহীদের জন্য কালো দিন। অষ্ট্রেলিয়ার কাছে পাকিস্তানের হার আজ তাদের মুখে ঝামা ঘসে দিল ।অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট টিম কে অভিনন্দন।তবে এখানেই থামেননি গেরুয়া শিবিরের এই নেতা। নন্দীগ্রামের বিধায়ক টুইটে লিখেছেন, পাকিস্তানকে হারানোর জন্য অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলকে আন্তরিক অভিনন্দন। এই মুহূর্তটি উদযাপন করতে আমার নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার লোকেরা অন্য ভারতীয়দের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আতশবাজি থামবে না, দীপাবলি চলছে। আমাদের শত্রুকে পরাজিত করার জন্য আবার ধন্যবাদ।নন্দীগ্রাম বিধানসভায় প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সরাসরি বিভাজনের পথে হেঁটেছিলেন শুভেন্দু অধিকরী। একেবারেই ঢাক-গুড়গুড় করেননি। গত ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে শহিদ দিবসের দিনও ফের তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রামের ৬৫ হাজার বাদ দিয়ে বাকিদের একসঙ্গে থাকতে হবে। সেই আবেদন জানিয়েছিলেন শহিদ মঞ্চ থেকে। এবার পাকিস্থানের হার নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাঁর অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন।

নভেম্বর ১২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : থেমে গেল বিজয়রথ, অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় পাকিস্তানের

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছিল পাকিস্তান। সেমিফাইলানে এসে সব জারিজুরি শেষ। অসিদের কাছে থেমে গেল বিজয় রথ। পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। ১৪ নভেম্বর ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে তোলার মূল কারিগড় মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড। টস জিতলে বিপক্ষকে ব্যাট করতে পাঠানোর ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে চলতি টি২০ বিশ্বকাপে। একদিকে যেমন টার্গেট দেখে ব্যাট করার সুবিধা পাওয়া যায়, তেমনই শিশিরের জন্য সমস্যায় পড়তে হয় না। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ টস জিতে শিশিরের কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। গ্রুপ লিগের মতোই সেমিফাইনালে ধারাবাহিতা দুই পাক ওপেনারের। দারুণ শুরু করেছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৭১। দশম ওভারের শেষ বলে জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। জাম্পাকে ৬ মারতে গিয়ে লং অনে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়েন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ৩৪ বলে তিনি করেন ৩৯। বাবর আজম ফিরে যাওয়ার পর দলকে টেনে নিয়ে যান মহম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান। শুরুর দিকে কিছুটা মন্থর ব্যাটিং করলেও পরের দিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন দুই পাক ব্যাটসম্যান। ৫৭ বলে ৬৭ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি মারেন ৩টি ৪ এবং ৪টি ৬। রিজওয়ান যখন আউট হন পাকিস্তান ১৭.২ ওভারে ১৪৩। পরের ওভারেই ১ বল খেলে কোনও রান না করে আউট হন আসিফ আলি। তাঁকে তুলে নেন প্যাট কামিন্স। শেষ দিকে ঝড় তুলেছিলেন ফখর জামান। শোয়েব মালিক (২ বলে ১) ব্যর্থ হলেও দলকে দারুণ জায়গায় পৌঁছে দেন ফখর। ৩২ বলে ৫৫ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। ফখর জামানের ইনিংসে রয়েছে ৩টি ৪ ও ৪টি ৬। ২০ ওভারে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত তোলে ৪ উইকেটে ১৭৬। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভাল বল করেন অ্যাডাম জাম্পা। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন তিনি। তুলে নেন ১ উইকেট। মিচেল স্টার্ক ৪ ওভারে ৩৮ রানে ২ উইকেট তুলে নেন। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ফিরে যান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। মাত্র ১ বল খেলে তিনি কোনও রান না করেই শাহিন আফ্রিদির বলে এলবিডব্লু হন। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ে যান পাকিস্তান বোলাররা। জুটিতে ওঠে ৫১। শাদাব খানের বলে আফি আলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্শ (২২ বলে ২৮)। স্টিভ স্মিথ (৬ বলে ৫) ব্যর্থ। তিনিও শাদাব খানের শিকার। ডেভিড ওয়ার্নার (৩০ বলে ৪৯) জ্বলে ওঠার চেষ্টা করছিলেন। তঁকে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধাক্কা দেন শাদাব। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে (১০ বলে ৭) ফিরিয়ে অসিদের আরও চাপে ফেলে দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ১২.২ ওভারে ৯৬/৫। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েড। শাহিন আফ্রিদির ১৯ তম ওভারই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। শেষ ১২ বলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রান। শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলে কোনও রান হয়নি। দ্বিতীয় বলে ১ রান লেগ বাই থেকে আসে। তৃতীয় বলে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ ফেলে দেন হাসান আলি। পরের ৩ বলে তিনটি ছক্কা মেরে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ম্যাথু ওয়েড। ১৭ বলে ৪১ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মার্কাস স্টয়নিস ৩১ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৯ ওভারে ১৭৭/৫ তুলে ফাইনালে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের হয়ে শাদাব খান ২৬ রানে ৪টি, শাহিন আফ্রিদি ৩৫ রানে ১ উইকেট নেন।

নভেম্বর ১১, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌T20 World Cup : ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলল অস্ট্রেলিয়া

এক দলের কাছে নিয়মরক্ষার হলেও অন্য দলের কাছে ম্যাচের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে, শেষ চারে যাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে জিততেই হত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার পথ অনেকটাই মসৃন করল। তবে শেষ চারে যাওয়ার জন্য অ্যারন ফিঞ্চদের তাকিয়ে থাকতে হবে ইংল্যান্ডদক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দিকে। ইংল্যান্ড জিতলে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে অস্ট্রেলিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে সেক্ষেত্রে নেট রান রেটের অঙ্ক সামনে এসে পড়তে। এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার নেট রান রেট ০.৭৪২। ৪ ম্যাচে পয়েন্ট ৬। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট, নেট রান রেট ১.২১৬। ইংল্যান্ডের ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট, নেট রান রেট ৩.১৮৩। ইংল্যান্ডকে হারালেও দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ চারে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। সেক্ষেত্রে খুব বড় ব্যবধানে জিততে হবে। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন ক্রিস গেল ও এভিন লুইস। ২.১ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলে ফেলে ৩০। এরপরই কামিন্সের বলে বোল্ড হন গেল (৯ বলে ১৫)। পরের তৃতীয় ওভারে এক বলের ব্যবধানে জস হ্যাজেলউড তুলে নেন নিকোলাস পুরান (৪) ও রস্টন চেজকে (০)। এরপর রুখে দাঁড়ান লুইস ও শিমরন হেটমায়ের। দশম ওভারের মাথায় অ্যাডাম জাম্পা তুলে নেন লুইসকে (২৬ বলে ২৯)। ২৮ বলে ২৭ রান করে হ্যাজেলউডের বলে ফিরে যান হেটমায়ের। জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে রান পেলেন না ডোয়েন ব্র্যাভোও (১২ বলে ১০)। শেষ দিকে কায়রন পোলার্ড (৩১ বলে ৪৪) ও আন্দ্রে রাসেলের (৭ বলে অপরাজিত ১৮) সৌজন্যে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৭ তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জস হ্যাজেলউড ৩৯ রানে ৪ উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স নেন ১ করে উইকেট। ২০ রানে ১ উইকেট নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে ১১তম উইকেট পেলেন অ্যাডাম জাম্পা। ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়াও শুরু থেকে ঝড় তোলে। অসিদের লক্ষ্য ছিল কম ওভারের মধ্যে জয় তুলে নিয়ে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া। ওপেনিং জুটিতে ৩.২ ওভারে তুলে ফেলে ৩৩। এরপর আকিল হোসেনের বলে বোল্ড হন অ্যারন ফিঞ্চ (১১ বলে ৯)। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে টেনে নিয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। জুটিতে ওঠে ১২৪। ৩২ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ক্রিস গেলের বলে মিচেল মার্শ আউট হন। অন্যদিকে, ৫৬ বলে ৮৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার। ১৬.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৬১ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

নভেম্বর ০৬, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 Word Cup : বাংলাদেশকে উড়িয়ে সেমিফাইনালের লড়াই জমিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া

