• ৯ পৌষ ১৪৩২, শনিবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Art

দেশ

Local Train: লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রেলমন্ত্রীকে চিঠি স্বপন দাশগুপ্তর

রাজ্যে যে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি চলছে তার নিন্দা আগেই করেছে বিজেপি। এ বার রেলমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে লোকাল ট্রেন চালু করার দাবি জানাল গেরুয়া শিবির। দলের রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত বৃহস্পতিবারই লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই চিঠি-সহ টুইটও করেছেন স্বপন। লিখেছেন, রাজ্যে এখন যে লকডাউন চলছে তা খামখেয়ালি এবং শৃঙ্খলাহীন। এই দাবির সঙ্গে গয়ালকে চিঠিতে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, বাংলার সাধারণ মানুষের সুবিধা করে দিতে রেলমন্ত্রী হিসেবে এবং ব্যক্তিগতভাবে আপনি আশা করি উদ্যোগী হবেন। আমি বিশ্বাস করি, বাংলার মানুষ আপনার পদক্ষেপের আশায় রয়েছেন।আরও পড়ুনঃ দুয়ারে সরকার,-এর পর এবার পূর্ব বর্ধমানে দুয়ারে পুলিশবিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে গত ৬ মে রাজ্যে করোনা রুখতে কড়া বিধিনিষেধ চালু করা হয়। রাজ্য সরকার সেটাকে লকডাউন না বললেও কার্যত সেই পরিস্থিতিই তৈরি হয়। লোকাল ট্রেন চলাচল সেই থেকেই বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি বিধিনিষেধে রাজ্য সরকার অনেক ছাড় দিলেও এখনও লোকাল ও মেট্রো রেল চালুর অনুমতি দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি তা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাত্রী বিক্ষোভও হয়েছে।The terms of the lockdown in W Bengal are whimsical. Buses are allowed but local trains Kolkata Metro are not. Commuters are facing enormous hardship loss of livelihood. I have today requested the Rail Minister to initiate the process of resumption of services. pic.twitter.com/5jQ6LOrb1L Swapan Dasgupta (@swapan55) July 1, 2021বৃহস্পতিবার থেকেই রাজ্যে বিধিনিষেধে নতুন ছাড় শুরু হচ্ছে। এই সময় ট্রেল চলাচল স্বাভাবিক না হলেও কিছু ছাড় মিলবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টই জানিয়েছেন, এখন ট্রেন চালালে করোনা সংক্রমণ এক লাফে বেড়ে যাবে। তারই বিরোধিতা করে রেলমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে স্বপন দাবি করেছেন, গত ১৫ দিনে রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতিতে অনেক ছাড় মিলেছে। অফিস, থেকে রেস্তরাঁ, জিম, সেলুন ও পার্লার চালু হয়েছে। লোকাল বাসও চালু হয়েছে। কিন্তু ট্রেন চালু না হওয়ায় সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যে অল্পসংখ্যক গণপরিবহণ চালু রয়েছে তাতে খুবই ভিড় হচ্ছে। সুতরাং লোকাল ট্রেন চালু হলে যাত্রী সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে।

জুলাই ০১, ২০২১
কলকাতা

BJP all party meeting: বিধানসভায় সর্বদলে বৈঠকে বিজেপি বিধায়করা, গরহাজির শুভেন্দু

জল্পনা উড়িয়ে সোমবার বিধানসভায় সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত হলেন একঝাঁক বিজেপি বিধায়ক। সম্প্রতি পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি)-র চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি-র টানাপড়েনের আবহ তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এক সময় শোনা গিয়েছিল, বিজেপি বিধায়করা সর্বদল বৈঠক বয়কট করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে সেই জল্পনা উড়িয়ে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে দেখা গেল গেরুয়াশিবিরের বেশ কয়েক জন বিধায়ককে। তবে বিধানসভায় থাকলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দেখা যায়নি।আর তা নিয়েই নতুন করে উস্কে উঠছে একাধিক জল্পনা।আরও পড়ুনঃ পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ সপরিবার পুলিশ আধিকারিকবিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে শাসকদলের তরফে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস, সন্ধ্যারানি টুডু, পার্থ ভৌমিক-সহ অনেকেই। তৃণমূল বিধায়কদের পাশাপাশি ওই ঘরেই দেখা যায় একঝাঁক বিজেপি বিধায়ককেও। ছিলেন দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী, অম্বিকা রায়, বিমান ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, তাপসী মণ্ডলরা। সূত্রের খবর, সোমবারের সর্বদল বৈঠকে শুভেন্দুর উপস্থিতি নিয়ে আগেই জলঘোলা হচ্ছিল। তিনি অংশ নিতে নাও পারেন, এমন গুঞ্জন উঠেছিল। তবে সোমবার সকালে দেখা গেল, বিধানসভায় এসেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। সর্বদলের আগে বিজেপি পরিষদীয় দল তাঁর নেতৃত্বেই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে। সূত্রের খবর, আসন্ন অধিবেশনে ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে বিজেপি সরব হবে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে, তেমনই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা হয়েছে। বিধানসভায় হাজির রয়েছেন মনোজ টিগ্গা, সুদীপ মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক বিধায়ক। আগে মনোজ টিগ্গাই ছিলে বিজেপি পরিষদীয় দলনেতা।

জুন ২৮, ২০২১
স্বাস্থ্য

হজম শক্তি থেকে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খান কালো জাম

গরমকালে কালো জাম অনেকেরই প্রিয়, বেগুনি রঙের এই ফলটি (Jamun) ভারতবর্ষে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে অগস্ট পর্যন্ত প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। সমস্ত বয়সের জন্য উপকারী এই ফল। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো জাম হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ডায়েটি ফাইবারের একটি উৎস কাল জাম, এটি লিভারকে সক্রিয় করে এবং প্লীহাটি হজম ট্র্যাক্টকে সর্বোত্তম সুস্থ রাখে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো জাম হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল, কালো জামের উপস্থিত পটাশিয়াম (potassium) এবং ফসফরাস ( phosphorous) জাতীয় প্রয়োজনীয় খনিজগুলি উচ্চ রক্তচাপের মতো হৃদযন্ত্রের যত্নের মতো নির্দিষ্ট কার্ডিও-ভাস্কুলার অবস্থার রক্ষা করে।আরও পড়ুনঃ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধির পাশাপাশি জানুন ত্রিফলার ঔষধিগুণ বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো জাম ইমিউনিটি বাড়ায়, ভিটামিন B1, B2, B3, B6, এর পাশাপাশি, কালো রঙের বরইতে Vitamin C- এর একটি উচ্চ পরিমাণ রয়েছে, একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা ফ্রি র্যা ডিক্যালগুলিতে আক্রমণ করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এই ফলটিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অভ্যন্তরীণ সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং বাহ্যিক। বিশেষজ্ঞদের মতে, কালো জাম হাড়কে শক্তিশালী করে, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজগুলির উপস্থিতি হাড় এবং দাঁতগুলিকে মজবুত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে আধ চা চামচ কাল জামের গুঁড়ো হাড়কে শক্তিশালী করে তোলে।বিশেষজ্ঞদের মতে, জামের এমন কিছু কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্ল্যাকহেডস, পিম্পলস এবং ব্রণ মুখের উপর উপস্থিত হওয়া রোধ করে। ফলের রক্ত পরিশোধক বৈশিষ্ট্যগুলির পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদানও রয়েছে।

জুন ২৭, ২০২১
দেশ

Smart City: দেশের বাকি বড় শহরকে পিছনে ফেলে সুরাট এবং ইন্দোর সেরার সেরা

প্রাথমিকপর্বে বাছাইয়ের পর ১০০ টি স্মার্ট সিটির মধ্যে থেকে সুরাট এবং ইন্দোরকে ২০২০ সালে তাদের সামগ্রিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সেরার পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সেরা রাজ্যের পুরস্কার পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ। মধ্যপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ু যথাক্রমে প্রথম এবং দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য ২০১৯-এ সুরাট স্মার্ট শহরগুলির মধ্যে একক ভাবে সেরার স্থান পেয়েছিল। এই প্রথম কেন্দ্রীয় গৃহ ও নগরউন্নয়ন মন্ত্রক স্মার্ট শহরগুলির সামগ্রিক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন এবং তাতে কার্যকরী ভূমিকার জন্য রাজ্যগুলিকেও পুরস্কৃত করেছে। উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের নিজস্ব উন্নয়ন খাতে আরও সাতটি শহরকে স্মার্ট শহর হিসাবে তুলে আনার জন্য প্রথম পুরষ্কার পেয়েছে। শহরগুলি হল মীরাট, গাজিয়াবাদ, অযোধ্যা, ফিরোজবাদ, গোরক্ষপুর, মথুরা-বৃন্দাবন এবং সাহারানপুর।আরও পড়ুনঃ পুরসভার কর্মী বদলিতে বিধায়কের সম্মতি! শোরগোল বর্ধমানে গৃহ ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক কোভিড নিয়ন্ত্রণে অভিনব উপায় অবলম্বনের জন্য যৌথ ভাবে দুটি শহরকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। মহারাষ্ট্রের কল্যাণ-ডোম্বিভালি এবং উত্তরপ্রদেশের বারাণসী এই পুরষ্কার পুরস্কৃত।শুক্রবার স্মার্ট সিটি মিশনের ছয় বছরের স্মরণে এই পুরষ্কারগুলি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে চণ্ডীগড় প্রথম স্থান পেয়েছে। মন্ত্রকের মতে, মিশনের আওতাধীন মোট প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলির মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১.৭৮ লক্ষ কোটি টাকার ৫,৯২৪ টি প্রকল্প আনুমদন দেওয়া হয়েছে, এবং প্রায় ১.৪৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫,২৩৬টি প্রকল্পের কাজের আদেশ (Work Order) দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৪৫,০৮০ কোটি টাকার ২,৬৬৫ টি প্রকল্প সম্পূর্ণরূপে সম্পন্ন হয়েছে এবং কিছু প্রকল্পের কাজ চলছে।আরও পড়ুনঃ মমতার আবেদনে সাড়া সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্টকে হলফনামা জমা নেওয়ার নির্দেশমন্ত্রক বলেছে যে ৭০ টি স্মার্ট সিটি তাদের ইন্ট্রিগ্রেটেড কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল সেন্টার (Integrated Command and Control Centres -ICCCs) তৈরি করেছে এবং ওইগুলি কোভিড পরিস্তিতিতে ওয়াররুম হিসাবে কাজ করছে এবং মিশনের আওতায় নির্মিত অন্যান্য অত্যাধুনিক পরিকাঠামো। এগুলি দেশের ১০০ স্মার্ট সিটির জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে।এখন পর্যন্ত ৩১০ স্মার্ট রোড প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে এবং আরও ৪৫৯ টি প্রকল্প দরপত্র বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে।আরও পড়ুনঃ আমেরিকায় নিষিদ্ধ একধিক ইরানি ওয়েবসাইটমন্ত্রণাধীন ক্লাইমেট স্মার্ট সিটিস অ্যাসেসমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক (সিএসসিএএফ) ২.০-এর রিপোর্টে পাঁচটি অঞ্চলে ১২৬ টি শহরের মধ্যে তাদের বর্তমান কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করে নয়টি শহরকে পুরস্কৃত করা হয়, শহরগুলি হল সুরাট, ইন্দোর, আহমেদাবাদ, পুনে, বিজয়ওড়া, রাজকোট, বিশাখাপত্তনম, পিম্পরি-চিঞ্চোড় এবং বরোদা।

জুন ২৫, ২০২১
কলকাতা

Gun fire at Santragachi: সাঁতরাগাছির বহুতল আবাসনে গুলি

হাওড়ার সাঁতরাগাছি এলাকার বহুতল আবাসনের এক ফ্ল্যাটে চলল গুলি। শুক্রবার সকালে দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে গুলি চালায়। গুলিচালনার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় আবাসনে। অভিযোগ, এদিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পেশায় রেলকর্মী সুনীল কুমার বেহেরার ফ্ল্যাট লক্ষ্য করে গুলি চালান হয়। দুষ্কৃতীরা তাঁর ফ্ল্যাট লক্ষ্য করে মোট ২ রাউন্ড গুলি চালায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। এই ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে সাঁতরাগাছি ঝিল সংলগ্ন স্যানচুয়ারি ভিউ অ্যাপার্টমেন্টে। সাঁতরাগাছি থানার পুলিশ ওই রেলকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। গুলি চালানোর বিষয়ে রেলের সিনিয়র প্যাসেঞ্জার গার্ড নন্দকিশোর রাম জানিয়েছেন, এদিন সকালে লোকো ইন্সপেক্টর এস কে বেহেরার ফ্ল্যাট লক্ষ্য করে করে গুলি চলে। একটা গুলি দরজা ভেদ করে চলে যায়। তারপর দরজা খুললে আরও একটা গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই গুলি ঘরের ভেতরে চলে যায়। দুই রাউন্ড গুলি চলেছিল। কেন গুলি চালানো হল তা জানা যায়নি। আরও পড়ুনঃ কসবা-কাণ্ডে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে এফআইআরঅন্যদিকে, হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ প্রতীক্ষা ঝারখারিয়া জানিয়েছেন, এটা গুলি চালানোর ঘটনা। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দুজন লোক বাইকে করে এসে গুলি চালায়। পেশাগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা, আর তার জন্যই গুলি চালনা বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা এই কাজ করেছে তারা রেলওয়ে কর্মী নয়, তবে রেলের কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তদন্তে কিছু তথ্য হাতে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

জুন ২৫, ২০২১
দেশ

Modi-Kashmir: মোদির ডাকা বৈঠকে কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর আশ্বাস

২০১৯-এর ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পর প্রথমবার ফারুক আব্দুল্লা, মেহবুবা মুফতিদের মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা। গত কয়েকদিন ধরে তাই উপত্যকা নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। বৃহ্স্পতবার দিল্লিতে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলল সেই বৈঠক। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর যে সব নেতাদের দীর্ঘ দিন বন্দি করে রাখা হয়েছিল, তাঁরাও এ দিন সব সমস্যার কথা খুলে বলেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছেন কাশ্মীরের নেতারা। সূত্রের খবর, কাশ্মীরকে রাজ্যের তকমা ফেরানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে এ দিন। সূত্রের খবর এ দিন বৈঠকে প্রধানমনন্ত্রী বলেছেন, ঠিক সময়ে কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।আরও পড়ুনঃ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডএ দিন বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোট করে উপত্যকায় নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। কাশ্মীর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এ দিনের বৈঠক সম্পর্কে মোদি বলেছেন, কাশ্মীরের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক আদতে উন্নয়নের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কাশ্মীরের নেতাদের তিনি বলেছেন, কাশ্মীরের মানুষ, বিশেষত যুব সমাজের আশা পূরণ করা হবে।এ দিন বৈঠক থেকে বেরিয়ে কাশ্মীরের আপনি পার্টির নেতা আলতাফ বুখারি বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, কাশ্মীরে ভোটের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমরা কাশ্মীরকে রাজ্যের তকমা ফিরিয়ে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বৈঠক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বুখার বলেন, ভাল পরিবেশে আজ কথাবার্তা হয়েছে।একই কথা বলেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুজনেই আশ্বাস দিয়েছেন যত শীঘ্র সম্ভব রাজ্যের তকমা ফেরানো হবে ও নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। দিল কি দূরি ও দিল্লি কি দূরি মেটানোর পথে যে কেন্দ্র এগোচ্ছে সে কথাও জানিয়েছেন ওমর আবদুল্লা।বৈঠকে শেষে মেহবুবা মুফতি জানান, তিনি বৈঠকে ৩৭০ ধারা বা স্পেশ্যাল স্টেটাস ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। তিনি বলেছেন, এটা কাশ্মীরের আত্মপরিচয়ের প্রশ্ন। আমরা এই স্টেটাস পাকিস্তান থেকে পাইনি, ভারত সরকার আমাদের দিয়েছে। নেহরু আমাদের দিয়েছেন। তাই আমরা চাই কয়েক মাস লাগুক বা বছর, ৩৭০ ধারা ফেরাতেই হবে।অন্যদিকে, বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে এ দিন। তিনি উল্লেখ করেন, বৈঠকে প্রত্যেকেই সংবিধানের প্রতি গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা রাখার কথা বলেছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, কাশ্মীরের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই আমরা। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে কাশ্মীরে।

জুন ২৪, ২০২১
রাজ্য

BJP in Crisis: ফের ভাঙন বিজেপিতে

ফের পদ্মশিবিরে ভাঙন। এবার দল ছাড়লেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ও দার্জিলিং জেলার পর্যবেক্ষক ভাস্কর দে (Vaskar Dey)। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই দলত্যাগের কথা জানান তিনি। তবে কি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার মতো তিনিও যোগ দিতে চলেছেন ঘাসফুল শিবিরে, সেই জল্পনা ক্রমশ জোরাল হচ্ছে।দিনকয়েক আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন সপুত্র মুকুল রায় (Mukul Roy)। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তাঁকে স্বাগত জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, মুকুল রায়ের শিবির বদল নিয়ে জনসমক্ষে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব উদাসীন ঠিকই। তবে তাঁর দলবদল যে গেরুয়া শিবিরের জন্য বড় ধাক্কা সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তারপর থেকে বিজেপির একের পর এক নেতা দল ছাড়ছেন। কাজের পরিবেশ নেই বলেই অভিযোগ তাঁদের। সম্প্রতি দলবদল করেছেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। যিনি আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি ছিলেন। তাঁরই নেতৃত্বে আলিপুরদুয়ার নিজেদের দখলে রেখেছিল গেরুয়া শিবির। তিনিই এখন তৃণমূলে।আরও পড়ুনঃ কোন কৌশলে রাজ্য তিন টুকরোর দাবি বিজেপি সাংসদদ্বয়ের?সূত্রের খবর, ভাস্কর দে সরাসরি কারও নাম না করলেও দল ছাড়ার আগে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মহলে বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। ভাস্কর জানান, বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election 2021) টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। কাজ করলেও, যোগ্য সম্মান পাননি বলেও দাবি। আর সে কারণেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর পদত্যাগপত্রও পাঠিয়ে দিয়েছেন। গেরুয়া শিবির ছেড়ে তবে কি এবার তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন? রাজনৈতিক মহলে ক্রমশই সে প্রশ্ন জোরাল হচ্ছে। তবে অন্য কোনও দলে যোগ দেবেন কিনা, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট করেননি ভাস্কর। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে পরবর্তী সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন বলেই স্থির করেছেন তিনি।

জুন ২৩, ২০২১
বিনোদুনিয়া

TMC: শিল্পীমহলে রংয়ের বিভেদ দেখতে নারাজ রাজ

রাজনীতির জায়গায় রাজনীতি, শিল্পীমহলে কোনও স্থান নেই রাজনীতির। সেখানে সবুজ, গেরুয়া, লাল সব রংই মিশে গিয়ে রংমিলান্তি হয়। আ এমনটাই এদিন স্পষ্ট করলেন তৃণমূলের কালচারাল কমিটির রাজ্য সভাপতি রাজ চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার তৃণমূলভবনে ছিল তৃণমূলের কালচারাল কমিটির বৈঠক। যে সকল শিল্পীরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন তারা তৃণমূলের ফিরতে চাওয়ার প্রসঙ্গে রাজ চক্রবর্তী বলেন, এ বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবে। কিন্তু শিল্পীদের ক্ষেত্রে কোনওরকম বাধা থাকবে বলে তিনি মনে করেন না। রাজ জানান, বাংলা এক ও অখন্ড। এর কোনও ভাগাভাগি হবে না। বাংলার সমস্ত সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। বাংলা দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে, এবার তাতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা চলছে। এদিনের বৈঠকে পুরনো কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গড়া হয়েছে। সেই কমিটিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান রাজ। এমনকী, এখন যদি শিল্পী মহলের কেউ তৃণমূলে ফিরতে চান, তাহলেও যাতে বাধার সৃষ্টি না-হয় তাই কমিটি চেষ্টা করবে বলেও জানান রাজ। যদিও সবটাই দলীয় নেতৃত্ব তথা দলের নেত্রীর সিদ্ধান্তর উপরই নির্ভর করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন ব্রাত্য বসু, রাজ চক্রবর্তী, ইন্দ্রনীল সেন, সায়ন্তিকা, সুদেষ্ণা রায়-সহ অন্যান্যরা।

জুন ১৭, ২০২১
কলকাতা

Baishakhi-Sovon: রত্নার বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগে থানায় বৈশাখী

এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, প্রকাশ্যেই হুমকি দিচ্ছেন রত্না। মারধরের কথা বলছেন। এর আগেও খুনের চক্রান্ত হয়েছে। তাই তিনি আতঙ্কিত। এই হুমকি নিয়েই রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সৌমেন মিত্রের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন বৈশাখীদেবী। বৈশাখীর বিরুদ্ধে পালটা সরব হয়েছেন রত্নাও। তাঁর আশঙ্কা, সম্পত্তি লিখিয়ে নেওয়ার পর শোভন চট্টোপাধ্যায়কে মেরে ফেলা হতে পারে। স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে পুলিশের কাছে যাবেন তিনি। যদিও এই আশঙ্কা অমূলক বলে দাবি বৈশাখীর।বুধবারই নিজের সম্পত্তি বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে লিখে দেন শোভনবাবু। এর পর সংবাদমাধ্যমে তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় স্বামী ও স্বামীর বান্ধবী বৈশাখীকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। বৈশাখীর কথায়, রত্না প্রভাবশালী বিধায়ক। প্রকাশ্যেই আমাকে এবং আমার স্বামীকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে পেটানোর কথা বলছেন। আমি ভয় পাচ্ছি। আমি তো সাধারণ মানুষ। ভয় করছে। আমাকে প্রাণে মারা হতে পারে। এমনকী, শোভনবাবুর জন্মদিনে বিষ মেশানো কেক খাওয়ানোর পরিকল্পনাও করেছিল রত্না। ওই কেক পাঠিয়ে শোভনবাবুর হাত দিয়ে আমাকে খাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। যাতে কেক খেয়ে আমার মৃত্যু হয়। আর সেই দায়ে শোভনবাবুর জেল হয়। এ নিয়ে আমি তৎকালীন পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। বৈশাখীর বিস্ফোরক অভিযোগ, ভোটপ্রচারে বেরিয়েছিলাম যখন তখনও আমাকে এবং শোভনবাবুর উপর হামলা করা হয়েছিল। পরে জানতে পেরেছিলাম রত্না ওই হামলা করিয়েছিল। হাসপাতালেও তো আমার উপর হামলার চেষ্টা করেছে।

জুন ১৭, ২০২১
বিনোদুনিয়া

Shooting: বন্ধ বাংলা ধারাবাহিকের শুটিং, টলিপাড়ার কপালে চিন্তার ভাঁজ

সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫০ জনকে নিয়ে বুধবার থেকেই শুরু হয়েছিল মেগা ধারাবাহিকের শুটিং (Shooting)। অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যেই থমকে গেল শুটিং। রীতিমতো হুমকি দিয়ে কলাকুশলী এবং ভেন্ডারদের ধারাবাহিকের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিতে ফেডারেশন বারণ করেছে বলে অভিযোগ। তার ফলে অনিশ্চিত মিঠাই, খড়কুটো, অপরাজিতা অপু-সহ ২০টি ধারাবাহিকের কলাকুশলীদের ভবিষ্যৎ।বুধবার বিকেলে প্রযোজক, বিভিন্ন চ্যানেল কর্তা এবং আর্টিস্ট ফোরাম যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে। ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন প্রোডিউসর্স-এর সভাপতি শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাজ বন্ধ থাকলে গোটা ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি হচ্ছে। তাও কেন ফেডারেশন কাজ বন্ধ করে দিল, তা বোঝা যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে কাজকে মান্যতা দিলেও কেন ফেডারেশন তার বিরোধিতা করছে, সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রশ্ন তোলে প্রযোজক, বিভিন্ন চ্যানেল কর্তা এবং আর্টিস্ট ফোরাম (Artist Forum)। সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।করোনা মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়। তার ফলে আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। সেই সময় শুটিং ফ্রম হোম শুরু হয়। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শুটিং চলায় ফেডারেশনের রোষের শিকার হয় কৃষ্ণকলি, তিতলি, অপরাজিতা অপু, গ্রামের রাণী বীণাপাণি, বরণ, খেলাঘর, যমুনা ঢাকি, গঙ্গারাম, জীবন সাথী, মিঠাই, সাঁঝের বাতি, খড়কুটো, শ্রীময়ী, মোহর, দেশের মাটি, রিমলি, ওগো নিরুপমা, ফেলনা, কি করে বলবো তোমায়, ধ্রুবতারা-সহ ২০টি ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা। ফেডারেশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নতুন চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও টেকনিশিয়ান নির্দিষ্ট ২০টি ধারাবাহিকে কাজ করতে পারবেন না। সেই অনুযায়ী রাজ্যে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হলেও টলিপাড়ার ছবিটা রইল একইরকম।

জুন ১৭, ২০২১
বিনোদুনিয়া

প্রয়াত স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত

প্রয়াত অভিনেত্রী স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত (Swatilekha Sengupta)। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ছোট পর্দার পাশাপাশি থিয়েটারের মঞ্চে দাপিয়ে অভিনয় করে গিয়েছেন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত। বিখ্যাত থিয়েটার শিল্পী রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর স্ত্রী ছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।১৯৮৪ সালে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পর্দায় অভিনয়ের যাত্রা শুরু স্বাতীলেখার। সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত ছবি ঘরে বাইরে-র বিমলা অভিনয় নিয়ে আজও প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাংলা ছবির দর্শক। সেই থেকে সৌমিত্র ও স্বাতীলেখার জুটিকে পছন্দ করেছিলেন অনুরাগীরা। কিন্তু তার পরে মঞ্চের বাইরে দেখা যায়নি তাঁকে। দীর্ঘ ৩১ বছর পরে সৌমিত্রর সঙ্গেই পর্দায় ফিরলেন তিনি। প্রযোজক-পরিচালক নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বড় পর্দায় দেখা যায় তাঁকে। বেলা শেষে ছবিতে সৌমিত্র-স্বাতীলেখার রসায়ন দেখে আপ্লুত দর্শকদের জন্য ফের বেলাশুরু-তে অভিনয় করেন তাঁরা। কিন্তু ছবি মু্ক্তি পাওয়ার আগেই চলে গেলেন নায়ক-নায়িকা। গত বছর নভেম্বর মাসে মৃত্যু হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার চলে গেলেন স্বাতীলেখাও।১৯৭০ সালে ইলাহাবাদে মঞ্চজীবন শুরু তাঁর। মঞ্চজীবনে পেয়েছেন বিভি করন্থ, তাপস সেন এবং খালেদ চৌধুরীর মতো ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্য। ১৯৭৮ সালে নান্দীকার নাট্যদলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। সেখানেই আলাপ ও প্রেম হয় নাট্যব্যক্তিত্ব রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তের সঙ্গে। তার পরে বিয়ে এবং সংসার। ভারতীয় নাট্যজগতে তাঁর অবদানের জন্য সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কারও পেয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। তাঁর কন্যা সোহিনী সেনগুপ্তও একই ভাবে নাট্য ও পর্দার জগতে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। মঞ্চে শঙ্খপুরের সুকন্যা, মাধবী, পাতা ঝরে যায় ইত্যাদিতে তাঁর প্রতিভার স্বাক্ষর রেখাছিলেন স্বাতীলেখা। নান্দীকার-এর বেশ কিছু নাটকের সঙ্গীত পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।

জুন ১৬, ২০২১
কলকাতা

Shovon-Baishakhi: শোভনের সঙ্গে নতুন ইনিংস শুরু বৈশাখীর!

রাতারাতি বদলে গেল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishakhi Banerjee) ফেসবুক প্রোফাইল। বৈশাখীর সঙ্গে জুড়ে গেল বন্ধু শোভনের নাম। শুধু নামই নয়, পালটে গিয়েছে তাঁর প্রোফাইল পিকচারও। ছবিতে হাসি হাসি মুখে একে অপরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন শোভন ও বৈশাখী। ক্যাপশনে লেখা The journey from Me to We begins। অর্থাৎ শুধু আমি থেকে আমাদের একসঙ্গে পথচলা শুরু।তাঁদের বন্ধুত্ব নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। রাজনীতির আঙিনাতেও বারবার তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কখনও বিরোধীরা তীব্র কটাক্ষ করেছেন তাঁদের বন্ধুত্ব নিয়ে, তো কখনও আবার শোভনপত্নী রত্না চট্টোপাধ্যায় প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। কিন্তু কোনও সমালোচনা কিংবা কটাক্ষকেই গুরুত্ব দেননি শোভন ও বৈশাখী। ভাল-মন্দ সবসময়ই একে অপরের পাশে থেকেছেন। আনন্দ যেমন একসঙ্গে সেলিব্রেট করেছেন, তেমন দুঃসময়েও পরস্পরের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গ রাজনীতির সেই অতিচর্চিত জুটিই এবার নয়া ইনিংস শুরু করতে চলেছেন! তবে কি সম্পর্ককে বন্ধুত্বের ঊর্ধ্বে নতুন কোনও নাম দিতে চলেছেন তাঁরা? বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক প্রোফাইলের নাম বদলে যাওয়ার পর থেকে এমনই সব প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।ফেসবুকে শোভনের নাম যুক্ত করা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে বৈশাখী জানিয়েছেন, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়েই প্রোফাইলের নাম বদল। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আর আলাদা কোনও প্রোফাইল রইল না। যদিও এখনই কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা খোলসা করেননি তিনি।সম্প্রতি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া শোভনের ফেসবুক লাইভ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল। আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছিল শোভন-রত্না গৃহবিবাদ। বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শোভন (Sovan Chatterjee)। রত্না চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেন, দুজন কলঙ্কিত নায়ক-নায়িকা। ছাত্র-যুব সমাজকে কী শেখাচ্ছেন? তাঁরা যেন আমায় শিক্ষা দিতে না আসে। তারপরই বৈশাখীর প্রোফাইলের নামবদল ও নয়া পথচলা শুরুর বার্তা অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

জুন ১৬, ২০২১
কলকাতা

Mukul Roy: পার্থর বাড়িতে মুকুল-শুভ্রাংশু

দীর্ঘদিনের সহকর্মীর মাতৃবিয়োগ। মাঝে বহুদিন বিচ্ছিন্ন থাকার পরও এমন দুর্দিনে ফের বন্ধুর পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি পৌঁছে গেলেন নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে। রবিবার দুপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা শিবানীদেবী প্রয়াত হয়েছেন ৯১ বছর বয়সে। এত বড় একটা শোকের সময় বন্ধুকে সমবেদনা জানানোর জন্য এবার পৌঁছে গেলেন মুকুল রায়। সঙ্গে ছিলেন পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও। বাড়িতে প্রবেশ করে যেখানে শিবানীদেবীর ছবি রাখা ছিল, সেখানে মাল্যদান করেন মুকুল। তারপর মন্ত্রীর নিজের ঘরে গিয়ে একান্তে দুজন কথাবার্তা বলেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর।পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে একে একে বহু রাজনৈতিক নেতাই তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রথমদিন অভিষেক, ফিরহাদদের পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রীর নাকতলার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন একদা সহকর্মী, বর্তমানে বিরোধী শিবিরের নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নিতান্তই মানবিকতার খাতিরেই তাঁর এই ছুটে যাওয়া বলে দাবি ছিল রাজীবের ঘনিষ্ঠ মহলের। এরপর সোমবার সন্ধেবেলা সকলকে চমকে দিয়ে পার্থবাবুর বাড়িতে পৌঁছে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। একদা অতি ঘনিষ্ঠ শোভন-পার্থর ফের সাক্ষাৎ হল এমন এক পরিস্থিতিতে।আর গত সপ্তাহে সাড়ে তিন বছর পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সূচনা করার পর মঙ্গলবার দুপুরে পার্থবাবুর বাড়ি গেলেন মুকুল রায়। আসলে এই মুহূর্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এত রাজনৈতিক নেতার সমাগম নিতান্তই সমবেদনার জন্য আপাতভাবে তা মনে হলেও এর একটা গভীর তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।

জুন ১৫, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Olympic Medal Winner: মাত্র ৩৬-এই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত ব্যাডমিন্টন তারকা কিডো

ইউরো কাপে ডেনমার্কের তারকার আচমকা হৃদরোগে আক্রান্তু হওয়ার ঘটনায় আঁতকে উঠেছিল বিশ্ববাসী। সেই রেশ কাটতে না কাটতে খেলার দুনিয়ায় ফের নামল শোকের ছায়া। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই প্রাণ হারালেন অলিম্পিক পদকজয়ী ব্যাডমিন্টন তারকা মার্কিস কিডো। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে স্তম্ভিত সকলেই। স্বাভাবিকভাবেই শোকাহত ব্যাডমিন্টন জগতের রথী-মহারথীরা। অনেকেই টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন। কিডোর পার্টনার হিসেবে খেলার সুযোগ হয়েছিল ভারতীয় শাটলার জোয়ালা গুট্টারও। সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে কিডোর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন তিনি। টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকা প্রণয়, সত্বিক সাইরাজ, অজয় জয়রাম-সহ আরও অনেকে।It was an absolute honour ❤️🙏🏻#RIP MARKIS KIDO pic.twitter.com/k7aOIw5i7n Gutta Jwala (@Guttajwala) June 14, 2021সোমবার সন্ধেয় সাড়ে ৭টা নাগাদ টুইট করে ইন্দোনেশিয়ার তারকা মৃত্যু সংবাদ দেয় বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন (BWF)। যদিও তাঁর আগে থেকেও কোনও শারীরিক সমস্যা ছিল কিনা, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি ফেডারেশন।অত্যন্ত অল্প বয়সেই ব্যাডমিন্টনের ব়্যাকেট হাতে নজর কেড়েছিলেন কিডো। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে হেন্ড্রার সঙ্গে জুটি বেঁধে ডাবলসে সোনা জেতেন তিনি। ঠিক তার আগের বছরই কুয়ালালামপুরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুষ ডাবলসে সেরার শিরোপা পান কিডো। সেখানেও সঙ্গী ছিলেন হেন্ড্রা। এর পাশাপাশি ২০০৬ ব্যাডমিন্টন বিশ্বকাপেও পেয়েছিলেন চূড়ান্ত সাফল্য। সোনায় মোড়ানো ছিল তাঁর সাফল্যের ইতিহাস। এশিয়ান গেমসেও ডাবলসে সোনা জয়ের নজির রয়েছে ইন্দোনেশিয়ান তারকার। এমন একজন প্রতিভাবান শাটলারকে যে এত অল্প বয়সে হারাবে ব্যাডমিন্টনের দুনিয়া, তা কল্পনাও করা যায়নি।

জুন ১৫, ২০২১
কলকাতা

Posta Bridge: পিছল ব্রিজ ভাঙার দিন

পিছিয়ে গেল পোস্তা ব্রিজ (Posta Bridge) ভাঙার দিন। ২০ জুন থেকে ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হবে। তবে আজ রাত থেকে সেতুর নীচের যান চলাচল বন্ধ করে রাখা শুরু হবে।ব্রিজ ভাঙার পরবর্তী পর্যায় পর্যন্ত আপাতত অগস্ট মাস পর্যন্ত পরিবর্তিত রুটে গাড়ি চলবে বলে জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, ১৫ জুন থেকেই পোস্তা ব্রিজটি ভাঙা শুরু হওয়ার কথা ঘোষণা করা হযেছিল। কিন্তু ঠিক কী কারণে তা পিছিয়ে গেল তা জানা যায়নি বা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও কিছু বলতে চাননি। ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে আচমকাই ভেঙে পড়ে বড়বাজার এলাকার এই ব্রিজটি। চাপা পড়েন প্রায় ১০০ জন মানুষ। নির্মাণকাজে ত্রুটি থাকার কারণেই ব্রিজটি ভেঙে পড়েছিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এরপর এই নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে। অবশেষে ভেঙে পড়া ব্রিজটির ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলার কাজে হাত দিতে চলেছে রাজ্য সরকার।

জুন ১৪, ২০২১
কলকাতা

মাকে হারালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

প্রয়াত হলেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) মা শিবানী চট্টোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বয়সজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। রবিবার দুপুরে প্রয়াত হন। খবর পেয়েই পার্থবাবুর নাকতলার বাড়িতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা।বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিক সমস্যায় ভুগছিলেন শিবানীদেবী। রবিবার দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ প্রয়াণ হয় তাঁর। খবর পেয়েই ৫টা নাগাদ পার্থবাবুর নাকতলার বাড়িতে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থবাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তিনি। এরপরই সেখানে পৌঁছন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাংসদ মালা রায়।তৃণমূলের একাধিক প্রথম সারির নেতার সেখানে পৌঁছনোর কথা। কড়া নিরাপত্তায় এই মুহূর্তে মুড়ে ফেলা হয়েছে নাকতলায় পার্থবাবুর বাসভবন বিজয়কেতন চত্বর। সূত্রের খবর, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শিবানীদেবীর।

জুন ১৩, ২০২১
কলকাতা

Dilip Ghosh: ফেসবুকে বেসুরোদের কড়া বার্তা দিলীপের

মুকুল রায় (Mukul Roy) দল ছাড়ার পর নতুন করে ভাঙনের আশঙ্কায় গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের দিকে আর কারা এবার পা বাড়াতে চলেছেন? মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কারা? এটা নিয়েই কার্যত আতঙ্কে এখন বঙ্গ বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ফেসবুক পোস্টে সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রয়োজন পড়লে দলই বহিষ্কার করবে কর্মীদের, এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।রবিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ফেসবুক পোস্ট করেন মেদিনীপুরের সাংসদ। তাতে লেখা, দল ছাড়াটা অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিজেপি সেই লোকেদের উপর নির্ভর করে যাঁরা রক্ত দিয়ে, ঘাম ঝড়িয়ে দলটাকে দাঁড় করিয়েছে। বিজেপিতে থাকতে হলে ত্যাগ তপস্যা করতে হবে। যারা শুধু ক্ষমতা ভোগ করতে চান, তাঁরা বিজেপিতে থাকতে পারবেন না, আমরাই রাখব না।বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, বেসুরোদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তার মধ্যেই মুকুল রায়ের মতো শীর্ষ নেতার দল ছেড়ে যাওয়াটা দলের কাছে যেমন বড় ধাক্কা তেমনই আশঙ্কারও। তাঁর দলত্যাগে দলে যেন কোনও প্রভাব না পড়ে সেদিকে তাই সতর্ক গেরুয়া শিবির। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায় বলেছেন, বিজেপি ছেড়ে অনেকেই চলে আসবেন। প্রবীণ এই রাজনীতিকের এহেন মন্তব্য নিয়ে বিজেপির অন্দরে আশঙ্কা তাই আরও বেড়েছে। মুকুল দল ছাড়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁরই অনুগামী হিসাবে পরিচিত বাগদার বিজেপি বিধায়ক (BJP) বিশ্বজিৎ দাস ও নোয়াপাড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিংরা বেসুরো। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় দল বিরোধী পোস্ট করার পর শনিবার বিকেলে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে আবার দেখা করে এসেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। এই পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলা করতেই ফেসবুক পোস্টে কর্মী-সমর্থকদের কড়া বার্তা দিলেন দিলীপ ঘোষ, তা বলাই বাহুল্য।

জুন ১৩, ২০২১
রাজনীতি

সাংবাদিক বৈঠক: 'তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান কর্মীরাই'

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেব দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখান থেকে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, দলের আসল সম্পদ দলীয় কর্মীরাই। তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান তাঁরাই। বাংলা জয়ের পর তৃণমূলের দেশ জয়ের ব্লু প্রিন্টের প্রাথমিক খসড়াও দিয়ে দিলেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সবমিলিয়ে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের মতোই সামলালেন সাংবাদিকদের প্রশ্নপর্বও। ২০০৭ সাল থেকে রাজনীতিতে থাকলেও এর আগে অভিষেককে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায়নি। এবার নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। সেখান থেকে দলীয় কর্মীদের তাঁর বার্তা, দলে প্রথম বা প্রধান মুখই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান কর্মীরাই। আমি না। যাঁরা লড়াই করে বাংলায় দলকে ক্ষমতায় এনেছে। এদিন তিনি জানান, দল নতুন দায়িত্ব দিয়েছে। প্রবীণদের আর্শীবাদ নিয়ে কাজ করছি। গতকাল সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছি। আজ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করব। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিষেকের এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।পরিবারতন্ত্র, পিসির ভাইপো এ ধরনের অরাজনৈতিক আক্রমণে বিদ্ধ তিনি। রাজনৈতিক পথেই তার সপাট জবাব দিয়েছেন।আর তাতেই পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে।তিনি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহ, ভরসার পাত্র বুঝিয়ে দিলেন তাঁর লক্ষ্য স্থির। বললেন, যে দায়িত্ব পেয়েছি, তাতে আগামী দিনে দলের বিস্তারে আরও কাজ করব।দলকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাব। লিখে রাখুন, আগামী কুড়ি বছর রাজ্য প্রশাসনের কোনও পদ আমি নেব না। পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটাক্ষেরও জবাব দিলেন প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে।এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও খোঁচা দেন অভিষেক। বললেন, বিরোধী দলনেতা কুৎসা করছেন। ৪০ লক্ষ বাঙালি বিজেপিশাসিত রাজ্যে রয়েছেন বলে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আমি বলব, কুৎসা করবেন না। বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন করুন।

জুন ০৭, ২০২১
রাজনীতি

নতুন দায়িত্ব পেয়েই পার্থ ও সুব্রতর বাড়িতে অভিষেক

শনিবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । জাতীয় রাজনৈতিক স্তরে উত্থান ঘটেছে তাঁর। আর নতুন পদ পেয়েই রবিবার সশরীরে তিনি পৌঁছে গেলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। সেখান থেকে সুব্রত বক্সির সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের নয়া সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।এক সময় মুকুল রায় যে পদ সামলেছেন তিনি বিজেপিতে যাওয়ার পর সুব্রত বক্সীকে ওই পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই পদে এবার দলের এতদিনের যুব সভাপতি। তাই দলের সিনিয়র নেতৃত্বের আর্শীবাদ নিয়েই রাজনৈতিক জীবনের এই নতুন পথ চলা শুরু করলেন অভিষেক। তাই পদ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। এদিন দুপুরে পার্থর নাকতলার বাড়িতে যান তৃণমূলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর আশীর্বাদ নিতে পার্থর বাড়িতে যান ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। দীর্ঘদিন রাজনীতি করার সূত্রে মহাসচিবের কাছ থেকে পরামর্শও নেন তিনি। তবে শুধুমাত্র পার্থ নন, দলের অনেক প্রবীণ নেতারও আশীর্বাদ নিতে চান অভিষেক। সেখানে কুশল বিনিময় করেন দুজন। বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে অভিষেক চলে যান তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে।সেখান থেকে আবার সন্ধেবেলা সুব্রত বক্সীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর দলীয় কার্যালয়ে যান অভিষেক। তাঁকে জড়িয়ে ধরে আশীর্বাদ করেন সুব্রত বক্সী। তারপর তিনি দেখা করেন তৃণমূলের আর এক প্রবীণ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। সূত্রের খবর, দলের আরও প্রবীণ নেতার আশীর্বাদ নিতে যাবেন অভিষেক।

জুন ০৬, ২০২১
দেশ

পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আন্দোলনের আগুন জ্বলেছে সারা দেশজুড়ে। ২০১৯ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এখনও কার্যকরী করতে পারেনি কেন্দ্র। তার মধ্যেই নয়া নির্দেশিকা দিয়ে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চলেছে কেন্দ্র। বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই মর্মে একাধিক জেলাশাসকদের অবগত করেছে কেন্দ্র।কেন্দ্র গুজরাতের মোরবি, রাজকোট, পাটনা, ভদোদরা, ছত্তিশগড়ের দূর্গ, বলোদাবাজার, রাজস্থানের জলোর, উদয়পুর, পলি, বার্মার, সিরোহি, হরিয়ানার ফরিদাবাদ, পঞ্জাবের জলন্ধরের জেলাশাসককে ৫ নং ধারায় নাগরিকত্বের আবেদন সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে। ২০০৯ সালের নাগরিকত্ব নিয়ম অনুযায়ী, পঞ্জাব, হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রসচিবকেও এই মর্মে অবগত করেছে কেন্দ্র।নাগরিকত্বের আবেদন পদ্ধতি:১. নাগরিকত্বের আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনের করা যাবে।২.আবেদনপত্র যাচাই করবেন জেলাশাসক অথবা সচিব। এরপর তা কেন্দ্রের হাতে পাঠানো হবে।৩. কোনও বিশেষ ক্ষেত্রে খতিয়ে দেখার প্রয়োজন হলে, সেই কাজ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।৪, জেলাশাসক বা সচিব তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নাগরিকত্ব দেবেন।উল্লেখ্য, এই নাগরিকত্ব প্রদান হবে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন ও ২০০৫ সালের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের ভিত্তিতে। কেন্দ্র এখনও ২০১৯ সালের নিয়ম বলবৎ করতে পারেনি। যেখানে জানানো হয়েছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত যেসব হিন্দু, জৈন, শিখ, পার্সি ও খ্রিস্টানরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে কেন্দ্র। সংসদে এই আইন পাশ হওয়ার পর একাধিক রাজ্য এক বিরোধিতা করেছিল। পশ্চিমবঙ্গেরও রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, এই আইন বাংলায় কার্যকরী হবে না।

মে ২৯, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

দীপু দাস খুনের পর অমৃত মণ্ডল, বাংলাদেশের জটিল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ভারত

ফের অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে পদ্মাপারের দেশে। এই পরিস্থিতিতে আবারও আক্রান্ত হচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। একের পর এক হিন্দু যুবককে খুনের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। ইউনূস প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিয়ে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।২০২৪ সালের অগস্ট মাসে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। পরে মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। সেই সময়েও হিন্দু-সহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল। তখনই ভারত বাংলাদেশ সরকারকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে সতর্ক করেছিল।এবার ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। ময়মনসিংহে দীপু দাস নামে এক হিন্দু যুবককে মারধরের পর জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ভারতে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রাজবাড়ি জেলায় অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট নামে আরও এক যুবককে পিটিয়ে খুন করা হয়। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ওই যুবক তোলাবাজি ও সন্ত্রাস চালাত। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সেই ক্ষোভ থেকেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়।বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলতে থাকা হিংসা নিয়েই বৃহস্পতিবার সরব হয় নয়াদিল্লি। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, হিন্দু যুবক দীপু দাসের হত্যার তীব্র নিন্দা করছে ভারত। তিনি জানান, বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ-সহ সংখ্যালঘুদের উপর একের পর এক হিংসার ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে বলে ভারত আশা করছে।বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানান, বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে ভারত। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর প্রায় ২ হাজার ৯০০টির বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে। সেই নির্বাচন যেন অবাধ ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সে বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছে ভারত।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

৪৬ মৃত্যুর দায় কার? নির্বাচন কমিশনকে দুষে বিজেপির পাল্টা আক্রমণ

এসআইআর-এর শুনানি শুরুর ঠিক আগেই ফের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এসআইআর পর্বে রাজ্যে যে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার দায় সম্পূর্ণভাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের উপর বর্তায়। তৃণমূলের দাবি, এসআইআর নিয়ে তৈরি হওয়া আতঙ্কই এই মৃত্যুগুলির কারণ।তৃণমূল যখন নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলছে, তখন পাল্টা আক্রমণে নামল বিজেপি। বিজেপি নেতা তাপস রায় তৃণমূলের অভিযোগকে যুক্তিহীন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কোনও পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অনেক সময় পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করে। তাই বলে কি পরীক্ষা নেওয়া বা ফল প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া উচিত? তাঁর বক্তব্য, কোনও মৃত্যু যদি আকস্মিক বা অন্য কোনও কারণে হয়, তা অবশ্যই দুঃখজনক। কিন্তু তার দায় কোনও প্রক্রিয়ার উপর চাপানো যায় না।তাপস রায় আরও বলেন, পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না হলে অনেক ছাত্রছাত্রী চরম সিদ্ধান্ত নেয়। তাই বলে কি পরীক্ষা নেওয়াই বন্ধ করে দেওয়া হবে? তাঁর দাবি, একই যুক্তি এসআইআর-এর ক্ষেত্রেও খাটে।উল্লেখ্য, এসআইআর পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। সেই সব ক্ষেত্রে মৃতদের পরিবার এবং শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছে, এসআইআর সংক্রান্ত নোটিস ও আতঙ্কের জেরেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বা আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা।শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর শুনানি। তার ঠিক আগের দিনই মুর্শিদাবাদ থেকে আসে আরও এক মৃত্যুর খবর। পরিবারের দাবি, বাবার পদবির সঙ্গে ছেলের পদবি না মেলায় এসআইআর-এর নোটিস এসেছিল। সেই বিষয়টি নিয়ে মানসিক চাপে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। একই রকমভাবে বীরভূমের সাঁইথিয়াতেও এক ভোটারের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।এই সমস্ত মৃত্যুর জন্য বরাবরই নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুনানি পর্ব শুরু হওয়ার আগে ফের সেই ইস্যুকেই সামনে আনল শাসকদল। তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির তরফে এই পাল্টা যুক্তি তুলে ধরলেন তাপস রায়।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

এসআইআর শুনানির আগে বড় মোড়, মতুয়াদের ভোটাধিকার নিয়ে স্পষ্ট কমিশন

রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে এসআইআর-এর শুনানি। তার ঠিক আগের দিন মতুয়াদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিল, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে সিএএ সার্টিফিকেট গ্রাহ্য করা হবে। ফলে মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষের দীর্ঘদিনের ধন্দ কাটল।নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় নেই, তাঁরা নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করতে পারবেন। পরে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। এই ক্ষেত্রেও সিএএ নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট লিঙ্ক ডকুমেন্ট হিসেবে দেখানো যাবে।এতদিন প্রশ্ন ছিল, মতুয়ারা কি নো ম্যাপিং ভোটারের আওতায় পড়বেন? আর পড়লে ২০০২ সালের কোন নথি তাঁরা দেখাবেন? কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু সিএএ নাগরিকত্বের সার্টিফিকেটে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য থাকে, তাই ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে ওই সার্টিফিকেটই লিঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ অনলাইনে ফর্ম পূরণের সময় এবার থেকে এই সার্টিফিকেটও গ্রহণযোগ্য হবে।তবে এই সিদ্ধান্ত ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে সার্টিফিকেট গ্রাহ্য হবে, কিন্তু আধার কার্ডকে কেন মানা হচ্ছে না, তা নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে।অন্যদিকে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই প্রায় ৭০ হাজার মানুষ সিএএ-তে আবেদন করে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট পেয়েছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় নাম থাকবেই। তাঁর দাবি, বাংলাদেশি হিন্দু শরণার্থীদের পাশে বিজেপিই রয়েছে।উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল, নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরেই ভোটাধিকার পাওয়া যাবে। শুধু আবেদন করলেই ভোটার তালিকায় নাম ওঠানো যাবে না। প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানায়, আগে নাগরিক হতে হবে, তার পরেই ভোট দেওয়ার অধিকার মিলবে।এই নির্দেশের পর থেকেই মতুয়াদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কারণ অনেকেই সিএএ-তে আবেদন করেছেন এবং তাঁদের মোবাইলে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মেসেজও এসেছে। কিন্তু সেই সার্টিফিকেট শুনানিতে আদৌ গ্রহণযোগ্য হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। বিশেষ করে মতুয়াদের প্রায় ৯০ শতাংশই শুনানির নোটিস পাওয়ায় উদ্বেগ আরও বেড়েছিল।এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বাংলা সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মতুয়াদের উদ্দেশে বার্তা দেন। তিনি বলেন, প্রত্যেক মতুয়া ও নমঃশূদ্র পরিবারের পাশে কেন্দ্রীয় সরকার রয়েছে। মর্যাদার সঙ্গে ভারতে থাকার অধিকার তাঁদের আছে এবং বিজেপি ক্ষমতায় এলে তাঁদের জন্য আরও কাজ করা হবে।এই সব কিছুর মধ্যেই শুনানির ঠিক আগে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে মতুয়াদের জন্য বড় স্বস্তি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে, সিএএ সার্টিফিকেট তখনই গ্রহণযোগ্য হবে, যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নতুন করে ফর্ম ৬ পূরণ করে আবেদন করবেন।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

“এখন যুদ্ধের সময়”—এসআইআর আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলকে চাঙ্গা করলেন অভিষেক

এসআইআর-এর শুনানি শুরুর আগেই তৃণমূলের অন্দরে কার্যত নির্বাচনী সুর বেঁধে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দলের নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, এখন পরিস্থিতি যুদ্ধের মতো। বৈঠকে তিনি বারবার যুদ্ধ শব্দটি ব্যবহার করেন এবং বিপক্ষ হিসেবে বিজেপিকেই চিহ্নিত করেন।অভিষেক বলেন, আগে মানুষ ঠিক করত কে সরকার গড়বে, আর এখন সরকার ঠিক করতে চাইছে কারা ভোট দেবেন। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, মাথা নত করলে কেবল মায়ের কাছেই নত করব, আর কারও কাছে নয়।২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট আর খুব দূরে নয়। এসআইআর ঘিরে তৈরি হওয়া আবহেই কার্যত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই প্রেক্ষিতেই ২০২১ সালের নির্বাচনের মডেলকেই সামনে আনতে চাইছেন অভিষেক। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঠাসা কর্মসূচি, একেবারে বুথ স্তরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগএই কৌশলের উপর জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে তৃণমূলের উন্নয়নের সংলাপ কর্মসূচি। প্রায় ৮০ হাজার বুথে ঘুরে ঘুরে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরবেন দলের কর্মীরা। বুথ স্তরে জনসংযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বাড়িতে গিয়ে কথাবার্তা বলার মতো কর্মসূচির কথাও উঠে এসেছে বৈঠকে।একদিকে যখন এই কর্মসূচি চলবে, অন্যদিকে সমান্তরালভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে চাঙ্গা রাখতে এবং ভোটের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করতেই এই দ্বিমুখী কৌশল বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।বৈঠকে অভিষেক আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীরা হারছে এবং বিজেপি জিতছে। এই পরিস্থিতিতে এক মুহূর্তও শিথিলতা দেখালে বিপক্ষ সুযোগ নেবে। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, এখন বিশ্রামের সময় নয়, এখন লড়াইয়ের সময়। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে দলের কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

বাংলাদেশ ইস্যুতে বিক্ষোভ, পুলিশের দাবি খারিজ করে জামিন দিল আদালত

বাংলাদেশে দীপু হত্যার প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল কলকাতাতেও। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শহর। সেই ঘটনার জেরে গ্রেফতার হওয়া ১২ জন বিক্ষোভকারীকে শুক্রবার শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল আলিপুর আদালত। তিন হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।এই ঘটনায় মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এর মধ্যে সাত জন আগেই জামিন পেয়েছিলেন। শুক্রবার বাকি ১২ জনের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় এই মামলায় ধৃত সকলেই আপাতত মুক্তি পেলেন।মঙ্গলবার বেকবাগানে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনের অফিসের সামনে তীব্র বিক্ষোভ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। অভিযোগ ওঠে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের দিকে কুশপুতুল পুড়িয়ে ছুড়ে মারেন। এই ঘটনায় আট জন পুলিশকর্মী আহত হন। হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে বলে পুলিশের অভিযোগ।এই ঘটনার পর মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেদিন আদালত ১২ জন পুরুষ অভিযুক্তকে দুদিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। শুক্রবার ফের তাঁদের আদালতে পেশ করা হয়।এদিন আদালতে পুলিশ ১২ জন অভিযুক্তের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজত চায়। পুলিশের দাবি ছিল, ধৃতদের সঙ্গে কোনও আন্তর্জাতিক যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সরকারি আইনজীবী জানান, তদন্তে ইতিমধ্যেই ১১ জন সাক্ষীর বয়ান সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার প্রমাণ হিসেবে ইনজুরি রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে।সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা জরুরি। তাঁর দাবি, একই সংগঠন ফের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। এতে আবার অশান্তি ছড়ালে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়তে পারে। পুলিশকে এমনভাবে মারধর করা হয়েছে যে, হাসপাতালে থেকে ছাড়া পেলেও চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা এখনই কাজে যোগ দিতে পারবেন না।তিনি আরও জানান, হাই কমিশনের বাইরে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং কুশপুতুল পুড়িয়ে পুলিশের দিকে ছুড়ে মারা হয়েছে। সেদিন একই ঘটনা হাই কমিশনের ভিতরেও ঘটতে পারত বলেও আদালতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এমনকি শুক্রবারও একই সংগঠন ফের কর্মসূচিতে নেমেছে বলে দাবি করে পুলিশ।অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী আদালতে বলেন, খুনের চেষ্টার ধারা যুক্ত করা হলেও তার স্বপক্ষে কোনও নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দুদিনের তদন্তে খুনের চেষ্টার কোনও প্রমাণ আদৌ পুলিশ পেয়েছে কি না।সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত ১২ জন অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশে হিন্দু খুনের প্রতিবাদে কড়া সিদ্ধান্ত, হোটেলে ‘নো এন্ট্রি’ বাংলাদেশিদের

বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দেশজুড়ে নৈরাজ্যের আবহে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর একের পর এক হামলার অভিযোগ উঠছে। দীপু চন্দ্র দাসের হত্যার পর এবার অমৃত মণ্ডল নামে আরও এক হিন্দু যুবককে খুন করা হয়েছে বলে খবর। প্রতিবেশী দেশের এই ঘটনায় আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল ভারত সরকার। এবার সেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হল সাধারণ মানুষও।বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন মালদহ ও শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরা। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নো এন্ট্রি বোর্ড ঝুলবে হোটেলগুলিতে। দেশের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকেরা।হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে ঘর দেওয়া হবে না। তবে মানবিকতার কারণে যাঁরা মেডিক্যাল ভিসায় চিকিৎসার জন্য ভারতে আসছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছিল। এবার সেই ছাড়ও তুলে নেওয়া হল। মেডিক্যাল ভিসা বা স্টুডেন্ট ভিসায় আসা বাংলাদেশিদেরও আর হোটেলে জায়গা দেওয়া হবে না।হোটেল মালিক সংগঠনগুলির দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্মম অত্যাচার চলছে এবং কিছু মহল থেকে শিলিগুড়ি করিডর ও সেভেন সিস্টার্স নিয়ে হুমকির মতো মন্তব্য করা হচ্ছে, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণেই আর কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ির একাধিক হোটেলে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।এই বিষয়ে হোটেল মালিক সংগঠনের এক প্রতিনিধি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সেখানে যা ঘটছে এবং যে ধরনের মন্তব্য সামনে আসছে, তার প্রতিবাদ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত। সংগঠনের অধীনে থাকা ১৮২টি হোটেল ছাড়াও আরও ৩০ থেকে ৪০টি হোটেল একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।উল্লেখ্য, গত বছরও বাংলাদেশে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে এবং হিন্দুদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠার পর কলকাতা ও শিলিগুড়ি-সহ একাধিক জায়গায় বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেলে ঘর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ফের সেই একই পথে হাঁটলেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

ভোটার তালিকা যাচাইয়ে বড় পদক্ষেপ, সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় শুনানি

রাত পোহালেই শুরু হতে চলেছে এসআইআর-এর দ্বিতীয় ধাপ। শনিবার সকাল ১১টা থেকে কলকাতায় শুরু হবে শুনানি। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধাপে প্রায় ৩২ লক্ষ ভোটারকে ডাকা হতে পারে। প্রথম পর্যায়ে মূলত যাঁদের নাম ভোটার তালিকায় নো ম্যাপিং হিসেবে চিহ্নিত, তাঁদের কাছেই নোটিস পাঠানো হয়েছে।শুনানির সময় ভোটারদের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হবে। জমা দেওয়া নথি দেখে সন্তুষ্ট না হলে সেগুলি আরও ভালো করে খতিয়ে দেখবেন আধিকারিকরা। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় আটটি করে জায়গায় শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একাধিক স্কুল ও সরকারি অফিসে এই শুনানি হবে।শুনানির দায়িত্বে থাকবেন ইআরও এবং এইআরও পদমর্যাদার আধিকারিকরা। একটি ভেন্যুতে এক দিনে সর্বাধিক ১৫০ জন ভোটারের শুনানি নেওয়া হবে। কলকাতায় বেলতলা গার্লস স্কুল, আলিপুর মাল্টিপারপাস গার্লস স্কুলে শুনানি হবে। এছাড়াও লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ, লরেটো ডে স্কুল, মর্ডান হাইস্কুল ফর গার্লস, মৌলনা আজাদ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল, ভবানিপুর গার্লস হাইস্কুল এবং হরিমোহন ঘোষ কলেজে শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও একইভাবে শুনানি চলবে। তবে কোনও পৌরসভা বা পঞ্চায়েত অফিসে শুনানির ব্যবস্থা রাখা হয়নি।শুনানিতে হাজির হওয়ার সময় ভোটাররা কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার দেওয়া পরিচয়পত্রও গ্রহণযোগ্য। এছাড়া পেনশন পেমেন্ট কার্ড, ১৯৮৭ সালের আগে ইস্যু হওয়া পরিচয়পত্র বা শংসাপত্র, জন্মের সার্টিফিকেট, ভারতের পাসপোর্ট, মাধ্যমিক স্তরের সার্টিফিকেট, স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাগত নথি, রাজ্যের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্রও দেখানো যেতে পারে। যেখানে এনআরসি চালু হয়েছে, সেখানকার শংসাপত্রও গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসনের তৈরি ফ্যামিলি রেজিস্টার, সরকারি জমির নথি বা বাড়ির দলিলও দেখানো যেতে পারে।নির্দিষ্ট দিনে কোনও ভোটার যদি শুনানিতে হাজির হতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে চিন্তার কারণ নেই। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, উপযুক্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য কারণ দেখাতে পারলে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫
কলকাতা

নতুন বছরের আগে চমক! গেরুয়া শিবির ছেড়ে মমতার দলে পার্নো মিত্র

নতুন বছর আসার আগেই রাজনৈতিক জীবনে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। কলকাতার তৃণমূল ভবনে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান অভিনেত্রী।দল বদলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্নো জানান, এই দিনটি তাঁর কাছে খুবই বিশেষ। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বড়দিন ছিল, আর শুক্রবার তাঁর কাছে আরও বড় দিনের মতো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তিনি নতুন পথচলা শুরু করছেন। সেই পথেই তিনি এগোতে চান দিদি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।পার্নো স্পষ্ট করে জানান, ছয় বছর আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেক আশা নিয়ে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বুঝেছেন, যেভাবে তিনি ভেবেছিলেন সেভাবে বিষয়গুলি এগোয়নি। তাই নিজের ভুল শুধরে নেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, মানুষ ভুল করতেই পারে, কিন্তু সেই ভুল সংশোধন করাটাই আসল।২০১৯ সালের জুলাই মাসে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন পার্নো মিত্র। বরাহনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তাপস রায়। তবে সময়ের সঙ্গে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে। বর্তমানে বরাহনগর কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।দলবদলের আগে থেকেই বিজেপি নিয়ে পার্নোর অসন্তোষের কথা শোনা যাচ্ছিল ঘনিষ্ঠ মহলে। শেষ পর্যন্ত সেই অসন্তোষই যে সিদ্ধান্তে রূপ নিল, তা এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল। রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিনেত্রীর এই পদক্ষেপ আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন আলোচনা তৈরি করবে।

ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal