চোটের জন্য আগের টেস্টে খেলেননি। বক্সিং ডে টেস্টে ফিরে এসে ঝলসে উঠলেন প্যাট কামিন্স। দিনের শুরুতে তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে দিশা খুঁজে পাননি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টেও সেই অস্ট্রেলিয়ার দাপট। প্রথম দিনে চা পানের বিরতির পর ১ ঘন্টার মধ্যেই মাত্র ১৮৫ রানে গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইনিংস। জবাবে দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ১ উইকেটে ৬১।
বৃষ্টির জন্য এদিন খেলা কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। বৃষ্টি হওয়ায় মেলবোর্নে এদিন সকালের পরিবেশ ছিল যথেষ্ট স্যাঁতসেঁতে। এই স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগান অস্ট্রেলিয়ার জোরে বোলাররা। বিশেষ করে প্যাট কামিন্সের কথা বলতেই হবে। চোট সারিয়ে ফিরেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন। দ্বিতীয় ওভারেই তুলে নেন ওপেনার হাসিব হামিদকে (০)। ইংল্যান্ডের ভান্ডারে তখন মাত্র ৪ রান। অষ্টম ওভারে জ্যাক ক্রাউলে (১২) সেই কামিন্সের শিকার।
দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। দারুণ সতর্কতার সঙ্গে ব্যাট করছিলেন দাওইদ মালান ও অধিনায়ক জো রুট। ২৭ তম ওভারে জুটি ভাঙেন সেই প্যাট কামিন্স। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ৬১। অধিনায়ক জো রুটের ব্যাটে বাঁচার স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু সিরিজের তৃতীয় অর্ধ শতরান করেও দলকে স্বপ্ন দেখাতে ব্যর্থ রুট। ৮২ বলে ৫০ রান করে মিচেল স্টার্কের বলে তিনি উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। রুট আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ডের বড় ইনিংসের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়। বেন স্টোকস (২৫), জনি বেয়ারস্টো (৩৫), অলি রবিনসনরা (২২) কিছুটা লড়াই করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ৬৫.১ ওভারে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। কামিন্স ৩৬ রানে ৩টি, স্টার্ক ৫৪ রানে ২টি উইকেট নেন। ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডারে ধস নামান নাথান লায়ন। ৩৬ রানে তিনি নেন ৩ উইকেট।
শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে ব্যাট করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও ডেভিড ওয়ার্নার। দিনের শেষবেলায় পনেরতম ওভারে ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। ৩৮ রান করে অ্যান্ডারসনের বলে ফিরে যান ওয়ার্নার। দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৬১/১। ক্রিজে রয়েছেন হ্যারিস (২০) ও নৈশপ্রহরী নাথান লায়ন (০)।
- More Stories On :
- Ashes Series
- Australia
- England
- Pat Cummins