টি২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ ১এ জমে উঠেছে সেমিফাইনালের লড়াই। এই গ্রুপ থেকে প্রথম দল হিসেবে আগেই সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড। আর একটা জায়গার জন্য লড়াই অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে সেমিফাইনালের লড়াই জমিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। অসিদের জয়ের নায়ক অ্যাডাম জাম্পা। হ্যাটট্রিক হাতছাড়া হলেও দুর্দান্ত বোলিং করে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন এই অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার। নেট রান রেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল অস্ট্রেলিয়া।সেমিফাইনালের লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ছিল সম্মান রক্ষার লড়াই। সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে চূড়ান্ত ব্যর্থ বাংলাদেশ। অ্যাডাম জাম্পার স্পিনের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি বাংলাদেশের কোনও ব্যাটার। মাত্র ৩ জন বাংলাদেশের ব্যাটার তিন অঙ্কের রানে পৌঁছতে সমর্থ হন। সর্বোচ্চ রান করেন সামিম হোসেন।টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ম্যাচের তৃতীয় বলেই লিটন দাসকে (০) তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। পরের ওভারেই সৌম্য সরকারকে (৫) বোল্ড করেন জস হ্যাজেলউড। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মুশফিকুর রহিমকে (১) তুলে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩ ওভারের মধ্যে ১০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদুল্লা ও মহম্মদ নইম কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। নইমকে (১৭) তুলে নেন হ্যাজেলউড। এরপরই শুরু হয় অ্যাডাম জাম্পার ভেলকি। প্রথমে ফেরান আফিফ হোসেনকে (০)। দশম ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে তুলে নেন শামিম হোসেন (১৮ বলে ১৯) ও মেহেদি হাসানকে (০)। যদিও তাঁর হ্যাটট্রিক হয়নি। পরে আউট করেন মুস্তাফিজুর রহমান (৪) ও সরিফুল ইসলামকে (০)। ১৫ ওভারে মাত্র ৭৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। অ্যাডাম জাম্পা ৪ ওভারে ১৯ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন। স্টার্ক ও হ্যাজেলউড ২টি করে উইকেট নেন।৭৩ রানের লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে একেবারেই কঠিন ছিল না। অসিদের লক্ষ্য ছিল কম ওভারে রান তুলে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়া। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (১৪ বলে ১৮) ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ (২০ বলে ৪০)। তাস্কিন আমেদের বলে অ্যারন ফিঞ্চ যখন ফিরে যান, অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৫ ওভারে ৫৮। পরের ওভারেই সরিফুল তুলে নেন ওয়ার্নারকে। তাস্কিন আমেদকে ৬ মেরে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মিচেল মার্শ (৫ বলে ১৬)। ৬.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

নভেম্বর ০৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে সেমিফাইনালের পথে ইংল্যান্ড

বেন স্টোকস ভবিষ্যতবাণী করেছেন, টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। তাঁর ভবিষ্যতবাণী সঠিক হবে কিনা সময়ই বলবে। ইংল্যান্ড কিন্তু অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগোচ্ছে। অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে সেমিফাইনালের দিকে এগিয়ে গেল। দুরন্ত বোলিং করে ম্যাচের নায়ক ক্রিস জর্ডন।টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট করতে পাঠায় ইংল্যান্ড। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার। মাত্র ১ রান করে ক্রিস ওকসের বলে আউট হন তিনি। তিন নম্বরে নামা স্টিভ স্মিথও ব্যর্থ (১)। তিনি ক্রিস জর্ডানের শিকার। পরপর ফিরে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৬) ও মার্কাস স্টয়নিস (০)। এই দুজনকে আউট করেন ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ। ৬.১ ওভারে ২১ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পরে অস্ট্রেলিয়া। ৪৯ বলে ৪৪ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে কিছুটা উদ্ধার করেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তোলে ১২৫ রান। ম্যাথু ওয়েড ১৮ বলে ১৮, অ্যাস্টন অ্যাগার ২০ বলে ২০ রান করেন। প্যাট কামিন্স ৩ বলে ১২ রান করে আউট হন। মিচেল স্টার্ক শেষ বলে আউট হন। তিনি ৬ বল খেলে ১৩ রান করেন। ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডন ৪ ওভারে ১৭ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। ক্রিস ওকস ৪ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান। টাইমাল মিলস ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন। আদিল রশিদ ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট পান। লিয়াম লিভিংস্টোন ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।ব্যাট করতে নেমে দারুন শুরু করেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জেসন রয় ও জস বাটলার। ওপেনিং জুটিতে ৬.১ ওভারে ওঠে ৬৬। এরপর ২০ বলে ২২ রান করে আডাম জাম্পার বলে আউট হন জেসন রয়। বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করতে থাকেন জস বাটলার। দাওইদ মালান ৮ বলে ৮ রান করে আউট হন। দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন বাটলার ও জনি বেয়ারস্ট। ১১.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১২৬ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ৩২ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন বাটলার। তিনি ৫টি করে ৪ ও ৬ মারেন। বেয়ারস্ট ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।

অক্টোবর ৩০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T‌20 World Cup : অবশেষে রানে ফিরলেন ওয়ার্নার, স্বস্তি অস্ট্রেলিয়া শিবিরে

আইপিএলে চূড়ান্ত ব্যর্থ। নেতৃত্ব হারাতে হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। এমনকী সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে আইপিএলের দ্বিতীয় পর্বে প্রথম একাদশ থেকেও বাদ পড়তে হয়েছিল ডেভিড ওয়ার্নারকে। টি২০ বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচেও রান পাননি। তাঁকে প্রথম একাদশ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিও উঠেছিল। ভরসা হারায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার মর্যাদা দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সুপার ১২র গ্রুপ লিগের তৃতীয় ম্যাচেই রানে ফিরলেন। স্বস্তি অস্ট্রেলিয়া শিবিরে। তাঁর দুরন্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারাল অস্ট্রেলিয়া। একই সঙ্গে সেমিফাইনালে ওঠার পথও প্রশস্ত করল।টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তৃতীয় ওভারে পাথুম নিসাঙ্কা (৭) ফিরে গেলেও দলকে এগিয়ে নিয়ে যান কুশল পেরেরা (২৫ বলে ৩৫) ও আসালাঙ্কা (২৭ বলে ৩৫)। পরপর দুওভারে এই দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে রান তোলার গতি কমে যায় শ্রীলঙ্কার। দারুণ বোলিং করেন অ্যাডাম জাম্পা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ৬ উইকেটে ১৫৪ তোলে শ্রীলঙ্কা। ২৬ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন ভানুকা রাজাপক্ষ। অধিনায়ক দাসুন শনাকা ১২, পাথুম নিসঙ্কা ৭, ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা ও আবিষ্কা ফার্নান্দো ৪ রানে আউট হন। অ্যাডাম জাম্পা ৪ ওভারে ১২ রানে ২ উইকেট নেন। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ২ উইকেট দখল করেন মিচেল স্টার্ক। প্যাট কামিন্স ২টি উইকেট পেয়েছেন ৩৪ রানের বিনিময়ে।জয়ের জন্য ১৫৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। ৬.৫ ওভারে দলের ৭০ রানের মাথায় ২৩ বলে ৩৭ রান করে আউট হন ফিঞ্চ। এদিন টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে গেলেন তিনি। তিন নম্বরে নামা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৫) সুবিধা করতে পারেননি। পরপর দুটি উইকেট পড়ে গেলেও মনসংযোগ হারাননি ডেভিড ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত ৪২ বলে ৬৫ রান করে তিনি আউট হন। ওয়ার্নার যখন আউট হন, জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২৫। দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন স্টিভ স্মিথ (২৬ বলে অপরাজিত ২৮) ও মার্কাস স্টইনিস (৭ বলে অপরাজিত ১৬)। ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ তুলে ম্যাচ জিতে নেওয়ার পাশাপাশি নেট রান রেটও বাড়িয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের সেরা হয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।

অক্টোবর ২৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু অস্ট্রেলিয়ার

টি২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ ১কে গ্রুপ অফ ডেথ বললে অত্যুক্তি হবে না। একটু হোঁচট খেলেই বিপদ। প্রতিটা ম্যাচই যে উত্তেজক পর্যায়ে পৌঁছবে, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। যার প্রমাণ পাওয়া গেল প্রথম ম্যাচেই। স্কোর বোর্ডে কম রান তুলেও দুর্দান্ত লড়াই করে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা। তবে শেষরক্ষ হল না। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক জস হ্যাজেলউড। তাঁর দাপটেই ব্যাটিং বিপর্যয় প্রোটিয়াদের। দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচের সেরার পুরস্কারও ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। আবুধাবি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক বাভুমাকে (১২) তুলে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এরপরই জ্বলে ওঠেন জস হ্যাজেলউড। ফেরান ভ্যান ডার ডুসেনকে (৭)। এক ওভার পরেই তুলে নেন কুইন্টন ডিকককে (২)। ৪.১ ওভারের মধ্যে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চাপ আরও বেড়ে যায় অষ্টম ওভারের শেষ বলে ক্লাসেন আউট হওয়ায়। ১৩ বলে ১৩ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে স্টিভ স্মিথের হাতে ক্যাচ দেন ক্লাসেন। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। অ্যাডাম জাম্পার বলে মিলার (১৬) আউট হতেই ধস নামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে। একে একে আউট হন প্রিটোরিয়াস (১), মাহরাজ (০), মার্করাম (৩৬ বলে ৪০)। রাবাডা ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৮ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট নেন হ্যাজেলউড। জয়ের জন্য ১১৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে নর্টিয়ের বলে শূন্য রানে আউট হন ফিঞ্চ। অন্য ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ১৫ বলে ১৪ রান করে রাবাডার বলে ফিরে যান। অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে মিচেল মার্শকে ফেরান কেশব মহারাজ। ১১ রান করে মার্শ আউট হন। এরপর স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দলকে টেনে নিয়ে যান। দলের ৮০ রানের মাথায় নর্টিয়ের বলে আউট হন স্টিভ স্মিথ। ৩৪ বলে তিনি করেন ৩৫ রান। তাবরেজ শামসিকে সুইচ হিট করতে গিয়ে বোল্ড হন ম্যাক্সওয়েল (১৮)। ম্যাক্সওয়েল আউট হওয়ার পর চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত মাথা ঠাণ্ডা রেখে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মার্কাস স্টয়নিস (অপরাজিত ২৪) ও ম্যাথু ওয়েড (অপরাজিত ১৫)। ২ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ১২১ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

অক্টোবর ২৩, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Smriti Mandhana: আশঙ্কা অমূলক প্রমাণ করে গোলাপি টেস্টে দারুন শুরু স্মৃতিদের

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গোলাপি বলে ঐতিহাসিক টেস্ট খেলতে নামার আগে কিছুটা হলেও চাপে ছিল ভারতীয় দল। অস্ট্রেলিয়ার গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও মিতালি রাজদের একেবারেই ছিল না। ভালভাবে অনুশীলনের সুযোগও পাননি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ শেষ হওয়ার পর মাত্র একটা সেশন অনুশীলনে সুযোগ পেয়েছিলেন গোলাপি বলে মানিয়ে নেওয়ার জন্য। তাতেই কামাল স্মৃতি মান্ধানাদের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দিনরাতের টেস্টের প্রথম দিনে রীতিমতো দাপট দেখালেন স্মৃতি, শেফালিরা। ঐতিহাসিক দিনরাতের টেস্টে দারুণ শুরু ভারতীয় মহিলা দলের। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনের শেষে ১৩২/১।জুন মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের বেশ কয়েকজনের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এদিন টেস্ট অভিষেক হল মেঘনা সিং ও ইয়াস্তিকা ভাটিয়ার। একদিনের সিরিজে দারুণ নজর কেড়েছিলেন এই দুই ক্রিকেটার। তার পুরস্কার পেলেন। এদিন টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। দারুণ শুরু করেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা। আশঙ্কা ছিল গোলাপি বলে অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলাররা শুরুতেই চেপে বসবে ভারতীয়দের ওপর। কিন্তু এলিসে পেরি ও ডার্সি ব্রাউন কোনও প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি দুই ভারতীয় ওপেনারের উপর। ভারতের ওপেনিং জুটিতে ২৫ ওভারে ওঠে ৯৩। শেষ পর্যন্ত জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার সোফিয়ে মলিনেক্স। মলিনেক্সের বল তুলে মারতে মিড অফে তালিয়া ম্যাকগ্রাথের হাতে ক্যাচ দেন শেফালি। ৬৪ বলে ৩১ রান করে তিনি আউট হন। ভারতের রান তখন ৯৩। শেফালি আউট হওয়ার পর দলকে টেনে নিয়ে যান স্মৃতি মান্ধানা ও পুনম রাউত। দুজনের অসমাপ্ত জুটিতে ওঠে ৩৯। এদিন টেস্ট জীবনের সর্বোচ্চ রান করেন স্মৃতি। তাঁর আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ৭৮। ৪৪.১ ওভার পর বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ভারতের রান তখন ১৩২/১। স্মৃতি ৮০ রানে ও পুনম ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। টেস্টের আগের দিন ভারতীয় দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ আশঙ্কা করেছিলেন, গোলাপি বলে সুইং সামলাতে সমস্যা হবে। তাঁর সেই আশঙ্কা অমূলক প্রমাণ করে দিলেন স্মৃতিরা।

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Pink Ball Test: ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সামনে দাঁড়িয়ে কেন চিন্তিত মিতালিরা?

ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বিরাট কোহলিদের। এবার ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণের সামনে দাঁড়িয়ে মিতালি রাজরা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গোলাপি বলে টেস্ট অভিষেক হতে চলেছে মিতালিদের। বৃহস্পতিবার থেকে কুইন্সল্যান্ডের ক্যারারা ওভালে দিনরাতের টেস্ট খেলতে নামবে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলেছিল ভারত। ১৫ বছর পর আবার অসিদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন মিতালিরা। ওই টেস্টে মিতালি রাজের সঙ্গে খেলেছিলেন ঝুলন গোস্বামী। এবারও তাঁরা মাঠে নামবেন। ওই টেস্টে খেলা কোনও ক্রিকেটার অবশ্য অস্ট্রেলিয়া দলে নেই। ঐতিহাসিক গোলাপি বলে দিনরাতের টেস্ট খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ। গোলাপি বলে টেস্ট খেলাটা চ্যালেঞ্জিং বলেও মনে করছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে মিতালি বলেন, গোলাপি বলে একটা সেশন প্র্যাকটিস করেছি। অন্যরকম অভিজ্ঞতা। লাল বলের তুলনায় অনেক বেশি সুইং করে। ম্যাচে খেলাটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। একদিনের সিরিজের পর আরও কয়েকদিন অনুশীলনের সুযোগ পেলে ভাল হত। কিন্তু কিছু করার নেই। কোভিড প্রটোকলের জন্য মানিয়ে নিতে হচ্ছে।অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্টে ঝুলন গোস্বামীদের ওপর ভরসা করছেন মিতালি রাজ। ভারতীয় দলের অধিনায়ক বলেন,আমাদের এই জোরে বোলিং শক্তি দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা। ঝুলনের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। একদিনের সিরিজে মেঘনা সিং দুর্দান্ত বোলিং করেছে। ওর বলে দারুন গতি আছে। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে এসে পুজা বাস্ত্রকার নিজেকে মেলে ধরেছে। ওকে অলরাউন্ডার হিসেবে তৈরি করার দিকে নজর দিচ্ছি।মাস দুয়েক আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলেছিল ভারত। ফলোঅন করেও ম্যাচ বাঁচিয়েছিল ভারত। ওই টেস্টের লড়াই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে মিতালিদের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে ভারতীয় শিবিরকে চিন্তায় রাখছে হরমনপ্রীত কাউরের চোট। নেটে ব্যাট করার সময় আঙুলে ছোট পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পারবেন না।

সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১
বিদেশ

Covid 19: কোভিড প্রজন্ম ভিন্নভাবে ভাষা ব্যবহার করবে

ভাষাবিদ-দের ধারণা কোভিড -১৯ একটি সম্ভাব্য অভিশাপ। ভাবুন, লক্ষ লক্ষ পরিবার কয়েক মাসের জন্য ঘরের ভিতরে বন্দি আছেন - তাঁরা সবাই যখন বাইরে আসবেন তখন কেমন লাগবে? সর্বোপরি, ফ্রান্সে বসবাসকারী ল্যাটিন ভাষী-রা তখনই ফরাসি হয়ে ওঠে, যখন ফ্রান্সের ল্যাটিন ভাষাভাষীরা একে অপরের সঙ্গে অনেক বেশি কথা বলে। দীর্ঘ সময় ধরে ইতালি ও স্পেন থেকে আগত মানুষজন ফ্রান্সে তাঁদের নিজেদের ভাষা থেকে আলাদা একটি ভাষা তৈরি করেছিল। যদি মানুষজন মাসের পর মাস ধরে তাঁদের বাড়িতে বন্দি থাকে, তার ফলস্বরূপ তাঁদের মধ্যে ভাষার আদানপ্রদান বন্ধ হয়ে এক নিস্তঃব্দতা জন্ম দেয়। এটা ভাষার বিকাশের ভয়ংকর অন্তরায়।তবে মহামারিটি এখনও তার ভাষা পরিবর্তন করবে ব্যাপকভাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নয়, বাচ্চাদের মধ্যেও এর প্রভাব পড়বে মারাত্মক ভাবে। অস্ট্রেলিয়ান ভাষায় এই সংকটটি আরও ভয়ংকর ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারে তার কারণ হল এই দেশের ভাষা বৈচিত্র্য। এই দেশে, প্রতি চারটি শিশুর মধ্যে একটি বাচ্চা বাড়িতে থাকে যেখানে মূল ভাষা হিসেবে ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষাও বলা হয়ে থাকে। তবে, দুঃখজনক হলেও আসল সত্য হল এই যে, যতক্ষণ না মানুষের বিশাল জনগোষ্ঠী সেই ভাষায় বসবাস করছে ততক্ষন ভাষাগুলি সেই বাড়িটিকে অতীত করে তুলতে পারে না, যা স্প্যানিশ এবং ম্যান্ডারিন বা আরও কিছু বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের মতো মাত্র কয়েকজনের ক্ষেত্রে সত্য যেমন, ইয়েডিশ এবং জার্মান।আরও পড়ুনঃ তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রামণের রাশ টানতে ভিক্টোরিয়ায় বড়দিন পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণাদ্বিভাষিক বাড়িতে অনেক শিশু তাদের পিতা, মাতা এবং দাদু -ঠাকুমার ভাষা কাজ চালানোর মতো অল্প-স্বল্প শিখে নেয়। তারা খুব সাধারন বিষয়ে সাবলীলভাবে কথোপকথন শিখলেও, জটিল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে এবং ভাষার ব্যাকরণের অনেক বিষয় তাঁদের আয়ত্বের বাইরে থেকে যায়, সেই জন্য তাঁরা ভাষার আসল স্বাদ কখনই আস্বাদন করতে পারে না। ভাষা-তাত্ত্বিকরা এটাকে ঐতিহ্য ভাষা heritage language বলে থাকেন। এই স্তরে বসবাসকারীরা শুধুমাত্র একটি ভাষায়-ই কথা বলেন, তাঁরা কদাচিৎ তাঁদের সন্তানদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেয়, এমনকি তারা একই ভাষার কথা বলা মানুষকেই বিবাহ করে যাতে ভাষার আদানপ্রদানে কোনও সমস্যা না হয়।তবে এটা সত্যিই মনে রাখার মত বিষয়, করোনা ভাইরাসের প্রভাব যতই খারাপ হোক, ঘরবন্দি মানুষজন অশুভ-র মধ্যেও কিছু শুভ জিনিস আয়ত্ত্ব করে ফেলছে। যে শিশুরা বাংলা বা ডেনিশ পিছলে যাচ্ছিল তারা এখন পিতামাতার (এবং বিশেষত অভিবাসী সম্প্রদায়, দাদু ঠাকুমার) সঙ্গে অসীম সময় কাটাচ্ছে এবং ছোটবেলা থেকে প্রথমবারের মতো প্রতিদিন সারাদিন ধরে মাতৃভাষার ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে। আমি অনেক পিতামাতার কাছ থেকে শুনেছি যাঁরা বলে যে তাঁরা তাদের সন্তানের মাতৃভাষায় দক্ষতা বিস্ফোরিত বা কমপক্ষে উন্নতি দেখে সন্তুষ্ট।অর্ণব ঘোষ রায়মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়াআইন স্নাতক (সম্মানিক)সদস্য, অস্ট্রেলিয়ান ল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ALSA)এক্সিকিউটিভ মেম্বার অফ ডিসিপ্লিন এন্ড গ্রিভেন্স কমিটি

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
বিদেশ

Earthquake: আচমকাই চোখের সামনে নিজেদের বাড়ি দুলতে দেখলেন বাসিন্দারা

আচমকাই বুধবার সকালে কেঁপে উঠল মেলবোর্ন, সিডনি। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ আচমকাই কম্পন অনভূত হয় অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব অংশে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৮। কম্পনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে উৎসস্থল থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূর অবধিও সেই কম্পন অনুভব করা গিয়েছিল।Earthquake in Australia today morning. 6 on Richter scale. Felt till NZ. pic.twitter.com/eYCl0LzeNx Shamendra Bhadauria 🇮🇳 (@ShamendraSingh) September 22, 2021সাধারণতঃ অস্ট্রেলিয়ায় ভূমিকম্প খুব একটা হয় না। এ দিন সকালে তীব্র কম্পন অনুভূত হতেই ভয়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন বাসিন্দারা। চোখের সামনেই তারা নিজেদের বাড়িগুলিকে দুলতে দেখেন, একাধিক জায়গায় পাঁচিল ভেঙে পড়েছে বলেও জানা গিয়েছে। স্থানীয় গির্জার দেওয়াল ভেঙে পড়েছে বলেও খবর।5.8M Earthquake caused some damage today in Melbourne, Australiapic.twitter.com/4EnFG5aKBX United States News Block (@USNewsBlock) September 22, 2021স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনও হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পরই বেশ কিছু জায়গায় আফটার শক অনুভূত হয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি রিখটার স্কেলে ৪ মাত্রার কম্পন ছিল। যে সমস্ত বাড়িগুলি অর্ধেক ভেঙে পড়েছে বা ফাটল ধরেছে, সেখানের বাসিন্দাদের আপাতত বাড়ির বাইরেই থাকতে বলা হয়েছে। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে প্রথমে জানানো হয়, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৫.৯। মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজিস্ট মাইক স্যান্ডিফোর্ড বলেন, এত বড় ভূমিকম্প দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় বহু বছর হয়নি। ১৮০০ সালে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের কথা শুনলেও তারপর থেকে এইধরনের ভূমিকম্পের কথা শোনা যায়নি।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
বিদেশ

Lockdown: তৃতীয় ঢেউয়ের সংক্রামণের রাশ টানতে ভিক্টোরিয়ায় বড়দিন পর্যন্ত লকডাউনের ঘোষণা

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্য কোভিড -১৯ ক্লাস্টার হিসাবে চিহ্নিত। সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রক ষষ্ঠবারের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে। সেই ঘোষণায় ইতিমধ্যেই সমলোচনার ঝড় উঠেছে। পরবর্তী কয়েক দিন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে ভিক্টোরিয়া সেরকমই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। সমলোচকদের অনেকেই বলছেন লকডাউন চাপিয়ে অস্ট্রেলিয়ার লিবারেল ডেমোক্রেটিক ভ্যালু পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাই হোক, একটি যুক্তিসঙ্গত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে সুস্থ আলোচনা করা যেতেই পারে।ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল রাজ্য, এই রাজ্যকেই দেশের সর্বশেষ করোনাভাইরাস হটস্পটের কেন্দ্রস্থল ভাবা হচ্ছে। সোমবার গোষ্ঠী সংক্রামণ-র (কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের) ১১ টি নতুন ঘটনা ধরা পড়েছে এবং কতৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে আগামিদিনে এখানকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। রাজ্য স্বাস্থ অধিকর্তারা জানিয়েছেন শেষ ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন আক্রন্ত হয়েছেন। সোমবার এক সংবাদিক সম্মেলনে কতৃপক্ষ ঘোষণা করেছিল যে গভীর রাতে কাট-অফের পরে আরও ছয়টি কেস রেকর্ড করা হয়েছে, যা মঙ্গলবারের তথ্যে প্রতিফলিত হবে, যা বর্তমান ক্লাস্টারকে ৫১এ নিয়ে যাবে।আরও পড়ুনঃ দাদার বায়োপিক নিয়ে উচ্ছ্বসিত মহারাজের দরবারের প্রেসিডেন্টপ্রাথমিকভাবে ঘোষিত সেপ্টেম্বরের পর লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ, এবং আগামী দিন কোভিড-এর প্রাদুর্ভাব আরও বেড়ে ভাল হওয়ার আগে আরও খারাপ হতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভারতে প্রথম সনাক্ত হওয়া সর্বশেষ কোভিড -১৯ নতুন ভেরিয়েন্টটি আসল স্ট্রেনের চেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগের স্ট্রেনের তুলনায় অন্য ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে মাত্র এক দিন সময় নেয় যা আগে প্রায় পাঁচ বা ছয় দিন লাগত।করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে আটকাতে ভিক্টোরিয়ায় গত বছর বিশ্বের দীর্ঘতম ও কঠোর লকডাউন পালন করা হয়েছিল। সেই দ্বিতীয় ঢেঊ-এ রাজ্যে ৮০০ এরও বেশি নাগরিক মারা গিয়েছিলেন, যা অতিমারী শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মোট মৃত্যুর ৯০%। ১০০র ওপর প্রবীণ ভিক্টোরিয়ান সেই সময় কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অস্ট্রেলিয়া, সমগ্র বিশ্বের মধ্যে সামগ্রিকভাবে এই অতিমারী রুখতে অত্যন্ত সফল ভাবে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। তাঁরা মধ্যে রয়েছে দ্রুত যোগাযোগের সন্ধান, স্ন্যাপ লকডাউন এবং কঠোর সামাজিক দূরত্বের নিয়ম। যে কারণে সারা রাজ্যে মাত্র ২২,২৭৫ জন আক্রান্ত হন এবং ৯১০ জনের মৃত্যু হয়।আরও পড়ুনঃ মনোনয়ন জমা প্রিয়াঙ্কার, হুংকার শুভেন্দুরভাইরাসের বিস্তার যাতে আরও বৃদ্ধি না পায় সে কারণে, ভিক্টোরিয়া অঞ্চল জুড়ে সমস্ত কমিউনিটি স্পোর্টিং লিগকে অবিলম্বে তাদের সবরকম কার্যক্রম বাতিল করতে বলা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকার দেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। সেই উদ্দশ্যে তাঁরা উবার ইটস এবং ডোরড্যাশের মতো সংস্থাগুলিকে তাঁদের গ্রাহকদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।এটা সত্যিই একটি অসাধরণ সিদ্ধান্ত, ভিক্টোরিয়ান সরকার সেখানকার আঞ্চলিক মানুষদের স্বার্থে এবং স্থানীয় মানুষের কথা চিন্তা করে সকল জনসাধারণকে একটি গিফট ভাউচার দিচ্ছেন, সেই গিফট ভাউচার ব্যবহার করে তাঁরা যেকোনও আঞ্চলিক দোকান থেকে খাবার কিনতে পারেবেন। এই ব্যবস্থায় একই সঙ্গে সরকার সাধারণ মানুষের পাশেও থাকল এবং আঞ্চলিক ব্যবসাদাররাও টিকে রইলেন।আরও পড়ুনঃ কোহলিদের পাশে সৌরভ, শাস্ত্রীদের কোনও শাস্তি হচ্ছে নামেলবোর্নের উত্তরে ব্রডমেডোতে একটি বহুসংস্কৃতিক যুব কেন্দ্রের সাথে সংযুক্ত শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র-তে নতুন করে ১৩ টি কোভিড আক্রান্ত হবার ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৃদ্ধাশ্রমের পর রোগ ছড়ানোর ক্ষেত্রে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রগুলি-ই উদ্বেগের প্রধান বিষয়।ভিক্টরিয়া-র স্বাস্থ্য দপ্তর প্রচন্ড উদ্বিগ্ন নিউপোর্ট এলাকায় কিছু আক্রান্ত মানুষকে নিয়ে। বেশ কিছু আক্রান্ত বা আক্রান্তদের সঙ্গে ছিলেন এমন কিছু মানুষকে স্বাভাবিক মেলামেশা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার নির্দেশ দেওয়া সত্বেও তাঁরা তা মানছেন না। অস্ট্রেলিয়ার উদার গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য বর্তমান যে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তা হল প্রতিবাদ। যা উদার গণতান্ত্রিকতার এক অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য।আরও পড়ুনঃ আমার প্রথম প্রেমিক, আমার নন্দলালাআমরা অতি সম্প্রতি মেলবোর্নে ভিক্টোরিয়া পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হতে দেখেছি। মেলবোর্নে হঠাৎ করে সাত দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণার পর সাধারন মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পরেন। সেখানে ষষ্ঠ বারের জন্য লকডাউন ঘোষণার পর সিবিডিতে শত শত মানুষ স্বতস্ফুর্ত বিক্ষোভের পর স্থানীয় পুলিশ অবস্থার নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৫ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁরা সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ফ্লিন্ডার্স স্ট্রিটে জড়ো হয়ে সোয়ানস্টন স্ট্রিটের দিকে এগোতে থাকেন, সেখানে আগে থেকেই পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জড়ো হয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কিছু মানুষ তাঁদের বক্তব্য লিখে প্লাকার্ড নিয়ে এসেছিলেন। লক্ষণীয় ভাবে অধিকাংশের মুখেই মাস্কের কোনও অস্ত্বিত্ত্ব ছিলনা।হেরাল্ড সান সূত্রে জানা যায়, সেখানে আগুন জ্বালানো হয়েছিল এবং উন্মত্ত জনতা আর লকডাউন নয় স্লোগান দিচ্ছিলেন, সেইসময় নিকটবর্তী অ্যাপার্টমেন্টগুলির বাসিন্দারা চিৎকার করে তদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা বলছিল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের টুইটার ফিডের ভিডিওতে দেখানো হয়েছে যে সাধারন পদাতিক ও ঘোড়সাওয়ার পুলিস কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে বিক্ষোভকারীদের নিরস্ত করার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন ফ্লিন্ডার্স স্ট্রিট স্টেশনে। একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে দুই পুলিশ অফিসারকে হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। বিক্ষোভের মাত্রা-ছাড়িয়ে গেলে সেই যন্ত্র দ্বারা বিক্ষোভকারীদের দিকে মরিচ স্প্রে করার জন্য।আরও পড়ুনঃ বিরোধী বিধান-র জ্যোতি স্নেহবিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন চিৎকার করে বলেছিলেন, কোভিড ভুয়ো, আরও একজন বলেছিলেন ভিক্টোরিয়ার ষষ্ঠ বারের লকডাউন ঘোষণায় তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছেন, শত শত মানুষ একটি বেআইনি বিক্ষোভে লিপ্ত এবং তারা ১৫ জন বিক্ষোভকারিকে গ্রেপ্তার করেছেন। নয়জনকে আটক করা হয়েছে, তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁদের জরিমানা করা হবে। দুইজন বিক্ষোভকারিকে নিয়ম ভঙ্গ এবং মিথ্যা নাম বলার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার (রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান) ড্যান অ্যান্ড্রুজ জানিয়েছেন যে, গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন চালু করা ছাড়া তার কাছে আর কোন বিকল্প ছিলনা। তিনি আরও জানিয়েছেন, তার কাছে ভিক্টোরিয়াকে বড়দিন পর্যন্ত বন্ধ রাখা ছাড়া আর কোনও নেই।ইহুদি আল্ট্রা-অর্থোডক্স প্রার্থনার সংগঠনগুলি গত বছর থেকেই নানাভাবে লকডাউন লঙ্ঘন করেছেন, এই অতিমারি পরিস্থিতিতে যেটা একেবারেই কাম্য নয়। আশ্চর্যের বিষয় তাঁরাই সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং আইন মেনে চলা সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি বলেই গন্য হয়ে থাকেন। মেলবোর্নের ইহুদি সম্প্রদায়ের সিংহভাগ বাড়িতে উৎসব পালন করার সময় ভিক্টোরিয়ার লকডাউন নিয়ম লঙ্ঘন করে একদল উপাসক ভিতরে জড়ো হয়েছিল বলে খবর পেয়ে পুলিশ গ্লেন আইরা রোডের একটি ভবন ঘিরে ফেলে। দুর্ভাগ্যক্রমে, ভিক্টোরিয়া পুলিশকে রোশানা ইহুদি ধর্মীয় উৎসবের জন্য মঙ্গলবার অবৈধ সমাবেশে যোগদানকারী লোকদের ৫৪৫২ ডলার জরিমানা করতে হয়েছিল। এই ঘটনার আগে, ভিক্টোরিয়া পুলিশ কোফিল্ড নর্থে মেলবোর্নের এক বিশিষ্ট ইহুদি পরিবারের অবৈধ বিবাহের পার্টির নিমন্ত্রণকর্তা এবং অতিথিদের কাছে ৩০০০০০ ডলারেরও বেশি জরিমানা আদায় করেছে।আরও পড়ুনঃ পূজার ছলে ভুলে থাকিড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ আরও বলেছেন যে তিনি রোশ হাশানাহ, দুই দিনের ইহুদি নববর্ষ উৎসবকে সেই সম্প্রদায়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে স্বীকৃতি দেন। তিনি মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, তবে আমরা যাই করি আমাদের প্রত্যেককেই এই মুহুর্তে নিরাপদ থাকতে হবে, ভালো থাকার জন্যই আমাদের নিজেদের অনুপ্রাণিত করতে হবে।অর্ণব ঘোষ রায়মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়াআইন স্নাতক (সম্মানিক)সদস্য, অস্ট্রেলিয়ান ল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ALSA)এক্সিকিউটিভ মেম্বার অফ ডিসিপ্লিন এন্ড গ্রিভেন্স কমিটি

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌Afghanistan Cricket : আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট না খেলার হুমকি অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের

আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করার আগে তালিবানরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, খেলার মাঠে তারা কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। কিন্তু কথায় ও কাজে যে আকাশপাতাল পার্থক্য আছে, বুঝিয়ে দিয়েছে তালিব প্রশাসন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মেয়েদের সব খেলা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে তালিবানরা। আর এতে বেজায় চটেছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে তালিবানরা যদি আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাহলে আফগানিস্তানের পুরুষ দলের সঙ্গে প্রস্তাবিত টেস্ট সিরিজ খেলবে না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাশেজ সিরিজ শুরুর আগে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১ টেস্টের সিরিজ খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। ২৭ নভেম্বর হোবার্টের ব্লান্ডস্টোন এরিনাতে এই টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের। কিন্তু আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের কর্মকান্ডে সেই টেস্ট ম্যাচ এখন বিশ বাঁও জলে। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রচার করা হচ্ছিল তালিবানরা ক্রিকেট অনুরাগী। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরপরই মেয়েদের সব ধরণের খেলা বন্ধের ফতোয়া জারি করেছে। এর মধ্যে ক্রিকেটও রয়েছে। তালিবানদের দাবি, মেয়েদের খেলায় শরীর দেখা যায়। তাই মেয়েদের খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তালিবানরা মেয়েদের খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সমালোচনায় সরব বিশ্বের ক্রীড়ামহল। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াও রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকার বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে আফগানিস্তানের সঙ্গে সমস্ত ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছেদ করার। অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী রিচার্ড কলবেকসহ অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ বলেছেন, আফগানিস্তান মহিলাদের ক্রিকেট বন্ধ করে দিলে পুরুষদের টেস্ট ম্যাচও আয়োজন করা যাবে না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী মহিলা ক্রিকেটের বিকাশ ঘটানোর ব্যাপারে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। ক্রিকেটের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হল, এই খেলাটি সকলের জন্য এবং আমরা প্রতিটি স্তরে মহিলাদের জন্য স্পষ্টভাবে সমর্থন করি। সাম্প্রতিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে যদি আফগানিস্তান সরকার মহিলা ক্রিকেট সমর্থন না করে, তা হলে হোবার্টে প্রস্তাবিত আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ বাতিল করা ছাড়া ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কোন বিকল্প থাকবে না।কদিন আগেই তালিবানদের কালচরাল কমিশনের ডেপুটি হেড আহমাদুল্লা ওয়াসিক বলেছিলেন, মহিলাদের ক্রিকেট খেলার কোনও প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। ক্রিকেটে মহিলাদের মুখ ও শরীর ঢাকা থাকে না। ইসলাম এই ধরণের বিষয় বরদাস্ত করে না। তাই মহিলাদের খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছ।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

মান্ধানার রেকর্ডে কাঁপল বিশ্ব! ফাইনালে কি লেখা হবে নতুন ইতিহাস?

মুম্বইয়ের ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়াম যেন অপেক্ষা করছে ইতিহাসের জন্মের সাক্ষী হওয়ার। গ্যালারিতে ঢেউ তুলছে নীল সাগর। কোটি ভারতবাসীর নিশ্বাস যেন একসঙ্গে আটকে। কারণ, মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য ২৯৯ রান ছুঁড়ে দিয়েছে ভারত। ৩০০-এর দোরগোড়াহাতের নাগালেই ছিল। কিন্তু যেই দুই ব্যাটারকে দেখার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকেরা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আর হরমনপ্রীতের ব্যাট আজ বড় কিছু লিখতে পারল না।সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৯ রানের ইনিংসে আগুন ঝরিয়েছিলেন নকআউট কুইন হরমনপ্রীত। আজ ফাইনালে এসে থেমে গেলেন ২০ রানে। দুইটি বাউন্ডারি মারলেও নিজের সেরাটুকু দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক। ফ্যানদের আশাহতাশার মিশেল রয়ে গেল মাঠ জুড়ে।তবু ভারতীয় ক্রিকেটের অন্য নক্ষত্র জ্বলল উজ্জ্বল আলোয়। স্মৃতি মান্ধানা ফাইনালে করলেন ৫৮ বলে ৪৫ রানহ্যাঁ, হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া। কিন্তু সেই সঙ্গেই গড়লেন এক বিশাল রেকর্ড। মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসে এক সংস্করণে সর্বাধিক রান করার নজির ভাঙলেন তিনি। মিতালি রাজের ২০১৭ সালের ৪০৯ রানকে টপকে স্মৃতির সংগ্রহ এখন ৪৩৪।মান্ধানাশেফালি জুটি দারুণ ছন্দে এগোচ্ছিল। ১৭তম ওভারেই এল ভাঙন। ক্লোয়ি ট্রায়নের বল তুলে দিয়ে ক্যাচ ফিরিয়ে দিলেন ভারতীয় ওপেনার। আর ৩৮তম ওভারে ফিরে যান হরমনপ্রীত। দুজনই যদি আর কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়াতে পারতেনস্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ড হয়তো অন্য গল্প বলত।কিন্তু এখনও সব শেষ নয়। ভারতীয় স্পিন, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আকাশএই তিন শক্তি কি এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? চোখ রাখল ভারত।আজ রাতেই উত্তর।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নীলে রাঙা দেশ! বিশ্বকাপফাইনালে শেফালি–ঝড়, ২৯৮ রান তুলে ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত

ভারতের আকাশ আজ নীলের উৎসবে ঢেকে। নবি মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহারণে নামতেই যেন বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আবেগ। সেই বৃষ্টি ধুয়ে দিল শুধু মাটি নয়, যেন দেশের কোটি স্বপ্নকে। কারণ, আজ ইতিহাস লেখা সম্ভব উইমেন ইন ব্লু-র। হরমনপ্রীত কৌরদের কাঁধে ভারতীয় ক্রিকেটের অপূর্ণতা মুছার দায়িত্ব। আর ব্যাট হাতে সেই পথে বড় পদক্ষেপই রাখল ভারত।প্রথমে ব্যাট করে ভারত থামল ২৯৮ রানে। ৭ উইকেট হারিয়ে তোলা এই রানকে কি বিশ্বজয়ের রান বলা যায়? দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটারদের সাহসী ইনিংস, দর্শকদের গর্জন, আর মাঠজুড়ে নীল আবেগসব মিলিয়ে দিনটা ইতিহাসের পাতায় ওঠার অপেক্ষায়।ইনিংসের শুরুতেই স্মৃতি মন্ধানা ও শেফালি বর্মার ব্যাটে নজর কাড়া সূচনা। বৃষ্টিভেজা উইকেটে সতর্ক শুরু হলেও শিগগিরই বদলে গেল রঙ। বড় শট, নির্ভয়ে রান রোটেশনদুটিতেই সামনে শেফালি। এক সময় সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে পড়লেও শেষে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৮৭ রানে। কী দারুণ ইনিংস! তিন বছর ধরে ওয়ানডেতে হাফসেঞ্চুরি নেইএ কথা ভুলিয়ে দিলেন বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও প্রথমে জায়গা ছিল নাএকেবারে সিনেমার চিত্রনাট্য।স্মৃতি মন্ধানা ৪৫ রানে আউট হন। জেমাইমা রদ্রিগেসের ২৪ রান, অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ২০যেখানে সবাই শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, সেখানে দুই ভারতীয় ভরসা দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ সামলালেন ইনিংস। দীপ্তির অর্ধশতরান, আর রিচার দাপুটে ২৪ বলে ৩৪ রানে ভারত ৩০০ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কয়েকটা শট আর সাহসে হয়তো ২৫-৩০ রান আরও বাড়ানো যেতসেটা নিয়েই এখন আলোচনা।এখন প্রশ্ন একটাইএই রান কি যথেষ্ট? স্পিন বোলিং আর দর্শকদের গর্জন কি দেশকে এনে দেবে প্রথম নারী বিশ্বকাপ? দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বলেই দিয়েছিলেন, এই পিচে রান তাড়া সহজ। তাই ম্যাচ এখন পুরোপুরি বোলারদের হাতে।স্টেডিয়ামের শব্দঅর্কেস্ট্রা, নীল পতাকার ঢেউ এবং লক্ষ মুখে একটাই ডাকচলো মেয়েরা! রোহিতবিরাটদের অসম্পূর্ণ গল্প কি এবার মেয়েরাই পূর্ণ করবেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

স্বপ্নভঙ্গের দাগ এখনও টাটকা! ফাইনালের আগে হরমনদের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-বুমরাহ-সূর্য

দুই বছর আগে ঠিক এই মঞ্চেই স্বপ্ন ভেঙেছিল ভারতীয় মহিলাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠে ট্রফি ছোঁয়ার এতটা কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছিল খালি হাতে। সেই ব্যথা এখনও জাগ্রত। তাই ২০২৫এর আরেক মহাযুদ্ধের আগে হরমনপ্রীত কৌরদের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন ভারতীয় পুরুষ দলের তারকারাও। কোহলি, সূর্যকুমার যাদব থেকে শুরু করে জশপ্রীত বুমরাহসবাই একসুরে জানিয়ে দিলেন, ভয় নেই, এগিয়ে যাও।ফাইনাল ম্যাচের আগে BCCIর প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেল গৌতম গম্ভীরকে। শান্ত অথচ দৃঢ় কণ্ঠে গম্ভীর বললেন, ভারতীয় ক্রিকেট পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে মেয়েদের। তিনি বলেন, ফাইনাল উপভোগ করো, সাহসিকতার সঙ্গে খেলো। ভুল করলেও ভয় পেয়ো না। তোমরা ইতিমধ্যেই দেশকে গর্বিত করেছ। গম্ভীরের বার্তায় স্পষ্টচাপ নয়, আনন্দই দিক নির্দেশ করবে।অন্যদিকে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবও বার্তা পাঠিয়েছেন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার জন্য মহিলা দলের প্রশংসা করেছেন তাঁরা। সূর্য বলেছেন, নিজেদের মত করে খেলে যাও, টুর্নামেন্ট জুড়ে তোমরা অসাধারণ খেলেছ। এমনকি জশপ্রীত বুমরাহর কথায়ও একই সুর। অস্ট্রেলিয়া থেকে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, জীবনে অনেক ফাইনাল আসে না, তাই বাড়তি চাপ না নিয়ে নিজের সেরাটা দাও। নিজের খেলায় বিশ্বাস রাখো। ফল ঠিকই আসবে।২০১৭তে মিতালি রাজের দল, এরপর ২০২৩এ রোহিত শর্মাদের স্বপ্নভঙ্গভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দল দুইই ফাইনালের যন্ত্রণা চেনেন। কিন্তু এবার প্রত্যাশা ভরা চোখে মানুষ অপেক্ষা করছে নতুন ইতিহাসের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস রাখছেন, হরমনপ্রীতস্মৃতিরিচাদের হাতেই এবার বিশ্বজয়ের গল্প লেখা হবে।দেশজুড়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রত্যেক ভারতীয়র মনে একই প্রার্থনাএবার ট্রফি ফিরেই আসুক দেশের মাটিতে।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

নবি মুম্বইয়ে বৃষ্টি, ফাইনাল কি পিছিয়ে যাবে? দুশ্চিন্তায় ক্রিকেটপ্রেমীরা

ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে হরমনপ্রীত কৌরদের ভারত। নবি মুম্বইয়ের মাঠে আজই হওয়ার কথা ছিল বিশ্বজয়ের লড়াই। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এমন উত্তেজনার দিনে ভাগ্য যেন একটু খারাপই খেলল টিম ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দুপুর গড়াতেই নামল মৌসুমবহির্ভূত বৃষ্টি, আর সেই সঙ্গে থমকাল মহিলা ওয়ানডে বিশ্বকাপের মহারণ।ভারতীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ক্রমাগত বৃষ্টি নামায় টস পর্যন্ত হয়নি। গ্যালারিতে বসা দর্শক থেকে শুরু করে টিভির সামনে বসা ক্রিকেটপ্রেমীরাসবাই এখন শুধু অপেক্ষা করছেন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার।এখন প্রশ্ন একটাইযদি বৃষ্টি কমেই না? তবে কি বিশ্বকাপ ফাইনাল মাঠেই নামবে না? ভারতীয় সমর্থকদের মনে তাই উৎকণ্ঠা, আর চোখ ঝুলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচ আজই শেষ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা হবে। প্রয়োজন হলে দুদলের ওভার কমিয়ে দেওয়া হবে। একই দিনে ফলাফল করতে হলে কমপক্ষে ২০ ওভার করে খেলতেই হবে দুদলকে। যদি বৃষ্টি সেই সুযোগও না দেয়, তবে প্রস্তুত আছে রিজার্ভ ডে।আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রাখা হয়েছে চূড়ান্ত দিন। যদি আজ ম্যাচ অসম্পূর্ণ থাকে, সেখান থেকেই কাল আবার খেলা শুরু হবে। তবে যদি এক বলও না গড়ায় আজ, সোমবার পুরো ৫০ ওভারের নতুন ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনাও রয়েছে। এই মুহূর্তে তাই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের একটাই আশাআকাশটা একটু পরিষ্কার হোক, আর বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাক হরমনপ্রীত কৌরদের দাপট। সেমিতে দুরন্ত ফর্মে থাকা রিচা ঘোষ, স্মৃতি মন্ধানা, শেফালিসবাই প্রস্তুত ইতিহাস লেখার জন্য। বাকি শুধু মাঠে নামা।এদিকে স্টেডিয়ামের ছাদেও ঠাসা উত্তেজনা। কেউ মন্ত্রজপ করছেন, কেউ মোবাইলে আবহাওয়া আপডেট দেখছেন, আবার কেউ পতাকা হাতে বৃষ্টি থামার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপের দিনই যদি বৃষ্টি আসে, তা কি মানা যায়? এখন সবই নির্ভর করছে আকাশের দিকে। ভারতীয়দের মনে একটাই স্বপ্নআজ হোক, কাল হোক, কিন্তু হাতে উঠুক সেই সোনার ট্রফি।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

"অপারেশন সিঁদুর ভুলতে পারেনি পাকিস্তান-কংগ্রেস", নতুন করে বিস্ফোরক মন্তব্য মোদির

বিহারের আরায়ায় রবিবার নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেস ও আরজেডিকে একযোগে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বক্তব্যে বারবার উঠে এল জাতীয় নিরাপত্তা, কাশ্মীর, এবং অতীতের রাজনৈতিক সহিংসতার প্রসঙ্গ।মোদি বলেন, অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাকিস্তান ও কংগ্রেসদুই পক্ষই এখনও ধাক্কা সামলাতে পারেনি। পাকিস্তানে বিস্ফোরণের সময় কংগ্রেসের রাজপরিবারর ঘুম নষ্ট হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর মন্তব্যআমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের ঘরে ঢুকে মারব। অপারেশন সিঁদুর সেই অঙ্গীকার পূরণ করেছে। সঙ্গে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন মোদি। বলেন, এটি তাঁর গ্যারান্টি ছিল এবং আজ তা বাস্তব।বিহার রাজনীতিতে মহাগঠবন্ধনের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস কখনওই তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করতে চাইনি। কিন্তু আরজেডির চাপেই কংগ্রেসকে রাজি হতে হয়েছে। তাঁর ভাষায়আরজেডি বন্দুক ঠেকিয়ে কংগ্রেসকে সিএম প্রার্থী ঘোষণা করাতে বাধ্য করেছে।মোদি দাবি করেন, কংগ্রেস-আরজেডির মধ্যে গভীর বিরোধ আছে, এবং নির্বাচন শেষে তারা পরস্পরকে দোষারোপ করবে। তাই তাঁদের উপর আস্থা রাখা যায় না। মহাগঠবন্ধনের ইস্তেহারকে তিনি মিথ্যার আর প্রতারণার দলিল আখ্যা দেন। এনডিএর ঘোষণাপত্রকে বলেন সত্ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, যা বিহারের উন্নয়নের জন্য তৈরি।এদিন ১৯৮৪র শিখবিরোধী দাঙ্গার কথাও টেনে আনেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আজও সেই সময়ের দোষীদের সম্মান দিচ্ছে। তিনি বলেনআরজেডির নাম জঙ্গলরাজের সঙ্গে জড়িত, আর কংগ্রেসের পরিচয় শিখ গণহত্যার সঙ্গে। বিহার ভোটমাঠে শেষ দফা প্রচারে তাই তীব্র হচ্ছে ভাষার লড়াই। একদিকে এনডিএর উন্নয়নের দাবি, অন্যদিকে পরিবর্তনের ডাকদুই পক্ষের জোর প্রচারের মধ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে ভোটযুদ্ধের ময়দান।

নভেম্বর ০২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

ইতিহাস গড়তে নামছে হরমনদের বাহিনী, রিচা ঘোষে বুক বাঁধছে গোটা বাংলা

শুধু পুরুষ ক্রিকেট নয়মেয়েরাও পারে! ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন আকাশছোঁয়া। আর মাত্র এক রাতের অপেক্ষা। রবিবারই ওডিআই বিশ্বকাপের ফাইনালে নামছে হরমনপ্রীত কউররা। শেষ লড়াই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর গোটা দেশ যেমন উত্তেজনায় ফুটছে, বাংলায় সেই উত্তেজনার কেন্দ্র শিলিগুড়ি। কারণ ফাইনালের মাঠে থাকছেন শহরেরই মেয়ে রিচা ঘোষ।বয়স মাত্র ২২। কিন্তু মন? যেন সহাস্য যোদ্ধা। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বে ঝড় তুলেছিলেন রিচামাত্র হাতে গোনা ডেলিভারি পেলে খেলেছিলেন ৯৪ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস। সেই ম্যাচে ভারত হেরে গেলেও, রিচার ব্যাটে আলোর রেখা দেখেছিল দেশ।সেই তারকার জন্য এখন বুক বেঁধে অপেক্ষা শিলিগুড়ির। শহরের রাস্তায় উত্তেজনা, দেওয়ালে পোস্টার, আর মানুষের মুখে একটাই প্রশ্নরিচা কেমন করবে কাল? শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ ইতিমধ্যেই বিগ স্ক্রিনে ফাইনাল দেখানোর আয়োজন করে ফেলেছে। শহরের একাধিক জায়গায় লাগানো হচ্ছে ফ্লেক্স, তৈরি হচ্ছে উৎসবের আবহ।রিচার পুরনো দিনেও আলো। ২০১৩১৪ সালে বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে খেলতেন সে সময়কার ছোট্ট মেয়ে রিচা। কোচ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় এখন আগের সেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাস মনে করছেন। তাঁর মুখে গর্বওকে প্রথম দিন থেকেই আলাদা লাগত। ব্যাট ধরার ভঙ্গি, শরীরী ভাষা, মনোভাবসবেতেই ছিল বড় খেলোয়াড়ের স্পষ্ট আভাস।একই কথা বলছেন রিচার বন্ধু ও প্রাক্তন সতীর্থ অঙ্কিতা মোহন্তও। তিনি স্মিতহাস্যে বলছেন, রিচা সব সিদ্ধান্ত খুব পরিষ্কারভাবে নেয়। আমাদের সময়ও ও পরামর্শ দিত। এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্যাটে। আগামিকাল ও দেখাবেমেয়েরাও পারে!মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার আরও খোলামেলাআমাদের শহরের মেয়ে! তাই তো গর্ব। কাল গোটা শহর স্ক্রিনের সামনে এক হবে। রিচার জন্য শুভেচ্ছা।এখন শুধু অপেক্ষা ফাইনালের। শিলিগুড়ি, বাংলা আর ভারতসকলেরই চোখ এক ব্যাটে, এক মেয়ের উপর। ইতিহাস রচনার মুহূর্ত কি তাহলে আর কয়েক ঘণ্টা দূরেই?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
বিদেশ

চলন্ত ট্রেনে রক্তঝড়! যাত্রীদের উপর ছুরি হামলা, আতঙ্কে থমকাল ট্রেন

লন্ডনগামী একটি ট্রেনের ভিতর শনিবার রাতে তৈরি হল আতঙ্কের আবহ। হঠাৎই কয়েকজন যাত্রীর উপর ধারালো ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। মুহূর্তেই চিৎকার, রক্ত, দৌড়ঝাঁপসব মিলিয়ে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় বিভীষিকার দৃশ্যে। বাঁচার জন্য যাত্রীরা ছুটতে ছুটতে শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। কেউ কেউ পা পিছলে পড়ে আহত হন। কামরার মেঝে রক্তে ভরে যায়।ঘটনাটি ঘটেছে কেমব্রিজের কাছে। রাত ৭টা ৩৯ মিনিট নাগাদ পুলিশ ফোন পায় ট্রেনে ছুরি নিয়ে হামলার খবর। খবর পেয়েই সশস্ত্র বাহিনী পৌঁছে যায় নিকটবর্তী স্টেশন হান্টিংডনে। এরপর ট্রেনটিকে মাঝপথেই থামানো হয়। স্টেশনে দাঁড়াতেই দৌড়ে ওঠে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আতঙ্কগ্রস্ত যাত্রীদের নিরাপদে বার করে নিয়ে আসা হয়। অনেকে তখনও লুকিয়ে ছিলেন ট্রেনের বাথরুমে। পুলিশ তাঁদের একে একে উদ্ধার করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এক নয়, একাধিক ব্যক্তি হাতে লম্বা ছুরি নিয়ে যাত্রীদের উপর হামলা চালায়। তাঁদের কথায়, আক্রমণকারী চলতে চলতে দৌড়ে এগিয়ে আসছিল, আর চারদিকে ছড়িয়ে ছিল রক্ত। আতঙ্কে সবাই পালাতে শুরু করে। ট্রেন থামতেই একজন হামলাকারী বড় ছুরি হাতে নেমে আসার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে কাবু করে ফেলে।এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিকটবর্তী হাসপাতালে। যদিও ব্রিটিশ পুলিশ এখনও পর্যন্ত আহতের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা জানাতে পারেনি, সূত্রের দাবিকমপক্ষে দশজন ছুরিকাহত।হঠাৎ এই হামলার উদ্দেশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। সন্ত্রাস দমন বিভাগও তদন্তে নেমেছে। পুরো দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষকে টার্গেট করে এমন হামলা বরদাস্ত করা হবে না।সাধারণ যাত্রার একটি রাত যে এমন রক্তাক্ত দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে, তা ভাবেননি কেউই। ব্রিটেনে এখন একটাই প্রশ্নট্রেনে এই হামলার পিছনে কারা, এবং কেন?

নভেম্বর ০২, ২০২৫
দেশ

ভোটের উত্তাপে বিস্ফোরণ, গুলির আতঙ্ক! জন সূরজ পার্টির কর্মী খুনে ধরা জেডিইউ নেতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর আগেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণপ্রতিআক্রমণের মাঝেই এবার সামনে এল রক্তাক্ত ঘটনা। প্রশান্ত কিশোরের দল জন সূরজ পার্টির কর্মী দুলারচন্দ যাদবের মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতার হলেন ক্ষমতাসীন জেডিইউ-র মোকামা কেন্দ্রের প্রার্থী অনন্ত সিং। পটনা পুলিশের হাতে শনিবার, ১ নভেম্বর তাঁকে আটক করা হয়। তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।ুীদুলারচন্দ যাদব গত বৃহস্পতিবার মোকামায় জন সূরজ পার্টির প্রার্থী পীযূষ প্রিয়দর্শীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। সেই ভরা সভাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা শোনা গেলেও ময়নাতদন্তে প্রকাশগুলি নয়, গুরুতর শারীরিক আঘাত, বিশেষত পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়া ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।দুলারচন্দ অনেক দিন আরজেডি-র প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। পরে PKর জন সূরজ পার্টিতে যোগ দেন।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সভার মাঝেই দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই ঘটে এই মৃত্যুর ঘটনা। এবং সে সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং।গ্রেফতারের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পীযূষ প্রিয়দর্শী বলেন, পুলিশ ঠিক কাজ করেছে। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে হওয়া দরকার ছিল। এটা কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এফআইআর হওয়ার পরই গ্রেফতার হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এখন দেখার তদন্ত কতদূর এগোয়।অন্য দিকে গ্রেফতারির আগে অনন্ত সিং দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রাক্তন সাংসদ সূরজভান সিংকে দায়ী করেন তিনি। উল্লেখ্য, সূরজভান সিংয়ের স্ত্রী বীণা দেবী এবার আরজেডি-র প্রার্থী।ঘটনার গুরুত্ব দেখে ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি কড়াভাবে বজায় রাখতে হবে এবং রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন বিন্দুমাত্র নষ্ট না হয়।বিহারের ভোটযুদ্ধ এখনও শুরুই হয়নি, আর তার আগেই রক্তঝরা সংঘর্ষে জর্জরিত রাজনৈতিক ময়দান। আগামীর দিনগুলো যে আরও উত্তপ্ত হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

নভেম্বর ০২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal