• ৩০ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Arrest

রাজ্য

চরম অমানবিক, নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বাবা

বাবার যৌন অত্যাচারের জেরে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লো নাবালিকা মেয়ে। এমনটা জেনে হয়তো অনেকেই হতবাক হবেন। কিন্তু বাস্তবেই হতবাক করে দেওয়ার মত এমন ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। দিনের পর দিন ধর্ষণ করে নিজের নাবালিকা মেয়েকে অন্তঃসত্বা করে দেওয়ার অভিযোগে কুলাঙ্গার বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে কালনা থানার পুলিশ। সুননির্দিষ্ট ধরায় মামলা রুজু করে পুলিশ শনিবার ধৃতকে পেশ করে কালনা মহকুমা আদালতে। নির্যাতিতা নাবালিকাকেও এদিন মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বিচারক ধৃত অভিযুক্তকে জেল হেফাজত ও তার মেয়েকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নাবালিকার বাবার দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবী করেছেন এলাকাবাসী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনায় বাড়ি বছর পনোরো বয়সী নাবালিকার। কালনা থানার পুলিশের কাছে সে অভিযোগে জানিয়েছে, তাঁর বাবা গত দু-বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেছে। তাঁর মা বাইরে কাজে চলে গেলেই তাঁর বাবা তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করতো। তাঁর বাবা শুধু তাঁকে ধর্ষণ করেই খান্ত থাকেনি। হুমকি দিয়েছিল, তার কু-কীর্তির কথা কাউকে জানালে সে তাঁকে প্রাণে মেরে দেবে। সেই হুমকিতে ভীত হয়ে এতদিন কাউকে কিছু জানাতে পারেনি বলে নাবালিকা পুলিশকে জানায়। নাবালিকা পুলিশকে এও জানায়, দিনের পর দিন নিজের বাবার যৌন আত্যাচারের শিকার হতে হওয়ায় সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়। ডাক্তারের কাছে গিয়ে নাবালিকা জানতে পারে সে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে। এরপরেই নাবালিকা কালনা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। সে পুলিশের কাছে নিজের বাবার অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে ধর্ষনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে পুলিশ নাবালিকার বাবাকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দা মহলেও তোলপাড় ফেলে দিয়েছে।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজ্য

বর্ধমানের কেষ্টপুর থেকে উদ্ধার হওয়া বোমা রাখা নিয়ে প্রশ্ন অভিযুক্তের পরিবারের

পূর্ব বর্ধমানের কেষ্টপুর গ্রাম থেকে বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। এই ঘটনায় পুলিশ ফিরোজউদ্দিন মল্লিক নামে এক গ্রামবাসীকে আটক করেছে। তাঁর পুত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এদিকে এলাকাবাসীর দাবি, ওই পরিবারটি কারও সাতেপাঁচে থাকে না। পুত্র ইব্রাহিম মল্লিকের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ এসে তাঁকে ঘুম থেকে তোলে। তাঁকে চড় মারা হয়। তারপর বলা হয় বাড়িতে বোম রাখা আছে। তাঁর মা সাকিলা বানুর দাবি, মধ্যরাতে পুলিশ এসে হুমকি দেয়। মেয়েদের ধমকায়। তাঁর দাবি, কেউ বোমা রেখেই পুলিশকে খবর দিয়েছে। তাঁরা এসবে জড়িত নন।এলাকার বাসিন্দা সোনেহারা বিবি, সালমা বেগমরা একদিকে আতঙ্কিত অন্যদিকে বিস্মিত। তাঁরা জানান, এই পরিবারটি চাষবাস নিয়ে থাকে। এরকম কিছুতে তাঁরা জড়িত থাকা কার্যত অসম্ভব। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ওয়াকফের সম্পত্তি বিক্রিতে বাঁধা দেন এই পরিবারের সদস্যরা। এলাকাবাসীর ধারণা, প্রোমোটাররা সেকারণেই এইরকম কারসাজি করে থাকতে পারে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন, এটা নিয়ে একটি কেস করা হবে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্ত চলছে।

মার্চ ২৬, ২০২২
রাজ্য

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই গ্রেপ্তার আনারুল

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই বগটুই-কাণ্ডে ধরা পড়লেন তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। আনারুলের বিরুদ্ধেই প্রথম থেকে অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেও তাঁরা একই অভিযোগ করেন। আর তারপরই আনারুলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হল তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে। মমতা নির্দেশ দেওয়ার পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। পরে তাঁকে তারাপীঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে বলেছিলেন, যেখান থেকে সম্ভব তুলে এনে গ্রেপ্তার করতে হবে আনারুলকে। সেই মতো পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গেলেও পাওয়া যায়নি আনারুলকে। গেটে তালা লাগানো ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আনারুল হোসেন কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন সেই খোঁজ শুরু হয়। পরে তারাপীঠ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। নৃশংস এই হত্যাকান্ডে বৃহস্পতিবার থেকে বারবার তাঁর নাম উঠে এসেছে। স্থানীয়রা বলেছেন, আগুন লাগান হয়েছে তাঁর নির্দেশেই। তবে এই অভিযোগ শোনার পরও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি তিনি। সাফ জানান, ওই সময় এলাকাতেই ছিলেন না তিনি। শুধু তাই নয়, শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন আনারুল।

মার্চ ২৪, ২০২২
রাজ্য

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী-কে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক যুবক

অপহরণের ঘটনার তদন্তে নেমে দুদিনের মধ্যে অপহরণকারীর ডেরা থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ। পাশাপাশ পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার পুলিশ ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় জড়িত যুবক রণি খান কেও গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থানার পাটুলি শিবতলা এলাকায়। মেয়েকে উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য ছাত্রীর পরিবার বুধবার রায়না থানায় গিয়ে পুলিশকে কৃতজ্ঞতা জানান। পুলিশ জানিয়েছে,১৬ বছর বয়সী অপহৃত ছাত্রীর বাড়ি রায়না থানার হিজলনা পঞ্চায়েত এলাকায়। সে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। ওই ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবী করে তাঁর বাবা গত রবিবার রাতে রায়না থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ছাত্রীর বাবা পুলিশ কে জানান, মাসির বাড়ি যাবার জন্য তাঁর মেয়ে রবিবার সকাল ৮ টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়। তার পর থেকে তিনি তাঁর মেয়ের আর কোন খোঁজ পান না। বিভিন্ন আত্মীয় পরিজনের বাড়িতেও খোঁজ চালান। কিন্তু মেয়ের আর কোন হদিশ মেলে না। নাবালিকা মেয়েকে কেউ অপহরণ করেছে এমনটা ধরে নিয়ে এরপর তিনি ওইদিন রাতেই রায়না থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ছাত্রীর বাবার অভিযোগ পেয়েই নড়ে চড়ে বসে রায়না থানার পুলিশ। দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নামেন পুলিশ অফিসার সফিউর রহমান। বিভিন্ন সূত্র মাধ্যমে খোঁজ খবর চালিয়ে তিনি নিশ্চিৎ হয় ছাত্রী উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থানা এলাকায় রয়েছে। এর পরেই নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য মঙ্গলবার তিনি উত্তর ২৪ পরগনা মধ্যমগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মধ্যমগ্রাম থানার সহায়তা নিয়ে সফিউর রহমান সেখানকার পাটুলি শিবতলা এলাকা নিফাসী অপহরণকারী রণি খানের ডেরায় পৌছান। সেখান থেকে নাবালিকা ছাত্রীকে উদ্ধার করার পাশাপাশি পুলিশ রনি খানকেও ধরে ফেলে।জেরায় ছাত্রীকে অপহরণের কথা কবুল করার পরেই পুলিশ রনি খান কে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার রাতেই নাবালিকা ওই ছাত্রী ও ধৃত অপহরণকারীকে নিয়ে রায়না থানায় পৌছান তদন্তকারী অফিসার সফিউর রহমান। ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে গোপন জবানবন্দি পেশের জন্য এদিনই তাকে হাজির করানো হয় বর্ধমান আদালতে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ ধৃত অপহরণকারীকেও এদিন আদালতে পেশ করে। ৭০০ টাকার বন্ডে ধৃতর জামিন মঞ্জুর করে বিচারক ১৪ জুলাই ফের তাঁকে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দিয়েছেন।

মার্চ ২৩, ২০২২
রাজ্য

প্রেমিককে খুনের অভিযোগে প্রেমিকাসহ পরিবার সদস্যদের গ্রেফতার করলো পুলিশ

প্রেমিককে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল প্রেমিকা।রেহাই পাননি প্রেমিকার বাবা, মা ,ও দাদা। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে মেমারি স্টেশন রোড এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমিক শুভ শীলকে খুনের অভিযোগে ধৃতদের নাম প্রিয়াঙ্কা কির্তনিয়া, সুনীল কীর্তনিয়া, জয়মালা কীর্তনিয়া ও রাজীব কীর্তনিয়া। তাঁদের বাড়ি মেমারি পৌরসভার উদয়পল্লী দক্ষিণপাড়ে। এদিনই ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে প্রেমিকা প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর ভাই রাজীবকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ। সিজেএম ধৃত প্রেমিকা ও তাঁর ভাইকে ৪ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অপর ধৃত প্রেমিকার বাবা ও মাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।পুলিশ জানিয়েছে, মেমারির ৩ নম্বর ওয়াের্ডর পারিজাত নগরের শুভ শীলের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার দীর্ঘদিনের ভাব-ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। যদিও প্রিয়াঙ্কার পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তা সত্বেও প্রেমিকার বাড়িতে মাঝেমধ্যেই যেত শুভ। প্রিয়াঙ্কার পরিবারের লোকজন বেশ কয়েকবার শুভকে সম্পর্ক ছাড়ার জন্য হুমকি দেয়। অন্যথায় তাঁকে খুন করা হবে বলে শাসানো হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে যান শুভ। তারপর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। রাত দেড়টা নাগাদ প্রিয়াঙ্কার বাড়ি থেকে শুভর মাকে মোবাইলে ফোন করা হয়। শুভ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানানো হয়। খবর পেয়ে শুভর পরিবারের লোকজন প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, উঠানে তাঁর দেহ শায়িত রয়েছে। কাপড়ের পার দিয়ে তাঁর দুহাত বাঁধা। কোমরের একটু উপরে দড়ি বাঁধা রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। মৃতের বাবা অশোক শীল ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে শুভকে খুন করেছে। অভিযোগ পেয়ে পরিকল্পনামাফিক খুনের ধারায় মামলা রুজু করেছে থানা।

মার্চ ১৭, ২০২২
রাজ্য

জামাত জঙ্গি-যোগে বাঁকড়া থেকে গ্রেপ্তার স্কুল শিক্ষক

জামাত-উল-মুজাহিদিন (জেএমবি) জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর হাতে গ্রেপ্তার এক শিক্ষক। পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুই জঙ্গিকে। ধৃত শিক্ষক আনিরুউদ্দিন আনসারির বাড়ি পুরুলিয়ার পাড়ায়। তিনি হাওড়া জেলার বাঁকড়ার মুন্সিডাঙ্গায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তিনি স্থানীয় মসজিদের শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত ১৪ মার্চ রাতে তাঁকে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ গ্রেপ্তার করে। আনিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে দুজন জেএমবি জঙ্গিকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ছিল।পুরুলিয়ায় নয়, হাওড়ার বাড়িতেই জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত শিক্ষককে বুধবার হাও়ড়া আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তকে হেপাজতে নেওয়ার আবেদনও করা হয়েছে। ওই দুই জঙ্গি কবে থেকে ধৃতের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল এবং এই দুজন ছাড়া আর কেউ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে এসটিএফ। ওই শিক্ষক নিজেও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বেঙ্গল এসটিএফ সূত্রে খবর, সম্প্রতি ভোপালে চারজন জঙ্গিকে সেখানকার দুটি জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করে সেই রাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস)। তাদের সূত্র ধরেই আনিরুদ্দিনের নাম উঠে আসে গোয়েন্দাদের কাছে। দীর্ঘদিন ধরে বেঙ্গল এসটিএফ-এর গোয়েন্দাদেরও নজরে ছিল এই জঙ্গি। গতকাল রাত্রে তাকে ইউএপিএ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়।এরপর আজ আনিরুদ্দিনকে হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হয়।

মার্চ ১৬, ২০২২
কলকাতা

বইমেলায় কেপমারিতে অভিযুক্ত অভিনেত্রীর জেল হেপাজত

বইমেলা থেকে কেপমারির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিনেত্রী রূপা দত্ত। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বইমেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। একদিনের জেল হেপাজত হয়েছে রূপা দত্তের। তাঁর আইনজীবী এদিন এজলাসে ১৪ দিনের জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিধাননগর মহকুমা আদালতের বিচারক। গ্রেপ্তারের পরই রূপার কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা, একাধিক পার্স উদ্ধার করে পুলিশ।তবে এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে এসেছে। টেলি দুনিয়ায় বেশ কয়েকটি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন রূপা দত্ত। মুম্বইয়েও যোগাযোগ ছিল বলেই তদন্তে উঠে এসেছে। সেলুলয়েডের দুনিয়ায় যাঁর এত পরিচিতি, এভাবে চুরির অভিযোগে তাঁর নাম কেন জড়াল? অন্যদিকে এদিন এজলাসেও বিচারক মামলাটি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিজার লিস্টে দুজন সাক্ষীর নাম ছিল। একজন এর মধ্যে মহিলা কনস্টেবল। প্রশ্ন উঠেছে, দ্বিতীয় জনের জবানবন্দি কেন নেওয়া হল না? অন্যদিকে রূপা দত্ত কেন ডাস্টবিনের পার্সের দিকে হাত বাড়াতে গেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক।

মার্চ ১৪, ২০২২
রাজ্য

জাল দলিল চক্রের নাগাল পেতে গ্রেফতার দুই অভিযুক্তকে হেপাজতে নিল পুলিশ

জমির মিউটেশন করানোর জন্য ভূমি দফতরে জাল দলিল জমা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই ব্যক্তিকেই হেপাজতে নিল পুলিশ। জাল দলিল তৈরি চক্রের পাণ্ডাদের নাগাল পেতেই পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার পুলিশের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে,কালনা ১ ব্লক ভূমি দফতরে জাল দলিল জমা দিয়ে জমির মিউটেশনা করাতে এসে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন পিন্টু খাঁ ও তুষারকান্তি সরদার। দুজনেরই কালনা ১ ব্লকের বেগপুরের পশ্চিম সাহাপুরে। ব্লক ভূমি আধিকারিক সৈয়দ মাসুদুল আনোয়ারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার পুলিশ পিন্টু ও তাঁর সহযোগী তুষার কে গ্রেফতার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ দুই ধৃতকে বুধবার কালনা মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়। বিচারক দুই ধৃতকেই ৭ দিন পুলিশি হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ মনে করছে, হেপাজতে নেওয়া ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালালেই মিলবে জাল দলিল তৈরি চক্রে জড়িতদের হদিশ।ভূমি দফতরের আধিকারিক সৈয়দ মাসুদুল আনোয়ার জানিয়েছেন, মৃত বাবার নামে থাকা জমিজমা নিজের নামে মিউটেশন করানোর জন্য পশ্চিম সাহাপুর নিবাসী পিন্টু খাঁ কালনা ১ ব্লক ভূমি দফতরের অফিসে একটি দলিল সহ বেশ কিছু নথি জমা দেন।এদিন ছিল মিউটেশনের আবেদনের শুনানির দিন। শুনানির সময়ে পিন্টুর জমা দেওয়া দলিলে থাকা স্বাক্ষর দেখে ভূমি দফতরের রেভিনিউ অফিসারের সন্দেহ হয়। এর পর তিনি সরকারি অফিসিয়াল সাইট খুলে দলিলের নম্বর খতিয়ে দেখেন। তখনই তাঁর চোখ কপালে ওঠে। ওই দলিলে থাকা স্বাক্ষর ও তথ্য কোনও কিছুই সরকারি অফিসিয়াল সাইটে মেলে না। তার পরিপ্রেক্ষিতেই দফতরের আধিকারিকরা সবাই নিশ্চিত হয়ে যান মিউটেশন করানোর জন্য ভূমি দফতরে জাল দলিল জমা দেওয়া হয়েছে। এরপরই ভূমি দফতরের আধিকারিকরা পিন্টু ও তাঁর সঙ্গে থাকা সহযোগী তুষারকে ধরে ফেলে থানায় খবর দেয়। জাল দলিল জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে ধৃতরা মুচলেখাও দেয়। এরপর পুলিশ এলে দুই অভিযুক্তকে আধিকারিকরা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। কালনা এসডিএলআরও তরুণ মন্ডল জানিয়েছেনএই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের কাউকেই রেয়াত করা হবেনা। জালিয়াতিতে ধরাপড়া দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ও ধৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে।

মার্চ ০৯, ২০২২
রাজ্য

জাল দলিল করে মৃত বাবার সম্পত্তি হাতাতে গিয়ে গ্রেফতার ছেলে-সহ সাকরেদ

জমির মিউটেশন করানোর জন্য ভূমি দফতরে জাল দলিল জমা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দুই ব্যক্তি। ধৃতদের নাম পিন্টু খাঁ ও তাঁর সহযোগী তুষারকান্তি সরদার। দুজনেরই বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১ ব্লকের বেগপুরের পশ্চিম সাহাপুরে। মঙ্গলবার ব্লকের ভূমি দফতরের আধিকারিকরা ওই দুই জালিয়াতকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। ব্লক ভূমি আধিকারিক সৈয়দ মাসুদুল আনোয়ারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পিন্টু ও তাঁর সহযোগীকে রাতে গ্রেফতার করেন। এই ঘটনা জানাজানি হতেই কালনার বাসিন্দা মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা মনে করছেন মোটা টাকার বিনিময়ে জাল দলিল তৈরি করে দেওয়ার চক্র জেলায় সক্রিয় হয়েছে।ভূমি দফতরের আধিকারিক সৈয়দ মাসুদুল আনোয়ার জানিয়েছেৌন, মৃত বাবার নামে থাকা জমিজমা নিজের নামে মিউটেশন করানোর জন্য পশ্চিম সাহাপুর নিবাসী পিন্টু খাঁ কালনা ১ ব্লক ভূমি দফতরের অফিসে একটি দলিল সহ বেশ কিছু নথি জমা দেন। এদিন ছিল মিউটেশনের আবেদনের শুনানির দিন। শুনানির সময়ে পিন্টুর জমা দেওয়া দলিলে থাকা স্বাক্ষর দেখে ভূমি দফতরের রেভিনিউ অফিসারের সন্দেহ হয়। এর পর তিনি সরকারী অফিসিয়াল সাইট খুলে দলিলের নম্বর খতিয়ে দেখেন। তখনই তাঁর চোখ কপালে ওঠে। ওই দলিলে থাকা স্বাক্ষর ও তথ্য কোন কিছুই সরকারী অফিসিয়াল সাইটে মেলে না। তার পরিপ্রেক্ষিতেই দফতরের আধিকারিকরা সবাই নিশ্চিত হয়েযান মিউটেশন করানোর জন্য ভূমি দফতরে জাল দলিল জমা দেওয়া হয়েছে।এর পরপরই ভূমি দফতরের আধিকারিকরা পিন্টু ও তাঁর সঙ্গে থাকা সহযোগী তুষারকে ধরে ফেলে থানায় খবর দেয়। জাল দলিল জমা দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে ধৃতরা মুচলেখাও দেয়। এরপর পুলিশ এলে দুই অভিযুক্তকে আধিকারিকরা পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। কালনা এসডিএলআরও তরুণ মন্ডল জানিয়েছেন, এই ধরনের কাজের সাথে যুক্ত থাকা ব্যক্তিদের কাউকেই রেয়াত করা হবেনা।জালিয়াতিতে ধরাপড়া দুজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মার্চ ০৮, ২০২২
রাজ্য

শেষমেশ অপরাধীদের চিহ্নিত করতে উলুবেড়িয়া জেলে হাজির আনিস খানের বাবা

টিআই প্যারেডে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে উলুবেড়িয়া জেলে গিয়েছেন আনিস খানের বাবা সালেম খান। আনিস খুনের সঙ্গে পুলিশ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন সালেম খান। একজন বন্দুকধারী পুলিশ ও তিনজন সিভিক পুলিশ রাতে আমতার সারদা দক্ষিণখান পাড়ায় আনিসদের বাড়িতে গিয়েছিল। বন্দুকধারী পুলিশ নীচে সালেম খানকে আটকে রাখে। বাকি তিনজন ওপরে গিয়ে ছেলে খুন করে ফেলে নীচে ফেলে দিয়েছে। এমনই অভিযোগ করেছেন সালেম খান। ওই অভিযোগেই অনড় রয়েছেন আনিসের বাবা।এরইমধ্যে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমে টিআই প্যারেডে সালেম খান যাবেন কীনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। পরে অবশ্য সিটের দল এদিন দুপুরে দক্ষিণখান পাড়ায় আনিসদের বাড়িতে যায়। পরে অবশ্য আইনজীবী আসার পর উলুবেড়িয়া রওনা দেন সালেম খান। পুলিশের গাড়িতে যাননি সালেম খান। তাঁর আইনজীবীর গাড়িতে তিনি উলুবেড়িয়া যান। এখন ঘটনার একমাত্র প্রত্য়ক্ষদর্শী টিআই প্যারেডে গ্রেফতার দুজনকে চিনতে পারেন কীনা বা এরাই তাঁর বাড়িতে গিয়েছিল কীনা সেটাই এখন দেখার। তবে সালেম খানের বক্তব্য ছিল বন্দুকধারী পুলিশ কর্মীকে তাঁর স্পষ্ট মনে রয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

আনিসকাণ্ডে এসএফআইয়ের ভবানী ভবন অভিযানে রাসবিহারীতে ধুন্ধুমার, মিছিল শুরুতেই বাধা

ছাত্র নেতা আনিস খানের খুনিদের শাস্তির দাবিতে ও রাজ্য পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদ জানাতে ভবানী ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। শুক্রবার মিছিল শুরুর আগেই থেকে রাসবিহারী এলাকা প্রায় দুর্গে পরিণত করে পুলিশ। বিশাল পুলিশ বাহিনী পুরো এলাকার দখল নেয়। সাদা পোষাকের পুলিশও ছিল যথেষ্ট সংখ্যক। মিছিলে শুরু হওয়ার আগেই হাজির এসএফআই নেতৃত্বকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় আন্দোলনকারীদের। ধুন্ধমার কান্ড ঘটে রাসবিহারী মোড়ে।গ্রেফতার ছাত্রনেতা সৃজন ভট্টাচার্যআলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র আনিস খানকে আমতার সারদা দক্ষিণ খানপাড়ার বাড়িতে গিয়ে পুলিশ খুন করে বলে অভিযোগ তোলে তাঁর বাবা সালেম খান। ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর দিন থেকে আন্দোলন শুরু করে ছাত্র সংগঠনগুলো। এসএফআই ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলো পথে নামে আনিসের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এসএফআই। এদিন রাসবিহারীতে রীতিমতো আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। দেখা যায় এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাটার্যকে চ্যাংদোলা করে পুলিশ প্রিজন ভ্যানে তুলছে। মিছিল শুরুই করতে দেয়নি পুলিশ। ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাজির হতেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, পুলিশ বলেছিল, এক পাও মিছিল করতে দেবে না। আমরা ওই হুমকি ফু্ঁ দিয়ে উড়িয়ে মিছিল করেই ভবানীভবন যাচ্ছিলাম। মাঝপথে পুলিশের আক্রমণ, আহত একাধিক ছাত্র৷ পুরুষ পুলিশ আক্রমণ করেছে ছাত্রীদের৷ আটক করে লালবাজার নিয়ে যাচ্ছে। প্রতীকউরদা ও যুব নেতৃত্ব আমতায় আছে। মিছিল করবে। থামানো যাবে না আক্রমণ করে আমাদের। কাল হাওড়া জেলা গ্রামীণ এসপি ঘেরাও। তার আগে আজ বিকেল থেকে সর্বত্র আরেক দফা রাস্তা অবরোধ৷

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

ওসির নির্দেশে গিয়েছিলাম, আমরা বলির পাঁঠা, দাবি ধৃত দুই পুলিশকর্মীর

ওসি-র নির্দেশ পেয়েই শুক্রবার রাতে ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন, জানালেন আনিস-হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে ধৃত দুজন পুলিশকর্মী। তাঁদের দাবি, গোটা ঘটনাটিতে তাঁদেরকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। আসলে আনিস-হত্যার আগুনে জল ঢালা হচ্ছে এই ভাবে।বুধবারই আনিস-হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে। বৃহস্পতিবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁরা জানান, শুক্রবার আনিসের বাড়িতে গেলেও আনিসের মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে তা তাঁদের জানা নেই। তাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন সেই রাতে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা? কেউ কি তাঁদের যেতে বলেছিল? জবাবে ধৃত দুই পুলিশকর্মী জানান, তাঁরা ছাত্রনেতার আমতার বাড়িতে গিয়েছিলেন ওসি-র নির্দেশে। এই ওসি আমতা থানার ওসি কি না তা অবশ্য ধৃতরা জানাননি।এখানেই শেষ নয়, সরাসরি ওসি-র বিরুদ্ধে নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ করেন তাঁরা। এই বিষয়ে আনিস খানের দাদা সাবির খান বলেন, আমরা এজন্যই প্রথম থেকে বলছিলাম পুলিশ নাটক করছে। এই নাটক আমাদের পছন্দ হচ্ছে না। এ জন্য আমরা পুলিশকে মানি না। পুলিশকে পছন্দ করি না। সিটের উপর ভরসা নেই। আমরা সিবিআই চাইছি। ওসি-কে জিজ্ঞেস করুক। ওসি-কে তুলছে না কেন?

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজ্য

পুলিশকে দিয়ে কারা আনিস খানকে খুন করাল? প্রশ্ন তুলে তৃণমূল নেতৃত্বকে বিঁধলেন রাহুল

পুলিশকে দিয়ে কারা আনিস খানকে খুন করাল তার তদন্ত হলে অনেক তৃণমূল নেতা জড়িয়ে যাবে। বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে বুধবার কাটোয়ায় প্রচারে এসে এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তৃণমূল নেতৃত্ব যদিও রাহুল সিনহার এইসব বক্তব্যকে কোন গুরুত্বই দিতে চাননি। তাঁদের বক্তব্য, রাহুল সিনহা বোধহয় যোগী রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে গুলিয়ে ফেলছেন। কাটোয়ায় রোড শো শেষ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল সিনহা আরও বলেন, আনিস খানকে খুনের ঘটনার ভিতরে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য। পুলিশ হত্যা করেছে ঠিকই, কিন্তু পুলিশকে দিয়ে কারা হত্যা করিয়েছে? অনেক তৃণমূল নেতা জড়িয়ে যাবে। সিট গঠন করে আসল সত্য সামনে আসবে না। একমাত্র সিবিআই তদন্ত হলেই সব সত্য বেড়িয়ে আসবে। চারটে পুলিশকে সাসপেন্ড করে ন্যাকামি দেখানোর দরকার নেই। আনিসের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে বলে এখন তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এবার মিথ্যা মামলা দেওয়া হবে। গ্রেফতার পর্যন্ত করা হতে পারে । এইসবই শাসকদলের এক একটা ফর্মুলা। আগে চাকরির লোভ দেখিয়ে পরিবারকে বসে আনার চেষ্টা করা। যখন পারবে না তখন হুমকি দেখানো হবে। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজ্য

সিট অনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় নীচু তলার দুই পুলিশ কর্মীকে বলির পাঁঠা করলো, বললেন সজল ঘোষ

আনিস খানকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে দুই পুলিশ কর্মী। আর এই গ্রেফতারি নিয়ে বুধবার সিটের তদন্তকারী অফিসার ও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। পুর ভোটের প্রচারে এদিন সন্ধ্যায় বর্ধমানে সভা করতে এসে সজলবাবু দাবি করেন, আনিসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যা হওয়ার ছিল সেটাই হয়েছে। বলির পাঁঠা করা হল নীচু তলার দুই পুলিশ কর্মীকে। এই প্রসঙ্গে সজলবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আমরা আনিসের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চাইছি। আনিসের বাবাও তাঁর ছেলের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তই চাইছেন। বর্ধমান পুরসভার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে এদিন সন্ধ্যায় শহর বর্ধমানের কার্জনগেট এলাকায় একটি সভা হয়। সেই সভায় যোগ দেন বিজেপির মুখপত্র তথা কলকাতা পুরসভার বিরোধী দলনেতা সজল ঘোষ। সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সজল ঘোষ আরও বলেন, সিটের মাথা করে দেওয়া হয়েছে জ্ঞানবন্ত সিংকে। তিনি রিজওআনুর কেসের আসামী। সজল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন তপসী মালিকের মৃত্যুর তদন্ত হয়েছে?২১ শে জুলাইয়ের ঘটনায় কেউ শাস্তি পেয়েছে? নন্দীগ্রাম ঘটনায় দোষীদের সাজা কি হয়েছে? কেউ শাস্তি পায়নি। বরং পুরস্কার পেয়েছে। মণিশ গুপ্তকে বিধায়ক করে দেওয়া হয়েছিল। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন রিজওয়ানুরের সময়ে বলেছিলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এখন তারাই যদি তদন্ত করে সেই তদন্তের কি ফল বেরুবে। আমি তো তার কথাই বলছি। সিবিআই গ্রেফতার না করলে উনিও তো করতে পারতেন। আজকে উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সিবিআই চান না । কারণ ওনার জায়গা পাওয়া হয়ে গিয়েছে। উনি ভাইপো ছাড়া আর কিছুই চেনেন না । আবার ভাইপো বেশী লাফালে ভাইপোকেও চেনেন না।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
দেশ

দাউদ যোগে ইডির হাতে গ্রেপ্তার এনসিপি নেতা নবাব মালিক

দাউদ যোগে গ্রেপ্তার করা হল এনসিপি নেতা নবাব মালিককে। ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করল ইডি। বুধবার সকালেই নবাব মালিকের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। তারপর ইডি আধিকারিকরা তাঁকে জেরার জন্য দপ্তরের দিকে নিয়ে যান। কুখ্যাত ডন দাউদ ইব্রাহিম ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নবাবকে নিজেদের দপ্তরে নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। সকাল ৭ টা নাগাদ এনসিপি নেতাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সকাল ৮ টা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অবশেষে টানা ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর মহারাষ্ট্রের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এনসিপি নেতা নবাব মালিককে।সূত্রের খবর, এনসিপি নেতা নবাব মালিক দাউদের সংযোগীদের সঙ্গে লেনদেন এবং জমি লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। ইডি জানিয়েছে তদন্তের ক্ষেত্রে তিনি কোনও সহযোগিতা করেননি এবং এড়িয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি এই মামলায় ইডি দাউদ ইব্রাহিমের ভাই ইকবাল কাসকারের বাড়িতে অভিযান চালান এবং তাঁকে হেপাজত নেওয়া হয়েছিল। তদন্ত চলাকালীন নবাব মালিকের কেনা কিছু সম্পত্তির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাধি সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের চলতে থাকা চাপা লড়াইয়ের মধ্যে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হলেন ৬২ বছরের মন্ত্রী নবাব মালিকের।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজ্য

Big Breaking: আনিস হত্যায় গ্রেফতার দুই পুলিশ কর্মী, নবান্নে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সিট তদন্ত শুরু করার দুদিনের মাথায় আনিস খুনে দুজন গ্রেফতার হল। গ্রেফতার করা হয়েছে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে। আমতা-কান্ডে ২ জন পুলিশ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশের নামে অভিযোগ এসেছে। যাতে নিরপেক্ষে তদন্ত হয় তাই দুজনকে পুলিশকে কাষ্টডিতে রাখা হয়েছে। জানি না প্রমানিত হবে কীনা। সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এদিন নবান্নে একথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এর আগে আনিস কান্ডে তিনজন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে চার পুলিশ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবানীপুরে তলব করা হয়েছে। সিট তদন্তে নেমে আমতায় আনিসের বাড়িতে গেলেও তাঁদের তদন্তে সহযোগিতা করেনি আনিসের পরিবার।আনিস-খুনে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন। রাজ্যের পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করতে পারবে না বলেই আনিসের পরিবারের দাবি। এদিকে আনিস হত্যার অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে রাজ্যে। উত্তাল হয়েছে কলকাতা।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজ্য

পিয়াঁজ চাষের আড়লে জমিতে পোস্ত চাষের রমরমা, গ্রেফতার চার

জমিতে বেআইনী ভাবে পোস্ত চাষ করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন চার ব্যক্তি। ধৃতদের নাম চিন্ময় বিশ্বাস,পরিমল বিশ্বাস, সমীর বিশ্বাস ও উত্তম বিশ্বাস। ধৃতদের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের মাজিদা পঞ্চায়েতের বড়ধামাস ও ছোটধামাস এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে পূর্বস্থলী থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আবগারি দফতর ওই দুই গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে ব্লক প্রশাসনের কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। জমিতে থাকা প্রচুর পোস্ত গাছ নষ্ট করে দেওয়ার পাশাপাশি বেআইনি ভাবে পোস্ত চাষ করার দায়ে ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ও আবগারি দফতরের এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পিয়াঁজ চাষের আড়ালে জমিতে বেআইনী ভাবে পোস্ত চাষের কথা গোপন সূত্র মাধ্যমে জানতে পারে পুলিশ ও আবগারি দফতর।এরপরেই এদিন পুলিশ ও আবগারি দফতরের লোকজন বড়ধামাস ও ছোটধামাস গ্রামে অভিযানে যায়। এই দুই গ্রামের যে চারটি জমিতে পোস্ত চাষ হয়েছিল সেই পোস্ত গাছ তারা নষ্ট করে দেন।পূর্বস্থলী থানার আই সি সন্দীপ কুমার গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ধৃত চার জনের জমিতে থাকা প্রায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশী পোস্ত গাছ কেটে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ওই ব্যক্তিরা বেআইনী ভাবে জমিতে পিয়াঁজ চাষের আড়ালে পোস্ত চাষ করেছিলেন। তার জন্য ওই চারজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজ্য

অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ক্যামেরায় বন্দি করে বিয়ের জন্য পিস্তল দেখিয়ে প্রেমিকের হুমকি! কালনায় আত্মঘাতী কলেজ ছাত্রী

প্রেমিকের ব্ল্যাকমেল ও হুমকি শাসানির জেরে আত্মহত্যার পথ বেছেনিতে বাধ্য হলেন এক কলেজ ছাত্রী।মৃতার নাম গঙ্গা সেন (১৯)। তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার শাসপুর পশ্চিমপাড়ায়। রবিবার কালনা মহকুমা হাসপাতাল পুলিশ মর্গে ছাত্রীর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। তারপর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে প্রেমিক। এইঘটনা নিয়ে জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শাসপুর এলাকায়। প্রেমিক যুবকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর পরিবারের আনা অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে কালনা থানার পুলিশ। পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানা গিয়েছে, গঙ্গা সেন নামে ওই ছাত্রীটি কালনা কলেজের প্রথম বর্ষে পড়াশুনা করতো। ছাত্রীর বাবা নগেন সেন জানান, কয়েক বছর হল তাঁর মেয়ে গঙ্গা এলাকার এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মনে কু-উদ্দেশ্য থাকায় ওই যুবক কোন এক সময়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের বেশ কিছু ছবি মোবাইল ফোনের ক্যামেরা বন্দি করে নেয়। পরে সেই ছবি দেখিয়েই গঙ্গাকে ব্ল্যাকমেল করেচলে তাঁর প্রেমিক। এরই মধ্যে গঙ্গা জানতে পারে যে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে একাধিক মেয়ের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর থেকে গঙ্গা তাঁর প্রেমিকে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে মনস্থির করে নেয়। নগেন বাবুর অভিযোগ, তাঁর মেয়ে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে জানতে পেরে ওই প্রেমিক যুবক মাঝেমধ্যেই তাঁদের বাড়িতে এসে পিস্তল দেখিয়ে হুমকি শাসানি দিয়ে যেত।ছাত্রীর মা বিশাখা সেন বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে করবে বলে ওই যুবক বাড়িতে এসে চাপ দেওয়া শুরু করে। কিন্তু অন্য মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় আমার মেয়ে ওই যুবককে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তার জন্য ওই যুবক পিস্তল উঁচিয়ে আমাদের বাড়ির সবাইকে প্রাণে মেরে দেবে বলে কিছুদিন আগে হুমকি দিয়ে যায়। এইসব নিয়ে মেয়ে গঙ্গা মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল। রবিবার সকালে তিনি ও তাঁর স্বামী কোভিডের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। তার পরেই বাড়ির একটি ঘরে গলায় দড়ি ফাঁস দিয়ে গঙ্গা ঝুলেপড়ে। বাড়িতে তখন ছোট মেয়ে ছিল। সে তাঁর দিদিকে গালায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে আমাদের জানায়। এই খবর পেয়েই দ্রূত বাড়িতে ফিরে এসে মেয়েকে উদ্ধার করে আমরা কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক গঙ্গাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নগেন সেন ও তাঁর স্ত্রী বিশাখাদেবী দুজনেই তাঁদের মেয়ে গঙ্গার মৃত্যুর জন্য ওই প্রেমিক যুবককেই দায়ী করেছেন। সেন দম্পতি দাবি করেন, প্রেমিক যুবকের ব্ল্যাকমেল ও হুমকি শাসানির জেরেই তাঁদের মেয়ে গঙ্গা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। সেই অভিোগের কথা পুলিশকেও এদিন মৌখিক ভাবে জানিয়ে এসেছেন। দাহকার্য শেষ করে সোমবার থানায় গিয়ে লিখিত ভাবে যুবকের বিরূদ্ধে অভিযোগ জমা দেবেন বলে নগেন সেন জানিয়েছেন। কালনা থানার পুলিশ জানিয়ছে, লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে তার ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৃতার পরিবার ও তাঁর সহপাঠীদের প্রত্যাশা পুলিশ যুবকের দৃষ্টান্তমূলক সাজার ব্যবস্থা করবে।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

প্রচুর গাঁজাসহ চার মহিলা গাঁজা পাচারকারী গ্রেফতার বর্ধমানে

চল্লিশ কেজির বেশী গাঁজা সহ চার মহিলা গাঁজা পাচারকারীকে গ্রেফতার করলো বর্ধমান জিআরপি। ধৃতদের নাম রুবি বিবি, শকুন্তলা রাজবংশী, ঝর্না দাস ও রানু দাস। ধৃতদের মধ্যে রুবির বাড়ি বর্ধমান থানার সরাইটিকর এলাকায়। বাকি ধৃতরা বর্ধমান শহরের তিনকোনিয়া গুডসশেড রোড এলাকার বাসিন্দা। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজে করে জিআরপি চার মহিলা গাঁজা পাচারকারীকে রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে। তদন্তের প্রয়োজনে জিআরপির তদন্তকারী অফিসার রুবিকে ৩ দিন নিজেদের হেপাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। বিচারক রুবির ২ দিনের জিআরপি হেপাজত ও বাকি ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার বর্ধমানের মাদক সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।জিআরপি জানিয়েছে, চার মহিলা প্রচুর গাঁজা নিয়ে ট্রেনে চড়ে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন বিক্রির জন্য আনছে বলে বিশেষ সূত্র মাধ্যমে খবর আসে। সেই খবর পাবার পরেই জিআপি শনিবার বর্ধমান স্টেশনে নজরদারি বাড়ায়। ওইদিন দুপুরে তিনপাহাড়ি লোকাল ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনের ৭ নম্বর প্লাটফের্ম দাঁড়ালে চার মহিলা দুটি বড় ব্যাগ নিয়ে ট্রেন থেকে নামেন। মহিলাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় জিআরপি তাঁদের আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সন্তোষজনক উত্তর না মেলায় জিআরপি ওই মহিলাদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালায়। তল্লাশীতে দুটি ব্যাগ থেকে ৪০কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে বলে জিআরপির দাবি। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জিআরপি আরো জেনেছে, ওই মহিলারা দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা পাচারের সঙ্গে জড়িত। শনিবার তাঁরা উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে গাঁজা নিয়ে আসছিল। এই কারবারে আরও কয়েকজন তাঁদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা স্বীকার করেছে বলেও জিআরপি আধিকারিকরা জানিয়েছেন।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

বাংলা রঞ্জি ও কেকেআর দলে বাঙ্গালি খেলানোর দাবীতে গ্রেপ্তার ও লকআপে বাংলা পক্ষ সদস্য-র হাত ভেঙ্গে দেওয়া হয়

রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে অভাবনীয় ভাবে বরোদাকে পরাজিত করেছে বাংলা ঠিক সেই দিনই ইডেনের সামনে অহিংস প্রতিবাদে অংশগ্রহন করার উদ্দশ্যে যাত্রা শুরু করে বাংলা পক্ষ। তাঁরা ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবি নিয়ে ইডেনে সামনে জমায়েত করেছিল। তাঁদের আজকের প্রতিপাদের মূল দাবি, বাংলা যে কোনও শ্রেনির ক্রিকেট সহ রঞ্জি দল ও বিনদনমূলক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে বাঙালি খেলোয়াড়রা বঞ্চিত কেন? ঠিক দাবি নিয়ে বাংলা পক্ষর নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচী রবিবার দুপুর তিনটে থেকে ইডেনের সামনে শুরু হয়।এই প্রতিবাদ কর্মসুচী তে অংশগ্রহণ করেন বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, বাংলা ক্রীড়া পক্ষর প্রধান জয়দীপ দে, অপর শীর্ষ পরিষদ সদস্য সোয়েব আমিন সহ অন্যান্যরা। তাঁরা দাবি তোলেন বাঙ্গালি বলেই কি ঋদ্ধিমান সাহা উপেক্ষিত? শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি অভিযোগ করেন। তাঁদের এই নীরব প্রতিবাদের উদ্দশ্যে প্রেস ক্লাব থেকে যাত্রা শুরু হতেই কলকাতা পুলিস তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপে নিয়ে আসে।তাঁদের কৌশিক মাইতি জানান গ্রেফতারের করেও বাংলা পক্ষকে থামান জাবেনা। তাঁরা এই প্রতিবাদ কর্মসুচী থেকে সরে আসছেন না। তাঁরা জানান বাঙালি খেলোয়াড়দের স্বার্থে বাংলা পক্ষ লড়ছে, লড়বে। কৌশিক মাইতি আরও জানান, এটাই প্রথম নয়, ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবি নিয়ে এর আগেও বাংলা পক্ষ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (সিএবি) সদর দফতরে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছেন। শুধুমাত্র রঞ্জি ট্রফি নই, তাঁদের দাবি ঘরোয়া ক্লাব খেলা গুলোতেও ভূমিপুত্র সংরক্ষণের দাবি তুলেছিল বাংলা পক্ষ। এবং বাংলা ক্রিকেটের সদর দপ্তর ইডেন গার্ডেন্সের সামনে গিয়ে রীতিমত বিক্ষোভ দেখিয়ে এসেছিল তাঁদের সদস্যরা।কৌশিক মাইতি অভিযোগ করেন, বাংলার প্রধান শহর কলকাতার নাম ভাঙিয়ে দল করেছে মুম্বাইয়ের চিত্রতারকা শাহরুখ খান, সেই দলে বর্তমানে একজনও বাঙ্গালি ক্রিকেটার নেই। তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাংলা রঞ্জি দলে প্রায় ৭ থেকে ৮ জন ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার। আমাদের জেলার ক্রিকেটারদের বঞ্চিত করে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা খেলোয়াড় দের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে আমাদের বাংলার ছেলেরা সেইভাবে অন্য রাজ্যে সুযোগ পাচ্ছে না শুধুমাত্র বাঙ্গালি বলে। কৌশিক মাইতি জানান, বাংলা পক্ষের এর আগের আন্দোলনের প্রভাবে সিএবির বয়স ভিত্তিক খেলায় প্রচুর ভুয়ো আধার কার্ড ও জন্মপঞ্জী ধরা পড়েছে।তাঁরা জানাই কলকাতা পুলিশ যাদের আটক করেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলা পক্ষ শীর্ষ পরিষদের সদস্য কৌশিক মাইতি, সোহাইব আমিন, হাওড়া বাংলা পক্ষ সম্পাদক জয়দীপ দে, উত্তর 24 পরগানা গ্রামীণ বাংলা পক্ষ সম্পাদক দেবাশিস মজুমদার, কাকলি মজুমদার, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সিটিজেন অরুণ সেন এবং অন্যান্য সদস্য যথা, অভিজিৎ কুন্ডু, অভিজিত বার, সুমিত বকুলী ছাড়াও আরও অনেকে। তাঁরা আরও জানাই দেবাশীষ মজুমদারকে নির্দয়ভাবে মারধর করা হয় এবং লকআপে বহিরাগত অপরাধীরা তাঁর হাত ভেঙে দেয়। বাংলা পক্ষ সদস্যদের পরে ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।বাংলা পক্ষ দাবি তোলে কেকেআর যদি বাঙ্গালি ক্রিকেটার দলে না নেই তাঁরা যেনও তাঁদের দল থেকে কলকাতা নামটা মুছে দেয়, আর শাহরুখ খান কে বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা জানিয়েছে এই আন্দোলন থেকে সরছে না যতদিন না তাঁদের দাবি না মেনে নেওয়া হবে।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ...
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • ...
  • 17
  • 18
  • ›

ট্রেন্ডিং

দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কালনা থানার মৈত্রী কাপ কলঙ্কিত করল কেএসএসএ

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালনা থানার পরিচালনায় শনিবার থেকে শুরু হলো মৈত্রী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলকে নিয়ে দু-দিনের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো ও ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও প্রথম দিনেই এই টুর্নামেন্টে কালির দাগ লাগাল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা মানিক দাসের ভূমিকা।প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিজাড়া সুহানা একাদশ যথাসময়ে দল নামাতে না পারায় ওয়াকওভার পায় পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি। সময়ানুবর্তিতার উপর জোর দিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য। এরপরেই শুরু হয় চালাকি। পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতিকে দ্বিতীয় ম্যাচের পরিবর্তে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে বিজাড়ার এক কর্তা অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি। বিজাড়ার টিম লিস্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কেএসএসএ-র এক প্রভাবশালী আটকে দেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনিই গিয়ে ওই দলের কয়েকজনকে কেএসএসএ-র হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নেন। যদিও ওই ফুটবলাররা মাঠে নামতেই বেঁকে বসে তৃতীয় ম্যাচে কেএসএসএ কোচিং ক্যাম্পের প্রতিপক্ষ দল মধুপুর মারাং বুরু ক্লাব। শেষ অবধি কালনা থানার আইসির নির্দেশে তিন ফুটবলারকে বসাতে বাধ্য হয় কেএসএসএ। কাহানি মে ট্যুইস্ট এখানেই। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত দলের কাউকে খেলানো যাবে না। এমনকী রবিবারের খেলার যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা আছে, যদি কেউ এমন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে সেই দলকে বহিষ্কার করা হবে। সেটাই যদি হবে, তাহলে যে দল এমন অপরাধ করল সেই দলের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিপক্ষ মধুপুরকে জয়ী ঘোষণা করা হলো না সেই প্রশ্ন উঠছে। দর্শক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলতে থাকে।এরপর সেমিফাইনালের আগে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি জানায় যে তিনজনকে আগেই জালিয়াতির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের যেন না নামানো হয়। এই সময় সেই মানিক লোকজন জোগাড় করে আপত্তিকর আচরণ করেন। এমনকী মঞ্চে বসেই। প্রশ্ন হলো, টুর্নামেন্টে একটি দলের কর্তা এহেন আচরণ করেন কীভাবে, তাও পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসে? প্রথমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পার পাওয়া, তারপর মানিকের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় রেফারি ম্যানেজ।সেমিফাইনালে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল কেএসএসএ-র। খেলা যখন ১-১, টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচ গড়াচ্ছে তখন রেফারি চরম ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল গুনতে হয় সংহতিকে।বল কেএসএসএ-র ফুটবলারের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও কর্নার দেন রেফারি! সংহতি প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। সেই মুভ থেকে জয়সূচক গোল পায় টেইন্টেড কেএসএসএ। যা দেখে মাঠে উপস্থিত অন্য রেফারিরাও বলেন ওটি কর্নার ছিল না। কর্নার না হলে গোলটিও হতো না। যে রেফারিরা ম্যাচটি খেলালেন তাঁরা স্থানীয় রেফারি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানিক দাসকে মানিকদা বলে অভিহিত করছিলেন। অভিযোগ, ওই মানিক কেএসএসএ-তে নিজের থাকার প্রভাব খাটিয়ে রেফারি ম্যানেজ করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল জাজ রাখা হলো না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই টুর্নামেন্ট খেলাতে এআইএফএফের রেফারি জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল থানা। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরপর সব ঠিক করা হয় মানিকের উপস্থিতিতেই। তিনি লটারির সময়েও হাজির ছিলেন। মানিকের এমন জালিয়াতির প্রচেষ্টা ও উদ্ধত আচরণে রুষ্ট অনেকেই।এক ক্লাবের কর্তা থেকে দর্শকদের কয়েকজন বলছিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে থানা নয়, মানিক সর্বেসর্বা! তিনি থানার কে? যদিও কালনা থানার উপর কোনও ক্ষোভ নেই কারও। পুলিশের টুর্নামেন্ট, রেফারির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য বলে সবাই সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিলেন। কিন্তু আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্টতা কলঙ্কিত করল কালনা থানার সাধু উদ্যোগকে। সকলেই বলছিলেন, টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী যে দলের প্রথম ম্যাচেই বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই দল গায়ের জোরে ফাইনালে, এই বিষয়টি হাস্যকর। ফুটবলের স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। পুলিশের টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে রুষ্ট অনেকেই। যে মানিকের জন্য কলঙ্কিত হলো এমন দারুণ এক টুর্নামেন্ট, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয় থানা ও কেএসএসএ-র তরফে সেটাই দেখার। আর কিছু না হলে ফুটবল মহলের কাছে কি সদর্থক বার্তা যাবে? প্রশ্ন থেকেই গেল।

জুলাই ১২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal